বৃহস্পতিবার, ৩০ মে ২০২৪

উসকানিমূলক বক্তব্য না দেয়ার শর্তে ‘শিশুবক্তা’ রফিকুলের জামিন

শিশুবক্তা’ রফিকুল ইসলাম মাদানি। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড
২৯ মার্চ, ২০২৩ ১৫:৩৯
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত : ২৯ মার্চ, ২০২৩ ১২:৪৩

ওয়াজ মাহফিলে রাষ্ট্রবিরোধী ও উসকানিমূলক বক্তব্য না দেয়ার শর্তে ‘শিশুবক্তা’ রফিকুল ইসলাম মাদানীকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। বুধবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে মাদানীর পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট আশরাফ আলী মোল্লা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শাহীন আহমেদ খান।

জামিনের বিষয়টি নিশ্চিত করে তার আইনজীবী আশরাফ আলী মোল্লা দৈনিক বাংলাকে বলেন, কিছু শর্ত দিয়ে আদালত তাকে জামিন দিয়েছেন। শর্তের মধ্যে রয়েছে, কোনো ওয়াজ মাহফিলে সমাজবিরোধী, প্রচলিত আইনবিরোধী কোনো উক্তি বা বক্তব্য দেয়া যাবে না- এমন লিখিত নিয়ে চারটি থানার মামলায় তাকে জামিন দিয়েছেন। এখন তার মুক্তিতে আপাতত আর কোনো বাধা নেই।

জামিন চেয়ে কবে আবেদন করেছিলেন জানতে চাইলে রফিকুল ইসলামের আইনজীবী বলেন, গত বছর জামিন আবেদন করেছিলাম। এরপর দীর্ঘ সময় রাষ্ট্রপক্ষ থেকে সময় নেয়ায় শুনানিতে বিলম্ব হয়েছে। আজকে শুনানি শেষে আদালত জামিন মঞ্জুর করেছেন।

তবে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শাহীন আহমেদ খান দৈনিক বাংলাকে বলেন, আদালত তাকে জামিন দিয়েছেন। তবে এ জামিন স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করা হবে।

ঢাকা ও গাজীপুর মিলিয়ে রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে চারটি মামলা হয়। এর মধ্যে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনেও একটি রয়েছে। এসব মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে দীর্ঘদিন ‍ধরে কারাভোগ করেন।

বিষয়:

‘বঙ্গবন্ধু মেরিন স্কলারশিপ’ চালু করতে চায় বাংলাদেশ: প্রধানমন্ত্রী

গণভবনে বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন আইএমও’র মহাসচিব আর্সেনিও অ্যান্তোনিও ডমিনগুয়েজ। ছবি: পিআইডি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক মেরিটাইম অর্গানাইজেশনের (আইএমও) মাধ্যমে ছোট দ্বীপ ও আফ্রিকান স্বল্পোন্নত দেশগুলোর (এলডিসি) জন্য বঙ্গবন্ধুর নামে সামুদ্রিক খাতে বৃত্তি চালু করতে চায়।’

আজ বৃহস্পতিবার গণভবনে আইএমও’র মহাসচিব আর্সেনিও অ্যান্তোনিও ডমিনগুয়েজ প্রধানমন্ত্রী সঙ্গে সৌজন্য করতে এলে তিনি বলেন, ‘আমরা আইএমও’র মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর নামে ১০টি ক্যাডেট প্রশিক্ষণ বৃত্তি চালু করতে চাই।’

বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেন প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার এম নজরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আইএমও মহাসচিব প্রস্তাবটি গ্রহণ করেছেন। বৃত্তি প্রাপ্তদের বাংলাদেশ মেরিন একাডেমিতে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।’

এসময় আইএমও মহাসচিব নারী মেরিনার বাড়ানোর জন্য ব্যবস্থা নেওয়ার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তার সরকার প্রথম নারী মেরিনারদের নিয়োগ দিয়েছে এবং তাদেরকে নাবিক হতে অনুপ্রাণিত করেছে।’

এক মাসের মধ্যে ছিনতাইকৃত বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর ক্রুদের মুক্ত করতে প্রচেষ্টা চালানোর জন্য আইএমও’র প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী।

সামুদ্রিক পথের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইএমওকে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের অর্থনীতির জন্য সমুদ্র পথ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বঙ্গোপসাগরের পার্শ্ববর্তী দেশগুলো একসঙ্গে সমুদ্র পথের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করছে। সমুদ্র পথের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অন্যান্য জায়গায় একই ধরনের উদ্যোগ নিন।’

বৈঠকে জলবায়ু পরিবর্তনের সমস্যাগুলোর পাশাপাশি জাহাজ নির্মাণ এবং এর রিসাইক্লিং শিল্প নিয়ে বিশেষভাবে আলোচনা করা হয়।

সরকারপ্রধান বলেন, ‘সরকার জাহাজ নির্মাণ এবং এর রিসাইক্লিং শিল্পে নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়িয়েছে। আমরা জাহাজ নির্মাণ এবং পুনর্ব্যবহারযোগ্য শিল্পে নিরাপত্তা ব্যবস্থা উন্নত করেছি এবং এটি উল্লেখযোগ্য। সরকারি ও বেসরকারি উভয় খাত জাহাজ নির্মাণে নিয়োজিত থাকায় বাংলাদেশ ইউরোপের দেশগুলোতে জাহাজ রপ্তানি করছে।’

বাংলাদেশ গত জুনে হংকং কনভেনশনে স্বাক্ষর করেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কনভেনশনে নির্ধারিত মানদ- অনুসরণ করতে হবে অন্যথায় ইউরোপ কোনো দেশের কাছে তাদের পুরোনো জাহাজ বিক্রি করবে না।’

প্রধানমন্ত্রী হংকং কনভেনশন অনুসরণ করে পরিবেশ রক্ষার জন্য জাহাজ নির্মাণ এবং পুনর্ব্যবহারে তার প্রচেষ্টা বাড়ানোর জন্য আইএমওর কাছে সহায়তা প্রদানের আহ্বান জানান।

জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে বাংলাদেশকে বন্যা, ঘূর্ণিঝড় ও খরার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।

সাম্প্রতিক ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারণে বাংলাদেশের সম্পদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বাংলাদেশ নিজস্ব অর্থায়নে জলবায়ু ট্রাস্ট ফান্ড গঠন করে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা করার চেষ্টা করছে।’

প্রধানমন্ত্রীর অ্যাম্বাসেডর-অ্যাট-লার্জ এম. জিয়াউদ্দিন এবং মুখ্য সচিব এম তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া প্রমুখ এসময় উপস্থিত ছিলেন।


ভিসা জটিলতা সমাধানের আশ্বাস দিল আইএমও

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে বৃহস্পতিবার প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন আইএমও’র মহাসচিব আর্সেনিও ডমিঙ্গুয়েজ। ছবি: পিআইডি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশি নাবিকদের ‘অন অ্যারাইভাল ভিসা’ জটিলতা সমাধানের ব্যাপারে বাংলাদেশকে আশ্বাস দিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অর্গানাইজেশন (আইএমও)।

আজ বৃহস্পতিবার নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এ আশ্বাস দেন আইএমওর মহাসচিব আর্সেনিও ডমিঙ্গুয়েজ।

দ্বিপাক্ষিক এ সাক্ষাতে মেরিটাইম খাতের নিরাপত্তা বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে বলে জানান নৌপ্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে আইএমও মহাসচিবের এটি প্রথম সফর যা দেশের মেরিটাইম খাতের জন্য একটি ভালো বার্তা।’

বাংলাদেশ সফরে দেশের সামুদ্রিক খাত নিয়ে আশাবাদ ও উৎসাহ প্রকাশ করেছেন আইএমও মহাসচিব। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের মেরিটাইম খাত অনেক দূর এগিয়ে যাবে বলে নৌপ্রতিমন্ত্রীকে জানিয়েছেন আইএমও মহাসচিব।

সম্প্রতি এমভি আব্দুল্লাহ জাহাজ মুক্ত করার বিষয়ে আইএমওর সর্বাত্মক সহযোগিতা এবং আইএমওর মাধ্যমে অন্যান্য দেশের সহযোগিতার জন্য প্রতিমন্ত্রী আইএমও মহাসচিবকে ধন্যবাদ জানান।

এমভি আব্দুল্লাহ জাহাজ মুক্ত করার ব্যাপারে বাংলাদেশের পদক্ষেপের বিষয়ে মহাসচিব প্রশংসা করেন। এ ছাড়া মেরিটাইম সেক্টরের সেফটি ও সিকিউরিটি, গ্রিন শিপবিল্ডিং, হংকং কনভেনশন অনুসরণ ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা হয়।

অন্যান্যের মধ্যে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তফা কামাল, যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার ও আইএমওতে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি সাইদা মুনা তাসনিম, নৌপরিবহন অধিপ্তরের মহাপরিচালক কমডোর এম মাকসুদ আলম এবং মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স কাউন্সিলর ও আইএমওতে বিকল্প স্থায়ী প্রতিনিধি ক্যাপ্টেন কাজী এবিএম শামীম উপস্থিত ছিলেন।


স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে আত্মসমর্পণ করলেন ৫০ জলদস্যু

পতেঙ্গা র‌্যাব-৭ এলিট হলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের কাছে বৃহস্পতিবার অস্ত্র জমা দিয়ে আত্মসমর্পণ করেন ৫০ জলদস্যু। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার উপকূলীয় অঞ্চলের ১২ টি বাহিনীর মোট ৫০ জন জলদস্যু বিপুল পরিমাণ দেশী ও বিদেশি অস্ত্রসহ আত্মসমর্পণ করছে। এদের মধ্যে ৪৯ জন পুরুষ এবং ১ জন মহিলা জলদস্যু রয়েছেন। এই ৫০ জন জলদস্যুর মধ্যে তিনজন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত জলদস্যু।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নগরের পতেঙ্গা র‌্যাব-৭ এর এলিট হলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের কাছে অস্ত্র জমা দিয়ে তারা আত্মসমর্পণ করেন।

র‌্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম) মো.শরীফ-উল-আলম জানান, শর্তহীনভাবে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার উপকূলীয় অঞ্চলের ১২টি বাহিনীর মোট ৫০ জন জলদস্যু আত্মসমর্পণ করেন।

তিনি আরও জানান, জলদস্যুরা ৩৫টি একনলা বন্দুক, ১৮টি এসবিবিএল, ১৭টি ওয়ান শুটার গান, ১টি দুইনলা বন্দুক, ১টি পিস্তল, ১টি রিভলভার, ৩টি বিদেশি পিস্তল, ১টি এসএমজি ও ২টি এয়ারগান সহ মোট ৯০টি অস্ত্র ও চারটি ওয়াকি-টকি জমা দিয়েছে। এ ছাড়াও গুলি ও কার্তুজ জমা দিয়েছে ২৮৩ রাউন্ড।

২০১৮ এবং ২০২০ সালে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের উপকূলীয় অঞ্চলের ৭৭ জন জলদস্যুর সফল আত্মসমর্পণ অন্যান্য জলদস্যুদের মাঝে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। বাঁশখালী, চকরিয়া, পেকুয়া, মহেশখালী ও কুতুবদিয়া অঞ্চলের জলদস্যুরা তাদের দস্যু জীবনের অবসান ঘটিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আশার আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করেছে।


‘নো হেলমেট-নো ফুয়েল, এমপি-মন্ত্রীর লোক হলেও ছাড় নয়’

ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে যাত্রীদের যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে বৃহস্পতিবার প্রস্তুতিমূলক সভায় বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘সিএনজি স্টেশনগুলো ঈদের ৭ দিন আগে থেকে এবং ৫ দিন পর পর্যন্ত সারাদিন খোলা থাকবে। এ সময় নো হেলমেট, নো ফুয়েল। মন্ত্রী এমপির লোক বলেও যেন কেউ পার না পায়।’

আজ বৃহস্পতিবার ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে সড়কপথে যাত্রীসাধারণের যাতায়াত নির্বিঘ্ন ও নিরাপদ করার লক্ষ্যে প্রস্তুতিমূলক সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘গাড়ির ফিটনেস ঠিক রাখতে হবে। লক্কড় ঝক্কর গাড়িতে রং দিয়ে লাভ নেই। ঈদ যাত্রায় অতিরিক্ত ভাড়া না নিতে পারে এই বিষয়ে পরিবহণ মালিকদের আহ্বান জানাই। মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারে সব সময় যানজট লেগে থাকে, জনস্বার্থে তা সমাধান করতে হবে। ঈদে পোশাক কারখানা ছুটি দিলে যানজটের সৃষ্টি হয়, এ বিষয়ে বিশেষভাবে নজর দিতে হবে।’

সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘রোজার ঈদের আগে তেমন কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি, তবে ঈদের পর অনেক দুর্ঘটনা ঘটেছে। ঈদ পরবর্তী নজরদারি কমানোর কারণে সড়কে দুর্ঘটনা বেড়ে যায়। হেলপার যেন ড্রাইভার না হয় এই খেয়াল রাখতে হবে। বিশেষ করে দূরের যাত্রায়।’

তিনি বলেন, ঈদের সময় ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনকে সড়কে কোনো খোঁড়াখুঁড়ি করা যাবে না। এবার জলোচ্ছ্বাসে বেশ কিছু রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঈদের সাত দিন আগে এসব সড়ক ঠিক করতে হবে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের সঙ্গে ঈদের কোনো সম্পর্ক নেই। সহায়ক শক্তি মাত্র। যাত্রী কল্যাণ সমিতির কোনো লাইসেন্স নেই। তারা যা দুর্ঘটনা হয় তার চেয়ে বেশি তিনগুণ তুলে ধরে। অফিসে অফিসে গিয়ে চাঁদা না পেলে তারা এসব কাজ করে।’


‘ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা দ্রুত পুনর্গঠনে কাজ করছে সরকার’

পটুয়াখালীর কলাপাড়া পৌর শহরের সরকারি মোজাহার উদ্দিন বিশ্বাস ডিগ্রি কলেজ মাঠে বৃহস্পতিবার ত্রাণ বিতরণের পর এলাকাবাসীর উদ্দেশ্যে বক্তব্যে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট, বাঁধ দ্রুত পুনর্গঠনে আওয়ামী লীগ সরকার কাজ করছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোয় দলীয় নেতাকর্মীদের ধন্যবাদ জানিয়ে তাদের কর্মসূচি অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান তিনি।

আজ বৃহস্পতিবার পটুয়াখালীর কলাপাড়া পৌর শহরের সরকারি মোজাহার উদ্দিন বিশ্বাস ডিগ্রি কলেজ মাঠে ত্রাণ বিতরণের পরে এলাকাবাসীর উদ্দেশ্যে দেওয়া বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি সাইক্লোন সেন্টার করেছি। সেখানে মানুষ আশ্রয় পেয়েছে। যারা গৃহহীন, তাদেরকে দুর্যোগ সহনীয় ঘর করে দিয়েছি। যে কারণে মানুষ অন্তত আশ্রয়ের জায়গা পেয়েছে। পশুপাখি আশ্রয়ের ব্যবস্থা পেয়েছে। আমরা চাই দুর্যোগ থেকে এই এলাকার মানুষ যেন মুক্তি পায়। আমরা জানি, এই এলাকা সবসময়ই দুর্যোগপ্রবণ। ইতিমধ্যে যে সমস্ত রাস্তাঘাট ভেঙে গেছে, সেগুলো মেরামত করার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি যে বাঁধগুলো ভেঙে গেছে, সেগুলোও মেরামতের কাজ ইতিমধ্যে আমরা শুরু করে দিয়েছি। যাতে বর্ষার আগেই আমরা বাঁধগুলো নির্মাণ করে জলোচ্ছ্বাস বা পানির হাত থেকে মানুষকে বাঁচাতে পারি।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আজকে ধারাবাহিকভাবে গণতন্ত্র আছে বলেই দুযোগ-দুর্বিপাকে মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারি। মানুষের আর্থসামাজিক উন্নতি হয়। দেশের আর্থসামাজিক অগ্রগতি আপনারা নিজেরাই দেখতে পাচ্ছেন। রাস্তাঘাট, স্কুল, কলেজ করে দিয়ে আপনাদের যোগাযোগের ব্যবস্থা, বিদ্যুতের ব্যবস্থা সব করে দিয়েছি।’

সরকারপ্রধান বলেন, ‘যাদের ঘরবাড়ি ভেঙে গেছে ইতিমধ্যে আমরা খোঁজ নিতে বসেছি। তা ছাড়া আমি আবার সবার সঙ্গে বসবো। যাতে যেখানে যেখানে যাদের বাড়িঘর ভেঙেছে, তাদের ঘরবাড়ি করে দেবো এইটুকু ভরসা আপনারা রাখবেন। জলোচ্ছ্বাসের কারণে অনেক পুকুরের পানি নোনতা হয়ে গেছে। অনেক জায়গায় মাছের ঘের ভেসে গেছে। আমাদের ভাগ্য ভালো যে, ধান কাটা শেষ হয়ে গিয়েছিলো। তারপরেও তরিতরকারি যা নষ্ট হয়েছে, কৃষক যাতে আবার সেগুলো বপন করতে পারে, সেজন্য বীজ, সার, যা যা লাগে সেগুলোর ব্যবস্থা ইনশাল্লাহ আমি করে দেবো। নতুন উদ্যমে আপনারা যাতে চাষ করতে পারেন। আমি চাই আমাদের এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি থাকবে না। আর সেই লক্ষ্য নিয়েই আমরা পদক্ষেপ নিই। আর সেই ব্যবস্থা আমরা করে দেবো। মানুষের জীবনের যে চাহিদা অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা তার ব্যবস্থা করার জন্য যা যা দরকার আওয়ামী লীগ সরকার তা করে যাচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিক করে দিয়েছি, সেখান থেকে বিনামূল্যে ওষুধ পাওয়া যাচ্ছে। ছেলে-মেয়েদের পড়াশোনার খরচ আর বিনা পয়সায় বই দিচ্ছি। মায়ের নামে আমরা বৃত্তির টাকা পাঠাই। যারা একেবারে হতদরিদ্র বিনা পয়সায় খাদ্য সাহায্য দিই। এখন দ্রব্যমূল্য বেড়েছে, যারা কিনতে পারে না তাদের জন্য পারিবারিক কার্ড করে দিয়েছি। অল্প টাকায় চাল, ডাল, তেল কিনে নিতে পারবে সেই ব্যবস্থাটাও আমরা করে দিয়েছি। দেশের মানুষ যেন না খেয়ে কষ্ট না পায়, সেটিই আমাদের লক্ষ্য। পাশাপাশি মানুষের সার্বিক উন্নতির জন্য কাজ করে যাচ্ছি।’

রাস্তাঘাটের উন্নয়নের জন্য সব জায়গায় খুব সহজেই যাওয়া যায় উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, ‘আজকে ঢাকা থেকে রওনা দিয়ে এই পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় পাঁচ-ছয় ঘণ্টার মধ্যে পৌঁছানো যায়। আগে কিন্তু আসা যেতো না। পাশাপাশি গ্রামে গঞ্জে রাস্তাঘাট করে দিয়েছি। এই দক্ষিণাঞ্চল সবচেয়ে অবহেলিত ছিল। এই অঞ্চলে আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন কর্মযজ্ঞের কথাও তুলে ধরেন তিনি।’

ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের সরকার ও আওয়ামী লীগ ক্ষতিপূরণ করবে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারে এসেছে বলেই এই অঞ্চলের উন্নয়ন হয়েছে। এর আগে অনেকেই ছিলো, কেউ দৃষ্টি দেয়নি। এই অঞ্চলের মানুষ প্রতিনিয়ত প্রকৃতির সাথে যুদ্ধ করে বেঁচে থাকে। প্রতিনিয়ত জীবনযুদ্ধে লিপ্ত হয়। আজকে অন্তত এটা বলতে পারি, এই প্রাকৃতিক দুর্যোগ আসবে কিন্তু সেটিকে মোকাবিলা করে মানুষের জীবনমান রক্ষা করা সেটিই আমাদের লক্ষ্য।’


ঘূর্ণিঝড়ের ধ্বংসযজ্ঞ দেখলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

হেলিকপ্টার থেকে পটুয়াখালী জেলার মঠবাড়িয়া ও পাথরঘাটা এলাকায় ঘূর্ণিঝড় রেমালের ধ্বংসযজ্ঞ প্রত্যক্ষ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা থেকে পটুয়াখালী যাওয়ার পথে হেলিকপ্টারটি যখন ধীর গতিতে মাটির অল্প ওপর দিয়ে চক্কর দিচ্ছিল, তখন ঘূর্ণিঝড় আক্রান্ত দুটি এলাকা প্রত্যক্ষ করেন তিনি। খবর ইউএনবির।

ঢাকা থেকে প্রায় দেড় ঘণ্টা যাত্রা শেষে প্রধানমন্ত্রীকে বহন করা হেলিকপ্টারটি দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়ার খেপুপাড়া সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন হেলিপ্যাডে অবতরণ করে।

সরকারি মোজাহার উদ্দিন বিশ্বাস সরকারি কলেজে ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ বিতরণ করার কথা রয়েছে। এরপর তিনি পটুয়াখালী-কুয়াকাটা সড়কের শহিদ শেখ কামাল সেতু পরিদর্শন করবেন।

পরে বিভাগীয় পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী।

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় দিনব্যাপী কর্মসূচি শেষে বিকাল ৩টায় ঢাকার উদ্দেশে রওনা হবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

ঘূর্ণিঝড় রেমালে অন্তত ১৩ জনের প্রাণহানি, ৩৫ হাজারের বেশি ঘরবাড়ি ধ্বংস এবং ১৯টি জেলার ৩৭ লাখের বেশি মানুষ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।


সেভ দ্য চিলড্রেন: ঘূর্ণিঝড় রেমালে ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় ৩৬ লাখ শিশু

উপকূলীয় এলাকায় কয়েকজন শিশু। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ৩০ মে, ২০২৪ ০০:০২
নিজস্ব প্রতিবেদক

ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে প্রবল বৃষ্টি ও জলোচ্ছ্বাস বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। সেভ দ্য চিলড্রেনের তথ্যানুযায়ী, হাজার হাজার শিশু এবং তাদের পরিবার বিভিন্নভাবে এই ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, এই ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় ৮৪ লাখ মানুষ, যার মধ্যে প্রায় ৩৬ লাখ শিশু। যাদের এই মুহূর্তে জরুরি সাহায্যের প্রয়োজন।

মঙ্গলবার সেভ দ্য চিলড্রেন থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

সেভ দ্য চিলড্রেন বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর সুমন সেনগুপ্ত বলেন, এই ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি আবারও প্রমাণ করে আবহাওয়ার দিক দিয়ে বাংলাদেশ কতটা ঝুঁকির মধ্যে আছে। গত মাসে শিশুরা যেখানে অত্যধিক গরমে কষ্ট পেয়েছে তেমনি এখন তাদের মোকাবিলা করতে হচ্ছে জলাবদ্ধতা এবং ঘূর্ণিঝড়ের ধ্বংসযজ্ঞকে। তাপপ্রবাহের কারণে কিছুদিন আগে তাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হয়েছিল, এখন সেগুলো আবারও বন্ধ হয়ে গেল জরুরি আশ্রয়কেন্দ্রের কারণে।

সুমন সেনগুপ্ত বলেন, বিশ্ব নেতাদের অবশ্যই জলবায়ু পরিবর্তনজনিত এ ধরনের বিপর্যয়ের মূল কারণ খুঁজে বের করে তা মোকাবিলার পদক্ষেপ নিতে হবে। আগামী সপ্তাহে জার্মানির বনে বিশ্বের সরকারসমূহ জাতিসংঘের একটি সম্মেলনে প্রথমবারের মতো শিশু এবং জলবায়ু বিষয়ে ‘বিশেষজ্ঞ সংলাপ’-এ অংশগ্রহণ করবে। সেখানে এই বিষয়ে গুরুত্বের সঙ্গে আলোচনা হবে এবং সবাই একে সঠিকভাবে মূল্যায়ন করবে বলে আমরা আশা করি।


তাপমাত্রা ৩ ডিগ্রি বাড়ার আভাস

আপডেটেড ৩০ মে, ২০২৪ ০০:০৩
নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘রেমালে’র পর হঠাৎই আবহাওয়া তপ্ত হয়ে উঠেছে। ভ্যাপসা গরম পড়ছে। এর আগে সারা দেশে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ ছিল। এরপর গত ২৬ মে রাতে রেমাল আঘাত হানার দিনে আকাশে মেঘ থাকলেও ছিল ভ্যাপসা গরমের অস্বস্তি। রোববার (২৬ মে) থেকে মঙ্গলবার (২৮ মে) পর্যন্ত ঝোড়ো বাতাস ও বৃষ্টির কারণে গরমের অনুভূতি তেমনটা না থকলেও গতকাল বুধবার থেকে আবার ভ্যাপসা গরমের অনুভূতি তৈরি হয়েছে। সারা দেশেই দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ৩ ডিগ্রি বেড়ে যাবে বলে আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, গরমের এই অনুভূতি থাকবে কিছুদিন। অন্তত বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ার আগ পর্যন্ত বজায় থাকবে এই পরিস্থিতি। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, দুদিন টানা বৃষ্টির কারণে বাতাসে ও মাটিতে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেড়েছে। আর এতে করে শরীরের ঘাম শুকাচ্ছে না, অস্বস্তি লাগছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান বলেন, ‘এখন এই সময়ে এমন ভ্যাপসা গরম থাকবে। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেড়ে গেছে, এতে অস্বস্তিও বাড়ছে। আকাশে মেঘ থাকলে গরমের অনুভূতি হচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এই সময়টাতে এমন ভ্যাপসা গরম থাকে। এরপর এবার মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ হতে পারে। তবে দেশের পশ্চিমাঞ্চলে বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে।’

গতকাল বুধবার সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তরের ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এমন তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়েছে, রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। আর তাপমাত্রার বিষয়ে বলা হয়েছে, সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতেও পারে। পূর্বাভাসে আরও দুই দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলেও জানানো হয়।

আজ বৃহস্পতিবার রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

আগামীকাল শুক্রবার রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।


রোহিঙ্গা ও স্থানীয়দের জন্য ৮২৩৫ কোটি টাকা অনুমোদন বিশ্বব্যাংকের

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা এবং স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে মৌলিক সেবা ও সুযোগ দেওয়ার জন্য বাংলাদেশকে সহায়তা দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। দুটি প্রকল্পের আওতায় ৭০ কোটি ডলারের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রতি ডলার ১১৭ টাকা ৬৫ পয়সা ধরে বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ৮ হাজার ২৩৫ কোটি ৫০ লাখ টাকা।

বুধবার বিশ্বব্যাংকের প্রধান কার্যালয় ওয়াশিংটন ডিসি থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিশ্বব্যাংকের নির্বাহী পরিচালকদের পর্ষদ বাংলাদেশে আশ্রিত বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী এবং তাদের আশ্রয়দাতা স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জন্য মৌলিক সেবা দিতে এ অর্থ অনুমোদন করে।

২০১৭ সাল থেকে সহিংসতার কবলে পড়ে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে। এটি বিশ্বের বৃহত্তম জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতির সংকটগুলোর মধ্যে একটি বলে ধরা হয়।

বাংলাদেশ এবং ভুটানে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদুলায়ে সেক বলেন ‘আমরা প্রায় এক মিলিয়ন রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সহায়তায় বাংলাদেশ সরকারের উদারতাকে বিশেষভাবে প্রশংসা করি। আমরা স্থানীয় আশ্রয়দাতা গোষ্ঠীর ওপর ব্যাপক চাপের বিষয়টিও উপলব্ধি করি। এই সংকট এরই মধ্যে ৭ বছর ধরে চলছে এবং তাদের স্বল্পমেয়াদি ও জরুরি চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা ও টেকসই সমাধান অত্যাবশ্যকীয় হয়ে পড়েছে। আমরা এই জটিল সংকট মোকাবিলায় এবং রোহিঙ্গা এবং তাদের আশ্রয়দাতা স্থানীয় জনগোষ্ঠীর কল্যাণে বাংলাদেশ সরকারকে সাহায্য করতে অঙ্গীকারবদ্ধ।’

সংকটের ৭ বছরে ৩৫ কোটি ডলারের ‘ইনকুলুসিভ সার্ভিসেস অ্যান্ড অপরচুনিটিজ ফর হোস্ট কমিউনিটি অ্যান্ড ডিসপ্লেসড রোহিঙ্গা পপুলেশন (আইএসও)’ প্রকল্প এবং ৩৫ কোটি ডলারের ‘হোস্ট অ্যান্ড রোহিঙ্গা এনহান্সমেন্ট অব লাইভস (হেল্প)’ প্রকল্প দুটি বাংলাদেশি আশ্রয়দাতা এবং বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে সহায়তা করবে। রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সহায়তায় বিশ্বব্যাংকের ‘আইডিএ-২০ উইন্ডো ফর হোস্ট কমিউনিটিজ অ্যান্ড রিফিউজিস’-এর আওতায় অনুদান হিসেবে এই অর্থায়ন করা হবে।

‘ইনকুলুসিভ সার্ভিসেস অ্যান্ড অপরচুনিটিজ ফর হোস্ট কমিউনিটি অ্যান্ড ডিসপ্লেসড রোহিঙ্গা পপুলেশন’ প্রকল্পটি রোহিঙ্গা এবং স্থানীয় জনগোষ্ঠীর অন্তত ৯ লাখ ৮০ হাজার মানুষের জীবিকা ও অপরিহার্য প্রাথমিক স্বাস্থ্য, পুষ্টি, পরিবার পরিকল্পনা এবং জেন্ডার সহিংসতা মোকাবিলা ও প্রতিরোধ সেবার জন্য বিনিয়োগ করবে। প্রকল্পটি ১২ বছরের কম বয়সি ৩ লাখ রোহিঙ্গা শিশুকে শিক্ষা দেওয়াসহ মানব পুঁজি উন্নয়নে বিনিয়োগ করবে।

‘আইএসও’ প্রকল্পের টাস্ক টিম লিডার এস আমের আহমেদ বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকার দীর্ঘদিন ধরে বাস্তুচ্যুতির যে সংকট মোকাবিলা করছে, সেটি আশ্রয়দাতা জনগোষ্ঠী হোক আর বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীই হোক, শেষ পর্যন্ত মানুষকে সহায়তার চ্যালেঞ্জ। আইএসও প্রকল্প অস্থায়ী কাজ, প্রশিক্ষণ, শিক্ষা, শিশু সুরক্ষা, প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা, পুষ্টি, পরিবার পরিকল্পনা এবং জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতা মোকাবিলা ও প্রতিরোধ সেবা প্রদানে বিনিয়োগ করতে, সুরক্ষা দিতে এবং মানব পুঁজি ব্যবহার করতে উভয় জনগোষ্ঠীর ঝুঁকিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে সাহায্য করবে।

‘হোস্ট অ্যান্ড রোহিঙ্গা এনহান্সমেন্ট অব লাইভস (হেল্প)’ প্রকল্প রোহিঙ্গা এবং আশ্রয়দাতা স্থানীয় জনগোষ্ঠীর অন্তত ৬ লাখ ৪৫ হাজার মানুষের মৌলিক সেবাসমূহ প্রাপ্তির ক্ষেত্রে উন্নতি ঘটাবে এবং তাদের সহিষ্ণুতা বাড়াবে। পানি, স্যানিটেশন ও হাইজিন, জলবায়ুসহিষ্ণু সড়ক, নবায়নযোগ্য জ্বালানি এবং বহুমুখী দুর্যোগ আশ্রয়কেন্দ্রের জরুরি বিনিয়োগ চাহিদা মেটাতে সাহায্য করবে, যা উৎপাদনশীল জীবিকার জন্য গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক ভিত্তি হিসেবে কাজ করবে। টেকসই অবকাঠামো গড়ে তোলা এবং দীর্ঘমেয়াদি দক্ষতা উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রকল্পটি সরকার এবং জনগণ উভয় পর্যায়ে পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য দক্ষতা তৈরিতেও গুরুত্ব দেবে।

‘হেল্প’ প্রকল্পের বিশ্বব্যাংকের টাস্ক টিম লিডার স্বর্ণা কাজী বলেন ‘দুর্যোগ এবং জলবায়ু সহিষ্ণুতা এখন আরও গুরুত্বপূর্ণ, কেননা এই সংকট দীর্ঘায়িত হয়েছে। রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী খুব ঘনবসতিপূর্ণ জায়গায় বসবাস করে এবং তারা সামান্য মৌলিক সেবা পেয়ে থাকে। তাদের আশ্রয়দাতা জনগোষ্ঠীও চাপের মধ্যে রয়েছে। তাদের সীমিত সম্পদের ওপর বাড়তি চাপ অব্যাহত রয়েছে। হোস্ট অ্যান্ড রোহিঙ্গা এনহান্সমেন্ট অব লাইভস (হেল্প) প্রকল্পটি অত্যাবশ্যকীয় অবকাঠামোর সহিষ্ণুতা জোরদারে বিনিয়োগ করবে এবং এগুলোকে মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদে রক্ষণাবেক্ষণ করতে ও টেকসই রাখতে কাজ করবে।’

বাংলাদেশে থাকা বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের প্রায় ৭০ শতাংশ নারী ও শিশু এবং তাদের অর্ধেকের বয়স ১৫ বছরের নিচে। দুটি প্রকল্পই নারী, শিশু এবং অন্যান্য ঝুঁকিপূর্ণ গোষ্ঠীর ওপর সংকটের ভিন্ন ধরনের প্রভাবকে বিবেচনায় রেখেছে। জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতা, নিরাপদ ব্যবস্থাপনা, জেন্ডার-স্পর্শকাতর ও জলবায়ু সহিষ্ণু স্যানিটেশন ও হাইজিন সুবিধা, নিরাপত্তার জন্য সৌর বিদ্যুতের সড়ক বাতি এবং কমিউনিটিভিত্তিক দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার ওপর নারীদের জন্য প্রশিক্ষণসহ নারী ও শিশুদের বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে প্রকল্প দুটিতে সুনির্দিষ্ট কার্যক্রম রয়েছে।

এই সংকট শুরু হওয়ার পর বিশ্বব্যাংকের ৫৯ কোটি ডলার অনুদান সহায়তা ও সেইসব প্রকল্প থেকে পাওয়া অভিজ্ঞতা এবং বিশ্বের অন্যান্য জায়গায় জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতির সংকট থেকে বিভিন্ন অভিজ্ঞতা প্রকল্প দুটি কাজে লাগিয়েছে।

বিশ্বব্যাংক এরই মধ্যে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী এবং তাদের আশ্রয়দাতা জনগোষ্ঠীকে দুর্যোগ মোকাবিলার প্রস্তুতি, মৌলিক অবকাঠামো, সামাজিক সুরক্ষা, সহযোগিতামূলক বন ব্যবস্থাপনা এবং আশ্রয়দাতা জনগোষ্ঠীর জন্য আয়বর্ধক সুবিধার জন্য সহায়তা দিয়েছে।

স্বাধীনতার পর প্রথম দিকে বাংলাদেশকে সহায়তাকারী উন্নয়ন সহযোগীদের মধ্যে বিশ্বব্যাংক অন্যতম। তখন থেকে এ পর্যন্ত বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে ৪০ বিলিয়ন ডলারের বেশি অনুদান ও সুদমুক্ত ঋণ দিয়েছে।


কর্মীরা ৩১ মে পর্যন্ত মালয়েশিয়ায় যেতে পারবেন: মালয়েশিয়ান হাইকমিশনার

বাংলাদেশে নিযুক্ত মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার হাজনাহ মো. হাশিম। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি শ্রমিকদের অবদানের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির হাইকমিশনার হাজনাহ মো. হাশিম। তিনি বলেছেন, ‘বাংলাদেশি শ্রমিকদের কল্যাণ নিশ্চিত করতে মালয়েশিয়া সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

হাইকমিশনার অবশ্য স্বীকার করেছেন, মালয়েশিয়ায় জনশক্তি রপ্তানির ক্ষেত্রে সিন্ডিকেট থাকতে পারে, যা বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়া উভয় সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে।

বুধবার ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশের (ডিক্যাব) সদস্যদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। সূত্র: ইউএনবি

হাইকমিশনার বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে কর্মীরা আগামী ৩১ মে পর্যন্ত মালয়েশিয়ায় যেতে পারবেন। এটা আমাদের সরকার ঠিক করেছে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে এটি ঘোষণা করা হয়েছে।’

হাইকমিশনার বাংলাদেশী কর্মীদের কম খরচে বিশ্বমানের স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা ও পর্যটন সুবিধা দেয়ার বিষয়ে তার দেশের প্রচেষ্টার কথা তুলে ধরেন।

দুই দেশের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি নিয়েও কথা বলেন হাইকমিশনার হাজনাহ মো. হাশিম। তিনি বলেন, ‘আমি আত্মবিশ্বাসী যে এটি হবে।’

ডিক্যাব সভাপতি নুরুল ইসলাম হাসিব অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন। আলোচনা সভা আয়োজনের জন্য হাইকমিশনকে ধন্যবাদ জানান তিনি।


দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প অনুভূত

আপডেটেড ২৯ মে, ২০২৪ ১৯:৩৮
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। আজ বুধবার সন্ধ্যা ৭টা ১৯ মিনিটরে দিকে কম্পনটি অনুভূব হয়। জানা গেছে, এর উৎপত্তিস্থল ভারত-মিয়ানমার সীমান্ত। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৫.৪।

ভূমিকম্পের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান।

গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, ঢাকা, চট্রগ্রাম ও সিলেট অঞ্চলে মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি- ভূমিকম্পটি ৫.৪ মাত্রার ছিল। এর উৎপত্তিস্থল ঢাকা থেকে ৪৩৬ কি.মি দূরে মিয়ানমারে।


দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে আকস্মিক বন্যার আশঙ্কা

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

ভারী বর্ষণের কারণে প্রধান প্রধান নদ-নদীগুলোর পানি বেড়ে যাওয়ায় দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের কিছু অংশে আকস্মিক বন্যার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র (এফএফডব্লিউসি)।

বুধবার (২৯ মে) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সুরমা, কুশিয়ারা, মনু, সারিগোয়াইন নদীর তীরবর্তী এলাকায় অস্থায়ীভাবে বন্যা হতে পারে বলে এক বুলেটিনে জানিয়েছে এফএফডব্লিউসি।।

দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রধান নদ-নদীগুলোর পানি আগামী ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত আশঙ্কাজনক হারে বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর ও বিদেশি আবহাওয়া সংশ্লিষ্ট সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টায় দেশের উত্তরাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও তার কাছাকাছি উজান অঞ্চলের বিভিন্ন জায়গায় মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।

যার ফলে উত্তরাঞ্চলের প্রধান নদ-নদীগুলোর পানি ধীরে ধীরে বাড়তে পারে এবং সময়ের ওপর নির্ভর করে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের পানি দ্রুত বাড়তে পারে।

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র ১১০টি নদীর পানির স্তর নির্ণয় স্টেশন পর্যবেক্ষণ করে দেখেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৫৩টি নদ-নদীর পানি বেড়ে গিয়েছে।

একদিকে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বেড়ে যাচ্ছে অন্যদিকে যমুনা ও পদ্মা নদীর পানি কমছে।

আগামী ৪৮ ঘণ্টায় পানির পরিমাণ বেড়ে গিয়ে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়া যমুনা নদীর পানির স্তরও ধীর গতিতে বাড়তে পারে।


ডিএসসিসি ৬ লাখ ৭০ হাজার শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ খাওয়াবে

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

৬ লাখ ৭০ হাজার শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়াবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। করপোরেশনের আওতাধীন এলাকার ১ হাজার ৮২৭টি কেন্দ্রের মাধ্যমে শিশুদের এই ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।

আজ বুধবার ডিএসসিসির প্রধান কার্যালয় নগর ভবনের মেয়র মোহাম্মদ হানিফ মিলনায়তনে ‘জাতীয় ভিটামিন “এ” প্লাস ক্যাম্পেইন-২০২৪’ উপলক্ষে আয়োজিত কেন্দ্রীয় অ্যাডভোকেসি এবং সাংবাদিক ওরিয়েন্টেশন সভায় এসব তথ্য জানানো হয়।

করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলে শামসুল কবিরের সভাপতিত্বে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলে শামসুল কবির বলেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতাধীন এলাকায় ১ হাজার ৮২৭টি কেন্দ্রের মাধ্যমে এবার ভিটামিন ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। ১৫০ জন সুপারভাইজারের তত্ত্বাবধানে ৩ হাজার ৬৫৪ জন স্বেচ্ছাসেবকের সহযোগিতায় সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত এ কর্মসূচি চলবে।

আগামী ১ জুন (শনিবার) ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী ১ লাখ ১০ হাজার শিশুকে একটি করে নীল রঙের (১,০০,০০০ আইইউ) এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী ৫ লাখ ৬০ হাজার শিশুকে একটি করে লাল রঙের (২,০০,০০০ আইইউ) ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।

ভারপ্রাপ্ত প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সেদিন নির্ধারিত কেন্দ্রে শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর জন্য নিয়ে যেতে পিতা-মাতা ও অভিভাবকদের অনুরোধ করেন।

সভায় জাতীয় পুষ্টি সেবার (এনএনএস) লাইন ডিরেক্টরের প্রতিনিধি, বিভিন্ন হাসপাতালের পরিচালকের প্রতিনিধি, করপোরেশনের স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা, গার্ল গাইডস, রোভার স্কাউট, রোটারি ক্লাব, আরবান প্রাইমারি হেলথ কেয়ার সার্ভিসেস ডেলিভারি প্রকল্প (ইউপিএইচসিএসডিপি), আবু মিয়া ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি, মা ও শিশু উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা ও এনজিও হেলথ সার্ভিস ডেলিভারি প্রোগ্রাম (এনএইচএসডিপি) এবং ইউনিসেফের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।


banner close