বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩

বড় দল ছাড়া নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক বলা যাবে না: ইসি

নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর। ফাইল ছবি
আপডেটেড
২৯ মার্চ, ২০২৩ ১৮:১৭
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত : ২৯ মার্চ, ২০২৩ ১৮:১৫

দেশের বড় বড় রাজনৈতিক দলগুলো যদি নির্বাচনে অংশ না নেয় তাহলে সে নির্বাচনকে পুরোপুরি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন বলা যাবে না বলে মনে করেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর। তবে দেশের ইতিহাসে যতগুলো নির্বাচন হয়েছে কোনো নির্বাচনেই সবগুলো দল অংশ নেয়নি বলে জানান এই কমিশনার। এছাড়া সংসদীয় আসনের সীমানায় ১২৬টি আবেদন খসড়া বিপক্ষে আর পক্ষে ৬০টি আবেদন পড়েছে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন তিনি।

বুধবার রাজধানীর আগারগাওঁয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মো. আলমগীর এসব কথা বলেন।

সবগুলো দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে সেটাকে আমরা অংশগ্রহণ মূলক নির্বাচন বলবো জানিয়ে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, ‘বাস্তবতা হচ্ছে যে দেশের ইতিহাসে যতগুলো নির্বাচন হয়েছে কোনো নির্বাচনেই সবগুলো দল অংশগ্রহণ করেনি। কাজেই সেই নির্বাচনগুলোকে অংশগ্রহণমূলক হয়নি বলা যাবে না। ৭০ সালের নির্বাচনে কিন্তু সব দল অংশ নেয়নি। কিছু কিছু দল সেই নির্বাচনের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিল। কাজেই এক দুইটা রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ না করলেই যে অংশগ্রহণমূলক বলা যাবে না; একথা বলা যাবে না। তবে এটা ঠিক যে যেগুলো বড়বড় রাজনৈতিক দল আছে, সে বড়বড় দলগুলো অংশগ্রহণ না করে তাহলে পুরোপুরি অংশগ্রহণমূলক বলা যাবে না।

সংসদীয় আসনের সীমানা নিয়ে ১৮৬ আবেদন পড়েছে উল্লেখ করে এই কমিশনার বলেন, ‘১৮৬টা আবেদন পড়েছে। ১২৬টা আপত্তি খসড়ার বিপক্ষে, ৬০টি পড়েছে পক্ষে। পক্ষে-বিপক্ষে থাকলেও শুনানি। ঈদের আগে শুনানি হবে কি-না বলা যাচ্ছে না। জুনের মধ্যে আমরা সিদ্ধান্ত নেবো। শুনানি শুরু করার তারিখ এখনো হয়নি।’

ফখরুল চিঠির জবাবে দেবে না, এখন কী করবেন এমন প্রশ্নের জবাবে এই কমিশনার বলেন, ‘আমরা কমিশন বৈঠকে আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবো। আমরা একটা সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করবো। এরপর আবার বসে সিদ্ধান্ত করবো। পরবর্তী পদক্ষেপ আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেবো।’

খালেদা জিয়া কি প্রার্থী হতে পারবেন-এমন প্রশ্নের জবাবে এই কমিশনার জানান, ‘উনি নমিমেশন সাবমিট করলে রিটার্নিং কর্মকর্তা অবস্থা পরীক্ষা নীরিক্ষা করবেন অবস্থা কী। কারণ এখন যে অবস্থা, আর তখনকার অবস্থা তো আলাদা হতে পার। এই মুহূর্তে তো বলা যাবে না।’


তেজগাঁওয়ে এলোপাতাড়ি গুলিতে জড়িতরা দেশের বাইরে চলে গেছে: পুলিশ

আইনজীবী ভুবন চন্দ্র শীল। ফাইল ছবি
আপডেটেড ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ২২:০৫
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর তেজগাঁওয়ে এক শীর্ষ সন্ত্রাসীকে টার্গেট করে এলোপাতাড়ি গুলির ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ প্রচার হওয়ায় অপরাধীরা আত্মগোপনে চলে গেছে। তবে যে বা যারা এ ঘটনায় জড়িত তাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

মঙ্গলবার শ্যামলীতে নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) এইচ এম আজিমুল হক সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।

জানা গেছে, জেলখানায় থেকে শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমন তার প্রতিপক্ষ আরেক শীর্ষ সন্ত্রাসী মনিরকে খুনের পরিকল্পনা করে। দীর্ঘ ২০ বছর কারাগারে থাকার পর বের হওয়া শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুনকে গত ১৮ সেপ্টেম্বর রাতে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকায় সন্ত্রাসীরা তাকে উদ্দেশ করে গুলি ছোড়ে এবং পরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। দুর্বৃত্তদের ছোড়া এলোপাতাড়ি গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে ভুবন চন্দ্র শীল ও মো. আরিফুল নামে দুই পথচারী আহত হন। তাদের মধ্যে সোমবার দুপুরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আইনি পরামর্শক ভুবন চন্দ্র মারা যান।

আলোচিত এই ঘটনায় মামলা হলেও এখন পর্যন্ত কোনো অগ্রগতি নেই। এ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্ন ছিল তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনারের কাছে।

আজিমুল হক বলেন, ‘তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকায় অত্যন্ত লোমহর্ষক এই ঘটনার পর পুলিশ প্রথম থেকে কাজ করছিল। অগ্রগতিও ছিল। তবে ঘটনার সময়ের একটা সিসিটিভি ফুটেজ মিডিয়ায় প্রচার হওয়ায় অপরাধীরা অ্যালার্ট (সচেতন) হয়ে গেছে। তবে ইতোমধ্যে আমরা একজনকে ধরতে সক্ষম হয়েছি। তার নাম বলছি না। আশা করছি এই অপরাধে জড়িত সবাইকে ধরতে পারব।’

পুলিশ বলছে, গণমাধ্যমে ঘটনার সময়ের সিসিটিভি ফুটেজ প্রচার হওয়ায় অভিযুক্তরা পালিয়ে আত্মগোপনে গেছে। তবে অপর একটি সূত্র জানিয়েছে, ঘটনার পরপর অভিযুক্তরা দেশ ছেড়ে পার্শ্ববর্তী দেশে চলে গেছে। তাই তাদের আটক কিংবা শনাক্ত করা যাচ্ছে না।


মোহাম্মদপুরের আলোচিত ‘রক্তচোষা’ জনি গ্রেপ্তার

ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকার চিহ্নিত ছিনতাইকারী, পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী মো. মনির হোসেন ওরফে মো. জনি মিয়া ওরফে ‘রক্তচোষা’ জনিকে (৩৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার দুপুরে মোহাম্মদপুরের একতা হাউজিং এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, পাঁচ রাউন্ড গুলি ও ৩০০ গ্রাম হেরোইন জব্দ করা হয়েছে।

মোহাম্মদপুর এলাকায় সংঘবদ্ধ কিশোর গ্যাং নিয়ে কাজ করতে গিয়ে এই এলাকার দুর্ধর্ষ, কুখ্যাত সন্ত্রাসী ও তালিকাভুক্ত ছিনতাইকারী রক্তচোষা জনিকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।

ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) এইচ এম আজিমুল হক নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মোহাম্মদপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) মো. তোফাজ্জল হোসেনের নেতৃত্বে একটি দল তুরাগ নদী সংলগ্ন একতা হাউজিং এলাকা থেকে জনিকে গ্রেপ্তার করে।

ডিসি বলেন, তার নামে ছিনতাই, চাঁদাবাজি ও বিভিন্ন অপরাধে ১৪টি মামলা রয়েছে। সে মোহাম্মদপুরের ঢাকা উদ্যান, চন্দ্রিমা মডেল টাউন, একতা হাউজিং, নবীনগর হাউজিং ও বসিলা এলাকা এবং আদাবর থানা এলাকায় ছিনতাই, ডাকাতি, চাঁদাবাজি, মারামারি ও মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত।

তাকে মোহাম্মদপুর এলাকার ত্রাস বলা চলে। এমন কোনো অপরাধ নেই যে সে করেনি। একবার তাকে আটক করতে গেলে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশের এসআইকে কুপিয়ে সে আহত করেছিল। অনেক বড় বড় অপরাধে জড়িত এই জনি। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক আইনে নতুন করে দুটি মামলা হবে।

জনির নামের সঙ্গে ‘রক্তচোষা’ যোগ হওয়ার বিষয়ে ডিসি আজিমুল হক বলেন, জনির বিভিন্ন কুখ্যাতির জন্য স্থানীয়রা তাকে এই নামে ডেকে থাকে। অবশ্যই সে এমন কোনো কাজ করেছে, যার কারণে এই ভয়ংকর নামের খ্যাতি পেয়েছে। তার নামে মামলার সংখ্যা দেখেই বোঝা যাচ্ছে সে কতটা ভয়ংকর। বেশকিছু দিন ধরে সে সাধারণ মানুষকে বিরক্ত করছিল। এ ছাড়া, জনির দুষ্কর্মের সহযোগী, আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়া লোকজন থাকতে পারে। এ বিষয়গুলো আমরা তদন্তে আনার চেষ্টা করব। তাকে গ্রেপ্তারের পর জনমনে স্বস্তি ফিরেছে বলেও দাবি করেন তিনি।


বনানীর সেই প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর বনানী এলাকা থেকে কামরুল হাসান নামের এক প্রকৌশলীকে তুলে নেয়ার অভিযোগ উঠেছিল। তবে তার খোঁজ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে বনানী থানা পুলিশ। তার বিরুদ্ধে গত সোমবার রাতে র‌্যাবের পক্ষ থেকে বনানী থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে একটি মামলা করা হয়েছে।

বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোস্তাফিজুর রহমান দৈনিক বাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, প্রকৌশলী কামরুল হাসান বনানীর একটি আইটি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্ত হিসেবে কর্মরত ছিলেন। গত রোববার সন্ধ্যায় কাজ শেষে অফিস থেকে এক সহকর্মীর সঙ্গে বের হয়ে বনানী ২৮ নম্বর সড়কে এলে প্রশাসনের লোক পরিচয়ে তাকে একটি গাড়িতে তুলে নেয়া হয়। এ সময় সঙ্গে থাকা তার সহকর্মীকে বলা হয়েছিল, রাতেই তাকে ছেড়ে দেয়া হবে। তবে এর পর থেকে তাকে খুঁজে না পাওয়ায় কামরুলের স্ত্রী বনানী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বনানী থানার ওসি মো. মোস্তাফিজুর রহমান দৈনিক বাংলাকে বলেন, গত সোমবার রাতে এই প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে র‌্যাবের পক্ষ থেকে মামলা করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।


আল কায়েদার মতাদর্শে জঙ্গি কার্যক্রম চালাচ্ছিলেন তারা

নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার মেজবাহ ওরফে আবু মাসরুরসহ ছয়জন। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের ঢাকা অঞ্চলের দাওয়াতি শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত মেজবাহ ওরফে আবু মাসরুরসহ ছয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা আফগানিস্তানে তালেবানের উত্থানে উদ্বুদ্ধ হয়ে আল কায়েদা মতাদর্শের জঙ্গি কার্যক্রম পরিচালনা করছিলেন।

গত সোমবার রাতে রাজধানীর উত্তরা, বনানী, বনশ্রী ও যাত্রাবাড়ী এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর যৌথ অভিযানে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তাররা হলেন- আনসার আল ইসলামের ঢাকা অঞ্চলের দাওয়াতি শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী ওরফে আবু মাসরুর (৫০), শেখ আশিকুর রহমান ওরফে আবু আফিফা (৪৯), সাদী মো. জুলকার নাইন (৩৫), মো. কামরুল হাসান সাব্বির (৪০), মো. মাসুম রানা ওরফে মাসুম বিল্লাহ (২৬), সাঈদ মো. রিজভী (৩৫)। অভিযানে তাদের কাছ থেকে দুটি ল্যাপটপ, ছয়টি মোবাইল ফোন, উগ্রবাদে সহায়ক পুস্তক ও সাংগঠনিক কার্যক্রম সংক্রান্ত ডায়রি ও নোট বই জব্দ করা হ‌য়ে‌ছে।

মঙ্গলবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের বরাতে তিনি বলেন, তারা বিভিন্ন সময় অনলাইনে বিভিন্ন উগ্রবাদী নেতাদের বক্তব্য দেখে উগ্রবাদে উদ্বুদ্ধ হয়ে আনসার আল ইসলামে যোগ দেন। সংগঠনে যুক্ত হয়ে তারা দাওয়াতি কার্যক্রম পরিচালনা করছিলেন। সাংগঠনিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বিভিন্ন সময়ে তারা মসজিদ, বাসা বা বিভিন্ন স্থানে সদস্যদের নিয়ে গোপন সভা পরিচালনা করতেন‌। তারা বিভিন্ন অপব্যাখ্যা ও মিথ্যা তথ্যের মাধ্যমে দেশের বিচার ও শাসন ব্যবস্থা সম্পর্কে বিতৃষ্ণা তৈরি করে ইসলামী রাষ্ট্র কায়েম করার জন্য সদস্যদের উগ্রবাদী করে তুলতেন। এছাড়া পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন দেশের সমমনা ব্যক্তিদের সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যোগাযোগ বজায় রাখতেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিভিন্ন উগ্রবাদী গ্রুপে তাদের বিচরণ ছিল।

খন্দকার আল মঈন বলেন, গ্রেপ্তার মেজবাহ ওরফে আবু মাসরুর একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে অনার্স ও মাস্টার্স সম্পন্ন করেন। পরে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের জন্য ইউরোপে যান। ২০১০ সাল থেকে ডেনমার্কে সপরিবারে বসবাস শুরু করেন। ডেনমার্কে গ্রেপ্তার আশিকুরের মাধ্যমে আনসার আল ইসলামে যোগ দেন মেজবাহ। পরে ২০২২ সালের অক্টোবরে সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের নির্দেশে বাংলাদেশে এসে সংগঠনের ঢাকা অঞ্চলের দাওয়াতি শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত হন। তি‌নি দেশে ও দেশের বাইরে থেকে সংগঠনের জন্য চাঁদা সংগ্রহ করতেন।

এক প্রশ্নের জবাবে র‌্যাবের এ কমান্ডার বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে ডিজিএফআই ও র‍্যাবের অভিযানে আনসার আল ইসলামের প্রায় ২০ জন সদস্যকে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সংগঠনটি মূলত কাট অব চেইনের পদ্ধতিতে কাজ করে। গ্রেপ্তার জঙ্গি মেজবাহর সঙ্গে আনসার আল ইসলামের নেতা আবু ইমরানের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একাধিকবার যোগাযোগ করেন।

সেনাবাহিনী থেকে বরখাস্ত মেজর জিয়ার নেতৃত্বে আনসার আল ইসলাম পরিচালিত হচ্ছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আনসার আল ইসলামের নেতা বরখাস্ত হওয়া মেজর জিয়ার বিষয়ে জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার আমিরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারি, নাইক্ষ্যংছড়িতে একটি মাদ্রাসায় ২০২০ সালে তার সঙ্গে মেজর জিয়ার সঙ্গে তার দেখা হয়েছিল। এরপর আর তার খোঁজ পাওয়া যায়নি।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানান এই র‌্যাব কর্মকর্তা।


উত্তরায় দুটি মানি এক্সচেঞ্জ থেকে দেশি-বিদেশি মুদ্রা উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৫

বিপুল পরিমাণ দেশি-বিদেশি মুদ্রাসহ সিআইডির হাতে গ্রেপ্তার পাঁচজন। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর উত্তরা এলাকায় দুটি মানি এক্সচেঞ্জে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ দেশি-বিদেশি মুদ্রা উদ্ধার করা হয়েছে। এসময় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

গ্রেপ্তাররা হলেন- মো. নাইমুল ইসলাম (২৭), মো. রেজাউল করিম সোহেল (৩৮), মো. আব্দুল আওয়াল (৪১), মো. সাইফুল হাসান ভূঁইয়া (৪৩) ও রফিকুল ইসলাম (৬৬)।

গত সোমবার রাতে উত্তরার ৩ নম্বর সেক্টরের ৭ নম্বর রোডের লতিফ অ্যাম্পোরিয়াল মার্কেটের নিচ তলায় আল-মদিনা ইন্টারন্যাশনাল কম্পিউটার অ্যান্ড স্টেশনারি এবং কুশল সেন্টারের নিচ তলায় মার্ক ন্যাশনাল মানি এক্সচেঞ্জে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে বাংলাদেশি মুদ্রাসহ ৪০টি দেশের বৈদেশিক মুদ্রা উদ্ধার করা হয়, যা ৮৮ লাখ ২ হাজার ২২৮ টাকা সমমূল্যের।

সিআইডির অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার (গণমাধ্যম) আজাদ রহমান বলেন, অবৈধ মানি এক্সচেঞ্জ ও বৈধ মানি এক্সচেঞ্জের অবৈধ লেনদেনের বিরুদ্ধে সিআইডির অভিযান চলছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত সোমবার রাতে উত্তরা এলাকায় দুটি মানি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালানো হয়।

তিনি বলেন, যথাযথ নিয়ম না মেনে বৈদেশিক মুদ্রা ক্রয়-বিক্রয় ও বৈদেশিক মুদ্রা ক্রয়ের জন্য বাংলাদেশি টাকা হেফাজতে রাখার অপরাধে গ্রেপ্তার আসামিরাসহ অজ্ঞাতানামা চার-পাঁজনের বিরুদ্ধে বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইনে উত্তরা পশ্চিম থানায় মঙ্গলবার মামলা করা হয়েছে। মামলার পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারে সিআইডির অভিযান চলছে।


গণপিটুনির ভয়ে ৯৯৯ এ ‘চোরের’ কল 

ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

‘হ্যালো এটা কি পুলিশের কন্ট্রোল? আমি একটা দোকানে ঢুকছিলাম চুরি করতে, এখন লোকজন টের পাইয়া গেছে, আমারে তো পিটাইয়া মাইরা ফালাইবো, আমারে গ্রেপ্তার করেন। তাড়াতাড়ি খানকা রোডে পুলিশ পাঠান, আমারে বাঁচান।’

মঙ্গলবার ভোর সোয়া ৪টায় রাজধানীর কদমতলীর খানকা রোডের পাসপোর্ট অফিসের পাশে একটি দোকান থেকে হৃদয় নামে একজন কলার ‘জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯’ নম্বরে ফোন করে এমন তথ্য জানান। পরে জাতীয় জরুরি সেবা থেকে তাৎক্ষণিক কদম তলী থানায় বিষয়টি জানিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বলা হয়।

জরুরি সেবা ৯৯৯ এর গণমাধ্যম কর্মকর্তা আনোয়ার সাত্তার জানান, সংবাদ পেয়ে কদমতলী থানা পুলিশের একটি দল দ্রুত ঘটনাস্থলে যায়। ততক্ষণে জনগণ হৃদয়কে ধরে পিটুনি দেয়া শুরু করেছিল। পুলিশ দল সেই অবস্থা থেকে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়। প‌রে গ্রেপ্তার করে থানায় নি‌য়ে আসে।

তিনি আরও জানান, গ্রেপ্তার হৃদয় (২৫) কদমতলী থানার মেরাজনগরের বি ব্লকে বসবাস করে বলে জানিয়েছে। এই ঘটনায় মামলা হয়েছে। আসা‌মি‌কে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।


সংবিধানকে সংরক্ষণ করা সবার পবিত্র দায়িত্ব: প্রধান বিচারপতি

মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
প্রতিনিধি, সাভার

সংবিধানকে সংরক্ষণ করা বিচার বিভাগের সবার পবিত্র দায়িত্ব বলে মন্তব্য করেছেন দেশের ২৪ তম প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় স্মৃতিসৌধের মূল বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘এই স্মৃতিসৌধ আমাদের শহীদের আত্মত্যাগের প্রতি সম্মান দেখিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে। সহকর্মীদের নিয়ে এখানে এসেছি তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে। তাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে, এ দেশের সংবিধান তৈরি হয়েছে। এই সংবিধানকে সংরক্ষণ করা আমি ও আমার সহকর্মীদের প্রত্যেকের পবিত্র দায়িত্ব। আমরা সেভাবেই শপথ নিয়েছি। এই শপথে বলীয়ান থাকার জন্য আবারও এলাম স্মৃতিসৌধে।’

স্মৃতিসৌধের পরিদর্শন বইয়ে প্রধান বিচারপতি তার মন্তব্যে লেখেন, ‘ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে বাংলার স্বাধীনতার আন্দোলনে শাহাদতবরণকারী সকল শহীদদের প্রতি জানাই গভীর শ্রদ্ধা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মত্যাগকারী ৩০ লাখ শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি। শ্রদ্ধা জানাই ২ লক্ষাধিক মা-বোনের প্রতি।’

তিনি আরও লেখেন, ‘জাতীয় স্মৃতিসৌধে দাঁড়িয়ে প্রতিজ্ঞা করছি যে মহান আদর্শ আমাদের বীর জনগণকে জাতীয় মুক্তিসংগ্রামে আত্মনিয়োগ করতে উদ্বুদ্ধ করেছিলো। জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার মূলনীতিসমূহ আমি বাংলাদেশর প্রধান বিচারপতি হিসেবে ও ব্যক্তি জীবনে দৃঢ়ভাবে অনুসরণ করবো। বীর শহীদদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশ ও সুপ্রীম কোর্ট। বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবে আমি ও সুপ্রীম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতিদের পক্ষ থেকে সকল শহীদদের প্রতি জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা। এক সাগর রক্তের বিনিময়ে বাংলার স্বাধীনতা আনলে যারা আমরা তোমাদের ভুলবো না। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।’

এরআগে বেলা ১১টায় বঙ্গভবনের দরবার হলে প্রধান বিচারপতিকে শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। গত ১২ সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানকে বাংলাদেশের ২৪তম প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি।


নীতিমালা সংশোধন, ভোটে মোটরসাইকেল ব্যবহার করতে পারবেন সাংবাদিকরা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

ভোটের দিন নির্বাচনী কাজে সাংবাদিকদের সীমিত পর্যায়ে মোটরসাইকেল ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। নানা আলোচনা-সমালোচনার পর আগের নীতিমালা সংশোধন এনে মঙ্গলবার এমন নির্দেশনা জারি করেছে সাংবিধানিক এ সংস্থাটি।

নীতিমালার ৬ নম্বর নির্দেশনায় সংশোধন আনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইসির জনসংযোগ শাখার সহকারী পরিচালক মো. আশাদুল হক। ওই নির্দেশনায় আগে বলা হয়েছিল, সাংবাদিকরা ভোটের কাজে মোটরসাইকেল ব্যবহার করতে পারবেন না। তবে সংশোধনের পর এখন বলা হয়েছে, সাংবাদিকদের যাতায়াতের জন্য যৌক্তিক সংখ্যক গাড়ির স্টিকার দেয়া হবে।

সংশোধিত নীতিমালায় আরও বলা হয়েছে, প্রয়োজনীয়তা ও বাস্তবতার আলোকে স্থানীয় প্রশাসন (রিটার্নিং অফিসার, জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ সুপার, সহকারী রিটার্নিং অফিসার সমন্বিতভাবে) প্রকৃত সাংবাদিকদের ভোটকেন্দ্রে গিয়ে সংবাদ সংগ্রহের লক্ষ্যে সীমিত পর্যায়ে মোটরসাইকেল ব্যবহারের অনুমতি দিতে পারবেন।

এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সাংবাদিককে স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের নিয়োগপত্র প্রেস আইডির কপি, এনআইডির কপি এবং যে মোটরসাইকেল ব্যবহার করা হবে সেই মোটরসাইকেলের রেজিস্ট্রেশনের কাগজপত্র, ড্রাইভিং লাইসেন্স এবং প্রয়োজনীয় অন্যান্য কাগজপত্র রিটার্নিং বা সহকারী রিটার্নিং অফিসারের নিকট জমা দিতে হবে।

রিটার্নিং অফিসার বা রিটার্নিং অফিসার কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা যাচাই বাছাই শেষে মোটরসাইকেল ব্যবহারের অনুমতি দেবেন। কোনো সাংবাদিকের জন্য গাড়ির স্টিকার দেয়া হলে স্টিকারের ক্রমিক নম্বর রেজিস্টারে লিখে রাখতে হবে। এ ছাড়া নীতিমালার অন্যান্য বিষয় আগের মতোই আছে।


ভিসানীতি কারো পক্ষ নেয়ার উদ্দেশ্যে নয়: যুক্তরাষ্ট্র

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

বাংলাদেশে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসানীতির উদ্দেশ্য জাতীয় নির্বাচনে কারো পক্ষ নেয়া নয় বলে জানিয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার। তিনি বলেছেন, এ ভিসানীতির উদ্দেশ্য, বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন নিশ্চিত করা।

গত সোমবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন।

ভিসানীতি নিয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে মিলার বলেন, ‘আমি বলব, যেমনটা আমরা আগেও বলেছি, যেমনটা গত মে মাসে পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন এ নতুন নীতি ঘোষণা করেছিলেন, তখনো আমরা বলেছিলাম, এর উদ্দেশ্য বাংলাদেশে নির্বাচনে কারো পক্ষ নেয়া নয়। এর উদ্দেশ্য বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ জাতীয় নির্বাচন নিশ্চিত করা বা সমর্থন করা।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি বলব, গত শুক্রবার যখন আমরা এ নতুন ভিসা বিধি-নিষেধ কার্যকরের ঘোষণা দিয়েছিলাম, তখন আমরা উল্লেখ করেছি, এতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, ক্ষমতাসীন দল ও রাজনৈতিক বিরোধীদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।’

বিএনপির চেয়ারপারসনকে মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেয়ার বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে মিলার জানান, এ বিষয়ে তার কোনো মন্তব্য নেই।

ভিসানীতিতে গণমাধ্যম ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে এক প্রশ্নের জাবাবে তিনি জানান, ভিসা-সংক্রান্ত রেকর্ড গোপনীয় হওয়ায় সুনির্দিষ্ট সদস্য বা ব্যক্তি- কার জন্য এ নীতি প্রযোজ্য হবে, তার ঘোষণা তারা দেননি।

তবে তারা এ বিষয় স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, এ নীতি আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য, ক্ষমতাসীন দল ও রাজনৈতিক বিরোধীদের জন্য প্রযোজ্য হবে।


প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিলেন ওবায়দুল হাসান

প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান
আপডেটেড ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ১১:২৮
নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের ২৪তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিয়েছেন বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। মঙ্গলবার বঙ্গভবনের দরবার হলে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাকে শপথবাক্য পাঠ করান।

গত ১২ সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানকে বাংলাদেশের ২৪তম প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি।

আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ারের সই করা এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৯৫(১) অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারক বিচারপতি ওবায়দুল হাসানকে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দিয়েছেন। এই নিয়োগ শপথ গ্রহণের তারিখ থেকে কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।

বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ১৯৫৯ সালের ১১ জানুয়ারি নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা মরহুম ডা. আলাকুল হোসাইন আহমেদ মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ছিলেন। তিনি গণপরিষদ সদস্য হিসেবে স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের সংবিধান রচনায় সক্রিয় অংশ নেন এবং সংবিধান রচনার পর তাতে স্বাক্ষর করেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএসএস, এমএসএস ও এলএলবি ডিগ্রি অর্জনের পর বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ১৯৮৬ সালে জেলা আদালত, ১৯৮৮ সালে হাইকোর্ট বিভাগ এবং ২০০৫ সালে আপিল বিভাগের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন।

২০০৯ সালের ৩০ জুন তিনি হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি এবং ২০১১ সালের ৬ জুন স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান।

তিনি ১৯৯১ সালে বিচারপতি হাসান নিয়মিত আইনজীবী হিসেবে হংকংয়ে অনুষ্ঠিত ‘ইন্টারন্যাশনাল ল’ইয়ারস কনফারেন্সে’ অংশ নেন। তিনি অনেক সাংবিধানিক মোকদ্দমা পরিচালনা করেন।

বিচারপতি হিসেবে যোগদানের আগে তিনি দেওয়ানি, ফৌজদারি এবং সাংবিধানিক বিষয়াদি সম্পর্কিত মোকদ্দমার একজন দক্ষ আইনজীবী হিসেবে ব্যাপক পরিচিত লাভ করেন। তিনি দীর্ঘদিন ধানমন্ডি ল’ কলেজের একজন খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন।

তিনি ২০১২ সালের ২৫ মার্চ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এর একজন সদস্য হিসেবে যোগদান করেন এবং পরবর্তীকালে একই সালের ১৩ ডিসেম্বর থেকে ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ওই ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

বিচারপতি হাসান অনেক দেশ ভ্রমণ করেছেন। এর মধ্যে অন্যতম পাকিস্তান, নেপাল, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, চীন, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ডস, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইন্দোনেশিয়া, তুরস্ক, ফ্রান্স, সুইজারল্যান্ড, সৌদি আরব ইত্যাদি।

তার একমাত্র ছেলে আহমেদ শাফকাত হাসান আইনবিষয়ক একজন গবেষক। তিনি যুক্তরাজ্যের ইনার টেম্পল থেকে বার-এট-ল করার পর ইউনিভার্সিটি অব ডারহাম থেকে আন্তর্জাতিক আইন বিষয়ে এলএলএম ডিগ্রি অর্জন করেন। এখন ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি প্রোগ্রামে অধ্যয়নরত। তার স্ত্রী নাফিসা বানু বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষের নির্বাহী বোর্ডের সদস্য (অর্থ) হিসেবে কর্মরত।


২৮ উপ-পরিচালককে র‌্যাঙ্ক ব্যাজ পরালেন আনসার-ভিডিপির ডিজি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদ্য পদোন্নতিপ্রাপ্ত ২৮ কর্মকর্তাকে উপ-পরিচালকের র‌্যাঙ্ক ব্যাজ পরিয়ে দিয়েছেন বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল এ কে এম আমিনুল হক। গত রোববার ব্যাজ পরানো অনুষ্ঠান বাহিনীর সদর দপ্তরের অপস কনফারেন্স কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় বাহিনীর অতিরিক্তি মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খোন্দকার ফরিদ হাসান, উপমহাপরিচালক প্রশাসন কর্নেল মো. নাজিম উদ্দিন, উপমহাপরিচালক অপারেশন্স এ কে এম জিয়াউল আলম, বিভিন্ন রেঞ্জ থেকে আসা রেঞ্জ কমান্ডার, বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি একাডেমির ভারপ্রাপ্ত কমান্ড্যান্ট, পরিচালকরা সহ-সদর দপ্তরের অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

পদোন্নতিপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা ৩৬তম বিসিএস এর মাধ্যমে সহকারী পরিচালক পদে ২০১৮ সালে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীতে যোগদান করেন। ৫ বছর সন্তোষজনকভাবে কর্মজীবন অতিক্রম করায় গত ২১ সেপ্টেম্বর ২৮ কর্মকর্তাকে উপ-পরিচালক পদে পদোন্নতি প্রদান করা হয়।

রোববার অত্যন্ত আড়ম্বরভাবে বিভিন্ন ইউনিট থেকে কর্মকর্তাদের সদর দপ্তরে এনে র‌্যাঙ্ক ব্যাজ পরিয়ে দেয়া হয়। একই সঙ্গে বাহিনীর মহাপরিচালক তাদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান এবং তাদের সঙ্গে নিয়ে কেক কাটা হয়। বিজ্ঞপ্তি


বিএসটিআইয়ের অভিযানে মধুময় মিষ্টান্ন ভাণ্ডারকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ঢাকা মহানগরীর মোহাম্মদপুর, বছিলা ব্রিজ এলাকায় গতকাল সোমবার এপিবিএন-১১-এর সহযোগিতায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকালে মধুময় মিষ্টান্ন ভাণ্ডারকে বিএসটিআই আইন, ২০১৮ অনুসারে সিএম লাইসেন্স গ্রহণ ব্যতীত ফার্মেন্টেড মিল্কপণ্য বিক্রয়, বিতরণ ও বাজারজাত করার অপরাধে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

একই এলাকায় ইনাডা অ্যাকুয়া ড্রিংকিং ওয়াটার নামীয় প্রতিষ্ঠানে অভিযান পরিচালনা করে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানটি প্যাকেজড ড্রিংকিং ওয়াটার বাজারজাতের উদ্দেশ্যে বেশ কিছু নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর জার মজুত রেখেছে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের উপস্থিতিতে এসব জার ধ্বংস করা হয়।

আরলা ফুডস লি. বছিলা ডিপোতে বিএসটিআইয়ের অভিযান পরিচালনা করে পণ্যসামগ্রী যথাযথ প্রক্রিয়ায় সংরক্ষণ করতে দেখা যায়। প্রতিষ্ঠানটি অনুমোদিত পণ্য সঠিকভাবে সংরক্ষণের পাশাপাশি ওয়্যারহাউজের পরিবেশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখায় এবং বাজারজাতকরণের পূর্বেই প্রতিটি প্যাকেটের মান যাচাই করায় বিজ্ঞ আদালত প্রতিষ্ঠানটিকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

অপর দুটি প্রতিষ্ঠান রসমালাই সুইটস অ্যান্ড কনফেকশনারি এবং রাজভোগ ভিআইপি সুইটসকে লাইসেন্সের কপি শোরুমে সংরক্ষণ ও প্রদর্শনের জন্য বিজ্ঞ আদালত নির্দেশ প্রদান করেন।

মোবাইল কোর্ট বিএসটিআইয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নুসরাত আজমেরী হকের নেতৃত্বে পরিচালিত হয়। প্রসিকিউটর হিসেবে রিগ্যান বৈদ্য, ফিল্ড অফিসার (সিএম), বিএসটিআই, ঢাকা এবং সুবহানা নওশিন, পরিদর্শক (মেট্রোলজি), ডিএমআই, ঢাকা দায়িত্ব পালন করেন। বিজ্ঞপ্তি


প্রবাসী আয় বাড়লে কমবে অর্থনৈতিক সংকট: অর্থমন্ত্রী

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক চাপ রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় বাড়লে ধীরে ধীরে কেটে যাবে বলে মনে করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। ডলার সংকটকে দুশ্চিন্তার জায়গা উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, রেমিট্যান্স বাড়াতে কাঠামোগত সংস্কারের কথা ভাবছে সরকার। সোমবার রাজধানীর কাওরানবাজারের একটি অভিজাত হোটেলে ‘সরকারি আর্থিক ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্বব্যাংক যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

অর্থমন্ত্রী এ সময় জানতে চান, রেকর্ড পরিমাণ শ্রমিক প্রবাসে থাকার পরও কেন রেমিট্যান্স আসছে না? বলেন, কেন রেমিট্যান্স বাড়ছে না তার সুনির্দিষ্ট কারণ খুঁজে বের করতে হবে। আর এসবের সমাধানের পথও দ্রুত বের করার পরামর্শ দেন মুস্তফা কামাল। এ জন্য তিনি দেশের স্বনামধন্য অর্থনীতিবিদদের কাছেও পরামর্শ আহ্বান করেন।

অর্থনীতিবিদদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা রেমিট্যান্স বাড়াতে পরামর্শ দিলে আমরা তা সাদরে গ্রহণ করব। প্রবাসী আয় বাড়লে ডলার সংকট ও রিজার্ভের ওপর চাপসহ বহু সমস্যার সমাধান হবে।’

অর্থমন্ত্রী বলেন, বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে সরকারের সংশ্লিষ্টদের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে হবে।

তিনি বলেন, বর্তমানে বহু মানুষ দেশের বাইরে যাচ্ছেন। তরুণরা স্কলারশিপ নিয়ে উন্নত দেশে গিয়ে স্থায়ী হচ্ছেন। শ্রমিকদের বৈধপথে বিদেশ যাওয়ার পরিমাণ আগের চেয়ে বেড়েছে। তবে সেই তুলনায় দেশে রেমিট্যান্স আসছে না। ‘রেমিট্যান্সটা যদি বাড়ত, যেভাবে আগে আসছিল সেভাবে, তাহলে অর্থনৈতিক সমস্যার সমাধান হয়ে যেত,’ বলেন অর্থমন্ত্রী।

অনুষ্ঠানে বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ ও ভুটানের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদুলায়ে সেক সরকারি তহবিলের যথাযথ ব্যবহারের ওপর জোর দেন।

তিনি বলেন, সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা, সরকারি তহবিলের যথাযথ ব্যবহার ২০২৬ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে নিতে সহায়ক হবে। সরকারি তহবিল ব্যবস্থাপনা টেকসই করতে ৬টি খাত সংস্কারে মনোযোগ দেয়ার আহ্বান জানান তিনি। এ ছাড়া তহবিল ব্যবহারে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করার আহ্বান জানান বিশ্বব্যাংক কান্ট্রি প্রধান। একই সঙ্গে নতুন নতুন উদ্ভাবন ও প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়িয়ে প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা তৈরির পরামর্শ দেন তিনি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার এ সময় পেশাদারত্বের ওপর জোর দেন। বলেন, কার্যকর পাবলিক ফিন্যান্সিয়াল ম্যানেজমেন্টের জন্য এ খাতে পেশাদার জনবল তৈরি করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, একজন মানুষ সব কাজ করবে, এই ধারণা থেকে বের হতে হবে। যে যেই বিষয়ে ভালো জানেন, তাকে সে বিষয়ে পারদর্শী করে গড়ে তুলতে হবে।

দিনব্যাপী কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন অর্থমন্ত্রণালয়ের সচিব মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার। বিশেষ অতিথি ছিলেন সরকারের সাবেক পাঁচ অর্থসচিব জাকির আহমেদ খান, ড. মোহাম্মদ তারেক, ফজলে কবির, মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী ও আব্দুর রউফ তালুকদার।


banner close