মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৫
১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

জাটকা বিক্রির দায়ে সাড়ে ১৮ লাখ টাকা জরিমানা

জব্দকৃত জাটকা
আপডেটেড
১১ এপ্রিল, ২০২৩ ১৬:০৪
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত : ১১ এপ্রিল, ২০২৩ ১৫:২১

রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় জাটকা সংরক্ষণ ও বিক্রির দায়ে সাত প্রতিষ্ঠানকে ১৮ লাখ ৪৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে এ জরিমানা করা হয়। এ সময় দুই হাজার ৬১৭ কেজি জাটকা জব্দ করা হয়।

র‌্যাব-১০ এর সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম) এনায়েত কবির সোয়েব বিষয়টি জানিয়েছেন।

এনায়েত কবির সোয়েব জানান, বেশ কিছু দিন যাবৎ কিছু অসাধু ব্যবসায়ী জাটকা সংরক্ষণ ও বিক্রি করছে বলে খবর আসছিল। পরে অভিযান চালিয়ে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। পরে আদালত সাত প্রতিষ্ঠানকে ১৮ লাখ ৪৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন। তাদের মধ্যে রাসেল মৎস্য আড়ৎকে আট লাখ ১০ হাজার টাকা, মাইদুল এন্টারপ্রাইজ মৎস্য আড়ৎকে দুই লাখ পাঁচ হাজার টাকা, রহমান মৎস্য আড়ৎকে দুই লাখ পাঁচ হাজার টাকা, আল্লাহ ভরসা মাছের আড়ৎকে দুই লাখ পাঁচ হাজার টাকা, শিব শংকরী মাছের আড়ৎকে চার লাখ ১০ হাজার টাকা, তাহমিনা মৎস্য আড়ৎকে পাঁচ হাজার টাকা ও জগন্নাথ মৎস্য আড়ৎকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

এ ছাড়া আদালতের নির্দেশে জব্দকৃত প্রায় ১০ লাখ ৪৬ হাজার ৮০০ টাকা মূল্যের দুই হাজার ৬১৭ কেজি জাটকা ইলিশ বিভিন্ন মাদ্রাসা, এতিম খানা ও অসহায় দুঃস্থদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে।

বিষয়:

ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ডিএমপির ১৬৬৫ মামলা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনের দায়ে ১ হাজার ৬৬৫টি মামলা করেছে।

সোমবার (২৪ নভেম্বর) রাতে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রবিবার (২৩ নভেম্বর) ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ কর্তৃক রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে এসব মামলা করা হয়।

ডিএমপির ট্রাফিক সূত্রে জানা যায়, ট্রাফিক-মতিঝিল বিভাগে ২২টি বাস, ১টি ট্রাক, ২২টি কাভার্ড ভ্যান, ৫৮টি সিএনজি ও ১৭২টি মোটরসাইকেলসহ মোট ৩৪৫টি মামলা হয়েছে।

ট্রাফিক-ওয়ারী বিভাগে ২৩টি বাস, ১৩টি ট্রাক, ১০টি কাভার্ড ভ্যান, ১৯টি সিএনজি ও ৬৩টি মোটরসাইকেলসহ মোট ১৫০টি মামলা হয়েছে।

ট্রাফিক-তেজগাঁও বিভাগে ২৩টি বাস, ২টি ট্রাক, ১৩টি কাভার্ড ভ্যান, ৪৩টি সিএনজি ও ১৫১টি মোটরসাইকেলসহ মোট ২৬৬টি মামলা হয়েছে।

ট্রাফিক-মিরপুর বিভাগে ৬টি বাস, ৬টি ট্রাক, ১৩টি কাভার্ড ভ্যান, ১২টি সিএনজি ও ৭০টি মোটরসাইকেলসহ মোট ১৩৫টি মামলা হয়েছে।

অন্যদিকে ট্রাফিক, গুলশান বিভাগে ১৫টি বাস, ১টি ট্রাক, ১১টি কাভার্ড ভ্যান, ২০টি সিএনজি ও ১১৯টি মোটরসাইকেলসহ মোট ২৩১টি মামলা হয়েছে।

ট্রাফিক-উত্তরা বিভাগে ১৯টি বাস, ১১টি ট্রাক, ৮টি কাভার্ড ভ্যান, ৫৩টি সিএনজি ও ১০২টি মোটরসাইকেলসহ মোট ২৭১টি মামলা হয়েছে।

ট্রাফিক-রমনা বিভাগে ১২টি বাস, ২টি ট্রাক, ৭টি কাভার্ড ভ্যান, ৮টি সিএনজি ও ৫২টি মোটরসাইকেলসহ মোট ১২২টি মামলা হয়েছে।

ট্রাফিক-লালবাগ বিভাগে ১৪টি বাস, ৫টি ট্রাক, ১টি কাভার্ড ভ্যান, ১৩টি সিএনজি ও ৮৫টি মোটরসাইকেলসহ মোট ১৪৫টি মামলা হয়েছে।

এ ছাড়া অভিযানকালে মোট ৩৭৯টি গাড়ি ডাম্পিং ও ৯৫টি গাড়ি রেকার করা হয়েছে।

ঢাকা মহানগর এলাকায় ট্রাফিক শৃঙ্খলা রক্ষায় ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানানো হয়।


পর্যবেক্ষকদের চোখ দিয়েই নির্বাচন দেখতে চাই : সিইসি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলোকে নির্বাচন কমিশনের সহযোগী। আমরা একটি সুষ্ঠু, সুন্দর ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন উপহার দিতে পর্যবেক্ষকদের চোখ দিয়েই পুরো নির্বাচন প্রক্রিয়াটি দেখতে চাই। একইসঙ্গে সংস্থাগুলোর নিয়োগ করা মাঠকর্মীরা যাতে কোনো ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে বা প্রচারণায় যুক্ত না হন, সে বিষয়ে কঠোর নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি।

মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) স্থানীয় পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলোর সঙ্গে এক পরিচিতিমূলক সভায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার এসব কথা বলেন।

সিইসি বলেন, জাতিকে একটি বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন উপহার দেওয়ার যে ওয়াদা নির্বাচন কমিশন দিয়েছে, তা কমিশনের একার পক্ষে সম্ভব নয়। সবাই মিলে এই জাতীয় দায়িত্ব পালন করতে হবে। আমরা আপনাদের চোখ দিয়েও এই ইলেকশনটা দেখতে চাই। কারণ আপনাদের চোখ যদি দুষ্ট হয়, প্রপার না হয়, আমাদের নির্বাচনের দেখাটাও কিন্তু সঠিক হবে না।

প্রশিক্ষণের তাগিদ দিয়ে সিইসি বলেন, পর্যবেক্ষণের জন্য যাদের নিয়োগ দেওয়া হবে, বিশেষত নতুনদের, তাদের অবিলম্বে নির্বাচন ও নির্বাচনী ব্যবস্থা সম্পর্কে ওরিয়েন্টেশন এবং প্রশিক্ষণ দিতে হবে। মাঠকর্মীদের কর্মকাণ্ডই সংস্থার সুনাম (গুডউইল) এবং নির্বাচন কমিশনের কাছে তাদের ভাবমূর্তিকে প্রভাবিত করবে। এছাড়া রিটার্নিং অফিসার, পুলিশ অফিসারসহ সংশ্লিষ্টদের পারফরম্যান্স আইন অনুযায়ী হচ্ছে কি না, নির্বাচনী আচরণবিধি মানা হচ্ছে কি না—এসব বিষয়ে মাঠের বাস্তবতার ভিত্তিতে (Real Ground Realities) রিপোর্ট দিতে হবে।

সিইসি জানান, যদি কোনো ম্যানেজমেন্ট বা প্রসিডিউরাল ল্যাপস থাকে, তবে পর্যবেক্ষকদের দেওয়া সুপারিশ ভবিষ্যতে নির্বাচন প্রক্রিয়াকে সংস্কার ও উন্নত করতে সহায়ক হবে। পর্যবেক্ষকদের নিরপেক্ষতার ওপর সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। পর্যবেক্ষণের কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিরা রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়লে সবকিছু ড্যামেজ হয়ে যাবে।

তিনি সংস্থাগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, আপনারা যাদের এঙ্গেজ করবেন, তারা কোনো রাজনীতির সঙ্গে, কোনো পার্টির সঙ্গে জড়িত আছে কিনা, লিংক আছে কিনা, মিছিল-মিটিংয়ে গিয়েছে বা জড়িত আছে—এরকম কাউকে দয়া করে নিয়োগ দেবেন না। পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব হবে ‘টু অবজার্ভ, নট টু ইন্টারভেন’ (পর্যবেক্ষণ করা, হস্তক্ষেপ না করা)। কোনো অনিয়ম হলে তা বন্ধ করা তার কাজ নয় বরং রিপোর্ট করাই তার প্রধান দায়িত্ব।

বাংলাদেশের বাস্তবতার প্রতি খেয়াল রাখার অনুরোধ জানিয়ে সিইসি বলেন, যেহেতু সব পর্যবেক্ষকই বাংলাদেশি, তাই বাংলাদেশের বাস্তবতার নিরিখে রিপোর্ট করতে হবে। বিদেশি প্রেক্ষাপটে দেশের নির্বাচনকে বিবেচনা করে রিপোর্ট না করতে অনুরোধ করেন। তিনি প্রত্যাশা করেন, তাদের রিপোর্টিং যেন স্মার্ট, ইমপ্লিমেন্টেবল এবং বাস্তবসম্মত হয়।

সিসি ক্যামেরা ও সাংবাদিকরাই কমিশনের চোখ

বক্তব্যের শেষে সিইসি জানান, তার সিসি ক্যামেরা হলো পর্যবেক্ষক এবং তার সিসি ক্যামেরা হলো সাংবাদিকরা। সবার সম্মিলিত সহযোগিতায় একটি সুন্দর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং পর্যবেক্ষকদের এখানে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে বলে জানান তিনি।


আজ থেকে ঘরে বসেই মেট্রোরেলের কার্ড রিচার্জ করবেন যেভাবে

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর মেট্রোরেল যাত্রীদের সুবিধার্থে নতুন অনলাইন রিচার্জ সেবা চালু হয়েছে আজ থেকে। যাত্রীদের মেট্রোরেলের স্থায়ী কার্ড—র‍্যাপিড পাস এবং এমআরটি পাস—স্টেশনে গিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে রিচার্জ করার ঝামেলা এড়িয়ে ঘরে বসেই রিচার্জ করা যাবে।

মেট্রোরেলের র‌্যাপিড পাস ও এমআরটি পাস অনলাইন রিচার্জ প্রক্রিয়ার উদ্বোধন আজ মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর)।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রধান উপদেষ্টার সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী শেখ মইনউদ্দিন।

বেলা পৌনে ১১টায় রাজধানীর আগারগাঁও মেট্রো স্টেশনে অনলাইনে রিচার্জ প্রক্রিয়া উদ্বোধন করা হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার রেজাউল করিম সিদ্দিকী।

ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) এর নির্বাহী পরিচালক নীলিমা আখতারের সভাপতিত্বে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব ড. মোহাম্মদ জিয়াউল হক এবং ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফারুক আহমেদ।

মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নতুন সেবার মাধ্যমে যাত্রীরা ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড, বিকাশ, নগদ, রকেটসহ সব ধরনের অনলাইন ব্যাংকিং ব্যবহার করে কার্ডে টাকা ভরতে পারবেন। তবে একক যাত্রার কার্ড অনলাইনে কেনা যাবে না; তা স্টেশনে গিয়ে কিনতে হবে।

কিভাবে রিচার্জ করবেন

ডিটিসিএর ওয়েবসাইট www.rapidpass.com.bd বা অ্যাপে লগইন করে ‘রিচার্জ’ অপশন নির্বাচন করতে হবে। এরপর র‍্যাপিড পাস নাকি এমআরটি পাস রিচার্জ করা হবে তা ঠিক করে ব্যাংক বা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে পেমেন্ট করতে হবে। টাকা পরিশোধের পর কার্ডটি একবার স্টেশনে থাকা এড ভ্যালু মেশিনে (এভিএম) স্পর্শ করতে হবে। একবার স্পর্শ করলেই রিচার্জ করা টাকা ব্যবহারের জন্য কার্যকর হবে।

ডিটিসিএর নীতিমালায় বলা হয়েছে, অনলাইন পেমেন্টের জন্য গ্রাহককে কিছু ফি দিতে হতে পারে। রিচার্জ করা টাকা তিন মাস পর্যন্ত অপেক্ষমাণ থাকবে। এভিএম-এ স্পর্শ না করলে টাকা গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে ফিরে যাবে, তবে ১০ শতাংশ সার্ভিস চার্জ কেটে নেওয়া হবে। চাইলে সাত দিনের মধ্যে টাকা ফেরত নেওয়া যাবে, তবে তাতেও ১০ শতাংশ ফি প্রযোজ্য।

ডিটিসিএ জানিয়েছে, মেট্রোরেলের প্রতিটি স্টেশনে দুটি করে প্রশস্ত স্থানে এভিএম বসানো হবে। উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ১৬টি স্টেশনে ৩২টি এভিএম বসানোর প্রস্তুতি ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে।

মেট্রোরেলের স্থায়ী কার্ডে যাতায়াত করলে ১০ শতাংশ ছাড় পাওয়া যায়। বর্তমানে ৫৫ শতাংশ যাত্রী র‍্যাপিড বা এমআরটি পাস ব্যবহার করছেন। নতুন সেবা চালু হলে যাত্রীদের সময় বাঁচবে এবং ভোগান্তি কমবে।

ঢাকা মেট্রোরেল বর্তমানে সকাল সাড়ে ছয়টা থেকে রাত সাড়ে নয়টা পর্যন্ত চলাচল করছে। মতিঝিল থেকে প্রথম ট্রেন ছাড়ছে সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে এবং শেষ ট্রেন রাত ১০টা ১০ মিনিটে। আগামী মাসে ট্রেনগুলোর মধ্যে আসার সময়ের ব্যবধান দুই মিনিট কমানো হবে। এতে দৈনিক যাত্রী চলাচল পাঁচ লাখ ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করছে কর্তৃপক্ষ।


বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ৩০ লাখ মানুষের ভোটাধিকার নিশ্চিতে আইনি নোটিশ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

জাতীয় নির্বাচনে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন মানুষের ভোটাধিকার নিশ্চিতে সরকারকে অবিলম্বে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব।

মঙ্গলবার সকালে মানবাধিকার সংগঠন ল’ অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশন ট্রাস্টের পক্ষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার, সচিব, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন, স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় বরাবর ই-মেইলে জনস্বার্থে এ নোটিশটি পাঠান তিনি।

নোটিশে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী নির্বাচনে বিশেষ চাহিদা সম্পন্নদের (দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, শারীরিক প্রতিবন্ধী) ভোটারের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা সরকারের সাংবিধানিক ও আইনগত দায়িত্ব। কিন্তু নোটিশ গ্রহীতাদের নিষ্ক্রিয়তার কারণে দেশের প্রায় ৩০ লাখ প্রতিবন্ধী নির্বাচনে ভোটদান থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

নোটিশে বলা হয়, দেশে ৩০ লক্ষের বেশি প্রতিবন্ধী ভোটার রয়েছেন। এদের মধ্যে মাত্র ১০ শতাংশ প্রতিবন্ধী ভোটার ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন। দেশের ৯০ শতাংশ প্রতিবন্ধী ভোটার নির্বাচনে ভোটদান থেকে বিরত থাকতে বাধ্য হচ্ছেন। এর ফলে গণতন্ত্র চর্চায় মারাত্মক প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়েছে। বিপুল সংখ্যক প্রতিবন্ধী নাগরিকের মতামত রাষ্ট্রপরিচালনায় প্রতিফলিত হচ্ছে না।

এমতাবস্থায় প্রতিবন্ধী ও বিশেষ চাহিদা সম্পন্নদের ভোটাধিকার নিশ্চিতে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জাতীয় নির্বাচন ও সকল প্রকার স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে অংশগ্রহণের নিশ্চয়তার জন্য মনোনয়ন পত্রের সাথে জামানত হিসেবে নির্ধারিত অর্থ জমাদানের বিধান থেকে অব্যাহতি দিতেও ব্যবস্থা নিতে বলা হচ্ছে।

নোটিশ প্রাপ্তরা ৫ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে ল’ এড লাইফ ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট জনস্বার্থে হাইকোর্টে রিট দায়ের করে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নেবে বলে নোটিশে জানানো হয়েছে।


নির্বাচনকালীন দায়িত্ব: লটারিতে চূড়ান্ত ৬৪ জেলার এসপি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আসন্ন ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে দায়িত্ব পালনের জন্য ৬৪ জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) চূড়ান্ত করেছে সরকার।

প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় লটারি করে সোমবার এসপি নির্বাচন করা হয়েছে। শিগগির পর্যায়ক্রমে তাদের পদায়ন করা হবে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশ সদর দপ্তরের কর্মকর্তারা বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

জানা গেছে, লটারির সময় উপস্থিত ছিলেন ভারপ্রাপ্ত আইজিপি ও ডিএমপিকমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী। এ ছাড়া স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তা ও প্রধান উপদেষ্টা কার্যালয়ের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, জেলার পুলিশ সুপার নির্বাচনের ক্ষেত্রে প্রথমে অতীতে এসপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন এমন কর্মকর্তাদের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল। এরপর পুলিশ ক্যাডারের ২৫, ২৭ ও ২৮তম ব্যাচের কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে যাচাই-বাছাই করে একটি ফিট লিস্ট প্রস্তুত করা হয়। সেই তালিকায় থাকা কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে ম্যানুয়াল লটারির মাধ্যমে ৬৪ জনকে নির্বাচন করা হয়। পর্যায়ক্রমে তাদের বিভিন্ন জেলায় পাঠানো হবে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশ সদর দপ্তরের সূত্র জানায়, জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের বদলি-পদায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়। প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ অনুযায়ী যোগ্য কর্মকর্তাদের তালিকা কমিটির হাতে দেওয়া হয় এবং লটারির মাধ্যমে জেলাওয়ারি পদায়ন চূড়ান্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এ কারণে গত সপ্তাহে ৬ জেলায় দেওয়া নতুন এসপি নিয়োগের যোগদান স্থগিত রাখা হয়; তাদের ক্ষেত্রেও লটারির সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।

গত শনিবার বিকালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত ২ ঘণ্টার বৈঠকে নির্বাচনকালে পুলিশের নিয়োগ ও বদলিসংক্রান্ত নীতিমালা নিয়ে আলোচনা হয়। সে আলোচনার ধারাবাহিকতায় লটারি করে ৬৪ জেলার এসপি নির্বাচন করা হলো।

এর আগে ১৯ নভেম্বর নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সংলাপে সংসদ নির্বাচনে মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের লটারির মাধ্যমে বদলির দাবি জানিয়েছিল বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল।


রাজধানীতে ৩০০ ঝুঁকিপূর্ণ ভবন চিহ্নিত: রাজউক

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

সম্প্রতি কয়েক দফায় ভূমিকম্প অনুভূত হওয়ার পর রাজধানীতে ঝুঁকিপূর্ণ প্রায় ৩০০টি ছোট-বড় ভবন চিহ্নিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাজউক চেয়ারম্যান রিয়াজুল ইসলাম।

সোমবার রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ তথ্য জানান।

রাজউক চেয়ারম্যান বলেন, সমন্বিতভাবে কাজ না করা গেলে ভূমিকম্প-পরবর্তী পরিস্থিতি সামলানো সম্ভব না। সবাইকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

রিয়াজুল ইসলাম বলেন, যথাযথ নিয়ম মেনেই ভবন নির্মাণের অনুমোদন দেওয়া হয়। রাজউকে অর্থের বিনিময়ে কোনও কাজ হয় না।

রাজউক কাউকে প্ল্যান করে দেয় না উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাড়িওয়ালারাই ইঞ্জিনিয়ার বা আর্কিটেক্ট দিয়ে বাড়ির প্ল্যান করে রাজউকে জমা দেয় এই শর্তে যে রাজউকের নিয়ম মোতাবেক করবেন। পরে তারা সেটা না মানলে জরিমানা কিংবা শাস্তি দিতে হলে সেই বাড়িওয়ালাদেরই দেওয়া উচিত। এর দায়ভার রাজউকের না।

সিটি করপোরেশন, রাজউক ও ফায়ার সার্ভিস আলাদাভাবে কাজ করায় সব বিশৃঙ্খল অবস্থায় আছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

এদিকে এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, রাজউকের আওতাধীন ১ হাজার ৫২৮ বর্গকিলোমিটার এলাকায় প্রায় ২২ লাখ ভবনের মধ্যে ২১ লাখই দুর্বল ভিত্তির ওপরে দাঁড়িয়ে আছে। এসব ভবন নির্মাণে মানা হয়নি বিল্ডিং কোড। রাজউকের নকশা অনুসরণ করা হয়নি। আবার অনেক ভবন পুরোনো নকশায় নির্মিত। সরকারিভাবে নির্মিত ৩৭ শতাংশ নতুন ভবনও ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।

রাজউকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২১ লাখ ভবনের মধ্যে ১৫ লাখ ভবন দ্বিতল বা এর চেয়ে কম। এগুলোর ক্ষেত্রে ক্ষয়ক্ষতির ঝুঁকি কম। কিন্তু চার থেকে ৩০ তলা পর্যন্ত বাকি ৬ লাখ ভবন উচ্চঝুঁকিতে রয়েছে। বড় ধরনের ভূমিকম্প হলে রাজধানীতে ভয়াবহ বিপর্যয় ঘটতে পারে বলে সতর্ক করেছেন নগর পরিকল্পনাবিদরা। ইতোমধ্যে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় ভূমিকম্প হওয়ায় এ নিয়ে নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন।


হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় কার্যকরে বড় বাধা ভারত?

সিএনএনের বিশ্লেষণ
আপডেটেড ২৪ নভেম্বর, ২০২৫ ২৩:৪১
নিজস্ব প্রতিবেদক

পলাতক ও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মানবতাবিরোধী অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। বাংলাদেশ সরকার এই রায় কার্যকর করতে চাইলেও তার বর্তমান আশ্রয়স্থল ভারত তাকে প্রত্যর্পণের ক্ষেত্রে প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

২০২৪ সালের আগস্টে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভের মুখে ভারতে পালিয়ে যান সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী। তাকে বিচারের মুখোমুখি করার জন্য প্রত্যর্পণের দাবি জানাচ্ছে ঢাকা। তবে সাবেক এই ঘনিষ্ঠ মিত্রের পক্ষে ভারতের অবস্থান এক তীব্র কূটনৈতিক অচলাবস্থা তৈরি করেছে।

বাংলাদেশের রাষ্ট্রবিজ্ঞানী মুবাশ্বার হাসান বলেন, জনগণের ক্রোধ থেকে বাঁচতে তাকে দেশ ছেড়ে পালাতে হয়েছিল। তার ভারতে লুকিয়ে থাকা ও মৃত্যুদণ্ড দেওয়া- এটি বেশ অসাধারণ গল্প।

রাজনৈতিক উত্থান ও নির্বাসনের ইতিহাস

শেখ হাসিনার রাজনৈতিক যাত্রা, ট্র্যাজেডি, নির্বাসন ও ক্ষমতার এমন এক কাহিনি, যা দেশের ইতিহাসের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। ১৯৭৫ সালের আগস্টে এক নৃশংস সামরিক অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার বাবা, মা ও তিন ভাইকে ঢাকার বাড়িতে হত্যা করা হয়। তখন পশ্চিম জার্মানিতে থাকায় হাসিনা ও তার বোন প্রাণে বেঁচে যান।

সিএনএন বলছে, হত্যাকাণ্ডের পর জেনারেল জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় আসেন। এই পরিস্থিতিতে হাসিনা ভারতে ছয় বছরের নির্বাসনে যেতে বাধ্য হন, যা তার ওপর ভারতীয় রাষ্ট্রের প্রতি গভীর শ্রদ্ধার ছাপ ফেলে। ১৯৮১ সালে তিনি দেশে ফিরে আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব গ্রহণ করেন। ১৯৯৬ সালে তিনি প্রথমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হন। ক্ষমতায় এসে তার প্রথম কাজ ছিল- ১৯৭৫ সালের অভ্যুত্থান ও পরিবারের হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের বিচারের ঘোষণা দেওয়া।

কর্তৃত্ববাদী শাসন

শেখ হাসিনা দেশে ফেরার পর থেকেই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে তার ব্যক্তিগত ও ধ্বংসাত্মক দ্বন্দ্ব শুরু হয়।

এক মেয়াদ প্রধানমন্ত্রী থেকে ক্ষমতা হারানোর পর তিনি যখন ২০০৮ সালে আবার ক্ষমতায় ফেরেন, তখন তাকে একজন বদলে যাওয়া নেতা হিসেবে দেখা যায়। তখন তিনি ছিলেন আরও কঠোর এবং দীর্ঘ সময়ের জন্য নিজের ক্ষমতা সুরক্ষিত করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

পরবর্তী ১৫ বছরে শেখ হাসিনা শক্তিশালী অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির যুগের সূচনা করেন। একই সঙ্গে তিনি ভারতকে গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক সমর্থন প্রদান করেন। কিন্তু সমালোচকরা সতর্ক করেন যে, তার সরকার একদলীয় ব্যবস্থার দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল। রাজনৈতিক সহিংসতা, ভোটারদের ভয় দেখানো ও বিরোধী ব্যক্তিত্বদের হয়রানির ক্রমবর্ধমান প্রতিবেদন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।

২০২৪ সালের অভ্যুত্থান ও শেখ হাসিনার পতন

গত বছর শুরু হওয়া ছাত্র নেতৃত্বাধীন আন্দোলন শেখ হাসিনার রাজনৈতিক ইতিহাসে ভিন্নভাবে প্রভাব ফেলে। সরকারি চাকরির কোটা নিয়ে শুরু হওয়া ছাত্র বিক্ষোভ দ্রুত তার পদত্যাগের দাবিতে দেশব্যাপী বিক্ষোভে পরিণত হয়।

জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিসের তথ্য মতে, সরকারের প্রতিক্রিয়া ছিল এক নৃশংস দমন-পীড়ন, যার ফলে ১,৪০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছিল। কিন্তু এই রক্তপাত আন্দোলনকে দমন করতে পারেনি; এটি জনগণের ক্ষোভকে অপ্রতিরোধ্য শক্তিতে পরিণত করে যা শেষ পর্যন্ত তার সরকারকে উৎখাত করে।

রাষ্ট্রবিজ্ঞানী হাসান বলেন, তাকে পালাতে হয়েছিল। এই কাজ নিজের অপরাধ নিজেই স্বীকারের একটি স্বীকৃতি। জনগণ, বাহিনী, সবাই তার বিরুদ্ধে ছিল- কারণ সীমালঙ্ঘন করেছিলেন তিনি। তিনি হত্যা করেছিলেন- তার আদেশে এত মানুষ হত্যার শিকার হয়।

মৃত্যুদণ্ড ও ভারতের অবস্থান

শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতে তারই প্রতিষ্ঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে তার বিচার করা হয় এবং তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। তার বিরুদ্ধে প্রধান অভিযোগ ছিল- বিক্ষোভকারীদের হত্যায় উসকানি দেওয়া, ফাঁসির আদেশ দেওয়া এবং দমন-পীড়নের জন্য মারাত্মক অস্ত্র, ড্রোন ও হেলিকপ্টার ব্যবহারের নির্দেশ দেওয়া। আদালত নিশ্চিত প্রমাণ পেয়েছে যে, ছাত্র বিক্ষোভকারীদের হত্যার নির্দেশ তিনি নিজেই দিয়েছিলেন।

যদিও ভারতে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার আইন আছে, তবুও দেশটি এই রায়টির বিষয়ে নিরপেক্ষ অবস্থান নিয়েছে এবং ‘সব পক্ষের সঙ্গে গঠনমূলকভাবে জড়িত থাকার’ প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

এদিকে হাসিনার পরিবার নয়াদিল্লিকে আশ্রয় দেওয়ায় প্রশংসা করেছে। তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ বলেছেন, সংকটের সময়ে ভারত মূলত আমার মায়ের জীবন বাঁচিয়েছে।

প্রত্যর্পণে আইনি বাধা

বাংলাদেশে কর্মরত ভারতীয় কূটনীতিক অনিল ত্রিগুণায়েত মনে করেন, নয়াদিল্লি সম্ভবত শেখ হাসিনাকে জেল বা মৃত্যুদণ্ডের মুখোমুখি করার জন্য দেশে ফেরত পাঠাবে না। তিনি ব্যাখ্যা করেন, ভারত ও বাংলাদেশের প্রত্যর্পণ চুক্তিতে একটি ব্যতিক্রমী নিয়ম আছে। এই নিয়মের ফলে যদি কোনো রাষ্ট্র মনে করে অপরাধটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে হয়েছে, তবে তারা প্রত্যর্পণ প্রত্যাখ্যান করতে পারে।

তবে, ত্রিগুণায়েত আরও জানান, যেহেতু হাসিনা এখনো তার সমস্ত আইনি সুযোগ (আপিল) ব্যবহার করেননি, তাই ভারত তাকে ফেরত পাঠানোর জন্য কোনো তাড়াহুড়ো করবে না।

যেদিন শেখ হাসিনাকে সাজা দেওয়া হয়, সেদিন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভারতকে ‘অবিলম্বে’ তাকে হস্তান্তরের আহ্বান জানিয়েছিল এবং বলেছিল- এটি ‘উভয় দেশের মধ্যে বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক প্রত্যর্পণ চুক্তি অনুসারে ভারতের দায়িত্ব।’

নতুন নির্বাচনের দিকে বাংলাদেশ

হাসিনার মৃত্যুদণ্ড আগামী ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের জন্য এক উত্তেজনাপূর্ণ পর্যায় তৈরি করেছে। আওয়ামী লীগের কার্যক্রম এখন নিষিদ্ধ, এর নেতৃত্বও ছত্রভঙ্গ হয়ে আছে। এই পরিস্থিতিতে নোবেল শান্তি পুরস্কারপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার জাতিকে তার গভীর মেরুকৃত রাজনৈতিক সংস্কৃতি থেকে বের করে আনার এক বিরাট দায়িত্বের মুখোমুখি হয়েছেন।

বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, আওয়ামী লীগের অনুপস্থিতি তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বেগম খালেদা জিয়ার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ও অন্যান্য ছোট দলের জন্য রাজনৈতিক ক্ষেত্র উন্মুক্ত করলেও গভীর বিভাজনগুলো সহজে সমাধান করা যাবে না। এখন প্রশ্ন হলো, শেখ হাসিনার পতন কী একটি বিষাক্ত যুগের সমাপ্তি, নাকি কেবলই অনিশ্চিত এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা?


বিচার বিভাগ আন্তর্জাতিক সহযোগিতার নতুন যুগে প্রবেশ করেছে: প্রধান বিচারপতি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেছেন, জাতীয় প্রচেষ্টার পাশাপাশি বিচার বিভাগ আন্তর্জাতিক সহযোগিতার নতুন যুগে প্রবেশ করেছে। ব্রাজিল, মিসর, প্যালেস্টাইন, নেপাল এবং থাইল্যান্ডের সঙ্গে নতুন অংশীদারিত্ব এবং প্রশিক্ষণ-সমর্থনমূলক বিভিন্ন কর্মসূচিকে তিনি বিচার কূটনীতির নতুন অধ্যায় হিসেবে অভিহিত করেন।

সোমবার বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের উদ্যোগে সুপ্রিম কোর্ট অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধান বিচারপতি বলেন, বাংলাদেশের আইনগত ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো বর্তমানে সুপরিকল্পিত রূপান্তরের মধ্য দিয়ে অগ্রসর হচ্ছে। সারা বিশ্বে আইন পেশায় দ্রুত পরিবর্তন আসছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো ডিজিটাল রূপান্তর, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড, তথ্যভিত্তিক শাসনব্যবস্থা এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ক্রমবর্ধমান ব্যবহার ও পরিবর্তন মোকাবিলায় বাংলাদেশের আইনজীবীদেরও প্রস্তুত হতে হবে।

তিনি উল্লেখ করেন, প্রচলিত আইনি অনুশীলন আর যথেষ্ট নয়; একটি আধুনিক, কার্যকর ও জনগণকেন্দ্রিক বিচারব্যবস্থা গড়তে ধারাবাহিক প্রশিক্ষণ, ডিজিটাল ব্যবস্থাপনার উপর দক্ষতা এবং নৈতিক সক্ষমতা অর্জন করা এখন অপরিহার্য।

প্রধান বিচারপতি তার বক্তব্যে বিগত ১৬ মাসে বিচার বিভাগ সংস্কারের উদ্দেশ্যে নেওয়া বিভিন্ন সংস্কার উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, সুপ্রিম কোর্ট হেল্পলাইন, সারাদেশের জেলা ও দায়রা জজ আদালত ও বিভাগীয় আদালতে চালু হওয়া হেল্পলাইন সার্ভিস, পাইলট প্রকল্প হিসেবে চালু হওয়া হাইকোর্টের দুটি পেপার-ফ্রি বেঞ্চ, ডিজিটাল অভিযোগ ব্যবস্থাপনা, স্বয়ংক্রিয় কজলিস্ট ব্যবস্থাপনা, দ্রুত মামলা প্রসেসিং সিস্টেম চালুকরণ এবং পেপার-ফ্রি পারিবারিক আদালতের মতো উদ্যোগ বা সংস্কার বিচারপ্রাপ্তির সুযোগ বাড়িয়েছে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, একটি সংস্কারমুখী বিচার বিভাগকে সমর্থন করার জন্য একটি রূপান্তরমুখী বার অপরিহার্য।

ডিজিটাল বিএলডি প্ল্যাটফর্মকে বিচার বিভাগের ডিজিটাল উন্নয়ন অভিযাত্রার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ উল্লেখ করে প্রধান বিচারপতি বলেন, এটি প্রশিক্ষণ তদারকি, দক্ষতার মানদণ্ড নির্ণয় এবং গবেষণায় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করবে। তিনি আরও বলেন, একটি তথ্যসমৃদ্ধ বার কাউন্সিল আইন পেশার স্থিতিশীলতা ও স্বচ্ছতা বাড়াবে।

তিনি বলেন, আইনজীবীদের সিপিডি কর্মসূচি অত্যন্ত সময়োপযোগী ও অপরিহার্য। আইনজীবীরা নিয়মিতভাবে তাদের জ্ঞান হালনাগাদ করলে যুক্তি-উপস্থাপন উন্নত হয়, বিচারপ্রক্রিয়া আরও স্বচ্ছ হয়, আদালতের সময় বাঁচে এবং আদালতের সক্ষমতা বৃদ্ধি পাওয়ায় বিচার বিলম্ব কমে। একজন সুশিক্ষিত আইনজীবী কেবল তার ক্লায়েন্টের সম্পদই নন, বরং তিনি একটি কার্যকর বিচারব্যবস্থার অন্যতম স্তম্ভ বলে তিনি উল্লেখ করেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এবং বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মো. আসাদুজ্জামান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান সিনিয়র আইনজীবী জয়নুল আবেদীন এবং সুপ্রিম কোর্ট বার সভাপতি ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সচিব (জেলা ও দায়রা জজ) মুহাম্মদ কামাল হোসেন সিকদার। বক্তব্য দেন ব্যারিস্টার তাসনুভা শেলী এবং ব্যারিস্টার এহসান হক।


নির্বাচনের বাজেট নিয়ে উদ্বেগের কারণ নেই: অর্থ উপদেষ্টা

অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় বাজেট নিয়ে চিন্তার কোনো কারণ নেই। নির্বাচন কমিশনের জরুরি প্রয়োজন হলে প্রয়োজনীয় অর্থের ব্যবস্থা করা সম্ভব।

তিনি আরো বলেন, নির্বাচনের তফশিল ঘোষণার পরও জরুরি ব্যয়ের প্রয়োজন দেখা দিলে তা মেটানো যাবে। এ নিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। নির্বাচন কমিশনের যদি জরুরি কোনো প্রয়োজন হয়, সেটি আমরা মেটাতে পারব।

আজ সোমবার বাংলাদেশ সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচন এবং গণভোট একই দিনে অনুষ্ঠিত হলে নিরাপত্তা এবং জনবল মোতায়েনসহ অন্যান্য খাতে ব্যয় বাড়তে পারে। এ কারণে নির্বাচনি বাজেট পুনর্বিন্যাস করা লাগতে পারে।

তিনি আরো বলেন, ‘আমরা যখন প্রথম প্রস্তাব পেয়েছিলাম, তখন গণভোট ছিল না। স্বাভাবিকভাবেই একই দিনে নির্বাচন ও গণভোট আয়োজন করলে অতিরিক্ত ব্যয় হবে। বেশি জনবল, বেশি নিরাপত্তা, বেশি লজিস্টিক লাগবে।’

অর্থ উপদেষ্টা জানান, নির্বাচন কমিশন তাদের প্রাথমিক ব্যয় প্রাক্কলনে গণভোটের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করেনি।

তিনি আরো বলেন, বিদেশস্থ বাংলাদেশি প্রবাসীদের ভোটার তালিকাভুক্তকরণ কার্যক্রমেও অতিরিক্ত ব্যয় হতে পারে। বিদেশ মিশনগুলো প্রস্তুতিমূলক কাজ করছে। কর্মকর্তারা তথ্য সংগ্রহ করছেন, এজন্য ওভারটাইমও লাগছে। এ নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অতিরিক্ত বাজেট চাইতে পারে। আমরা সহায়তা করব।

প্রধান নির্বাচন কমিশনারের মন্তব্য, নির্বাচনের সঙ্গে একই দিনে গণভোট আয়োজন নির্বাচন কমিশনের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ, এ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি জানান, বিষয়টি তার এখতিয়ারের বাইরে। তবে, তিনি মনে করেন— একই দিনে ভোট নেওয়াই বেশি যৌক্তিক।

তিনি বলেন, ‘এটি সরকারের সিদ্ধান্ত। দুই দিনে ভোট করলে দু’বার পুরো মেশিনারি—রিটার্নিং অফিসার, শিক্ষক, ব্যাংক কর্মকর্তা সবাইকে নামাতে হবে। এটি সহজ নয়। অনেক দেশেই একই দিনে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট হয়। লজিস্টিক বিবেচনায় দু’টি একসঙ্গে করাই ভালো।’

নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বডিক্যাম ব্যবহারের বিষয়ে এক প্রশ্নে অর্থ উপদেষ্টা জানান, সরকার ইতোমধ্যে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো তাদের নিজস্ব বাজেট ব্যবহার করে সরঞ্জাম সংগ্রহ করবে।

তিনি বলেন, ক্রয় কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বরাদ্দকৃত বাজেট থেকেই সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো স্বচ্ছতার সঙ্গে এগুলো কিনবে।

কত সংখ্যক ক্যামেরা কেনা হবে, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, এটি তার দায়িত্ব নয়। সংখ্যা নির্ধারণের দায়িত্ব আমার নয়। এটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও তাদের সংস্থার বিষয়। কোন স্থানে ক্যামেরা লাগবে, তা নির্বাচন কমিশন জানাবে। পুলিশ, বিজিবি, র‌্যাবসহ অন্যান্য সংস্থা ক্যামেরা কিনবে ও ব্যবহার করবে।

সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি ৪০ হাজার ক্যামেরা কেনা হতে পারে, এমন অনুমান নিয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান। সংখ্যা নিয়ে মন্তব্য করব না। প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং ব্যয় যুক্তিসঙ্গত রাখার চেষ্টা করব।

এছাড়া তিনি জানান, সম্প্রতি মন্ত্রিসভার বিদায়ী সদস্যদের জন্য ১০০টি নতুন গাড়ি কেনার প্রস্তাব অর্থ বিভাগ বাতিল করেছে।

তিনি বলেন, অনেক সময় ভুল বার্তা যায়। এগুলো অতিরিক্ত গাড়ি নয়, রিপ্লেসমেন্ট ইউনিট ছিল। তারপরও আমরা মনে করেছি— এখন এটি প্রয়োজন নয়, তাই বাতিল করেছি।

অর্থ উপদেষ্টা জানান, অর্থ বিভাগ ইতোমধ্যে অভ্যন্তরীণ বাজেট পুনর্মূল্যায়ন শুরু করেছে। আমরা সব মন্ত্রণালয়কে ডিসেম্বরের মধ্যে বাজেটের চূড়ান্ত প্রাক্কলন দিতে বলেছি।

ডিসেম্বরেই জাতীয় বাজেট সংশোধন হবে, আর জানুয়ারির মধ্যে আমরা পরবর্তী সরকারের জন্য নির্বাচন বাজেট প্রস্তুত রাখব। সব কিছুই ওপেন। সূত্র: বাসস


আসন্ন নির্বাচনে কমনওয়েলথের পূর্ণ সমর্থন চাই: প্রধান উপদেষ্টা

সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেন কমনওয়েলথ মহাসচিব শার্লি আয়োরকর বচওয়ে। ছবি: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথমার্ধে অনুষ্ঠেয় সাধারণ নির্বাচন সফলভাবে আয়োজনের জন্য কমনওয়েলথের পূর্ণ সমর্থন চেয়েছেন।

আজ সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় কমনওয়েলথ মহাসচিব শার্লি আয়োরকর বচওয়ের সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা এ সমর্থন চান।

এ সময়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের গণতান্ত্রিক রূপান্তর এবং আসন্ন সাধারণ নির্বাচনে আপনারা সমর্থন দেবেন বলে আশা করি।’

তিনি কমনওয়েলথ মহাসচিবকে বাংলাদেশের নির্বাচনের প্রতি গভীর আগ্রহের জন্য ধন্যবাদ জানান এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে নির্বাচন অবাধ, স্বচ্ছ, গ্রহণযোগ্য ও উৎসবমুখর পরিবেশে আয়োজনের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।

জবাবে কমনওয়েলথ মহাসচিব প্রধান উপদেষ্টাকে আশ্বস্ত করেন, কমনওয়েলথ বাংলাদেশের নির্বাচন ও নির্বাচন পরবর্তী রূপান্তরের ক্ষেত্রে পূর্ণ সমর্থন দেবে।

তিনি বলেন, ‘কমনওয়েলথের ৫৬টি দেশ—যেখানে জি-৭ ও জি-২০-এর সদস্যরাও অন্তর্ভুক্ত—যাদের হাতে বিপুল সম্পদ রয়েছে। এই দেশগুলো একে অপরকে শক্তিশালী করতে সেই সম্পদ ব্যবহার করতে পারে।’

মহাসচিব আরও জানান, তিনি দেশের গুরুত্বপূর্ণ সব অংশীজনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন, যার মধ্যে রয়েছে প্রধান বিচারপতি, আইন উপদেষ্টা, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এবং প্রধান নির্বাচন কমিশনার। তিনি যোগ করেন, ‘দেশের ভবিষ্যত নিয়ে আমি খুব আশাবাদী।’

মহাসচিব নিশ্চিত করেন, আসন্ন নির্বাচনের আগে পর্যবেক্ষক দল পাঠানোর জন্য কমনওয়েলথ প্রস্তুতি নিচ্ছে।

বৈঠকে দুই নেতা তরুণদের ক্ষমতায়ন, উদ্যোক্তা তৈরি, সামাজিক ব্যবসা সৃষ্টি এবং বেকারত্ব, কার্বন নির্গমন ও বৈষম্য হ্রাসের লক্ষ্য নিয়ে তিন-শূন্য ভিশন বাস্তবায়ন সম্পর্কেও আলোচনা করেন। সূত্র: বাসস


নির্বাচন পর্যন্ত বন্ধ থাকবে এনআইডি সংশোধন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) ঠিকানা পরিবর্তনসহ অন্যান্য তথ্য সংশোধন সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

সোমবার (২৪ নভেম্বর) বিকেল থেকে পরবর্তী নির্দেশ অথবা নির্বাচন শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই কার্যক্রম বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন ইসির সংশ্লিষ্ট শাখার কর্মকর্তারা।

ইসি কর্মকর্তারা জানান, আজ বিকেল থেকে জাতীয় পরিচয়পত্রের ঠিকানা পরিবর্তনসহ অন্যান্য তথ্য সংশোধন বন্ধ থাকবে। আজ বিকেল ৪টার পর থেকে এ নির্দেশনা কার্যকর হবে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত অথবা নির্বাচন শেষ হওয়া পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত কার্যকর থাকবে।

কর্মকর্তারা বলেন, নির্বাচন সামনে রেখে এনআইডি সংক্রান্ত যেকোনো ধরনের ভুল তথ্য বা পরিবর্তন ঠেকানোর জন্য এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশন সূত্র নিশ্চিত করেছে যে, নির্বাচন প্রক্রিয়াকে সুষ্ঠু ও ত্রুটিমুক্ত রাখতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই সময়ে ভোটার তালিকায় কোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন এড়াতে সংশোধন কার্যক্রম স্থগিত রাখা হচ্ছে।


আমানতকারীদের সুরক্ষা নিশ্চিতে নতুন অধ্যাদেশ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ব্যাংকিং খাতে আমানতকারীদের সুরক্ষা ও আস্থা বাড়ানোর লক্ষ্যে ‘আমানত সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫’ জারি করেছে সরকার। ফলে কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান অবসায়ণ বা বন্ধ হয়ে গেলে আমানতকারীরা তাৎক্ষণিকভাবে সর্বোচ্চ দুই লাখ টাকা ফেরত পাবেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স বিভাগ (ডিআইডি) থেকে গতকাল রোববার এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।

নির্দেশনায় বলা হয়, আমানতকারীর অর্থ সুরক্ষা ও আস্থা বাড়াতে সরকার এ ‘অমানত সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫’ জারি করেছে। সংসদ ভেঙে যাওয়ায় জরুরি পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রপতি সংবিধানের ৯৩(১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী এই অধ্যাদেশ জারি করেছেন। এর মাধ্যমে ব্যাংক আমানত বীমা আইন, ২০০০ বাতিল হয়ে নতুন আধুনিক আইন কার্যকর হলো।

দেশের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে রাখা সাধারণ আমানত সুরক্ষিতভাবে ফেরত দেওয়াই এই আইনের মূল লক্ষ্য। এজন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের অধীনে আলাদা একটি ‘অমানত সুরক্ষা বিভাগ’ গঠিত হবে। বিভাগটি প্রিমিয়াম সংগ্রহ, তহবিল পরিচালনা, সদস্য প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন, আমানত পরিশোধ ও সচেতনতা কার্যক্রম দেখভাল করবে।

নতুন আইনে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের জন্য দুটি পৃথক আমানত সুরক্ষা তহবিল গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তহবিল গঠিত হবে প্রিমিয়াম, জরিমানা, বিনিয়োগ আয় ও অন্যান্য উৎস থেকে। তহবিলের প্রশাসন বাংলাদেশ ব্যাংকের বোর্ড করবে, যা ট্রাস্টি বোর্ড হিসেবে কাজ করবে।

নতুন লাইসেন্স পাওয়া ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে প্রারম্ভিক প্রিমিয়াম জমা দিতে হবে। বর্তমানে কার্যরত সব ব্যাংক স্বয়ংক্রিয়ভাবে সদস্য হবে, আর আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো ২০২৮ সালের ১ জুলাই থেকে সদস্যপদে যুক্ত হবে। এছাড়া ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে ঝুঁকি-ভিত্তিক প্রিমিয়াম আদায়ের নিয়মও থাকছে।

সরকারি, বিদেশি ও আন্তর্জাতিক সংস্থার কিছু বিশেষ আমানত সুরক্ষার বাইরে থাকবে। তবে সাধারণ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের আমানত সুরক্ষা যোগ্য হিসেবে নির্ধারিত সীমার মধ্যে সুরক্ষা পাবে। আর ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান অবসায়ণ বা রেজল্যুশনে গেলে আমানতকারীরা তাৎক্ষণিকভাবে সর্বোচ্চ দুই লাখ টাকা পাবেন। প্রয়োজনে ব্রিজ ব্যাংক বা তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে আমানত ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা করতে পারবে বাংলাদেশ ব্যাংক।

এছাড়া আন্তর্জাতিক মানদণ্ড মেনে চলা, বিদেশি নিয়ন্ত্রক সংস্থার সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই, তথ্য বিনিময় ও প্রযুক্তিগত সহায়তা নেওয়ার ক্ষমতাও দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংককে।


৪৯ বাংলাদেশিসহ ১১১ অভিবাসীকে ফেরত পাঠাল মালয়েশিয়া

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

৪৯ বাংলাদেশিসহ মোট ১১১ জন বিদেশি অভিবাসীকে ফেরত পাঠিয়েছে মালয়েশিয়া। সাজার মেয়াদ শেষে চলতি নভেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে জোহর রাজ্যের পাইনঅ্যাপল টাউন ইমিগ্রেশন ডিপো থেকে তাদের নিজ নিজ দেশে পাঠানো করা হয়।

সোমবার (২৪ নভেম্বর) জোহর রাজ্যের ইমিগ্রেশন বিভাগের ফেসবুক পেজে প্রকাশিত নোটিশে জানানো হয়, ফেরত পাঠানোদের মধ্যে বাংলাদেশের ৪৯ জন ছাড়াও রয়েছেন, ইন্দোনেশিয়ার ২৪, নেপালের ১২, পাকিস্তানের ৯, কম্বোডিয়ার ৪, ভারতের ৪, চীনের ৩ এবং লাওস, ভিয়েতনাম ও সিঙ্গাপুরের ২ জন করে অভিবাসী।

অভিবাসীদের কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর-১ ও ২ (কেএলআইএ-১ ও কেএলআইএ-২), সেনাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, সুলতান ইস্কান্দার বিল্ডিং কমপ্লেক্স এবং স্টুলাং লাউট ফেরি টার্মিনালের মাধ্যমে নিজ দেশে পাঠানো হয়েছে।

প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় ব্যবহৃত বিমান ও ফেরির টিকিটের ব্যয় এসেছে বন্দিদের ব্যক্তিগত সঞ্চয়, পরিবারের আর্থিক সহায়তা এবং প্রয়োজন অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট দেশের দূতাবাসের মাধ্যমে।

জোহর স্টেট ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্ট জানায়, সাজা শেষ হওয়া বিদেশি বন্দিদের মালয়েশিয়ায় অতিরিক্ত অবস্থান রোধে নিয়মিতভাবেই এমন প্রত্যাবাসন কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।


banner close