নওগাঁয় র্যাব হেফাজতে সুলতানা জেসমিনের মৃত্যুর ঘটনায় র্যাবের এখতিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন হাইকোর্ট। জেসমিনকে যে তুলে নেয়া হয়েছে, এটা র্যাবের এখতিয়ারের মধ্যে আছে কি না, আটকের সময় তার বিরুদ্ধে মামলা ছিল কি না এবং র্যাব আটকের পর থেকে মৃত্যু পর্যন্ত কী ঘটেছিল- সে বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে বলেছেন আদালত।
মঙ্গলবার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। পরে এ বিষয়ে শুনানির জন্য ৫ এপ্রিল দিন ঠিক করে দিয়েছেন আদালত।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। আবেদনকারীর পক্ষে ছিলেন মনোজ কুমার ভৌমিক।
আইনজীবী মনোজ কুমার ভৌমিক সাংবাদিকদের বলেন, ‘জেসমিনকে যে তুলে নেয়া হলো, এটা র্যাবের এখতিয়ারের মধ্যে আছে কি না তা আদালত জানতে চেয়েছেন। তাছাড়া এই নারী যখন র্যাবের হেফাজতে ছিলেন তখন র্যাব যে আচরণ করেছে তা আইন অনুযায়ী হয়েছে কি না সেটিও আদালত জানতে চেয়েছেন। আমরা বিচার বিভাগীয় একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি করার দাবি করেছিলাম। মারা যাওয়ার পরও কেন ১৫৪ ধারায় মামলা হলো না। এ বিষয়ে আবেদন করেছিলাম। আদালত শুনানি নিয়ে আরও কিছু ডকুমেন্ট দেখবেন। পোস্টমটেম রিপোর্টটা দেখবেন। আগামী বুধবার আবারও শুনানি হবে।’
এ আইনজীবী বলেন, ‘জেসমিন মারা গেছেন শুক্রবার। বুধবার গ্রেপ্তারের পর থেকে শুক্রবার পর্যন্ত তিনি র্যাব হেফাজতে ছিলেন, এ সময় কী ঘটেছিল। একইসঙ্গে আটকের পর থেকে সুলতানা জেসমিনকে সম্মানজনক জায়গায় (থানা অথবা কার্যালয়ে) নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল কি না এবং হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগ পর্যন্ত সময়ে র্যাবের আচরণ আইনানুগ হয়েছে কি না, তাও জানতে চেয়েছেন আদালত।’
এছাড়া চূড়ান্ত ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে সুলতানা জেসমিনের মৃত্যুর কারণ সংক্রান্ত তথ্য আদালতকে জানাতে বলা হয়েছে। আগামী ৫ এপ্রিলের মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষকে এ সংক্রান্ত আইন, নথি ও সুলতানা জেসমিনের ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। ওই দিন পরবর্তী শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে সোমবার নওগাঁয় র্যাব হেফাজতে সুলতানা জেসমিন (৪৫) নামে এক নারীর মৃত্যুর কারণ উদঘাটনে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠনের নির্দেশনা চেয়ে বিষয়টি হাইকোর্টের নজরে আনেন আইনজীবী মনোজ কুমার ভৌমিক। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষকে সহযোগিতা করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আবুল কালাম খান দাউদ।
সোমবার বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। সেই প্রতিবেদনটি বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চের নজরে আনেন মনোজ।
সেই প্রতিবেদনে বলা হয়, নওগাঁয় র্যাবের হেফাজতে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) জয়পুরহাট ক্যাম্পের সদস্যরা সুলতানা জেসমিন নামে ওই নারীকে হেফাজতে নিয়ে নির্যাতন করায় তার মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ স্বজনদের।
গত শুক্রবার (২৪ মার্চ) সকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই নারীর মৃত্যু হয়। ২২ মার্চ সকাল সাড়ে ১০টায় শহরের নওযোয়ান মাঠের সামনে থেকে ওই নারীকে আটক করে র্যাব। সুলতানা জেসমিন সদর উপজেলার চন্ডিপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে সহকারী পদে কর্মরত ছিলেন। শহরের জনকল্যাণ মহল্লায় ভাড়া থাকতেন তিনি।
স্থানীয় সরকারের সিটি করপোরেশন নির্বাচন সুষ্ঠু করতে নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছে কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন। তফসিল ঘোষণার পর থেকেই সংশ্লিষ্ট সিটি করপোরেশনে আচরণবিধি পালন নিশ্চিত করাতে মরিয়া সাংবিধানিক এ সংস্থা। এমনই কড়াকড়ি অবস্থানের ধারাবাহিকতায় বরিশাল সিটি করপোরেশন এলাকায় মোটরযান থেকে প্রায় সাড়ে ২৫ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
নির্বাচন কমিশনার মো. আহসান হাবিব খান দৈনিক বাংলাকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
বরিশাল সিটি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর সেখানে প্রস্তুতিমূলক একটি সভার আয়োজন করে বর্তমান কমিশন। সে সভায় আচরণবিধি যেন লঙ্ঘন না হয় তা নিশ্চিতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে মোড়ে মোড়ে চেকপোস্ট বসানোর নির্দেশ দেন নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান।
যদিও তফসিল ঘোষণার পরপরই ভোটের মাঠে নামেন প্রার্থী ও তাদের সমর্থকেরা। আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরুর আগেই অনেকে ক্ষমতা প্রদর্শন, মিছিল ও শোভাযাত্রা করে। এর মধ্যে আচরণবিধি ভঙ্গের দায়ে বরিশালের চরোমানাই পীরের ভাই ও মেয়র প্রার্থী সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়জুল করীমকে শোকজ নোটিশ দেয়া হয়। পাশাপাশি জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদেরও সর্তক করে কমিশন।
সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ অনুযায়ী, গত ৯ মে থেকে ২৬ মে পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ২৫ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করে বরিশাল মহানগর পুলিশ। ৭২টি চেকপোস্টের মাধ্যমে এই জরিমানার অর্থ আদায় করা হয়। ১৭ দিনে এক হাজার ২৮২টি মামলা হয়, যাতে ৮০০ গাড়ি আটক করা হয়।
বরিশাল মহানগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, সড়ক পরিবহনের আইন অমান্য করায় এক হাজার ২৮২ মামলায় জরিমানা আদায় করা হয় ১০ লাখ ৯৪ হাজার টাকা। আটক থেকে জরিমানা আদায় করা হয় ১৪ লাখ ৪৮ হাজার ৫০০ টাকা। সব মিলিয়ে ২৫ লাখ ৪২ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করে পুলিশ। সবচেয়ে বেশি মামলা করা হয় মোটরসাইকেলের বিরুদ্ধে। এক হাজার একটি মোটরসাইকেলে মামলার পাশাপাশি ১৪৪টি আটক করা হয়।
রাজধানীতে মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়ায় মায়ের ওপর অভিমান করে প্রযুক্তা সাহা (১৬) নামে এক স্কুলছাত্রী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
রোববার দুপুর দেড়টার দিকে হাজারীবাগের জাফরাবাদের একটি বাসায় এ ঘটনা ঘটে। ওই শিক্ষার্থীকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক বেলা ৩টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
প্রযুক্তা সহা নড়াইল জেলার লোহাগড়া থানার রথখলা গ্রামের শ্যামা প্রসাদ সাহার মেয়ে। বর্তমানে হাজারীবাগের ঋষিপাড়া গলির ভাড়া বাসায় পরিবারের সঙ্গে বসবাস করছিল। তারা বাবা একটি অ্যাগ্রিকালচার কোম্পানিতে চাকরি করেন।
নিহত শিক্ষার্থীর বাবা শ্যামা প্রসাদ সাহা বলেন, প্রযুক্তা সাহা ইএস ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল থেকে ‘ও লেভেল’ শেষ করেছে। মোবাইলে গেম খেলতে গিয়ে এক ছেলের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। গত সপ্তাহে বিষয়টি জানতে পারি। পরে তার ব্যবহৃত মোবাইলটি মা কেড়ে নেয়। এতে সে অভিমান করে ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।
ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মোহাম্মদ বাচ্চু মিয়া বলেন, স্কুলছাত্রীর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি হাজারীবাগ থানায় জানানো হয়েছে।
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন লিবিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে সেখানে প্রবাসী বাংলাদেশিদের কল্যাণে কাজ করা আহ্বান জানিয়েছেন।
রোববার দুপুরে বঙ্গভবনে লিবিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল আবুল হাসনাত মুহাম্মদ খায়রুল বাশার রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ আহ্বান জানান।
বৈঠক শেষে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন জানান, ‘রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশের বাণিজ্য-বিনিয়োগসহ বিভিন্ন সম্ভাবনাময় খাতসমূহ লিবিয়ার বিনিয়োগকারীদের কাছে তুলে ধরার আহ্বান জানান।’
লিবিয়া বাংলাদেশের জনশক্তি রপ্তানির একটি সম্ভাবনাময় গন্তব্য বলে উল্লেখ করেন রাষ্ট্রপতি। তিনি লিবিয়ায় বাংলাদেশের জনশক্তি ও বিভিন্ন পণ্য রপ্তানির সুযোগকে কাজে লাগাতে রাষ্ট্রদূতকে কাজ করার নির্দেশ দেন।
রাষ্ট্রপ্রধান পারস্পরিক সম্পর্ক আরও জোরদারে দুই দেশের মধ্যে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ের সফর বিনিময়ের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
সাক্ষাৎ অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।
দেশের অন্যতম পানির উৎস যমুনা নদীর প্রশস্ততাকে ছোট করতে প্রণীত প্রকল্পের ফাইল তলব করেছেন হাইকোর্ট। পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষকে আগামী ১০ দিনের মধ্যে এ সংক্রান্ত সব নথি আদালতে দাখিল করতে আদেশ দিয়েছেন আদালত।
রোববার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মোহাম্মদ মাহবুব উল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
‘যমুনা নদী ছোট করার চিন্তা’ শিরোনামে একটি জাতীয় দৈনিকে সংবাদ প্রকাশ হয়। ওই প্রতিবেদন যুক্ত করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করে পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ। রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আবুল কালাম খান।
প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, যমুনা নদী প্রতি বছর বড় হয়ে যাচ্ছে। বর্ষার সময় নদীটি ১৫ থেকে ২০ কিলোমিটার হয়ে যায়। এত বড় নদীর প্রয়োজন নেই। তাই এটির প্রশস্ততা সাড়ে ৬ কিলোমিটার সংকুচিত করা হবে। দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম এবং প্রাকৃতিক পানি প্রবাহের অন্যতম উৎস যমুনাকে ছোট করার এমন ধারণা এসেছে খোদ পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কর্তাদের মাথা থেকে। এজন্য তারা ১১শ কোটি টাকার একটি প্রকল্পও প্রণয়ন করেছেন। অর্থনৈতিক সংকটের কারণে যখন বারবার ব্যয় সংকোচনের তাগিদ দেয়া হচ্ছে, সে সময় মন্ত্রণালয়টি এমন প্রকল্প নিয়েছে কোনো ধরনের গবেষণা ছাড়াই। বিশেষজ্ঞরা বিরল এ প্রকল্পকে অবাস্তব বলছেন।
বিশ্বজুড়ে অস্ত্র কেনার প্রতিযোগিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‘এখন কেন এই অস্ত্র প্রতিযোগিতা (চলছে), অস্ত্র প্রতিযোগিতার জন্য যে অর্থ ব্যবহার করা হচ্ছে তা ক্ষুধার্ত শিশু ও মানুষের জন্য ব্যবহার করা হবে না কেন? এই অস্ত্র প্রতিযোগিতার জন্য হাজার হাজার শিশু ও নারী বিশ্বজুড়ে অমানবিক জীবনযাপন করছে।’
রোববার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে জুলিও কুরি শান্তি পদক প্রদানের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন। খবর বাসস।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ আর কোনো সংঘাত চায় না, বরং জনগণের জীবনযাত্রার মানের উন্নতি চায়। আমরা আর কোনো অশান্তি, সংঘাত চাই না। আমরা মানুষের জীবনকে উন্নত করতে চাই এবং আমরা সর্বদা এটি কামনা করি।’
শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচন থেকে দেশে বিরাজমান শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক পরিবেশ গত ১৪ বছরে বাংলাদেশকে উল্লেখযোগ্য আর্থসামাজিক উন্নয়নে সহায়তা করেছে। ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়মী লীগ জয়ী হয়ে ২০০৯ সালে সরকার গঠন থেকে অব্যাহত শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক পরিবেশের কারণে বাংলাদেশ আর্থসামাজিক উন্নয়নে সক্ষম হয়েছে। সরকার ২০০৮ সালের ভোটে নির্বাচিত হওয়ার পর পরিকল্পিতভাবে দেশের মানুষের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে।’
সরকারপ্রধান বলেন, ‘এর ফলে, আমরা দারিদ্র্যের হার এবং মাতৃমৃত্যু হ্রাস করতে, শিক্ষার হার এবং মানুষের গড় আয়ু বাড়াতে সক্ষম হয়েছি। দেশে বিরাজমান টেকসই ও শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক পরিবেশই বাংলাদেশের অভূতপূর্ব আর্থসামাজিক অগ্রগতির একমাত্র কারণ। একটি শান্তিপূর্ণ টেকসই পরিবেশ জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জনে সহায়ক এবং সবাইকে এটি মনে রাখতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী আলোচনার মাধ্যমে সব বিরোধ নিষ্পত্তির ওপর গুরুত্বারোপ করেন। বাংলাদেশ যে কাজটি ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে করেছে।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ ১০ লাখের বেশি জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিক রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে, যারা নিপীড়নের মুখোমুখি হয়েছিল যা তাকে ১৯৭১ সালের পরিস্থিতি স্মরণ করিয়ে দেয়।
তিনি বলেন, ‘আমরা চাই পৃথিবীতে শান্তি ফিরে আসুক, (পৃথিবীতে) কোনো ধরনের অশান্তি থাকবে না।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা দেশের স্বাধীনতা চায়নি তারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করেছে। ‘প্রতি মুহূর্তে আমাদের তাদের (স্বাধীনতা বিরোধীদের) বাধা অতিক্রম করতে হচ্ছে।’
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শান্তি পুরস্কার পেয়েছিলেন, সারাজীবন শান্তির বাণী প্রচার করেছেন, কিন্তু তাকে জীবন উৎসর্গ করতে হয়েছে।
‘আমাদের কী দুর্ভাগ্য, যে মানুষটি সারাজীবন শান্তির কথা বলেছেন তাকে তার জীবন দিতে হয়েছিল। আজ তিনি আর আমাদের মধ্যে নেই, তবে আমরা চাই যে তার দেশ উন্নত এবং সমৃদ্ধ হিসেবে গড়ে উঠুক।’
দেশে-বিদেশে শান্তি প্রতিষ্ঠায় যারা কাজ করছেন তাদের স্বীকৃতি দিতে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শান্তি পুরস্কার’ প্রবর্তনেরও ঘোষণা দেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘কারণ আমরা শান্তি চাই এবং আমরা অবশ্যই শান্তির পথে এগিয়ে যাব।’
‘জনগণই শক্তি, জনগণই শক্তির উৎস’- বঙ্গবন্ধুর এই উক্তি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি সেই বিশ্বাসে বিশ্বাসী এবং সেই বিশ্বাস নিয়েই আমার পথচলা।’
বাংলাদেশ আজ বিশ্বব্যাপী শান্তি রক্ষায় অভূতপূর্ব ভূমিকা পালন করছে- উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে এক নম্বর দেশ হিসেবে আমরা বিশ্বজুড়ে শান্তি বজায় রাখছি। আমরা বাংলাদেশের মানুষ, সব সময় শান্তিতে বিশ্বাস করি। আমরা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন করতে চাই।’
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে দারিদ্র্যের হার ছিল ৪১ শতাংশ। কিন্তু আজ সরকার তা ১৮ দশমিক ৭ শতাংশে নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে। যেখানে দারিদ্রের সংখ্যা ছিল ২৫ দশমিক ৯ শতাংশ, তা আজ ৫ দশমিক ৬ শতাংশে নেমে এসেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ইনশাআল্লাহ, এ দেশে কোনো মানুষ দরিদ্র, গৃহহীন বা ভূমিহীন থাকবে না। প্রতিটি মানুষ অন্তত তাদের মৌলিক অধিকার- খাদ্য, বস্ত্র, শিক্ষা, চিকিৎসা ও বাসস্থান পাবে। আমরা সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি।’
বাংলাদেশের আজকের এই আর্থসামাজিক উন্নয়নকে ধারাবাহিক শান্তিপূর্ণ পরিবেশের অবদান বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৭৫ সালে জাতির পিতাকে হত্যার পর দেশের পরিবেশ বিশৃঙ্খল ছিল ও প্রতি রাতে কারফিউ দেয়া হয়েছিল। ২১ বছর পর আমরা ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি করতে সক্ষম হয়েছি। আমরা অন্তত এটা বলতে পারি যে আমরা একটি ভিত্তি তৈরি করেছি। মাঝখানে একটি অশান্ত পরিবেশ ছিল (২০০১ থেকে ২০০৮)।’
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন এবং মূল বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ও গবেষক মোনায়েম সরকার।
মূল বক্তব্যের ওপর আলোচনায় অংশ নেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, সাবেক মুখ্য সচিব কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী ও বিশিষ্ট লেখক আনোয়ারা সৈয়দ হক। অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন বাংলাদেশ শান্তি পরিষদের সভাপতি মোজাফফর হোসেন পল্টু।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই বঙ্গবন্ধু ও তার জুলিও-কুরি শান্তি পদক প্রাপ্তির ওপর একটি ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রদর্শিত হয়।
প্রধানমন্ত্রী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে জুলিও-কুরি শান্তি পদক প্রদানের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে স্মারক ডাকটিকিট ও প্রথম দিনের কভার উন্মোচন করেন। তিনি দিবসটি উপলক্ষে একটি স্যুভেনির প্রকাশনার প্রচ্ছদও উন্মোচন করেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৩ সালের ২৩ মে বিশ্ব শান্তি পরিষদ কর্তৃক জুলিও-কুরি শান্তি পুরস্কারে ভূষিত হন। বিশ্ব শান্তি পরিষদের পুরস্কারটি ছিল বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। জুলিও-কুরি শান্তি পুরস্কার ছিল বাংলাদেশের জন্য প্রথম আন্তর্জাতিক পুরস্কার।
এবারের কোরবানির ঈদে রাজধানীর আফতাবনগরে গরুর হাট বসানোর সিদ্ধান্ত স্থগিতের মেয়াদ আরও দুই মাস বাড়িয়েছেন হাইকোর্ট। এ সংক্রান্ত এক আবেদনের শুনানি নিয়ে রোববার বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ শওকত আলী চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এর আগে গত ২২ মে এক আদেশে আফতাবনগরে গরু-ছাগলের হাট বসানোর ওপর এক সপ্তাহের স্থগিতাদেশ দেন। সেই স্থগিতাদেশের মেয়াদ আরও দুই মাস বাড়ানো হলো।
এ আদেশের ফলে এবারের ঈদে আফতাবনগরে গরু-ছাগলের হাট বসানোর সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন রিটকারী আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ।
তিনি বলেন, যেহেতু হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে তারা এখনো আপিল করেনি। আপিল করলেও আপিল বিভাগ যদি হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত না করে, তাহলে আফতাবনগরে এ বছর আর হাট বসানোর সুযোগ নেই।
রাষ্ট্রপক্ষের সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আজাদ বলেন, গরুর হাট বসানোসংক্রান্ত রিটের শুনানি নিয়ে গত ২২ মে আদালত ছয় দিনের মধ্যে হাট বসানোর সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছিলেন। আজকে আবার শুনানি নিয়ে আদালত দুই মাসের জন্য স্থগিত করেছেন।
এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিলে যাবেন কি না, জানতে চাইলে রাষ্ট্রপক্ষের এ আইনজীবী বলেন, আমরা অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসে নোটিশ দিয়েছি। এখন আপিলের সিদ্ধান্ত নেবেন অ্যাটর্নি জেনারেল।
কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে রাজধানীর আফতাবনগরে গরুর হাট না বসানোর নির্দেশনা চেয়ে গত ১৫ মে হাইকোর্টে রিট করা হয়। পরিবেশ সংরক্ষণের দাবিতে জনস্বার্থে রিটটি করেন আইনজীবী মো. ইউনুছ আলী আকন্দ। সেই রিটের শুনানি নিয়ে ২২ মে আদালত রুল জারি করেন।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সচিব, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন, ঢাকা উত্তর সিটির প্রধান ভূমি অফিসার, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, ইস্টার্ন হাউজিং ও ঢাকা জেলা প্রশাসককে জবাব দিতে বলা হয়।
গত ২ মে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের (স্থানীয় সরকার বিভাগ) পক্ষে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা স্বাক্ষর করা সম্পত্তি বিভাগ ইজারা-বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে দরপত্র ঘোষণা করা হয়। দরপত্রে ঈদুল আজহার দিনসহ পাঁচ দিন গরুর হাটের কথা উল্লেখ করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে রাজধানীর বাড্ডা ইউনিয়ন পরিষদের অংশ ইস্টার্ন হাউজিং আফতাবনগরের ব্লক ‘বি’ থেকে ‘এইচ’ পর্যন্ত খোলা জায়গাসহ উত্তর সিটি করপোরেশনের সাত জায়গায় কোরবানির গরু বিক্রির জন্য বাজারের ইজারা আহ্বান করা হয়।
গাজীপুরে সুষ্ঠু নির্বাচনের মধ্য দিয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি), সরকারসহ সব পক্ষের ভাবমূর্তি ভালো হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর। এ ছাড়া বিদেশিদের চাওয়া ইসির কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয় বলে জানিয়েছেন এই কমিশনার। তিনি বলেন, ‘আমরা (নির্বাচন কমিশন) স্বাধীন বা মুক্ত।’
রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দিচ্ছিলেন মো. আলমগীর।
গত ২৪ মে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ জাতীয় নির্বাচনের স্বার্থে নতুন ভিসানীতি ঘোষণা করেন। এই নীতির আওতায় যেকোনো বাংলাদেশি ব্যক্তি যদি গণতান্ত্রিক নির্বাচনের প্রক্রিয়া ব্যাহত করার জন্য দায়ী হন বা এ রকম চেষ্টা করেছেন বলে প্রতীয়মান হয়, তাহলে যুক্তরাষ্ট্র তাকে ভিসা দেয়ার ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারবে।
গত ২৫ মে কোনো ধরনের সহিংসতা ছাড়াই গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এখানে নির্বাচনের আগে মার্কিন ওই ঘোষণায় গাজীপুর সিটির ভোট ভালো হয়েছে বলে মত কারও কারও। যুক্তরাষ্ট্রের ওই ভিসানীতির পর নির্বাচন কমিশন কোনো মন্তব্য করতে না চাইলেও ভোটের পর অবশেষে এ বিষয়ে মুখ খুললেন কমিশনার মো. আলমগীর।
সরকার থেকে নির্বাচন কমিশনের কাছে কখনোই কোনো চাপ আসেনি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে হয় ৪৫ দিন আগে থেকে। যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি কী হয়েছে তা আমাদের জানা নেই। আমরা পড়ারও সুযোগ পাইনি, নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। ভিসানীতির সঙ্গে গাজীপুরে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্পর্কিত নয়। নির্বাচনে আইন মেনে না চললে তিনি যেই হোন না কেন ইসি ব্যবস্থা নেবে।’
নির্বাচনে যারা আসবেন তাদের সবার জন্য নির্বাচন কমিশন সমান সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করবে জানিয়ে এই কমিশনার বলেন, ‘ভোটাররাও যেন ভোট দিতে পারে তা নিশ্চিত করা হবে। গাজীপুরের মতোই আসন্ন সব নির্বাচন সুষ্ঠু করবে ইসি। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যা যা করার সব কিছুই করা হবে।’
যারা সমালোচনা করেন তারা সব সময়ই সমালোচনা করেন বলে মনে করেন মো. আলমগীর। এই কমিশনার বলেন, ‘গাজীপুরে সুষ্ঠু নির্বাচনের মধ্য দিয়ে নির্বাচন কমিশন, সরকারসহ সব পক্ষের ভাবমূর্তি ভালো হয়েছে। বিদেশিরা কী চাইল সেটা নির্বাচন কমিশনের কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়। সংবিধান ও আইন অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন কাজ করে এবং ভবিষ্যতেও করবে।’
গাজীপুরে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএমে) ভোট গ্রহণের পরও ফলাফল বিলম্ব হওয়ার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মো. আলমগীর বলেন, ‘বড় সিটি করপোরেশন, এ ছাড়া অনেক প্রার্থী ছিলেন, তাই নির্বাচনে ফলাফল দিতে সময় লেগেছে। তবে সংসদ নির্বাচনে ফলাফল দিতে এত সময় লাগবে না। কারণ সংসদ নির্বাচনে কোনো কাউন্সিলর পদপ্রার্থী থাকবেন না। এ ছাড়া প্রায় চারটা সংসদীয় আসনের সমান গাজীপুর সিটি করপোরেশন। বড় হওয়াতেই মূলত ফলাফল প্রকাশে সময় বেশি লেগেছে।’
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সব দল অংশ নেবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘এখন পর্যন্ত কোনো নির্বাচনে সব রাজনৈতিক দল অংশ নেয়নি। তাই আমরা বলতে পারি না আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে সব দল অংশ নেবে। কিন্তু আমরা সব দলকে বলব নির্বাচনে অংশ নেয়ার জন্য।’
বাংলাদেশ পুলিশের প্রতিটি সদস্যকে তাদের কার্যক্রমে আরও জনবান্ধব হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। তিনি বলেছেন, পুলিশ সদস্যদের কাজ যাতে জনবান্ধব হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। পুলিশকে জনগণের বন্ধু হিসেবে কাজ করতে হবে। খবর বাসসের।
রোববার দুপুরে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে পুলিশের মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে এসব কথা বলেন তিনি।
বৈঠক শেষে প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন রাষ্ট্রপতির বরাতে জানান, জনস্বার্থে বিভিন্ন মামলার নিষ্পত্তিতে যথাসম্ভব তাড়াতাড়ি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলেরও নির্দেশ দেন রাষ্ট্রপতি।
রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশের ফলে সাইবার ক্রাইম বৃদ্ধি পাচ্ছে। সাইবার ক্রাইম মোকাবিলায় পুলিশের প্রতিটি সদস্যকে প্রযুক্তি জ্ঞানে প্রশিক্ষিত করে গড়ে তুলতে হবে। এ সময় তিনি সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে পুলিশের ভূমিকার প্রশংসা করে ভবিষ্যতেও এই তৎপরতা অব্যাহত রাখার পরামর্শ দেন।
পুলিশ মহাপরিদর্শক বাংলাদেশ পুলিশের সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন।
রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বডুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহউদ্দিন ইসলাম, প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন এবং সচিব (সংযুক্ত) মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকার কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে অসুস্থ হয়ে মো. আতিকুর রহমান (৪২) নামে এক হাজতির মৃত্যু হয়েছে। রোববার সকালে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, ভোরের দিকে কেন্দ্রীয় কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়লে কারা কর্তৃপক্ষের নির্দেশে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে সকাল ৭টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
কারারক্ষী মো. শাকিল আহমেদ জানান, আতিকুর রহমান কেন্দ্রীয় কারাগারে হাজতি হিসেবে ছিলেন। তার বাবার নাম সামাদ মোল্লা।
সারা দেশে গরম আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। রোববার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এমনটি জানিয়েছে রাষ্ট্রীয় এ সংস্থাটি।
পূর্বাভাসে আবহাওয়া অফিস জানায়, সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। একই সঙ্গে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।
আবহাওয়ার সিনপটিক অবস্থা সম্পর্কে বলা হয়েছে, পশ্চিমা লঘুচাপের বাড়তি অংশ পশ্চিমবঙ্গ এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে।
রোববার সকাল ৬টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ২১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত শনিবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল রাঙামাটিতে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে শ্রীমঙ্গলে ৬৩ মিলিমিটার।
ঢাকার আশুলিয়ার জিরাবো থেকে নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামায়াতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি)-এর এক সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের এন্টি টেরোরিজম ইউনিট (এটিইউ)। তার নাম- মো. আনারুল ইসলাম (৩০)। গত শুক্রবার রাতে জিরাবো ম্যাগপাই বাসস্ট্যান্ড হতে গ্রেপ্তার করা হয়।
শনিবার এটিইউ-এর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসলাম খান দৈনিক বাংলাকে এ তথ্য জানান।
পুলিশ সুপার জানান, ২০১৫ সাল থেকে আনারুল ইসলাম জেএমবির সক্রিয় সদস্য হিসেবে সাংগঠনিক কাজ চালিয়ে আসছেন। দেড় বছর ধরে তিনি নাম পরিচয় গোপন করে আশুলিয়ার বিভিন্ন কারখানায় ওয়েলডিং মিস্ত্রি হিসেবে কাজ করেছেন। এই ছদ্ম পরিচয়ের আড়ালে তিনি নিষিদ্ধ সংগঠন জেএমবির সাংগঠনিক কাজ করতেন।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আনারুল জানান, ২০২১ এবং ২০২২ সালে নীলফামারী সদরের ইপিজেড এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে তার সহযোগী জেএমবি সদস্য আহিদুল, নুর আমীন, ওয়াহিদ, আপেলসহ বেশ কয়েকজন গ্রেপ্তার হন। এ সময় তার নাম প্রকাশ পেলে তিনি কৌশলে পালিয়ে ঢাকায় চলে আসেন। তারপর থেকে তিনি আশুলিয়ার বিভিন্ন এলাকায় সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন।
চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের (বিআরআই) পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলাদেশ ও চীন দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় আঞ্চলিক সংযোগে অবদান রাখতে আগ্রহ দেখিয়েছে। অনলাইনে জুয়া এবং মাদক পাচারের মতো উদীয়মান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সক্ষমতা তৈরিতে বাংলাদেশকে সহায়তারও প্রস্তাব দিয়েছে চীন।
বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যকার ১২তম পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠকে এসব বিষয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকে দুই পক্ষ জননিরাপত্তা বিষয়ে আয়োজিত সংলাপে নীতিগতভাবে সম্মত হয়। এ ছাড়া রোহিঙ্গা সংকটসহ বহুপক্ষীয় আঞ্চলিক বিষয়ে আলোচনাও করে তারা।
শনিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় আয়োজিত বৈঠকে পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন ও চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভাইস মিনিস্টার সুন ওয়েইডং নিজ নিজ দেশের প্রতিনিধিত্ব করেন। বৈঠকের পর কোনো পক্ষই সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেনি।
পরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠায়। এতে বলা হয়, দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান প্রতিরক্ষা সহযোগিতায় সন্তোষ প্রকাশ করে নিয়মিত কর্মকর্তা পর্যায়ের আলোচনা এবং বিশেষ প্রশিক্ষণ কর্মসূচির সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, বৈঠকে চীনা ভাইস মিনিস্টার সুন ওয়েইডং ১০ বছর পর বাংলাদেশ সফর করছেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের নেতৃত্বে এ দেশের অভাবনীয় উন্নয়ন অর্জন হয়েছে বলে মুগ্ধতা প্রকাশ করেন। দুই দেশের প্রতিনিধিদল পারস্পরিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ের পাশাপাশি বহুপক্ষীয় ফোরামে সহযোগিতার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করে। ‘এক চীননীতি’তে অব্যাহত সমর্থনের জন্য বাংলাদেশের প্রতি তাদের কৃতজ্ঞতা পুনর্ব্যক্ত করেছে চীন। সাম্প্রতিকালে দুই দেশের মধ্যে উচ্চপর্যায়ের রাজনৈতিক সফর বিনিময়ের দুই দেশের মধ্যে কৌশলগত অংশীদারত্বকে আরও গভীর করেছে বলে উল্লেখ করে দেশটির প্রতিনিধিদল।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, বৈঠকে রোহিঙ্গা সংকটসহ অন্যান্য বহুপক্ষীয় ও আঞ্চলিক বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়। বাংলাদেশ থেকে রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের দ্রুত, নিরাপদ, টেকসই এবং স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসনের সুবিধার্থে সহায়তা পুনর্ব্যক্ত করেছে চীন।
রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসন বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের পাশাপাশি সমগ্র অঞ্চলের জন্য উপকারী হবে বলে মনে করেন চীনের ভাইস মিনিস্টার। তিনি পাইলট প্রজেক্টের প্রথম ব্যাচের প্রত্যাবাসনের সুবিধার্থে দুই দেশের প্রতিনিধিদের মিয়ানমারে গিয়ে পরিস্থিতি দেখে আসা এবং বাংলাদেশে এসে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলার উদ্যোগের প্রশংসা করেছে চীনের প্রতিনিধিদল।
বৈঠকে কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবিলায় চীনের টিকা সহায়তার জন্য বাংলাদেশ আবারও ধন্যবাদ জানায়। দুই পক্ষ বাংলাদেশের বিভিন্ন অবকাঠামো প্রকল্পের অগ্রগতি পর্যালোচনা করে। এ সময় কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু টানেল এবং পদ্মা সেতু রেল সংযোগের মতো মেগা প্রকল্পের আসন্ন উদ্বোধনকে স্বাগত জানায় চীন। বৈঠকে বিদ্যুৎ ও যোগাযোগ খাতে কয়েকটি অতিরিক্ত প্রকল্প প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করা হয়। এ ছাড়া গত বছর ১ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর হওয়া ৯৮ শতাংশ পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা ব্যবহার করে চীনে রপ্তানি বাড়ানোর বিষয়ে বেইজিংয়ের সহযোগিতা চায় বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের গ্রীষ্মকালীন ফল বিশেষ করে আম, কাঁঠাল, পেয়ারা এবং হিমায়িত খাবার আমদানিতে আগ্রহ প্রকাশ করে চীন। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে চীনের সঙ্গে বিদ্যমান বাণিজ্য ভারসাম্যহীনতা কমাতে শুল্কমুক্ত বাণিজ্য সুবিধার আওতায় শাকসবজি, ওষুধ, কাঁচা চামড়া, ফুটওয়্যার, পোশাক ইত্যাদি রপ্তানি আইটেম অন্তর্ভুক্ত করার অনুরোধ জানানো হয়।
চীনের ভাইস মিনিস্টার চট্টগ্রামে চীনা বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে তার দেশের কোম্পানিগুলোকে বিনিয়োগে উৎসাহিত করার আশ্বাস দেন। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ঢাকা-গুয়াংজু সরাসরি ফ্লাইট পুনরায় চালুর জন্য চীনের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সময়মতো আলোচনার পরামর্শ দেন। বিশেষ করে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য ভিসা-সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে দুই পক্ষ নিয়মিত কনস্যুলার পরামর্শ চালু করতে সম্মত হয়েছে। ডিজিটাল প্রযুক্তি এবং বায়োটেকনোলজিতে উদ্ভাবনের বিষয়ে চীনের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ।
বৈঠকে দুই পক্ষ চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের পৃষ্ঠপোষকতায় দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক সংযোগ বাড়াতে আগ্রহ প্রকাশ করে। উভয়পক্ষ বিদ্যমান প্রতিরক্ষা সহযোগিতা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছে। একই সঙ্গে নিয়মিত স্টাফ পর্যায়ের আলোচনা ও বিশেষ প্রশিক্ষণ কর্মসূচির সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হয়। ঘূর্ণিঝড় ও বন্যার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় আবহাওয়া স্যাটেলাইটের তথ্য শেয়ার করার জন্য বাংলাদেশ চীনকে ধন্যবাদ জানায়।
রাজস্ব বৃদ্ধি ও তামাক কোম্পানির কর ফাঁকি বন্ধে তামাকজাত পণ্যে সর্বোচ্চ খুচরা মূল্যে (এমআরপি) বিক্রি নিশ্চিত করা জরুরি। সকল তামাকজাত পণ্যের ওপর সুনির্দিষ্ট কর আরোপ করতে হবে। এতে কোম্পানিগুলো অর্থনীতিতে ইতিবাচক অবদান রাখার পাশাপাশি জনস্বাস্থ্যের সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে জানিয়েছেন অর্থনীতিবিদ, জনস্বাস্থ্য ও তামাক নিয়ন্ত্রণ বিশেষজ্ঞরা।
শনিবার অনলাইন প্লাটফর্মে এক সংবাদ সম্মেলনে আলোচকরা এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট (বাটা) ও বাংলাদেশ নেটওয়ার্ক ফর টোব্যাকো ট্যাক্স পলিসি (বিএনটিটিপি) যৌথভাবে ‘এমআরপিতে তামাকজাত দ্রব্য বিক্রি নিশ্চিতকরণ ও তামাকজাত দ্রব্যে সুনির্দিষ্ট কর আরোপের দাবি’তে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
সংবাদ সম্মেলনে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করে বিএনটিটিপির প্রকল্প ব্যবস্থাপক হামিদুল ইসলাম হিল্লোল বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনৈতিক গবেষণা ব্যুরো ও বিএনটিটিপির একটি যৌথ গবেষণায় দেখা গেছে, তামাক কোম্পানিগুলো প্যাকেটে লেখা খুচরা মূল্যের চেয়ে বেশি দামে সিগারেট বিক্রি করে বছরে ৫০০০ কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছে। বৃহৎ করদাতা ইউনিটের (এলটিইউ) অনুসন্ধানেও সত্যতা মিলেছে। সুতরাং এর বিরুদ্ধে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) পদক্ষেপ নিতে হবে।
হামিদুল ইসলাম আরও বলেন, রাজস্ব ফাঁকি বন্ধে সরকারকে দ্রুত মোড়কে উল্লিখিত মূল্যে সিগারেট বিক্রি নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি রাজস্ব বাড়াতে এবং কর ফাঁকি রোধে সুনির্দিষ্ট পদ্ধতি চালু করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে বিশেষজ্ঞরা বলেন, সুনির্দিষ্ট কর আরোপ ও এরআরপিতে বিক্রি নিশ্চিতের মাধ্যমে তামাক খাত থেকে আরও রাজস্ব আয় সম্ভব। নিম্ন স্তরের সিগারেটের ভোক্তা বেশি হলেও এই খাতে কর হার ৫৭ শতাংশ। অথচ অন্য খাতে সেটা ৬৫ শতাংশ। ফলে রাজস্ব বৃদ্ধি করতে দ্রুত এ স্তরের সম্পূরক শুল্ক ৫৭ শতাংশ থেকে ৬৫ শতাংশে বৃদ্ধি করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে সুনির্দিষ্ট করারোপের বিধান রেখে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য তামাকজাত দ্রব্যের মূল্য ও করারোপের সুপারিশ তুলে ধরা হয়। বাজেট প্রস্তাবে নিম্ন স্তরের সিগারেটের প্রতি ১০ শলাকার সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ৫৫ টাকা নির্ধারণ করে ৩৫.৭৫ টাকা সুনির্দিষ্ট সম্পূরক শুল্ক আরোপ; মধ্যম স্তরের সিগারেটের প্রতি ১০ শলাকার সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ৭০ টাকা নির্ধারণ করে ৪৫.৫০ টাকা সুনির্দিষ্ট সম্পূরক শুল্ক আরোপ; উচ্চ স্তরের সিগারেটের প্রতি ১০ শলাকার সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ১২০ টাকা নির্ধারণ করে ৭৮.০০ টাকা সুনির্দিষ্ট সম্পূরক শুল্ক আরোপ; এবং প্রিমিয়াম স্তরের সিগারেটের প্রতি ১০ শলাকার সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ১৫০ টাকা নির্ধারণ করে ৯৭.৫০ টাকা সুনির্দিষ্ট সম্পূরক শুল্ক আরোপের প্রস্তাব দেয়া হয়। পাশাপাশি নিম্ন স্তরের সিগারেটে সম্পূরক শুল্ক ৫৭ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৬৫ শতাংশ করার দাবি জানানো হয়েছে।
এছাড়া বিড়ির ২৫ শলাকার খুচরা মূল্য ২৫ টাকা নির্ধারণ করে ১১.২৫ টাকা সুনির্দিষ্ট সম্পূরক শুল্ক আরোপ এবং সম্পূরক শুল্ক ৩০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৪৫ শতাংশ; প্রতি ১০ গ্রাম জর্দার খুচরা মূল্য ৪৫ টাকা নির্ধারণ করে ২৭ টাকা সুনির্দিষ্ট সম্পূরক শুল্ক আরোপ এবং প্রতি ১০ গ্রাম গুলের খুচরা মূল্য ২৫ টাকা নির্ধারণ করে ১৫ টাকা সুনির্দিষ্ট সম্পূরক শুল্ক আরোপ করার পাশাপাশি উভয় দ্রব্যেরই সম্পূক শুল্ক ৫৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৬০ শতাংশ করার সুপারিশ করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক চেয়ারম্যান ড. নাসিরউদ্দীন আহমেদে, বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোটের সমন্বয়কারী সাইফুদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ ক্যান্সার সোসাইটির সভাপতি ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. গোলাম মহিউদ্দিন ফারুক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. রুমানা হক এবং আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান দ্য ইউনিয়নের কারিগরি পরামর্শক অ্যাডভোকেট সৈয়দ মাহবুবুল আলম তাহিন।