শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির আভাস

ফাইল ছবি
আপডেটেড
২২ মে, ২০২৩ ১৬:৪৩
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত : ২২ মে, ২০২৩ ১৬:৩৯

ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টির আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

আজ সোমবার পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী, রংপুর, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে।

সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় সিরাজগঞ্জের তাড়াশে সর্বোচ্চ ৭৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া নেত্রকোণায় ৬৭, টাঙ্গাইলে ৫০, মাদারীপুরে ৩২, কুমিল্লায় ৩১, ঢাকায় ২৭, কিশোরগঞ্জের নিকলী ২৬ এবং রাজশাহী ও ময়মনসিংহে ২৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।

পরবর্তী তিন দিনের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, এ সময় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে।

এদিকে খুলনা বিভাগসহ রাজশাহী, পাবনা, মাদারীপুর ও মৌলভীবাজার জেলাসমূহের ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা কিছু কিছু জায়গায় প্রশমিত হতে পারে বলে আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

এছাড়া সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

রোববার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল রাজশাহীতে ৩৭ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সোমবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ইশ্বরদীতে ১৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।

পূর্বাভাসে আরও বলা হয়, লঘুচাপের বাড়তি অংশ পশ্চিমবঙ্গ এবং এর কাছাকাছি এলাকায় অবস্থান করছে। ঢাকায় আজ দক্ষিণ-পশ্চিম অথবা দক্ষিণ দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হচ্ছে, যা অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়া আকারে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়তে পারে। সকালে ঢাকায় বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৮৮ শতাংশ।


দেবোত্তর সম্পত্তি রক্ষায় আইন করা হচ্ছে: ভূমিমন্ত্রী 

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

দেবোত্তর সম্পত্তি রক্ষায় দেবোত্তর সম্পত্তি আইন তৈরি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ভূমিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ। তিনি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার গঠনের পর সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। ২০১৩ সালেই অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ (দ্বিতীয় সংশোধন) আইন প্রণয়নে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন তিনি। সম্প্রতি এ সম্পর্কিত দুটি পরিপত্রও জারি করা হয়েছে।

নারায়ণ চন্দ্র চন্দ শনিবার জেলার কাহারোল উপজেলার কান্তজিউ মন্দির প্রাঙ্গণে বিংশতি (২০) সহস্রাধিক কণ্ঠে ‘শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা পাঠ’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানটির আয়োজক রংপুর বিভাগীয় পবিত্র বেদ ও শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা শিক্ষাদান সংঘ। অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন সংসদ সদস্য দ্রৌপদী দেবী আগরওয়ালা, সাবেক সংসদ সদস্য ও হিন্দু কল্যাণ ট্রাস্টের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মনোরঞ্জন শীল গোপাল, একুশে পদকপ্রাপ্ত শিল্পী বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. মনোরঞ্জন ঘোষাল ও ভারতের বিবেকানন্দ মিশনের অধ্যক্ষ ড. মানস ভট্টাচার্য। নারায়ণ চন্দ্র বলেন, বৈচিত্র্যের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানেই দেশের ঐক্যের প্রেরণা নিশ্চিত করে। এই অনুষ্ঠান বাংলাদেশের বৈচিত্র্যেময় সৌন্দর্যকে আরও শক্তিশালী করেছে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের সনাতন সম্প্রদায়ের জন্য এই অনুষ্ঠান অপরিসীম সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় গুরুত্ব বহন করে। ঐতিহ্যবাহী এই মন্দিরে শান্তিপূর্ণভাবে পূজনীয় গীতা পাঠ করে এত বড় সমাবেশ প্রত্যক্ষ করা ছিল অসাধারণ অভিজ্ঞতা। ভূমিমন্ত্রী বাংলাদেশের ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও উন্নয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং সহনশীলতা, বোঝাপড়া ও পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের মূল্যবোধ সমুন্নত রাখার জন্য আয়োজক ও অংশগ্রহণকারীদের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন। এর আগে মন্দির কমপ্লেক্সে এসে কান্তজিউ মন্দির ভবন পরিদর্শন করেন ভূমিমন্ত্রী।


শেখ হাসিনা আন্তঃব্যাংক ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন

বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও সেনাবাহিনীপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ শনিবার ঢাকায় বাংলাদেশ আর্মি স্টেডিয়ামে শেখ হাসিনা আন্তঃব্যাংক ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০২৪ এর উদ্বোধন করেন। এ সময় সব ব্যাংকের চেয়ারম্যানরা উপস্থিত ছিলেন। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে শনিবার রাজধানীর বনানীতে বাংলাদেশ আর্মি স্টেডিয়ামে শেখ হাসিনা আন্তঃব্যাংক ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০২৪ এর উদ্বোধন হয়। বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও সেনাবাহিনীপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ প্রধান অতিথি হিসেবে টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করেন।

বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকসের (বিএবি) চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম মজুমদারের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সব ব্যাংকের চেয়ারম্যানরা উপস্থিত ছিলেন। পরে সেনাপ্রধান মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক ও ইস্টার্ন ব্যাংকের মধ্যে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী ম্যাচ উপভোগ করেন।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকসের উদ্যোগে দ্বিতীয়বারের মতো আয়োজিত এ টুর্নামেন্টে ৩১টি ব্যাংক দল অংশগ্রহণ করছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান উপলক্ষে আর্মি স্টেডিয়ামকে রঙিন সাজে সাজানো হয় এবং ৩১টি ব্যাংক দলের মার্চ-পাস অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তা, শেখ হাসিনা আন্তঃব্যাংক ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০২৪-এর আয়োজক কমিটির চেয়ারম্যান ও সদস্য সচিব, বিএবির সদস্য ব্যাংকগুলোর চেয়ারম্যান, পরিচালক, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, অংশগ্রহণকারী দলের খেলোয়াড়, গণ্যমান্য ব্যক্তি এবং গণমাধ্যম ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। আইএসপিআর।


দেশে আলাদা ফরেনসিক বিশ্ববিদ্যালয় এখন সময়ের দাবি: সিআইডি প্রধান

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া বলেছেন, ‘ফরেনসিকের বিষয়ে বিশেষায়িত শিক্ষার জন্য আমাদের দেশে কোনো বিশ্ববিদ্যালয় নেই। সাউথ এশিয়ার মধ্যে শুধু ভারতে আছে। আমরা চেষ্টা করছি ফরেনসিক বিশ্ববিদ্যালয় চালু করার জন্য। ফরেনসিকের ওপর আপাতত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একটা স্বতন্ত্র বিভাগ চালু করা এখন সময়ের দাবি। ঢাবির বর্তমান উপাচার্যের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। আশা করছি, সহসা এ ব্যাপারে একটা উদ্যোগ গ্রহণ করা সম্ভব হবে।’

শনিবার রাজধানীর মালিবাগে সিআইডি সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত ‘স্টুডেন্টস এনগেজমেন্ট টু কমব্যাট সাইবারক্রাইম’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।

সেমিনারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৯১ জন, বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে ৫৩ জন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০ জন, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০ জন, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০ জন, উত্তরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১ জন, কানাডিয়ান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২২ জন ও গ্রিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০ জনসহ মোট ২৪৭ জন শিক্ষার্থী অংশ নেন।

সিআইডিপ্রধান বলেন, সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ অপরিহার্য। আজকের ছাত্রছাত্রীরাই আগামীর ভবিষ্যৎ, তারাই হবে জাতির কর্ণধার ও দেশগড়ার কারিগর। সাইবার বুলিং, সাইবার হ্যারাজমেন্ট, আনইথিক্যাল কন্টেন্ট, হ্যাকিং, ফিশিং, ম্যালওয়্যার, র‍্যানসমওয়্যার ইত্যাদি সাইবার অপরাধ প্রতিরোধে আজকের ছাত্রছাত্রীরাই আগামীতে ফ্রন্টলাইন ফাইটার হিসেবে কাজ করবে।

তিনি আরও বলেন, তরুণ প্রজন্ম তথা শিক্ষার্থীরা ডিজিটাল সচেতনতা বাড়ানোর মাধ্যমে সাইবার অপরাধ নিবারণে সক্রিয় হয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সিআইডির সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করবে।

মেধাস্বত্ব পাচার, পাইরেটস বই পাচার হচ্ছে। এক্ষেত্রে প্রতিকার কী বা সিআইডি কীভাবে সহযোগিতা করতে পারে- সেমিনারে ঢাবির এক শিক্ষার্থী জানতে চাইলে প্রশ্নোত্তর পর্বে সিআইডিপ্রধান মোহাম্মদ আলী মিয়া বলেন, ‘এ বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ আমাদের আছে। মানিলন্ডারিং আইনের মধ্যেই এ সংক্রান্ত কপিরাইট-সংক্রান্ত ধারা আছে। সুনির্দিষ্ট তথ্য পেলে বা অভিযোগ করা হলে তদন্তসাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে সাধারণত এ সংক্রান্ত মামলা থানায় হয় না। এ সংক্রান্ত মামলা আদালতে হয়।’


অপতথ্যের বিস্তৃতি মোকাবিলার কৌশল নিয়ে আলোচনা

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ২৭ এপ্রিল, ২০২৪ ২২:৫০
বাসস

মরিশাসের তথ্য প্রযুক্তি, যোগাযোগ ও উদ্ভাবনবিষয়ক মন্ত্রী দীপক বালগোবিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। গতকাল শুক্রবার মরিশাসে এ বৈঠক হয়।

বৈঠকে, তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপতথ্যের বিস্তৃতি মোকাবিলার কৌশল নিয়ে আলোচনা করেন। গতকাল শনিবার ঢাকায় প্রাপ্ত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৈঠকে স্যাটেলাইটের ব্যবহার নিয়ে বাংলাদেশ ও মরিশাসের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা, প্রবাসী শ্রমিকদের দেশে রেমিট্যান্স পাঠানোর ক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহার, বাংলাদেশে মরিশাসের বিনিয়োগকারীদের জন্য সুযোগ-সুবিধা এবং মরিশাসে কর্মরত বাংলাদেশি শ্রমিকদের নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।

এ ছাড়া তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মরিশাসে একটি স্পিনিং মিল পরিদর্শন করেন এবং সেখানে কর্মরত বাংলাদেশি শ্রমিকদের খোঁজ-খবর নেন ও তাদের সঙ্গে কথা বলেন।

পশ্চিম ভারত মহাসাগর অঞ্চলে মাদক পাচার এবং মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার-বিষয়ক প্রথম মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে অংশগ্রহণের জন্য গত ২২ এপ্রিল মরিশাস যান বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী। বর্তমানে তিনি মরিশাসে অবস্থান করছেন।


তরুণদের চিন্তাচেতনায় ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটাতে হবে: স্পিকার

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, তরুণদের চিন্তাচেতনায় ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটাতে হবে। দেশপ্রেম, দেশের মানুষের প্রতি ভালোবাসা ও কর্তব্যবোধের মাধ্যমে মানুষের প্রতি দায়বদ্ধতাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। শিরীন শারমিন চৌধুরী শনিবার সাভারে ব্র্যাক ইয়্যুথ প্ল্যাটফর্মের উদ্যোগে আয়োজিত পরিবর্তনের উৎসব ‘আমরা নতুন ইয়াং চেঞ্জমেকার অ্যাওয়ার্ড ২০২৪’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, মানবিক সমাজ বিনির্মাণে তরুণদের উদ্ভাবনী জ্ঞান ও বিজ্ঞানমনস্ক চিন্তাকে কাজে লাগাতে হবে। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ, বায়ান্নর ভাষা আন্দোলসহ স্বাধীকার আন্দোলনের প্রতিটি পর্বেই তারুণ্যের ভূমিকা ছিল অগ্রগণ্য। বাঙালি জাতিরাষ্ট্রের মধ্যে একটি জাতিসত্তার বিকাশে এদেশের যুবসমাজ অবদান রেখেছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে দেশ গড়ার কাজে তরুণরা নিজেদের আত্মনিয়োগ করেছিল।

স্পিকার বলেন, বঙ্গবন্ধু যুদ্ধবিধ্বস্ত অর্থনীতিকে পুনর্নির্মাণের কাজে যখন নিজেকে ব্যাপৃত করেছিলেন ব্র্যাকের স্বপ্নদ্রষ্টা স্যার ফজলে হাসান আবেদ সেসময় শরণার্থী পুনর্বাসন ও ত্রাণ সহায়তা কার্যক্রমের মাধ্যমে দেশপ্রেমের উজ্জ্বল নজির স্থাপন করেন। শিক্ষা বিস্তার, স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়ন ও নারীর ক্ষমতায়নে ব্র্যাক বরাবরই এগিয়ে চলেছে।

শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সুনাম অক্ষুন্ন রাখতে তরুণরা সর্বদা সচেষ্ট থাকবে। তরুণদের হাত ধরেই স্বল্পোন্নত দেশ থেকে ২০২৬ সালের মধ্যে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা লাভ করবে বাংলাদেশ যা উদীয়মান অর্থনৈতিক দেশগুলোর মধ্যে বিশ্ব অর্থনীতিতে বাংলাদেশকে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে রেখেছে।

স্পিকার বলেন, তথ্য প্রযুক্তির অবাধ প্রবাহে তরুণরা প্রযুক্তির সর্বোচ্চ সুবিধা কাজে লাগিয়ে নিজেদের প্রস্তুত করবে। বৈশ্বিক প্রতিযোগিতাগুলোতে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্বের আসনে আসীন করবে। প্রথাগত চাকরির বাইরে ফ্রিল্যান্সিং ও স্টার্টআপের মতো প্রযুক্তির নতুন নতুন কর্মক্ষেত্রে এ দেশের যুবসমাজ নিজেদের নিয়োজিত করবে।

ওই সময় চেঞ্জমেকারদের মধ্য থেকে ৫টি প্রজেক্টকে অ্যাওয়ার্ডস প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ, ব্র্যাকের মাইগ্রেশন ও ইয়ুথ প্লাটফর্মের সহযোগী পরিচালক শরীফুল হাসান, নতুন চেঞ্জমেকারদের মধ্য হতে নানা স্তরের প্রতিযোগী ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।


‘কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষাবিধি নিশ্চিতে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে’

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, শোভন কর্মপরিবেশ নিশ্চিতকল্পে দেশীয় ও বৈশ্বিক শ্রমমান অনুযায়ী কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষাবিধি অনুশীলনকে জাতীয় সংস্কৃতি হিসেবে গড়ে তোলা অত্যন্ত জরুরি। এ লক্ষ্য অর্জনে তিনি সরকার, মালিক ও শ্রমিকসহ সব উন্নয়ন অংশীজনকে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।

রাষ্ট্রপতি ‘জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবস ২০২৪’ উপলক্ষে দেওয়া শনিবার বাণীতে এ আহ্বান জানান। আজ রোববার ‘জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবস ২০২৪’। দেশব্যাপী পেশাগত স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা বিষয়ে ব্যাপক গণসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এ বছরও ‘জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবস ২০২৪’ পালিত হচ্ছে জেনে তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন। রাষ্ট্রপতি এ উপলক্ষে বিশ্বের সব শ্রমজীবী মানুষকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। দিবসটির এ বছরের প্রতিপাদ্য- ‘সুস্থ শ্রমিক, শোভন কর্মপরিবেশ: গড়ে তুলবে স্মার্ট বাংলাদেশ’ যথার্থ হয়েছে বলেও তিনি মনে করেন।

মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধি শেখ মুজিবুর রহমান আমৃত্যু মেহনতি, শোষিত ও বঞ্চিত মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে কাজ করেছেন। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশ ১৯৭২ সালে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) সদস্যপদ লাভ করে। একই বছর তিনি (বঙ্গবন্ধু) শ্রমনীতি ঘোষণা করেন এবং আইএলও’র পাঁচটি মৌলিক কনভেনশনসহ মোট ২৯টি কনভেনশন অনুসমর্থন করেন।

রাষ্ট্রপতি জানান, কলকারখানার সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা এবং শ্রমজীবী মানুষের পেশাগত নিরাপত্তা ও আইনগত অধিকার নিশ্চিত করা সরকারের পাশাপাশি সকল শিল্প মালিকের নৈতিক দায়িত্ব। সরকার দেশের সব খাতের শ্রমজীবী মানুষের পেশাগত স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নানা কল্যাণমূলক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। নিরাপদ ও শোভন কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য ‘বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬’ এবং ‘বাংলাদেশ শ্রম বিধিমালা ২০১৫’ প্রণয়ন করা হয়েছে।

তিনি বলেন, জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জন এবং ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট ও উন্নত অর্থনীতির দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্য অর্জনে সরকার ব্যাপক উন্নয়ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এসব কল্যাণমুখী কর্মসূচির সফল বাস্তবায়ন ও শ্রমিকের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে শ্রমিক ভাই-বোনদের জন্য শোভন ও নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিতকরণের বিকল্প নেই। বিগত এক দশকে দেশে শিল্প-কারখানার সংখ্যা কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে এবং ভবিষ্যৎ প্রযুক্তির সঙ্গে অভিযোজন করার লক্ষ্যে সরকার-মালিক-শ্রমিকের সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীকে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ করে কর্মক্ষেত্রে প্রবেশের উদ্যোগ নিতে হবে।


থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বান

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীদের প্রতি বাংলাদেশে বিনিয়োগে উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার থাইল্যান্ডে সরকারি সফর চলাকালে শুক্রবার সন্ধ্যায় ব্যাংককের একটি হোটেলে থাইল্যান্ডে বাংলাদেশ দূতাবাস আয়োজিত ব্যবসায়িক সভায় তিনি এ আহ্বান জানান।

বিশিষ্ট থাই ব্যবসায়ী এবং অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, থাইল্যান্ডে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আব্দুল হাই, বাংলাদেশে নিযুক্ত থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত মাকাওয়াদি সুমিতমোর প্রমুখ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

সভায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সম্ভাবনার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি গত ১৫ বছরে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের সব সূচকে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে স্বল্পোন্নত দেশ-এলডিসি গ্রুপ থেকে বাংলাদেশের সফল স্নাতক হওয়ার বিষয়টি তুলে ধরেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আসিয়ান অঞ্চলে বাংলাদেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য অংশীদার হিসেবে থাইল্যান্ডের তাৎপর্যও তুলে ধরেন। তিনি দুই দেশের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) শুরু করতে লেটার অফ ইনটেন্ট (এলওআই) স্বাক্ষরের কথা উল্লেখ করেন এবং দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বাড়ানোর জন্য এবং বাণিজ্য ঘাটতি ভারসাম্যের জন্য এফটিএ দ্রুত শুরু করার গুরুত্বের ওপর জোর দেন।

প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য বাংলাদেশ সরকার প্রদত্ত প্রণোদনা সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন। তিনি থাই সরকারের কাছ থেকে প্রযুক্তি হস্তান্তরের মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকার উপকৃত হতে পারে বলে মত দেন এবং বাংলাদেশের পর্যটন খাতে থাই বিনিয়োগের আমন্ত্রণ জানান।

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী এ সময় বাংলাদেশ সরকারের সম্প্রতি প্রণীত অফশোর ব্যাংকিং অ্যাক্ট ২০২৪ উল্লেখ করে বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের বেসরকারি খাতকে সরকারের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় সুবিধার আশ্বাস দেন।

বিশিষ্ট থাই গ্লোবাল সুগার ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি সুটেক লিমিটেডের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট চার্লস ফ্রেডেরিক বাংলাদেশ সরকারকে একটি বা দুটি বিদ্যমান চিনিকলকে বেসরকারি খাতের মাধ্যমে পুনরুজ্জীবিত করার পরামর্শ দেন। বিডা প্রতিনিধি বাংলাদেশে বিনিয়োগে কৃষি ব্যবসা, ডিজিটাল অর্থনীতি, লজিস্টিকস এবং লাইট ম্যানুফ্যাকচারিং খাতের প্রণোদনার ওপর আলোকপাত করেন।


‘কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষাবিধি অনুশীলন অত্যন্ত জরুরি’

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, শোভন কর্মপরিবেশ নিশ্চিতকল্পে দেশীয় ও বৈশ্বিক শ্রমমান অনুযায়ী কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষাবিধি অনুশীলনকে জাতীয় সংস্কৃতি হিসেবে গড়ে তোলাও অত্যন্ত জরুরি। এ লক্ষ্য অর্জনে তিনি সরকার, মালিক ও শ্রমিকসহ সকল উন্নয়ন অংশীজনকে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।

আগামীকাল ‘জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবস ২০২৪’ উপলকক্ষে দেওয়া আজ এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি এ আহবান জানান।

দেশব্যাপী পেশাগত স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা বিষয়ে ব্যাপক গণসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এবছরও ‘জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবস ২০২৪’ পালিত হচ্ছে জেনে তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন। রাষ্ট্রপতি এ উপলক্ষে বিশ্বের সকল শ্রমজীবী মানুষকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। দিবসটির এ বছরের প্রতিপাদ্য- ‘সুস্থ শ্রমিক, শোভন কর্মপরিবেশ গড়ে তুলবে স্মার্ট বাংলাদেশ’ যথার্থ হয়েছে বলেও তিনি মনে করেন।

রাষ্ট্রপতি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমৃত্যু মেহনতি, শোষিত ও বঞ্চিত মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে কাজ করেছেন। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশ ১৯৭২ সালে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) সদস্যপদ লাভ করে। একই বছর তিনি (বঙ্গবন্ধু) শ্রমনীতি ঘোষণা করেন এবং আইএলওর ৫টি মৌলিক কনভেনশনসহ মোট ২৯টি কনভেনশন অনুসমর্থন করেন।

রাষ্ট্রপতি জানান, কলকারখানার সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা এবং শ্রমজীবী মানুষের পেশাগত নিরাপত্তা ও আইনগত অধিকার নিশ্চিত করা সরকারের পাশাপাশি সকল শিল্প মালিকের নৈতিক দায়িত্ব। সরকার দেশের সকল খাতের শ্রমজীবী মানুষের পেশাগত স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নানাবিধ কল্যাণমূলক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। নিরাপদ ও শোভন কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য ‘বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬’ এবং ‘বাংলাদেশ শ্রম বিধিমালা ২০১৫’ প্রণয়ন করা হয়েছে।

তিনি বলেন, জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জন এবং ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট ও উন্নত অর্থনীতির দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্য অর্জনে সরকার ব্যাপক উন্নয়ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এ সকল কল্যাণমুখী কর্মসূচির সফল বাস্তবায়ন ও শ্রমিকের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে শ্রমিক ভাই-বোনদের জন্য শোভন ও নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিতকরণের বিকল্প নেই। বিগত এক দশকে দেশে শিল্পকারখানার সংখ্যা কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে এবং ভবিষ্যৎ প্রযুক্তির সঙ্গে অভিযোজন করার লক্ষ্যে সরকার-মালিক-শ্রমিকের সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীকে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ করে কর্মক্ষেত্রে প্রবেশের উদ্যোগ নিতে হবে।

রাষ্ট্রপতি ‘জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবস ২০২৪’ উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল সর্মসূচির সফলতা কামনা করেন।


৯ মে থেকে শুরু হচ্ছে হজ ফ্লাইট  

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

আগামী ৯ মে থেকে শুরু হচ্ছে চলতি মৌসুমের হজ ফ্লাইট। হজযাত্রীদের নিয়ে ঢাকা থেকে ওইদিনই প্রথম ফ্লাইট সৌদি আরবের উদ্দেশে রওনা দেবে। সব ফ্লাইটের সূচি এখনও চূড়ান্ত না হলেও শিডিউল অনুযায়ী পরবর্তী ফ্লাইটগুলো ছাড়া হবে বলে জানা গেছে।

ঢাকা হজ অফিসের পরিচালক মুহম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, এখনো শিডিউল ঘোষণা করা হয়নি। দ্রুত শিডিউল ঘোষণা করে যাত্রীদের জানানো হবে।

ধর্ম মন্ত্রণালয় জানায়, গত বছর এক লাখ ১৯ হাজার ৬৯৫ জন হজযাত্রী বহন করার জন্য বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, সৌদি এরাবিয়ান এয়ারলাইন্স (সৌদিয়া) ও সৌদির বেসরকারি এয়ারলাইন্স ফ্লাইনাস মোট ৩৩৫টি হজ ফ্লাইট ঘোষণা করেছিল। চুক্তি অনুযায়ী, মোট হজযাত্রীর অর্ধেক বহন করে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এবং বাকি অর্ধেক বহন করে সৌদিয়া ও ফ্লাইনাস এয়ার। এবারও এই তিন এয়ারলাইনস হজযাত্রীদের বহন করবে।

জানা গেছে, চলতি বছর সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ পালন করতে যাবেন ৮৩ হাজার ২০২ জন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় যাবেন ৪ হাজার ৩০৭ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় যাবেন ৭৮ হাজার ৮৯৫ জন।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন পালিত হতে পারে পবিত্র হজ। প্রতিবছর একমাস আগে থেকে শুরু হয় হজ ফ্লাইট। তার আগে হজযাত্রীদের ভিসা, ফ্লাইট শিডিউল সংক্রান্ত কাজ সম্পন্ন করে ধর্ম মন্ত্রণালয় ও এয়ারলাইন্সগুলো।


সরকার আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বর্তমান সরকার আইনের সুশাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর। রাষ্ট্রের অন্যতম লক্ষ্য ও দায়িত্ব হলো নাগরিকের জন্য আইনের শাসন, সমতা, অর্থনৈতিক ও সামাজিক অধিকারসহ মৌলিক মানবাধিকার নিশ্চিত করা। আগামীকাল রোববার ‘জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস ২০২৪’ উপলক্ষ্যে আজ দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।

এ সময় আইনগত সহায়তা কার্যক্রমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলকে শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য- ‘স্মার্ট লিগ্যাল এইড, স্মার্ট দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’ অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক ও সময়োপযোগী।”

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতীয় মুক্তির ঐতিহাসিক সংগ্রাম ও নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশের জনগণ স্বাধীনতা অর্জন করেছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের প্রধান লক্ষ্য ছিলো এমন এক শোষণমুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা যেখানে সকল নাগরিকের জন্য আইনের শাসন, মৌলিক মানবাধিকার এবং সুবিচার নিশ্চিত হবে। সেই লক্ষ্যে ১৯৭২ সালের সংবিধানে তিনি মানুষের মৌলিক অধিকার হিসেবে আইনের দৃষ্টিতে সমতা, আইনের আশ্রয় লাভের অধিকার, গ্রেপ্তার ও আটক সম্পর্কে রক্ষাকবচ, বিচার ও দণ্ড সম্পর্কে রক্ষণ, সম্পত্তির অধিকারসহ ১৮টি মৌলিক অধিকার সন্নিবেশিত করেন। কিন্তু জাতির পিতার নির্মম হত্যাকাণ্ড, সামরিক শাসন এবং স্বৈরাচারী, গণবিরোধী ও স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির ক্ষমতা দখল জনগণের সেই স্বপ্নের বাস্তবায়নকে বারবার দূরে সরিয়ে দিয়েছে।

তিনি বলেন, “বর্তমান সরকার জনগণের বিপুল ম্যান্ডেট নিয়ে সকল দুঃশাসন ও অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে সর্বাত্মক যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়ে বাংলাদেশকে অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ করেছে। ‘আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তুলব এবং এ সময়ে বাংলাদেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে উন্নীত করব।”

শেখ হাসিনা বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশে সরকারি কার্যক্রম ও সেবাসমূহ হবে সাশ্রয়ী, টেকসই, জ্ঞানভিত্তিক, বুদ্ধিদীপ্ত ও উদ্ভাবনি। টেকসই উন্নয়নের এ অগ্রযাত্রায় ন্যায়বিচারে অভিগম্যতা নিশ্চিত করার জন্য ‘জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা’ সারা বাংলাদেশের আর্থিকভাবে অসচ্ছল, সহায়-সম্বলহীন এবং নানাবিধ আর্থসামাজিক কারণে বিচার প্রাপ্তিতে অসমর্থ বিচারপ্রার্থী জনগণকে আইনগত সহায়তা প্রদান করছে। সরকারি আইনগত সহায়তাকে আরও টেকসই, উদ্ভাবনী, জনবান্ধব এবং পক্ষদের আইনগত বিরোধ দ্রুত নিষ্পত্তি ও সাশ্রয়ী করার লক্ষ্যে জেলা লিগ্যাল এইড অফিসকে ‘বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির কেন্দ্রস্থল’ হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে। সাধারণ মানুষের আইনগত সচেতনতা বৃদ্ধিতে লিগ্যাল এইড অফিসসমূহ আইনগত পরামর্শ সেবা দিয়ে মামলাজট নিরসনে অগ্রণী ভূমিকা রাখছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার আইনের শাসন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ‘আইনের সুশাসন প্রতিষ্ঠায় আমরা বদ্ধপরিকর’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, টেকসই উন্নয়নের অভীষ্ট লক্ষ্য, শান্তি, ন্যায়বিচার ও কার্যকর প্রতিষ্ঠান বাস্তবায়নে সকলের জন্য ন্যায়বিচার প্রাপ্তির পথ সুগম করার জন্য আইন ও বিচার বিভাগ ‘জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা’র মাধ্যমে কার্যকর ভূমিকা রাখছে।

তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, স্মার্ট লিগ্যাল এইড, স্মার্ট সরকার, স্মার্ট সমাজ এবং সর্বোপরি, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলবে। সকলের সমন্বিত উদ্যোগেই অচিরেই সুশাসন নিশ্চিত করে আমরা বাংলাদেশকে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশে পরিণত করতে সক্ষম হব।’

শেখ হাসিনা ‘জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস ২০২৪’র সার্বিক সাফল্য এবং এ উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল কর্মসূচির সর্বাঙ্গীণ সফলতা কামনা করেন।


থাই ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর

শুক্রবার ব্যাংককে বাংলাদেশ দূতাবাস আয়োজিত ব্যবসায়িক সভায় কথা বলছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীদেরকে বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার থাইল্যান্ডে সরকারি সফর চলাকালে গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় ব্যাংককের একটি স্থানীয় হোটেলে বাংলাদেশ দূতাবাস আয়োজিত এক ব্যবসায়িক সভায় তিনি এ আহ্বান জানান।

সভায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সম্ভাবনার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। গত ১৫ বছরে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের সকল সূচকে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে বাংলাদেশের সফল স্নাতক হওয়ার বিষয়টি তুলে ধরেন।

এছাড়া আসিয়ান অঞ্চলে বাংলাদেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য অংশীদার হিসেবে থাইল্যান্ডের তাৎপর্যও তুলে ধরেন। তিনি দুই দেশের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি শুরু করতে অভিপ্রায় পত্রে (এলওআই) সই করার কথাও উল্লেখ করেন। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বাড়ানো এবং বাণিজ্য ঘাটতি ভারসাম্যের জন্য এফটিএ দ্রুত শুরু করার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

সভায় প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য বাংলাদেশ সরকার প্রদত্ত প্রণোদনা সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন। তিনি থাই সরকারের কাছ থেকে প্রযুক্তি হস্তান্তরের মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকার উপকৃত হতে পারে বলে মত দেন এবং বাংলাদেশের পর্যটন খাতে থাই বিনিয়োগের আমন্ত্রণ জানান।

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সম্প্রতি প্রণীত অফশোর ব্যাংকিং অ্যাক্ট-২০২৪ এর উল্লেখ করে বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের বেসরকারি খাতকে সরকারের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় সুবিধা নেওয়ার আশ্বাস দেন।

বিশিষ্ট থাই গ্লোবাল সুগার ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি সুটেক লিমিটেডের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট চার্লস ফ্রেডেরিক বাংলাদেশ সরকারকে একটি বা দুটি বিদ্যমান চিনিকলকে বেসরকারি খাতের মাধ্যমে পুনরুজ্জীবিত করার পরামর্শ দেন। বিডা প্রতিনিধি বাংলাদেশে বিনিয়োগে কৃষি ব্যবসা, ডিজিটাল অর্থনীতি, লজিস্টিকস এবং লাইট ম্যানুফ্যাকচারিং খাতের প্রণোদনার ওপর আলোকপাত করেন।

বিশিষ্ট থাই ব্যবসায়ী এবং অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, থাইল্যান্ডে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আব্দুল হাই, বাংলাদেশে থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত মাকাওয়াদি সুমিতমোর প্রমুখ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।


শেরে বাংলার কর্মপ্রচেষ্টা নতুন প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলার গরিব-দুখী মানুষের জন্য শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের অসীম মমত্ববোধ, ভালোবাসা এবং কর্মপ্রচেষ্টা নতুন প্রজন্মকে সব সময় অনুপ্রাণিত করবে।

আজ শনিবার শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের ৬২তম মৃত্যুার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন। খবর বাসসের।

বাংলার কৃষক ও মেহনতী মানুষের অকৃত্রিম বন্ধু শেরে বাংলা এ কে (আবুল কাশেম) ফজলুল হকের ৬২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ কে ফজলুল হক এদেশের কৃষক সমাজের অর্থনৈতিক মুক্তি নিশ্চিত করতে আজীবন কাজ করেছেন।

তিনি আরও বলেন, কৃষকদের অধিকার আদায়ে এ কে ফজলুল হক সব সময় সোচ্চার ছিলেন। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালে তিনি দরিদ্র কৃষক এবং প্রজাদের স্বার্থরক্ষায় কৃষি ঋণ আইন এবং প্রজাস্বত্ব (সংশোধনী) আইনসহ বিভিন্ন আইন প্রণয়ন করেন। জমিদাররা রায়তদের ওপর যে আবওয়াব ও সেলামি ধার্য করতেন, তিনি তা বিলোপ সাধন করেন। তার সাহসী নেতৃত্ব, উদার ও পরোপকারী স্বভাবের জন্য জনগণ তাকে ‘শেরে বাংলা’ বা ‘বাংলার বাঘ’ খেতাবে ভূষিত করেছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, শেরে বাংলা আবুল কাশেম ফজলুল হকের সঙ্গে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ একজন বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শিক ঐক্য ও রাজনৈতিক ঘনিষ্ঠতা ছিল। শোষণ, বঞ্চনাহীন ও প্রগতিশীল, গণতান্ত্রিক এবং অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজীবন সংগ্রাম করেছেন। স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করে তিনি বাঙালি জাতিকে বিশ্বে মাথা উঁচু করে চলার সুযোগ করে দিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের ৬২তম মৃত্যুবার্ষিকীতে তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত এবং এ উপলক্ষে গৃহীত সব অনুষ্ঠানের সর্বাঙ্গীণ সফলতা কামনা করেন।


সবার স্বাস্থ্যসেবা সুনিশ্চিত করা প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গীকার: অর্থ প্রতিমন্ত্রী

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
চট্টগ্রাম ব্যুরো

অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান বলেছেন, বাংলাদেশের প্রত্যেক নাগরিকের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে সরকার বদ্ধপরিকর। এ জন্য বাংলাদেশ সরকার শহরের পাশাপাশি প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিভিন্ন কমিউনিটি সেন্টারের মাধ্যমে নাগরিকদের সুস্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিশ্চিত করেছে। আজ শুক্রবার আনোয়ারা বৈরাগ ইউনিয়নে ডেভ কেয়ার ফাউন্ডেশন আয়োজিত বিশেষজ্ঞ মেডিকেল ক্যাম্পের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বিগত সময়ের চেয়েও প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টিতে এখন বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা অনেক উন্নত। মানুষ অনেক সহজে চিকিৎসাসেবা পাচ্ছেন। তার সর্বশ্রেষ্ঠ উদাহরণ কোভিডের মতো মহামারিকালে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশের প্রত্যেক জেলায় উপজেলায় এবং গ্রাম অঞ্চলে করোনার টিকা বিনামূল্যে নিশ্চিত করা হয়েছে। যা বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের মতো একটি রাষ্ট্রের এমন পদক্ষেপ প্রশংসা কুড়িয়েছে। বিশ্বের অনেক উন্নত দেশে বিনামূল্যে করোনাকালে টিকা পায়নি এমন অনেক রাষ্ট্রের জনগণ আছে। সবার জন্য স্বাস্থ্যসেবা সুনিশ্চিত করা প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গীকার।

অধ্যাপক ড. এম এ ফয়েজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা সিভিল সার্জন মো. ইলিয়াছ চৌধুরী. উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইশতিয়াক ইমন, অধ্যাপক ড. জয়নব বেগম, বিএমএ সভাপতি অধ্যাপক ডাক্তার মুজিবুল হক খান, অধ্যাপক আমির হোসেন, কাজী মোজাম্মেল, রাজিন দাশ রাহুল, মোহাম্মদ আজিজুল হক আজিজ, প্রণব দাশগুপ্ত, সাগর মিত্র, ডাক্তার সন্তোষ, আব্দুল্লাহ আল মামুন, মোজাম্মেল হক, শাহাদাত হোসেন, জিয়াউদ্দিন বাবলু, আবু তৈয়ব রাসেল প্রমুখ।


banner close