সোমবার, ১২ মে ২০২৫
২৮ বৈশাখ ১৪৩২
গভীর সমুদ্রের গ্যাস উত্তোলন

যুক্তরাষ্ট্রের এক্সনমোবিল ১৫ ব্লক ইজারা চায়

আপডেটেড
৮ মে, ২০২৩ ১৩:৩৪
আরিফুজ্জামান তুহিন
প্রকাশিত
আরিফুজ্জামান তুহিন
প্রকাশিত : ৮ মে, ২০২৩ ১৩:৩২

গত ১০ বছরে দেশের তিনটি গভীর সমুদ্রে ব্লক ইজারা দেয়া হয়েছিল দুটি বিদেশি কোম্পানিকে, সেখানে গ্যাসও মিলেছে। তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে উৎপাদন অংশীদারত্ব চুক্তির (পিএসসি বা প্রোডাকশন শেয়ারিং কন্ট্রাক্ট) বেশি গ্যাসের দাম বাংলাদেশ দিতে রাজি না হওয়ায় ওই দুটি কোম্পানিই দেশ ছেড়ে চলে যায়। বর্তমানে গভীর সমুদ্রের ১৫টি ব্লক ফাঁকা রয়েছে, এই ১৫টি ব্লক ইজারা পেতে সরকারকে প্রস্তাব দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসভিত্তিক জায়ান্ট তেল-গ্যাস অনুসন্ধান কোম্পানি এক্সনমোবিল। এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য প্রস্তাবটি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে রয়েছে। সরকার রাজি থাকলে এই ১৫টি ব্লকই দেয়া হবে এক্সনমোবিলকে। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের জ্বালানি বিভাগ ও পেট্রোবাংলা সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

এক্সনমোবিলকে সাগরের ১৫টি ব্লক ইজারা দেয়ার আগে ২০১৯ সালের করা মডেল পিএসসি সংশোধন করবে সরকার। ২০১৯ সালের মডেল পিএসসি সংশোধনের কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের জ্বালানি বিভাগ অনুমোদন দিলেই নতুন পিএসসি অনুমোদন পাবে। শিগগিরই সংশোধিত ‘মডেল পিএসসি ২০২৩’ অনুমোদন দেবে সরকার।

যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসভিত্তিক এক্সনমোবিলের প্রস্তাবটি ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে সম্মতি পেলে সমঝোতা স্মারক সই হবে। এরপর এক্সনমোবিল সাগরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে জরিপ চালাবে। সেই জরিপের তথ্যের ওপর ভিত্তি করে তারা চূড়ান্ত চুক্তি করবে। এখনই সে কারণে তেল-গ্যাস উত্তোলনে চূড়ান্ত চুক্তি করতে চায় না এক্সনমোবিল।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার বলেন, ‘এক্সনমোবিলের প্রস্তাবের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার এখতিয়ার সরকারের। আমাদের কাছে যে নির্দেশনা আসবে আমরা সেটাই পালন করব।’

তিনি বলেন, ‘মডেল পিএসসি ২০২৩’ মন্ত্রণালয়ে জমা দেয়া আছে। পেট্রোবাংলা থেকে যা সংশোধন করার দরকার আমি সেটা শেষ করে মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছি। এ বিষয়ে সরকারই সিদ্ধান্ত নেবে।’

সরকারের সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, এক্সনমোবিলের মতো জায়ান্ট কোম্পানি যুক্ত হওয়ার বিষয়টি ইতিবাচক। তা না হলে গ্যাস উত্তোলনে বাংলাদেশকে অপেক্ষাই করে যেতে হবে।

তেল-গ্যাস বিশেষজ্ঞ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. বদরুল ইমাম এ প্রসঙ্গে বলেন, ১২ নম্বর ব্লকটি সমুদ্র ব্লকের সব থেকে সম্ভাবনাময়ী। এটি পসকো দাইয়ুকে ইজারা দেয়া উচিত হয়নি। এই ব্লকের লাগোয়া অঞ্চল মিয়ানমার থেকে পসকো দাইয়ু অপারেটর হিসেবে গ্যাস তুলছে। পসকো দাইয়ু বাংলাদেশে তেল-গ্যাস উত্তোলনের জন্য এসেছে নাকি এখানকার তথ্য নিতে এসেছে, এটা নিয়ে অনেক প্রশ্ন আছে। তারা এখানে জরিপ করে জেনেছে যে তেল-গ্যাস আছে এরপর তারা চলে গেছে, এটাই তাদের দরকার ছিল। এখন তারা মিয়ানমার অংশ থেকে গ্যাস তুলে চীনে রপ্তানি করছে, সেটাই অব্যাহত রাখবে।

তিনি বলেন, গভীর সমুদ্রের ১৫টি ব্লক ফাঁকা রয়েছে। এর মধ্যে ১০, ১১ ও ১২ নম্বর ব্লকে গ্যাস পাওয়া গেলেও উত্তোলন করা হয়নি। এক্সনমোবিল তাদের প্রস্তাবে বাংলাদেশের গভীর সমুদ্রে তেল গ্যাসপ্রাপ্তির সম্ভাবনা সম্পর্কে বলেছে, গভীর সমুদ্র এলাকায় তেল-গ্যাস সঞ্চিত হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি স্ট্র্যাটিগ্রাফিক ফাঁদে ঘটতে পারে। এক্সনমোবিল গায়ানার গভীর সমুদ্রে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান সফলতার সঙ্গে করেছে এবং এই জাতীয় ফাঁদগুলো খুঁজে পাওয়ার সব থেকে ভালো অভিজ্ঞতা রয়েছে এক্সনমোবিলের।

কী প্রস্তাব আছে এক্সনমোবিলের

বাংলাদেশের গভীর সমুদ্রের ব্লকগুলোতে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান ও উন্নয়ন করতে চেয়ে একটি প্রস্তাব সম্প্রতি পেট্রোবাংলাকে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের জায়ান্ট প্রতিষ্ঠান এক্সনমোবিল। এ জন্য আট বছর মেয়াদে তিন ভাগে তারা কাজ করবে। প্রথম দুই বছরে এক্সনমোবিল পিএসসি চুক্তি সই ও টুডি সার্ভে (দ্বিমাত্রিক জরিপ) করবে। এর পরের তিন বছরে তারা থ্রিডি সার্ভে (ত্রিমাত্রিক জরিপ) করবে। আর শেষ তিন বছরে তারা কূপ খনন করবে। এক্সনমোবিলকে বিনা দরপত্রে সাগরের তেল-গ্যাসের ব্লকের ইজারার পিএসসি চুক্তি করতে হবে। আলোচনার মাধ্যমেই পিএসসি সই করতে চায় এক্সনমোবিল।

দেশে বর্তমানে সাগরবক্ষে ২৬টি তেল-গ্যাসের ব্লক রয়েছে। আর স্থলভাগে রয়েছে ২২টি। এর মধ্যে ১১টি ব্লক অগভীর সমুদ্রে ও গভীর সমুদ্রে রয়েছে ১৫টি ব্লক। অগভীর সমুদ্রে ১১ নম্বর ব্লক সান্তোস ও ক্রিস এনার্জি এবং অগভীর সমুদ্রের ৪ ও ৯ নম্বর ব্লক ভারতের দুটি কোম্পানি ওএনজিসি ভিদেশ (ওভিএল) ও অয়েল ইন্ডিয়া (ওআইএল) ইজারা নিয়েছিল। এর মধ্যে সান্তোস দ্বিমাত্রিক ও ত্রিমাত্রিক জরিপ করার পর কূপ খনন না করেই বাংলাদেশ থেকে কার্যক্রম গুটিয়ে নেয়।

আর গভীর সমুদ্রের ১০ ও ১১ নম্বর ব্লক ইজারা পেয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের কনোকো-ফিলিপস আর ১২ নম্বর ব্লক পেয়েছিল দক্ষিণ কোরিয়ার পসকো দাইয়ু করপোরেশন। এই তিনটি ব্লকে গ্যাস পাওয়া গেলেও তারা উত্তোলন না করেই দেশ ছেড়েছে। এর ফলে গভীর সমুদ্রের সবগুলো ব্লকই এখন ফাঁকা রয়েছে। এক্সনমোবিল গভীর সমুদ্রের এই ১৫টি ব্লকই ইজারা চায়। ২০১৯ মডেল পিএসসিতে অগভীর সমুদ্রের প্রতি হাজার ঘনফুট গ্যাসের দাম ধরা হয়েছিল ৫ দশমিক ৬ ডলার আর গভীর সমুদ্রে এই দাম ধরা হয়েছিল ৭ দশমিক ২৫ ডলার। এবারের উৎপাদন অংশীদারি চুক্তিতে প্রতি হাজার ঘনফুট গ্যাসের দাম ১০ ডলার রাখা হয়েছে। পাশাপাশি বাংলাদেশের গ্যাসের ওপর মালিকানার হার বা হিস্যা কিছুটা কমতে পারে।

জরিপেও অংশ নিতে চায় এক্সনমোবিল

বাংলাদেশের সাগরভাগের তেল-গ্যাসের মজুত জানতে সরকার দুটি প্রতিষ্ঠানকে দিয়ে মাল্টিক্লায়েন্ট সার্ভে করার কাজ দিয়েছে। এ দুটি কোম্পানি হলো নরওয়ের টিজিএস ও যুক্তরাষ্ট্রের এসএলবি (সাবেক স্লামবার্জার)। এই দুটি প্রতিষ্ঠান গত ৪ জানুয়ারি থেকে বঙ্গোপসাগরের ৩২ হাজার লাইন কিলোমিটার দ্বিমাত্রিক জরিপ শুরু করেছে। এই জরিপের জন্য সরকার তাদের কোনো অর্থ দেবে না। তবে জরিপের তথ্য বা ডেটা এই দুটি প্রতিষ্ঠান তেল-গ্যাস উত্তোলন করতে চায়, এমন বিদেশি প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি করে অর্থ তুলে নিতে পারবে।

এক্সনমোবিল মাল্টিক্লায়েন্ট সার্ভের সঙ্গে যুক্ত হতে চায়। তারা টিজিএস ও এসএলবির সঙ্গে যৌথভাবে সাগরের তেল-গ্যাস জরিপে অংশ নিতে চায় বলে পেট্রোবাংলার কাছে প্রস্তাবে জানিয়েছে।

গভীর সমুদ্রের ব্লক কতটা সম্ভাবনাময়

গভীর সমুদ্রের ১০ ও ১১ নম্বর ব্লক ইজারা পেয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি কনোকো-ফিলিপস। ২০১১ সালের ১৬ জুনে পেট্রোবাংলার সঙ্গে করা চুক্তি অনুযায়ী কনোকো-ফিলিপসকে প্রতি হাজার ঘনফুট গ্যাসের দাম ৬ দশমিক ৫ ডলার দেয়ার কথা ছিল। এরপর ২০১৪ সালে সাগরের ১০ ও ১১ নম্বর ব্লকে ৪ ট্রিলিয়ন ঘনফুট (টিসিএফ) গ্যাস পাওয়ার ঘোষণা দেয় কনোকো-ফিলিপস। এরপর তারা সরকারকে চাপ দিতে শুরু করে, গ্যাসের মূল্য প্রতি হাজার ঘনফুটে ৮ ডলার করে দিতে। গ্যাসের দাম না বাড়ালে বিদেশে গ্যাস রপ্তানির অনুমতি দিতে হবে। সরকার এ শর্তে রাজি না হওয়ায় কনোকো-ফিলিপস তখন দেশ ছেড়ে চলে যায়।

এরপর ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিষ্ঠান পসকো দাইয়ু করপোরেশনের সঙ্গে সব থেকে সম্ভাবনাময় গভীর সমুদ্রের ১২ নম্বর ব্লকে পিএসসি সই করে পেট্রোবাংলা। এই ব্লকের সঙ্গে লাগোয়া মিয়ানমারের সমুদ্র ব্লক থেকে গ্যাস তুলছে পসকো দাইয়ু। সেখান থেকে তারা চীনে গ্যাস রপ্তানিও করছে। এখানে দাইয়ু সরকারকে গ্যাস পাওয়ার কথা জানিয়ে গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দেয়। কিন্তু চুক্তিতে গ্যাসের দাম বাড়ানোর সুযোগ না থাকায় পসকো দাইয়ু দেশ ছেড়ে চলে যায়।

দেশে গ্যাসের মজুত কত?

জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ প্রতিষ্ঠান হাইড্রোকার্বন ইউনিটের তথ্যমতে, দেশে আবিষ্কৃত গ্যাসের পরিমাণ মোট ২৮ ট্রিলিয়ন ঘনফুট বা টিসিএফের চেয়ে কিছু বেশি। গত ৫০ বছরের বেশি সময় ধরে গ্যাস উত্তোলনের পর বর্তমানে ৯ দশমিক শূন্য ৬ টিসিএফ অবশিষ্ট রয়েছে। দেশীয় গ্যাসক্ষেত্র থেকে দৈনিক গড়ে প্রায় ২ হাজার ২৫০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন হচ্ছে বিবেচনায় অবশিষ্ট মজুত গ্যাস দিয়ে প্রায় ১১ বছর চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে। এই হিসাব আবিষ্কৃত গ্যাসক্ষেত্র দিয়ে করা হয়েছে।

এই হিসাব দিয়ে বলা হচ্ছে দেশের গ্যাস আগামী ১০ থেকে ১২ বছরে ফুরিয়ে যাবে। তবে বিশ্ববিখ্যাত তেল-গ্যাস জরিপ সংস্থাগুলোর তথ্য বলছে ভিন্নকথা। সারা দুনিয়ার তেল-গ্যাসের মজুতের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ (ইউএসজিএস) তথ্য প্রকাশ করে থাকে। ইউএসজিএস ও পেট্রোবাংলার যৌথ উদ্যোগে ১৯৯৮ সালে দেশের তেল-গ্যাসের মজুতের ওপর একটি সমীক্ষায় বলা হয়, বাংলাদেশে ৫০ শতাংশ সম্ভাবনায় অনাবিষ্কৃত গ্যাস মজুত ৩২ দশমিক ৫ টিসিএফ, এর মধ্যে ৮ দশমিক ৫ টিসিএফ পাওয়ার সম্ভাবনা ৯৫ শতাংশ।

নরওয়ের সরকারি সংস্থা নরওয়েজিয়ান পেট্রোলিয়াম ডিরেক্টরেট (এনপিডি) ও বাংলাদেশের সরকারি প্রতিষ্ঠান হাইড্রোকার্বন ইউনিট দেশের তেল-গ্যাসের মজুতের সমীক্ষায় বলা হয়, দেশে অনাবিষ্কৃত গ্যাসের মজুত আছে ৪২ টিসিএফ, এই পরিমাণ গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনা ৫০ শতাংশ। ডেনমার্কভিত্তিক তেল-গ্যাস পরামর্শক প্রতিষ্ঠান র‍্যাম্বল এক সমীক্ষায় বলেছে, বাংলাদেশে ৩৪ টিসিএফ গ্যাসের মজুত রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আরেকটি তেল-গ্যাস অনুসন্ধান প্রতিষ্ঠান গুস্তাভসন অ্যাসোসিয়েটসকে দিয়ে ২০১৭ সালে সরকার একটি সমীক্ষা করে। সেই সমীক্ষা প্রতিবেদনে ৯২ শতাংশ সম্ভাবনা আছে, এমন মজুতের পরিমাণ ৩৪ টিসিএফ। তবে এসব জরিপ গভীর সমুদ্রের ওপর করা হয়নি।

জ্বালানি বিভাগ ও পেট্রোবাংলার কর্মকর্তারা বলছেন, দেশে প্রতিবছর এক টিসিএফ গ্যাসের চাহিদা রয়েছে। স্থলভাগ ও সাগরভাগের মজুত ইঙ্গিত দিচ্ছে দেশের গ্যাস দিয়ে ৩৫ থেকে ৪০ বছর অনায়াসে পার করতে পারবে বাংলাদেশ। কিন্তু এসব গ্যাস উত্তোলনে উদ্যোগের অভাব রয়েছে।

কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)-এর জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ও জ্বালানি বিশেষজ্ঞ এম শামসুল আলম বলেন, তেল-গ্যাস উত্তোলন দরকার। তেল-গ্যাস উত্তোলনে সর্বোচ্চ গুরুত্বও দিতে হবে। তবে তা যেন প্রতিযোগিতামূলক হয়, সেটিও দেখতে হবে।


ব্যক্তি বা সত্তার কার্যক্রম নিষিদ্ধের বিধান যুক্ত করে সন্ত্রাসবিরোধী অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

সন্ত্রাসী কার্যক্রমে জড়িত রয়েছে এমন ব্যক্তি বা সত্তার এবং তাদের কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করার বিধান যুক্ত করে সন্ত্রাসবিরোধী (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫-এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন করেছে উপদেষ্টা পরিষদ।

আজ রোববার ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের এক বৈঠকে এই খসড়া অনুমোদন করে উপদেষ্টা পরিষদ।

বৈঠকের সারসংক্ষেপে বলা হয়, কতিপয় সন্ত্রাসী কার্য প্রতিরোধ এবং উহাদের কার্যকর শাস্তির বিধানসহ আনুষঙ্গিক বিষয়াদি সম্পর্কে বিধান প্রণয়ন করার নিমিত্ত সন্ত্রাস বিরোধী আইন, ২০০৯ প্রণয়ন করা হয়।

এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সরকার, কোন ব্যক্তি বা সত্তা সন্ত্রাসী কার্যের সহিত জড়িত রয়েছে মর্মে যুক্তিসঙ্গত কারণের ভিত্তিতে, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, ঐ ব্যক্তিকে তফসিলে তালিকাভুক্ত করতে পারে বা সত্তাকে নিষিদ্ধ ঘোষণা ও তফসিলে তালিকাভুক্ত করতে পারে। তবে বর্তমান আইনে কোন সত্তার কার্যক্রম নিষিদ্ধকরণের বিষয়ে কোন বিধান নেই।

এই বিষয়টি স্পষ্টীকরণসহ বিধান সংযোজন আবশ্যক হেতু সন্ত্রাস বিরোধী আইন, ২০০৯-কে সময়োপযোগী করে আইনের অধিকতর সংশোধন সমীচীন ও প্রয়োজন।

বর্ণিত প্রেক্ষাপটে সন্ত্রাস বিরোধী আইন সংশোধন করে সত্তার কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা, প্রয়োজনীয় অভিযোজন করা এবং অনলাইন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার নিষিদ্ধকরণের বিধান অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

আগামীকাল সংশোধনীটি অধ্যাদেশ আকারে জারি করা হতে পারে।


নিষিদ্ধ সংগঠনের কর্মকাণ্ড চলবে না: ডিআইজি রেজাউল করিম

ঢাকা রেঞ্জের উপ-মহাপুলিশ পরিদর্শক (ডিআইজি) রেজাউল করিম মল্লিক। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
unb

নিষিদ্ধঘোষিত কোনো সংগঠন যদি জনগণের নিরাপত্তায় বিঘ্ন ঘটানোর চেষ্টা করে, তাহলে তাদের দমন করার সক্ষমতা পুলিশের রয়েছে বলে মন্তব্য করেন ঢাকা রেঞ্জের উপ-মহাপুলিশ পরিদর্শক (ডিআইজি) রেজাউল করিম মল্লিক।

তিনি বলেন, ‘আমার অধীনে এসপি-ওসিদের নির্দেশ দিচ্ছি, নিষিদ্ধঘোষিত কোনো সংগঠনের কর্মকান্ড আপনার এলাকায় চলবে না। বৈষ্যম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যারা দমন-পীড়ন করেছে, যাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে, মামলার তদন্তে যারা দোষী, যারা দোসর হিসেবে পরিচিত, তাদের গ্রেপ্তার করতে হবে।’

রবিবার (১১ মে) বেলা সোয়া ১১ টার দিকে রাজধানীর সেগুনবাগিচার ঢাকা রেঞ্জ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। এসময় রেঞ্জের অন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

গেল সরকারের আমলে কিছু পুলিশ সদস্যের বিতর্কিত ভূমিকার কথা উল্লেখ করে দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বাহিনীকে ঘুরে দাঁড়াতে সহায়তা করায় তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

ডিআইজি বলেন, ‘ঢাকা রেঞ্জের প্রত্যেকটি থানা হবে ভুক্তভোগীদের প্রথম ভরসাস্থল। রেঞ্জের আওতাধীন ১৩টি জেলার ৯৮টি থানার মানুষ যেকোনো সমস্যা নিয়ে আমার কাছে আসতে পারবেন। তাছাড়া ঢাকা রেঞ্জের যেকোনো অপরাধের তথ্য পাওয়ার পাশাপাশি জনগণকে সহায়তা দিতে ‘টক টু ডিআইজি’ নামে একটি মোবাইল অ্যাপও চালু করা হবে। এতে ঘরে বসেই মানুষ সেবা নিতে পারবেন।’

তিনি আরও জানান, ‘ঘুষ-বদলি কারবারসহ কোনো ধরনের অন্যায়-অবিচার ও দুর্নীতিকে তার রেঞ্জে প্রশ্রয় দেওয়া হবে না। এ ছাড়া বৈষ্যম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে দমনপীড়নকারী; যাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে এবং মামলার তদন্তে যারা দোষী, তাদেরকে দোসরসহ গ্রেপ্তার করতে হবে।’

ডিআইজি রেজাউল বলেন, ‘সাধারণ মানুষ যেন সুবিচার পান, সেটি সেটি নিশ্চিত করা হবে। এমনকি ঢাকা রেঞ্জের কোনো পুলিশ সদস্য যদি কোনো ধরনের অনৈতিক ও অপেশাদার কর্মকাণ্ডের সাথে যুক্ত হন—তাদেরকেও বিন্দুমাত্র ছাড় দেওয়া হবে না।’

তিনি জানান, ‘প্রতিটি জিডি, অভিযোগ ও মামলা সুনিপুণভাবে মনিটরিং করবে দক্ষ একটি টিম। এ ছাড়া ঢাকা রেঞ্জের আওতাধীন ৯৮টি থানায় সিসিটিভি সংবলিত মনিটরিং সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে।’

মনিটরিং সেন্টারগুলোতে তিনি সরাসরি জনগণের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন বলেও জানান। এ সময় ঢাকা রেঞ্জের প্রতিটি থানাকে বাংলাদেশ পুলিশের রোল মডেল থানা হিসেবে গড়ে তোলার আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

গণঅভ্যুত্থানে দায়ের করা মামলাগুলো নিবিড়ভাবে মনিটরিংয়র জন্য ডিআইজি অফিসে একটি বিশেষ মনিটরিং সেল খোলা হবে বলেও জানিয়েছেন নবনিযুক্ত এই ডিআইজি। থানাগুলোর কাজ সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য তিনি ঢাকা রেঞ্জের সাধারণ জনগণকে পাশে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।


আজ শুভ বুদ্ধ পূর্ণিমা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শুভ বুদ্ধ পূর্ণিমা আজ। ধর্মমতে আজকের দিনেই মহামতি গৌতম বুদ্ধ জন্মগ্রহণ করেছিলেন, বোধিলাভ এবং মৃত্যুবরণ করেন। তাই দিনটি বৌদ্ধ ধর্মাবলম্ববীদের কাছে অত্যন্ত পবিত্র ও তাৎপর্যপূর্ণ। দিবসটি উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস দেশের সব বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

আজ দিনটি সরকারি ছুটি। এ দিনের শুরুতে শান্তি শোভাযাত্রা, বৌদ্ধ মঠ এবং মন্দিরগুলোতে দিনব্যাপী প্রদীপ প্রজ্জ্বলন, পূজা ও প্রার্থনার আয়োজন করে বুদ্ধের আদর্শ অনুসারী বৌদ্ধ সম্প্রদায়।

এ উপলক্ষে রাজধানীসহ দেশজুড়ে বৌদ্ধ বিহারগুলোতে বুদ্ধপূজা, প্রদীপ প্রজ্জ্বলন, শান্তি শোভাযাত্রা, ধর্মীয় আলোচনা সভা, প্রভাতফেরি, সমবেত প্রার্থনা, আলোচনা সভা ও বুদ্ধপূজা অনুষ্ঠিত হবে।

‘জগতের সকল প্রাণী সুখী হোক’ এই অহিংস বাণীর প্রচারক গৌতম বুদ্ধের আবির্ভাব, বোধিপ্রাপ্তি আর মহাপরিনির্বাণ এই স্মৃতিবিজড়িত দিনটিকে বুদ্ধপূর্ণিমা হিসেবে পালন করেন বুদ্ধভক্তরা।


গণতান্ত্রিক বিশ্ব কখনো খুনি ও দুর্নীতিগ্রস্ত আওয়ামী লীগের পাশে দাঁড়াবে না : প্রেস সচিব

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়ায় প্রতিক্রিয়ায় গণতান্ত্রিক বিশ্ব এই নির্লজ্জ খুনি, গণতন্ত্র বিরোধী এবং দুর্নীতিগ্রস্ত দলের পক্ষে কখনও কথা বলবে না বলে মনে করেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার প্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতিক্রিয়া নিয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আজ বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি না যে বিশ্বের কোনো দেশ আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করায় তাতে দুঃখ প্রকাশ করবে।’

শফিকুল আলম বলেন, এই নিষেধাজ্ঞা জাতীয় নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা, জুলাই আন্দোলনের কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বাদী ও সাক্ষীদের নিরাপত্তার স্বার্থে প্রয়োজন ছিল।

তিনি বলেন, ‘এর আগে আমরা দেখেছি, শুধুমাত্র কোনো দলের কার্যক্রমই নয়, বরং সম্পূর্ণ রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে পশ্চিমা গণতান্ত্রিক দেশগুলোতেও, যখন তারা মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ করেছে বা জাতীয় স্বার্থের বিরুদ্ধে কাজ করেছে।’

প্রেস সচিব জানান, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে জার্মানি ও ইতালি নাৎসি এবং ফ্যাসিস্ট দলগুলোকে নিষিদ্ধ করে। এছাড়াও, স্পেন ও বেলজিয়ামে কিছু দলকে বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যক্রমের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়।

তিনি উল্লেখ করেন, জাতিসংঘ মানবাধিকার হাইকমিশনারের (ইউএনএইচসিআর) প্রতিবেদন সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করেছে যে আওয়ামী লীগ এর নেতৃত্ব এবং দলের কর্মী এবং সহযোগী সংগঠনগুলো মানবতার বিরুদ্ধে ঘৃণ্য অপরাধে অংশগ্রহণ করেছে।

তিনি আরও বলেন, এই দলটি বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও নির্বাচনী প্রক্রিয়ার ব্যাপক ধ্বংস সাধন করেছে।

শফিকুল আলম বলেন, আওয়ামী লীগের নেতা ও সমর্থকরা ব্যাংকগুলো লুটে নিয়েছে এবং বিপুল পরিমাণ অর্থ বিদেশে পাচার করেছে।

তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক বিশ্বে এমন কোনো পক্ষ নেই যারা নির্লজ্জ এই খুনি, গণতন্ত্র বিরোধী এবং দুর্নীতিগ্রস্ত দলের পক্ষে কথা বলবে।

প্রেস সচিব বলেন, ‘সুতরাং, আমরা আওয়ামী লীগের কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা নিয়ে কোনো নেতিবাচক আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া আশা করি না।’


ট্রুথ অ্যান্ড রিকনসিলিয়েশন কমিশন করা হবে: আইন উপদেষ্টা

উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

যারা গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের মতো ঘৃণ্য অপরাধ করেছে, তারা যে এই জাতি থেকে বিচ্ছিন্ন ও মূলধারা থেকে বিচ্ছিন্ন, সেটাকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য ট্রুথ অ্যান্ড রিকনসিলিয়েশন কমিশন গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।

তিনি বলেন, তাদের সংখ্যা খুব বেশি না। তাদের উপযুক্ত যথেষ্ট পরিমাণ শাস্তির ব্যবস্থা অবশ্যই আমাদের করতে হবে।

গতকাল শনিবার দুপুরে রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের সেমিনার হলে ‘গুম প্রতিরোধ ও প্রতিকার অধ্যাদেশ ২০২৫’ (দ্বিতীয় খসড়া) বিষয়ক মতবিনিময় সভায় আইন উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমরা এই আইনটা কেন করে যেতে চাই, তার কারণ হলো আমাদের পরে যারা আসবে তারা এই আইনটা করবে কি না, সে বিষয়ে আমরা নিশ্চিত না। আমরা এই আইন ও কমিশনকে শক্তিশালী করতে চাই। কারণ আমরা নিশ্চিত না পরবর্তী সরকার এই গুম কমিশন ও আইন শক্তিশালী করবে কি না। কাজেই আমরা এই কাজগুলো করে যেতে চাই।

আসিফ নজরুল আরও বলেন, সংস্কার কার্যক্রমের কথা আমাদের প্রধান উপদেষ্টা বলে থাকেন। সেটারই অব্যাহত সংস্কার কার্যক্রমের একটা পার্ট হিসেবে আমরা এটাকে দেখছি। এখানে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কথা এসেছে, তারমধ্যে প্রিয়ামবেলের কথা বলেছেন, অবশ্যই আমরা সেটা করব। কমান্ড রেসপন্সিবিলিটি আরও পরিষ্কার হওয়া দরকার। অনুষ্ঠানে বেশির ভাগ আলোচক পৃথক আইন ও কমিশনের কথা বলেছেন, সেটা প্রয়োজন আছে। আর আইসিটি ও কনভেনশনাল কোর্ট- এই দুইটা কোর্টের মধ্যে যেসব সাংঘর্ষিক বিষয় আছে, সেগুলো আমরা পরিষ্কার করার চেষ্টা করব।

তিনি বলেন, ঘটিত অপরাধীকে কীভাবে আনা যায়, সেটা গুরুত্বপূর্ণ প্রসঙ্গ, সেটা অবশ্যই আমরা আনার চেষ্টা করব। আজকে ট্রুথ অ্যান্ড রিকনসিলিয়েশনের কথা আসছে। ট্রুথ জাস্টিস কমিশন বা ট্রুথ রিকনসিলিয়েশন কমিশনের খুব দরকার। এটা আমাদের দেশে ১৯৭২ সাল থেকে থাকলে ভালো হতো।

আসিফ নজরুল বলেন, আমরা এমন একটা জাতি, যে সব কিছুই কনফ্রোন্টনাল-ভাবে নিষ্পত্তি করতে চাই। আমি ট্রুথ অ্যান্ড রিকনসিলিয়েশন কমিশন গঠন করব। এ লক্ষ্যে আমি এবং চিফ জাস্টিস একটি টিম নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় যাচ্ছি। আমাদের সঙ্গে ইউএনডিপিসহ আরও অনেকেই জড়িত আছেন। ফিরে এসে আপনাদের সঙ্গে অভিজ্ঞতা শেয়ার করব। আমরা যখন ট্রুথ অ্যান্ড রিকনসিলিয়েশন কমিশন গঠন করব তখন অবশ্যই আপনাদের ডাকা হবে।

তিনি বলেন, অনন্তকাল হানাহানি করে এই জাতির মুক্তি হবে না। আমাদের জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। যারা গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের মতো ঘৃণ্য অপরাধ করেছে, তারা তো খুব বেশি সংখ্যক না। তাদের উপযুক্ত যথেষ্ট পরিমাণ শাস্তির ব্যবস্থা অবশ্যই আমাদের করতে হবে। তারা যে এই জাতি থেকে বিচ্ছিন্ন ও মূলধারা থেকে বিচ্ছিন্ন সেটাকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য হলেও আমাদের ট্রুথ অ্যান্ড রিকনসিলিয়েশন কমিশন গঠন করতে হবে।

আইন উপদেষ্টা আরও বলেন, যারা গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে, তাদের উপযুক্ত বিচার করে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আমরা বদ্ধপরিকর। একই সঙ্গে আমরা এই ধরনের আইন করে যাব, যাতে এই অপরাধগুলো ভবিষ্যতে না হয়। একই সঙ্গে ট্রুথ অ্যান্ড রিকনসিলিয়েশন কমিশন করে যাব। যাতে বড় বড় গণহত্যাকারী ও মানবতাবিরোধী অপরাধী, তারা যে এই সমাজে বিচ্ছিন্ন, সেটাও এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হবে।


আজ বিশ্ব মা দিবস

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

এই পৃথিবীর সবচেয়ে পবিত্র ও মধুর শব্দের নাম ‘মা’। প্রতি বছর মে মাসের দ্বিতীয় রোববার সারা বিশ্বে দিনটি ‘বিশ্ব মা দিবস’ হিসেবে পালন করা হয়। সেই হিসাবে আগামীকাল ‘বিশ্ব মা দিবস’।

কবির ভাষায়- ‘মা কথাটি ছোট্ট অতি কিন্তু যেন ভাই/মায়ের চেয়ে নাম যে মধুর, ত্রিভুবনে নাই।’

কালে কালে একটি কথাই চিরায়ত সত্যিতে পরিণত হয়েছে আর সেটি হচ্ছে- পৃথিবীতে সন্তানের কাছে সবচেয়ে আপন, সবচেয়ে প্রিয় যে শব্দ বা সম্পর্ক পরিচিতি পেয়েছে, তা হল ‘মা’।

যদিও অনেকেই বলে থাকেন যে, মাকে ভালোবাসা-শ্রদ্ধা জানানোর জন্য আলাদা করে কোন দিন বা দিবসের আসলে প্রয়োজন নেই, প্রতিটি দিনই মায়ের দিন। তবুও সারা বিশ্বের কোনায় কোনায় মে মাসের দ্বিতীয় রোববার সকল মাকে গভীর মমতায় স্মরণ করে তাদের সন্তানরা।

দিবসটি এমন একটি বিশেষ দিন, যে দিন সব মায়েদের এবং যারা মায়েদের মতো, তাদেরকে পরিবার থেকে রাষ্ট্র পর্যন্ত সকল স্তরে সম্মান জানানো হয়।

কেননা সন্তান ও মায়ের যে সম্পর্ক, এতো দৃঢ় আর কোনও সম্পর্ক এই পৃথিবীতে নেই।

দিবসটি উপলক্ষে আমাদের দেশের বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন দিনব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।

জগতে মায়ের মতো এমন আপনজন আর কে আছেন? তাই প্রতি বছর এই দিনটি স্মরণ করিয়ে দেয় প্রিয় মমতাময়ী মায়ের মর্যাদার কথা। মাকে ভালোবাসা আর তার প্রতি হৃদয় নিংড়ানো শ্রদ্ধার বিষয়টি পবিত্র ধর্মগ্রন্থগুলোতেও অত্যধিক গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।

বিশ্ব মা দিবসের ইতিহাস অনেক বছরের পুরনো।

মধ্যযুগে এক চর্চা চালু হয়েছিল যে, যারা কাজের জন্য যেখানে বড় হয়েছেন, সেখান থেকে চলে গিয়েছেন, তারা আবার তাদের বাড়িতে বা মায়ের কাছে ও ছোটবেলার চার্চে ফেরত আসবেন। সেটা হবে খ্রিস্টান ধর্মের উৎসব লেন্টের চতুর্থ রোববারে।

সে সময় ১০ বছর বয়স হতেই কাজের জন্য বাড়ির বাইরে চলে যাওয়াটা খুবই স্বাভাবিক ছিল। তাই, এটা ছিল সবাই মিলে পরিবারের সঙ্গে আবারও দেখা করার ও একসঙ্গে সময় কাটানোর একটা সুযোগ ।

এভাবে ব্রিটেনে এটা মায়ের রোববার হয়ে উঠে। কিন্তু, যেহেতু লেন্টের তারিখ পরিবর্তিত হয়, তাই এই রোববারও আর নির্দিষ্ট থাকে না।

আধুনিক যুগে, মা দিবসের উৎপত্তি যুক্তরাষ্ট্র থেকে। সেখানে প্রতি বছরের মে মাসের ২য় রোববার পালিত হয় এ দিবসটি। যুক্তরাষ্ট্রের আনা জারভিস নামের এক নারী মায়েদের অনুপ্রাণিত করার মাধ্যমে দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে স্বাস্থ্য সচেতন করে তুলতে উদ্যোগী হয়েছিলেন।

১৯০৫ সালে আনা জারভিস মারা গেলে, তার মেয়ে আনা মারিয়া রিভস জারভিস মায়ের কাজকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য সচেষ্ট হন। ওই বছরই তিনি তার সান ডে স্কুলে প্রথম এ দিনটিকে মা দিবস হিসেবে পালন করেন।

১৯০৭ সালের এক রোববার আনা মারিয়া স্কুলের বক্তব্যে মায়ের জন্য একটি দিবসের গুরুত্ব ব্যাখ্যা করেন।

১৯১৪ সালের ৮ মে মার্কিন কংগ্রেস মে মাসের দ্বিতীয় রোববারকে মা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। এভাবেই শুরু হয় মা দিবসের যাত্রা।

এরই ধারাবাহিকতায় আমেরিকার পাশাপাশি মা দিবস এখন বাংলাদেশসহ অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, কানাডা, চীন, রাশিয়া ও জার্মানসহ শতাধিক দেশে মর্যাদার সঙ্গে পালিত হচ্ছে।

১৯১৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট উড্রো উইলসন এ দিনটাকে সরকারি ছুটির দিন হিসেবে ঘোষণা করেন।

এরপর থেকে প্রতি বছরের মে মাসের দ্বিতীয় রোববার বেশিরভাগ জায়গায় মা দিবস পালিত হয়ে আসছে।

আজ রোববার মা দিবস। মা দিবসে মায়ের জন্য কিছু না কিছু করতে চান আমাদের দেশের সন্তানরাও। মাকে উপহার দেওয়ার পাশাপাশি মায়ের সঙ্গে একান্তে কিছু সময় কাটিয়ে ভালোবাসার প্রকাশ করেন তারা।


যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ায় ভারত ও পাকিস্তানের প্রশংসা করেছেন প্রধান উপদেষ্টা

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

তিনি গতকাল শনিবার রাতে এক বার্তায় লিখেছেন, ‘তাৎক্ষণিকভাবে যুদ্ধবিরতিতে এবং আলোচনায় যোগদানে সম্মত হওয়ায় আমি ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী এবং পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাই।’

প্রধান উপদেষ্টা কার্যকর মধ্যস্থতার জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী রুবিওর গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

তিনি বলেন, ‘কূটনীতির মাধ্যমে মতপার্থক্য নিরসনে বাংলাদেশ দুই প্রতিবেশী দেশের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখবে।’


বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত আ.লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ

আপডেটেড ১০ মে, ২০২৫ ২৩:১৮
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

গত বছরের জুলাই অগাস্টের আন্দোলনে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের রাজনীতি সাময়িক নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

আজ শনিবার রাতে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক থেকে এ সিদ্ধান্ত এসেছে।

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে গত দুদিন ধরে কর্মসূচি পালন করছে সদ্যগঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) বিভিন্ন দল ও সংগঠন।

এনসিপি গঠিত হওয়ার পর থেকেই ছাত্র জনতার আন্দোলনে হত্যাকাণ্ডসহ বিভিন্ন অপরাধের বিচার ও তার দায়ে আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়ে আসছিল।

বুধবার মধ্যরাতে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সময়ের সাবেক রাষ্ট্রপতি মো.আবদুল হামিদ থাইল্যান্ডে গেলে নতুন করে কর্মসূচি নেয় মাঠে নামে এনসিপি।

শনিবার রাতে এ নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসে উপদেষ্টা পরিষদ। বৈঠক শেষে সরকারের সিদ্ধান্তের কথা জানান উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও তার নেতাদের বিচার কার্যসম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা, জুলাই আন্দোলনের নেতাকর্মীদের নিরাপত্তা এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বাদী ও সাক্ষীদের সুরক্ষার জন্য সন্ত্রাস বিরোধী আইনের অধীনে সাইবার স্পেস-সহ আওয়ামি লীগ এর যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পরিপত্র পরবর্তী কর্মদিবসে জারি করা হবে।

আসিফ নজরুল বলেন, উপদেষ্টা পরিষদের এক বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল আইনের সংশোধনী অনুমোদিত হয়েছে। সংশোধনী অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল কোনও রাজনৈতিক দল, তার অঙ্গসংগঠন বা সমর্থক গোষ্ঠীকে শাস্তি দিতে পারবে।

তিনি বলেন, আজকের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে জুলাই ঘোষণাপত্র আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে চূড়ান্ত করে প্রকাশ করার সিদ্ধান্তও গৃহীত হয়েছে।


দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত আরও ৪৭, মৃত্যু নেই

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে শুক্রবার (৯ মে) সকাল থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় দেশে কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি। এ সময়ে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৪৭ জন।

শনিবার (১০ মে) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ অ্যান্ড ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

বিজ্ঞপ্তি থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি ভর্তি হয়েছে ৪৭ জন। নতুন আক্রান্তের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১৮ জন। আর ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে আরও ২৯ জন।

বিজ্ঞপ্তি থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে, চলতি বছর আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে ৬০ দশমিক ৪ শতাংশ পুরুষ এবং ৪০ দশমিক ৬ শতাংশ নারী।

বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ১০ মে পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন মোট ২ হাজার ৯৭২ জন। এর মধ্যে ৬০ দশমিক ৪ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৯ দশমিক ৬ শতাংশ নারী।


আবদুল হামিদের দেশত্যাগে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
unb

সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের দেশত্যাগের ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করতে ইতোমধ্যে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি বলেছেন, ‘কমিটি তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেবে। প্রতিবেদন অনুযায়ী যারা এ ঘটনায় দায়ী বা দোষী সাব্যস্ত হবে, তাদের সবার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

শনিবার (১০ মে) দুপুরে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ও ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এসব কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আবদুল হামিদের দেশত্যাগের ঘটনায় ইতোমধ্যে কয়েকজনকে সাসপেন্ড (বরখাস্ত) করা হয়েছে এবং কাউকে অ্যাটাচ করা হয়েছে। যেহেতু এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে, কমিটি পুঙ্খানুপুঙ্খ দেখে ব্যবস্থা নেবে। যারা দোষী তাদের শাস্তি পেতেই হবে।’

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরানোর বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়ায় কাজ করছে ইন্টারপোল।’

উপদেষ্টা বলেন, ‘আমার আজকের বিমানবন্দর পরিদর্শনের মূল উদ্দেশ্য ছিল বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া কীভাবে সম্পন্ন হয়, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানা। ২০১১ সালের পর থেকে আমার ইমিগ্রেশন ক্রস করা হয়নি। তাই ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়ার আপডেট জানতে এ পরিদর্শন।’

তিনি বলেন, ‘বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া আগের চেয়ে অনেক উন্নত ও যুগোপযোগী হয়েছে। এ উন্নতির ধারা যেন অব্যাহত থাকে, এই আশা করছি।’

পরিদর্শনকালে উপদেষ্টা ইমিগ্রেশনের জন্য অপেক্ষারত যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের খোঁজখবর নেন ও বিভিন্ন সমস্যার কথা শোনেন। তিনি সেসব বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ইমিগ্রেশনে দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের তাৎক্ষণিক নির্দেশ দেন।


যমুনা ও সচিবালয় এলাকায় সভা-সমাবেশ ও গণজমায়েত নিষিদ্ধ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
unb

বাংলাদেশ সচিবালয় এবং প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনা ও আশপাশের এলাকায় যেকোনো সভা, সমাবেশ, গণজমায়েত, মিছিল ও শোভাযাত্রা নিষিদ্ধ করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।

শনিবার (১০ মে) দুপুরে ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলীর সই করা এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জনশৃঙ্খলা ও প্রধান উপদেষ্টার নিরাপত্তা রক্ষার্থে বাংলাদেশ সচিবালয় এবং প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় (হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়, কাকরাইল মসজিদ মোড়, অফিসার্স ক্লাব মোড়, মিন্টু রোড) যেকোনো প্রকার সভা-সমাবেশ, গণজমায়েত, মিছিল ও শোভাযাত্রা নিষিদ্ধ করা হলো।

পুলিশ অধ্যাদেশ ১৯৭৬ এর ২৯ ধারায় বর্ণিত অর্পিত ক্ষমতাবলে আজ (শনিবার) থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই আদেশ বহাল থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


মুস্তাফা জামান আব্বাসীর মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

বরেণ্য সংগীতশিল্পী, গবেষক ও লেখক মুস্তাফা জামান আব্বাসীর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।

শনিবার এক শোকবার্তায় মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, একুশে পদকপ্রাপ্ত এই গুণী শিল্পী বাংলাদেশের সংগীত জগতে যে অবদান রেখেছেন তা চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।

প্রধান উপদেষ্টা মুস্তাফা জামান আব্বাসীর আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “উপমহাদেশের খ্যাতনামা সংগীত পরিবারে জন্ম নেয়া বহুমাত্রিক প্রতিভার অধিকারী এই শিল্পীর গান ও গবেষণা বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে নিত্যনতুন চিন্তা ও সৃষ্টির খোরাক জোগাবে।”

প্রসঙ্গত, মুস্তাফা জামান আব্বাসী ৮৭ বছর বয়স আজ সকালে মৃত্যুবরণ করেন।


শেখ হাসিনাকে ফেরাতে ইন্টারপোলের মাধ্যমে চেষ্টা চলছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

শনিবার (১০ মে) হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন ব্যবস্থা পরিদর্শন করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
unb

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেরাতে ইন্টারপোলের মাধ্যমে চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী ।

শনিবার (১০ মে) সকালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘শেখ হাসিনাকে ফেরাতে সবসময়ই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। তবে, ইন্টারপোল তো আমার কথা অনুযায়ী কাজ করবে না! এক্ষেত্রে তারা (ইন্টারপোল) তাদের আইন-কানুন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে।’

এসময় সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের দেশত্যাগের ঘটনা প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেছেন, ‘প্রাথমিকভাবে কয়েকজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ঘটনার তদন্তে একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে।’

‘তিন কার্যদিবসের মধ্যে কমিটিকে তদন্ত রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। রিপোর্টে আরও কারও সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে, তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে,’ যোগ করেন তিনি।

উপদেষ্টা বলেন, ‘আব্দুল হামিদের দেশত্যাগের নিষেধাজ্ঞা চেয়ে জেলা ডিএসবির আবেদনের বিষয়টি আমার জানা নেই।’

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘দাবি-দাওয়ার বিষয়ে রাস্তায় আন্দোলন করলে জনদুর্ভোগ হয়। এ বিষয়টি মাথায় রেখে রাস্তা ছেড়ে অন্য কোথাও আন্দোলন করলে ভালো হয়।’

এ ব্যাপারে জনগণকে সতর্ক করার জন্য সাংবাদিকদের সাহায্য চান উপদেষ্টা।

গতকাল (শুক্রবার) যমুনার সামনে ছিলেন আন্দোলনকারীরা। পরে বলার পর তারা শাহবাগে গেছেন। সেখানেও দুর্ভোগ হচ্ছে। তবে তারা ইমার্জেন্সিগুলো দেখছেন,’ বলেন জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।


banner close