রোববার, ৪ মে ২০২৫
২০ বৈশাখ ১৪৩২

রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ৪৭

ফাইল ছবি
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত : ১০ মে, ২০২৩ ১৭:৩৫

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে ২৪ ঘণ্ডায় মাদক বিক্রি ও সেবনের অভিযোগে ৪৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। এসময় তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়।

গত মঙ্গলবার ভোর ৬টা থেকে বুধবার ভোর ৬টা পর্যন্ত এসব অভিযান চালায় ডিএমপির বিভিন্ন অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ।

ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপ কমিশনার (ডিসি) মো. ফারুক হোসেন জানান, নিয়মিত মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে এই অভিযান চালানো হয়। অভিযানে মাদক বিক্রি ও সেবনের অপরাধে ৪৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে ১ হাজার ৯১০ পিস ইয়াবা, ৬৭ কেজি ৮০০ গ্রাম গাঁজা, ৭৫৭ দশমিক ২ গ্রাম (৪৯৫ পুরিয়া) হেরোইন, ২৬টি নেশাজাতীয় ইনজেকশন ও ১৫২ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ৪০টি মামলা করা হয়েছে।


কাতার আমিরের এয়ার এম্বুলেন্সে দেশে ফিরবেন খালেদা জিয়া

বিএনপি’র চেয়ারপারর্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে পুত্রবধূ ডা. জোবাইদা রহমান। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

বাংলাদেশ বিমানে নয়, কাতারের আমিরের দেওয়া এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকা ফিরবেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারর্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া।

বেগম জিয়া আগামী ৫ মে লন্ডন থেকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাবেন বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

আজ শনিবার সন্ধ্যায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক যৌথ সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানিয়েছেন। বেগম খলেদা জিয়া সঙ্গে তার দুই পুত্রবধূ ডা. জোবাইদা রহমান ও শর্মিলা রহমানও আসবেন।

সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, 'ম্যাডাম খালেদা জিয়া লন্ডনে চার মাস চিকিৎসা নিয়েছেন। আল্লাহর অশেষ রহমতে দেশনেত্রী এখন আগের চাইতে অনেক সুস্থ বোধ করছেন। সে কারণে তিনি এখন দেশে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।'

বিএনপির মহাসচিব বলেন, 'আমরা আশা করছি আগামী ৫ মে বেগম খালেদা জিয়া একটি বিশেষ বিমানে, আমরা যেটা আশা করছিলাম যে বিমানে তিনি গেছেন; অর্থাৎ কাতারের রয়েল এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে দেশে ফিরে আসবেন। '

তিনি বলেন, 'সময়টা আমরা নিশ্চিত করে বলতে পারছি না। কারণ এই সময়টা নির্ভর করবে বিভিন্ন দেশের উপরে। এটা আমরা যখনই নিশ্চিত হব, আমরা আবার গণমাধ্যমের মাধ্যমে সে তথ্য জনগণের কাছে পৌঁছে দেব।'

নেতাকর্মী ও দেশের সাধারণ মানুষদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের নেত্রী দেশে ফিরে আসবেন। স্বাভাবিকভাবেই আমাদের মধ্যে আবেগ আছে। প্রতিটি দেশপ্রেমিক মানুষ অত্যন্ত উচ্ছ্বসিত-উজ্জীবিত যে তাদের প্রিয় নেত্রী দেশে ফিরে আসবেন। তাকে অভ্যর্থনা জানানো আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। শুধু বিএনপি নয়, সারা দেশের মানুষ তাকে অভ্যর্থনা জানাতে প্রস্তুত হয়ে আছে।

তিনি আরও বলেন, দলীয় নেতা-কর্মীদের কাছে আমাদের আবেদন থাকবে, তারা অত্যন্ত শৃঙ্খলা সহকারে রাস্তার দুই ধারে কোনো যানজট যেনো সৃষ্টি না করে এই মহান নেত্রীকে অভ্যর্থনা জানাবেন। আমরা পরামর্শ দিয়েছি এক হাতে জাতীয় পতাকা, আরেক হাতে দলীয় পতাকা নিয়ে আমরা তাকে অভ্যর্থনা জানাবো।

জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, 'সবার কাছে আহ্বান থাকবে তিনি আসার পরে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে পথটিতে যেনো তারা যাওয়ার চেষ্টা করেন। অর্থাৎ বিমানবন্দর থেকে কাকলি পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেস ওয়েতে যেন তারা অবস্থান নেন। নিচের সড়ক বাদ দিয়ে। আমার বিশ্বাস জনগণ আমাদেরকে সহযোগিতা করবেন এবং তাদের নেতৃকে অভ্যর্থনে জানাবেন।'

বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, এশিয়া মহাদেশের নারী নেত্রীদের মধ্যে যে দুই একজন সবচেয়ে বেশি ত্যাগ স্বীকার করেছেন গণতন্ত্রের জন্য এবং সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত হয়েছেন, কারা নির্যাতিত হয়েছেন, তাদের মধ্যে অন্যতম আমাদের দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। তিনি কখনোই অন্যায়ের কাছে বিশেষ করে ফ্যাসিবাদের কাছে মাথা নত করেননি।

তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে তার স্বামী শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান যখন স্বাধীনতার ঘোষণা করেন তখন তার দুই শিশু পুত্রের হাত ধরে ঢাকায় চলে এসেছিলেন। ঢাকায় এসেই তিনি পাক সেনাদের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন। দীর্ঘ নয় মাস পাক সেনানিবাসে বন্দী ছিলেন। এই মহীয়সী অকুতোভয় নেত্রী যিনি স্বাধীনতার সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে কখনোই আপোষ করেননি, যিনি গণতন্ত্রের প্রশ্ন কখনোই আপোষ করেননি সেই নেত্রী ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের মিথ্যা মামলায় কারাগারে পাঠিয়ে অত্যন্ত অসুস্থ অবস্থায় বাংলাদেশের চিকিৎসা করেন।

পরবর্তীকালে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর তিনি যুক্তরাজ্য গিয়ে চিকিৎসা নেন। তার মত এমন ত্যাগ স্বীকার করা নারী নেত্রী চোখে পড়েনি। তিনি আমাদের কাছে শুধু প্রিয়ই নন, তিনি আমাদের বড় সম্পদ।

মির্জা ফখরুল বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া দেশের মানুষের কাছে তাদের অধিকার আদায়ের লড়াইয়ে, গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে স্বাধীনতা রক্ষার ক্ষেত্রে, তিনি ছিলেন আমাদের আলোকবর্তিকা। যাকে সামনে রেখে আমরা সব সময় লড়াই সংগ্রাম করি।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি আহবায়ক আমিনুল হক ও বিএনপি চেয়ারপার্সন একান্ত সচিব এ বি এম আব্দুস সাত্তার, নিরাপত্তা সমন্নয়ক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম সামছুল রহমানসহ অঙ্গ সংগঠন নেতৃবৃন্দ


যৌথবাহিনীর অভিযানে ৭ দিনে আটক ২৫৯

বরিশাল অঞ্চলে অসামরিক প্রশাসনকে সহায়তার নিমিত্তে 'ইন এইড টু দি সিভিল পাওয়ার' এর আওতায় ৭ পদাতিক ডিভিশনের মোতায়েনরত সেনাসদস্যগণ দায়িত্ব পালন করেন। ছবি: আইএসপিআর
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

সারা দেশে যৌথবাহিনীর অভিযানে গত ২৪ এপ্রিল থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ৭দিনে ২৫৯ জনকে আটক করা হয়েছে। আজ শনিবার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এত বলা হয়, দেশের চলমান পরিস্থিতিতে আইনশৃখঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখার লক্ষে দেশব্যাপী পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। এরই ধারাবাহিকতায়, গত ২৪ এপ্রিল থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিভিন্ন পদাতিক ডিভিশন ও স্বতন্ত্র ব্রিগেডের অধীন ইউনিটগুলো অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বয়ে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বেশকিছু যৌথ অভিযান পরিচালনা করে।
এ সব অভিযানে হত্যা মামলার আসামি, অবৈধ অস্ত্রধারী, তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী, অপহরণকারী, ধর্ষক, প্রতারণাকারী, চোরাকারবারী, কিশোর গ্যাং সদস্য, মাদক ব্যবসায়ী, মাদকাসক্ত এবং দালালচক্রের সদস্যসহ মোট ২৫৯ জন অপরাধীকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার অপরাধীদের কাছ থেকে ১১টি অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র, ৫৪টি বিভিন্ন ধরনের গোলাবারুদ, হাত বোমা, ককটেল, বিভিন্ন মাদকদ্রব্য, সন্ত্রাসী কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন প্রকার দেশীয় অস্ত্র, চোরাই মোটরসাইকেল, চোরাই মোবাইল ফোন, পাসপোর্ট, অবৈধ অষুধ ও নগদ অর্থ উদ্ধার করা হয়। আটকদের প্রয়োজনীয় জিজ্ঞাসাবাদ এবং আইনি কার্যক্রম সম্পন্নের জন্য সংশ্লিষ্ট এলাকার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
এছাড়াও, দেশব্যাপী জনসাধারণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনী বিভিন্ন এলাকায় টহল ও নিরাপত্তা কার্যক্রম পরিচালনা করেছে। শিল্পাঞ্চলে বেতন-বোনাসসহ বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে চলমান অস্থিরতা প্রশমনে গার্মেন্টস মালিক ও শ্রমিকদের মধ্যে গঠনমূলক মতবিনিময় ও সমঝোতার ব্যবস্থা করে সেনাবাহিনী।
দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এ ধরনের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। সাধারণ জনগণকে যেকোন সন্দেহজনক কার্যকলাপের বিষয়ে নিকটস্থ সেনা ক্যাম্পে তথ্য প্রদান করার জন্য বিজ্ঞপ্তিতে অনুরোধ জানানো হয়।


আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় হাইকোর্টের রায় প্রকাশ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় বিচারিক আদালতের মৃত্যুদণ্ড ও যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল রেখে হাইকোর্টের দেয়া পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়েছে।

আসামী পক্ষের আইনজীবী আজিজুর রহমান দুলু আজ বাসসকে জানান, তিনি ১৩১ পৃষ্ঠার রায়ের সত্যায়িত অনুলিপি তিনি হাতে পেয়েছেন।

আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের আপিল শুনানি শেষে গত ১৬ মার্চ হাইকোর্ট রায় ঘোষণা করেন। সে রায়ে বিচারিক আদালতের দেয়া ২০ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং পাঁচজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হাইকোর্ট বহাল রাখেন।

হাইকোর্ট যাদের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন তারা হলেন, মেহেদী হাসান রাসেল, মো. অনিক সরকার, মেহেদী হাসান রবিন, ইফতি মোশাররফ সকাল, মো. মনিরুজ্জামান মনির, মো. মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন, মো. মাজেদুর রহমান মাজেদ, মো. মুজাহিদুর রহমান, খন্দকার তাবাককারুল ইসলাম তানভীর, হোসাইন মোহাম্মদ তোহা, মো. শামীম বিল্লাহ, এ এস এম নাজমুস সাদাত, মোর্শেদ অমর্ত্য ইসলাম, মুনতাসির আল জেমি, মো. শামসুল আরেফিন রাফাত, মো. মিজানুর রহমান, এস এম মাহমুদ সেতু, মোর্শেদ-উজ-জামান মণ্ডল জিসান, এহতেশামুল রাব্বি তানিম ও মুজতবা রাফিদ।

হাইকোর্ট যে পাঁচজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল রেখেছেন তারা হলেন, মুহতাসিম ফুয়াদ হোসেন, মো. আকাশ হোসেন, মুয়াজ আবু হুরায়রা, অমিত সাহা ও ইশতিয়াক আহমেদ মুন্না।

হাইকোর্টে এই মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. জসিম সরকার, খন্দকার বাহার রুমি, নূর মুহাম্মদ আজমী, রাসেল আহম্মেদ এবং সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আব্দুল জব্বার জুয়েল, লাবনী আক্তার, তানভীর প্রধান ও সুমাইয়া বিনতে আজিজ। আসামিপক্ষে শুনানিতে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী এস এম শাহজাহান, আজিজুর রহমান দুলু, মাসুদ হাসান চৌধুরী, মোহাম্মদ শিশির মনির।

২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর দিবাগত রাতে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শেরেবাংলা হলে ছাত্রলীগের একদল নেতা-কর্মীর বর্বরোচিত ও নির্মম নির্যাতনে নিহত হন আবরার ফাহাদ। বুয়েটের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিকস প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন আবরার। এ হত্যাকাণ্ডে সারাদেশের ছাত্র সমাজ ফুঁসে ওঠে এবং বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ ব্যাপক প্রতিবাদ ও প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করে। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংগঠন এ নির্মমতার বিরুদ্ধে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া জানায়।

২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর আবরার হত্যা মামলায় ২০ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন ঢাকার আদালত। এরপর ২০২২ সালের ৬ জানুয়ারি আবরার হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্তদের ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে আসে। অন্যদিকে, আসামিরা রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন। এক পর্যায়ে গত বছর ৭ অক্টোবর অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান এই মামলায় দ্রুত পেপারবুক তৈরি করে হাইকোর্টে আপিল শুনানির উদ্যোগ নেন। সে ধারাবাহিকতায় হাইকোর্টে ডেথ রেফারেন্স ও আপিল শুনানি শেষে রায় দেন হাইকোর্ট।

আবরার ফাহাদ ১৯৯৮ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি কুষ্টিয়ার কুমারখালীর রাধানগর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা বরকত উল্লাহ ব্যাংকার। আর মা রোকেয়া খাতুন একজন গৃহিণী। কুষ্টিয়া মিশন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আবরার আনুষ্ঠানিক শিক্ষা শুরু করেন এবং পরে কুষ্টিয়া জেলা স্কুলে ভর্তি হন তিনি। সেখান থেকে কৃতিত্বের সাথে এসএসসি পাস করে ঢাকার নটরডেম কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়ে এইচএসসি কৃতিত্বের সাথে পাস করেন।

আবরার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজসহ বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পান। তার মায়ের ইচ্ছা ছিল ছেলে চিকিৎসাবিদ্যায় পড়ুক, তবুও আবরার ইঞ্জিনিয়ারিং বেছে নেন এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) এর ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগে ভর্তি হন। তিনি বুয়েট এনার্জি ক্লাবসহ বেশ কয়েকটি ক্লাবের সাথে জড়িত ছিলেন।


ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিয়ে দেশ পরিচালনার সুযোগ কাজে লাগাতে হবে

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেছেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের অভিজ্ঞতার আলোকে ইতিহাসের ভুলত্রুটি থেকে শিক্ষা নিয়ে বাংলাদেশকে শান্তি ও সমৃদ্ধির পথে পরিচালনা এবং দেশকে ঢেলে সাজানোর একটি দুর্লভ ও সুবর্ণ সুযোগ এসেছে। এই সুযোগ কাজে লাগাতে প্রয়োজন সম্মিলিত প্রচেষ্টা।

তিনি আরও বলেন, নতুন বাংলাদেশে গণমানুষের যে আশা-আকাঙ্ক্ষা সৃষ্টি হয়েছে, তা বাস্তবায়ন করতে না পারলে জাতি হিসেবে আমরা পিছিয়ে পড়ব।

গতকাল শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে বাংলাদেশ ইতিহাস পরিষদের দুই দিনব্যাপী ১৪তম দ্বিবার্ষিক আন্তর্জাতিক ইতিহাস সম্মেলন ও সাধারণ সভার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করে বলেন, ‘সব রাজনৈতিক বিভাজন ভুলে এই বিশ্ববিদ্যালয়কে সর্বজনীন ও জাতীয় প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।’

বাংলাদেশ ইতিহাস পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইব্রাহিমের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। বাংলা একাডেমির সভাপতি অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ইতিহাস পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. আবদুল বাছির। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন পরিষদের যুগ্মসম্পাদক অধ্যাপক ড. সুরাইয়া আক্তার। যুগ্ম-সম্পাদক অধ্যাপক ড. এ কে এম খাদেমুল হক অনুষ্ঠানটি সঞ্চালন করেন।

ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর বিচার বিভাগের প্রতি জনগণের হারানো আস্থা ফিরিয়ে আনতে ইতোমধ্যে বিচার বিভাগ সংস্কারের রোডম্যাপ ঘোষণা করেছি। দেশে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা এবং বিচার বিভাগকে ঢেলে সাজানোর লক্ষ্যে এই রোডম্যাপ বাস্তবায়নে আমরা প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছি। বিচারপ্রার্থী ও সংশ্লিষ্টরা ইতোমধ্যে এর সুফল পেতে শুরু করেছেন।’

উচ্চ আদালতে বিচারক নিয়োগে ইতোমধ্যে অধ্যাদেশ প্রণীত হয়েছে উল্লেখ করে প্রধান বিচারপতি বলেন, এই অধ্যাদেশের বিধান অনুসারে সম্পূর্ণ স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় সুপ্রীম জুডিশিয়াল এপয়েন্টমেন্ট কাউন্সিলের মাধ্যমে আপিল বিভাগে বিচারপতি নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া, উচ্চ আদালতে বিচারক অপসারণে সুপ্রীম জুডিশিয়াল কাউন্সিল পুনরুজ্জীবিত করা হয়েছে। ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা ও বিচার প্রক্রিয়া সহজীকরণের বার্তা নিয়ে আমাদের বিভিন্ন কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ইতিহাস যে কোন জাতির আত্মপরিচয়ের ধারক। একটি জাতির অতীতের চেতনা, সফলতা ও আত্মত্যাগ সবকিছু ইতিহাসের পাতায় লিপিবদ্ধ থাকে। একারণে ইতিহাস আমাদের পথচলার দিকনির্দেশক ও ভবিষ্যত নির্মাণের প্রেরণা।

প্রধান বিচারপতি বলেন, ইতিহাস শুধুমাত্র বইয়ের পাতায় সীমাবদ্ধ নয়, ইতিহাস ছড়িয়ে আছে সংগ্রহশালায়, দলিলে, পুরাতাত্ত্বিক নিদর্শনে, স্থাপত্যে, বিভিন্ন গ্রন্থে ও স্মারকে। ইতিহাসের মূল্যবান উপকরণ সংরক্ষণ শুধুমাত্র ইতিহাসবিদদের একার কাজ নয়। এক্ষেত্রে আমাদের নাগরিক দায়িত্ব রয়েছে। সমষ্টিগতভাবে এই দায়িত্ব পালনে আমরা ব্যর্থ হলে অনেক ঐতিহাসিক দলিল, নিদর্শন ও স্মারক সম্পূর্ণরূপে হারিয়ে যাবে। তাই ইতিহাস সংরক্ষণে প্রত্যেক সচেতন নাগরিককে নিজ নিজ অবস্থান থেকে ভূমিকা রাখতে হবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান ইতিহাসের মূল্যবান উপকরণসমূহ সাধারণ মানুষের বোধগম্য করতে মাতৃভাষায় ইতিহাস চর্চার উপর গুরুত্বারোপ করেন।

তিনি বলেন, তত্ত্ব ও বাস্তবতার মেলবন্ধন ঘটানোর লক্ষ্যে আমরা একাডেমিয়া ও পেশাজীবীদের মধ্যে সম্পর্ক জিইয়ে রাখতে চাই। আমরা সমাজের সকল অংশীজনকে সঙ্গে নিয়ে একটি সম্মিলিত প্ল্যাটফর্ম তৈরির মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে জাতীয় প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে চাই। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বনির্ভরতা অর্জন ও সামগ্রিক উন্নয়নে এই সর্বজনীন প্ল্যাটফর্মে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার জন্য তিনি সকলের প্রতি আহ্বান জানান।

১৪৩০ ও ১৪৩১ বাংলা বর্ষে ইতিহাস বিষয়ে প্রকাশিত সেরা গ্রন্থের জন্য ৩ জনকে ‘বাংলাদেশ ইতিহাস পরিষদ পুস্তক সম্মাননা’ প্রদান করা হয়। সম্মাননা প্রাপ্তরা হলেন- চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ বশির আহম্মেদ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক এটিএম রফিকুল ইসলাম এবং বাংলা একাডেমির কর্মকর্তা মামুন সিদ্দিকী।

দুই দিনব্যাপী সম্মেলনের ১৮টি পর্বে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও গবেষকগণ ইতিহাস বিষয়ক প্রায় ১’শটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন।


গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সূচকে ভারতের চেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

বিশ্ব সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা সূচকে গত বছরের তুলনায় ১৬ ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। তবে সূচকে এবারও বাংলাদেশে স্বাধীন সাংবাদিকতার পরিস্থিতি বেশ ‌‌‘গুরুতর’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস (আরএসএফ) ২০২৫ সালের সূচকে এই তথ্য প্রকাশ করেছে।

৩৩.৭১ স্কোর নিয়ে ১৮০টি দেশের মধ্যে সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ১৪৯তম। ২০২৪ সালের সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১৬৫তম, এর আগের বছর ছিল ১৬৩তম। ২০১৮ সালের পর এই প্রথম সূচকে ১৫০-এর ভেতর অবস্থান করছে বাংলাদেশ।

আরএসএফের এ বছরের সূচকে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ভারতের অবস্থান ১৫১তম, পাকিস্তানের ১৫৮তম ও ভুটানের ১৫২তম। সূচকে এই তিনটি দেশ বাংলাদেশের চেয়ে পিছিয়ে আছে। তবে নেপাল (৯০তম), শ্রীলঙ্কা (১৩৯তম) ও মালদ্বীপ (১০৪তম) বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে আছে।

২৩ বছর ধরে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে বার্ষিক সূচক প্রকাশ করে আসছে প্রতিষ্ঠানটি। প্রতিষ্ঠানটি মনে করে, এবার সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা সর্বনিম্ন অবস্থানে পৌঁছেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, সূচকের ইতিহাসে প্রথমবার বিশ্বের অর্ধেক দেশের জন্য সাংবাদিকতার অনুকূল পরিবেশ ‘খারাপ’ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। এক-চতুর্থাংশেরও কম দেশে পরিস্থিতি সন্তোষজনক।

সূচকে ২০২৪ সালে ১১ ধাপ পেছানোর পর এ বছর আরও দুই ধাপ পিছিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ৫৭তম স্থানে অবস্থান করছে। এই সূচকে দেশটির অবস্থান এখন পশ্চিম আফ্রিকার যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ সিয়েরা লিওনেরও নিচে।

আরএসএফের মতে, দ্বিতীয় দফায় প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতায় আশঙ্কাজনক অবনতি ঘটিয়েছেন, যা দেশটিতে স্বৈরাচারী মোড়ের ইঙ্গিত দেয়। টানা নবমবারের মতো সূচকের শীর্ষে আছে নরওয়ে। এবার দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে দখল করেছে এস্তোনিয়া ও নেদারল্যান্ডস।


খুবি শিক্ষকের উপর ছাত্রের হামলা, প্রতিবাদে মধ্যরাতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
unb

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) ইতিহাস ও সভ্যতা বিভাগের প্রভাষক ও সহকারী ছাত্র বিষয়ক পরিচালক হাসান মাহমুদ সাকির উপর হামলা করেছেন সাবেক এক শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় মধ্যরাতে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেছেন খুবির সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

শুক্রবার (০২ মে) রাত ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
হামলাকারী ওই শিক্ষার্থীর নাম আবদুল্লাহ নোমান। তিনি বাংলা বিভাগের ২০১৮ ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন।

এ হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন শিক্ষক সাকি। তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তবে হামলার কারণ তাৎক্ষণিকভাবে জানা সম্ভব হয়নি।

এদিকে, শিক্ষকের ওপর হামলার প্রতিবাদে গভীর রাতে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির সাধারণ শিক্ষার্থীরা। হামলাকারী নোমানকে ক্যাম্পাসে আজীবনের জন্য অবাঞ্চিত ঘোষণা করেছেন তারা। তাকে দ্রুত শাস্তির আওতায় আনার দাবিও জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

এদিকে রাত ১টার দিকে ছাত্রদের বিক্ষোভ মিছিল শেষে সমাবেশে একাত্মতা প্রকাশ করে বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক রেজাউল করিম। শিক্ষকের ওপর শিক্ষার্থীর হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন তিনি।

তিনি ইউএনবি কে বলেন, ‘আমি নির্বাক। শিক্ষকের গায়ে হাত তোলা একটি নিকৃষ্ট ও গর্হিত কাজ। যা কখনও চিন্তা করা যায় না। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৫ বছর ইতিহাসে এ ধরনের জঘন্যতম ঘটনা একটিও ঘটেনি।’

উপাচার্য আরও বলেন, একজন শিক্ষক লাঞ্ছিত করা মানে পুরো শিক্ষক সমাজকেই লাঞ্ছিত করা। হামলাকারীকে শাস্তির আওতায় আনার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সচেষ্ট থাকবে।


জাতীয় ঐকমত্য তৈরির মাধ্যমে একটি জাতীয় সনদ তৈরি করাই লক্ষ্য : অধ্যাপক আলী রীয়াজ

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ শনিবার জাতীয় সংসদের এলডি হলে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সঙ্গে সংলাপে সূচনা বক্তৃতা করেন। ছবি : পিআইডি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, গণতন্ত্র পূর্ণ প্রতিষ্ঠায় আমাদের লক্ষ্য সুনির্দিষ্ট। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জাতীয় ঐকমত্য তৈরি করার মাধ্যমে একটি জাতীয় সনদ তৈরি করা।

জাতীয় সংসদের এলডি হলে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সঙ্গে সংলাপের সূচনা বক্তৃতায় তিনি আজ এ কথা বলেন।

আলী রিয়াজ আশা প্রকাশ করে বলেন, রাষ্ট্র পুনর্গঠন ও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য রাজনৈতিক দল ও জোটগুলো নিজ নিজ অবস্থান থেকে ছাড় দেবে।

তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, বিভিন্ন রকম আদর্শিক অবস্থান থেকে তাদের মতামত দিয়েছেন। আমরা আশা করি জাতীয় স্বার্থে, রাষ্ট্র পুনর্গঠনের প্রশ্নে, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য প্রত্যেকটা দল ও জোট কিছুটা ছাড় দিতে প্রস্তুত থাকবেন। কারণ আমরা সকলে মিলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র পুনর্গঠন, বিনির্মাণের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

আলী রিয়াজ বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে যে জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে জাতি ও রাষ্ট্র হিসেবে অগ্রসর হওয়ার জন্য তা অত্যন্ত প্রয়োজন।

তিনি বলেন, ‘আমাদের এক জায়গায় আসতে হবে। এর অর্থ এ নয় যে সব বিষয়ে আমরা একমত হতে পারব। কিন্তু যেগুলো রাষ্ট্র বিনির্মাণে, পুনর্গঠনে এবং গণতান্ত্রিক ও জবাবদিহি ব্যবস্থা তৈরির জন্য প্রয়োজন সেখানে আশা করি একমত হতে পারব। সেটাই জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের চেষ্টা।’

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের ১৬৬ প্রস্তাবের মধ্যে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট (এনপিপি) ১১২টায় একমত, ২৬টায় একমত নয় এবং ২৮ টায় আংশিক একমত হয়েছে বলে জানান জোটের চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদ।

বৈঠকে ফরিদুজ্জামান ফরহাদের নেতৃত্বে জোটের ১১ জন নেতা আজ সংলাপে অংশ নিয়েছেন।

ফরিদুজ্জামান ফরহাদ বলেন, একটা অনির্বাচিত সরকার যদি দীর্ঘসময় থাকে এটা বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি করে।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের উদ্দেশে ফরিদুজ্জামান ফরহাদ
বলেন, ‘আপনি এমন একটা ভোটের ব্যবস্থা করে দেন যাতে মানুষ বলতে পারে দীর্ঘ পনেরো বছর পর আমরা এমন একটা ভোট দেখতে পেরেছি।’

তিনি বলেন, দেশের মানুষ যেন বলতে পারে ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করে সরকার গঠন করতে পেরেছি।

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারের সঞ্চালনায় বৈঠক উপস্থিত ছিলেন ঐকমত্য কমিশনের সদস্য সফর রাজ হোসেন, ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. ইফতেখারুজ্জামান।

সংস্কার কমিশন সমূহের সুপারিশ বিবেচনা ও গ্রহণের লক্ষ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার অনুমোদনক্রমে ‘জাতীয় ঐকমত্য কমিশন’ গঠন করা হয় গত ১২ ফেব্রুয়ারি। সাত সদস্য বিশিষ্ট এই কমিশনের নেতৃত্বে রয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় এ কমিশনকে সাচিবিক সহায়তা প্রদান করছে।


বন্ধ হয়ে যাচ্ছে স্কাইপে

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ৩ মে, ২০২৫ ১৪:০৩
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

একসময়ের জনপ্রিয় যোগাযোগমাধ্যম স্কাইপে বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে মাইক্রোসফট। আগামী ৫ মে ২০২৫ থেকে স্কাইপে আর ব্যবহার করা যাবে না। প্রতিষ্ঠানটি তাদের নতুন পরিকল্পনার অংশ হিসেবে মাইক্রোসফট টিমসকে মূল যোগাযোগ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে সামনে আনতে চায়।

এক ব্লগ পোস্টে মাইক্রোসফট জানিয়েছে, ‘ব্যবহারকারীদের আরও আধুনিক ও কার্যকর যোগাযোগের অভিজ্ঞতা দিতে স্কাইপে বন্ধ করে টিমসকে পুরোপুরি অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।’ আগামী তিন মাসের মধ্যে ধাপে ধাপে স্কাইপে ব্যবহারকারীদের টিমসে স্থানান্তর করা হবে। মাইক্রোসফট জানায়, স্কাইপে বন্ধ হয়ে গেলেও ব্যবহারকারীরা তাদের আগের সব সুবিধা টিমসের মাধ্যমেই পাবেন। স্থানান্তরের প্রক্রিয়া সহজ করতে স্কাইপের বর্তমান ব্যবহারকারীরা তাদের অ্যাকাউন্টের তথ্য দিয়েই মাইক্রোসফট টিমসে বিনা খরচে লগইন করতে পারবেন। এতে আগের মতোই ব্যক্তিগত ও গ্রুপ কল, বার্তা আদান-প্রদান, ফাইল শেয়ারিংসহ অন্যান্য সুবিধা পাওয়া যাবে।

মাইক্রোসফটের ভাষ্য, ‘টিমসে লগইন করলেই স্কাইপের আগের সব চ্যাট ও কন্ট্যাক্ট স্বয়ংক্রিয়ভাবে স্থানান্তর হয়ে যাবে। ফলে ব্যবহারকারীরা আগের মতোই নিরবচ্ছিন্নভাবে যোগাযোগ চালিয়ে যেতে পারবেন।’ স্কাইপে বন্ধ হওয়ার আগে ব্যবহারকারীদের সামনে দুটি বিকল্প রাখা হয়েছে। প্রথমত, স্কাইপের বর্তমান অ্যাকাউন্টের তথ্য ব্যবহার করে টিমসে লগইন করলেই আগের চ্যাট ও কন্ট্যাক্ট স্বয়ংক্রিয়ভাবে চলে আসবে। ফলে ব্যবহারকারীরা ঠিক আগের মতোই তাদের যোগাযোগ চালিয়ে যেতে পারবেন। দ্বিতীয়ত, যারা টিমসে যেতে চান না, তারা চাইলে স্কাইপের বার্তা, কন্ট্যাক্ট ও কলের হিস্ট্রির সব তথ্য ডাউনলোড করে সংরক্ষণ করতে পারবেন।

এ ছাড়া ৫ মে পর্যন্ত স্কাইপে ও টিমস একই সঙ্গে ব্যবহার করা যাবে। ব্যবহারকারীরা চাইলে টিমস অ্যাপ ডাউনলোড করে স্কাইপের অ্যাকাউন্ট দিয়ে লগইন করলেই আগের সব চ্যাট ও কন্ট্যাক্ট স্বয়ংক্রিয়ভাবে পেয়ে যাবেন।

মাইক্রোসফট নতুন ব্যবহারকারীদের জন্য স্কাইপে ক্রেডিট ও কলিং সাবস্ক্রিপশন সেবা বন্ধ করে দিচ্ছে। তবে যারা আগে থেকেই এসব সেবা ব্যবহার করছেন, তারা পরবর্তী মেয়াদ শুরুর আগ পর্যন্ত এসব সেবা ব্যবহারের সুযোগ পাবেন। এ ছাড়া ৫ মের পরও স্কাইপের পেইড ব্যবহারকারীরা স্কাইপে ওয়েব পোর্টাল বা মাইক্রোসফট টিমসের মাধ্যমে ‘স্কাইপে ডায়াল প্যাড’ ব্যবহার করতে পারবেন।

মাইক্রোসফটের ভাষ্য, স্কাইপে বন্ধ হলেও টিমস ব্যবহারকারীদের আরও আধুনিক ও উন্নত যোগাযোগের অভিজ্ঞতা দেবে। টিমসের বহুমুখী ফিচার স্কাইপের তুলনায় বেশি কার্যকর হবে। বিশ্বব্যাপী কয়েক কোটি মানুষ দুই দশক ধরে স্কাইপে ব্যবহার করে আসছেন। তবে গত কয়েক বছরে প্রতিদ্বন্দ্বী প্ল্যাটফর্মগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতায় স্কাইপে অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছে।


সরকারি সফরে কাতার গেছেন সেনাবাহিনী প্রধান

সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান সরকারি সফরে আজ কাতার গেছেন ।

সফরকালে তিনি কাতারের সামরিক ও বেসামরিক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ এবং সামরিক বাহিনী সংশ্লিষ্ট দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার লক্ষ্যে মতবিনিময় করবেন।

আইএসপিআরের পক্ষ থেকে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

সফর শেষে সেনাবাহিনী প্রধান আগামী ৫ মে দেশে ফিরে আসবেন।


দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে যাওয়ায় দুই ভারতীয়কে তুলে আনলেন স্থানীয়রা

বাংলাদেশি নাগরিকদের হাতে আটক দুই ভারতীয় নাগরিক। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

দিনাজপুরের বিরল উপজেলার ধর্মপুর সীমান্ত এলাকায় ধান কাটার সময় দুই বাংলাদেশি কৃষককে ধরে নিয়ে গেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। এ ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসী দুই ভারতীয় কৃষককে ধরে এনে ধর্মপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্যের মাধ্যমে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করেন।

গতকাল শুক্রবার সকালে বিরল উপজেলার ধর্মপুর ইউনিয়নের ধর্মজৈন সীমান্তের ৩২০ মেইন পিলারের সাব পিলার ১০-এর কাছে এই ঘটনা ঘটে। ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন ধর্মপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুর ইসলাম ও বিরল থানার এসআই কাওসার।

বিএসএফ ধরে নেওয়া বাংলাদেশি মাসুদ রানা (২৬) পিতা এনামুল, গ্রাম কাটালিয়া ও এনামুল হক (৫৫) পিতা ইসরাইল, কাঠালিয়া, উভয় থানা বিরর দিনাজপুর।

স্থানীয়রা জানায়, বিরলের ধর্মপুর ইউনিয়নের ধর্মজৈন সীমান্তে ধান ও মাড়াইয়ের কাজ করছিলেন মাসুদ ও এনামুল নামের দুই কৃষক। কোনো কিছু না বলে হঠাৎ করে বিএসএফের সদস্যরা শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে গ্রামে ঢুকে তাদের ধরে নিয়ে যায়। বিএসএফের সদস্যরা অস্ত্রে সজ্জিত থাকায় ওই মুহূর্তে কেউ কোনো প্রতিবাদ করতে পারেননি। তবে তাৎক্ষণিক গ্রামবাসী একত্রিত হয়ে দুই ভারতীয় নাগরিককে ধরে নিয়ে আসে। ঘটনাটি জানতে পেয়ে বিজিবি সদস্যরা ঘটনাস্থলে গেলে গ্রামবাসী আটক দুই ভারতীয়কে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে।

এ বিষয়ে দিনাজপুর সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মিজান দৈনিক বাংলার প্রতিবেদককে জানান, বিএসএফ দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে যাওয়ার প্রতিবাদে গ্রামবাসীও দুই ভারতীয়কে আটক করে বিজিবির হাতে দিয়েছে। এ বিষয় নিয়ে আমরা উভয়পক্ষ বিকেলে পতাকা বৈঠকে বসব। আশাকরি পতাকা বৈঠকে বসলে সমস্যাটি সমাধান হবে বলে তিনি জানান।


ভারতীয় গণমাধ্যমে বাংলাদেশকে জড়িয়ে ভুয়া তথ্য প্রচার বৃদ্ধি পেয়েছে : রিউমার স্ক্যানার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

গত বছর থেকে ভারতীয় গণমাধ্যম এবং ভারত থেকে পরিচালিত বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অ্যাকাউন্ট থেকে বাংলাদেশকে জড়িয়ে ভুয়া তথ্য প্রচারের হার বৃদ্ধি পেয়েছে বলে প্রমাণ পেয়েছে রিউমার স্ক্যানার।

বাংলাদেশে চলমান গুজব এবং ভুয়া খবর, অপতথ্য প্রতিরোধ এবং জনগণের কাছে সঠিক তথ্য পৌঁছে দেওয়ায় দায়িত্বে নিয়োজিত রিউমার স্ক্যানারের অনুসন্ধানে এই তথ্য উঠে এসেছে। এই সংক্রান্ত এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমার স্ক্যানার। এপ্রিল মাসে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়া ২৯৬টি ভুল তথ্য শনাক্ত করেছে বাংলাদেশের ফ্যাক্ট চেকিং প্রতিষ্ঠান রিউমার স্ক্যানার।

রিউমার স্ক্যানার জানায়, প্ল্যাটফর্ম হিসেবে গত মাসে ফেসবুক পেইজে সবচেয়ে বেশি ভুল তথ্য ছড়িয়েছে।

সংখ্যার হিসেবে যা ২৭৬টি। এছাড়া ইউটিউবে ৫৪টি, ইনস্টাগ্রামে ৪৮টি, এক্সে ৪৪টি, টিকটকে ২৪টি, থ্রেডসে ১৩টি ভুল তথ্য প্রচারের প্রমাণ মিলেছে। ভুল তথ্য প্রচারের তালিকা থেকে বাদ যায়নি দেশের গণমাধ্যমও।

১৪টি ঘটনায় দেশের একাধিক গণমাধ্যমে ভুল তথ্য প্রচার হতে দেখেছে রিউমার স্ক্যানার।

রিউমার স্ক্যানার টিমের পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, এপ্রিল মাসে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে জড়িয়ে ১২টি ভুল তথ্য প্রচার করা হয়েছে। ভুল তথ্যগুলোর ধরণ বুঝতে এগুলোকে রিউমার স্ক্যানার দু’টি আলাদা ভাগে ভাগ করেছে।

সরকারের পক্ষে যায় এমন ভুল তথ্যের প্রচারকে ইতিবাচক এবং বিপক্ষে যায় এমন অপতথ্যের প্রচারকে নেতিবাচক হিসেবে ধরে নিয়ে রিউমার স্ক্যানার দেখতে পেয়েছে যে, এসব অপতথ্যের প্রায় ৮৩ শতাংশ ক্ষেত্রেই সরকারকে নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।

রিউমার স্ক্যানার জানায়, এপ্রিলে ২৯টি ভুল তথ্য প্রচার করা হয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়েও, যা চলতি বছরের মাসগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ। এরমধ্যে প্রায় ৮৩ শতাংশ ক্ষেত্রেই তাকে নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। তাছাড়া সরকারের উপদেষ্টা, বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, এনসিপি, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে জড়িয়ে ভুল তথ্য-অপতথ্য শনাক্ত করেছে ফ্যাক্ট চেক অনুসন্ধান টিম। বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী

বেগম খালেদা জিয়া, বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, জামায়াত আমীর ডা.শফিকুর রহমান, এনসিপি’র আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামসহ শীর্ষ রাজনীতিবিদ, ছাত্রনেতাদের নিয়ে ভুল তথ্য অপতথ্যের প্রচার শনাক্ত করেছে রিউমার স্ক্যানার।

ভুল তথ্যের রোষানল থেকে রক্ষা পায়নি রাষ্ট্রীয় বাহিনীগুলোও। এপ্রিলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানকে জড়িয়ে ছয়টিসহ এই বাহিনীকে জড়িয়ে ১৬টি ভুল তথ্য প্রচার শনাক্ত করেছে রিউমার স্ক্যানার। এছাড়া বাংলাদেশ পুলিশের বিষয়ে ছড়ানো ৯টি ভুল তথ্য শনাক্ত করেছে রিউমার স্ক্যানার।

গত মাসে গণমাধ্যমের নাম, লোগো, শিরোনাম এবং নকল ও ভুয়া ফটোকার্ড ব্যবহার করে ৫৮টি ঘটনায় দেশি ও বিদেশি ২৫টি সংবাদমাধ্যমকে জড়িয়ে ৬২টি ভুল তথ্য প্রচার শনাক্ত করেছে রিউমার স্ক্যানার।


১৫ বছরের সাংবাদিকতা নিয়ে প্রতিবেদন লিখতে জাতিসংঘের সহায়তা চাইব : প্রেস সচিব শফিকুল আলম

শুক্রবার চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের জুলাই বিপ্লব স্মৃতি হলে আয়োজিত ‘জুলাই বিপ্লব পরবর্তী বাংলাদেশ: গণমাধ্যমের চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
আপডেটেড ২ মে, ২০২৫ ১৯:৫৭
বাসস

মিথ্যা ও অপতথ্য ছড়িয়ে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা চলছে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, জাতিসংঘ জুলাই-আগস্ট গণহত্যা নিয়ে একটি স্বচ্ছ ও চমৎকার প্রতিবেদন দিয়েছে। গত ১৫ বছরের সাংবাদিকতা নিয়ে এমন একটি প্রতিবেদন যেন করা হয়, সে বিষয়ে বাংলাদেশ খুব শীঘ্রই জাতিসংঘের সহায়তা চাইবে যাতে জুলাই-আগস্ট ছাত্র গণঅভ্যুত্থানে সংঘটিত গণহত্যার উপর দেয়া প্রতিবেদনের মত গণমাধ্যমের সার্বিক ভূমিকার উপর প্রতিবেদন দেয়া হয়।

তিনি বলেন, “জাতিসংঘকে অনুরোধ করা হবে- বিশেষজ্ঞ একটি প্যানেল করে গত ১৫ বছরের তিনটি নির্বাচন, আইসিটির রায়ে ফাঁসি, মাওলানা সাঈদীর মামলার রায়ের পর সারা দেশে সংঘটিত ঘটনায় প্রাণহানি, শাপলা চত্বর ট্র্যাজেডিসহ সব বড় বড় ঘটনাগুলোতে কেমন সাংবাদিকতা হয়েছে, সাংবাদিকদের ভূমিকা কেমন ছিল, তা অনুসন্ধান করে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ করতে।”

শুক্রবার (০২ মে) চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের জুলাই বিপ্লব স্মৃতি হলে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়ন আয়োজিত ‘জুলাই বিপ্লব পরবর্তী বাংলাদেশ: গণমাধ্যমের চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব এসব কথা বলেন।

চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব অন্তর্বর্তী কমিটির সদস্য সচিব জাহিদুল করিম কচি’র সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওবায়দুর রহমান শাহীন, মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী। ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন প্রধান উপদেষ্টার ডেপুটি প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।

প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, জাতিসংঘকে অনুরোধ করা হবে- বিশেষজ্ঞ একটি প্যানেল করে গত ১৫ বছরের তিন নির্বাচনসহ সব বড় বড় ঘটনাগুলোতে কেমন সাংবাদিকতা হয়েছে, সাংবাদিকদের ভূমিকা কেমন ছিল, তা অনুসন্ধান করে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ করতে।

জুলাই আন্দোলনের সময় চট্টগ্রামে সাংবাদিকরা আন্দোলনকারীদের পুলিশে ধরিয়ে দেওয়ার বিষয়টি বারবার উঠে আসে আলোচনা সভায়। এবিষয়ে প্রেস সচিব বলেন, এ ঘটনার তদন্ত হওয়া উচিত। সাংবাদিক ইউনিয়ন ও প্রেস ক্লাবের উচিত একজন বিচারক, পুলিশের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিয়ে একটি বিশেষজ্ঞ তদন্ত কমিটি গঠন করে বিষয়টি খোলাসা করা। এটি বহু আগেই করা প্রয়োজন ছিল। যারা এগুলো করেছে তাদের আইনের আওতায় আনা উচিত। আন্দোলন ব্যর্থ হলে এই সাংবাদিকরা ছাত্রদের কী করতো, আপনারা দেখতেন।
অতীতের যেকোনও সময়ের চেয়ে দেশের মানুষ বর্তমানে সবচেয়ে বেশি মত প্রকাশের স্বাধীনতা উপভোগ করছে উল্লেখ করে শফিকুল আলম বলেন, এখন মানুষ মন খুলে লিখছেন, সমালোচনা করছেন, গালিও দিচ্ছেন। কাউকে কিছু বলা হচ্ছে না। অনেকে আবার বলছেন, স্বৈরাচারের দোসরদের প্রতি সফ্ট হচ্ছি। কিন্তু আমরাতো আইনের বাইরে গিয়ে কিছু করতে পারি না। অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর প্রধান উপদেষ্টা সম্পাদকদের সঙ্গে বৈঠক করে বলেছেন, ‘আপনারা লিখুন। মন খুলে লিখুন। আমরা কোনও কলম ভেঙ্গে দেইনি, কোনো প্রেসে তালা দেইনি। কোনো গণমাধ্যম যদি তার কর্মীকে চাকরিচ্যুত করে, আপনারা সেই গণমাধ্যম অফিসের সামনে গিয়ে প্রতিবাদ করুন’।

তিনি বলেন, সামনে নির্বাচন। আমাদের গণমাধ্যমকে এগুলোর জন্য প্রস্তুত হতে হবে। এটি শুধু সরকারের একার দায়িত্ব নয়। প্রত্যেকটি পত্রিকার ফ্যাক্ট চেকিং সেল থাকা দরকার। এটি পোস্ট রেভ্যুলেশনারী চ্যালেঞ্জ।

ভারতীয় গণমাধ্যম প্রসঙ্গে প্রেস সচিব বলেন, ভারতীয় গণমাধ্যম ও আওয়ামী লীগের লোকজন একত্রিত হয়ে এসব অপতথ্য ছড়াচ্ছে। তারা মিলিয়ন বিলিয়ন ডলার-টাকা নিয়ে বসে আছে। নির্বাচনকে সামনে রেখে তারা আরও মিথ্যা তথ্য ছড়াবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী বলেন, আমরা দেখেছি শেখ হাসিনার সংবাদ সম্মেলনে আমাদের কিছু সাংবাদিক প্রশ্ন করতো, প্রশ্নগুলো দেখলেই মনে হতো তারা দালালি আর চামচামি করছেন। আমরা তো এমন সাংবাদিকতা চাইনি। স্বৈরাচারের দোসররা যেন আর মাথাচাড়া দিয়ে না উঠতে পারে সেদিকে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে।

তিনি আরও বলেন, স্বাধীন সাংবাদিকতার জন্য নিরাপদ ও স্বাধীন পরিবেশ অত্যন্ত জরুরি। স্বাধীন সাংবাদিকতার জন্য সংবাদ মাধ্যমগুলোর নিরপেক্ষ মনোভাব খুব বেশি দরকার। সাংবাদিক সুরক্ষা আইন এখনো কার্যকর হয়নি। দ্রুত যেন এ আইন কার্যকর হয়। বাংলাদেশে সাংবাদিকতার এখন বড় যে সংকট সেটি হলো আস্থার সংকট। সাংবাদিকতায় যে আস্থা ছিল, গত সতের বছরে সেটি ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। এখন একটি সুন্দর সময় এসেছে। সংবাদ মাধ্যমের প্রতি জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে। এদেশের প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতা, আর কারো প্রতি সাংবাদিকরা দায়বদ্ধ নয়। যদি সাংবাদিকরা অন্যের প্রতি দায়বদ্ধ থাকেন তাহলে সেটি আর সাংবাদিকতা থাকে না। সাদাকে সাদা আর কালোকে কালো বলতে হবে।

প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার আলোচনা সভার ধারণাপত্র উপস্থাপনকালে আগামী সপ্তাহেই উপদেষ্টা পরিষদের সভায় নতুন সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট অনুমোদনের সম্ভাবনার কথা জানিয়ে বলেন, বিগত বছরগুলোতে সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে একটি বড় প্রতিবন্ধকতা হিসেবে কাজ করেছে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট, যা জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে সমালোচিত হওয়ার পর মৌলিক কোনো পরিবর্তন ছাড়াই ‘সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট’ নামে পুনঃপ্রকাশিত হয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এই আইন বাতিলের নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ আইনের অধীনে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে করা সব মামলা বাতিল করা হয়েছে এবং নতুন করে আর কোনো মামলা করা হয়নি।

তিনি বলেন, আমরা আশা করছি, আগামী সপ্তাহে উপদেষ্টা পরিষদের সভায় নতুন সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট অনুমোদিত হবে। প্রস্তাবিত আইনে আগের আইনের ৯টি নিবর্তনমূলক ধারা বাদ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে, যেগুলোর আওতায় ৯৫ শতাংশ মামলা হয়েছিল। এসব ধারা বাতিল হলে ওই মামলাগুলোও স্বয়ংক্রিয়ভাবে খারিজ হয়ে যাবে।

প্রস্তাবিত আইনে গুরুতর সাইবার হ্যাকিং ছাড়া অন্য অপরাধে পরোয়ানা ছাড়া গ্রেফতারের বিধান বাতিল করা হচ্ছে উল্লেখ করে আবুল কালাম আজাদ বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বিশ্বাস করে, এ আইন হলে সাংবাদিকদের হয়রানি অনেকটা কমে আসবে। দেশে মুক্ত সাংবাদিকতার পরিবেশ সৃষ্টিতে এটি হবে একটি বড় অগ্রগতি।

আলোচনা সভায় আরও বক্তৃতা করেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মোহাম্মদ শাহ্ নওয়াজ, প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নসরুল কাদির, চবি যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শহীদুল্লাহ লিপন, চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এডভোকেট আব্দুস সাত্তার, এ্যাব চট্টগ্রাম চ্যাপ্টারের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার সেলিম মো. জানে আলম, কমনওয়েলথ জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব ওসমান গণি মনসুর, বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ চট্টগ্রামের সদস্য সচিব ডা. খুরশীদ জামিল, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সদস্য সাংবাদিক মিয়া মোহাম্মদ আরিফ, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের যুগ্ম মুখ্য সংগঠক রিজাউর রহমান, জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য নীলা আফরোজ, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সিয়াম ইলাহী ও রিদুয়ান সিদ্দিকী প্রমুখ।


বেগম খালেদা জিয়া ৫ মে দেশে ফিরছেন

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

চার মাস পরে আগামী সোমবার লন্ডন থেকে দেশে ফিরবেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এ জেড এম জাহিদ হোসেন খালেদা জিয়ার দেশে ফেরার বিষয়টি নিশ্চিত করে বাসস’কে বলেছেন, ‘ম্যাডামের শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে বেশ ভালো। সবকিছু ঠিক থাকলে তিনি আগামী ৫ মে দেশে ফিরবেন।’

সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সফরসঙ্গী হিসেবে থাকছেন তাঁরই দুই পুত্রবধূ তারেক রহমানের সহধর্মিণী ডা. জোবায়দা রহমান ও আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শর্মিলা রহমান সিঁথি।

বিএনপি’র নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি নিয়মিত ফ্লাইটে বিশেষ ব্যবস্থায় দেশে ফিরবেন বিএনপি’র চেয়ারপার্সন। দেশে ফিরতে পুরোপুরি এয়ার অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা পাওয়া না গেলেও লন্ডনে খালেদা জিয়ার চিকিৎসক ও সফরসঙ্গীরা সম্ভাব্য সর্বোচ্চ সুবিধা নিশ্চিত করতে কাজ করছেন। তারেক রহমান পুরো বিষয়টি তদারকি করছেন।

লন্ডন থেকে দেশে ফেরার পথে খালেদা জিয়ার সফরসঙ্গী থাকবেন ৮ জন। তারা হচ্ছেন: তারেক রহমানের সহধর্মিণী ডা. জোবায়দা রহমান, কোকর স্ত্রী সৈয়দা শর্মিলা রহমান সিঁথি, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ডা. আমিনুল হক চৌধুরী, এপিএস মাসুদুর রহমান ও দুই গৃহপরিচারিকা ফাতেমা বেগম এবং রূপা হক।

২০১৮ সালে বিএনপি’র চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া একটি দুর্নীতির মামলায় গ্রেফতার হয়ে পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি ছিলেন। করোনা মহামারির সময় বিগত সরকার তাকে বিশেষ বিবেচনায় কারামুক্তি দেয়। গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের পতনের পর রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের এক আদেশে খালেদা জিয়া মুক্তি পান। এরপর দুর্নীতির যে দু’টি মামলায় তিনি কারাবন্দি ছিলেন, সেগুলোর রায় বাতিল করেন আদালত।

চলতি বছরের ৮ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নিয়ে যাওয়া হয়। টানা ১৭ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর লন্ডন ক্লিনিক থেকে গত ২৫ জানুয়ারি খালেদা জিয়াকে তারেক রহমানের বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। অর্ধযুগের বেশি সময় পর এবার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঈদ উদ্‌যাপন করেছেন খালেদা জিয়া।

তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর কারাবন্দি অবস্থায় চারটি ঈদ কেটেছে কারাগার ও বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে।

বর্তমানে ছেলে তারেক রহমানের বাসায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন খালেদা জিয়া। সেখানে তাঁর পূর্ণাঙ্গ স্বাস্থ্য পরীক্ষা চলছে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, কিডনি, হার্ট, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিসসহ শারীরিক নানা অসুস্থতায় ভুগছেন।


banner close