বুধবার, ১৪ মে ২০২৫
৩১ বৈশাখ ১৪৩২

১৩-২০তম গ্রেডে নিয়োগে থাকবে অপেক্ষমাণ তালিকা

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত : ১৮ এপ্রিল, ২০২৩ ১৮:২০

সরকারি চাকরির ১৩ থেকে ২০তম গ্রেডে কর্মচারী নিয়োগে অপেক্ষমাণ তালিকা সংরক্ষণ করার নির্দেশ দিয়েছে সরকার।

মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও এর অধীন সরকারি দপ্তর, পরিদপ্তর, অধিদপ্তর, স্বায়ত্তশাসিত ও সংবিধিবদ্ধ সংস্থা এবং বিভিন্ন করপোরেশনের চাকরিতে ১৩-২০ গ্রেডের পদে কর্মচারী নিয়োগে অপেক্ষমাণ তালিকা সংরক্ষণ করার নির্দেশ দিয়ে সোমবার পরিপত্র জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

একটি শূন্য পদের বিপরীতে দুইজনের অপেক্ষামাণ তালিকা করা হবে। এই তালিকার মেয়াদ হবে এক বছর বা শূন্য পদ পূরণের জন্য পরবর্তী নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের তারিখের আগ পর্যন্ত।

পরিপত্রে বলা হয়েছে, নিয়োগ কমিটি লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মেধা তালিকা এবং বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি অনুসরণ করে শূন্য পদে প্রার্থী সুপারিশের পাশাপাশি সুপারিশকৃত প্রতিটি পদের বিপরীতে ১:২ অনুপাতে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মধ্য হতে অপেক্ষমাণ তালিকা তৈরি করে কমিটির সদস্যদের স্বাক্ষরে সিলগালাকৃত খামে গোপনীয়তার সঙ্গে সংরক্ষণ করতে হবে।

পরিপত্রে আরও বলা হয়েছে, অপেক্ষমাণ তালিকা প্রণয়নের সময় বিভাগীয় পদোন্নতি কমিটি (ডিপিসি) শূন্য পদে নিয়োগে যে জেলার জন্য প্রার্থী সুপারিশ করবে সেই জেলার যোগ্য প্রার্থীদের মধ্য হতে প্রতিটি সুপারিশকৃত প্রার্থীর বিপরীতে ১:২ অনুপাতে অপেক্ষমাণ তালিকা প্রণয়ন করবে।

‘তবে অপেক্ষমাণ তালিকা প্রণয়নের সময় কোনো কোটার অধীন কোনো জেলার যোগ্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে সংশ্লিষ্ট প্রাক্তন বৃহত্তর জেলার অন্তর্ভুক্ত জেলাগুলোর মধ্যে যে জেলার চাকরিজীবীর সংখ্যা সর্বাপেক্ষা কম, সেই জেলার যোগ্য প্রার্থীদের মধ্য থেকে মেধাক্রমের ভিত্তিতে অপেক্ষমান তালিকা প্রণয়ন করতে হবে।’

সংশ্লিষ্ট প্রাক্তন বৃহত্তর জেলার অন্তর্ভুক্ত কোনো জেলা হতে উপরোক্তভাবে কোটার শূন্য পদ পূরণ করা সম্ভব না হলে সংশ্লিষ্ট বিভাগের জেলাগুলোর মধ্যে যে জেলার চাকরিজীবীর সংখ্যা সর্বাপেক্ষা কম, সেই জেলার যোগ্য প্রার্থীদের মধ্য থেকে মেধাক্রমের ভিত্তিতে অপেক্ষমাণ তালিকা প্রণয়ন করতে হবে।

পরিপত্রে বলা হয়েছে, অপেক্ষমাণ তালিকা সংরক্ষণের মেয়াদ হবে বিবেচ্য বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে প্রথম নিয়োগের সুপারিশ প্রদানের তারিখ হতে এক বছর বা শূন্য পদ পূরণের জন্য পরবর্তী নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের তারিখ যেটি আগে ঘটে।

নিয়োগের জন্য সুপারিশকৃত প্রার্থীদের মধ্যে কেউ চাকরিতে যোগদান না করলে বা চাকরিতে যোগদানের পর চাকরি থেকে ইস্তফা দিলে শূন্য পদ পূরণের প্রয়োজন হলে সংশ্লিষ্ট ডিপিসির সভায় অপেক্ষমাণ তালিকা এবং উত্তীর্ণ প্রার্থীদের রেজাল্ট শিট উপস্থাপন করে শূন্য পদে নিয়োগের জন্য প্রার্থী সুপারিশ করতে হবে। পাশাপাশি কমিটির উপস্থিতিতে অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে সুপারিশকৃত প্রার্থীকে তার নিয়োগের বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে অবহিত করতে হবে।

ডিপিসি কর্তৃক অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে সুপারিশকৃত প্রার্থীদের রোল নম্বরের তালিকা সংশ্লিষ্ট দপ্তরের নোটিশ বোর্ড ও ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে এবং সদস্য সচিব কর্তৃক প্রার্থীকে মোবাইল ফোনের মেসেজের মাধ্যমে অবহিত করতে হবে বলে পরিপত্রে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে সুপারিশপ্রাপ্ত প্রার্থীদের জ্যেষ্ঠতা প্রথম নিয়োগপ্রাপ্ত প্রার্থীদের পরে নির্ধারিত হবে জানিয়ে পরিপত্রে বলা হয়েছে, ডিপিসি অপেক্ষমাণ তালিকার কোনো প্রার্থীকে চাকরিতে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করলে তার জ্যেষ্ঠতা ওই পদে যোগদানের তারিখ থেকে নির্ধারিত হবে। অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে দুই বা ততোধিক প্রার্থী যদি একই দিনে একই পদে যোগদান করেন সেক্ষেত্রে তাদের পারস্পরিক জ্যেষ্ঠতা পূর্বে প্রস্তুতকৃত রেজাল্টের মেধাক্রম অনুসারে নির্ধারিত হবে। তবে একই নম্বর প্রাপ্তির ক্ষেত্রে বয়সের ভিত্তিতে জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণ করা হবে এবং বয়স একই হলে নির্ধারিত শিক্ষাগত যোগ্যতা অর্জনের শিক্ষাবর্ষের ভিত্তিতে জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণ করা হবে।

যে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে অপেক্ষমাণ তালিকা প্রস্তুত করা হবে, ডিপিসি কর্তৃক সেই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির বাইরে অন্য কোনো বিজ্ঞাপনের শূন্য পদ বা অন্য কোনোভাবে পদ শূন্য হলে উক্ত শূন্য পদ পূরণের জন্য অপেক্ষমাণ তালিকার কোনো প্রার্থীকে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা যাবে না বলেও পরিপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।


চট্টগ্রাম বন্দর পরিদর্শন করলেন প্রধান উপদেষ্টা

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আজ সকালে চট্টগ্রাম বন্দর পরিদর্শন করেছেন। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আজ সকালে চট্টগ্রাম বন্দর পরিদর্শন করেছেন।

এর আগে তিনি আজ সকালে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে চট্টগ্রাম পৌঁছান। চট্টগ্রাম বন্দর পরিদর্শনের পাশাপাশি তিনি আজ সারাদিন বেশ কয়েকটি কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করবেন।


ঢাবি ছাত্র সাম্য হত্যার ঘটনায় আটক ৩

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
unb

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্র শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যার সঙ্গে জড়িত তিনজনকে আটক করেছে শাহবাগ থানা পুলিশ।

বুধবার (১৪ মে) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া ও পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।

এ বিষয়ে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালেদ মনসুর ইউএনবিকে জানান, ঘটনার পরপরই শাহবাগ থানার বেশ কয়েকটি টিম দুর্বৃত্তদের আটকের জন্য বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। পরে শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে ওই তিনজনকে আটক করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে ওই তিনজন সাম্য হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সরাসরি জড়িত। তবে তদন্তের স্বার্থে অভিযুক্তদের নাম প্রকাশ করেননি ওসি। এ ছাড়া, পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি।

গতকাল (মঙ্গলবার) দিবাগত রাতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্ত মঞ্চের পাশে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে নিহত হন সাম্য।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে মোটরসাইকেল চালিয়ে ঢাবি সংলগ্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্ত মঞ্চের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন সাম্য। এ সময় অন্য একটি বাইকের সঙ্গে ধাক্কা লাগলে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি এবং ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি শাহরিয়ারকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান।

পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।


আ. লীগ নিষিদ্ধ: মুক্ত ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে সমর্থন করে যুক্তরাষ্ট্র

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
unb

বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের ব্যাপারটি যুক্তরাষ্ট্র অবগত বলে জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের উপপ্রধান মুখপাত্র থমাস টমি পিগোট। সব দেশে মুক্ত ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া এবং স্বচ্ছ ও ন্যায়সঙ্গত আইনি প্রক্রিয়াকে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থন করে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১৩ মে) ওয়াশিংটন ডিসিতে নিয়মিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মতামত জানতে চাইলে তিনি এসব কথা বলেন।

পিগোট বলেন, ‘বিশেষ ট্রাইব্যুনালে নেতাকর্মী ও দলের বিচারকাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগের সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করেছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। এ বিষয়ে আমরা অবগত রয়েছি।’

বাংলাদেশে কোনো একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলকে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থন করেনা বলেও জানান তিনি।

পিগোট আরও বলেন, বাংলাদেশসহ সব দেশকে আমরা মত প্রকাশের স্বাধীনতা, শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ও সংগঠনের স্বাধীনতা রক্ষার আহ্বান জানাই।

ভিন্ন আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে ৫০ বছরেরও বেশি সময়ের অংশীদারত্বকে গুরুত্ব দেই। এই অংশীদারত্ব আরও গভীর করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে কাজ করতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

এদিকে, মঙ্গলবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, জাতীয় নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা, জুলাই আন্দোলনের কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বাদী ও সাক্ষীদের নিরাপত্তার স্বার্থে এ নিষেধাজ্ঞা অপরিহার্য।

তিনি ইউএনবিকে বলেন, ‘আমরা দেখেছি কীভাবে আওয়ামী লীগ বিগত ১৫ বছরে দেশের গণতান্ত্রিক কাঠামোকে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করেছে, রাজনৈতিক পরিসরকে সংকুচিত করেছে এবং দেশের সার্বভৌমত্বকে হুমকির মুখে ফেলেছে।’

আওয়ামী লীগের সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের সৃষ্ট ক্ষত এখনো তাজা বলে মন্তব্য করেছেন শফিকুল আলম।


প্রধান উপদেষ্টা চট্টগ্রামে পৌঁছেছেন

প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথমবারের মত আজ সকালে নিজ জেলা চট্টগ্রামে পৌঁছেছেন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথমবারের মত আজ সকালে নিজ জেলা চট্টগ্রামে পৌঁছেছেন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটটি আজ সকাল ৯টা ২২ মিনিটে শাহ্ আমানত বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

প্রধান উপদেষ্টা আজ সারাদিন বেশ কয়েকটি কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করবেন।

প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বাসসকে জানান, প্রধান উপদেষ্টা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) পঞ্চম সমাবর্তনে প্রধান অতিথি হিসাবে যোগদান করবেন। পাশাপাশি তার পৈতৃক বাড়ি হাটহাজারী উপজেলার শিকারপুর ইউনিয়নের বাথুয়া গ্রামও পরিদর্শন করবেন।

এছাড়া প্রধান উপদেষ্টা বন্দর পরিদর্শন করবেন এবং বন্দরের অভ্যন্তরে এনসিটি-৫ প্রাঙ্গণে একটি সভায় অংশ নেবেন। এরপর তিনি বন্দর ও জাহাজ চলাচল খাতের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বন্দর ব্যবহারকারী বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধি ও বাণিজ্য সংস্থার নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। সেখান থেকে যাবেন চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে। সেখানে কর্ণফুলী নদীর ওপর কালুরঘাট সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর উন্মোচন করবেন। যা চট্টগ্রামের বোয়ালখালী ও পটিয়া উপজেলার একটি অংশসহ কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ তীরের বিশাল জনগোষ্ঠীর বহুল প্রতীক্ষিত সেতু।

আজাদ মজুমদার আরো জানান, প্রধান উপদেষ্টাকে চট্টগ্রাম নগরীর জলাবদ্ধতা এবং নগরীর অক্সিজেন মোড় থেকে হাটহাজারী সড়কের যানজট পরিস্থিতির বিষয়ে বিফ্র করবেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

এছাড়া প্রধান উপদেষ্টা চট্টগ্রাম ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের জমির কাগজপত্র কর্তৃপক্ষের হাতে হস্তান্তর করবেন।


জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ভেঙে কেন দুই ভাগ করা হচ্ছে, ব্যাখ্যা দিলো সরকার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাজস্ব খাতে বড় ধরনের কাঠামোগত সংস্কার ঘোষণা করেছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বিলুপ্ত করে এর পরিবর্তে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীনে দুটি স্বতন্ত্র সংস্থা গঠন করা হচ্ছে—রাজস্ব নীতি বিভাগ এবং রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগ।

এই সিদ্ধান্তের লক্ষ্য হলো রাজস্ব নীতি নির্ধারণ এবং প্রশাসনের কাজ পৃথক করা, যাতে দক্ষতা বাড়ানো যায়, স্বার্থের সংঘাত কমানো যায় এবং দেশের করভিত্তি সম্প্রসারিত করা যায়।

মঙ্গলবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে।

ব্যাখ্যায় বলা হয়, প্রায় পঞ্চাশ বছর আগে প্রতিষ্ঠিত এনবিআর ধারাবাহিকভাবে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। বাংলাদেশের কর-জিডিপি অনুপাত প্রায় ৭.৪ শতাংশ, যা এশিয়ার মধ্যে সর্বনিম্ন। তুলনামূলকভাবে, বৈশ্বিক গড় ১৬.৬ শতাংশ এবং মালয়েশিয়ায় এটি ১১.৬ শতাংশ। জনগণের উন্নয়ন আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে হলে বাংলাদেশের কর-জিডিপি অনুপাত অন্তত ১০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়াতে হবে।

এই লক্ষ্য অর্জনে এনবিআরের কাঠামোগত সংস্কার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ক্রমবর্ধমানভাবে এ বিষয়ে ঐক্যমত গড়ে উঠেছে যে একটি প্রতিষ্ঠানকে কর নীতি প্রণয়ন এবং বাস্তবায়নের উভয় দায়িত্ব দেওয়া উচিত নয়—এ ধরনের ব্যবস্থা স্বার্থের সংঘাত তৈরি করে এবং অদক্ষতা বাড়ায়। বহু বছর ধরে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে আসছেন যে, রাজস্ব আদায়কে অগ্রাধিকার দিয়ে নীতি নির্ধারণ করা হয়েছে, যেখানে ন্যায্যতা, প্রবৃদ্ধি এবং দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা উপেক্ষিত হয়েছে।

এনবিআরের দীর্ঘদিনের কিছু সমস্যার মধ্যে রয়েছে:

স্বার্থের সংঘাত:
একই প্রতিষ্ঠান নীতি প্রণয়ন এবং বাস্তবায়নের ফলে কর নীতিতে দুর্বলতা ও ব্যাপক অনিয়ম দেখা দিয়েছে। বর্তমানে কর সংগ্রহের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের জবাবদিহির কোনো কাঠামো নেই এবং তারা প্রায়ই কর ফাঁকিবাজদের কাছ থেকে সুবিধা নিয়ে জনস্বার্থকে ক্ষতিগ্রস্ত করে থাকেন। অনেক ক্ষেত্রে কর আদায়কারীরা ফাঁকিবাজদের সহায়তা করেন ব্যক্তিগত স্বার্থে।

কর আহরণকারীর কার্যকারিতা মূল্যায়নের জন্য কোনো নিরপেক্ষ পদ্ধতি নেই এবং তাদের পদোন্নতি নির্ভর করে না নির্দিষ্ট কর্মক্ষমতা নির্দেশকের ওপর।

অদক্ষ রাজস্ব সংগ্রহ:
দ্বৈত দায়িত্ব পালনের কারণে নীতিনির্ধারণ এবং প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা গঠনে মনোযোগ বিভক্ত হয়েছে। এর ফলে করের আওতা সংকুচিত থেকেছে এবং রাজস্ব সংগ্রহ সম্ভাবনার তুলনায় অনেক পিছিয়ে পড়েছে।

দুর্বল শাসনব্যবস্থা:
এনবিআরে আইন প্রয়োগে অসঙ্গতি, বিনিয়োগ সহায়তায় দুর্বলতা ও প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বল শাসনের ফলে বিনিয়োগকারীদের আস্থা কমেছে এবং আইনের শাসন দুর্বল হয়েছে।

প্রশাসনে দ্বৈততা:
বর্তমান কাঠামোতে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সচিব একইসঙ্গে এনবিআরেরও প্রধান হওয়ায় বিভ্রান্তি ও অদক্ষতা দেখা দিয়েছে, যা কার্যকর কর নীতির পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে বাধা সৃষ্টি করেছে।

কর্মীদের হতাশা ও অভ্যন্তরীণ উত্তেজনা:
এই সংস্কার প্রক্রিয়ায় অভিজ্ঞ কর ও শুল্ক কর্মকর্তাদের মধ্যে দুশ্চিন্তা সৃষ্টি হয়েছে, কারণ অনেকেই আশঙ্কা করছেন যে তারা উপেক্ষিত হতে পারেন।

সংস্কার কীভাবে সহায়ক হবে:
নতুন কাঠামো এই দীর্ঘস্থায়ী সমস্যাগুলো সমাধানের উদ্দেশ্যে আরও স্পষ্ট ও জবাবদিহিমূলক কাঠামো গড়ে তুলবে।

দায়িত্বের স্পষ্ট বিভাজন:
রাজস্ব নীতি বিভাগ কর আইন প্রণয়ন, করহার নির্ধারণ এবং আন্তর্জাতিক কর চুক্তি পরিচালনার দায়িত্বে থাকবে। রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগ বাস্তবায়ন, অডিট ও পরিচালন তদারকি করবে। এই বিভাজন নিশ্চিত করবে যে, কর নির্ধারণকারী কর্মকর্তারা আর কর সংগ্রহের দায়িত্বে নেই, ফলে অপব্যবহারের সুযোগ কমবে।

দক্ষতা ও শাসনব্যবস্থার উন্নয়ন:
প্রতিটি বিভাগ তার নিজস্ব কার্যক্রমে মনোযোগ দিতে পারবে, বিশেষায়িত জ্ঞান বাড়বে, স্বার্থের সংঘাত কমবে এবং প্রাতিষ্ঠানিক সততা উন্নত হবে।

করভিত্তি সম্প্রসারণ ও প্রত্যক্ষ কর জোরদার:
এই সংস্কার করের আওতা বাড়াবে, পরোক্ষ করের ওপর নির্ভরতা কমাবে এবং উপযুক্ত পদে দক্ষ পেশাজীবীদের নিয়োগের মাধ্যমে প্রত্যক্ষ কর সংগ্রহকে আরও শক্তিশালী করবে।

উন্নয়নমুখী নীতিমালা:
একটি স্বতন্ত্র নীতিনির্ধারণ ইউনিট তথ্য-নির্ভর, ভবিষ্যতমুখী কৌশল প্রণয়ন করতে পারবে, যা শুধু স্বল্পমেয়াদি রাজস্ব লক্ষ্যের ওপর ভিত্তি করে নয়।

বিনিয়োগকারীদের আস্থা বৃদ্ধি:
স্বচ্ছ, পূর্বানুমেয় নীতি এবং পেশাদার কর প্রশাসন বিনিয়োগ আকর্ষণে সহায়ক হবে এবং বেসরকারি খাতের অভিযোগ হ্রাস পাবে।

এই কাঠামোগত সংস্কার কেবল একটি প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস নয়—এটি একটি সময়োপযোগী পদক্ষেপ, যা একটি ন্যায্য, দক্ষ ও সক্ষম কর ব্যবস্থা গঠনের দিকে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। যা শক্তিশালী নীতিনির্ধারণ ও দুর্নীতিমুক্ত কর প্রশাসন বাংলাদেশের জনগণের চাহিদা পূরণ এবং স্বপ্ন বাস্তবায়নে অপরিহার্য।


সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছুরিকাঘাতে ঢাবি শিক্ষার্থী নিহত

প্রক্টর-ভিসির পদত্যাগ দাবি ছাত্রদলের
শাহরিয়ার আলম সাম্য। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ঢাবি প্রতিনিধি

রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছুরিকাঘাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। নিহত শিক্ষার্থীর নাম শাহরিয়ার আলম সাম্য। তিনি শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী এবং ছাত্রদলের সক্রিয় কর্মী ছিলেন।

মঙ্গলবার মধ্যরাতে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ঢামেক ফাঁড়ির ইনচার্জ জানান, নিহতের ডান পায়ে ধারালো অস্ত্রের আঘাত ছিল। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।

শাহরিয়ারের বন্ধুরা জানিয়েছেন, রাত সাড়ে ১২টার দিকে শাহরিয়ার ও তার দুই বন্ধু উদ্যানে বাইক চালানোর সময় আরেকটি বাইকের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে বাগ্বিতণ্ডার একপর্যায়ে অপরপক্ষের কয়েকজন যুবক শাহরিয়ারকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। তারা জানান, হামলাকারীরা ঢাবির শিক্ষার্থী নন।

ঘটনার পর প্রক্টরিয়াল টিমসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর হাসপাতালে ছুটে যান। এদিকে শাহরিয়ারের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা উপাচার্যের বাসভবন ঘেরাও করে পদত্যাগের দাবি জানান। এ সময় উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান বেরিয়ে এসে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন।

পরে উপাচার্যের নেতৃত্বে একটি মিছিল রাজু ভাস্কর্য পৌঁছলে শিক্ষার্থীরা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঢুকে যায় আর উপাচার্য চলে যান ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। উদ্যানে ঢুকে আন্দোলনকারীরা কয়েকটি দোকান ভাঙচুর করেন এবং ভবঘুরে ও মাদকাসক্তদের সেখান থেকে বের করে দেন।

উপাচার্য হাসপাতালে গেলে ছাত্রদল নেতাকর্মীরা উপাচার্যকে শাহরিয়ারের মুখ দেখতে বাধা দেন এবং তার পদত্যাগের স্লোগান দিতে থাকেন। পরে উপাচার্য বাসায় ফিরে যান। রাত তিনটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ও অন্যান্য শিক্ষকরাও হাসপাতালে উপস্থিত হন। এসময় আবার হাসপাতালে আসেন উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান।

এদিকে উপাচার্যের বাসার সামনে আয়োজিত এক বিক্ষোভে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দীন বলেন, গত ৯ মাসে ক্যাম্পাসে দুটি হত্যাকাণ্ড ঘটেছে, অথচ প্রশাসন নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ। এজন্য উপাচার্য ও প্রক্টরের পদত্যাগ দাবি করা হচ্ছে। বেলা ১১টায় তারা বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর জানান, পুলিশ দুইজনকে গ্রেফতার করেছে এবং বাকি অভিযুক্তদের আটকের চেষ্টা চলছে। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে।


পুলিশ একটি খুনী বাহিনী হতে পারে না: আইজিপি

ছবি: সংগৃহীত।
আপডেটেড ১৩ মে, ২০২৫ ২১:০৪
ইউএনবি

পুলিশকে আর কোনো প্রাণঘাতী না দিতে সরকারি সিদ্ধান্তকে সঠিক বলে মনে করেন বাহিনীর মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম।

তিনি বলেন, ‘আমরা অন প্রিন্সিপাল এটা মনে করি, পুলিশ ক্যান নট বি এ কিলার ফোর্স (পুলিশ একটি খুনে বাহিনী হতে পারে না)। আমার কাছে বড়জোড় শটগান থাকবে, এটাই একটা স্বাভাবিক প্রত্যাশা সবার।’

আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মিরপুরের পুলিশ স্টাফ কলেজের পুলিশ ক্রিকেট ক্লাব মাঠে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি এসব কথা বলেন। আইজিপি কাপ ক্রিকেট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল খেলা ও পুরস্কার বিতরণ উপলক্ষ্যে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

বাহারুল আলম বলেন, ‘স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যেটা মিন করেছে, যে অস্ত্রের গুলির ফলে নিশ্চিত মৃত্যু হয়, যেমন রাইফেল, যেগুলো থেকে বুলেট নির্গত হয়, এগুলা অ্যাভয়েড করব।’ ‘আমরা এটা নিয়ে সবার সাথে আলোচনা করে ঠিক করব,’ যোগ করেন তিনি।

এর আগে সোমবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘পুলিশের হাতে আর মারণাস্ত্র থাকবে না, জমা দিয়ে দিতে হবে।’

আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির নবম সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আমরা একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, পুলিশের হাতে যাতে আর কোনো মারণাস্ত্র না থাকে। এগুলো তাদের জমা দিয়ে দিতে হবে। কোনো মারণাস্ত্র পুলিশের হাতে থাকবে না। অস্ত্র থাকবে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সদস্যদের হাতে। তাদের কাজ অন্য পুলিশের থেকে একটু ভিন্ন।’

কবে থেকে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হবে জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, ‘আজকে কেবল মিটিংয়ে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হলো। সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে তো একটু সময় লাগে। পুলিশের কাছে রাইফেলও থাকবে না; তা নয়। তাদের কাছে রাইফেল থাকবে।’

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বখস চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটি অন্যান্য বিষয়ের সঙ্গে পুলিশকে মারণাস্ত্র না দেওয়ার সিদ্ধান্তের বিষয়টি দেখবে বলেও জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।


ঢাকা ও আশপাশের সেনা ক্যাম্পের হালনাগাদ যোগাযোগ নম্বর

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা ও আশপাশের এলাকায় জননিরাপত্তা ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা নিশ্চিত করতে নিকটস্থ সেনাবাহিনী ক্যাম্পের সঙ্গে জনসাধারণের যোগাযোগের জন্য হালনাগাদ যোগাযোগ নম্বর প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।

আজ মঙ্গলবার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় জননিরাপত্তা ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে সেনাবাহিনী ক্যাম্পের সহায়তা প্রাপ্তির লক্ষ্যে আপডেটেড নম্বরসমূহে যোগাযোগ করুনঃ
১। গাজীপুর, কোনাবাড়ী, পূবাইল, কালিয়াকৈর, জয়দেবপুর, টঙ্গি, কাপাসিয়া, কালিগঞ্জ, কাশিমপুর, শ্রীপুর, নারায়ণগঞ্জ, বন্দর, ফতুল্লা, সিদ্ধিরগঞ্জ, আড়াইহাজার, রূপগঞ্জ, সোনারগাঁও এবং গজারিয়া।
যোগাযোগের নম্বরসমূহঃ
ক। ০১৭৬৯-০৯৫১৯৮, খ। ০১৭৬৯-০৯৫২৫০, গ। ০১৭৬৯-০৯১০২০।
২। ডেমরা, ওয়ারী, রমনা, শাহবাগ, পল্টন, মতিঝিল, কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন, শাহজাহানপুর, কোতোয়ালী, বংশাল, গেন্ডারিয়া, সূত্রাপুর, যাত্রাবাড়ী, শ্যামপুর এবং কদমতলী।
যোগাযোগের নম্বরসমূহঃ
ক। ০১৭৬৯-০৯২৪২৮, খ। ০১৭৬৯-০৯৫১৯৮, গ। ০১৭৬৯-০৯৫২৫০,
ঘ। ০১৭৬৯-০৯১০২০।
৩। সাভার, আশুলিয়া, কেরানীগঞ্জ, হেমায়েতপুর, বাইপাইল, দোহার, গাজীপুর, মৌচাক এবং মানিকগঞ্জ।

যোগাযোগের নম্বরসমূহ
ক। ০১৭৬৯-০৯৫২০৯, খ। ০১৭৬৯-০৯৫১৯৮, গ। ০১৭৬৯-০৯৫২৫০,
ঘ। ০১৭৬৯-০৯১০২০।
৪। ফরিদপুর, নরসিংদী, মুন্সিগঞ্জ এবং শরীয়তপুর।
যোগাযোগের নম্বরসমূহঃ
ক। ০১৭৬৯-০৯৩৫০৯, খ। ০১৭৬৯-০৯৫১৯৮, গ। ০১৭৬৯-০৯৫২৫০,
ঘ। ০১৭৬৯-০৯১০২০।
৫। বিমানবন্দর, খিলক্ষেত, দক্ষিন খান, উত্তরখান, উত্তরা পূর্ব।
যোগাযোগের নম্বরসমূহঃ
ক। ০১৭৬৯-০২৫৭৬৬, খ। ০১৭৬৯-০২৫৭৬৯, গ। ০১৭৬৯-০২৫৮৬৫,
ঘ। ০১৭৬৯-০২৫৭৬৭।
৬। মিরপুর মডেল থানা, মিরপুর-২, ৬, ৭, ১০, দুয়ারীপাড়া, রুপনগর, কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া, মনিপুর।
যোগাযোগের নম্বরসমূহঃ
ক। ০১৭৬৯-০৫০৭১০, খ। ০১৭৬৯-০৫০৬৯৩, গ। ০১৭৬৯-০৫০৬৯৫,
ঘ। ০১৭৬৯-০৫০৬৯৬।
৭। উত্তরা তুরাগ থানা ও উত্তরা পশ্চিম থানা।
যোগাযোগের নম্বরসমূহঃ
ক। ০১৭৬৯-০৮২৮৩৬, খ। ০১৩১৮-৩৭১৫৫৪, গ। ০১৩১৮-৩৭১৫৫৫।
৮। দারুসসালাম থানা এবং শাহআলী থানা।
যোগাযোগের নম্বরসমূহঃ
ক। ০১৭৬৯-০৩৩৭০০,খ। ০১৭৬৯-০৩৩৭০২, গ। ০১৭৬৯-০৩৩৭০৪।
৯। গুলশান, বনানী, ভাটারা এবং বাড্ডা থানা
যোগাযোগের নম্বরসমূহঃ
ক। ০১৭৬৯০৫০২৮৩, খ। ০১৭৬৯০১১৫৫৯।
১০। খিলগাঁও, সবুজবাগ ও মুগদা থানা
যোগাযোগের নম্বরঃ
ক। ০১৭৬৯০৫৩১৪৪।
১১। রামপুরা, সবুজবাগ এবং তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা
যোগাযোগের নম্বরঃ
ক। ০১৭৬৯০৫৩১৬৮।
১২। ক্যান্টনমেন্ট, কাফরুল, ভাসানটেক।
যোগাযোগের নম্বরসমূহঃ
ক। ০১৭৬৯-০৫১৮২৫, খ। ০১৭৬৯-০১৯০৭৩, গ। ০১৭৬৯-০১৩২৩৬।
১৩। হাজারীবাগ, ধানমন্ডি, কলাবাগান এবং নিউমার্কেট থানা।
যোগাযোগের নম্বরসমূহঃ
ক। ০১৮৯৭৯১৪৮৬২, খ। ০১৮৯৭৯১৪৮৬৩, গ। ০১৮৯৭৯১৪৮৬৪,
ঘ। ০১৮৯৭৯১৪৮৬৫, ঙ। ০১৭৬৯০৫১৮৩৮, চ। ০১৭৬৯০৫১৮৩৯।
১৪। শের-ই-বাংলা নগর, আদাবর এবং মোহাম্মদপুর থানা।
যোগাযোগের নম্বরসমূহঃ
ক। ০১৮১৫৭৯৫৯৫১, খ। ০১৭৬৯০৫৯৮৮৮, গ। ০১৭৬৯০৫১৮৩৮
ঘ। ০১৭৬৯০৫১৮৩৯।
১৫। তেজগাঁও থানা।
যোগাযোগের নম্বরসমূহঃ
ক। ০১৭৬৯০১৯৪০৯, খ। ০১৭৬৯০১৯৪১৫, গ। ০১৭৬৯০৫১৮৩৮
ঘ। ০১৭৬৯০৫১৮৩৯।
১৬। লালবাগ, চকবাজার এবং কামরাঙ্গীরচর থানা।
যোগাযোগের নম্বরসমূহঃ
ক। ০১৭৬৯০১৩৪৩৯, খ। ০১৬১৯৮৩২০৬৯, গ। ০১৭৬৯০৫১৮৩৮
ঘ। ০১৭৬৯০৫১৮৩৯।
দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অভিযান অব্যাহত রয়েছে। সাধারণ জনগণকে যেকোন সন্দেহজনক কার্যকলাপের বিষয়ে নিকটস্থ সেনা ক্যাম্পে তথ্য প্রদান করার জন্য বিজ্ঞপ্তিতে অনুরোধ জানানো হয়।


দেশে ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ৪৮

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে সোমবার (১২ মে) সকাল থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় দেশে কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি। এ সময়ে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৪৮ জন।

মঙ্গলবার (১৩ মে) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ অ্যান্ড ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

বিজ্ঞপ্তি থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি ভর্তি হয়েছে ৪৮ জন। নতুন আক্রান্তের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১৩ জন। আর ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে আরও ৩৫ জন।

বিজ্ঞপ্তি থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে, চলতি বছর আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে ৬১ দশমিক ৯ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৮ দশমিক ১ শতাংশ নারী।

বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ১৩ মে পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৩ হাজার ১১৬ জন। এর মধ্যে ৬০ দশমিক ৪ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৯ দশমিক ৬ শতাংশ নারী।


সরকার প্রধান হিসেবে এ প্রথম কাল চট্টগ্রাম যাচ্ছেন ড. ইউনূস

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথমবার চট্টগ্রামে যাচ্ছেন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা আগামীকাল বুধবার নিজ জন্মভূমিতে যাবেন। তিনি সেখানে দিনব্যাপী বেশ কয়েকটি কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করবেন ।

প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বাসসকে জানান, প্রধান উপদেষ্টা আগামীকাল চট্টগ্রাম সফরে গিয়ে সেখানে নির্ধারিত বেশ কয়েকটি কর্মসূচিতে অংশ নেবেন। এর মধ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) পঞ্চম সমাবর্তনে প্রধান অতিথি হিসাবে যোগদান করবেন তিনি। পাশাপাশি তার পৈতৃক বাড়ি হাটহাজারী উপজেলার শিকারপুর ইউনিয়নের বাথুয়া গ্রামও পরিদর্শন করবেন।

এছাড়া প্রধান উপদেষ্টা চট্টগ্রামে পৌঁছার পর বন্দর পরিদর্শন করবেন এবং বন্দরের অভ্যন্তরে এনসিটি-৫ প্রাঙ্গণে একটি সভায় অংশ নেবেন। এরপর তিনি বন্দর ও জাহাজ চলাচল খাতের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বন্দর ব্যবহারকারী বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধি ও বাণিজ্য সংস্থার নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। সেখান থেকে যাবেন চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে। সেখানে কর্ণফুলী নদীর ওপর কালুরঘাট সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর উন্মোচন করবেন।

এটি চট্টগ্রামের বোয়ালখালী ও পটিয়া উপজেলার একটি অংশসহ কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ তীরের বিশাল জনগোষ্ঠীর বহুল প্রতীক্ষিত সেতু।

আবুল কালাম আজাদ মজুমদার আরো জানান, প্রধান উপদেষ্টাকে চট্টগ্রাম নগরীর জলাবদ্ধতা এবং নগরীর অক্সিজেন মোড় থেকে হাটহাজারী সড়কের যানজট পরিস্থিতির বিষয়ে বিফ্র করবেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

এছাড়া প্রধান উপদেষ্টা চট্টগ্রাম ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের জমির কাগজপত্র কর্তৃপক্ষের হাতে হস্তান্তর করবেন।


আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত: ইসি

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনের আলোকে আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ সোমবার কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ রাত সোয়া ৯টার দিকে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

সোমবার বিকেলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দলটির কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করে। এরপর বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বে বৈঠকে বসে নির্বাচন কমিশন। প্রায় চার ঘণ্টা বৈঠক শেষে সোয়া ৯টার দিকে ইসি সচিব আখতার আহমেদ এসে সাংবাদিকদের জানান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনের আলোকে নির্বাচন কমিশন আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত করেছে।

তিনি বলেন, ‘আপনারা জানেন, আজ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং তার অঙ্গ সংগঠন ও ভাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলোর কার্যক্রম নিষিদ্ধ করেছে। তার ধারাবাহিকতায় ইলেকশন কমিশন আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’

‘সে অনুযায়ী আমরা গেজেট নোটিফিকেশন জারি করেছি। আপনারা গেজেটের কপি বিজি প্রেস থেকে পেয়ে যাবেন।’

কোন গ্রাউন্ডে এই নিবন্ধন স্থগিত করা হলো জানতে চাইলে ইসি সচিব বলেন, ‘স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যে প্রজ্ঞাপন তার ধারাবাহিকতায় আমরা এটা করেছি।’

কমিশন সভায় নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকার ও আব্দুর রহমানেল মাছউদ উপস্থিত ছিলেন। সভায় নির্বাচন কমিশন সচিব আখতার আহমেদ, আইন শাখার যুগ্ম সচিব ফারুক আহমেদসহ কর্মকর্তারা আইনি দিকগুলো তুলে ধরেন।

নির্বাচনী আইন গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) এর ৯০ জ অনুচ্ছেদ দফা ১ (খ) অনুযায়ী সরকার ঘোষিত নিষিদ্ধ দলের নিবন্ধন বাতিলের বিধান রয়েছে। তবে আওয়ামী লীগকে দল হিসেবে এখনো নিষিদ্ধ করা হয়নি, তাদের দলীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তাই আপাতত নির্বাচন কমিশনও নিবন্ধন বাতিল না করে স্থগিত করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

নিবন্ধন স্থগিত হওয়ার মাধ্যমে আওয়ামী লীগের নির্বাচনে অংশগ্রহণ বন্ধ হয়ে গেল।

এর আগে, বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগ এবং এর সব অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ। সোমবার বিকেলে সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি স্বাক্ষরিত এ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।


র‌্যাব পুনর্গঠনে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, র‌্যাব পুনর্গঠনের বিষয়ে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।

আজ সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি’র ৯ম সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, পুলিশের হাতে আর মারণাস্ত্র থাকবে না, তাদের কাছে থাকা মারণাস্ত্র জমা দিতে হবে। অস্ত্র থাকবে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন সদস্যদের হাতে।

গার্মেন্টস শ্রমিকদের বেতন ও বোনাস ঈদের আগে পরিশোধ করতে হবে। কিন্তু অবৈধ শ্রমিকরা রাস্তায় ঝামেলা করলে, বরদাশত করা হবে না।

তিনি বলেন, ঈদে গরুর হাটকে কেন্দ্র করে রাস্তায় যানজট কমাতে হাইওয়ে পুলিশকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। গরুভর্তি ট্রাক যেন রাস্তায় যানজট সৃষ্টি করতে না পারে, সে বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যাত্রীরা যাতে নির্বিঘ্নে বাড়ি যেতে পারে, সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ঈদে গরুর হাটে ছিনতাই ও মলম পার্টির দৌরাত্ম্য সৃষ্টি হয়। এটিকে শক্তভাবে দমন করার জন্য প্রতি হাটে একশ’ আনসার রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। চাঁদাবাজিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে পুলিশকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, ঈদে দেশে বাইরের কোনো রাষ্ট্র থেকে গবাদি পশু বাংলাদেশে আসতে দেওয়া হবে না। চাঁদাবাজি করতে দেয়া হবে না।

এ সময় বিজিবি’র ডিজি মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বলেন, ৭-৮ মে ২০২ জন বাংলাদেশিকে বিএসএফ বিভিন্ন স্থানে পুশ ইন করে, যারা ২-৩ বছর অথবা ১৫-২০ বছর আগে ভারতে গিয়েছিল। পরে উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করে পুলিশ ও এসবি’র মাধ্যমে ভেরিফিকেশন করে তাদের নিজ নিজ এলাকায় পাঠানোর চেষ্টা চলছে। এছাড়া ৩৯ জন রোহিঙ্গাকে পাওয়া গেছে। তাদেরকে ক্যাম্পে ফেরত পাঠানো হয়েছে।


আ.লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

জুলাই অভ্যুত্থানে গণহত্যা, গুম, নিপীড়নসহ বিভিন্ন অভিযোগে আওয়ামী লীগের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

আজ সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিবের নাসিমুল গনির সই করা প্রজ্ঞাপনে এমন তথ্য দেওয়া হয়েছে।

এতে বলা হয়, ২০০৯ সালে ৬ জানুয়ারি সরকার গঠনের পর থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গনঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনগুলো বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর সদস্য ও ভিন্নমতের মানুষের ওপর হামলা, গুম, খুন, হত্যা, নির্যাতন ও ধর্ষণসহ বিভিন্ন নিপীড়নমূলক ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের মাধ্যমে সারা দেশে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে।

তাদের বিরুদ্ধে গত ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে গুম-খুন, পুড়িয়ে মানুষ হত্যা, গণহত্যা, বেআইনি আটক, অমানবিক নির্যাতন, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগ, সন্ত্রাসী কার্য ও মানবতাবিরোধী অপরাধের সুস্পষ্ট অভিযোগ রয়েছে।’

এসব অভিযোগ দেশি ও আন্তর্জাতিক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে বলে প্রজ্ঞাপনে দাবি করা হয়েছে। এতে বলা হয়, এসব অভিযোগে আওয়ামী লীগ ও দলটির সব অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এবং দেশের ফৌজদারি আদালতে বহুসংখ্যক মামলা বিচারাধীন রয়েছে।

‘এ সব মামলার বিচারে প্রতিবন্ধকতা তৈরি, জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি, বাংলাদেশের সংহতি, জননিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব বিপন্ন করতে গত ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগ এবং এর সব অঙ্গসংগঠনের মাধ্যমে গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী ছাত্র-জনতার ওপর হামলা, উসকানিমূলক মিছিল আয়োজন, রাষ্ট্রবিরোধী লিফলেট বিতরণ এবং ভিনদেশে পলাতক তাদের নেত্রীসহ অন্য নেতাকর্মীদের মাধ্যমে সোশ্যাল মিডিয়ায় অপরাধমূলক বক্তব্য দেওয়া, ব্যক্তি ও প্রজাতন্ত্রের সম্পত্তির ক্ষতিসাধনের চেষ্টাসহ আইন-শৃঙ্খলা বিরোধী কর্মকাণ্ড পরিলক্ষিত হয়েছে।’

প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, ‘যেহেতু এসব কর্মকাণ্ডে রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়েছে। দলটি ও এর সব অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলার বাদী ও সাক্ষীদের মনে ভীতির সঞ্চার করা হয়েছে ও এভাবে বিচার বিঘ্নিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে এবং সার্বিকভাবে দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি হওয়ার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে।’

‘এছাড়া, সরকারের কাছে যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ রয়েছে, তারা রাষ্ট্রকে অস্থিতিশীল ও অকার্যকর করতে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকাসহ জনমনে ভীতি ছড়াতে সন্ত্রাসী সংগঠনের মতো বিভিন্ন বেআইনি কার্যকলাপ ও ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে,’ বলা হয় প্রজ্ঞাপনে।

‘সরকার যুক্তিসঙ্গততভাবে মনে করে, সন্ত্রাসবিরোধী (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ এবং সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯ এর ধারা-১৮(১) এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আওয়ামী লীগ এবং এর সকল অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীদের ‍বিরুদ্ধে বিচারকার্য সম্পন্ন না-হওয়া পর্যন্ত তাদের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করা সমীচীন।’

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সে কারণে তাদের যেকোনো ধরনের প্রকাশনা, গণমাধ্যম, অনলাইন ও সামাজিকমাধ্যমে প্রচারণা, মিছিল, সভা-সমাবেশ, সম্মেলনসহ যাবতীয় কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ ঘোষণা করা করা হয়েছে। শনিবার আওয়ামী লীগকে গণহত্যার দায়ে নিষিদ্ধ করার বিষয়টি উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়।


banner close