মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩

সাগরে উল্টে গেল স্পিডবোট, ৯৯৯-এ কল পেয়ে ১২ চীনা নাবিককে উদ্ধার

৯৯৯-এ কল পেয়ে ১২ চীনা নাবিককে উদ্ধার করে কোস্ট গার্ড। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড
২৯ মার্চ, ২০২৩ ১৫:১১
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত : ২৯ মার্চ, ২০২৩ ১৪:৪৬

বঙ্গোপসাগরে চট্টগ্রামের ভাটিয়ারী উপকূলে চীনা একটি মাদার ভেসেল থেকে স্পিডবোট নিয়ে সাগরে নামছিলেন ১২ চীনা নাবিক। তবে সাগরে নামার সময় লিফটের তার ছিঁড়ে ওপর থেকে পড়ে উল্টে যায় স্পিডবোটটি। পরে ৯৯৯-এ কল পেয়ে ওই নাবিকদের উদ্ধার করা হয়।

মঙ্গলবার বিকেলে বঙ্গোপসাগরে চট্টগ্রামের ভাটিয়ারী উপকূলের নিকটে এ ঘটনা ঘটে। ‘৯৯৯’ থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভাটিয়ারী উপকূলের নিকটে থাকা এনডিই-১৪ নামে একটি লাইটার জাহাজের নাবিক আলী আজগর ‘জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯’-এ মোবাইল ফোন করে জানান, চীনা পতাকাবাহী মাদার ভেসেল ‘ক্যাং হুয়ান-১’ থেকে মালামাল নামাচ্ছিলেন তারা। সে সময় মাদার ভেসেল থেকে ১২ চীনা নাবিক একটি স্পিডবোট নিয়ে সাগরে নামার সময় লিফটের তার ছিঁড়ে ওপর থেকে সাগরে পড়ে উল্টে যায়। এর মধ্যে দুয়েকজন নাবিক বেরিয়ে আসতে সক্ষম হলেও বাকি সবাই উল্টানো বোটের ভেতর আটকে ছিলেন। আশপাশের কিছু বোট এগিয়ে এলেও উল্টানো স্পিডবোটের ভেতর থেকে নাবিকদের উদ্ধার করতে সক্ষম হননি। এ অবস্থায় দ্রুত উদ্ধার সহায়তার অনুরোধ জানিয়ে ৯৯৯-এ কলা করা হয়।

‘৯৯৯’ কলটি পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোস্টগার্ড চট্টগ্রাম পূর্ব জোন নিয়ন্ত্রণ কক্ষে বিষয়টি জানিয়ে দ্রুত উদ্ধারের ব্যবস্থা নেয়ার জন্য জানায়। সংবাদ পেয়ে কোস্টগার্ডের একটি উদ্ধারকারী দল সঙ্গে সঙ্গেই উদ্ধারকারী নৌযানসহ ঘটনাস্থলে গিয়ে ১২ চীনা নাবিককে জীবিত উদ্ধার করে প্রাথমিক শুশ্রূষা শেষে নিরাপদে উপকূলে পৌঁছে দেয়।


২৮ উপ-পরিচালককে র‌্যাঙ্ক ব্যাজ পরালেন আনসার-ভিডিপির ডিজি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদ্য পদোন্নতিপ্রাপ্ত ২৮ কর্মকর্তাকে উপ-পরিচালকের র‌্যাঙ্ক ব্যাজ পরিয়ে দিয়েছেন বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল এ কে এম আমিনুল হক। গত রোববার ব্যাজ পরানো অনুষ্ঠান বাহিনীর সদর দপ্তরের অপস কনফারেন্স কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় বাহিনীর অতিরিক্তি মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খোন্দকার ফরিদ হাসান, উপমহাপরিচালক প্রশাসন কর্নেল মো. নাজিম উদ্দিন, উপমহাপরিচালক অপারেশন্স এ কে এম জিয়াউল আলম, বিভিন্ন রেঞ্জ থেকে আসা রেঞ্জ কমান্ডার, বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি একাডেমির ভারপ্রাপ্ত কমান্ড্যান্ট, পরিচালকরা সহ-সদর দপ্তরের অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

পদোন্নতিপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা ৩৬তম বিসিএস এর মাধ্যমে সহকারী পরিচালক পদে ২০১৮ সালে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীতে যোগদান করেন। ৫ বছর সন্তোষজনকভাবে কর্মজীবন অতিক্রম করায় গত ২১ সেপ্টেম্বর ২৮ কর্মকর্তাকে উপ-পরিচালক পদে পদোন্নতি প্রদান করা হয়।

রোববার অত্যন্ত আড়ম্বরভাবে বিভিন্ন ইউনিট থেকে কর্মকর্তাদের সদর দপ্তরে এনে র‌্যাঙ্ক ব্যাজ পরিয়ে দেয়া হয়। একই সঙ্গে বাহিনীর মহাপরিচালক তাদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান এবং তাদের সঙ্গে নিয়ে কেক কাটা হয়। বিজ্ঞপ্তি


বিএসটিআইয়ের অভিযানে মধুময় মিষ্টান্ন ভাণ্ডারকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ঢাকা মহানগরীর মোহাম্মদপুর, বছিলা ব্রিজ এলাকায় গতকাল সোমবার এপিবিএন-১১-এর সহযোগিতায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকালে মধুময় মিষ্টান্ন ভাণ্ডারকে বিএসটিআই আইন, ২০১৮ অনুসারে সিএম লাইসেন্স গ্রহণ ব্যতীত ফার্মেন্টেড মিল্কপণ্য বিক্রয়, বিতরণ ও বাজারজাত করার অপরাধে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

একই এলাকায় ইনাডা অ্যাকুয়া ড্রিংকিং ওয়াটার নামীয় প্রতিষ্ঠানে অভিযান পরিচালনা করে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানটি প্যাকেজড ড্রিংকিং ওয়াটার বাজারজাতের উদ্দেশ্যে বেশ কিছু নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর জার মজুত রেখেছে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের উপস্থিতিতে এসব জার ধ্বংস করা হয়।

আরলা ফুডস লি. বছিলা ডিপোতে বিএসটিআইয়ের অভিযান পরিচালনা করে পণ্যসামগ্রী যথাযথ প্রক্রিয়ায় সংরক্ষণ করতে দেখা যায়। প্রতিষ্ঠানটি অনুমোদিত পণ্য সঠিকভাবে সংরক্ষণের পাশাপাশি ওয়্যারহাউজের পরিবেশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখায় এবং বাজারজাতকরণের পূর্বেই প্রতিটি প্যাকেটের মান যাচাই করায় বিজ্ঞ আদালত প্রতিষ্ঠানটিকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

অপর দুটি প্রতিষ্ঠান রসমালাই সুইটস অ্যান্ড কনফেকশনারি এবং রাজভোগ ভিআইপি সুইটসকে লাইসেন্সের কপি শোরুমে সংরক্ষণ ও প্রদর্শনের জন্য বিজ্ঞ আদালত নির্দেশ প্রদান করেন।

মোবাইল কোর্ট বিএসটিআইয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নুসরাত আজমেরী হকের নেতৃত্বে পরিচালিত হয়। প্রসিকিউটর হিসেবে রিগ্যান বৈদ্য, ফিল্ড অফিসার (সিএম), বিএসটিআই, ঢাকা এবং সুবহানা নওশিন, পরিদর্শক (মেট্রোলজি), ডিএমআই, ঢাকা দায়িত্ব পালন করেন। বিজ্ঞপ্তি


প্রবাসী আয় বাড়লে কমবে অর্থনৈতিক সংকট: অর্থমন্ত্রী

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক চাপ রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় বাড়লে ধীরে ধীরে কেটে যাবে বলে মনে করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। ডলার সংকটকে দুশ্চিন্তার জায়গা উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, রেমিট্যান্স বাড়াতে কাঠামোগত সংস্কারের কথা ভাবছে সরকার। সোমবার রাজধানীর কাওরানবাজারের একটি অভিজাত হোটেলে ‘সরকারি আর্থিক ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্বব্যাংক যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

অর্থমন্ত্রী এ সময় জানতে চান, রেকর্ড পরিমাণ শ্রমিক প্রবাসে থাকার পরও কেন রেমিট্যান্স আসছে না? বলেন, কেন রেমিট্যান্স বাড়ছে না তার সুনির্দিষ্ট কারণ খুঁজে বের করতে হবে। আর এসবের সমাধানের পথও দ্রুত বের করার পরামর্শ দেন মুস্তফা কামাল। এ জন্য তিনি দেশের স্বনামধন্য অর্থনীতিবিদদের কাছেও পরামর্শ আহ্বান করেন।

অর্থনীতিবিদদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা রেমিট্যান্স বাড়াতে পরামর্শ দিলে আমরা তা সাদরে গ্রহণ করব। প্রবাসী আয় বাড়লে ডলার সংকট ও রিজার্ভের ওপর চাপসহ বহু সমস্যার সমাধান হবে।’

অর্থমন্ত্রী বলেন, বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে সরকারের সংশ্লিষ্টদের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে হবে।

তিনি বলেন, বর্তমানে বহু মানুষ দেশের বাইরে যাচ্ছেন। তরুণরা স্কলারশিপ নিয়ে উন্নত দেশে গিয়ে স্থায়ী হচ্ছেন। শ্রমিকদের বৈধপথে বিদেশ যাওয়ার পরিমাণ আগের চেয়ে বেড়েছে। তবে সেই তুলনায় দেশে রেমিট্যান্স আসছে না। ‘রেমিট্যান্সটা যদি বাড়ত, যেভাবে আগে আসছিল সেভাবে, তাহলে অর্থনৈতিক সমস্যার সমাধান হয়ে যেত,’ বলেন অর্থমন্ত্রী।

অনুষ্ঠানে বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ ও ভুটানের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদুলায়ে সেক সরকারি তহবিলের যথাযথ ব্যবহারের ওপর জোর দেন।

তিনি বলেন, সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা, সরকারি তহবিলের যথাযথ ব্যবহার ২০২৬ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে নিতে সহায়ক হবে। সরকারি তহবিল ব্যবস্থাপনা টেকসই করতে ৬টি খাত সংস্কারে মনোযোগ দেয়ার আহ্বান জানান তিনি। এ ছাড়া তহবিল ব্যবহারে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করার আহ্বান জানান বিশ্বব্যাংক কান্ট্রি প্রধান। একই সঙ্গে নতুন নতুন উদ্ভাবন ও প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়িয়ে প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা তৈরির পরামর্শ দেন তিনি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার এ সময় পেশাদারত্বের ওপর জোর দেন। বলেন, কার্যকর পাবলিক ফিন্যান্সিয়াল ম্যানেজমেন্টের জন্য এ খাতে পেশাদার জনবল তৈরি করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, একজন মানুষ সব কাজ করবে, এই ধারণা থেকে বের হতে হবে। যে যেই বিষয়ে ভালো জানেন, তাকে সে বিষয়ে পারদর্শী করে গড়ে তুলতে হবে।

দিনব্যাপী কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন অর্থমন্ত্রণালয়ের সচিব মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার। বিশেষ অতিথি ছিলেন সরকারের সাবেক পাঁচ অর্থসচিব জাকির আহমেদ খান, ড. মোহাম্মদ তারেক, ফজলে কবির, মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী ও আব্দুর রউফ তালুকদার।


ভিসা নিষেধাজ্ঞায় পড়াদের তথ্য প্রকাশ করবে না যুক্তরাষ্ট্র

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে এমন যে কারও ক্ষেত্রে ভিসা নিষেধাজ্ঞা নীতি প্রয়োগ করতে পারে যুক্তরাষ্ট্র। এর মধ্যে রয়েছে ভোট কারচুপি, ভোটারদের ভয় দেখানো, সহিংস আচরণের মতো ঘটনা। ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের মুখপাত্র ব্রায়ান শিলার এসব কথা বলেছেন। তবে ভিসা বিধিনিষেধের আওতায় থাকা বাংলাদেশিদের নাম বা সংখ্যা প্রকাশ করবে না যুক্তরাষ্ট্র।

তিনি বলেন, ‘জনগণকে তাদের সংগঠনের স্বাধীনতা এবং শান্তিপূর্ণ সমাবেশে বাধা দিতে সহিংসতার আশ্রয় নেয়া, পরিকল্পিতভাবে রাজনৈতিক দল, ভোটার, সুশীল সমাজ বা গণমাধ্যমকে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ বা তাদের মতামত প্রকাশ করতে বাধা দেয়াও এর অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।’

সাংবাদিকরাও ভিসা নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসতে পারেন কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে বিষয়টি খোলাসা করেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘কারও ওপর ভিসা বিধিনিষেধ প্রয়োগ করা হবে কি না তা নির্ভর করবে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্নকারী ব্যক্তিদের সঙ্গে সম্পৃক্ত প্রতিটি ঘটনার বিস্তৃত ও পুঙ্খানুপঙ্খু পর্যালোচনার ওপর। কাজটি করবে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর।’

তবে ভিসা বিধিনিষেধের আওতায় থাকা বাংলাদেশিদের নাম বা সংখ্যা প্রকাশ করবে না যুক্তরাষ্ট্র।

দূতাবাসের মুখপাত্র ব্রায়ান শিলার জানান, ‘যুক্তরাষ্ট্রের আইনে ভিসাসংক্রান্ত তথ্যগুলো গোপনীয়।’

ব্রায়ান শিলার বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র সরকার এই নীতি ঘোষণা করার পর থেকে ঘটনাগুলো খুব ভালোভাবে পর্যালোচনা করেছে। প্রমাণগুলো যত্ন সহকারে পর্যালোচনা করার পর আমরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, ক্ষমতাসীন দল ও বিরোধী রাজনীতিকদের ওপর ভিসা বিধিনিষেধ আরোপ করেছি।’

চলতি বছরের মে মাসে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যকে সমর্থন করতে অভিবাসন ও জাতীয়তা আইনের ধারা ২১২ (এ) (৩) (সি) (‘থ্রিসি’)-এর অধীনে নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করেন।

এই নীতির অধীনে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ন করার জন্য দায়ী বা সম্পৃক্ত বলে মনে করা যেকোনো বাংলাদেশির জন্য ভিসা প্রদান সীমিত করবে।

ভিসা নিষেধাজ্ঞার তালিকায় থাকা ব্যক্তি ও তাদের পরিবারের সদস্যরা যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের জন্য অযোগ্য বলে বিবেচিত হতে পারেন।

যুক্তরাষ্ট্র চলতি বছরের ৩ মে বাংলাদেশ সরকারকে এই সিদ্ধান্তের কথা জানায়। পরে গত ২২ সেপ্টেম্বর আইনটি প্রয়োগ শুরুর ঘোষণা দেয়।

ওইদিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার এক বিবৃতিতে বলেন, ‘শান্তিপূর্ণভাবে অবাধ ও নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের বাংলাদেশের লক্ষ্যকে সমর্থন করতেই এ পদক্ষেপ নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। পাশাপাশি যারা বিশ্বব্যাপী গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিতে চায়, তাদের সমর্থন করতে যুক্তরাষ্ট্রের অব্যাহত প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন এটি।

তিনি স্পষ্ট করেন, ‘এই তালিকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, ক্ষমতাসীন দল ও বিরোধী রাজনৈতিক দল রয়েছে।’

মিলার বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনকে সমর্থন করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যাতে শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন সম্পন্ন হয়।’

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের তথ্য অনুসারে, ভবিষ্যতে যারা বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ন করার জন্য দায়ী বা জড়িত থাকবে তারাও এই নীতির অধীনে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা পাওয়ার ক্ষেত্রে অযোগ্য বলে বিবেচিত হতে পারে।

মিলার বলেন, ‘এর মধ্যে বর্তমান ও সাবেক বাংলাদেশি কর্মকর্তা, বিরোধী ও ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের সদস্য এবং আইন প্রয়োগকারী, বিচার বিভাগ ও নিরাপত্তা পরিষেবার সদস্যরা অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন।’ ইউএনবি


দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার রোধে প্রবাসীদের সক্রিয় হওয়ার আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

দেশের বিরুদ্ধে ভুল তথ্য দিয়ে যারা অপপ্রচার করছে, তাদের প্রতিরোধে সক্রিয় ভূমিকা রাখতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় গত রোববার কুইন্সে সেন্টার ফর নন রেসিডেন্স বাংলাদেশিদের উদ্যোগে আয়োজিত ‘জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা এবং অনিবাসী বাংলাদেশিদের মাধ্যমে বাংলাদেশের ব্র্যান্ডিং’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। খবর বাসসের।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশকে বিশ্বের সঙ্গে সংযুক্ত করতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভূমিকার প্রশংসা করেন। এ সময় তিনি নিজ দেশের অর্জনগুলো বিশ্বের অন্য জাতি-সম্প্রদায়ের সামনে তুলে ধরার আহ্বান জানান।

ড. মোমেন বাংলাদেশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বাণিজ্য ও অভিন্ন মূল্যবোধ- উভয় ক্ষেত্রে সুদৃঢ় সম্পর্কের ওপর জোর দেন।

তিনি যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত প্রবাসীদের বাংলাদেশের সঙ্গে সংযুক্ত থাকতে এবং উভয় দেশের আর্থসামাজিক অগ্রগতিতে অবদান রাখতে অনুপ্রাণিত করেন।

ড. মোমেন জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে শীর্ষ অবদানকারী হিসেবে বাংলাদেশের ভূমিকা তুলে ধরে শান্তি ও নিরাপত্তার প্রতি বাংলাদেশের অঙ্গীকারের ওপর জোর দেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ১২ মিলিয়ন বাংলাদেশি প্রবাসীর অমূল্য অবদানের স্বীকৃতি দেন- যারা রেমিট্যান্স ও বিভিন্ন খাতে অবদানের মাধ্যমে তাদের স্বদেশকে সহায়তা করে আসছেন।

এ সময় ড. মোমেন ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় যখন জাতি নিপীড়ন, অবিচার এবং বৈষম্যের বিরুদ্ধে দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়েছিল এবং শেষ পর্যন্ত ত্রিশ লাখ মানুষের আত্মত্যাগের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জনে যে ইস্পাতকঠিন দৃঢ়তা দেখিয়েছে- তা তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশ একটি প্রাণবন্ত অর্থনীতিতে বিকশিত হয়েছে, যা রপ্তানি ও জিডিপিতে উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধির সাক্ষী।

এটি এখন বিশ্বব্যাপী ৩৫তম বৃহত্তম অর্থনীতি হিসেবে দাঁড়িয়েছে, উল্লেখযোগ্যভাবে দারিদ্র্য হ্রাস করেছে এবং বিভিন্ন সামাজিক সূচকে উন্নতি করেছে।

ড. মোমেন বলেন, ২০০১ থেকে ২০০৬ সময়কালে বিএনপি-জামায়াত শাসনামলে বাংলাদেশকে উগ্রবাদ, জিহাদি এবং সন্ত্রাসের দেশে পরিণত করা হয়েছিল। সুখবর হলো সেই দিন এখন শেষ হয়েছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী সারাবিশ্বের সঙ্গে বাংলাদেশের সুসম্পর্ক বৃদ্ধিতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভূমিকার প্রশংসা করে বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের সঙ্গে প্রবাসী বাংলাদেশিদের আরও বেশি সম্পৃক্ত হতে হবে।

ড. মোমেন বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোলমডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বের কথা উল্লেখ করে বলেন, শেখ হাসিনার কারণেই বাংলাদেশ আর্থসামাজিক বিভিন্ন সূচকে ঈর্ষণীয় অগ্রগতি অর্জন করেছে।

তিনি বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একটি উদীয়মান অর্থনীতিতে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশ এখন বিশ্বের ৩৫তম বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হয়েছে। দারিদ্র্য হ্রাসসহ আর্থসামাজিক বিভিন্ন সূচকে বাংলাদেশ ঈর্ষণীয় অগ্রগতি অর্জন করেছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ থেকে ১৯৯০ সালে আমাদের জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ছিল মাত্র ৩ দশমিক ২ শতাংশ, আর বর্তমানে আমাদের জিডিপির গড় প্রবৃদ্ধির হার ৬ দশমিক ৮ শতাংশ।

মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাঙালি জাতি সারাবিশ্বের কাছে সাহস, আত্মমর্যাদা ও আত্মত্যাগের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে উল্লেখ করে তিনি স্বাধীনতার পর দুর্ভিক্ষ ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিপর্যস্ত বাংলাদেশ থেকে আজকের বাংলাদেশে রূপান্তরের তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরে বলেন, সদ্যস্বাধীন বাংলাদেশকে পশ্চিমা বিশ্বের নেতারা তখন ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছিলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নির্মমভাবে হত্যার পর সামরিক শাসন, কুখ্যাত ইনডেমনিটি আইন প্রণয়ন করে খুনিদের বিচারের পথ রুদ্ধ করে দেয়া হয়। তখন খুনিদের বিচার না করে বিদেশস্থ বাংলাদেশ মিশনের গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ করে পুরস্কৃত করা হয় বলেও জানান।

এ সময় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান, সেন্টার ফর এনআরবির চেয়ারপারসন এম এস শেকিল চৌধুরী, ইউ এস অ্যাম্বাসেডর অব পিস, ইউ এন অ্যান্ড এক্সপার্ট ডব্লিউএইচও ড. সিমা কারেতনয়া ও নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল নাজমুল হুদা উপস্থিত ছিলেন।


এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে: ২১ দিনে ৫ কোটির বেশি টোল আদায়

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে চালুর পর থেকে গত ২১ দিনে ৫ কোটি টাকার বেশি টোল আদায় করেছে কর্তৃপক্ষ। গত ৩ সেপ্টেম্বর দীর্ঘদিনের আকাঙ্ক্ষিত এই উড়াল সড়কটি জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়।

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্প পরিচালক এএইচএমএস আখতার জানান, গত রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টা পর্যন্ত এই এক্সপ্রেসওয়েতে মোট ৬ লাখ ২১ হাজার ১৫২টি যানবাহন চলাচল করেছে।

গত ২ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার গাড়িবহরে থাকা ২৫টি গাড়ির প্রতিটি গাড়ির জন্য ৮০ টাকা হারে দুই হাজার টাকা টোল পরিশোধের মধ্য দিয়ে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের বিমানবন্দর-ফার্মগেট অংশের উদ্বোধন করেন।

গত ৩ সেপ্টেম্বর সকাল ৬টায় বিমানবন্দর থেকে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ফার্মগেট পর্যন্ত অংশটি যান চলাচলের জন্য খুলে দেয় কর্তৃপক্ষ। এক্সপ্রেসওয়ে হয়ে বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেটে পৌঁছতে সময় লাগে মাত্র ১০ থেকে ১২ মিনিট। তবে চার চাকার যানবাহন ছাড়া পায়ে হেঁটে ও দুই বা তিন চাকার যানবাহন এই এক্সপ্রেসওয়েতে চলাচল নিষিদ্ধ।

প্রকল্প পরিচালক এ এইচ এম এস আখতার বলেন, আমরা আগে ধারণা করেছিলাম প্রতিদিন গড়ে প্রায় ২০ হাজার যানবাহন এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করবে।

তিনি জানান, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ শেষ হলে রাজধানীর কাওলা থেকে কুড়িল-বনানী-মহাখালী-তেজগাঁও-মগবাজার-কমলাপুর-সায়েদাবাদ-যাত্রাবাড়ী হয়ে কুতুবখালী এলাকা পর্যন্ত চলাচল করবে।

আখতার বলেন, আমরা আশা করছি এটি সম্পন্ন হলে প্রতিদিন প্রায় ৮০ হাজার যানবাহন ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করতে পারবে।

এক প্রশ্নের জবাবে প্রকল্প পরিচালক বলেন, এক্সপ্রেসওয়ের নকশা অনুযায়ী যানবাহন ৮০ কিলোমিটার/ঘণ্টা গতিতে চলতে পারে, কিন্তু তারা র‌্যাম্পে ৬০ কিলোমিটার/ঘণ্টা এবং ৪০ কি.মি./ঘণ্টা পর্যন্ত সীমাবদ্ধ রেখেছেন।

প্রকল্প কর্মকর্তা জানান, তবে তারা এখনো গতিসীমা লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে আইন প্রয়োগ শুরু করতে পারেননি। যদিও ইতোমধ্যে এক্সপ্রেসওয়েতে সিসিটিভি ক্যামেরা এবং অন্যান্য সরঞ্জাম স্থাপন করা হয়েছে।

এদিকে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) গত ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে বাস চলাচল শুরু করেছে। যাত্রীরা এখন মাত্র ৩৫ টাকায় ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে পার হচ্ছেন।

এর আগে গত ১৫ সেপ্টেম্বর এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের খেজুর বাগান থেকে জসীমউদ্দীন রোড পর্যন্ত নতুন বাস রুটের ঘোষণা দেন বিআরটিসির চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম।

তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে তিনটি ডিপো থেকে মোট আটটি বাস চলাচলের কথা ছিল। এক্সপ্রেসওয়ের উভয় প্রান্ত থেকে যাত্রীরা বাসে উঠতে পারবেন।

তবে যাত্রী বাড়ায় এক্সপ্রেস হাইওয়েতে চলাচলকারী বিআরটিসি বাসের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২টিতে।

উত্তরা-ফার্মগেট বিআরটিসি বাস রুটের ফার্মগেট বাস কাউন্টারে কর্মরত বিআরটিসি বাস কাউন্টারের কর্মী বিশ্বজিৎ বলেন, যাত্রীসংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় যাত্রীরা সন্তুষ্ট, আমরাও সন্তুষ্ট।

তিনি জানান, ফার্মগেট বাস কাউন্টার থেকে উত্তরা পর্যন্ত প্রতি ১০ মিনিটে একটি করে বাস চলাচল করছে। তবে এক্সপ্রেসওয়ের উভয় প্রান্তে যানজটের কারণে বাসগুলো কখনো কখনো দেরি করে।

তিনি বলেন, যাত্রীদের সেবা আরও উন্নত করতে আমরা দিনরাত কাজ করে যাচ্ছি। যাত্রীসংখ্যা বাড়ানোর জন্য রুটে বাসের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে, শিগগিরই বাসের সময়সূচি কঠোরভাবে বজায় রাখার চেষ্টা করা হবে।

তানজিলা রহমান নামে এক যাত্রী রোববার বিকেলে ফার্মগেট বিআরটিসি এক্সপ্রেসওয়ে বাস কাউন্টার থেকে উত্তরায় যাওয়ার জন্য টিকিট কিনছিলেন।

জানতে চাইলে তিনি বলেন, সকালে একটি চাকরির সাক্ষাৎকারের জন্য এসেছিলেন এবং তিনি বিমানবন্দর থেকে মাত্র ১০-১৫ মিনিটের মধ্যে ইন্দিরা রোডে পৌঁছেন।

এই নারী যাত্রী জানান, ‘পরিষেবাটি খুব ভালো লেগেছে। বিমানবন্দর থেকে এখানে পৌঁছাতে স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক কম সময় লেগেছে। আমি একই পথ দিয়ে ফিরে যাচ্ছি।’

রায়হান নামে আরেক যাত্রী জানান, আগে বাসা থেকে কারওয়ানবাজারে অফিসে পৌঁছতে অন্তত দেড় ঘণ্টা পথ পাড়ি দিতে হতো। তিনি বলেন, এটি তার জন্য একটি চমৎকার অভিজ্ঞতা যে, এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করে তিনি মাত্র ২০ থেকে ৩০ মিনিটের মধ্যে তার অফিসে পৌঁছাতে সক্ষম হন।

আরেক যাত্রী রাফিউজ্জামান রিয়ন বলেন, লোকাল বাসে অনেক বেশি স্টপেজ থাকে, অনেক বেশি সময় লাগে এবং তারা প্রায়ই বেশি ভাড়া আদায় করে।

তিনি বলেন, বিআরটিসি এক্সপ্রেসওয়ে রুটে ই-টিকিটিং ব্যবস্থা ব্যবহার করা হয়, তাই ফি ন্যায্য থাকে। বিআরটিসি বাসের সিটকে আরও আরামদায়ক করে তুলতে পারে। এ ছাড়াও যদি এই রুটে আরও কয়েকটি স্টপেজ থাকে, তবে এটি আরও বেশি সংখ্যক যাত্রীকে সহায়তা করবে।


‘দুঃসাহসী খোকা’ বঙ্গবন্ধুর কিশোরবেলা জানতে সাহায্য করবে: তথ্যমন্ত্রী

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

বঙ্গবন্ধুর কৈশোরভিত্তিক ‘দুঃসাহসী খোকা’র প্রিমিয়ারে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, সিনেমাটি আমাদের নতুন প্রজন্মকে আদর্শ জীবন গড়তে অনুপ্রাণিত করবে এবং সবাইকে বঙ্গবন্ধুর কিশোরবেলা সম্পর্কে আরও জানতে সাহায্য করবে।

সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ফিল্ম আর্কাইভ প্রজেকশন হলে এ সিনেমার প্রদর্শনীতে প্রধান অতিথি ছিলেন তিনি।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শৈশব থেকে কিশোর বয়সের কাহিনি নিয়ে সিনেমাটি নির্মিত হয়েছে। কীভাবে একজন দুরন্ত কিশোর রাজনীতি সচেতন হলেন, একইসঙ্গে প্রতিবাদী ও মানবিক কিশোর হলেন, তিনি কেমন জনদরদী ছিলেন, এ বিষয়গুলো এখানে চিত্রায়িত হয়েছে।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে অনেক সিনেমা হচ্ছে, কিন্তু আমার জানামতে তার শৈশব থেকে কৈশোর নিয়ে এটিই প্রথম সিনেমা।

সিনেমাটির পরিচালকসহ চিত্রগ্রাহক সমিতির সভাপতি আবদুল লতিফ বাচ্চু, ফিল্ম এডিটরস গিল্ড সভাপতি আবু মুসা দেবু, অভিনয় শিল্পী রিয়াজ, মনোজ সেনগুপ্ত, ফিল্ম আর্কাইভের মহাপরিচালক মো. জসীম উদ্দিন ও বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক নসরুল্লা ইরফান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অনুদানে নির্মিত ‘দুঃসাহসী খোকা’ সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন মুশফিকুর রহমান গুলজার।

প্রিমিয়ার শো শেষে দর্শকরা কিশোর বঙ্গবন্ধুর চরিত্রাভিনেতা সৌম্য জ্যোতি, অন্যান্য নাম ভূমিকায় লুৎফর রহমান জর্জ, ফজলুর রহমান বাবু, মাহমুদা মাহা, গোলাম ফরিদা ছন্দা ও সহশিল্পীদের অভিনয় ও ছবি নির্মাণের প্রশংসা করেন। সিনেমাটি ২৯ সেপ্টেম্বর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির কথা রয়েছে।

সাংবাদিকরা এ সময় গণমাধ্যমের ওপরও যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি প্রয়োগ করা হবে- এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, আমি কাগজে এটি দেখলাম। আমাদের গণমাধ্যম স্বাধীনভাবে, অবাধে কাজ করছে। শুধু তাই নয়, আমাদের গণমাধ্যম যে পরিমাণ ‘ভাইব্রেন্ট’, পৃথিবীর বহু উন্নয়নশীল দেশে তা নয়।

সুতরাং গণমাধ্যমের ওপর ভিসানীতি প্রয়োগের কথা শুনে আমি আশ্চর্য হয়েছি। আমি মনে করি, কারও অন্য দেশের গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ করা সমীচীন নয়। অন্য কোনো দেশ থেকে আমাদের গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করাও সমীচীন নয়।


যা কিছু ভালো তার সঙ্গে থাকবে দৈনিক বাংলা

সোমবার দৈনিক বাংলার কার্যালয়ে পত্রিকাটির প্রতিনিধি সম্মেলন বক্তব্য দেন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক চৌধুরী জাফরউল্লাহ শারাফাত। এসময় উপস্থিত ছিলেন দৈনিক বাংলার নির্বাহী পরিচালক মেজর (অব.) আফিজুর রহমানসহ সাংবাদিক-কর্মকর্তারা। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ২২:০২
নিজস্ব প্রতিবেদক

বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে দৈনিক বাংলার প্রতিনিধি সম্মেলন সোমবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাজধানীর তেজগাঁওয়ে পত্রিকাটির নিজস্ব কার্যালয়ে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলার প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন।

সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে দৈনিক বাংলার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক চৌধুরী জাফরউল্লাহ শারাফাত বলেন, ‘যা কিছু ভালো তার সঙ্গে দৈনিক বাংলা থাকবে। ঐতিহ্যবাহী দৈনিক বাংলা পত্রিকাকে এগিয়ে নিতে যা যা করা প্রয়োজন, কর্তৃপক্ষ তা করবে। এই পত্রিকাকে এগিয়ে নেয়ার পথে আমাদের প্রতিনিধিরা সার্বিকভাবে সহযোগিতা করবেন বলে আমি মনে করি। জনগুরুত্বপূর্ণ খবর পাঠিয়ে প্রতিনিধিরা দৈনিক বাংলাকে পাঠকপ্রিয় পত্রিকায় রূপান্তর করবেন বলে প্রত্যাশা রাখি।’

ছবি: দৈনিক বাংলা

এ ছাড়া ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক চৌধুরী জাফরউল্লাহ শারাফাত প্রতিনিধিদের বিভিন্ন বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেন।

সম্মেলনে জেলা ও উপজেলার শতাধিক প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন। তারা একে একে তাদের বক্তব্য তুলে ধরেন। তারা পত্রিকার সাফল্য ও সম্ভাবনা নিয়ে মূল্যবান পরামর্শ দেন। পাশাপাশি তাদের বিভিন্ন সমস্যার বিষয়ে সম্পাদককে অবগত করেন। সম্পাদক তাদের কথা ধৈর্যসহকারে শোনেন এবং সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন।

সম্মেলনে উপস্থিত দৈনিক বাংলার প্রতিনিধিদের একাংশ। ছবি: দৈনিক বাংলা

প্রতিনিধি সম্মেলন উপলক্ষে এ দিন সকাল থেকেই দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রতিনিধিরা দৈনিক বাংলার কার্যালয়ে জড়ো হোন। তারা দৈনিক বাংলার কার্যালয় ঘুরে দেখেন।

সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন দৈনিক বাংলার নির্বাহী পরিচালক মেজর (অব.) আফিজুর রহমান, বিশেষ প্রতিনিধি ফারাজী আজমল হোসেন, যুগ্ম বার্তা সম্পাদক তানজিমুল নয়ন, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিনুর রহমান, চট্টগ্রাম প্রতিনিধি ডেইজি মওদুদ, জি এম (মার্কেটিং) শাহাদত হোসেনসহ অনেকে।

সম্মেলনে উপস্থিত দৈনিক বাংলার প্রতিনিধিদের একাংশ। ছবি: দৈনিক বাংলা

সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন নিউজবাংলার অ্যাসিসট্যান্ট নিউজ এডিটর আজহারুল ইসলাম, দৈনিক বাংলার জ্যেষ্ঠ সহসম্পাদক শাহিদ আবেদীন, ডিজিএম (মার্কেটিং) আব্দুল্লাহ আল মামুন, অ্যাসিসট্যান্ট ম্যানেজার রাফিউল ইসলাম সরকার প্রমুখ।


‘শিক্ষকদের স্বামীর স্থায়ী ঠিকানায় বদলির সুযোগ আইনে দেয়া হয়েছে’

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রাথমিকের শিক্ষকদের স্বামীর স্থায়ী ঠিকানায় বদলির সুযোগ আইনে দেয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত। সোমবার আপিল বিভাগের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বাধীন চেম্বার জজ আদালত এ মন্তব্য করেন। এ দিন স্বামীর স্থায়ী ঠিকানা কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলায় বদলি করা ১০ নারী শিক্ষিকাসহ ১১ জনের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যোগদানের ব্যবস্থা করতে হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখেন এ আদালত।

আদালতে কুমিল্লা সদরের (কুমিল্লা-৬) সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারের আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট সাঈদ আহমেদ রাজা। অন্যদিকে শিক্ষকদের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট মো. খুরশীদ আলম খান ও অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া।

এর আগে গত ১৩ সেপ্টেম্বর আদালতের আদেশ পাওয়ার ৫ দিনের মধ্যে স্বামীর স্থায়ী ঠিকানা কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলায় বদলি করা ১০ নারী শিক্ষিকাকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যোগদানের ব্যবস্থা গ্রহণ করার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। বদলি করা ১০ নারী শিক্ষিকাসহ ১১ জন শিক্ষকের যোগদানপত্র গ্রহণ না করায় বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না এবং কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলায় বদলি করা ১১ শিক্ষকের যোগদানপত্র গ্রহণ করার নির্দেশনা কেন দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করেন আদালত।

বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহ ও বিচারপতি এ কে এম রবিউল হাসানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া।

দেশের বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলি করা ১০ নারীসহ ১১ শিক্ষকের যোগদানপত্র গ্রহণ না করায় বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে এবং কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলায় বদলি করা ১১ শিক্ষকের যোগদানপত্র গ্রহণ করার জন্য নির্দেশনা চেয়ে ১২ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন দায়ের করেন মশিউর রহমান, ফজিলত পারভিন, উম্মে কুলছুম, দিল আফরোজ, আমিনাতুর রহমানসহ মোট ১১ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা।

রিটে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ মোট ছয়জনকে বিবাদী করা হয়।

রিটকারীদের আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া বলেন, রিটকারীরা দেশের বিভিন্ন বিভাগ, সিটি করপোরেশন, জেলা এবং উপজেলার বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক এবং সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। রিটকারীদের মধ্যে একজন পুরুষ শিক্ষক এবং বাকি ১০ জনই নারী।

তারা বিভিন্ন বিভাগ, সিটি করপোরেশন, জেলা এবং উপজেলায় নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছিলেন। দীর্ঘদিন বদলি বন্ধ থাকায় তারা বদলি হতে পারেননি। সম্প্রতি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বদলি করার উদ্দেশ্যে ‘সমন্বিত অনলাইন বদলি নির্দেশিকা (সংশোধিত) ২০২২’ নামে বদলি নির্দেশিকা জারি করেন। ওই নির্দেশিকার নির্দেশনা শিক্ষকদের তাদের স্থায়ী ঠিকানায় এবং নারী শিক্ষকদের তাদের স্বামীর স্থায়ী ঠিকানায় বদলির সুযোগ দিয়েছে।


তিন দিনের সফরে বুধবার নিজ শহর পাবনা যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর বুধবার তিন দিনের সফরে নিজ শহর পাবনা যাচ্ছেন। রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন জানান, তিনি সেখানে একটি জনসভাসহ বিভিন্ন কর্মসূচিতে যোগ দেবেন।

তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি বুধবার বিকেলে তিন দিনের সফরে পাবনা যাবেন। তিনি সেখানে একটি সমাবেশে ভাষণ দেবেন এবং জেলার বিভিন্ন পেশাজীবী ও স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন।’

প্রজাতন্ত্রের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে ২৪ এপ্রিল শপথ নেয়ার পর এটি হবে পাবনায় তার দ্বিতীয় সফর।

রাষ্ট্রপ্রধান জেলার সাথিয়া উপজেলায় নৌকাবাইচ-পূর্ব জনসমাবেশে ভাষণ দেবেন। তিনি পাবনা মেডিকেল কলেজ প্রাঙ্গণে ৫০০ শয্যাবিশিষ্ট একটি জেনারেল হাসপাতালের নির্মাণকাজ উদ্বোধন করবেন।

বাসসের পাবনা প্রতিনিধি জানান, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক ছাত্রনেতা রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের আগমনকে কেন্দ্র করে পাবনা শহর ও আশপাশে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। এ উপলক্ষে নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে জেলা প্রশাসন।

রাষ্ট্রপতিকে তার পৈতৃক বাড়িতে স্বাগত জানাতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষ। আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রপতির ঢাকায় ফেরার কথা রয়েছে।


কখনো আমেরিকা যাইনি, যাবও না: প্রধান বিচারপতি

সোমবার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীকে বিদায় জানান নতুন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানসহ আপিল বিভাগের বিচারপতি এবং সুপ্রিম কোর্টের প্রশাসনিক কর্মকর্তারা। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসানীতি নিয়ে বিচলিত নন বিদায়ী প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। তিনি বলেছেন, আমি কখনো আমেরিকা যাইনি, যাবও না।

সোমবার প্রধান বিচারপতি হিসেবে শেষ কর্মদিবস সম্পন্ন করে বিদায়বেলায় তিনি এসব কথা বলেন।

বিদায়ী প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘এটা (ভিসানীতি) নিয়ে আমি অত মাথা ঘামাই না। এটা (বাংলাদেশ) স্বাধীন-সার্বভৌম একটা রাষ্ট্র। একাত্তরে এক সাগর রক্তের বিনিময়ে এ দেশ স্বাধীন হয়েছে। তখন যারা ভয় দেখিয়েছিল তখন তারা স্বাধীনতাবিরোধী ছিল।’

তিনি বলেন, ‘আমি এতে বিচলিত নই। আর আমি কখনো আমেরিকা যাইনি, যাবও না।’

বিচারপ্রার্থী মানুষের জন্য কাজ করেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘অসংখ্য মামলা আমি বিনা পয়সায় করেছি। দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ আমার চেম্বারে এসেছে, আমি তাদের জন্য করেছি। মা-বাবার দোয়া ছিল বিধায় দেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছি।’

বিচারপ্রার্থীদের বিশ্রামের জন্য আদালত প্রাঙ্গণে ‘ন্যায়কুঞ্জ’ স্থাপন এবং সুপ্রিম কোর্টে রেকর্ড ভবন স্থাপনের কাজ সম্পন্ন করে যেতে পারলে আরও ভালো লাগতো বলেও উল্লেখ করেন বিদায়ী এ প্রধান বিচারপতি।

মামলা যেন দ্রুত নিষ্পত্তি হয়, সেজন্য বিচারকদের অনুপ্রেরণা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেন, ‘অথরিটি পাওয়ার দুইভাবে ব্যবহার করা যায়, একটা হলো ভোগ করে যাওয়া, আরেকটা হচ্ছে দেখি চেষ্টা করে কিছু করা যায় কি না। বিচারপ্রার্থীদের জন্য কিছু করা যায় কি না। নিজের বা পরিবারের সুখ-শান্তির দিকে একবারও তাকাইনি। চেষ্টা করেছি, প্রতিটি মুহূর্ত দেওয়ার চেষ্টা করেছি।’

বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীকে বিদায় জানান নতুন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানসহ আপিল বিভাগের বিচারপতি এবং সুপ্রিম কোর্টের প্রশাসনিক কর্মকর্তারা।

মঙ্গলবার দেশের ২৪তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নেবেন বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।


সিনিয়র অ্যাডভোকেট হলেন ২৭ আইনজীবী

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সিনিয়র অ্যাডভোকেট হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে ২৭ জন আইনজীবীকে। সোমবার সুপ্রিমকোর্ট প্রশাসন থেকে এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।

আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ৯ সেপ্টেম্বর এক সভায় প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে আপিল বিভাগের সাত বিচারপতির স্বতন্ত্র মতামতের ভিত্তিতে এনরোলমেন্ট কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। সভায় ২৭জন আইনজীবীকে সিনিয়র অ্যাডভোকেট হিসেবে আপিল বিভাগে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

সিনিয়র আইনজীবীদের তালিকায় রয়েছেন- অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মো. মিফতাহ উদ্দিন চৌধুরী, মো. দেলোয়ার হোসেন, আব্দুস সোবহান, মো. আসাদুজ্জামান, একেএম ফজলুল হক খান ফরিদ, মো. রুহুল কুদ্দুস, মো. অজিউল্লাহ, ড. নাইম আহমেদ, কামরুন্নেছা রত্না, এম কামরুল হক সিদ্দিকী, পঙ্কজ কুমার কুন্ডু, মো. রমজান আলী শিকদার, আবুল খায়ের, শাহ মঞ্জুরুল হক, এবিএম সিদ্দিকুর রহমান খান, এম এ আজিম খাইর, ফাওজিয়া করিম ফিরোজ, মমজাত উদ্দিন আহমেদ মেহেদী, গোলাম আব্বাস চৌধুরী, সৈয়দ মিজানুর রহমান, জহিরুল ইসলাম খান, রবিউল আলম বুদু, মো. আব্দুল নূর, ফরহাদ আহমেদ, আব্দুল মাবুদ মাসুদ, মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান খান ও আবু সায়েদ (সাগর)।

এছাড়া আপিল বিভাগের আইনজীবী হিসেবে ২৫৯ জনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে এবং আপিল বিভাগের অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড হিসেবে ৩৩ জন আইনজীবীর তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।

দেশের ২৩ তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর শেষ কর্ম দিবসে এ তালিকা প্রকাশ হয়েছে। এর আগের প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের আমলে ৩৩জনকে সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়।


নির্বাচন ঘিরে নাশকতা রোধে প্রস্তুত র‌্যাব

সামাজিক অপরাধ, হত্যা, চুরি ও ছিনতাই রোধে নিয়মিত র‌্যাব-৪ এর বিশেষ রোবাস্ট পেট্রোল ও চেকপোস্ট মোতায়েন থাকবে। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নাশকতা ও বিশৃঙ্খলা যেন না হয় সে বিষয়ে র‌্যাব কাজ করছে। একই সঙ্গে যে কোনো ধরনের গুজব, অপপ্রচার রোধে র‌্যাবের সাইবার মনিটরিং টিম সর্বদা নজরদারি রাখছে।

সোমবার দুপুরে রাজধানীর মাটিকাটা ইসিবি চত্ত্বর মেন রোডে সাংবাদিকদের এ কথা জানান র‌্যাব-৪ এর অধিনায়ক (সিও) লে. কর্নেল মোহাম্মদ আবদুর রহমান।

তিনি বলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দেশজুড়ে বিশেষ রোবাস্ট পেট্রোল ও চেকপোস্ট মোতায়েন করেছে র‌্যাব। আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যেন কোনো সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি না ঘটাতে পারে, সে লক্ষ্যে সারাদেশে একযোগে কাজ করছে র‌্যাব। এছাড়া সামাজিক অপরাধ, হত্যা, চুরি ও ছিনতাই রোধে নিয়মিত র‌্যাব-৪ এর বিশেষ রোবাস্ট পেট্রোল ও চেকপোস্ট মোতায়েন থাকবে। এই পেট্রোল জোরদারের ফলে ছিনতাই, চুরি, ডাকাতি, খুন ও ধর্ষণসহ অন্যান্য অপরাধ বহুলাংশে হ্রাস পেয়েছে। একইসঙ্গে কিশোর গ্যাংয়ের দৌরাত্ম্য অনেকটাই কমে গেছে।

তিনি বলেন, জাতীয় পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্টের সময় নানা স্বার্থান্বেষী মহলের মাধ্যমে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ও নাশকতার আশঙ্কা দেখা দিলে নাগরিকদের জানমালের নিরাপত্তায় কাজ করে যাবে র‌্যাব।

আবদুর রহমান বলেন, রোবাস্ট পেট্রোল ছাড়াও যেকোনো উদ্ভূত পরিস্থিতি, সহিংসতা কিংবা নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড মোকাবিলার ক্ষেত্রে র‌্যাব স্পেশাল ফোর্স টিম, র‌্যাবের হেলিকপ্টার ডগ স্কোয়াড ও বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট প্রস্তুত রয়েছে সবসময়। একই সঙ্গে যে কোনো ধরনের গুজব, অপপ্রচার রোধে র‌্যাবের সাইবার মনিটরিং টিম সর্বদা নজরদারি রাখছে।


banner close