শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সংকট যেখানে বেশি সেখানে যাবে ভোলার গ্যাস

গত ২৮ এপ্রিল ভোলা সদর উপজেলার ইলিশা ইউনিয়নের মালের হাট এলাকায় একটি কূপে গ্যাসের সন্ধান পাওয়া যায়। ছবি: দৈনিক বাংলা
বিশেষ প্রতিনিধি
প্রকাশিত
বিশেষ প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ২১ মে, ২০২৩ ২০:৫৬

যে সব এলাকায় গ্যাসের সমস্যা বেশি সেখানে ভোলা থেকে সিএনজি করে আনা গ্যাস সরবরাহ করা হবে। এতে সরবরাহ বাড়ার সাথে সাথে সংকটও দূর হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী।

রোববার রাজধানীর একটি হোটেলে সুন্দরবন গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড ও ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশন পিএলসির মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। চুক্তির আওতায় ভোলার উদ্বৃত্ত ২৫ মিলিয়ন ঘনফুট (দৈনিক) গ্যাস সিএনজি আকারে পরিবহন করে তিতাস গ্যাসের আওতাধীন এলাকায় সরবরাহ করা হবে। ইন্ট্রাকো প্রতি ঘনমিটার ১৭ টাকা দরে কিনে ৪৭.৬০ টাকা দরে বিক্রি করবে।

উপদেষ্টা আরও বলেন, সমকালীন সমস্যাকে মিটিয়ে এগিয়ে যাওয়া-এটাই সরকারের বড় লক্ষ্য। আমরা যদি যৌথভাবে কাজ করি তাহলে আমরা অনেক দূর এগিয়ে যেতে পারব।এটা যদি কনসালটেন্ট নিয়োগ করতাম, তারা অনেকদিন সময় লাগাতো। কিন্তু ইন্ট্রাকো দ্রুত সময়ের মধ্যে করতে পেরেছে। নিরাপত্তাকে সবচেয়ে বেশি অগ্রাধিকার দিতে হবে।

তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেন, চ্যালেঞ্জগুলো সামনে আসবে, সেভাবে ব্যবস্থা নেয়া যাবে। আজকের সমস্যার উৎস আমরা না। ইউরোপে শুরু হয়েছে, এর ফলে জ্বালানির দাম বেড়ে গেল, সারের দাম বেড়ে গেল, আমরা দুর্ভোগের শিকার হচ্ছি।’

অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, ভোলা এলাকায় বিশাল সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। ভোলায় ৩ টিসিএফ এর কাছাকাছি গ্যাসের মজুত পাওয়া গেছে। ভোলায় আবাসিকে গ্যাস সরবরাহ দাবি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ভোলার মানুষের দাবি থাকাটা স্বাভাবিক। আমরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেব।

পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার বলেন, সিএনজি আকারে আনার বিষয়টি সরকারি সিদ্ধান্ত। আমরা দৈনিক কমবেশি ২২০০-২২৫০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন করছি। এর বিপরীতে চাহিদা রয়েছে ৪ হাজারের কাছাকাছি । আমরা দুটি এফএসআরইউ দিয়ে দৈনিক ১ হাজার আমদানি করতে পারি। তারপরও ১ হাজারের মতো ঘাটতি থেকে যাচ্ছে। ঢাকার আশপাশ ও টাঙ্গাইল এলাকায় শিল্প প্রতিষ্ঠান স্বল্পচাপ সমস্যায় ভুগছে। যেখানে স্বল্পচাপ বিরাজ করছে সেখানে দেয়া হবে এই গ্যাস। আমরা খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে ৫ মিলিয়ন আনতে সক্ষম হব, পরবর্তীতে আরও ২০ মিলিয়ন ঘনফুট আসবে। ভোলা এলাকায় ২.০৪ ট্রিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের মজুদ রয়েছে। সেখানে প্রতিদিন ৬০ থেকে ৬৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উদ্বৃত্ত থেকে যাচ্ছে।

সুন্দরবন গ্যাস কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তোফায়েল আহমেদ বলেন, ভোলা গ্যাস ফিল্ডে দৈনিক ১২০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন করার সক্ষমতা রয়েছে। সেখানে সব গ্রাহক মিলে চাহিদা রয়েছে ৯২.৩২ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস। গ্রাহক না থাকায় ২৭.৬৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উদ্বৃত্ত থাকছে। বাপেক্সের পত্র মারফত জানা গেছে ২০২৪-২৫ সালে উৎপাদন ক্ষমতা আরও বৃদ্ধি পাবে।

জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব ড. মোঃ খায়েরুজ্জামান মজুমদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ভোলা-২ আসনের সংসদ সদস্য আলী আজম, সুন্দরবন গ্যাস কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত সচিব) মো. আব্দুল খালেক মল্লিক, ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশন পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রিয়াদ আলী।


অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অধ্যাদেশের খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন

প্রধান উপদেষ্টাসহ সব উপদেষ্টার সম্পদের হিসাব বিবরণী প্রকাশ হবে
ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ক্ষমতা ও দায়িত্ব, প্রধান উপদেষ্টা ও উপদেষ্টাগণের পদমর্যাদা ও সুযোগ-সুবিধা, পদত্যাগ এবং আনুষঙ্গিক অন্যান্য বিষয়ে বিধান করতে ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অধ্যাদেশ, ২০২৪’-এর খসড়া প্রস্তুত করেছে আইন ও বিচার বিভাগ। ইতোমধ্যে ওই খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদনও করেছে উপদেষ্টা পরিষদ।

আজ বৃহস্পতিবার সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে বিগত আওয়ামী লীগ সরকার কর্তৃক ব্যাপক দমন-পীড়ন ও গণহত্যা চালানোর ফলশ্রুতিতে সমগ্র দেশে দল-মত নির্বিশেষে ছাত্র-জনতা উত্তাল গণবিক্ষোভ করে এবং আন্দোলনের এক পর্যায়ে মানুষের জীবনের নিরাপত্তা ও ন্যায়বিচারের দাবিতে সরকার পতনের এক দফা দাবিতে ঐক্যবদ্ধ ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী গত ৫ আগস্ট রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগ করে দেশত্যাগ করেন।’ ‘মহামান্য রাষ্ট্রপতি গত ৬ আগস্ট দ্বাদশ জাতীয় সংসদ ভেঙে দেন।’

‘উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সাংবিধানিক সংকট মোকাবিলা, জনস্বার্থ ও রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা রক্ষা, অর্থনৈতিক ব্যবস্থা সচল রাখা এবং রাষ্ট্রের নির্বাহী কার্য পরিচালনার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন বিষয়ে জনগুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি সুপ্রিম কোর্টের মতামত যাচনা করেন।’

‘সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদে প্রদত্ত উপদেষ্টামূলক এখতিয়ার প্রয়োগ করে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ৮ আগস্ট স্পেশাল রেফারেন্স নম্বর-১/২০২৪ দ্বারা মতামত প্রদান করেছে যে, ‘রাষ্ট্রের সাংবিধানিক শূন্যতা পূরণে জরুরি প্রয়োজনে মহামান্য রাষ্ট্রপতি রাষ্ট্রের নির্বাহী কার্য পরিচালনার নিমিত্ত অন্তর্র্বতীকালীন ব্যবস্থা হিসেবে প্রধান উপদেষ্টা এবং অন্যান্য উপদেষ্টা নিযুক্ত করতে পারবেন। মহামান্য রাষ্ট্রপতি ওই রূপে নিযুক্ত প্রধান উপদেষ্টা এবং অন্য উপদেষ্টাদেরকে শপথ পাঠ করাতে পারবেন।’

‘বিদ্যমান পরিস্থিতিতে ডকট্রিন অব নেসেসিটি অনুসারে সাংবিধানিক সংকট মোকাবিলায় সর্বস্তরের জনগণের ঐকান্তিক ইচ্ছা ও পরম অভিপ্রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে গণঅভ্যুত্থানকারী ছাত্র-জনতার প্রতিনিধিদের প্রস্তাবের ভিত্তিতে এবং ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের রাষ্ট্র সংস্কার আকাঙ্ক্ষা পূরণের ও রাষ্ট্রের নির্বাহী কার্য পরিচালনার জন্য রাষ্ট্রপতি কর্তৃক ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়েছে।’

‘ওই রূপে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ক্ষমতা ও দায়িত্ব, প্রধান উপদেষ্টা ও উপদেষ্টাদের পদমর্যাদা ও সুযোগ-সুবিধা, পদত্যাগ এবং আনুষঙ্গিক অন্য বিষয়ে বিধান করা জরুরি।’ ‘বর্ণিত প্রেক্ষাপটে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অধ্যাদেশ, ২০২৪-এর খসড়া প্রস্তুত করা হয়েছে। উপদেষ্টা পরিষদ ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অধ্যাদেশ, ২০২৪’-এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন করেছে।’ এদিকে স্বচ্ছতা নিশ্চিত ও সরকাররের প্রতি মানুষের আস্থা তৈরিতে উপদেষ্টা পরিষদের সব সদস্য ও সমপদমর্যাদাসম্পন্ন সব ব্যক্তির সম্পদের হিসাব বিবরণী প্রকাশ করবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।

এ উপলক্ষে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা এবং সমমর্যাদাসম্পন্ন ব্যক্তিদের আয় ও সম্পদ বিবরণী প্রকাশের নীতিমালা, ২০২৪-এর খসড়ার অনুমোদনও দিয়েছে সরকার।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা এবং সমমর্যাদাসম্পন্ন ব্যক্তিদের আয় ও সম্পদ বিবরণী প্রকাশের নীতিমালার খসড়া প্রণয়নপূর্বক উপদেষ্টা পরিষদ বৈঠকে উপস্থাপন করা হয়। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা এবং সমমর্যাদাসম্পন্ন ব্যক্তি যারা সরকার অথবা প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিযুক্ত, তারা প্রতিবছর আয়কর জমা দেওয়ার সবশেষ তারিখের পরবর্তী ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে নীতিমালায় সংযুক্ত ছকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টার কাছে তাদের আয় ও সম্পদ বিবরণী জমা দেওয়ার বিধান রেখে খসড়া ‘আয় ও সম্পদ বিবরণী প্রকাশের নীতিমালা’ উপদেষ্টা পরিষদ বৈঠকে অনুমোদিত হয়। প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব গ্রহণের পর জাতির উদ্দেশে দেওয়া প্রথম ভাষণে ড. মুহাম্মদ ইউনূস সব উপদেষ্টার সম্পদ বিবরণী প্রকাশের অঙ্গীকার করার পর এ নীতিমালা প্রণয়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

ড. ইউনূস বলেছিলেন, ‘বর্তমান সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে স্পষ্ট অবস্থান গ্রহণ করেছে। আমাদের সকল উপদেষ্টা দ্রুততম সময়ের মধ্যে তাদের সম্পদের হিসাব বিবরণ প্রকাশ করবেন। পর্যায়ক্রমে এটি সকল সরকারি কর্মকর্তাদের ক্ষেত্রেও নিয়মিত ও বাধ্যতামূলক করা হবে।’ রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে ন্যায়পাল নিয়োগ অধ্যাদেশ প্রণয়ন করার কথাও বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা।

গত ৮ আগস্ট ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর সকল সরকারি চাকরিজীবীদের সম্পদ বিবরণ দাখিল করা বাধ্যতামুলক করা হয়েছে। চাকরিজীবীদের সম্পদ বিবরণী প্রকাশ করার আগেই উপদেষ্টা পরিষদের সকল সদস্য ও সমমর্যাদা সম্পন্নদের সম্পদ বিবরণী প্রকাশ করতে আগ্রহী অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে দুর্নীতি প্রতিরোধে দীর্ঘদিন ধরেই সরকারের মন্ত্রী, এমপি ও সরকারি চাকরিজীবীদের সম্পদের হিসাব বিবরণী প্রকাশের জন্য বিভিন্ন মহল থেকে দাবি উঠলেও আগের সরকারগুলো তা বাস্তবায়ন করেনি।


শুক্রবার বিকেলে চলবে মেট্রোরেল

কাজীপাড়া স্টেশনও চালু হচ্ছে আজ
ফাইল ছবি
আপডেটেড ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ০০:০১
নিজস্ব প্রতিবেদক

আজ থেকে চালু হচ্ছে মেট্রোরেলের ক্ষতিগ্রস্ত কাজীপাড়া স্টেশন। স্টেশনটি পুনরায় সচল করতে প্রাথমিকভাবে সাড়ে ২০ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। এ ছাড়া এখন থেকে সপ্তাহের সাত দিনই যাত্রীসেবা দেবে মেট্রোরেল।

মেট্রোরেল পরিচালনাকারী কর্তৃপক্ষ ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আবদুর রউফ এই তথ্য জানিয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর ইস্কাটনে ডিএমটিসিএলের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

মোহাম্মদ আবদুর রউফ বলেন, কাজীপাড়া স্টেশন চালুর জন্য ২০ লাখ ৫০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। কিছু যন্ত্রপাতি পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। কিছু জিনিস ও যন্ত্রাংশ মিরপুর-১০ স্টেশন, ডিএমটিসিএল ল্যাব, প্রশিক্ষণ ও প্রদর্শনী কেন্দ্র থেকে এনে লাগানো হয়েছে। ক্ষতি নির্ধারণের কাজ শেষের পর দরপত্রে গেলে জানা যাবে, কত টাকার ক্ষতি হয়েছে।

শুক্রবারও মেট্রোরেল চালু করা নিয়ে ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, প্রতি শুক্রবার বেলা সাড়ে তিনটায় উত্তরা থেকে প্রথম ট্রেন ছাড়বে। আর মতিঝিল থেকে প্রথম ট্রেন ছাড়বে বেলা ৩টা ৫০ মিনিটে। রাতে উত্তরা থেকে শেষ ট্রেন ছাড়বে রাত ৯টায়, মতিঝিল থেকে রাত ৯টা ৪০ মিনিটে। শুক্রবার ১২ মিনিট অন্তর অন্তর ট্রেন চলবে।

মেট্রোরেলের মিরপুর-১০ স্টেশন চালুর বিষয়ে মোহাম্মদ আবদুর রউফ বলেন, স্টেশনটি দ্রুত চালুর চেষ্টা চলছে। এ ছাড়া ওই স্টেশনের আইটেম অনুযায়ী কোনটির কতটুকু ক্ষতি হয়েছে, সেটা নির্ধারণে কাজ চলছে। এতে আরও সাত বা আট দিন সময় লাগতে পারে। প্রতিবেদন পাওয়ার পর দরপত্রে গেলে বোঝা যাবে, আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ কত হয়েছে।

গত ১৮ দিনে (শুক্রবার বাদে ১ থেকে ১৮ সেপ্টেম্বর) ৪৯ লাখ যাত্রী মেট্রোরেলে যাতায়াত করেছেন বলে জানিয়েছেন ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। তিনি বলেন, এ সময় আয় হয়েছে ২০ কোটি ৬৭ লাখ ৩ হাজার ৮৯১ টাকা। সবচেয়ে বেশি যাত্রী ছিল গত ১২ সেপ্টেম্বর। সেদিন আয় হয়েছে ১ কোটি ৪৬ লাখ ৫৭ হাজার ৫৬৬ টাকা। যাত্রী ছিল ৩ লাখ ৪৩ হাজার ৮৯২ জন।

গত বুধবার খামারবাড়ি অংশে ভায়াডাক্টের মধ্যবর্তী স্থানের বিয়ারিং প্যাড স্থানচ্যুত হওয়ায় মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ ছিল। ফলে সেদিন ৫৪ লাখ ৫১ হাজার ১৪০ টাকা আয় হয়েছে।

বিষয়:

আরও এক হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হলো মানিককে

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকায় কিশোর আব্দুল মোতালিবকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় সাবেক বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আরিফুর রহমানের আদালত শুনানি শেষে তাকে গ্রেপ্তার দেখান। পরে শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এর আগে বুধবার ছয়টি পৃথক হত্যা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকী আল ফারাবীর। এর আগে গত ২৩ আগস্ট সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় রাত সাড়ে ৯টার দিকে শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে স্থানীয় জনতার সহায়তায় আটক করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। পরদিন সকালে তাকে কানাইঘাট থানায় হস্তান্তর করা হয়।

৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করা হলে সিলেটের জ্যেষ্ঠ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-১-এর বিচারক আলমগীর হোসাইন তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। গত ১৭ সেপ্টেম্বর সিলেট অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক অঞ্জন কান্তি দাস তার জামিন মঞ্জুর করেন। তবে তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা থাকায় কারামুক্ত হতে পারেননি। পরে সিলেট থেকে হেলিকপ্টারে তাকে ঢাকায় আনা হয়েছে।


দিল্লিতে মেয়ের সঙ্গে থাকছেন শেখ হাসিনা, দলবল নিয়ে ঘুরছেন পার্কেও

পুরোনো ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে ভারতে চলে যান শেখ হাসিনা। সেখানে তিনি ঠিক কোথায় থাকছেন, তা নিয়ে বাংলাদেশে যেমন আলোচনা আছে, তেমনই খোদ ভারতেও রয়েছে কৌতূহল। এবার তাকে নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমস।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ৫ আগস্ট বিক্ষোভকারীরা শেখ হাসিনার বাসভবন গণভবনের দিকে মিছিল নিয়ে যাচ্ছিল, তার মধ্যেই তিনি পদত্যাগ করেন এবং সামরিক বিমানে করে ভারতের গাজিয়াবাদের কাছে ভারতীয় বিমান বাহিনীর একটি ঘাঁটিতে গিয়ে পৌঁছান।

নরেন্দ্র মোদির সরকার পরে নিশ্চিত করে, শেখ হাসিনা ভারতে আছেন। এ বিষয়ে আর বিস্তারিত কোনো তথ্য না দেওয়া হলেও থেমে থাকেনি আলোচনা।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বিভিন্ন মাত্রার বিশ্বাসযোগ্যতার সঙ্গে, ভারতের আলোচক শ্রেণির অনেক সদস্য ব্যক্তিগতভাবে দাবি করেছেন, ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা ভারত সরকারের একটি সেফ হাউসে রয়েছেন; থাকছেন মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের সঙ্গে, যিনি গেল ফেব্রুয়ারিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দিল্লিভিত্তিক আঞ্চলিক পদে চাকরি নিয়েছেন।

এমনকি শেখ হাসিনাকে তার দলবলের সঙ্গে দিল্লির অন্যতম অভিজাত পার্ক ‘লোদি গার্ডেনে’ ঘুরে বেড়াতে দেখা গেছে বলেও দাবি করা হয়েছে প্রতিবেদনে।

ফিন্যান্সিয়াল টাইমস বলছে, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালে শেখ হাসিনার শীর্ষ বিদেশি সমর্থক মোদি সরকার এখনো এই বিষয়ে নীরবতা বজায় রেখেছে। দিল্লির দেশি-বিদেশি সংবাদমাধ্যমগুলো বেশির ভাগই এমন দাবিও করা বন্ধ করে দিয়েছে যে- ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর তারা শেখ হাসিনার প্রথম সাক্ষাৎকার পাবেন।

এদিকে, শেখ হাসিনাকে ভারত থেকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করার দাবিও দিন দিন জোরাল হচ্ছে বাংলাদেশে।

তবে সাবেক ও বর্তমান অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষকের বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যম বলছে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে শেখ হাসিনাকে ফিরে চাইলেও, সেই আবেদন প্রত্যাখ্যান করতে পারে ভারত।


ফ্যাসিস্ট কাঠামো বিলোপ করে নতুন বাংলাদেশ গড়তে চাই

অন্তর্বর্তী সরকারের টেলিযোগাযোগ এবং তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

‘আমরা তখন রাজপথে ছিলাম এখন সরকারে আছি। ভূমিকা, উদ্দেশ্য এবং লক্ষ্য একই থাকছে। আমরা ফ্যাসিস্ট কাঠামো বিলোপ করে একটা নতুন বাংলাদেশ গড়তে চাই- যেখানে সামাজিক ন্যায়বিচার ও গণতন্ত্র নিশ্চিত থাকবে।’

এ মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের টেলিযোগাযোগ এবং তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। সম্প্রতি জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলে (ডিডব্লিউ) বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও ভবিষ্যত কাঠামোর নানা দিক নিয়ে কথা বলেছেন তিনি।

নাহিদ বলেন, গণহত্যার জন্য আগে দল হিসেবে আওয়ামী লীগ ও তাদের ব্যক্তিবর্গের বিচার হবে এবং এরপর জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে তাদের রাজনীতি থাকবে কি না। এ ছাড়াও শিক্ষার্থীদের রাজনৈতিক দল, তার ব্যক্তিগত রাজনৈতিক আকাঙ্ক্ষা, জঙ্গিবাদ, গণহারে মামলা, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও নির্বাচন পদ্ধতির সংস্কার নিয়ে কথা বলেছেন নাহিদ।

তিনি আরও বলেন, অভ্যুত্থানের প্রতিশ্রুতি নিয়েই আমরা সরকারে এসেছি। আমাদের ভূমিকা- আমরা তখন রাজপথে ছিলাম এখন সরকারে আছি। ভূমিকা, উদ্দেশ্য এবং লক্ষ্য একই থাকছে। আমরা ফ্যাসিস্ট কাঠামো বিলোপ করে একটা নতুন বাংলাদেশ গড়তে চাই, যেখানে সামাজিক ন্যায়বিচার ও গণতন্ত্র নিশ্চিত থাকবে। আমরা সরকারে থেকেও সেই একই কাজটিই করছি। হয়তো আমাদের পদ্ধতিটি আলাদা হয়েছে। কিন্তু আমাদের ভূমিকা ও লক্ষ্য-উদ্দেশ্য একই রয়েছে।

ব্যক্তিগতভাবে রাজনীতি করার ইচ্ছে আছে কি না জানতে চাইলে উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, ব্যক্তিগতভাবে রাজনীতি করার ইচ্ছা ছিল কিন্তু একটা অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে জনগণের প্রতিনিধি হিসেবে অন্তর্বর্তী সরকারে আছি। রাজনীতির বিষয়টি জনগণের ওপর আমি ছেড়ে দিচ্ছি। যদি জনগণ প্রত্যাশা করে বা আমার সে ধরনের ভূমিকা রাখার সুযোগ থাকে আমি সেটা ভবিষ্যতে রাখব।

রাজনীতিতে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড প্রসঙ্গে এ উপদেষ্টা বলেন, এই যে হত্যাযজ্ঞ হয়েছে, গত ১৫ বছরের যে দুর্নীতি, দুঃশাসন, লুটপাট এবং ভোটাধিকার হরণ, এর জন্য অবশ্যই আওয়ামী লীগকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে। অলরেডি এর কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আওয়ামী লীগ দল হিসেবে এবং তাদের নেতা-কর্মীরা ব্যক্তিগতভাবেও এই সকল অপকর্মের সঙ্গে জড়িত ছিলেন এবং গণহত্যার প্রধান নির্দেশদাতা ছিলেন। যে হত্যা এবং অপকর্ম তারা করেছেন সেটার জন্য তাদেরকে বিচারের মুখোমুখি করা। বিচার প্রক্রিয়ার পরই বলা যাবে আওয়ামী লীগের রাজনীতি কতটুকু থাকবে কি থাকবে না। বিচারের আগে তাদের রাজনীতি করতে দেওয়া বা তাদের পুনর্বাসনের কোনো সুযোগ নেই। নাহিদ বলেন, গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় বিঘ্ন ঘটে এ ধরনের আইন বা ধারা আমরা বাতিল অথবা সংশোধন করব। সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট নিয়েও অলরেডি কাজ শুরু হয়েছে বলে জানান তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা।


মূল সংস্কার উদ্যোগে বিশ্বব্যাংকের সহায়তার অঙ্গীকার

বৃহস্পতিবার তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে ড. ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রাইজার। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

অন্তর্বর্তী সরকারের মূল অর্থনৈতিক সংস্কারের অংশ হতে বিশ্বব্যাংক প্রস্তুত বলে জানিয়েছে ব্যাংকটির ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রাইজার। আজ বৃহস্পতিবার তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কার্যালয়ে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এসে একথা বলেন তিনি।

অর্থনীতির সমস্যা কাটিয়ে ওঠা, দুর্নীতি দূর করা এবং বিচার ব্যবস্থার মতো ক্ষেত্রগুলোতে মৌলিক সংস্কার পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রয়াসে ব্যাপকতর সহায়তার জন্য প্রধান উপদেষ্টার আহ্বানের প্রতিক্রিয়ায় বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট রাইসার বলেন, ‘আমাদের উপর আস্থা রাখুন। আমরা সাহায্য করতে প্রস্তুত।’

রাইসার বলেন, বিশ্বব্যাংক সরকারের সংস্কার এজেন্ডা দেখে উচ্ছ্বসিত। এখন বাংলাদেশ সফর করা মূল্যবান। অনেক প্রত্যাশা রয়েছে।

সফররত বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট বলেন, বিশ্বব্যাংক ব্যাংকিং, কর, শুল্ক, ভ্যাট, ডিজিটাইজেশন, দুর্নীতিবিরোধী পদক্ষেপে সংস্কার প্রয়াসে সহায়তা করতে প্রস্তুত।

অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ব্যাংকের সহায়তাকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার দুর্নীতি থেকে মুক্তি পেতে এবং একটি নতুন যাত্রার সূচনা করতে জনগণের কাছ থেকে ব্যাপক ম্যান্ডেট পেয়েছে।

তিনি বলেন, এটি সংস্কারের মৌসুম। আমরা এখনই শুরু করতে চাই।’ জুলাই-আগস্টে ছাত্র নেতৃত্বাধীন গণ-অভ্যুত্থান বিদ্যমান ব্যবস্থায় বড় ধরনের সংস্কারের জন্য মাঠ প্রস্তুত করেছে।

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা পিছনে ফিরে যেতে চাই না। এ আন্দোলন অতীতকে পুরোপুরি প্রত্যাখ্যান করেছে। এখন এটি একটি পরিচ্ছন্ন স্লেট।’

অধ্যাপক ইউনূস তার সরকার এখন পর্যন্ত যেসব সংস্কার উদ্যোগ নিয়েছে তার রূপরেখা তুলে ধরে বলেন, অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে পদক্ষেপগুলোর মধ্যে দুর্নীতি, শ্রম সংস্কার এবং যুব সমাজের উন্নয়নে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন, সরকার শ্রম সংস্কারে আইএলও কনভেনশন বাস্তবায়ন করবে, যা বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়াবে এবং স্থানীয় উৎপাদনকারীদের আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে স্থান পেতে সহায়তা করবে।

তিনি বলেন, ‘আমরা এ কাজটি সম্পন্ন করতে চাই।’ বৈশ্বিক খাতে তৈরি পোশাক ছাড়া অন্যান্য খাতেও বাংলাদেশের ভূমিকা রাখা উচিত।

সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার পদক্ষেপের প্রশংসা করে রাইসার বলেন, বাংলাদেশে বার্ষিক এফডিআই দেশের জিডিপির প্রায় অর্ধ শতাংশ এবং এই অঞ্চলে এটি সর্বনিম্ন।

রাইসার বলেন, বিশ্বব্যাংক রোহিঙ্গা মানবিক সংকট এবং কক্সবাজারের স্বাগতিক জনগোষ্ঠীর জন্য ৭০ কোটি ডলার অনুমোদন করেছে।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বেড়ে ওঠা লাখ লাখ তরুণ-তরুণীর জন্য তিনি সহায়তা লাভের বিষয়ে আগ্রহী। ‘আমাদের এই বিষয়ে মনোযোগ দিতে হবে।’

বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী, সিনিয়র সচিব ও এসডিজি বিষয়ক প্রধান লামিয়া মোরশেদ, বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদুলায়ে সেক, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী প্রমুখ।


সংস্কার নিয়ে আওয়ামী লীগের সঙ্গে আলোচনা নয়: আসিফ নজরুল

অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

সংস্কারের বিষয়ে আওয়ামী লীগ ছাড়া সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করবে অন্তর্বর্তী সরকার। এই তথ্য জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।

আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর হেয়ার রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেছেন।

আসিফ নজরুল বলেন, সংস্কার বিষয়ে আওয়ামী লীগ ছাড়া সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা হবে। যারা গণহত্যা চালিয়েছে, হাজারের ওপর মানুষকে হত্যা করেছে, হাজার হাজার মানুষকে আহত করেছে, যারা বিচারের ভয়ে পালিয়ে আছে, তাদের সঙ্গে আলোচনা হবে না। এটা আমাদের পরিষ্কার বক্তব্য।

এ সময় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।

আসিফ নজরুল আরও জানান, অন্তর্বর্তী সরকার ছয়টি সংস্কার কমিশন গঠন করেছে। এগুলো অক্টোবরে কাজ শুরু করবে এবং ডিসেম্বরের মধ্যে সংস্কারের প্রতিবেদন জমা দেবে।

বিষয়:

ট্রাইব্যুনালে হাসিনার বিরুদ্ধে গণহত্যার ২৮ অভিযোগ

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

পদত্যাগের পর দেশত্যাগ করা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধে আজ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ২৮টি অভিযোগ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দায়ের করা হয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটিতে তার দল আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গ সংগঠনকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

অভিযোগ রয়েছে, শেখ হাসিনা সরকারের কয়েকজন মন্ত্রী, পুলিশের তৎকালীন আইজিসহ কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও কয়েকজন ওসি, পরিদর্শক, এসআই, এএসএসআই, কনস্টেবল, র‌্যাবের তৎকালীন ডিজি, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের কয়েকজন নেতার নাম। এমনকি কয়েকজন সাংবাদিকের বিরুদ্ধেও গণহত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। অভিযোগগুলো তদন্ত পর্যায়ে রয়েছে।

এর মধ্যে বুধবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কসহ ১০ জনকে নতুন করে তদন্ত সংস্থায় নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তবে কোনো বিচারিক প্যানেল না থাকায় এসব অভিযোগের বিচার প্রক্রিয়া তথা আসামি গ্রেপ্তারের কোনো আদেশ নিতে পারছে না প্রসিকিউশন।

আজ বৃহস্পতিবার ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম জানান, আজকের তিনটিসহ ট্রাইব্যুনালে (প্রসিকিউশন ও তদন্ত সংস্থায়) এ পর্যন্ত ২৮টি অভিযোগ এসেছে। সবগুলোতে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর নাম রয়েছে। আইনের বিধান অনুযায়ী তদন্ত সংস্থা এবং প্রসিকিউশন পর্যালোচনা করে যাদের মূল আসামি মনে হবে, তাদের নাম ট্রাইব্যুনালে পেশ করা হবে। বাদী পক্ষ যেটা নিয়ে এসেছেন পর্যালোচনা করে তার সাথে সংযোজন বিয়োজন হতেই পারে। ট্রাইব্যুনাল গঠনের পর যেটা দাখিল করব, সেটাই হবে প্রোপার মামলা। কোর্ট বসামাত্র আমরা এ বিষয়ে যথাযথ আবেদন করব।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যনালে প্রথম অভিযোগটি দায়ের করা হয়েছিল ১৪ আগস্টে। কোটা সংস্কার আন্দোলনের শহীদ আরিফ আহমেদ সিয়ামের বাবা মো. বুলবুল কবির এ অভিযোগ তদন্ত সংস্থায় দায়ের করেন। আবেদনে ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ঘটনার তারিখ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া এ সময়ে আহত হয়ে পরবর্তীতে বিভিন্ন তারিখে নিহতরা এর আওতায় থাকবেন। ঘটনার স্থান হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে সমগ্র বাংলাদেশকে।

অপরাধের ধরনে বলা হয়েছে, আসামিদের নির্দেশে ও পরিকল্পনায় অন্যান্য আসামিরা দেশীয় এবং আগ্নেয়াস্ত্র দ্বারা নির্বিচারে গুলিবর্ষণ করে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারী সাধারণ নিরস্ত্র ছাত্র-জনতাকে হত্যা করে তাদের সমূলে বা আংশিক নির্মূল করার উদ্দেশে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের অপরাধ।

অভিযোগে ব্যক্তি ছাড়াও সংগঠন হিসেবে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও অঙ্গ সংগঠনগুলোর নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

সবশেষ বৃহস্পতিবার অভিযোগটি প্রসিকিউশনের কাছে দাখিল করে ৩ আগস্ট উত্তরায় গুলিবিদ্ধ হওয়া ভ্যানচালক জসিম উদ্দিনের পরিবার।


সময় থাকতে শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠান

বৃহস্পতিবার প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত একটি মানববন্ধনে বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

‘ভারত বাংলাদেশের বন্ধু’ উল্লেখ করে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, ‘একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে তারা আমাদের সাহায্য করেছে। সেই ভারত একজন গণহত্যাকারীকে, অর্থ লোপাটকারীকে কোনো কাগজপত্র ছাড়াই আশ্রয় দেবে, এটা আমরা প্রত্যাশা করি না। একটা বন্ধু রাষ্ট্রের কাছে এটা আমরা আশা করি না। যারা এ দেশের কৃষক-শ্রমিক মেহনতি মানুষের ১৮ থেকে ২০ লাখ হাজার কোটি টাকা লোপাট করেছে। যারা এ দেশের সাধারণ জনগণ, ছাত্রদের হত্যা করেছে। তারা ভারতে থাকতে পারে না। আমি ভারতের রাষ্ট্রপ্রধানকে বিশেষভাবে বলব, সময় থাকতে তাকে ফেরত পাঠান।’

জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আজ বৃহস্পতিবার ‘দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও’ আন্দোলনের উদ্যোগে ‘গণহত্যাকারী খুনি শেখ হাসিনা ও তার দোসরদের বিচারের দাবিতে’ এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, ‘এ দেশের মানুষ গণতন্ত্রের জন্য, স্বাধীনতার জন্য একাত্তর সালে রক্ত দিয়েছে। সেই গণতন্ত্র আমরা বারবার হারিয়েছি। এখন একটা সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে, সেটাকে কাজে লাগানোর জন্য আমি এই সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও উপদেষ্টাদের আহ্বান জানাব। বেশি সময় নষ্ট করা ঠিক হবে না, দেশবাসীকে পরীক্ষায় ফেলা ঠিক হবে না। তাদের অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে। গত ১৬ বছর তারা ভোট দিতে পারেনি। এখনও যদি দিতে না পারে তাহলে সেটা দুঃখজনক হবে, এটা ঠিক হবে না।’

তিনি বলেন, ‘বাঙালি জাতি বীরের জাতি। এই জাতি যদি একবার সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে কী হবে ৫ আগস্ট প্রমাণ হয়েছে। ভারত আমাদের বন্ধু এটা আমরা মনে করি। কিন্তু অন্যায়কারীকে যদি তারা আশ্রয় দেয় তাহলে তাকে ছিনিয়ে আনতে এ দেশবাসী একটুও পরোয়া করবে না। সেটা তাদের মনে রাখতে হবে।’

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশে শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘এই সরকার ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহতদের সাহায্য দিয়েছে, তার জন্য এ সরকারকে ধন্যবাদ জানাই। এটা অত্যন্ত ভালো কাজ হয়েছে। আরও ভালো কাজ হবে যারা গত ১৬ বছর গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে শহীদ হয়েছে আহত হয়েছে, তাদের সাহায্য করলে। এটা দেশবাসী মনে করে।’

‘দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও’ আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, যুগ্ম মহাসচিব প্রিন্স, জাতীয় পার্টি জেপি মহাসচিব আহসান হাবীব লিংকন, বিএনপি নির্বাহী কমিটির সদস্য মাইনুল ইসলাম, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন ফারুক রহমান, জাতীয় পার্টি জাগপার সহ-সভাপতি রাশেদ প্রধান, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক মিয়া মোহাম্মদ আনোয়ার প্রমুখ।


সাংবাদিকদের নিয়ে আদেশ সংশোধন করল ইসি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

সার্বিক নিরাপত্তা রক্ষার নামে ‘সাংবাদিকদেরও হুমকি’ মনে জারি করা অফিস আদেশ আপত্তির মুখে সংশোধন করল নির্বাচন কমিশন (ইসি)। একই সঙ্গে নির্বাচন ভবনে প্রবেশ ও অবস্থানে সাংবাদিকদের কোনো বাধা না থাকার কথা জানিয়েছে সংস্থাটি।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে এ তথ্য জানিয়েছে ইসির জনসংযোগ পরিচালক মো. শরিফুল আলম। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, আগের অফিস আদেশটি সংশোধন করা হয়েছে। সচিব বলেছেন কোনো সমস্যা নেই। আপনারা (সাংবাদিকরা) আগের মতোই কাজ করবেন।

এর আগে সকালে অফিস আদেশ জারি করে ইসি বলে, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের (নির্বাচন ভবন) সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থে বিভিন্ন সেবাপ্রত্যাশী, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়, আইডিইএ-২ (স্মার্টকার্ড) প্রজেক্ট, ইভিএম প্রজেক্ট, সিবিটিইপি প্রজেক্ট, সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান পিডব্লিউডির কর্মকর্তা/কর্মচারীদের ছাড়া অতিথি এবং সাংবাদিকদের অফিস সময়ের শেষে বিকেল ৫টার পরে নির্বাচন ভবনে অবস্থান ও প্রবেশ না করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো। শুধু মিডিয়া সেন্টার সাংবাদিকদের জন্য খোলা থাকবে। এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।

এ নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে সাংবাদিকরা আপত্তি জানান। নির্বাচন কমিশনের খবর সংগ্রহকারী সাংবাদিকদের সংগঠন রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসির (আরএফইডি) সভাপতি আকরামুল হক সায়েম ইসি সচিব শফিউল আজিমের কাছে বিষয়টি তুলে ধরলে তিনি তা সংশোধন করার কথা বলেন।

পরবর্তীতে বিকেলে নতুন এক অফিস আদেশ জারির মাধ্যমে সাংবাদিকদের অফিস সময়ের শেষে বিকেল ৫টার পরে নির্বাচন ভবনে অবস্থান ও প্রবেশ না করার বিষয়টি প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।


সাবেক মন্ত্রী রেজাউল-এমপি হেনরিসহ ৩ জনের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

সাবেক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, সিরাজগঞ্জ-২ আসনের সাবেক এমপি জান্নাত আরা হেনরী এবং সাবেক কাস্টমস কমিশনার ওয়াহিদা রহমান চৌধুরীর বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।

আজ বৃহস্পতিবার দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালত থেকে এ আদেশ দেওয়া হয়েছে। দুদকের জনসংযোগ দপ্তর সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

দুদক সূত্রে জানা যায়, দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে অঢেল সম্পদ গড়ার অভিযোগে গত ১ সেপ্টেম্বর সাবেক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে পিরোজপুর-১ আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন অ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিম। ২০১৮ সালেও একই আসন থেকে নির্বাচিত হন। তিনি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ, সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে বিভিন্ন দুর্নীতি ও অনৈতিক কার্যক্রমসহ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

এ ছাড়া নিজ নামে বরিশালের নাজিরপুর, পিরোজপুর এবং ঢাকার বিভিন্ন স্থানে স্থাবর সম্পদ রয়েছে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকাকালীন সময়ে প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন নামক প্রকল্পের আওতায় বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ক্রয় এবং প্রশিক্ষণের নামে ২৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ, একটি গাড়ি ও দেশে-বিদেশে বিপুল পরিমাণ সম্পদ রয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

সিরাজগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য জান্নাত আরা হেনরীর বিরুদ্ধে শত কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে গত ২০ আগস্ট অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। ২০২০-২১ অর্থবছরে তিনি প্রায় ৩২ কোটি কালো টাকা সাদা করেছেন। সিরাজগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, পটুয়াখালী ও রাজধানী ঢাকায় তার অঢেল সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। এর মধ্যে কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নিজ এলাকা সিরাজগঞ্জে গড়ে তুলেছেন হেনরী ভুবন।

এ ছাড়া, গত ১৩ জুন দায়ের হওয়া মামলায় ১৫২ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছিল সাবেক কাস্টমস কমিশনার ওয়াহিদা রহমান চৌধুরীর বিরুদ্ধে। ওই দিনই ৬০ দিনের জন্য তার বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল। যার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর পুনরায় নিষেধাজ্ঞার সময় বৃদ্ধি করে আদালত।

ক্ষমতার অপব্যবহার করে আইন বহির্ভূতভাবে একক নির্বাহী সিদ্ধান্তে ১৬টি নথিতে ১৫২ কোটি ৮৯ হাজার ৩৯০ টাকা অপরিশোধিত সুদ মওকুফ করে সরকারের আর্থিক ক্ষতিসাধন করায় কাস্টমস কমিশনার ওয়াহিদা রহমান চৌধুরীর বিরুদ্ধে গত ১১ জুন মামলা দায়ের করে দুদক। তিনি গ্রামীণফোন, রবি, বাংলালিংক ও এয়ারটেল লিমিটেডকে ওই সুবিধা দিয়েছিলেন।


নতুন করে আর কোনো ইটভাটাকে ছাড়পত্র দেওয়া হবে না

বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে বিবিএমওএর নেতাদের নিয়ে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, পরিবেশগত ছাড়পত্রবিহীন ৩ হাজার ৪৯১টি ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধ করা হবে এবং অবৈধভাবে পার্বত্য এলাকায় নির্মিত সব ইটভাটা স্থানান্তর করা হবে। ইটভাটা জনিত বায়ুদূষণ রোধে আর কোনো নতুন ইটভাটার ছাড়পত্র দেওয়া হবে না।

আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে নিজ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে পরিবেশ অধিদপ্তর এবং বাংলাদেশ ব্রিক ম্যানুফ্যাকচারিং ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিবিএমওএ) নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। সভায় পরিবেশবান্ধব ইট উৎপাদন, ইটভাটার আধুনিকায়ন, এবং কার্বন নির্গমন কমানোর বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

পরিবেশ উপদেষ্টা ইটভাটার পরিবেশগত প্রভাব নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, শুধু ভবন নির্মাণই যথেষ্ট নয়, আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বাসযোগ্য পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, বায়ুদূষণের কারণে মানুষের গড় আয়ু ৫ থেকে ৭ বছর কমে যাচ্ছে। তাই, লাইসেন্স এবং ছাড়পত্র ছাড়া কোনো ইটভাটা পরিচালনা করা যাবে না। পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

বিবিএমওএর নেতৃবৃন্দ ইটভাটা শিল্পের চ্যালেঞ্জ তুলে ধরে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি গ্রহণের প্রস্তাব দেন। ইটভাটায় সবুজ প্রযুক্তির ব্যবহার উৎসাহিত করতে সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন এবং উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি প্রদান করেন।

সভায় পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সচিব, অতিরিক্ত সচিব, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ ব্রিক ম্যানুফ্যাকচারিং ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ফিরোজ হায়দার খান-সহ কেন্দ্রীয় এবং বিভিন্ন জেলা থেকে আসা নেতারা বক্তব্য দেন।

এর আগে উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সভায় বিভিন্ন কার্যক্রম সফলভাবে বাস্তবায়নের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দিকনির্দেশনা দেন।


ফের ৫ দিনের রিমান্ডে আনিসুল হক ও সালমান এফ রহমান

সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ও সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের ফের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আরিফুর রহমানের আদালত শুনানি শেষে রিমান্ডের আদেশ দেন।

এদিন এ মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানোসহ ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক মো. রাশিদুল হাসান।শুনানিতে রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন আসামিপক্ষের আইনজীবী। এসময় রাষ্ট্রপক্ষ এর বিরোধিতা করে। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে তাদের ৫ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন আদালত।

এর আগে গত ১৩ সেপ্টেম্বর নিউমার্কেট থানার উপপরিদর্শক মো. সজীব মিয়া বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় মামলাটি করেন।

গত ১৩ আগস্ট নৌপথে পালানোর সময় রাজধানীর সদরঘাট এলাকা থেকে সালমান এফ রহমান ও আনিসুল হককে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তিন দফায় তাদের ২৫ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়।

সবশেষ গতকাল বুধবার সকালে নতুন মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন ঢাকা মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট আদালত।

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ১৩ আগস্ট সন্ধ্যায় পুলিশ গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পায় নিউমার্কেট থানার হত্যা মামলায় জড়িত দুই আসামি সদরঘাট দুই নম্বর মসজিদ সংলগ্ন স্থানে বিভিন্ন ধরনের বৈদেশিক মুদ্রা অবৈধভাবে নিজ হেফাজতে রেখে লেনদেন করছে। তাৎক্ষণিক সেখানে অভিযানে গেলে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আসামিরা পালানোর চেষ্টা করলে তাদের আটক করা হয়।

আটকের পর আসামি আনিসুল হকের কাছে থাকা ব্যাগে রক্ষিত ১৭ হাজার ৫৯২ ইউএস ডলার, ৭২৬ সিঙ্গাপুর ডলার এবং সালমান এফ রহমানের কাছ থেকে ১২ হাজার ৬২৪ ইউএস ডলার, ৬২০ ফ্রান্সের মুদ্রা, সংযুক্ত আরব আমিরাতের সাড়ে ৮ হাজার মুদ্রা, ১১ হাজার ৬৫০ সৌদি রিয়াল, ৭৭৯ সিঙ্গাপুর ডলার, ১৫০ পাউন্ড ও ১ হাজার ৩৩২ ইউরো এবং বাংলাদেশি ৫০ হাজার টাকা জব্দ করা হয়।


banner close