রাজধানীর বিভিন্ন মার্কেটে একের পর এক যে অগ্নিকাণ্ড ঘটছে, সেগুলো ষড়যন্ত্র বা নাশকতা কি না তা খতিয়ে দেখতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পাশাপাশি দেশব্যাপী গুরুত্বপূর্ণ মার্কেটগুলোতে নজরদারিতে বাড়ানোরও কথা বলেছেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী শনিবার তার বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের সভায় সভাপতির বক্তৃতাকালে এ নির্দেশনা দেন। বৈঠক সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।
সূত্র জানায়, বিভিন্ন মার্কেটে আগুনের ঘটনা ষড়যন্ত্র বা নাশকতা কি না তা খতিয়ে দেখার পাশাপাশি দেশব্যাপী গুরুত্বপূর্ণ মার্কেটগুলোতে নজরদারিতে বাড়ানোর কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।
অগ্নিকাণ্ডের সঙ্গে বিএনপি-জামায়াতের অগ্নিসন্ত্রাসের বিষয়টি জড়িত কি না তা-ও তদন্ত করে দেখতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। সরকারপ্রধান বলেছেন, তারা অগ্নিকাণ্ডের মতো ঘটনা ঘটিয়ে ভিন্ন পন্থা অবলম্বন করছে কি না তা খতিয়ে দেখতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী সভায় বলেন, সবাইকে আরও বেশি সচেতন থাকতে হবে। সবার নিজস্ব উদ্যোগে পাহারার ব্যবস্থা করতে হবে। এক্ষেত্রে সরকারের পক্ষ থেকে সব প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
এসময় কোথাও অগ্নিকাণ্ড ঘটলে উৎসুক জনতার ভিড় ঠেকানোর নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ফায়ার সার্ভিসের আগুন নেভানোর সময় অযথা ভিড় করা যাবে না। কোনো প্রকার বাধা হলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
গত ৪ এপ্রিল রাজধানীর অন্যতম বড় পোশাক মার্কেট বঙ্গবাজারে ভয়াবহ আগুন লাগে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) তদন্ত বলছে, এ আগুনে মার্কেটের ২ হাজার ৯৬১টি দোকান সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। এতে কাঠামোগত ক্ষতি প্রায় ১৪ কোটি ৭০ লাখ টাকা এবং মালামাল পুড়েছে ২৮৮ কোটি টাকার।
এরপর গত ১৩ এপ্রিল পুরান ঢাকার নবাবপুরের ডিসেন্ট বেকারির পাশের একটি প্লাস্টিকের গোডাউনে আগুন লাগে। সবশেষ শনিবার ভোরে রাজধানীর নিউ সুপার মার্কেটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। অবশ্য ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, সেনা ও বিমানবাহিনীর সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সাড়ে তিন ঘণ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে সেখানে মালামাল পুড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির কথা বলছেন ব্যবসায়ীরা।
আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে আজ দুপুরে বাসস’কে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রেস উইং জানিয়েছে, পবিত্র ঈদ উল আযহা উপলক্ষ্যে আজ শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।
বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) ও বিটিভি ওয়ার্ল্ডে এই ভাষণ সরাসরি সম্প্রচার করা হবে।
আসন্ন ঈদুল আজহায় ঢাকায় নেওয়া নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়ে শতভাগ নিশ্চিত বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম। তিনি জানান, নিরাপত্তা নিশ্চিতে রাজধানীজুড়ে ৫০০টি টহল দল মোতায়েন করা হয়েছে।
আজ শুক্রবার সকালে রাজধানীর জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে নিরাপত্তাব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, ঈদের নামাজ স্বাভাবিক নিয়মে অনুষ্ঠিত হবে এবং সারাদেশে নিরাপত্তা নিশ্চিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে।
তিনি জানান, জাতীয় ঈদগাহে যারা নামাজ আদায় করবেন, তাদের নিজস্ব জায়নামাজ আনতে হবে না, কারণ সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
প্রস্তুতির কোনো ঘাটতি নেই উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ছুটির মধ্যেও সারাদেশে দায়িত্বে রয়েছে।’
ঈদের ছুটিতে প্রায় ফাঁকা রাজধানীর নিরাপত্তা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ‘ঢাকা শহরের অলিগলিতে ৫০০টি টহল দল মোতায়েন করা হয়েছে। মাঝেমধ্যে ছোটখাটো ঘটনা ঘটে—আমরা এমন ঘটনাও রোধে কাজ করছি।’
থানায় মামলা করতে না পারার অভিযোগ প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন,‘যদি কোনো কর্মকর্তা মামলা নিতে অস্বীকৃতি জানান, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
মহাখালী বাস টার্মিনালে যাত্রী হয়রানির সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে এক সাংবাদিকের উপর হামলার অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি আমার নজরে এসেছে, আমরা এটির তদন্ত করছি।’
অপরাধী গ্রেপ্তার করার কয়েকদিন পরে বের হয়ে আরও বেশি অপরাধে জড়িয়ে যায়- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেনন, ‘এটা তো আর পুলিশের হাতে না। এটা আদালতের বিষয়। কিছুদিন আগে আপনারা দেখেছেন, দুজন শীর্ষ সন্ত্রাসী ছাড়া পাওয়ার পর আবারও অপরাধে জড়িয়ে যাওয়ায় তাদের আইনের আওতায় আনা হয়েছে। এমন যদি কেউ অবৈধকাজে জড়িয়ে যায় তাহলে তাকেও ছাড়া হবে না, পুঁটিমাছ কিংবা রুই কাতলা হোক কাউকে ছাড় নেই। আইন সবার জন্য সমান।’
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এবার নিরাপত্তা নিয়ে আমি ১০০ ভাগ কনফিডেন্ট আছি।
পদ্মা সেতু দিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ৫২ হাজার ৪৮৭টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে ৫ কোটি ৪৩ লাখ ২৮ হাজার টাকা। এটিই এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ পরিমাণ টোল আদায়ের রেকর্ড।
বৃহস্পতিবার (৫ জুন) গত বছরের একদিনে সর্বোচ্চ প্রায় পৌনে পাঁচ লাখ টাকার টোল আদায়ের রেকর্ড ভেঙে প্রায় সাড়ে ৫ লাখ টাকা টোল আদায় করা হয়।
ঈদুল আজহার ১০ দিনের লম্বা ছুটির প্রথম দিনেই এই রেকর্ড হয়েছে। তবে ছুটি ছাড়াই আগের দিন বুধবার (৪ জুন) পদ্মা সেতুতে একদিনে ৪ কোটি ৯ লাখ টাকারও বেশি টোল আদায় করা হয়েছে। এদিন ৩৭ হাজার ৪৬৫ গাড়ি পারাপার হয়েছে সেতুটি দিয়ে।
বৃহস্পতিবার মাওয়া প্রান্ত দিয়ে প্রবেশ করেছে ৩৫ হাজার ৯৮৫টি যান। এতে মাওয়ায় টোল প্লাজায় টোল আদায় হয় ৩ কোটি ১৬ লাখ ৪৩ হাজার ৮০০ টাকা।
আর জাজিরা প্রান্ত দিয়ে প্রবেশ করে ১৬ হাজার ৫০২টি যান। এসব যানবাহন থেকে ২ কোটি ২৬ লাখ ৮৪ হাজার ২০০ টাকা টোল আদায় হয়েছে বলে জানান আলতাফ।
এর আগে, ২০২২ সালের ২৬ জুন, পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী দিনে সর্বোচ্চ ৫১ হাজার ৩১৬টি যানবাহন পারাপারের রেকর্ড ছিল। আর ২০২৪ সালের ৯ এপ্রিল সর্বোচ্চ টোল আদায়ের রেকর্ড ছিল ৪ কোটি ৮৯ লাখ ৯৪ হাজার ৭০০ টাকা।
পদ্মা সেতুর দায়িত্বে থাকা যুগ্ম সচিব ও বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের পরিচালক (প্রশাসন) আলতাফ হোসেন সেখ বলেন, ‘ঈদে ঘরমুখো মানুষ নির্বিঘ্নে বাড়ি ফেরার ক্ষেত্রে পদ্মা সেতু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।’
আগামী ২৫ জুন পদ্মা সেতু তিন বছর পূর্তি। এ পর্যন্ত টোল আদায় হয়েছে ২ হাজার ৪৫২ কোটি ৮২ লাখ টাকার বেশি । এই সময়ে ১ কোটি ৮৯ লাখ ৬৪ হাজার ২১৮ যান পারাপার হয়েছে।
বুধবার সকাল ৮টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনাভাইরাসে এক জনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে তিন জনের শরীরে প্রাণঘাতী ভাইরাসটি শনাক্ত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৫ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসে একজনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন করে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছেন আরও তিনজন।
এ নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৯ হাজার ৫০০ জনে। আর শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৫১ হাজার ৭৩৯ জনে।
এতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ২১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ সময়ে শনাক্তের হার ছিল ১৪ দশমিক ২৯ শতাংশ। মোট করোনা পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ০৫ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুহার ১ দশমিক ৪৪ শতাংশ।
এ নিয়ে করোনায় সুস্থ হয়ে ওঠা ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ১৯ হাজার ৩৬০ জনে।
পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে কুরবানির পশুর বর্জ্য পরিবেশসম্মতভাবে ব্যবস্থাপনার নাগরিকের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ সময় যত্রতত্র পশু জবাই, উচ্ছিষ্ট ফেলা ও বর্জ্য ফেলে রাখার কারণে পরিবেশ দূষণ, স্বাস্থ্যঝুঁকি ও জনদুর্ভোগ তৈরি হয়, যা প্রতিরোধে সকলের সচেতন অংশগ্রহণ প্রয়োজন।
সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা, জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদের নির্ধারিত স্থানে কুরবানির পশু জবাই নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছ পরিবেশ মন্ত্রণালয়। উন্মুক্ত বা অনির্ধারিত স্থানে পশু জবাই থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে । জবাইয়ের সময় ও পরবর্তী কার্যক্রমে যথাযথ ব্যক্তিগত সুরক্ষা (যেমন: গ্লাভস, মাস্ক, এপ্রোন) নিশ্চিত করতে হবে। পশুর রক্ত, গোবর ও অন্যান্য পরিত্যক্ত অংশ নির্ধারিত গর্তে ফেলে মাটি চাপা দেওয়ার অনুরোধ জানানো হচ্ছে।
জবাইকৃত পশুর উচ্ছিষ্ট যেমন রক্ত, চামড়া, নাড়িভুঁড়ি, হাড়, শিং, গোবর ইত্যাদি যেন কোনো অবস্থাতেই খোলা জায়গায় না ফেলা হয়, বরং নির্ধারিত ডাস্টবিন বা স্থানেই ফেলা উচিত। কুরবানির মাংস বিতরণ বা বর্জ্য অপসারণে প্লাস্টিক নয়, বরং পরিবেশবান্ধব (বায়োডিগ্রেডেবল) ব্যাগ বা পাত্র ব্যবহারে উৎসাহিত করা হচ্ছে।
কুরবানির বর্জ্য দ্রুত ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে অপসারণে স্থানীয় প্রশাসনকে সক্রিয়ভাবে সহায়তা করা আমাদের সামাজিক ও নাগরিক দায়িত্ব। পরিবেশ রক্ষার মাধ্যমে আমরা যেমন নিজেরা সুস্থ থাকি, তেমনি আমাদের চারপাশকেও নিরাপদ রাখি।
পরিচ্ছন্নতা শুধু শারীরিক নয়, এটি আমাদের ঈমানেরও অঙ্গ। আসুন, পরিচ্ছন্ন কুরবানির মাধ্যমে আমরা আমাদের ধর্মীয়, সামাজিক ও নৈতিক দায়িত্ব পালন করি এবং একটি স্বাস্থ্যসম্মত, পরিচ্ছন্ন ও পরিবেশবান্ধব বাংলাদেশ গড়তে এগিয়ে আসি।
অভ্যন্তরীণ নদীবন্দর সমূহের জন্য ১ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অফিস।
আজ সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দর সমূহের জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ কথা বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অফিস জানায়, ময়মনসিংহ, ফরিদপুর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও সিলেট অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে দক্ষিণ অথবা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে অস্থায়ীভাবে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ অস্থায়ীভাবে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
এসব এলাকার নদীবন্দর সমূহকে ১ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদের প্রধান জামাত সুষ্ঠুভাবে আয়োজনের লক্ষ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি) সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে বলে জানিয়েছেন ডিএসসিসি প্রশাসক মো. শাহজাহান মিয়া।
আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
প্রশাসক বলেন, “ঈদের দিন সকাল ৭:৩০টায় জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে। তবে বৈরী আবহাওয়ার কারণে জামাত আয়োজন অনুপযুক্ত হলে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে সকাল ৮:০০টায় প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে।”নামাজ আদায়কারী মুসল্লিদের জন্য গ্রহণ করা হয়েছে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ও সেবা ব্যবস্থা, যেমন: প্রায় ৩৫ হাজার মুসল্লির জন্য বিশাল আয়োজনে ঈদ জামাতের আয়োজন, ভিআইপি ব্লকে একসাথে ২৫০ জনের নামাজের ব্যবস্থা, পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিতে পুলিশ, র্যাব ও অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন, অজু, পয়ঃনিষ্কাশন ও সুপেয় পানির সুব্যবস্থা, মেডিকেল টিম ও অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
পৃথক প্রবেশ ও প্রস্থান গেট, নারী মুসল্লির জন্য পৃথক ব্লকে নামাজের ব্যবস্থা ও পৃথক প্রবেশপথ। তিনি আরও জানান, নগরবাসীর কোরবানির পশু কেনাবেচার সুবিধার্থে ০৮টি জায়গায় অস্থায়ী হাট স্থাপন করা হয়েছে। এসব হাটে থাকবে: পরিচ্ছন্নতা কর্মী, পুলিশ ও এটিএম বুথ, পশু স্বাস্থ্য সেবার জন্য চিকিৎসক ও মেডিকেল টিম। হাট শেষ হওয়ার পরপরই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা সম্পন্ন করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
শাহজাহান বলেন, কোরবানির পশুর বর্জ্য ১২ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণের লক্ষ্যে ডিএসসিসির প্রায় ১০ হাজার পরিচ্ছন্নতা কর্মী, ২০৭টি ডাম ট্রাক, ২০০টি মিনি ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহন ও যন্ত্রপাতি প্রস্তুত রাখা হয়েছে। আমরা এবার ৩০,০০০ মেট্রিক টন বর্জ্য অপসারণের প্রস্তুতি রেখেছি। দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৭৫টি ওয়ার্ডে ১ লক্ষ ৪০ হাজার বায়ো-ডিগ্রেডেবল ব্যাগ, ৪০ টন ব্লিচিং পাউডার ও ২২২ গ্যালন স্যাভলন বিতরণ করা হয়েছে। ইদের জামায়াত, কোরবানি হাট ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্যে দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা- কর্মচারীর ইদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। কুরবানির হাট ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য নগর ভবনের জরুরি পরিচালন কেন্দ্রে একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ স্থাপন করা হয়েছে।
নগরবাসীকে অনুরোধ জানানো হয়েছে নির্ধারিত স্থানে কোরবানি দিতে এবং বর্জ্য যত্রতত্র না ফেলে সহযোগিতা করতে। নগরবাসীকে ইদের শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রশাসক বলেন, “আপনারা সবাই স্বতঃস্ফূর্তভাবে ইদের জামাতে অংশ নিন, আমরা সর্বোচ্চ নিরাপদ ও পরিচ্ছন্ন পরিবেশ নিশ্চিত করবো, ইনশাআল্লাহ।”
ব্রিফিংয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. মো. জিল্লুর রহমানসহ সকল বিভাগীয় প্রধান এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
আগামী নির্বাচনের মাধ্যমে বিএনপি ক্ষমতায় গেলে পরিবেশ রক্ষার জন্য সবুজ ও পরিচ্ছন্ন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে বিএনপি পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেবে বলে জানিয়েছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
বিশ্ব পরিবেশ দিবস ২০২৫-এর প্রাক্কালে বুধবার (৪ জুন) নিজের ভ্যারিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে তিনি এ কথা বলেন।
তারেক রহমান বলেন, ‘আজকের বৈশ্বিক জলবায়ু সঙ্কট এবং শিল্প দূষণের মারাত্মক পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে একটি বাস্তবসম্মত এবং ভবিষ্যতমুখী জাতীয় কৌশল তৈরি করার প্রয়োজনীয়তা আরও বেড়ে গেছে। ‘যদি বিএনপিকে আবারও সরকার পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়—তাহলে আমরা বাংলাদেশের পরিবেশ রক্ষার জন্য নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলো গ্রহণের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি।’
পাঁচটি প্রধান পদক্ষেপের মধ্যে রয়েছে—
১. একটি ন্যাশনাল গ্রিন রিকভারি পরিকল্পনা, যার মধ্যে থাকবে নবায়ণযোগ্য শক্তি, বনাঞ্চল পুনঃস্থাপন (আগামী পাঁচ বছরে ২৫ থেকে ৩০ কোটি গাছ লাগানো), এবং টেকসই কৃষি।
২. ক্ষতিকারক প্লাস্টিক ও বিষাক্ত রাসায়নিকের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা এবং শিল্প এবং গৃহস্থালিতে বায়োডিগ্রেডেবল বিকল্পগুলোর উন্নয়ন।
৩. জলাবদ্ধতা মোকাবিলায় নদী ও খালের ড্রেজিং এবং পুনঃস্থাপন প্রোগ্রাম শুরু করা, যাতে জলজ বাস্তুতন্ত্র সুরক্ষিত রাখা যায়।
৪. দেশের দক্ষিণাঞ্চলের জলবায়ু-প্রতিরোধী কৃষি ও অবকাঠামোকে সমর্থন করা—যাতে স্থানীয় সম্প্রদায় জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে পারে।
৫. স্কুলের পাঠ্যক্রমে পরিবেশ শিক্ষা অন্তর্ভুক্ত করা- যাতে পরিবেশ সচেতন নাগরিকদের নতুন প্রজন্ম তৈরি হয়।
তারেক রহমান বলেন, ভৌগলিক অবস্থানের কারণে বাংলাদেশ অসাধারণ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং পারিপার্শ্বিক বৈচিত্র্যে পূর্ণ। ‘তাই, আমাদের জন্য এটি একটি গুরুতর দায়িত্ব হলো এই সমৃদ্ধ পরিবেশকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সংরক্ষণ করা।’
তিনি বলেন, বিএনপি প্রতিষ্ঠার পর থেকেই পরিবেশবান্ধব দল হিসেবে পরিচিত। ‘বছরের পর বছর আমরা বৃক্ষরোপণ, খাল খনন এবং রক্ষণাবেক্ষণ, এবং ক্ষতিকারক প্লাস্টিক ব্যবহারের বিরুদ্ধে সক্রিয় প্রচারণা চালিয়ে এসেছি।’
তারেক রহমান আরও বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ১৯৭৭ সালে পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ প্রকল্প শুরু করেছিলেন, যা পরে পরিবেশ অধিদপ্তরে পরিণত হয়। এই ঐতিহ্যকে এগিয়ে নিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ১৯৯৫ সালে পরিবেশ সংরক্ষণ আইন করেন এবং দেশে প্রথম পরিবেশ আদালত প্রতিষ্ঠা করেন- যা পরিবেশ সুরক্ষার জন্য আইনি ব্যবস্থার পথপ্রদর্শক।
পরিবেশ সংরক্ষণ বিলাসিতা না, বরং প্রয়োজনীয়তা হিসেবে উল্লেখ করে তারেক রহমান সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘একটি টেকসই বাংলাদেশ গড়তে আমাদের সকলকে এগিয়ে আসতে হবে, এমন একটি বাংলাদেশ গড়তে হবে যেখানে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম একটি সবুজ, বাসযোগ্য ও স্থিতিস্থাপক দেশ পাবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আসুন, আমরা আশার বীজ বপণ করি। আমাদের বায়ু, পানি ও মাটি সুরক্ষিত রাখি এবং সবার জন্য ভবিষ্যত রক্ষা করি।’
গত কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টিপাতের প্রবণতা ধীরে ধীরে কমছে। তবে মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে তা মাঝারি অবস্থায় থাকায় এখনই বৃষ্টি থেকে পরিত্রাণ পাচ্ছে না দেশবাসী।
দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য বুধবার (৪ জুন) আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ (বুধবার) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে অস্থায়ীভাবে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি, বজ্রসহ বৃষ্টি অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রীয় সংস্থাটি।
বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস
আজ সকাল ৯টা থেকে ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে সারা দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণের সম্ভাবনাও রয়েছে।
বৃষ্টিপাতের এই ধারা আগামীকালও (বৃহস্পতিবার) অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। তবে বৃষ্টি ঝরার প্রবণতা কিছুটা হ্রাস পেতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে তাদের পূর্বাভাস, খুলনা ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
পরের দিন (শুক্রবার) বৃষ্টির পরিমাণ কিছুটা কমলেও বৃহস্পতিবারের মতোই থাকবে জানিয়ে রাষ্ট্রীয় সংস্থাটি বলেছে, রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
তবে ঈদের দিন (শনিবার) সকাল থেকে দুয়েক জায়গায় বৃষ্টি হলেও সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। ঈদের পরের দিনও সারা দেশের আবহাওয়া একই রকম থাকবে বলে পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ওই দুদিন চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো বা হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থাকলেও আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
তাপমাত্রা
গতকালের মতো আজও খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে, তবে আজ এই তালিকায় যুক্ত হয়েছে দুটি জেলা—রাজশাহী ও পাবনা। এই তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
অবশ্য অন্যত্র দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমলেও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে জানানো হয়েছে। এই ধারা পরের দিনও অব্যাহত থাকতে পারে।
তবে ঈদের আগের দিন সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে, যা পরের দিন, অর্থাৎ ঈদের দিনও অব্যাহত থাকতে পারে।
ঢাকার কী অবস্থা
ভোরের দিকে বৃষ্টি হওয়ার পর সকাল থেকে মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে ঢাকার আকাশ। আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিও আকাশ আংশিক মেঘলা থেকে অস্থায়ীভাবে মেঘলা থাকতে পারে বলে জানিয়েছে।
আজ (বুধবার) দুপুর ১২টায় ঢাকা ও আশপাশের এলাকার তাপমাত্রা ছিল ২৪ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৭৫ শতাংশ।
সকাল ৬টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাত না হলেও দুপুর ১২টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টায় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। এই সময়ে এই অঞ্চলের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পরিবেশ সংরক্ষণ ও দূষণ নিয়ন্ত্রণ, শিক্ষা ও প্রচার এবং এবং পরিবেশ বিষয়ক গবেষণা ও প্রযুক্তি উদ্ভাবনে উল্লেখযোগ্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ‘জাতীয় পরিবেশ পদক ২০২৪’ প্রদানের জন্য তিনজন ব্যক্তি ও তিনটি প্রতিষ্ঠানকে চূড়ান্তভাবে মনোনীত করেছে সরকার।
সম্প্রতি পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত জাতীয় পরিবেশ পদক, ২০২৪ প্রদানের লক্ষ্যে গঠিত জাতীয় কমিটির সভায় এই মনোনয়ন চূড়ান্ত করা হয়েছে।
পরিবেশ সংরক্ষণ ও দূষণ নিয়ন্ত্রণ বিভাগে অবদানের জন্য ব্যক্তি পর্যায়ে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার আজিজনগর গ্রামের বাসিন্দা মো: মাহমুদুল ইসলামকে এবং প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে ঢাকার ধামরাইয়ের ‘স্নোটেক্স আউটারওয়্যার লিমিটেড’ পদকের জন্য মনোনীত করা হয়েছে।
পরিবেশ বিষয়ক শিক্ষা ও প্রচার ক্যাটাগরিতে ব্যক্তি পর্যায়ে মনোনয়ন পেয়েছেন চট্টগ্রামের সিডিএ আবাসিক এলাকার মোহাম্মদ মুনীর চৌধুরী। একই ক্যাটাগরিতে প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে মনোনীত হয়েছে পরিবেশ বিষয়ক সংগঠন ‘ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ (ডাব্লিউবিবি) ট্রাস্ট’।
এ ছাড়া, পরিবেশ বিষয়ক গবেষণা ও প্রযুক্তি উদ্ভাবনে অবদানের জন্য ব্যক্তি পর্যায়ে পদকের জন্য মনোনীত হয়েছেন প্রফেসর ড. এম. ফিরোজ আহমেদ। এ ক্যাটেগরিতে প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে মনোনীত হয়েছে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি)।
প্রত্যেক বিজয়ীকে জাতীয় পরিবেশ দিবসের অনুষ্ঠানে আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মাননা দেওয়া হবে। এ সময় তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হবে ২২ ক্যারেট মানের দুই তোলা ওজনের স্বর্ণের বাজারমূল্য, ও আরও ৫০ হাজার টাকার চেক, ক্রেস্ট ও সম্মাননাপত্র।
কুরবানির পশু কেনার জন্য ভিড় বাড়ছে রাজধানীসহ দেশের সব এলাকার পশুর হাটগুলোতে। পছন্দের পশু কিনছেন সবাই সাধ্যমতো। আবার বিক্রেতা শখের পশুটিকে বিক্রি করছেন অনেক বড় ত্যাগ স্বীকার করে। সেই সঙ্গে আর্থিক কিছু লাভের জন্য। তবে এক্ষেত্রে প্রায় সব বছরই প্রতারণার খবর শোনা যায়। নকল বা জাল টাকা। সর্বশান্ত হোন বিক্রেতা।
বিভিন্ন উৎসবকে কেন্দ্র করে অসাধু ব্যবসায়ীরা বাজারে জাল টাকা ছাড়েন। বিভিন্ন জাল নোট ঘুরে বেড়ায় এক হাত থেকে অন্য হাতে। কোরবানির পশুর হাট টার্গেট করে জাল টাকা ছড়াতে সক্রিয় বিভিন্ন চক্র। তবে আপনি একটু সচেতন হলে এই বড় প্রতারণার হাত থেকে রক্ষা পেতে পারেন।
১। ১০০, ৫০০ ও ১০০০ টাকাসহ প্রত্যেক ধরনের নোটের সামনে ও পেছন দুদিকের ডিজাইন, মধ্যভাগের লেখা, নোটের মূল্যমান ও সাতটি সমান্তরাল সরল রেখা উঁচু নিচুভাবে মুদ্রিত থাকে। ফলে হাত দিলে একটু খসখসে মনে হয়।
২। নোটের ডান দিকে ১০০ টাকার ক্ষেত্রে তিনটি, ৫০০ টাকার ক্ষেত্রে চারটি ও এক হাজার টাকার নোটে পাঁচটি ছোট বৃত্তাকার ছাপ আছে যা হাতের স্পর্শে উঁচু নিচু লাগে। এ বৈশিষ্ট্য জালনোটে সংযোজন করা সম্ভব নয়।
৩। জাল নোটের জলছাপ অস্পষ্ট ও নিম্নমানের হয়। আসল নোটে ‘বাঘের মাথা’ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘মনোগ্রাম’ এর স্পষ্ট জলছাপ আছে। যা ভালো করে খেয়াল করলে আলোর বিপরীতে দেখা যায়।
৪। প্রত্যেক মূল্যমানের নোটেই বাংলাদেশ ব্যাংকের লোগো সম্বলিত নিরাপত্তা সুতা থাকে। নোটের মূল্যমান ও বাংলাদেশ ব্যাংকের লোগো নিরাপত্তা সুতার চারটি স্থানে মুদ্রিত থাকে।
এ নিরাপত্তা সুতা অনেক মজবুত যা নোটের কাগজের সঙ্গে এমনভাবে সেঁটে দেওয়া থাকে যে নখের আঁচড়ে বা মুচড়িয়ে সুতা কোনোভাবেই উঠানো সম্ভব নয়। জাল নোটে এতো নিখুঁত ভাবে সুতাটি দিতে পারে না।
৫। ১০০, ৫০০ ও ১০০০ টাকা মূল্যমানের প্রত্যেক প্রকার নোটের ওপরের ডানদিকে কোনায় ইংরেজি সংখ্যায় লেখা নোটের মূল্যমান রঙ পরিবর্তনশীল কালিতে মুদ্রিত থাকে।
ফলে ১০০ ও ১০০০ টাকা মূল্যমানের নোট ধীরে ধীরে নড়াচড়া করলে মূল্যমান লেখাটি সোনালি থেকে সবুজ রং ধারণ করে। একইভাবে ৫০০ লেখা লালচে থেকে সবুজাভ হয়। অন্যদিকে জাল নোটের ব্যবহৃত রঙ চকচক করলেও তা পরিবর্তিত হয় না।
৬। প্রত্যেক প্রকার টাকার নোটে প্রতিকৃতি, বাংলাদেশ ব্যাংকের মনোগ্রাম ও নোটের মূল্যমান জলছাপ হিসেবে থাকে। বাংলাদেশ ব্যাংকের মনোগ্রাম ও নোটের মূল্যমান প্রতিকৃতির তুলনায় উজ্জ্বল দেখায়। জাল নোটে এসব বৈশিষ্ট্য থাকে না।
৭। এছাড়া স্বল্পমূল্যেও বিভিন্ন ব্রান্ডের জাল নোট শনাক্তকারী মেশিন আছে। এছাড়া ম্যাগনিফাইং গ্লাস দিয়ে জাল নোট সহজেই পরীক্ষা করা যায়। নকল নোট ম্যাগনিফাইং গ্লাস দিয়ে দেখলে শুধু একটা রেখা দেখা যাবে।
প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে দ্বিতীয় ইন্টেরিম রিপোর্ট জমা দিয়েছে গুম সংক্রান্ত তদন্তকমিশন।
আজ বুধবার বেলা ১১টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় কমিশন প্রধান বিচারপতি মঈনুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে কমিশনের সদস্যরা প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রতিবেদন জমা দেন।
সদস্যদের মধ্যে নূর খান, সাজ্জাদ হোসেন এবং নাবিলা ইদ্রিস উপস্থিত ছিলেন।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান ও প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব সিরাজ উদ্দিন মিয়া।
প্রতিবেদন জমার পর প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘প্রতিবেদনটি ওয়েবসাইট ও বই আকারে প্রকাশের ব্যবস্থা করতে হবে। এটি ঘিরে শুধু বাংলাদেশ নয়, বৈশ্বিকভাবেও আগ্রহ রয়েছে।’
“কী ভয়াবহ একেকটি ঘটনা! আমাদের সমাজের “ভদ্রলোকেরা”, আমাদেরই আত্মীয়-পরিজনরা এই ঘটনাগুলো ঘটিয়েছে। আপনারা যা যা কিছু পেয়েছেন তার ভিত্তিতে একটি হরর মিউজিয়াম হওয়া উচিত। গা শিউরে ওঠার মতো ঘটনা। এই ধরনের বন্দিশালা কেমন হয়, তিন ফিট বাই তিন ফিট খুপড়ির মধ্যে দিনের পর দিন, মাসের পর মাস আটকে থাকার যে নির্মমতা, নিষ্ঠুরতার চিত্র মানুষের কাছে তুলে ধরা উচিত,’ বলেন প্রধান উপদেষ্টা।
এসময় তিনি কমিশন সদস্যদের কাছে প্রতিবেদনের আশু করণীয়গুলো চিহ্নিত করে কোনটি কোন মন্ত্রণালয়ের আওতায় পড়ছে তা সুনির্দিষ্ট করে দেওয়ার নির্দেশনা দেন যাতে করে সরকার স্বল্পসময়ের মধ্যে কাজগুলো শুরু করতে পারে।
একজন কমিশন সদস্য প্রধান উপদেষ্টাকে বলেন, ‘ঘটনাগুলো এতটাই ভয়াবহ যে জড়িত অনেক কর্মকর্তা ও অন্যান্যরাও অনুশোচনায় ভোগেন। তারা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন আত্মশুদ্ধির একটা প্রচেষ্টা হিসেবে। দুজন অফিসার লিখিতভাবে এর থেকে পরিত্রাণ চেয়ে চিঠিও লিখেছিলেন। চিঠিগুলো গণভবনে পাওয়া গেছে। তৎকালীন সেনাপ্রধান জনসম্মুখে এই চিঠির কথা স্বীকারও করেছেন।’
কমিশন সদস্যরা জানান, কমিশনের কাছে এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৮৫০টি অভিযোগ এসেছে এবং তারমধ্যে ১ হাজার ৩৫০টি অভিযোগ যাচাই বাছাই শেষ হয়েছে।
কমিশন সদস্যরা আরো জানান, অভিযোগের সংখ্যা সাড়ে তিন হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে।
গুমের শিকার ব্যক্তিদের মধ্যে এখনো তিনশতাধিক ব্যক্তি নিখোঁজ রয়েছেন বলেও জানান তারা।
নিখোঁজ ব্যক্তিদের পরিবার যাতে অন্তত ব্যাংক হিসেবে লেনদেন করতে পারে সে বিষয়ে উদ্যোগ নিতে প্রধান উপদেষ্টাকে অনুরোধ জানান কমিশন প্রধান।
তিনি বলেন, বিদ্যমান আইনে কেউ সাত বছর নিখোঁজ থাকলে তাকে মৃত বলে ধরে নেয়ার সুযোগ রয়েছে। আইন সংশোধন করে এটিকে পাঁচ বছর করার সুপারিশ করেন তিনি।
অতিদ্রুত যাতে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়া যায়, সে বিষয়ে করণীয় জানাতে কমিশনকে পরামর্শ দেন প্রধান উপদেষ্টা।
কমিশন সদস্যদের ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আপনারা ভয়-ভীতি, নানান রকম হুমকি-ধামকি উপেক্ষা করে কাজ করে যাচ্ছেন। এদেশের মানুষের জন্য আপনারা অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবেন। ভবিষ্যতে যারা মানুষের অধিকার নিয়ে কাজ করবে আপনারা তাদের অনুপ্রেরণা।’
সরকার জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহতদের মাঝে স্বাস্থ্য কার্ড বিতরণ শুরু করেছে। প্রাথমিকভাবে ৩৬ জেলার আহত ৪ হাজার ৫৫১ জন জুলাই যোদ্ধাকে এ কার্ড দেওয়া হচ্ছে। বাকি জেলার আহতরাও পর্যায়ক্রমে এ কার্ড পাবেন।
স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ থেকে জুলাই যোদ্ধাদের জরুরি ভিত্তিতে স্বাস্থ্য কার্ড বিতরণের কথা বলা হয়েছে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন জেলার প্রস্তুতকৃত স্বাস্থ্য কার্ডগুলো সংশ্লিষ্ট সিভিল সার্জনদের কাছে পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ।
গত রোববার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা এক চিঠিতে বলা হয়েছে, প্রতিটি জেলার সিভিল সার্জনকে একজন উপযুক্ত প্রতিনিধি মনোনয়ন দিয়ে তার নাম, পদবি, মোবাইল নম্বর ও স্বাক্ষরসহ তথ্য স্বাস্থ্য সেবা বিভাগে পাঠাতে হবে। এরপর সেই প্রতিনিধির মাধ্যমে স্বাস্থ্য কার্ডগুলো বুঝে নিয়ে নিজ নিজ জেলায় আহত যোদ্ধাদের সুবিধাজনক স্থানে পৌঁছে দিতে হবে।
দেশের ৩৬ জেলায় স্বাস্থ্য কার্ড যারা পাচ্ছেন তাদের মধ্যে কিশোগঞ্জের ১১২ জন, নরসিংদীর ৪৩০ জন, কুমিল্লার ১০৮ জন, চট্টগ্রামের ১৬৮ জন, ফেনীর ১০৬ জন, বরিশালের ৮২ জন, ঢাকার ৩৭৭ জন, দিনাজপুরের ৬০ জন, সিলেটের ৮৬ জন, টাঙ্গাইলের ২৫৫ জন, সিরাজগঞ্জের ১৪৩ জন, গাইবান্ধার ৩৯ জন, বগুড়ার ২৯৬ জন, লক্ষ্মীপুরের ১৬৬ জন, ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়ার ১৭ জন, নীলফামারীর ৩৪ জন, ঠাকুরগাঁওয়ের ২২১ জন, কুড়িগ্রামের ১৫ জন, গাজীপুরের ৩৭৫ জন, নোয়াখালীর ১০১ জন, ঝিনাইদহের ২৭ জন, নাটোরের ৪ জন, নারায়ণগঞ্জের ১০০ জন, কুষ্টিয়ার ৪৩২ জন, পিরোজপুরের ১৩ জন, জয়পুরহাটের ৬ জন, ময়মনসিংহের ১৭৯ জন, রংপুরের ১১২ জন, ভোলার ৭৬ জন, চাঁদপুরের ১১৮ জন, যশোরের ১৩ জন, নওগাঁয়ের ৫ জন,মাদারীপুরের ৮১ জন এবং বরগুনার ৯৫ জন।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ জানায়, ‘স্বাস্থ্য কার্ডের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা বিনামূল্যে বা বিশেষ ছাড়ে গ্রহণ করতে পারবেন তারা। স্বাস্থ্য কার্ডের সেবা মূলত রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে তাদের আত্মত্যাগ ও সাহসিকতার একটি আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি’।
এর আগে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত যোদ্ধাদের সারাদেশে সকল সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হেলথকার্ড বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এ সময় গণঅভ্যুত্থানের দুই যোদ্ধা নরসিংদী ইউনাইটেড কলেজের শিক্ষার্থী ইফাত হোসেন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী ইসরাত জাহান ইমুর হাতে স্বাস্থ্য কার্ড তুলে দেন প্রধান উপদেষ্টা।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব বাসসকে বলেন, ‘এই হেলথ কার্ড থাকার অর্থ হলো এক বছর পরে হোক, দু’বছর পরে হোক যে কোনো সময় দেশের যে কোনো সরকারি হাসপাতালে কার্ডধারীরা চিকিৎসা পাবেন। এই কার্ড সবসময়ই থাকবে’