শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

স্বাধীনতা দিবসে ডাকটিকিট অবমুক্ত করলেন প্রধানমন্ত্রী

রোববার গণভবনে এক অনুষ্ঠানে ১০ টাকার স্মারক ডাকটিকিট, ১০ টাকার উদ্বোধনী খাম এবং পাঁচ টাকার ডাটা কার্ড উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: ফোকাস বাংলা
আপডেটেড
২৬ মার্চ, ২০২৩ ১৪:০১
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত : ২৬ মার্চ, ২০২৩ ১২:৪৮

মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার গণভবনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ১০ টাকার স্মারক ডাকটিকিট, ১০ টাকার উদ্বোধনী খাম এবং পাঁচ টাকার ডাটা কার্ড উন্মোচন করেন সরকারপ্রধান। অনুষ্ঠানে একটি বিশেষ সীলমোহর ব্যবহার করা হয়েছিল।

এরপর প্রধানমন্ত্রী বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রকাশিত ‘মুজিবস বাংলাদেশ’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন।

ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলীসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।


একটি মহল গুজব ছড়িয়ে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে একটি মহল সাধারণ মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে বলে দাবি করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

আজ শনিবার কোটা সংস্কার আন্দোলনে ক্ষাতিগ্রস্ত হওয়া নারায়ণগঞ্জের সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনের পর জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী একথা বলেন।

তিনি বলেন, ছাত্র আন্দোলনের নেতারা নতুন যে ৮ দফা দাবি দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন তার মধ্যে যৌক্তিক দাবিগুলো পর্যায়ক্রমে মেনে নেওয়া হবে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, কোটা আন্দোলনের সমন্বয়কারী তিনজনকে নিরাপত্তা হেফাজতে রাখা হয়েছে। কারা তাদের আক্রমণ করতে চায় সে বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পরিদর্শনের সময় উপস্থিত ছিলেন আইজিপি আব্দুল্লাহ আল মামুন, স্থানীয় সংসদ সদস্য শামীম ওসমান, ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি নূরুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক মো. মাহমুদুল হক, পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেলসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।


সন্ধ্যা পর্যন্ত ইন্টারনেটের ধীরগতি থাকার সম্ভাবনা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০

দেশের প্রথম সাবমেরিন কেবল সি-মি-উই-৪ এর সিঙ্গাপুর প্রান্তে রক্ষনাবেক্ষণের কাজ চলছে। তাই কক্সবাজার থেকে সিঙ্গাপুর রুটে যুক্ত সার্কিটগুলোর মাধ্যমে দেওয়া ইন্টারনেট সেবা সাময়িকভাবে বন্ধ রয়েছে।

আজ শনিবার বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস পিএলসির (বিএসসিপিএলসি) মহাব্যবস্থাপক (চালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ) সাইদুর রহমান একথা বলেছেন।

এই সার্কিটের সঙ্গে যুক্ত গ্রাহকদের আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত ইন্টারনেট ব্যবহারে কিছুটা ধীরগতির মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি বলেন, দেশের প্রথম সাবমেরিন ক্যাবল (সি-মি-উই-৪) সিস্টেমের সিঙ্গাপুর প্রান্তে টুয়াস ল্যান্ডিং স্টেশনের কাছে কনসোর্টিয়াম কর্তৃক ল্যান্ড ক্যাবলের ত্রুটি নিরসনের লক্ষ্যে রক্ষণাবেক্ষণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ফলে এই সময়ে সি-মি-উই-৪ এর মাধ্যমে কক্সবাজার থেকে সিঙ্গাপুর রুটে যুক্ত সার্কিটগুলোর মাধ্যমে সেবা সাময়িকভাবে ব্যাহত হবে। তবে আজ সন্ধ্যা ৬টার মধ্যেই কাজ শেষ হবে বলেও জানান তিনি।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানি লিমিটেড (বিএসসিপিএলসি) সি-মি-উই-৪ এবং সি-মি-উই-৫ নামের দুটি আন্তর্জাতিক সাবমেরিন কেবল কনসোর্টিয়ামের (কোম্পানি) সদস্য। যেটি বাংলাদেশে সাবমেরিন ক্যাবলসের অধিক ক্ষমতা ও পর্যাপ্ততা নিশ্চিত করে। বর্তমানে সি-মি-উই-৪ এবং সি-মি-উই-৫ কেবল দুটির মাধ্যমে বাংলাদেশের ইন্টারনেট এবং আন্তর্জাতিক ভয়েস ট্র্যাফিক চলছে।

সি-মি-উই-৪ এর জন্য বিএসসিসিএল এর কেবল ল্যান্ডিং স্টেশন রয়েছে কক্সবাজারে। আর সি-মি-উই-৫ এর জন্য বিএসসিসিএল এর ল্যান্ডিং স্টেশন চালু হয়েছে পটুয়াখালীর কুয়াকাটাতে।


ঐক্যের ডাকে প্রমাণ হয়েছে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তিই বিএনপির দোসর

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, জামায়াতকে সঙ্গে নিয়ে ঐক্যের ডাক দিয়ে আবার প্রমাণ হয়েছে জামায়াত-বিএনপির সম্পর্ক অবিচ্ছেদ্য এবং স্বাধীনতা বিরোধী শক্তিই বিএনপির দোসর। আজ শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মিথ্যা, বানোয়াট ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিবৃতির নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাতেই এই বিবৃতি প্রদান করা হয়।

কাদের বলেন, মির্জা ফখরুলের জাতীয় ঐক্যের আহ্বান হলো মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও স্বাধীনতার মূল্যবোধ বিরোধী এবং দেশ বিরোধী অপশক্তির ঐক্য! উগ্রবাদ, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসীদের ঐক্য! জামায়াতকে সঙ্গে নিয়ে ঐক্যের ডাক দিয়ে বিএনপি আবার প্রমাণ করল জামায়াত-বিএনপির সম্পর্ক অবিচ্ছেদ্য এবং স্বাধীনতা বিরোধী শক্তিই বিএনপির দোসর।

তিনি বলেন, এই ঐক্যের ডাক এই দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি। আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতান্ত্রিক শক্তিসমূহকে স্বাধীনতা বিরোধী বিএনপি-জামায়াতের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ থেকে এদের প্রতিরোধের আহ্বান জানাচ্ছি।

সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল সন্ত্রাস, সহিংসতা ও হত্যাকাণ্ডের দায় এড়ানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রবঞ্চনামূলক অপকৌশল গ্রহণ করছেন। বিএনপি-জামায়াতের ক্যাডাররা সশস্ত্র হয়ে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় নারকীয় ধ্বংসযজ্ঞ ও পৈশাচিক হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে। স্বাধীন বাংলাদেশে এই ধরনের ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড নজিরবিহীন এবং তা জনসাধারণের মনে দগদগে ক্ষতের সৃষ্টি করেছে।

তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত ও তাদের দোসররা কোনো ভাবেই এর দায় এড়াতে পারে না। তাদের সশস্ত্র সন্ত্রাসী বাহিনী হত্যাযজ্ঞ চালানোর গভীর চক্রান্ত নিয়ে মাঠে নেমেছিল। সরকারের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ ধৈর্য ও সংযম নিয়ে এই হত্যাযজ্ঞ এবং ধ্বংসযজ্ঞ মোকাবেলা করা হয়েছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, সরকার কোনোভাবেই চায়নি কারও প্রাণহানি ঘটুক। বিপরীত দিকে বিএনপি-জামায়াত ছাত্রদল-শিবিরের টার্গেটই ছিল লাশের রাজনীতি। এদের সশস্ত্র ক্যাডারদের মোকাবেলার জন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি আওয়ামী লীগের নিরস্ত্র নেতাকর্মীরা সতর্কাবস্থায় ছিল।

কাদের বলেন, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষা এবং জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছে।

সড়ক পরিবহন মন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াতের প্রশিক্ষিত ক্যাডাররা ধ্বংসযজ্ঞ ও হত্যাকাণ্ডের মিশনে সারা দেশ থেকে ঢাকায় এসে জড়ো হয়েছিল। এই সন্ত্রাসীরা বিটিভি ভবন, সেতু ভবন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ভবন, বিআরটিএ ভবন, মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের টোলপ্লাজা, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ভবন, বিভিন্ন সরকারি হাসপাতাল, থানা ও পুলিশ বক্সসহ বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় স্থাপনায় ধ্বংষযজ্ঞ চালিয়েছে এবং লুটপাট করেছে। হত্যা-গুপ্তহত্যা ও নারকীয় ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে তারা আবার ছড়িয়ে পড়েছে। এই সকল সন্ত্রাসীকে আইনের আওতায় আনার জন্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৎপর রয়েছে।

হত্যাকাণ্ড ও ধ্বংসযজ্ঞের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তে বিচার বিভাগীয় কমিটি গঠন করা হয়েছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, পাশাপাশি পুলিশি তদন্ত চলমান রয়েছে। সংঘটিত কোনো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের তদন্তের বাইরে থাকবে না। এই সন্ত্রাসী বাহিনীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণকে মির্জা ফখরুল গণগ্রেপ্তার হিসেবে অভিহিত করে রাজনৈতিক রঙ দেওয়ার চেষ্টা করছে।

কোনো গণগ্রেপ্তার হচ্ছে না জানিয়ে তিনি বলেন, নিরাপরাধ কেউ কোনো প্রকার হয়রানির শিকার হবে না। সুনির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতেই সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। দেশের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আমরা আইনের সর্বোচ্চ সুষ্ঠু প্রয়োগ করবো। কোনো অপরাধীকে ছাড় দেওয়া হবে না।


আন্দোলনে পুলিশ বাহিনী বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে: ধর্মমন্ত্রী

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

কোটা সংস্কার আন্দোলনে পুলিশ বাহিনী সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান। আজ শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ ইউনাইটেড ইসলামী পার্টির উদ্যোগে আয়োজিত কোটা সংস্কারের নামে বিএনপি, জামায়াতের রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংসের প্রতিবাদে মানববন্ধনে তিনি এ কথা বলেন।

ধর্মমন্ত্রী বলেন, ছাত্ররা কোটা সংস্কারের নামে যে আন্দোলন করেছে সে আন্দোলনকে আমরা সমর্থন করি। ছাত্ররা যা করেছে ঠিক করেছে এবং প্রধানমন্ত্রী ছাত্রদের কথা রেখেছেন। ছাত্রদের আন্দোলনে সুযোগ নিয়ে বিএনপি জামায়াত ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চেয়েছিল। এ আন্দোলনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আমাদের পুলিশ বাহিনী। আজকে পুলিশ বাহিনীর অনেক সদস্য হাসপাতালে কাতরাচ্ছেন। পুলিশ বাহিনীর অনেক সদস্যকে মেরে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।

ধর্মমন্ত্রী আরও বলেন, আজকে মেট্রোরেলের মাধ্যমে মানুষ খুব অল্পসময়ের মধ্যে আসা-যাওয়া করতে পারতো, এখন সে মেট্রোরেলে হামলা চালানো হয়েছে। এখন সাধারণ জনগণ যাতায়াত করতে কষ্ট পাচ্ছেন। বাংলাদেশকে অচল করে দেওয়ার জন্য দেশের প্রত্যেকটা গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় তারা (বিএনপি-জামায়াত) হামলা করেছে। ক্ষয়ক্ষতি করার চিন্তা যারা করে ইসলাম তাদের কখনো সমর্থন করে না। যারা দেশ জুড়ে এ ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে তাদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক।


মোবাইল অপারেটরদের সঙ্গে বৈঠক কাল: পলক

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, মোবাইল ইন্টারনেট তথা ফোরজি চালুর জন্য রোববার (২৮ জুলাই) মোবাইল অপারেটরদের সঙ্গে বৈঠক করা হবে। আজ শনিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ডাকভবনে সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫৪তম জন্মদিন উপলক্ষে সারা দেশে এক লাখ গাছের চারা রোপণে ‘শান্তির জন্য বৃক্ষ ট্রি ফর পিস’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

পলক বলেন, আগামীকাল রোববার মোবাইল ফোন অপারেটরদের সঙ্গে বৈঠক করে মোবাইল ইন্টারনেট চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। শিগগরিই মোবাইল ইন্টারনেট খুলে দেওয়া হবে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগামীকাল সকাল ৯টায় আমরা এমটবের সঙ্গে বৈঠক করবো। বৈঠকে সন্তুষ্ট হলে রবি-সোমবার মোবাইলের ফোরজি নেটওয়ার্ক খুলে দেওয়া হবে।

তিনি বলেন, আমরা ইন্টারনেট শাটডাউন করিনি। ইন্টারনেট বন্ধ হয়েছিল তিনটি ডেটা সেন্টার ও শত শত কিলোমিটার তার পুড়িয়ে দেওয়ার জন্য। এজন্য শুধু টেলিকম খাতে ৫০০ কোটি টাকা এবং সব মিলিয়ে শত কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।

নাশকতা পরিকল্পিত উল্লেখ করে পলক বলেন, ১৮ জুলাইয়ের মোবাইল অপারেটরদের তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ঢাকার উত্তরা, রামপুরা, মোহাম্মাদপুর, যাত্রাবাড়ী ও গাজীপুরে ৫০ হাজার থেকে এক লাখ নতুন সিম কার্ড ব্যবহার করা হয়েছে।

ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে তিনি বলেন, ঢাক বিভাগের ১৭টি জায়গায় হামলা হয়েছে। মহাখালীতে তিনটি ডেটা সেন্টারে ১৮টি আইআইজির সিস্টেম রয়েছে। সেখানে থাকা আইএসপির ৭০ শতাংশ সার্ভার থাকে। তাই ইন্টারনেট একা একাই বন্ধ হয়েছে। আমরা বন্ধ করিনি।

বিটিআরসি চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, টেলিযোগাযোগ খাতে আঘাত আসায় এখনো কিছু ক্যাশ সার্ভার মেরামতের কাজ চলছে। হয়তো দুই চার দিনের মধ্যে টেলিযোগাযোগ পুরোপুরি আগের অবস্থায় ফিরে আসবে। দেশে থাকা চার হাজারের ওপর ক্যাশ সার্ভার ঠিক হতে সময় লাগবে। গুগলের সব ক্যাশ সার্ভার পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা হবে।

আইএসপিএবি সভাপতি ইমদাদুল হক বলেন, ইন্টারনেট এখন আমাদের মৌলিক অধিকার। কিন্তু দুর্বৃত্তদের হামলায় মহাখালীতে সার্ভার ও তার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ইন্টারনেট বিচ্ছিন্ন ছিল। এই সেবা এখন ধীরে ধীরে চালু হচ্ছে। শিগগিরই ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা আগের অবস্থায় ফিরে আসবে। ৯০ শতাংশ সমস্যা রিস্টোর করা হয়েছে। বাকিটা নির্ভর করছে ট্রান্সমিশনের ওপর।

ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক তরুণ কান্তি সিকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তথ্যপ্রযুক্তি সচিব মো. সামসুল আরেফিন, ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব ড. মুশফিকুর রহমান ও বিটিআরসি চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মহিউদ্দিন আহমেদ।


দেশের অর্থনীতিকে পঙ্গু করতে এমন সহিংসতা চালানো হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের অর্থনীতিকে পঙ্গু করে দিয়ে আগের মতো ভিক্ষুকের জাতিতে পরিণত করতে এমন সহিংসতা চালানো হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ শনিবার কোটা আন্দোলনের সহিংসতায় আহতদের দেখতে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ট্রমাটোলজি অ্যান্ড অর্থপেডিক রিহ্যাবিলিটেশন-নিটোর (পঙ্গু হাসপাতাল) পরিদর্শনে গিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এর বিচার দেশবাসীর কাছে চাই। আন্দোলনের নামে এতোগুলো পরিবারের ক্ষতি হলো এর দায়িত্ব্য কার? আহতদের চিকিৎসার সব ধরনের ব্যবস্থা করবে সরকার। বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে পঙ্গু করতেই এই ষড়যন্ত্র। দেশের মানুষকেই এই সহিংসতার বিচার করতে হবে। কোটা আন্দোলনকারীদের কমপ্লিট শাটডাউনের জন্যই এত মানুষ হতাহত হলো। এইভাবে আর কেউ যেন কোন ধ্বংসযজ্ঞ চালাতে না পারে, সেই দিকে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আহতদের চিকিৎসার জন্য যা যা লাগবে করে দেব এবং করে দিচ্ছি। যাদের অঙ্গহানী হয়েছে, তাদের কৃত্রিম অঙ্গ সংযোজনের ব্যবস্থা নেবে তার সরকার। যাতে তারা আবার সুস্থ মানুষের মত চলাফেরা করতে পারে। নিজেদের কাজ করতে পারে। আমাদের সাধ্যমত আমরা করে দেব, কিন্তু দেশবাসীর কাছে আমি বিচার চাই। অপরাধটা কি করেছি? এই ধরনের ধ্বংসযজ্ঞ আর কেউ যেন এই দেশে চালাতে না পারে, সেই জন্য আমি সকলের সহযোগিতা চাই।

গুরুতর আহত হয়ে নিটোরে চিকিৎসাধীন কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলেন ও তাদের চিকিৎসার খোঁজ-খবর নেন সরকারপ্রধান। এ সময় তিনি আহতদের যথাযথ চিকিৎসা নিশ্চিত করতে সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দেন। নিটোরের পরিচালক অধ্যাপক ড. কাজী শামীম উজ্জামান আহতদের চিকিৎসার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন। এসময় শেখ হাসিনা আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় সব ধরনের পদক্ষেপ নিতে বলেন। প্রধানমন্ত্রী আহতদের অবস্থা দেখে আবেগাপ্লু হয়ে পড়েন এবং চোখের পানি ধরে রাখার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেন।

সেখানে অন্যান্যের মধ্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন, স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এম তোফাজ্জল হোসেন মিয়া এবং প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব নাঈমুল ইসলাম খান উপস্থিত ছিলেন। এরপর সেতু ভবন ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর পরিদর্শন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।


আজও ৯ ঘণ্টা শিথিল থাকবে কারফিউ

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আজ শনিবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত (৯ ঘণ্টা) ঢাকা মহানগর ও ঢাকা জেলা, গাজীপুর মহানগর ও গাজীপুর জেলা, নারায়ণগঞ্জ ও নরসিংদী জেলায় কারফিউ শিথিল থাকবে।

গতকাল শুক্রবারও এসব এলাকায় ৯ ঘণ্টা কারফিউ শিথিল রাখা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল তার ধানমন্ডির বাসায় এক সংবাদ সম্মেলনে ছুটির দুই দিন ৯ ঘণ্টা কারফিউ শিথিল রাখার ঘোষণা দেন। এর আগে ওই দিন রাত সাড়ে ১০টা থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে তিনি বৈঠক করেন।

পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় ধীরে ধীরে কারফিউ শিথিলের সময় বাড়ানো হচ্ছে বলে জানিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। অন্যান্য জেলায় সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সমন্বয় করে কারফিউ দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন বলেও তিনি জানান।

গত বৃহস্পতিবার ও গত বুধবার ঢাকা মহানগর ও ঢাকা জেলা, গাজীপুর মহানগর ও গাজীপুর জেলা, নারায়ণগঞ্জ ও নরসিংদী জেলায় সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল ছিল।

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে বিক্ষোভ-সংঘর্ষের পরিপ্রেক্ষিতে গত শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে সারা দেশে কারফিউ জারি করা হয়। একই দিনে বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করার জন্য সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত হয়। এখনো বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করে যাচ্ছে সেনাবাহিনী। এরপর ধাপে ধাপে কারফিউ শিথিল করছে সরকার।

গত সপ্তাহে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সারা দেশে বিক্ষোভ, সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। বিভিন্ন স্থানে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় এ পর্যন্ত অন্তত ২০৯ জন নিহত হয়েছে।


সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫৩তম জন্মবার্ষিকী আজ

সজীব ওয়াজেদ জয়। পুরোনো ছবি
আপডেটেড ২৭ জুলাই, ২০২৪ ০০:০৩
নিজস্ব প্রতিবেদক

ডিজিটাল বাংলাদেশের নেপথ্য নায়ক এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে ঘটে যাওয়া বিপ্লবের স্থপতি সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫৩তম জন্মবার্ষিকী আজ শনিবার।

সজীব ওয়াজেদ জয় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৌহিত্র এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার পুত্র। তিনি মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ১৯৭১ সালের ২৭ জুলাই জন্ম গ্রহণ করেন। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর তার নাম রাখেন নানা শেখ মুজিবুর রহমান।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তার সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা এই দুজনের স্বপ্ন বাস্তবায়নে এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার নেপথ্য কারিগর হিসেবে কাজ করছেন পরিশ্রমী, মেধাবী ও পরিচ্ছন্ন জীবন-জীবিকার অধিকারী কম্পিউটার বিজ্ঞানী সজীব ওয়াজেদ জয়।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৫ সালে বেতবুনিয়ায় ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় জাতির পিতার দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদ জয় বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট মহাকাশে পাঠান।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু সপরিবারে নিহত হওয়ার সময় মা ও বাবার সঙ্গে জার্মানিতে ছিলেন জয়। পরে মায়ের সঙ্গে রাজনৈতিক আশ্রয়ে ভারতে চলে যান তিনি। তার শৈশব ও কৈশোর কাটে ভারতে। সেখানকার নৈনিতালের সেন্ট জোসেফ কলেজে লেখাপড়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস অ্যাট আর্লিংটন থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে স্নাতক করেন তিনি। পরে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লোকপ্রশাসনে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। ২০০২ সালের ২৬ অক্টোবর ক্রিস্টিন ওভারমায়ারকে বিয়ে করেন সজীব ওয়াজেদ জয়।

লেখাপড়া করা অবস্থায় রাজনীতির প্রতি অনুরক্ত থাকলেও জয় সক্রিয় রাজনীতিতে নাম লেখান ২০১০ সালে। ওই বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি পিতৃভূমি রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্য পদ দেওয়া হয় তাকে, যার মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে রাজনীতিতে আসেন তিনি। বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টার দায়িত্বে আছেন জয়। ২০০৭ সালে জয় ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম কর্তৃক গ্লোবাল লিডার অব দ্য ওয়ার্ল্ড হিসেবে নির্বাচিত হন।

তিনি ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ইশতেহারে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার বিষয়টি নিয়ে আসেন। পর্দার অন্তরালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাশে থেকে গোটা দেশে তথ্যপ্রযুক্তির বিপ্লব ঘটান এই তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ। বর্তমানে দলীয় ঘরানা ছাড়াও তথ্যপ্রযুক্তি, রাজনীতি, সামাজিক, অর্থনৈতিক, শিক্ষাবিষয়ক বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশ, তরুণ উদ্যোক্তা তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন জয়।

বিশেষ করে দেশের তরুণদের দেশপ্রেমে উজ্জীবিত করে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের পথে আত্মনিয়োগ করার ক্ষেত্রে বিভিন্ন কর্মসূচি ও পদক্ষেপ নিচ্ছেন তিনি। বর্তমানে বেশিরভাগ সময়েই দেশের বাইরে অবস্থান করলেও সজীব ওয়াজেদ জয় বাংলাদেশের রাজনীতি ও সরকারের গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে ফেসবুকে মতামত ব্যক্ত করে থাকেন। এরই মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশের স্থপতি হিসেবে তার নামডাক ছড়িয়ে পড়েছে।

দেশের আইসিটি খাত-সংশ্লিষ্টদের মতে, শিক্ষাগত যোগ্যতা আর পেশাগত কাজের অভিজ্ঞতা এই দুইয়ের মিশেলেই দেশের আইসিটি খাতের এমন ত্বরিত উন্নতিতে সফল নেতৃত্ব দিতে পেরেছেন সজীব ওয়াজেদ জয়।

ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের প্রাথমিক ধাপ হিসেবে ইন্টারনেটকে মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে কাজ শুরু করেন সজীব ওয়াজেদ জয়। এরই মধ্যে ইউনিয়ন পর্যায়ের পাশাপাশি চর বা পার্বত্য অঞ্চলের মতো প্রত্যন্ত এলাকায় ইন্টারনেট পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।

বিষয়:

বিএনপি-জামায়াতের তাণ্ডবে আহত শিক্ষার্থীদের দেখতে গেলেন প্রধানমন্ত্রী

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় দেশব্যাপী বিএনপি-জামায়াতের তাণ্ডবকালে হামলার শিকার আহত শিক্ষার্থীদের দেখতে আজ শুক্রবার বিকেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ঢামেক হাসপাতালের জরুরি ইউনিটে যান তিনি এবং বিএনপি-জামায়াতের হামলা ও নৃশংসতার সময় আহত হয়ে সেখানে চিকিৎসাধীনদের অবস্থার খোঁজখবর নেন। প্রধানমন্ত্রী আহতদের সুচিকিৎসার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন, স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা ও স্থানীয় সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম। এর আগে, প্রধানমন্ত্রী আজ সকালে রাজধানীর রামপুরায় বাংলাদেশ টেলিভিশন ভবনের ক্ষয়ক্ষতি দেখতে যান।

গত ১৮ জুলাই দুপুর ২টার দিকে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় রামপুরার বিটিভির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। আগুনে টিভি সেন্টারের ভেতরের রিসিপশন, ক্যান্টিন ও একটি বাস পুড়ে যায়।

তারও আগে বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) নাশকতাকারীদের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত রাজধানীর মিরপুর ১০ নম্বর মেট্রোরেল স্টেশন পরিদর্শন করেন প্রধানমন্ত্রী।


অস্ত্র জমা দিয়েছি ট্রেনিং কিন্তু জমা দেইনি

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নরসিংদী প্রতিনিধি

মুক্তিযুদ্ধবিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ করেছি। যুদ্ধ শেষে বঙ্গবন্ধুর ডাকে অস্ত্র জমা দিয়েছি, ট্রেনিং কিন্তু জমা দেইনি। আমাদের চেতনা জমা দেইনি। কারও কাছে আমাদের চেতনা বন্ধক দেইনি।’

নরসিংদীর জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের উদ্যোগে আজ শুক্রবার দুপুরে নরসিংদীর পাঁচদোনায় বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়কমন্ত্রী।

তিনি আরও বলেন, ‘৭১ সালে যাদের পরাজিত করেছিলাম, ওইসময় তাদের বিষদাঁত ভেঙে দিতে পারিনি। এবার তাদের পরাজিত করলেই হবে না; তাদের বিষদাঁত ভেঙে দিতে হবে। মুক্তিযোদ্ধাদের জীবনদশায় এ দেশ অকার্যকর করে দেবে তা হতে পারে না। তাই মুক্তিযোদ্ধাদের প্রস্তুত থাকতে হবে।’

কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে দেশব্যাপী হামলার প্রসঙ্গ টেনে মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশকে একটি অকার্যকর রাষ্ট্র হিসেবে পরিণত করতে চেয়েছে। তারা যেন তাদের প্রভুদের দেখাতে পারে। তারা চেষ্টা করছে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে সরাতে। তারা বাংলাদেশের অস্তিত্বের ওপর হামলা করেছে। এ আন্দোলন সরকারের বিরুদ্ধে ছিল না, ছিল বাংলাদেশের বিরুদ্ধে।’

আদালত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পাঁচ শতাংশ কোটা দিয়েছেন। আদালতের এ রায়কে স্বাগতম জানান আ ক ম মোজাম্মেল হক। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেসব স্থাপনা তৈরি করেছেন, দুষ্কৃতকারীরা সেসব স্থাপনায় হামলা করেছে। তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।’

নরসিংদী জেলা প্রশাসক ড. বদিউল আলমের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান, নরসিংদী সদর আসনের সংসদ সদস্য লে. কর্নেল (অব.) নজরুল ইসলাম, মেজর জেনারেল হেলাল মোর্শেদ, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জি এম তালেব হোসেন, নরসিংদী পুলিশ সুপার মুস্তাফিজুর রহমান, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোতালিব পাঠান প্রমুখ।


শান্তি ফেরাতে নিরাপত্তাবাহিনী সর্বাত্মক চেষ্টা করেছে

তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আরাফাত। পুরোনো ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

বাংলাদেশে কোটা আন্দোলন মোকাবিলায় সরকারের নেওয়া পদক্ষেপের প্রতি সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আরাফাত। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, দেশে শান্তি ফিরিয়ে আনার জন্য নিরাপত্তাবাহিনী সর্বাত্মক চেষ্টা করেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সাক্ষাৎকারটি প্রকাশিত হয়।

মোহাম্মদ আরাফাত বলেন, ‘চরমপন্থি ও সন্ত্রাসীসহ তৃতীয়পক্ষ বিক্ষোভে উসকানি দিচ্ছে। আমরা ছাত্রদের সন্ত্রাসী বা অরাজকতা সৃষ্টিকারী বলছি না। তৃতীয় পক্ষ যারা এই আন্দোলনে ঢুকে এসব কিছু শুরু করেছে।’

তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা উত্তেজনা কমানোর জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি। কিন্তু কিছু লোক আগুনে ঘি ঢালার চেষ্টা করছে। এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চাচ্ছে যাতে তারা ফায়দা লুটতে পারে এবং সরকার পতন ঘটাতে পারে।’

আল-জাজিরাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আরাফাত বিক্ষোভকারীদের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার-কেন্দ্র বাংলাদেশ টেলিভিশনের (বিটিভি) সদর দপ্তরে হামলার নিন্দা জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, বিটিভি ভবন পাহারারত পুলিশ সদস্যরা সংখ্যায় কম ছিল। তাদের গুলি চালানোর অনুমতি না থাকায় দুর্বৃত্তরা বিটিভিতে ঢুকে পড়ে, আক্ষরিক অর্থে আক্রমণ করে, আগুন লাগায় এবং সম্পত্তি ধ্বংস করা শুরু করে।

আন্দোলনে নিহতের সংখ্যা সরকার এখনো নির্ধারণ করতে পারেনি বলে সাক্ষাৎকারে বলেন সম্প্রচারমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘নিহত, হতাহত ও আহতের ক্ষেত্রে আমরা সাধারণ জনগণ, পুলিশ, বিক্ষোভকারী বা সরকারের সমর্থকদের মধ্যে কোনো পার্থক্য করতে চাই না।’

তথ্যমন্ত্রী জানান, একটি স্বাধীন বিচার বিভাগীয় কমিটি পুরো ঘটনা তদন্ত করবে। যাতে এ ঘটনায় যারা দায়ী তাদের বিচারের আওতায় আনা যায়।


৬ অতিরিক্ত সচিবকে বদলি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে দেশে সাম্প্রতিক সহিংসতায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ব্যাপক অবনমনের পর ৬ অতিরিক্ত সচিবকে বদলি করেছে সরকার। গতকাল বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

এর মধ্যে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (অতিরিক্ত সচিব) ড. রেজাউল বাসার সিদ্দিকীকে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগে, বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) ড. নাজনীন কাওসার চৌধুরীকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে এবং কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের (সিএমএসডি) পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মোহাম্মদ হাসান আরিফকে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব পদে বদলি করা হয়েছে।

এ ছাড়া রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত সচিব) জিয়াউল হককে রেলপথ মন্ত্রণালয়ে, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত অতিরিক্ত সচিব সাঈদ কুতুবকে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগে এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (অতিরিক্ত সচিব) শাহ আব্দুল আলীম খানকে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগে বদলি করা হয়েছে।

তবে এসব বদলির সিদ্ধান্তকে রুটিন পদায়ন ও বদলি বলে জানিয়েছেন জন প্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা।


বাংলাদেশের পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে কানাডা: হাইকমিশন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

কোটা সংস্কারে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সময় বাংলাদেশের জনগণ যে সহিংসতার শিকার হয়েছে, তাতে কানাডা হতবাক হয়েছে। ঢাকায় কানাডার হাইকমিশন এক বিবৃতিতে এ কথা বলেছে।

সহিংসতার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাদের সবার জন্য বিচার ব্যবস্থায় যথাযথ প্রক্রিয়া নিশ্চিত করার তাগিদ দিয়ে দেশটি বলেছে, মর্মান্তিক ঘটনার জন্য দায়ী সবাইকে জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে।

কানাডা সব সময়ই একটি শান্তিপূর্ণ সমাধান এবং মানবাধিকার রক্ষার পক্ষে কাজ করে- এমন দাবি করে হাইকমিশন বলেছে, বাকস্বাধীনতা ও সমাবেশ করার অধিকার বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কানাডা বাংলাদেশের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ অব্যাহত রেখেছে।

জনসাধারণ যাতে তথ্যপ্রবাহে প্রবেশাধিকার পেতে পারে এবং কানাডা ও বিশ্বব্যাপী তাদের প্রিয়জনদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে, সে জন্য ইন্টারনেট পরিষেবাগুলো অবিলম্বে সম্পূর্ণরূপে পুনরায় চালু করারও আহ্বান জানায় কানাডা।


banner close