শুক্রবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৩

‘টিকিট যার ভ্রমণ তার’ বাস্তবায়নই চ্যালেঞ্জ

আপডেটেড
২৯ মার্চ, ২০২৩ ১৬:০৩
তৌফিকুল ইসলাম
প্রকাশিত
তৌফিকুল ইসলাম
প্রকাশিত : ২৯ মার্চ, ২০২৩ ০৯:১৮

ঈদকে ঘিরে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট ব্যবস্থাপনায় এবার আমূল পরিবর্তন এনেছে রেলওয়ে। কাউন্টারে কোনো টিকিট বিক্রি হবে না। জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করে শুধু অনলাইনে টিকিট কাটতে পারবেন যাত্রীরা। এতে যার নামে টিকিট কাটা হবে তাকেই ট্রেনে যাত্রা করতে হবে। তবে কাউন্টার থেকে আন্তনগর ট্রেনের নন-এসি আসনের ২৫ শতাংশ স্ট্যান্ডিং টিকিট বিক্রি করা হবে। শেষ সময়ে বাড়ি ফিরতে স্ট্যান্ডিং টিকিটের চাহিদা অনেক বেশি থাকবে। ফলে সিটের বাইরেও অনেক যাত্রী ঢুকে যাবেন ট্রেনে। এ কারণে ‘টিকিট যার ভ্রমণ তার’ বাস্তবায়ন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বড় বড় রেলস্টেশন ছাড়া বেশির ভাগ স্টেশনেই নিরাপত্তাবেষ্টনী নেই। ফলে যাত্রীরা স্টেশনে ঢুকে ট্রেনে চড়তে কোথাও আটকান না। অনেক যাত্রী বিভিন্ন ফাঁকফোকর দিয়ে টিকিটবিহীন অবস্থায় ট্রেনে চড়ে বসেন। এ ছাড়া এখনো অবকাঠামোগত দুর্বলতা আছে রেলের। বিগত সময়ের ঈদযাত্রায় দেখা গেছে, কমলাপুর স্টেশন থেকেই ট্রেনের ছাদে যাত্রী উঠছেন। এবার সেই চিরচেনা চিত্র বদলাবে কি না, সেটাই এখন দেখার বিষয়।

২০২২ সালের ২১ জুলাই একটি স্বতঃপ্রণোদিত (সুয়োমোটো) রুলের শুনানিতে হাইকোর্ট এক পর্যবেক্ষণে বলেছিলেন, ‘এখন থেকে ট্রেনের ছাদে কোনো যাত্রী বহন করা যাবে না এবং ট্রেনের ছাদে যাত্রী উঠলে সংশ্লিষ্ট রেল কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

এবার যারা রেজিস্ট্রেশন করে অনলাইনের মাধ্যমে টিকিট কাটবেন তাদের টিকিটের সঙ্গেই যাত্রীর নাম এবং এনআইডি নম্বর সংযুক্ত থাকবে। কিন্তু যারা অনলাইনে ট্রেনের টিকিট পাবেন না, তারা কাউন্টারে ভিড় করবেন। আর শেষ মুহূর্তে ঘরেফেরা মানুষের ভিড় বাড়লে স্টেশনের কাউন্টারে স্ট্যান্ডিং টিকিট দেয়ার হিসাব থাকবে না। এতে করে ট্রেনে সিটের বাইরে পা ফেলার জায়গা থাকবে না স্ট্যান্ডিং টিকিটের যাত্রীদের জন্য। ফলে শেষ মুহূর্তে যাত্রীদের চাপে ‘টিকিট যার ভ্রমণ তার’ কতটা বাস্তবায়ন হবে, তা নিয়ে শঙ্কা রয়েছে।

যাত্রীদের নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করা রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমান দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘আমাদের দেশে গণপরিবহনের সংকট আছে, ঈদের সময় সেই সংকট আরও প্রকট আকার ধারণ করে। কালোবাজারি বন্ধ করতে শুধু অনলাইনে টিকিট বিক্রির ফলে ভোগান্তি বাড়বে। কারণ, সব মানুষের অনলাইনে টিকিট কাটার সুযোগ এবং সক্ষমতা নেই। সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে টিকিট যার ভ্রমণ তার এখনই বাস্তবায়ন করা রেলের পক্ষে চ্যালেঞ্জ হবে। এ ধরনের সিদ্ধান্তগুলো একেবারেই অপরিপক্ব। সাধারণ মানুষ অনলাইনে টিকিট কাটতেও পারবেন না, শেষমেশ ট্রেনের ছাদে যাত্রা করবেন।’

এর আগে গত ঈদের সময়ও ‘টিকিট যার ভ্রমণ তার’ বাস্তবায়নের কথা বলেছিল রেলওয়ে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেটি বাস্তবায়ন হয়নি।

ঈদ উপলক্ষে ১০০-এর বেশি আন্তনগর ট্রেন চলাচল করবে যাত্রী পরিবহনের জন্য। এ ছাড়া ঈদ উপলক্ষে অতিরিক্ত চাহিদা মেটানোর জন্য মোট ২১৮টি লোকোমোটিভ যাত্রীবাহী ট্রেনে ব্যবহারের পরিকল্পনা করা হয়েছে। কিন্তু যাত্রীবাহী এসব ট্রেনে পর্যাপ্ত ট্রাভেলিং টিকিট এক্সামিনার বা টিটিই নেই। ট্রেনের মধ্যে টিটিইদের মাত্র ১০০টি পজ মেশিন দেয়া হয়েছে টিকিট চেক করার জন্য। ফলে ঈদের সময় ভিড়ের মধ্যে যার যার টিকিট নিয়ে তিনি ভ্রমণ করছেন কি না, তা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে না।

সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. কামরুল আহসান দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘রেজিস্ট্রেশন ছাড়া ট্রেনের টিকিট দেয়া হচ্ছে না। গত কয়েক দিনেই মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরি হয়েছে। ঈদের সময় ট্রেনে যাত্রীদের ভিড় থাকলেও শতভাগ চেকিংয়ের চেষ্টা করব আমরা। তবে বাস্তবতা হচ্ছে, ঈদের সময় প্রত্যেকটা যাত্রীর কাছে গিয়ে টিকিট চেকিং করা কঠিন। আমার মনে হয়, টিকিট কাটার সময় আমাদের চেকিংটা হয়ে যাচ্ছে। কারণ, রেজিস্ট্রেশন ছাড়া কেউ টিকিট পাচ্ছেন না। ইতিমধ্যে প্রায় ১৫ লাখ এনআইডি দিয়ে রেজিস্ট্রেশন হয়ে গেছে। ঈদের আগে আগে আরও ১০-১৫ লাখ রেজিস্ট্রেশন হতে পারে। তবে আমাদের টিটিইর সংখ্যা বাড়ানোর বিষয়ে নিয়োগের কার্যক্রম চলমান আছে।’

টিকিট কালোবাজারি বন্ধ হবে তো?

ট্রেনের টিকিট নিয়ে কালোবাজারির অভিযোগ বছরের পর বছর ধরে চলছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কালোবাজারির ধরনও পরিবর্তন হয়েছে। সাধারণ যাত্রীরা বলছেন, ‘অনলাইনে-কাউন্টারে টিকিট না মিললেও স্টেশনের আনাচে-কানাচে বেশি দাম দিয়ে মাঝে মাঝেই টিকিট পাওয়া যায়। টিকিট কালোবাজারি না হলে কীভাবে মেলে এসব টিকিট।’

রেলসংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, ‘রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে টিকিট কেনার কারণে কালোবাজারি হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। রেলের মহাপরিচালকও বলছেন কালোবাজারি হওয়ার সুযোগ নেই।’

তবে টিকিট কালোবাজারি প্রসঙ্গে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সাবেক অতিরিক্ত সচিব মাহবুব কবির মিলন তার ফেসবুক পোস্টে বলেছেন, ‘কালোবাজারি সাহেবরা এখন রিফান্ড ব্যবসা শুরু করেছে। তারা আগেই টিকিট কেটে রাখে। এরপর যাত্রী জোগাড় করে কোনো এক ফাঁকে কাউন্টারে গিয়ে টিকিট রিফান্ড করেই সঙ্গে সঙ্গে যাত্রীর এনআইডি এবং নাম, মোবাইল নম্বর দিয়ে টিকিট করে দিচ্ছে। ট্রেনে যাত্রীকে চেকিং করলেও আর ধরার উপায় নেই।’

তিনি আরও জানান, এক মোবাইল নম্বর দিয়ে অসংখ্যবার রিফান্ড করা হয়েছে এক সপ্তাহে। এগুলো প্রায় সবটিই কাউন্টারের রিফান্ড। অসংখ্য মোবাইল নম্বরে অসংখ্য রিফান্ড। রিফান্ড করলে এখন সার্ভারে টিকিট ওপেন হয়ে যায়। কিন্তু আগে থেকেই টিকিট শেষ হয়ে যাওয়ায় কেউ তো দিনের পর দিন বারবার চেক করবে না বা কাউন্টারে যাবে না।

বিষয়:

নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত হয়নি: ইসি আলমগীর

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি

নির্বাচন কমিশনার আলমগীর বলেছেন, নির্বাচনে প্রয়োজনে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হবে। অতীতের মতো সেনাবাহিনী ম্যাজিস্ট্রেটের নিয়ন্ত্রণে কাজ করবে। তবে আমরা এখনো সিদ্ধান্ত নিইনি। বৃহস্পতিবার টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আয়োজিত মতবিনিময়সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি জানান, নির্বাচনে গতকাল পর্যন্ত ৮২ জন বিদেশি পর্যবেক্ষকের আসার তালিকা পেয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ ছাড়া ৪৬ বিদেশি সাংবাদিক আসবেন। সাংবাদিকরা নির্বাচনে কীভাবে কাজ করবেন সে বিষয়ে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে একটি নীতিমালা রয়েছে। সে নীতিমালায় সব সাংবাদিককে অনুসরণ করতে হবে।’

ইউএনও এবং ওসিদের বদলির ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে আমাদের সংলাপ হয়েছে। সেখানে তাদের অভিযোগ ছিল, সরকার প্রশাসনকে সাজিয়ে-গুছিয়ে তাদের মতো করে নিয়েছে। সরকারের অনুকূলে তারা (ইউএনও-ওসি) কাজ করেন। এ অবস্থায় প্রশাসনে পরিবর্তন আনতে হবে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের এমন অভিমত ছিল। মাঠ পর্যায়েও অংশীজনদের সঙ্গে কথা হচ্ছে। সে অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন ইউএনও এবং ওসিদের বদলির বিষয়ে কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমাদের নির্দেশনা অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলো কাজ করছে।

বিএনপি নির্বাচনে আসার প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনার আলমগীর বলেন, ‘আমাদের যে পর্যন্ত সুযোগ ছিল তা বলেছি। এ মুহূর্তে কোনো সুযোগ আছে বলে আমাদের আইন অনুযায়ী দেখছি না। তারপরও যদি কেউ নির্বাচনে অংশ নিতে চায়, সেক্ষেত্রে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখতে হবে। আমরা যাই কিছু করি না কেন তা সংবিধানের আলোকে করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, ‘বিদেশিরা কখনোই আমাদের চাপ দেয়নি। আমাদের এ ধরনের চাপ দেওয়ার রাইট নেই। আমাদের প্রতি কারও কোনো চাপ নেই। শান্তিপূর্ণ-অবাধ নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন অন্য সবাইকে চাপ দিয়ে যাচ্ছে। জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং অফিসার কায়ছারুল ইসলামের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার, সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মতিয়ূর রহমানসহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা।


বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে থাকবে রাশিয়া: রাষ্ট্রদূত

জাতীয় প্রেসক্লাবে বৃহস্পতিবার ‘টক উইথ রাশিয়ান অ্যাম্বাসেডর’ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন রুশ রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্ডার ভি মন্টিটস্কি। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

বাংলাদেশে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার মানতিতস্কি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোর যেকোনো দেশের বিরুদ্ধে নেওয়া নিষেধাজ্ঞা বা অনুরূপ যেকোনো ‘বেআইনি’ পদক্ষেপের বিরোধী তারা।

তিনি বলেন, ‘আমরা এ ধরনের যেকোনো বেআইনি কর্মকাণ্ডের বিরোধী। জাতিসংঘ ছাড়া অন্য কোনো দেশের নিষেধাজ্ঞা আমলে নেওয়ার কিছু নেই। পশ্চিমা বিশ্ব বাংলাদেশকে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা দিলে ওই পরিস্থিতি বিবেচনায় ঢাকা-মস্কো আলোচনা করবে। আমরা এখানে (বাংলাদেশে) যেকোনো নিষেধাজ্ঞা বা অনুরূপ পদক্ষেপের বিরুদ্ধে থাকব। দেখা যাক কী হয়।’

বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে স্বাধীনতা সাংবাদিক ফোরাম আয়োজিত ‘টকস উইথ অ্যাম্বাসাডর’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন মানতিতস্কি।

তিনি বলেন, ‘পশ্চিমাসহ অন্য যেকোনো দেশের নিষেধাজ্ঞাকে আমরা স্বীকৃতি দিই না। আমরা যেকোনো ধরনের অবৈধ নিষেধাজ্ঞার বিপক্ষে। আমরা শুধু জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের নিষেধাজ্ঞা হলে সেটিকে স্বীকৃতি দিই। যদি ওই ধরনের কোনো সমস্যা হয়, আমরা আলোচনা করব।

আসন্ন সাধারণ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের চেষ্টা বিষয়ে রাশিয়ার অবস্থান জানতে চাইলে রাষ্ট্রদূত এ জবাব দেন।

তিনি আরও বলেন, ‘আপনারা জিজ্ঞাসা করছেন রাশিয়া কী করবে- কিন্তু আমরা এখনো জানি না এখানে কী ঘটতে যাচ্ছে।’ তবে এ ধরনের সমস্যা দেখা দিলে বাংলাদেশকে কী ধরনের সহায়তা দেওয়া যায় সে বিষয়ে আলোচনা হবে।

রাষ্ট্রদূত মানতিতস্কি বলেছেন, ‘রাশিয়া পশ্চিমের একতরফা নিষেধাজ্ঞাকে স্বীকৃতি দেয় না। আমরা শুধু নিরাপত্তা পরিষদের দেওয়া নিষেধাজ্ঞা স্বীকার করি।’

সম্প্রতি রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভার বক্তব্য উল্লেখ করে রুশ দূত মানতিতস্কি বলেন, ‘জাতীয় আইনের ভিত্তিতে স্বাধীনভাবে, বিদেশি শুভাকাঙ্ক্ষীদের সাহায্য ছাড়াই আগামী ৭ জানুয়ারি সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানে বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের সক্ষমতা নিয়ে আমাদের কোনো সন্দেহ নেই।’

তিনি আরও বলেন, ‘ইউক্রেন ইস্যুতে পশ্চিমারা সরব থাকলেও ফিলিস্তিন ইস্যুতে তারা ডাবল স্ট্যান্ডার্ড ভূমিকা নিয়েছে। তখন তারা অভিযোগ করেছিলেন, ইউক্রেনে অনেক মানুষ মারা যাচ্ছে, এটা নিয়ে তারা উদ্বেগও প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু, গত অক্টোবর থেকে ইসরায়েলে ছয় হাজারেরও বেশি মানুষ মারা গেছে। এটা নিয়ে তাদের কোনো উদ্বেগ নেই।’

তিনি আরও বলেন, ফিলিস্তিন ইস্যুতে রাশিয়া ও বাংলাদেশের অবস্থান একই।’

২০২২ সালে বাংলাদেশে রাশিয়ান মহাকাশ শিল্পের পণ্য ও পরিষেবার প্রচারের ক্ষেত্রে সহযোগিতার একটি স্মারক সই করেছে রাশিয়ান জেএসসি ‘গ্লাভসকমস’ এবং বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড।

যার মধ্যে ‘বঙ্গবন্ধু-২’ পৃথিবী পর্যবেক্ষণ স্যাটেলাইট সিস্টেমের উৎপাদন ও উৎক্ষেপণের বিষয়গুলো রয়েছে।

রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘প্রকল্পের প্রযুক্তিগত পরিমিতি চূড়ান্ত করা হয়েছে। এই প্রকল্পের জন্য বাণিজ্যিক প্রস্তাবগুলো নিয়ে আলোচনা চলছে।’

তিনি বলেন, ‘স্যাটেলাইট স্থাপনে বাংলাদেশ সরকার যে দেশকে ভালো অংশীদার মনে করবে, তাকেই বেছে নেবে। এ ক্ষেত্রে আমাদের কিছু বলার নেই।’

২০২৩ সালের নভেম্বরের শুরুতে রাশিয়ান প্রশান্ত মহাসাগরীয় বহরের একটি বিচ্ছিন্ন যুদ্ধজাহাজ এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে নৌ অংশীদারত্ব জোরদার করার জন্য চট্টগ্রাম বন্দরে শুভেচ্ছা ভ্রমণ করেছিল।

বিষয়টি নিয়ে কোনো গোপন বার্তা আছে কি না জানতে চাইলে রাষ্ট্রদূত বলেন, এটি একটি বন্ধুত্বপূর্ণ ভ্রমণ।

রুশ রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আপনারা এটিকে কীভাবে দেখবেন তা আপনাদের ওপর নির্ভর করে, তবে এটি একটি শুভেচ্ছা সফর ছিল।’

অর্থনৈতিক সহযোগিতার বিষয়ে আলাপকালে রাষ্ট্রদূত বলেন, দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের পর বাংলাদেশ রাশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্য অংশীদার। এমনকি কোভিড-১৯ মহামারিও একে বাধাগ্রস্ত করতে পারেনি। ২০২১ সালে দুই দেশের বাণিজ্যের পরিমাণ ২৯৭ বিলিয়ন ডলারের রেকর্ড গড়েছে। তবে ২০২২ সালে পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার বিরুদ্ধে ‘বেআইনি’ একতরফা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।

‘পরে উৎপাদন ও সরবরাহ শৃঙ্খল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় বাংলাদেশসহ বিদেশি অংশীদারদের সঙ্গে রাশিয়ার বাণিজ্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে, যার ফলে বাণিজ্য লেনদেন ৬৪০ মিলিয়ন ডলার কমে গেছে, বলেন তিনি।’

রুশ দূত বলেন, রুশ কোম্পানিগুলো জিটুজি ভিত্তিতে ১ মিলিয়ন টন শস্যের পাশাপাশি প্রতি বছর ৫ লাখ টন পটাশিয়াম ক্লোরাইড সরবরাহ করতে প্রস্তুত।

পাবনার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মাণ অংশীদার রাশিয়া। এই প্রকল্পের কথা উল্লেখ করে রুশ দূত বলেন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও জ্বালানি নিরাপত্তায় উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবে।

মানতিতস্কি বলেন, ‘রাশিয়ার সম্পৃক্ততা শুধু নির্মাণকাজের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়; আমরা পারমাণবিক প্রকল্পের পুরো জীবনচক্র জুড়ে আমাদের বাংলাদেশি অংশীদারদের সহায়তা করব। যার মধ্যে চুল্লির জ্বালানির দীর্ঘমেয়াদি সরবরাহ, উদ্ভিদ রক্ষণাবেক্ষণ এবং পারমাণবিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য আমাদের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। রাশিয়া বাংলাদেশে একটি শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক সেক্টর তৈরি করতে সহায়তা করছে।’

রাষ্ট্রদূত বলেন, তারা বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতার পূর্ণ সম্ভাবনা এখনো পুরোপুরি কাজে লাগাতে পারেনি। ‘এখন পরিস্থিতি পরিবর্তিত হচ্ছে, ২০২২ থেকে অনেক আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড রাশিয়া ছেড়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাই রুশ ব্যবসায়ীরা নতুন সরবরাহকারীদের দিকে মনোযোগী হচ্ছে, এর মধ্যে বাংলাদেশের সরবরাহকারীরাও রয়েছে। বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের রাশিয়ায় বিনিয়োগের সম্ভাবনার বিষয়ে মানতিতস্কি বলেন, সরকারি ও বেসরকারি উভয় বিনিয়োগেই বিলিয়ন ডলার আয় হতে পারে।’

তিনি বলেন, রাশিয়ার কোম্পানিগুলো বাংলাদেশে আইসিটি, ফার্মাসিউটিক্যালস, মহাকাশ ও ভূতাত্ত্বিক গবেষণা, মেরিটাইম, রেলওয়ে ও বিমান পরিবহনের মতো খাতে বিভিন্ন যৌথ প্রকল্পে অংশ নিতে প্রস্তুত।

রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘এসব বিষয় নিয়ে রাশিয়া-বাংলাদেশ আন্তসরকারি কমিশন অন ট্রেড, ইকোনমিক, সায়েন্টিফিক অ্যান্ড টেকনিক্যাল কো-অপারেশনের পঞ্চম বৈঠকে আলোচনার পরিকল্পনা করা হয়েছে, আমরা ২০২৪ সালে এ বৈঠকে মুখোমুখি হওয়ার পরিকল্পনা করছি।’
স্বাধীনতা সাংবাদিক ফোরামের আয়োজনে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) যুগ্ম সম্পাদক খায়রুল আলম প্রমুখ।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বাংলা ট্রিবিউনের কূটনৈতিক প্রতিবেদক শেখ শাহরিয়ার জামান।

অনুষ্ঠানে জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত বলেন, ‘১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে রাশিয়া যে অবদান রেখেছিল, সেই অবদান কোনোভাবেই পরিশোধ করা যাবে না।

বর্তমান ভূরাজনীতিতে আমাদের পক্ষে রাশিয়াকে প্রয়োজন।’


১৩ ডিসেম্বর থেকে চালু হচ্ছে মেট্রোরেলের টিএসসি ও বিজয় সরণি স্টেশন

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

নগরবাসীর জন্য মেট্রোরেল আরেকটি সুখবর নিয়ে আসছে আগামী ১৩ ডিসেম্বর। এই দিন মেট্রোরেলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (টিএসসি) ও বিজয় সরণি স্টেশন চালু হতে যাচ্ছে।

আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন সিদ্দিক সাংবাদিক সম্মেলনে গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, বর্তমানে আগারগাঁও-মতিঝিল রুটে সকাল সাড়ে ৭টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত মেট্রোরেল চলাচল করছে। তবে এমআরটি পাসধারীরা দুপুর ১২টা পর্যন্ত মেট্রোরেলে চলাচল করতে পারছেন। এটার সঙ্গে আগামী ১৩ ডিসেম্বর থেকে যোগ হবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (টিএসসি) ও বিজয় সরণি স্টেশন। আপাতত আগের সময়ে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রো রেল চলাচল করবে। কারওয়ান বাজার এবং শাহবাগ স্টেশন আগামী জানুয়ারি মাসের মধ্যে চালু হবে। মেট্রো রেলের সবগুলো স্টেশন চালু হওয়ার তিন মাস পরে অর্থাৎ এপ্রিল মাস নাগাদ সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে মেট্রো রেল। আমরা আশা করছি ২০২৫ সালের জুনে মেট্রো ঢাকার উত্তরা থেকে কমলাপুর পর্যন্ত চালু হবে।’

গত ৪ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশ উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনের সময় চালু হয় ফার্মগেট, সচিবালয় ও মতিঝিল স্টেশন। এর সঙ্গে ১৩ ডিসেম্বর থেকে যোগ হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি ও বিজয় সরণি স্টেশন। বর্তমানে প্রতি শুক্রবার বন্ধ থাকে মেট্রোরেল চলাচল।


টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদন

ফাইল ছবি।
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ এখানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন ও দোয়া করেছেন।

ছোট বোন শেখ রেহানা ও পরিবারের সদস্যদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রী আজ বিকেলে বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট হত্যাকান্ডের শিকার বঙ্গবন্ধু ও অন্যান্য শহীদদের বিদেহী আত্মার চির শান্তি কামনা করে দোয়ায় যোগ দেন।

পুষ্পষ্পবক অর্পণের পর তিনি স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতির স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।

আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা ব্যক্তিগত সফরে আজ দুপুরে পদ্মাসেতু হয়ে সড়কপথে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় পৈতৃক বাড়িতে পৌঁছেছেন।
টুঙ্গিপাড়ার বাড়িতে রাত কাটিয়ে আগামীকাল তার ঢাকার উদ্দেশে রওনা হওয়ার কথা রয়েছে।


বদলির অনুমোদন দিয়েছে ৩৩৮ ওসি এবং ১১০ ইউএন’র

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ৭ ডিসেম্বর, ২০২৩ ১৬:৩২
নিজস্ব প্রতিবেদক

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বেশ কয়েকদিন ধরেই দেশের বেশকিছু থানার ওসি এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বদলির কথা শোনা যাচ্ছিল। এবার সেটা সত্যি হচ্ছে।দেশের ৩৩৮ থানার ওসি এবং ১১০ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) বদলির অনুমোদন দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

আজ বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশন থেকে গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

গতকাল বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ৩৩৮ থানার ওসি ও ১১০ ইউএনওকে বদলির তালিকা পাঠানো হয় ইসিতে।

নির্বাচন কমিশন থেকে জানা গেছে, ওসি-ইউএনও বদলির প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই সংক্রান্ত একটা ফাইল স্বাক্ষরও হয়েছে। এখন চিঠি ইস্যু হবে। এই চিঠি স্বরাষ্ট্র ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় বরাবর পাঠানো হবে।

গত সোমবার দেশের আট বিভাগের ৪৭ জন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বদলির প্রস্তাবে সম্মতি দেয় নির্বাচন কমিশন।

এর আগে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু করার জন্য সারাদেশে সব থানার ওসিকে পর্যায়ক্রমে বদলির জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন ইসি।

জানা গেছে, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে যেসব ওসি বর্তমান কর্মস্থলে ছয় মাসের বেশি সময় ধরে চাকরি করছেন প্রথমে তাদের ও পরে পর্যায়ক্রমে সারাদেশে ওসি বদলির নির্দেশ দেয় নির্বাচন কমিশন। মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও আইজিপিকে চিঠি পাঠিয়ে ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে ওসিদের বদলির প্রস্তাব ইসিতে পাঠাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। পরে নির্বাচন কমিশন বদলির প্রস্তাব পাঠাতে আরও তিন দিন সময় বাড়ায়। সারাদেশে বর্তমানে ৬৫০টির বেশি থানা রয়েছে।

এছাড়াও দেশের সব ইউএনওকেও পর্যায়ক্রমে বদলি করার সিদ্ধান্ত নেয় ইসি। ইউএনওদের বদলির বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দিয়ে গত ৩০ নভেম্বর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেওয়া হয়। তাতে বলা হয়, প্রথম পর্যায়ে যেসব ইউএনওর বর্তমান কর্মস্থলে দায়িত্ব পালনের মেয়াদ এক বছরের বেশি হয়ে গেছে, তাদের অন্য জেলায় বদলির প্রস্তাব ইসিতে পাঠানো প্রয়োজন।


নির্বাচনকে অস্থিতিশীল করতে একটি পক্ষ সক্রিয়: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

নির্বাচনকে অস্থিতিশীল করার জন্য সব সময়ই একটি পক্ষ সক্রিয় থাকে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেন, সেসব যেন না হয়, এ জন্যই নির্বাচন কমিশন থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হচ্ছে।

বুধবার শিল্পকলা একাডেমিতে বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি আয়োজিত বাংলাদেশকে ভারতের স্বীকৃতির ৫২ বছর পূর্তি শীর্ষক সেমিনার শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ‘প্রতিনিয়তই নিরাপত্তা বাহিনী শীর্ষ সন্ত্রাসীদের আটক করছে। আমরা সব সময়ই তাদের চিহ্নিত করে আসছি। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। এদের বেশির ভাগই এখন জেলখানায়, না হয় দেশত্যাগ করছে। বিদেশে যারা আত্মগোপনে আছে তাদের দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করছি। ইতোমধ্যে কয়েকজনকে আনাও হয়েছে।’

সীমান্তে অস্থিরতা কমছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সীমান্তে হত্যার সংখ্যা ক্রমেই হ্রাস পাচ্ছে। এ নিয়ে মন্ত্রী পর্যায়েও মিটিং হচ্ছে। আমরা চেষ্টা করছি সীমান্তে নন লিথ্যাল অস্ত্র ব্যবহার করার।’

নির্বাচন উপলক্ষে অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার বন্ধের বিষয়ে তিনি বলেন, এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব গ্রহণ করেছে। তারা প্রশাসনিক পর্যায়ে কিছু পরিবর্তনের কথা বলেছে। নিরাপত্তা বাহিনী সব সময়ই অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের কাজে রয়েছে। যাদের কাছে অস্ত্র রয়েছে, তাদের চিহ্নিত করা হচ্ছে।

সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণব কুমার ভার্মা। আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক রাষ্ট্রদূত সোহরাব হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য হারুন অর রশিদ, মুক্তিযুদ্ধ গবেষক সাজ্জাদ আলী জহির, এশিয়াটিক সোসাইটির সভাপতি বজলুর রহমানসহ অন্যরা।


ইউনেস্কোর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্বীকৃতি পেল ঢাকার রিকশা

ঢাকার রিকশা ও রিকশা চিত্র। ছবি:সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ইউনেস্কোর অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে ঢাকার রিকশা ও রিকশাচিত্র। বুধবার আফ্রিকার দেশ বতসোয়ানার কাসানে বিমূর্ত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণবিষয়ক কনভেনশনের চলমান ১৮তম আন্তরাষ্ট্রীয় পরিষদের সভায় এ স্বীকৃতি দেওয়া হয়।

জামদানি, শীতল পাটি, বাউল গান ও মঙ্গল শোভাযাত্রার স্বীকৃতির পর বাংলাদেশের পঞ্চম বিমূর্ত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে ঢাকার রিকশা ও রিকশা চিত্র এ স্বীকৃতি লাভ করেছে। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এর ফলে গত আট দশক ধরে চলমান রিকশা চিত্রকর্ম একটি বৈশ্বিক ঐতিহ্য হিসেবে ইউনেস্কোর স্বীকৃতি লাভ করল।

গত ছয় বছর ধরে এ চিত্রকর্মের নিবন্ধন ও স্বীকৃতির প্রক্রিয়া চলমান থাকলেও প্রথম চেষ্টায় তা ব্যর্থ হয়। গত বছর (২০২২) আবার নথিটি জমাদানের সুযোগ দেওয়া হয়। এরপর সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে ও প্যারিসের বাংলাদেশ দূতাবাসের সহযোগিতায় সম্পূর্ণ নথিটি নতুনভাবে প্রস্তুত করা হয়।

বাংলাদেশের রিকশা চিত্র ইউনেস্কোর বিমূর্ত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ায় সভায় উপস্থিত আন্তরাষ্ট্রীয় পরিষদের সদস্য, মন্ত্রী ও রাষ্ট্রদূতসহ শতাধিক দেশের প্রতিনিধি বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে অভিনন্দন জানান। পাশাপাশি এ চিত্রকর্মের বৈচিত্র্যপূর্ণ বহিঃপ্রকাশে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।

এ অর্জনের মাধ্যমে ইউনেস্কোতে বাংলাদেশের ধারাবাহিক সাফল্যের মুকুটে আরও একটি পালক যুক্ত হলো। এ স্বীকৃতিকে বাংলাদেশের জন্য বিরল সম্মান হিসেবে অভিহিত করেন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ ও সচিব খলিল আহমদ। প্রসঙ্গত, গত ১৫ নভেম্বর ৪২তম সাধারণ পরিষদের সভায় বাংলাদেশ ইউনেস্কো নির্বাহী পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হয়। ইউনেস্কোতে বাংলাদেশের এ ধারাবাহিক সাফল্যকে সংশ্লিষ্ট মহল বাংলাদেশের কূটনৈতিক অগ্রযাত্রা হিসেবে অভিহিত করেন।


বিদেশিদের চাপ দেওয়ার অধিকার নেই: ইসি আলমগীর

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
জামালপুর প্রতিনিধি

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিদেশিদের কোনো চাপ নেই এবং অধিকারও নেই বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বুধবার জামালপুর জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও নির্বাচন-সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেন ইসি আলমগীর। এরপর সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘আমরা স্বাধীন সার্বভৌম দেশ। নির্বাচন কমিশন একটি স্বাধীন প্রতিষ্ঠান। তারা শুধু জানতে চায় কী ধরনের প্রস্তুতি আমরা নিয়েছি। নির্বাচন যথাসময়েই হবে। কোনো শঙ্কা নেই।’

নির্বাচনে একটি বড় দল অংশগ্রহণ করছে না এবং তাদের চলমান কর্মসূচিতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কেমন থাকবে- এমন প্রশ্নের জবাবে ইসি আলমগীর বলেন, ‘কোনো দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলে এটা তাদের দলীয় সিদ্ধান্ত। এখানে কমিশনের কিছু করার নেই এবং নির্বাচনকে যারা বাধাগ্রস্ত করবে তাদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। আগামী নির্বাচন যাতে অবাধ ও সুষ্ঠু হয় এ বিষয়ে কমিশনের কিছু দিকনির্দেশনা আছে সে বিষয়েই স্থানীয় প্রশাসনকে আমরা অবগত করতে এসেছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচনে যদি ভোটারদের উপস্থিতি ও সঠিকভাবে ভোট প্রদান করতে পারে তাহলেই দেশে-বিদেশে গ্রহণযোগ্যতা পাবে। নির্বাচন পরিচালনার স্বার্থে স্থানীয় প্রশাসন যা যা প্রয়োজন তারা সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে।’

প্রার্থীদের আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে বলেন, এই নির্বাচনে অনেক নতুন প্রার্থী যুক্ত হয়েছেন। তারা বিগত দিনে রাজনীতি বা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন নাই, তাই তাদের নির্বাচনী আচরণ বিধি সম্পর্কে ধারণা কম। আচরণ বিধি ভঙ্গ করে অনেক প্রার্থী দ্বিতীয়বার ভঙ্গ করবেন না এ শর্তে ক্ষমা চেয়েছেন।


ঢাকায় প্রথম দিনে ৪ বাসে আগুন

ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর ১০ম বারের ডাকা অবরোধের প্রথম দিন বুধবার রাজধানীর খিলগাঁও এবং যাত্রবাড়ীতে চারটি বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

সকাল সাড়ে ৮টার দিকে খিলগাঁও তালতলায় অগ্রণী ব্যাংকের স্টাফ বাসে (বিআরটিসি) ও বিকেলে পৌনে ৫টার দিকে যাত্রাবাড়ীর মানিকনগরে একুশে পরিবহনের তিনটি বাসে আগুন দেওয়া হয়।

ফায়ার সার্ভিসের গণমাধ্যম কর্মকর্তা মো. শাজাহান শিকদার দৈনিক বাংলাকে বলেন,সকাল সাড়ে ৮টার দিকে খিলগাঁওয়ের তালতলায় অগ্রণী ব্যাংকের বিআরটিসি পরিবহনের বাসটিতে আগুন দেওয়ার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। খবর পেয়ে খিলগাঁও ফায়ার স্টেশনের দুটি ইউনিট পুলিশ প্রটেকশনে ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখে স্থানীয়ভাবে আগুন নেভানো হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বিকাল ৪টা ৪৮ মিনিটে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর মানিকনগর চৌরাস্তায় একুশে এক্সপ্রেস পরিবহনের তিনটি বাসে দুর্বৃত্তদের আগুন দেওয়ার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। খবর পেয়ে সিদ্দিক বাজার ও খিলগাঁও ফায়ার স্টেশনের তিনটি ইউনিট গিয়ে আগুন নেভায়। আগুনে দুটি বাস সম্পূর্ণ ও একটি বাসের আংশিক পুড়ে যায়। তবে এ দুটি ঘটনায় হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল বাতিল ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ নেতা-কর্মীদের মুক্তির দাবিতে বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর ডাকা অবরোধ গতকাল সকাল ৬টা থেকে শুরু হয়েছে, চলবে শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত। বিরতি দিয়ে সারা দেশে চলা অবরোধ-হরতালে প্রায় প্রতিদিনই নানা জায়গায় যানবাহনসহ স্থাপনায়ও আগুনের খবর পাওয়া যাচ্ছে। এতে দগ্ধ হচ্ছেন অনেকে।


নির্বাচনের পর শ্রম আইন সংশোধন করা হবে: আইনমন্ত্রী

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

জাতীয় সংসদে পাস হওয়া ‘বাংলাদেশ শ্রম (সংশোধন) বিল-২০২৩’ আসন্ন নির্বাচনের পর নতুন সংসদে তোলা হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেছেন, একটি ভুল থাকায় বিলটি নতুন সংসদে উপস্থাপন করা হবে এবং তা সংশোধন করা হবে।

বুধবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আইনমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

সংসদ সচিবালয় সূত্র জানায়, বিলটিতে সই না করে গত ২০ নভেম্বর তা সংসদে ফেরত পাঠান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ২২ নভেম্বর সংসদ সচিবালয় এ-সংক্রান্ত বার্তাসহ বুলেটিন প্রকাশ করে।

এ বিষয়ে আইনমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, শ্রম আইনটি যখন সংসদে পাস হয়, তখন একটি ত্রুটি ছিল। এটা টাইপিংয়ের ভুল। এক জায়গায় শ্রমিকদের সঙ্গে যদি মালিকেরা বেআইনি আচরণ করেন, তাহলে তাদের জন্য একটি সাজার কথা আইনের মধ্যে আছে। সেটি একটু ‘মিস প্লেস’ হয়ে গিয়েছিল। যেটা ২৯৪-এর ১ উপধারা হওয়ার কথা ছিল, সেটি সে রকম না হয়ে অন্য রকম হয়েছে।

আইনমন্ত্রী এ বিষয়ে আরও বলেন, অনেকগুলো বিল খুব তাড়াতাড়ি পাস হয়েছিল গত সংসদ অধিবেশনে। সে কারণে এই ভুলটি পরে ধরা পড়েছে। যেহেতু পরিলক্ষিত হয়েছে যে শ্রমিকদের অধিকার ক্ষুণ্ন হবে, সে জন্য রাষ্ট্রপতি আইনানুগভাবে এটিকে আবার জাতীয় সংসদে পাঠিয়ে দিয়েছেন।

মন্ত্রী বলেন, এখন যেহেতু এটি সংসদে পাস হয়ে গেছে। এই জায়গাটুকু সংশোধনের জন্য আবারও সংসদে যেতে হবে। এখন তফসিল ঘোষণা হয়ে গেছে এবং বর্তমান সংসদের আর অধিবেশন হবে না; নির্বাচনের পর নতুন যে সংসদ বসবে, সেই সংসদে এটি উপস্থাপন করা হবে এবং এই ভুল সংশোধন করা হবে ও শ্রমিকদের অধিকারের সুরক্ষা দেওয়া হবে।

চলতি একাদশ সংসদের শেষ অধিবেশনে গত ২৯ অক্টোবর বিলটি জাতীয় সংসদে তোলা হয়। তা পরীক্ষা করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য তিন দিন সময় দিয়ে তা শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। ২ নভেম্বর বিলটি সংসদে পাস হয়। বিলে সম্মতির জন্য ৮ নভেম্বর তা রাষ্ট্রপতির কাছে পেশ করা হয়।


শেখ হাসিনা বিশ্বের ৪৬তম ক্ষমতাধর নারী

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

মার্কিন প্রভাবশালী সাময়িকী ফোর্বসের চলতি বছর বিশ্বের ১০০ ক্ষমতাধর নারীর তালিকায় ৪৬তম স্থানে রয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গত বছর এই তালিকায় তিনি ৪২তম অবস্থানে ছিলেন। এবারের তালিকায় ছয়টি শ্রেণির মধ্যে রাজনীতি ও নীতি-শ্রেণিতে নাম রয়েছে শেখ হাসিনার।

ফোর্বসের এই তালিকায় প্রথম স্থানে রয়েছেন ইইউ কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেয়েন, দ্বিতীয় স্থানে ইউরোপিয়ান সেন্ট্রাল ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন লেগার্ড, তৃতীয় স্থানে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস এবং চতুর্থ স্থানে রয়েছেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি।

এ ছাড়া পঞ্চম স্থানে রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সংগীতশিল্পী-গীতিকার টেইলর সুইফট। এর মাধ্যমে এই তালিকার শুরু থেকে প্রথমবারের মতো কোনো বিনোদন তারকা শীর্ষ পাঁচে জায়গা করে নিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্পর্কে আমেরিকান বিজনেস ম্যাগাজিনে বলা হয়েছে, ‘শেখ হাসিনা ওয়াজেদ বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদি নারী সরকারপ্রধান’।

ফোর্বস বলছে, তিনি বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি সময় ধরে দায়িত্ব পালন করা প্রধানমন্ত্রী, বর্তমানে তিনি চতুর্থ মেয়াদে দায়িত্ব পালন করছেন।

বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বিরোধী দলগুলোর পদত্যাগের আহ্বানের কথাও ম্যাগাজিনে তুলে ধরা হয়েছে।

ম্যাগাজিনে লেখা হয়েছে, বিরোধী দলের পক্ষ থেকে পদত্যাগের আহ্বান জানানো সত্ত্বেও ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে শেখ হাসিনা পঞ্চম মেয়াদে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

ভারতের অর্থ ও করপোরেটবিষয়ক মন্ত্রী নির্মলা সীতারামনসহ (৩২তম) দেশটির চারজন নারীর নাম সবচেয়ে ক্ষমতাশালী নারীর তালিকায় রয়েছে। তালিকার অন্য তিনজন হলেন- এইচসিএল করপোরেশনের সিইও রোশনি নাদার মালহোত্রা (৬০তম); স্টিল অথরিটি অব ইন্ডিয়ার চেয়ারপারসন সোমা মণ্ডল (৭০তম) এবং বায়োকনের প্রতিষ্ঠাতা, চেয়ার ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক কিরণ মজুমদার-শ (৭৬তম)।


ঢাকার মানিকনগরে তিনটি বাসে আগুন

মানিকনগরে বাসে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনছে ফায়ার সার্ভিস। ছবি: ফায়ার সার্ভিস
আপডেটেড ৬ ডিসেম্বর, ২০২৩ ১৮:৩৮
নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকার সায়েদাবাদের পাশে মানিকনগর চৌরাস্তায় একুশে পরিবহনের তিনটি বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এতে দুটি বাস বাস সম্পূর্ণ ও একটি আংশিক পুড়ে গেছে বলে জানা যায়। তবে কেউ হতাহত হননি।

আজ বুধবার বিকেল ৫টার দিকে আগুন লাগার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে তিনটি ইউনিট পাঠায় ফায়ার সার্ভিস।

ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা মো. আনোয়ারুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, বিকেল ৫টার পর পর রাজধানীর মানিকনগর এলাকায় থেমে থাকা একুশে এক্সপ্রেস পরিবহনের তিনটি বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এ সময় বাস তিনটিতে কেউ ছিলেন না। আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিস কাজ করছে।

এর আগে সকাল সাড়ে আটটার দিকে খিলগাঁওয়ের তালতলায় অগ্রণী ব্যাংকের একটি স্টাফ বাসে আগুন দেওয়া হয় বলে ফায়ার সার্ভিস জানায়।

এদিকে আজ বুধবার সারাদেশে পালিত হচ্ছে বিএনপি ও সমমনা দলের দশম দফায় ডাকা প্রথম দিনের অবরোধ কর্মসূচি। যা শেষ হবে আগামীকাল শুক্রবার সকাল ৬টায়। দশম দফার এই অবরোধ কর্মসূচির প্রথম দিনেই নগরীতে এই চারটি বাসে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে।

প্রসঙ্গত, গত ২৮ অক্টোবর থেকে ৬ ডিসেম্বর সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৫৬টি অগ্নিসংযোগের ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছে। এর মধ্যে অবরোধ ও হরতাল চলাকালে ২৫০টি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এসব ঘটনায় ১৫৫টি বাস, ৪৩টি ট্রাক, ২১টি কাভার্ডভ্যান, ৮টি মোটরসাইকেল ও ২৩টি অন্যান্য যানবাহন পোড়ানো হয়। ১৫টি স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং একটি অ্যাম্বুলেন্স ভাঙচুর করা হয়েছে বলে ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে।


দেশে ফিরলেন লিবিয়ায় আটক ১৪৫ বাংলাদেশি

ছবি: সংগৃহিত।
আপডেটেড ৬ ডিসেম্বর, ২০২৩ ১৭:১৪
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

লিবিয়ার ত্রিপোলির বেনগাজী ডিটেনশন সেন্টার থেকে মুক্তি পেয়ে ১৪৫ জন দেশে ফিরেছেন।

আজ বুধবার লিবিয়ার বেনগাজী থেকে ত্রিপোলির বাংলাদেশ দূতাবাস ও আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় তাদের দেশে ফিরিয়ে আনা হয়।

এসব বাংলাদেশি নাগরিক হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের পর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আইওএম কর্মকর্তারা তাদের বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা জানান। এ সময় আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার পক্ষ থেকে তাদের প্রত্যেককে পকেটমানি হিসাবে ৬ হাজার ৫০০ টাকা এবং কিছু খাদ্যসামগ্রী উপহার দেওয়া হয়।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ দূতাবাস, ত্রিপোলির প্রচেষ্টা এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার আর্থিক সহযোগিতায় লিবিয়ায় আটকে পড়া বাংলাদেশিদের দেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। এরই ধারাবাহিকতায় খুব শিগগিরই অনিয়মিত বাংলাদেশি নাগরিককে লিবিয়া থেকে অতিসত্বর বাংলাদেশে প্রত্যাবাসন করা হবে।

এর আগে ত্রিপোলির আইনজেরা ডিটেনশন সেন্টারে আটক ২৮ নভেম্বর ১৪৩ জন ও ৩০ নভেম্বর ১১০ জনকে বাংলাদেশে ফেরত আনা হয়। এ নিয়ে সর্বশেষ তিনটি চাটার্ড ফ্লাইটে সর্বমোট ৩৯৮ জনকে দেশে ফেরত আনা হয়েছে।


banner close