শুক্রবার, ১০ অক্টোবর ২০২৫
২৫ আশ্বিন ১৪৩২

ইফতারের পূর্ণতায় বাহারি কাবাব

রাজধানীর নাজিরাবাজার বিখ্যাত বিভিন্ন মুখরোচক খাবারের জন্য। এর মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের কাবাব। ছবি: ওসমান গনি
আপডেটেড
২৯ মার্চ, ২০২৩ ১৯:৪৪
মেহেরাবুল ইসলাম সৌদিপ
প্রকাশিত
মেহেরাবুল ইসলাম সৌদিপ
প্রকাশিত : ২৯ মার্চ, ২০২৩ ১৯:৪৪

কাবাব! নাম শুনলেই যেন জিভে জল এসে যায়। ছোট-বড় সবারই প্রিয় গরম গরম, ঝাল ঝাল মুখরোচক খাবার কাবাব। আর কাবাব ছাড়া ইফতার যেন অপূর্ণই রয়ে যায়। তাই হরেক রকম কাবাবে পূর্ণ থাকে অনেকের ইফতারির টেবিল।

বাহারি সব নাম আর স্বাদের কাবাব হয় আজকাল। পরোটা, রুটি, পোলাও, খিচুড়ি এমনকি গরম ভাতের সঙ্গেও খাওয়া যায় কাবাব। তৈরির উপকরণ থেকে পদ্ধতি সবকিছুতেই থাকে ভিন্নতা। গরু, খাসি কিংবা মুরগি যেকোনোটির মাংস দিয়েই তৈরি হয় সুস্বাদু কাবাব। তেলে ভাজা, সেঁকা, পোড়া বিভিন্ন স্টাইলে হাজির হয় এসব কাবাব।

বিভিন্ন স্বাদে আর নামে পাওয়া যায় কাবাব। এগুলোর মধ্যে চিকেন কাবাব, শামী কাবাব, কিমা কাবাব, শিক কাবাব, গরুর হাঁড়ি কাবাব উল্লেখযোগ্য। সুতি কাবাব, বিন্দি কাবাব, দম কাবাব, খিরি কাবাব, টিক্কা কাবাব, রেশমি কাবাব আর জালি কাবাবও রয়েছে।

কালের বিবর্তনে ইফতারের অন্যতম অনুষঙ্গ হয়ে উঠেছে কাবাব। পুরান ঢাকার বাসিন্দাদের ইফতারে বিরিয়ানি হোক আর অন্য কিছু, কাবাব থাকা চাই-ই চাই।

ভারত উপমহাদেশে কাবাবের প্রচলন হয় তুর্কি ও আফগানদের হাত ধরে। মোগলরাও কাবাবের সমঝদার ছিলেন। শিকে চড়িয়ে এই কাবাব প্রস্তুত করা হয় এবং তান্দুরি কিংবা নানের সঙ্গে পরিবেশন করা হয়। শাম থেকে আগত বাবুর্চিরা মোগল দরবারে প্রথম এই কাবাব প্রস্তুত করে বিধায় তাদের সম্মানে এই কাবাবের নামকরণ হয় শামী কাবাব।

বর্তমান সময়ে চিকেন চাপলি কাবাব, বটি কাবাব, বিফ বারবিকিউ কাবাব সবার কাছে বেশ জনপ্রিয়। কাবাব নাম পরিবর্তন করে অনেকে এ খাবারকে শাসলিকও বলছেন। তবে পুরোনো বাবুর্চিরা বলছেন কাবাব আর শাসলিকের স্বাদ ভিন্ন। এদিকে মুরগির গ্রিল আর গরু কিংবা মুরগির চাপ সুলভ ও সহজলভ্য হওয়ায় কাবাব খাওয়া থেকে অনেকেই সরে আসছেন।

রাজধানীর পুরান ঢাকার বিখ্যাত ইফতারির বাজারগুলো মধ্যে চকবাজার, কাজী আলাউদ্দিন রোড, নাজিমুদ্দিন রোড, উর্দু রোড, বংশাল, সিদ্দিকবাজার, চকবাজার, রায়সাহেব বাজার, নবাবপুর, কোতোয়ালি, ইসলামপুরে কাবাবের বেচাকেনা বেশ জমজমাট। এসব কাবাব ৫০ টাকা থেকে শুরু করে নাম ও মাংসভেদে ৮০০ টাকায় পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।

রায়সাহেব বাজারে ইফতারি কিনতে আসা আফজাল হোসেন বলেন, ‘সবই নিয়েছি, বাসার সবাই একসঙ্গে ইফতার করি। কাবাবটা সবাই পছন্দ করে। বাসায় ছোট মেয়ে আছে। তার জন্যও নিয়েছি।’

এদিকে ধূপখোলা মাঠের পাশে ইফতারি কিনে বাসায় যাচ্ছেন চাকরিজীবী রাব্বি। তিনি বলেন, ‘মেসে থাকি আমরা। সবাই বুট, মুড়ি খাই। কাবাব হলে আলাদা স্বাদ পাওয়া যায়। শিক কাবাব আর শাসলিক নিয়েছি। কাবাবের মান কমেছে বলব না, পরিমাণ কমেছে, দামটা বেশ বেড়েছে। সবকিছুর দামই তো বাড়তি।’

চকবাজারে ২৫ বছর ধরে ইফতারি বিক্রি করেছেন রাজিব হোসেন। হাস্যোজ্জ্বল চোখে তিনি বলেন, ‘পুরান ঢাকার মানুষ ইফতারে আর কিছু না নিলেও কাবাব ঠিকই নেবে। কাবাব ছাড়া তাদের ইফতার অসম্পূর্ণই থেকে যায়।’

মোজাম্মেল নামের একজন দোকানি বলেন, ‘মামা এখানে আমগো ৩২ বছরের ইফতারি বিক্রির গল্প জানা আছে। তয় এহন জিনিসপত্রের যে দাম বাড়ছে, তাতে কইরা মানুষ খুব বেশি ইফতারি কিনতে আহে নাই। কাবাব তো কত বছর আগেওতেই চলতেছে। এটা কি বন্ধ হইব নাকি! এইডার বেচা ও অয়। ইছতারের আগই শেষ হইয়্যা যায়।’

বিষয়:

ইস্তাম্বুল পৌঁছেছেন আলোকচিত্রী শহিদুল আলম

ইস্তাম্বুলে বিমানবন্দরে শহিদুল আলমকে স্বাগত জানান বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ মিজানুর রহমান। ছবি : বাসস
আপডেটেড ১০ অক্টোবর, ২০২৫ ২০:৪৩
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ইসরায়েল থেকে মুক্তি পাওয়ার পর তার্কিশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ইস্তাম্বুলে পৌঁছেছেন বিশিষ্ট আলোকচিত্রী ও মানবাধিকার কর্মী শহিদুল আলম। শুক্রবার বিকেলে ফ্লাইটটি ইস্তাম্বুল বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

ইস্তাম্বুলে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বিমানবন্দরে শহিদুল আলমকে স্বাগত জানান। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বার্তায় এ তথ্য জানিয়েছে।

শহিদুল আলমের মুক্তি ও প্রত্যাবর্তনে তুরস্ক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তার নিরাপদ প্রত্যাবর্তনের পুরো প্রক্রিয়াটি ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করেছে বাংলাদেশ সরকার।

শহিদুল আলমের মুক্তি ও ইসরায়েল থেকে তাঁর প্রত্যাবর্তনে সহায়তা করায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।সূত্র : বাসস


টাইমের ‘শ্রেষ্ঠ উদ্ভাবন ২০২৫’-এ স্থান পেল আইসিডিডিআর,বি’র অন্ত্র-সুস্থকারী খাবার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বিশ্বখ্যাত টাইম সাময়িকী তাদের মর্যাদাপূর্ণ ‘টাইম শ্রেষ্ঠ উদ্ভাবন ২০২৫’ তালিকায় ‘সামাজিক প্রভাব’ বিভাগে অন্তর্ভুক্ত করেছে অপুষ্টিতে ভোগা শিশুদের অন্ত্রের স্বাস্থ্য পুনরুদ্ধারকারী বিশেষ সম্পূরক খাবার এমডিসিএফ-২। এটি আইসিডিডিআর,বি এবং যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট লুইসের ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটির দীর্ঘদিনের যৌথ গবেষণার ফল।

এমডিসিএফ অর্থ হলো মাইক্রোবায়োটা ডিরেক্টেড কমপ্লিমেন্টারি ফুড, যা একটি বিশেষ ধরনের সম্পূরক খাবার, যা অন্ত্রের উপকারী জীবাণুগুলোকে উদ্দীপ্ত করে শিশুদের সুস্থ বিকাশে সহায়তা করে।

বিগত বছরগুলোতে কিছু অগ্রগতি হলেও, বিশ্বজুড়ে পাঁচ বছরের কম বয়সি শিশুদের মৃত্যুর প্রায় অর্ধেকের জন্য অপুষ্টি দায়ী। যুদ্ধ, বাস্তুচ্যুতি ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে এই সমস্যা আরও ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে, ফলে কোটি কোটি শিশু খর্বতা ও কৃশতার ঝুঁকিতে রয়েছে।

এমডিসিএফ-২ তৈরি হয়েছে ছোলা, সয়াবিন, চিনাবাদাম ও কাঁচা কলার গুঁড়োর বিশেষ মিশ্রণে। উপাদানগুলো এমনভাবে নির্বাচন করা হয়েছে, যাতে অন্ত্রের নির্দিষ্ট উপকারী জীবাণুগুলো পুষ্টি পায় এবং শিশুদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা, স্নায়বিক বিকাশ ও স্বাস্থ্যকর বৃদ্ধি নিশ্চিত হয়।

এই উদ্ভাবনের সূচনা হয় আইসিডিডিআর,বি’র নির্বাহী পরিচালক ড. তাহমিদ আহমেদ এবং ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটির অন্ত্র-জীবাণু গবেষক ড. জেফরি গর্ডন-এর মধ্যে এক অনানুষ্ঠানিক আলোচনার মাধ্যমে। ড. তাহমিদ শিশুদের অপুষ্টি নিয়ে কয়েক দশক ধরে কাজ করছেন, আর ড. গর্ডন মূলত স্থূলতা নিয়ে গবেষণা করলেও অন্ত্রের মাইক্রোবায়োম বিষয়ে পথিকৃৎ হিসেবে পরিচিত।

ড. গর্ডন বলেন, “আমাদের গবেষণায় দেখা গেছে, শিশুদের পুষ্টি ও বৃদ্ধি নির্ভর করে অন্ত্রের জীবাণুর ওপর। আমরা যে উপকারী জীবাণুগুলো চিহ্নিত করেছি, তারা এমন খাদ্য উপাদান প্রক্রিয়াজাত করতে পারে, যা শরীর নিজে থেকে করতে পারে না। বাংলাদেশি শিশুদের নিয়ে পরিচালিত ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে দেখা গেছে, এমডিসিএফ-২ অন্ত্রের মাইক্রোবায়োম পুনর্গঠনে সক্ষম এবং এর প্রভাব অন্ত্রের বাইরেও বিস্তৃত।”

ড. তাহমিদ আহমেদ বলেন, “এই স্বীকৃতি আমাদের জন্য গভীর অনুপ্রেরণার উৎস। এটি প্রমাণ করে, বিজ্ঞান ও মানবিক সহমর্মিতা একত্রিত হলে বিশ্বের জটিল স্বাস্থ্য সমস্যার সমাধান সম্ভব। স্থানীয়ভাবে তৈরি, সাশ্রয়ী এই সমাধান কোটি কোটি অপুষ্টিগ্রস্ত শিশুকে শুধু বাঁচিয়ে রাখতেই নয়, বরং পূর্ণ বিকাশের সুযোগ দিতে পারে।”

বর্তমানে ভারত, পাকিস্তান, মালি এবং তানজানিয়া-তে এই খাবার নিয়ে বৃহৎ পরিসরে গবেষণা চলছে। এমডিসিএফ-২ পুষ্টি কর্মসূচিতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনে বিশ্বজুড়ে অপুষ্টিরোধ ও চিকিৎসার পদ্ধতিকে আমূল বদলে দেওয়ার সম্ভাবনা রাখে।


ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ৩০৮ জন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সারাদেশে আরও ৩০৮ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

আজ শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর মধ্যে বরিশাল বিভাগে (সিটি কর্পোরেশনের বাইরে) ১১৫ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি কর্পোরেশনের বাইরে) ৮৫ জন, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ৪৭ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ৪০ জন ও ময়মনসিংহ বিভাগে (সিটি কর্পোরেশনের বাইরে) ২১ জন রয়েছেন।

এদিকে গত একদিনে সারা দেশে ৩১০ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। এ নিয়ে চলতি বছর ছাড়পত্র পেয়েছেন ৫০ হাজার ৫১৯ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত সব মিলিয়ে ৫৩ হাজার ১৯৩ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এ বছরে এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে ২২৪ জনের।

২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে মোট ১ লাখ ১ হাজার ২১৪ জন এবং মোট ৫৭৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।


লিবিয়া থেকে দে‌শে ফিরে‌ছেন আরও ৩০৯ বাংলাদেশি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

লিবিয়ার ত্রিপলি ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চল থেকে স্বেচ্ছায় দেশে প্রত্যাবাসনেচ্ছুক ৩০৯ অনিয়মিত বাংলাদেশিকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।

প্রত্যাবাসিতদের শুক্রবার (১০ অক্টোবর) সকাল সা‌ড়ে ১০টায় একটি চার্টার্ড ফ্লাইট যোগে দেশে ফিরেছেন।

এক সংবাদ বিজ্ঞ‌প্তি‌তে এ তথ‌্য জানায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

বিজ্ঞ‌প্তি‌তে জানা‌নো হ‌য়ে‌ছে, প্রত্যাবাসিত বাংলাদেশিদের মধ্যে বেশিরভাগই মানবপাচারকারীদের প্রলোভনে পড়ে সমুদ্রপথে অবৈধভাবে ইউরোপে যাওয়ার উদ্দেশ্যে লিবিয়ায় প্রবেশ করেছিলেন। তাদের অনেকে লিবিয়াতে বিভিন্ন সময়ে অপহরণ ও নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, সংশ্লিষ্ট অন্যান্য মন্ত্রণালয় ও আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার কর্মকর্তারা প্রত্যাবাসিত বাংলাদেশি নাগরিকদের বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা জানান। জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে তাদের এই দুর্বিষহ অভিজ্ঞতা সবার সঙ্গে বিনিময় করার জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে তাদের অনুরোধ জানানো হয়।

আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার পক্ষ থেকে প্রত্যাবাসনকৃত প্রত্যেককে কিছু খাদ্যসামগ্রী ও প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করা হয়।


শিক্ষাবিদ সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম আর নেই

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ইমেরিটাস অধ্যাপক, কথাসাহিত্যিক, প্রাবন্ধিক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম মারা গেছেন। শুক্রবার (১০ অক্টোবর) বিকাল ৫টায় রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থান তিনি মারা যান।

অন্যপ্রকাশের প্রধান নির্বাহী মাজহারুল ইসলাম তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে শুক্রবার দুপুরে মাজহারুল ইসলাম এক ফেসবুক পোস্টে জানান, অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের শারীরিক অবস্থা গুরুতর অবনতির কারণে তাকে শুক্রবার সকালে আবারও লাইফসাপোর্টে নেওয়া হয়েছে। স্যারের অবস্থা আশঙ্কাজনক। চিকিৎসকরা প্রাণপণ চেষ্টা করছেন।

পরিবারের পক্ষ থেকে শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি হাসপাতালে ভিড় না করে স্যারের জন্য প্রার্থনা ও মঙ্গল কামনার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম গত শুক্রবার (৩ অক্টোবর) ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশে যাওয়ার পথে গাড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়েন। গাড়িচালক একজনের সহায়তায় তাকে প্রথমে মোহাম্মদপুরের একটি হাসপাতালে নেন। পরে তাকে ল্যাবএইড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে চিকিৎসকরা জানান, তার ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাক হয়েছে। এরপর অস্ত্রোপচার করে দুটি রিং পরানো হয় তাকে।

সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম সিলেট শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম সৈয়দ আমীরুল ইসলাম এবং মাতা রাবেয়া খাতুন। তিনি সিলেট সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৬৬ সালে মাধ্যমিক পাস করেন। উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন সিলেট এমসি কলেজ থেকে ১৯৬৮ সালে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করেন ১৯৭১ ও ১৯৭২ সালে। ১৯৮১ সালে কানাডার কুইন্স বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইয়েটস-এর কবিতায় ইমানুয়েল সুইডেনবার্গের দর্শনের প্রভাব বিষয়ে পিএইচডি করেন।

তিনি সত্তরের দশকে লেখালেখি আরম্ভ করেছিলেন, এরপর স্বেচ্ছাবিরতির কারণে বাংলা কথাসাহিত্যে আত্মপ্রকাশ ঘটে আশির দশকে। সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম নিয়মিত কলাম লিখেছন/ একদম শুরুর দিবে সংবাদ সাময়িকীতে, ‘অলস দিনের হাওয়া’ তাকে পরিচিত করে তোলে। প্রধানত বিদেশি সাহিত্য ও সাহিত্যিকদের নিয়ে আলোচনা করতেন তিনি।

তার গল্পগ্রন্থের মধ্যে রয়েছে— স্বনিরবাচিত শ্রেষ্ঠ গল্প (১৯৯৪), থাকা না থাকার গল্প (১৯৯৫), কাচ ভাঙ্গা রাতের গল্প (১৯৯৮), অন্ধকার ও আলো দেখার গল্প (২০০১), প্রেম ও প্রার্থনার গল্প (২০০৫)। সুখদুঃখের গল্প, বেলা অবেলার গল্প।

উপন্যাসের মধ্যে রয়েছে— আধখানা মানুষ্য (২০০৬) দিনরাত্রিগুলি, আজগুবি রাত, তিন পর্বের জীবন, যোগাযোগের গভীর সমস্যা নিয়ে কয়েকজন একা একা লোক, ব্রাত্য রাইসু সহযোগে, কানাগলির মানুষেরা।

প্রবন্ধ ও গবেষণাগ্রন্থ: নন্দনতত্ত্ব (১৯৮৬), কতিপয় প্রবন্ধ (১৯৯২)। অলস দিনের হাওয়া, মোহাম্মদ কিবরিয়া, সুবীর চৌধুরীর সহযোগে রবীন্দ্রানাথের জ্যামিতি ও অন্যান্য শিল্পপ্রসঙ্গ।


ইসরায়েলের কারাগার থেকে মুক্ত হলেন শহিদুল আলম

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

বাংলাদেশি আলোকচিত্রী ও মানবাধিকারকর্মী শহিদুল আলম ইসরায়েলের কারাগার থেকে মুক্ত হয়েছেন। তিনি মুক্তি পাওয়ায় তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।ৎ

আজ শুক্রবার বিকেলে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বার্তায় গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, তুরস্কের সূত্র অনুযায়ী, আজ বিকেলে প্রখ্যাত বাংলাদেশি আলোকচিত্রি ও মানবাধিকারকর্মী শহিদুল আলমসহ অন্য যাত্রীদের নিয়ে ইসরায়েল থেকে একটি ফ্লাইট যাত্রা করেছে। ফ্লাইটটির নম্বর ‘টিকে ৬৯২১’। এটি স্থানীয় সময় দুপুর আনুমানিক ২টা ৩০ মিনিটে ইস্তাম্বুলে অবতরণ করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

শহিদুল আলমের মুক্তি নিশ্চিত করা এবং ইসরায়েল থেকে তার প্রত্যাবর্তনের ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

শহিদুল আলম দৃকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের নৃশংসতা বন্ধ এবং গাজায় ইসরায়েলি নৌ অবরোধ ভাঙার প্রত্যয় নিয়ে ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন নৌযাত্রা শুরু করেছিল গাজা অভিমুখে। ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধের দাবিতে আত্মপ্রকাশ করা আরেক উদ্যোগ থাউজেন্ড ম্যাডলিনস টু গাজার আটটি নৌযানও এ যাত্রায় অংশ নিয়েছিল। মোট ৯টি নৌযানের এ বহরে বিভিন্ন দেশের রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক, চিকিৎসক ও অধিকারকর্মীরা যোগ দিয়েছিলেন। সেই দলে ছিলেন আলোকচিত্রী শহিদুল আলম। গত বুধবার এই নৌবহরে আক্রমণ করে সব অধিকারকর্মী ও নাবিককে ধরে নিয়ে যায় ইসরায়েলি সেনারা।

আটকের পর থেকে শহিদুল আলমকে মুক্ত করতে তৎপর হয় বাংলাদেশ। শুক্রবার সকালে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে জানানো হয়, ইসরায়েলিদের হাতে শহিদুল আলমের অবৈধ আটকের ঘটনার পর বাংলাদেশ সরকার দ্রুত কূটনৈতিক উদ্যোগ নেয়। জর্ডান, মিশর ও তুরস্কে অবস্থিত বাংলাদেশের দূতাবাসকে সংশ্লিষ্ট দেশের পররাষ্ট্র দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করে শহিদুল আলমের দ্রুত মুক্তির বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়।


ইসরায়েলের কারাগার থেকে মুক্ত হলেন শহিদুল আলম

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

বাংলাদেশি আলোকচিত্রী ও মানবাধিকারকর্মী শহিদুল আলম ইসরায়েলের কারাগার থেকে মুক্ত হয়েছেন। তিনি মুক্তি পাওয়ায় তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

শুক্রবার (১০ অক্টোবর) বিকেলে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, তুরস্কের সূত্র অনুযায়ী, আজ বিকেলে প্রখ্যাত বাংলাদেশি আলোকচিত্রি ও মানবাধিকারকর্মী শহিদুল আলমসহ অন্য যাত্রীদের নিয়ে ইসরায়েল থেকে একটি ফ্লাইট যাত্রা করেছে। ফ্লাইটটির নম্বর ‘টিকে ৬৯২১’। এটি স্থানীয় সময় দুপুর আনুমানিক ২টা ৩০ মিনিটে ইস্তাম্বুলে অবতরণ করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

শহিদুল আলমের মুক্তি নিশ্চিত করা এবং ইসরায়েল থেকে তার প্রত্যাবর্তনের ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

শহিদুল আলম দৃকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের নৃশংসতা বন্ধ এবং গাজায় ইসরায়েলি নৌ অবরোধ ভাঙার প্রত্যয় নিয়ে ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন নৌযাত্রা শুরু করেছিল গাজা অভিমুখে। ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধের দাবিতে আত্মপ্রকাশ করা আরেক উদ্যোগ থাউজেন্ড ম্যাডলিনস টু গাজার আটটি নৌযানও এ যাত্রায় অংশ নিয়েছিল। মোট ৯টি নৌযানের এ বহরে বিভিন্ন দেশের রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক, চিকিৎসক ও অধিকারকর্মীরা যোগ দিয়েছিলেন। সেই দলে ছিলেন আলোকচিত্রী শহিদুল আলম। গত বুধবার এই নৌবহরে আক্রমণ করে সব অধিকারকর্মী ও নাবিককে ধরে নিয়ে যায় ইসরায়েলি সেনারা।

আটকের পর থেকে শহিদুল আলমকে মুক্ত করতে তৎপর হয় বাংলাদেশ। শুক্রবার সকালে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে জানানো হয়, ইসরায়েলিদের হাতে শহিদুল আলমের অবৈধ আটকের ঘটনার পর বাংলাদেশ সরকার দ্রুত কূটনৈতিক উদ্যোগ নেয়। জর্ডান, মিশর ও তুরস্কে অবস্থিত বাংলাদেশের দূতাবাসকে সংশ্লিষ্ট দেশের পররাষ্ট্র দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করে শহিদুল আলমের দ্রুত মুক্তির বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়।


শহিদুল আলমকে তুরস্কের সহায়তায় মুক্ত করার চেষ্টা চলছে: প্রেস উইং

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ইসরাইলের কারাগারে আটক সাংবাদিক শহিদুল আলমকে তুরস্কের সহায়তায় মুক্ত করার চেষ্টা চলছে।

তুর্কি কর্তৃপক্ষ আশা করছে, আজই (শুক্রবার) তাকে বিশেষ বিমানে আঙ্কারায় নিয়ে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এ বিষয়ে শতভাগ নিশ্চয়তা দিতে পারেননি।

আঙ্কারায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আমানুল হকের বরাত দিয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রেস উইং এক বার্তায় সকালে জানায়, শহিদুল আলম ইসরাইলি কর্তৃপক্ষের দ্বারা অবৈধভাবে আটক হওয়ার পর জর্ডান, মিশর ও তুরস্কে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসকে সেসব দেশের পররাষ্ট্র দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাকে মুক্ত করার দ্রুত উদ্যোগ নিতে বলা হয়।

আলোকচিত্রী শহিদুল আলমের মুক্তির বিষয়ে দূতাবাসগুলো স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছে।সূত্র : বাসস


ঢাকা-চট্টগ্রাম রেল যোগাযোগ উন্নয়নের উদ্যোগ সরকারের

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ঢাকা-চট্টগ্রাম সড়ককে দশ লেনে সম্প্রসারণের পরিকল্পনা বাতিল করে রেল যোগাযোগ উন্নয়নের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। জমি সংকট এবং টেকসই পরিবহন ব্যবস্থার কথা বিবেচনা করেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়বিষয়ক বিশেষ সহকারী শেখ মঈনুদ্দিন।
বার্তাসংস্থা ইউএনবিকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘ঢাকা-চট্টগ্রাম রোডকে ৬ বা ১০ লেন করার বিষয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে। তবে এখনো চূড়ান্ত কিছু নয়। সর্বোচ্চ ছয় লেন পর্যন্ত করা যেতে পারে। তবে এর বাইরে রোড সম্প্রসারণের পরিবর্তে ট্রেনে যাতায়াতের ওপর গুরুত্ব দেওয়া জরুরি।’
তিনি বলেন, ‘ট্রেন দ্রুতগতির, নিরাপদ ও সময়নিষ্ঠ যোগাযোগ মাধ্যম। ট্রেন ব্যবস্থা উন্নত করতে পারলে অনেকেই গাড়ি চালানো থেকে সরে আসবেন। তাই আমরা রেললাইন আধুনিকীকরণের দিকে জোর দিচ্ছি। বর্তমানে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেললাইনটি সংস্কার ও উন্নয়নের পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে।’
তার ভাষ্যে, রাস্তাঘাট সম্প্রসারণ করলে ভূমি আরও কমে যাবে। দেশে ইতোমধ্যে ল্যান্ড (ভূমি) সংকট দেখা দিচ্ছে। অথচ ট্রেনে এখন মাত্র ২ শতাংশ পণ্য পরিবহন হয়, যা জিডিপির প্রায় ২ শতাংশের সমান।
শেখ মঈনুদ্দিন বলেন, ‘আমি ফোকাস করছি রেলওয়ে উন্নয়নের ওপর, যাতে সড়কের চাপ কমে আসে। কারণ ট্রেন নিরাপদ, সাশ্রয়ী এবং পরিবেশবান্ধব।’

তিনি জানান, বিদেশের অনেক দেশে ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ পণ্য পরিবহন হয় রেলপথে, অথচ বাংলাদেশে তা মাত্র ২ শতাংশ। এই হার অন্তত ২৫ শতাংশে উন্নীত করতে চান তিনি। এতে ট্রেন পরিবহন লাভজনক হবে এবং রাস্তায় চাপও কমবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথ সচল রাখতে বর্তমানে লোকোমোটিভ (ইঞ্জিন) ঘাটতি একটি বড় সমস্যা বলে উল্লেখ করেন শেখ মঈনুদ্দিন।

তিনি বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে নতুন লোকোমোটিভ ক্রয়ের জন্য টেন্ডার আহ্বান করেছি। এতে ট্রেনের গতি ও কার্যকারিতা দুটোই বাড়বে, নতুন লাইন করতে হবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে কিছু নির্দিষ্ট ট্রেন শুধু পণ্য পরিবহনের কাজে ব্যবহার করার, যাতে সরাসরি চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছানো যায়। এতে সময় ও খরচ দুটোই কমবে।’

সরকারের এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে সড়কের ওপর চাপ কমে যাবে এবং দেশের রেল যোগাযোগ ব্যবস্থায় নতুন গতি আসবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন শেখ মঈনুদ্দিন।


জুলাই জাতীয় সনদ সই হবে ১৫ অক্টোবর

* সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে নেতৃত্ব দেবেন প্রধান উপদেষ্টা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আগামী ১৫ অক্টোবর জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় জুলাই জাতীয় সনদে স্বাক্ষর অনুষ্ঠান হবে। এদিন বেলা ৩টায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা এবং জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সভাপতি ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অনুষ্ঠানে ৩০ রাজনৈতিক দল ও জোটের প্রতিনিধি উপস্থিত থাকবেন। গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সভায় এ সিদ্ধান্ত হয় বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, সভায় জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মতামত এবং রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কমিশনের পাঁচটি বৈঠকে প্রাপ্ত মতামত বিশ্লেষণ করা হয়। বৈঠকে আশা প্রকাশ করা হয়, বিশেষজ্ঞরা রাজনৈতিক দলসমূহ থেকে প্রাপ্ত অভিমতসমূহ বিশ্লেষণ করে খুব শিগগিরই বাস্তবায়নের উপায় সংক্রান্ত সুপারিশ এবং চূড়ান্ত করা জুলাই সনদ সরকারের কাছে জমা দেবেন।
বৈঠকে কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান ও ড. মো. আইয়ুব মিয়া উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া ঐকমত্য গঠন প্রক্রিয়ায় যুক্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার সভায় অংশ নেন।
রাষ্ট্র কাঠামো সংস্কারে গঠিত ঐকমত্য কমিশন রাজনৈতিক দল ও জোটের সঙ্গে দুই ধাপে সংলাপ করে। দলগুলোর ঐকমত্যের ভিত্তিতে জুলাই জাতীয় সনদ তৈরি হয়। তবে, সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে দলগুলোর মধ্যে মতপার্থক্য এখনো পুরোপুরি দূর হয়নি।
এর আগে বুধবার সংলাপের শেষ দিন জানানো হয়, রাজনৈতিক দল ও বিশেষজ্ঞদের মতামত বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে সরকারকে একটি প্যাকেজ সুপারিশ করবে কমিশন। ওই সুপারিশ চূড়ান্ত করতে গতকাল বৃহস্পতিবার কমিশন সভা হয়। তবে সেখানে প্যাকেজ সুপারিশের চেয়ে জুলাই সনদ সই অনুষ্ঠানের বিষয়ে বেশি আলোচনা হয়। পরে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে আগামী ১৫ অক্টোবর বেলা ৩টায় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় স্বাক্ষর অনুষ্ঠান করার সিদ্ধান্ত হয়। প্রথমে চীন-মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠানটি করার কথা থাকলেও প্রধান উপদেষ্টার পরামর্শে সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় করার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়।
সনদ সই অনুষ্ঠানে অংশ নিতে সংলাপে অংশ নেওয়া ৩০ রাজনৈতিক দল ও জোটকে দুজন করে প্রতিনিধির নাম পাঠাতে বলেছে কমিশন। এরই মধ্যে অধিকাংশ রাজনৈতিক দল নাম পাঠিয়েছে। অনুষ্ঠানের বিষয়ে বিএনপি, জামায়াত, জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) কয়েকটি দলের সঙ্গে কমিশনের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয়েছে এবং দলগুলো ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে বলে কমিশন সূত্রে জানা গেছে।
বুধবার রাতে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমির দোয়েল হলে কমিশনের আলোচনার তৃতীয় পর্যায়ের পঞ্চম দিনের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ বলেন, বিশেষজ্ঞ এবং রাজনৈতিক দল ও জোটগুলোর দেয়া মতামত সমন্বয় করে কমিশন আগামী দুয়েক দিনের মধ্যে আলোচনা করে সরকারকে পরামর্শ দেবে।
তিনি জানান, যে প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে কমিশন জুলাই সনদ প্রণয়নের এ পর্যায়ে এসেছে তার একটি বিশেষ ও পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদনও প্রকাশ করা হবে এবং খুব দ্রুতই কমিশন সংশ্লিষ্ট দল ও জোটগুলোকে এ বিষয়ে অবহিত করবে। সেইসঙ্গে আগামী ১৫ অক্টোবর কমিশনের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে।
ড. আলী রীয়াজ বলেন, ‘আগামী ১৫ অক্টোবর কমিশনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। এ সময়ের মধ্যে কমিশনের বেশ কিছু কাজ রয়েছে। ‘জুলাই জাতীয় সনদ, ২০২৫’-এর ব্যাপারে আমরা চূড়ান্ত পর্যায়ে আছি। আশা করছি, কমিশনের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই এর স্বাক্ষর অনুষ্ঠান আয়োজন করতে পারব।’
তিনি জানান, বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল সনদ স্বাক্ষরের বিষয়ে প্রস্তুত। আমরা চাই, ১৫ অক্টোবরের মধ্যেই এই ঐতিহাসিক দলিলের আনুষ্ঠানিক স্বাক্ষর অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হোক।
আলী রিয়াজ বলেন, শুধু সনদ স্বাক্ষর নয়, একটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদনও প্রকাশিত হবে। আমরা আশা করছি ১৮-১৯ অক্টোবরের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ করতে পারব। এতে জুলাই সনদ প্রণয়নের পুরো প্রক্রিয়া ও রাজনৈতিক দলগুলোর জমাকৃত দলিল অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
তিনি জানান, ৫ অক্টোবরের বৈঠকে কমিশন সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নেয়-‘জুলাই জাতীয় সনদ’ বাস্তবায়নে গণভোটের ব্যবস্থা করা হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার আলোচনার মূল বিষয় ছিল-গণভোট কীভাবে এবং কবে অনুষ্ঠিত হবে, তা নির্ধারণ করা। আমরা বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক করেছি, পরামর্শ ও মতামতের জন্য গতকাল বৈঠকের আগেও তাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।
আলী রিয়াজ আরও জানান, বিশেষজ্ঞরা আমাদের পরামর্শ দিয়েছেন-একটি আদেশ জারি করে গণভোট আয়োজন করতে হবে। এতে দুটি ভাগ থাকবে—একটি অংশে বৃহত্তম ঐকমত্যের বিষয়গুলো এবং অন্য অংশে নোট অব ডিসেন্ট (লিখিত ভিন্নমত) থাকা বিষয়গুলো থাকবে। পরে নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সংবিধান সংস্কার পরিষদ ও ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ গঠন করা হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে গণভোটের অনুমোদন পেলে জুলাই সনদে বর্ণিত সংবিধান সংশ্লিষ্ট সংশোধনগুলো সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।


১৫ অক্টোবর স্বাক্ষর হতে যাচ্ছে জুলাই জাতীয় সনদ

আপডেটেড ৯ অক্টোবর, ২০২৫ ২১:৫৩
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

বহুল আকাঙ্ক্ষিত ‘জুলাই জাতীয় সনদ, ২০২৫’ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান আগামী ১৫ অক্টোবর জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় হবে।

ঐতিহাসিক এই স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে নেতৃত্ব দেবেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা এবং জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সভাপতি ড. মুহাম্মদ ইউনূস। অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও জোটের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করবেন।

আজ জাতীয় সংসদ ভবনে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন কার্যালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয় বলে কমিশন থেকে প্রকাশিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

বৈঠকে কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ও ড. মো. আইয়ুব মিয়া উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া, ঐকমত্য গঠন প্রক্রিয়ায় যুক্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারও এ সভায় অংশ নেন।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, আজকের সভায় জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মতামত এবং রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কমিশনের ৫টি বৈঠকে প্রাপ্ত মতামত বিশ্লেষণ করা হয়।

এসময় বৈঠকে অংশগ্রহণকারীরা আশা প্রকাশ করে বলেন, বিশেষজ্ঞগণ এবং রাজনৈতিক দলসমূহ থেকে প্রাপ্ত অভিমতসমূহ বিশ্লেষণ করে খুব শিগগিরই বাস্তবায়নের উপায় সংক্রান্ত সুপারিশ এবং চূড়ান্তকৃত জুলাই সনদ সরকারের কাছে জমা দেওয়া হবে। সূত্র: বাসস


উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। ছবি: পিআইডি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।

তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে আজ বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। সূত্র: বাসস


মতামত সমন্বয় করে সরকারকে জানাবে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন: আলী রীয়াজ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ বলেছেন, বিশেষজ্ঞ এবং রাজনৈতিক দল ও জোটগুলোর দেয়া মতামত সমন্বয় করে কমিশন আগামী দু-এক দিনের মধ্যে আলোচনা করে সরকারকে পরামর্শ দেবে।

তিনি জানান, যে প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে কমিশন জুলাই সনদ প্রণয়নের এ পর্যায়ে এসেছে তার একটি বিশেষ ও পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদনও প্রকাশ করা হবে এবং খুব দ্রুতই কমিশন সংশ্লিষ্ট দল ও জোটগুলোকে এ বিষয়ে অবহিত করবে। সেইসঙ্গে আগামী ১৫ অক্টোবর কমিশনের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে।

বুধবার রাতে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমির দোয়েল হলে কমিশনের আলোচনার তৃতীয় পর্যায়ের পঞ্চম দিনের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এসব কথা বলেন।

ড. আলী রীয়াজ বলেন, ‘আগামী ১৫ অক্টোবর কমিশনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। এ সময়ের মধ্যে কমিশনের বেশ কিছু কাজ রয়েছে। ‘জুলাই জাতীয় সনদ, ২০২৫’-এর ব্যাপারে আমরা চূড়ান্ত পর্যায়ে আছি। আশা করছি, কমিশনের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই এর স্বাক্ষর অনুষ্ঠান আয়োজন করতে পারব।’

তিনি জানান, বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল সনদ স্বাক্ষরের বিষয়ে প্রস্তুত। আমরা চাই, ১৫ অক্টোবরের মধ্যেই এই ঐতিহাসিক দলিলের আনুষ্ঠানিক স্বাক্ষর অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হোক।

সহ-সভাপতি বলেন, শুধু সনদ স্বাক্ষর নয়, একটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদনও প্রকাশিত হবে। আমরা আশা করছি ১৮-১৯ অক্টোবরের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ করতে পারব। এতে জুলাই সনদ প্রণয়নের পুরো প্রক্রিয়া ও রাজনৈতিক দলগুলোর জমাকৃত দলিল অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

তিনি জানান, ৫ অক্টোবরের বৈঠকে কমিশন সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নেয়-‘জুলাই জাতীয় সনদ’ বাস্তবায়নে গণভোটের ব্যবস্থা করা হবে। আজকের (গতকাল) আলোচনার মূল বিষয় ছিল-গণভোট কীভাবে এবং কবে অনুষ্ঠিত হবে, তা নির্ধারণ করা। আমরা বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক করেছি, পরামর্শ ও মতামতের জন্য আজ (গতকাল) বৈঠকের আগেও তাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, বিশেষজ্ঞরা আমাদের পরামর্শ দিয়েছেন-একটি আদেশ জারি করে গণভোট আয়োজন করতে হবে। এতে দু’টি ভাগ থাকবে—একটি অংশে বৃহত্তম ঐকমত্যের বিষয়গুলো এবং অন্য অংশে নোট অব ডিসেন্ট (লিখিত ভিন্নমত) থাকা বিষয়গুলো থাকবে। পরে নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সংবিধান সংস্কার পরিষদ ও ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ গঠন করা হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে গণভোটের অনুমোদন পেলে জুলাই সনদে বর্ণিত সংবিধান সংশ্লিষ্ট সংশোধনগুলো সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।

ড. রীয়াজ বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে কেউ কেউ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনেই পৃথক ভোটে গণভোটের প্রস্তাব দিয়েছে। আবার কিছু দল জাতীয় নির্বাচনের আগেই গণভোট আয়োজনের পক্ষে মত দিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, কমিশন মনে করছে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে এক ধরনের ঐকমত্য তৈরি হয়েছে যে, ত্রয়োদশ সংসদকে ‘জুলাই জাতীয় সনদ, ২০২৫’ বাস্তবায়নের জন্য নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত সংবিধানের মৌলিক কাঠামোগত পরিবর্তনের ক্ষমতা দিতে হবে। দল ও জোটগুলো চাইছে, রাজনৈতিক দল ও বিশেষজ্ঞদের মতামতের সমন্বয়ে কমিশন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে সরকারকে পরামর্শ দিক।

কমিশন প্রধান ও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে কমিশনের সহ-সভাপতি ড. আলী রীয়াজ বলেন, ‘এই দীর্ঘ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এখন সনদটি স্বাক্ষরের জন্য প্রস্তুত, বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া বিষয়ে আমরা দীর্ঘ পথ এগিয়েছি। সমস্ত প্রক্রিয়া চলাকালীন কমিশন প্রধান অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস কমিশনের সঙ্গে অত্যন্ত নিবিড়ভাবে যোগাযোগ রেখেছেন। কাজের দিক থেকে কতটা অগ্রসর হওয়া গেছে সেটা তিনি সবসময় খোঁজ-খবর রেখেছেন। সেই সঙ্গে কোথাও কোন ভাবে সরকারের পক্ষ থেকে কিছু করণীয় আছে কিনা তা তিনি সব সময় জানতে চেয়েছেন। তিনি বিভিন্ন প্রকার পরামর্শ ও দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। এ কমিশনের সবচেয়ে বড় দায়িত্ব তিনি পালন করেছেন।’

বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে যে ইতিবাচক পরিবর্তনের সূচনা হচ্ছে তা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে প্রবাহিত হবে—এ আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের সকলের একটি দায় ও দায়িত্ব আছে। শুধু একটি সনদ স্বাক্ষর করা যথেষ্ট নয়, আমাদের সকলের সামনে আরো দীর্ঘ পথ চলার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে, আসুন আমরা সকলে মিলে সে পথ চলা অব্যাহত রাখি। আমাদের সবচেয়ে বড় অর্জনটি হয়েছে জাতীয় ঐক্যের মধ্য দিয়ে গত বছর ফ্যাসিবাদের পতন ঘটানো। আমাদের এ জাতীয় ঐক্য অক্ষুণ্ন রাখতে হবে, এর কোনো বিকল্প নেই। আপনারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা, প্রতিযোগিতা করবেন কিন্তু ঐক্য বজায় রেখেই সেটা করতে হবে। সেটা আপনাদের দ্বারা সম্ভব বলে আমরা মনে করি।’

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার দুপুর ২টা থেকে শুরু হওয়া তৃতীয় পর্যায়ের পঞ্চম বৈঠকে বিএনপি, জাতীয় নাগরিক পার্টি, এবি পার্টিসহ প্রায় ৩০টি রাজনৈতিক দল ও জোটের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ। এতে আরও অংশ নেনে কমিশনের সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান ও ড. মো. আইয়ুব মিয়া।

এছাড়া ঐকমত্য গঠন প্রক্রিয়ায় যুক্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারও সভায় অংশ নেন।


banner close