মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪

হজের খরচ কমল ১১ হাজার ৭২৫ টাকা

ফাইল ছবি
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত : ২২ মার্চ, ২০২৩ ১৬:০২

সরকারি এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে যাওয়ার খরচ ১১ হাজার ৭২৫ টাকা করে কমিয়েছে সরকার।

ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় বুধবার খরচ কমিয়ে হজ প্যাকেজ পুনঃনির্ধারণ করেছে।

সৌদি সরকার খরচ কমানোয় সরকারি-বেসরকারি উভয় হজ প্যাকেজের খরচ ১১ হাজার ৭২৫ টাকা করে কমানো হয়েছে বলে ধর্ম মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।

এখন সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজের খরচ ৬ লাখ ৮৩ হাজার ১৫ টাকা থেকে কমে ৬ লাখ ৭১ হাজার ২৯০ টাকা এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজের খরচ ৬ লাখ ৭২ হাজার ৬১৮ টাকা থেকে কমে ৬ লাখ ৬০ হাজার ৮৯৩ টাকা হয়েছে।

সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে যেতে যারা নিবন্ধন করেছেন তাদের হজ অফিস থেকে খাবারের মূল্য ফেরত দেয়ার সময় ১১ হাজার ৭২৫ টাকা করে ফেরত দেয়া হবে।

আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে যেতে নিবন্ধনকারীদের ১১ হাজার ৭২৫ টাকা করে ফেরত দিতে হজ এজেন্সিগুলোকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

হজ প্যাকেজ পুনঃনির্ধারণ করায় আগামী ২৭ মার্চ পর্যন্ত নিবন্ধনের সময় বাড়ানো হয়েছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


এফডিসিতে সাংবাদিকদের ওপর ন্যাক্কারজনক হামলা

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ২৩ এপ্রিল, ২০২৪ ২০:৫৯
নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে (এফডিসি) সাংবাদিকদের ওপর অভিনয়শিল্পীদের হামলার ঘটনা ঘটেছে। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এফডিসিতে সাংবাদিকদের ওপর এই অতর্কিত হামলা হয়। সেখানকার পরিস্থিতি এখন উত্তপ্ত। মিশা-ডিপজলদের আয়োজিত দোয়া মাহফিলের পর এই হামলার ঘটনা হয়।

আজ সন্ধ্যা ৬টার দিকে এই ঘটনার সূত্রপাত। এই ঘটনায় শতাধিক সংবাদকর্মী আহত হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে এরই মধ্যে অসংখ্য পুলিশ সদস্য উপস্থিত হয়েছেন।

কে বা কারা হামলা চালিয়েছে- তা এখন পর্যন্ত নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে সাংবাদিকদের অভিযোগ এই হামলার পেছনে বেশ কয়েকজন শিল্পী জড়িত। জানা গেছে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছেন মিশা সওদাগর।

এ ঘটনায় দৈনিক খবরের কাগজের বিনোদন প্রতিবেদক মিথুন আল মামুন, তার ক্যামেরাম্যানসহ বেশ কয়েকজন সাংবাদিক আহত হয়েছেন।

ঘটনায় আহত সাংবাদিক মিথুন আল মামুন জানান, তিনিসহ প্রায় ১০/১২ জন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। তার নিজের মুঠোফোন হারিয়েছেন এবং অনেকগুলো ক্যামেরাও ভেঙেছে। তারা এখন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত দৈনিক প্রতিদিনের বাংলাদেশের বিনোদন বিভাগের প্রধান লিমন আহমেদ বলেন, ‘আমাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন বলেই আমরা এসেছিলাম। সংবাদ সংগ্রহের জন্য এফডিসিতে আসি। কিন্তু এইভাবে সহকর্মীদের ওপর হামলাকারীদের শাস্তি দাবি করছি।’

এরই মধ্যে বেশ কয়েকজন সাংবাদিকের রক্তাক্ত হওয়ার ভিডিও ফুটেজ ছড়িয়ে পড়েছে নেট দুনিয়ায়।

উল্লেখ্য, এই ঘটনার আগে বিএফডিসিতে বিকেল সাড়ে ৫টায় সভাপতি মিশা সওদাগরের নেতৃত্বে শপথ নেন চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির বাকি সদস্যরা। প্রধান নির্বাচন কমিশনার খোরশেদ আলম খসরু মিশাকে শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন।


সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিতে বাংলাদেশ-কাতার ১০ চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই

কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান প্রত্যক্ষ করেন। ছবি: পিআইডি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

বাংলাদেশ ও কাতার দুই দেশের মধ্যে বহুমুখী ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতা জোরদার ও সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে আজ মঙ্গলবার পাঁচটি চুক্তি ও পাঁচটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে।

কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান প্রত্যক্ষ করেন।

চুক্তিগুলো হচ্ছে: বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যে আয়ের ক্ষেত্রে দ্বৈত কর পরিহার এবং রাজস্ব ফাঁকি প্রতিরোধ, বাংলাদেশ সরকার এবং কাতার রাষ্ট্রের মধ্যে আইনি ক্ষেত্রে সহযোগিতা, কাতার এবং বাংলাদেশের মধ্যে সমুদ্র পরিবহন, বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যে পারস্পরিক বিনিয়োগ উন্নয়ন ও সুরক্ষা এবং বাংলাদেশ-কাতার যৌথ ব্যবসায়িক পরিষদ প্রতিষ্ঠা।

চুক্তি ছাড়াও পাঁচটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে জনশক্তি কর্মসংস্থান (শ্রম), বন্দর (এমব্লিউএএনআই কাতার এবং চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ), বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যে শিক্ষা, উচ্চশিক্ষা ও বৈজ্ঞানিক গবেষণা, যুব ও ক্রীড়া ক্ষেত্রে এবং বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যে কূটনৈতিক প্রশিক্ষণে সহযোগিতার স্মারকও স্বাক্ষরিত হয়।

এর আগে কাতারের আমির প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পৌঁছালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমিরকে টাইগার গেটে ফুলের তোড়া দিয়ে স্বাগত জানান।

তারা সেখানে একান্ত বৈঠকেও মিলিত হন। পরে দুই নেতা পারস্পরিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন।

পিএমও ত্যাগের আগে আমির টাইগার গেটে রক্ষিত দর্শনার্থী বইয়েও স্বাক্ষর করেন।

এরপর তিনি পিএমও ত্যাগ করে বঙ্গভবনে যান। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন কাতারের আমিরের সম্মানে বঙ্গভবনে মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করেন।

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ আমন্ত্রণে কাতারের আমির সোমবার দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ঢাকা সফরে আসেন এবং মঙ্গলবার সন্ধ্যায় একটি বিশেষ বিমানে কাতারের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন।

বাংলাদেশের পক্ষে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন এবং কাতারের বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন হামাদ আল থানি বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যে পারস্পরিক বিনিয়োগ উন্নয়ন ও সুরক্ষা চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।

পাশাপাশি বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যে আয়ের ক্ষেত্রে দ্বৈত কর পরিহার এবং রাজস্ব ফাঁকি প্রতিরোধ চুক্তিটি স্বাক্ষর করেন কাতারের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সুলতান বিন সাদ আল মুরাইখি এবং বাংলাদেশের অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান।

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক এবং কাতারের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সুলতান বিন সাদ আল মুরাইখি বাংলাদেশ সরকার ও কাতার রাষ্ট্রের মধ্যে আইনি ক্ষেত্রে সহযোগিতার চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।

কাতার ও বাংলাদেশের মধ্যে সামুদ্রিক পরিবহন সংক্রান্ত চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন কাতারের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সুলতান বিন সাদ আল মুরাইখি এবং নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

কাতার চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (কিউসিসিআই) চেয়ারম্যান শেখ খলিফা বিন জসিম আল থানি এবং ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (এফবিসিসিআই) সভাপতি মাহবুবুল আলম বাংলাদেশ-কাতার জয়েন্ট বিজনেস কাউন্সিল প্রতিষ্ঠা সংক্রান্ত চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।

সমঝোতা স্মারকগুলো স্বাক্ষর করেন বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যে কূটনৈতিক প্রশিক্ষণে সহযোগিতা-সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এবং কাতারের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সুলতান বিন সাদ আল মুরাইখি স্বাক্ষর করেন।

পাশাপাশি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এবং কাতারের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সুলতান বিন সাদ আল মুরাইখি বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যে শিক্ষা, উচ্চশিক্ষা এবং বৈজ্ঞানিক গবেষণার ক্ষেত্রে সহযোগিতার বিষয়ে সমঝোতা স্মারকেও স্বাক্ষর করেন।

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী এবং কাতারের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সুলতান বিন সাদ আল মুরাইখি জনশক্তি কর্মসংস্থান (শ্রম) ক্ষেত্রে সহযোগিতা সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারকে সই করেন।

বন্দরের ক্ষেত্রে সহযোগিতায় (এমডব্লিউএএনআই কাতার এবং চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ) কাতারের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সুলতান বিন সাদ আল মুরাইখি এবং নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী স্বাক্ষর করেছেন।

অনুষ্ঠানে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির নামে রাজধানী ঢাকার একটি সড়ক ও একটি পার্কের নামকরণ করা হয়।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের অধীনে মিরপুরের কালসি এলাকার বালুর মাঠে পার্কটি নির্মাণ করা হচ্ছে। মিরপুর ইসিবি চত্বর থেকে কালসি ফ্লাই ওভার পর্যন্ত সড়কটির নামকরণ করা হয়েছে কাতারের আমিরের নামে।

এখন থেকে রাস্তা ও পার্কটি শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি অ্যাভিনিউ এবং শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি পার্ক নামে পরিচিত হবে।


শ্যামবাজার ঘাটে লঞ্চের আগুন নিয়ন্ত্রণে

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ২৩ এপ্রিল, ২০২৪ ১৪:২৬
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর শ্যামবাজার ঘাটে এমভি বাঙালি নামে লঞ্চের তৃতীয় তলায় লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে ফায়ার সার্ভিস। মঙ্গলবার দুপুর ১টা ৪৫ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুন লাগার সময় লঞ্চে কোনো যাত্রী ছিল না।

এর আগে মঙ্গলবার দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিটে ওই আগুনের খবর পায় ফায়ার সার্ভিস।

ফায়ার সার্ভিসের গণমাধ্যম কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম জানিয়েছেন, দুপুর ১টা ৫ মিনিটে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় চারটি ইউনিট।

তিনি জানান, সদরঘাট নদীর ফায়ার স্টেশনের দুটি ইউনিট ও পোস্তগোলা ফায়ার স্টেশনের দুটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করেছে।


বাংলাদেশ-কাতারের ১০ চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যে পাঁচটি চুক্তি এবং পাঁচটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। সফররত কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মঙ্গলবার এসব চুক্তি ও সমঝোতা স্বাক্ষর হয়।

পাঁচ চুক্তির মধ্যে রয়েছে- উভয় দেশের পারস্পরিক বিনিয়োগ উন্নয়ন ও সুরক্ষা সংক্রান্ত চুক্তি, দ্বৈতকর পরিহার ও কর ফাঁকি সংক্রান্ত চুক্তি, আইনগত বিষয়ে সহযোগিতা সংক্রান্ত চুক্তি, সাগরপথে পরিবহন সংক্রান্ত চুক্তি এবং দু দেশের ব্যবসা সংগঠনের মধ্যে যৌথ ব্যবসা পরিষদ গঠন সংক্রান্ত চুক্তি।

পাঁচ সমঝোতা স্মারকের মধ্যে রয়েছে- কূটনৈতিক প্রশিক্ষণে সহযোগিতা সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক, উচ্চশিক্ষা ও বৈজ্ঞানিক গবেষণা সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক, যুব ও ক্রীড়া ক্ষেত্রে সহযোগিতা সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক, শ্রমশক্তির বিষয়ে সমঝোতা স্মারক এবং বন্দর ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক।

চুক্তিগুলোর মধ্যে প্রথমটিতে কাতারের পক্ষে বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন হামাদ আল থানি ও বাংলাদেশের পক্ষে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন, দ্বিতীয়টিতে কাতারের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সুলতান বিন সাদ আল মুরাইখি ও বাংলাদেশের অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান, তৃতীয়টিতে কাতারের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সুলতান বিন সাদ আল মুরাইখি ও বাংলাদেশের আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, চতুর্থটিতে কাতারের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সুলতান বিন সাদ আল মুরাইখি ও বাংলাদেশের নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এবং পঞ্চমটিতে কাতার চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির চেয়ারম্যান শেখ খলিফা বিন জসিম আল থানি ও বাংলাদেশের ফেডারেশন অব চেম্বার্স অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (এফবিসিসিআই) প্রেসিডেন্ট মাহবুবুল আলম সই করেন।

সমঝোতা স্মারকগুলোর মধ্যে সব কটিতে কাতারের পক্ষে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সুলতান বিন সাদ আল মুরাইখি এবং বাংলাদেশের পক্ষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, যুব ও ক্রীড়া, প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা সই করেন।

এর আগে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শিমুল হলে একান্ত বৈঠক হয় শেখ হাসিনা ও শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির।

প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে পৌঁছালে মঙ্গলবার সকালে কাতারের আমিরকে ফুল দিয়ে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।


দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ২২ এপ্রিল, ২০২৪ ২৩:১৭
নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড হয়েছে। আজ সোমবার রাত ৯টায় ১৬ হাজার ২৩৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে সক্ষম হয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ।

বিদ্যুৎ বিভাগের জনসংযোগ বিভাগ থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমানে দেশব্যাপী চলছে তীব্র তাপদাহ। এই মুহূর্তে বিদ্যুৎ বিভাগ জনজীবনে স্বস্তি বজায় রাখতে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ উৎপাদনে আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

এর আগে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড ছিল গতকাল ১৫ হাজার ৬৬৬ মেগাওয়াট।


ফেসবুকের লাইভ শো ফিরিয়ে দিল ৩০ বছর আগে হারিয়ে যাওয়া বোনকে

হারিয়ে যাওয়া বড় বোন রাশিদার সাথে ছোট বোন রহিমা খাতুন। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ২৩ এপ্রিল, ২০২৪ ০৩:৪১
ইমতিয়াজ সনি

এ যেন রূপকথার কল্পকাহিনি। বাস্তব জীবনের এক অবিশ্বাস্য গল্প! ৩০ বছর আগে হারিয়ে যাওয়া বোনকে খুঁজে পাওয়ার গল্প। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রচার হওয়া একটি ভিডিওর সূত্র ধরে তিন দশক পর দেখা হলো দুই বোনের। অঝোরে কাঁদলেন ওরা। এই কান্না হারানো স্বজনকে ফিরে পাওয়ার। এই কান্না আনন্দের।

হারিয়ে যাওয়া বড় বোনের নাম রাশিদা। তার বর্তমান ঠিকানা সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার এনায়েতপুর গ্রামে সোনার বাংলা আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৩৫ নম্বর ঘর। আর তাকে খুঁজে পাওয়া ছোট বোনের নাম রহিমা খাতুন।

রহিমার ঠিকানা ঢাকার মোহাম্মদপুরে ইকবাল রোডের একটি বাড়ি। এখানে গৃহকর্মী হিসেবে থাকেন তিনি। তার মায়ের বাড়ির স্থায়ী ঠিকানা কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার এনায়েতপুর গ্রামে। সেখানে থাকেন তার মা মোছাম্মৎ বেগম ও ছোট ভাই ইউনুস।

সন্তানদের ছোট রেখেই মারা যান তাদের বাবা আকুব্বর। এরপর ওদের মা পুনরায় বিয়ে করেন। সেই বাবাও মারা গেছেন সাত বছর আগে।

রাশিদা তার পরিবারের খোঁজ না জানলেও তার অবস্থানস্থলের সঙ্গে মা ও ভাইবোনের দূরত্ব খুব বেশি ছিল না। এক পাশে কুষ্টিয়া, অন্য পাশে সিরাজগঞ্জ। মাঝখানে শুধু পাবনা জেলা।

কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার এনায়েতপুর গ্রাম থেকে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার দূরত্ব ৯৫ কিলোমিটার। গাড়িতে এই দূরত্ব পাড়ি দিতে সময় লাগে মাত্র ৩ ঘণ্টা ১২ মিনিট। অথচ এই পথটুকুর দূরত্ব ঘুচতে লেগে গেছে দীর্ঘ ৩০টি বছর।

এনায়েতপুর গ্রামে ছোট্ট একটি বাড়িতে মা মোছাম্মৎ বেগম, তার দুই মেয়ে সাত বছর বয়সি রাশিদা ও চার বছর বয়সি রহিমা এবং দুই বছর বয়সি ছেলে ইউনুসকে নিয়ে ছিল তাদের সংসার।

মা মোছাম্মৎ বেগম সে সময় পরিবারের সদস্যদের দুমুঠো খাবারের সংস্থান করতে বড় মেয়ে রাশিদাকে কাজে পাঠান কুমারখালীর লতিফ নামের এক ব্যক্তির ঢাকার বাসায়। এরপর হঠাৎ একদিন গৃহকর্তা লতিফের কাছ থেকে খবর আসে যে রাশিদা তার ঢাকার বাসা থেকে পালিয়ে গেছে। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাকে পাওয়া যাচ্ছে না। মা আত্মীয়-স্বজনসহ আশপাশের অনেকের সঙ্গে যোগাযোগ করেও মেয়ের খোঁজ পাননি। নিজের নামে থাকা সামান্য জমিটুকু বিক্রি করে সেই টাকা দিয়ে রাশিদাকে খুঁজতে থাকেন মা। একপর্যায়ে সেই টাকাও শেষ হয়ে যায়। আর নিখোঁজই থেকে যান রাশিদা। এই পর্যায়ে নিজ বাড়িতে বসে মেয়ের ফিরে আশায় পথ চেয়ে চোখের জল ফেলা ছাড়া আর কিছু করার ছিল না মায়ের।

ছোট দুই ভাই-বোন রহিমা ও ইউনুস বোড় বোন রাশিদা হারিয়ে যাওয়ার মর্ম না বুঝলেও মায়ের প্রতিটি দিন কাটতে থাকে বড় মেয়ের আশায় পথ চেয়ে থেকে। এভাবেই রাশিদার পথ চেয়ে মায়ের কেটে যায় ৩০টি বছর।

এনায়েতপুর গ্রামের ছোট্ট বাড়িটিতে এখন একাই থাকেন রাশিদার মা। সাত বছর পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে বিছানায় শুয়ে দিন কাটে তার। একমাত্র ছেলে ইউনুস থাকে কুষ্টিয়া শহরে। আর ছোট বোন রহিমা কাজ করে ঢাকার মোহাম্মদপুরের ইকবাল রোডের একটি বাসায়।

যেভাবে রাশিদার খোঁজ পান রহিমা

রহিমা ঢাকায় যে বাসায় কাজ করেন তাদের গ্রামের বাড়ি ঝিনাইদহ শহরের আদর্শপাড়ায়। ঈদের ছুটিতে তারা ঝিনাইদহে যান। আর রহিমা চলে যান কুমারখালীতে। ১৭ এপ্রিল তাদের ঢাকায় ফেরার কথা। তাই ১৬ তারিখে কুমারখালী থেকে ঝিনাইদহে গৃহকর্তার বাসায় অবস্থান করেন রহিমা।

রহিমা এই প্রতিবেদককে জানান, “১৬ এপ্রিল রাত সাড়ে ১১টার সময় হঠাৎ আমাদের গ্রাম থেকে এক চাচা ফোনে জানান যে ফেসবুকে আর জে কিবরিয়ার ‘আপন ঠিকানা, পর্ব-৫৭৫’ নামের এক অনুষ্ঠানে হারিয়ে যাওয়া এক মেয়ে আমাদের গ্রামের নাম বলে নাকি আমার বোন দাবি করছে। সে সময় চাচা আমাকে ওই ‘আপন ঠিকানা’ নামের অনুষ্ঠান দেখতে বলেন।”

রহিমা বলেন, ‘এরপর আমি বাসার লোকজনে সহযোগিতায় ফেসবুকের ওই অনুষ্ঠানের ভিডিওটা দেখি। ভিডিওর ওই মেয়েকে প্রথম দেখায়ই আমার বুকের মধ্যে একটা বাড়ি মারে! সব কিছু কেমন যেন ওলট-পালট হয়ে যায়। আমার গা তখন কাঁপছিল! মুখ দিয়ে কোনো কথা আসছিল না।’

‘তবে প্রথম দেখায়ই আমি চিনে ফেলি যে এটা আমারই বড় বোন রাশিদা। চিনব না? আমার রক্ত, আমি এক দেখায়ই চিনব। একদম আমার মতো দেখতে। তা ছাড়া ভিডিওতে সে বলছে তার ছোট বোনের নাম রহিমা, ভাইয়ের নাম ইউনুস, মায়ের নাম বেগম। সবই মিলে যায়।’

রহিমা বলতে থাকেন, ‘তখন সব কিছুই আমার কাছে স্বপ্নের মতো মনে হচ্ছিল। কী বলব বুঝতে পারছিলাম না। শুধু আমার চোখ দিয়ে পানি পড়ছিল। আমি কল্পনাও করিনি আমি আমার বড় বোনকে আর খুঁজে পাব!’

‘তখন শুধুই ভাবছিলাম- হারিয়ে যাওয়ার পর আমার বোনের কত কষ্টই না হয়েছে। কত আপদ-বিপদই না তার পার করতে হয়েছে। তখন থেকেই মনের মধ্যে দুমড়ে-মুছড়ে যাচ্ছে, কখন আমি আমার বোনকে সামনা-সামনি দেখতে পাবে? কখন বোনকে একটু জড়িয়ে ধরব? বলেন রহিমা।

রহিমা আরও বলেন, “ওই রাতেই আমাদের বাসা থেকে ফেসবুকের ওই ‘আপন ঠিকানা’ নামের অনুষ্ঠান যারা করেন তাদের মধ্যে তানভীর ও আরিফ নামের দুজনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তারা আমাদের ঢাকায় যেতে বলেন। এরপর আমি কুমারখালীতে মাকে ফোন করে ঘটনা জানাই।”

এরপর, তানভীর ও আরিফের সঙ্গে কথা অনুযায়ী আর জে কিবরিয়ার ফেসবুক শো ‘আপন ঠিকানা’র মহাখালীস্থ স্টুডিওতে গতকাল সোমবার বিকেলে রহিমার সঙ্গে দেখা হয় ৩০ বছর আগে হারিয়ে যাওয়া বড় বোন রাশিদার। প্রথম দেখাতেই দুই বোন পরস্পরকে জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়েন।

এ সময় কুষ্টিয়ার কুমারখালীর এনায়েতপুর গ্রামে থাকা রহিমার মা বেগমের সঙ্গেও ভিডিও কলে দেখা ও কথা হয় রাশিদার। সে সময় মা-মেয়ে দু’জনই অঝোরে কাঁদতে থাকেন। ফিরে পাওয়া মেয়েকে উদ্দেশ করে মা বলতে থাকেন- ‘তুই তাড়াতাড়ি বাড়ি আয়। আমি তোকে ছুঁয়ে দেখব।’

রাশিদা স্টুডিও থেকে বের হয়ে রহিমাকে জড়িয়ে ধরে বলেন, ‘তোর তো নাকফুল ছিলো না, এখন তোর নাকে নাকফুল। তুই কত বড় হয়ে গেছিস। আমার ছোট ভাইটাও মনে হয় অনেক বড় হয়ে গেছে। মাকে একটু ছুঁয়ে দেখতে খুব মন চাচ্ছে।’

৩০ বছর আগে রাশিদার হারিয়ে যাওয়ার গল্প জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ছোট বেলায় মা যে বাড়িতে আমাকে কাজ করতে পাঠিয়েছিল সেখানে বাসার লোকজন আমাকে খুব মারত। একদিন মেরে তারা আমার মাথা দিয়ে রক্ত বের করে দিয়েছিল। সেদিনই রাগ করে ওই বাসা থেকে পালিয়ে একটা বাস স্ট্যান্ডে গিয়ে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার গাড়িতে উঠে বসি।

‘ওই বাসে ওঠার বিশেষ কারণও ছিল। বাসের লোকজন বলছিল যে উল্লাপাড়ায় একটা এনায়েতপুর আছে। সে সময় আমার মনে ছিল যে আমার বাড়িও এনায়েতপুরে। কিন্তু আমার জেলা কুষ্টিয়া, থানা কুমারখালী সেটা তখন মনে ছিল না।’

রাশিদা বলেন, ‘উল্লাপাড়ার এনায়েতপুরে গিয়ে দেখি এটা আমার বাড়ির এনায়েতপুর না। তখন ওই এনায়েতপুরের এক মহিলা তাদের বাড়িতে থাকতে দেয়। তাদেরও কোনো মেয়ে সন্তান ছিল না। এর কিছুদিন পর তারা আমাকে তাদের পারিচিত একজনের ঢাকার শ্যামলীর বাসায় কাজ করতে পাঠায়। সেখানে আমি অনেক বছর থাকি।’

রাশিদা জানান, শ্যামলীর ওই বাসার লোকজন তাকে একসময় বিয়ে দিয়ে দেন। তার স্বামীর বাড়িও সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায়। বিয়ের পর স্বামীর সঙ্গে তিনি উল্লাপাড়ায় চলে যান। তখন থেকে তিনি এখানেই ছিলেন।

তিনি বলেন, ‘করোনা মহামারীর সময় আমার স্বামী করোনায় মারা যায়। তারপর সরকার আমার থাকার জন্য এনায়েতপুরের এক আশ্রয়ণ প্রকল্পে একটা বাড়ি বরাদ্দ দেয়। এখন আমার দুই ছেলে ও এক মেয়ে। বড় ছেলে টিউবওয়েল বসানোর কাজ করে এবং মেঝো ছেলে এতিমখানায় থাকে। আর ছোট সন্তান মেয়েটা আমার সাথেই থাকে। আমি মানুষের বাসায় কাজ করি।’

ফেসবুক শো ‘আপন ঠিকানা’র খোঁজ পেলেন কীভাবে জানতে চাইলে রাশিদা বলেন, ‘আমি যে বাড়িতে কাজ করি ওই বাড়ির মেয়ে আমাকে এই অনুষ্ঠানের খোঁজ দেয়। সেই আমাকে এখানে নিয়ে আসে।’

রাশিদা বলেন, ‘এখন আমার একটাই চাওয়া আমার ভিটেয় (বাড়ি) যাওয়া। আমি আজ সিরাজগঞ্জ চলে যাব। তবে দুই-একদিনের মধ্যেই ছেলে-মেয়েদের নিয়ে কুষ্টিয়ায় মায়ের কাছে যাব। মায়েরে ছুঁয়ে দেখব।’

সবশেষে তিনি বলেন, ‘সামান্য জেলা আর থানার নাম মনে না থাকায় আজ ৩০ বছর আমি আমার পরিবার থেকে আলাদা। আমার শুধু মনে ছিল এনায়েতপুর গ্রামের কথা। কুমারখালীর এনায়েতপুরের খোঁজে বের হয়ে আমি এখনও সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় আরেক এনায়েতপুরের বাসিন্দা হয়ে আছি।’


ঢাকায় কাতারের আমির

বিমানবন্দরে লাল গালিচা অভ্যর্থনা
ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল-সানি দুই দিনের সরকারি সফরে আজ সোমবার বিকেলে ঢাকায় এসেছেন। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে লাল গালিচা অভ্যর্থনা জানানো হয়। পরে সেখানে তাকে ফুলের তোড়া দিয়ে স্বাগত জানান রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন।

আমির ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী কাতার এয়ারওয়েজের একটি বিশেষ বিমান বিকেল ৫টার দিকে বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

বিমানবন্দরে আমিরের অবতরণের সময় ২১ বার তোপধ্বনি করা হয়।

এরপরে আমিরকে অস্থায়ী অভিবাদন মঞ্চে নিয়ে যাওয়া হয়। তাকে রাষ্ট্রীয় সম্মানের অংশ হিসেবে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। এ সময় দুই দেশের জাতীয়সংগীত বাজানো হয়।

পরে কাতারের আমির প্যারেড পরিদর্শন করেন।

রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন কাতারের আমিরকে প্রেজেন্টেশন লাইনে অপেক্ষমাণদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন এবং আমিরও তার প্রতিনিধিদের সঙ্গে রাষ্ট্রপতিকে পরিচয় করিয়ে দেন।

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী মো. নসরুল হামিদ বিপু, তিন বাহিনীর প্রধান, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, পররাষ্ট্র সচিব, রাষ্ট্রপতি কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট সচিব এবং ঊর্ধ্বতন সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ আমন্ত্রণে ঢাকায় এসেছেন কাতারের আমির।

বিমানবন্দরে অনুষ্ঠান শেষে কাতারের আমির তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে রাজধানীর লা মেরিডিয়ান হোটেলে অবস্থান করবেন।

আগামীকাল সকালে কাতারের আমিরের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। এরপর সকাল সোয়া ১০টায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শিমুল হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তিনি বৈঠক করবেন।

পরবর্তীতে এই সফরে দুই দেশের মধ্যে ছয়টি চুক্তি এবং পাঁচটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

চুক্তিগুলো হলো- দ্বৈত কর ও কর ফাঁকি পরিহার, আইনি বিষয়ে সহযোগিতা, সমুদ্র পরিবহন, পারস্পরিক বিনিয়োগ উন্নয়ন ও সুরক্ষা, দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিদের স্থানান্তর এবং একটি যৌথ ব্যবসায়িক পরিষদ প্রতিষ্ঠা।

এর বাইরে শ্রমশক্তি, উচ্চশিক্ষা ও বৈজ্ঞানিক গবেষণা এবং কূটনৈতিক প্রশিক্ষণে সহযোগিতাসহ পাঁচটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

দুপুরে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন বঙ্গভবনের দরবার হলে কাতারের আমিরের সম্মানে মধ্যাহ্ন ভোজের আয়োজন করবেন। সন্ধ্যায় বিশেষ বিমানে করে আমিরের নিজ দেশ কাতারের উদ্দেশ্যে যাত্রা করার কথা রয়েছে।


মেডিকেল কলেজের ক্লাস অনলাইনে নেওয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন দেশের মেডিকেল কলেজগুলোতে তত্ত্বীয় ক্লাসগুলো অনলাইনে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। তবে ক্লিনিক্যাল ক্লাসগুলো সশরীরে শীততাপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে নিতে বলেছেন তিনি।

আজ সোমবার শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে অধ্যাপক আনু মুহাম্মদের শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ শেষে সাংবাদিকদের স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ তথ্য জানান।

সামন্ত লাল সেন বলেন, ‘মেডিকেল কলেজগুলোর অধ্যক্ষদের সঙ্গে আমি কথা বলেছি। সেখানে শিক্ষার্থীরা কীভাবে থাকছে, তাদের হোস্টেলে কী অবস্থা- সে বিষয়ে খোঁজ নিয়েছি। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, তাদের ক্লাসগুলো অনলাইনে হবে। শীততাপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে রোগীদের এনে ক্লিনিক্যাল ক্লাসগুলো নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি।’

গরমে হাসপাতালগুলোতে কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে- এ বিষয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, সারা দেশের হাসপাতালগুলোর পরিচালক ও সিভিল সার্জনদের সঙ্গে কথা হয়েছে। সব হাসপাতালে নির্দেশ দিয়েছি, আপাতত অপারেশন না করলেও চলে এমন রোগীদের ভর্তি না নিয়ে হাসপাতাল খালি রাখতে- যাতে করে শিশু ও বয়স্ক, যারা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে যেন তারা সুযোগ পায়।

তিনি বলেন, করোনার সময় ডিএনসিসির যে হাসপাতাল ছিল, তা আমরা প্রস্তুত রেখেছি। যদি প্রয়োজন হয়, তাহলে আমরা সেই হাসপাতালটি ব্যবহার করব। তবে আশা করছি আবহাওয়া ঠিক হয়ে যাবে।

এ সময়ে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা উপস্থিত ছিলেন।


পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কিরগিজস্তানের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষাৎ

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

বাংলাদেশে সফররত কিরগিজ প্রজাতন্ত্রের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপমন্ত্রী আভাজবেক আতাখানভ আজ সোমবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এ সাক্ষাতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান দুই দেশের মধ্যে প্রথম ফরেন অফিস কনসালটেশনের (এফওসি) সফলভাবে সমাপ্তিতে সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন বার্তার জন্য কিরগিজ প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রপতির প্রতি ধন্যবাদ জানান।

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সাবেক ইউএসএসআরের অংশ হিসেবে কিরগিজ জনগণের মূল্যবান সমর্থনের কথা স্মরণ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধির অনেক সুযোগ রয়েছে। তিনি কিরগিজস্তানকে পোশাক, ওষুধ, পাটজাত পণ্য, গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ফল, সিরামিক, আইটি পণ্য ও সেবা আমদানির অনুরোধ জানান।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান অবিলম্বে রোহিঙ্গাদের স্বদেশ মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনে ও ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধ বন্ধে কিরগিজস্তানের সহায়তা কামনা করেন।

একই সাথে ইউরেশিয়ান ইকোনমিক কমিশনের সাথে ফ্রি ট্রেড এগ্রিমেন্ট স্বাক্ষরে বাংলাদেশকে সমর্থন দান এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে দেশের প্রার্থীদের সমর্থনের জন্যও কিরগিজস্তানের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অনুরোধ জানান।

বৈঠকে কিরগিজ উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী আভাজবেক আতাখানভ কৃষিখাতসহ বিভিন্ন অঙ্গনে বাংলাদেশের সাফল্যের প্রশংসা করেন এবং জানান তার দেশে প্রায় এক হাজার বাংলাদেশি শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত। তিনি জানান, কিরগিজস্তান বিপুল বিদ্যুৎ শক্তি ও বছরে প্রায় ২২ থেকে ২৪ টন স্বর্ণ উৎপাদন করছে যেখানে ব্যাপক জনশক্তি নিয়োগের সুযোগ রয়েছে।

কিরগিজস্তান ইউরেশিয়ান ইকোনমিক কমিশনের সাথে ফ্রি ট্রেড এগ্রিমেন্ট স্বাক্ষরে বাংলাদেশকে সমর্থন দেবে এবং জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক ফোরামগুলোতে বাংলাদেশের সমর্থন প্রত্যাশা করে উল্লেখ করলে উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী আভাজবেক আতাখানভকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ‘রিসিপ্রোসিটি’র ভিত্তিতে সহযোগিতার আশ্বাস দেন।


কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানকে অপসারণ

কাল জিজ্ঞাসাবাদ করবে ডিবি
মো. আলী আকবর খান। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

সনদ জালিয়াতি ও বাণিজ্যে জড়িত থাকার অভিযোগে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আলী আকবর খানকে দায়িত্ব থেকে অপসারণ করা হয়েছে। আজ সোমবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে। অন্যদিকে শিক্ষা বোর্ডের পরিচালক (আইসিটি) অধ্যাপক মো. মামুন উল হককে চেয়ারম্যান হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালনের আদেশ জারি করা হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আলী আকবার খানকে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব থেকে অব্যাহিত দিয়ে কারিগরি অধিদপ্তরে সংযুক্ত করা হলো। কারিগরি শিক্ষা বোর্ড অব্যাহতিপ্রাপ্ত ও কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের সংযুক্ত নতুন কর্মস্থলে যোগদানের জন্য পদ থেকে অবমুক্ত করা হলো।

অন্য প্রজ্ঞাপনে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের পরিচালক (আইসিটি) অধ্যাপক মো. মামুন উল হককে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়। এর আগে গত ২১ এপ্রিল জাল সার্টিফিকেট চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান আলী আকবর খানের স্ত্রী সেহেলা পারভীনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। অভিযোগ উঠে, জাল সনদের সঙ্গে চেয়ারম্যান, কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের কিছু কর্মকর্তাসহ আরও কয়েকজন জড়িত রয়েছেন।

জিজ্ঞাসাবাদ করবে ডিবি

কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সদ্য অপসারিত চেয়ারম্যান আলী আকবর খানকে আগামীকাল মঙ্গলবার জিজ্ঞাসাবাদ করবে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা (ডিবি) বিভাগ। আজ সোমবার ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

তিনি বলেন, সনদ-বাণিজ্যে জড়িত থাকার অভিযোগে আলী আকবর খানের স্ত্রী সেহেলা পারভীনকে গত শনিবার গ্রেপ্তার করা হয়। স্ত্রীকে গ্রেপ্তারের পর কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান আলী আকবর খানকে রোববার চেয়ারম্যানের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। তাকে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরে সংযুক্ত করা হয়েছে। মঙ্গলবার তাকে ডিবি অফিসে ডাকা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এতে তার সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে গ্রেপ্তার করা হবে। এ ছাড়া এ ঘটনায় যাদের নাম এসেছে পর্যায়ক্রমে সবাইকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

প্রসঙ্গত, ডিবি লালবাগ বিভাগ সনদ জালিয়াতির অভিযোগে গত ১ এপ্রিল গ্রেপ্তার করা হয় কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সিস্টেম অ্যানালিস্ট প্রকৌশলী এ কে এম শামসুজ্জামানকে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে উঠে আসে জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত বোর্ডসংশ্লিষ্ট অনেক ছোট-বড় কর্মকর্তা ও দেশের কয়েকটি কারিগরি স্কুল ও কলেজের প্রধান এবং অধ্যক্ষসহ আরও কয়েকজনের নাম। সবশেষ গত শনিবার শামসুজ্জামানকে জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেপ্তার করা হয় বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী সেহেলা পারভীনকে।

শামসুজ্জামানকে জিজ্ঞাসাবাদে সেহেলা পারভীনের নাম উঠে আসে। গত ৪ এপ্রিল এক সংবাদ সন্মেলনে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের লালবাগ বিভাগের ডিসি মশিউর রহমান শামসুজ্জামানকে জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে বলেন, সনদ বাণিজ্যের নানা প্রক্রিয়ায় তার কাছে গ্রাহক নিয়ে আসতেন দেশের বিভিন্ন কারিগরি স্কুল ও কলেজের প্রধান শিক্ষক ও প্রিন্সিপালরা। যেসব প্রধান শিক্ষক ও প্রিন্সিপাল মধ্যস্ততা করে গ্রাহক নিয়ে আসতেন, তাদের নামের দীর্ঘ তালিকা এসেছে গোয়েন্দা পুলিশের হাতে। এ ছাড়া সনদবাণিজ্যের বিষয়ে জানতেন বোর্ডের ছোট-বড় সব কর্তাই।


কারখানায় ট্রেড ইউনিয়ন গঠনের সুযোগ রেখে শ্রম আইন সংশোধন: আইনমন্ত্রী

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

যেকোনো কারখানায় ট্রেড ইউনিয়ন গঠন করার সুযোগ রেখে শ্রম আইন সংশোধন করা হবে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক। আজ সোমবার সচিবালয়ে মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

আইনমন্ত্রী বলেন, ‘তারা বাংলাদেশের শ্রম আইন, শ্রমিকদের অধিকার এবং তা নিয়ে আমরা কী কাজ করছি, তা নিয়ে আমার সঙ্গে আলোচনা করেছেন। তাদের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ছিল- বাংলাদেশ শ্রম আইনের যে সংশোধন হচ্ছে, সেটার বর্তমান পরিস্থিতি কী, কী করা হচ্ছে? ১১টা ব্যাপারে তাদের জানার ইচ্ছা ছিল এবং এ ব্যাপারে কতটুকু অগ্রগতি হয়েছে, তা তাদের জিজ্ঞাসায় ছিল।’

‘তাদের প্রথম জিজ্ঞাসা ছিল, থ্রেসহোল্ড (ট্রেড ইউনিয়ন গঠনে শ্রমিকদের সম্মতির হার) নিয়ে। অর্থাৎ ট্রেড ইউনিয়ন গঠন করার জন্য কত শতাংশ শ্রমিক প্রয়োজন, সেটা নিয়ে। প্রথমে ২০১৬ সালের দিকে ৩০ শতাংশ ছিল। ২০১৭ সালে যখন আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) সম্মেলনে যাই, তখন এ থ্রেশহোল্ড ২০ শতাংশে নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল’- বললেন আনিসুল হক।

তিনি আরও বলেন, ‘এবার যখন সংশোধনী হয়, তখন প্রথম প্রস্তাব ছিল এটাকে ২০ শতাংশ থেকে ১৫ শতাংশে নিয়ে আসব। কিন্তু সেখানে একটা ক্যাভিয়েট (শর্ত) ছিল, এটা শুধু যে-সব কারখানায় তিন হাজার বা তার চেয়ে বেশি শ্রমিক কর্মরত, তাদের জন্য প্রযোজ্য হবে। কিন্তু সেই সীমাও উঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। ’

মন্ত্রী বলেন, ‘শ্রম আইন নিয়ে সমস্যা যখন হয়েছিল, রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে ফেরত আনা হয়েছিল, তার পরের আলোচনায় সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আমরা এটা সবার জন্য করবো, কোনো ক্যাপ (সীমা) থাকবে না। সেটাও আমরা মার্কিন প্রতিনিধিদের জানিয়েছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘শ্রম আইন, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ যেটা হচ্ছে, সেখানে প্রযোজ্য হবে। আগে বাংলাদেশ এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোনে শ্রম আইন প্রযোজ্য হওয়ার কথা ছিল। সেই সংশোধনী আমরা করেছি। যে ১১টি বিষয় তারা জানতে চেয়েছিলেন তাতে এগুলো ছিল।’

‘কোন দেশ কী আমাদের দেবে, কী আমাদের দেবে না- সেটার ওপর নির্ভর করে আমরা শ্রমিকদের অধিকারের ব্যাপারে চিন্তা-ভাবনা করবো না। সবসময় শ্রমিকদের অধিকার যা আছে, তার থেকে বেশি যাতে তারা পায় এবং অধিকার বাস্তবায়ন করা, তারা যাতে সেটা ভোগ করতে পারে, সেটা নিশ্চিত এ সরকার করবে’- বললেন মন্ত্রী।

আলোচনার পর মার্কিন প্রতিনিধিরা আইনমন্ত্রীকে বাংলাদেশের শ্রম আইন ও অধিকারের বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন বলে উল্লেখ করেন।


এবার ভারী বৃষ্টিপাতের কবলে সৌদি, ডুবে গেছে রাস্তাঘাট

সৌদির রাজধানী রিয়াদে ভারী বৃষ্টিতে ডুবে গেছে রাস্তাঘাট। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাতের পর এবার ভারী বৃষ্টিপাতের কবলে সৌদি আরব। মধ্যপ্রাচ্যের দেশটির রাজধানী রিয়াদের কিছু অঞ্চলসহ দেশটির অনেক এলাকা তলিয়ে গেছে, ডুবে গেছে অনেক রাস্তাঘাট। আগামী কয়েকদিন বর্ষণ অব্যাহত থাকতে পারে, এমন সতর্কতা জারি করেছে দেশটির আবহাওয়া বিভাগ। সতর্কতার অংশ হিসেবে বিভিন্ন জায়গায় স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

সৌদি আরবের আবহাওয়া দপ্তর বলছে, শনিবার থেকে রাজধানী রিয়াদসহ বিভিন্ন অঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত আছে। এতে তলিয়ে গেছে অনেক এলাকা। বৃষ্টিতে ভেসে গেছে বেশ কয়েকটি গাড়ি। ভারী বৃষ্টির প্রভাব পড়েছে রাজধানী রিয়াদ, দিরিয়াহ, হুরায়মালা, ধুর্মা থেকে কুয়াইয়াহ পর্যন্ত।

আবহাওয়ার চলমান এ পরিস্থিতি মঙ্গলবার পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। এই সময় দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলে মাঝারি থেকে ভারী ও শিলাবৃষ্টি হবে বলে সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দপ্তর।

এদিকে সতর্কতার অংশ হিসেবে সৌদি আরবের বিভিন্ন জায়গায় স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে। বৃষ্টির সময় উপত্যকা এবং জলাবদ্ধ এলাকা থেকে নাগরিকদের দূরে থাকার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত কয়েক বছর ধরেই প্রতিকূল আবহাওয়ার মুখোমুখি হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো। সবশেষ গেল সপ্তাহে ভয়াবহ বন্যার মুখোমুখি হয় সংযুক্ত আরব আমিরাত। সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি দেখা যায় দুবাই ও শারজাহতে।


বৃহস্পতিবার মিয়ানমারের জাহাজে ফিরবে ২৮৫ সেনা-বিজিপি

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

সশস্ত্র বিদ্রোহীদের সঙ্গে যুদ্ধের মধ্যে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া সেনা ও সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যদের ফেরত পাঠানোর দিন পিছিয়েছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, আজ সোমবার ২৮৫ জনকে ফেরত পাঠানোর কথা ছিল; কিন্তু মিয়ানমার তাদের নিতে পারছে না। তাই তাদের পাঠাতে ২৫ এপ্রিল নতুন তারিখ রাখা হয়েছে। ওইদিন মিয়ানমারে বন্দি ও আটকা পড়াসহ ১৪৪ জন বাংলাদেশিকেও দেশে আনা হবে।

আজ সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘২৪ এপ্রিল মিয়ানমারের জাহাজ বাংলাদেশে আসবে। ১৪৪ জন বাংলাদেশি নাগরিক মিয়ানমারে নানাভাবে আটকা পড়েছিল, অনেকে বন্দিও ছিল, তাদের নিয়ে আসবে মিয়ানমারের জাহাজ। ২৪ এপ্রিল তো পরশুদিন। পরদিন মিয়ানমারের বিজিপি সদস্যদের নিয়ে যাবে।’

দীর্ঘদিন ধরে মিয়ানমারে সেনাবাহিনী ও বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে সংঘর্ষ চলছে, যার আঁচ লেগেছে বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকাতেও। সীমান্তের ওপারের মর্টার শেল ও গুলি এসে এপারে হতাহতের ঘটনাও প্রায়ই ঘটছে।

ওই সংঘাতের মধ্যে পালিয়ে আসা মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী ও সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যসহ ৩৩০ জনকে প্রথম দফায় গত ১৬ ফেব্রুয়ারি ফেরত পাঠিয়েছিল সরকার।

তাদের মধ্যে মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ-বিজিপি ৩০২ জন, তাদের পরিবারের চার সদস্য, দুজন সেনা সদস্য, ১৮ জন ইমিগ্রেশন সদস্য এবং চারজন বেসামরিক নাগরিক ছিলেন।

এরপর বান্দরবান ও কক্সবাজার সীমান্ত নিয়ে কয়েক দফায় মোট ২৮৫ জন এসেছেন বাংলাদেশে, যাদের মধ্যে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্য ছাড়াও সেনা সদস্য রয়েছেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মিয়ানমার অনুবিভাগের কর্মকর্তারা বলেন, ১৭০ জনের মতো বাংলাদেশি বিভিন্ন সময়ে মিয়ানমারে গিয়ে আটকা পড়েছেন। তাদের কেউ জেলে আছেন এবং কারও বিচার প্রক্রিয়া চলমান। এর মধ্যে কেউ কেউ মাছ ধরতে গিয়েও মিয়ানমার সীমান্তে ঢুকে আটক হয়েছিলেন। তাদের মধ্যেই ১৪৪ জনকে ফেরানোর বিষয়টি চূড়ান্ত হয়েছে।


banner close