শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫
৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

উচ্চ আদালতে ফের মুখোমুখি বিএনপি ও আ.লীগের আইনজীবীরা

ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। ছবি: ভিডিও থেকে নেয়া
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত : ২৯ মে, ২০২৩ ২০:২২

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি প্রাঙ্গণে পাল্টাপাল্টি বিক্ষোভ ও মিছিল করেছেন বিএনপি ও আওয়ামী লীগ সমর্থক আইনজীবীরা। সোমবার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনের সামনে তারা পাল্টাপাল্টি এ কর্মসূচি পালন করেন।

একদিকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের বিচারের দাবিতে রাজপথে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেন বিএনপি সমর্থক আইনজীবীরা। অন্যদিকে বিএনপির আইনজীবীদের নৈরাজ্যের প্রতিবাদে পাল্টা বিক্ষোভ মিছিল করেন আওয়ামী লীগ সমর্থক আইনজীবীরা।

জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের ব্যানারে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকে বিচার বিভাগ সম্পর্কে কটূক্তি ও সুশীলদের হত্যার হুমকি দেয়ায় অবিলম্বে ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসকে গ্রেপ্তার ও তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানানো হয়।

বিএনপির আইনজীবীরা সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি প্রাঙ্গণ থেকে মিছিল নিয়ে হাইকোর্ট মাজার গেট দিয়ে কদম ফোয়ারা হয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান গেটের সামনে মিলিত হন। সেখানে মানববন্ধন করেন তারা।

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন কর্মসূচিতে বলেন, ‘একজন চিফ জাস্টিসকেও নামিয়ে দিয়েছিলাম—এমন বক্তব্য দেয়ার পরও সুপ্রিম কোর্ট কোনো ব্যবস্থা নেননি। আপনারা ব্যবস্থা নেন। আমি বলতে চাই আপিল বিভাগ হলো দেশের বিচার বিভাগের অভিভাবক। এখনো কেন তার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগে ব্যবস্থা নিচ্ছেন না।’

সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি এ জে মোহাম্মদ আলীর সভাপতিত্বে কর্মসূচিতে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির আইন সম্পাদক ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব কায়সার কামাল, সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সম্পাদক বদরুদ্দোজা বাদল, মো. রুহুল কুদ্দুস কাজল, আইনজীবী ফোরাম সুপ্রিম কোর্ট ইউনিটের সভাপতি আবদুল জব্বার ভূইয়া, সাধারণ সম্পাদক গাজী কামরুল ইসলাম সজল, আইনজীবী মোহাম্মদ আলী প্রমুখ।

আগামী ৩১ মে দুপুর ১টায় সুপ্রিম কোর্টসহ দেশের সব জেলা বারে শেখ ফজলে নূর তাপসের বিচারের দাবিতে আইনজীবী সমাবেশ ও মানববন্ধন কর্মসূচি ঘোষণা করে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম।

অন্যদিকে আওয়ামী লীগ সমর্থক আইনজীবীরাও পাল্টা প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে। বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ আয়োজিত সমাবেশ থেকে সংবিধান প্রণেতা প্রবীণ আইনজীবী ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলামকে উদ্দেশ্য করে বারের সম্পাদক আব্দুন নূর দুলাল বলেন, ‘আমাদের সংক্ষিপ্ত কথা, একেবারে সোজা সাপ্টা বাংলা। আমাদের এই দলে ছিল, এখন উচ্ছিষ্টে পরিণত হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর আমল থেকে এই মানুষদের আমরা জেনেছি। তাদের আমরা চিনেছি, যখন ওয়ান ইলেভেন নেমেছে, তখন আমাদের এক নেতা এই সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতি ছিলেন। জননেত্রী শেখ হাসিনাকে যখন গ্রেপ্তার করা হয়, তখন তার কী ভূমিকা ছিল তা জাতি জানতে চায়। আপনি আমাদের লোক নন। বঙ্গবন্ধু যেদিন আপনাকে বহিষ্কার করেছেন, সেদিন থেকে এই জাতি আপনাকে চিনেছে। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা আপনাকে চিনেছে। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীরা আপনাকে চিনেছে।’

এদিকে দুইপক্ষের আইনজীবীদের সংঘাত এড়াতে আদালত এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। বিএনপি সমর্থক আইনজীবীরা বিক্ষোভ করে সুপ্রিম কোর্ট বার ভবনের সামনে সরকার সমর্থক আইনজীবীদের মুখোমুখি হলে পুলিশ বিএনপি সমর্থক আইনজীবীদের আটকে দেন। এ সময় পাল্টাপাল্টি বিক্ষোভের পর দুই পক্ষের আইনজীবীরা সুপ্রিম কোর্ট বার ভবনে প্রবেশ করেন। বার ভবনে প্রবেশের পর সভাপতি ও সম্পাদকের কক্ষের সামনে অবস্থান নিয়ে সরকার সমর্থক আইনজীবীরা বিক্ষোভ করেন। অন্যদিকে বিএনপি সমর্থকরা নিচতলায় কিছু সময় বিক্ষোভ করে চলে যান।


সরকার স্বচ্ছতা ও সংস্কারের প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ : বিডা প্রধান

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) এবং বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) এর নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন বলেছেন, দেশে একটি স্থিতিশীল ও বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য সরকার স্বচ্ছতা ও সংস্কারের প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ।

তিনি বলেন, ‘আমরা বিনিয়োগকারীদের সমস্যাগুলো বুঝি এবং তা সমাধানের সর্বোচ্চ চেষ্টা করি। স্বচ্ছতা ও কাঠামোগত সংস্কারের মাধ্যমে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয়ে আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ। তবে টেকসই উন্নয়নের জন্য ব্যবসায়ীদের সক্রিয় ভূমিকা ও পরামর্শ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের লক্ষ্য একটি স্থিতিশীল ও বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ গড়ে তোলা। যেটি দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ আকর্ষণ করবে এবং সামগ্রিক অর্থনৈতিক সক্ষমতা আরও শক্তিশালী করবে।’

সম্প্রতি রাজধানীর একটি হোটেলে জাপান-বাংলাদেশ অর্থনৈতিক করিডরের কৌশলগত গুরুত্ব তুলে ধরে উচ্চ পর্যায়ের অর্থনৈতিক ব্রিফিংয়ে আশিক চৌধুরী এসব কথা বলেন। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

জাপান এক্সটার্নাল ট্রেড অর্গানাইজেশন (জেট্রো) এবং স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশ এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানে বিডা, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড, জাপান ইন্টারন্যাশনাল কোঅপারেশন এজেন্সি (জাইকা), জেট্রো এবং জাপান দূতাবাসের জ্যেষ্ঠ প্রতিনিধিরা, উভয় দেশের ব্যবসায়ী নেতা এবং বিনিয়োগকারীরা একত্রিত হন।

বিশ্ব বাণিজ্যের গতিশীলতার পরিবর্তনের ফলে দক্ষিণ এশিয়ায় বিনিয়োগের আগ্রহ বাড়ছে। এই অনুষ্ঠানটি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক স্থিতিস্থাপকতার প্রতি ক্রমবর্ধমান আস্থার উপর জোর দেয় এবং নতুন সুযোগ উন্মোচনের জন্য সরকারি ও বেসরকারি খাতের অংশীদারদের প্রতিশ্রুতিকে আরও জোরদার করে। সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা থেকে শুরু করে সংস্কার, বিনিয়োগ পরিবেশ এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে উভয় পক্ষের নেতারা একসঙ্গে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন এবং তাদের অভিজ্ঞতা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা শেয়ার করেন। ইতোমধ্যে বাংলাদেশে ৩০০ টিরও বেশি জাপানি প্রতিষ্ঠান কাজ করছে, যা এই অংশীদারিত্বকে আরও বিস্তৃত ও টেকসই করার সুযোগ তৈরি করছে।

বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত সাইদা শিনিচি বলেন, একজন বিশ্বস্ত কৌশলগত অংশীদার হিসেবে জাপান বাংলাদেশে বিনিয়োগ ও গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোগত উন্নয়নে সহায়তার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। চলমান ইকোনমিক পার্টনারশিপ এগ্রিমেন্টের (ইপিএ) আলোচনায় আমাদের যৌথ লক্ষ্যগুলো তুলে ধরা হচ্ছে। এতে কৃষি, মাছ চাষ, অটোমোবাইল ও টেক্সটাইল খাতে বড় ধরনের সম্ভাবনার দিকগুলোও উঠে আসছে।

জেট্রোর কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ ইউজি আন্দো বলেন, বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা সত্ত্বেও বাংলাদেশে কার্যরত জাপানি প্রতিষ্ঠানগুলো এখানকার বাজারে তাদের কার্যক্রম আরও সম্প্রসারণে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এটি বাংলাদেশের প্রতি জাপানের দীর্ঘমেয়াদি প্রতিশ্রুতিরই প্রতিফলন।

বাংলাদেশে জাইকার চিফ রিপ্রেজেন্টেটিভ ইচিগুচি তোমোহিদ বলেন, গত কয়েক বছরে কিছু অগ্রগতি হলেও বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তৈরিতে এখনও অনেক কাজ বাকি রয়েছে। জাইকা, জেট্রো এবং অন্য সহযোগীরা যৌথভাবে বাংলাদেশে একাধিক কৌশলগত উদ্যোগ বাস্তবায়নে কাজ করছে। যার মধ্যে রয়েছে মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর ও এমআরটির মতো গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো প্রকল্প এবং বিনিয়োগ প্রক্রিয়া সহজীকরণের উদ্যোগ।

স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশের সিইও নাসের এজাজ বিজয় বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশের অবিচল বন্ধু হয়ে পাশে থেকেছে জাপান। আমাদের অংশীদারিত্ব কেবল নীতিনির্ভর নয়, এটি গভীর মানবিক বন্ধনের উপর প্রতিষ্ঠিত। দেশের অর্থনীতির প্রধান সূচকগুলোতে এখন ইতিবাচক অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে। আর সামগ্রিক পরিস্থিতিও আগের চেয়ে অনেক বেশি স্থিতিশীল। প্রয়োজনীয় সংস্কার আর সম্মিলিত উদ্যোগ থাকলে, বাংলাদেশ আগামী পাঁচ বছরের মধ্যেই ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিতে রূপ নিতে পারে।

স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড জাপানের সিইও ইউসুকে আসাই বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন পরিবর্তন হলেও স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ডের বাংলাদেশ-জাপান অর্থনৈতিক করিডরের প্রতি অঙ্গীকার এবং দুই দেশের নিঃশর্ত বন্ধুত্ব এখনো অটুট আছে। জাপান বিশ্বের অন্যতম গ্লোবালাইজড ইকোনমি। আমাদের কোম্পানিগুলো বাংলাদেশে বিনিয়োগে প্রস্তুত আছে। ইতোমধ্যে ৩০০টিরও বেশি জাপানি কোম্পানি এখানে কাজ করছে। এখন বিনিয়োগ বাড়িয়ে বাংলাদেশের উন্নয়নে আমাদের অবদান বাড়ানোর সময়।


জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার ও আহতদের পুনর্বাসন অধ্যাদেশ অনুমোদন

বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনূস এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের ২৯ তম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার এবং আহত ছাত্র জনতার কল্যাণ ও পুনর্বাসন অধ্যাদেশ, ২০২৫ এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ।

আজ বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনূস এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের ২৯ তম বৈঠকে এই অনুমোদন দেয়া হয়।

বিকেলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জনসংযোগ কর্মকর্তা সুমন মেহেদী বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে উত্থাপিত জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার এবং আহত ছাত্র জনতার কল্যাণ ও পুনর্বাসন অধ্যাদেশ, ২০২৫ এর খসড়া লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের ভেটিং সাপেক্ষে চূড়ান্ত অনুমোদন করা হয়েছে যা মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার এবং আহত ছাত্র জনতার কল্যাণ ও পুনর্বাসন অধ্যাদেশ ছাড়াও আরো কয়েকটি বিষয়ে অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ।

এর মধ্যে রয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন দ্য প্রটেকশন এন্ড কনজারভেশন অব ফিশ (আমেনমেন্ট) ২০২৫ এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন। লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের ভেটিং সাপেক্ষে এটির অনুমোদন দেয়া হয়।

বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ড সরকারের মধ্যে নৌ প্রতিরক্ষা সামগ্রী সংক্রান্ত সহযোগিতা বিষয়ক সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরের প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে উত্থাপিত সংস্কার কমিশনের সুপারিশের মধ্যে আশু বাস্তবায়নযোগ্য সুপারিশ সমূহের বিষয়ে দিকনির্দেশনা প্রদান বিষয়ে বলা হয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ কর্তৃক উত্থাপিত সংস্কার কমিশনের সুপারিশ সমূহ বাস্তবায়নযোগ্য কিনা, বাস্তবায়নযোগ্য হলে সম্ভাব্য সময় এবং বাস্তবায়নের প্রভাব সংশ্লেষের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বিভাগ দফা ওয়ারী সুচিন্তিত মতামত মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের মাধ্যমে উপদেষ্টা পরিষদ বৈঠকে উপস্থাপন করবে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এ বিষয়ে সার্বিক সমন্বয়ের দায়িত্ব পালন করবে।

এছাড়া লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের ভেটিং সাপেক্ষে সরকারি অধ্যাদেশ (সংশোধন) ২০২৫ এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন করা হয়েছে।


গবেষণা ও শিক্ষার মানোন্নয়নে এক সঙ্গে কাজ করবে ডিআইইউ ও জাবি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ডিআইইউ) এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) যৌথভাবে গবেষণা ও শিক্ষার মান উন্নয়নে একাডেমিক সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য একটি সমঝোতা স্মারক (এমওএ) স্বাক্ষর করেছে। বিশেষ করে পিএইচডি ( ডক্টর অব ফিলোসোফি), এমফিল (মাস্টার অব ফিলোসোফি) ও এম এস (মাস্টার অব সায়েন্স) শিক্ষার্থীদের তত্ত্বাবধানের ক্ষেত্রে এ চুক্তি সহায়ক হবে বলে জানায় প্রতিষ্ঠান দুইটি।

মঙ্গলবার (২০ মে, ২০২৫) জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে একটি আন্তরিক পরিবেশে এই স্বাক্ষর অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আবদুর রবসহ অন্যান্য বিশিষ্ট অতিথি ও কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।

ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির পক্ষে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস. এম. মাহবুব উল হক মজুমদার, ফ্যাকাল্টি অব ইনফরমেশন টেকনোলজির ডিন প্রফেসর ডক্টর সৈয়দ আকতার হোসেন, ব্যবসা ও উদ্যোক্তা উন্নয়ন অনুষদের ডিন প্রফেসর ডক্টর মাসুম ইকবাল, স্বাস্থ্য ও জীবন বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ডক্টর বিলাল হোসেন, মানবিক ও সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক লিজা শারমীন, স্নাতকোত্তর অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. কবিরুল ইসলাম, এক্সটার্নাল অ্যাফেয়ার্সের পরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ মিজানুর রহমানসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

এই চুক্তির আওতায় উভয় বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা ও শিক্ষার মানোন্নয়নে একাডেমিক কার্যক্রমে একযোগে কাজ করবে, যার মধ্যে রয়েছে ল্যাব সুবিধা, অনলাইন ডাটা বেস, তথ্য বিশ্লেষণ ব্যবস্থা এবং ভৌত অবকাঠামোর ব্যবহার; যা ভর্তি ও সমাবর্তনের সময় উভয় প্রতিষ্ঠানের জন্য সহায়ক হবে। সমঝোতা স্মারকে উচ্চমানের গবেষণা পরিচালনা, যুগ্মভাবে আন্তর্জাতিক মানের জার্নাল প্রবন্ধ প্রকাশ, যৌথ গবেষণা সম্মেলন আয়োজন এবং পেটেন্টসহ মেধাস্বত্ব উন্নয়নের দিক নির্দেশনা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এছাড়ও শিক্ষার মান বৃদ্ধির লক্ষ্যে শিক্ষক বিনিময় কর্মসূচিও গবেষণা শিক্ষার্তীদের যৌথ তত্ত্বাবধানকে উৎসাহিত করা হবে বলে জানানো হয়।

অনুষ্ঠানে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এই উদ্যোগের জন্য প্রশংসা প্রকাশ করেন এবং বলেন- "এ ধরনের সহযোগিতা ফলপ্রসূ গবেষণার পাশাপাশি উচ্চ পর্যায়ের এইচ -ইনডেক্স সম্পন্ন জার্নালে প্রকাশনা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখবে।"
তাছাড়া ডিআইইউ-এর উপ-উপাচার্য এই চুক্তি যথাসময়ে বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন যাতে উভয় প্রতিষ্ঠানের একাডেমিক ও গবেষণাগত কার্যক্রমের মানোন্নয়নের পরিধি বৃদ্ধি পায়।


রূপালী ব্যাংকের উদ্যোগে মুগদা হাসপাতালে সুপেয় পানি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

সম্প্রতি রূপালী ব্যাংক পিএলসি’র মুগদা শাখার উদ্যোগে মুগদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে সুপেয় পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে। মুগদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে আগত রোগী, দর্শনার্থী ও তাদের আত্মীয় স্বজনরা যেন বিনামূল্যে সুপেয় পানি পান করতে পারে সেজন্য ব্যাংকের পক্ষে এ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

১৯ মে ২০২৫, রূপালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী মো. ওয়াহিদুল ইসলাম ও মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডিরেক্টর ডা. মো. মেজবাহুর রহমান এবং মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান এর উদ্বোধন করেন।

এ সময় ব্যাংকের জিএম তানভীর হাসনাঈন মইন, ডিজিএম মাসুদুল হাসান ও কাউসার মোস্তাফিজ এবং মুগদা শাখার সহকারী মহাব্যবস্থাপক খন্দকার শামসুল হক ইভান উপস্থিত ছিলেন।


ডিজিএফআইয়ের সাবেক মহাপরিচালক মামুন খালেদসহ ৪ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

ডিজিএফআইয়ের সাবেক মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) শেখ মামুন খালেদ, তার স্ত্রী নিগার সুলতানা খালেদ, কর কমিশনার আবু সাঈদ মো. মুস্তাক এবং জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই)-এর সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল টি. এম. জোবায়েরের ভায়রা ভাই খন্দকার আবুল কাইয়ুমের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পৃথক দুটি আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন।

দুদকের জনসংযোগ বিভাগের উপ-পরিচালক মো. আকতারুল ইসলাম এ তথ্য জানান।

শেখ মামুন খালেদের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞার আবেদনে বলা হয়, তার বিরুদ্ধে অবৈধভাবে শেয়ার ব্যবসা, ক্ষমতার অপব্যবহার, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ এবং জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অনুসন্ধান চলছে। তদন্তকালে জানা যায়, তিনি ও তার পরিবারের সদস্যরা দেশত্যাগ করে বিদেশে পলায়ন করতে পারেন। তাই সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তাদের বিদেশ গমন নিষিদ্ধ করা জরুরি।

কর কমিশনার আবু সাঈদ মো. মুস্তাক ও খন্দকার আবুল কাইয়ুমের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞার আবেদনে উল্লেখ করা হয়, এনএসআইয়ের সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল টি. এম. জোবায়েরের বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণ, চাকরি প্রদানে ক্ষমতার অপব্যবহার এবং কোটি কোটি টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া, তার নামে ও পরিবারের সদস্যদের নামে দেশে-বিদেশে সম্পদ ক্রয় ও অর্থ পাচারের বিষয়েও অনুসন্ধান চলছে।

আাবেদনে আরও বলা হয়, আবু সাঈদ মো. মুস্তাক ও খন্দকার আবুল কাইয়ুম নিজ উদ্যোগে ও বিভিন্ন উপায়ে টি. এম. জোবায়েরের অবৈধভাবে অর্জিত স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে স্থানান্তর করেছেন। তারাও দেশ ছেড়ে পালাতে পারেন। সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তাদের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা জারি করা প্রয়োজন।


সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ-২০২৫ এর গেজেট প্রকাশ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ-২০২৫ এর গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে।

সাইবার নিরাপত্তা আইন, ২০২৩ রহিতক্রমে সাইবার সুরক্ষা নিশ্চিতকরণ এবং সাইবার স্পেসে সংঘটিত অপরাধ শনাক্তকরণ, প্রতিরোধ, দমন ও উক্ত অপরাধ বিচার এবং আনুষঙ্গিক বিষয়ে বিধান প্রণয়নকল্পে প্রণীত হয় এই অধ্যাদেশ।

রাষ্ট্রপতির অনুমোদনক্রমে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব ড. হাফিজ আহমেদ চৌধুরী স্বাক্ষরিত এ অধ্যাদেশের গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। এর আগে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ এটি অনুমোদন করে।

এ অধ্যাদেশে সাইবার সুরক্ষা বিষয়ে মোট নয়টি অধ্যায়ে বিস্তারিত উল্লেখ করা হয়েছে। অধ্যাদেশটির প্রথম অধ্যায়ে তার শিরোনাম, সংজ্ঞা এবং এ সংক্রান্ত বিস্তারিত উল্লেখ রয়েছে।

অধ্যাদেশের দ্বিতীয় অধ্যায়ে ‘জাতীয় সাইবার সুরক্ষা এজেন্সি’ বিষয়ে বলা আছে। এখানে বলা হয়েছে, সরকার গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা একজন মহাপরিচালক ও বিধি ধারা নির্ধারিত সংখ্যক পরিচালকের সমন্বয়ে জাতীয় সাইবার সুরক্ষা এজেন্সি নামে একটি এজেন্সি গঠন করবে। এজেন্সির প্রধান কার্যালয় ঢাকায় থাকবে। তবে প্রয়োজনে ঢাকার বাইরে দেশের যে কোন স্থানে এর শাখা কার্যালয় স্থাপন করতে পারবে। এজেন্সির দায়িত্ব ও কার্যাবলী বিধি দ্বারা নির্ধারিত হবে।

এই অধ্যাদেশের তৃতীয় অধ্যায়ে সুরক্ষায় প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থাদির বিস্তারিত বলা হয়েছে।

সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ-২০২৫ এর চতুর্থ অধ্যায়ে এর জাতীয় সাইবার সুরক্ষা কাউন্সিল গঠনের বিস্তারিত বলা হয়। এই অধ্যাদেশের উদ্দেশ্য পূরণে এই কাউন্সিল গঠনের কথা বলা হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা/প্রধানমন্ত্রী হবেন এই কাউন্সিলের চেয়ারম্যান। কমিটিতে এই সংক্রান্ত মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, উপদেষ্টা, প্রধানমন্ত্রী বা প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের মুখ্য সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিবগণ, আইজিপি, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান, টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের চেয়ারম্যান, প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের মহাপরিচালক, জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার মহাপরিচালক, ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের মহাপরিচালক, জাতীয় সাইবার সুরক্ষা এজেন্সির মহাপরিচালক, প্রধান বিচারপতি কর্তৃক মনোনীত সুপ্রিম কোর্টের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারক, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান, তথ্য কমিশন সচিব, হেড অফ বাংলাদেশ ফাইনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট, সরকার কর্তৃক মনোনীত তথ্য প্রযুক্তি বা মানবাধিকার বিষয়ক দুইজন বেসরকারি পর্যায়ের বিশেষজ্ঞ সদস্য থাকবেন।

মহাপরিচালক কাউন্সিলের কার্যসম্পাদনের সাচিবিক সহায়তা প্রদান করবেন। এ কাউন্সিলের ক্ষমতা বিষয়ে বলা হয়েছে, কাউন্সিল, এই অধ্যাদেশ ও তদধীন প্রণীত বিধির বিধান বাস্তবায়নকল্পে, এজেন্সিকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা ও পরামর্শ প্রদান করবে।

অধ্যাদেশের পঞ্চম অধ্যায় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো, ষষ্ঠ অধ্যায়ে সাইবার বিষয়ক ‘অপরাধ ও দন্ড’ নিয়ে বিস্তারিত উল্লেখ করা হয়েছে। সপ্তম অধ্যায়ে সাইবার ‘অপরাধের তদন্ত ও বিচার’ সম্পর্কে বিস্তারিত বলা হয়েছে। এই অধ্যাদেশের অষ্টম অধ্যায়ে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বিষয়ে বিশদ উল্লেখ রয়েছে। সর্বশেষ নবম অধ্যায়ে বিবিধ-এ বলা হয়েছে, এই অধ্যাদেশের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, প্রয়োজনীয় সংখ্যক বিধি প্রণয়ন করতে পারবে।

এই অধ্যাদেশ প্রবর্তনের পর সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, ইংরেজিতে অনূদিত একটি নির্ভরযোগ্য পাঠ প্রকাশ করবে। এই অধ্যাদেশ ও ইংরেজি পাঠের মধ্যে বিরোধের ক্ষেত্রে এই অধ্যাদেশ প্রাধান্য পাবে বলে গেজেটে উল্লেখ করা হয়েছে।


ভোজ্যতেলের দাম লিটারে ৩৫ টাকা বাড়াল টিসিবি

প্রতি কেজি মসুর ডালে ২০ টাকা ও চিনির দাম ১৫ টাকা বৃদ্ধি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

সারা দেশে নিম্নআয়ের পরিবারের মধ্যে ভর্তুকিমূল্যে আজ বৃহস্পতিবার থেকে পণ্য বিক্রি শুরু করবে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। সরকারি এই সংস্থাটি বাজারমূল্যের চেয়ে কম দামে ভোজ্যতেল, চিনি ও মসুর ডাল বিক্রি করবে। আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে ফ্যামিলি কার্ডধারীদের পাশাপাশি নিম্নআয়ের মানুষের জন্যও শরাঞ্চলে ট্রাকে করে ভর্তুকি মূল্যে এই পণ্য তিনটি বিক্রি করা হবে। এক্ষেত্রে প্রত্যেকটি পণ্যের দাম কার্ডধারীদের চেয়ে কিছুটা বাড়ানো হয়েছে। এর মধ্যে প্রতি লিটার তেলে ৩৫ টাকা, প্রতি কেজি মসুর ডালে ২০ টাকা ও চিনির দাম ১৫ টাকা বাড়ানো হয়েছে।

গতকাল বুধবার টিসিবির যুগ্ম পরিচালক ও দায়িত্বপ্রাপ্ত তথ্য কর্মকর্তা মো. হুমায়ূন কবির সাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। টিসিবির একটি সূত্র জানিয়েছে, সরকার ভর্তুকির টাকা কমিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এজন্য পণ্যের দাম কিছুটা বাড়ানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে টিসিবি জানিয়েছে, আজ থেকে সারা দেশে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে পণ্য বিক্রি করা হবে। এই বিক্রয় কার্যক্রম ৩ জুন পর্যন্ত (শুক্রবার ও ছুটির দিনসহ) চলমান থাকবে। এসময়ে প্রতিদিন ৬৯০টি ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে পণ্য বিক্রি করা হবে। এর মধ্যে ঢাকায় ৫০টি, চট্টগ্রামে ২০টি, অন্য ছয়টি বিভাগীয় শহরে ১০টি করে এবং অবশিষ্ট ৫৬টি জেলা শহরে ১০টি করে ট্রাকে সাশ্রয়ী মূল্যে ভোজ্যতেল, চিনি ও মসুর ডাল বিক্রি করা হবে। ঈদুল আজহা উপলক্ষে টিসিবির ট্রাক থেকে একজন ভোক্তা সর্বোচ্চ দুই লিটার ভোজ্যতেল, দুই কেজি মসুর ডাল ও এক কেজি চিনি কিনতে পারবেন।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়, তারা প্রতি লিটার ভোজ্যতেল বিক্রি করবে ১৩৫ টাকা দরে। যা গত ফেব্রুয়ারিতে বিক্রি হয়েছে ১০০ টাকা লিটার হিসেবে। অর্থাৎ এখানে টিসিবি লিটারে ৩৫ টাকা দাম বাড়িয়েছে। প্রতি কেজি চিনি বিক্রি করা হবে ৮৫ টাকা কেজি দরে, যা আগে ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছে টিসিবি। আগে যে মশুর ডাল ৬০ টাকায় বিক্রি করেছে টিসিবি, সেটা ২০ টাকা বাড়িয়ে ৮০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

সাধারণত, কার্ডধারী নিম্নআয়ের পরিবারের মধ্যে সেবা দিতে সরকার ভর্তুকিমূল্যে এসব পণ্য বিক্রি করে। তবে আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে যেকোন ভোক্তা টিসিবির ট্রাক থেকে পণ্য কিনতে পারবেন। এক্ষেত্রে এই পণ্য তিনটি কিনতে কার্ডধারীদের চেয়ে কিছুটা বেশি অর্থ গুনতে হবে সাধারণ ভোক্তাকে। যদিও টিসিবির কার্ডধারীদের চেয়ে এসব পণ্যের দাম কিছুটা বেশি, তবে বাজারমূল্য থেকে কম। টিসিবির কার্ডধারীদের কাছে প্রতি লিটার ভোজ্যতেল ১০০ টাকা, প্রতি কেজি মসুর ডাল ৬০ টাকা ও চিনি ৭০ টাকায় বিক্রি হয়।


গার্মেন্টস মালিকরা হয় শ্রমিকদের বেতন দেবেন না হয় জেলে যাবেন: শ্রম উপদেষ্টা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

আগামী ২৮শে মের মধ্যে গার্মেন্টস শ্রমিকদের বকেয়া বেতন ভাতা পরিশোধ করতে হবে। না হলে গার্মেন্টস মালিকদের জেলে যেতে হবে।

শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন এ কথা বলেছেন।

তিনি বলেন, ইতোমধ্যে পাঁচজন গার্মেন্টস মালিকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। উনারা দেশের বাইরে তো দূরে থাক ঢাকার বাইরে যেতে পারবেন না।

আজ বুধবার সকালে সচিবালয়ে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনে কক্ষে আসন্ন ঈদ উপলক্ষে নৌ পথের যাত্রীদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তার লক্ষ্যে বিভিন্ন সংস্থার প্রধানের সাথে বৈঠক শেষে তিনি একথা বলেন।

শ্রম উপদেষ্টা আরো বলেন, বকেয়া বেতন ভাতার দাবিতে গত কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন গার্মেন্টস শ্রমিক সংগঠন থেকে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা এবং কাকরাইলে শ্রম ভবন ঘেরাও কর্মসূচি শুনতে পাচ্ছিলাম। বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে মঙ্গলবার রাত ৭ টা পর্যন্ত আমরা সচিবালয়ে গার্মেন্টস মালিক এবং শ্রমিক সংগঠনের নেতাদের সাথে বৈঠক করি। বৈঠকে গার্মেন্টস মালিকরা জানিয়েছেন, তারা ঘর বাড়ি বিক্রি করে হলেও শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ করবেন এবং সেটা আগামী ২৮ তারিখের মধ্যে।

উপদেষ্টা জানান, গার্মেন্টস মালিকদের নিশ্চয়তা আমাদেরকে আশান্বিত করেছে। আমরা মনে করছি গার্মেন্টস মালিকরা ২৮ তারিখের মধ্যে তাদের স্ব স্ব গার্মেন্টসের শ্রমিকদের বেতন ভাতা পরিশোধ করবেন। এর অন্যথা হওয়ার সুযোগ নেই।

উপদেষ্টা আরো বলেন, গার্মেন্টস মালিকরা হয় শ্রমিকদের বেতন দেবেন, না হয় জেলে যাবেন। যারা শ্রমিকদের বেতন দিতে পারবেন না, তাদের গার্মেন্টসের মালিক হওয়ার প্রয়োজন নেই। কেউ কেউ হয়তো ফ্যাশন করার জন্য গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠা করেন। আগামীতে এটা হতে দেয়া যাবে না। টিএনজেড গার্মেন্টস এবং মাহমুদ গার্মেন্টসসহ পাঁচটি গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠানের মালিকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

এ সময় নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ বিভিন্ন দপ্তর সংস্থার কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা আগামী ঈদ উপলক্ষে নৌ রুটে যাত্রীদের নিরাপত্তার বিষয়ে সরকারের বিভিন্ন সিদ্ধান্তের কথা উল্লেখ করেন।

উপদেষ্টা জানান, এবার ঈদের আগে এবং পরে কোন বাল্কহেড নদীতে চলাচল করতে পারবে না। এছাড়া যাত্রীবাহী লঞ্চগুলোতে চারজন করে সশস্ত্র আনসার নিয়োজিত থাকবেন। যথাসময়ে আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেওয়ার জন্য আবহাওয়া অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের তিনি অনুরোধ জানান।


করিডোর নিয়ে কারও সঙ্গে আলোচনা হয়নি, প্রয়োজনও নেই

বুধবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রেস ব্রিফিংয়ে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান। ছবি: পিআইডি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান বলেছেন, মিয়ানমারে জাতিসংঘের করিডোর দেওয়া নিয়ে যে গুজব উঠেছে, আমি দ্ব্যর্থহীনভাবে বলে দিচ্ছি, করিডোর নিয়ে আমাদের সঙ্গে কারও কোনও কথা হয়নি, কারও সঙ্গে কথা হবে না।

আজ বুধবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।

জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা বলেন, করিডোরের বিষয়টা বুঝতে হবে। এটা হচ্ছে একটা ইমারজেন্সি সময়ে দুর্যোগপূর্ণ জায়গা থেকে মানুষকে সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা। আমরা এখানে কাউকে সরাচ্ছি না। যেহেতু আরাকানে সাহায্য সহযোগিতা অন্যান্য সাপ্লাই রুট দিয়ে সম্ভব হচ্ছে না, জাতিসংঘ আমাদের এইটুকুই বললো যে, কাছেই যেহেতু বর্ডার, তাদের সাহায্য করতে, যাতে ত্রাণগুলো ওপারে নিয়ে যেতে পারে। জাতিসংঘ রাখাইনে তার নিজস্ব সহযোগী সংস্থার মাধ্যমে ত্রাণ পৌঁছাবে। আপনারা জাতিসংঘকে জিজ্ঞেস করেন, প্রমাণ পাবেন। আমরা করিডোর নিয়ে কারও সঙ্গে কোনও ধরনের কথা বলিনি এবং বলবো না। আরাকানের যে অবস্থা তাতে করিডোরের কোনও প্রয়োজন নেই।

তিনি বলেন, যে প্রয়োজনীয়তা আছে সেটা হচ্ছে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার। যখন মিয়ানমারে ভূমিকম্প হলো আমরা কিন্তু তাদের আবেদনের অপেক্ষা করিনি। আমরা ত্রাণ পাঠিয়ে দিয়েছি। এটা একটা মানবিক অবস্থান। আমাদের ধারণা এই কাজটি করতে পারলে সেখানকার পরিস্থিতি কিছুটা স্থিতিশীল হবে এবং আমরা সেই অবস্থায় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে আলোচনা করতে পারবো। যতদিন আরাকান অস্থিতিশীল থাকবে আমরা প্রত্যাবাসনের কথা বলতেই পারবো না। আর তাহলে তো প্রত্যাবাসন কৌশল নিয়েও কথা বলতে পারবো না। অনেকেই বলছেন করিডোর নিয়ে আলাপ করছেন, আমাদের জানাননি । অস্তিত্ববিহীন জিনিস নিয়ে কী করে আলাপ করবো, যার অস্তিত্ব নেই সেই বিষয়ে আলাপ কী করে হয়।

এক প্রশ্নের জবাবে ড. খলিলুর রহমান বলেন, আমাদের ওপর কারও চাপ নেই। যুক্তরাষ্ট্র, চীনসহ যারাই আছেন অংশীজন, আমরা সবার সঙ্গে কথা বলছি। তাড়াহুড়োর কোনও কথা নেই। হিসাব আমাদের সোজা, সেটা হচ্ছে রোহিঙ্গাদের ফেরত যেতে হবে এবং ফেরত গিয়ে আবার যেন ফেরত না চলে আসে। টেকসই প্রত্যাবাসন হতে হবে।

তিনি বলেন, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা করিডোর শব্দটা উচ্চারণ করেছিলেন, করেই কিন্তু বলেছেন ‘পাথওয়ে’। সেটা স্লিপ অব টাং ছিল। কথাবার্তা অনেক সময় স্লিপ হতে পারে, কিন্তু উনি কারেক্ট করেছিলেন। উনি সেই কথা আর কখনই বলেননি।

ত্রাণ রাখাইনে নিয়ে যাওয়ার পরে ব্যবস্থাপনা কীভাবে হবে, এই প্রশ্নের উত্তরে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা বলেন, পুরো কন্ট্রোল থাকবে জাতিসংঘের, ওপারে নিয়ে যাওয়ার পরে সেখানকার নিরাপত্তা, সবকিছু তাদের দায়িত্ব। আমাদের দায়িত্ব সীমান্ত পর্যন্ত, সেখানে মাদকপাচার হচ্ছে কিনা, অন্য কিছু হচ্ছে কিনা, সেটা আমরা দেখবো। দ্ইু পক্ষ সম্মত হলে, কনফ্লিক্ট কমলেই শুধু আমরা যাবো।

ত্রাণ সরবরাহের সুযোগ দেওয়া হলে কোন রুটে সেটা হতে পারে, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দুই পক্ষ, সব পক্ষ যদি রাজি হয়, তাহলে আমরা সবার সঙ্গে বসে সেটা ঠিক করবো। এটা কেবলমাত্র সরকারের নয়, সব অংশীজনের সঙ্গে বসে আমরা সেটা ঠিক করবো। এখনও সেই পর্যায়ে আমরা যাইনি।

করিডোর ইস্যুতে সেনাবাহিনীর সঙ্গে কোনও মতপার্থক্য তৈরি হয়েছে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সেনাবাহিনীর সঙ্গে কোনও মতপার্থক্য নেই। সেনাপ্রধানের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। এ নিয়ে আমরা এক সমতলে অবস্থান করছি। এ নিয়ে কোনও ফাঁকফোকর নেই।

তিনি বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয়হীনতার সুযোগ নেই। আর সেনাবাহিনীর সঙ্গে আমি খুব ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছি।

ড. খলিলুর রহমান বলেন, এখনও পর্যন্ত ১২ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। এই সরকার যখন দায়িত্ব নেয় তারপর থেকে এই ইস্যুটিকে আমরা আন্তর্জাতিক এজেন্ডায় পুনরায় তুলে নেওয়ার সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি। এর আগে সাত বছর এই ইস্যুটি প্রায় অপসৃত হয়ে গিয়েছিল। সাম্প্রতিক গাজা এবং ইউক্রেন ইস্যুতে রোহিঙ্গা ইস্যু আরও পেছনে পড়ে গিয়েছিল। আপনাদের হয়তো মনে আছে, গত সেপ্টেম্বরে প্রধান উপদেষ্টা জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে উত্থাপন করেছিলেন এবং জাতিসংঘকে এই ইস্যুতে একটি সম্মেলন আয়োজন করার আহ্বান জানিয়েছিলেন। আমরা অত্যন্ত আনন্দিত হয়েছি যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এতে সাড়া দিয়েছে।

তিনি বলেন, একটি জাতি নিয়ে জাতিসংঘের এমন সম্মেলন আয়োজন বিরল উদাহরণ। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সচিবালয়ে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। দ্বিতীয় যে বিষয় আমরা দেখছি, এই সমস্যার সমাধান কী? আমরা প্রথম থেকেই ভেবেছি এই সমস্যার সমাধান রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবর্তন করা। এটিই সমাধান। এই বিষয়ে আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে নিরলসভাবে কাজ করেছি। আমি আনন্দিত যে এই বিষয়ে আমরা আন্তর্জাতিক একটা ঐকমত্যে পৌঁছেছি। জাতিসংঘের মহাসচিব এসেছিলেন গত মার্চে। তিনি দ্ব্যর্থহীনভাবে বলেছেন, এই সমস্যার সমাধান মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন।

তৃতীয় যে কাজটি ছিল আমাদের সেটা হচ্ছে প্রত্যাবাসনের প্রথম পদক্ষেপ, কারা ফেরত যাবেন সেই বিষয়ে মিয়ানমারের সরকারের কাছ থেকে সিদ্ধান্ত নিয়ে আসা। ২০১৭ সাল থেকে কয়েক দফায় ৮ লাখ রোহিঙ্গার তথ্য মিয়ানমার সরকারের কাছে পাঠানো হয় ভেরিফিকেশনের জন্য। গত ৮ বছর ধরে এই ভেরিফিকেশনের কোনও অগ্রগতি আমরা দেখতে পারিনি। গত ফেব্রুয়ারিতে মিয়ানমার জান্তা সরকারের বিশেষ দূতের সঙ্গে আমার দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয়। তাতে তারা প্রথমবারের মতো ইঙ্গিত করেন এই ৮ লাখ রোহিঙ্গার মধ্যে আড়াই লাখ রোহিঙ্গার ভেরিফিকেশনের কাজ সম্পন্ন করেছেন। এর মধ্যে ১ লাখ ৮০ হাজারকে তারা প্রত্যাবাসনযোগ্য বলে চিহ্নিত করেছেন। আর বাকি ৭০ হাজারের সমস্যা ছিল ছবি এবং কিছু তথ্য নিয়ে। সেগুলো তারা আমাদের সঙ্গে বসে নিরসন করবেন। এর ফলে আমরা প্রত্যাবাসনযোগ্য রোহিঙ্গাদের প্রথম তালিকা লাভ করি। এগুলো ছিল প্রত্যাবাসনের জন্য জরুরি কাজ, যা বিগত সময়ে হয়নি।

তিনি আরও বলেন, প্রত্যাবাসনের প্রক্রিয়া কী হবে, সেটা দেখতে গিয়ে যে বাস্তবতার মুখোমুখি হয়েছি সেটা হচ্ছে মিয়ানামার সরকার দখলে ৯০ ভাগ রাখাইন নেই। এটার দখল নিয়ে নিয়েছে আরাকান আর্মি। আরকান আর্মি এবং মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে এই প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু করা সম্ভব। সেই আলোচনা আমরা একই সমান্তরালে চালু করেছি। আমাদের আরাকান আর্মি সুস্পষ্টভাবে বলেছে, রোহিঙ্গাদের ফেরত নেওয়া তাদের একটি প্রিন্সিপ্যাল পজিশন, একই কথা আমদের মিয়ানমার সরকার উল্লেখ করেছে। আরাকান আর্মি বলেছে, পরিস্থিতি অনুকূলে হলে তারা প্রত্যাবাসনের উদ্যোগ নেবে। আরাকানে যুদ্ধাবস্থা এখনও নিরসন হয়নি।

জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান বলেন, রাখাইন অঞ্চলে খাবার ও ওষুধের ব্যাপক অভাব। ইউএনডিপি রিপোর্ট অনুযায়ী সেখানে এক ধরনের ভয়াবহ মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে। আমাদের আশঙ্কা হচ্ছে খাবার ওষুধ না পেয়ে আমাদের দেশে চলে আসতে পারে। বিশেষ করে রোহিঙ্গারা সবচেয়ে ঝুঁকির মধ্যে আছে, তাদেরই আমাদের দেশে চলে আসার প্রবণতা বেশি হতে পারে। আমরা ইতোমধ্যে প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গার ভার বহন করছি প্রায় ৮ বছর ধরে। আমরা ভার ধারণের সীমার বাইরে চলে এসেছি।

অতিরিক্ত শরণার্থী গ্রহণ করা আমাদের জন্য সম্ভব নয়। বিভিন্ন সময় রাখাইন সম্প্রদায় আমাদের সীমান্তে এসে খাদ্য এবং ওষুধের সহায়তা চেয়েছেন। তারা যদি আসা শুরু করেন তাহলে আমাদের নতুন ধরনের সংকটের মুখোমুখি হতে হবে। আমরা সেটা এড়াতে চাচ্ছি। জাতিসংঘের কার্যক্রম যেটা মিয়ানমারে চলছে, সেটা রাখাইনে আর চালানো সম্ভব না। কারণ যুদ্ধাবস্থার কারণে মানবিক যেকোনও ধরনের ত্রাণ রাখাইনে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। জাতিসংঘ মহাসচিব গত মার্চে এসে আমাদের বললেন যে আমরা রাখাইনে ত্রাণ সহায়তা দিতে পারি কিনা? আমরা বিষয়টি বিবেচনা করছি। কিন্তু এতে বেশ কিছু আবশ্যিকতা আছে।

তিনি বলেন, জাতিসংঘের পক্ষ থেকে আরাকান আর্মিকে জানানো হয়েছে যে এই সহায়তা প্রাপ্তির বিষয়ে কোনও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা যাবে না। কাউকে এর থেকে বঞ্চিত করা যাবে না, এটা কোনও যুদ্ধের কাজে ব্যবহার করা যাবে না। আমাদের মধ্যে শঙ্কা হচ্ছে আরাকানে যে নতুন প্রশাসনিক, রাজনৈতিক এবং নিরাপত্তাজনিত পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে আমরা তাতে রোহিঙ্গাদের অংশগ্রহণের কোনও চিহ্ন দেখছি না। আমরা আরকান আর্মিকে সরাসরি বলে দিয়েছি কোনও প্রকার জাতিগত নিধন আমরা সহ্য করবো না।

তারা যদি শুধু রাখাইন দিয়ে পরিচালনা করতে চায় সেটাও আমরা মেনে নিতে পারবো না। আমরা আশা করছি তারা এর সদুত্তর দেবে। আমরা এই সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান করতে চাই।

তিনি আরও বলেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন করার সব অপশন আমাদের টেবিলে থাকবে। আমার আমাদের সব কূটনীতিক সক্ষমতা দিয়ে এই সমস্যার সমাধান করবো।


৪৬তম বিসিএসের লিখিত ও ৪৭তমের প্রিলিমিনারির সময়সূচি পুনঃনির্ধারণ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের অধীনে ৪৬তম বিসিএসের স্থগিত আবশ্যিক বিষয়ের লিখিত ও ৪৭তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি টেস্টের পুনঃনির্ধারিত সময়সূচি প্রকাশ করা হয়েছে।

আজ বুধবার বিপিএসপির জনসংযোগ কর্মকর্তা এস.এম. মতিউর রহমানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

আগামী ২৪ জুলাই থেকে ৩ আগস্ট পর্যন্ত ৪৬তম বিসিএসের স্থগিত আবশ্যিক বিষয়ের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। আর পদ-সংশ্লিষ্ট বিষয়ের লিখিত পরীক্ষা ১০ আগস্ট থেকে ২১ আগস্ট পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।

এ ছাড়া, ৪৭তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি টেস্টে (এমসিকিউ) পূর্ব নির্ধারিত ৮ আগস্টের পরিবর্তে আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।

পরীক্ষার সময়সূচি, হলভিত্তিক আসন-ব্যবস্থা ও সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনাসমূহ যথাসময়ে কমিশনের ওয়েবসাইটে (www.bpsc.gov.bd) ও টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের ওয়েবসাইটে (http://bpsc.teletalk.com.bd) প্রকাশ করা হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।


কালো টাকা সাদা করার সব সুযোগ বাতিলের আহ্বান টিআইবির

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

কালো টাকা সাদা করার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সব সুযোগ অধ্যাদেশের মাধ্যমে চিরতরে বাতিলের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংস্থাটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, স্বাধীন বাংলাদেশে এ পর্যন্ত ২১ বার কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে, যা দুর্নীতিকে পুরস্কৃত ও সৎ করদাতাদের নিরুৎসাহিত করে। সংস্থাটি দাবি করে, এসব সুবিধা অসাংবিধানিক, বৈষম্যমূলক এবং দুর্নীতিসহায়ক।

টিআইবি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ১৫ শতাংশ কর দিয়ে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ বাতিলের ঘোষণাকে স্বাগত জানালেও আরও কিছু বিদ্যমান দুর্নীতিসহায়ক, অসাংবিধানিক ও বৈষম্যমূলক বিধান অবিলম্বে বাতিলের আহ্বান জানিয়েছে।

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ১৫ শতাংশ কর দিয়ে কালো টাকা সাদা করার বিধান বাতিলের সিদ্ধান্তকে আমরা ইতিবাচকভাবে দেখি। অর্থ উপদেষ্টার এই সুযোগ বন্ধের প্রতিশ্রুতি আমাদের আশান্বিত করেছে। তবে আয়কর আইন, ২০২৩-এ এখনো তিনটি বিধান রয়ে গেছে, যা কালো টাকা বৈধ করার সুযোগ দেয়।

তিনি জানান, এই বিধানগুলো হলো— বিশেষ কর প্রদানের মাধ্যমে বিল্ডিং বা অ্যাপার্টমেন্টে বিনিয়োগ প্রদর্শন, স্থাপনা বা ভূমিতে আগে করা অপ্রদর্শিত বিনিয়োগ নির্দিষ্ট কর দিয়ে রিটার্নে দেখানোর সুযোগ এবং স্বপ্রণোদিতভাবে আয়ের তথ্য প্রদর্শন করে তার ওপর নিয়মিত হারে কর প্রদানের পাশাপাশি অতিরিক্ত ১০ শতাংশ জরিমানার মাধ্যমে বৈধতার সুযোগ।

ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, এই তিনটি ক্ষেত্রেই যেহেতু বৈধ উৎসের সামঞ্জস্য নিশ্চিতের বাধ্যবাধকতা নেই, সে কারণে অপ্রদর্শিত আয়ের নামে কালো টাকার বৈধতার সুযোগ নেওয়া হয়, যা সংবিধানের ২০(২) অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

তিনি আরও জানান, দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনের তৃতীয় সুপারিশেও উৎসবিহীন আয় বৈধ করার যেকোনো রাষ্ট্রীয় চর্চা স্থায়ীভাবে বন্ধ করার সুপারিশ করা হয়েছে।

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘অতীত অভিজ্ঞতায় আমরা দেখেছি, কালো টাকা সাদা করার সুযোগ বারবার দেওয়া হলেও, এর ফলে সরকারের রাজস্ব আহরণ কখনোই সেভাবে বাড়েনি। যতটুকু হয়েছে, তার জন্য নৈতিকতার বিসর্জন অগ্রহণযোগ্য। আমরা বিশ্বাস করি, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম বাজেটে দৃষ্টান্ত স্থাপনের অংশ হিসেবে প্রয়োজনীয় অধ্যাদেশের মাধ্যমে উল্লিখিত ধারাগুলোসহ কালো টাকা সাদা করার সকল প্রকার সুযোগ চিরতরে বাতিল করা হবে।’

টিআইবি এ বিষয়ে অর্থ উপদেষ্টাকে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠিও দিয়েছে জানিয়ে ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘আশা করি, আমরা এর ইতিবাচক প্রতিফলন দেখতে পাব।’


সারা দেশে তাপমাত্রা বাড়ার পাশাপাশি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। পাশাপাশি দেশের সব জায়গায় একবারে না হলেও বিভিন্ন জেলায় কমবেশি বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

বুধবার (২১ মে) সারা দেশের সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ১২০ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ (বুধবার) রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগের অনেক জায়গায়; ঢাকা ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী, চট্টগ্রাম, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো, হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

সেইসঙ্গে রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণও হতে পারে। তাছাড়া, সারা দেশের দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপামাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে। এ সময় দক্ষিণ অথবা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৮-১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হতে পারে।

এদিকে, গতকাল (মঙ্গলবার) যশোরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং আজ (বুধবার) রংপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় সিলেটে সর্বোচ্চ ১৯৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।


ঈদের দিন বাদে ছুটির দিনেও খোলা থাকবে কাস্টমস হাউস

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

ঈদুল আজহা সামনে রেখে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য নির্বিঘ্ন রাখতে ৫ থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত (ঈদের দিন ব্যতীত) সরকারি ও সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোতেও সব কাস্টমস হাউস ও স্টেশন খোলা থাকবে বলে জানিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

এর আগে, গত ১৪ মে পোশাক রপ্তানির ক্ষেত্রে সময়ের গুরুত্ব উল্লেখ করে এনবিআরে একটি চিঠি পাঠান বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) প্রশাসক মো. আনোয়ার হোসেন। রপ্তানিতে কোনো ধরনের বিলম্ব অর্থনৈতিক ক্ষতি ও বৈদেশিক মুদ্রা আয় ব্যাহত করতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।

বিজিএমইএর এই অুনরোধের পর ঈদের দিন ব্যতীত বাকি ছুটির সময়ে সব কাস্টমস হাউস ও স্টেশন খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বর্তমানে দেশের পোশাক শিল্প একাধিক চ্যালেঞ্জের ম‌ধ্যে রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে— যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক, শ্রম অস্থিরতা, কাঁচামালের উচ্চমূল্য, ব্যাংক ঋণে উচ্চ সুদের হার, চলমান জ্বালানি সংকট ও পরিবহন ব্যয় বৃদ্ধি।

এসব প্রতিকূলতার মধ্যেও রপ্তানিকারকরা সফলভাবে আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক বজায় রেখেছেন এবং নিরবচ্ছিন্ন রপ্তানি আদেশ পেয়ে চলেছেন। এই ধারা অব‌্যাহত রাখতে বন্দর, কাস্টমস, ব্যাংক ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ধারাবাহিক সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দি‌য়ে‌ছে বিজিএমইএ।

এ ছাড়া চলমান রপ্তানি আদেশ সময়মতো পাঠাতে ব্যর্থ হলে তা বাতিলের সম্ভাবনা তৈরি হবে, যেটি রপ্তানিকারক ও দেশের অর্থনীতির জন্য বড় ধরনের ক্ষতির কারণ হতে পারে বলেও চিঠিতে সতর্ক করা হয়।

এসব কারণ বিবেচনা করে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসসহ প্রধান কাস্টমস অফিসগুলো

দেশের রপ্তানি খাতকে সচল রাখা এবং তৈরি পোশাক শিল্পকে আন্তর্জাতিক সময়সীমা পূরণে সহায়তা করতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে এনবিআর।


banner close