শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

চাঁপাইনবাবগঞ্জ-সোনামসজিদ নতুন রেললাইনের পরিকল্পনা

আপডেটেড
২৮ মার্চ, ২০২৩ ০০:০২
তৌফিকুল ইসলাম
প্রকাশিত
তৌফিকুল ইসলাম
প্রকাশিত : ২৮ মার্চ, ২০২৩ ০০:০১

যাত্রী ও পণ্য পরিবহনের জন্য চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে সোনামসজিদ স্থল বন্দর পর্যন্ত নতুন ব্রডগেজ রেললাইন নির্মাণ করতে চায় বাংলাদেশ রেলওয়ে। প্রকল্পের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা শেষে ইতিমধ্যেই উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) তৈরি হয়েছে। প্রকল্পের আওতায় প্রায় ৩৬ দশমিক ৭৪ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণ হবে। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৬০৫৪ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অন্য প্রকল্পের তুলনায় এটির ব্যয় বেশি। ডিপিপি অনুযায়ী আগামী ২০২৮ সালের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে সংশ্লিষ্টদের।

সূত্র জানায়, সরকার বড় কোনো প্রকল্প হাতে না নেয়ার কারণে এই মুহূর্তে সরকারি অর্থায়নে নতুন এই রেললাইন নির্মাণ করা সম্ভব হবে না। ফলে বৈদেশিক অর্থায়ন খোঁজার দিকেই এগোচ্ছে রেলওয়ে। সোমবার এই প্রকল্পের ডিপিপির ওপর রেলের মহাপরিচালকের সভাপতিত্বে কারিগরি বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে গঠিত কমিটির সভা হয়েছে।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে প্রকল্প পরিচালক মো. মনিরুজ্জামান দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘ইতিমধ্যেই সম্ভাব্যতা সমীক্ষা হয়ে গেছে। এতে প্রকল্পের ভূমি অধিগ্রহণের খরচ অনেক বেশি হবে, কারণ এই রেললাইন আম বাগান আছে- এমন ভূমির মধ্য দিয়ে যাবে। ফলে বৈদেশিক সহায়তায় এই প্রকল্প করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে বৈদেশিক সহায়তার জন্য প্রকল্পের পিডিপিপি রেলপথ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। তারপর সেটি অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক সম্পর্ক বিভাগে (ইআরডি) পাঠানো হবে। প্রকল্পটি অনেক বড়, ফলে সরকারি অর্থায়নে এটি করা সম্ভব হবে না। আমাদের পরিকল্পনা আছে জমি অধিগ্রহণ কাজটি হবে সরকারি অর্থায়নে। অন্যদিকে নির্মাণকাজ হবে বৈদেশিক অর্থায়নে।’

এই প্রকল্পের আওতায় ৩৬ দশমিক ৭৪ কিলোমিটার মূল লাইন এবং ১২ দশমিক ২৬ কিলোমিটার লুপ ও সাইডিং লাইন নির্মাণ হবে। ৩টি মেজর ব্রিজ, ৩৯টি আরসিসি বক্স কালভার্ট এবং ৪.৫৩ কিলোমিটার ভায়াডাক্ট নির্মাণ হবে।

এ ছাড়া প্রকল্পের আওতায় জমি অধিগ্রহণ হবে ৫২৭ দশমিক ৯ একর। চাঁপাইনবাবগঞ্জ বাইপাস, নয়া নাওভাঙ্গা, শিবগঞ্জ, কানসাট ও সোনামসজিদ স্টেশনে কম্পিউটার বেইজড ইন্টারলিংক সিগন্যালিং সিস্টেমসহ নতুন স্টেশন ভবন নির্মাণ হবে। রেলওয়ে ট্র্যাক রক্ষণাবেক্ষণের জন্য যন্ত্রপাতি সংগ্রহ করা হবে।

প্রকল্পের ডিপিপিতে বলা হয়েছে, সোনা মসজিদ স্থলবন্দর বাংলাদেশের একটি উল্লেখযোগ্য এবং গুরুত্বপূর্ণ স্থলবন্দর। এ স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে বিভিন্ন ধরনের পণ্য আমদানি-রপ্তানি হয়ে থাকে। এই আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম মূলত সড়ক পথে হয়ে থাকে। সোনামসজিদ পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণের পর রেলপথে পশু পরিবহন করলে সোনামসজিদ স্থলবন্দরের সামগ্রিক কর্মকাণ্ড বৃদ্ধি পাবে। বর্তমানে রেলওয়ের চাঁপাইনবাবগঞ্জ পর্যন্ত রেলপথ রয়েছে। প্রস্তাবিত প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে সোনামসজিদ পর্যন্ত যাত্রী পরিবহনসহ এ অঞ্চলের পর্যটন শিল্পের প্রসার হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৫ সালের ১৬ মে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সফরের সময় চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে সোনামসজিদ পর্যন্ত নতুন রেললাইন নির্মাণের নির্দেশনা দিয়েছিলেন। এর পরই রেলওয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে সোনামসজিদ পর্যন্ত নতুন রেললাইন নির্মাণের ওপর সম্ভাব্যতা সমীক্ষা করেছে।

সম্ভাব্যতা সমীক্ষার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ হতে সোনামসজিদ পর্যন্ত নতুন রেলপথ নির্মাণ আর্থিকভাবে অলাভজনক হলেও অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক হবে। একই সঙ্গে চাঁপাইনবাবগঞ্জ বাইপাস, নয়া নাওভাঙ্গা, শিবগঞ্জ, কানসাট, মোবারকপুর এবং সোনামসজিদের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলো সংযুক্ত হবে।

প্রকল্প-সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে বিভিন্ন ধরনের পণ্য আমদানি-রপ্তানি হয়ে থাকে। এই আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম সড়ক পথে হয়ে থাকে। এতে যানবাহন চলাচলের কারণে অত্র অঞ্চলের সড়ক নেটওয়ার্কের আয়ুষ্কাল কমে যাচ্ছে। এ ছাড়া সড়কপথে পরিবহনের সময় মালামালের ক্ষতি হচ্ছে। রেলওয়ের রাজশাহী থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পর্যন্ত রেলপথ থাকলেও সোনামসজিদ পর্যন্ত রেলপথ নেই। সোনামসজিদ স্থলবন্দরের মাধ্যমে ভারত থেকে পণ্য ও পণ্যের বাল্ক পরিবহন রেলপথে সম্ভব হচ্ছে না।

এদিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলায় গুরুত্বপূর্ণ প্রাচীন প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন আছে । সোনামসজিদ পর্যন্ত রেলওয়ের নেটওয়ার্ক না থাকায় এ অঞ্চলের পর্যটন শিল্পের বিকাশ ব্যাহত হচ্ছে। ভৌগোলিকভাবে এ অঞ্চলে আমের উৎপাদন বেশি হয়, যা সমগ্র বাংলাদেশসহ দেশের বাইরেও রপ্তানি করা হয়। সোনামসজিদ পর্যন্ত রেলপথ না থাকায় এর মাধ্যমে সরাসরি আম পরিবহন করা সম্ভব হচ্ছে না।


দুই দিনের সফরে ঢাকা আসছেন কাতারের আমির

কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি দুই দিনের সফরে এপ্রিল মাসে ঢাকায় আসছেন। তার এই সফরে দুই দেশের মধ্যে জ্বালানি খাতে সহযোগিতার পাশাপাশি দক্ষ জনশক্তি রপ্তানি ও ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণের বিষয় গুরুত্ব পাবে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, দুই দেশের মধ্যে প্রায় ডজনখানেক সমঝোতা স্মারক ও চুক্তি চূড়ান্ত করার বিষয়ে আলোচনা চলছে; যেগুলো সফরকালে স্বাক্ষরিত হবে। আগামী ২১-২২ এপ্রিল দুই দিনের এই সফর হতে পারে বলে জানা গেছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আমিরের বৈঠকের পর যেসব সমঝোতা স্মারক ও চুক্তি স্বাক্ষর হবে, সেগুলো নিয়ে দুই পক্ষ এখন কাজ করছে। সফরের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনার জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আন্তমন্ত্রণালয় সভা করেছে।

গত বছরের মার্চে কাতারের রাজধানী দোহায় স্বল্পোন্নত দেশগুলোবিষয়ক জাতিসংঘ সম্মেলনের (এলডিসি-৫) সাইডলাইনে আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এ সময় তিনি জ্বালানি চাহিদা মেটাতে কাতারের কাছে জ্বালানি বিশেষ করে এলএনজি সরবরাহে সহযোগিতার আহ্বান জানান।


একনেকে সাড়ে ৮ হাজার কোটি টাকায় ১১ প্রকল্প অনুমোদন

ছবি: পিআইডি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ১১টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৮ হাজার ৪২৫ কোটি ৫১ লাখ টাকা। আজ বৃহস্পতিবার সকালে শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা। প্রকল্পগুলোর অর্থ জোগানের বিষয়ে সরকারি তহবিল থেকে ৭ হাজার ৯৩৯ কোটি ৮৭ লাখ টাকা এবং প্রকল্প ঋণ থেকে ৪৮৫ কোটি ৬৪ লাখ টাকা পাওয়া যাবে বলে সভায় উল্লেখ করা হয়।

অনুমোদিত প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে- মিসরের কায়রোতে বাংলাদেশ চ্যান্সারি কমপ্লেক্স এবং আবাসিক ভবন নির্মাণ, বাংলাদেশ রেলওয়ের জন্য ২০টি মিটারগেজ ডিজেল ইলেকট্রিক লোকোমোটিভ এবং ১৫০টি মিটারগেজ যাত্রীবাহী ক্যারেজ সংগ্রহ (১ম সংশোধিত)। কাশিনাথপুর-দাশুরিয়া-নাটোর-রাজশাহী-নবাবগঞ্জ-কানসাট-সোনামসজিদ-বালিয়াদিঘী বর্ডার (এন-০৬) জাতীয় মহাসড়ক যথাযথমান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ (নবাবগঞ্জ অংশ)।

বিদ্যমান সরকারি মৎস্য খামারগুলোর সক্ষমতা ও মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় অবকাঠামো উন্নয়ন (১ম পর্যায়)। ইমপ্রুভমেন্ট অব ফিশ ল্যান্ডিং সেন্টার অব বাংলাদেশ ফিশারিজ ডেভেলপমেন্ট করপোরেশন ইন কক্সবাজার ডিস্ট্রিক্ট প্রকল্প।

আরও রয়েছে বৃহত্তর রংপুর অঞ্চলের জেলাগুলোর পল্লি অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প। ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ (৩য় পর্যায়)। ৮টি বিভাগীয় শহরে পূর্ণাঙ্গ ক্যানসার, হৃদরোগ এবং কিডনি চিকিৎসা কেন্দ্র স্থাপন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ (১ম সংশোধিত)-সহ মোট ১১টি প্রকল্প।

সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুস সালাম ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী মো. শহীদুজ্জামান সরকার সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত তুলে ধরেন। এ সময় পরিকল্পনা বিভাগের সচিব সত্যজিৎ কর্মকার ও পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।


কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শন ভুটানের রাজার

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য নির্ধারিত স্থান ও সোনাহাট স্থলবন্দর এলাকা পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা জিগমে খেসার ওয়াংচুক। বৃহস্পতিবার তিনি সৈয়দপুর বিমানবন্দর থেকে দুপুর সাড়ে ১২টায় কুড়িগ্রাম সার্কিট হাউসে এসে পৌঁছান। সেখানে বিশ্রাম ও দুপুরের খাবারের পর জেলা শহরের কাছে ধরলা ব্রিজ-পূর্ব প্রান্তে অবস্থিত প্রস্তাবিত ভুটান বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শন করেন। সেখানে তিনি প্রায় ২০ মিনিট অবস্থান করে সবকিছু দেখেন এবং তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করেন। পরে রাজা স্থান নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন।

এ ছাড়া তিনি ইকোনমিক জোন এলাকায় অ্যাগ্রোবেজড ও ম্যানুফ্যাকচারিং ইন্ডাস্ট্রিজ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে আভাস দিয়েছেন।

তিনি আরও জানান, ভুটানের বিনিয়োগকারী এবং বাংলাদেশের স্থানীয়দের চাহিদার ওপর নির্ভর করবে কী ধরনের শিল্পকারখানা স্থাপন করা হবে। পরে জোন এলাকায় তিনি ১টা ৪০ মিনিটে সোনাহাট স্থলবন্দরের উদ্দেশে সফরকারী দলসহ সড়কপথে যাত্রা শুরু করেন।

এ সময় তথ্যমন্ত্রী এম এ আরাফাত, নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, সংসদ সদস্য ডা. হামিদুল হক খন্দকার, সংসদ সদস্য বিপ্লব হাসান পলাশ, বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরিফ ও পুলিশ সুপার আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

বেলা পৌনে ৩টার দিকে রাজা জিগমে খেসার ওয়াংচুক সোনাহাট স্থলবন্দর এলাকায় যান। সেখানে ২০ মিনিট অবস্থানের পর তিনি স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের আসাম রাজ্যের গোলকগঞ্জ দিয়ে ভুটানের উদ্দেশে ভারতে প্রবেশ করেন। সোনাহাট থেকে সড়কপথে ভুটানের দূরত্ব প্রায় ১৬০ কিলোমিটার।

রাজার সফর শেষে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন পরে সাংবাদিকদের জানান, তিনি শতভাগ সন্তুষ্ট, জায়গা ও যোগাযোগ ব্যবস্থা দেখেছেন। এখানে কী ধরনের কার্যক্রম হতে পারে সে বিষয়ে রাজা জানিয়েছেন, এখানকার স্থানীয় লোকজনের কী ধরনের চাহিদা রয়েছে এবং ভুটানের বিনিয়োগকারী লোকজনের কী চাহিদা রয়েছে সবকিছু মিলিয়ে ফিজিবিলিটি স্টাডি চেক করা হচ্ছে। তার ওপর ভিত্তি করে এখানে কী ধরনের ইন্ডাস্ট্রিজ হবে, তা নির্ধারণ করা হবে। তবে অ্যাগ্রোবেজড ও ম্যানুফ্যাকচারিং ইন্ডাস্ট্রিজ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। এই অর্থনৈতিক অঞ্চলে প্রায় ১০-২০ হাজার লোকের কর্মসংস্থান হবে।

কুড়িগ্রাম-২ আসনের সংসদ সদস্য ডা. হামিদুল ইসলাম বলেন, ‘এই সফরের মধ্যদিয়ে অনুন্নত কুড়িগ্রাম উন্নয়নের দিকে ধাবিত হবে। ২০১৬ সাল থেকে প্রধানমন্ত্রী অর্থনৈতিক জোনের জন্য জায়গা খুঁজতে বলেছিলেন। তারই পরিপ্রেক্ষিতে আজ আমরা সফলতার মুখ দেখছি। এটি বাস্তবায়ন হলে এলাকার বেকার মানুষ কাজ পাবে। সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাবে পিছিয়ে পড়া এই জেলা।’


কারওয়ান বাজার থেকে শুরুতে কার্যালয় সরাল ডিএনসিসি

ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের এই আঞ্চলিক কার্যালয়-৫ এতদিন ছিল কারওয়ান বাজার পাকা আড়ত মার্কেটে। ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনায় যে আটটি মার্কেট পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে, সে তালিকায় এ মার্কেটও আছে।

রাজধানীর কারওয়ান বাজারের একটি আড়ত ভবনকে বেশ কিছুদিন আগেই ঝূঁকিপূর্ণ ঘোষণা করেছিল ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। ওই ভবনেই ছিল ডিএনসিসির আঞ্চলিক কার্যালয়-৫। তাই অন্যদের সরে যেতে বলার আগে উদাহরণ সৃষ্টি করতে নিজেদের কার্যালয়টিই স্থানান্তর করল ডিএনসিসি। এর মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হলো ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটি থেকে দোকানপাট স্থানান্তরের প্রক্রিয়া।

গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে আঞ্চলিক কার্যালয়ের মালামাল সরিয়ে নেওয়া শুরু করেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের কর্মীরা। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, ডিএনসিসির সব আসবাবপত্র ট্রাকে তোলা হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটির অন্যান্য যন্ত্রপাতি এবং বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্রও ট্রাঙ্কে ভরে ফেলা হচ্ছে। পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও ডিএনসিসির কর্মীরা সেগুলো যত্নে সঙ্গে ট্রাকে তুলছেন।

ডিএনসিসির অঞ্চল-৫-এর নির্বাহী কর্মকর্তা মোতাকাব্বীর আহমেদ জানান, ডিএনসিসি কারওয়ান বাজার থেকে তাদের আঞ্চলিক কার্যালয় সরিয়ে মোহাম্মদপুরে নতুন কার্যালয় চালু করতে যাচ্ছে। সেখানে এসব মালামাল নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

ঢাকা সিটি করপোরেশন ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনায় যে আটটি মার্কেট পরিত্যক্ত ঘোষণা করেছে, সে তালিকায় রয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে অবস্থিত কারওয়ান বাজার পাকা আড়ত মার্কেট। এক তলা ভবনটি পাকা হলেও দীর্ঘদিন আগে নির্মাণ করায় ও বহুল ব্যবহৃত হওয়ায় বর্তমানে এর জীর্ণদশা। বড় কোনো ভূমিকম্প হলে কিংবা যেকোনো কারণে ভবনটি যেকোনো মুহূর্তে ধসে যাওয়ার আশঙ্কাও করেছে সিটি করপোরেশন। এখান থেকে সব দোকান সরিয়ে নতুন করে বহুতল ভবন বানাতে চায় করপোরেশন। তবে এতে বাধ সাধছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। তাদের ধারণা, বহুতল ভবন করার নামে তাদের উচ্ছেদ করা হবে। পরে তারা আর জায়গাটিতে দোকান পাবেন কি না সে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে তাদের মনে। মার্কেটটি সরিয়ে গাবতলীতে নেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। সেখানে তারা একই রকম ব্যবসায়ের সুবিধা পাবেন কি না তা নিয়েও আছে সন্দেহ। তবে তাদের অভয় আশ্বাস দিয়েছেন উত্তর সিটি করপোরেশনের অঞ্চল-৫-এর নির্বাহী কর্মকর্তা মোতাকাব্বীর আহমেদ।

মোতাকাব্বীর আহমেদ বলেন, আমাদের অফিস যে ভবনে, সেটাই যেহেতু ঝূঁকিপূর্ণ, তাই আমাদের অফিস সরিয়ে নেওয়ার মাধ্যমেই স্থানান্তর কাজ শুরু করলাম। ঈদের পর স্থায়ী ১৮০টি এবং ১৭৬টি অস্থায়ী দোকান স্থানান্তর শুরু হবে। দোকানগুলো আমরা গাবতলীতে পুনর্বাসন করছি। ঈদের পর এই ভবনসহ এই জায়গাটা ফাঁকা হয়ে যাবে।

গাবতলীতেও দোকান মালিকরা ব্যবসায়ের সুবিধা পাবেন এমন আশ্বাস দিয়ে তিনি বলেন, কারওয়ান বাজারের ঝুঁকিপূর্ণ বাকি মার্কেটগুলোও পর্যায়ক্রমে সরিয়ে নেওয়া হবে। ফলে তখন ক্রেতাদের কারওয়ান বাজারের বদলে গাবতলীতেই যেতে হবে। দোকানদারদের অসুবিধা হবে না।


প্রার্থীর মালিকানাধীন স্থানে ভোটকেন্দ্র নয়

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপে নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র স্থাপনের ক্ষেত্রে প্রার্থীর মালিকানাধীন কোনো স্থানে ভোটকেন্দ্র নির্ধারণ না করতে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ বৃহস্পতিবার সংস্থাটির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান এ সংক্রান্ত নির্দেশনা মাঠ পর্যায়ে পাঠিয়েছেন বলে জানা গেছে।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, কমিশন ভোট গ্রহণের তারিখের অন্যূন ১৫ (পনেরো) দিন পূর্বে উক্ত চূড়ান্ত তালিকা সরকারি গেজেটে প্রকাশ করবে এবং প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে যেসব এলাকার ভোটাররা ভোটদান করবেন সেসব এলাকার নামও চূড়ান্ত তালিকায় উল্লেখ করতে হবে; তবে শর্ত থাকে যে, উক্ত চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশিত হওয়ার পরও, বিশেষ পরিস্থিতিতে কমিশন যেকোনো ভোটকেন্দ্র পরিবর্তন করতে পারবে।

রিটার্নিং অফিসার প্রকাশিত চূড়ান্ত ভোটকেন্দ্রের তালিকা অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট উপজেলার জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক ভোটকেন্দ্রের ব্যবস্থা করবেন বলেও উল্লেখ করার পাশাপাশি সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত নয় এরূপ স্থানকে ভোটকেন্দ্র হিসেবে নির্ধারণ করা যাবে না। অন্যদিকে পুরুষ ও মহিলা ভোটাররা যাতে পৃথকভাবে ভোট প্রদান করতে পারেন সে জন্য প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে প্রয়োজনীয় সংখ্যক ভোট কক্ষের ব্যবস্থা রাখতে হবে এবং প্রতিটি ভোটকক্ষে ভোট চিহ্ন প্রদানের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক স্থান রাখতে হবে।

এতে আরও বলা হয়েছে, কোনো প্রার্থীর মালিকানাধীন বা নিয়ন্ত্রণাধীন কোনো স্থানে কোনো ভোটকেন্দ্র স্থাপন করা যাবে না এবং প্রার্থিতা চূড়ান্তকরণের পর কোনো প্রার্থীর মালিকানাধীন বা নিয়ন্ত্রণাধীন কোনো ভোটকেন্দ্র স্থাপিত হয়ে থাকলে কমিশন তা পরিবর্তন করতে পারবে। প্রত্যেক ভোটকেন্দ্রের প্রতিটি ভোটকক্ষে ভোটচিহ্ন প্রদানের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক গোপন কক্ষ থাকার কথাও নির্দেশনায় বলা হয়েছে।

উল্লেখ্য, আগামী ৮ মে প্রথম ধাপে ১৫২ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ১৫ এপ্রিল। মনোনয়নপত্র বাছাই ১৭ এপ্রিল। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল, আর ভোট গ্রহণ হবে ৮ মে। মোট চার ধাপে অনুষ্ঠেয় ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের পরবর্তীতে তিন ধাপের ভোটগ্রহণ ২৩ ও ২৯ মে এবং ৫ জুন অনুষ্ঠিত হবে।


সীমান্তে বাংলাদেশিদের মৃত্যু কমেছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ২৮ মার্চ, ২০২৪ ১৭:৪৫
ইউএনবি

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে অতীতের তুলনায় সাম্প্রতিক দিনগুলোতে প্রাণঘাতী নয় এমন অস্ত্রের ব্যবহার বেড়েছে, যার ফলে দুই দেশের সীমান্তে বাংলাদেশিদের মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে।

তিনি বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে আমাদের দীর্ঘদিন ধরে আলোচনা চলছে। কিছুদিন আগে আমি যখন ভারত সফরে গিয়েছিলাম, তখন আমরা বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে আলোচনা করেছি, যাতে সীমান্তে প্রাণঘাতী নয় এমন অস্ত্র ব্যবহার করা যায়। অতীতের তুলনায় এখন প্রাণঘাতী নয় এমন অস্ত্রের ব্যবহার বেড়েছে।’

লালমনিরহাট ও নওগাঁয় সাম্প্রতিক সীমান্ত হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা দিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) মধ্যে পতাকা বৈঠক হয়েছে।

বিজিবির পক্ষ থেকে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।

হাছান মাহমুদ বলেন, সীমান্ত এলাকায় এ ধরনের কোনো ঘটনা যেন না ঘটে তা তারা দেখতে চান।

বিজিবি ও বিএসএফ যৌথ টহল, নজরদারি, জনসচেতনতামূলক কর্মসূচি জোরদার, অপরাধী বা বাসিন্দাদের সীমান্ত অতিক্রম রোধ এবং তথ্য বিনিময়ের মাধ্যমে সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিকদের হতাহতের সংখ্যা শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনতে সম্মত হয়েছে।

তিনি বলেন, যেহেতু বিজিবি ও বিএসএফ সম্পৃক্ত রয়েছে, তারা মনে করে সীমান্ত সমস্যার সমাধান হতে পারে।


ঈদে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে চলবে ১৫টি ফেরি ২০টি লঞ্চ

ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ২৮ মার্চ, ২০২৪ ১৭:৪৩
রাজবাড়ী প্রতিনিধি

আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে যাত্রী ও যানবাহন পারাপারে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ১৫টি ফেরি ও ২০টি লঞ্চ চলাচল করবে। আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ফেরি ও লঞ্চ চলাচলসহ ঘাটের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও যাত্রীদের নির্বিঘ্ন যাতায়াতের লক্ষ্যে আয়োজিত সভায় এ তথ্য জানানো হয়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক আবু কায়সার খান।

সভায় বলা হয়, ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে জরুরি পণ্য ও সেবা ব্যতীত সকল পণ্যবাহী ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান ঈদের আগে ও পরে মোট ৬ দিন ফেরিপারাপার বন্ধ থাকবে। এছাড়াও ৬ এপ্রিল থেকে আগামী ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত পদ্মা নদীতে বালুবাহী বাল্কহেড চলাচল সম্পন্ন বন্ধ থাকবে। ঈদযাত্রায় দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ১৫টি ফেরি ও ২০টি লঞ্চ চলাচল করবে। ফেরিঘাটের সংযোগ সড়ক থেকে ফেরির পন্টুন পর্যন্ত কোনো ব্যাটারি চালিত ইজিবাইক ও রিক্সা প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না বলে জানান জেলা প্রশাসক আবু কায়সার খান।

সভায় দৌলতদিয়া ঘাটে প্রকাশ্যে চাঁদাবাজির অভিযোগ তোলেন দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান মন্ডল। তিনি বলেন, নদী পার হতে আসা সকল ধরণের পরিবহন থেকে চাঁদাবাজি করা হয়। এর সঙ্গে বিআইডব্লিউটিসির কর্মকর্তা-কর্মচারী ও আনসার সদস্যরা জড়িত আছে।

চেয়ারম্যানের এমন অভিযোগ নিয়ে বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো. সালাহ উদ্দিনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন জেলা প্রশাসক আবু কায়সার খান। তিনি সবার সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন।

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোছা. মোরশেদা খাতুনের সঞ্চালনায় এসময় আরও বক্তব্য দেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. ইফতেখারুজ্জামান, গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র, গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রাণবন্ধু চন্দ্র বিশ্বাস, বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো. সালাহউদ্দিন, বিআইডব্লিউটিএর আরিচা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক এস এম সাজ্জাদুর রহমান, দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রহমান, রাজবাড়ী জেলা সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের প্রতিনিধি, সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের প্রতিনিধি ও গণমাধ্যমকর্মীরা।


আইপিইউর গভর্নিং কাউন্সিলের সমাপনী সেশনে স্পিকার

ছবি: বাসস
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সুইজারল্যান্ডের জেনেভাতে ‘১৪৮তম আইপিইউ অ্যাসেম্বলি’ উপলক্ষে অনুষ্ঠিত গভর্নিং কাউন্সিলের সমাপনী সেশনে বক্তব্য দিয়েছেন। গতকাল বুধবার স্থানীয় সময় বিকেলে তিনি এবক্তব্য দেন।

আজ ঢাকায় প্রাপ্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

সেশনে আইপিইউ’র প্রেসিডেন্ট ড. টুলিয়া অ্যকসন, আইপিইউ সেক্রেটারি জেনারেল মার্টিন চুংগংসহ বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

সমাপনী সেশনে বক্তব্য দানকালে স্পিকার বলেন, ২৩ মার্চ ২০২৪ তারিখে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় আইপিইউ সমাবেশে এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপের সভায় সভাপতিত্ব করা ছিল এক অসাধারণ অভিজ্ঞতা।

তিনি বলেন, এক বছরের জন্য এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপের চেয়ারম্যান হিসেবে নেতৃত্ব দেওয়ার দায়িত্ব নিতে পেরে তিনি আনন্দিত।

স্পিকার বলেন, বৈঠকে এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপের ৩২টি সদস্য রাষ্ট্র উপস্থিত ছিল এবং তারা পারস্পরিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে সমস্ত এজেন্ডা সমাধানে অংশ নেয়।

এসময় সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সদস্য হিসেবে জাতীয় সংসদের চীফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী এমপি, শফিকুল ইসলাম এমপি, মাহবুব উর রহমান এমপি, শাহাদারা মান্নান এমপি, নীলুফার আনজুম এমপি, এইচ এম বদিউজ্জামান এমপি, মো. মুজিবুল হক এমপি, আখতারুজ্জামান এমপি এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব কে.এম আব্দুস সালাম উপস্থিত ছিলেন।

বিষয়:

দেশের সাত বিভাগে ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

দেশের সাত বিভাগে ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

রাষ্ট্রীয় সংস্থাটি বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এমন বার্তা দিয়েছে।

পূর্বাভাসে আজকের বৃষ্টিপাত নিয়ে বলা আছে, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দুই এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

সিনপটিক অবস্থান নিয়ে পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।

আজকের তাপমাত্রা নিয়ে পূর্বাভাসে বলা আছে, সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

ঢাকায় বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা সোমবার সকালে ছিল ৮৫%।


যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে পুলিশের গুলিতে এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন।

স্থানীয় সময় বুধবার নিউ ইয়র্কের কুইন্সের একটি বাসায় মানসিক অবসাদে ভোগা ওই যুবককে বাধ্য হয়েই গুলি করতে হয় বলে পুলিশ দাবি করেছে।

নিউ ইয়ক টাইমস বলছে, ১৯ বছর বয়সী উইন রোজারিওকে দুপুর পৌনে ২টার দিকে মৃত ঘোষণা করা হয়। তিনি ওজোন পার্কের ১০৩ নম্বর স্ট্রিটে দ্বিতীয় তলার বাসায় তার পরিবারের সঙ্গে থাকতেন।

পুলিশ জনিয়েছে, ৯১১ নম্বরে ফোন পেয়ে পুলিশ ওই যুবকের বাসায় গিয়েছিল। এ সময় কাঁচি দিয়ে অফিসারদের হুমকি দিয়েছিলেন তিনি। এরই এক পর্যায়ে তার পায়ে গুলি চালানো হয়।

নিহতের ভাই উশতো রোজারিও বলেন, মা উইনকে ফেরাতে চেষ্টা করছিলেন। তবে এর মধ্যেই পুলিশ গুলি ছুড়েছে। এই গুলি ছোড়ার কোনো দরকার ছিল না।

পুলিশ ডিপার্টমেন্টের টহল প্রধান জন চেল সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, দুজন অফিসার মানসিক যন্ত্রণায় থাকা ব্যক্তি সম্পর্কে ৯১১ নম্বরে একটি কল পেয়ে সেখানে যায়। বাধ্য হয়েই গুলি চালাতে হয়েছে। বেশ উত্তেজনাপূর্ণ, বিশৃঙ্খল এবং বিপজ্জনক অবস্থা তৈরি হয়েছিল। রোজারিও ৯১১ নম্বরে কল করেছিলেন।

উইনের বাবা ফ্রান্সিস রোজারিও জানান, তার পরিবার ১০ বছর আগে বাংলাদেশ থেকে নিউইয়র্কে যান। উইনের স্বপ্ন ছিল যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীতে যোগ দেয়া। পরিবারের গ্রিন কার্ড পেতে দেরি হওয়ায় সেটি আর হয়নি।

নিহতের ভাই উশতো রোজারিও জানান, তার ভাই দুই বছর আগে ওজোন পার্কের জন অ্যাডামস হাই স্কুল থেকে স্নাতক করেছে। সম্প্রতি বিষণ্ণ ছিলেন তিনি। মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা নিয়ে গত বছর হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল তাকে।


আগামী মাসে বাংলাদেশ সফর করবেন কাতারের আমির: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

ফাইল ছবি
আপডেটেড ২৮ মার্চ, ২০২৪ ১১:৫২
ইউএনবি

আগামী মাসে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির নির্ধারিত বাংলাদেশ সফরে জনশক্তি, জ্বালানি, বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বৃহত্তর সহযোগিতার মাধ্যমে বিদ্যমান সম্পর্ক আরও জোরদার করতে চায় উভয় দেশ।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ২ দেশের মধ্যে প্রায় ডজনখানেক সমঝোতা স্মারক ও চুক্তি চূড়ান্ত করার বিষয়ে আলোচনা চলছে, যেগুলো সফরকালে সই করা হবে।

আগামী ২১-২২ এপ্রিল ২ দিনের এই সফর হতে পারে বলে সূত্রটি জানিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আমিরের বৈঠকের পর যেসব সমঝোতা স্মারক ও চুক্তি সই হবে, সেগুলো নিয়ে দুই পক্ষ এখন কাজ করছে।

সফরের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনার জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা করেছে।

গত বছরের মার্চে কাতারের রাজধানী দোহায় স্বল্পোন্নত দেশগুলো বিষয়ক জাতিসংঘ সম্মেলনের (এলডিসি-৫) সাইডলাইনে আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি জ্বালানি চাহিদা মেটাতে কাতারের কাছে জ্বালানি বিশেষ করে এলএনজি সরবরাহে সহযোগিতার আহ্বান জানান।

১৯৭৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় ওআইসি শীর্ষ সম্মেলনের পর ১৯৭৪ সালের ৪ মার্চ কাতার বাংলাদেশকে একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।

১৯৭৫ সালের ২৫ জুন দোহায় বাংলাদেশ তার কূটনৈতিক মিশন চালু করে। ১৯৮২ সালে ঢাকায় কূটনৈতিক মিশন খোলে দেশটি।

বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক পারস্পরিক শ্রদ্ধা; অভিন্ন মূল্যবোধ, ধর্মীয় ভিত্তি, সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের ওপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠিত।


ভুটানের রাজার সঙ্গে ড. চৌধুরী নাফিজ সরাফাতের সফল বৈঠক অনুষ্ঠিত

ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগেল ওয়াংচুককে একটি চিত্রকর্ম উপহার দেন দেশের বিশিষ্ট শিল্পোদ্যোক্তা ও অন্যতম শীর্ষ ব্যবসায়ী এবং কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ-এর প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ড. চৌধুরী নাফিজ সরাফাত।
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশ সফররত ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগেল ওয়াংচুকের সঙ্গে তার হোটেল স্যুটে একটি গুরুত্বপূর্ণ, সফল ও ফলপ্রসূ বৈঠক করেছেন দেশের বিশিষ্ট শিল্পোদ্যোক্তা ও অন্যতম শীর্ষ ব্যবসায়ী এবং কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ-এর প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ড. চৌধুরী নাফিজ সরাফাত।

আজ বুধবার অনুষ্ঠিত সম্মানজনক এ বৈঠকে তারা উভয়ে প্রতিশ্রুতিশীল ব্যবসায়িক সম্ভাবনার ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে অত্যন্ত ফলপ্রসূ আলোচনা করেন।

বৈঠকে ড. চৌধুরী নাফিজ সরাফাত রাজা জিগমে খেসার নামগেল ওয়াংচুকের দূরদর্শী নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, তিনি ভুটানকে সাফল্যের অভূতপূর্ব উচ্চতায় নিয়ে যাচ্ছেন এবং তার নেতৃত্বে ভুটান এশিয়ার পরবর্তী সিঙ্গাপুর হবে বলেও উল্লেখ করেন।

সফল এ বৈঠকে তারা উভয় দেশের জন্য একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গঠনে আমাদের অংশীদারত্বের ভিত্তিতে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে এগিয়ে যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

ঐতিহাসিক বৈঠকে এ অঞ্চলের অফুরন্ত সম্ভাবনাময় উন্নত ভবিষ্যৎ গঠনে সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে শিক্ষা ও অন্যান্য উদ্ভাবনী বিষয় নিয়ে উভয় দেশের যৌথভাবে কাজ করার ওপর তারা গুরুত্বারোপ করেন।


ঝুলন্ত ক্যাবল মাটির নিচ দিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রগতি নেই

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ২৮ মার্চ, ২০২৪ ০৫:২১
ইউএনবি

বিদ্যুৎ বিভাগের পক্ষ থেকে বারবার চেষ্টা করা সত্ত্বেও দুর্দশাগ্রস্ত ঝুলন্ত ইন্টারনেট ও স্যাটেলাইট টিভির সংযোগ ক্যাবল মাটির নিচ দিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো অগ্রগতি হয়নি। যদিও বিদ্যুৎ ইউটিলিটিগুলো এ বিষয়ে তাদের প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।

এমনকি ইন্টারনেট ও স্যাটেলাইট টিভি ক্যাবলের অপারেটরদের বিদ্যুৎ ইউটিলিটি বিভাগগুলোর চলমান ভূগর্ভস্থ ক্যাবলিং প্রকল্পে যুক্ত করানোও সম্ভব হয়নি।

ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (ডিপিডিসি) তথ্যমতে, তাদের সব ঝুলন্ত সঞ্চালন লাইন মাটির নিচ দিয়ে নিতে ধানমন্ডি এলাকায় প্রথম প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।

বিদ্যুৎ বিভাগের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা জানান, ‘ডিপিডিসির পক্ষ থেকে বারবার আহ্বান জানানো সত্ত্বেও কোনো ইন্টারনেট বা টিভি ক্যাবল অপারেটর প্রকল্পে যোগ দিতে রাজি হয়নি। এমনকি এই প্রকল্পে যোগ দেওয়ার জন্য তাদের বিনামূল্যে অফারও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।’

এমন হতাশাজনক পরিস্থিতিতে সম্প্রতি বিদ্যুৎ বিভাগ তাদের আগের কমিটি পুনর্গঠন করে এবং সমাধানের জন্য একটি সভাও আহ্বান করে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত অজ্ঞাত কারণে বৈঠক হয়নি।

পুনর্গঠিত কমিটির সদস্য সচিব ও পাওয়ার সেলের পরিচালক মো. সেলিম উল্লাহ খান জানান, বিদ্যুৎ বিভাগের এ প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
ইউএনবিকে তিনি বলেন, ‘অন্যান্য বিভাগ ও সংস্থাগুলো এ বিষয়ে বিদ্যুৎ বিভাগের প্রচেষ্টায় সহযোগিতা করতে আগ্রহী নয়।’

বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্র ঝুলন্ত ক্যাবলের ভয়াবহ পরিস্থিতির জন্য ন্যাশনওয়াইড টেলিকমিউনিকেশন ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক (এনটিটিএন) এবং ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারদের (আইএসপি) দায়ী করেছে।

কয়েক দফা বৈঠকের পর বিদ্যুৎ বিভাগের বিগত কমিটি তাদের সহযোগিতা ছাড়া সমস্যার সমাধান করতে অসুবিধা বোধ করছে।

বিদ্যুৎ বিভাগে জমা দেওয়া প্রতিবেদন অনুযায়ী, সামিট কমিউনিকেশন্স লিমিটেড (এসসিএল) ও ফাইবারঅ্যাটহোম (এফএএইচ) নগরীতে এনটিটিএন হিসেবে কাজ করছে এবং তারা নগরীতে তাদের প্রধান ইন্টারনেট নেটওয়ার্ক পরিচালনার জন্য ভূগর্ভস্থ কেবল স্থাপন করেছে এবং প্রায় ১ হাজার ৭৩৪টি বৈধ এবং প্রায় ৫ হাজার অবৈধ ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার (আইএসপি) প্রতিষ্ঠান স্থানীয় হিসেবে বাসাবাড়ি ও অফিসে ঝুলন্ত ক্যাবলের মাধ্যমে ইন্টারনেট সংযোগ প্রদানের কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

নিয়ম অনুযায়ী, মূল নেটওয়ার্ক থেকে বাসাবাড়ি ও অফিসে ইন্টারনেট সেবা নিতে আইএসপিগুলো এসসিএল ও এফএএইচ থেকে সংযোগ নেওয়ার কথা। সম্প্রতি এনটিটিএনের আরেক প্রতিষ্ঠান বাহন লিমিটেডও এই নেটওয়ার্কে যুক্ত হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলছে, কিন্তু এনটিটিএন প্রতিষ্ঠানগুলোর অভিযোগ, আইএসপিগুলো আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে এনটিটিএনের স্থাপিত লেবেল ডিস্ট্রিবিউশন প্রটোকল (এলডিপি) বা অ্যাকসেস পয়েন্ট (এপি) থেকে সংযোগ নিচ্ছে না।

অন্যদিকে প্রতিবেদনে বলা হয়, আইপিএস প্রতিষ্ঠানগুলোর অভিযোগ, কোনো ইন্টারনেট সংযোগে কোনো সমস্যা দেখা দিলে এনটিটিএন কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে প্রয়োজনীয় ও তাৎক্ষণিক সমাধান না পাওয়ায় তারা এলডিপি বা এপি থেকে সংযোগ নিতে চায় না।

এ ছাড়া এনটিটিএনগুলো তাদের এলডিপি ও এপি থেকে আইএসপি প্রতিষ্ঠানগুলোকে সংযোগ দেওয়ার ক্ষেত্রে মাত্রাতিরিক্ত চার্জ আদায় করছে বলে আইএসপি প্রতিষ্ঠানগুলোর বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

এমতাবস্থায় আইএসপি প্রতিষ্ঠানগুলো কোনো নিয়ম-নীতি অনুসরণ না করে নির্বিচারে সঞ্চালন ক্যাবল ঝুলিয়ে বাসাবাড়ি ও অফিসে সংযোগ দিচ্ছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। এমতাবস্থায় কেবল বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনই (বিটিআরসি) হস্তক্ষেপ করে দ্বন্দ্ব নিরসন করতে পারে।

অবশেষে বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানি ডিপিডিসি ও ডেসকোর সঙ্গে সমন্বয় করে সব ওভারহেড ক্যাবল ভূগর্ভস্থ করার জন্য ১১ দফা সুপারিশ করে কমিটি।

কমিটি দেখেছে, এলোমেলোভাবে ঝুলে থাকা ইন্টারনেট, নিরাপত্তা ও স্যাটেলাইট টিভির তার শুধু বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থার জন্যই বড় হুমকি নয়, রাজধানীর সৌন্দর্যবর্ধনে সরকারের পদক্ষেপের ক্ষেত্রেও বড় ধরনের প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে।

বাহন লিমিটেডের কর্মকর্তা রাশেদ আমিন বিদ্যুৎ বলেন, তারা কারিগরি কারণে ডিপিডিসির আন্ডারগ্রাউন্ড ক্যাবলিং প্রকল্পে যোগ দিচ্ছেন না, কারণ এটি আইএসপিএনের সঙ্গে সংযোগের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সুবিধা দেবে না।

তিনি বলেন, ‘তবে আমরা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অনুমতি নিয়ে নিজস্ব ক্যাবল মাটির নিচে নিচ্ছি।’


banner close