বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

বিচারিক ক্ষমতা হারালেন বগুড়ার বিচারক রুবাইয়া

প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত : ২৩ মার্চ, ২০২৩ ১৮:৩৭

দুই ছাত্রীর মাকে অপদস্ত করার অভিযোগ ওঠার পর বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ রুবাইয়া ইয়াসমিনের বিচারিক ক্ষমতা কেড়ে নেয়া হয়েছে। তাকে বদলি করে মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে।

বদলি সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বগুড়ার অতিরিক্তি জেলা জজ রুবাইয়া ইসমিনকে বদলি করে আইন ও বিচার বিভাগে সংযুক্ত করা হয়েছে।

বগুড়ায় ওই বিচারকের বিরুদ্ধে দুই ছাত্রীর মাকে অপদস্ত করার অভিযোগ উঠেছে। এর প্রতিবাদে গত মঙ্গলবার বিকাল ৩টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বগুড়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন জেলা প্রশাসক।

বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষ ঝাড়ু দেয়াকে কেন্দ্র করে বিচারকের অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়ের সঙ্গে সহপাঠীদের ফেসবুকে পাল্টাপাল্টি পোস্ট দেয়াকে কেন্দ্র করে এ ঘটনার সূত্রপাত।

বগুড়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ওই স্কুলের অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে বিচারক রুবাই ইয়াসমিনের মেয়ে। বিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী শিক্ষার্থীরা পালাক্রমে শ্রেণিকক্ষ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে থাকে। সোমবার ওই বিচারকের মেয়ের শ্রেণিকক্ষ ঝাড়ু দেয়ার কথা ছিল। তবে নিজেকে বিচারকের মেয়ে পরিচয় দিয়ে সে শ্রেণিকক্ষ ঝাড়ু দিতে অস্বীকার করে। এ নিয়ে সহপাঠীদের সঙ্গে তার বাকবিতণ্ডতা হয়।

ওই রাতেই বিচারকের মেয়ে ফেসবুক মেসেঞ্জার গ্রুপে তার সহপাঠীদের বস্তির মেয়ে উল্লেখ মেসেজ করেন। করে পোস্ট দেয়। সে লেখে, ‘তোরা বস্তির মেয়ে। আমার মা জজ। তোদের মায়েদের বল আমার মায়ের মতো জজ হতে।’ ওই পোস্টে বিচারকের মেয়ের চার সহপাঠী পাল্টা উত্তর দেয়। এ নিয়ে ওই বিচারক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাবেয়া খাতুনকে গত মঙ্গলবার অভিভাবকদের ডাকতে বলেন। মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে প্রধান শিক্ষকের ডাকে ওই ৪ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা বিদ্যালয়ে যান। সে সময় ওই বিচারক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে জেলে দেয়ার হুমকি দেন। এ সময় দুই অভিভাবককে ওই বিচারকের পা ধরে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করা হয়।

এ ঘটনায় বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করে।

বিষয়:

সাবমেরিন ক্যাবল বিচ্ছিন্ন: স্বাভাবিক হতে লাগবে ১ মাস

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

সারা দেশে গত পাঁচ দিন ধরে ইন্টারনেটে ধীরগতি পাচ্ছেন গ্রাহকরা। পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় স্থাপিত সাবমেরিন ক্যাবলের সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সংযোগে এ বিভ্রাট দেখা দিয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে কাজ করছে বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস পিএলসিও (বিএসসিপিএলসি)। তবে সহসাই ইন্টারনেটের স্বাভাবিক গতি ফিরছে না। ধীরগতির এ পরিস্থিতি চলতে পারে আরও এক মাস।

বিএসসিপিএলসি বলছে, ইন্দোনেশিয়ার জলসীমায় সমুদ্রের তলদেশে ফাইবার ক্যাবল কাটা পড়েছে। সেখানে মেরামতের কাজ চলছে। মেরামত শেষ হতে অন্তত ৫ সপ্তাহ লেগে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে মে মাসের শেষ নাগাদ সংযোগ স্বাভাবিক হতে পারে।

জানা গেছে, ১৯ এপ্রিল রাত ১২টা থেকে সারা দেশে ইন্টারনেটে ধীরগতি দেখা দেয়। বিএসসিপিএলসি জানতে পারে সিঙ্গাপুরে জলসীমায় কোথাও ফাইবার ক্যাবল কাটা পড়েছে।

পরে আরও অনুসন্ধানে জানা যায় সিঙ্গাপুর নয়, ইন্দোনেশিয়ার জলসীমায় সমুদ্রের তলদেশে ক্যাবল ‘ব্রেক’ করেছে। এতে দেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবলের (সিমিউই-৫) সংযোগ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়।

বিএসসিপিএলসি ব্যবস্থাপনা পরিচালক মির্জা কামাল আহমেদ জানান, সিমিউই-৫ (দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল) দিয়ে বাংলাদেশে প্রায় ১ হাজার ৬০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ সরবরাহ হয়। সেটা এখন পুরোপুরি বন্ধ।

বিএসসিপিএলসির মহাব্যবস্থাপক (চালনা ও রক্ষণ) সাইদুর রহমান জানান, মূলত ইন্দোনেশিয়ার সমুদ্র এলাকায় সিমিউই-৫ ক্যাবলটি ব্রেক করেছে। তারা এটা মেরামতে কাজ করছেন। আগামী মাস অর্থাৎ, মে মাসের তৃতীয় সপ্তাহের শেষ অথবা চতুর্থ সপ্তাহ নাগাদ কাজ শেষ হতে পারে।

ইন্টারনেট সেবাদাতাদের সংগঠন ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (আইএসপিএবি) মহাসচিব নাজমুল করিম ভুঁইয়া দ্রুত ব্যান্ডউইথ সরবরাহে সরকারের পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।

নাজমুল করিম ভুঁইয়া বলেন, ‘আমরা যতদূর জেনেছি, এখনো কাজই শুরু হয়নি। কনসোর্টিয়ামের কোনো জাহাজ না পাওয়ায় কাজ শুরু করতে দেরি হচ্ছে। জাহাজ পাওয়ার পর হয়তো কাজ শুরু হবে। তার মানে আমরা একটা বড় সমস্যায় পড়তে যাচ্ছি।’

তিনি বলেন, ‘গত ৪-৫ দিন ধরে গ্রাহকরা আমাদের অনবরত ফোন করছেন, খোঁজ নিচ্ছেন। ইন্টারনেটের ধীরগতির কারণে সফটওয়্যার নিয়ে যারা কাজ করেন, তারা বিপাকে পড়েছেন। ফ্রিল্যান্সাররাও এ নিয়ে আতঙ্কিত। সরকার এ সমস্যা সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ নেবে বলে প্রত্যাশা আমাদের।’

১ হাজার ৬০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ সরবরাহ করা দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবলের সংযোগ এখন পুরোপুরি বন্ধ। শুধুমাত্র প্রথম সাবমেরিন ক্যাবলে ৮০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ সরবরাহে রয়েছে। এত বিশাল সংখ্যক গ্রাহকের ইন্টারনেট সেবা কীভাবে চলছে, তা নিয়ে প্রশ্ন অনেকের।

বিএসসিপিএলসি সূত্র জানিয়েছে, বর্তমানে দেশে মোট ব্যান্ডউইথের ব্যবহার ৫ হাজার জিবিপিএসের বেশি। এর অর্ধেকেরও বেশি প্রায় ২ হাজার ৭০০ জিবিপিএস আন্তর্জাতিক টেরেস্ট্রিয়াল ক্যাবল (আইটিসি) লাইসেন্সের মাধ্যমে আসে, যা ভারত থেকে স্থলপথে ব্যান্ডউইথ আমদানি করতে ব্যবহৃত হয়।

বাকি ২ হাজার ৪০০ জিবিপিএসের মতো ব্যান্ডউইথ সরবরাহ করে বিএসসিপিএলসি। দুটি সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে এ ব্যান্ডউইথ সরবরাহ করা হয়। বাংলাদেশ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া-মধ্যপ্রাচ্য-পশ্চিম ইউরোপ-৪ (সিমিউই-৪) কনসোর্টিয়ামের সদস্য। ২০০৬ সালে বাংলাদেশ প্রথম সাবমেরিন ক্যাবলে যুক্ত হয়েছিল। এর ল্যান্ডিং স্টেশন কক্সবাজারে। এটি প্রায় ৮০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ সরবরাহ করে থাকে।

অন্যদিকে দেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল সিমিউই-৫ ঢুকেছে পটুয়াখালীর কুয়াকাটা হয়ে। দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে ১ হাজার ৬০০ জিবিপিএস সরবরাহ করা হয়। বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবলের উল্লেখযোগ্য পরিমাণ ব্যান্ডউইথ প্রথম সাবমেরিন ক্যাবলে শিফটিং করা হচ্ছে।

এ প্রসঙ্গে বিএসসিপিএলসির মহাব্যবস্থাপক (চালনা ও রক্ষণ) সাইদুর রহমান বলেন, ‘আমাদের বিকল্প অনেকগুলো উপায় রয়েছে। সেগুলো কার্যকর করা হচ্ছে। যদিও সব বিকল্প উপায়গুলো পুরোপুরি এখনো কার্যকর করা সম্ভব হয়নি। এমনকি প্রথম সাবমেরিন ক্যাবল যেটি সিমিউই-৪ নামে পরিচিত, সেটির পুরো ব্যান্ডউইথ বহনের সক্ষমতা রয়েছে। তবে এজন্য সংশ্লিষ্ট কোম্পানিকে বাড়তি খরচ দিতে হবে। এটা ছাড়াও আরও কিছু বিকল্প রয়েছে। সেগুলো নিয়েও কাজ চলছে।’


ডিইউজের নিন্দা,বিএফডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান

আপডেটেড ২৪ এপ্রিল, ২০২৪ ২১:০৫
নিজস্ব প্রতিবেদক

এফডিসিতে সাংবাদিকদের ওপর ন্যাক্কারজনক হামলার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)। এই ঘটনায় সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়।

নেতৃবৃন্দ বলেন, পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে সাংবাদিকরা যে বর্বরোচিত হামলার শিকার হলেন তা অতান্ত ন্যাক্কারজনক ও স্বাধীন সাংবাদিকতার জন্য হুমকি।

তারা অপরাধীদের কঠোর শাস্তি দাবি করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সুষ্ঠ তদন্ত নিশ্চিতের পাশাপাশি আহতদের সু-চিকিৎসাসহ ক্ষতিপূরণও দাবি করেন।

বিএফডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান

এদিকে আজ দুপুরে সাংবাদিকদের উপর এই ন্যাক্কারজনক হামলার প্রতিবাদে বিএফডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে প্রতিবাদ স্মারকলিপি প্রদান করা হয় এবং ঘটনার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করা হয়।

এসময় বিএফডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক স্মারকলিপি গ্রহণ করেন এবং এ ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার ব্যাপারে আশ্বাস প্রদান করেন।


সাংবাদিকদের উপর হামলার প্রতিবাদে এফডিসির সামনে মানববন্ধন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক জয় চৌধুরীর নেতৃত্বে গণমাধ্যমকর্মীদের উপর নারকীয় হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে সাংবাদিকরা।

টেলিভিশন ক্যামেরাম্যান জার্ণালিস্ট এসোসিয়েশনের ( টিসিএ) উদ্যোগে গতকাল বুধবার দুপুরে বিএফডিসি'র সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

এতে বক্তৃতা করেন বিএফইউজে'র সভাপতি ওমর ফারুক, মহাসচিব দীপ আজাদ, ডিইউজের নব-নির্বাচিত অন্যতম সভাপতি সাজ্জাদ আলম তপু, সোহেল হায়দার চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মুজতবা ধ্রব, বাচসাস'র সভাপতি রাজু আলীম, সাধারণ সম্পাদক রিমন মাহফুজ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাবু প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, সাংবাদিকরা নানাক্ষেত্রে আজ নির্যাতিত। তারা পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নানাভাবে বাধার সম্মুখীন হচ্ছে। চলচ্চিত্রে যারা অভিনয় করে তাদেরকে আমরা মননশীল করি। কিন্তু তারা যখন মাস্তানের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন, তখন তারা সমাজে কী বার্তা দেন
নারকীয় এই হামলার নেতৃত্ব দেওয়া জয় চৌধুরী শিবা শানু, ও আলেকজান্ডার বো'সহ জড়িত সবাইকে শিল্পী সমিতি থেকে সদস্যপদ বাতিলসহ আইনের আওতায় আনার দাবি জানান মানববন্ধন থেকে বক্তারা।

মানববন্ধনে আরো অংশ নেয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত বিনোদন বিটের সাংবাদিকরা।

মঙ্গলবার বিকালে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নব-নির্বাচিত কমিটির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান শেষে শিবা শানু, জয় চৌধুরী ও আলেকজান্ডার বো'র নেতৃত্বে সাংবাদিকদের ওপর হামলা করা হয়। এতে প্রায় ২০ জন সাংবাদিক আহত হন। হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ৪ জন। এ ঘটনার প্রতিবাদে সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে বিনোদন সাংবাদিকসহ নানা বিটে কর্মরত সাংবাদিকরা।

এদিকে ঘটনার তদন্তের জন্য ১১ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। যেখানে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি ও সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে পাঁচ জন করে রাখা হয়েছে। আর উপদেষ্টা হিসেবে আছেন প্রযোজক আরশাদ আদনান। দশ জনের তদন্ত কমিটিতে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে লিমন আহমেদ, রাহাত সাইফুল, আহমেদ তৌকির, বুলবুল আহমেদ জয়, আবুল কালাম এবং শিল্পী সমিতির পক্ষ থেকে মিশা সওদাগর, ডি এ তায়েব, নানাশাহ, রুবেল, রত্না।


র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার নতুন পরিচালক কমান্ডার আরাফাত

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ২৪ এপ্রিল, ২০২৪ ১৯:১৮
নিজস্ব প্রতিবেদক

র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) আইন ও গণমাধ্যম শাখার নতুন পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন কমান্ডার আরাফাত ইসলাম। বুধবার তিনি র‌্যাবের গুরুত্বপূর্ণ এ পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তিনি সদ্য বিদায়ী পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈনের স্থলাভিষিক্ত হলেন।

বুধবার সকালে র‌্যাবের সদর দপ্তরের আইন ও গণমাধ্যম শাখা থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

র‌্যাব জানায়, কমান্ডার আরাফাত ইসলাম বাংলাদেশ নৌবাহিনীর একজন চৌকস অফিসার। তিনি ১৯৯৫ সালে ৩৫তম বিএমএ লং কোর্সের সঙ্গে বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে অফিসার ক্যাডেট হিসেবে যোগদান করেন এবং ১৯৯৭ সালের ১ জুলাই এক্সিকিউটিভ ব্রাঞ্চে কমিশন লাভ করেন।

তিনি দীর্ঘদিন নৌবাহিনীতে ছোট ও মাঝারি বিভিন্ন জাহাজের অধিনায়ক হিসেবে অত্যন্ত সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন। কমান্ডার আরাফাত ইসলাম দেশ ও বিদেশে নৌবাহিনীর বিভিন্ন অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ওপর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। কমান্ডার আরাফাত ইসলাম ২০২২ সালের ২৬ ডিসেম্বর প্রেষণে র‌্যাব ফোর্সেসে যোগদান করেন। তিনি ২০২৩ সালের ২০ জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত র‌্যাব-১৩ এর অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

তিনি র‌্যাব-১৩ এর অধিনায়ক হিসেবে সততা, দক্ষতা ও একনিষ্ঠভাবে দীর্ঘ ১ বছর ৩ মাস দায়িত্ব পালন করে র‌্যাবের অভিযানিক কর্মকাণ্ড ত্বরান্বিত করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছেন। এছাড়াও তিনি রংপুর বিভাগীয় অঞ্চলে জঙ্গি দমন অভিযান, ক্লুলেস হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন, মাদকবিরোধী অভিযানসহ অন্যান্য অপরাধ দমনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। এছাড়াও তিনি র‌্যাব-১৩ এ দায়িত্ব পালনের সময়ে র‌্যাব-১৩ প্রথমবারের মতো ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে প্রশাসনিক দক্ষতায় শ্রেষ্ঠ হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে। কমান্ডার আরাফাত ইসলাম ২০০৭-২০০৯ সাল পর্যন্ত র‌্যাব-৪ ও র‌্যাব-৫ এর উপ-পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

তিনি বাংলাদেশ কোস্টগার্ডে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। তিনি জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে লেবানন এবং সাউথ সুদানে সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি র‌্যাবে কর্মরত থাকা অবস্থায় পেশাগত দক্ষতা প্রদর্শনের মাধ্যমে বাংলাদেশ পুলিশ পদক বিপিএম (সেবা), বাংলাদেশ নৌবাহিনী থেকে নৌ উৎকর্ষতা পদক (এনইউপি) এবং কোস্টগার্ড থেকে প্রেসিডেন্ট কোস্ট গার্ড মেডেল (পিসিজিএম) এ ভূষিত হয়েছেন। এছাড়াও তিনি নৌপ্রধানের প্রশংসা এবং জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন হতে ফোর্স কমান্ডার’স কমেন্ডেশন প্রাপ্ত হয়েছেন।

কমান্ডার আরাফাত ইসলাম নেভিগেশন অ্যান্ড ডাইরেকশনের ওপর বিশেষ স্পেশালাইজেশন সম্পন্ন করেন। তিনি আবহাওয়াবিদ্যায় উচ্চশিক্ষা অর্জন ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ ডিগ্রি অর্জন করেন। এছাড়াও তিনি বাংলাদেশ নৌবাহিনীর বিভিন্ন পরিসরের প্রশিক্ষক, কমান্ড ও স্টাফ অভিজ্ঞতা সম্পন্ন একজন চৌকস অফিসার। তিনি কর্মক্ষেত্রে অত্যন্ত সততা, পেশাদারিত্ব, পারদর্শিতা, উৎকর্ষতা ও বিচক্ষণতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে সুনাম অর্জন করে আসছেন।


ব্যাংকক পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে ছয় দিনের সরকারি সফরে স্থানীয় সময় বুধবার দুপুর ১টা ০৮ মিনিটের দিকে ব্যাংকক পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় ব্যাংককের ডন মুয়াং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে থাই উপপ্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনুতিন চার্নভিরাকুল তাকে স্বাগত জানান। বিমানবন্দরে তাকে স্ট্যাটিক গার্ড অব অনার এবং ১৯ বার গান স্যালুট দেওয়া হয়।

থাইল্যান্ডের মিনিস্টার ইন অ্যাটেনডেন্স পুয়াংপেত চুনলাইয়েদ, বাংলাদেশে থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত মাকাওয়াদি সুমিতমোর এবং থাইল্যান্ডে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবদুল হাই বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে, প্রধানমন্ত্রী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে সকাল ১০টা ১৩ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন।

১৯৭২ সালে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের পর এই প্রথম বাংলাদেশ থেকে থাইল্যান্ডে সরকারের শীর্ষ পর্যায়ে সফর। ২৪ থেকে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত সফরকালে থাভিসিনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী এবং জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (এসকাপ) ৮০তম অধিবেশনে যোগ দেবেন।


ছয় দিনের সফরের জন্য ঢাকা ত্যাগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি
আপডেটেড ২৪ এপ্রিল, ২০২৪ ১১:১২
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

থাইল্যান্ড ও বাংলাদেশের মধ্যকার সম্পর্ক আরও জোরদার করতে ছয় দিনের সফরের জন্য ঢাকা ত্যাগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার সকাল ১০টার কিছু পর বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে তিনি রওনা হয়েছেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর সহকারি প্রেসসচিব গুলশাহানা ঊর্মি।

প্রধানমন্ত্রীর স্পিচরাইটার মো. নজরুল ইসলাম জানান, প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট সকাল ১০টা ১৩ মিনিটের দিকে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে।

স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ৩০ মিনিটের দিকে ব্যাংককের ডন-মুয়াং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমানটির অবতরণের কথা রয়েছে। গত জানুয়ারিতে বর্তমান সরকার গঠনের পর এটিই প্রধানমন্ত্রীর প্রথম দ্বিপাক্ষিক সফর।

ব্যাংককে শেখ প্রধানমন্ত্রীকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাগত জানাবেন থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী শ্রেথা থাভিসিন। বাংলাদেশের সরকারপ্রধানকে বিমানবন্দরে লালগালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হবে। ওইদিন থাইল্যান্ডের গভর্নমেন্ট হাউসে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হবে দুই প্রধানমন্ত্রীর।

২৪ থেকে ২৯ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার থাইল্যান্ড সফর উপলক্ষে সোমবার তার মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘এটি একটি দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় উভয় সফর।’

তিনি বলেন, এই সফর উভয় পক্ষের জন্যই তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ, এতে দুই বন্ধুপ্রতিম দেশের (বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ড) মধ্যে সহযোগিতার নতুন জানালা উন্মোচিত হবে।

সফরকালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী থাভিসিনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা করবেন এবং জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএনএসক্যাপ) ৮০তম অধিবেশনে যোগ দেবেন।


ছয় দিনের সফরে আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

ফাইল ছবি
আপডেটেড ২৪ এপ্রিল, ২০২৪ ১০:৩৯
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী শ্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে ছয় দিনের সরকারি সফরে আজ সকালে দেশটির রাজধানী ব্যাংককের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন।

প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার নজরুল ইসলাম জানান, প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইট বুধবার সকাল ১০টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করবে। স্থানীয় সময় দুপুর দেড়টায় ব্যাংককের ডন মুয়াং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে বিমানটি।

এর আগে সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ‘এটি দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় উভয় ধরনের সফর।’

১৯৭২ সালে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের পর এই প্রথম বাংলাদেশ থেকে থাইল্যান্ডে সরকারের শীর্ষ পর্যায়ে সফর।

গত জানুয়ারিতে নির্বাচনে জয়লাভের পর কোনো দেশে শেখ হাসিনার এটিই প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফর।

২৪ থেকে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত সফরকালে থাভিসিনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী এবং জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (এসকাপ) ৮০তম অধিবেশনে যোগ দেবেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনার বিষয়ে লেটার অব ইনটেন্টসহ বেশ কয়েকটি সহযোগিতা দলিল সই হবে।

তিনি বলেন, দুই দেশের মধ্যে পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা অব্যাহতি, জ্বালানি সহযোগিতার বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) এবং সম্পর্ক সম্প্রসারণে পর্যটন খাতে সহযোগিতা ও শুল্ক সম্পর্কিত পারস্পরিক সহযোগিতা-সংক্রান্ত আরও দুটি সমঝোতা স্মারক সই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের পাশাপাশি থাইল্যান্ডের বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে বাংলাদেশ থাইল্যান্ডের সহযোগিতা চাইবে জানিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, নৌ সংযোগের বিষয়েও আলোচনা হবে।

২৬ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রীকে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী শ্রেথা থাভিসিন আনুষ্ঠানিকভাবে অভ্যর্থনা জানাবেন এবং তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হবে।

একই দিনে প্রধানমন্ত্রী থাভিসিনের সঙ্গে গভর্নমেন্ট হাউসে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন।

বৈঠকের পর দুই দেশের মধ্যে দলিল সই শেষে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেবেন দুই প্রধানমন্ত্রী।

এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সম্মানে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া রাষ্ট্রীয় মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেবেন।

সফরকালে থাইল্যান্ডের রাজা মহা ভাজিরালংকর্ন ফ্রা ভাজিরাকলাওচাওহুয়া এবং ও রানি সুথিদা বজ্রসুধাবিমালাক্ষণের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন প্রধানমন্ত্রী।

এর আগে এ বহুপক্ষীয় সফরে ২৫ এপ্রিল কমিশন ফর ইউএনএসকাপের ৮০তম অধিবেশনে যোগ দিয়ে সেখানে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

একই দিনে জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল এবং এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (এসকাপ) নির্বাহী সচিব আরমিদা সালসিয়া আলিসজাবানা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।

‘লিভারেজিং ডিজিটাল ইনোভেশন ফর সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট ইন এশিয়া অ্যান্ড দ্য প্যাসিফিক’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে অষ্টম অধিবেশনটি টেকসই উন্নয়নের জন্য ২০৩০ এজেন্ডা দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য ডিজিটাল উদ্ভাবনকে কাজে লাগাতে অঞ্চলব্যাপী সহযোগিতামূলক পদক্ষেপ জোরদার করার একটি সুযোগ হবে।

টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ডিজিটাল উদ্ভাবন কীভাবে আরও অন্তর্ভুক্তিমূলকভাবে অবদান রাখতে পারে তা নিয়ে আলোচনা করতে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সরকারি নেতা ও মন্ত্রী এবং অন্যান্য মূল স্টেকহোল্ডারদের এই অধিবেশনে একত্রিত করবে।


শুধু আইনশৃঙ্খলায় নয়, মানবিকতায়ও নজির স্থাপন করেছে পুলিশ: ডিএমপি কমিশনার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেছেন, পুলিশ শুধু আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নয় বরং মানবিকতায়ও অনন্য নজির স্থাপন করেছে। চলমান তাপপ্রবাহে ডিএমপির পক্ষ থেকে ৫০টি থানা এলাকার বিভিন্ন স্থান যেমন- বাজার, বাস স্টপেজ, মার্কেটসহ বিভিন্ন জায়গায় নিরাপদ খাবার পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে। যাতে সাধারণ শ্রমজীবী, রিকশাচালক ও নিম্ন আয়ের মানুষ নিরাপদ খাবার পানি পান করতে পারেন। মঙ্গলবার ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘গত কয়েক দিন ধরেই সারা দেশে প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ চলছে। ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা সব সময় রাস্তায় থেকে কাজ করেন। রাস্তার ট্রাফিক শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রচণ্ড রোদ বা বৃষ্টি সবকিছু উপেক্ষা করে তাদের কাজ করতে হয়। এমনকি তারা বিশ্রামের সুযোগও পান না। আর চলমান দাবদাহের সময় তৃষ্ণা বা পিপাসার্ত হয়ে যাওয়ার প্রবণতা থাকে। এর বাইরে আমরা কিছু জায়গায় স্থায়ীভাবে পানির ট্রলি দিয়েছি। আর বেশ কয়েকটি জায়গায় ভ্রাম্যমাণ কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। মহানগর এলাকায় যারা রয়েছেন তাদের সেবা দেওয়ার জন্য আমাদের এই প্রচেষ্টা।’

তিনি বলেন, ‘ঢাকা মহানগর পুলিশ এবং পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের পক্ষ থেকে ট্রাফিক পুলিশদের খাবার পানি, স্যালাইন, গ্লুকোজ, লেবুর শরবত দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।’

কমিশনার বলেন, ‘পুলিশ শুধু আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজে জড়িত থাকে না বরং মানবিক কার্যক্রমে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করে। আমি মনে করি, করোনাকালীন সময়ে সাধারণ মানুষের পাশে থেকে মানবসেবা করে বাংলাদেশ পুলিশ সারা বিশ্বে একটি অনন্য নজির স্থাপন করেছে। সেই ধারাবাহিকতা এখনো বজায় রয়েছে। আজকেও শ্রমজীবী মানুষের জন্য ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় পানি বিতরণ করা হচ্ছে। আমরা আশা করি পুলিশ এই কার্যক্রম সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর প্রচেষ্টার একটি অংশ।’

চলমান তাপপ্রবাহে সড়কে দায়িত্বপালন করা ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের ইউনিফর্ম পরিবর্তন করার কোনো চিন্তা রয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত এমন কোনো চিন্তা নেই। আমাদের যে পোশাক রয়েছে তার বাইরে গিয়ে বিকল্প পোশাক পরিধানের কোনো চিন্তা-ভাবনা এখন আমাদের নেই। তবে যে কালো ছাতাটি রয়েছে সেটির বদলে সাদা ছাতা দেওয়ার হবে, যেন গরম কম লাগে। একই সঙ্গে রোদে বা তাপপ্রবাহে কোনো পুলিশ সদস্য অসুস্থ হয়ে গেলে সেবা দেওয়ার জন্য পুলিশ হাসপাতাল সার্বক্ষণিক প্রস্তুত রাখা হয়েছে।’

ওই ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ফারুক হোসেন, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (স্টাফ অফিসার টু কমিশনার) মো. এনায়েত করিম, গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার কে এন রায় নিয়তিসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।


প্রিলিমিনারি পরীক্ষার আসনবিন্যাস প্রকাশ

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

৪৬তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার (এমসিকিউ টাইপ) আসনবিন্যাস প্রকাশিত হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৪৬তম বিসিএস পরীক্ষার প্রিলিমিনারি টেস্ট আগামী শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ঢাকাসহ ৮টি বিভাগীয় শহরের ২১৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একযোগে হবে। উক্ত পরীক্ষার সময়সূচি, হলভিত্তিক আসন ব্যবস্থা ও গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। কর্ম কমিশনের ওয়েবসাইট ভিজিট করে এ সংক্রান্ত তথ্যাদি জানা যাবে।

এর আগে, পরীক্ষায় দায়িত্ব পালনের জন্য ১০৬ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দিয়েছে সরকার। গতকাল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। এতে বলা হয়, আগামী ২৬ এপ্রিল সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৪৬তম বিসিএস প্রিলিমিনারি টেস্ট (এমসিকিউ টাইপ) পরীক্ষা ঢাকার ৯৬টি কেন্দ্রে একযোগে অনুষ্ঠিত হবে।

পরীক্ষা চলাকালে কেন্দ্রের ভেতরের ও বাইরের শৃঙ্খলা রক্ষার্থে ঢাকার ৯৬টি পরীক্ষা কেন্দ্রের প্রতিটির জন্য একজন করে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়া হলো। পাশাপাশি বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন সচিবালয়ের কন্ট্রোল রুমে অতিরিক্ত আরও ১০ জন বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের কর্মকর্তাকে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা অর্পণ করে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, ঢাকার কেন্দ্রগুলোর জন্য নিয়োগ করা এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটদের আগামী ২৩ এপ্রিল বেলা ১১টায় বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন ভবনে অনুষ্ঠিত ব্রিফিং সেমিনারে উপস্থিত হওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হলো। পাশাপাশি পরীক্ষার দিন অর্থাৎ ২৬ এপ্রিল বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন সচিবালয়ে রিপোর্ট করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হলো।


মিয়ানমারের কারাগার থেকে ফিরছেন ১৭৩ বাংলাদেশি

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের সিতোয়ে কারাগার থেকে ১৭৩ জন বাংলাদেশি নাগরিক দেশে ফিরছেন। আজ মঙ্গলবার ইয়াঙ্গুনের বাংলাদেশ দূতাবাস এ তথ্য জানিয়েছে।

এ দিন সকালে এসব বাংলাদেশি নাগরিককে নিয়ে মিয়ানমারের নৌ-জাহাজ চিন ডুইন সিতোয়ে বন্দর ত্যাগ করেছে। জাহাজটি রাখাইন রাজ্যে সংঘাতের কারণে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে আসতে বাধ্য হওয়া মিয়ানমারের প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যদের ফিরিয়ে নিতে কক্সবাজার আসছে।

আগামীকাল বুধবার জাহাজটি বাংলাদেশের সমুদ্রসীমায় পৌঁছাবে এবং পরে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে বাংলাদেশের নাগরিকদের হস্তান্তর করা হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

দূতাবাস জানায়, বাংলাদেশি ১৭৩ জনের মধ্যে ১২৯ জন কক্সবাজার, ৩০ জন বান্দরবান, সাতজন রাঙামাটি এবং খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী, নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রাম, রাজবাড়ী, নরসিংদী ও নীলফামারী জেলার একজন করে বাসিন্দা আছেন।

ইয়াঙ্গুনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস মিয়ানমারের জাহাজটির বাংলাদেশ সফরে যাওয়ার তথ্য পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বাংলাদেশের পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং মিয়ানমারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে বিষয়টি তুলে ধরে। সর্বোচ্চ সংখ্যক যাচাই করে বাংলাদেশি নাগরিকদের দ্রুত ও সহজে ফেরত পাঠানোর পরিকল্পনায় দূতাবাস মিয়ানমারের বিভিন্ন কারাগারে অবস্থানরত ১৪৪ জন ‘যাচাই করা বাংলাদেশি নাগরিক, যাদের কারাভোগের মেয়াদ পূর্ণ হয়েছে বা ক্ষমা পেয়েছেন’ তাদেরকে সিতোয়ে কারাগারে আনতে উদ্যোগ নেয়।

পাশাপাশি আরও ২৯ জন যাচাই করা বাংলাদেশি নাগরিক, যারা এখনো কারাভোগরত কিংবা বিচারাধীন, একই সঙ্গে তাদেরও মুক্তি দেওয়ার বিষয়টি মিয়ানমারের কাছে তুলে ধরা হয়। যার ভিত্তিতে সাজা মওকুফ করে তাদেরও দেশে পাঠানো হয়।

উল্লেখ্য, সর্বশেষ ৩ অক্টোবর দুই দেশের সীমান্ত রক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যে অনুষ্ঠিত পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে মিয়ানমারে কারাভোগ শেষ করা ২৯ জন বাংলাদেশি নাগরিককে দেশে পাঠানো হয়। ইয়াঙ্গুনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস এবং বাংলাদেশ কনস্যুলেট, সিতোয়ে সেই প্রত্যাবাসনের পর থেকেই মিয়ানমারে অবশিষ্ট বাংলাদেশি নাগরিকদের দেশে পাঠাতে নিরলস কাজ করে চলেছে। বাংলাদেশ দূতাবাস, ইয়াঙ্গুন এবং বাংলাদেশ কনস্যুলেট, সিতোয়ের প্রতিনিধিরা বিগত কয়েক দিন ধরে সশরীরে অবস্থান করে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয়, যাচাইকরণ প্রক্রিয়া পরিচালনা এবং প্রত্যাবর্তনকারীদের ভ্রমণের অনুমতি (ট্রাভেল পারমিট) দেওয়া সংক্রান্ত কাজ করেছেন।


স্ত্রীর সনদবাণিজ্য নিয়ে কিছুই জানেন না

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান আলী আকবর খান বলেছেন, ‘আমার স্ত্রী সেহেলি পারভীনের সার্টিফিকেট-বাণিজ্যের ঘটনায় আমি কিছুই জানি না। তবে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের প্রধান হিসেবে সার্টিফিকেট-বাণিজ্যের দায় অবশ্যই আমি এড়াতে পারি না।’

আজ মঙ্গলবার প্রায় তিন ঘণ্টা ডিবি কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

সাবেক চেয়ারম্যান আলী আকবর খান বলেন, ‘একটি ঘটনা ঘটেছে, এ বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া উচিত। প্রকৃত ঘটনা উদ্ঘাটন করে তাদের শাস্তির ব্যবস্থা করা উচিত। এ ক্ষেত্রে আমরা লজ্জিত ও দুঃখিত।’

স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তার সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘আমার স্ত্রীর বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। গোয়েন্দা সংস্থা কী তথ্য পেয়েছে, তাও জানি না।’

সার্টিফিকেট-বাণিজ্যের বিষয়ে কারিগরি বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান বলেন, ‘গোয়েন্দা সংস্থা বের করেছে, এর বেশি কিছু জানি না। সার্টিফিকেটের কাগজ ওয়েবসাইটে পাইনি।’

২০ লাখ টাকা ঘুষের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এটি মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। এটির তদন্ত চলছে।’

কী পরিমাণ সার্টিফিকেট-বাণিজ্য হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান আলী আকবর খান বলেন, ‘মিডিয়ায় শুনতে পেয়েছি পাঁচ কি সাড়ে পাঁচ হাজার। তবে এ বিষয়ে আমাদের কাছে কোনো তথ্য নেই কতগুলো হয়েছে।’

আপনার স্ত্রী বিনা অপরাধে জেল খাটছে বলে মনে করেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি বিনা অপরাধেই জেল খাটছে।’

আপনাকে ওএসডি করা হয়েছে কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মিডিয়ায় একটি সংবাদ চলে আসছে এবং ডিবির কাছে তথ্য আছে, সে জন্য দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

এদিকে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সনদ জালিয়াতির ঘটনায় আলী আকবর খান দায় এড়ানোর চেষ্টা করেছেন বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) প্রধান হারুন অর রশীদ। আজ ডিবি কার্যালয়ে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় প্রতিষ্ঠানটির সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান আলী আকবর খানকে। পরে ডিবি কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

হারুন অর রশীদ বলেন, ‘আগারগাঁওয়ের পীরেরবাগ, পাইকপাড়ায় সিস্টেম এনালিস্ট শামসুজ্জামানের বাসায় অভিযান চালানো হয়েছিল। সেখানে তিনি জাল সনদের কারখানা তৈরি করেছিলেন। তিনি কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে সার্টিফিকেটের হাজার হাজার কাগজ এনে জালিয়াতি করতেন! সনদ জালিয়াতির ঘটনায় আমরা ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছি। এর মধ্যে ৫ জন সব দোষ স্বীকার করে এ ঘটনায় আর কারা জড়িত ও দায় রয়েছে সে সম্পর্কে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।’

তিনি বলেন, ‘সদ্য ওএসডি হওয়া চেয়ারম্যানের স্ত্রীকে আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন যে, তিনি সিস্টেম অ্যানালিস্ট শামসুজ্জামানের কাছ থেকে টাকা নিয়েছিলেন। শামসুজ্জামান ও কারিগরির চেয়ারম্যানের স্ত্রী আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সদ্য ওএসডি হওয়া চেয়ারম্যান ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রককে আমরা ডিবি কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি।’

ডিএমপির ডিবিপ্রধান বলেন, ‘আমরা জানতে চেয়েছি- কীভাবে সার্টিফিকেট চুরির পর ওয়েবসাইটের পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে আপলোড করে অনিয়ম করা হয়েছে দিনের পর দিন, মাসের পর মাস? তিনি একজন চেয়ারম্যান। তিনি এ প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্ব দেন। সেই প্রতিষ্ঠান থেকে কাগজ নিয়ে যাচ্ছে, সিসিটিভি আছে, তারা দেখছেন। তবু এই জালিয়াতি হলো! আবার পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক সার্টিফিকেটগুলোতে স্বাক্ষর করে গেছেন মাসের পর মাস। কলেজগুলোর পরীক্ষার সঙ্গে মিলিয়ে দেখে সার্টিফিকেটে স্বাক্ষর করার কথা, তিনি সেটি করেননি।’

হারুন বলেন, ‘কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের নজিরবিহীন জাল-জালিয়াতির বিষয়টি ইতিহাসে শিক্ষাব্যবস্থার জন্য কলঙ্কিত ও কালো অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত করার মতো ঘটনা। আমি মনে করি, কারিগরির চেয়ারম্যান দায় এড়াতে পারেন না। কোনো সুযোগ নেই। আমরা এখন দেখব, তিনি আসলে সনদ বিক্রির বিষয়টি জানতেন কি না? তার তো জানার কথা? তিনি তো আসল সার্টিফিকেট বিক্রির মাধ্যমে শিক্ষা ও জাতির মেরুদণ্ড ভেঙে দিয়েছেন। একটা মানুষ পরিশ্রম করেও ভালো রেজাল্ট করতে পারছে না, সেখানে পড়াশোনা না করেই টাকা দিয়ে আসল সার্টিফিকেট কিনে নিচ্ছে। এটা কাঙ্ক্ষিত নয়।’

ডিবির এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘সনদ জালিয়াতির ঘটনায় তার দায় সম্পর্কে সঠিক ব্যাখ্যা দিতে হবে। প্রয়োজনে তাকে এক-দুদিনের সময় দেব। তিনি যদি সঠিক ব্যাখ্যা দিতে না পারেন আর আমরা যদি তার সংশ্লিষ্টতা বা অনৈতিক যোগসাজশের তথ্য-প্রমাণ পাই, তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণ করব।’

যারা অন্যায় কাজ করেছেন, রক্ষক যদি ভক্ষকের ভূমিকা পালন করেন, সরিষার মধ্যে যদি ভূত থাকে, তাহলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না বলে জানান ডিএমপির ডিবিপ্রধান।


ইউপি চেয়ারম্যানরা পদে থেকেই উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানরা পদত্যাগ না করেই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন বলে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ সংক্রান্ত বিষয়ে দায়ের করা আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. বজলুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ মঙ্গলবার এই আদেশ দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ড. শাহদীন মালিক। তিনি সাংবাদিকদের আদালতের আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

আইনজীবীরা জানিয়েছেন, এই আদেশের ফলে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিতে ইউপি চেয়ারম্যানদের পদত্যাগ করতে হবে না।

কুষ্টিয়া ও সিলেটের দুটি উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থিতা প্রশ্নে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের আনা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে এমন আদেশ দিলেন উচ্চ আদালত।


দুবাইয়ে বন্দরের জেটিতে ভিড়েছে এমভি আবদুল্লাহ

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
চট্টগ্রাম ব্যুরো

সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাত থেকে মুক্ত জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ দুবাইয়ের আল হামরিয়া বন্দরের জেটিতে ভিড়েছে। জিম্মিদশা থেকে মুক্তি পাওয়ার ৯ দিন পর গতকাল সোমবার আমিরাতের স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ৭টায় জাহাজটি সমুদ্রবন্দরের জেটিতে নোঙর করে। কেএসআরএম সূত্রে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

ওই রাতে জাহাজ পরিদর্শনে যান মালিকপক্ষের লোকজন, আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আবু জাফর ও বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল বিএম জামালসহ কর্মকর্তারা।

এ সময় বাংলাদেশ মিশনের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে বরণ করা হয় তাদের। তারা জানান, জাহাজের ২৩ নাবিকই সুস্থ রয়েছে।

এদিকে কেএসআরএম গ্রুপের ডিএমডি শাহরিয়ার জাহান রাহাতের নেতৃত্বে একটি টিম দুবাই গেছেন। বাংলাদেশ থেকে যাওয়া কেএসআরএম গ্রুপের টিমটি নাবিকদের বরণ করে নেন।

কেএসআরএম গ্রুপের গণমাধ্যম উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম জানান, জাহাজটি বন্দরের জেটিতে ভিড়েছে। নাবিকরা সবাই সুস্থ আছেন। নাবিকরা ফুরফুরে মেজাজে রয়েছেন বলেও তিনি জানান।

কেএসআরএম গ্রুপের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই মুহূর্তে নাবিকরা চাইলে বাইরে আসতে পারবে না। কারণ, আরব আমিরাতে প্রবেশের জন্য এখনো তাদের ভিসা হয়নি। আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাদের ভিসার জন্য আবেদন করা হবে।

জাহাজের মালিকপক্ষ জানায়, এখন জাহাজের কয়লা খালাসের প্রক্রিয়া শুরু হবে। এরপর নতুন করে কার্গো ভর্তি করার পর দেশে ফেরার প্রস্তুতি নেওয়া হবে।

এদিকে প্রশাসনিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে দেশটির আজমান প্রদেশে বাংলাদেশ মিশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন কেএসআরএম গ্রুপের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর শাহরিয়ার জাহান।

জাহাজটি ২১ এপ্রিল বিকেলে আল হামরিয়া বন্দরের বহির্নোঙরে নোঙর করে। গতকাল ২২ এপ্রিল এটি নোঙর ফেলে জেটিতে। আগে জাহাজটি ২২ এপ্রিল নোঙর করবে বলে জানিয়েছিল জাহাজটির মালিকপক্ষ। তারা আরও জানিয়েছেন পণ্য খালাসের কার্যক্রম শেষ করার পর শুরু হবে নাবিকদের দেশে ফেরার প্রক্রিয়া। ১৩ এপ্রিল বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাত ৩টায় জলদস্যু মুক্ত হয় জাহাজটি। এরপর আরব আমিরাতের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে নাবিকরা।

গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগরে জলদস্যুর কবলে পড়ে ২৩ নাবিকসহ বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। জলদস্যুরা জাহাজে উঠে নাবিকদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে জাহাজটিকে সোমালিয়ার উপকূলে দস্যুদের নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকায় নিয়ে যেতে বাধ্য করে। একপর্যায়ে সুবিধাজনক স্থানে জাহাজটি নোঙর করায় দস্যুরা। এরপর মুক্তিপণের বিষয়ে দেনদরবার শুরু হয়।


banner close