রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪

ইট তৈরিতে বছরে ১৩ কোটি টন উর্বর মাটি নষ্ট হচ্ছে

ছবি: দৈনিক বাংলা
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত : ৩০ মার্চ, ২০২৩ ২১:০৬

ইট তৈরির জন্য প্রতিবছর তিন হাজার প্রায় ১৩ কোটি টন উর্বর কৃষিজমির মাটি (টপ সয়েল) নষ্ট হচ্ছে। আগামী ১০ বছরে এই টপ সয়েল ব্যবহার ২-৩ শতাংশ বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে। সরকারের পরিবেশ অধিদপ্তরের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

বৃহস্পতিবার শেরেবাংলা নগরে বন অধিদপ্তরে অনুষ্ঠিত পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ প্রতিবেদন দেয়া হয়েছে। কমিটির আগের বৈঠকের সুপারিশ অনুযায়ী এ অগ্রগতি প্রতিবেদন তুলে ধরা হয়।

কমিটি আগের বৈঠকে উর্বর ‍ভূমি ব্যবহারসংক্রান্ত তথ্য তৈরির সুপারিশ করা হয়। এর অগ্রগতি প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের মোট টপ সয়েলের পরিমাণসংক্রান্ত কোনো তথ্য-উপাত্ত পরিবেশ অধিদপ্তরে নেই। বর্তমানে বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম ইট উৎপাদনকারী দেশ বাংলাদেশে ইটের কাঁচামাল হিসেবে কৃষিজমির মানসম্পন্ন ওপরের মাটির ব্যবহার একটি উল্লেখযোগ্য পরিবেশগত এবং অর্থনৈতিক সমস্যা। দেশে বর্তমানে ইটভাটার সংখ্যা প্রায় ৭ হাজার ২০০ এবং বার্ষিক ইট উৎপাদন হয় প্রায় ৩২ দশমিক ৪ বিলিয়ন পিস।

বৈঠকে অপর একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশে ইটভাটাগুলোয় বছরে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার কোটি ইট পোড়ানো হয়। এই ইট তৈরিতে প্রায় ১২ কোটি ২৫ লাখ টন কৃষিজমির উর্বর মাটি ব্যবহার করা হয় এবং ইট তৈরিতে প্রায় ৫৬ লাখ টন কয়লা ব্যবহৃত হয়। এর ফলে দেশে উর্বর কৃষিজমির মাটি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ফলে কৃষি উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে এবং খাদ্য নিরাপত্তার ওপর হুমকি সৃষ্টি করছে। অন্যদিকে বায়ুদূষণ সৃষ্টি করে জনস্বাস্থ্যের ব্যাপক ক্ষতিসাধন করছে। এ ছাড়া ইটভাটার সৃষ্ট দূষণের কারণে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন ও জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলছে।

প্রতিবেদনে গত ২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণসংক্রান্ত জাতীয় কমিটির সিদ্ধান্তের আলোকে পোড়ানো ইটের পরিবর্তে ব্লক ইট ব্যবহার বৃদ্ধিসংক্রান্ত একটি ‍সুপারিশ তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে রয়েছে, ব্লককে বাজারে সহজলভ্য করা এবং অবৈধ ইটভাটাগুলোকে স্থায়ীভাবে বন্ধ করে ইটের সরবরাহ ও চাহিদা পর্যায়ক্রমে কমিয়ে আনা, সরকারের সব উন্নয়ন প্রকল্পে নির্দিষ্ট হারে ব্লকের ব্যবহার বাধ্যতামূলক করে ২০২৩-২০২৪ অর্থবছর থেকে ডিপিপিতে অন্তর্ভুক্তকরণ। এ ছাড়া অবৈধ ইটভাটার কার্যক্রম স্থায়ীভাবে বন্ধে জেলা প্রশাসক ও পরিবেশ অধিদপ্তরকে কঠোর ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ এবং নতুন ইটভাটা স্থাপনের অনুকূলে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র এবং জেলা প্রশাসকের লাইসেন্স প্রদান বন্ধের বিষয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণের সুপারিশও করা হয়।

বৈঠকে সরকারি স্থাপনায় শতভাগ ব্লক ইট ব্যবহার নিশ্চিতকরণে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কমিটি কর্তৃক মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করা হয় বলে সংসদ সচিবালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে। বৈঠকে সারা দেশে জবরদখলকৃত বনভূমি পুনরুদ্ধার কার্যক্রম অব্যাহত রাখার জন্য কমিটি মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করে।

কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন, উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার, নাজিম উদ্দিন আহমেদ, তানভীর শাকিল জয়, রেজাউল করিম বাবলু এবং খোদেজা নাসরিন আক্তার হোসেন অংশ নেন।


প্রভাব খাটালেই এমপিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: ইসি রাশেদা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

নির্বাচন কমিশনার (ইসি) বেগম রাশেদা সুলতানা বলেছেন, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সংসদ সদস্যদের বিরুদ্ধে কোনো দলীয় প্রভাব খাটানোর তথ্য প্রমাণ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সংসদ সদস্যরা এলাকায় অবস্থান করতে পারবেন, ভোট দিতে পারবেন কিন্তু কোনো প্রচার করতে পারবেন না। এমপি-মন্ত্রীদের জনসভার একই মঞ্চে প্রার্থী উপস্থিত থাকলে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

লালমনিরহাট জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে শনিবার দুপুরে রংপুর বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার আবু জাফরের সভাপতিত্বে লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম ও নীলফামারী জেলার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, রিটার্নিং কর্মকর্তা ও প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে এসব কথা বলেন তিনি।

নির্বাচন কমিশনার বলেন, কোনো প্রার্থীর বিরুদ্ধে তথ্য গোপনের অভিযোগ এলে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তারা দেখবেন এবং আইনি ব্যবস্থা নেবেন। তবে তথ্য গোপনের কোনো অভিযোগ নির্বাচন কমিশন পাননি। ভোটারদের উপস্থিতির জন্য নির্বাচন কমিশন থেকে সচেতনতামূলক প্রচারসহ নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

মতবিনিময় সভায় লালমনিরহাট জেলার পাঁচ উপজেলার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী, সম্ভাব্য প্রার্থী, রিটার্নিং কর্মকর্তা, প্রিসাইডিং অফিসাররা উপস্থিত ছিলেন।

মতবিনিময় সভায় রংপুর বিভাগের অতিরিক্ত ডিআইজি রশিদুল হক, লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্ল্যাহ, পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলামসহ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী এবং নারী ও পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে ইসি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ আহসান হাবিব খান বলেছেন, আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কোনো কেন্দ্রে একটা জাল ভোট পড়লেই সেই কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ বন্ধ করে দেওয়া হবে। এ নির্দেশনা ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাদের দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

আগামী ৮ মে বরিশাল সদর ও বাকেরগঞ্জ উপজেলা পরিষদের নির্বাচন। অবাধ নিরপেক্ষ ভোট অনুষ্ঠানে ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাদের নানা দিকনির্দেশনা দেন তিনি। এর আগে বরিশাল জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনার বৈঠক করেন। গতকাল শনিবার সকালে বৈঠকটি হয়।

ইসি হাবিব বলেন, যদি ভোটকেন্দ্রে কেউ অস্বস্তিকর পরিবেশ সৃষ্টি করে বা স্বাভাবিক পরিবেশের বিঘ্ন ঘটায় তাহলে আইন শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীকে ডেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে ভোট কার্যক্রম শুরু করা হবে। আর যদি এর থেকেও শক্তিশালী ঘটনা ঘটে- যেমন ভোটকেন্দ্র দখল হয়ে গেছে। তাহলে ভোটকেন্দ্র বন্ধ করে চলে যান, ভেগে যান কিন্তু কোনো প্রকার সহিংসতাকে গ্রহণ করা হবে না। পরিষ্কারভাবে এ নির্দেশনা সবাইকে দিয়ে দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চায়, এটা আপনারা এর আগেও দেখে এসেছেন, যা সবার সহযোগিতায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমরা প্রমাণ করেছি। প্রতিটি নির্বাচনই আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আমরা চেষ্টা করছি একটি সুন্দর নির্বাচন উপহার দিতে। ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাদের বিবেক এবং ইমানের ওপর নির্ভর করে সঠিকভাবে ভোট গ্রহণ কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য বলা হয়েছে। তাদের সাংবাদিকদের বিষয়ে বলা হয়েছে। সাংবাদিকরা আমাদের বন্ধু, তারা আমাদের থার্ড আই এবং ইয়ার হিসেবে কাজ করছে। তারা বস্তুনিষ্ঠ তথ্য ও সংবাদ প্রকাশ করে, তাদের ভয় পাওয়ার কিছু নেই। ভয় তারাই পাবে যারা দুই নম্বর, ধোঁকাবাজ এবং অন্যায়ের সাপোর্টকারী।’

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ আহসান হাবিব খান আরও বলেন, ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাদের বলা হয়েছে, ভোটকেন্দ্রে সাংবাদিকরা যখন ঢুকবে, তখন অনুমতির দরকার নেই। কেন্দ্রে ঢুকে প্রিজাইডিং অফিসারকে অবহিত করবে। তারপর তিনি নিয়মানুযায়ী যেখানে খুশি সেখানে যেতে পারবেন এবং ছবি ও ভিডিও নিতে পারবেন। ভোট গণনার সময়ও ক্যামেরা ধরে রাখা যাবে, শুধু লাইভটা ভোট কক্ষের বাইরে দেবে।

বিএনপির আরও ৩ নেতা বহিষ্কৃত

ভোট বর্জনের দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় আর তিন নেতাকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। গতকাল শনিবার দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।

বহিষ্কৃতরা হলেন ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলা বিএনপির সদস্য আব্দুল হামিদ, শেরপুরের শ্রীবরদী পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি গোলাম মোস্তফা (সোনাহার) এবং রাঙামাটির কাউখালী উপজেলা বিএনপির উপদেষ্টা মংসুইউ চৌধুরী।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে বিএনপির যেসব নেতা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, তাদের প্রাথমিক সদস্যপদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। একই কারণে গত শুক্রবার সারা দেশে ৭৩ জন নেতাকে বহিষ্কার করা হয়। সব মিলিয়ে দুই দিনে ৭৬ জন নেতাকে বিএনপিচ্যুত করা হলো।


তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে

চার দফায় আবারও ৩ দিনের হিট অ্যালার্ট জারি
আপডেটেড ২৮ এপ্রিল, ২০২৪ ০০:০২
নিজস্ব প্রতিবেদক

তীব্র তাপপ্রবাহে জনজীবন অতিষ্ঠ। টানা এত গরম দেশবাসী শেষ কোন বছর দেখেছেন মনে নেই। টানা ২৭ দিনের তাপপ্রবাহের রেকর্ড পরিমাপ করেছে আবহাওয়া অফিস। চলতি এপ্রিল মাস গত ৭৬ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি সময় ধরে তাপপ্রবাহ ছিল বাংলাদেশে। আজ রোববার এবং আগামীকাল সোমবার এই দুই দিনের জন্য আবহাওয়া অফিস দুঃসংবাদ দিয়েছে। এই দুই দিন বাংলাদেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড ভাঙার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন আবহাওয়াবিদরা।

আবহাওয়াবিদ মোস্তফা কামাল পলাশ গতকাল শনিবার তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে বলেছেন, ‘স্বাধীন বাংলাদেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার (৪৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস) রেকর্ড ভাঙার আশঙ্কা খুবই বেশি আগামী ২৮ ও ২৯ এপ্রিলের যেকোনো দিন। সম্ভাব্য জেলা: চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, যশোর, পাবনা, রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ।’

এর আগে গত শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, চলতি এপ্রিল মাসে টানা যতদিন তাপপ্রবাহ হয়েছে, তা গত ৭৬ বছরেও হয়নি। হিটস্ট্রোক ও গরমজনিত রোগে এবার অর্ধশতাধিক মানুষের মৃত্যুর যে রেকর্ড হয়েছে, তাও অতীতে কোনো সময় হয়নি।

এদিকে গত ২৫ এপ্রিল তৃতীয় দফায় তিন দিনের তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা (হিট অ্যালার্ট) জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সেই হিট অ্যালার্টের মেয়াদ শেষ হয়েছে গতকাল শনিবার। সিলেট অঞ্চল বাদে সারা দেশে আজ রোববার থেকে চতুর্থ দফায় ফের তিন দিন বা ৭২ ঘণ্টার হিট অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

বিশেষজ্ঞরা বলেন, অতীতে ব্যাপ্তিকাল কম থাকায় তাপপ্রবাহ বড় সমস্যার কারণ হয়ে ওঠেনি। আগামী বছরগুলোতে ক্রমান্বয়ে তাপপ্রবাহের ব্যাপ্তিকাল ও প্রভাব বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। গত ৪৩ বছরের মধ্যে যশোরে তাপপ্রবাহ সবচেয়ে বেশি দিন ঘটেছে। এর পরই আছে ঢাকা ও চুয়াডাঙ্গা।

এদিকে ৪৩ বছরের রেকর্ড ভেঙেছে কালবৈশাখী। এই দাবদাহে ৪৩ বছরের মধ্যে চলতি মাসে দেশে সবচেয়ে কম কালবৈশাখী হয়েছে।

এই গরমে চিকিৎসকদের পরামর্শ হচ্ছে- জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বেলা ১১টার পর থেকে বিকেল ৪টার মধ্যে ঘরের বাইরে বের না হওয়া, শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তিদের এই সময়ে ঘরের বাইরে বের হয়ে খোলা আকাশের নিয়ে অবস্থান করতে না করেছেন। যেকোনো সময় হিটস্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনার কথা বলেছেন চিকিৎসকরা।

দৈনিক বাংলার চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধির দেওয়া তথ্যমতে, গতকালও দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায় রেকর্ড করা হয়েছে ৪২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চুয়াডাঙ্গায় অব্যাহত অতিতীব্র দাবদাহে ওষ্ঠাগত হয়ে পড়েছে জনজীবন। ভ্যাপসা গরমে অস্বস্তি বেড়েছে কয়েক গুণ।

জেলায় তীব্র থেকে অতিতীব্র আকার ধারণ করছে তাপপ্রবাহ। গরমে একটু স্বস্তি পেতে গাছের ছাঁয়ায় আশ্রয় নিচ্ছে মানুষ। তবে ভ্যাপসা গরমে স্বস্তি নেই কোথাও। তীব্র গরমে হাঁসফাঁস প্রাণিকূল। হাসপাতালে বাড়ছে গরমজনিত রোগীর সংখ্যা। চলমান দাবদাহে ব্যাহত হচ্ছে কৃষিকাজ। পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় ব্যাহত হচ্ছে সেচ কার্যক্রম। নষ্ট হচ্ছে ধান, আম, লিচু ও কলাসহ মাঠের অন্যান্য ফসল।

মৌসুমের প্রায় সময়জুড়েই উত্তপ্ত থাকে চুয়াডাঙ্গা। তীব্র থেকে অতিতীব্র আকার ধারণ করেছে তাপপ্রবাহ। এবারও চৈত্রের মধ্যভাগ থেকে শুরু হওয়া তাপমাত্রার এমন দাপট বৈশাখের আবহাওয়াকে জটিল করে তুলছে। এ যেন মরুর উষ্ণতা অনুভব করছে জেলার মানুষ। চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, ‘এ মাসের শেষের কয়েক দিন তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে।’

আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক গণমাধ্যমকে বলেন, গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কিছুটা কমেছে। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শনিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রাজশাহীতে ৪১ দশমিক ৫, পাবনার ঈশ্বরদীতে ৪১ দশমিক ৫, সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়ীতে ৪০ দশমিক ৪, যশোরে ৪১ দশমিক ৬, কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ৪০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে বলেও জানান ওমর ফারুক।

তিনি আরও বলেন, আপাতত দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল অর্থাৎ সিলেট অঞ্চলে বৃষ্টি থাকবে। পাশাপাশি আজ রোববার চট্টগ্রামের কিছু অঞ্চলও বৃষ্টির আওতায় আসতে পারে। আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে বৃষ্টি বেড়ে তাপপ্রবাহের আওতা কমতে পারে বলেও জানিয়েছেন এই আবহাওয়াবিদ।

চিফ হিট অফিসারের পরামর্শেই কাজ করছে ডিএনসিসি

চিফ হিট অফিসার (সিএইচও) বুশরা আফরিন আমাদের যেভাবে পরামর্শ দিচ্ছেন, সে অনুযায়ী দাবদাহ মোকাবিলায় কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। গতকাল রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বায়ুদূষণ রোধ ও তীব্র দাবদাহে শহরকে ঠাণ্ডা রাখতে ডিএনসিসির ওয়াটার স্প্রে (পানি ছিটানো) কার্যক্রম পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, চিফ হিট অফিসার আমাদের পরামর্শ দিচ্ছেন। তিনি একজন একক ব্যক্তি। তিনি তো কাজগুলো বাস্তবায়ন করবেন না। তিনি পরামর্শ দিচ্ছেন কিন্তু কাজগুলো আসলে আমাদের সবাইকে করতে হবে। তার পরামর্শেই জনগণকে স্বস্তি দিতে আমরা এই কাজগুলো করছি।

বেলা সাড়ে ১১টায় মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম আগারগাঁওয়ের সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ সরণিতে এসে বিশুদ্ধ খাবার পানি সরবরাহের জন্য রাখা বিশেষ ভ্যান পরিদর্শন করেন এবং নিজে ট্যাব ছেড়ে পানি পান করান। পরে স্প্রে ক্যাননের মাধ্যমে কৃত্রিম বৃষ্টির মতো পানি ছিটানো শুরু হলে তিনি নিজে উচ্ছ্বসিত শিশু-কিশোরদের সঙ্গে ভেজেন এবং তাদের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

আতিকুল ইসলাম বলেন, দুটি স্প্রে ক্যানন যেগুলো কৃত্রিম বৃষ্টির ব্যবস্থা করে এগুলো প্রধান সড়কে পানি ছিটাবে। এগুলো বেশ বড় হওয়ায় গলির সড়কে প্রবেশ করতে পারবে না। গলির সড়কে পানি ছিটানোর জন্য দশটি ব্রাউজার কাজ করবে। এগুলোর মাধ্যমে সড়কগুলো ভিজিয়ে ঠাণ্ডা রাখা হবে। এ ছাড়া ডিএনসিসির পার্কগুলোয় স্প্রে ক্যাননের মতো কৃত্রিম বৃষ্টির ব্যবস্থার জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগকে নির্দেশ দিয়েছি। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে পার্কগুলোয় কৃত্রিম বৃষ্টির ব্যবস্থা করা হবে।

তিনি বলেন, চিফ হিট অফিসার (সিএইচও) বুশরা আফরিনের পরামর্শে বর্তমানে চলমান তীব্র দাবদাহে জনগণকে স্বস্তি দিতে সড়কে পানি ছিটানো এবং ডিএনসিসির ৫৪টি ওয়ার্ডে বিনা মূল্যে খাবার পানি সরবরাহের উদ্যোগ নিয়েছি। প্রতিটি ওয়ার্ডে তিনটি বিশেষ ভ্যানগাড়ি (৫০০ লিটার পানির ট্যাংক সংবলিত) পথচারীদের পানি পান করানোর জন্য নামানো হয়েছে। ভ্যানগুলো বিশুদ্ধ খাবার পানি নিয়ে ওয়ার্ডের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরবে। এই ভ্যানগুলো ছোট আকারে করা হয়েছে যেন শহরের অলিগলিতে প্রবেশ করতে পারে। পথচারী এবং শ্রমজীবী মানুষ যেন পানি পান করতে পারেন।


‘হাসপাতালে চিকিৎসক না থাকায় অনেকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে’

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, ‘আমি মাত্র তিন মাস হলো দায়িত্ব নিয়েছি। এই তিন মাসে আমার নির্দেশ হলো- তৃণমূল পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবার উন্নতি করা। হাসপাতালগুলোতে কেন ডাক্তার থাকে না, এ বিষয়ে আমি ডিজি এবং মন্ত্রণালয়ের সবাইকে খোঁজ নিতে বলেছি। এরই মধ্যে অনেক ডাক্তারকে শোকজ করা হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’

শনিবার দুপুরে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া ১০০ শয্যাবিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে দেশজুড়ে প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ চলছে। এ সময় বয়স্ক মানুষ ও শিশুরা ডায়রিয়াসহ নানা রোগে আক্রান্ত হতে পারে। তাই সব সিভিল সার্জনদের নির্দেশ দেওয়া আছে, এখন সাধারণ রোগী ভর্তি না করে সিট ফাঁকা রাখার জন্য। যাতে দাবদাহে আক্রান্ত মানুষকে চিকিৎসাসেবা দেওয়া যায়।

তিরি আরও বলেন, ডাক্তার সংকট একদিনের সমস্যা নয় এটা বহু দিনের সমস্যা। স্ট্যান্ডার্ড সেটাপের অনুমোদন হয়েছে। জনবল সংকট কাটানোর জন্য কাজ করা হচ্ছে।

এর আগে টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি সৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। পরে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের শহীদ সদস্যদের আত্মার শান্তির কামনা করেন। পরে তিনি গিমাডাঙ্গা কমিউনিটি ক্লিনিক, গোপালগঞ্জ শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান এবং এসেনশিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেডের প্ল্যান্ট পরিদর্শন করেন।

ওই সময় উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম, পুলিশ সুপার আল বেলী আফিফা, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহাবুব আলী খান, সাধারণ সম্পাদক জি এম সাহাবউদ্দিন আজম, শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. শংকর কুমার ঘোষ, অধ্যক্ষ ডা. অমল চন্দ্র পাল, শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের পরিচালক ডা. নাহিদ ফেরদৌসী, সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান, ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক ডা. জীবিতেষ বিশ্বাস প্রমুখ।


দেবোত্তর সম্পত্তি রক্ষায় আইন করা হচ্ছে: ভূমিমন্ত্রী 

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

দেবোত্তর সম্পত্তি রক্ষায় দেবোত্তর সম্পত্তি আইন তৈরি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ভূমিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ। তিনি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার গঠনের পর সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। ২০১৩ সালেই অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ (দ্বিতীয় সংশোধন) আইন প্রণয়নে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন তিনি। সম্প্রতি এ সম্পর্কিত দুটি পরিপত্রও জারি করা হয়েছে।

নারায়ণ চন্দ্র চন্দ শনিবার জেলার কাহারোল উপজেলার কান্তজিউ মন্দির প্রাঙ্গণে বিংশতি (২০) সহস্রাধিক কণ্ঠে ‘শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা পাঠ’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানটির আয়োজক রংপুর বিভাগীয় পবিত্র বেদ ও শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা শিক্ষাদান সংঘ। অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন সংসদ সদস্য দ্রৌপদী দেবী আগরওয়ালা, সাবেক সংসদ সদস্য ও হিন্দু কল্যাণ ট্রাস্টের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মনোরঞ্জন শীল গোপাল, একুশে পদকপ্রাপ্ত শিল্পী বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. মনোরঞ্জন ঘোষাল ও ভারতের বিবেকানন্দ মিশনের অধ্যক্ষ ড. মানস ভট্টাচার্য। নারায়ণ চন্দ্র বলেন, বৈচিত্র্যের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানেই দেশের ঐক্যের প্রেরণা নিশ্চিত করে। এই অনুষ্ঠান বাংলাদেশের বৈচিত্র্যেময় সৌন্দর্যকে আরও শক্তিশালী করেছে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের সনাতন সম্প্রদায়ের জন্য এই অনুষ্ঠান অপরিসীম সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় গুরুত্ব বহন করে। ঐতিহ্যবাহী এই মন্দিরে শান্তিপূর্ণভাবে পূজনীয় গীতা পাঠ করে এত বড় সমাবেশ প্রত্যক্ষ করা ছিল অসাধারণ অভিজ্ঞতা। ভূমিমন্ত্রী বাংলাদেশের ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও উন্নয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং সহনশীলতা, বোঝাপড়া ও পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের মূল্যবোধ সমুন্নত রাখার জন্য আয়োজক ও অংশগ্রহণকারীদের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন। এর আগে মন্দির কমপ্লেক্সে এসে কান্তজিউ মন্দির ভবন পরিদর্শন করেন ভূমিমন্ত্রী।


শেখ হাসিনা আন্তঃব্যাংক ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন

বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও সেনাবাহিনীপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ শনিবার ঢাকায় বাংলাদেশ আর্মি স্টেডিয়ামে শেখ হাসিনা আন্তঃব্যাংক ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০২৪ এর উদ্বোধন করেন। এ সময় সব ব্যাংকের চেয়ারম্যানরা উপস্থিত ছিলেন। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে শনিবার রাজধানীর বনানীতে বাংলাদেশ আর্মি স্টেডিয়ামে শেখ হাসিনা আন্তঃব্যাংক ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০২৪ এর উদ্বোধন হয়। বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও সেনাবাহিনীপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ প্রধান অতিথি হিসেবে টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করেন।

বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকসের (বিএবি) চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম মজুমদারের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সব ব্যাংকের চেয়ারম্যানরা উপস্থিত ছিলেন। পরে সেনাপ্রধান মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক ও ইস্টার্ন ব্যাংকের মধ্যে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী ম্যাচ উপভোগ করেন।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকসের উদ্যোগে দ্বিতীয়বারের মতো আয়োজিত এ টুর্নামেন্টে ৩১টি ব্যাংক দল অংশগ্রহণ করছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান উপলক্ষে আর্মি স্টেডিয়ামকে রঙিন সাজে সাজানো হয় এবং ৩১টি ব্যাংক দলের মার্চ-পাস অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তা, শেখ হাসিনা আন্তঃব্যাংক ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০২৪-এর আয়োজক কমিটির চেয়ারম্যান ও সদস্য সচিব, বিএবির সদস্য ব্যাংকগুলোর চেয়ারম্যান, পরিচালক, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, অংশগ্রহণকারী দলের খেলোয়াড়, গণ্যমান্য ব্যক্তি এবং গণমাধ্যম ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। আইএসপিআর।


দেশে আলাদা ফরেনসিক বিশ্ববিদ্যালয় এখন সময়ের দাবি: সিআইডি প্রধান

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া বলেছেন, ‘ফরেনসিকের বিষয়ে বিশেষায়িত শিক্ষার জন্য আমাদের দেশে কোনো বিশ্ববিদ্যালয় নেই। সাউথ এশিয়ার মধ্যে শুধু ভারতে আছে। আমরা চেষ্টা করছি ফরেনসিক বিশ্ববিদ্যালয় চালু করার জন্য। ফরেনসিকের ওপর আপাতত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একটা স্বতন্ত্র বিভাগ চালু করা এখন সময়ের দাবি। ঢাবির বর্তমান উপাচার্যের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। আশা করছি, সহসা এ ব্যাপারে একটা উদ্যোগ গ্রহণ করা সম্ভব হবে।’

শনিবার রাজধানীর মালিবাগে সিআইডি সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত ‘স্টুডেন্টস এনগেজমেন্ট টু কমব্যাট সাইবারক্রাইম’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।

সেমিনারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৯১ জন, বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে ৫৩ জন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০ জন, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০ জন, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০ জন, উত্তরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১ জন, কানাডিয়ান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২২ জন ও গ্রিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০ জনসহ মোট ২৪৭ জন শিক্ষার্থী অংশ নেন।

সিআইডিপ্রধান বলেন, সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ অপরিহার্য। আজকের ছাত্রছাত্রীরাই আগামীর ভবিষ্যৎ, তারাই হবে জাতির কর্ণধার ও দেশগড়ার কারিগর। সাইবার বুলিং, সাইবার হ্যারাজমেন্ট, আনইথিক্যাল কন্টেন্ট, হ্যাকিং, ফিশিং, ম্যালওয়্যার, র‍্যানসমওয়্যার ইত্যাদি সাইবার অপরাধ প্রতিরোধে আজকের ছাত্রছাত্রীরাই আগামীতে ফ্রন্টলাইন ফাইটার হিসেবে কাজ করবে।

তিনি আরও বলেন, তরুণ প্রজন্ম তথা শিক্ষার্থীরা ডিজিটাল সচেতনতা বাড়ানোর মাধ্যমে সাইবার অপরাধ নিবারণে সক্রিয় হয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সিআইডির সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করবে।

মেধাস্বত্ব পাচার, পাইরেটস বই পাচার হচ্ছে। এক্ষেত্রে প্রতিকার কী বা সিআইডি কীভাবে সহযোগিতা করতে পারে- সেমিনারে ঢাবির এক শিক্ষার্থী জানতে চাইলে প্রশ্নোত্তর পর্বে সিআইডিপ্রধান মোহাম্মদ আলী মিয়া বলেন, ‘এ বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ আমাদের আছে। মানিলন্ডারিং আইনের মধ্যেই এ সংক্রান্ত কপিরাইট-সংক্রান্ত ধারা আছে। সুনির্দিষ্ট তথ্য পেলে বা অভিযোগ করা হলে তদন্তসাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে সাধারণত এ সংক্রান্ত মামলা থানায় হয় না। এ সংক্রান্ত মামলা আদালতে হয়।’


অপতথ্যের বিস্তৃতি মোকাবিলার কৌশল নিয়ে আলোচনা

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ২৭ এপ্রিল, ২০২৪ ২২:৫০
বাসস

মরিশাসের তথ্য প্রযুক্তি, যোগাযোগ ও উদ্ভাবনবিষয়ক মন্ত্রী দীপক বালগোবিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। গতকাল শুক্রবার মরিশাসে এ বৈঠক হয়।

বৈঠকে, তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপতথ্যের বিস্তৃতি মোকাবিলার কৌশল নিয়ে আলোচনা করেন। গতকাল শনিবার ঢাকায় প্রাপ্ত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৈঠকে স্যাটেলাইটের ব্যবহার নিয়ে বাংলাদেশ ও মরিশাসের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা, প্রবাসী শ্রমিকদের দেশে রেমিট্যান্স পাঠানোর ক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহার, বাংলাদেশে মরিশাসের বিনিয়োগকারীদের জন্য সুযোগ-সুবিধা এবং মরিশাসে কর্মরত বাংলাদেশি শ্রমিকদের নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।

এ ছাড়া তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মরিশাসে একটি স্পিনিং মিল পরিদর্শন করেন এবং সেখানে কর্মরত বাংলাদেশি শ্রমিকদের খোঁজ-খবর নেন ও তাদের সঙ্গে কথা বলেন।

পশ্চিম ভারত মহাসাগর অঞ্চলে মাদক পাচার এবং মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার-বিষয়ক প্রথম মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে অংশগ্রহণের জন্য গত ২২ এপ্রিল মরিশাস যান বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী। বর্তমানে তিনি মরিশাসে অবস্থান করছেন।


তরুণদের চিন্তাচেতনায় ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটাতে হবে: স্পিকার

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, তরুণদের চিন্তাচেতনায় ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটাতে হবে। দেশপ্রেম, দেশের মানুষের প্রতি ভালোবাসা ও কর্তব্যবোধের মাধ্যমে মানুষের প্রতি দায়বদ্ধতাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। শিরীন শারমিন চৌধুরী শনিবার সাভারে ব্র্যাক ইয়্যুথ প্ল্যাটফর্মের উদ্যোগে আয়োজিত পরিবর্তনের উৎসব ‘আমরা নতুন ইয়াং চেঞ্জমেকার অ্যাওয়ার্ড ২০২৪’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, মানবিক সমাজ বিনির্মাণে তরুণদের উদ্ভাবনী জ্ঞান ও বিজ্ঞানমনস্ক চিন্তাকে কাজে লাগাতে হবে। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ, বায়ান্নর ভাষা আন্দোলসহ স্বাধীকার আন্দোলনের প্রতিটি পর্বেই তারুণ্যের ভূমিকা ছিল অগ্রগণ্য। বাঙালি জাতিরাষ্ট্রের মধ্যে একটি জাতিসত্তার বিকাশে এদেশের যুবসমাজ অবদান রেখেছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে দেশ গড়ার কাজে তরুণরা নিজেদের আত্মনিয়োগ করেছিল।

স্পিকার বলেন, বঙ্গবন্ধু যুদ্ধবিধ্বস্ত অর্থনীতিকে পুনর্নির্মাণের কাজে যখন নিজেকে ব্যাপৃত করেছিলেন ব্র্যাকের স্বপ্নদ্রষ্টা স্যার ফজলে হাসান আবেদ সেসময় শরণার্থী পুনর্বাসন ও ত্রাণ সহায়তা কার্যক্রমের মাধ্যমে দেশপ্রেমের উজ্জ্বল নজির স্থাপন করেন। শিক্ষা বিস্তার, স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়ন ও নারীর ক্ষমতায়নে ব্র্যাক বরাবরই এগিয়ে চলেছে।

শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সুনাম অক্ষুন্ন রাখতে তরুণরা সর্বদা সচেষ্ট থাকবে। তরুণদের হাত ধরেই স্বল্পোন্নত দেশ থেকে ২০২৬ সালের মধ্যে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা লাভ করবে বাংলাদেশ যা উদীয়মান অর্থনৈতিক দেশগুলোর মধ্যে বিশ্ব অর্থনীতিতে বাংলাদেশকে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে রেখেছে।

স্পিকার বলেন, তথ্য প্রযুক্তির অবাধ প্রবাহে তরুণরা প্রযুক্তির সর্বোচ্চ সুবিধা কাজে লাগিয়ে নিজেদের প্রস্তুত করবে। বৈশ্বিক প্রতিযোগিতাগুলোতে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্বের আসনে আসীন করবে। প্রথাগত চাকরির বাইরে ফ্রিল্যান্সিং ও স্টার্টআপের মতো প্রযুক্তির নতুন নতুন কর্মক্ষেত্রে এ দেশের যুবসমাজ নিজেদের নিয়োজিত করবে।

ওই সময় চেঞ্জমেকারদের মধ্য থেকে ৫টি প্রজেক্টকে অ্যাওয়ার্ডস প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ, ব্র্যাকের মাইগ্রেশন ও ইয়ুথ প্লাটফর্মের সহযোগী পরিচালক শরীফুল হাসান, নতুন চেঞ্জমেকারদের মধ্য হতে নানা স্তরের প্রতিযোগী ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।


‘কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষাবিধি নিশ্চিতে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে’

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, শোভন কর্মপরিবেশ নিশ্চিতকল্পে দেশীয় ও বৈশ্বিক শ্রমমান অনুযায়ী কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষাবিধি অনুশীলনকে জাতীয় সংস্কৃতি হিসেবে গড়ে তোলা অত্যন্ত জরুরি। এ লক্ষ্য অর্জনে তিনি সরকার, মালিক ও শ্রমিকসহ সব উন্নয়ন অংশীজনকে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।

রাষ্ট্রপতি ‘জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবস ২০২৪’ উপলক্ষে দেওয়া শনিবার বাণীতে এ আহ্বান জানান। আজ রোববার ‘জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবস ২০২৪’। দেশব্যাপী পেশাগত স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা বিষয়ে ব্যাপক গণসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এ বছরও ‘জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবস ২০২৪’ পালিত হচ্ছে জেনে তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন। রাষ্ট্রপতি এ উপলক্ষে বিশ্বের সব শ্রমজীবী মানুষকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। দিবসটির এ বছরের প্রতিপাদ্য- ‘সুস্থ শ্রমিক, শোভন কর্মপরিবেশ: গড়ে তুলবে স্মার্ট বাংলাদেশ’ যথার্থ হয়েছে বলেও তিনি মনে করেন।

মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধি শেখ মুজিবুর রহমান আমৃত্যু মেহনতি, শোষিত ও বঞ্চিত মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে কাজ করেছেন। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশ ১৯৭২ সালে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) সদস্যপদ লাভ করে। একই বছর তিনি (বঙ্গবন্ধু) শ্রমনীতি ঘোষণা করেন এবং আইএলও’র পাঁচটি মৌলিক কনভেনশনসহ মোট ২৯টি কনভেনশন অনুসমর্থন করেন।

রাষ্ট্রপতি জানান, কলকারখানার সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা এবং শ্রমজীবী মানুষের পেশাগত নিরাপত্তা ও আইনগত অধিকার নিশ্চিত করা সরকারের পাশাপাশি সকল শিল্প মালিকের নৈতিক দায়িত্ব। সরকার দেশের সব খাতের শ্রমজীবী মানুষের পেশাগত স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নানা কল্যাণমূলক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। নিরাপদ ও শোভন কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য ‘বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬’ এবং ‘বাংলাদেশ শ্রম বিধিমালা ২০১৫’ প্রণয়ন করা হয়েছে।

তিনি বলেন, জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জন এবং ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট ও উন্নত অর্থনীতির দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্য অর্জনে সরকার ব্যাপক উন্নয়ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এসব কল্যাণমুখী কর্মসূচির সফল বাস্তবায়ন ও শ্রমিকের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে শ্রমিক ভাই-বোনদের জন্য শোভন ও নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিতকরণের বিকল্প নেই। বিগত এক দশকে দেশে শিল্প-কারখানার সংখ্যা কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে এবং ভবিষ্যৎ প্রযুক্তির সঙ্গে অভিযোজন করার লক্ষ্যে সরকার-মালিক-শ্রমিকের সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীকে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ করে কর্মক্ষেত্রে প্রবেশের উদ্যোগ নিতে হবে।


থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বান

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীদের প্রতি বাংলাদেশে বিনিয়োগে উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার থাইল্যান্ডে সরকারি সফর চলাকালে শুক্রবার সন্ধ্যায় ব্যাংককের একটি হোটেলে থাইল্যান্ডে বাংলাদেশ দূতাবাস আয়োজিত ব্যবসায়িক সভায় তিনি এ আহ্বান জানান।

বিশিষ্ট থাই ব্যবসায়ী এবং অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, থাইল্যান্ডে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আব্দুল হাই, বাংলাদেশে নিযুক্ত থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত মাকাওয়াদি সুমিতমোর প্রমুখ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

সভায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সম্ভাবনার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি গত ১৫ বছরে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের সব সূচকে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে স্বল্পোন্নত দেশ-এলডিসি গ্রুপ থেকে বাংলাদেশের সফল স্নাতক হওয়ার বিষয়টি তুলে ধরেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আসিয়ান অঞ্চলে বাংলাদেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য অংশীদার হিসেবে থাইল্যান্ডের তাৎপর্যও তুলে ধরেন। তিনি দুই দেশের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) শুরু করতে লেটার অফ ইনটেন্ট (এলওআই) স্বাক্ষরের কথা উল্লেখ করেন এবং দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বাড়ানোর জন্য এবং বাণিজ্য ঘাটতি ভারসাম্যের জন্য এফটিএ দ্রুত শুরু করার গুরুত্বের ওপর জোর দেন।

প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য বাংলাদেশ সরকার প্রদত্ত প্রণোদনা সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন। তিনি থাই সরকারের কাছ থেকে প্রযুক্তি হস্তান্তরের মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকার উপকৃত হতে পারে বলে মত দেন এবং বাংলাদেশের পর্যটন খাতে থাই বিনিয়োগের আমন্ত্রণ জানান।

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী এ সময় বাংলাদেশ সরকারের সম্প্রতি প্রণীত অফশোর ব্যাংকিং অ্যাক্ট ২০২৪ উল্লেখ করে বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের বেসরকারি খাতকে সরকারের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় সুবিধার আশ্বাস দেন।

বিশিষ্ট থাই গ্লোবাল সুগার ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি সুটেক লিমিটেডের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট চার্লস ফ্রেডেরিক বাংলাদেশ সরকারকে একটি বা দুটি বিদ্যমান চিনিকলকে বেসরকারি খাতের মাধ্যমে পুনরুজ্জীবিত করার পরামর্শ দেন। বিডা প্রতিনিধি বাংলাদেশে বিনিয়োগে কৃষি ব্যবসা, ডিজিটাল অর্থনীতি, লজিস্টিকস এবং লাইট ম্যানুফ্যাকচারিং খাতের প্রণোদনার ওপর আলোকপাত করেন।


‘কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষাবিধি অনুশীলন অত্যন্ত জরুরি’

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, শোভন কর্মপরিবেশ নিশ্চিতকল্পে দেশীয় ও বৈশ্বিক শ্রমমান অনুযায়ী কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষাবিধি অনুশীলনকে জাতীয় সংস্কৃতি হিসেবে গড়ে তোলাও অত্যন্ত জরুরি। এ লক্ষ্য অর্জনে তিনি সরকার, মালিক ও শ্রমিকসহ সকল উন্নয়ন অংশীজনকে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।

আগামীকাল ‘জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবস ২০২৪’ উপলকক্ষে দেওয়া আজ এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি এ আহবান জানান।

দেশব্যাপী পেশাগত স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা বিষয়ে ব্যাপক গণসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এবছরও ‘জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবস ২০২৪’ পালিত হচ্ছে জেনে তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন। রাষ্ট্রপতি এ উপলক্ষে বিশ্বের সকল শ্রমজীবী মানুষকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। দিবসটির এ বছরের প্রতিপাদ্য- ‘সুস্থ শ্রমিক, শোভন কর্মপরিবেশ গড়ে তুলবে স্মার্ট বাংলাদেশ’ যথার্থ হয়েছে বলেও তিনি মনে করেন।

রাষ্ট্রপতি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমৃত্যু মেহনতি, শোষিত ও বঞ্চিত মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে কাজ করেছেন। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশ ১৯৭২ সালে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) সদস্যপদ লাভ করে। একই বছর তিনি (বঙ্গবন্ধু) শ্রমনীতি ঘোষণা করেন এবং আইএলওর ৫টি মৌলিক কনভেনশনসহ মোট ২৯টি কনভেনশন অনুসমর্থন করেন।

রাষ্ট্রপতি জানান, কলকারখানার সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা এবং শ্রমজীবী মানুষের পেশাগত নিরাপত্তা ও আইনগত অধিকার নিশ্চিত করা সরকারের পাশাপাশি সকল শিল্প মালিকের নৈতিক দায়িত্ব। সরকার দেশের সকল খাতের শ্রমজীবী মানুষের পেশাগত স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নানাবিধ কল্যাণমূলক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। নিরাপদ ও শোভন কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য ‘বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬’ এবং ‘বাংলাদেশ শ্রম বিধিমালা ২০১৫’ প্রণয়ন করা হয়েছে।

তিনি বলেন, জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জন এবং ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট ও উন্নত অর্থনীতির দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্য অর্জনে সরকার ব্যাপক উন্নয়ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এ সকল কল্যাণমুখী কর্মসূচির সফল বাস্তবায়ন ও শ্রমিকের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে শ্রমিক ভাই-বোনদের জন্য শোভন ও নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিতকরণের বিকল্প নেই। বিগত এক দশকে দেশে শিল্পকারখানার সংখ্যা কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে এবং ভবিষ্যৎ প্রযুক্তির সঙ্গে অভিযোজন করার লক্ষ্যে সরকার-মালিক-শ্রমিকের সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীকে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ করে কর্মক্ষেত্রে প্রবেশের উদ্যোগ নিতে হবে।

রাষ্ট্রপতি ‘জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবস ২০২৪’ উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল সর্মসূচির সফলতা কামনা করেন।


৯ মে থেকে শুরু হচ্ছে হজ ফ্লাইট  

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

আগামী ৯ মে থেকে শুরু হচ্ছে চলতি মৌসুমের হজ ফ্লাইট। হজযাত্রীদের নিয়ে ঢাকা থেকে ওইদিনই প্রথম ফ্লাইট সৌদি আরবের উদ্দেশে রওনা দেবে। সব ফ্লাইটের সূচি এখনও চূড়ান্ত না হলেও শিডিউল অনুযায়ী পরবর্তী ফ্লাইটগুলো ছাড়া হবে বলে জানা গেছে।

ঢাকা হজ অফিসের পরিচালক মুহম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, এখনো শিডিউল ঘোষণা করা হয়নি। দ্রুত শিডিউল ঘোষণা করে যাত্রীদের জানানো হবে।

ধর্ম মন্ত্রণালয় জানায়, গত বছর এক লাখ ১৯ হাজার ৬৯৫ জন হজযাত্রী বহন করার জন্য বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, সৌদি এরাবিয়ান এয়ারলাইন্স (সৌদিয়া) ও সৌদির বেসরকারি এয়ারলাইন্স ফ্লাইনাস মোট ৩৩৫টি হজ ফ্লাইট ঘোষণা করেছিল। চুক্তি অনুযায়ী, মোট হজযাত্রীর অর্ধেক বহন করে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এবং বাকি অর্ধেক বহন করে সৌদিয়া ও ফ্লাইনাস এয়ার। এবারও এই তিন এয়ারলাইনস হজযাত্রীদের বহন করবে।

জানা গেছে, চলতি বছর সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ পালন করতে যাবেন ৮৩ হাজার ২০২ জন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় যাবেন ৪ হাজার ৩০৭ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় যাবেন ৭৮ হাজার ৮৯৫ জন।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন পালিত হতে পারে পবিত্র হজ। প্রতিবছর একমাস আগে থেকে শুরু হয় হজ ফ্লাইট। তার আগে হজযাত্রীদের ভিসা, ফ্লাইট শিডিউল সংক্রান্ত কাজ সম্পন্ন করে ধর্ম মন্ত্রণালয় ও এয়ারলাইন্সগুলো।


সরকার আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বর্তমান সরকার আইনের সুশাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর। রাষ্ট্রের অন্যতম লক্ষ্য ও দায়িত্ব হলো নাগরিকের জন্য আইনের শাসন, সমতা, অর্থনৈতিক ও সামাজিক অধিকারসহ মৌলিক মানবাধিকার নিশ্চিত করা। আগামীকাল রোববার ‘জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস ২০২৪’ উপলক্ষ্যে আজ দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।

এ সময় আইনগত সহায়তা কার্যক্রমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলকে শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য- ‘স্মার্ট লিগ্যাল এইড, স্মার্ট দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’ অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক ও সময়োপযোগী।”

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতীয় মুক্তির ঐতিহাসিক সংগ্রাম ও নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশের জনগণ স্বাধীনতা অর্জন করেছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের প্রধান লক্ষ্য ছিলো এমন এক শোষণমুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা যেখানে সকল নাগরিকের জন্য আইনের শাসন, মৌলিক মানবাধিকার এবং সুবিচার নিশ্চিত হবে। সেই লক্ষ্যে ১৯৭২ সালের সংবিধানে তিনি মানুষের মৌলিক অধিকার হিসেবে আইনের দৃষ্টিতে সমতা, আইনের আশ্রয় লাভের অধিকার, গ্রেপ্তার ও আটক সম্পর্কে রক্ষাকবচ, বিচার ও দণ্ড সম্পর্কে রক্ষণ, সম্পত্তির অধিকারসহ ১৮টি মৌলিক অধিকার সন্নিবেশিত করেন। কিন্তু জাতির পিতার নির্মম হত্যাকাণ্ড, সামরিক শাসন এবং স্বৈরাচারী, গণবিরোধী ও স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির ক্ষমতা দখল জনগণের সেই স্বপ্নের বাস্তবায়নকে বারবার দূরে সরিয়ে দিয়েছে।

তিনি বলেন, “বর্তমান সরকার জনগণের বিপুল ম্যান্ডেট নিয়ে সকল দুঃশাসন ও অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে সর্বাত্মক যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়ে বাংলাদেশকে অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ করেছে। ‘আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তুলব এবং এ সময়ে বাংলাদেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে উন্নীত করব।”

শেখ হাসিনা বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশে সরকারি কার্যক্রম ও সেবাসমূহ হবে সাশ্রয়ী, টেকসই, জ্ঞানভিত্তিক, বুদ্ধিদীপ্ত ও উদ্ভাবনি। টেকসই উন্নয়নের এ অগ্রযাত্রায় ন্যায়বিচারে অভিগম্যতা নিশ্চিত করার জন্য ‘জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা’ সারা বাংলাদেশের আর্থিকভাবে অসচ্ছল, সহায়-সম্বলহীন এবং নানাবিধ আর্থসামাজিক কারণে বিচার প্রাপ্তিতে অসমর্থ বিচারপ্রার্থী জনগণকে আইনগত সহায়তা প্রদান করছে। সরকারি আইনগত সহায়তাকে আরও টেকসই, উদ্ভাবনী, জনবান্ধব এবং পক্ষদের আইনগত বিরোধ দ্রুত নিষ্পত্তি ও সাশ্রয়ী করার লক্ষ্যে জেলা লিগ্যাল এইড অফিসকে ‘বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির কেন্দ্রস্থল’ হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে। সাধারণ মানুষের আইনগত সচেতনতা বৃদ্ধিতে লিগ্যাল এইড অফিসসমূহ আইনগত পরামর্শ সেবা দিয়ে মামলাজট নিরসনে অগ্রণী ভূমিকা রাখছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার আইনের শাসন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ‘আইনের সুশাসন প্রতিষ্ঠায় আমরা বদ্ধপরিকর’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, টেকসই উন্নয়নের অভীষ্ট লক্ষ্য, শান্তি, ন্যায়বিচার ও কার্যকর প্রতিষ্ঠান বাস্তবায়নে সকলের জন্য ন্যায়বিচার প্রাপ্তির পথ সুগম করার জন্য আইন ও বিচার বিভাগ ‘জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা’র মাধ্যমে কার্যকর ভূমিকা রাখছে।

তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, স্মার্ট লিগ্যাল এইড, স্মার্ট সরকার, স্মার্ট সমাজ এবং সর্বোপরি, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলবে। সকলের সমন্বিত উদ্যোগেই অচিরেই সুশাসন নিশ্চিত করে আমরা বাংলাদেশকে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশে পরিণত করতে সক্ষম হব।’

শেখ হাসিনা ‘জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস ২০২৪’র সার্বিক সাফল্য এবং এ উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল কর্মসূচির সর্বাঙ্গীণ সফলতা কামনা করেন।


banner close