মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪

নওগাঁয় হেফাজতে নারীর মৃত্যু নিয়ে যা বলল র‌্যাব

সুলতানা জেসমিন
আপডেটেড
২৮ মার্চ, ২০২৩ ১৭:০৭
বিশেষ প্রতিনিধি, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত
বিশেষ প্রতিনিধি, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত : ২৮ মার্চ, ২০২৩ ১৬:৫২

নওগাঁয় র‌্যাব হেফাজতের স্থানীয় ভূমি অফিসে কর্মরত সুলতানা জেসমিন নামে একজন কর্মচারীর মৃত্যুর ঘটনায় অভ্যন্তরীণ তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে র‌্যাব। র‌্যাব বলেছে, তারা নারী ও শিশু অধিকারকে সবসময় গুরুত্ব দেয়। মারা যাওয়া ওই নারীকে কোনো নির্যাতন করা হয়নি বলেও দাবি র‌্যাবের।

মঙ্গলবার র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ‘যেহেতু একটা অভিযোগ এসেছে যে, উনি আমাদের হেফাজতে থাকাকালীন অসুস্থ হয়ে মারা গিয়েছেন। আপনারা জানেন আমাদের ইন্টার্নাল ইনকোয়ারি সেল রয়েছে। আমরা ইতিমধ্যে একটা তদন্ত কমিটি করেছি। তদন্ত কমিটি কাজ করছে যে আমাদের কোনো গাফিলতি বা ইনভলমেন্ট রয়েছে কিনা। আমাদের তদন্ত খুবই স্ট্রং হয়। আপনারা জানেন, যে কেউ যদি দোষী সাব্যস্ত হয়, অনেককেই কিন্তু চাকরিচ্যুতসহ বড় পানিশমেন্ট দেয়া হয়েছে।’

গত ২২ মার্চ সকাল সাড়ে ১০টায় শহরের নওজোয়ান মাঠের সামনে থেকে ওই নারীকে আটক করেন র‌্যাব জয়পুরহাট ক্যাম্পের সদস্যরা। আটকের প্রায় দুই ঘণ্টা পর দুপুরে সুলতানাকে অসুস্থ অবস্থায় নওগাঁ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে সন্ধ্যা পর্যন্ত চিকিৎসাধীন থাকার পর তার অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। গত ২৪ মার্চ সকালে রামেক হাসপাতালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। স্বজনদের অভিযোগ, জেসমিনকেকে হেফাজতে নিয়ে নির্যাতন করায় তার মৃত্যু হয়েছে।

এদিকে এ ঘটনার পর এ সংক্রান্ত যাতবীয় তথ্য চেয়েছেন হাইকোর্ট। মঙ্গলবার আদালতে দাখিলও করা হয়েছে। দেশের মানবাধিকার সংগঠনগুলোও র‌্যাব হেফাজতে মৃত্যুর এই ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে।

র‌্যাবের মুখপাত্র কমান্বডার মঈন বলেন, ‘আদালত আমাদের কিছু কোয়েরিজ দিয়েছে। যেসব কোয়েরিজ দিয়েছে যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আমরা আদালতে তা জমা দেব। গতকালই (সোমবার) তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। তদন্ত শেষ করতে একটু সময় লাগবে। এখানে অপারেশনের প্রক্রিয়াগত কোনো দুর্বলতা আছে কিনা এটা এখনই বলার সময় আসেনি। তদন্ত কমিটি যদি তাদের তদন্তে কোন গাফিলতি পায়, অবশ্যই আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে র‌্যাব কর্মকর্তা খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘রাজশাহীতে কর্মরত স্থানীয় সরকার বিভাগের এনামুল হক নামে একজন যুগ্ম সচিবের ফেসবুক আইডি হ্যাক করে একটি প্রতারক চক্র চাকরি দেয়ার নামে প্রতারণা করে আসছিল। প্রতারক চক্রেও সদস্যরা তার নাম ও পদবি ব্যবহার করে মানুষের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থও নিয়েছে। এই ঘটনায় এনামুল হক ২০২২ সালের মার্চ মাসে একটি জিডি করেন। গত ১৯ ও ২০ মার্চও তার নাম ব্যবহার করে অর্থ নেয়া হয়েছে। বিষয়টি তিনি নিজে নিজেই জানতে পারেন। এই ঘটনার সাথে আল আমিন নামে এক ব্যক্তি জড়িত। তার সহযোগী হিসেবে আমরা যাকে গ্রেপ্তার করেছিলাম সেই জেসমিনের সম্পৃক্ততাও পাওয়া যায়।’

খন্দকার আল মঈন বলেন, তার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতেই আমরা এই মহিলাকে প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করি। এ সময় দুজন সাক্ষী ছিলেন, এছাড়া এলাকার অনেক লোকও ছিলেন, তাদের সম্মুখেই তাকে জিজ্ঞাসাবদ করা হয়। তিনি এ বিষয়ে ইনভলভ কিনা জানতে চাইলে তিনি আমাদের মহিলা র‌্যাব সদস্যদের কাছে অকপটে সব স্বীকার করেন। মোবাইলটি তার সঙ্গে ছিল। সেই মোবাইলে যুগ্ম সচিব এনামুল হকের ফেসবুক ফেক আইডি চলমান অবস্থায় পাওয়া যায়। মোবাইলের পাসওয়ার্ড তিনি নিজেই ওপেন করে দিয়েছেন। আমারা তার মোবাইলে সোনালী ব্যাংকের একটি অ্যাকাউন্ট পাই, সেখানে টাকার জমা রশিদের প্রমাণ পাই। এছাড়া মোবাইলের মেসেজ চ্যাটিং থেকে আরও অনেক আলামত পাই। তিনি অকপটে সব স্বীকারও করেন। পরবর্তীতে সাীগনের সম্মুখে উনাকে সহ আমরা, এনামুল হকও ছিলেন, সাক্ষীরাও ছিলেন, তার মোবাইল থেকে পাওয়া আলামত কম্পিউটারের দোকানে নিয়ে প্রিন্ট করি। পরে আমরা থানার উদ্দেশে যাচ্ছিলাম মামলা করার জন্য, তখন ওই মহিলা অসুস্থ বোধ করেন। পরে তাকে আমরা থানায় না নিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যাই। আমরা নারী ও শিশু অধিকারের বিষয়ে সব সময় সিরিয়াস। প্রথমে তাকে নওগাঁ হাসপাতালে নিয়ে যাই। উনি হাসপাতালে যাওয়ার পরে ওনার বোন, ফুফু, চাচা সবাইকে হাসপাতালে ডাকা হয়। সন্ধ্যার দিকে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী রাজশাহী মেডিকেলে নেওয়া হয়। পরবর্তীতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

র‌্যাব কর্মকর্তা মঈন বলেন, কী কারনে তার মৃত্যু হয়েছে তার চিকিৎসকরা প্রাথমিকভাবে মৃত্যু সনদে বলেছে। পোস্টমটাম রিপোর্টে বিস্তারিত পাওয়া যাবে। তাকে কোনও নির্যাতন করা হয়নি। চিকিৎসকরাও বলেছেন, তার শরীরে কোনও আঘাতের ছিল‎ না।

তিনি বলেন, জেসমিস সুলতানাকে হাসপাতালে নেয়ার পর এনামুল হক থানায় ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে একটি মামলা করেন। সেই মামলার তদন্তেও বিস্তারিত বেরিয়ে আসবে।


জনস্বার্থকে অগ্রাধিকার দিতে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান রাষ্ট্রপতির

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন গতকাল দুপুরে ঢাকার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে কমিউনিটি ক্লিনিকের ২৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিসিয়েটিভ স্বর্ণপদক’ প্রাপ্তরা ফটোসেশনে অংশ নেন। ছবি: পিআইডি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন দেশের সব রাজনৈতিক দলগুলোকে রাজনৈতিক কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে জনস্বার্থকে অগ্রাধিকার দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, রাজনীতির মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যই জনকল্যাণ। সরকার ও রাজনীতিবিদদের সব সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রেই জনস্বার্থকে প্রাধান্য দিতে হবে।

রাষ্ট্রপ্রধান আজ মঙ্গলবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে কমিউনিটি ক্লিনিকের ২৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এসব কথা বলেন। তিনি দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত হয় এবং জনগণের ভোগান্তি বাড়ে এ ধরনের কর্মসূচি পরিহারের অনুরোধ জানান।

মানুষের অর্থনৈতিক ও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে গৃহীত পদক্ষেপগুলো বাস্তবায়নেও সবাইকে একযোগে কাজ করার তাগিদ দেন রাষ্ট্রপতি। তিনি বলেন, ‘জনস্বার্থে গৃহীত সরকারের সকল উদ্যোগকে সফল করতে দলমত নির্বিশেষে একযোগে কাজ করুন।’

রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন দেশের জনকল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠান হিসেবে কমিউনিটি ক্লিনিকের টেকসই অগ্রযাত্রায় সবাইকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার প্রতি গুরুত্বারোপ করেন। কমিউনিটি ক্লিনিকের উদ্যোক্তাদের সার্বিক কার্যক্রমের প্রশংসা করে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজীবন বাঙালির স্বাধীনতার জন্য কাজ করে গেছেন এবং বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথ ধরেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে এগিয়ে নিতে কমিউনিটি ক্লিনিকের জনকল্যাণমুখী বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেন।’

সরকারের কার্যক্রমের প্রতিটি ক্ষেত্রে জনস্বার্থকে প্রাধান্য দেওয়া উচিত উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান ও শিক্ষার পাশাপাশি জনস্বাস্থ্যের উন্নয়নে চিকিৎসা সেবাকে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে বহুমুখী কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হয়।’

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে ২০০০ সালের ২৬ এপ্রিল গোপালগঞ্জের গিমাডাঙ্গায় প্রথম কমিউনিটি ক্লিনিকের কার্যক্রম শুরু করেন। কমিউনিটি ক্লিনিকের কার্যক্রম বর্তমানে সারা বিশ্বে স্বাস্থ্যসেবার ‘অনন্য মডেল’ হিসাবে পরিচিতি লাভ করেছে।

রাষ্ট্রপতি বলেন, ২০০১ সালের নির্বাচনে ক্ষমতার পট পরিবর্তনের পর তৎকালীন সরকারের একটি প্রতিহিংসামূলক জনস্বার্থ বিরোধী সিদ্ধান্তে বন্ধ করে দেওয়া হয় প্রান্তিক মানুষের জন্য এই জননন্দিত স্বাস্থ্য সেবার উদ্যোগটি। আজ প্রান্তিক মানুষের, বিশেষ করে মহিলা ও শিশুদের চিকিৎসা সেবার ক্ষেত্রে কমিউনিটি ক্লিনিক জনগণের ভরসার স্থলে পরিণত হয়েছে। কমিউনিটি ক্লিনিকের উপযোগিতা ও সুনাম গ্রাম-শহর ছেড়ে জাতীয় পর্যায়ে, এমনকি বিশ্ব-পরিমন্ডলে ছড়িয়ে পড়তে থাকে।

তিনি বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে এবং জনগণের মৌলিক চাহিদা পূরণে কমিউনিটি ক্লিনিক কার্যক্রমের পাশাপাশি আশ্রয়ণ, সবার জন্য বিদ্যুৎ, আমার বাড়ি আমার খামার, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিসহ মোট দশটি বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।’

ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সুখী-সমৃদ্ধ জাতি গঠনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গৃহীত এই দশটি বিশেষ উদ্যোগ এরই মধ্যে জনগণের জীবনমান উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, জাতিসংঘ ‘কমিউনিটি ক্লিনিক’কে ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিসিয়েটিভ’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।এটি সরকারি, বেসরকারি অংশীদারিত্বে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবায় আমাদের সরকারের উদ্ভাবনী নেতৃত্বের প্রতি একটি গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি।

তিনি বলেন, বর্তমানে ১৪ হাজার ১৭৩ টি কমিউনিটি ক্লিনিক জন অংশীদারিত্বের একটি মডেল হিসেবে কাজ করছে। এটি সরকার-জনগণ পার্টনারশিপের অনন্য উদহারণ। তৃণমূল পর্যায়ে স্বাস্থ্য শিক্ষা প্রদান এবং বৈশ্বিক মহামারি করোনাকালে মহামারি প্রতিরোধে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে ও গণটিকাদান কর্মসূচি বাস্তবায়নে কমিউনিটি ক্লিনিক যে অবদান রেখেছে তা নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবিদার।

তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্যখাতে আমাদের সাফল্যের স্বীকৃতি স্বরূপ এমডিজি পুরস্কার, সাউথ-সাউথ পুরস্কার, গ্যাভি পুরস্কার ও ভ্যাক্সিন হিরো পুরস্কারের মতো অনেক সম্মানজনক আন্তর্জাতিক পুরস্কার বাংলাদেশ অর্জন করেছে। প্রধানমন্ত্রীর এই অর্জন বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে আর আমাদের করেছে গর্বিত।’

রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন যে, প্রধানমন্ত্রীর অনন্য উদ্যোগ ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ ছড়িয়ে পড়বে পুরো বিশ্বে এবং মানব কল্যাণে ভূমিকা রাখবে।

কমিউনিটি ক্লিনিক সহায়তা ট্রাস্টের সভাপতি অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব জাহাঙ্গীর আলম, কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্টির ব্যবস্থাপনা পরিচালক অতিরিক্ত সচিব এ কে এম নুরুন্নবি কবীর এবং কমিউনিটি বেইসড হেলথ কেয়ারের (সিবিএইচসি) লাইন ডিরেক্টর ডা. মো. কাইয়ুম তালুকদার প্রমুখ বক্তব্য দেন।

এদিকে, কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠা ও অধিকতর উন্নয়নের জন্য বিশেষ অবদান রাখায় তিনজন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ স্বর্ণপদক প্রদান করা হয়। তারা হলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এমিরিটাস অধ্যাপক ডা. এবিএম আবদুল্লাহ, জন হপকিনস ইউনিভার্সিটির গেস্ট লেকচারার বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. আহমদ আল কবির, গোপালগঞ্জের শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক ডা. নাহিদ ফেরদৌস।


চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন খাতে বাংলাদেশ ভারত অভিজ্ঞতা বিনিময় করা হবে: তথ্যপ্রতিমন্ত্রী

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন খাতে বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা-অভিজ্ঞতাবিনিময় করা হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। আজ সোমবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তর কক্ষে তার সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মার সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এ কথা জানান প্রতিমন্ত্রী।

ওই সময় সাংবাদিকদের প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে যে সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলো রয়েছে সে বিষয়ে ভারতের হাইকমিশনারের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। বাংলাদেশ টেলিভিশনে (বিটিভি) দুই ঘণ্টা সময়ব্যাপী একটি সমসাময়িক আন্তর্জাতিক সংবাদ বিশ্লেষণ ও সংবাদ উপস্থাপন আমরা শুরু করতে যাচ্ছি। আন্তর্জাতিক মানে বিটিভিতে যে দুই ঘণ্টার কার্যক্রম শুরু করা হবে সেখানে দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের খবরাখবর থাকবে এবং বিশ্ব সংবাদ থাকবে। এ বিষয়ে ভারতের সংবাদ সংস্থাগুলো বিশেষ করে এএনআই (এশিয়ান নিউজ ইন্টারন্যাশনাল)-এর সঙ্গে পারস্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্র তৈরি করা যায় কিনা সে বিষয়টি নিয়ে হাইকমিশনারের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। বিটিভির এ কার্যক্রম দিয়ে আমরা ভারতীয় দর্শকদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা করব।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ভারতের চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউটের সঙ্গে একটা সহযোগিতার ক্ষেত্র তৈরি করা, বিভিন্ন অভিজ্ঞতা বিনিময় ও প্রশিক্ষণ কর্মসূচি আয়োজন, দুই দেশের যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত মুজিব: একটি জাতির রূপকার চলচ্চিত্রের মতো আরও এ রকম চলচ্চিত্র যৌথ প্রযোজনা নির্মাণের সুযোগ আছে কিনা তা খুঁজে দেখার বিষয়গুলো আলোচনা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, অপতথ্য ও অপপ্রচারের ব্যাপারে ভারতের যেসব প্রতিষ্ঠান কাজ করে তাদের অভিজ্ঞতা, প্রক্রিয়া ও পদ্ধতিগুলো দুই দেশের মধ্যে বিনিময়ে করা হবে। এখানে কোনো প্রশিক্ষণের প্রয়োজন হলে সে জায়গায় পারস্পরিক সহযোগিতা বিষয়েও আলাপ হয়েছে।

ওই সময় আরও তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে তথ্য এবং সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট যে যে ক্ষেত্রে পারস্পারিক সহযোগিতার সুযোগ আছে, সে বিষয়গুলো নিয়ে ভারতের হাইকমিশনারের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। এসব ক্ষেত্রে পারস্পারিক সহযোগিতার মাধ্যমে বাংলাদেশ উপকৃত হবে। চলচ্চিত্র ও টেলিভিশনের ক্ষেত্রে ভারতের যেসব অভিজ্ঞতা রয়েছে সেগুলো আমরা যথাসম্ভব নেওয়ার চেষ্টা করব যাতে আমরা এসব ক্ষেত্রে আরও উন্নয়ন করতে পারি।’ দর্শক চাহিদার আলোকে দুই দেশের মধ্যে চলচ্চিত্র বিনিময়ের বিষয়টিও এ সময় উল্লেখ করেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী।


দাবদাহের মধ্যেই পানি সংকট রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায়

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ৩০ এপ্রিল, ২০২৪ ০৪:১৯
নিজস্ব প্রতিবেদক

তীব্র গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। সূর্যের তেজে মুষড়ে পড়েছে জনজীবন। বাইরে বের হলেই গলা শুকিয়ে আসছে পিপাসায়। হাঁপিয়ে উঠেছে সব শ্রেণিপেশার মানুষ। অসহনীয় গরমে বিপর্যস্ত প্রাণ-প্রকৃতি। এ অবস্থার মধ্যেই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় পাওয়া যাচ্ছে না ওয়াসার পানি। এই দাবদাহের মধ্যে পানি না পেয়ে অসহনীয় দুর্ভোগে পড়েছেন বহু মানুষ।

রাজধানীর মোহাম্মদপুর, মালিবাগ, বাসাবো, মিরপুর, রামপুরা, মেরুল, ডিআইটি, শেওড়াপাড়া, পুরান ঢাকা, মুগদা, মান্ডা, লালবাগ, বাড্ডা, নতুন বাজার, রায়েরবাগসহ বিভিন্ন এলাকায় গত কয়েক দিন ধরে পানির সংকট দেখা দিয়েছে।

ঢাকা ওয়াসার পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, সার্বিকভাবে পানি সরবরাহে ঘাটতি নেই। তবে কয়েক দিনের অসহনীয় গরমের কারণে পানির চাহিদা বেড়েছে। পাশাপাশি ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নেমে যাওয়ায় গভীর নলকূপের মাধ্যমে পানির উৎপাদন কিছু জায়গায় কম হচ্ছে, সেসব জায়গায় পানির সংকট দেখা দিয়েছে। আবার কিছু এলাকায় ঢাকা ওয়াসার গভীর নলকূপ কম থাকায় সেখানেও পানির সংকট তৈরি হয়েছে।

লাইনে পানি না পেয়ে যারা টাকার বিনিময়ে ওয়াসার গাড়ির পানি অর্ডার করছেন তারাও ঠিকমতো পানি পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেছেন। ঢাকা ওয়াসার আওতায় ১০টি মডস জোনে বিশেষ গাড়ির মাধ্যমে বাসা-বাড়িতে পানি পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা আছে। এ ক্ষেত্রে প্রতি ছয় হাজার লিটারের একটি বড় গাড়ির জন্য নেওয়া হয় ৬০০ টাকা; কিন্তু চাহিদা অনেক বেশি থাকায় সিরিয়াল দিয়ে বা ফোন করেও এসব পানির গাড়ি পাচ্ছেন না অনেকে। ৬০০ টাকার গাড়ির জন্য ১০০০ বা ১২০০ টাকা দিয়েও সিরিয়াল পাচ্ছেন না তারা।

কী বলছেন ভুক্তভোগীরা

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কাদেরাবাদ হাউজিংয়ে থাকেন বেসরকারি চাকরিজীবী সেলিম খান। তিনি কয়েক দিন ধরে বাসায় পানি পাচ্ছেন না। ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘গত ৪-৫ দিন ধরে ওয়াসার লাইনে পানি পাচ্ছি না আমরা। এত গরমে মানুষের জীবন যায় যায় অবস্থা। এর মধ্যে বাসায় পানি না থাকা যে কতটা কষ্টের তা কেবল ভুক্তভোগীরাই বোঝেন। এই ৪-৫ দিন গোসল নেই ঠিকমতো, শৌচাগার ব্যবহারও কঠিন হয়ে পড়েছে। পানি ছাড়া তো এই গরমে এক মুহূর্তও থাকা সম্ভব নয়। এত সমস্যা, কিন্তু ওয়াসার কোনো উদ্যোগ নেই।’

একই এলাকার পাঁচতলা একটি বাড়ির মালিক রফিকুল ইসলাম। তিনি একটি ব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তা। তিনি বলেন, ‘এই দাবদাহের মধ্যে পানি না থাকায় আমরা নিজেরা এবং ভাড়াটিয়ারা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। আমরা ওয়াসার মডস জোনে বারবার যোগাযোগ করছি। তারা বলছে পানি পাওয়া যাচ্ছে না। বারবার অর্ডার দিয়েও আমরা পানি পাচ্ছি না। রাতে এক গাড়ি করে পানি কিনে দিনে একবার ভাড়াটিয়াদের সরবরাহ করছি।’

রাজধানীর বাসাবো এলাকার বাসিন্দা আক্কাস মিয়াও একই অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, ‘রান্না, গোসল, বাথরুমের জন্য পানি পাচ্ছি না। খাওয়ার পানি বাইরে থেকে কিনে আনছি। এই গরমে খুবই দুর্বিষহ অবস্থা যাচ্ছে। এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে বারবার ওয়াসার সঙ্গে যোগাযোগ করেও কোনো সুফল পাচ্ছি না আমরা।’

কী বক্তব্য সংশ্লিষ্টদের

মডস জোনের আওতায় বাড্ডার বৌবাজার এলাকার ওয়াসার পাম্পের অপারেটর মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘অতিরিক্ত গরমের কারণে পানি সরবরাহে সংকট দেখা দিয়েছে। আমরা মেশিন চালিয়ে ঠিকমতো পানি পাচ্ছি না। পানির স্তর নিচে নেমে গেছে কিছু কিছু এলাকায়। গরমে পানির চাহিদাও কয়েক গুণ বেড়ে গেছে। সব মিলিয়ে পানি সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে।’

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঢাকা ওয়াসার এক কর্মকর্তা বলেন, সার্বিকভাবে পানি সরবরাহে ঘাটতি নেই। তবে গরমের কারণে পানির চাহিদা বেড়েছে। ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নেমে যাওয়ায় গভীর নলকূপের মাধ্যমে পানির উৎপাদন কিছু কিছু জায়গায় কম হচ্ছে। সেখানে পানির সংকট দেখা দিয়েছে।

ঢাকা ওয়াসার দাবি, চাহিদার তুলনায় বেশি পানি উৎপাদনের সক্ষমতা রয়েছে তাদের। শীতকালে রাজধানীতে দৈনিক পানির চাহিদা থাকে ২১০ কোটি লিটার থেকে ২৪০ কোটি লিটার। গরমকাল এলে এটা বেড়ে ২৬০ কোটি লিটারে গিয়ে দাঁড়ায়। ওয়াসার সক্ষমতা রয়েছে ২৯০ কোটি লিটার উৎপাদনের। তারা এখন দৈনিক ২৬০ কোটি লিটার উৎপাদন করছে।

বর্তমানে ঢাকা ওয়াসার পানি শোধনাগার রয়েছে পাঁচটি। তবে সংস্থাটি পানি পাচ্ছে চারটি শোধনাগার থেকে। উপরিতলের পানির উৎপাদন ৭০ শতাংশে উন্নীত করার কথা থাকলেও সেই লক্ষ্য এখনো ছুঁতে পারেনি ঢাকা ওয়াসা। বর্তমানে উপরিতলের পানি পাওয়া যাচ্ছে মোট উৎপাদনের ৩৫ শতাংশ। বাকি ৬৫ শতাংশ পানি তারা তুলছে ভূগর্ভ থেকে।

এদিকে শুষ্ক মৌসুমে ঢাকা মহানগরীর পানি সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন রাখার লক্ষ্যে ঢাকা ওয়াসার সব মডস জোনের কার্যক্রম তদারকির জন্য ১০টি মনিটরিং টিম গঠন করেছে ঢাকা ওয়াসা। রাজধানীতে পানির সমস্যা সমাধানে এসব টিম জুলাই মাস পর্যন্ত কার্যক্রম মনিটরিং করবে। এসব টিম জোনভিত্তিক পাম্পগুলো নিয়মিত ও আকস্মিক পরিদর্শন করবে। পাম্পচালকরা যথানিয়মে দায়িত্ব পালন করছে কি না, সে বিষয়ে নিশ্চিত হবে টিমগুলো। পরিদর্শনকালে তাৎক্ষণিক প্রয়োজনীয় সুপারিশসহ প্রশাসনকে লিখিতভাবে অবহিত করবে এ টিম।


উপজেলা নির্বাচনে থাকবে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা

প্রতিটি কেন্দ্রে থাকবে সর্বোচ্চ সংখ্যক পুলিশ-আনসার, প্রতি ইউনিয়নে ম্যাজিস্ট্রেট
উপজেলা নির্বাচনে এবারই সবচেয়ে বেশি নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রসচিব মোস্তাফিজুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

উপজেলা নির্বাচনকে অবাধ ও সুষ্ঠু করতে এবার প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে সর্বোচ্চ সংখ্যক আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন থাকবে। একই সঙ্গে প্রতিটি ইউনিয়নে দায়িত্বে পালন করবেন একজন ম্যাজিস্ট্রেট। প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে পুলিশ ও আনসারের সমন্বয়ে ১৭ থেকে ১৮ জনের দল নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতো উপজেলা নির্বাচনেও ৯৯৯-এ অভিযোগ জানানো যাবে। আজ সোমবার সচিবালয়ে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত সভায় এসব সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সভায় সভাপতিত্ব করেন। সভা শেষে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তাফিজুর রহমান সাংবাদিকদের সিদ্ধান্তগুলো জানান।

গৃহীত সিদ্ধান্তগুলো তুলে ধরে তিনি বলেন, সাধারণ ভোট কেন্দ্রসমূহে নির্ধারিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য আগে যা ছিল, সেটা থেকে যথেষ্ট পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে। এখন প্রতিটি সেন্টারে অস্ত্রসহ পুলিশ মোতায়েন থাকবে তিনজন, অস্ত্রসহ আনসারের পিসি এপিসিসহ থাকবে তিনজন, মোট ছয় জন অস্ত্রধারী সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন। প্রতিটি বুথ ম্যানেজমেন্টের জন্য কমপক্ষে ১০ জন আনসার থাকবে।

ছয়টির বেশি বুথ যেখানে আছে সেখানে অতিরিক্ত আরও একজন করে থাকবেন।

সিনিয়র সচিব বলেন, গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে অস্ত্রসহ পুলিশ সদস্য থাকবেন চার জন, অস্ত্রসহ আনসার সদস্য থাকবেন তিনজন, মোট ১৭ থেকে ১৮ জন ফোর্স মোতায়েন থাকবে।

যেহেতু ভোটের দিন ব্যালট পেপার পৌঁছানো হবে। মোবাইল ফোর্স, স্টাইকিং ফোর্স ভোর রাতেই ব্যালট পেপার পৌঁছে দেওয়ার কাজে নিয়োজিত থাকবে। ব্যালট পেপার সেন্টারে পৌঁছানোর পর তাদের এলাকাভিত্তিক যে দায়িত্ব বন্টন করা হবে, জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ সুপার, রিটার্নিং কর্মকর্তার সঙ্গে আলাপ করে যেটা করবে, সেইভাবে তারা দায়িত্ব পালন করবেন।

প্রতিটি ইউনিয়নে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত থাকবেন জানিয়ে তিনি বলেন, প্রতিটি উপজেলায় একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন। আচরণবিধি মানা হচ্ছে কিনা সেটা দেখভালের জন্য ভোটের দু’দিন আগে, ভোটের দিন এবং ভোটের পরে দুদিন তারা সেখানে দায়িত্ব পালন করবেন।

তিনি আরও বলেন, ‘আনসার, পুলিশ, বিজিবি, র‌্যাব ও কোস্টগার্ডের সমন্বয়ে গড়ে প্রতি পাঁচটি সেন্টারের জন্য একটি স্ট্রাইকিং ফোর্স বা মোবাইল ফোর্স প্রস্তুত থাকবে । উপকূলীয় এলাকাগুলোতে বিজিবির পরিবর্তে কোস্টগার্ড দায়িত্ব পালন করবে। পার্বত্য এলাকার কিছু দুর্গম কেন্দ্রে প্রতি বছরের মতো এবারও হেলিকপ্টারের মাধ্যমে ভোটের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা এবং ভোটের উপকরণ পৌঁছে দেওয়া হবে।’

তিনি বলেন, ‘এই পর্যন্ত গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী সেইরকম কোন সহিংসতার খবর নেই। তারপর আমাদের প্রতিটি বাহিনী সতর্ক থাকবে। সুষ্ঠু ভোটের জন্য যা যা করণীয় তা করা হবে।’

সব বাহিনীর প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি সমন্বয় সেল খোলা হবে জানিয়ে সিনিয়র সচিব বলেন, গত সংসদ নির্বাচনের আদলে সকল ধরনের নির্বাচন সংক্রান্ত কমপ্লেইন ৯৯৯- এর মাধ্যমে গ্রহণ করা হবে। একটি সফটওয়্যারের মাধ্যমে এটি ম্যানেজ করা হবে, প্রতিটি অভিযোগ আসার পর থেকে এটি কিভাবে নিষ্পত্তি হলো, কে এটি দেখল- সবকিছু ট্র্যাকিং থাকবে এবং একটি টিম এখানে বসে দেখভাল করবে।’

মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘প্রতি ভোটের দু’দিন আগে, ভোটের দিন, ভোটের পরের দিনসহ মোট চার দিন আমাদের এই সমন্বয় সেল থাকবে।’

এদিকে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেছেন, গত নির্বাচনে আপনারা দেখেছেন মাঠে শুধু আর্মি থাকেনি সেখানে পর্যাপ্ত আনসার, পুলিশও ছিলো, তেমনি এবারও উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে পর্যাপ্ত পরিমাণে র‌্যাব, পুলিশ, আনসার মোতায়েন থাকবে এছাড়াও সকল নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। আজ রাজবাড়ী জেলা প্রশাসনের আয়োজনে এক মতবিনিময়সভায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন তিনি।

নির্বাচন কমিশনার বলেন, তীব্র তাপমাত্রায় আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতেও কিন্তু নির্বাচন বন্ধ হয়নি। এটাও প্রথম না, এরআগেও আমাদের দেশে কিন্তু তাপদাহের মধ্যে নির্বাচন হয়েছে। সুতরাং চলমান তাপদাহের মধ্যে একটু কষ্ট হলেও মানুষ ভোট দিতে আসবে। তাছাড়া আমাদের অধিকাংশ স্থায়ী কেন্দ্র গুলো পাকা। প্রতিটি কেন্দ্রে গাছ পালা রয়েছে, ভোটের দিন কেন্দ্রে কেন্দ্রে পর্যাপ্ত বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা থাকবে। বিগত দিনে প্রতিটি নির্বাচনে ভোটারদের সংখ্যাও ভালো ছিলো, আশা করছি এবারও মানুষ উৎসব মুখর পরিবেশে ভোট দিতে আসবে।

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের সাধারণ নির্বাচন-২০২৪ উপলক্ষে রাজবাড়ী জেলার নিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসার, আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর স্থানীয় ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট অন্য ব্যক্তিদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর।

রাজবাড়ী জেলা প্রশাসক আবু কায়সার খানের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার জিএম আবুল কালাম আজাদ, (৪৭ বিজিবি) এর সেকেন্ড কমান্ড মেজর রকিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সিদ্ধার্থ ভৌমিক,
জেলা নির্বাচন অফিসার মো. অলিউল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোসা. মোরশেদা খাতুন সহ রাজবাড়ীর বিভিন্ন উপজেলার নির্বাহী অফিসার, নির্বাচন কর্মকর্তা, সহকারী কমিশনার ভূমি, থানার ওসি প্রমুখ।

এদিকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাবিহীন ও ভোটারবিহীন নির্বাচন কিছুটা চুন ছাড়া পানের মতো বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) রাশেদা সুলতানা। আজ ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে উপজেলা নির্বাচন উপলক্ষে এক মতবিনিময় সভায় তিনি একথা বলেন।

তিনি বলেন, নির্বাচনে প্রার্থীদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা যেমন জরুরি, ঠিক তেমনি ভোটার উপস্থিতি, তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করার পরিবেশ তৈরি করে দেওয়া অত্যন্ত জরুরি। তাই নির্বাচন কমিশনের পাশাপাশি সকলকে একত্রিত হয়ে এসব কাজ করতে হবে। কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি বাড়াতে হবে।

রাশেদা সুলতানা আরও বলেন, দেশের জন্য নির্বাচন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কারণ গণতন্ত্রের মূল ভিত্তি নির্বাচন। নির্বাচনের মাধ্যমেই যারা দেশ পরিচালনা করবেন জনগণের পক্ষে, সেই জায়গাটা রদবদল হবে।

এ সময় জেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমান, পুলিশ সুপার উত্তম প্রসাদ পাঠকসহ পঞ্চগড় ও দিনাজপুর জেলার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও উপজেলা নির্বাচনের সব প্রার্থী উপস্থিত ছিলেন।


আগামী বছর হজের খরচ আরও কমবে: ধর্মমন্ত্রী

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খান বলেছেন, ‘এ বছর আমাদের হজের খরচ গত বছরের চেয়ে ১ লাখ ২ হাজার টাকা কমানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী আমাদের যে নির্দেশনা দিয়েছেন সে নির্দেশনা যদি পুরোপুরি পালন করতে পারি, তাহলে আমরা আশা করছি আগামী বছর এ খরচ আরও কমে আসবে। পাশাপাশি হজযাত্রীদের জন্য সুন্দর আবাসনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে পারব।’

আজ সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের মওলানা মোহাম্মদ আকরাম খাঁ হলে বঙ্গবন্ধু একাডেমি আয়োজিত ‘দেশ ও জাতির উন্নয়নে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার সফল নেতৃত্বের বিকল্প নেই’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন ধর্মমন্ত্রী।

ফরিদুল হক খান বলেন, ‘আগামী বছর যারা হজে যাবেন তারা যেন তাদের আবাসনস্থল থেকে যেকোনো সময় মক্কা ও মদিনায় ঘুরতে যেতে পারেন সে জন্য অতিরিক্ত বাসের ব্যবস্থা করা হবে। বাসগুলো ১০ মিনিট পরপরই যাতায়াত করবে। এভাবে অনেকগুলো পরিকল্পনা আমরা হাতে নিয়েছি।’

চাঁদ দেখার বিষয়ে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা তৈরি করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা চাঁদ দেখার বিষয় সুনির্দিষ্ট নিয়ম-নীতিমালা তৈরি করে ফেলেছি। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আমরা ৬৪ জেলায় জেলা প্রশাসকদের নেতৃত্বে চাঁদ দেখা কমিটি গঠন করেছি। চাঁদ দেখার আগে প্রত্যেক জেলা থেকে আমাদের জানানো হয় যে, চাঁদ দেখা গেছে কি যায়নি। এ ছাড়া কোনো জেলা থেকে যদি কোনো জনপ্রতিনিধি জানায় যে চাঁদ দেখা গেছে তবে সেখানে তিনজন সাক্ষীর কথা বলা হয়। যদি চারজন মিলে বলে যে চাঁদ দেখা গিয়েছে তবে সে চাঁদ দেখার বিষয়টি আমরা বিবেচনায় নিই। পাশাপাশি আমাদের আবহাওয়া অধিদপ্তর আমাদের এ ব্যাপারে সহযোগিতা করে।’

মন্ত্রী আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আমরা ধর্মীয় মূল্যবোধ সৃষ্টির চেষ্টা করছি। এ বিষয়ে দেশের প্রতিটি জেলার মসজিদ, মন্দির, প্যাগোডাসহ সব জায়গায় শিক্ষার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এই বাংলাদেশ সম্প্রীতির দেশ। প্রধানমন্ত্রী বলেন সংখ্যালঘু বলতে এ দেশে কিছু নেই। যদি কেউ বলে সেটার প্রতিবাদ করা উচিত। আমাদের পরিচয় হলো আমরা সবাই বাঙালি। সবার সমঅধিকার নিয়ে আমরা এ দেশে বসবাস করছি।’

বঙ্গবন্ধু একাডেমির সহ-সভাপতি এমরান হোসেনের সভাপতিত্বে ওই সময় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা এম এ করিম, বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদের সভাপতি মো. গণি মিয়া বাবুল, বঙ্গবন্ধু একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা ও মহাসচিব হুমায়ূন মিজি প্রমুখ।


ফসলি জমি অন্য কাজে ব্যবহারে অনুমতি লাগবে: ভূমিমন্ত্রী

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশে কৃষি জমি নষ্ট করা যাবে না বলে জানিয়েছেন ভূমিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ। তিনি বলেন, আর খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা ধরে রাখতে তিন ফসলি, দো-ফসলি জমি অন্য কোনো খাতে ব্যবহার করা যাবে না। কৃষি জমি নষ্ট না করে জনসংখ্যা অনুপাতে খাদ্যের নিশ্চয়তা নিশ্চিত করতে এক ফসলি জমি অন্য কাজে ব্যবহার করা হলেও সরকারের অনুমতি নিতে হবে। এ জন্য দেশের মানুষ ও জমির মালিকদের সচেতন হতে হবে।

মন্ত্রী বলেন, এক শতক জমি নষ্ট করা যাবে না। যদি মানুষ জমি নষ্ট না করে জমিতে চাষ করে, তাহলে দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করবে।
আজ সোমবার রংপুর সফরে এসে নগরীর সার্কিট হাউসে গার্ড অব অনার শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

ভূমিমন্ত্রী বলেন, পঞ্চগড়, দিনাজপুর ও রংপুর এ তিন জেলা শস্য ভাণ্ডার হিসেবে পরিচিত। ফলে জমি আমাদের সংরক্ষণ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে সরকার সবার সহযোগিতা চায়। সুন্দর ভূমি ব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়ে আমাদের নতুন প্রজন্মের জন্য যেন খাদ্য নিশ্চিত করতে পারি, সেই লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছি।

ভূমি সেবায় হয়রানি বন্ধে মন্ত্রী বলেন, ‘জরিপের ওপর নির্ভর করে খাজনা ও খতিয়ান ডিজিটাল পদ্ধতিতে নিয়ে আসা হচ্ছে। ভূমিসেবায় ই-নামজারি, ই-খাজনা দেওয়া চালু করা হয়েছে। কোনো গ্রাহককে অফিসে গিয়ে হয়রানির শিকার হতে হবে না। এ ছাড়া দেশের প্রতিটি মানুষের সঙ্গে ভূমি মন্ত্রণালয় জড়িত। এটিতে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা দরকার। আমরা পর্যায়ক্রমে ম্যাপিংয়ের মাধ্যমে ভূমিসেবাকে এমন পর্যায়ে নিয়ে যাব, যেন জাতীয় পরিচয়পত্রের মাধ্যমে জানা যাবে একজন ব্যক্তির কী পরিমাণ এবং কোন খতিয়ানে কত জমি রয়েছে। ফলে জাল দলিলের সমস্যা আর হবে না।’

দখল হওয়া নদী-নালা, খাল-বিল, জলাশয় উদ্ধার সময় সাপেক্ষ ও কঠিন ব্যাপার উল্লেখ করে তিনি বলেন, ডিজিটাল জরিপ অনুযায়ী সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে খাস জমি ও ব্যক্তি মালিকানাধীন জমির শ্রেণি বিন্যাস করা হচ্ছে। এ বিষয়ে প্রতিটি জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তারা ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। জেলা ও মৌজা অনুযায়ী খাল-বিল ও খাস জমির তালিকা রয়েছে। সেটার মধ্যে কতটুকু নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং কতটুকু নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে, তা জেলা প্রশাসক নির্ধারণ করবে। কিন্তু দীর্ঘদিন এই ব্যবস্থা না করার কারণে এটি এমন এক পর্যায়ে চলে গেছে যে, এটি সময় সাপেক্ষে এবং কঠিন ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই চ্যালেঞ্জকে মোকাবিলা করতে একটি সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে খাস জমি, ব্যক্তি মালিকানাধীন জমির শ্রেণি বিন্যাস করা হবে ডিজিটাল জরিপে।

ওই সময় উপস্থিত ছিলেন ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান আব্দুস সবুর মণ্ডল, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান, জেলা পুলিশ সুপার ফেরদৌস আলী চৌধুরী, মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তুষার কান্তি মণ্ডল, জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য জাসেম বিন জুম্মন, মেট্রোপলিটন পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার আবু মারুফ হোসেনসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা।


ব্যাংকক থেকে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি
আপডেটেড ২৯ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:২৫
বাসস

থাইল্যান্ডে ছয় দিনের রাষ্ট্রীয় সফর শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফিরেছেন বলে জানিয়েছে বাসস। রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থাটির প্রতিবেদনে জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইটটি আজ সোমবার বেলা ১১টা ২৫ মিনিটে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

এর আগে ব্যাংকের ডন মুয়েং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে স্থানীয় সময় সকাল ১০টা ১০ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয় ফ্লাইটটি।

দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক মজবুত করার লক্ষ্যে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী শ্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে গত ২৪ এপ্রিল দেশটিতে সফরে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সফরের অংশ হিসেবে ২৬ এপ্রিল থাই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার কার্যালয় গভর্নর হাউসে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে অংশ নেন শেখ হাসিনা।

ওই দিন দুই প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে ভিসা ছাড়া ভ্রমণ, জ্বালানি, পর্যটন ও শুল্ক সংক্রান্ত বিষয়ে সহযোগিতা এবং বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে মুক্তবাণিজ্য চুক্তি নিয়ে সমঝোতা আলোচনার মতো বিষয়ে পাঁচটি নথিতে সই করে দুই দেশ।

থাই প্রধানমন্ত্রী থাভিসিন আয়োজিত মধ্যাহ্নভোজে অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তার এ সফর দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে মাইলফলক হয়ে থাকবে।


ঢাকার উদ্দেশে ব্যাংকক ছেড়েছেন প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি
আপডেটেড ২৯ এপ্রিল, ২০২৪ ১১:৫০
ইউএনবি

থাইল্যান্ডে ছয় দিনের সরকারি সফর শেষে দেশের উদ্দেশে ব্যাংকক ত্যাগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইট স্থানীয় সময় সোমবার সকাল ১০টায় ডন মুয়াং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে।

ফ্লাইটটি বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা রয়েছে।

দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী শ্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় সফরে গত ২৪ এপ্রিল ব্যাংককে যান শেখ হাসিনা।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ২৬ এপ্রিল গভর্নমেন্ট হাউসে থাই প্রধানমন্ত্রী থাভিসিনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন এবং দুই নেতার উপস্থিতিতে ভিসা অব্যাহতি, জ্বালানি, পর্যটন ও কাস্টমস বিষয়ক সহযোগিতা এবং বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) নিয়ে আলোচনার বিষয়ে পাঁচটি দ্বিপক্ষীয় নথি সই হয়। সেখানে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী থাভিসিন আয়োজিত মধ্যাহ্নভোজে অংশ নিয়ে শেখ হাসিনা তার এই সফরকে দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক হিসেবে অভিহিত করেন।

তিনি বলেন, ‘এই সরকারি সফর আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে। এটি আমাদের দুই দেশের মধ্যে ফলপ্রসূ অংশীদারিত্বের নতুন যুগের সূচনা করেছে।’

এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রী ২৫ এপ্রিল দুসিথ প্রাসাদের অ্যামফর্ন সাথার্ন হলে থাইল্যান্ডের রাজা ও রানী মহা ভাজিরালংকর্ন ফ্রা ভাজিরা ক্লাওচা উয়ুয়া এবং সুথিদা বজ্রসুধা বিমলা লক্ষণের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।

বহুপক্ষীয় উদ্যোগের অংশ হিসেবে শেখ হাসিনা ২৫ এপ্রিল থাইল্যান্ডের ব্যাংককে জাতিসংঘ সম্মেলন কেন্দ্রের ইউএন এসকাপ হলে (২য় তলায়) জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএনএসকাপ) ৮০তম অধিবেশনে বক্তব্য দেন।

ঢাকা ও ব্যাংককের মধ্যে সই হওয়া পাঁচটি নথি হলো- একটি চুক্তি, তিনটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) এবং একটি লেটার অব ইনটেন্ট (এলওআই), জ্বালানি সহযোগিতা বিষয়ক সমঝোতা স্মারক; কাস্টমস সম্পর্কিত বিষয়ে সহযোগিতা ও পারস্পরিক সহায়তা সম্পর্কিত সমঝোতাপত্র; পর্যটন ক্ষেত্রে সহযোগিতা সংক্রান্ত সমঝোতাপত্র; এবং এলওআই ২০২৪ সালের মধ্যে একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) নিয়ে আলোচনা শুরু করবে।

২৪ এপ্রিল বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে ডন মুয়াং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়।


মে মাসেও তীব্র দাবদাহের আশঙ্কা

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ২৯ এপ্রিল, ২০২৪ ০১:১০
নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশে চলমান দাবদাহে জনজীবন হাপিত্যেশ। সূর্যের প্রখরতায় দিনের বেলা শ্রমজীবী মানুষ কাজ করতে হিমশিম খাচ্ছেন। এপ্রিলের শেষ অবধি দেশে তীব্র দাবদাহ অব্যাহত থাকার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। গতকাল রোববার থেকে দেশে নতুন করে চতুর্থ দফায় তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে।

এদিকে এপ্রিলের মতো মে মাসেও তীব্র দাবদাহের কথা জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। আবহাওয়া অফিসের দেয়া তথ্যে আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে বৃষ্টিপাত হওয়াসহ কালবৈশাখী ঝড় হওয়ার কথা বলা হলেও পাশাপাশি তীব্র তাপপ্রবাহও অব্যাহত থাকার কথাও উল্লেখ করেছে।

বাংলাদেশের সব স্থানে দীর্ঘতম সময়ের তাপদাহ শেষ হওয়ার পর আগামী মাসে দেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা সর্বকালের রেকর্ড ভেঙে দিতে পারে বলে আবহাওয়া অফিস আশঙ্কা প্রকাশ করেছে। এই বিষয়ে আবহাওয়াবিদ কাজী জেবুন্নেসা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমাদের গাণিতিক মডেল বিশ্লেষণ বলছে, আগামী মে মাসের প্রথম সপ্তাহে দেশের কিছু অংশে প্রত্যাশিত বৃষ্টিপাত হলেও মে মাসে দেশে সর্বকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হতে পারে।’

তিনি আরও বলেন, ‘উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সিলেট অঞ্চল, বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চলের কিছু অংশ এবং দক্ষিণ-পূর্ব চট্টগ্রাম অঞ্চলে কিছু স্বস্তির বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও এতে সারা দেশে চলমান দাবদাহ হ্রাসের সম্ভাবনা কম।’

দেশে গত ১ এপ্রিল থেকে ২৭ দিন ধরে তাপপ্রবাহের দীর্ঘতম সময় প্রত্যক্ষ করছে এবং আবহাওয়া অফিস সতর্ক করেছে যে এ অবস্থা পরবর্তী মাসজুড়ে অব্যাহত থাকবে।

আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চুয়াডাঙ্গা জেলার ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ এবং রাজশাহী, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, যশোর ও কুষ্টিয়া জেলাগুলোর ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। দিনাজপুর, রাঙামাটি, চাঁদপুর, ফেনী ও বান্দরবান জেলাসহ রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশ এবং ঢাকা ও বরিশাল বিভাগগুলোর ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকবে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি ভাব বিরাজমান থাকবে।

আজ সোমবার সিলেট বিভাগের দুই-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে এবং সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। বিরাজমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে। সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি ভাব বিরাজমান থাকবে।

সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায় রেকর্ড

অতি তীব্র দাবদাহে চুয়াডাঙ্গায় মানুষের জনজীবন ওষ্ঠাগত হয়ে পড়েছে। গত কয়েক দিন ধরে মাঝারি, তীব্র ও অতি তীব্র দাবদাহ চলছে চুয়াডাঙ্গায়। এর মধ্যে ৭ দিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়। গতকাল রোববার বিকেল ৩টায় চুয়াডাঙ্গা জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস বলে জানিয়েছে স্থানীয় আবহাওয়া অফিস। সন্ধ্যা ৬টায় সেখানে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। তীব্র দাবদাহের কারণে প্রশাসনের তরফ থেকে জনসাধারণকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

হাসপাতালে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়াসহ বিভিন্ন রোগীর চাপ অস্বাভাবিকহারে বেড়ে গেছে। প্রচণ্ড দাবদাহে জেলায় ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। সেই সঙ্গে বাতাসের আর্দ্রতা বেশি থাকায় অনুভূত হচ্ছে ভ্যাপসা গরম। দাবদাহে খুব প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাড়ির বাইরে বের হচ্ছেন না। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সর্বত্র লু হাওয়া বয়ে যাচ্ছে। জেলায় দুপুরের পর ঘরে থাকা দুরূহ হয়ে পড়েছে। দাবদাহে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন শ্রমজীবীরা। চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া সিনিয়র পর্যবেক্ষক রকিবুল হাসান জানান, আগামী ৫-৬ দিনের মধ্যে তাপমাত্রা কমার লক্ষণ নেই। আরও বাড়তে পারে।

আরও ৭২ ঘণ্টার হিট অ্যালার্ট জারি

রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে মাঝারি থেকে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে আরও ৭২ ঘণ্টা বা তিন দিন ধরে এই তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে জানিয়ে হিট অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। রোববার আবহাওয়াবিদ খো. হাফিজুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়। এতে বলা হয়, দেশের ওপর দিয়ে চলমান তাপপ্রবাহ গতকাল হতে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে।

জলীয়বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বৃদ্ধি পেতে পারে। এর আগে গত ১৯ এপ্রিল তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে প্রথমবার তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি করা হয়। এরপর কয়েক ধাপে তা বাড়ানো হয়। চতুর্থ ধাপে আবারও তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। যা আগামীকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।


গুরুতর অসুস্থ মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুর রশীদ

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিশেষ প্রতিনিধি

বিশিষ্ট নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুর রশীদ গুরুতর অসুস্থ। তিনি বর্তমানে ঢাকা সেনানিবাসে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

তাকে কয়েক দিন ধরে হাসপাতালের আইসিইউতে রাখা হয়েছে। মাস খানেক আগে তিনি চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর যান। সেখান থেকে দেশে ফেরার পর তার স্বাস্থ্যের অবস্থা অবনতি ঘটে। পরে তাকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

বিভিন্ন টকশোতে অংশ নেন আব্দুর রশীদ। তার লেখা কলাম বিভিন্ন পত্রিকায় নিয়মিত প্রকাশিত হয়। সেনাবাহিনীতে চাকরির সময় মেধাবী অফিসার হিসেবে তিনি পরিচিত ছিলেন।


৩৫ হাজার রিকশাচালককে ছাতা দেবে ডিএনসিসি

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) আওতাধীন এলাকার ৩৫ হাজার রিকশাচালককে বিনামূল্যে ছাতা ও খাবার স্যালাইন দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে সংস্থাটি। আজ রোববার গুলশান-২ নগর ভবনের সামনে ছাতা বিতরণ কর্মসূচি উদ্বোধনকালে এ কথা জানান ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ডিএনসিসি এলাকার ৩৫ হাজার রিকশাচালককে বিনামূল্যে একটি করে ছাতা, ১২ প্যাকেট খাবার স্যালাইন এবং হাফ লিটারের একটি পানির বোতল দেওয়া হবে।

এ সময় রিকশাচালকদের মাঝে ছাতা, পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ করেন মেয়র আতিকুল ইসলাম।

মেয়র বলেন, ‘তীব্র তাপপ্রবাহে রিকশাচালকদের খুব কষ্ট হয়। প্রচণ্ড রোদে তারা অসুস্থ হয়ে গেলে পুরো পরিবারের জন্য সমস্যা। রোদের কারণে তারা যদি রিকশা চালাতে না পারেন, তাহলে তাদের পরিবার চলতে পারবে না। দৈনিক আয়ের ওপর অনেক রিকশাচালকের পরিবার চলে। তাই তীব্র গরমে তাদের কষ্টের কথা চিন্তা করে এমন উদ্যোগ নিয়েছি।’

চিফ হিট অফিসার বুশরা আফরিনের পরামর্শে ছাতা ও পানি বিতরণ করা হচ্ছে বলেও জানান মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। ছাতা বিতরণ কার্যক্রমটি দেখতে আসেন বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ আল দুহাইলান, আলজেরিয়ার রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জুলকার নায়েন, বাংলাদেশে নিযুক্ত পা‌কিস্তা‌নের হাইক‌মিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলম, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মঈন উদ্দিন, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমরুল কায়েস চৌধুরী, ১৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. মফিজুর রহমান, সংরক্ষিত আসনের নারী কাউন্সিলর আমেনা বেগম প্রমুখ।


কিশোর গ্যাং দমনে কঠোর হওয়ার সুপারিশ

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশে বর্তমানে কিশোর গ্যাং একটি ভয়াবহ আতঙ্কের নাম। একশ্রেণির কিশোররা মাদক সেবন, খুন, চাঁদাবাজিসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে যুক্ত হয়ে পড়ছে। রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলা শহরেও ছড়িয়ে পড়েছে কিশোর গ্যাংয়ের উৎপাত। দিন দিন এরা বেপরোয়া হয়ে উঠছে। গণমাধ্যমে প্রায়ই এদের নানা অপরাধের খবর প্রকাশিত হচ্ছে।

এমন প্রেক্ষাপটে মাদক নির্মূল ও কিশোর গ্যাং দমনে কঠোর হওয়ার সুপারিশ করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। আজ রোববার জাতীয় সংসদ ভবনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির দ্বিতীয় বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়।

বৈঠকে কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা বেনজীর আহমদ সভাপতিত্ব করেন। এ সময় কমিটির সদস্য ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আসাদুজ্জামান খান, সামছুল হক দুদু , ডা. সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল, ময়েজ উদ্দিন শরীফ, মো. ছানোয়ার হোসেন, চয়ন ইসলাম, মো. সাদ্দাম হোসেন (পাভেল) এবং হাছিনা বারী চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম আব্দুল হাইয়ের মৃত্যুতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির পক্ষ থেকে শোক প্রকাশ করা হয় ও মরহুমের স্মরণে ১ মিনিট দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করা হয়।

কমিটি মাদক নির্মূলে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানায় ও কঠোর হস্তে কিশোর গ্যাং দমন করার সুপারিশ করে। এ ছাড়া মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সার্বিক কার্যক্রমের ওপর প্রতিবেদন উপস্থাপন ও বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।

বৈঠকে জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব, সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিবসহ দুই বিভাগের আওতাধীন বিভিন্ন সংস্থার প্রধান এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।


উপজেলা নির্বাচনে কঠোর থাকবে কমিশন: ইসি আলমগীর

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আগের নির্বাচনগুলোর চেয়ে আগামী উপজেলা নির্বাচনের সময় আইনশৃঙ্খলার দিক থেকে নির্বাচন কমিশন (ইসি) কঠোর থাকবে বলে জানিয়েছেন ইসি মো. আলমগীর। সেনাবাহিনী থাকবে না তারপরও অন্যান্য বাহিনীর সদস্যরা এ সময় সচেষ্ট থাকবে বলেও জানান তিনি।

গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আজ রোববার বিকেলে আয়োজিত ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিবিষয়ক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

নির্বাচন কমিশনার জানান, ‘অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সব ধরনের প্রচেষ্টা থাকবে নির্বাচন কমিশনের। নির্বাচন কমিশন আশা করে এই নির্বাচনেও ভোটারের উপস্থিতি সন্তোষজনক থাকবে। আমরা সেই আশা করছি।’

জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলমের সভাপতিত্বে মত বিনিময় সভায় পুলিশ সুপার আল বেলী আফিফাসহ নির্বাচন-সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

অন্যদিকে এ দিন দুপুর ১টায় টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধের বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর হোসেন। পরে তিনি বেদীর পাশে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থেকে জাতির পিতার প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।

এরপর পবিত্র ফাতেহা পাঠ করে তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, ’৭৫-এর ১৫ আগস্টের শহীদ ও মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মউৎসর্গকারী ৩০ লাখ শহীদের রুহের মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া মোনাজাতে অংশ নেন।

ওই সময় জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম, পুলিশ সুপার আল-বেলী আফিফা, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মঈনুল হক, পৌরসভার মেয়র শেখ তোজাম্মেল হক টুটুল, ওসি খন্দকার আমিনুর রহমান, টুঙ্গিপাড়া ট্যুরিস্ট পুলিশের ওসি জিএম হামিদসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।


banner close