বুধবার, ৮ অক্টোবর ২০২৫
২৩ আশ্বিন ১৪৩২

কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে কয়েদির মৃত্যু

ফাইল ছবি
আপডেটেড
১৫ এপ্রিল, ২০২৩ ২২:৪৬
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত : ১৫ এপ্রিল, ২০২৩ ২২:৪৬

ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে অসুস্থ রুহুল আমিন ওরফে মুকুল হোসেন (৫৪) নামে এক কয়েদির ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে। শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই কয়েদি মারা যান।

কারারক্ষী মোহাম্মদ মামুন জানান, শনিবার সন্ধ্যার দিকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি রুহুল আমিন শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে কারা কর্তৃপক্ষের নির্দেশে চিকিৎসার জন্য তাকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়। সেখানে চিকিৎসক পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে রাত সাড়ে ৮টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

মোহাম্মদ মামুন বলেন, ‘নিহত কয়েদি কোন মামলায় কারাবন্দী ছিলেন সেটা বলতে পারবো না। নিহতের কয়েদি নং ৯০৩১/এ। কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তার কাগজপত্র সরাসরি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের হাতে চলে যাবে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।’


তদন্ত কর্মকর্তাকে আজও জেরা করবেন শেখ হাসিনার আইনজীবী

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

জুলাই-আগস্টে গণহত্যার দায়ে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাক্ষ্য দেওয়া মূল তদন্ত কর্মকর্তা মো. আলমগীরকে তৃতীয় দিনের মতো আজও জেরা করবেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন।

বুধবার (৮ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন বিচারিক প্যানেলে এ জেরা অনুষ্ঠিত হবে।

মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) দ্বিতীয় দিনের মতো জেরা শেষ করেন এই স্টেট ডিফেন্স আইনজীবী। জুলাই গণহত্যা নিয়ে সাক্ষীর দেওয়া বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করে নিজের মক্কেলদের পক্ষে বিভিন্ন সাফাই প্রশ্ন করেন আমির হোসেন। আন্দোলনকারীদের বাধ্য হয়েই পুলিশ বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা গুলি চালাতে বাধ্য হয়েছিলেন বলে যুক্তি খণ্ডন করেন। দিনভর জেরা করলেও শেষ না হওয়ায় আজ পর্যন্ত মুলতবি করেন ট্রাইব্যুনাল।

প্রসিকিউশনের পক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম ও প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম। সঙ্গে ছিলেন প্রসিকিউটর আবদুস সাত্তার পালোয়ান, তারেক আবদুল্লাহ, মামুনুর রশীদসহ অন্যরা।

এর আগে গত ৬ অক্টোবর এ জেরা শুরু হয়। ৩০ সেপ্টেম্বর শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে তৃতীয় দিনের মতো সাক্ষ্য দেন তদন্ত কর্মকর্তা আলমগীর। তিনি এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের ৫৪তম বা সর্বশেষ সাক্ষী। জবানবন্দিতে বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরেন তিনি। এর মধ্যে গত বছরের জুলাই আন্দোলন চলাকালীন ৪১টি জেলার ৪৩৮টি স্থানে হত্যাকাণ্ড ও ৫০টিরও বেশি জেলায় মারণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন।

২৯ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় দিনের মতো জবানবন্দি দেন এই তদন্ত কর্মকর্তা। সেদিনও বিভিন্ন তথ্যের পাশাপাশি নিজের জব্দ করা জুলাই আন্দোলনের নৃশংসতা নিয়ে যমুনা টেলিভিশনের একটি প্রতিবেদন প্রদর্শন করা হয় ট্রাইব্যুনালে। এ ছাড়া গত বছরের ৫ আগস্ট যাত্রাবাড়ীতে পুলিশের হত্যাযজ্ঞের ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরা হয়। এমনকি জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার ওপর তিন লাখ পাঁচ হাজার গুলি ছোড়া হয়েছিল বলে জবানবন্দিতে জানিয়েছেন তিনি। তদন্ত কর্মকর্তার জবানবন্দি সরাসরি সম্প্রচার করা হয় বাংলাদেশ টেলিভিশনে। এ ছাড়া বিবিসি, আল-জাজিরা, আমার দেশে প্রচারিত প্রামাণ্য চিত্র দেখানো হয়।

২৮ সেপ্টেম্বর তদন্ত কর্মকর্তা আলমগীরের জবানবন্দি শুরু হয়। ওইদিন তার জব্দ করা ১৭টি ভিডিও ট্রাইব্যুনালে প্রদর্শিত হয়। এসব ভিডিওতে জুলাই-আগস্টের নির্মমতা ফুটে ওঠে। সবমিলিয়ে ২৫ কার্যদিবসে শেখ হাসিনার মামলায় মোট সাক্ষ্য দিয়েছেন ৫৪ জন। শেষ সাক্ষীর জেরা শেষ হলেই যুক্তিতর্ক ও রায়ের দিকে এগোবে।

২৪ সেপ্টেম্বর এ মামলার ২২তম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা শেষ হয়। ওইদিন সাক্ষ্য দেন বিশেষ তদন্ত কর্মকর্তা ও প্রসিকিউটর তানভীর হাসান জোহা। পরে তাকে জেরা করেন আমির হোসেন।

মামলার অন্যতম আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনও ৩৬ নম্বর সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দিয়েছেন। নিজের দায় স্বীকার করে আগেই হয়েছেন রাজসাক্ষী। এ ছাড়া সাক্ষীদের জবানবন্দিতে গত বছরের জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে দেশজুড়ে হত্যাযজ্ঞ চালানোর বীভৎস বর্ণনা উঠে এসেছে। আর এসবের জন্য দায়ী করে শেখ হাসিনা, কামালসহ জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়েছেন শহীদ পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা।

গত ১০ জুলাই শেখ হাসিনা, কামাল ও মামুনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। এ মামলায় তাদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের পাঁচটি অভিযোগ আনে প্রসিকিউশন। আনুষ্ঠানিক অভিযোগ মোট আট হাজার ৭৪৭ পৃষ্ঠার। এর মধ্যে তথ্যসূত্র দুই হাজার ১৮ পৃষ্ঠার, জব্দ তালিকা ও দালিলিক প্রমাণাদি চার হাজার পাঁচ পৃষ্ঠার ও শহীদদের তালিকার বিবরণ দুই হাজার ৭২৪ পৃষ্ঠার। সাক্ষী করা হয়েছে ৮১ জনকে। গত ১২ মে চিফ প্রসিকিউটরের কাছে এ মামলার প্রতিবেদন জমা দেন ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার কর্মকর্তারা।


ইউনেসকোর ৪৩তম সম্মেলনের সভাপতি বাংলাদেশ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ইউনেসকোর ৪৩তম সম্মেলনের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছে বাংলাদেশ। মঙ্গলবার রাতে নিজের ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে এ তথ্য জানান সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।

এদিকে গতকাল মঙ্গলবার ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক সংস্থার (ইউনেসকো) ৪৩তম সাধারণ সম্মেলনের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন ফ্রান্সে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত খন্দকার এম তালহা।

নির্বাচনে তিনি জাপানের রাষ্ট্রদূত তাকেহিরো কানোকে ৩০-২৭ ভোটে পরাজিত করেন। বাংলাদেশ, জাপান, ভারত ও কোরিয়া প্রজাতন্ত্র প্রার্থিতা দিলেও গত সেপ্টেম্বরে ভারত ও কোরিয়া তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেয়।

বাংলাদেশের ইউনেসকো সদস্য পদের ৫৩ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম কোনো বাংলাদেশি এই মর্যাদাপূর্ণ আন্তর্জাতিক পদে নির্বাচিত হলেন, যা দেশের জন্য এক ঐতিহাসিক মাইলফলক। আসন্ন ৪৩তম সাধারণ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৩০ অক্টোবর থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত।

এই অর্জনে ফ্রান্সে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে আনন্দ ও গর্বের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে এবং ফ্রান্স-বাংলাদেশ জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন (এফবিজেএ), বাংলাদেশ কমিউনিটি ইন ফ্রান্স (বিসিএফ), বিএনপি ফ্রান্স শাখা, বাংলাদেশি নাগরিক পরিষদ ফ্রান্স, এনসিপি ডায়াসপোরা অ্যালায়েন্স ফ্রান্স শাখা ও বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদী প্রবাসী ঐক্য (বিএনডিএ) বিভিন্ন সংগঠন একযোগে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছে।


আবরার ফাহাদের শাহাদত জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বড় প্রেরণা: তথ্য উপদেষ্টা

মঙ্গলবার জাতীয় জাদুঘরের শহীদ আবরার ফাহাদের ষষ্ঠ শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানভিত্তিক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। ছবি : বাসস
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম বলেছেন, আবরার ফাহাদের শাহাদত জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে বড় প্রেরণা হিসেবে কাজ করেছে। তাঁর আত্মত্যাগ বৃথা যায়নি। তাঁর শাহাদতের ফলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভিন্ন মত প্রকাশের সুযোগ তৈরি হয়েছে, যা শিক্ষার্থীরা কাজে লাগিয়েছে।

আজ মঙ্গলবার শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তনে শহীদ আবরার ফাহাদের ষষ্ঠ শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানভিত্তিক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধনী পর্বে তিনি এসব কথা বলেন। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এই প্রদর্শনীর আয়োজন করে।

বিগত সরকারের ১৬ বছরের দুঃশাসনের সমালোচনা করে উপদেষ্টা বলেন, ওই সময় আবরার ফাহাদের মতো হাজারো শিক্ষার্থী নিপীড়নের শিকার হয়েছেন। অনেকে মৃতপ্রায় অবস্থায় বেঁচে গেছেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কিছু সদস্য নিজেই শিক্ষার্থীদের পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন। কারাগারে ভিন্ন মতাবলম্বী শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা দেওয়া হয়নি। হলগুলো থেকে শিবিরের নামে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মারধর করে বের করে দেওয়া হতো।

তিনি বলেন, আবরার ফাহাদের শাহাদতের গভীর তাৎপর্য রয়েছে, যা অনুধাবন করা জরুরি।

উপদেষ্টা বলেন, ‘শেখ হাসিনা যে ভুল করেছেন, আমরা সেই ভুল করতে চাই না। ফ্যাসিজম যে প্রক্রিয়ায় তৈরি হয়, আমরা সেই পথে যেতে চাই না।’

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের শক্তির মধ্যে বিভাজনকে অপ্রত্যাশিত ও দুঃখজনক আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, বিভাজন এড়িয়ে নাগরিকদের জন্য নিরাপদ রাষ্ট্র ও সরকারব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় কাজ করতে হবে।

নিজেকে রাষ্ট্র গড়ার পক্ষের লোক হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদী সাংস্কৃতিক ব্যবস্থার বিপরীতে জনগণের সামনে একটি ভালো বিকল্প উপস্থাপন করতে হবে। তা না হলে জনগণ আবার পুরাতন ব্যবস্থায় ফিরে যাবে।

তিনি বলেন, আমাদের দীর্ঘ সাংস্কৃতিক লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। বহু ভাষা, বহু সংস্কৃতি ও বহু ঐতিহ্যের বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।

অনুষ্ঠানে সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, ‘২০১৯ সালে বুয়েটে ছাত্রলীগের গুণ্ডারা আবরার ফাহাদকে হত্যা করেছে। তারা ভেবেছিল, তাঁকে হত্যা করে আধিপত্যবিরোধী কণ্ঠ স্তব্ধ করা যাবে। কিন্তু ইতিহাস বলে, এমন কণ্ঠ কখনো স্তব্ধ হয় না।’

তিনি বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী প্রত্যেকে আবরার ফাহাদের হৃৎস্পন্দন ধারণ করেছেন। তিনি তাঁর আত্মত্যাগকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ন্যারেটিভ তৈরির প্রসঙ্গে তিনি বলেন, গণ-অভ্যুত্থানপরবর্তী সময়ের অন্যতম কাজ হলো জুলাইয়ের ন্যারেটিভ তৈরি করা। পাশাপাশি বিগত সরকারের ১৬ বছরের দুঃশাসনের ন্যারেটিভও তৈরি করতে হবে। সাংস্কৃতিক বৈষম্যকে ফ্যাসিবাদের অন্যতম কারণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ধর্ম ও রাজনৈতিক বিশ্বাসের কারণে কাউকে আলাদা করা যাবে না। সকল জাতিগোষ্ঠীকে একত্রিত করতে হবে।

তিনি বলেন, আমাদের এমন এক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে, যা ইতিহাসের সব অধ্যায়কে ধারণ করবে। তিনি ‘বাংলাদেশ’ ও ‘বাংলাদেশপন্থা’য় এক থাকার আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবা ফারজানা।

উদ্বোধনী পর্ব শেষে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানভিত্তিক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়। সন্ধ্যায় একই স্থানে ‘চলচ্চিত্রে জুলাই’ শীর্ষক প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়, এতে অংশ নেন জুলাই গণ-অভ্যুত্থান নিয়ে নির্মিত ও নির্মিতব্য চলচ্চিত্রের নির্মাতা ও কলাকুশলীরা। অনুষ্ঠানে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এবং এর অধীনস্থ দপ্তর-সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।


প্রকল্পের গুণগতমান ঠিক রেখে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রকল্প সম্পন্নের নির্দেশ : সেতু সচিব

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

সেতু বিভাগের সচিব ও বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক জনাব মোহাম্মদ আবদুর রউফ আজ (৭ অক্টোবর ২০২৫) ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ প্রকল্পের চলমান কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন শেষে সচিব মহোদয় প্রকল্পের স্টেক ইয়ার্ড-৪ বাইপাইল এর সম্মেলন কক্ষে প্রকল্প পরিচালক, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এবং প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভা করেন।


মতবিনিময় সভায় সচিব সেতু বিভাগ প্রকল্পের গুণগতমান নিশ্চিত করে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রকল্প সম্পন্ন করার ব্যাপারে দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। প্রকল্পের চ্যালেঞ্জসমূহ দ্রুত নিরসনের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারগণের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রেখে প্রকল্পের কাজ সম্পন্নের উপর তাগিদ প্রদান করেন। চলতি অর্থবছরে প্রকল্পে বরাদ্দকৃত অর্থের যথাযথ ব্যবহার ও কাজের অগ্রগতি বৃদ্ধি কারার জন্য প্রকল্প পরিচালককে নির্দেশনা প্রদান করেন।


সচিব মহোদয় সভায় আরও বলেন, মাননীয় সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা জনাব মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান এর ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ প্রকল্পের জন্য বিশেষ দিকনির্দেশনা রয়েছে। প্রকল্পের কাজের কারণে মানুষের ভোগান্তি লাঘবের লক্ষ্যে অতিরিক্ত জনবল নিযুক্ত করে যথাযথভাবে ট্র্যাফিক ব্যবস্থাপনা এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ব্যাপারে সচিব মহোদয় গুরুত্ব আরোপ করেন।


শহীদ আবরার ফাহাদ স্মৃতি স্মরণে পলাশী গোলচত্বরে আগ্রাসন বিরোধী আট স্তম্ভ উদ্বোধন

আপডেটেড ৭ অক্টোবর, ২০২৫ ১৮:৫৫
নিজস্ব প্রতিবেদক

বুয়েট শিক্ষার্থী শহীদ আবরার ফাহাদ স্মৃতি স্মরণে বুয়েট সংলগ্ন পলাশী গোলচত্বরে আগ্রাসন বিরোধী আট স্তম্ভ আজ উদ্বোধন করা হয়েছে।


আগ্রাসন বিরোধী অবস্থানের কারণে ২০১৯ সালে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের তড়িৎ ও ইলেক্ট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের বুয়েট শাখার সদস্যরা। শহীদ আবরারের স্মৃতি ও আগ্রাসন বিরোধী চেতনাকে সমুজ্জ্বল রাখতে "শহীদ আবরার ফাহাদ স্মৃতি স্মরণে পলাশী গোলচত্বরে আগ্রাসন বিরোধী আট স্তম্ভ নির্মাণ ও পলাশী ইন্টারসেকশন উন্নয়ন" শীর্ষক প্রকল্পের অংশ হিসেবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন আগ্রাসন বিরোধী আট স্তম্ভ নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন করেছে।


আগ্রাসন বিরোধী আট স্তম্ভের আটটি স্তম্ভ সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র, গণপ্রতিরক্ষা, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি, অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতা, দেশীয় শিল্প-কৃষি-নদী-বন-বন্দর রক্ষা, সাংস্কৃতিক স্বাধীনতা ও মানবিক মর্যাদা এই আটটি বিষয়কে নির্দেশ করে।


উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা জনাব আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, "আট স্তম্ভের অবয়বের চেয়ে আট স্তম্ভে লিখে রাখা বিষয়গুলো অধিক গুরুত্বপূর্ণ। এই শব্দগুলোর বাস্তবায়নের মাধ্যমে এই বদ্বীপের প্রকৃত স্বাধীনতা অর্জিত হবে।" ফ্যাসিবাদের সময়ে হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ফ্যাসিবাদ টিকিয়ে রাখার বিভিন্ন ভাস্কর্য-প্রকল্প নির্মিত হলেও বর্তমান সময়ে ফ্যাসিবাদ বিরোধী শক্তির পক্ষে কিছু করলেই রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের সম্মুখীন হতে হয় উল্লেখ করে উপদেষ্টা জানান, আগ্রাসন বিরোধী আট স্তম্ভ নির্মাণে মাত্র ৩৯.৫৯ লক্ষ টাকা ব্যয় হয়েছে।


স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব জনাব মোঃ রেজাউল মাকছুদ জাহেদী বলেন, "আবরার ফাহাদের স্মৃতিকে ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়ার জন্য সরকার উদ্যোগ গ্রহণ করবে।"


ডিএসসিসি প্রশাসক জনাব মোঃ শাহজাহান মিয়া বলেন, "আবরার ফাহাদ কেবল একজন ব্যক্তি নয়, আবরার ফাহাদ একটি চেতনা, একটি আদর্শ।" আবরার ফাহাদ ২০১৯ সালে যে বীজ বপন করেছিলেন, সেটি একটি মহীরুহ হয়ে ২০২৪ সালের ৩৬শে জুলাইয়ে পরিণত হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন আবরার ফাহাদ স্মৃতি সংসদের উদ্যোগের পরিপ্রেক্ষিতে মাননীয় স্থানীয় সরকার উপদেষ্টার পরামর্শক্রমে ডিএসসিসি এই স্তম্ভ নির্মাণ করেছে।


উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা জনাব মোঃ মাহফুজ আলম, বুয়েটের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল হাসিব চৌধুরী, জাতীয় নাগরিক পার্টির সদস্য সচিব জনাব আখতার হোসেন, শহীদ আবরার ফাহাদের পিতা জনাব মোঃ বরকত উল্লাহ ও ভাই জনাব আবরার ফাইয়াজ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।


নির্বাচনে কোনো কর্মকর্তা দলীয় আচরণ করলে কঠোর ব্যবস্থা: সিইসি

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংশ্লিষ্ট কোনো কর্মকর্তা যেন দলীয় আচরণ বা পক্ষপাতমূলক মনোভাব না দেখাতে পারেন, সেটি নিশ্চিত করবে নির্বাচন কমিশন।

তিনি বলেন, ‘দলীয় বা দলদাসের মতো আচরণ কেউ করতে পারবেন না, সেটা আমরা কঠোরভাবে নিশ্চিত করব। কেউ যদি মনের মধ্যে রাজনৈতিক অভিলাষও রাখেন, সেটার প্রতিফলন কাজের মধ্যে ঘটতে দেওয়া হবে না। প্রয়োজনে অ্যাকশন নেওয়া হবে।’

মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সম্মেলন কক্ষে নির্বাচন বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে মতবিনিময় সভার সমাপনী বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

সিইসি বলেন, ‘আগে এমন একটা সংস্কৃতি ছিল যে কর্মকর্তাদের ওপর চাপ থাকত-একটা নির্দিষ্ট পক্ষে কাজ করতে হবে। এখন সেই পরিবেশ আর থাকবে না। আগে মেসেজ ছিল, আমার পক্ষে কাজ না করলে তোমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিন্তু এখন মেসেজ হবে-তুমি যদি কোনো পক্ষের হয়ে কাজ কর, তাহলে তোমার বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এখন মেসেজটা একদম স্পষ্ট। আমরা এ কথা একাধিকবার বলেছি এবং বারবার বলবো।’

তিনি আরো বলেন, নির্বাচন কমিশনের কাজ হলো নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করা। এজন্য মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও সমান গুরুত্বপূর্ণ। তাদের ওপর কোনো রাজনৈতিক বা প্রশাসনিক প্রভাব কাজ করবে না, এটা নিশ্চিত করা হবে। আগে অনেক সময় কর্মকর্তাদের রাতে গিয়ে প্রভাবিত করা হতো, ভয় দেখানো হতো, কিংবা নানা উপায়ে প্ররোচিত করে ভোট আদায় করা হতো। কিন্তু এখন সেই ভয় আর থাকবে না। আমরা যত রকম প্রস্তুতি নেওয়া সম্ভব, সব নেব, যাতে কেউ দলীয় আচরণ করতে না পারে।

নাসির উদ্দিন বলেন, ‘আমরা চাই এই নির্বাচনের মাধ্যমে একটি নতুন দৃষ্টান্ত তৈরি হোক। দেশের মানুষ দেখুক, এবার নির্বাচন সত্যিই স্বাধীন, নিরপেক্ষ এবং অংশগ্রহণমূলক হচ্ছে। আমাদের লক্ষ্যই হলো, আয়নার মতো স্বচ্ছ একটি নির্বাচন উপহার দেওয়া।’

সভায় প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সভাপতিত্বে চারজন নির্বাচন কমিশনার ও ইসি সচিবালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। মতবিনিময় সভায় অংশ নেন ১০ জন নির্বাচন বিশেষজ্ঞ, যারা সবাই সাবেক নির্বাচন কর্মকর্তা।

নির্বাচন বিশেষজ্ঞদের উদ্দেশ্যে সিইসি বলেন, ‘নির্বাচনকে সামনে রেখে আমাদের সামনে নিত্যনতুন চ্যালেঞ্জ আসছে। একদিকে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হচ্ছে, অন্যদিকে একটি বিশেষ পরিস্থিতিতে বিশেষ ধরনের সরকারের অধীনে আমাদের নির্বাচনে যেতে হচ্ছে। দেশের এই ক্রান্তিকালে এই নির্বাচনকে আমি জীবনের শেষ সুযোগ হিসেবে দেখছি। দেশের জন্য কিছু করতে চাই। আমাদের আর চাওয়া-পাওয়ার কিছু নেই। আমাদের একটাই লক্ষ্য-একটি সুন্দর, গ্রহণযোগ্য ও স্বচ্ছ নির্বাচন জাতিকে উপহার দেওয়া। তবে এটি নির্বাচন কমিশনের একার পক্ষে সম্ভব নয়। এজন্য সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। সর্বস্তরের জনগণ, গণমাধ্যম, রাজনীতিবিদ, নাগরিক সমাজ-সবাইকে সঙ্গে নিয়েই আমরা এগিয়ে যেতে চাই।’

তিনি বলেন, ‘আপনারা যারা আজ উপস্থিত আছেন, সবাই অভিজ্ঞ নির্বাচন কর্মকর্তা ছিলেন। আপনারা জানেন কোথায় কোথায় গ্যাপ থেকে যায়, কোথায় দিয়ে কারচুপি বা ম্যানিপুলেশন হতে পারে। সেই অভিজ্ঞতা থেকে আপনারা আমাদের পরামর্শ দিন, যেন আমরা আগেভাগে ব্যবস্থা নিতে পারি। নির্বাচন যাতে স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য হয়, সেটাই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য।’

আজকের এই সংলাপে আলোচনার পাশাপাশি নির্বাচন কমিশন বিকেলে নারী নেত্রীদের সঙ্গে আরেক দফা মতবিনিময় সভা করেছে। দুপুর আড়াইটা থেকে বিকেল সাড়ে চারটা পর্যন্ত এই সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে সোমবার দেশের প্রধান প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সম্পাদক ও সিনিয়র সাংবাদিকদের সঙ্গে সংলাপে বসে ইসি।

ইসি জানিয়েছে, একটি অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটাধিকার প্রয়োগ নিশ্চিত করতে রাজনৈতিক দল, শিক্ষাবিদ, বুদ্ধিজীবী, নাগরিক সমাজ, সাংবাদিক, নির্বাচন বিশেষজ্ঞ, পর্যবেক্ষক, নারী নেত্রী ও মুক্তিযোদ্ধাসহ সংশ্লিষ্ট সকলের মতামত ও পরামর্শ গ্রহণ করা হচ্ছে।

গত ২৮ সেপ্টেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে অংশীজনদের সঙ্গে ধারাবাহিক সংলাপ শুরু করে নির্বাচন কমিশন। প্রথম দিন সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও শিক্ষাবিদরা সংলাপে অংশ নিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নিরাপত্তা নিশ্চিতের আহ্বান জানান এবং নির্বাচন কমিশনকে রাজনৈতিক প্রভাব থেকে মুক্ত থাকার পরামর্শ দেন।

সিইসি নাসির উদ্দিন বলেন, ‘এই নির্বাচন শুধু একটি রাজনৈতিক ইভেন্ট নয়, এটি একটি জাতীয় দায়িত্ব। আমরা এমন একটি প্রক্রিয়া তৈরি করতে চাই যা আগামী দিনের নির্বাচনগুলোর জন্য উদাহরণ হয়ে থাকবে। আমাদের উদ্দেশ্য একটাই-দেশবাসীর আস্থা ফিরে আনা, একটি শান্তিপূর্ণ, অংশগ্রহণমূলক ও স্বচ্ছ নির্বাচন আয়োজন করা।’ সূত্র: বাসস


পুলিশের শটগান ও ওয়াকিটকি কেড়ে নিয়ে পালালেন আসামি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ফেনী প্রতিনিধি

ফেনীর সোনাগাজীতে ওয়ারেন্টভুক্ত এক আসামিকে গ্রেপ্তার করতে গিয়ে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় হামলাকারীরা পুলিশের একটি শটগান ও ওয়াকিটকি কেড়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে অভিযান চালিয়ে একজনকে গ্রেপ্তার করে লুণ্ঠিত অস্ত্র ও ওয়াকিটকি উদ্ধার করে পুলিশ।

মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) সকালে উপজেলার আমিরাবাদ ইউনিয়নের পশ্চিম আহাম্মদপুর গ্রামের মৃত হোসেন মিয়ার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার ভোর ৫টার দিকে সোনাগাজী থানার সহকারী উপপরিদর্শক সাইদুর রহমান ও মোফাজ্জল হোসেনের নেতৃত্বে ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি আহাম্মদপুর গ্রামের আবুল হাশেমের দুই ছেলে জাহেদুল ইসলাম রিপন ও রফিকুল ইসলাম আরিফকে গ্রেপ্তার করতে তাদের বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় আসামি ও তাদের পরিবারের সদস্যরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে আহত করেন। একপর্যায়ে আসামিরা পুলিশের কাছ থেকে একটি ওয়াকিটকি ও একটি শটগান কেড়ে নিয়ে পালিয়ে যায়।

এ ঘটনার খবর পেয়ে সহকারী পুলিশ সুপার (সোনাগাজী সার্কেল) ও সোনাগাজী মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযান চালান। পরে সকাল ৯টা ৪০ মিনিটের দিকে আসামি জাহেদুল ইসলাম রিপনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে পুলিশের লুণ্ঠিত শটগান ও ওয়াকিটকি উদ্ধার করা হয়।

সোনাগাজী মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, পুলিশের ওপর হামলা ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার ঘটনায় একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন। গ্রেপ্তার রিপনের বিরুদ্ধে ডাকাতি ও অস্ত্র আইনে ৯টি মামলা রয়েছে। পলাতক আসামি আরিফ ও তার সহযোগীদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।


প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীর বিদায়ী সাক্ষাৎ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গুইন লুইস বিদায়ী সাক্ষাৎ করেছেন।

রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় মঙ্গলবার উভয়ের এ সাক্ষাত অনুষ্ঠিত হয়।


শিক্ষকদের বাড়ি ভাড়ার নামে ৫০০ টাকার প্রজ্ঞাপন বাতিলের দাবীতে মানববন্ধন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মেহেরপুর জেলা প্রতিনিধি

বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজ শিক্ষকদের বাড়ি ভাড়ার নামে ৫০০ টাকার ন্যাক্কারজনক ও দুরভিসন্ধিমুলক প্রজ্ঞাপন বাতিলের দাবীতে মেহেরপুরের গাংনীতে মানববন্ধন ও সমাবেশ করা হয়েছে।
মেহেরপুরকুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের গাংনী উপজেলা প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে আজ মঙ্গলবার বেলা ১১ টার সময় এই মানববন্ধন করে বাংলাদেশ আদর্শ শিক্ষক পরিষদ ফেডারেশন গাংনী উপজেলা শাখা।
বাংলাদেশ আদর্শ শিক্ষক পরিষদ ফেডারেশন গাংনী উপজেলা শাখার সভাপতি ও সম্মিলিত পেশাজীবি পরিষদের সভাপতি আবুল হাসেমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, মাধ্যমিক শিক্ষক পরিষদের গাংনী উপজেলা শাখার সভাপতি মোমিনুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক হাসানুজ্জামান খান, পৌর শাখার সভাপতি আজিজুল হক, বামন্দী নিশিপুর স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ সাজ্জাদুল আলম স্বপন, গাংনী সিনিয়র আলিম মাদ্রাসার ভাইসপ্রিন্সিপ্যাল শফিকুল ইসলাম, হোগলবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রবিউল ইসলাম প্রমুখ।
মানববন্ধনে শিক্ষক নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকারি ও বেসকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা সমান লেখাপড়া করালেও সরকারি শিক্ষকরা নানা সুবিধা ভোগ করে আসছে। তাদের সাথে আমাদের সকল কিছুর বিরাট বৈষম্য রয়েছে। সরকার আমাদের বাড়িভাড়া বাবদ ৫০০ টাকা বরাদ্দ দিয়ে আমাদের সাথে তামাশা করেছে। অবিলম্বে এটি বাতিল করে নুন্যতম ২০০০০ হাজার টাকা বরাদ্দ না দিলে শিক্ষকদের অধিকার আদায়ে মাঠে নামবো।


এবারের নির্বাচন জীবনের শেষ সুযোগ হিসেবে নিয়েছি : সিইসি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

এবারের নির্বাচন জীবনের শেষ সুযোগ হিসেবে নিয়েছি বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। তিনি বলেছেন, এই শেষ সুযোগ। জাতিকে সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে চাই।

মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের সম্মেলন কক্ষে ধারাবাহিক সংলাপে নির্বাচন বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে সংলাপে এসব কথা বলেন তিনি। সংলাপে অন্য চার নির্বাচন কমিশনারসহ ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকতারা উপস্থিত ছিলেন।

সিইসি বলেন, দেশের জন্য কিছু করতে এবারের নির্বাচন জীবনের শেষ সুযোগ হিসেবে নিয়েছি। এবার জাতিকে সুষ্ঠু সুন্দর নির্বাচন উপহার দিতে চাই। এজন্য সুষ্ঠু-সুন্দর নির্বাচন করতে রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতার বিকল্প নেই।

নির্বাচন বিশেষজ্ঞ ও নারী নেত্রীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আজকে আমরা শুনব যারা নির্বাচন নিয়ে সরাসরি কাজ করেছেন তাদের বক্তব্য। আপনারা জানেন নির্বাচনে‌ কোথায় কোথায় কী কী সমস্যা হয়, কোথায় কোথায় কী কী গ্যাপ রয়েছে। আপনাদের সুচিন্তিত মতামতগুলো বিবেচনা করে আমরা সামনে এগিয়ে যেতে চাই। আমরা এবার প্রবাসীদের ভোটের আওতায় আনতে উদ্যোগ নিয়েছি। এছাড়া, সরকারি চাকুরিজীবী ও হাজতিদের জন্যও পোস্টাল ব্যালটে ভোটগ্রহণের উদ্যোগ নিয়েছি। এজন্য নির্বাচনের কাজে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। সবাইকে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই।

তিনি বলেন, প্রত্যন্ত অঞ্চলে ভোট দেওয়ার আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে ভোটার তালিকা হালনাগাদের সময়। নারী, পুরুষ ভোটারের পার্থক্য ৩০ লাখ ছিল। সেটা কমিয়ে এনেছি। পোস্টাল ব্যালটের ব্যবস্থা করেছি। একটা মডেল বের করেছি। পারবো কিনা জানি না, তবে আমরা চেষ্টা করব। আইটি সাপোর্টেড পোস্টাল ব্যালট ও একটা হাইব্রিড পদ্ধতি বের করেছি। এতে প্রবাসী, সরকারি চাকরিজীবি, কয়েদিরা ভোট দিতে পারবেন।

সিইসি বলেন, এবিউজ অব এআই, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ নিত্য নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হচ্ছে। একটা বিশেষ পরিস্থিতিতে ক্রান্তিলগ্নে আমরা দায়িত্ব নিয়েছি। আমার বয়স ৭৩ বছর। আমার আর চাওয়ার কিছু নেই। জীবনে এটা শেষ সুযোগ হিসেবে নিয়েছি। একটা সুন্দর, সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দেওয়াই লক্ষ্য। সর্বস্তরের জনগণের সহযোগিতা লাগবে। এজন্য সবাইকে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন— ইসির সাবেক সচিব (ভারপ্রাপ্ত) ড. মোহাম্মদ জকরিয়া, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সাবেক যুগ্মসচিব খন্দকার মিজানুর রহমান, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সাবেক যুগ্মসচিব মো. নূরুজ্জামান তালুকদার, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সাবেক উপসচিব মিহির সরওয়ার মোর্শেদ, সাবেক আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা (ঢাকা) শাহ আলম, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সাবেক যুগ্মসচিব মো. শাহেদুন্নবী চৌধুরী, সাবেক আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মাহফুজা আক্তার, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ও ফেমার প্রেসিডেন্ট মুনিরা খান, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সাবেক উপসচিব মিছবাহ উদ্দিন, সাবেক আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মীর মো. শাহজাহান।


দল হিসেবে আ.লীগের বিচারকাজের আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিচারকাজের আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। এর আগে তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। মঙ্গলবার সকালে তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়া হয়।

এর আগে, এনডিএম-এর চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ গত বছরের (২ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর বরাবর লিখিত অভিযোগ জমা দেন। অভিযোগে বলা হয়েছে, আওয়ামী লীগসহ ১৪টি রাজনৈতিক দল গণহত্যার সরাসরি হুকুমদাতা হিসেবে দায়ী।

চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেছেন, আমরা অভিযোগের ভিত্তিতে প্রাথমিক তদন্ত শুরু করছি। এটি পুরোদমে শুরু হলে বিষয়টি কতদূর পর্যন্ত যেতে পারে, তা আমরা তখন জানাতে পারব।


জয়পুরহাটে বিরল শামুকখোল পাখির অভয়ারণ্য কানাইপুকুর গ্রাম

পাখির অভয়ারণ্য কানাইপুকুর গ্রাম। জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার আলমপুর ইউনিয়নের কানাইপুকুর গ্রামটি শামুকখোল পাখির অভয়াশ্রম হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
রাব্বিউল হাসান, জয়পুরহাট

বিরল প্রজাতির পাখি শামুকখোল। গ্রামের একটি পুকুর পাড়ের গাছে বাসা বেঁধেছে হাজার হাজার শামুকখোল পাখি। নিরাপদ আশ্রয় পেয়ে প্রায় দুই দশক ধরে বছরের নির্দিষ্ট সময় পাখিগুলো এখানে বসবাস করে। সে জন্য গ্রামটি পরিচিতি পেয়েছে পাখির গ্রাম হিসেবে। সকালে এসব পাখির কিচিরমিচির শব্দে ঘুম ভাঙে স্থানীয়দের। এ ছাড়া জেলার বিভিন্ন এলাকার মানুষ পাখিগুলোকে দেখতে আসেন। বলছি, জয়পুরহাটের ক্ষেতলালের কানাইপুকুর গ্রামের কথা। আর এখানে পাখি দেখতে প্রতিবছর ভিড় জমান দর্শনার্থীরা।

জানা যায়, উপজেলার আলমপুর ইউনিয়নের কানাইপুকুর গ্রামের বাসিন্দা জাহাঙ্গীর আলমের বাড়ির পাশে রয়েছে একটি পুকুর। সেই পুকুরের চারপাশে প্রায় ৫ বিঘা জমির ওপর বট, নিম, তেঁতুল, আম, বাঁশঝাড়সহ বিভিন্ন গাছ রয়েছে। এসব গাছে একটা সময় রাতচরা পাখি বাসা বেঁধেছিল। এরপর সাদা বকের পর ধীরে ধীরে সেখানে রাজত্ব চলে আসে শামুকখোল পাখির দখলে। প্রায় দুই দশক ধরে শামুকখোল পাখির স্থায়ী অভয়াশ্রমে পরিণত হয়েছে এই স্থানটি।

এই শামুকখোল পাখিগুলো গাছের মগডালে নিজেদের আপন খেয়ালে বাসা বেঁধে আসছে। এ ছাড়াও এখানে রয়েছে বক, কানা বক, শঙ্খ চোরা, পানকৌড়ি ও হরিয়াল। তবে এর মধ্যে শামুকখোল রয়েছে সবচেয়ে বেশি। পাখির কিচিরমিচির ডাক সবসময় মুখরিত করে রাখে গ্রামবাসীকে। তাই নিজের সন্তানের মতো লালন করেন তারা পাখিদের। অন্যদিকে গাছে গাছে পাখিরা ডিম থেকে ফুটাচ্ছে বাচ্চাও।

জয়পুরহাট সদর উপজেলা থেকে পাখি দেখতে এসেছেন দর্শনার্থী আসাদুজ্জামান রাশেদ। তিনি বলেন, একসঙ্গে এত পাখি অন্য কোথাও দেখা যায় না। এখানে হাজার হাজার পাখি দেখলাম। দেখে মনটা ভরে গেল।

কালাই উপজেলা থেকে দেখতে এসেছেন দর্শনার্থী আবুল বাশার লাইফ। তিনি বলেন, শামুকখোল পাখি এখন আর কোথাও দেখা যায় না। এখানে পাখি কলোনির কথা শুনে দেখতে আসছি। কাছ থেকে এত পাখি দেখে খুব ভালো লাগছে। কেউ পাখিদের বিরক্ত করে না। সরকারের উচিত পাখিগুলো সংরক্ষণ করার জন্য উদ্যোগ নেওয়া।

কানাইপুকুর গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা তামিম আহম্মেদ বলেন, পাখিগুলো আমাদের গ্রামকে মুখরিত করে রাখে। কেউ যেন পাখিগুলোর কোনো ক্ষতি করতে না পারে সে বিষয়ে আমরা সবাইকে সচেতন করি। এপ্রিল মাসের দিকে পাখিগুলো এখানে এসে গাছে গাছে বাসা বাঁধে। এরপর জুন মাসের দিকে ডিম থেকে বাচ্চা ফুটায়। সেই বাচ্চাগুলো বড় হয়ে উড়াল শিখতে শিখতে শীত চলে আসে। তখন তারা এখান থেকে অন্যত্র চলে যায়। পাখিগুলো চলে গেলে আমাদের অনেক খারাপ লাগে।

এই পাখি কলোনির পৃষ্ঠপোষক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এই অতিথি পাখিগুলো এখানে প্রায় ২০ বছর ধরে বাস করে আসছে। এরা সাধারণত এপ্রিল থেকে অক্টোবর পর্যন্ত এখানে অবস্থান করে। পাখিগুলোকে কেউ কখনো বিরক্ত করে না। এ জন্য এরা এখানে নিরাপদে ও নির্বিঘ্নে বাসা বাঁধতে পারে। আমরা পারিবারিকভাবে এই পাখি কলোনি দেখাশোনা করি। এই পাখিগুলো সাধারণত সব জায়গায় বাসা বাঁধে না। এরা আমাদের এখানে বাসা বেঁধেছে এটা আমাদেরও একটা গর্বের বিষয়। এজন্য আমার ভালো লাগা কাজ করে।

ক্ষেতলাল উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. পলাশ চন্দ্র রায় বলেন, অতিথি পাখি কলোনিটি পরিদর্শন করেছি। পাখিগুলো যদি অসুস্থ হয় তাহলে চিকিৎসা বা কোনো পরামর্শের প্রয়োজন হলে আমরা সহযোগিতা করব।

বাংলাদেশ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মহসিনা বেগম বলেন, শামুকখোল পাখি বাংলাদেশে আসে প্রজননের উদ্দেশ্যে। বাচ্চা বড় হয়ে উড়তে শিখলে তারা চলে যায় রাশিয়ার সাইবেরিয়া অঞ্চলের দিকে। এরা সাধারণত কলোনিয়াল ভাবে বাস করে। নিরাপদ আশ্রয় ও পরিমিত খাবার পেলে এরা অনেক দিন থেকে যায়। সরকারের সহযোগিতা পেলে এটি পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠতে পারে।


নির্বাচন বিশেষজ্ঞ ও নারী নেত্রীদের সঙ্গে ইসির সংলাপ আজ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলকভাবে আয়োজনের লক্ষ্যে মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) নির্বাচন বিশেষজ্ঞ ও নারী নেত্রীদের সঙ্গে সংলাপে বসছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। দিনব্যাপী এ সংলাপ দুই ধাপে অনুষ্ঠিত হবে।

ইসির জনসংযোগ শাখার সহকারী পরিচালক মো. আশাদুল হক জানান, সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত নির্বাচন বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে এবং দুপুর আড়াইটা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত নারী নেত্রীদের সঙ্গে সংলাপে বসবে কমিশন।

ইসির সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিতব্য সংলাপগুলোতে সভাপতিত্ব করবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন। এতে চার নির্বাচন কমিশনার এবং ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন।

সকালের অধিবেশনে নির্বাচন বিশেষজ্ঞদের মধ্যে সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ আবু হেনা, সাবেক নির্বাচন কমিশনার ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেনসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা অংশ নেবেন।

বিকেলের অধিবেশনে নারী নেত্রীদের সঙ্গে সংলাপে বসবে নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে থাকা সংস্থাটি। দুটি অধিবেশনে মিলিয়ে মোট ৪০ জন অংশগ্রহণকারী তাদের মতামত ও পরামর্শ দেবেন বলে জানা গেছে।

জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে ধারাবাহিক সংলাপ করছে নির্বাচন কমিশন। ওইদিন সুশীল সমাজ, বুদ্ধিজীবী ও শিক্ষাবিদদের সঙ্গে সংলাপ হয়। গত ৬ অক্টোবর গণমাধ্যমের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সভা করেছে ইসি।

আগামী দিনে মুক্তিযোদ্ধা, রাজনৈতিক দলসহ অন্যান্য অংশীজনদের সঙ্গেও বসবে কমিশন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার জানিয়েছেন, সংলাপ থেকে পাওয়া গঠনমূলক পরামর্শগুলো বাস্তবায়নের চেষ্টা করা হবে।

রমজানের আগে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের পরিকল্পনা করছে নির্বাচন কমিশন। এ লক্ষ্যে ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে তফসিল ঘোষণা করার কথা রয়েছে।


banner close