শনিবার, ৪ মে ২০২৪

বড় দল ছাড়া নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক বলা যাবে না: ইসি

নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর। ফাইল ছবি
আপডেটেড
২৯ মার্চ, ২০২৩ ১৮:১৭
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত : ২৯ মার্চ, ২০২৩ ১৮:১৫

দেশের বড় বড় রাজনৈতিক দলগুলো যদি নির্বাচনে অংশ না নেয় তাহলে সে নির্বাচনকে পুরোপুরি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন বলা যাবে না বলে মনে করেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর। তবে দেশের ইতিহাসে যতগুলো নির্বাচন হয়েছে কোনো নির্বাচনেই সবগুলো দল অংশ নেয়নি বলে জানান এই কমিশনার। এছাড়া সংসদীয় আসনের সীমানায় ১২৬টি আবেদন খসড়া বিপক্ষে আর পক্ষে ৬০টি আবেদন পড়েছে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন তিনি।

বুধবার রাজধানীর আগারগাওঁয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মো. আলমগীর এসব কথা বলেন।

সবগুলো দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে সেটাকে আমরা অংশগ্রহণ মূলক নির্বাচন বলবো জানিয়ে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, ‘বাস্তবতা হচ্ছে যে দেশের ইতিহাসে যতগুলো নির্বাচন হয়েছে কোনো নির্বাচনেই সবগুলো দল অংশগ্রহণ করেনি। কাজেই সেই নির্বাচনগুলোকে অংশগ্রহণমূলক হয়নি বলা যাবে না। ৭০ সালের নির্বাচনে কিন্তু সব দল অংশ নেয়নি। কিছু কিছু দল সেই নির্বাচনের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিল। কাজেই এক দুইটা রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ না করলেই যে অংশগ্রহণমূলক বলা যাবে না; একথা বলা যাবে না। তবে এটা ঠিক যে যেগুলো বড়বড় রাজনৈতিক দল আছে, সে বড়বড় দলগুলো অংশগ্রহণ না করে তাহলে পুরোপুরি অংশগ্রহণমূলক বলা যাবে না।

সংসদীয় আসনের সীমানা নিয়ে ১৮৬ আবেদন পড়েছে উল্লেখ করে এই কমিশনার বলেন, ‘১৮৬টা আবেদন পড়েছে। ১২৬টা আপত্তি খসড়ার বিপক্ষে, ৬০টি পড়েছে পক্ষে। পক্ষে-বিপক্ষে থাকলেও শুনানি। ঈদের আগে শুনানি হবে কি-না বলা যাচ্ছে না। জুনের মধ্যে আমরা সিদ্ধান্ত নেবো। শুনানি শুরু করার তারিখ এখনো হয়নি।’

ফখরুল চিঠির জবাবে দেবে না, এখন কী করবেন এমন প্রশ্নের জবাবে এই কমিশনার বলেন, ‘আমরা কমিশন বৈঠকে আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবো। আমরা একটা সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করবো। এরপর আবার বসে সিদ্ধান্ত করবো। পরবর্তী পদক্ষেপ আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেবো।’

খালেদা জিয়া কি প্রার্থী হতে পারবেন-এমন প্রশ্নের জবাবে এই কমিশনার জানান, ‘উনি নমিমেশন সাবমিট করলে রিটার্নিং কর্মকর্তা অবস্থা পরীক্ষা নীরিক্ষা করবেন অবস্থা কী। কারণ এখন যে অবস্থা, আর তখনকার অবস্থা তো আলাদা হতে পার। এই মুহূর্তে তো বলা যাবে না।’


অস্থির মুরগির বাজার, ঊর্ধ্বমুখী সবজির দাম

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ৪ মে, ২০২৪ ০০:০৯
নিজস্ব প্রতিবেদক

তীব্র দাবদাহের কারণে ঢাকার বাজারগুলোতে মুরগির বাজারে অস্থিরতা দেখা গেছে। ব্রয়লার ও সোনালি মুরগি কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে ২১০ ও ৩৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। চলতি সপ্তাহে পেঁয়াজ ও সবজির দামও বেড়েছে। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর শেওড়াপাড়া ও তালতলা বাজার ঘুরে ক্রেতা এবং বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।

এসব বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্রয়লার মুরগি ২১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহের বৃহস্পতিবারও ১৮৫ থেকে ১৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছিল। আজ শুক্রবার সোনালি মুরগি ৩৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে যা ছিল ৩৭০ টাকা কেজি। সোনালি হাইব্রিড ৩৬০ টাকা, দেশি মুরগি ৬৮০ থেকে ৭০০ টাকা কেজি, লেয়ার মুরগি ৩২০ টাকা এবং সাদা লেয়ার ৩১০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

তীব্র গরমের কারণে বেশ কয়েকদিন ধরেই মুরগির বাজারে অস্থিরতা চলছে বলে জানালেন শেওড়াপাড়ার অলি মিয়ার বাজারের মুরগি ব্যবসায়ী মো. রাকিব। তিনি বলেন, ‘দুদিন আগেও ব্রয়লার ১৮৫ টাকা এবং সোনালি ৩৭০ টাকা দরে বিক্রি করেছি। গতকাল ব্রয়লারের দাম কেজিতে ২০ টাকা বেড়েছে।’

বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুমন হাওলাদার বলেন, বাজারে মুরগির সরবরাহ ঠিক আছে। এ সময় দাম বাড়ার কথা নয়। বড় করপোরেট প্রতিষ্ঠানের চুক্তিভিত্তিক খামারিরা বেশি দামে বাজারে মুরগি বিক্রি করছেন।

সুমন হাওলাদার জানান, বাড়তি গরমের কারণে গত দুই সপ্তাহে দেশের বিভিন্ন এলাকার প্রান্তিক খামারিদের কয়েক লাখ মুরগি মারা যায়। এতে অনেক খামারি বাজারে মুরগি বিক্রি করে দেন। তাতে সরবরাহ বাড়ায় মুরগির দাম কমে যায়। তবে দুই-তিন দিন ধরে করপোরেট প্রতিষ্ঠানের চুক্তিভিত্তিক খামারিরা বাড়তি দামে মুরগি বিক্রি শুরু করেছেন। মুরগির পাশাপাশি তারা ডিমের দামও বাড়িয়েছেন।

শুধু মুরগি নয়, বাজারে সব ধরনের সবজি চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। বাজারগুলোতে গ্রীষ্মকালীন সবজি কচুরমুখী ১৪০ টাকা, বেগুন ৫০ থেকে ৬০ টাকা, করলা ৭০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকায়, শসা ৮০ টাকা, প্রতিটি লাউ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ৫০ টাকা, ধুন্দুল ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৭০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা, ঝিঙা ৮০ টাকা, সাজনা ১৬০ টাকা এবং কাঁচা আম প্রকারভেদে ৬০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

বাজারগুলোতে প্রতি কেজি মুলা বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা, শিম ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজি, ফুলকপি ৪০ থেকে ৫০ টাকা পিস, বাঁধাকপি ৪০ থেকে ৫০ টাকা পিস, ব্রকোলি ৪০ টাকা পিস, পাকা টমেটো প্রকারভেদে ৪০ থেকে ৬০ টাকা এবং গাজর ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এসব বাজারে লেবুর হালি ২০ থেকে ৬০ টাকা, ধনে পাতা ২০০ থেকে ২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে, কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়া কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা ও কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে।

এ ছাড়া বাজারগুলোতে লাল শাক ১০ টাকা আঁটি, লাউ শাক ৩০ টাকা, মুলা শাক ১৫ টাকা, পালং শাক ১০ থেকে ১৫ টাকা, কলমি শাক ১০ টাকা আঁটি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে। বাজারগুলোতে দেশি পেঁয়াজ কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে ৭০ টাকা দরে আর আলু ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

সবজির দাম বাড়তি নিয়ে মালিবাগ বাজারের বিক্রেতা আবুল কালাম আজাদ বলেন, কয়েকদিনের অতিরিক্ত গরমের কারণে সবজির দাম কিছুটা বেড়েছে। এর মূল কারণ অতিরিক্ত গরমে সবজি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। খেত থেকে ফসল তুলতে পারছে না কৃষক, আবার ফসল নষ্ট হয়ে যাওয়া ঠেকাতে বারবার সেচ দেওয়া লাগছে জমিতে, যে কারণে উৎপাদন খরচ বাড়ছে। এ ছাড়া গেল কয়েকদিনের তীব্র গরমে ঢাকায় সবজির সরবরাহ কিছুটা কমেছিল, যার প্রভাব পড়েছে বাজারে।

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা পাইকারি বাজার থেকে যখন যেমন দামে মাল কিনে আনি, তখন সে রকম দামেই খুচরা বাজারে বিক্রি করি। এখন কিনতে দাম বেশি পড়ছে, তাই বিক্রিতেও একটু বেশি দাম রাখতে হচ্ছে।’

এসব বাজারে গরুর মাংস কেজিপ্রতি ৬৫০ থেকে ৭৫০ টাকা, গরুর কলিজা ৭৫০ টাকা, গরুর মাথার মাংস ৪৫০ টাকা, গরুর বট ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা এবং খাসির মাংস কেজিপ্রতি ১০৫০-১১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এক ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়, হাঁসের ডিম ১৮০ টাকা, দেশি মুরগির ডিমের হালি ৮৫ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।

বাজারগুলোতে ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ মাছ কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ১২০০ টাকা এবং ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রামের মাছ ১৫০০ টাকা, এক কেজি শিং মাছ চাষের (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৬০০ টাকায়, প্রতি কেজি রুই মাছের দাম বেড়ে (আকারভেদে) ৪০০ থেকে ৬০০ টাকায়, মাগুর মাছ ৯০০ থেকে ১২০০ টাকা , মৃগেল ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকায়, পাঙাশ ২১০ থেকে ২৩০ টাকায়, চিংড়ি প্রতি কেজি ৮০০ থেকে ১৩০০ টাকায়, বোয়াল মাছ প্রতি কেজি ৫০০ থেকে ৯০০ টাকায়, কাতল ৪০০ থেকে ৬০০ টাকায়, পোয়া মাছ ৪০০ থেকে ৬০০ টাকায়, পাবদা ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায়, তেলাপিয়া ২২০ টাকায়, কৈ মাছ ২২০ থেকে ২৪০ টাকায়, মলা ৫০০ টাকা, বাতাসি টেংরা ১৬০০ টাকায়, টেংরা মাছ ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, কাচকি মাছ ৬০০ টাকায়, পাঁচ মিশালি মাছ ২২০ টাকায়, রুপচাঁদা ১২০০ টাকা, বাইম মাছ ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকা, দেশি কই ১২০০ টাকা, মেনি মাছ ৭০০ টাকা, সোল মাছ ৬০০ থেকে ১০০০ টাকা, আইড় মাছ ৭০০ থেকে ১০০০ টাকা, বেলে মাছ ৭০০ টাকা এবং কাইক্কা মাছ ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।


হজযাত্রীদের সেবায় কমিটি গঠন করল ডিএনসিসি

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

হজযাত্রীদের সেবায় ১২ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। এই কমিটি আশকোনা হজ ক্যাম্প এলাকার চারপাশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও মশক নিধন, ফুটপাত মেরামত, রাস্তার পাশে বাতি সচল রাখাসহ সার্বিক কার্যক্রম পরিচালনা করবেন।

আজ শুক্রবার ডিএনসিসি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। এর আগে ডিএনসিসির সচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক একটি অফিস আদেশ জারি করে ১২ সদস্যের এই কমিটির অনুমোদন দেন।

সচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক জানান, গঠিত কমিটি প্রতিদিন সন্ধ্যায় সচিবের দপ্তরে এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন পাঠাবে। কমিটির কোনো সদস্যের দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ পাওয়া গেলে বিধিমোতাবেক তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ডিএনসিসি সূত্রে জানা গেছে, কমিটির ‍উপদেষ্টা হিসেবে আছেন ডিএনসিসির ৪৯ এবং ১৭ নম্বর সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর। এ ছাড়া কমিটির আহ্বায়ক অঞ্চল-৭-এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা।

কমিটির বাকি সদস্যরা হলেন ডিএনসিসির স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, অঞ্চল-৭ ও অঞ্চল-১-এর নির্বাহী প্রকৌশলী (পুর), অঞ্চল-১ ও অঞ্চল-৭-এর সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, অঞ্চল-১ ও ৭-এর সহকারী বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এবং অঞ্চল-১ ও ৭-এর সহকারী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ)।


দেশে সাংবাদিকরা স্বাধীনভাবে কাজ করছেন: প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান

নিজস্ব প্রতিবেদক
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. নিজামুল হক নাসিম বলেছেন, সাংবাদিকরা স্বাধীনভাবে কাজ করছেন এবং দেশের মানুষের কাছে স্বাধীনভাবেই সংবাদ পৌঁছে দিচ্ছেন।

আজ শুক্রবার বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস-২০২৪ উপলক্ষে ‘তথ্য ও প্রযুক্তির যুগে গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ জাতীয় ইউনেস্কো ক্লাব অ্যাসোসিয়েশন।

প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, বাংলাদেশে সাংবাদিকরা স্বাধীনভাবে কাজ করছেন। তবে দু-একটি ব্যতিক্রম থাকতেই পারে।’

তিনি বলেন, ‘কেউ কেউ বলেন, আমাদের দেশের সাংবাদিকরা সরকার কর্তৃক নিষ্পেষিত হয়। আমি এর সঙ্গে একমত নই। সাংবাদিকরা যদি কোনো ভুল করেন, সেখানে বিচার আছে, বিচার হতে পারে। বিচারে দোষী হলে শাস্তি হবে, সেটা ভিন্ন কথা।’

সাংবাদিকদের উদ্দেশে বিচারপতি মো. নিজামুল হক নাসিম বলেন, ‘সাংবাদিকদের সত্য বলতে হবে, লিখতে হবে। তবে সেই সত্য যেন দেশপ্রেমের সত্য হয়। সেই সত্যের মাধ্যমে দেশের যেন কোনো ক্ষতি না হয় এটা আমাদের মনে রাখতে হবে। আপনি যা দেখবেন তা লিখতে পারেন না যদি দেখা যায়, তা লিখলে সমাজের ক্ষতি হবে, দেশের ক্ষতি হবে। কিন্তু স্বাধীনভাবে লেখার যে অধিকার সেই অধিকার সাংবাদিকদের থাকতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা চাই, সাংবাদিক, সম্পাদক এবং মালিক এই তিনটা পক্ষ মিলেই এ দেশের সাংবাদিকতার উন্নয়নে কাজ করবে। প্রেস কাউন্সিলের আইনে যতটুকু ক্ষমতা আমাকে দেওয়া আছে, এই ক্ষমতা যদি সাংবাদিকদের উন্নয়নে প্রয়োগ করতে হয়, তাহলে এটি প্রয়োগ করতে আমরা পিছপা হব না।’

সাংবাদিক মনজুরুল আহসান বুলবুলের সভাপতিত্বে ও বাংলাদেশ জাতীয় ইউনেস্কো ক্লাব অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব মো. মাহবুব উদ্দিন চৌধুরীর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় ইউনেস্কো ক্লাব অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অধ্যপক সৈয়দা নিলুফার নাসরিন।


বৃষ্টির প্রবণতা বাড়বে, গরম আরও কমবে

৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস
ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

তীব্র গরমের পর দেশের অনেক জায়গায় গত বৃহস্পতিবার বৃষ্টি হয়েছে। এতে জনজীবনে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, বৃষ্টির এই প্রবণতা আরও বাড়ার পাশাপাশি তাপমাত্রাও আরও কমবে। আজ শুক্রবার সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্র জানায়, ঢাকায় গত বৃহস্পতিবার ১০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়। এর আগে রাজধানীতে সর্বশেষ বৃষ্টি হয়েছিল ১৭ এপ্রিল, তা-ও মাত্র এক মিলিমিটার।

দেশে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয় রাঙামাটিতে, ৬৭ মিলিমিটার। এ ছাড়া ফেনীতে ৩১ মিলিমিটার, কুমিল্লায় ২৪ মিলিমিটার ও সন্দ্বীপে ১৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়। চট্টগ্রাম বিভাগের আরও কয়েকটি স্থানে এবং সিলেটেও বৃষ্টি হয় বৃহস্পতিবার।

এই বৃষ্টির ফলে দেশের বিভিন্ন স্থানে তাপমাত্রা কমেছে বলে জানান আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক। তিনি বলেন, ‘পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলো ছাড়া দেশের প্রায় সবখানে তাপমাত্রা কমেছে। বরিশাল বিভাগে তাপমাত্রা আগের দিনের মতোই আছে।

আজ শুক্রবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় যশোরে ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ ঢাকার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৮ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এ কে এম নাজমুল হক বলেন, আগামীকাল দেশের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। পরদিন রোববার অবশ্য তাপমাত্রা অনেকটা বাড়তে পারে। তবে সোমবার তাপমাত্রা অনেকটা কমে যেতে পারে।

আবহাওয়ার বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল হয়ে উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এ অবস্থায় আজ সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। এ সময়ে চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং ঢাকা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের দুই-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে।

এ ছাড়া রাজশাহী, পাবনা, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। চাঁদপুর জেলাসহ ঢাকা, রংপুর, ময়মনসিংহ ও বরিশাল বিভাগ এবং রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা দেশের কিছু কিছু জায়গা হতে প্রশমিত হতে পারে।

আগামীকাল শনিবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দুই-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। তবে, দেশের পশ্চিমাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে বিরাজমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানায়, আগামী রোববার সারা দেশে দিনের এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে। এ সময়ে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে এবং সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে।

এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। বিরাজমান তাপপ্রবাহ দেশের কিছু কিছু এলাকা থেকে প্রশমিত হতে পারে। বর্ধিত পাঁচ দিনের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সারা দেশে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বিস্তার লাভ করতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা আরও হ্রাস পেতে পারে।

অন্যদিকে আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেন স্বাক্ষরিত আরেক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বরিশাল, পটুয়াখালী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার জেলার ওপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এ সময় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। তাই এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।


খাড়িয়া ভাষা সংরক্ষণে উদ্যোগ গ্রহণের আহবান প্রধান বিচারপতির

প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের সঙ্গে ভেরোনিকা ও ক্রিস্টিনা। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

খাড়িয়া ভাষা সংরক্ষণে উদ্যোগ গ্রহণের আহবান জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।

তিনি মৌলভীবাজার জেলা সফরের অংশ হিসেবে মৌলিভীবাজারে অবস্থিত বাংলাদেশ চা গবেষণা কেন্দ্রে শ্রীমঙ্গলের রাজঘাট চা বাগানে বিলুপ্তপ্রায় খাড়িয়া ভাষায় কথা বলতে সক্ষম শেষ দুই ব্যক্তির সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আজ শুক্রবার এ আহবান জানান।

এ সময় প্রধান বিচারপতি বলেন, আমাদের রাষ্ট্রভাষা বাংলা, কিন্তু অনেকের মাতৃভাষা ভিন্ন। ইতোমধ্যে সরকারের তরফ থেকে খাড়িয়া ভাষা রক্ষায় কিছু উদ্যোগ নেয়া হলেও এ লক্ষ্যে আরও পদক্ষেপ গ্রহন করা প্রয়োজন। ভারতের যে সকল অঞ্চলে এ ভাষার প্রচলন আছে, সেখানে যোগাযোগ স্থাপন করে খাড়িয়া বর্ণমালা প্রচলনের মাধ্যমে বাংলাদেশে এ ভাষার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্মাণের জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানান প্রধান বিচারপতি।

খাড়িয়া ভাষায় কথা বলতে সক্ষম মাত্র দুই জন ব্যক্তি অবশিষ্ট আছেন বাংলাদেশে, যারা সম্পর্কে দুই বোন। এদের নাম ক্রিস্টিনা কেরকেট্টা ও ভেরোনিকা কেরকেট্টা। ভারতের রাঁচি থেকে তাঁদের বাবা মা বাংলাদেশে এসেছিলেন। ভারতের ঝাড়খন্ড এবং উড়িষ্যায় খাড়িয়া ভাষার প্রচলন আছে।

উল্লেখ্য, ৩০ এপ্রিল সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় কুশিয়ারা আন্তর্জাতিক কনভেনশন হলে আয়োজিত এক নাগরিক সংবর্ধনায় প্রধান বিচারপতি খাড়িয়া ভাষা ও নাগরী লিপি সংরক্ষণের আহবান জানান।


ওরাল ক্যানসার সম্পর্কে নাগরিকদের সচেতন হতে হবে

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন (রিমি) বলেছেন, বাংলাদেশে দিন দিন ওরাল ক্যানসারে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে চলেছে। ওরাল ক্যানসার সম্পর্কে নাগরিকদের সচেতন হতে হবে। আজ শুক্রবার গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলায় শান্তি ক্যানসার ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এবং প্রতিমন্ত্রীর সহযোগিতায় আয়োজিত ওরাল ক্যানসারবিষয়ক সচেতনতামূলক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

ওরাল ক্যানসার সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে এই ক্যানসার অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে মূলত লিভার, স্তন, কোলন ও ওরাল ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে রোগীরা হাসপাতালে ভর্তি হন। এর মধ্যে অধিকাংশ ওরাল ক্যানসারে আক্রান্ত রোগীরা জানেন না কীভাবে এই ক্যানসার সংক্রমিত হয়।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, পান, জর্দা, গুল ইত্যাদির মাধ্যমে ওরাল ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। এসব দ্রব্য সেবন থেকে বিরত থাকার জন্য প্রতিমন্ত্রী আহ্বান জানান। ওরাল ক্যানসার প্রতিরোধে রাতে ঘুমানোর পূর্বে উত্তম রূপে দাঁত ব্রাশ করার পরামর্শ দেন তিনি।

সিমিন হোসেন বলেন, ক্যানসারের চিকিৎসা একটি ব্যয়বহুল চিকিৎসা। শুধু সরকারি অনুদানের মাধ্যমে দেশের সব ক্যানসার আক্রান্ত রোগীর পাশে দাঁড়ানো সম্ভব নয়। তিনি এ লক্ষ্যে দেশের বৃত্তশালী মানুষদের মানবিক হয়ে ক্যানসার রোগীদের পাশ দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।

তিনি আরও বলেন, মে মাস ওরাল ক্যানসার প্রতিরোধের মাস। শান্তি ফাউন্ডেশনে ওরাল ক্যানসার পরীক্ষা করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে দেশের খ্যাতনামা ক্যানসার বিশেষজ্ঞ এবং শান্তি ক্যানসার ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা প্রফেসর পারভীন শাহিদা আখতার উপস্থিত ছিলেন।


সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় বাংলাদেশের সাফল্যের প্রশংসায় যুক্তরাষ্ট্রের ‘নেসা সেন্টার’

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় বাংলাদেশের সাফল্যের প্রশংসা করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ‘নেসা সেন্টার’।

মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তরের অন্যতম প্রধান প্রতিষ্ঠান নিয়ার ইস্ট সাউথ এশিয়া (নেসা) সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ এর একটি প্রতিনিধিদল বুধবার ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ দূতাবাস পরিদর্শনকালে এ প্রশংসা করেন বলে আজ ঢাকায় প্রাপ্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

এ সময় প্রতিনিধি দলটি মিশনের কর্মকর্তাদের সাথে একটি ইন্টারেক্টিভ সেশনে অংশগ্রহণ করেন।

নেসা সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ এর ডিস্টিংগুইশ প্রফেসর ড. হাসান আব্বাস ৪৬ সদস্যের দলটির নেতৃত্ব দেন। প্রতিনিধিদলে ওয়াশিংটন ডিসিতে নেসা সেন্টার আয়োজিত একটি সেমিনারে ২৮টি দেশের অংশগ্রহণকারী ব্যক্তিবর্গ অন্তর্ভুক্ত ছিলেন।

ড. আব্বাস ইন্টারঅ্যাকটিভ সেশনে বক্তৃতাকালে সন্ত্রাস, সহিংস চরমপন্থা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বাংলাদেশের সাফল্যের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

বাংলাদেশের সমৃদ্ধ ইতিহাস, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনে তিনি বাংলাদেশের ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্বদের দ্বারা দারুনভাবে অনুপ্রাণিত হয়েছেন।

ড. আব্বাস বলেন, তার প্রতিষ্ঠান- নেসা সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে আরও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক কামনা করে এবং আরও সমৃদ্ধ ও উন্নত বাংলাদেশ দেখতে চায়।

যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান দূতাবাসে নেসা সেন্টারের প্রতিনিধিদলকে স্বাগত জানান এবং অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

রাষ্ট্রদূত ইমরান তার মূল বক্তব্যে বাংলাদেশের ইতিহাস এবং দেশের সাম্প্রতিক আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের কথা বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেন। তিনি রোহিঙ্গা সংকট ইস্যু এবং সন্ত্রাসবাদ ও চরমপন্থা মোকাবেলায় বাংলাদেশের সাফল্য এবং গ্লোবাল কমিউনিটি এনগেজমেন্ট অ্যান্ড রিজিলিয়েন্স ফান্ড (জিসিইআরএফ)-এ দেশের অগ্রগতির ওপরও আলোকপাত করেন।

রাষ্ট্রদূত সন্ত্রাসবাদের বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ কার্যকরভাবে মোকাবেলা করার জন্য সকল দেশের সমন্বিত প্রচেষ্টা গ্রহণের প্রয়োজনীয়তার উপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, সন্ত্রাসবাদ একটি বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ এবং কোন দেশের পক্ষে এককভাবে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা সম্ভব নয়।

দীর্ঘস্থায়ী রোহিঙ্গা সঙ্কট প্রসঙ্গে রাষ্ট্রদূত ইমরান মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত সকল রোহিঙ্গাদের তাদের জন্মভুমিতে টেকসই ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনের বিষয়ে বাংলাদেশের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেন।

তিনি বলেন, যদি সমস্যাটি আরও দীর্ঘায়িত হয় তবে এটি সমগ্র অঞ্চলের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতাকে প্রভাবিত করতে পারে এবং উন্নয়ন উদ্যোগকে হুমকির মুখে ফেলতে পারে।

দূতাবাসের ফার্স্ট সেক্রেটারি অহিদুজ্জামান নুর সন্ত্রাস ও চরমপন্থা মোকাবেলায় বাংলাদেশের বিভিন্ন উদ্যোগ ও সাফল্যের বিষয়টি প্রতিনিধিদলের সামনে তুলে ধরেন। ফার্স্ট সেক্রেটারি আতাউর রহমান অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন এবং এর সার্বিক সমন্বয়ে ছিলেন কাউন্সেলর ও দূতালয় প্রধান শামীমা ইয়াসমিন স্মৃতি।


জাতিসংঘে বাংলাদেশের ‘শান্তির সংস্কৃতি’ প্রস্তাব সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ উত্থাপিত ‘শান্তির সংস্কৃতি’ শীর্ষক রেজুলেশনটি সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে।

১১২টি দেশ এই রেজুলেশনটিতে কো-স্পন্সর করেছে। জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত বাংলাদেশের পক্ষে রেজুলেশনটি উত্থাপন করেন। গতকাল শুক্রবার ঢাকায় প্রাপ্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়েছে।

এ বছর আলোচ্য রেজুলেশনটি একটি বিশেষ তাৎপর্য্য বহন করে। কেননা এ বছরে শান্তির সংস্কৃতির ঘোষণা ও এ বিষয়ক কর্মসূচি ২৫তম বর্ষে পদার্পণ করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রথম মেয়াদে সরকার পরিচালনার সময় ১৯৯৯ সালে প্রথমবারের মতো জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে শান্তির সংস্কৃতির ঘোষণা এবং এ বিষয়ক কর্মসূচি গৃহীত হয়।

এরপর থেকে প্রতিবছর বাংলাদেশ ‘শান্তির সংস্কৃতি’ রেজুলেশনটি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে উপস্থাপন করে আসছে, যা শান্তি ও অহিংসার সংস্কৃতিকে উন্নীত করার জন্য ৮টি বিশেষ ক্ষেত্রকে চিহ্নিত করে সে অনুযায়ী কার্যক্রম গ্রহনের জন্য সবাইকে আহ্বান জানিয়েছে।

এছাড়া সাধারণ পরিষদের সভাপতির নেতৃত্বে ২০১২ সাল থেকে ‘শান্তির সংস্কৃতি’ বিষয়ে বাংলাদেশ জাতিসংঘে একটি উচ্চ পর্যায়ের ফোরামের আয়োজন করে আসছে।

প্রস্তাবটি উপস্থাপনের সময় রাষ্ট্রদূত মুহিত বিভিন্ন বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জের প্রেক্ষাপটে শান্তির সংস্কৃতির অব্যাহত প্রাসঙ্গিকতা তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, আজ বিশ্ব ক্রমবর্ধমান দ্বন্দ্ব এবং মানবিক মর্যাদা অবজ্ঞার মুখোমুখি। এই ক্রমবর্ধমান সংঘাত ও সহিংসতা উত্তরণে মানবমনে সম্প্রীতি ও সহমর্মিতার ভাবকে পুনরুজ্জীবিত করতে হবে, সমতা ও সব মানুষের সমমর্যাদার চেতনাকে সমুন্নত করতে হবে এবং সর্বোপরি যুদ্ধের চেয়ে শান্তিকে অনেক বেশি লাভজনক করে তুলতে হবে।

এবারের রেজুলেশনটিতে শান্তির সংস্কৃতির ঘোষণা এবং এ বিষয়ক কর্মসূচির ২৫তম বার্ষিকী যথাযথভাবে পালন ও উদযাপনের জন্য সাধারণ পরিষদের সভাপতিকে দিনব্যাপী একটি উচ্চ পর্যায়ের ফোরাম আহ্বান করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।

এছাড়া এ রেজুলেশনে সাধারণ পরিষদের সদস্য রাষ্ট্র, জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক সংস্থা, নাগরিক সমাজ, বেসরকারি খাত, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং মিডিয়াসহ অন্যান্য অংশীজনদের শিক্ষা ও জনসচেতনতা সম্প্রসারণসহ অন্যান্য আয়োজনের মাধ্যমে যথাযথভাবে এই বার্ষিকীটি পালনের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

যুদ্ধ ও ধ্বংসযজ্ঞে বাংলাদেশের নিজস্ব অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত মুহিত বলেন, ‘জাতিসংঘে শান্তির সংস্কৃতির ধারণা প্রবর্তনের বাংলাদেশের উদ্যোগটি আমাদের নিজস্ব অভিজ্ঞতা থেকে অনুপ্রাণিত।’

তিনি আরও বলেন, ‘বৈষম্য, বর্ণগত অসহিষ্ণুতা এবং পরাধীনতা আমাদের একটি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধে অংশ নিতে বাধ্য করে। এ কারণেই আমরা শান্তির প্রসারকে আমাদের পররাষ্ট্রনীতির একটি মৌলিক নীতিতে পরিণত করেছি।’

রেজুলেশনটির বিবেচনার পূর্বে শান্তির সংস্কৃতির উপর সাধারণ পরিষদে একটি সাধারণ বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়। এতে বহুসংখ্যক সদস্য রাষ্ট্র বক্তব্য প্রদান করে। এ সময় তারা শান্তির সংস্কৃতির ঘোষণা এবং এ বিষয়ক কর্মসূচি বাস্তবায়নে তাদের প্রতিশ্রুতির কথা পুনর্ব্যক্ত করে।

প্রতিনিধি দলগুলো জাতিসংঘে শান্তির সংস্কৃতির ধারণাকে সুপ্রতিষ্ঠিত করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক নেতৃত্বের কথা উল্লেখ করে বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানান।

১১২টি দেশ এবছর বাংলাদেশের এই রেজুলেশনটিকে কো-স্পন্সর করেছে, যা ‘শান্তির সংস্কৃতি’ শীর্ষক রেজুলেশনটির প্রতি জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর অব্যাহত সমর্থনের সাক্ষ্য বহণ করে।


সাধারণ রোগী হিসেবে এনআইও-তে চোখের চিকিৎসা নিলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুক্রবার টিকিট কেটে এনআইও হাসপাতালে চোখের চিকিৎসা নেন। ছবি: পিআইডি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে (এনআইও) চোখের চিকিৎসা নিয়েছেন।

তিনি আজ সকালে এনআইও হাসপাতালে যান এবং সাধারণ রোগীর মতো বহির্বিভাগে লাইনে দাঁড়িয়ে ১০ টাকার টিকিট কিনেছেন।

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইংয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ কথা বলা হয়।

এর আগেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিয়মিত এই হাসপাতাল থেকে চোখের চিকিৎসা নিয়েছেন।


আগামীকালও ২৫ জেলার স্কুল বন্ধ

ফাইল ছবি।
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের বিভিন্ন স্থানে চলমান তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে শনিবার ২৫ জেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে শুক্রবার এ কথা জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশে চলমান দাবদাহের কারণে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসের ভিত্তিতে খুলনা ও রাজশাহী বিভাগের সব জেলার; ঢাকা বিভাগের ঢাকা ও টাঙ্গাইল জেলার; চট্টগ্রাম বিভাগের চাঁদপুর; রংপুর বিভাগের রংপুর, কুড়িগ্রাম, দিনাজপুর ও নীলফামারী জেলার সব মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শনিবার বন্ধ থাকবে।

এর আগে বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে থাকা ছুটি শেষে শনিবার থেকে মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান চলবে। তবে কিছু জেলায় মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকতে পারে।

এ ছাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো রোববার থেকে খুলবে বলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।


১২ মে এসএসসির ফল প্রকাশ

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

আগামী ১২ মে চলতি বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হবে। এদিন সকাল ১০টায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে ফলাফলের সারসংক্ষেপ ও পরিসংখ্যান তুলে দেবেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। এ সময় তার সঙ্গে থাকবেন ৯টি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানরা।

আজ বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব বরাবর পাঠানো এক চিঠি থেকে এ তথ্য জানা গেছে। চিঠিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১২ মে ফলাফল হস্তান্তর অনুষ্ঠানে অংশ নিতে সম্মতি দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব-১ ইসমাত মাহমুদা চিঠিতে সই করেছেন।

জানা গেছে, এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে অংশ নিতে প্রধানমন্ত্রীর সম্মতির চিঠি পেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

প্রসঙ্গত, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়। এতে সারাদেশের ৩ হাজার ৭০০ কেন্দ্রে ২৯ হাজার ৭৩৫ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশ নেয়। এ বছর মোট পরীক্ষার্থী ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ জন।


রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভকে শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড়াতে হবে

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ৩ মে, ২০২৪ ০০:০৮
সৈয়দ আফজাল হোসেন

আজ ৩ মে, বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস। ১৯৯১ সালে ইউনেসকোর ২৬তম সাধারণ অধিবেশনের সুপারিশ মোতাবেক ১৯৯৩ সালে জাতিসংঘের সাধারণ সভায় ৩ মে তারিখটিকে ‘ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম ডে’ অর্থাৎ বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসের স্বীকৃতি দেওয়া হয়।

এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘পরিবেশগত সংকট মোকাবিলায় সাংবাদিকতা’। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে দিবসটি পালন করা হয়। বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে দেশের সাংবাদিকরা পেশাগত অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করতে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে থাকে।

গণমাধ্যম হিসেবে বিশ্বের সবচেয়ে পুরাতন ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্যপ্রবাহের মাধ্যম হচ্ছে সংবাদপত্র। পরবর্তীতে এর সঙ্গে রেডিও, টেলিভিশন জনপ্রিয় গণমাধ্যম হিসেবে যুক্ত হয়। আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির যুগে অনলাইন নিউজ পোর্টাল পাঠকদের মধ্যে একটি শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করে নিয়েছে।

সাধারণত মুক্ত গণমাধ্যম বলতে বোঝায়, পেশাগত দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে সাংবাদিকরা কোনো প্রকার হয়রানি বা সহিংসতার শিকার হবে না। ভয়ভীতি ছাড়া তারা নির্বিঘ্নে কাজ করতে পারবে। পাশাপাশি তাদের তথ্যে অবাধ প্রবেশাধিকার থাকবে।

১৯৪৮ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ কর্তৃক গৃহীত মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণাপত্রে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও সংবাদমাধ্যমের গুরুত্বকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। ঘোষণাপত্রের ১৯ অনুচ্ছেদে বলা হয়, ‘প্রত্যেকেরই মতামত পোষণ ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রয়েছে; কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ ছাড়া অবাধে মতামত পোষণ করা এবং রাষ্ট্রীয় সীমানানির্বিশেষে যেকোনো মাধ্যমের মারফতে তথ্য ও ধারণাগুলো জানা বা অনুসন্ধান, গ্রহণ ও বিতরণ করা এই অধিকারের অন্তর্ভুক্ত।’

বাংলাদেশের সংবিধানেও চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতা ও বাক্-স্বাধীনতার নিশ্চয়তা প্রদান করা হয়েছে। ‘চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতা এবং বাক্-স্বাধীনতা’ শিরোনামে সংবিধানের ৩৯নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে (১) চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতার নিশ্চয়তাদান করা হইল। (২) রাষ্ট্রের নিরাপত্তা, বিদেশি রাষ্ট্রসমূহের সহিত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক, জনশৃঙ্খলা, শালীনতা ও নৈতিকতার স্বার্থে কিংবা আদালত-অবমাননা, মানহানি বা অপরাধ-সংঘটনে প্ররোচনা সম্পর্কে আইনের দ্বারা আরোপিত যুক্তিসঙ্গত বাধানিষেধ-সাপেক্ষে (ক) প্রত্যেক নাগরিকের বাক্ ও ভাব প্রকাশের স্বাধীনতার অধিকারের এবং (খ) সংবাদপত্রের স্বাধীনতার নিশ্চয়তা প্রদান করা হইল।

সংবাদপত্র বা গণমাধ্যমকে একটা রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ হিসেবে অভিহিত করা হয়। তাই একটি দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার অন্যতম পূর্বশর্ত হলো মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা। এটি সুশাসন প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রেও মুখ্য ভূমিকা পালন করে থাকে।

রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ হিসেবে গণমাধ্যম যাতে শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড়াতে পারে সে জন্য সাংবাদিকরা যেন বিনা বাধায় এবং নিরাপদ পরিবেশে যথাযথভাবে তার দায়িত্ব পালন করতে পারে তার উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব। আর সাংবাদিকদের প্রকৃত স্বাধীনতা ছাড়া মুক্ত গণমাধ্যম সুদূর পরাহত।

শুধুমাত্র পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে বিশ্বের প্রায় সব দেশেই সাংবাদিকরা কমবেশি ভয়ভীতির শিকার হচ্ছেন। বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়। প্রভাবশালী মহলের চাপ, হামলা-মামলা, রাজনৈতিক হুমকির কারণে স্বাধীন সাংবাদিকতাকে অনেক ক্ষেত্রেই বাধার সম্মুখীন হতে হয়। মাঠপর্যায়ে সরকারি কর্মকর্তারাও এ ব্যাপারে কম যান না। সুযোগ পেলেই তারা সাংবাদিকদের নানাভাবে হয়রানি করে থাকেন এমনকি সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মাঝেমধ্যে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপপ্রয়োগ কিংবা ভ্রাম্যমাণ আদালতের অপব্যবহারও হয়ে থাকে। অথচ বর্তমান সরকার কর্তৃক ঘোষিত ‘ডিজিটাল বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশে উত্তরণের’ কর্মসূচি সফলভাবে বাস্তবায়ন করতে সাংবাদিকদের স্বাধীনভাবে ভূমিকা পালনের কোনো বিকল্প নেই।

কেননা, গণমাধ্যম ব্যক্তির মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করে। তথ্য প্রদানের মাধ্যমে জনমত গঠনেও গণমাধ্যমের ভূমিকা অনস্বীকার্য। পাশাপাশি গঠনমূলক সমালোচনার মাধ্যমে সরকারের ভুল-ত্রুটি ধরিয়ে দিয়ে স্বচ্ছতা বৃদ্ধির মাধ্যমে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে। এ ছাড়া মুক্ত গণমাধ্যম মানবাধিকার এবং সামাজিক ন্যায়বিচারের জন্যও অত্যাবশ্যক। তাই গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার মাধ্যমে সমাজের বিকাশ ও উন্নয়নের শক্তিশালী ধারা প্রতিষ্ঠিত হয়।

সংবাদপত্রকে বলা হয় সমাজের দর্পণ। সংবাদপত্র কেবলমাত্র সংবাদ পরিবেশন করে না। সমাজের সার্বিক বিকাশ সাধনেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে। সংবাদপত্র গণতন্ত্রের সদা জাগ্রত প্রহরী। মানবাধিকার লঙ্ঘিত হলে, গণতন্ত্র ব্যাহত হলে, কোথাও দুর্নীতি হলে গণমাধ্যম সবার আগে সোচ্চার হয়ে ওঠে। অন্ধবিশ্বাস ও কুসংস্কারের মতো নানা সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে চেতনার জাগরণ সৃষ্টির মধ্য দিয়ে সমাজকে ইতিবাচক উন্নতির পথে এগিয়ে নিতে সংবাদপত্রের ভূমিকা অনস্বীকার্য।

তবে পেশাগত দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে সাংবাদিকদের বিশেষভাবে মনে রাখতে হবে, স্বাধীনতারও একটা সীমাবদ্ধতা রয়েছে। স্বাধীনতার অর্থ এই নয়, যা ইচ্ছে তা করা বা লেখা। সাংবাদিকরা দায়বদ্ধতার ঊর্ধ্বে নন। দেশের প্রতি, সমাজের প্রতি, আইনের প্রতি, স্বীয় বিবেকের প্রতি, নীতি-নৈতিকতার প্রতি অবশ্যই তাদের দায়বদ্ধতা রয়েছে। সাংবাদিকতার নীতিমালা অনুসরণ করে বস্তুনিষ্ঠ লেখনী ও সঠিক এবং পরিপূর্ণ তথ্য পরিবেশনের মাধ্যমে তারা এই দায়বদ্ধতা মেনে চলবেন।

গণমাধ্যমের প্রধান সম্পদ হচ্ছে তার বিশ্বাসযোগ্যতা, যা বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে অর্জন করতে হয়। তবে নানা কারণে আমাদের দেশের গণমাধ্যম তার বিশ্বাসযোগ্যতা হারাতে বসেছে। সাংবাদিকতা পেশার মর্যাদার প্রশ্নে এটি মোটেও সুখকর নয়। কাজেই হলুদ সাংবাদিকতা, অপসাংবাদিকতা কিংবা দায়িত্বহীন সাংবাদিকতা যেন কোনোভাবেই তাদের স্পর্শ না করে সে ব্যাপারে সাংবাদিকদের অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে।

আবার এ কথাও অস্বীকার করার উপায় নেই- অনেকেই নিজেদের স্বার্থে গণমাধ্যমকে অনৈতিকভাবে ব্যবহার করছেন এবং প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে এটাকে প্রোপাগান্ডা যন্ত্রে পরিণত করছেন। কিছু কিছু গণমাধ্যম একপেশে কিংবা পক্ষপাতমূলক সংবাদ পরিবেশন করে থাকে বলেও অভিযোগ রয়েছে।

সাংবাদিকদের একটি প্রতিবেদন তৈরি করার সময় সর্বদা মনে রাখতে হবে- ‘A half-truth is even more dangerous than a lie (অর্ধসত্য মিথ্যার চেয়েও ভয়ংকর)। সুতরাং ‘সত্য কথা লিখতে শিখো ফুঁ দিয়ে ফুলিয়ে নয়, আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে’- বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এই অমর বাণী তাদের অন্তরে ধারণ করতে হবে।

বর্তমান জমানায় নিয়ন্ত্রণহীন ফেসবুক, ইউটিউব ও এক্সসহ নানা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রায়ই গুজব বা ভুল তথ্য ছড়িয়ে সমাজে অস্থিরতা তৈরি কিংবা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করা হয়। শক্তিশালী ও স্থিতিশীল সমাজ গঠনে ওই সব গুজব, মিথ্যা তথ্য ও অপপ্রচার রোধে মুক্ত গণমাধ্যম অত্যাবশ্যক।

সাংবাদিকতা একটি মহান পেশা। এটি মেধা ও মননের পেশা, অধ্যয়ন ও অধ্যবসায়ের পেশা; কিন্তু এ পেশায় নিয়োজিত মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন, জীবনের নিরাপত্তা প্রদানের ক্ষেত্রে সব মহলেরই রয়েছে উদাসীনতা।

অন্যদিকে, পেশাগত দায়িত্ব পালন করার সময় বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অসংখ্য সাংবাদিক হত্যার শিকার হচ্ছেন। কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস (সিপিজে)-এর তথ্যমতে, পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে ২০২৩ সালে বিশ্বজুড়ে কমপক্ষে ৯৯ জন সাংবাদিক মারা গেছেন। এর মধ্যে ৭৭ জনই গাজায় ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধে জীবন হারান।


১২ দিন ধরে নিখোঁজ রিদাতের সন্ধান চায় পরিবার

নিখোঁজ রিদাত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর উত্তরা ৫ নম্বর সেক্টরের দলিপাড়া থেকে বায়েজিদ হোসেন রিদাত নামের একটি শিশু হারিয়ে গেছে। গত ১৯ এপ্রিল বাসা থেকে মাদ্রাসায় যাওয়ার কথা বলে বের হয়ে সে আর ফিরে আসেনি। ১২ দিন ধরে নিখোঁজ শিশুটিকে হন্যে হয়ে খুঁজছে তার পরিবার।

পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত ১৯ এপ্রিল সকালে প্রতিদিনের মতো বাসা থেকে মাদ্রাসার উদ্দেশে রওনা হয় রিদাত। কিন্তু সে আর ঘরে ফিরে আসেনি। তাকে খুঁজে না পেয়ে তার বাবা আব্দুল বাসেদ বাচ্চু গুরুতর অসুস্থ হয়ে বাংলাদেশ-কুয়েত মেডিকেল হাসপাতালে শয্যাশায়ী।

রিদাতের মা রোকসানা বেগম জানান, তার ছেলের বয়স ১২ বছর। গায়ের রং ফর্সা, গঠন পাতলা। তিনি ছেলের সন্ধানে উত্তরা থানায় জিডি করেছেন। তার অনুরোধ কোনো সহৃদয়বান ব্যক্তি তার ছেলে রিদাতের সন্ধান পেলে যেন নিচের নম্বরগুলোতে পরিবারের কাছে খোঁজ জানান। মোবাইল নম্বর: ০১৭৪৮-১৩৮৩২০, ০১৬৩১-৫০০১৯৮, ০১৭৪৯-৬৫৬২০২।


banner close