বুধবার, ৮ অক্টোবর ২০২৫
২৩ আশ্বিন ১৪৩২

আজ পহেলা বৈশাখ, বাংলা ১৪৩০ সনের প্রথম দিন

বাংলা নববর্ষকে বরণ করে নিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের সকল প্রস্তুতি শেষ। রাজা-রানীর মুখোশে পড়ছে তুলির শেষ আঁচড়। ছবি: সুদীপ্ত সালাম
আপডেটেড
১৪ এপ্রিল, ২০২৩ ০০:০৫
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত : ১৪ এপ্রিল, ২০২৩ ০০:০০

আজ শুক্রবার পহেলা বৈশাখ। বাংলা বর্ষপঞ্জিতে যুক্ত হবে নতুন বাংলা বর্ষ ১৪৩০। বাংলার চিরায়ত উৎসব চৈত্রসংক্রান্তি ছিল গত বৃহস্পতিবার। চৈত্র মাসের শেষ দিন চৈত্রসংক্রান্তি। আবার বাংলা বর্ষের শেষ দিনও।

পহেলা বৈশাখ- নতুন বাংলা বর্ষ। জীর্ণ পুরাতন সবকিছু ভেসে যাক, ‘মুছে যাক গ্লানি’ এভাবে বিদায়ী সূর্যের কাছে এ আহ্বান জানায় বাঙালি। পহেলা বৈশাখ আমাদের সব সংকীর্ণতা, কূপমণ্ডূকতা পরিহার করে উদারনৈতিক জীবনব্যবস্থা গড়তে উদ্বুদ্ধ করে। আমাদের মনের ভেতরের সব ক্লেদ, জীর্ণতা দূর করে আমাদের নতুন উদ্যমে বাঁচার অনুপ্রেরণা দেয়। আমরা যে বাঙালি, বিশ্বের বুকে এক গর্বিত জাতি, পহেলা বৈশাখের বর্ষবরণে আমাদের মধ্যে এই স্বাজাত্যবোধ এবং বাঙালিয়ানা নতুন করে প্রাণ পায়, উজ্জীবিত হয়।

অন্যদিকে পহেলা বৈশাখ বাঙালির একটি সর্বজনীন লোক-উৎসব। এদিন আনন্দঘন পরিবেশে বরণ করে নেয়া হয় নতুন বছরকে। কল্যাণ ও নতুন জীবনের প্রতীক হলো নববর্ষ। অতীতের ভুলত্রুটি ও ব্যর্থতার গ্লানি ভুলে নতুন করে সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনায় উদযাপিত হয় নববর্ষ।

আজ পহেলা বৈশাখে বর্ণিল উৎসবে মাতবে দেশ। ভোরের প্রথম আলো রাঙিয়ে দেবে নতুন স্বপ্ন, প্রত্যাশা আর সম্ভাবনাকে। রাজধানী এবং দেশজুড়ে থাকবে বর্ষবরণের নানা আয়োজন। ‘বাংলা নববর্ষ ১৪৩০’ জাঁকজমকপূর্ণভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে জাতীয় পর্যায়ে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে সরকার। দিনটি সরকারি ছুটির দিন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে। ছায়ানট ভোরে রমনা বটমূলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে।

একসময় নববর্ষ পালিত হতো আর্তব উৎসব বা ঋতুধর্মী উৎসব হিসেবে। তখন এর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল কৃষির, কারণ কৃষিকাজ ছিল ঋতুনির্ভর। পরে কৃষিকাজ ও খাজনা আদায়ের সুবিধার জন্য মোগল সম্রাট আকবরের সময়ে বাংলা সন গণনার শুরু হয়। হিজরি চান্দ্রসন ও বাংলা সৌরসনের ওপর ভিত্তি করে প্রবর্তিত হয় নতুন এই বাংলা সন। অতীতে বাংলা নববর্ষের মূল উৎসব ছিল হালখাতা। এটি পুরোপুরিই একটি অর্থনৈতিক ব্যাপার। গ্রামে-গঞ্জে-নগরে ব্যবসায়ীরা নববর্ষের প্রারম্ভে তাদের পুরোনো হিসাব-নিকাশ সম্পন্ন করে হিসাবের নতুন খাতা খুলতেন। এ উপলক্ষে তারা নতুন-পুরোনো খদ্দেরদের আমন্ত্রণ জানিয়ে মিষ্টি বিতরণ করতেন এবং নতুনভাবে তাদের সঙ্গে ব্যবসায়িক যোগসূত্র স্থাপন করতেন। চিরাচরিত এ অনুষ্ঠানটি আজও পালিত হয়।

মূলত ১৫৫৬ সালে কার্যকর হওয়া বাংলা সন প্রথম দিকে পরিচিত ছিল ফসলি সন নামে, পরে তা পরিচিত হয় বঙ্গাব্দ নামে। কৃষিভিত্তিক গ্রামীণ সমাজের সঙ্গে বাংলা বর্ষের ইতিহাস জড়িয়ে থাকলেও এর সঙ্গে রাজনৈতিক ইতিহাসেরও সংযোগ ঘটেছে। পাকিস্তান শাসনামলে বাঙালি জাতীয়তাবাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি হয় বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের। আর ষাটের দশকের শেষে তা বিশেষ মাত্রা পায় রমনা বটমূলে ছায়ানটের আয়োজনের মাধ্যমে। এ সময় ঢাকায় নাগরিক পর্যায়ে ছায়ানটের উদ্যোগে সীমিত আকারে বর্ষবরণ শুরু হয়। আমাদের মহান স্বাধীনতার পর ধীরে ধীরে এই উৎসব নাগরিক জীবনে প্রভাব বিস্তার করতে শুরু করে। পহেলা বৈশাখের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বাঙালির অসাম্প্রদায়িক এবং গণতান্ত্রিক চেতনার বহিঃপ্রকাশ ঘটতে থাকে। কালক্রমে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান এখন শুধু আনন্দ-উল্লাসের উৎসব নয়, এটি বাঙালি সংস্কৃতির একটি শক্তিশালী ধারক-বাহক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। শুধু তা-ই নয়, উৎসবের পাশাপাশি স্বৈরাচার-অপশক্তির বিরুদ্ধে প্রতিবাদও এসেছে পহেলা বৈশাখের আয়োজনে। ১৯৮৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে বের হয় প্রথম মঙ্গল শোভাযাত্রা, যা ২০১৬ সালের ৩০ নভেম্বর ইউনেসকো এ শোভাযাত্রাকে বিশ্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের মর্যাদা দেয়।


তীব্র যানজটে আটকা পড়ে মোটরসাইকেলে গেলেন সড়ক উপদেষ্টা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়া অংশে সংস্কার কাজ পরিদর্শনে এসে তীব্র যানজটের কবলে পড়েন সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান। এ সময় ১৫ মিনিট দূরত্বের ৩ ঘণ্টা আটকা পড়ে অবশেষে মোটরসাইকেলের উদ্দেশ্যে গন্তব্যে পাড়ি দেন।

এরআগে, বুধবার ঢাকা থেকে রেলপথে আসেন কিশোরগঞ্জের ভৈরবে। সকালে তিনি নামেন উপজেলার রেলওয়ে জংশনে। সেখান থেকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশে আশুগঞ্জ উপজেলার হোটেল উজানভাটিতে যাত্রাবিরতি করেন। এরপর হোটেল থেকে বের হয়ে বাহাদুরপুরে তিনি তীব্র যানজটের কবলে পড়েন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আশুগঞ্জ নৌবন্দর থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর পর্যন্ত প্রায় ৫১ কিলোমিটার সড়ক চারলেন উন্নীত করার কাজ চলছে। তবে প্রকল্পের কাজ চলছে ধীরগতিতে। এ অবস্থায় আশুগঞ্জ গোলচত্বর থেকে সরাইল-বিশ্বরোড মোড় পর্যন্ত প্রায় ১২ কিলোমিটার অংশে ছোট বড় অসংখ্য গর্ত তৈরি হয়েছে। এতে করে প্রতিদিন তীব্র যানজটের কবলে পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের। ধীরগতির কারণে মহাসড়কের এ অংশ পাড়ি দিতে যানবাহনগুলোর সময় লাগে ৪-৬ ঘণ্টা।

এ অবস্থায় এই প্রকল্পের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অংশ পরিদর্শনে আসেন উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। তাই গত রোববার থেকে সড়কের খানাখন্দের ভরাট শুরু করা হয়। এক পাশ বন্ধ রেখে সংস্কার কাজ চালানোর ফলে গেল তিন দিন ধরে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়ে আছে মহাসড়কে। বুধবার সকাল থেকে তীব্র যানজট তৈরি হয়।

আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল আলম জানান, উপদেষ্টা মহোদয় আশুগঞ্জ থেকে সরাইলের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছেন। পথিমধ্যে আশুগঞ্জের মৈত্রী স্তম্ভ এলাকায় যানজটের আটকা পড়েন তিনি।


রেলপথ মন্ত্রালয়ের উপদেষ্টা আসবে বলে আর্বজনা স্তুূপ পর্দা দিয়ে ঢেকে দিলো পৌর কর্তৃপক্ষ 

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ভৈরব ( কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি

কিশোরগঞ্জের ভৈরব রেলওয়ে স্টেশনে অর্ন্তবর্তী সরকারের বাংলাদেশ রেলপথ মন্ত্রালয়ের বর্তমান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান আসবে বলে সড়কের পাশে ময়লা আবর্জনার স্তূপ পর্দা দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে । এনিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্য চলছে নানা আলোচনা সমালোচনা।

বুধবার সকাল ১০টার দিকে ঢাকা থেকে ট্রেনযোগে ভৈরব রেলওয়ে স্টেশনে আসেন। পরে সড়ক পথে ব্রাক্ষণবাড়িয়ার সরাইলে উদ্যোশে রওনা দেন।

বন্দরনগর ভৈরব একটি বাণিজ্য এলাকা হওয়ায় আশেপাশের কয়েক জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ট্রেনে চড়ে বিভিন্ন গন্তব্যে যেতে প্রতিদিন হাজারো মানুষ রেলওয়ে স্টেশন সড়ক দিয়ে যাতায়াত করে থাকে। তাছাড়া শহরের ঘোড়াকান্দা পলাশের মোড় এলাকায় অবস্থিত ৩টি স্কুল রয়েছে এতে প্রায় হাজারো শিক্ষার্থী প্রতিদিন সড়কটি দিয়ে চলাচল করতে হয়। শহরের অন্যতম ব্যস্ত স্টেশনে যাওয়ার সড়কটির পাশে ঘোড়াকান্দা পলাশ মোড়ে প্রতিদিন ৩০-৪০ টন ময়লা আবর্জনা ফেলা হয়। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন এই সড়ক দিয়েই চলাচল করা ট্রেনের যাত্রী, শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ। পৌর শহরের ১২টি ওয়ার্ডে ময়লা আবর্জনা সড়কের পাশে অবস্থিত রেলওয়ের একটি বড় পুকুরে ফেলা হচ্ছে। এতে পুঁকুরের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ ভরাট হয়ে গেছে আবর্জনায়।

তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি পৌর প্রশাসক যেন অতি দ্রুত জনবহুল এলাকা থেকে ময়লা আবর্জনার স্তূপ অন্যত্র সরিয়ে নির্ধারিত জায়গায় ফেলেন। এতে এলাকাবাসীসহ পথচারীরা দুর্গন্ধের ভোগান্তি থেকে মুক্ত পাবে।

এবিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা জাকির হোসেন বলেন, এতদিন ধরে শহরের গুরুত্বপূর্ণ একটি সড়কের পাশে ময়লার স্তূপের কারণে পথচারীরা নাক চেপে চলাচল করতে হয়েছে। কিন্তু আজকে সরকারের একজন উপদেষ্টা আসবে বলে কাপড়ের পর্দা দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে। তছাড়া ময়লার স্তূপ পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করে ব্লিসিং পাউডার ছড়ানো হয়েছে যেন দুর্গন্ধ না ছড়ায়।

পৌর শহরের ঘোড়াকান্দা এলাকার ব্যবসায়ী সেলিম মিয়া বলেন, বাড়ি থেকে বের হয়ে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যেতে এই সড়ক দিয়ে যেতে হয়। সড়কটির পাশে রেলের পুকুরে অবাধে ময়লা আর্বজনা ফেলে ভরাট করছে। এতে ময়লা আবর্জনা থেকে দুর্গন্ধ সৃষ্টি হয়ে জনমনে দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে।

এবিষয়ে ভৈরব পৌরসভার কনজারভেন্সি ইন্সপেক্টর মো.রফিকুল ইসলাম রোকন জানান, পৌরসভার নির্দিষ্ট ডাপিং ব্যবস্থা না থাকায় শহরের ময়লা আর্বজনা সড়কের পাশে রেলের জায়গায় ফেলতে হয়। আমরা প্রতিদিনই ময়লা আর্বজনা স্তূপে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করা হয়ে থাকে। আজকে সরকারের রেলপথ উপদেষ্টা আসবেন বলে কাপড়ের পর্দা দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে। যাতে ভৈরবে আগত অতিথিদের চোখে না পড়ে।


পাঁচ দিন ধরে সাগরে ভাসমান ২৬ জেলেকে উদ্ধার করলো নৌ বাহিনী

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কক্সবাজার প্রতিনিধি

ইঞ্জিন বিকল হয়ে সাগরে ভাসতে থাকা ২৬ জন জেলেকে জীবিত উদ্ধার করেছে বাংলাদেশ নৌ বাহিনী। ওই জেলেরা একটি ট্রলারে বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকারে গিয়ে ৫ দিন ধরে সাগরে ভাসছিল। যদিও গত ৪ অক্টোবর থেকে সাগরে ইলিশ শিকারে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ নৌ বাহিনীর মিডিয়া কর্মকর্তা লে. কমান্ডার সিয়াম উল হক। তবে তিনি তাৎক্ষণিক বিস্তারিত জানাতে পারেননি।

প্রসঙ্গত, সাগরে মা ইলিশ সংরক্ষনে ৪ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে কাজ করছে নৌ বাহিনীর ১৭টি যুদ্ধ জাহাজ। জাহাজগুলো বঙ্গোপসাগরের কক্সবাজার উপকূলসহ ৯টি জেলায় কাজ করছে।


মেনন-পলক-দস্তগীরসহ চারজন নতুন মামলায় গ্রেফতার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

জুলাই আন্দোলনে রাজধানীর বনানী এলাকায় মো. শাহজাহান হত্যা মামলায় বাংলাদেশ ওয়ার্কাস পার্টির সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী, গাজী গ্রুপের চেয়ারম্যান গোলাম দস্তগীর গাজীসহ ৪ জনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।

পুলিশের আবেদনের প্রেক্ষিতে বুধবার (৮ অক্টোবর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদেকুর রহমানের আদালত তাদের গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন।

অপর আসামিরা হলেন, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলাম, ও সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মুহাম্মদ শামসুদ্দোহা সুমন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

জানা গেছে, এদিন সকালে কারাগারে থেকে আসামিদের আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বনানী থানার উপপরিদর্শক মো. ইয়াছির আরাফাত আসামিদের গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করেন। আদালতে ওঠানোর সময় তাদের প্রত্যেকের মাথায় হেলমেট, বুকে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট ছিল।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গতবছরের ১৯ জুলাই ঢাকার একটি কারখানার কর্মী মো. শাহজাহান মহাখালী ফ্লাইওভারের নিচে শান্তিপূর্ণ মিছিলে অংশগ্রহণ করেন। এসময় আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা দেশীয় অস্ত্রসহ আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে মিছিলে গুলিবর্ষণ করে। এসময় শাহজাহান বুকে ও পেটে দুইটি গুলিবিদ্ধ হন। চার দিন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। এ ঘটনায় গত ১৮ ডিসেম্বর নিহতের মা সাজেদা বনানী থানায় ৯৭ জনের নাম উল্লেখ করে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।


ইসরাইলের হাতে আটক শহিদুল আলম

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ইসরাইলের হাতে আটক হয়েছেন বাংলাদেশের মানবাধিকারকর্মী শহিদুল আলম। বুধবার তাকে আটক করা হয়। শহিদুল আলম ‘কনশান্স’ নামের একটি জাহাজে রয়েছেন।

নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, আমি শহীদুল আলম, বাংলাদেশের একজন আলোকচিত্রী এবং লেখক। আমাদের সমুদ্রে আটক করা হয়েছে এবং আমাকে ইসরায়েলের দখলদার বাহিনী অপহরণ করেছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য পশ্চিমা শক্তির সক্রিয় সহযোগিতা এবং সহায়তায় যারা গাজায় গণহত্যা চালাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, আমি আমার সকল কমরেড এবং বন্ধুদের কাছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার জন্য লড়াই চালিয়ে যাওয়ার জন্য আবেদন করছি।

এদিকে গাজা ফ্রিডম ফ্লোটিলা জানিয়েছে, ইসরাইলি সেনাবাহিনী তাদের কনভয়ে আক্রমণ করেছে এবং গাজার দিকে যাত্রা করার সময় বেশ কয়েকটি জাহাজকে আটক করেছে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ইসরাইলি সেনাবাহিনী গাজায় যাওয়ার পথে কমপক্ষে দুটি জাহাজে উঠে পড়েছে।


তদন্ত কর্মকর্তাকে আজও জেরা করবেন শেখ হাসিনার আইনজীবী

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

জুলাই-আগস্টে গণহত্যার দায়ে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাক্ষ্য দেওয়া মূল তদন্ত কর্মকর্তা মো. আলমগীরকে তৃতীয় দিনের মতো আজও জেরা করবেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন।

বুধবার (৮ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন বিচারিক প্যানেলে এ জেরা অনুষ্ঠিত হবে।

মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) দ্বিতীয় দিনের মতো জেরা শেষ করেন এই স্টেট ডিফেন্স আইনজীবী। জুলাই গণহত্যা নিয়ে সাক্ষীর দেওয়া বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করে নিজের মক্কেলদের পক্ষে বিভিন্ন সাফাই প্রশ্ন করেন আমির হোসেন। আন্দোলনকারীদের বাধ্য হয়েই পুলিশ বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা গুলি চালাতে বাধ্য হয়েছিলেন বলে যুক্তি খণ্ডন করেন। দিনভর জেরা করলেও শেষ না হওয়ায় আজ পর্যন্ত মুলতবি করেন ট্রাইব্যুনাল।

প্রসিকিউশনের পক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম ও প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম। সঙ্গে ছিলেন প্রসিকিউটর আবদুস সাত্তার পালোয়ান, তারেক আবদুল্লাহ, মামুনুর রশীদসহ অন্যরা।

এর আগে গত ৬ অক্টোবর এ জেরা শুরু হয়। ৩০ সেপ্টেম্বর শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে তৃতীয় দিনের মতো সাক্ষ্য দেন তদন্ত কর্মকর্তা আলমগীর। তিনি এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের ৫৪তম বা সর্বশেষ সাক্ষী। জবানবন্দিতে বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরেন তিনি। এর মধ্যে গত বছরের জুলাই আন্দোলন চলাকালীন ৪১টি জেলার ৪৩৮টি স্থানে হত্যাকাণ্ড ও ৫০টিরও বেশি জেলায় মারণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন।

২৯ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় দিনের মতো জবানবন্দি দেন এই তদন্ত কর্মকর্তা। সেদিনও বিভিন্ন তথ্যের পাশাপাশি নিজের জব্দ করা জুলাই আন্দোলনের নৃশংসতা নিয়ে যমুনা টেলিভিশনের একটি প্রতিবেদন প্রদর্শন করা হয় ট্রাইব্যুনালে। এ ছাড়া গত বছরের ৫ আগস্ট যাত্রাবাড়ীতে পুলিশের হত্যাযজ্ঞের ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরা হয়। এমনকি জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার ওপর তিন লাখ পাঁচ হাজার গুলি ছোড়া হয়েছিল বলে জবানবন্দিতে জানিয়েছেন তিনি। তদন্ত কর্মকর্তার জবানবন্দি সরাসরি সম্প্রচার করা হয় বাংলাদেশ টেলিভিশনে। এ ছাড়া বিবিসি, আল-জাজিরা, আমার দেশে প্রচারিত প্রামাণ্য চিত্র দেখানো হয়।

২৮ সেপ্টেম্বর তদন্ত কর্মকর্তা আলমগীরের জবানবন্দি শুরু হয়। ওইদিন তার জব্দ করা ১৭টি ভিডিও ট্রাইব্যুনালে প্রদর্শিত হয়। এসব ভিডিওতে জুলাই-আগস্টের নির্মমতা ফুটে ওঠে। সবমিলিয়ে ২৫ কার্যদিবসে শেখ হাসিনার মামলায় মোট সাক্ষ্য দিয়েছেন ৫৪ জন। শেষ সাক্ষীর জেরা শেষ হলেই যুক্তিতর্ক ও রায়ের দিকে এগোবে।

২৪ সেপ্টেম্বর এ মামলার ২২তম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা শেষ হয়। ওইদিন সাক্ষ্য দেন বিশেষ তদন্ত কর্মকর্তা ও প্রসিকিউটর তানভীর হাসান জোহা। পরে তাকে জেরা করেন আমির হোসেন।

মামলার অন্যতম আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনও ৩৬ নম্বর সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দিয়েছেন। নিজের দায় স্বীকার করে আগেই হয়েছেন রাজসাক্ষী। এ ছাড়া সাক্ষীদের জবানবন্দিতে গত বছরের জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে দেশজুড়ে হত্যাযজ্ঞ চালানোর বীভৎস বর্ণনা উঠে এসেছে। আর এসবের জন্য দায়ী করে শেখ হাসিনা, কামালসহ জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়েছেন শহীদ পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা।

গত ১০ জুলাই শেখ হাসিনা, কামাল ও মামুনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। এ মামলায় তাদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের পাঁচটি অভিযোগ আনে প্রসিকিউশন। আনুষ্ঠানিক অভিযোগ মোট আট হাজার ৭৪৭ পৃষ্ঠার। এর মধ্যে তথ্যসূত্র দুই হাজার ১৮ পৃষ্ঠার, জব্দ তালিকা ও দালিলিক প্রমাণাদি চার হাজার পাঁচ পৃষ্ঠার ও শহীদদের তালিকার বিবরণ দুই হাজার ৭২৪ পৃষ্ঠার। সাক্ষী করা হয়েছে ৮১ জনকে। গত ১২ মে চিফ প্রসিকিউটরের কাছে এ মামলার প্রতিবেদন জমা দেন ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার কর্মকর্তারা।


ইউনেসকোর ৪৩তম সম্মেলনের সভাপতি বাংলাদেশ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ইউনেসকোর ৪৩তম সম্মেলনের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছে বাংলাদেশ। মঙ্গলবার রাতে নিজের ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে এ তথ্য জানান সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।

এদিকে গতকাল মঙ্গলবার ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক সংস্থার (ইউনেসকো) ৪৩তম সাধারণ সম্মেলনের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন ফ্রান্সে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত খন্দকার এম তালহা।

নির্বাচনে তিনি জাপানের রাষ্ট্রদূত তাকেহিরো কানোকে ৩০-২৭ ভোটে পরাজিত করেন। বাংলাদেশ, জাপান, ভারত ও কোরিয়া প্রজাতন্ত্র প্রার্থিতা দিলেও গত সেপ্টেম্বরে ভারত ও কোরিয়া তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেয়।

বাংলাদেশের ইউনেসকো সদস্য পদের ৫৩ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম কোনো বাংলাদেশি এই মর্যাদাপূর্ণ আন্তর্জাতিক পদে নির্বাচিত হলেন, যা দেশের জন্য এক ঐতিহাসিক মাইলফলক। আসন্ন ৪৩তম সাধারণ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৩০ অক্টোবর থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত।

এই অর্জনে ফ্রান্সে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে আনন্দ ও গর্বের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে এবং ফ্রান্স-বাংলাদেশ জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন (এফবিজেএ), বাংলাদেশ কমিউনিটি ইন ফ্রান্স (বিসিএফ), বিএনপি ফ্রান্স শাখা, বাংলাদেশি নাগরিক পরিষদ ফ্রান্স, এনসিপি ডায়াসপোরা অ্যালায়েন্স ফ্রান্স শাখা ও বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদী প্রবাসী ঐক্য (বিএনডিএ) বিভিন্ন সংগঠন একযোগে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছে।


আবরার ফাহাদের শাহাদত জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বড় প্রেরণা: তথ্য উপদেষ্টা

মঙ্গলবার জাতীয় জাদুঘরের শহীদ আবরার ফাহাদের ষষ্ঠ শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানভিত্তিক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। ছবি : বাসস
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম বলেছেন, আবরার ফাহাদের শাহাদত জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে বড় প্রেরণা হিসেবে কাজ করেছে। তাঁর আত্মত্যাগ বৃথা যায়নি। তাঁর শাহাদতের ফলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভিন্ন মত প্রকাশের সুযোগ তৈরি হয়েছে, যা শিক্ষার্থীরা কাজে লাগিয়েছে।

আজ মঙ্গলবার শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তনে শহীদ আবরার ফাহাদের ষষ্ঠ শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানভিত্তিক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধনী পর্বে তিনি এসব কথা বলেন। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এই প্রদর্শনীর আয়োজন করে।

বিগত সরকারের ১৬ বছরের দুঃশাসনের সমালোচনা করে উপদেষ্টা বলেন, ওই সময় আবরার ফাহাদের মতো হাজারো শিক্ষার্থী নিপীড়নের শিকার হয়েছেন। অনেকে মৃতপ্রায় অবস্থায় বেঁচে গেছেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কিছু সদস্য নিজেই শিক্ষার্থীদের পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন। কারাগারে ভিন্ন মতাবলম্বী শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা দেওয়া হয়নি। হলগুলো থেকে শিবিরের নামে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মারধর করে বের করে দেওয়া হতো।

তিনি বলেন, আবরার ফাহাদের শাহাদতের গভীর তাৎপর্য রয়েছে, যা অনুধাবন করা জরুরি।

উপদেষ্টা বলেন, ‘শেখ হাসিনা যে ভুল করেছেন, আমরা সেই ভুল করতে চাই না। ফ্যাসিজম যে প্রক্রিয়ায় তৈরি হয়, আমরা সেই পথে যেতে চাই না।’

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের শক্তির মধ্যে বিভাজনকে অপ্রত্যাশিত ও দুঃখজনক আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, বিভাজন এড়িয়ে নাগরিকদের জন্য নিরাপদ রাষ্ট্র ও সরকারব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় কাজ করতে হবে।

নিজেকে রাষ্ট্র গড়ার পক্ষের লোক হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদী সাংস্কৃতিক ব্যবস্থার বিপরীতে জনগণের সামনে একটি ভালো বিকল্প উপস্থাপন করতে হবে। তা না হলে জনগণ আবার পুরাতন ব্যবস্থায় ফিরে যাবে।

তিনি বলেন, আমাদের দীর্ঘ সাংস্কৃতিক লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। বহু ভাষা, বহু সংস্কৃতি ও বহু ঐতিহ্যের বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।

অনুষ্ঠানে সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, ‘২০১৯ সালে বুয়েটে ছাত্রলীগের গুণ্ডারা আবরার ফাহাদকে হত্যা করেছে। তারা ভেবেছিল, তাঁকে হত্যা করে আধিপত্যবিরোধী কণ্ঠ স্তব্ধ করা যাবে। কিন্তু ইতিহাস বলে, এমন কণ্ঠ কখনো স্তব্ধ হয় না।’

তিনি বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী প্রত্যেকে আবরার ফাহাদের হৃৎস্পন্দন ধারণ করেছেন। তিনি তাঁর আত্মত্যাগকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ন্যারেটিভ তৈরির প্রসঙ্গে তিনি বলেন, গণ-অভ্যুত্থানপরবর্তী সময়ের অন্যতম কাজ হলো জুলাইয়ের ন্যারেটিভ তৈরি করা। পাশাপাশি বিগত সরকারের ১৬ বছরের দুঃশাসনের ন্যারেটিভও তৈরি করতে হবে। সাংস্কৃতিক বৈষম্যকে ফ্যাসিবাদের অন্যতম কারণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ধর্ম ও রাজনৈতিক বিশ্বাসের কারণে কাউকে আলাদা করা যাবে না। সকল জাতিগোষ্ঠীকে একত্রিত করতে হবে।

তিনি বলেন, আমাদের এমন এক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে, যা ইতিহাসের সব অধ্যায়কে ধারণ করবে। তিনি ‘বাংলাদেশ’ ও ‘বাংলাদেশপন্থা’য় এক থাকার আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবা ফারজানা।

উদ্বোধনী পর্ব শেষে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানভিত্তিক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়। সন্ধ্যায় একই স্থানে ‘চলচ্চিত্রে জুলাই’ শীর্ষক প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়, এতে অংশ নেন জুলাই গণ-অভ্যুত্থান নিয়ে নির্মিত ও নির্মিতব্য চলচ্চিত্রের নির্মাতা ও কলাকুশলীরা। অনুষ্ঠানে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এবং এর অধীনস্থ দপ্তর-সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।


প্রকল্পের গুণগতমান ঠিক রেখে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রকল্প সম্পন্নের নির্দেশ : সেতু সচিব

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

সেতু বিভাগের সচিব ও বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক জনাব মোহাম্মদ আবদুর রউফ আজ (৭ অক্টোবর ২০২৫) ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ প্রকল্পের চলমান কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন শেষে সচিব মহোদয় প্রকল্পের স্টেক ইয়ার্ড-৪ বাইপাইল এর সম্মেলন কক্ষে প্রকল্প পরিচালক, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এবং প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভা করেন।


মতবিনিময় সভায় সচিব সেতু বিভাগ প্রকল্পের গুণগতমান নিশ্চিত করে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রকল্প সম্পন্ন করার ব্যাপারে দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। প্রকল্পের চ্যালেঞ্জসমূহ দ্রুত নিরসনের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারগণের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রেখে প্রকল্পের কাজ সম্পন্নের উপর তাগিদ প্রদান করেন। চলতি অর্থবছরে প্রকল্পে বরাদ্দকৃত অর্থের যথাযথ ব্যবহার ও কাজের অগ্রগতি বৃদ্ধি কারার জন্য প্রকল্প পরিচালককে নির্দেশনা প্রদান করেন।


সচিব মহোদয় সভায় আরও বলেন, মাননীয় সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা জনাব মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান এর ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ প্রকল্পের জন্য বিশেষ দিকনির্দেশনা রয়েছে। প্রকল্পের কাজের কারণে মানুষের ভোগান্তি লাঘবের লক্ষ্যে অতিরিক্ত জনবল নিযুক্ত করে যথাযথভাবে ট্র্যাফিক ব্যবস্থাপনা এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ব্যাপারে সচিব মহোদয় গুরুত্ব আরোপ করেন।


শহীদ আবরার ফাহাদ স্মৃতি স্মরণে পলাশী গোলচত্বরে আগ্রাসন বিরোধী আট স্তম্ভ উদ্বোধন

আপডেটেড ৭ অক্টোবর, ২০২৫ ১৮:৫৫
নিজস্ব প্রতিবেদক

বুয়েট শিক্ষার্থী শহীদ আবরার ফাহাদ স্মৃতি স্মরণে বুয়েট সংলগ্ন পলাশী গোলচত্বরে আগ্রাসন বিরোধী আট স্তম্ভ আজ উদ্বোধন করা হয়েছে।


আগ্রাসন বিরোধী অবস্থানের কারণে ২০১৯ সালে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের তড়িৎ ও ইলেক্ট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের বুয়েট শাখার সদস্যরা। শহীদ আবরারের স্মৃতি ও আগ্রাসন বিরোধী চেতনাকে সমুজ্জ্বল রাখতে "শহীদ আবরার ফাহাদ স্মৃতি স্মরণে পলাশী গোলচত্বরে আগ্রাসন বিরোধী আট স্তম্ভ নির্মাণ ও পলাশী ইন্টারসেকশন উন্নয়ন" শীর্ষক প্রকল্পের অংশ হিসেবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন আগ্রাসন বিরোধী আট স্তম্ভ নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন করেছে।


আগ্রাসন বিরোধী আট স্তম্ভের আটটি স্তম্ভ সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র, গণপ্রতিরক্ষা, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি, অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতা, দেশীয় শিল্প-কৃষি-নদী-বন-বন্দর রক্ষা, সাংস্কৃতিক স্বাধীনতা ও মানবিক মর্যাদা এই আটটি বিষয়কে নির্দেশ করে।


উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা জনাব আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, "আট স্তম্ভের অবয়বের চেয়ে আট স্তম্ভে লিখে রাখা বিষয়গুলো অধিক গুরুত্বপূর্ণ। এই শব্দগুলোর বাস্তবায়নের মাধ্যমে এই বদ্বীপের প্রকৃত স্বাধীনতা অর্জিত হবে।" ফ্যাসিবাদের সময়ে হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ফ্যাসিবাদ টিকিয়ে রাখার বিভিন্ন ভাস্কর্য-প্রকল্প নির্মিত হলেও বর্তমান সময়ে ফ্যাসিবাদ বিরোধী শক্তির পক্ষে কিছু করলেই রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের সম্মুখীন হতে হয় উল্লেখ করে উপদেষ্টা জানান, আগ্রাসন বিরোধী আট স্তম্ভ নির্মাণে মাত্র ৩৯.৫৯ লক্ষ টাকা ব্যয় হয়েছে।


স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব জনাব মোঃ রেজাউল মাকছুদ জাহেদী বলেন, "আবরার ফাহাদের স্মৃতিকে ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়ার জন্য সরকার উদ্যোগ গ্রহণ করবে।"


ডিএসসিসি প্রশাসক জনাব মোঃ শাহজাহান মিয়া বলেন, "আবরার ফাহাদ কেবল একজন ব্যক্তি নয়, আবরার ফাহাদ একটি চেতনা, একটি আদর্শ।" আবরার ফাহাদ ২০১৯ সালে যে বীজ বপন করেছিলেন, সেটি একটি মহীরুহ হয়ে ২০২৪ সালের ৩৬শে জুলাইয়ে পরিণত হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন আবরার ফাহাদ স্মৃতি সংসদের উদ্যোগের পরিপ্রেক্ষিতে মাননীয় স্থানীয় সরকার উপদেষ্টার পরামর্শক্রমে ডিএসসিসি এই স্তম্ভ নির্মাণ করেছে।


উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা জনাব মোঃ মাহফুজ আলম, বুয়েটের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল হাসিব চৌধুরী, জাতীয় নাগরিক পার্টির সদস্য সচিব জনাব আখতার হোসেন, শহীদ আবরার ফাহাদের পিতা জনাব মোঃ বরকত উল্লাহ ও ভাই জনাব আবরার ফাইয়াজ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।


নির্বাচনে কোনো কর্মকর্তা দলীয় আচরণ করলে কঠোর ব্যবস্থা: সিইসি

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংশ্লিষ্ট কোনো কর্মকর্তা যেন দলীয় আচরণ বা পক্ষপাতমূলক মনোভাব না দেখাতে পারেন, সেটি নিশ্চিত করবে নির্বাচন কমিশন।

তিনি বলেন, ‘দলীয় বা দলদাসের মতো আচরণ কেউ করতে পারবেন না, সেটা আমরা কঠোরভাবে নিশ্চিত করব। কেউ যদি মনের মধ্যে রাজনৈতিক অভিলাষও রাখেন, সেটার প্রতিফলন কাজের মধ্যে ঘটতে দেওয়া হবে না। প্রয়োজনে অ্যাকশন নেওয়া হবে।’

মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সম্মেলন কক্ষে নির্বাচন বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে মতবিনিময় সভার সমাপনী বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

সিইসি বলেন, ‘আগে এমন একটা সংস্কৃতি ছিল যে কর্মকর্তাদের ওপর চাপ থাকত-একটা নির্দিষ্ট পক্ষে কাজ করতে হবে। এখন সেই পরিবেশ আর থাকবে না। আগে মেসেজ ছিল, আমার পক্ষে কাজ না করলে তোমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিন্তু এখন মেসেজ হবে-তুমি যদি কোনো পক্ষের হয়ে কাজ কর, তাহলে তোমার বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এখন মেসেজটা একদম স্পষ্ট। আমরা এ কথা একাধিকবার বলেছি এবং বারবার বলবো।’

তিনি আরো বলেন, নির্বাচন কমিশনের কাজ হলো নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করা। এজন্য মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও সমান গুরুত্বপূর্ণ। তাদের ওপর কোনো রাজনৈতিক বা প্রশাসনিক প্রভাব কাজ করবে না, এটা নিশ্চিত করা হবে। আগে অনেক সময় কর্মকর্তাদের রাতে গিয়ে প্রভাবিত করা হতো, ভয় দেখানো হতো, কিংবা নানা উপায়ে প্ররোচিত করে ভোট আদায় করা হতো। কিন্তু এখন সেই ভয় আর থাকবে না। আমরা যত রকম প্রস্তুতি নেওয়া সম্ভব, সব নেব, যাতে কেউ দলীয় আচরণ করতে না পারে।

নাসির উদ্দিন বলেন, ‘আমরা চাই এই নির্বাচনের মাধ্যমে একটি নতুন দৃষ্টান্ত তৈরি হোক। দেশের মানুষ দেখুক, এবার নির্বাচন সত্যিই স্বাধীন, নিরপেক্ষ এবং অংশগ্রহণমূলক হচ্ছে। আমাদের লক্ষ্যই হলো, আয়নার মতো স্বচ্ছ একটি নির্বাচন উপহার দেওয়া।’

সভায় প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সভাপতিত্বে চারজন নির্বাচন কমিশনার ও ইসি সচিবালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। মতবিনিময় সভায় অংশ নেন ১০ জন নির্বাচন বিশেষজ্ঞ, যারা সবাই সাবেক নির্বাচন কর্মকর্তা।

নির্বাচন বিশেষজ্ঞদের উদ্দেশ্যে সিইসি বলেন, ‘নির্বাচনকে সামনে রেখে আমাদের সামনে নিত্যনতুন চ্যালেঞ্জ আসছে। একদিকে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হচ্ছে, অন্যদিকে একটি বিশেষ পরিস্থিতিতে বিশেষ ধরনের সরকারের অধীনে আমাদের নির্বাচনে যেতে হচ্ছে। দেশের এই ক্রান্তিকালে এই নির্বাচনকে আমি জীবনের শেষ সুযোগ হিসেবে দেখছি। দেশের জন্য কিছু করতে চাই। আমাদের আর চাওয়া-পাওয়ার কিছু নেই। আমাদের একটাই লক্ষ্য-একটি সুন্দর, গ্রহণযোগ্য ও স্বচ্ছ নির্বাচন জাতিকে উপহার দেওয়া। তবে এটি নির্বাচন কমিশনের একার পক্ষে সম্ভব নয়। এজন্য সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। সর্বস্তরের জনগণ, গণমাধ্যম, রাজনীতিবিদ, নাগরিক সমাজ-সবাইকে সঙ্গে নিয়েই আমরা এগিয়ে যেতে চাই।’

তিনি বলেন, ‘আপনারা যারা আজ উপস্থিত আছেন, সবাই অভিজ্ঞ নির্বাচন কর্মকর্তা ছিলেন। আপনারা জানেন কোথায় কোথায় গ্যাপ থেকে যায়, কোথায় দিয়ে কারচুপি বা ম্যানিপুলেশন হতে পারে। সেই অভিজ্ঞতা থেকে আপনারা আমাদের পরামর্শ দিন, যেন আমরা আগেভাগে ব্যবস্থা নিতে পারি। নির্বাচন যাতে স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য হয়, সেটাই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য।’

আজকের এই সংলাপে আলোচনার পাশাপাশি নির্বাচন কমিশন বিকেলে নারী নেত্রীদের সঙ্গে আরেক দফা মতবিনিময় সভা করেছে। দুপুর আড়াইটা থেকে বিকেল সাড়ে চারটা পর্যন্ত এই সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে সোমবার দেশের প্রধান প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সম্পাদক ও সিনিয়র সাংবাদিকদের সঙ্গে সংলাপে বসে ইসি।

ইসি জানিয়েছে, একটি অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটাধিকার প্রয়োগ নিশ্চিত করতে রাজনৈতিক দল, শিক্ষাবিদ, বুদ্ধিজীবী, নাগরিক সমাজ, সাংবাদিক, নির্বাচন বিশেষজ্ঞ, পর্যবেক্ষক, নারী নেত্রী ও মুক্তিযোদ্ধাসহ সংশ্লিষ্ট সকলের মতামত ও পরামর্শ গ্রহণ করা হচ্ছে।

গত ২৮ সেপ্টেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে অংশীজনদের সঙ্গে ধারাবাহিক সংলাপ শুরু করে নির্বাচন কমিশন। প্রথম দিন সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও শিক্ষাবিদরা সংলাপে অংশ নিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নিরাপত্তা নিশ্চিতের আহ্বান জানান এবং নির্বাচন কমিশনকে রাজনৈতিক প্রভাব থেকে মুক্ত থাকার পরামর্শ দেন।

সিইসি নাসির উদ্দিন বলেন, ‘এই নির্বাচন শুধু একটি রাজনৈতিক ইভেন্ট নয়, এটি একটি জাতীয় দায়িত্ব। আমরা এমন একটি প্রক্রিয়া তৈরি করতে চাই যা আগামী দিনের নির্বাচনগুলোর জন্য উদাহরণ হয়ে থাকবে। আমাদের উদ্দেশ্য একটাই-দেশবাসীর আস্থা ফিরে আনা, একটি শান্তিপূর্ণ, অংশগ্রহণমূলক ও স্বচ্ছ নির্বাচন আয়োজন করা।’ সূত্র: বাসস


পুলিশের শটগান ও ওয়াকিটকি কেড়ে নিয়ে পালালেন আসামি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ফেনী প্রতিনিধি

ফেনীর সোনাগাজীতে ওয়ারেন্টভুক্ত এক আসামিকে গ্রেপ্তার করতে গিয়ে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় হামলাকারীরা পুলিশের একটি শটগান ও ওয়াকিটকি কেড়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে অভিযান চালিয়ে একজনকে গ্রেপ্তার করে লুণ্ঠিত অস্ত্র ও ওয়াকিটকি উদ্ধার করে পুলিশ।

মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) সকালে উপজেলার আমিরাবাদ ইউনিয়নের পশ্চিম আহাম্মদপুর গ্রামের মৃত হোসেন মিয়ার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার ভোর ৫টার দিকে সোনাগাজী থানার সহকারী উপপরিদর্শক সাইদুর রহমান ও মোফাজ্জল হোসেনের নেতৃত্বে ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি আহাম্মদপুর গ্রামের আবুল হাশেমের দুই ছেলে জাহেদুল ইসলাম রিপন ও রফিকুল ইসলাম আরিফকে গ্রেপ্তার করতে তাদের বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় আসামি ও তাদের পরিবারের সদস্যরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে আহত করেন। একপর্যায়ে আসামিরা পুলিশের কাছ থেকে একটি ওয়াকিটকি ও একটি শটগান কেড়ে নিয়ে পালিয়ে যায়।

এ ঘটনার খবর পেয়ে সহকারী পুলিশ সুপার (সোনাগাজী সার্কেল) ও সোনাগাজী মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযান চালান। পরে সকাল ৯টা ৪০ মিনিটের দিকে আসামি জাহেদুল ইসলাম রিপনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে পুলিশের লুণ্ঠিত শটগান ও ওয়াকিটকি উদ্ধার করা হয়।

সোনাগাজী মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, পুলিশের ওপর হামলা ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার ঘটনায় একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন। গ্রেপ্তার রিপনের বিরুদ্ধে ডাকাতি ও অস্ত্র আইনে ৯টি মামলা রয়েছে। পলাতক আসামি আরিফ ও তার সহযোগীদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।


প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীর বিদায়ী সাক্ষাৎ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গুইন লুইস বিদায়ী সাক্ষাৎ করেছেন।

রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় মঙ্গলবার উভয়ের এ সাক্ষাত অনুষ্ঠিত হয়।


banner close