সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪

ক্যাবল নেটওয়ার্ক ডিজিটাল হলে সব পক্ষ উপকৃত হবে: তথ্যমন্ত্রী

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। ফাইল ছবি
আপডেটেড
২৮ মার্চ, ২০২৩ ২২:২৩
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত : ২৮ মার্চ, ২০২৩ ২২:২৩

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, ক্যাবল নেটওয়ার্ক ডিজিটাল হলে দর্শক, অপারেটর, সরকার সবাই উপকৃত হবে। দর্শক বেশি চ্যানেল ও স্বচ্ছতর ছবি পাবে, অপারেটররা ব্যবসার ঠিক হিসাব এবং সরকার ঠিক রাজস্ব পাবে। একইসঙ্গে এজন্য প্রয়োজনীয় সেট টপ বক্সগুলো যেন প্রান্তিক জনগোষ্ঠীসহ সবার সামর্থ্য অনুযায়ী কেনার সুযোগ থাকে সে বিষয়েও গুরুত্ব আরোপ করেন তথ্যমন্ত্রী।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীর কাকরাইলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারস ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ক্যাবল অপারেটরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (কোয়াব) আয়োজিত ইফতার সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমরা এক একটি এলাকা ব্লক করে নেটওয়ার্ক ডিজিটাল করাতে চাই না। ডিজিটাল করার প্রক্রিয়ার শুরুতে এনালগ পদ্ধতিও পাশাপাশি থাকতে পারে। তবে ডিজিটাল পদ্ধতিতে দেশি-বিদেশি সকল চ্যানেল আর এনালগ পদ্ধতিতে শুধু দেশি চ্যানেল দেখা যাবে।’

কোয়াব নেতৃবৃন্দের উত্থাপিত দাবির প্রেক্ষিতে তিনি বলেন, ‘ক্যাবল অপারেটররা ইন্টারনেট সংযোগ দেয়া শুরু করলে এক ব্যবসা অঙ্গনে অন্যের ঢুকে পড়া হবে। সেটি ওটিটি প্লাটফর্ম এবং অন্য সব ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। ওটিটি নীতিমালার চূড়ান্ত খসড়াটি হাইকোর্টের অনুমোদন হয়ে এলে এ সব বিষয়ে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেয়া যাবে।’

কোয়াব সভাপতি এবিএম সাইফুল হোসেনের সভাপতিত্বে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মোশাররফ আলী, সহসভাপতি রাশেদুর রহমান মালিক ও সৈয়দ হাবিব আলী, সাবেক সভাপতি আনোয়ার পারভেজ সভায় বক্তব্য রাখেন। একাত্তর টিভির চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক বাবু, এশিয়ান টিভির চেয়ারম্যান হারুনুর রশীদসহ বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা ইফতারে উপস্থিত ছিলেন।


আগামী বছর হজের খরচ আরও কমবে: ধর্মমন্ত্রী

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খান বলেছেন, ‘এ বছর আমাদের হজের খরচ গত বছরের চেয়ে ১ লাখ ২ হাজার টাকা কমানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী আমাদের যে নির্দেশনা দিয়েছেন সে নির্দেশনা যদি পুরোপুরি পালন করতে পারি, তাহলে আমরা আশা করছি আগামী বছর এ খরচ আরও কমে আসবে। পাশাপাশি হজযাত্রীদের জন্য সুন্দর আবাসনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে পারব।’

আজ সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের মওলানা মোহাম্মদ আকরাম খাঁ হলে বঙ্গবন্ধু একাডেমি আয়োজিত ‘দেশ ও জাতির উন্নয়নে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার সফল নেতৃত্বের বিকল্প নেই’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন ধর্মমন্ত্রী।

ফরিদুল হক খান বলেন, ‘আগামী বছর যারা হজে যাবেন তারা যেন তাদের আবাসনস্থল থেকে যেকোনো সময় মক্কা ও মদিনায় ঘুরতে যেতে পারেন সে জন্য অতিরিক্ত বাসের ব্যবস্থা করা হবে। বাসগুলো ১০ মিনিট পরপরই যাতায়াত করবে। এভাবে অনেকগুলো পরিকল্পনা আমরা হাতে নিয়েছি।’

চাঁদ দেখার বিষয়ে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা তৈরি করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা চাঁদ দেখার বিষয় সুনির্দিষ্ট নিয়ম-নীতিমালা তৈরি করে ফেলেছি। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আমরা ৬৪ জেলায় জেলা প্রশাসকদের নেতৃত্বে চাঁদ দেখা কমিটি গঠন করেছি। চাঁদ দেখার আগে প্রত্যেক জেলা থেকে আমাদের জানানো হয় যে, চাঁদ দেখা গেছে কি যায়নি। এ ছাড়া কোনো জেলা থেকে যদি কোনো জনপ্রতিনিধি জানায় যে চাঁদ দেখা গেছে তবে সেখানে তিনজন সাক্ষীর কথা বলা হয়। যদি চারজন মিলে বলে যে চাঁদ দেখা গিয়েছে তবে সে চাঁদ দেখার বিষয়টি আমরা বিবেচনায় নিই। পাশাপাশি আমাদের আবহাওয়া অধিদপ্তর আমাদের এ ব্যাপারে সহযোগিতা করে।’

মন্ত্রী আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আমরা ধর্মীয় মূল্যবোধ সৃষ্টির চেষ্টা করছি। এ বিষয়ে দেশের প্রতিটি জেলার মসজিদ, মন্দির, প্যাগোডাসহ সব জায়গায় শিক্ষার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এই বাংলাদেশ সম্প্রীতির দেশ। প্রধানমন্ত্রী বলেন সংখ্যালঘু বলতে এ দেশে কিছু নেই। যদি কেউ বলে সেটার প্রতিবাদ করা উচিত। আমাদের পরিচয় হলো আমরা সবাই বাঙালি। সবার সমঅধিকার নিয়ে আমরা এ দেশে বসবাস করছি।’

বঙ্গবন্ধু একাডেমির সহ-সভাপতি এমরান হোসেনের সভাপতিত্বে ওই সময় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা এম এ করিম, বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদের সভাপতি মো. গণি মিয়া বাবুল, বঙ্গবন্ধু একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা ও মহাসচিব হুমায়ূন মিজি প্রমুখ।


ফসলি জমি অন্য কাজে ব্যবহারে অনুমতি লাগবে: ভূমিমন্ত্রী

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশে কৃষি জমি নষ্ট করা যাবে না বলে জানিয়েছেন ভূমিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ। তিনি বলেন, আর খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা ধরে রাখতে তিন ফসলি, দো-ফসলি জমি অন্য কোনো খাতে ব্যবহার করা যাবে না। কৃষি জমি নষ্ট না করে জনসংখ্যা অনুপাতে খাদ্যের নিশ্চয়তা নিশ্চিত করতে এক ফসলি জমি অন্য কাজে ব্যবহার করা হলেও সরকারের অনুমতি নিতে হবে। এ জন্য দেশের মানুষ ও জমির মালিকদের সচেতন হতে হবে।

মন্ত্রী বলেন, এক শতক জমি নষ্ট করা যাবে না। যদি মানুষ জমি নষ্ট না করে জমিতে চাষ করে, তাহলে দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করবে।
আজ সোমবার রংপুর সফরে এসে নগরীর সার্কিট হাউসে গার্ড অব অনার শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

ভূমিমন্ত্রী বলেন, পঞ্চগড়, দিনাজপুর ও রংপুর এ তিন জেলা শস্য ভাণ্ডার হিসেবে পরিচিত। ফলে জমি আমাদের সংরক্ষণ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে সরকার সবার সহযোগিতা চায়। সুন্দর ভূমি ব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়ে আমাদের নতুন প্রজন্মের জন্য যেন খাদ্য নিশ্চিত করতে পারি, সেই লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছি।

ভূমি সেবায় হয়রানি বন্ধে মন্ত্রী বলেন, ‘জরিপের ওপর নির্ভর করে খাজনা ও খতিয়ান ডিজিটাল পদ্ধতিতে নিয়ে আসা হচ্ছে। ভূমিসেবায় ই-নামজারি, ই-খাজনা দেওয়া চালু করা হয়েছে। কোনো গ্রাহককে অফিসে গিয়ে হয়রানির শিকার হতে হবে না। এ ছাড়া দেশের প্রতিটি মানুষের সঙ্গে ভূমি মন্ত্রণালয় জড়িত। এটিতে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা দরকার। আমরা পর্যায়ক্রমে ম্যাপিংয়ের মাধ্যমে ভূমিসেবাকে এমন পর্যায়ে নিয়ে যাব, যেন জাতীয় পরিচয়পত্রের মাধ্যমে জানা যাবে একজন ব্যক্তির কী পরিমাণ এবং কোন খতিয়ানে কত জমি রয়েছে। ফলে জাল দলিলের সমস্যা আর হবে না।’

দখল হওয়া নদী-নালা, খাল-বিল, জলাশয় উদ্ধার সময় সাপেক্ষ ও কঠিন ব্যাপার উল্লেখ করে তিনি বলেন, ডিজিটাল জরিপ অনুযায়ী সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে খাস জমি ও ব্যক্তি মালিকানাধীন জমির শ্রেণি বিন্যাস করা হচ্ছে। এ বিষয়ে প্রতিটি জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তারা ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। জেলা ও মৌজা অনুযায়ী খাল-বিল ও খাস জমির তালিকা রয়েছে। সেটার মধ্যে কতটুকু নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং কতটুকু নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে, তা জেলা প্রশাসক নির্ধারণ করবে। কিন্তু দীর্ঘদিন এই ব্যবস্থা না করার কারণে এটি এমন এক পর্যায়ে চলে গেছে যে, এটি সময় সাপেক্ষে এবং কঠিন ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই চ্যালেঞ্জকে মোকাবিলা করতে একটি সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে খাস জমি, ব্যক্তি মালিকানাধীন জমির শ্রেণি বিন্যাস করা হবে ডিজিটাল জরিপে।

ওই সময় উপস্থিত ছিলেন ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান আব্দুস সবুর মণ্ডল, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান, জেলা পুলিশ সুপার ফেরদৌস আলী চৌধুরী, মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তুষার কান্তি মণ্ডল, জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য জাসেম বিন জুম্মন, মেট্রোপলিটন পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার আবু মারুফ হোসেনসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা।


ব্যাংকক থেকে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি
আপডেটেড ২৯ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:২৫
বাসস

থাইল্যান্ডে ছয় দিনের রাষ্ট্রীয় সফর শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফিরেছেন বলে জানিয়েছে বাসস। রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থাটির প্রতিবেদনে জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইটটি আজ সোমবার বেলা ১১টা ২৫ মিনিটে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

এর আগে ব্যাংকের ডন মুয়েং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে স্থানীয় সময় সকাল ১০টা ১০ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয় ফ্লাইটটি।

দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক মজবুত করার লক্ষ্যে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী শ্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে গত ২৪ এপ্রিল দেশটিতে সফরে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সফরের অংশ হিসেবে ২৬ এপ্রিল থাই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার কার্যালয় গভর্নর হাউসে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে অংশ নেন শেখ হাসিনা।

ওই দিন দুই প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে ভিসা ছাড়া ভ্রমণ, জ্বালানি, পর্যটন ও শুল্ক সংক্রান্ত বিষয়ে সহযোগিতা এবং বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে মুক্তবাণিজ্য চুক্তি নিয়ে সমঝোতা আলোচনার মতো বিষয়ে পাঁচটি নথিতে সই করে দুই দেশ।

থাই প্রধানমন্ত্রী থাভিসিন আয়োজিত মধ্যাহ্নভোজে অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তার এ সফর দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে মাইলফলক হয়ে থাকবে।


ঢাকার উদ্দেশে ব্যাংকক ছেড়েছেন প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি
আপডেটেড ২৯ এপ্রিল, ২০২৪ ১১:৫০
ইউএনবি

থাইল্যান্ডে ছয় দিনের সরকারি সফর শেষে দেশের উদ্দেশে ব্যাংকক ত্যাগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইট স্থানীয় সময় সোমবার সকাল ১০টায় ডন মুয়াং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে।

ফ্লাইটটি বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা রয়েছে।

দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী শ্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় সফরে গত ২৪ এপ্রিল ব্যাংককে যান শেখ হাসিনা।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ২৬ এপ্রিল গভর্নমেন্ট হাউসে থাই প্রধানমন্ত্রী থাভিসিনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন এবং দুই নেতার উপস্থিতিতে ভিসা অব্যাহতি, জ্বালানি, পর্যটন ও কাস্টমস বিষয়ক সহযোগিতা এবং বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) নিয়ে আলোচনার বিষয়ে পাঁচটি দ্বিপক্ষীয় নথি সই হয়। সেখানে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী থাভিসিন আয়োজিত মধ্যাহ্নভোজে অংশ নিয়ে শেখ হাসিনা তার এই সফরকে দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক হিসেবে অভিহিত করেন।

তিনি বলেন, ‘এই সরকারি সফর আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে। এটি আমাদের দুই দেশের মধ্যে ফলপ্রসূ অংশীদারিত্বের নতুন যুগের সূচনা করেছে।’

এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রী ২৫ এপ্রিল দুসিথ প্রাসাদের অ্যামফর্ন সাথার্ন হলে থাইল্যান্ডের রাজা ও রানী মহা ভাজিরালংকর্ন ফ্রা ভাজিরা ক্লাওচা উয়ুয়া এবং সুথিদা বজ্রসুধা বিমলা লক্ষণের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।

বহুপক্ষীয় উদ্যোগের অংশ হিসেবে শেখ হাসিনা ২৫ এপ্রিল থাইল্যান্ডের ব্যাংককে জাতিসংঘ সম্মেলন কেন্দ্রের ইউএন এসকাপ হলে (২য় তলায়) জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএনএসকাপ) ৮০তম অধিবেশনে বক্তব্য দেন।

ঢাকা ও ব্যাংককের মধ্যে সই হওয়া পাঁচটি নথি হলো- একটি চুক্তি, তিনটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) এবং একটি লেটার অব ইনটেন্ট (এলওআই), জ্বালানি সহযোগিতা বিষয়ক সমঝোতা স্মারক; কাস্টমস সম্পর্কিত বিষয়ে সহযোগিতা ও পারস্পরিক সহায়তা সম্পর্কিত সমঝোতাপত্র; পর্যটন ক্ষেত্রে সহযোগিতা সংক্রান্ত সমঝোতাপত্র; এবং এলওআই ২০২৪ সালের মধ্যে একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) নিয়ে আলোচনা শুরু করবে।

২৪ এপ্রিল বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে ডন মুয়াং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়।


মে মাসেও তীব্র দাবদাহের আশঙ্কা

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ২৯ এপ্রিল, ২০২৪ ০১:১০
নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশে চলমান দাবদাহে জনজীবন হাপিত্যেশ। সূর্যের প্রখরতায় দিনের বেলা শ্রমজীবী মানুষ কাজ করতে হিমশিম খাচ্ছেন। এপ্রিলের শেষ অবধি দেশে তীব্র দাবদাহ অব্যাহত থাকার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। গতকাল রোববার থেকে দেশে নতুন করে চতুর্থ দফায় তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে।

এদিকে এপ্রিলের মতো মে মাসেও তীব্র দাবদাহের কথা জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। আবহাওয়া অফিসের দেয়া তথ্যে আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে বৃষ্টিপাত হওয়াসহ কালবৈশাখী ঝড় হওয়ার কথা বলা হলেও পাশাপাশি তীব্র তাপপ্রবাহও অব্যাহত থাকার কথাও উল্লেখ করেছে।

বাংলাদেশের সব স্থানে দীর্ঘতম সময়ের তাপদাহ শেষ হওয়ার পর আগামী মাসে দেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা সর্বকালের রেকর্ড ভেঙে দিতে পারে বলে আবহাওয়া অফিস আশঙ্কা প্রকাশ করেছে। এই বিষয়ে আবহাওয়াবিদ কাজী জেবুন্নেসা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমাদের গাণিতিক মডেল বিশ্লেষণ বলছে, আগামী মে মাসের প্রথম সপ্তাহে দেশের কিছু অংশে প্রত্যাশিত বৃষ্টিপাত হলেও মে মাসে দেশে সর্বকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হতে পারে।’

তিনি আরও বলেন, ‘উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সিলেট অঞ্চল, বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চলের কিছু অংশ এবং দক্ষিণ-পূর্ব চট্টগ্রাম অঞ্চলে কিছু স্বস্তির বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও এতে সারা দেশে চলমান দাবদাহ হ্রাসের সম্ভাবনা কম।’

দেশে গত ১ এপ্রিল থেকে ২৭ দিন ধরে তাপপ্রবাহের দীর্ঘতম সময় প্রত্যক্ষ করছে এবং আবহাওয়া অফিস সতর্ক করেছে যে এ অবস্থা পরবর্তী মাসজুড়ে অব্যাহত থাকবে।

আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চুয়াডাঙ্গা জেলার ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ এবং রাজশাহী, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, যশোর ও কুষ্টিয়া জেলাগুলোর ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। দিনাজপুর, রাঙামাটি, চাঁদপুর, ফেনী ও বান্দরবান জেলাসহ রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশ এবং ঢাকা ও বরিশাল বিভাগগুলোর ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকবে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি ভাব বিরাজমান থাকবে।

আজ সোমবার সিলেট বিভাগের দুই-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে এবং সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। বিরাজমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে। সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি ভাব বিরাজমান থাকবে।

সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায় রেকর্ড

অতি তীব্র দাবদাহে চুয়াডাঙ্গায় মানুষের জনজীবন ওষ্ঠাগত হয়ে পড়েছে। গত কয়েক দিন ধরে মাঝারি, তীব্র ও অতি তীব্র দাবদাহ চলছে চুয়াডাঙ্গায়। এর মধ্যে ৭ দিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়। গতকাল রোববার বিকেল ৩টায় চুয়াডাঙ্গা জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস বলে জানিয়েছে স্থানীয় আবহাওয়া অফিস। সন্ধ্যা ৬টায় সেখানে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। তীব্র দাবদাহের কারণে প্রশাসনের তরফ থেকে জনসাধারণকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

হাসপাতালে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়াসহ বিভিন্ন রোগীর চাপ অস্বাভাবিকহারে বেড়ে গেছে। প্রচণ্ড দাবদাহে জেলায় ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। সেই সঙ্গে বাতাসের আর্দ্রতা বেশি থাকায় অনুভূত হচ্ছে ভ্যাপসা গরম। দাবদাহে খুব প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাড়ির বাইরে বের হচ্ছেন না। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সর্বত্র লু হাওয়া বয়ে যাচ্ছে। জেলায় দুপুরের পর ঘরে থাকা দুরূহ হয়ে পড়েছে। দাবদাহে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন শ্রমজীবীরা। চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া সিনিয়র পর্যবেক্ষক রকিবুল হাসান জানান, আগামী ৫-৬ দিনের মধ্যে তাপমাত্রা কমার লক্ষণ নেই। আরও বাড়তে পারে।

আরও ৭২ ঘণ্টার হিট অ্যালার্ট জারি

রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে মাঝারি থেকে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে আরও ৭২ ঘণ্টা বা তিন দিন ধরে এই তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে জানিয়ে হিট অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। রোববার আবহাওয়াবিদ খো. হাফিজুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়। এতে বলা হয়, দেশের ওপর দিয়ে চলমান তাপপ্রবাহ গতকাল হতে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে।

জলীয়বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বৃদ্ধি পেতে পারে। এর আগে গত ১৯ এপ্রিল তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে প্রথমবার তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি করা হয়। এরপর কয়েক ধাপে তা বাড়ানো হয়। চতুর্থ ধাপে আবারও তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। যা আগামীকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।


গুরুতর অসুস্থ মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুর রশীদ

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিশেষ প্রতিনিধি

বিশিষ্ট নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুর রশীদ গুরুতর অসুস্থ। তিনি বর্তমানে ঢাকা সেনানিবাসে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

তাকে কয়েক দিন ধরে হাসপাতালের আইসিইউতে রাখা হয়েছে। মাস খানেক আগে তিনি চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর যান। সেখান থেকে দেশে ফেরার পর তার স্বাস্থ্যের অবস্থা অবনতি ঘটে। পরে তাকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

বিভিন্ন টকশোতে অংশ নেন আব্দুর রশীদ। তার লেখা কলাম বিভিন্ন পত্রিকায় নিয়মিত প্রকাশিত হয়। সেনাবাহিনীতে চাকরির সময় মেধাবী অফিসার হিসেবে তিনি পরিচিত ছিলেন।


৩৫ হাজার রিকশাচালককে ছাতা দেবে ডিএনসিসি

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) আওতাধীন এলাকার ৩৫ হাজার রিকশাচালককে বিনামূল্যে ছাতা ও খাবার স্যালাইন দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে সংস্থাটি। আজ রোববার গুলশান-২ নগর ভবনের সামনে ছাতা বিতরণ কর্মসূচি উদ্বোধনকালে এ কথা জানান ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ডিএনসিসি এলাকার ৩৫ হাজার রিকশাচালককে বিনামূল্যে একটি করে ছাতা, ১২ প্যাকেট খাবার স্যালাইন এবং হাফ লিটারের একটি পানির বোতল দেওয়া হবে।

এ সময় রিকশাচালকদের মাঝে ছাতা, পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ করেন মেয়র আতিকুল ইসলাম।

মেয়র বলেন, ‘তীব্র তাপপ্রবাহে রিকশাচালকদের খুব কষ্ট হয়। প্রচণ্ড রোদে তারা অসুস্থ হয়ে গেলে পুরো পরিবারের জন্য সমস্যা। রোদের কারণে তারা যদি রিকশা চালাতে না পারেন, তাহলে তাদের পরিবার চলতে পারবে না। দৈনিক আয়ের ওপর অনেক রিকশাচালকের পরিবার চলে। তাই তীব্র গরমে তাদের কষ্টের কথা চিন্তা করে এমন উদ্যোগ নিয়েছি।’

চিফ হিট অফিসার বুশরা আফরিনের পরামর্শে ছাতা ও পানি বিতরণ করা হচ্ছে বলেও জানান মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। ছাতা বিতরণ কার্যক্রমটি দেখতে আসেন বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ আল দুহাইলান, আলজেরিয়ার রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জুলকার নায়েন, বাংলাদেশে নিযুক্ত পা‌কিস্তা‌নের হাইক‌মিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলম, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মঈন উদ্দিন, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমরুল কায়েস চৌধুরী, ১৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. মফিজুর রহমান, সংরক্ষিত আসনের নারী কাউন্সিলর আমেনা বেগম প্রমুখ।


কিশোর গ্যাং দমনে কঠোর হওয়ার সুপারিশ

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশে বর্তমানে কিশোর গ্যাং একটি ভয়াবহ আতঙ্কের নাম। একশ্রেণির কিশোররা মাদক সেবন, খুন, চাঁদাবাজিসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে যুক্ত হয়ে পড়ছে। রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলা শহরেও ছড়িয়ে পড়েছে কিশোর গ্যাংয়ের উৎপাত। দিন দিন এরা বেপরোয়া হয়ে উঠছে। গণমাধ্যমে প্রায়ই এদের নানা অপরাধের খবর প্রকাশিত হচ্ছে।

এমন প্রেক্ষাপটে মাদক নির্মূল ও কিশোর গ্যাং দমনে কঠোর হওয়ার সুপারিশ করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। আজ রোববার জাতীয় সংসদ ভবনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির দ্বিতীয় বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়।

বৈঠকে কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা বেনজীর আহমদ সভাপতিত্ব করেন। এ সময় কমিটির সদস্য ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আসাদুজ্জামান খান, সামছুল হক দুদু , ডা. সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল, ময়েজ উদ্দিন শরীফ, মো. ছানোয়ার হোসেন, চয়ন ইসলাম, মো. সাদ্দাম হোসেন (পাভেল) এবং হাছিনা বারী চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম আব্দুল হাইয়ের মৃত্যুতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির পক্ষ থেকে শোক প্রকাশ করা হয় ও মরহুমের স্মরণে ১ মিনিট দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করা হয়।

কমিটি মাদক নির্মূলে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানায় ও কঠোর হস্তে কিশোর গ্যাং দমন করার সুপারিশ করে। এ ছাড়া মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সার্বিক কার্যক্রমের ওপর প্রতিবেদন উপস্থাপন ও বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।

বৈঠকে জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব, সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিবসহ দুই বিভাগের আওতাধীন বিভিন্ন সংস্থার প্রধান এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।


উপজেলা নির্বাচনে কঠোর থাকবে কমিশন: ইসি আলমগীর

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আগের নির্বাচনগুলোর চেয়ে আগামী উপজেলা নির্বাচনের সময় আইনশৃঙ্খলার দিক থেকে নির্বাচন কমিশন (ইসি) কঠোর থাকবে বলে জানিয়েছেন ইসি মো. আলমগীর। সেনাবাহিনী থাকবে না তারপরও অন্যান্য বাহিনীর সদস্যরা এ সময় সচেষ্ট থাকবে বলেও জানান তিনি।

গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আজ রোববার বিকেলে আয়োজিত ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিবিষয়ক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

নির্বাচন কমিশনার জানান, ‘অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সব ধরনের প্রচেষ্টা থাকবে নির্বাচন কমিশনের। নির্বাচন কমিশন আশা করে এই নির্বাচনেও ভোটারের উপস্থিতি সন্তোষজনক থাকবে। আমরা সেই আশা করছি।’

জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলমের সভাপতিত্বে মত বিনিময় সভায় পুলিশ সুপার আল বেলী আফিফাসহ নির্বাচন-সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

অন্যদিকে এ দিন দুপুর ১টায় টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধের বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর হোসেন। পরে তিনি বেদীর পাশে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থেকে জাতির পিতার প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।

এরপর পবিত্র ফাতেহা পাঠ করে তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, ’৭৫-এর ১৫ আগস্টের শহীদ ও মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মউৎসর্গকারী ৩০ লাখ শহীদের রুহের মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া মোনাজাতে অংশ নেন।

ওই সময় জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম, পুলিশ সুপার আল-বেলী আফিফা, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মঈনুল হক, পৌরসভার মেয়র শেখ তোজাম্মেল হক টুটুল, ওসি খন্দকার আমিনুর রহমান, টুঙ্গিপাড়া ট্যুরিস্ট পুলিশের ওসি জিএম হামিদসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।


পদ্মা সেতুতে টোল আদায় ছাড়াল দেড় হাজার কোটি টাকা

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি

গত বছরের ২৬ জুলাই থেকে চলতি বছরের ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত মোট ৩০৭ দিনে পনেরশ কোটি টাকা টোল আদায়ের মাইলফলক অতিক্রম করেছে স্বপ্নের পদ্মা সেতু। দক্ষিণ অঞ্চলের মানুষদের জন্য আশীর্বাদস্বরূপ নির্মাণ হওয়া পদ্মা সেতু টোল আদায়ে যেন চমক দেখিয়েই চলেছেন। সেতু চালু হওয়ার পর থেকে ৩০৭ দিনে টোল আদায় হয়েছে এক হাজার ৫০২ কোটি ৬২ লাখ ১৫ হাজার ৯০০ টাকা।

উল্লিখিত সময়ে সেতু দিয়ে মোট যানবাহন চলাচল করেছে ১ কোটি ১২ লাখ ৯১ হাজার ৯৫টি। আজ রোববার এসব তথ্য নিশ্চিত করেন পদ্মা সেতু সাইট অফিসের অতিরিক্ত পরিচালক আমিরুল হায়দার চৌধুরী।

তিনি বলেন, ‘পদ্মা সেতু থেকে টোল আদায়ের পরিমাণ দেড় হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। গত বছরের ২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পরদিন ২৬ জুন থেকে শনিবার (২৭ এপ্রিল) রাত ১১টা ৫৯ পর্যন্ত সেতুর উভয় প্রান্ত দিয়ে চলাচল করে ১ কোটি ১২ লাখ ৯১ হাজার ৯৫টি যানবাহন, যা থেকে টোল আদায় হয়েছে এক হাজার ৫০২ কোটি ৬২ লাখ ১৫ হাজার ৯০০ টাকা। এর মধ্যে মাওয়া দিয়ে ৫৬ লাখ ১ হাজার ২৩২ এবং জাজিরা প্রান্ত দিয়ে ৫৬ লাখ ৮৯ হাজার ৮৬৩টি যানবাহন পদ্মা সেতু পার হয়েছে।

আমিরুল ইসলাম চৌধুরী আরও বলেন, ‘চলতি মাসের ৯ এপ্রিল পদ্মা সেতুতে এক দিনে সর্বোচ্চ ৪ কোটি ৮৯ লাখ ৯৪ হাজার ৭০০ টাকা টোল আদায় হয়েছে। ওই দিন দুই প্রান্ত দিয়ে ৪৫ হাজার ২০৪টি গাড়ি পারাপার হয়।’

জানা গেছে, এবারের ঈদুল ফিতরের ছুটিতে ৮ থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত মোট সাত দিনে পদ্মা সেতু হয়ে ২ লাখ ১৩ হাজার ২৭৯টি যানবাহন পারাপার হয়। সেতুর মাওয়া ও জাজিরা প্রান্তে টোল আদায় হয়েছে ২১ কোটি ৪৭ লাখ ৭৪ হাজার ৫৫০ টাকা। গত বছর ঈদুল ফিতরের ছুটিতে ২০ এপ্রিল থেকে ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত ১ লাখ ৬৩ হাজার ৭৭৮টি যানবাহন পারাপারে টোল আদায় হয়েছিল ১৪ কোটি ৬১ লাখ ৬৬ হাজার ৫৫০ টাকা।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ২৫ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেন। এর মধ্য দিয়ে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের এক-তৃতীয়াংশ জেলা রাজধানী ঢাকা এবং বাকি অংশের সঙ্গে সড়কপথে যুক্ত হয়। উদ্বোধনের দিন যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। পরদিন ২৬ জুন সকাল ৬টা থেকে যান চলাচল শুরু হয়। পদ্মা সেতুতে প্রথম দিনে ৫১ হাজার ৩১৬টি যান চলাচল করে। সেসব যানবাহন থেকে ওই দিন টোল আদায় হয়েছিল ২ কোটি ৯ লাখ ৪০ হাজার ৩০০ টাকা।


যুক্তরাষ্ট্রে ২ বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যা

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রে দুই বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের বাফেলো শহরে এ ঘটনা ঘটেছে। শহরের পূর্বাঞ্চলীয় হ্যাজেলউড এলাকার জেনার ও কিলহপার স্ট্রিটের হান্ড্রেড ব্লকে স্থানীয় সময় শনিবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো এ তথ্য জানিয়েছে।

এ ঘটনার পর স্থানীয় পুলিশ সংবাদ বিজ্ঞপ্তি এবং রেডিওর মাধ্যমে নাম ও পরিচয়হীন দুজন ব্যক্তির খুন হওয়ার কথা জানান দেয়। এ বিষয়ে যেকোনো তথ্য জানাতে ৭১৬-৮৪৭-২২৫-এই নাম্বারে যোগাযোগ করার আহ্বান জানানো হয়েছে। এ ঘটনায় এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ। ময়নাতদন্তের পর সোমবার নিহতদের মরদেহ তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করবে পুলিশ।

এদিকে বাংলাদেশি অভিবাসীরা ওই দুজনের মরদেহ শনাক্ত করেছেন। বাবুল উদ্দিন ৮ মাস আগে ভার্জিনিয়া থেকে বাফেলোতে আসেন। ইউসুফ মিয়া আসেন চার মাস আগে সিলেট থেকে। দুপুরের পর থেকে খবর ছড়িয়ে পড়লে বাংলাদেশিরা তাদের বাড়িতে জড়ো হতে থাকেন। এ ঘটনায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে শোক এবং আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

বাফেলো পুলিশের মুখপাত্র মাইকেল জে ডিজর্জ বলেছেন, শনিবার বেলা সাড়ে ১২টার পর পর জেনার স্ট্রিটের ১০০ ব্লকে গুলির খবর পায় পুলিশ। পরে পুলিশের সোয়াত টিমও ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। অনলাইন পোর্টাল বাফেলোনিউজের খবরে বলা হয়, বিকাল ৪টার দিকেও ১৪৮ জেনার স্ট্রিটের আঙিনায় গুলিবিদ্ধ একজনকে পড়ে থাকতে দেখা যায়। এ ঘটনা জড়িত কে বা তারা তাদের বিষয়ে কিছুই জানায়নি পুলিশ। এখনো কাউকে ধরতেও পারেনি।

সিটি অব বাফেলোর এশিয়ান অ্যাডভাইজার শাহী চৌধুরী সংবাদমাধ্যমকে বাফেলো শহরে দুই বাংলাদেশি নিহতের তথ্য নিশ্চিত করেছেন। নিহতরা হলেন- সিলেটের ইউসুফ ও কুমিল্লার বাবু। এ ঘটনার পর বাফেলো শহরে হাজারো বাংলাদেশির মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত মাসে নিউইয়র্কে পুলিশের গুলিতে নিহত হন ১৯ বছর বয়সি বাংলাদেশি তরুণ উইন রোজারিও। ২৭ মার্চ স্থানীয় সময় দুপুরে নিউইয়র্কের ওজন পার্কে নিজ বাসা থেকে পুলিশকে ফোন করে সাহায্য চান উইন রোজারিও। নিহতের বাবার দাবি, ফোন পেয়ে পুলিশ তাদের বাসায় গিয়ে মায়ের সামনেই ছেলেকে ছয় রাউন্ড গুলি করে। পরে উইন রোজারিওর মানসিক সমস্যার কথা জানায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী। এমন একজনকে কেন গুলি করে মারতে হলো এমন প্রশ্ন উঠছে স্থানীয় কমিউনিটিতে। যদিও পুলিশের দাবি, উইন কাঁচি নিয়ে তাদের মারতে উদ্যত হয়েছিল।


শ্রমিকরা জাতীয় অর্থনীতির চাকা সচল রাখে: স্পিকার

রোববার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর কর্তৃক ‘জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেফটি দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিশেষ প্রতিনিধি

বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশ ২০২৬ সালের মধ্যে স্বল্পোনত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত হবে। শ্রমিকরাই জাতীয় অর্থনীতির চাকা সচল রাখে। তাই শ্রমিকদের জন্য কর্মবান্ধব পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে।

আজ রোববার রাজধানী ঢাকার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর কর্তৃক ‘জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেফটি দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, স্বাধীনতার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শ্রমিকদের কল্যাণে কলকারখানা জাতীয়করণ করেন। কৃষিভিত্তিক বাংলাদেশ আজ স্মার্ট বাংলাদেশের দিকে এগিয়ে চলেছে। দেশে ব্যাপক শিল্পায়ন হচ্ছে, রপ্তানি বাণিজ্য বিকাশ লাভ করছে এবং তৈরি পোশাক শিল্প, ওষুধ শিল্প ও আইসিটি খাতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ শ্রম আইন ও শ্রম আইন বিধিমালায় শ্রমিকদের নিরাপত্তা ও শোভন কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করা হয়েছে। শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ গুরুত্বপূর্ণ শ্রমিক অধিকার। উন্নত কর্মপরিবেশ শ্রমিকের কর্মদক্ষতা ও প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন বৃদ্ধি করে। তাই শোভন কর্মপরিবেশ তৈরিতে বিনিয়োগ করতে হবে।

শ্রমিকরা দীর্ঘ সময় কর্মস্থলে অতিবাহিত করেন উল্লেখ করে স্পিকার বলেন, শ্রমিকদের কর্মস্থলে পর্যাপ্ত আলো-বাতাস, সুপেয় পানির ব্যবস্থা ও আরামদায়ক পোশাকের ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। শ্রমিকদের কর্মপরিবেশ অনুকূল রাখতে সকলকে সচেতন হতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ল্যাকটেটিং মায়েদের জন্য ভাতা চালু করেছেন। প্রত্যেক দপ্তরে শিশুদের জন্য দিবাযত্ন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। নারী শ্রমিকদের কর্মপরিবেশ উন্নত করার দিকে সবাইকে দৃষ্টি দিতে হবে।

‘সুস্থ শ্রমিক, শোভন কর্মপরিবেশ, গড়ে তুলবে স্মার্ট বাংলাদেশ’- জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেফটি দিবসের প্রতিপাদ্যের উদ্ধৃতি দিয়ে স্পিকার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সবাইকে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।

ওই সময় ২৯টি ফ্যাক্টরিকে গ্রিন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড ২০২৩ দেওয়া হয়। স্পিকার বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।

শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মাহবুব হোসেনের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য দেন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক মো. আব্দুর রহিম খান। বিশেষ অতিথি হিসেবে বাংলাদেশে আইএলওর কান্ট্রি ডিরেক্টর টুওমো পোটিআইনেন, জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি নূর কুতুব আলম মান্নান, বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশনের সভাপতি আরদাশীর কবির, বিজেএমইএ ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. তরিকুল আলম, বিকেএমইএর সিনিয়র সহসভাপতি মানসুর আহমেদ, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এইচ এম ইব্রাহীম এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী বক্তব্য দেন।


‘বিদেশে দেশবিরোধী অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে স্থানীয় আইনে ব্যবস্থা নিন’

রোববার ভিয়েনার ২০ নম্বর ডিস্ট্রিক্টের হেলবেগটাসে অস্ট্রিয়া আওয়ামী লীগের নিজস্ব কার্যালয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ২৮ এপ্রিল, ২০২৪ ২১:৫৪
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

বিদেশে বসে যারা দেশবিরোধী অপপ্রচারে লিপ্ত, তাদের বিরুদ্ধে সেই দেশের আইনে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। আজ রোববার অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনার ২০ নম্বর ডিস্ট্রিক্টের হেলবেগটাসে অস্ট্রিয়া আওয়ামী লীগের নিজস্ব কার্যালয় উদ্বোধনকালে তিনি এ আহ্বান জানান।

‘হিউম্যানিটি এট দ্য ক্রসরোডস : অটোনোমাস উইপনস সিস্টেমস অ্যান্ড দ্য চ্যালেঞ্জ অভ রেগুলেশন’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দিতে সরকারি সফরে এ দিন ভোরে ভিয়েনায় পৌঁছান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

অস্ট্রিয়া আওয়ামী লীগ কার্যালয় উদ্বোধনকালে হাছান মাহমুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজ বাংলাদেশ সমৃদ্ধির পথে অদম্য গতিতে এগিয়ে চলছে। এই এগিয়ে চলাকে থামিয়ে দিতে স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি এই ইউরোপ বসে অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্র করছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত যখন বাংলাদেশের উন্নতিতে লজ্জা পাচ্ছেন তখনও বিএনপির নেতাদের চোখে উন্নয়ন ধরা পড়ে না। তারা বিদেশে পেইড এজেন্ট নিয়োগের মাধ্যমে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের এ বিষয়ে আরও সোচ্চার হতে হবে, বিভিন্ন দেশে বসবাসকারী দেশবিরোধী তৎপরতাকারীদের মুখোশ উন্মোচন করতে হবে এবং প্রয়োজনে সেসব দেশের আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে।

বাংলাদেশের সব সংগ্রাম, আন্দোলন ও সংকটে প্রবাসে আমাদের সংগঠনের নেতা-কর্মীগণ বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগকে সব জায়গায় ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে, ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগকে মোকাবিলার সাধ্য কারও নেই।

মন্ত্রী ওই সময় রেমিট্যান্স পাঠানোর মাধ্যমে দেশের উন্নয়নে অবদান রাখায় প্রবাসীদের ধন্যবাদ জানান এবং তাদের বৈধপথে রেমিট্যান্স প্রেরণের আহ্বান জানান।

অস্ট্রিয়া আওয়ামী লীগের সভাপতি খন্দকার হাফিজুর নাসিমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান শ্যামলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম, অস্ট্রিয়া আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রুহী দাস সাহা, রতন সাহা, বিল্লাল হোসেন, সাইফুল ইসলাম জসিম, সাংবাদিক সম্পাদক নয়ন হোসেন, অস্ট্রিয়া বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি রবিন মোহাম্মদ আলী প্রমুখ।


banner close