শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
মার্কিন মানবাধিকার প্রতিবেদন

‘২০১৮-এর নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু বলে স্বীকৃত নয়’

সোমবার রাতে মার্কিন মানবাধিকার প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়
আপডেটেড
২১ মার্চ, ২০২৩ ১৭:৩৩
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত : ২১ মার্চ, ২০২৩ ০০:০০

বিশ্ব মানবাধিকার পরিস্থিতির ২০২২ সালের চিত্র তুলে ধরে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র সরকার। সোমবার বাংলাদেশ সময় রাতে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ‘২০২২ কান্ট্রি রিপোর্টস অন হিউম্যান রাইটস প্র্যাকটিসেস’ শীর্ষক প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে। এতে মার্কিন সরকারের দৃষ্টিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়েছে। বাংলাদেশ প্রসঙ্গে বাক ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের নির্যাতন, নির্বাচন-প্রক্রিয়াসহ বিভিন্ন বিষয়ে অভিযোগ রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।

বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের ওয়েবসাইটে এক খবরে বলা হয়েছে, জাতিসংঘের মানবাধিকার চুক্তিগুলোর আলোকে প্রণীত বিশ্ব মানবাধিকার পরিস্থিতিবিষয়ক এ বার্ষিক প্রতিবেদনে পৃথিবীর ১৯৮টি দেশ ও অঞ্চলের স্থানীয় মানবাধিকার ও শ্রমিকদের অধিকারের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র প্রায় পাঁচ দশক ধরে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করে আসছে।

প্রতিবেদনে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের সংবিধানে সংসদীয় পদ্ধতিতে সরকার গঠনের কথা বলা হয়েছে, যেখানে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়কে সিংহভাগ ক্ষমতা দেয়া আছে। ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ জয়লাভ করে এবং টানা তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠন করে। আগের মতোই শেখ হাসিনা সরকারপ্রধান হিসেবে আরও পাঁচ বছরের জন্য ক্ষমতা পান। ব্যালট পেপারে সিল দিয়ে ব্যালট বাক্স ভরে রাখা এবং প্রতিপক্ষের পোলিং এজেন্ট ও ভোটারদের ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ নানা অনিয়মের অভিযোগের কারণে পর্যবেক্ষকদের কাছে নির্বাচনটি অবাধ ও সুষ্ঠু বলে স্বীকৃত নয়।

দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রসঙ্গে প্রতিবেদনের সারসংক্ষেপে বলা হয়েছে, পুলিশ, সীমান্তরক্ষী বাহিনী এবং র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) মতো সন্ত্রাসবিরোধী ইউনিটগুলোর সমন্বয়ে গঠিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দেশের অভ্যন্তরীণ ও সীমান্তের নিরাপত্তায় নিয়োজিত। সামরিক বাহিনীর ওপর অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার কিছু দায়িত্ব রয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনীগুলো স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং সামরিক বাহিনী প্রতিরক্ষা বাহিনীর অধীনে কাজ করে থাকে। বেসামরিক কর্তৃপক্ষগুলো নিরাপত্তা বাহিনী ওপর কার্যকর নিয়ন্ত্রণ বজায় রেখে চলে। নিরাপত্তা বাহিনীগুলোর সদস্যদের বিরুদ্ধে অসংখ্য নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে।

মার্কিন সরকারের এই প্রতিবেদন বলছে, নিরাপত্তা বাহিনীর নির্যাতন ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে কোনো ধরনের ব্যবস্থা না নেয়ার বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘন বা দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ার অভিযোগ থাকলেও সরকার এসব অভিযোগ শনাক্ত, তদন্ত, আইনের আওতায় আনা ও শাস্তির ব্যবস্থা করার ক্ষেত্রে খুব সামান্যই পদক্ষেপ নিয়ে থাকে।

বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতিতে আরও কিছু বিষয়ে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে অভিযোগ রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে। এর মধ্যে রয়েছে- বিচার-বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডসহ বেআইনিভাবে বা নির্বিচারে হত্যা; গুম; সরকার কর্তৃক নির্যাতন বা নিষ্ঠুর, অমানবিক ও অমর্যাদাকর আচরণ ও শাস্তি; প্রাণঘাতী কারা পরিস্থিতি; নির্বিচারে গ্রেপ্তার বা আটক করা; রাজনৈতিক বন্দিত্ব; অন্য দেশে অবস্থানরত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আন্তদেশীয় নির্যাতন; বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিয়ে গুরুতর সমস্যা; ব্যক্তিগত গোপনীয়তায় বেআইনি হস্তক্ষেপ; কোনো ব্যক্তির অপরাধের অভিযোগে তার পরিবারের সদস্যদের সাজা দেয়া।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে- দেশে বাকস্বাধীনতা ও মুক্ত গণমাধ্যমের ওপর গুরুতর বিধিনিষেধ রয়েছে। সাংবাদিকদের ওপর সহিংসতা বা সহিংসতার হুমকি, সাংবাদিকদের অন্যায়ভাবে গেপ্তার বা আইনের আওতায় আনা, সেন্সরশিপের মতো বিষয়গুলো রয়েছে। আরও রয়েছে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা খর্ব করার জন্য মানহানির অপরাধসংক্রান্ত আইনের প্রয়োগ বা প্রয়োগের হুমকি। ইন্টারনেট ব্যবহারের স্বাধীনতাতেও ঘাটতি রয়েছে। সরকারের বিরুদ্ধে রয়েছে গুরুতর দুর্নীতির অভিযোগ।

শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ও সংগঠনের ক্ষেত্রেও সরকারের হস্তক্ষেপ রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে। এতে বলা হয়েছে, শরণার্থীদের চলাচলের স্বাধীনতায় বিধিনিষেধ রয়েছে। রয়েছে রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশ নেয়ার ক্ষেত্রে গুরুতর ও অযৌক্তিক বাধা। স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোকেও সরকারের বিধিনিষেধ ও হয়রানির মুখে পড়তে হয়। জেন্ডারনির্ভর সহিংসতার ক্ষেত্রে তদন্তের ঘাটতি রয়েছে, রয়েছে জবাবদিহিতার অভাব। শিশুশ্রম, বাল্যবিবাহ, জোরপূর্বক বিয়ে, সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন, ভিন্ন লৈঙ্গিক পরিচয় ধারণকারীদের ওপর সহিংসতাও বাংলাদেশে নৈমিত্তিক ঘটনা।

এ ছাড়া স্বাধীন ট্রেড ইউনিয়ন এবং শ্রমিকদের স্বাধীন সংগঠন ও সম্মিলিত দর-কষাকষির সুযোগের ওপর বিধিনিষেধ রয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে। এতে বলা হয়েছে, শিশুশ্রমের সবচেয়ে বাজে ধরনটিই বাংলাদেশে বিদ্যমান।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিংকেন বলেছেন, মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণা শুরু হয়েছে ‘সর্বজনীন’ শব্দটি দিয়ে। কারণ বিশ্বের দেশগুলো সম্মিলিতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে কিছু নির্দিষ্ট অধিকার রয়েছে যা (বিশ্বের) প্রতিটি মানুষ, সর্বত্র ভোগ করার অধিকার রাখেন। যুক্তরাষ্ট্র সেসব অধিকার রক্ষায় বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার ও স্বাধীনতার জন্য সংগ্রামী মানুষের পাশে থেকে সব সময় সমর্থন করে যাবে।

বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেন, স্বতন্ত্র ব্যক্তির অধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন একটি অধিকতর নিরাপদ, স্থিতিশীল ও সমৃদ্ধশালী বিশ্ব গড়ে তুলতে সহায়তা করে। (মানুষের) মৌলিক স্বাধীনতা রক্ষা করার মধ্য দিয়ে দেশ হিসেবে আমাদের পরিচিতির মূল দিকটি ফুটে ওঠে। যুক্তরাষ্ট্র সম্মান, শ্রদ্ধা ও অংশীদারত্বের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে নিয়মিতভাবে মানবাধিকারের বিষয়গুলো বাংলাদেশ সরকারের কাছে তুলে ধরছে। আমরা এই ধারা আগামীতেও অব্যাহত রাখব।


নতুন হিট অ্যালার্ট জারি

রয়েছে বৃষ্টির সম্ভাবনাও
ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ২৬ এপ্রিল, ২০২৪ ০০:০১
নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তর নতুন করে দাবদাহের সতর্কবার্তা বা ‘হিট অ্যালার্ট’ জারি করেছে। তারা বলেছে, দেশের ওপর দিয়ে চলমান দাবদাহ গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে।

বাংলাদেশে চলতি মৌসুমে গত কয়েক দিন ধরে টানা তীব্র গরমের মধ্যে গতকাল চতুর্থ দফায় হিট অ্যালার্ট জারি করা হলো। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, এখন প্রায় ৪৫টির মতো জেলার ওপর দিয়ে এই দাবদাহ বয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন মাত্রায়। দেশের ওপর দিয়ে চলমান মৃদু থেকে তীব্র ধরনের দাবদাহ অব্যাহত থাকতে পারে এবং এ সময় জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বাড়বে।

আগামী তিন দিনে তাপমাত্রা আর খুব একটা বাড়বে না, যদিও গরমও খুব একটা কমবে না। তবে এবারের দাবদাহের পর একটু একটু করে বৃষ্টি শুরু হতে পারে বলে আশা করছে আবহাওয়া বিভাগ।

বাংলাদেশে সাধারণত কোনো স্থানের তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি হলে সেখানে সতর্কবার্তা জারি করা হয়। তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কম হলে, সেটিকে মৃদু দাবদাহ বলে থাকেন আবহাওয়াবিদরা। এ ছাড়া তাপমাত্রা ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে হলে মাঝারি এবং ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে হলে, সেটিকে তীব্র দাবদাহ বলা হয়ে থাকে। আর তাপমাত্রা যদি ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে উঠে যায়, তখন তাকে বলা হয় অতি তীব্র দাবদাহ।

বাংলাদেশে এবার যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও পাবনাসহ দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের কিছু জেলার ওপর দিয়ে গত কিছুদিন ধরে অতি তীব্র দাবদাহ বয়ে যেতে দেখা যাচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সবচেয়ে বেশী তাপমাত্রায় রেকর্ড হয়েছে মোংলায়, ৪১ দশমিক ছয় ডিগ্রি সেলসিয়াস।

বাংলাদেশে এর আগে, ২০২৩ সালকে বাংলাদেশের উষ্ণতম বছর হিসেবে বর্ণনা করেছিলেন আবহাওয়াবিদরা। ওই বছর একটানা তিন সপ্তাহ পর্যন্ত দাবদাহ চলার রেকর্ড হয়েছিল। ফলে এ নিয়ে পরপর দুই বছর প্রায় একই ধরণের দাবদাহের ভেতর দিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।

বৃষ্টি কবে হবে

আবহাওয়াবিদ বজলুর রশীদ বলেন, নতুন করে তিন দিনের হিল অ্যালার্ট জারি হলেও আবহাওয়া বিভাগ আশা করছে চলতি সপ্তাহের শেষ থেকেই উত্তর পূর্বাঞ্চলে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়তে পারে। ২৯ তারিখের দিক থেকেই সিলেট ও চট্টগ্রাম অঞ্চলে বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। তবে এখন পর্যন্ত যা দেখা যাচ্ছে তাতে আগামী মাসের শুরুতে মোটামুটি ভালোই বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে।

তিনি বলেন, যদিও চলতি সপ্তাহের শেষ থেকে বৃষ্টি হলেও তাতে তাপমাত্রা কতটা কমে তা নিয়ে সংশয় আছে। কারণ সাধারণত পূর্বাঞ্চল থেকে বৃষ্টি শুরু হলে তা খুব একটা গরম কমায় না।

বজলুর রশীদ বলেন, বৃষ্টিপাত পশ্চিমাঞ্চল থেকে শুরু হলে সেটি দ্রুত আবহাওয়া ঠাণ্ডা করতে শুরু করে কিন্তু এবার বৃষ্টিপাত শুরু হতে পারে সিলেট ও চট্টগ্রাম অঞ্চল দিয়ে। ফলে দ্রুতই গরম খুব একটা কমবে না। তবে তাপমাত্রা আর বাড়বে না এটি বলা যায়।

সতর্কতা

হিট অ্যালার্টের দ্বিতীয় দিনে অর্থাৎ আজ শুক্রবার এবং তৃতীয় দিনে আগামীকাল শনিবারও সিলেট বিভাগের কিছু জায়গায় বৃষ্টি, ঝড়ো বৃষ্টি কিংবা শিলা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে গতকাল থেকে প্রথম দুদিনে সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রাও অপরিবর্তিত থাকার সম্ভাবনা থাকলেও তৃতীয় দিনে গিয়ে সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। তবে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে।

তিন দিনেই জলীয় বাষ্পের কারণে অস্বস্তিভাব থেকেই যাবে অর্থাৎ গরম খুব একটা কমবে না। তবে এ তিন দিনের দাবদাহের পরেই দেশের উত্তর পূর্বাঞ্চলে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে যা আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহ নাগাদ আরও বাড়বে বলে আশা করছেন আবহাওয়াবিদরা।


‘যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতা ও সম্পৃক্ততা বাড়াতে চায়’

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

যুক্তরাষ্ট্র চায় বাংলাদেশ এ অঞ্চলে ‘দায়িত্বশীলতার সঙ্গে’ ‘নেট সিকিউরিটি প্রোভাইডার’ হয়ে উঠুক এবং বাংলাদেশ তার ক্রমবর্ধমান সক্ষমতা দিয়ে প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও অন্যান্য ইস্যুতে ইতিবাচকভাবে সাড়া দিতে সক্ষম হোক।

ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের আইপিএস এক্সপার্ট ম্যাক্সওয়েল মার্টিন বলেন, ‘কয়েক বছরে বাংলাদেশ অনেক উন্নতি করেছে এবং সেই প্রচেষ্টার অংশ হতে পেরে আমরা গর্বিত। আমরা আশা করব, বাংলাদেশ সরকার ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজি (আইপিএস)কে বাংলাদেশের নিরাপত্তা উদ্বেগ সমাধানে সহায়তা করতে আমাদের এবং আমাদের অংশীদারদের সঙ্গে সহযোগিতা করার একটি সুযোগ হিসেবে দেখবে।’

আজ বৃহস্পতিবার মার্কিন দূতাবাসে ‘ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজি (আইপিএস) এবং বাংলাদেশের জন্য এর প্রভাব’ বিষয়ে সাংবাদিকদের জানানোর সময় তিনি এসব কথা বলেন।

মার্কিন এই বিশেষজ্ঞ বলেন, একটি মুক্ত ও উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক এগিয়ে নিতে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সহযোগিতা তাদের বিস্তৃত দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের একটি দিক মাত্র।

মার্টিন বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সম্পর্ক আমাদের দুই দেশের অভিন্ন ইতিহাস, মূল্যবোধ ও ভবিষ্যতের সম্ভাবনার দ্বারা চালিত। এটি ভারত, চীন, রাশিয়া বা তৃতীয় কোনো দেশ দ্বারা সংজ্ঞায়িত করা হয় না।’

তিনি বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের সহযোগিতা ও সম্পৃক্ততা বাড়াতে চাই। আমরা সব সময় বলে আসছি, বাংলাদেশ সরকার যত দ্রুত এগোচ্ছে আমরা তত দ্রুত অগ্রসর হতে প্রস্তুত এবং এই আলোচনা অব্যাহত রাখব।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তারা দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চল এবং সাধারণভাবে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের দেশগুলোর সঙ্গে তাদের সম্পর্ককে দ্বিপক্ষীয় ভিত্তিতে দেখেন।

আইপিএস বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘আমরা অন্য দেশের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ককে অন্য দেশের দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে দেখি না। গণমাধ্যম ও কিছু লোকজনের মন্তব্যের মাধ্যমে বাংলাদেশে আমরা মাঝে মাঝে শুনি, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে ভারতের দৃষ্টিভঙ্গির আলোকে দেখে। আমি মনে করি এটি সত্য নয়।’

তিনি বলেন, তারা বাংলাদেশের সঙ্গে তাদের সম্পর্ককে অভিন্ন স্বার্থ ও দ্বিপক্ষীয় অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে দেখেন।

মার্টিন বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে বর্ধিত ও নবায়নযোগ্য সম্পৃক্ততা অবশ্যই ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশলের অংশ।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র একটি অবাধ ও উন্মুক্ত অঞ্চল নিশ্চিত করতে, সমৃদ্ধ করতে, সংযোগ তৈরি ও আগাম নির্ভরতা বাড়ানোসহ নিরাপত্তা জোরদার করতে চায়।

আইপিএস বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘আমরা এসব বিষয় ঠিক করে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে জড়িত থাকব এবং পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে অংশীদারত্বের সুস্পষ্ট সুযোগ তৈরি করব।’

তিনি বলেন, ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল একটি ‘ইতিবাচক ও প্রগতিশীল দৃষ্টিভঙ্গি। এটি পাঁচটি সমান গুরুত্বপূর্ণ এবং আন্তঃসংযুক্ত স্তম্ভ নিয়ে গঠিত।’

একটি অবাধ ও উন্মুক্ত ইন্দো প্যাসিফিকের প্রচারের জন্য নাগরিক সমাজ, বেসরকারি খাত এবং বিশেষজ্ঞদের ভূমিকা সম্পর্কে তিনি বলেন, তারা এসব সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে দেখছেন।

মার্টিন বলেন, আইপিএস চীনকে মোকাবিলা করার লক্ষ্যে নয়, এটি কেবল একটি দৃষ্টিভঙ্গি। সেই দৃষ্টিভঙ্গির আলোকে এই অঞ্চল কেমন হওয়া উচিত এবং অঞ্চলটি কীভাবে অবাধ ও উন্মুক্ত, সমৃদ্ধ, নিরাপদ, সংযুক্ত এবং সহনশীল হওয়া উচিত এবং কীভাবে এটি ইন্দো প্যাসিফিক অঞ্চলের জনগণ ও দেশগুলোকে উপকৃত করতে পারে তারা সেটি উপলব্ধি করে।

তিনি বলেন, ‘অবশ্যই আমাদের চীনবিষয়ক নীতি আছে। এটি ইন্দো প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজি থেকে পৃথক এবং বিনিয়োগ, সারিবদ্ধকরণ ও প্রতিযোগিতার সঙ্গে সম্পর্কিত। চীন এই অঞ্চলে একটি প্রধান নেতৃত্বদানকারী দেশ।’

আইপিএস বিশেষজ্ঞ বলেন, তারা মানুষকে ইন্দো প্যাসিফিক কৌশল কী- তা বোঝাতে চান, কারণ কখনো কখনো এটি সম্পর্কে বিভ্রান্তি দেখা দেয়।


প্রতি শ্রেণিতে ৫৫ শিক্ষার্থীর বেশি ভর্তি উচিত নয়: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়নে প্রতি শ্রেণিতে ৫৫ জন শিক্ষার্থীর বেশি ভর্তি করা উচিত নয় বলে জানিয়েছেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বেগম শামসুন নাহার চাঁপা।

আজ বৃহস্পতিবার সাভারের ব্রাক সিডিএমে শিক্ষা মন্ত্রণালয়, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর, মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর ও এসইডিপির কর্মকর্তাদের নিয়ে ‘নতুন শিক্ষাক্রম বিস্তরণ, মনিটরিং ও মেন্টরিং’ বিষয়ক দুই দিনব্যাপী কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদানকালে তিনি এ কথা বলেন।

শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘নতুন শিক্ষাক্রম নানাবিধ চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়েই বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষকের স্বল্পতা রয়েছে। শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাতও হয়ত কাঙ্ক্ষিত মানে নেই। এনটিআরসিএ শিক্ষক স্বল্পতার বিষয়টি নিরসনের লক্ষ্যে কাজ করছে। তাই নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়নে প্রতি শ্রেণিতে ৫৫ জন শিক্ষার্থীর বেশি ভর্তি করা উচিত নয়। সে বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’

‘এখন সময় এসেছে নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়নের লক্ষ্যে একযোগে কাজ করার। শিক্ষার রূপান্তরের সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষা প্রশাসনের দায়িত্ব ও কর্তব্যেরও রূপান্তর জরুরি। এই কর্মশালা কর্মকর্তাদের স্ব-স্ব দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে সচেতন করতে সহযোগিতা করবে। শিক্ষার উন্নয়নে বাজেট বা অর্থ-সংস্থান কোনো বড় বাধা নয়। শিক্ষায় পূর্বের তুলনায় বরাদ্দ ব্যাপকভাবে বাড়ানো হয়েছে; আগামীতে আরও বাড়বে’- যোগ কলে বলেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী।

শামসুন নাহার চাঁপা আরও বলেন, ‘নতুন কারিকুলাম প্রনয়ণ ও বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট যারা আছেন, তাদের অনুরোধ করব... মূল্যায়ন নিয়ে জনমনে যে-প্রশ্ন রয়েছে, শিক্ষার্থীর উচ্চশিক্ষা নিয়ে অভিভাবকদের মনে যে উদ্বেগ রযেছে, আমাদের সবাইকে এই নতুন ভাবনার সম্পৃক্ত করা প্রয়োজন। এগুলো দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিরসন করা জরুরি।’

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (রুটিন দায়িত্ব) প্রফেসর মো. শাহেদুল খবির চৌধুরী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন নতুন কারিকুলাম বিস্তরণ, মনিটরিং ও মেন্টরিং স্কিম এর স্কিম পরিচালক অধ্যাপক মাহফুজ আলী। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাধ্যমিক উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) এবং এসইডিপির ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর মোহাম্মদ খালেদ রহীম, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. ফরহাদুল ইসলামসহ আরও অনেকে।


আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে বাংলাদেশের দাবদাহের খবর

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

বাংলাদেশে চলমান তীব্র দাবদাহের খবর উঠে এসেছে শীর্ষস্থানীয় বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে। প্রচণ্ড গরমে দেশের মানুষের দুর্ভোগ নিয়ে প্রতিবেদন করেছে দ্য নিউইয়র্ক টাইমস, বিবিসি, এএফপি ও টাইমস অব ইন্ডিয়া। বাংলাদেশের তাপপ্রবাহের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তুলে ধরেছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থাও।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো বলছে, বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। কোনো কোনো এলাকার তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়েছে। এতে শিশুসহ সাধারণ মানুষ চরম ভোগান্তিতে রয়েছেন। স্কুল-কলেজ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বৃষ্টির জন্য দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রার্থনার আয়োজন করা হয়েছে।

বাংলাদেশের দাবদাহ নিয়ে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম বিবিসির শিরোনাম, ‘প্রচণ্ড তাপে ৩ কোটি ৩০ লাখ শিশুর স্কুল বন্ধ’। তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের কয়েকটি এলাকার তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়েছে। স্কুল-কলেজগুলো ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। চলমান তাপপ্রবাহের মধ্যে স্কুল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফিলিপাইন ও ভারতও।

বিবিসি বলছে, জলবায়ু সংকটের কারণে বিশ্বে সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোর একটি বাংলাদেশ। জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন-সংক্রান্ত আন্তঃসরকার প্যানেলের (আইপিসিসি) দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা ৩০ থেকে ৪৫ সেন্টিমিটার বাড়লে বাংলাদেশের উপকূলীয় জেলাগুলোর ৩ কোটি ৫০ লাখের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হতে পারে।

দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দাবদাহ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য নিউইয়র্ক টাইমস। ‘অস্বস্তি বাড়তে পারে: এশিয়ার তাপপ্রবাহে পুড়ছে কোটি কোটি মানুষ’ শিরোনামে প্রতিবেদনে সংবাদমাধ্যম বলেছে, এপ্রিল মাসে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আবহাওয়া সাধারণত গরম থাকে। তবে এ বছর তাপমাত্রা অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পেয়েছে।

দাবদাহের ভয়াবহতা তুলে ধরতে নিউইয়র্ক টাইমসে এক রিকশাচালকের বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে। নূর-এ-আলম নামের ওই ব্যক্তি ঢাকার মগবাজার এলাকায় রিকশা চালান। আগে ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা রিকশা চালাতেন। গরমের কারণে এখন পাঁচ থেকে সাত ঘণ্টা চালান। গত সোমবার তার আশা ছিল, ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা আয় করতে পারবেন। আগে দিনে এর দ্বিগুণ আয় হতো। নূর-এ-আলম বলেন, ‘আগে কখনো এত গরম দেখিনি। প্রতিবছরই গরম বাড়ে। তবে এ বছর চরম আকার ধারণ করেছে।’

গরমের মধ্যে বাংলাদেশের মানুষের বৃষ্টির জন্য প্রার্থনার খবর তুলে ধরা হয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে। এএফপি বলছে, গরম থেকে মুক্তি পেতে শহরের মসজিদ ও গ্রামের মাঠে প্রার্থনা করেছেন মুসলমানরা। মুহাম্মদ আবু ইউসুফ নামে ঢাকার একজন ইমাম বলেন, ‘বৃষ্টির অভাবে জীবন অসহনীয় হয়ে উঠেছে। গরিব মানুষেরা খুব দুর্দশার মধ্যে রয়েছে।’

এএফপির এই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া।


উপজেলা নির্বাচন ব্যর্থ হলে গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা ক্ষুণ্ন হতে পারে: সিইসি

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

যেকোনো মূল্যে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সুষ্ঠু করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেছেন, এ ক্ষেত্রে ব্যর্থ হলে গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা ক্ষুণ্ন হয়ে যেতে পারে।

উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের অডিটোরিয়ামে সব জেলা প্রশাসক, পুলিশ, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শুরুর আগে তিনি এসব কথা বলেন।

সিইসি বলেন, ‘আমাদের উপজেলা পরিষদের নির্বাচন শুরু হতে যাচ্ছে। এবার প্রতিটি জেলায় চারটি ধাপে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এটা নতুন মাত্রা হলো জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার সমন্বিতভাবে আইন-শৃঙ্খলার বিষয়টি দেখতে পারবেন। মোতায়েন সহজ হবে, যেহেতু চারটি পর্বে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’

তিনি বলেন, ‘আবেগ-অনুভূতির কারণে দেশে নির্বাচনে অনেক সময় কিছুটা উচ্ছৃঙ্খলতা হয়ে থাকতে পারে, সহিংসতাও হতে পরে। এগুলো যেন না হয়, সেই দিকটাও আমাদের দেখতে হবে। নির্বাচনটা যাতে অবাধ হয়। যারা ভোটার, তারা যেন এসে নির্বিঘ্নে ভোট প্রদান করে আবার নির্বিঘ্নে বাড়ি ফিরে যেতে পারেন।’

নির্বাচনটা নির্বাচন—এই জিনিসটা আমাদের বুঝতে হবে মন্তব্য করে সিইসি বলেন, ‘যদি এ ক্ষেত্রে আমরা ব্যর্থ হই, তাহলে আমাদের গণতন্ত্রের যে অগ্রযাত্রা, যেটার দৃষ্টান্ত আপনারা প্রতিষ্ঠিত করেছেন ৭ জানুয়ারির সাধারণ নির্বাচনে; সেটাও ক্ষুণ্ন হয়ে যেতে পারে। আমরা আশা করব, আগামীতে আমাদের প্রত্যেকটা নির্বাচন সুন্দর-সুষ্ঠু হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আরও অন্যান্য নির্বাচন ইউনিয়ন পর্যায়ে, সেগুলো যেন সুন্দর-সুষ্ঠুভাবে হয় এবং আমরা যেন এই জিনিসটা প্রতিষ্ঠিত করতে পারি যে, বাংলাদেশে গণতন্ত্র আছে, আমাদের নির্বাচন নির্বাচনের মতোই হয়ে থাকে। ভোটাররা ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন।’
আচরণবিধি মানতে মন্ত্রী-এমপিদের অনুরোধ

বৈঠক শেষে ইসি সচিব জাহাংগীর আলম বলেন, উপজেলা নির্বাচনকে সামনে রেখে মাঠ প্রশাসনে সমন্বয়ের মাধ্যমে সুষ্ঠু সুন্দর নির্বাচন উপহার যাতে দেওয়া যায়, সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। সেই সঙ্গে আচরণবিধি অনুসরণে মন্ত্রী-এমপিসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে।

তিনি বলেন, সবার আলোচনার বিষয় ছিল সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য মাঠ পর্যায়ে কী ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে, আর কী ধরনের সহায়তা দরকার সেটা- প্রত্যেকেই তাদের নিজ নিজ জেলায় কী সমস্যা আছে, তা বলেছে।

মন্ত্রী-এমপিরা প্রভাব খাটাচ্ছে কি না, সে বিষয়ে ইসি নজর রাখবে বলে জানান ইসি সচিব জাহাংগীর। তিনি বলেন, আচরণবিধি যাতে সবাই যথাযথভাবে প্রতিপালন করে, সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তারা অনুরোধ করেছে। কমিশনও সেটা আশ্বস্ত করেছে- সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলবেন।

ইসি সচিব জানান, প্রতি ইউনিয়নে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, প্রতি উপজেলায় দুই থেকে চার প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন থাকবে। এ ছাড়া প্রয়োজেনে অতিরিক্ত জনবল দেওয়া হবে। জেলা কোর কমিটির চাহিদা থাকলে অতিরিক্ত ফোর্স দেওয়া হবে। সাধারণ কেন্দ্রে চারজন পুলিশ সদস্য, অতি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে পাঁচজন সদস্য থাকবে। পার্বত্য জেলার নির্বাচনে সতর্কতার জন্য অধিক সতর্কতা অবলম্বের জন্য বলা হয়েছে।

সচিব জানান, পুলিশ সুপার ও জেলা প্রশাসকদের পরামর্শ অনুযায়ী ভোটের দিন সকালে ব্যালট গেলে যে অতিরিক্ত বাজেটের প্রয়োজন হবে, কমিশন তা বিবেচনা করবে বলে বৈঠকে আশ্বস্ত করেছে।

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে দেড়শ উপজেলায় ভোট হবে আগামী ৮ মে। তবে প্রথম ধাপে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় শেষে ভোটের আগেই চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন ২৬ জন। নির্বাচনে তিন পদে এখন ভোটের মাঠে আছেন ১ হাজার ৬৯৩ জন প্রার্থী।

দ্বিতীয় ধাপে ২১ মে, তৃতীয় ধাপে ২৯ মে এবং চতুর্থ ধাপে ৫ জুন ভোটগ্রহণ হবে। সব মিলিয়ে অন্তত ৪৮৫ উপজেলার ভোট হবে চার ধাপে।
সবশেষ ২০১৯ সালে চার ধাপের উপজেলা ভোটে প্রায় পাঁচশ উপজেলার মধ্যে ৪৬৫ উপজেলায় ভোট হয়। সেসময় তিনটি পদে সব মিলিয়ে ২২৩ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। তাদের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ১১২ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫২ জন এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫৯ জন নির্বাচিত হন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়।


পুরান ঢাকার কেমিক্যাল কারখানাগুলো দ্রুত সরানোর সুপারিশ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক


নিজস্ব প্রতিবেদক

পুরান ঢাকার কেমিক্যাল কারখানাগুলো দ্রুত অন্য জায়গায় সরাতে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করেছে সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদের শিল্প মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়েছে। কমিটির সভাপতি আমির হোসেন আমুর সভাপতিত্বে সংসদ ভবনে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ দপ্তরগুলোর সার্বিক কার্যক্রম ও চলমান বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের অগ্রগতি এবং সাভার চামড়া শিল্প পার্কের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কেও আলোচনা করা হয়। এতে পুরান ঢাকার কেমিক্যাল কারখানাগুলো দ্রুত অন্যত্র সরানোর কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কমিটি মন্ত্রণালয়কে সুপারিশও করেছে।

বৈঠকে যমুনা সার কারখানা এবং ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া সার কারখানা চালু রাখার যথাযথ ব্যবস্থা নিতে কমিটি মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করে। এ ছাড়া শিল্প মন্ত্রণালয়ের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে পরবর্তী সভায় কমিটির কাছে উপস্থাপন করার সুপারিশ করা হয়।

বৈঠকে অংশ নিয়েছেন কমিটির সদস্য শিল্প মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, মির্জা আজম, শামীম ওসমান, মো. আব্দুল ওদুদ, আবদুল লতিফ সিদ্দিকী, মোহাম্মদ মোহিত উর রহমান, এ বি এম আনিছুজ্জামান এবং শেখ আনার কলি পুতুল।


মানবাধিকার নিয়ে বাংলাদেশের অর্জন স্বীকার করেনি যুক্তরাষ্ট্র

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য উন্নতি হলেও যুক্তরাষ্ট্রের মানবাবিধকার প্রতিবেদনে তা স্বীকার করা হয়নি বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহলী সাবরীন। তিনি বলেন, সেটা না করে দেশটির প্রতিবেদনে অনেক বিচ্ছিন্ন এবং ভিত্তিহীন অভিযোগ আনা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের বার্ষিক মানবাধিকার প্রতিবেদন নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিমত তুলে ধরেন।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ‘২০২৩ সালের যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন নোট করেছে বাংলাদেশ। আমরা যতই আকাঙ্ক্ষা করি না কেন বিশ্বের কোথাও মানবাধিকার পরিস্থিতি নিখুঁত নয়। কারণ, একটি দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থা বিবেচনায় বিভিন্ন ধরনের সীমাবদ্ধতা থাকে।’

সেহেলী সাবরীন বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকার তার নাগরিকদের মানবাধিকার সমুন্নত রাখার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে, তবে যেসব ক্ষেত্রগুলোয় আরও উন্নতির প্রয়োজন রয়েছে সেগুলোর প্রতি লক্ষ্য রেখে বর্তমান সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতা আসার পর থেকে কাজ করে যাচ্ছে।’

মুখপাত্র বলেন, সরকারের প্রচেষ্টার ফলে নারীর ক্ষমতায়ন, লিঙ্গ সমতা, শিশুদের অধিকার, বয়স্ক ব্যক্তিদের অধিকার, শ্রমিকদের অধিকার, অভিযোগ নিষ্পত্তি, ন্যায়বিচারে প্রবেশাধিকার, ধর্মীয় স্বাধীনতা, বাক স্বাধীনতা এবং রাজনৈতিক সমাবেশ করার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে। সরকারের এত অর্জন সত্ত্বেত্ত দুঃখের বিষয় মার্কিন প্রতিবেদনে সরকারের অনেক উন্নতি ও অর্জন স্বীকার করা হয়নি। এ ছাড়া কিছু বিচ্ছিন্ন এবং ভিত্তিহীন অভিযোগ তোলা হয়েছে। প্রতিবেদনে স্পষ্ট যে, এটি পৃথক রিপোর্ট করা বা অভিযুক্ত ঘটনার রেফারেন্স দিয়ে পরিপূর্ণ নয়।

তিনি আরও বলেন, এটাও স্পষ্ট, প্রতিবেদনে বেশিরভাগ স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক বেসরকারি বেনামি সংস্থা থেকে অনুমান নির্ভর তথ্য নিয়ে অভিযোগ তোলা হয়েছে। সে কারণে প্রতিবেদনে সহজাত এবং পক্ষপাতদুষ্ট বিষয়গুলো স্পষ্ট হয়েছে।

মার্কিন প্রতিবেদনে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার প্রসঙ্গ রয়েছে। এ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, খালেদা জিয়া গৃহবন্দি নন।

মুখপাত্র বলেন, প্রতিবেদনে কিছু ক্ষেত্রে অতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগের জন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে অভিযোগ করা হয়েছে। তবে এটি সঠিক নয়। কারণ, বিএনপি এবং এর রাজনৈতিক মিত্রদের দ্বারা সংঘটিত সহিংসতা ও ভাঙচুরকে প্রতিফলিত করতে ব্যর্থ হয়েছে, যা প্রায়শই সাধারণ মানুষের জীবনকে ব্যাহত করে এবং সরকারি ও ব্যক্তিগত সম্পত্তির ক্ষতি করে। এত কিছুর পরও বাংলাদেশের আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো অত্যন্ত সংযম প্রদর্শন করেছে এবং আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পূর্ণ পেশাদারিত্বের সঙ্গে মোকাবিলা করেছে।

সেহেলী সাবরীন বলেন, এটা দুর্ভাগ্যজনক, মানবাধিকার এবং শ্রম অধিকার সংক্রান্ত বিষয়ে মার্কিন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একাধিক সংলাপ থাকা সত্ত্বেও প্রতিবেদনে এই বিষয়ে রাষ্ট্র/সরকারের দৃষ্টিভঙ্গিকে ছাড়িয়ে বারবার অভিযোগ তোলা হচ্ছে। অনুরূপ শ্রম অধিকার সংক্রান্ত বিষয়গুলো বিশেষ করে ট্রেড ইউনিয়ন নিবন্ধন এবং ক্রিয়াকলাপের বিষয়ে প্রতিবেদনে বেশ কয়েকটি কেস পতাকাঙ্কিত করা হয়েছে, যেগুলো একাধিক দ্বিপাক্ষিক বা বহুপাক্ষিক প্ল্যাটফর্মে প্রাসঙ্গিক মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে।

প্রতিবেদনটি স্বাধীন বিচার বিভাগ এবং কিছু সংবিধিবদ্ধ সংস্থাসহ বেশ কয়েকটি মূল্যবান রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের প্রশংসা করতে ব্যর্থ হয়। বাংলাদেশ সরকার সামগ্রিক প্রতিবেদনটি নোট করেছে এবং জাতিসংঘের মানবাধিকার ব্যবস্থা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক অংশীদার এবং স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে সকল নাগরিকের মানবাধিকারের সম্পূর্ণ উপভোগ নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি বজায় রাখার জন্য যেকোনো পরিস্থিতিতে সম্পৃক্ত থাকার জন্য উন্মুখ।

সেহেলী সাবরীন আরও বলেন, ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের বাহিনী দ্বারা মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। বাংলাদেশ আশা করে, সেখানে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে যথাযথ ভূমিকা পালন করবে।


শপথ নিলেন আপিল বিভাগের নতুন তিন বিচারপতি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক


নিজস্ব প্রতিবেদক

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে নতুন তিন বিচারপতির শপথ নিয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান আপিল বিভাগে বিচারক হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত তিন বিচারপতিকে শপথ পাঠ করান।

সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. গোলাম রব্বানী পরিচালনায় শপথ অনুষ্ঠানে সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতিগণ, শপথ পাঠকারী তিন বিচারপতির পরিবারের সদস্যবৃন্দ, অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, সম্পাদক শাহ মঞ্জুরুল হক এবং সুপ্রিম কোর্ট রেজিস্ট্রিার কার্যালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

গত বুধবার রাষ্ট্রপতি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৯৫(১)-এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সুপ্রিম কোর্ট, হাইকোর্ট বিভাগের তিন বিচারক- বিচারপতি মুহাম্মদ আবদুল হাফিজ, বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলাম ও বিচারপতি কাশেফা হোসেনকে আপিল বিভাগের বিচারক হিসেবে নিয়োগ দেন।


সোনার দাম আবারও কমেছে

প্রতীকী ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

এক দিনের ব‌্যবধা‌নে সোনার দাম আবারও কমেছে। ভালো মানের সোনার দাম ভরিতে ৬৩০ টাকা কমানো হয়েছে। ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম করা হয়েছে এক লাখ ১৩ হাজার ৫৬১ টাকা। আগে যার দাম ছিলো এক লাখ ১৪ হাজার ১৯১ টাকা।

আজ বৃহস্প‌তিবার বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এর আগে, গত ৬, ৮ ও ১৮ এপ্রিল সোনার দা‌ম বা‌ড়ি‌য়ে‌ছিল বাজুস। এর ম‌ধ্যে ৬ এপ্রিল বে‌ড়ে‌ছিল ১৭৫০ টাকা, ৮ এপ্রিল ১৭৫০ টাকা ও ১৮ এপ্রিল বে‌ড়ে‌ছিল দুই হাজার ৬৫ টাকা। পরে ২০ এপ্রিল ৮৪০ টাকা কমানোর একদিন পর ২১ এপ্রিল আবার ভরিতে ৬৩০ টাকা বাড়ায় বাজুস।

এর দুই দিন পর ২৩ এপ্রিল তিন হাজার ১৩৮ টাকা, ২৪ এপ্রিল ২০৯৯ টাকা ও ২৫ এপ্রিল ভালো মানের সোনা ভরিতে ৬৩০ টাকা কমানোরর ঘোষণা দিল বাজুস। অর্থাৎ তিন দিনে ভ‌রি‌তে সোনার দাম ক‌মেছে পাঁচ হাজার ৮৬৮ টাকা।

সোনা ব্যবসায়ীদের সংগঠনটি জানায়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার দাম কমেছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। আজ বিকেল ৩টা ৫০ মি‌নিট থেকে সোনর নতুন দাম কার্যকর করা হয়েছে।

সোনার দামে কেন এত উত্থান-পতন জানতে চাইলে বাজুসের মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান বলেন, ‘আমরা এখন নতুন পদ্ধতি বা পলিসি অনুসরণ করে গোল্ডের দাম নির্ধারণ করি। আর সেটি হচ্ছে- বিশ্ব স্বীকৃত ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিল পলিসি। এতদিন আমরা আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় করে গোল্ডের দাম নির্ধারণ করতাম। সেক্ষেত্রে বিশ্ববাজারে যখন সোনার দাম কমত, তখন আমরা কমাতাম। আর যখন বাড়ত, তখন বাড়াতাম।’

তিরি আরও বলেন, ‘এখন আমরা আমাদের সোনার সবচেয়ে বড় বাজার তাঁতীবাজারের বুলিয়ান মার্কেট ফলো করে দর নির্ধারণ করি। এই বাজারে সোনার দাম ঘন্টায় ঘণ্টায় ওঠানামা করে। সেটা অনুসরণ করে আমরা নতুন দর নির্ধারণ করি। সেক্ষেত্রে এমনও হতে পারে- দিনে দুই বারও গোল্ডের দাম বাড়ানো-কমানো হতে পারে।’


যুদ্ধকে ‘না’ বলুন: ইউএনএসকাপ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী

বৃহস্পতিবার ব্যাংককে এসকাপ হলে (৩য় তলা) জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএনএসকাপ) ৮০তম অধিবেশনে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব ধরণের আগ্রাসন ও নৃশংসতার বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে এবং যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান জানিয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে জাতিসংঘ সম্মেলন কেন্দ্রের এসকাপ হলে (৩য় তলা) জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএনএসকাপ) ৮০তম অধিবেশনে প্রদত্ত ভাষণে তিনি এ আহ্বান জানান।

জাতিসংঘ মহাসচিবের ‘শান্তির জন্য নতুন এজেন্ডা’ সমর্থন করে বাংলাদেশ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই সব ধরনের আগ্রাসন ও নৃশংসতার বিরুদ্ধে কথা বলতে হবে এবং যুদ্ধকে ‘না’ বলতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘টেকসই উন্নয়নের পূর্বশর্ত হচ্ছে দীর্ঘস্থায়ী শান্তি ও নিরাপত্তা। আমাদের অবশ্যই সংলাপের মাধ্যমে আঞ্চলিক বিরোধ ও উত্তেজনা নিরসন করতে হবে। জাতীয় সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতার প্রতি আমাদের পারস্পরিক শ্রদ্ধা অবশ্যই সর্বাগ্রে থাকতে হবে।’

রোহিঙ্গা সংকট অবসানে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল বিশেষ করে আসিয়ানকে তাদের প্রচেষ্টা দ্বিগুণ করার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যা ছাড়া আঞ্চলিক যোগাযোগ, সংহতকরণ ও সমৃদ্ধির সব প্রচেষ্টা একটি অনুপস্থিত ধাঁধা দ্বারা চিহ্নিত করা অব্যাহত থাকবে।’

তিনি উল্লেখ করেন, তাদের সংকটের উৎপত্তিস্থল মিয়ানমারে এবং এর সমাধানও মিয়ানমারে রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ‘যতক্ষণ পর্যন্ত এই সমাধান নাগালের বাইরে থাকবে, ততক্ষণ আঞ্চলিক সংযোগ, সংহতি ও সমৃদ্ধির জন্য আমাদের সব প্রচেষ্টা একটি অনুপস্থিত ধাঁধা দ্বারা চিহ্নিত হতে থাকবে। আসুন আমরা সেই ধাঁধাটিকে আবার জায়গায় ফিরিয়ে আনার জন্য আমাদের প্রচেষ্টা দ্বিগুণ করি।’


২৮৮ সেনা ও বিজিপি সদস্যদের ফেরত নিলো মিয়ানমার

ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ২৫ এপ্রিল, ২০২৪ ১০:৪৩
কক্সবাজার প্রতিনিধি

পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের সেনা ও সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ২৮৮ জন সদস্যকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৭টার দিকে কক্সবাজার শহরের নুনিয়াছড়া বিআইডব্লিটিএ জেটি ঘাট থেকে কঠর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে তাদের টাগবোটে তুলে দেওয়া হয়।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইয়ামিন হোসেন জানান, গভীর সাগরে নিয়ে যাওয়ার পর সেখানে অপেক্ষায় থাকা মিয়ানমার নৌবাহিনীর জাহাজ চিন ডুইনে তাদের তুলে দেওয়া হয়।

বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া সেনা ও সীমান্তরক্ষীদের ফেরত নিতে মিয়ানমারের ওই জাহাজ বুধবারই বাংলাদেশের জলসীমায় পৌঁছায়। ওই জাহাজে করেই ১৭৩ জন বাংলাদেশি ফিরে এসেছিল যারা বিভিন্নভাবে মিয়ানমারে আটকা পড়েছিলেন বা সাজা পেয়ে জেলখানায় ছিলেন।

মিয়ানমার নৌবাহিনীর ওই জাহাজে করে দেশটির ৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলও বুধবার দুপুরে কক্সবাজার পৌঁছায়। পরে তারা বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি ১১ ব্যাটালিয়নে বিজিবি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যান। সেখানে পৌঁছানোর পর তারা মিয়ানমারের বিজিপি ও সেনা সদস্যদের যাচাই-বাছাইসহ অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা সারেন।

বিজিবি ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে ১১টি বাসে করে মিয়ানমারের বিজিপি ও সেনা সদস্যদের কক্সবাজার শহরের বিআইডব্লিউটিএ জেটি ঘাটে নিয়ে আসা হয়। সেখানে আনার পর ইমিগ্রেশন ও ডকুমেন্টেশনের আনুষ্ঠানিকতা সেরে শুরু হয় হস্তান্তর প্রক্রিয়া। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বিজিবি, জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ও কোস্ট গার্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বাংলাদেশ-মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতের উপস্থিতিতে দেশটির প্রতিনিধি দলের কাছে তাদের হস্তান্তর করা হয়।

এরপর সকাল ৭টার দিকে মিয়ানমারের সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের কর্ণফুলি টাগবোটে তুলে দেওয়া হয়। কোস্ট গার্ডের একটি ট্রলার টাগবোটটিকে পাহারা দিয়ে গভীর সাগরে নিয়ে যায়।

দীর্ঘদিন ধরে মিয়ানমারে সেনাবাহিনী ও বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে সংঘর্ষ চলছে যার আঁচ লেগেছে বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকাতেও। সীমান্তের ওপারের মর্টার শেল ও গুলি এসে এপারে হতাহতের ঘটনাও ঘটেছে।

ওই সংঘাতের মধ্যে পালিয়ে আসা মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী ও সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যসহ ৩৩০ জনকে প্রথম দফায় গত ১৬ ফেব্রুয়ারি ফেরত পাঠিয়েছিল সরকার।তাদের মধ্যে মিয়ানমারের বিজিপি ৩০২ জন, তাদের পরিবারের চার সদস্য, দুজন সেনা সদস্য, ১৮ জন ইমিগ্রেশন সদস্য এবং চারজন বেসামরিক নাগরিক ছিলেন।

এরপর বান্দরবান ও কক্সবাজার সীমান্ত নিয়ে কয়েক দফায় আরও ২৮৮ জন সীমান্তরক্ষী ও সেনা সদস্য এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন। এবার তাদের ফেরত পাঠানো হল।


হিট অ্যালার্ট আরও ৩ দিন

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ২৫ এপ্রিল, ২০২৪ ০০:০৬
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

দেশে চলমান তীব্র দাবদাহ আরও কয়েক দিন থাকার ইঙ্গিত দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। তাই ‘হিট অ্যালার্ট’ আরও ৩ দিন থাকার কথা জানায় সংস্থাটি। আজ বৃহস্পতিবার থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা বা তিন দিন তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে দেশের আবহাওয়া অফিস। একই সঙ্গে মে মাসের প্রথম সপ্তাহে বৃষ্টির আভাসের কথাও জানায় তারা।

এদিকে তীব্র গরমে জনজীবন হাপিত্যেশ হয়ে উঠেছে। দেশের ওপর দিয়ে চলমান দাবদাহে খেটে খাওয়া মানুষের জীবন দুর্বিষহ। কারণ দিনের আলোতে তীব্র সূর্যের তাপে কাজ করা মুশকিল হয়ে পড়েছে। শ্রমজীবী-দিনমুজুর মানুষদের আয়-রোজগারও কমেছে।

রাজধানী ঢাকাসহ দেশের যেসব স্থানে গত সাত দিন ধরে তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে, গত ৩০ বছরের একই সময়ের গড় তাপমাত্রার তুলনায় তা চার থেকে পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি বলে আবহাওয়া অফিসের তথ্য থেকে জানা যায়।

চলতি বর্ষাপূর্ব মৌসুমে দেশে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ছয় ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। একই সঙ্গে বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ বেশি হওয়ায় অনুভূত হচ্ছে আরও চার থেকে পাঁচ ডিগ্রি বেশি তাপমাত্রা। আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আর্দ্রতার পরিমাণ বেশি থাকায় প্রকৃত তাপমাত্রার চেয়েও চার থেকে পাঁচ ডিগ্রি বেশি তাপমাত্রার গরম অনুভূত হচ্ছে।’

অন্যদিকে চলমান হিট অ্যালার্ট নিয়ে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা এর আগে তিন দিনের যে হিট অ্যালার্ট জারি করেছিলাম তার মেয়াদ গতকাল শেষ হয়। আজ থেকে আরও তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। কারণ, আপাতত বড় পরিসরে বৃষ্টি হয়ে তাপপ্রবাহ দূর হওয়ার সম্ভাবনা নেই।’

গতকাল সারা দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় হিটস্ট্রোকে ৪ জনের মৃত্যু হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। গরমে বাইরে যাওয়ার পর কাজ করতে গিয়ে তাদের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেলেও সবার মৃত্যুই যে হিটস্ট্রোকে হয়েছে বলছেন না স্থানীয় চিকিৎসকরা। স্থানীয়রা এবং মৃত্যু হওয়া স্বজনরা দাবি করছেন, তাদের মৃত্যু হিটস্ট্রোকে হয়েছে।

ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার আবুবক্করপুর গ্রামের ১নং ওয়ার্ডের মোটরসাইকেল ড্রাইভার মিরাজ (২৭) নামে এক যুবক হিটস্ট্রোকে মারা যাওয়ার সংবাদ পাওয়া গেছে। মৃতের বাবা রফিকুল ইসলাম বলেন, বুধবার বেলা ১১টায় প্রচণ্ড রৌদ্রের তাপে সে হঠাৎ ঘুরে পড়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। তাকে হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সুভন কুমার বসাক বলেন, মিরাজের কোনো রোগ ছিল না। মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। হিটস্ট্রোক বিষয়টি ময়নাতদন্ত ছাড়া আমরা বলতে পারি না।

অন্যদিকে কুড়িগ্রামের চিলমারীতে হিটস্ট্রোকে নজির হোসেন (৭১) নামের এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল সকালের দিকে উপজেলার রমনা ইউনিয়নের রমনা ব্যাপারীপাড়া গ্রামে নিজ বাড়িতে হিটস্ট্রোকে অসুস্থ হয়ে তিনি মারা যান। বুধবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রমনা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান গোলাম আশেক। স্থানীয় ইউপি সদস্য (মেম্বার) রোকনুজ্জামান সরকার জানান, নজির হোসেন পারিবারিক একটি বিষয় নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলেন। সকাল থেকে প্রচণ্ড দাবদাহের কারণে তিনি বারবার পানি খাচ্ছিলেন। এ সময় হঠাৎ তিনি অচেতন হয়ে পড়ে যান। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। ধারণা করা হচ্ছে হিটস্ট্রোকে তার মৃত্যু হয়েছে।

বরগুনার তালতলীতে পুকুর খননের সময় হিটস্ট্রোকে মো. নয়া মিয়া ফকির (৫০) নামের এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের খোট্টার চর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, খোট্টার চর গ্রামের হাসান মিয়ার বাড়িতে পুকুর খননের কাজ করতে যান মো. নয়া মিয়া ফকির। তিনি পুকুর খননের সময় হিটস্ট্রোক করেন। এ সময় স্থানীয়রা তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সুমন কুমার পোদ্দার বলেন, ‘স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসার আগেই নয়া মিয়া ফকিরের মৃত্যু হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, অতিরিক্ত গরমে হিটস্ট্রোকে তার মৃত্যু হতে পারে।’

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে হিটস্ট্রোকে মো. নুর ইসলাম (৭৫) নামে অবসরপ্রাপ্ত এক শিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। স্বজনেরা জানান, গতকাল প্রচণ্ড গরমে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে বাড়ির আঙিনায় লুটিয়ে পড়েন তিনি। পরিবারের লোকজন টের পেয়ে প্রথমে মাথায় পানি দেন। পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বেলা ১১টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফারসিম তারান্নুম হক বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘ওই ব্যাক্তি ডায়বেটিস ও অন্যান্য রোগে আক্রান্ত ছিলেন। এ অবস্থার মধ্যে তিনি রোদে দীর্ঘক্ষণ থাকায় পানিশূন্যতার সৃষ্টি হয়ে স্ট্রোক করেন। তাকে হাসপাতালে আনার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা গেছেন।’

এদিকে দৈনিক বাংলার চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধির তথ্যমতে, টানা কয়েক দিন চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়ালেও মাঝে জেলায় কিছুটা কমে তাপমাত্রা। তবে গতকাল বুধবার চুয়াডাঙ্গায় আবারও বেড়েছে তাপমাত্রা। জেলার কয়েকটি জায়গায় গতকাল মঙ্গলবার রাত ১টার দিকে ৪০ মিনিট গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিপাত হয়, যা ১ দশমিক ৬ মিলিমিটার রেকর্ড করে স্থানীয় আবহাওয়া অফিস। বুধবার সকাল থেকে আবারও উত্তপ্ত হয় চুয়াডাঙ্গার জনপদ। আবারও দাবদাহ শুরু হওয়ায় জনজীবনে বেড়েছে অস্বস্তি।


ভোট সুষ্ঠু করতে প্রশাসনের উচ্চপদস্থদের সঙ্গে বসবে ইসি

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচন সুষ্ঠু করতে সারা দেশের প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

আজ বুধবার নির্বাচন কমিশন থেকে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানানো হয়।

ইসি সূত্রে জানা গেছে, আজ বৃহস্পতিবার সব বিভাগীয় কমিশনার, পুলিশ কমিশনার (সংশ্লিষ্ট), রেঞ্জের উপমহাপুলিশ পরিদর্শক, জেলা প্রশাসক, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা এবং পুলিশ সুপারদের উপস্থিতিতে এ বৈঠকে নির্বাচন নিয়ে দিকনির্দেশনা দেবে ইসি। ওইদিন বেলা ১১টায় নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের অডিটরিয়ামে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সভাপতিত্বে বৈঠকটিতে নির্বাচন কমিশনাররা, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কর্মকর্তা উপস্থিত থাকবেন।

গত মঙ্গলবার উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু করার বিষয় নিয়ে আন্তমন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করে ইসি। ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচন চার ধাপে শেষ করতে চায় ইসি। এ লক্ষ্যে চার ধাপের তফসিল ঘোষণা করেছে সাংবিধানিক এ প্রতিষ্ঠানটি।

উল্লেখ্য, প্রথম ধাপে দেশের ১৫২টি উপজেলা পরিষদে আগামী ৮ মে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তাফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র জমার শেষ সময় ছিল ১৫ এপ্রিল, বাছাই হয় ১৭ এপ্রিল, প্রত্যাহারের শেষ সময় ছিল ২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয় ২৩ এপ্রিল এবং ভোটগ্রহণ হবে ৮ মে।

অন্যদিকে দ্বিতীয় ধাপে দেশের ১৬১টি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। আগামী ২১ মে এসব উপজেলায় ভোটগ্রহণ করা হবে। দ্বিতীয় ধাপে যেসব উপজেলায় নির্বাচন হবে সেখানে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ছিল ২১ এপ্রিল। মনোনয়ন বাছাই হয় ২৩ এপ্রিল। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ সময় আগামী ৩০ এপ্রিল। আর তৃতীয় ধাপে ১১২টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে আগামী ২৯ মে। তফসিল অনুযায়ী, তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২ মে। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ৫ মে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১২ মে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ ১৩ মে। চতুর্থ এবং সর্বশেষ ধাপে ৫৫টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ৫ জুন। তফসিল অনুযায়ী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ৯ মে, বাছাই ১২ মে ও প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৯ মে। প্রতীক বরাদ্দ ২০ মে।


banner close