অতিরিক্ত গতির কারণে নয়, টায়ার ফেটে ঘটে মাদারীপুরের শিবচরের কুতুবপুর এলাকায় ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের বাস দুর্ঘটনাটি। এ তথ্য জানায় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক শামসুল হক। রোববার বুয়েট কাউন্সিল ভবনে এক অনুষ্ঠানে ওই দুর্ঘটনার বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদন তুলে ধরে অধ্যাপক শামসুল হক এ তথ্য জানান।
গত ১৯ মার্চ সকাল ৭টা ৩৮ মিনিটে মাদারীপুরের শিবচরের কুতুবপুর এলাকায় ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যাত্রীবাহী বাসটি কালভার্টের দেয়ালে ধাক্কা খায়। বাসটি খুলনা থেকে ঢাকা যাচ্ছিল। দুর্ঘটনায় বাসের ১৯ যাত্রী নিহত হয়। এর মধ্যে ঘটনাস্থলেই মারা যায় ১৪ জন। এ দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে চালকের গতি, আবহাওয়াসহ নানা কারণ প্রাথমিকভাবে বলা হলেও এ দুর্ঘটনা নিয়ে বুয়েটের দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউটের গবেষক দল খুঁজে পান নতুন কারণ।
দুর্ঘটনার কারণ উল্লেখ করে শামসুল হক বলেন, ‘আমরা দুর্ঘটনার স্থানটি নিবিড়ভাবে পরিদর্শন করেছি। সেখানে রাস্তার উপরে টায়ারের কোনো স্কিড মার্ক ছিল না। ফলে এ থেকে স্পষ্ট যে, দুর্ঘটনাটি হঠাৎ করেই হয়েছিল, যা টায়ার ফাটার কারণে হতে পারে। গাড়ির ব্রেকের ত্রুটির কারণে এ দুর্ঘটনা হয়নি। চালকের ডিউটি রোস্টার অনুযায়ী চালকের যথেষ্ট বিশ্রাম নেয়ার সুযোগ ছিল। তাই চালকের ক্লান্তি এ দুর্ঘটনার সম্ভাব্য কারণ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে না। স্পিড ট্র্যাকিংয়ের তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে বলা যায় যে, চালক অতিরিক্ত গতিতে গাড়ি চালায়নি। এমতাবস্থায় টায়ার ফেটে যাওয়া দুর্ঘটনার সবচেয়ে যুক্তিযুক্ত কারণ হিসেবে ধারণা করা হচ্ছে।’
অধ্যাপক শামসুল হক আরও বলেন, ইমাদ পরিবহনের স্পিড ডেটা বিশ্লেষণ করে জানা গেছে, চালক রাস্তার সঙ্গে সংগতি রেখেই গাড়িটি চালাচ্ছিলেন। গাড়ি চালানোর সময় চালক অনেক বেশি মনোযোগী ছিলেন। সর্বোচ্চ গতিসীমা ৮০ কিলোমিটার হলেও দুর্ঘটনার সময় গাড়িটি ৭৯ কিলোমিটার বেগে চলছিল। এ ছাড়া ট্রিপের আগে চালক তিন দিনের ছুটিতে ছিলেন। ফলে তিনি পর্যাপ্ত বিশ্রাম পেয়েছিলেন। এমনকি খারাপ আবহাওয়ার জন্যও দুর্ঘটনা ঘটেনি।
বহু প্রাণহানির কারণ হিসেবে প্রতিবেদনে বলা হয়, বাসটি এক্সপ্রেসওয়ের কালভার্টের আগে পথচ্যুত হয়। শেষ পর্যন্ত কালভার্টের কংক্রিট উইং দেয়ালের অন্য প্রান্তে ধাক্কা খায়। ফলে বাসের সামনে থাকা চালক, হেলপার, সুপারভাইজার ও সিটের সঙ্গে যাত্রীদের সামনে পর্যাপ্ত ফাঁকা জায়গা না থাকায় সঙ্গে সঙ্গেই মারা যায়। তবে বহু প্রাণহানির অন্যতম কারণ হলো, ওই স্থানে কোনো নিরাপত্তাবেষ্টনী ছিল না। যদি থাকতো তবে বাসটি রাস্তা থেকে ছিটকে পড়ত না। এতে করে প্রাণহানি কম হতো।
শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে ঢাকা-কক্সবাজার ও ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে চলবে ৪ জোড়া ‘পূজা স্পেশাল’ ট্রেন। যাত্রীদের বাড়তি চাহিদা মেটাতে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ৪ অক্টোবর পর্যন্ত ঢাকা-কক্সবাজার রুটে ৩ জোড়া এবং ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে ১ জোড়া ট্রেন চলবে।
প্রতিটি স্পেশাল ট্রেনে থাকবে ১৮টি বগি। দিনে আসন সংখ্যা ৮৩৪টি, আর রাতে ৭৮৯টি। ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে নিয়মিত সুবর্ণ, সোনার বাংলা ও কক্সবাজার এক্সপ্রেসের মতোই। তবে যাত্রীদের এসি সিটে ৩০ শতাংশ এবং নন-এসি সিটে ২০ শতাংশ অতিরিক্ত ভাড়া দিতে হবে।
রেলওয়ে কর্মকর্তারা জানায়, ৩০ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম-ঢাকা রুটে স্পেশাল ট্রেন দুপুর ২টা ৪৫ মিনিটে ছেড়ে রাত ৮টায় ঢাকায় পৌঁছাবে। একই দিন রাতে কমলাপুর থেকে কক্সবাজারগামী ‘ট্যুরিস্ট স্পেশাল-১০০২’ ছাড়বে রাত সাড়ে ১০টায়। ১ অক্টোবর কক্সবাজার থেকে ঢাকাগামী ‘ট্যুরিস্ট স্পেশাল-১০০১’ সকাল সাড়ে ১১টায় ছেড়ে রাত ৮টায় পৌঁছাবে। ওই দিন রাতেও ঢাকা থেকে কক্সবাজারে চলবে ‘ট্যুরিস্ট স্পেশাল-১০০২’।
আবার ৩ অক্টোবর বেলা সাড়ে ১১টায় কক্সবাজার থেকে ছেড়ে আসবে ‘ট্যুরিস্ট স্পেশাল-১০০১’ এবং রাতে ঢাকা থেকে কক্সবাজারে যাবে ‘ট্যুরিস্ট স্পেশাল-১০০২’। এরপর ৪ অক্টোবর বেলা সাড়ে ১১টায় কক্সবাজার থেকে ঢাকায় আসবে ‘ট্যুরিস্ট স্পেশাল-১০০১’। একই দিন রাতে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী ‘চট্টগ্রাম স্পেশাল’ ছেড়ে যাবে রাত সাড়ে ১০টায় এবং ভোর সাড়ে ৪টায় পৌঁছাবে চট্টগ্রামে।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের ডেপুটি চিফ অপারেটিং সুপারিন্টেনডেন্ট তারেক মুহাম্মদ ইমরান জানান, অতিরিক্ত যাত্রী চাহিদা সামলাতে বিশেষ ট্রেন চালানো হচ্ছে। যাত্রীদের নিরাপদ ও স্বাচ্ছন্দ্যময় ভ্রমণ নিশ্চিত করতে সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
বিদ্যুৎ উৎপাদনের চুড়ান্ত ধাপে রয়েছে রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র। দীর্ঘ এক দশক ধরে রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত পরমাণু সংস্থা রোসাটমের তত্ত্বাবধানে অবকাঠামো নির্মাণ শেষে এখন চলছে পরমাণু জ্বালানি ইউরেনিয়াম লোডের প্রস্তুতি। তবে চূড়ান্ত এই পর্যায়ে একের পর এক নেতিবাচক খবরে প্রকল্পটি নিয়ে বাড়ছে উদ্বেগ, প্রকল্প এলাকার আশেপাশে জনমনে দেখা দিয়েছে আতঙ্ক। প্রকল্পের নিরাপত্তা ও আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার (আইএইএ) প্রতিবেদনের ব্যাখ্যা পরিকল্পিতভাবে বিকৃত করে উপস্থাপন করে আতঙ্ক ছড়ানো হচ্ছে বলে দাবি রূপপুর প্রকল্প কর্তৃপক্ষের। আইএইএর অনুমোদন ছাড়া, নিরাপত্তার শর্ত পূরণ না করে যেনতেনভাবে উৎপাদনে যাওয়ার কোনোই সুযোগ নেই বলেও জানিয়েছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।
এখানে উল্লেখ করা প্রাসঙ্গিক যে, আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থা (আইএইএ) কোনো নির্দিষ্ট পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র সম্পর্কিত Pre-OSART ev OSART মিশনের গোপনীয় প্রতিবেদন প্রদান করে না। সংস্থাটি কোন মিশনের প্রতিবেদন চূড়ান্তকরণের পর তা সর্বসাধারণের জন্য প্রকাশ করে থাকে। পারমাণবিক ক্ষেত্রে বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতার কেন্দ্রীয় ইন্টার-গভ:মেন্টাল ফোরাম হিসেবে আইএইএ-এর আইনগত লক্ষ্য হলো ‘বিশ্বব্যাপী শান্তি, স্বাস্থ্য ও সমৃদ্ধির জন্য পারমাণবিক শক্তির অবদানকে ত্বরান্বিত ও বিস্তৃত করা।’ একইসঙ্গে এর সামরিক ব্যবহার প্রতিরোধ নিশ্চিত করা। সদস্য রাষ্ট্রসমূহের সমতা বৃদ্ধির উদ্দেশে সংস্থাটি আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের দ্বারা প্রদত্ত নানাবিধ পরামর্শমূলক ও পিয়ার রিভিউ (Peer Review) সেবা প্রদান করে, যা জাতীয় পর্যায়ে পারমাণবিক অবকাঠামো ও নিরাপত্তা অনুশীলনকে প্রতিষ্ঠিত ও সুদৃঢ় করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, আইএইএ এর একটি বিশেষজ্ঞ দল গত ১০ থেকে ২৭ আগস্ট রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রে প্রি-ওসার্ট মিশন পরিচালনা করে। এরপর সংস্থাটি নিজেদের ওয়েবসাইটে প্রেসনোট প্রকাশ করে তাদের সফর ও পর্যবেক্ষণ সম্পর্কে ধারণা দেয়। সেখানে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি বিষয় নিয়ে সতর্কবার্তা ও নির্দেশনা জানানো হয়েছে। এ প্রতিনিধি দল তিনমাসের মধ্যে রূপপুর প্রকল্প নিয়ে পর্যবেক্ষণের চুড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করবে। প্রতিবেদনের সুপারিশ ও শর্তসমূহ পূরণের পরই অনুমোদন প্রাপ্তি সাপেক্ষে পরমাণু চুল্লীতে জ্বালানি লোডিং সম্ভব হবে। এর আগে কোনভাবেই বিদ্যুৎকেন্দ্র চালুর সুযোগ নেই। ফলে, চলতি বছরের ডিসেম্বরে প্রকল্পের প্রথম ইউনিটে পরীক্ষামূলক বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরুর কথা থাকলেও তা হচ্ছে না।
এদিকে, আইএইএর গোপন প্রতিবেদনের সূত্র উল্লেখ করে ‘নিরাপত্তা নিশ্চিত না করেই তড়িঘড়ি করে বিদ্যুৎকেন্দ্র চালুর চেষ্টা এবং এর প্রেক্ষিতে ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ের আশংকা প্রকাশ করে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারণায় প্রকল্প এলাকায় আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। তবে সাম্প্রতিক প্রচারণাকে অপপ্রচার ও ভুল তথ্য সংবলিত জানিয়ে রূপপুর প্রকল্পকে প্রশ্নবিদ্ধ করার পরিকল্পিত চক্রান্ত বলে দাবি করেছেন প্রকল্প কর্মকর্তারা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সম্প্রতি আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার (আইএইএ) প্রি-অপারেশনাল সেফটি রিভিউ টিম (প্রি-ওসার্ট) বেশ কিছু অসঙ্গতি তুলে ধরে নানা সুপারিশ ও পরামর্শ সংবলিত একটি প্রতিবেদন বাংলাদেশকে দিয়েছে। বাংলাদেশের মতামত পাওয়ার তিন মাস পর চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেবে আইএইএ। এরপর চূড়ান্ত ওসার্ট মিশন পাঠাবে আন্তর্জাতিক সংস্থাটি। সবকিছু ঠিক থাকলে কেন্দ্রটি তখন পারমাণবিক জ্বালানি লোডিংয়ের জন্য প্রস্তুত হবে। পুরো প্রক্রিয়া এ বছরে শেষ করা সম্ভব নয় বলে মনে করছেন একাধিক কর্মকর্তা। তাতে বিদ্যুৎকেন্দ্রটির উৎপাদনে যাওয়া আবারো পিছিয়ে যাচ্ছে এটি নিশ্চিতভাবেই বলা যায়।
যা নিয়ে সংশয়
পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য জরুরি পরীক্ষাগুলোকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়। এক. নন নিউক্লিয়ার টেস্ট, যেটি করা হয় ফুয়েল লোডিংয়ের আগে এবং দুই. নিউক্লিয়ার টেস্ট, যা করা হয় ফুয়েল লোডিংয়ের পরে। রূপপুরে প্রায় ১ হাজার ৭০০টি নন নিউক্লিয়ার টেস্ট করা দরকার। করা হয়েছে ৭৫০টির মতো। প্রকল্পটিতে কারিগরি সমাধান বা বিকল্প উপায়ের নামে এ পর্যন্ত প্রায় তিন হাজার ‘টেকনিক্যাল সলিউশন’ দেওয়া হয়েছে, যা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।
পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের সার্কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষার জন্য প্রায় ২৪.৫ মেগাপ্যাসকেল চাপে হাইড্রোস্ট্যাটিক টেস্ট করা হয়। পরীক্ষার আগে সার্কিটের সব যন্ত্রাংশ সঠিকভাবে স্থাপন বাধ্যতামূলক। রূপপুরে সেইফটি ভাল্ব না বসিয়েই পরীক্ষা করার অভিযোগ রয়েছে।
বিদ্যুৎকেন্দ্রে তেজস্ক্রীয় বিকিরণ প্রতিরোধক তার ব্যবহার করার কথা থাকলেও অনেক ক্ষেত্রে তা করা হয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বলেন, ‘প্রকল্পের মূল ডিজাইনে বৈদ্যুতিক তারের একটি নির্দিষ্ট মান ঠিক করা থাকে। নিয়ম অনুযায়ী সেটিই দিতে হবে। কোনো কারণে না পাওয়া গেলে ডিজাইনারকে জানাতে হবে। রূপপুর প্রকল্পে অনেক ক্ষেত্রেই তা মানা হচ্ছে না।’ ‘রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রের মেয়াদ অন্তত ৬০ বছর। এটা বিবেচনা করেই যন্ত্রপাতি ও উপকরণ স্থাপন করতে হবে যাতে কোনো সমস্যা তৈরি না হয়। রূপপুরের সরঞ্জাম ও উপকরণাদি বিশেষভাবে তৈরি। কিন্তু সেখানে নকশাবহির্ভূত এমনকি স্থানীয়ভাবে তৈরি নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। কখনো দ্বিতীয় ইউনিট থেকে ধার করে প্রথম ইউনিটে বসিয়ে অস্থায়ীভাবে পরীক্ষার কাজ করা হয়েছে। সমস্যা সবচেয়ে বেশি রয়েছে বৈদ্যুতিক কেবল, ভাল্ব, পাম্প এবং কন্ট্রোল সিস্টেমের ক্ষেত্রে, যা কেন্দ্রের নিরাপত্তা নিশ্চিতে বড় ভূমিকা রাখে। প্রকল্পটিতে জরুরি অবস্থায় ১০.৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার ডিজেল জেনারেটর ব্যবহার করার কথা, কিন্তু মূল ডিজাইনের বাইরে গিয়ে অস্থায়ীভাবে স্থানীয় বৈদ্যুতিক তার ব্যবহার করা হয়েছে। মেকানিক্যাল ড্রাফট কুলিং টাওয়ারের ফ্যানগুলোতেও ব্যবহার করা হয়েছে এসব বৈদ্যুতিক তার। এগুলোর মান ও স্থায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
এসব বিষয়ে আপত্তি দিয়েছে আইএইএর পর্যবেক্ষক দল। তাদের চুড়ান্ত পর্যবেক্ষণের আগে এসব ত্রুটি দূর করতে বলা হয়েছে। প্রাথমিক জ্বালানি লোডিংয়ের আগে গত মাস পর্যন্ত ১২টি টেকনিক্যাল সমাধান পর্যালোচনাধীন ছিল। যে সেফটি সিস্টেমগুলো চালু হওয়ার কথা, সেগুলোর পরীক্ষাও করা হয়নি। অনেক গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা এখনো বাকি। এছাড়া প্রকল্পের অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থা, কাজের ধারাবাহিকতা না রাখা, নির্মাণকাজে অসঙ্গতি ও ইমারজেন্সি রেসপন্সসহ গুরুত্বপূর্ণ অনেক বিষয়ে দুর্বলতার কথা প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে আইএইএ।
প্রকল্প কর্তৃপক্ষ যা বলছেন
আইএইএর সুপারিশমালা ও সতর্ক নির্দেশনাকে স্বাভাবিক বলে মন্তব্য করেছেন রূপপুর কর্তৃপক্ষ। তারা বলেন, আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা কোনো নির্দিষ্ট পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে গোপনীয় প্রতিবেদন দেয় না। সংস্থাটি কোন মিশনের প্রতিবেদন চূড়ান্তকরণের পর তা সর্বসাধারণের জন্য প্রকাশ করে থাকে। পরমাণু শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহার নিশ্চিত ও সামরিক ব্যবহার প্রতিরোধে অঙ্গীকার করা সদস্য রাষ্ট্রসমূহের সমতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে সংস্থাটি আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের দ্বারা পরামর্শমূলক সেবা প্রদান করে। সে ধারাবাহিকতায় আইএইএ রূপপুর প্রকল্পের যে ১৭টি বিষয় চিহ্নিত করে পর্যবেক্ষণ সুপারিশ দিয়েছে তা প্রকল্পের আন্তর্জাতিক মান অর্জনের একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। এই কঠোর সুপারিশমালা বাস্তবায়নের নির্দেশনাই প্রমাণ করে নিরাপত্তায় বিন্দুমাত্র ত্রুটি রেখে প্রকল্প চালুর সুযোগ নেই।
নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেডের (এনপিসিবিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সাবেক প্রকল্প পরিচালক ড. মো. জাহেদুল হাছান বলেন, রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্র যাতে শতভাগ নিরাপদ হয়, সেজন্য পরামর্শ নিতেই আইএইএ’র প্রতিনিধিদলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। পরামর্শ মোতাবেক যথাযথ নিরাপত্তা নিশ্চিত হলে এবং কমিশনের অনুমোদন পেলে জ্বালানি লোড করা হবে। তার আগে এ কেন্দ্র পরিচালনা করা হবে না। প্রি-ওসার্ট মিশনের পর ফাইনাল ওসার্ট মিশন হবে। সুতরাং প্রি-ওসার্ট মিশনের পর্যবেক্ষণ নিয়ে উদ্বেগের কিছু নেই।’
তিনি আরও বলেন ‘বেশিরভাগ গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা শেষ হয়েছে। এমন কিছু পরীক্ষা রয়েছে, যেগুলো দুই-তিন ঘণ্টা লাগে। ফলে দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই। আর প্রি-ওসার্ট মিশনের পর্যবেণগুলো পর্যায়ক্রমে সমাধান করা হবে। তাছাড়া অন্য দেশের প্রি-ওসার্ট মিশনের প্রতিবেদনের চেয়ে বাংলাদেশের জন্য যে প্রতিবেদন আইএইএ দিয়েছে, তা অনেক ভালো’ বলে যোগ করেন তিনি।
শুভমহালয়া আজ রোববার। বাঙালি হিন্দুদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গোৎসব শুরুর প্রাক্কালে চণ্ডীপাঠের মাধ্যমে মর্ত্যলোকে আমন্ত্রণ জানানো হবে দুর্গতিনাশিনী দেবী দুর্গাকে। মহালয়া দুর্গোৎসবের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এদিন থেকে দেবীপক্ষের শুরু। দেবীর আরাধনা সূচিত হয় মহালয়া উদযাপনের মাধ্যমে। আজ থেকেই দুর্গাপূজার ক্ষণগণনাও শুরু।
হিন্দু ধর্মমতে, মহালয়ায় দেব-দেবীকুল দুর্গাপূজার জন্য নিজেদের জাগ্রত করেন। এদিন অতিপ্রত্যুষে মন্দিরে মন্দিরে চণ্ডীপাঠের মধ্যদিয়ে দেবীকে আবাহন করা হয়। ভক্তরা গঙ্গাতীরে তাদের মৃত আত্মীয়-পরিজন ও পূর্বপুরুষদের আত্মার সদগতি প্রার্থনা করে তর্পণ করেন।
মহালয়ার সাত দিন পর আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর ষষ্ঠীপূজার মধ্য দিয়ে দুর্গোৎসবের আনুষ্ঠানিক সূচনা ঘটবে। মূলত আজ থেকেই কানে অনুরণিত হবে দেবী দুর্গার আগমনধ্বনি। সনাতন বিশ্বাস ও পঞ্জিকামতে, এবার জগতের মঙ্গল কামনায় দেবী দুর্গা গজে (হাতি) চড়ে স্বর্গলোক থেকে মর্ত্যলোকে (পৃথিবী) আসবেন (আগমন); যার ফল হিসেবে বসুন্ধরা শস্যপূর্ণ হয়ে উঠবে। দেবী স্বর্গলোকে বিদায় (গমন) নেবেন দোলায় (পালকি) চড়ে; যার ফল হচ্ছে মড়ক। প্রাকৃতিক দুর্যোগ, রোগ ও মহামারি বাড়বে।
এ বছরের দুর্গাপূজার নির্ঘণ্ট অনুযায়ী ২৮ সেপ্টেম্বর ষষ্ঠীতে দশভুজা দেবী দুর্গার আমন্ত্রণ ও অধিবাসের মধ্য দিয়ে শুরু হবে পূজার আনুষ্ঠানিকতা। ২৯ সেপ্টেম্বর মহাসপ্তমী, ৩০ সেপ্টেম্বর মহাষ্টমী ও কুমারীপূজা এবং ১ অক্টোবর মহানবমী পূজা শেষে ২ অক্টোবর বিজয়া দশমী ও প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে পাঁচ দিনের দুর্গোৎসব।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ জানিয়েছে, সারাদেশে ৩৩ হাজার ৩৫৫টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা হবে। গত বছর পূজা হয়েছিল ৩২ হাজার ২৩৬টি মণ্ডপে। অর্থাৎ এবার ১ হাজার ১১৯টি পূজা বেড়েছে। অন্যদিকে, ঢাকায় এবার ২৫৮টি মণ্ডপে দুর্গাপূজার আয়োজন থাকছে, যা গতবার ছিল ২৫৩টি।
মহালয়া উপলক্ষে আজ রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের মন্দির ও পূজামণ্ডপগুলোতে বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানমালা আয়োজিত হবে। মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির উদ্যোগে ভোর ৬টায় ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির মেলাঙ্গনের কেন্দ্রীয় পূজামণ্ডপে মহালয়ার বিশেষ অনুষ্ঠানে চণ্ডীপাঠ ও সংগীত পরিবেশিত হবে।
এদিন ভোরে রাজধানীর বনানী মাঠে গুলশান-বনানী সার্বজনীন পূজামণ্ডপের মহালয়ার বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান আয়োজিত হবে। এছাড়া রামকৃষ্ণ মিশন ও মঠ মন্দির, মিরপুর কেন্দ্রীয় মন্দির এবং
সিদ্ধেশ্বরী পূজামণ্ডপসহ রাজধানীর বিভিন্ন মন্দির ও পূজামণ্ডপে মহালয়া উপলক্ষে চণ্ডীপাঠ, চণ্ডীপূজা, আবাহন সংগীত, ধর্মীয় আলোচনা সভা, ভক্তিমূলক গানের অনুষ্ঠান ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থান কেবল একটি আন্দোলন নয়, অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম। এই আন্দোলন গণমানুষের প্রত্যাশাকে একত্র করে জাতিকে নতুন পথের দিশা দিয়েছে। তিনি শনিবার বিকালে মুন্সীগঞ্জ লৌহজং উপজেলার পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তে অঙ্কিত গ্রাফিতি ‘জুলাই বীরত্ব ও জুলাই আত্মত্যাগ’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
এ সময় তিনি আরও বলেন, জুলাইয়ে গণঅভ্যুত্থানের চেতনা, আত্মত্যাগ ও বীরত্ব আগামী প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের চেতনা ধারণ করে তরুণরা সত্য, ন্যায়, স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের চেতনায় উজ্জীবিত হবে।
জানা গেছে, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বীরত্বগাঁথা ধরে রাখতে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় দেশের গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো পদ্মা সেতুর দুই প্রান্তে এই চিত্রকর্ম করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
তিনি আরও বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থান ও তারুণ্যের উৎসব ২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে পদ্মা সেতুর উভয় প্রান্তের ম্যুরালে ইতিহাসভিত্তিক এই গ্রাফিতি অঙ্কন করা হয়েছে। এটি কেবল একটি উদ্বোধনী অনুষ্ঠান নয়, বরং ইতিহাসকে নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেওয়ার এক অনন্য প্রয়াস। জুলাই বীরত্ব ও জুলাই আত্মত্যাগ নামের এই গ্রাফিতি আমাদের মনে করিয়ে দেবে স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের জন্য তরুণ সমাজের আত্মত্যাগের কথা।’
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, রেল মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফাহিমুল ইসলাম, সেতু বিভাগের সচিব মোহাম্মদ আব্দুর রউফ, মুন্সীগঞ্জের জেলা প্রশাসক ফাতেমা তুল জান্নাত, শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক তাহাসিনা বেগম, মুন্সীগঞ্জের পুলিশ সুপার মুহম্মদ শামসুল আলম সরকার, শরীয়তপুরের পুলিশ সুপার মো. নজরুল ইসলাম ও ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি রেজাউল করিম মল্লিক প্রমুখ।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) জুলাই ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানে শহীদের স্মরণে পদ্মা সেতুর মাওয়া ও জাজিরা প্রান্তে অঙ্কিত বিশেষ গ্রাফিতি “জুলাই বীরত্ব” ও “জুলাই আত্মত্যাগ” এর শুভ উদ্বোধন করেন। এ সময় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব জনাব মোঃ ফাহিমুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সেতু বিভাগের সচিব (রুটিন দায়িত্ব), মুন্সিগঞ্জ ও শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক, মুন্সিগঞ্জ ও শরীয়তপুরের পুলিশ সুপার, সেতু বিভাগ, বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ, পদ্মা সেতু সাইট অফিসের কর্মকর্তাগণ এবং ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার গণমাধ্যমকর্মীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের শুরুতেই মাননীয় উপদেষ্টা মহোদয় গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন জুলাই গণঅভ্যুত্থানে স্বৈরাচারের শৃঙ্খল থেকে জাতিকে মুক্ত করার আন্দোলনে আত্মোৎসর্গকারী সকল শহীদকে। তাঁদের রুহের মাগফিরাত কামনা এবং তাঁদের পরিবার-পরিজনের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। তিনি গণঅভ্যুত্থানে আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন।
জুলাই পুনর্জাগরণ ও তারুণ্যের উৎসব ২০২৫ উদ্যাপন উপলক্ষ্যে পদ্মা সেতুর উভয় প্রান্তের ম্যুরাল চত্বরে জুলাই বিপ্লবের বীরত্ব ও আত্মত্যাগকে মূল উপজীব্য করে ঐতিহাসিক ঘটনাকে স্মরণীয় করে রাখার উদ্দেশ্যে মাননীয় সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা জনাব মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান-এর নির্দেশনা এবং মাননীয় সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী-এর পরামর্শ অনুযায়ী গ্রাফিতি অঙ্কন করা হয়েছে। এজন্য তিনি মাননীয় সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এবং মাননীয় সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মহোদয়কে বিশেষ ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এবং সেতু বিভাগ, বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ এবং গ্রাফিতি অঙ্কন শিল্পিদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানান।
তিনি বলেন, এই প্রজন্ম ও আগামীর প্রজন্মকে জানতে হবে-জুলাইয়ের সেই গণঅভ্যুত্থান কেবল একটি আন্দোলন নয়, বরং ছিল অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম। ছাত্রজনতার নেতৃত্বে সেই আন্দোলন গণমানুষের প্রত্যাশাকে একত্রিত করে জাতিকে নতুন দিশা দিয়েছিল। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, এ ধরণের উদ্যোগ তরুণ সমাজকে অনুপ্রাণিত করবে সত্য, ন্যায়, স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের চেতনায় উজ্জীবিত হতে।
তিনি আরও বলেন যে আমাদের দায়িত্ব হবে তাঁদের এ ত্যাগকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করা এবং একইসাথে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য তাঁদের আদর্শকে ধারণ করা। শহীদদের স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ে তুলতে তিনি সকলকে আহবান জানান, যেই বাংলাদেশে থাকবে ন্যায়, সমতা ও মানবিকতার অবিচল প্রতিশ্রুতি।
চুরির অভিযোগে এক যুবককে আটক করে কুকুর দিয়ে কামড়ানোর একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের অমানবিক এমন ঘটনা ঘটেছে কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার ময়নামতি ইউনিয়নের দেবপুর এলাকায় সাকুরা স্টিল মিলে।
চুরির অভিযোগে নির্যাতিত হওয়া ওই যুবকের কুকুর লেলিয়ে দিয়ে নির্যাতনের এমন ভিডিওটি শ্রী জয় (৩২)। তিনি চান্দিনা উপজেলার মাইজখার গ্রামের শ্রী বিষ্ণুর ছেলে। ভিডিওতে দেখা যায়, দুটি কুকুর ওই যুবককে কামড়াচ্ছে এবং কয়েকজন ব্যক্তি লাঠি হাতে তাকে মারধর করছে। কুকুরের কামড় ও লাঠির আঘাতে অসহায় যুবক চিৎকার করতে থাকে।
স্থানীয়সূত্রে জানা যায়, সাকুরা মিলটিতে প্রায়ই চুরির ঘটনা ঘটছিল। শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) জুমার নামাজের সময় নিরাপত্তা কর্মী ও শ্রমিকরা তাকে ধরার জন্য অপেক্ষা করে। নামাজ শুরু হলে শ্রী জয় মিলের ভেতরে প্রবেশ করলে তাকে কুকুর লেলিয়ে ধরা হয় এবং পরে শারীরিক নির্যাতন চালানো হয়।
এ ঘটনায় র্যাব ও পুলিশ যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে শান্ত ইসলাম, মোহাম্মদ লিপু ও মো. সজিব নামে তিনজনকে আটক করেছে।
র্যাব-১১ সিপিসি-২ এর মেজর সাদমান ইবনে আলম জানান, ঘটনাটির তদন্ত চলছে। শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানানো হবে।
বুড়িচং থানার ওসি মোহাম্মদ আজিজুল হক বলেন, ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। পরে যৌথ অভিযানে তিনজনকে আটক করা হয়েছে।
কিছুতেই নিয়ন্ত্রণে আসছেনা নিত্যপণ্যের দাম। রাজধানীর বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের লাগামছাড়া মূল্যবৃদ্ধিতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ ক্রেতারা। বিশেষ করে নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য পরিস্থিতি হয়ে উঠেছে আরও কঠিন। গত দুই মাসে দেশি পিঁয়াজ, ডাল, ডিম, মাছ ও সবজির দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যাওয়ায় পরিবার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন অনেকেই। তবে গত দুই সপ্তাহ ধরে সবজির দাম অপরিবর্তিত থাকলেও নতুন করে বেড়েছে মাছের দাম।
এদিকে আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বৃদ্ধির অজুহাতে দেশে আবারও সয়াবিন ও পাম তেলের দাম বাড়াতে চাইছে বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। ভোজ্যতেল পরিশধনকারী ও বিপণনকারীরা প্রতি লিটারে ১০ টাকা বৃদ্ধির প্রস্তাব দিয়েছে। আগামীকাল রোববার এ বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।
বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি টন সয়াবিন তেলের দাম বেড়ে ১ হাজার ২০০ ডলার ছুঁয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে সয়াবিন ও পাম তেলের দাম ১৮-২০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। তাই তারা দাম সমন্বয়ের প্রস্তাব দিয়েছে।
তবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় মনে করছে, ব্যবসায়ীদের প্রস্তাবিত দাম অনেক বেশি। সচিব মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বাজারের তুলনায় তাদের প্রস্তাব অস্বাভাবিক। আমরা বিষয়টি পর্যালোচনা করছি, এরপর ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করে সিদ্ধান্ত হবে।’
ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন সাধারণত এসব প্রস্তাব যাচাই করে থাকে।
এর আগে গত ১২ আগস্ট পাম তেলের দাম ১৯ টাকা কমিয়ে লিটারপ্রতি ১৫০ টাকা নির্ধারণ করে সরকার। তবে সয়াবিন তেলের দাম তখন অপরিবর্তিত থেকে ১৮৯ টাকা ছিল। এরও আগে এপ্রিল মাসে সয়াবিন তেলের দাম নির্ধারণ করা হয় ১৮৯ টাকা ও পাম তেল ১৬৯ টাকা।
এদিকে, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) গত ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে সয়াবিন, সানফ্লাওয়ার, পাম ও ভুট্টার তেল আমদানিতে এক শতাংশ উৎসে কর বসিয়েছে। ব্যবসায়ীদের দাবি, এ ব্যবস্থাও ভোজ্যতেলের বাজারে প্রভাব ফেলছে।
গতকাল শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, অধিকাংশ সবজির কেজি ৮০ টাকার ওপরে। তবে সর্বোচ্চ দাম বেগুনের। এক মাসের বেশি সময় ধরে গোল বেগুনের কেজি ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা। একইরকম চড়া দাম কাঁচা মরিচের। গত দুমাস ধরে ১৮০ থেকে ২০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে পণ্যটি।
বাজারে এখন প্রতি কেজি ঢেড়স ৮০, ঝিঙা ৮০, কচুরমুখী ৮০, টমেটো ১২০ টাকা, কাঁকরোল ৭০, শসা ৮০ টাকা, পেঁপে ৩০, করলা, লম্বা বেগুন, বরবটি কিনতে খরচ করতে হচ্ছে কেজিতে ৮০ থেকে ১০০ টাকা। এছাড়া পটোল ৬০, চিচিঙ্গা ৬০, পেঁয়াজ ৭৫ টাকা কেজি। তবে কলার হালি ৪০, ছোট লাউ ৫০, বড় লাউ ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আলু ২৫ থেকে ৩০ টাকা দরে কেনা যাচ্ছে। আর চায়না গাজরের দাম ২০ টাকা কমে এখন ১০০ টাকা।
মিরপুর ৬ নাম্বার কাঁচাবাজারে সবজি বিক্রেতা মো. জসিম বলেন, সবজির দাম এ মাস পর্যন্ত বেশি থাকবে। বৃষ্টি কম হলেও এখনই দাম কমবে না। শীত আসার আগে আগে দাম কমবে।
চড়া দামে অস্বস্তি জানিয়ে বেসরকারি চাকরিজীবী কামরুল হাসান বলেন, বিগত দুই/তিন মাস ধরে সবজির দাম চড়া। একটা সবজি কিনতেই ১০০ টাকা শেষ। মাছ-মাংস কেনা অনেক পরের ব্যাপার।
বাজার বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, শুধু প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা সরবরাহ ঘাটতি নয়, বাজারে ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট ও তদারকির অভাবও দায়ী। বাজার তদারকি না থাকায় অসাধু ব্যবসায়ীরা অযৌক্তিকভাবে দাম বাড়িয়ে ভোক্তাদের ওপর চাপিয়ে দিচ্ছে।
এদিকে বাজারে ইলিশসহ চিংড়ি মাছের দাম চড়া। প্রতি কেজি ইলিশের দাম ২৮০০ থেকে ৩ হাজার টাকা। এছাড়া ৭০০ গ্রাম ইলিশের দাম ১৫০০ থেকে ১৮০০ টাকা। ৪০০-৫০০ গ্রামের প্রতি কেজি ইলিশ ৮০০ থেকে ১ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দাম বেড়ে প্রতি কেজি চাষের চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকায় এবং নদীর চিংড়ি ১০০০ থেকে ১২০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। অন্য সময়ে এর দাম কেজিতে ৫০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত কম থাকে।
এছাড়া দেশি শিং মাছের দাম ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা, চাষেরটার কেজি ৪০০ থেকে সাড়ে ৪৫০ টাকা। চাষের রুই, তেলাপিয়া ও পাঙাশে দামও আগের চেয়ে ২০ থেকে ৫০ টাকা বেড়েছে। প্রতি কেজি চাষের রুই, কাতলা ৩৫০-৪২০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০-২৬০ টাকা, পাঙাশ ২০০-২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
অন্যদিকে অপরিবর্তিত রয়েছে ডিম ও মুরগীর দাম। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ১৯০ টাকায়। সোনালি জাতের মুরগির কেজি ৩১০ থেকে ৩২০ টাকা। প্রতি ডজন ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকায়।
মহাখালী বাজারের একজন মুরগি বিক্রেতা বলেন, মুরগির দাম বেশি বাড়েনি। ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে। বাজারে মূলত মুরগির চাহিদা বেশি। মাছের দাম বেড়ে যাওয়ায় মানুষ মুরগি বেশি নিচ্ছে। সে জন্য মুরগির দামও কিছুটা বেড়েছে।
রাজধানীর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ২০০২ সালে বুয়েট শিক্ষার্থী সাবেকুন নাহার সনি হত্যা মামলার আসামি মো. মুশফিক উদ্দীন টগর কারাগার থেকে বিশেষ বিবেচনায় মুক্তি পাওয়ার পর ফের অপরাধে জড়িয়ে পড়েন। এবার অস্ত্র ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে গত গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর আজিমপুর থেকে র্যাব-৩ এর হাতে গ্রেপ্তার হন তিনি।
র্যাব জানায়, টগরকে গ্রেপ্তারের সময় তার কাছ থেকে একটি রিভলবার, একটি ম্যাগাজিন, কাঠের পিস্তলের গ্রীপ, ১৫৫ রাউন্ড গুলি, শর্টগানের খালি কার্তুজ, দুটি মুখোশ ও দুটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
গতকাল শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র্যাব-৩ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল ফায়েজুল আরেফীন এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে টগর জানিয়েছে, তিনি সীমান্ত এলাকা থেকে অবৈধ অস্ত্র সংগ্রহ করে ঢাকায় এনে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে সরবরাহ করতেন। তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী অভিযান অব্যাহত থাকবে।
লে. কর্নেল আরেফীন আরও জানান, টগর সনি হত্যা মামলায় ২০০২ সালের ২৪ জুন গ্রেপ্তার হন এবং দীর্ঘ সাজাভোগের পর ২০২০ সালের ২০ আগস্ট সরকারের বিশেষ বিবেচনায় মুক্তি পান। তবে মুক্তির পর থেকেই মাদক ও অস্ত্র ব্যবসায় সক্রিয় হয়ে ওঠেন তিনি।
উদ্ধার হওয়া মুখোশের বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, অনেক ক্ষেত্রে নিজের পরিচয় গোপন রাখতে এসব মুখোশ ব্যবহার করতেন। এছাড়া অন্য কোনো কাজে ব্যবহার করতেন কি না সেটা তদন্তে জানা যাবে।
অনলাইন জুয়া, জালিয়াতি ও প্রতারণার ক্ষেত্রে অপরাধী ব্যক্তি দুই বছরের কারাদণ্ড বা ১ কোটি টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। সদ্য জারি হওয়া সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ-২০২৫ এ এই শাস্তির বিধান রয়েছে।
গতকাল শুক্রবার এক সরকারি তথ্যবিবরণীতে একথা জানানো হয়েছে।
অধ্যাদেশ অনুযায়ী, যদি কোনো ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান, কোম্পানি বা অন্য কোনো সংস্থা সাইবার স্পেসে জুয়া খেলার নিমিত্ত কোন পোর্টাল বা অ্যাপস্ বা ডিভাইস তৈরি করেন বা পরিচালনা করেন বা জুয়া খেলায় অংশগ্রহণ করেন বা খেলায় সহায়তা বা উৎসাহ প্রদান করেন বা উৎসাহ প্রদানের জন্য বিজ্ঞাপনে, অনলাইনে, ফেসবুক, গুগল, ইউটিউব, হোয়াটসঅ্যাপ, টুইটার টিকটকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অংশগ্রহণ এবং প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে প্রচার বা বিজ্ঞাপিত করেন তাহলে তা দণ্ডনীয় অপরাধ বলে গণ্য হবে।
সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ-২০২৫ এর ২০ ধারা অনুযায়ী বর্ণিত অপরাধ সংঘটনের ক্ষেত্রে অনধিক দুই বৎসর কারাদণ্ড বা অনধিক এক কোটি টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডের বিধান রয়েছে।
এছাড়া, অনলাইন জুয়া বন্ধে প্রয়োজনীয় কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য হাইকোর্ট বিভাগের নির্দেশনা রয়েছে।
তথ্যবিবরণীতে বলা হয়, জুয়া খেলায় সহায়তা বা উৎসাহ প্রদান বা উৎসাহ প্রদানের জন্য বিজ্ঞাপনে অংশগ্রহণ এবং প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রচার বা বিজ্ঞাপিত করা থেকে সংশ্লিষ্ট সবাইকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। অপরাধ দমন ও সাইবার সুরক্ষা নিশ্চিত করতে অনলাইন জুয়ার সব গেটওয়ে, অ্যাপ্লিকেশন, লিংক, ওয়েবসাইট এবং বিজ্ঞাপন জনস্বার্থে জরুরি ভিত্তিতে বন্ধ, ব্লক বা অপসারণের জন্য সংশ্লিষ্ট সব ইলেকট্রনিক, প্রিন্ট ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে অবহিত করা হচ্ছে।
ইউরোপীয় পার্লামেন্টের মানবাধিকার বিষয়ক উপকমিটির চেয়ারম্যান মৌনির সাতুরি বলেছেন, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশকে অবশ্যই অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি বলেন, এ ধরনের নির্বাচনের ফলাফলকে সবাই সম্মান করতে হবে। নির্বাচনের পর বাংলাদেশে স্থিতিশীলতার জন্য এটি অপরিহার্য শর্ত। সম্প্রতি ঢাকায় সফরকালে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা-বাসসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।
মৌনির সাতুরি বলেন, ক্ষমতা পৃথকীকরণ, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, জনপরিসর ও সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা গণতন্ত্র ও দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতার জন্য অপরিহার্য।
ফেব্রুয়ারির নির্বাচন বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং মানুষের জীবনমান উন্নয়নের জন্য রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা অপরিহার্য। তিনি আশা প্রকাশ করেন, নির্বাচনের ফল যাই হোক না কেন, ইউরোপীয় পার্লামেন্ট পরবর্তী নির্বাচিত সংসদের সঙ্গে কাজ করবে।
মৌনির সাতুরির নেতৃত্বে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের মানবাধিকারবিষয়ক উপকমিটির একটি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সফর করেন। বড় ধরনের রাজনৈতিক পরিবর্তনের আগে ইইউ অংশীদার দেশগুলোতে এ ধরনের তথ্য অনুসন্ধান মিশন পাঠানো হয়ে থাকে। প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন ইসাবেল উইসেলার-লিমা (ইপিপি, লুক্সেমবার্গ), আরকাদিউস মুলারচিক (ইসিআর, পোল্যান্ড), উরমাস পায়েত (রিনিউ ইউরোপ, এস্তোনিয়া) এবং ক্যাটারিনা ভিয়েরা (গ্রিনস/ইএফএ, নেদারল্যান্ডস)।
বাংলাদেশকে এই মুহূর্তে বেছে নেওয়ার কারণ হিসেবে সাতৌরি বলেন, দেশটি গণতান্ত্রিক উত্তরণের এক গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে রয়েছে এবং একই সঙ্গে ইইউ বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতা গভীর করার প্রক্রিয়ায় রয়েছে।
এর মধ্যে পার্টনারশিপ অ্যান্ড কো-অপারেশন অ্যাগ্রিমেন্ট (পিসিএ) আলোচনাও অন্তর্ভুক্ত।
সাতৌরি ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, ইইউ যখনই কোনো তৃতীয় দেশের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করার সিদ্ধান্ত নেয়, তখন আমরা মানবাধিকার পরিস্থিতি, আইনের শাসন এবং মৌলিক স্বাধীনতার বিষয়গুলোও পর্যালোচনা করি। কারণ এগুলো যেকোনো ইইউ চুক্তির অবিচ্ছেদ্য অংশ।
২০২৪ সালের জুলাইঅভ্যুত্থানের পর থেকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক উত্তরণের প্রসঙ্গে সাতৌরি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে, যা দৃশ্যমান প্রভাব ফেলছে। তবে তিনি বলেন, প্রক্রিয়াটি এখনও সম্পূর্ণ হয়নি।
তিনি বলেন, এ পর্যন্ত গৃহীত সংস্কারগুলো যদি ব্যাপক সমর্থন পায় এবং নির্বাচিত সংসদ সেগুলো বাস্তবায়ন করে, তাহলে সর্বোত্তম পরিবেশে এ উত্তরণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা সম্ভব হবে।
প্রতিনিধি দল ইতোমধ্যে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি, ট্রেড ইউনিয়ন, নিয়োগকর্তা, রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি এবং সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছে। শিগগিরই অন্তর্বর্তী সরকারের নেতাবৃন্দের সঙ্গে সাংবিধানিক সংস্কার নিয়ে তাদের বৈঠক করা কথা রয়েছে।
সাতৌরি বলেন, সমৃদ্ধি ও মানবাধিকার প্রতিশ্রুতির মধ্যে ভারসাম্য আনার উদ্দেশে পার্টনারশিপ অ্যান্ড কো-অপারেশন অ্যাগ্রিমেন্ট (পিসিএ) নিয়ে আলোচনা চলছে।
তিনি বলেন, এই চুক্তি অন্তর্বর্তী সরকারের পরও বহাল থাকবে এবং উভয় পক্ষকে ভবিষ্যতেও আবদ্ধ রাখবে। জনগণের উদ্বেগ ও স্বার্থ এতে যথাযথভাবে প্রতিফলিত হওয়া জরুরি।
সফরকালে সাতৌরি কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবিরও পরিদর্শন করেন। তিনি গত আট বছর ধরে এক মিলিয়নেরও বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়ার জন্য বাংলাদেশের ‘অসাধারণ প্রচেষ্টার’ প্রশংসা করেন এবং বৈশ্বিকভাবে দায়িত্ব ভাগাভাগির আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গা সংকটে ইউরোপীয় ইউনিয়ন তার আর্থিক সহায়তার মাত্রা বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তবে বাংলাদেশকে একা এ বোঝা বহন করতে দেওয়া যায় না।
তিনি আন্তর্জাতিক সহায়তা ও মিয়ানমারে রাজনৈতিক সমাধানের মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
সাতৌরি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিতব্য উচ্চপর্যায়ের সম্মেলন সংকট সমাধানে বৈশ্বিক ঐকমত্য গড়ে তুলতে সহায়ক হবে।
ঢাকায় সফরকালে প্রতিনিধি দল বুধবার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন এবং বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে বৈঠক করেন।
ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অভ্যন্তরে নিরাপত্তার দায়িত্ব আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নকে (এপিবিএন) দেওয়া সিদ্ধান্ত দিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর। পাশাপাশি বিমান বাহিনীর টাস্ক ফোর্সের সদস্যদের ব্যারাকে ফিরে যাওয়ার বলা হয়েছে।
ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গত এক বছর ধরে দুই বাহিনীর রেষারেষি নানা আলোচনার জন্ম দেয়। আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অভিযোগ, বিমানবন্দরের ভেতর থেকে তাদের অফিস পর্যন্ত সরিয়ে দিয়েছে এভসেক।
এই বিরোধের জের শেষ পর্যন্ত ঠেকে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরে। বুধবার প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরে এক বৈঠকের পর এপিবিএনকে অতিসত্বর বিমানবন্দরের অভ্যন্তরে দায়িত্ব পালন করতে দেওয়া এবং বিমান বাহিনীর সদস্যদের দায়িত্ব শেষে বাহিনীতে ফেরত পাঠানোসহ ছয়টি সিদ্ধান্ত হয়।
বিষয়টি নিয়ে সিভিল এভিয়েশনের কোনো কর্মকর্তা মন্তব্য করতে চাননি। তবে ওই সভার বিবরণীর (মিটিং নোটস অন সিকিউরিটি অ্যান্ড পুলিশিং অ্যাট এয়ারপোর্ট) একটি অনুলিপি পাঠিয়েছেন এক কর্মকর্তা।
গণঅভ্যুত্থানে গত বছরের অগাস্টে পট-পরিবর্তনের পর আন্দোলনের অংশ হিসেবে বিমানবন্দরের নিরাপত্তায় নিয়োজিত হাজারখানেক আনসার এক রাতে দায়িত্ব ফেলে চলে যায়। তখন সেখানে নিরাপত্তা দিতে বিমান বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করার কথা জানানো হয়। একই সঙ্গে অগাস্টের পর থেকে এপিবিএন সদস্যদেরও বিমানবন্দরের ভেতরে দায়িত্ব পালন থেকে বিরত রাখা হয়।
এরপর অক্টোবরের শেষ নাগাদ বিমানবন্দরে কর্মরত এপিবিএনের পক্ষ থেকে অভিযোগ তোলা হয়, টার্মিনালের ভেতরে (এয়ারসাইডে) তাদের অফিস কক্ষটির মালামাল সরিয়ে নিয়েছে এভিয়েশন সিকিউরিটি বা এভসেক সদস্যরা।
এ নিয়ে এপিবিএনের পক্ষ থেকে বিমানবন্দর থানায় একটি জিডিও করা হয়। এ ঘটনার মধ্য দিয়ে বিমানবন্দরের নিরাপত্তায় নিয়োজিত বিমানবাহিনী নির্ভর এভসেকের সঙ্গে এপিবিএন’র দ্বন্দ্ব প্রকাশ্য আসে। ওই সময় বিমানবন্দরে বিমানবাহিনী সদস্যদের দ্বারা যাত্রী হয়রানির কয়েকটি ঘটনা সমালোচিত হয়। এভসেকের পক্ষ থেকে এপিবিএনের কর্মকর্তাদের ওই ঘটনার ভিডিওগুলো গণমাধ্যমে সরবরাহের অভিযোগ তোলা হয়। সর্বশেষ গত সপ্তাহে এপিবিএন অধিনায়কের বিরুদ্ধে একটি সভায় শিষ্ঠাচার লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে পুলিশ সদর দপ্তরে চিঠি দেন বেবিচক সদস্য (নিরাপত্তা) এয়ার কমোডর আসিফ ইকবাল। এই দুই বাহিনীর রেষারেষি নিয়ে দফায় দফায় বিভিন্ন পর্যায়ের বৈঠক ও চিঠি চালাচালির পর বিষয়টি প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর পর্যন্ত গড়ায়।
সরকার এখন দেশের বিমানবন্দরগুলোর নিরাপত্তায় এয়ার গার্ড অব বাংলাদেশ (এজিবি) নামে নতুন একটি বাহিনী গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বাহিনীর কর্মকর্তারা নতুন বাহিনী নিয়ে এর মধ্যে সভায় বসেছেন। বুধবার বেলা ৩টায় প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরে অনুষ্ঠিত ওই সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশেষ সহকারী লুৎফে সিদ্দিকী।
সভায় পুলিশের আইজিপি বাহারুল আলম, প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরের সচিব এম সাইফুল্লাহ পান্না, বেসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রণালয়ের সচিব নাসরীন জাহান, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সচিব (সংযুক্ত) মাহমুদুল হোসাইন খান, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মোস্তফা মাহমুদ সিদ্দিক, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ফয়সাল আহমেদ, বেসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব অনুপ কুমার তালুকদার, বেবিচকের সদস্য (নিরাপত্তা) এয়ার কমোডর আসিফ ইকবাল এবং শাহজালাল বিমানবন্দরের সাবেক নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলাম অংশ নেন।
সভার বিবরণীতে বলা হয়, সভার শুরুতে সভাপতি লুৎফে সিদ্দিকী প্রেক্ষাপট বর্ণনা করেন এবং বিমানবন্দরে আন্তঃসংস্থা সহযোগিতার ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের কথায় ও কাজের প্রতি পেশাদারিত্ব এবং সম্মান দেখাতে হবে।’ এরপর সেখানে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ও পুলিশিং কার্যক্রম নিয়ে পৃথক পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনা দেন এভিয়েশন সচিব ও বেবিচক চেয়ারম্যান।
সভায় উপস্থিত আইজিপি বাহারুল আলম বলেন, ‘বিমানবন্দরে পুলিশের মূল কাজ হচ্ছে অপরাধ প্রতিরোধ ও শনাক্তকরণ। আইনগতভাবে অন্য আর কোনো সংস্থা এই কাজগুলো করতে পারে না।’
সভায় ছয়টি সিদ্ধান্ত হয়। এর মধ্যে রয়েছে- বিমানবন্দরের একক কমান্ড, রেগুলেশন এবং নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিতের জন্য কার্যকর সব সংস্থা বেবিচকের একক কর্তৃত্বে কাজ করবে; এপিবিএন এবং এভসেক তাদের ওপর দায়িত্ব পালন করবে। যত দ্রুত সম্ভব এপিবিএন বিমানবন্দরের টার্মিনাল ভবনের ভেতরে কাজ শুরু করবে; আইজিপি এবং বেবিচক চেয়ারম্যান অপারেশনাল চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলায় সভা করবেন; বিমান বাহিনীর টাস্ক ফোর্স তাদের দায়িত্ব শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মাতৃ সংস্থায় ফিরে যাবে; সব বিমানবন্দরে প্রতি সপ্তাহে নিরাপত্তা সভা হতে হবে; সুদূরপ্রসারী কাঠামোগত পরিবর্তনের অংশ হিসেবে বেবিচককে অপারেটর ও রেগুলেটরের পৃথক ভূমিকায় পুনর্গঠনের বিষয়ে সুপারিশ জানাতে পারে বেসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রণালয়।
পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা মোহাম্মদ আসিফ বলেছেন, নতুন প্রতিরক্ষা চুক্তির আওতায় প্রয়োজনে সৌদি আরবকে তাদের দেশের পারমাণবিক কর্মসূচি ‘দেওয়া হতে পারে’।
দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা মোহাম্মদ আসিফের মন্তব্য পাকিস্তান ও সৌদি আরবের মধ্যে এই সপ্তাহে সই হওয়া চুক্তির গুরুত্বকে তুলে ধরে। ইতোমধ্যেই কয়েক দশক ধরে দুই দেশের সামরিক সম্পর্ক রয়েছে।
খাজা আসিফ বলেন, ‘পাকিস্তানের পারমাণবিক সক্ষমতা সম্পর্কে আমি একটি বিষয় স্পষ্ট করে বলতে চাই, আমরা যখন পরীক্ষা চালিয়েছিলাম তখন সেই সক্ষমতা অনেক আগেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। তারপর থেকে আমরা যুদ্ধক্ষেত্রের জন্য বাহিনীকে প্রশিক্ষিত করেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের যা আছে এবং আমাদের যে সক্ষমতা আছে, তা এই চুক্তি অনুসারে (সৌদি আরবকে) উপলব্ধ করা হবে।’
এর আগে গত বুধবার দুই দেশ একটি প্রতিরক্ষা চুক্তি সই করেছে। চুক্তিতে বলা হয়েছে, একটি জাতির ওপর আক্রমণ উভয় দেশের ওপর আক্রমণের সমান হবে।
অন্যান্য দেশও এই চুক্তিতে যোগ দিতে পারে কিনা, জানতে চাইলে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমি এটা বলতে পারি, অন্যদের জন্য দরজা বন্ধ নয়।’
চুক্তির অধীনে পাকিস্তানের পারমাণবিক শক্তির ব্যবহার সম্পর্কে আসিফ বলেন, ‘এই চুক্তির অধীনে আমাদের সমস্ত ক্ষমতা উপলব্ধ। তবে আমি ব্যাখ্যা করতে চাই যে, পাকিস্তান একটি পারমাণবিক রাষ্ট্র হওয়ার পর থেকে, কেউই দায়িত্বশীল পারমাণবিক শক্তি হিসেবে আমাদের অবস্থান নিয়ে সন্দেহ করেনি। পারমাণবিক পরিদর্শনের ক্ষেত্রে পাকিস্তানের সহযোগিতা তেল আবিবের আগ্রাসন থেকে আলাদা, যারা কোনো পরিদর্শনের অনুমতি দেয় না। এই চুক্তি ন্যাটোর মতো প্রতিরক্ষা সহযোগিতার জন্য একটি কাঠামো। যদি পাকিস্তান বা সৌদি আরবের বিরুদ্ধে আগ্রাসন হয়, তাহলে আমরা যৌথ প্রতিরক্ষা গ্রহণ করব।’
ইউনিভার্সাল পোস্টাল ইউনিয়নের (ইউপিইউ) প্রশাসনিক কাউন্সিল (সিএ)-এ বাংলাদেশ পুনর্নির্বাচিত হওয়ায় সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধিদলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
শুক্রবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বার্তায় এ তথ্য জানায়।
বৃহস্পতিবার দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত ইউপিইউ কাউন্সিলের নির্বাচনে বাংলাদেশ ১৫৭ ভোটের মধ্যে ৯৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়। ১০ সদস্যের মধ্যে নবম স্থান অর্জন করে দেশটি। ফলে টানা দ্বিতীয়বারের মত চার বছরের জন্য কাউন্সিলের সদস্যপদ পেল বাংলাদেশ।
এর আগের মেয়াদে বাংলাদেশ সীমিত ভূমিকা রেখেছিল। ২০২১ সালের নভেম্বরে মাত্র একটি সরাসরি বৈঠকে অংশ নেয়, বাকি কার্যক্রমে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিল। তাই উল্লেখযোগ্য অবদান রাখার সুযোগ কম ছিল।
এ কারণে আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল যে, সীমিত অংশগ্রহণ পুনর্নির্বাচনের পথে বাধা হতে পারে। তবে সমন্বিত কূটনৈতিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে বাংলাদেশ সেই চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করেছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ এ ফলাফলকে ‘কূটনৈতিক সাফল্য’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।