বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩

তিন মাসের আগাম জামিন পেলেন নিপুণ রায়

ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড
২৯ মে, ২০২৩ ১৬:১৮
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত : ২৯ মে, ২০২৩ ১৩:২০

ঢাকার কেরানীগঞ্জে সংঘর্ষের ঘটনায় ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরীকে তিন মাসের আগাম জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। তার জামিনের আবেদনের শুনানি নিয়ে সোমবার বিচারপতি মো. হাবিবুল গনি ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ জামিন দেন। এ সময়ের মধ্যে তাকে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছে।

আদালতে নিপুণের পক্ষে শুনানি করেন তার বাবা নিতাই রায় চৌধুরী, সঙ্গে ছিলেন বদরুদ্দোজা বাদল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার।

আদেশের পর অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী দৈনিক বাংলাকে বলেন, আদালত আমাদের আবেদনের শুনানি নিয়ে তিন মাসের আগাম জামিন দিয়েছেন।

ঢাকার কেরানীগঞ্জে গত শুক্রবার আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় আহত হন নিপুণ রায় চৌধুরী। তিনি ইসলামী ব্যাংক সেন্ট্রাল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

সংঘর্ষের পর দিন শনিবার ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরীকে প্রধান আসামি করে কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় মামলা হয়। এ মামলায় তিনি মাথায় ব্যান্ডেজ নিয়ে হুইল চেয়ারে করে হাইকোর্টে হাজির হয়ে আগাম জামিন চান। পরে আদালত শুনানি নিয়ে তাকে জামিন দেন।

মামলায় দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের অফিসে হামলা ও আসবাব ভাঙচুরের অভিযোগ আনা হয়।

আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর ও নেতা-কর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগ এনে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য নিপুণ রায় চৌধুরী, হাজি নাজিম উদ্দিন মাস্টার, ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আশফাকের নাম উল্লেখ করে মামলা করা হয়। এ ছাড়া আরও ৫ শতাধিক অজ্ঞাত নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়েছে।

বিষয়:

তাপসের বক্তব্যে জমিদারি ও সন্ত্রাসী ভাব রয়েছে: ফখরুল

আপডেটেড ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ১৩:১৮
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ফজলে নূর তাপস যে বক্তব্য দিয়েছেন, তাতে জমিদারি ও সন্ত্রাসী ভাব রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, এটাই হচ্ছে তাদের কথা বলার চরিত্র ও মানসিকতা। তাদের সব কিছুর মধ্যে একটা সন্ত্রাসী ব্যাপার থাকে। এটা হচ্ছে তাদের জমিদারি। তারা এই ধরনের কথা বলে। কে কী বলে সেটা আমাদের দেখার বিষয় না।

রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব।

গতকাল বুধবার রাজধানীর বনশ্রীতে এক অনুষ্ঠানে ডিএসসিসি মেয়র ফজলে নূর তাপস বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে রাজধানী ঢাকায় আর ঢুকতে দেয়া হবে না।

এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমরা এই ধরনের কথাকে গুরুত্ব দেই না। কারণ অতীতে আমরা এগুলো বহু (অনেক) ফেস করেছি। এগুলো নিয়ে আমরা চিন্তাও করি না। কে কী বলল এতে বাংলাদেশের জনগণের কিছু যায় আসে না। জনগণের লক্ষ্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন।

বিষয়:

বিচার ব্যবস্থা পুরোপুরি সরকারের নিয়ন্ত্রণে: ফখরুল

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

জাতীয় সংসদে সাইবার নিরাপত্তা আইন পাশের নিন্দা জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিচার ব্যবস্থা যেটা আছে, সেই বিচার ব্যবস্থা পুরোপুরি সরকারের নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে।

রাজধানীর গুলশানে বৃহস্পতিবার দুপুরে এক হোটেলে ‘কারেন্ট স্ট্যাইট অব জুডিশিয়ারি: এ টুল টু অপরেস দ্য অপজিশন ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক সেমিনারে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল। ইউনাইটেড ল‘ইয়ার্স ফ্রন্টের এই সেমিনারের আয়োজন করে।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন ইউনাইটেড ল‘ইয়ার্স ফ্রন্টের কো-কনভেনর সুব্রত চৌধুরী।

ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। আমরা যে গণতন্ত্রের কথা বলছি, যে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের কথা বলছি, সেই গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র তো আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করে না, শেখ হাসিনা বিশ্বাস করেন না। এজন্য করেন না কারণ, ১৯৭৫ সালে তারাই কিন্তু একদলীয় শাসন ব্যবস্থা বাকশাল প্রতিষ্ঠা করেছিল।

দেশে বর্তমানে একদলীয় শাসন চলছে দাবি করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, কেউ কথা বলতে পারে না। আজকে যখন পুলিশ কর্মকর্তারা রাজনীতিবিদদের মতো কথা বলেন, যখন জজরা শপথবদ্ধ রাজনীতির কথা বলেন, তখন আমরা সাধারণ মানুষেরা কোথায় যাব, কার কাছে যাব? আজকে বিচার ব্যবস্থা যদি পুরোপুরিভাবে দলীয়করণ হয়ে যায়, মানুষ কোথায় যাবে? এর বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হবে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, শুধু বিচার ব্যবস্থা নয়, আজ যে রাষ্ট্র কাঠামো তৈরি করা হয়েছে, সেই রাষ্ট্র কাঠামোটা ভেঙে দিতে হবে। ভেঙে দিয়ে সত্যিকার অর্থেই একটা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের কাঠামো নির্মাণ করতে হবে। এজন্য বিচার ব্যবস্থার সমস্যার সমাধানে জুডিশিয়াল কমিশন গঠনসহ ৩১ দফা রাষ্ট্র সংস্কারের প্রস্তাবনা দিয়েছি আমরা।

আইনজীবীদের উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আজকে সবাইকে জোটবদ্ধ হতে হবে। সবাইকে সোচ্চার হয়ে বলতে হবে যে, ইটস এনাফ, যথেষ্ট হয়েছে, যথেষ্ট ক্ষতি করেছো। এখন তুমি দয়া করে পত্রপাঠ বিদায় হও, জনগণের ভোটের মাধ্যমে জনগণের একটা পার্লামেন্ট, জনগণের একটা সরকার তৈরি করো।

মির্জা ফখরুল বলেন, গতকাল (বুধবার) সংসদে সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট পাস হয়েছে। যা আগে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট নামে ছিল। যেটার ওপরে আমাদের সিভিল সোসাইটির মানুষেরা, সাংবাদিকরা, রাজনীতিবিদরা প্রতিবাদ জানিয়েছেন। একইসঙ্গে আন্তর্জাতিক সংস্থা এমনকি ইউনাইটেড নেশনসের যে মানবাধিকার কমিশন আছে তারাও বলেছেন যে, এ আইনের ধারা পরিবর্তন করতে হবে। কোনো পরিবর্তন না করে, শুধু নাম পরিবর্তন করে গতকাল তারা সংসদে এ আইন পাস করেছে। আমি এর নিন্দা জানাচ্ছি, প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন ইউনাইটেড ল ইয়ার্স ফ্রন্টের কনভেনর সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি জয়নাল আবেদীন। সঞ্চালনা করেন কায়সার কামাল।


আওয়ামী লীগ সরকার ডেঙ্গুর চেয়েও ভয়াবহ: ফখরুল

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

আওয়ামী লীগ সরকার ডেঙ্গুর চেয়েও ভয়াবহ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম। তিনি বলেছেন, দেশের মানুষ খেতে পারে না, জনগণকে ভোটের অধিকার দিতে পারে না। অথচ দুর্নীতি নিয়ে ব্যস্ত সরকার। এডিস মশা নিধনের নামে বিদেশ থেকে ওষুধ কিনে আনে, সেখানেও তারা চুরি করে। এদের প্রধান লক্ষ্য চুরি করা। সব কাজের ওপর চুরি।

রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বুধবার সকালে ডেঙ্গু প্রতিরোধ ও জনসচেতনতা বৃদ্ধি লক্ষ্যে লিফলেট বিতরণের আগে এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে এসব কথা বলেন ফখরুল। জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন ও ড্যাবের যৌথ উদ্যোগে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আবার স্যাটেলাইট-২ তৈরি পাঁয়তারা করা হচ্ছে। দেশের মানুষকে খেতে দিতে পারে না। হাসপাতাল তৈরি করতে পারে না, স্বাস্থ্য সেবা দিতে পারে না। তারা মানুষের ভোটের অধিকার দিতে পারে না। যে বিমান ভেঙে পড়ছে, তাদের এখন ১০টা এয়ার বাস কিনে দেবে। মূল্য লক্ষ্য সেটা হচ্ছে দুর্নীতির জন্য।

মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের সর্বক্ষেত্রে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। একদিকে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, অন্যদিকে ডেঙ্গুতে মৃত্যু বেড়েই চলেছে।

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টে এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ঢাকা সফরের মূল লক্ষ্য এয়ারবাস ক্রয়ের কমিশন পাওয়া বলে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ম্যাক্রোঁ আমাদের অনেক বড় মেহমান। তাকে নাচ-গান দিয়ে স্বাগত জানিয়েছেন। দেশের মানুষের এই করুণ অবস্থার মধ্যেও আরও ১০টা এয়ারবাস কেনা হবে। আসল লক্ষ্য এয়ার বাসে ফিডব্যাক (কমিশন) পাওয়া যায়। এয়ারলাইন্স কিনলে কমিশন পাওয়া যায় না। তাই এয়ার বাস কিনছে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধ করতে সরকার সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে। এই সরকার ডেঙ্গুর চেয়েও ভয়াবহ। এই দানব সরকারকে সরাতে সবাই ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালামের সভাপতিত্বে কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ফরহাদ হালিম ডোনার, ড্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশিদ, মহাসচিব ডা. মো. আব্দুস সালাম, শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া, ঢাকা সিটি করপোরেশনের দক্ষিণের মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেন ও উত্তরের মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়াল প্রমুখ।

সমাবেশ শেষে বিএনপি মহাসচিব নয়াপল্টন দলীয় কার্যালয় থেকে জনসাধারণের মাঝে লিফলেট বিতরণ করেন। পরে নেতারা বিএনপি কার্যালয় থেকে ফকিরাপুল মোড় পর্যন্ত সড়কে লিফলেট বিতরণ করেন।


১৫ সেপ্টেম্বর ঢাকায় সমাবেশ করবে বিএনপি

আপডেটেড ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ১৫:৪৮
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

বিএনপিসহ বিরোধীদলের নেতা-কর্মীদের ‘মিথ্যা মামলায় অন্যায়ভাবে সাজা দেয়ার’ প্রতিবাদে আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর রাজধানী ঢাকায় সমাবেশ করবে বিএনপি। ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির যৌথ উদ্যোগে ওই দিন বিকেল ৩টায় নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এই সমাবেশ হবে।

১৫ সেপ্টেম্বরের সমাবেশের অনুমতি চেয়ে গতকাল রোববার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার কার্যালয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে চিঠি দেয়া হয়েছে।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি নেতা সাইদুর রহমান মিন্টু সাংবাদিকদের বলেন, ১৫ সেপ্টেম্বরের সমাবেশের অনুমতি চেয়ে ডিএমপি কমিশনারের কাছে চিঠি দেয়া হয়েছে। সমাবেশ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বিষয়:

ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকার ব্যর্থ: ফখরুল

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকার সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকার জনস্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়েছে। করোনার সময় একইভাবে ব্যর্থ হয়েছে। ব্যর্থতার দায় নিয়ে দুই সিটি করপোরেশনের মেয়রের পদত্যাগ করা উচিত। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সরকার শুরু থেকে গুরুত্ব দেয়নি। স্বাস্থ্যমন্ত্রীসহ মেয়ররা বিদেশ ভ্রমণ করেছেন, কিট নিয়ে দুর্নীতির কথা প্রকাশ পেয়েছে।

বুধবার সকালে রাজধানীর পান্থপথে হেলথ অ্যান্ড হোপ হাসপাতাল এবং শমরিতা হাসপাতালে রক্তদান কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে বিএনপির দুই মেয়র প্রার্থীর উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।

ড. ইউনূসের প্রসঙ্গ টেনে ফখরুল বলেন, বিএনপির নির্দলীয় সরকারের দাবি থেকে জনগণের দৃষ্টি সরাতে ড. ইউনূসের বিষয়টি পরিকল্পিতভাবে সামনে এনেছে সরকার, এতে সফলও হয়েছে। আজ কথা বলার কোনো সুযোগ নেই। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলকেও শাস্তির মুখে পড়তে হয়।

মির্জা ফখরুল বলেন, রাষ্ট্রব্যবস্থা সম্পূর্ণ ভঙ্গুর হয়ে পড়েছে। এই মুহূর্তে সরকারকে পদত্যাগ করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে নতুন নির্বাচন দিতে হবে।

তিনি আরও বলেন, শুধু ঢাকা নয়, সারা দেশে ডেঙ্গু সংক্রামক হারে ছড়িয়ে পড়েছে। শিশুরা অকাতরে মারা যাচ্ছে, কারও কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। কলকাতায় এত ঘনবসতি হওয়ার পরও তারা নিয়ন্ত্রণ করেছে। অথচ আমাদের এখানে ব্যর্থ। দুই মেয়রের সেদিকে নজর নেই, তারা শুধু নিজেদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে পড়ে আছে।

আওয়ামী লীগের মূল লক্ষ্য দুর্নীতি মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, অর্থনীতি চরমভাবে ধ্বংসের দিকে চলে গেছে। শুধু মেগা প্রজেক্ট দেখাচ্ছে। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে সমস্যার সৃষ্টি করছে, যানজটের সৃষ্টি করছে। কোনো পরিকল্পনা নেই।

এ সময় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে বিএনপির মেয়রপ্রার্থী ইশরাক হোসেন ও উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়রপ্রার্থী তাবিথ আউয়ালসহ বিএনপি নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।


বিরোধীদল নিধনে আদালত আরেকটি ‘আয়না ঘরে’ পরিণত হয়েছে: রিজভী

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

বিরোধীদল নিধনে বাংলাদেশের আদালত আরেকটি ‘আয়না ঘরে’ পরিণত হয়েছে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের আদালত সারা বিশ্বের মধ্যে ‘আজব আদালত’ হিসেবে খ্যাতি লাভ করেছে।

রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মঙ্গলবার দুপুরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে রিজভী বলেন, বাংলাদেশে এক অদ্ভুত শাসন বিরাজমান। এটি এমন এক দুঃশাসন, যেখানে এক ব্যক্তির ইচ্ছায় আদালতের কার্যক্রম চলে। এখানে ন্যায়বিচার, বিধিবদ্ধ আইনি প্রক্রিয়ায় কোনো কাজ হয় না। সকল মামলায় জামিন পাওয়ার পরও এবং আর কোনো মামলা দায়ের না করার উচ্চ আদালতের নির্দেশনা সত্ত্বেও যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোনায়েম মুন্নাকে মুক্তি দেয়া হয়নি। আগে নানাভাবে তাকে আটকিয়ে রাখার যে বেআইনি কার্যক্রম দেশব্যাপী প্রত্যক্ষ করা হয়েছে, তা নজীরবিহীন।

রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করে বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশনা অমান্য করে ব্যাক ডেট দিয়ে পেন্ডিং মামলায় মুন্নাকে আটকিয়ে রাখার পর আবারও উচ্চ আদালতে রিট করলে তাকে মুক্তির নির্দেশনা দেয়া হয়। কিন্তু সেই নির্দেশনাকে অগ্রাহ্য করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে জেল কতৃর্পক্ষ সম্পূর্ণরূপে নীরব। আব্দুল মোনায়েম মুন্না এ মুহূর্তে সব মামলা থেকে জামিনপ্রাপ্ত। অথচ তাকে কারাগার থেকে বের হতে দিচ্ছে না জেল কতৃর্পক্ষ। তারা বলছে- চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের কাছ থেকে মুক্তির নির্দেশনা না পেলে মুন্নাকে ছাড়বে না। এই ঘটনা মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। এ দেশে মানুষের নির্বিঘ্নে চলাচলের স্বাধীনতা, কণ্ঠের স্বাধীনতা, মতপ্রকাশের স্বাধীনতাসহ নাগরিক স্বাধীনতা এখন শেখ হাসিনার আঁচলবন্দী।

তিনি বলেন, পুলিশ ও আদালত এ ক্ষেত্রে আইনের শাসনের বদলে শেখ হাসিনার চোখ রাঙানিকেই আমলে নিচ্ছে। শেখ হাসিনার চেতনার স্তরে বিরোধীদল নিশ্চিহ্ন করা ছাড়া আর কিছু নেই। সুবিচারকে তিনি করেছেন দেশ ছাড়া। আমি আব্দুল মোনায়েম মুন্নাসহ সকল রাজবন্দীর মুক্তির জন্য আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাসহ সকল মানবাধিকার সংগঠনকে আহ্বান জানাচ্ছি।

বিএনপির এই নেতা বলেন, গণতন্ত্রের পক্ষে তরুণদের যে ঢল নেমেছে, তাতে স্নায়ুবিক প্রতিক্রিয়ায় বিহব্বল শেখ হাসিনা। এতে তিনি স্বৈরতন্ত্রের ক্রমোন্নতির ক্রমাগত বিকাশ ঘটাতে আরও মরিয়া হয়ে উঠেছেন। এখন চলছে নানা রকমের উদ্দেশ্য ও অভিসন্ধি। আওয়ামী সরকারের আদালত তাই উঠেপড়ে লেগেছে বিএনপি নেতাদের সাজা দিতে। নতুন নতুন মিথ্যা মামলা ও গ্রেপ্তারের প্রবাহ আটকে নেই। কারাবন্দী নেতাদের দীর্ঘদিন কারাগারে আটকিয়ে রাখার জন্য প্রহসনের আইনি প্রক্রিয়াও তারা আর অবলম্বন করছেন না। এখন গায়ের জোরেই বিএনপি ও অঙ্গ-সংগঠনের নেতাদের কারাগারে আটকিয়ে রাখা হচ্ছে। গ্রেপ্তারসহ রিমান্ডের নামে উৎপীড়ন এখন বিএনপি নেতা-কর্মীদের কপালের লিখন হয়ে গেছে।

অবিলম্বে যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোনায়েম মুন্নাসহ সালাহ উদ্দিন আহমেদ, হাবিবুল ইসলামা হাবিব, সাইফুল আলম নীরব, রফিকুল আলম মজনু, শেখ রবিউল আলম রবি, তানভীর আহমেদ রবিন, এস এম জাহাঙ্গীর, আলী আকবর চুন্নু, গোলাম মাওলা শাহীন, ইউসুফ বিন জলিল কালু, মুসাব্বির আহমেদসহ সকল রাজবন্দীর নিঃশর্ত মুক্তির আহ্বান জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দীন টুকু ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।


দুর্দিন অতিক্রমে প্রেরণা জোগায় নজরুল: রিজভী

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
প্রতিনিধি, ঢাবি

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আমরা যখন মিছিল করি বা স্লোগান দেই, তখন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম আমাদের প্রেরণা জোগায়। এমনকি আমরা যখন কারাগারে যাই, তখনো প্রেরণা জোগায় কাজী নজরুল ইসলাম।

রোববার জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৭তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়স্থ তার মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

রিজভী বলেন, শুধুমাত্র ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য, আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়াকে, হাজার হাজার নেতা-কর্মীকে কারাগারে বন্দী করে রাখা হয়েছে। শুধুমাত্র গণতন্ত্রের পক্ষে কথা বলার জন্য গণতন্ত্রের পক্ষে স্লোগান ধরার আমাদের নেতা-কর্মীদের নামে মিথ্যা ও গায়েবি মামলা দেয়া হচ্ছে। দেশনায়ক তারেক রহমান দেশে আসতে পারছেন না। একটি স্বাধীন দেশ তো এমন হওয়ার কথা ছিল না।

বিএনপির জ্যেষ্ঠ এই যুগ্ম মহাসচিব বলেন, এই দুঃসময়, ঘোর দুর্দিন অতিক্রম করার জন্য কাজী নজরুল ইসলামের কবিতা ও গান আমাদের প্রেরণা জোগায়, আমাদের উদ্দীপ্ত করে, আমাদের উজ্জীবিত করে। তিনি আজীবন এ দেশের মানুষের কাছে সাম্যের কবি, দ্রোহের কবি একই সঙ্গে প্রেমের কবি হয়েই থাকবেন।

রিজভী বলেন, এই মহান জাতীয় কবির কবিতা এবং গান আজও এত প্রাসঙ্গিক যে, ভয় ও আতঙ্কের পরিবেশের মধ্যে যখন আমাদের প্রতিদিন অতিবাহিত হচ্ছে, তখন এই অধিকারহারা, গণতন্ত্রহারা, মতপ্রকাশ ও কথা বলার স্বাধীনতাহারা মানুষদের কাছে এখনো উদ্দীপনার এবং প্রেরণার স্থল জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদের এক দুঃসময় এবং দুঃশাসনের মধ্যে আমরা বাস করছি। আমাদের বিজয় অর্জন করতে হবে। এই দুঃশাসন থেকে পরিত্রাণের জন্য আমাদের অন্যতম প্রেরণা কাজী নজরুল ইসলাম।

বিষয়:

কোনো লবিংয়ে কাজ হবে না, আর ক্ষমতায় থাকতে পারবেন না: দুদু

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, ‘শেখ হাসিনা আবারও ক্ষমতায় থাকার জন্য দেশে দেশে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। দেশে দেশে রাজনীতিবিদদের পাঠাচ্ছেন। বিভিন্ন দেশের সঙ্গে লবিং করছেন। কোনো লবিংয়ে কাজ হবে না। ২০১৪ ও ১৮ সালের নির্বাচনের মতো বেহায়াপনা নির্বাচন আর এ দেশের মানুষ হতে দেবে না। ২০১৪ ও ১৮ সালের নির্বাচনের মতো সাজানো গোছানো নির্বাচন করে আপনি ক্ষমতায় থাকতে পারবেন না।’

বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের উদ্যোগে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধনে এসব কথা বলেন তিনি।

শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘দেশের মানুষ সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে, আগামী নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই হবে। দেশের জনগণ, পেশাজীবী, রাজনীতিবিদরা সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে। এটা যদি আপনি বুঝতে অক্ষম হন, তাহলে আপনার বিদায়টা খুব ভালোভাবে হবে, এটা এখন আমরা বলতে পারব না।’

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘এর আগে পশ্চিমা দেশগুলো আপনার দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। অতি সম্প্রতি ভারত যেভাবে কথা বলেছে- তাতে মনে হচ্ছে, ভারতও আপনার সঙ্গে নেই।’

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি জানিয়ে শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘একটি মিথ্যা মামলায় খালেদা জিয়াকে সাজা দেয়া হয়েছে। তিনি অসুস্থ। ডাক্তার বলেছে- বাংলাদেশের তার আর চিকিৎসা নেই। তারপরও তাকে এই সরকার বিদেশে চিকিৎসার জন্য যেতে দিচ্ছে না। কয়েকজন এমপি ও মন্ত্রী, যারা দুর্নীতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত, তারাও বিদেশে গিয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে। কিন্তু খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য যেতে দিচ্ছে না।

দেশ বাঁচাও, মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির সহ-তথ্যবিষয়ক সম্পাদক কাদের গণি চৌধুরী ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি রাশেদুল ইসলাম।


আ.লীগ নিজেদের এ দেশের মালিক মনে করে: ফখরুল

আপডেটেড ২৩ আগস্ট, ২০২৩ ১৬:০৭

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘বর্তমানে যে সংবিধানটি রয়েছে, তা আওয়ামী লীগের তৈরি করা সংবিধান। যেখানে কোনো প্রশ্ন করা যাবে না, কোনো পরিবর্তন করা যাবে না। অথচ সংবিধান তো মানুষের জন্যই তৈরি করা হয়। তাহলে পরিবর্তন করা যাবে না কেন? আসলে আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে, তারা নিজেদের এ দেশের মালিক মনে করে। দেশটা যে জনগণের, তা আর মনে করে না তারা। এ ধারণা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য এখন শক্ত একটা ঝাঁকুনি দরকার।’

মঙ্গলবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির স্বাধীনতা হলে গণ অধিকার পরিষদ কর্তৃক আয়োজিত ‘নাগরিকদের সাংবিধানিক ও মানবাধিকার সুরক্ষা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘এ ক্ষেত্রে তরুণদের ছাড়া পরিবর্তন আনা সম্ভব নয়। এসব বিষয়ে তাদের উপস্থিতি কম দেখছি। এটা নিয়ে ভাবতে হবে। পরিবর্তনটা কিন্তু তরুণদেরই করতে হবে। রাষ্ট্র পরিবর্তনে তরুণরাই মূল ভূমিকা পালন করে। পূর্ব ইতিহাস ঘাটলেই সেটার সত্যতা দেখা যায়।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে, এটা বলে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করা হচ্ছে। তারা তো নিজেদের প্রয়োজন মতো সংবিধান তৈরি করেছে, তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বাতিল করেছে। অথচ এ আওয়ামী লীগ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য টানা আন্দোলন করেছিল। তখন এটা জায়েজ হলে এখন হবে না কেন?’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আজ এক পত্রিকায় দেখলাম আমাকে মিথ্যাবাদী বলা হয়েছে। নাম ধরে গালিগালাজ করা রাজনৈতিক শিষ্টাচার নয়। অবশ্য আওয়ামী লীগের মধ্যে রাজনৈতিক শিষ্টাচার নেই। সব সময় মারমুখী আচরণ আর অনর্গল মিথ্যাচারের রাজনীতি। তারা দেশের যে প্রবৃদ্ধির কথা বলে, তা পুরোটাই নিজেদের তৈরি। জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করে তারা দেশের সবচেয়ে বড় ক্ষতি করছে। আমাদের লক্ষ্য একটাই, এদের সরিয়ে একটা জনগণের সরকার তৈরি করা।’

গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নূরের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন লেখক এহসান মাহমুদ, পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান, সাংবাদিক মাহবুব মোর্শেদ, এবি পার্টির আহ্বায়ক এ এফ এম সোলয়মান চৌধুরী, বিএনপি যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের চেয়ারম্যান রুহুল আমিন প্রমুখ।

বিষয়:

নিরীহ মানুষকে জঙ্গি বানিয়ে ফায়দা হাসিলের চেষ্টা হচ্ছে: ফখরুল

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফাইল ছবি
আপডেটেড ২৩ আগস্ট, ২০২৩ ১৬:০২
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

ফায়দা হাসিল করতে সরকার নিরীহ মানুষকে জঙ্গি আখ্যা দিয়ে আটক করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, ‘এ দেশের মানুষ ধর্মপ্রাণ, এটা তো তাদের পাপ নয় এবং অপরাধও নয়। যেসব মানুষ ধর্ম পালন করে, তাদের জঙ্গি বানিয়ে ফায়দা হাসিলের চেষ্টা করা হচ্ছে।’

রাজধানীর আইডিইবি মিলনায়তনে মঙ্গলবার এক স্মরণ সভায় বিএনপি মহাসচিব এ অভিযোগ করেন। দলের প্রতিষ্ঠাতা কাজী জাফর আহমদের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) এই সভার আয়োজন করে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘একটা পাড়া থেকে গহিন জঙ্গলের কথা বলে নিরীহ সাধারণ মানুষদের জঙ্গি বলে তুলে নিয়ে আসল। তারা (আওয়ামী লীগ) দেখাতে চায় যে, বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ আছে, জঙ্গি আছে, এদের দমন করতে শুধু তাদেরই দরকার। এটাই হচ্ছে, তাদের মূল উদ্দেশ্য। এটা তারা দেখাতে চায় পশ্চিমা বিশ্ব ও ভারতকে। কিন্তু আমরা তো জানি জঙ্গি বলতে তারা। জঙ্গি আওয়ামী লীগ, জঙ্গি এই সরকার।’

সাধারণ মানুষের ওপর জঙ্গিবাদ চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে মন্তব্য করে ফখরুল বলেন, ‘তারা আজ মানুষের ওপর জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ চাপিয়ে দিয়ে সাধারণ মানুষকে হত্যা করছে। তাদের অধিকারগুলোকে কেড়ে নিচ্ছে। জঙ্গি তো সেটাই।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আজকে ভয়ংকর প্রতারকরা দেশকে ধ্বংস করে ফেলছে। গ্রামে জঙ্গি নাটক সাজিয়ে সরকার পশ্চিমা বিশ্ব এবং ভারতকে দেখাতে চায়। জঙ্গি তো আওয়ামী লীগ। তারা মানুষ হত্যা করছে।’

তিনি বলেন, ‘এ দেশের জনগণ এমনতেই ধর্মপ্রাণ মানুষ। তাদের জঙ্গি বানিয়ে ফায়দা লুটতে চায় এ সরকার। আজকে আমরা একটি ভয়াবহ অবস্থায় আছি। সব ক্ষেত্রেই শুধু প্রতারণা।’

জাতি আজ কঠিন সময় পার করছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমি প্রায়ই ফ্যাসিবাদের কথা বলি, অনেকে জানতে চান ফ্যাসিবাদ কী? আজকে আওয়ামী লীগের শাসন দেখলেই বোঝা যাবে ফ্যাসিবাদী শব্দের অর্থ কী। আজকে অবিচার অত্যাচারের নমুনা দেখুন। দেশে এক ব্যক্তির একদলীয় শাসন চলছে। তবে আশার বাণী মানুষ জেগে উঠেছে, এগিয়ে আসছে।’

২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা অত্যন্ত ন্যক্কারজনক উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এখানে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে তারেক রহমানকে ফাঁসানো হয়েছে। ১৪৫ দিন রিমান্ডে নিয়ে তাড়াতাড়ি করে রায় দিয়ে মুফতি হান্নানের ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে। শেখ হাসিনা নিজেও এ মামলায় সাক্ষী ছিলেন, তিনি যাননি। মুফতি হান্নান ফাঁসির আগে তিনি একটি স্টেটমেন্ট দিয়েছিলেন, তা প্রকাশ হওয়ার আগেই তাকে ফাঁসিতে ঝুলানো হয়েছিল। অথচ বিএনপির শাসনামলেই মুফতি হান্নানকে গ্রেপ্তার করা হয়।’

জিয়া পরিবারকে খুনি বলায় প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘শহীদ জিয়াকে এ দেশে গণতন্ত্র প্রবর্তনের কারণে খুন করা হয়েছে। বেগম খালেদা জিয়া আজীবন গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তার সন্তান আজ গোটা জাতিকে আন্দোলন-সংগ্রামে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। অথচ প্রধানমন্ত্রী বলছেন বিএনপি নাকি খুনির দল।’

কাজী জাফরের স্মৃতিচারণ করে ফখরুল বলেন, ‘তিনি আমাদের নায়ক। আমাদের ফিল্মি হিরো ছিল উত্তম কুমার আর রাজনীতির নায়ক ছিলেন কাজী জাফর আহমদ।’ কাজী জাফরের কথা স্মরণ করে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন বিএনপি মহাসচিব।’

তিনি বলেন, ‘একে একে প্রদীপ নিভে যাচ্ছে। আজকের এই দুর্দিনে তাদের খুব প্রয়োজন ছিল। আজকে দেশে গণতন্ত্র ফিরে এনে সমাজে তাদের আদর্শ বাস্তবায়ন করতে হবে।’

জাপার একাংশের চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দারের সভাপতিত্বে এস এম এম শামীমের সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহীম, বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপন, জাতীয় পার্টির মহাসচিব আহসান হাবিব লিংকন, প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী নাহিদ, নওয়াব আলী আব্বাস খান, মাওলানা রুহুল আমিন ও নজরুল ইসলাম প্রমুখ।

বিষয়:

২১ আগস্টের ঘটনায় তারেক রহমান জড়িত ছিলেন না: ফখরুল

ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার তদন্ত সঠিক হয়নি বলে দাবি করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, এ ঘটনায় তারেক রহমান কোনোভাবেই জড়িত ছিলেন না।

সোমবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কথা বলেন।

ফখরুল বলেন, এই মামলায় প্রথমে তারেক রহমান সংযুক্ত ছিলেন না। পরে মুফতি হান্নানকে দীর্ঘদিন আটকে রেখে তার জবানবন্দীর ওপর ভিত্তি করে তারেক রহমানকে যুক্ত করা হয়। এমনকি মুফতি হান্নান এই জবানবন্দীর বিরুদ্ধে এফিডেভিট দিয়ে বক্তব্য প্রত্যাহার করেন। পরবর্তীতে মুফতি হান্নানকে অন্য একটি মামলায় ফাঁসি তড়িঘড়ি করে রায় কার্যকর করা হয়। যাতে তিনি এই মামলায় পরবর্তীতে আর কোর্টে আসার কোনো সুযোগ না পান।

ইচ্ছাকৃতভাবে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে তারেক রহমানের নাম এই মামলায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, সুষ্ঠু তদন্ত না করেই তড়িঘড়ি করে মামলা শেষ করা হয়েছে। আমরা বারবার বলে এসেছি এই মামলায় সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত হোক। এই ঘটনা বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি জঘন্য ঘটনা। তারেক রহমানসহ বিএনপির কোনো নেতা ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার সঙ্গে জড়িত ছিলেন না।

কয়েকটি রাজনৈতিক দলের ভারত সফরের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, যারা জনগণের কাছে যেতে পারে না তারাই এভাবে ফায়দা নিতে চায়। আমরা চাই নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন। জনগণ ভোট দিয়ে সরকার নির্বাচিত করবেন এমন একটি নির্বাচন।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আগামী নির্বাচনে বিরোধীদলের মাঠ শূন্য করতে আবারও চক্রান্ত চলছে। একই কায়দায় গত পরশুদিন রাতে আমাদের দলীয় কার্যালয়ে বিভীষিকাময় পরিস্থিতি তৈরি করা হয়। অনেক নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার হন। গত শনিবার হবিগঞ্জে সাবেক মেয়র জি কে গউছের বাড়িতে গুলি করা হয়। তিন শতাধিক নেতা-কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। রোববার আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা সেখানে দলীয় কার্যালয়ে হামলা ও গুলি করেন। সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা যে ভাষায় বক্তব্য দিয়েছেন, তাতে বিরোধীদল শূন্য নির্বাচন করতে চায়।

তিনি বলেন, এখন শুরু হয়েছে মেগা প্রকল্প চালু করা। কার জন্য? কিসের জন্য? এগুলোর লক্ষ্য হলো তাদের পকেট ভরানো। এগুলো তো জনগণের ট্যাক্সের টাকায়। সুতরাং এখানে তো বলার কিছু নেই যে আপনি উন্নয়ন করেছেন! আজকে জাতি এদের হাত থেকে মুক্তি চায়।

আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদন প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের উত্তরে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা এখনো রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া হইনি। আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে রাজনীতি করি। তাদের নিয়েই আমরা আছি। আজকে দেশের মানুষ নির্বাচন চায়। সেই বিষয়টিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে এ ধরনের কথাবার্তা হচ্ছে। কিন্তু এ বিষয়ে আমেরিকার কেউ স্বীকার করেনি। ভারতেরও কেউ স্বীকার করেনি।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। যিনি বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা ও আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার। তিনি এমন সময় দেশের হাল ধরেন, যখন তৎকালীন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সব দলকে নিষিদ্ধ করে একদলীয় বাকশাল কায়েম করেছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিভক্ত জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করার লক্ষ্যে জিয়াউর রহমান বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। সেসময় দেশ একটি দলের হাতে চলে গিয়েছিল। জিয়াউর রহমান স্বল্প সময়ের মধ্যেই বাংলাদেশকে একটি স্বনির্ভর বাংলাদেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫২ বছরে আমরা সবচেয়ে বেশি সংকটে পড়েছি। এই সরকার দেশের মানুষের আকাঙ্ক্ষা ধ্বংস করেছে। প্রশাসন বলুন আর কিছু বলুন সবকিছু ধ্বংস করেছে। আজকে একটি কোম্পানি ১১ হাজার কোটি টাকা নিয়ে গেছে। সরকারের কোনো মাথাব্যথা নেই। কারণ তাদের নিজেদের লক্ষ্য সেটা।

তিনি বলেন, আমরা ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র ফিরে পাওয়ার লড়াই করে যাচ্ছি। এখানে সবারই ভূমিকা রাখার সুযোগ আছে। সবাইকে এগিয়ে আসার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।

বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচির বিষয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, অন্যান্যবারের মতো ১ সেপ্টেম্বর সকাল ৬টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলীয় পতাকা উত্তোলন, সময় মতো আলোচনা সভা হবে। পোস্টার প্রকাশ ও ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হবে। একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা করা হবে। বিস্তারিত কর্মসূচি সোমবার দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে আলোচনায় চূড়ান্ত হবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান, দক্ষিণের আহ্বায়ক মো. আব্দুস সালাম, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, কেন্দ্রীয় নেতা মজিবুর রহমান সারোয়ার ও খায়রুল কবির খোকন প্রমুখ।


খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সুচিকিৎসার দাবিতে লিফলেট বিতরণ

ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১৭ আগস্ট, ২০২৩ ১৬:৪৭
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সুচিকিৎসার দাবিতে লিফলেট বিতরণ করেছে বিএনপি। রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ও আশপাশের এলাকায় বৃহস্পতিবার দুপুরে দলটির নেতারা লিফলেট বিতরণ করেন।

লিফলেট বিতরণকালে সাংবাদিকদের বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম বলেন, সুস্থভাবে পায়ে হেঁটে খালেদা জিয়া জেল খানায় গিয়েছেন, আর অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে হাসপাতালে নেয়া হলো। শতবার বলার পরও তার সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করেনি সরকার। এর পেছনে সরকার কী নীল নকশা করছে, তা জাতি জানতে চায়।

আওয়ামী লীগ ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করতে জিয়া পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করার ষড়যন্ত্র করছে বলে অভিযোগ করে আব্দুস সালাম বলেন, ‘যার কারণে, জিয়াকে বন্দী করে রেখেছে। কিন্তু কোনো লাভ নেই, বিএনপির প্রতিটি নেতা-কর্মী জিয়া পরিবারের সদস্য। কতজনকে কারাগারে নেবেন। আপনাদের সময় শেষ। ভালোই ভালো জনগণের কাছে ক্ষমা চেয়ে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে ক্ষমতা ছেড়ে দিন। না হলে তার প্রায়শ্চিত্ত করতে হবে এই সরকারকে।’

লিফলেট বিতরণকালে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিম ও যুবদল সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু প্রমুখ।


একতরফা নির্বাচন করতে দেয়া হবে না: রিজভী

ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
প্রতিনিধি, নারায়ণগঞ্জ

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘বিএনপি নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছে না, বিএনপি সেই নির্বাচন প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছে যে নির্বাচনে জনগণ অংশ গ্রহন করে না, ভোট দিতে পারে না। শেখ হাসিনার একতরফা নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেবে না এবং শেখ হাসিনাকে এক তরফা নির্বাচন করতে দেয়া হবে না।’

বৃহস্পতিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। এর আগে রিজভী পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিতে আহত হয়ে দৃষ্টি হারানো ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি শহীদুল ইসলাম টিটুর পরিবারের সঙ্গে দেখা করে তাদের সমবেদনা জানান।

রিজভী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী কদিন আগে বলেছেন- তাকে নাকি সরানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। আপনাকে সরাবে জনগণ। কাকে ক্ষমতায় রাখবে, তা জনগণই বেছে নেবে। জনগণ চাচ্ছে যে, আপনি পদত্যাগ করুন। আর নির্বাচনকালীন একটি নির্দলীয়, নিরপেক্ষ সরকার দিন, যেন জনগণ সুষ্ঠুভাবে ভোট দিতে পারে। জনগণই দেশের মালিক। কাকে রাখবে আর কাকে সরাবে, সেটা তো জনগণের অধিকার। এটাকেই তো গণতন্ত্র বলে।’

তিনি আরও বলেন, ‘শেখ হাসিনাই জনগণের বিরুদ্ধে, দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন। নিজের মতো করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সাজিয়ে নিয়েছেন। অনেকের চোখের আলো কেড়ে নিচ্ছেন, হাতের কব্জি কেটে ফেলছেন, পা কেটে ফেলছেন। এটা আর চলবে না, জনগণ আর চলতে দেবে না। যুবক-তরুণরা জাগ্রত হয়েছে প্রতিহত করার জন্য।’

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আপনি গণতন্ত্রের অর্থ জানেন প্রধানমন্ত্রী? আপনি জানেন না। আপনি যেভাবে ক্ষমতায় থাকতে চান, সেটার শিকার হয়েছেন বিএনপি নেতা শহীদুল ইসলাম টিটু্। অর্থ্যাৎ দেশে বিরোধী দলের জন্য কথা বলার কোনো জায়গা থাকবে না। সরকার একের পর এক অন্যায়, লুটপাট, টাকা পাচার করবে, এটার বিরুদ্ধে কথা বলার, মিছিল করার, স্লোগান দেয়ার কোনো লোক থাকবে না। আর যদি থাকে, তাহলে তাদের পরিস্থিতি হবে শহীদুল ইসলাম টিটুর মতো। শেখ হাসিনার জোর করে ক্ষমতায় থাকার পরিণতি হচ্ছে টিটুর চোখের দৃষ্টি চলে যাওয়া। জনগণের অধিকার ফেরাতে টিটুর মতো যারা অঙ্গ হারাচ্ছেন, তাদের অবদান বৃথা যাবে না। বাকস্বাধীনতা ও গণতন্ত্র অবশ্যই ফিরে আসবে। রক্তচক্ষু নিয়ে যেভাবে শেখ হাসিনা শাসন করছে, তার পতন হবে। বিএনপির আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্যে আছে, বিজয় না হওয়া পর্যন্ত এ আন্দোলন থামবে না৷।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, বিএনপির সহ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মুস্তাফিজুর রহমান ভূইয়া দিপু, জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনিসহ স্থানীয় নেতারা।


banner close