ঘূর্ণিঝড় মোখায় ক্ষতিগ্রস্ত মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের জনগণের জন্য মানবিক সহায়তা হিসেবে ত্রাণসামগ্রী পাঠিয়েছে বাংলাদেশ।
শুকনো খাদ্য, তাঁবু, ওষুধ, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেটসহ মোট ১২০ টন ত্রাণসামগ্রী সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের মাধ্যমে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জাহাজে শনিবার চট্টগ্রাম থেকে ইয়াংগুনের উদ্দেশে পাঠানো হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে দুর্যোগ ও ত্রাণ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় এসব ত্রাণসামগ্রী সংগ্রহ করা হয়। ত্রাণ পরিবহনকারী জাহাজটি আগামী ৫ জুন ইয়াংগুন বন্দরে পৌঁছাবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
শনিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, প্রতিবেশী দেশ হিসেবে বাংলাদেশ প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের দুর্দশাগ্রস্ত জনগণের জন্য এই সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। অতীতে ২০১৫ সালে বন্যা এবং ২০০৮ সালে ঘূর্ণিঝড় ‘নার্গিস’-পরবর্তী সময়েও বাংলাদেশ মিয়ানমারের জনগণের জন্য জীবন রক্ষাকারী ত্রাণসামগ্রী প্রেরণ করেছিল। বাংলাদেশ একটি মানবিক রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য ত্রাণ সহায়তা প্রদান করে আসছে। এ ছাড়া বিশ্বব্যাপী কোভিড অতিমারি এবং তুরস্ক ও আফগানিস্তানে সংঘটিত ভূমিকম্পের ফলে সৃষ্ট মানবিক বিপর্যয় মোকাবিলায় বাংলাদেশ ত্রাণসামগ্রী এবং চিকিৎসা দল প্রেরণ করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের পক্ষ থেকে এসব মানবিক সহায়তা কার্যক্রম বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়েছে এবং বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচনে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে।
বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয় করণ (৩য় পর্যায়) প্রকল্পের আওতায় নোয়াখালীতে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের ২ দিন ব্যাপী ২য় ব্যাচে গ্রাম আদালত বিষয়ে প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে।
শনিবার (০১ নভেম্বর) জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়।
প্রশিক্ষণে কোর্স ডিরেক্টর হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসক খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ এবং কোর্স কোর্ডিনেটর হিসেবে ছিলেন, উপপরিচালক (অ.দা.) মোহাম্মদ ইসমাইল।
এ সময় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের গ্রাম আদালতের উপর হাতে কলমে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। গ্রাম আদালত পরিচালনার উপর বড় পর্দায় নাটিকা প্রদর্শন করা হয়। প্রশিক্ষনে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানগণ গ্রাম আদালতের উপর একটি মক ট্রায়াল প্রদর্শন করেন।
প্রশিক্ষণ শেষে সমাপনী বক্তব্যে জেলা প্রশাসক ও কোর্স ডিরেক্টর খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ বলেন, গ্রামের বিরোধগুলো আপনারাই নিষ্পত্তি করে থাকেন। তবে সেই বিরোধগুলো যাতে গ্রাম আদালতের মাধ্যমেই নির্দিষ্ট নিয়ম অনুযায়ী সমাধা করা হয় সে দিকে লক্ষ রাখবেন। আপনাদের আন্তরিকতায় গ্রামের হতদরিদ্র মানুষগুলো অল্প সময়ে গ্রাম আদালতের সেবা নিতে পারবে। ছোটখোটো কোনো বিরোধ নিয়ে পক্ষরা যাতে থানা বা জেলা আদালতে না চলে যায় তার জন্য প্রত্যেক ইউনিয়ন পরিষদ থেকে গ্রাম আদালতের বিষয়ে প্রচার প্রচারণার ব্যবস্থাও করতে হবে।
গ্রাম আদালতে গত ৬ মাসে মামলা গ্রহণে ১ম, ২য় এবং ৩য় স্থান অর্জনকারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের পুরস্কৃত করা হয়।
প্রশিক্ষণ পরিচালনায় সহযোগিতা করেন, ডিস্ট্রিক্ট ম্যানেজার মো. আহসান উল্লাহ চৌধুরী মামুন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বেগমগঞ্জ উপজেলা সমন্বয়কারী মো. নুরে আলম সিদ্দিক এবং চাটখিল উপজেলা সমন্বয়কারী রবিউল হাসান, প্রোগ্রাম এন্ড ফাইন্যান্স এসিস্ট্যান্ট ফয়েজ আহমেদ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ববর্তী বিরোধকে কেন্দ্র করে আবারও গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এতে মনেক মিয়ার ছেলে শিপন মিয়া (৩০) নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় অন্তত চারজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
শনিবার (১ নভেম্বর) রাতে উপজেলার বড়িকান্দি ইউনিয়নের গণিশাহ মাজার বাজার ও আশপাশের এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে উভয় পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাত আনুমানিক ৯টার দিকে বড়িকান্দি গণিশাহ মাজার বাজারের একটি হোটেলে স্থানীয় কুখ্যাত ডাকাত মোন্নাফ মিয়া ওরফে মনেক ডাকাতের ছেলে শিপন মিয়া (৩০) আড্ডা দিচ্ছিলেন। ওই সময় হঠাৎ একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী হোটেলে ঢুকে গুলি চালায়। এতে শিপন মিয়া ও হোটেলের দুই কর্মচারী ইয়াছিন (২০) এবং নূর আলম (১৮) গুলিবিদ্ধ হন।
গুলির শব্দে পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। হামলাকারীরা নির্বিঘ্নে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। গুলিবিদ্ধদের প্রথমে নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাদের আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিপন মিয়া মারা যান।
এ খবর ছড়িয়ে পড়লে শিপনের পক্ষের লোকজন বিক্ষুব্ধ হয়ে সশস্ত্র অবস্থায় প্রতিপক্ষের এলাকায় হামলা চালায়। তারা গণিশাহ মাজারের অদূরে তালতলায় গিয়ে স্থানীয় শিক্ষক এমরান হোসেন মাস্টারের অফিসে গুলি চালায়। এতে এমরান মাস্টার (৩৮) গুলিবিদ্ধ হন। তিনি ঢাকায় কর্মরত পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) বিল্লাল হোসেনের ছোট ভাই এবং শ্যামগ্রাম মোহিনী কিশোর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক।
পরে বিক্ষুব্ধরা থোল্লাকান্দি গ্রামে প্রতিপক্ষের একাধিক বাড়িঘরে ভাঙচুর চালায়। এতে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
খবর পেয়ে রাতেই নবীনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পিয়াস বসাক এবং নবীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
নবীনগর থানার ওসি মো. শাহিনুর ইসলাম বলেন, “গুলিবর্ষণের খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এটি আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ঘটেছে।”
এ ঘটনায় এলাকায় এখনো টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ব্যবসায়িক আধিপত্য নিয়ে বিরোধের জেরে মো. রাসেল (২৮) নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় বিপ্লব নামে আরও একজন আহত হয়েছেন।
শনিবার (২ নভেম্বর) রাত পৌনে ১০টার দিকে মোহাম্মদপুরের নবীনগর হাউসিং এলাকার ৪ নম্বর রোডে ঘটনাটি ঘটে । পুলিশ এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ‘পেপার বাবু’ ও তার সহযোগী মোবারককে আটক করেছে।
পুলিশ জানায়, রাতে রাসেল ও বিপ্লব নবীনগর হাউসিং এলাকায় অবস্থান করছিলেন। ওই সময় মোটরসাইকেলে এসে একদল দুর্বৃত্ত ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। রাসেলের ঘাড়ে কোপ লাগলে তিনি রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
রমনা জোনের সহকারী উপ-পুলিশ কমিশনার (এসি) আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, স্থানীয় এলাকায় মুরগির ব্যবসা ঘিরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, নিহত রাসেল ও অভিযুক্ত পেপার বাবু একই ব্যবসায় যুক্ত ছিলেন এবং দীর্ঘদিন ধরে তাদের মধ্যে বিরোধ চলছিল।
তিনি আরও বলেন, “পেপার বাবুর বিরুদ্ধে হত্যা ও চাঁদাবাজিসহ একাধিক মামলা রয়েছে। ঘটনার পেছনে কারা মদদ দিয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
পুলিশ জানায়, হত্যার ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে মামলা প্রস্তুতির কাজ চলছে এবং এলাকার অন্যান্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
মাঝ কার্তিকে শনিবার দুপুরে নেমে আসে সন্ধ্যা, কালো মেঘ গর্জে নামলো বৃষ্টিও। বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর শনিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ছয় ঘণ্টায় রাজধানী ঢাকায় ৩২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে।
এই সময়ে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে টাঙ্গাইলে ৫৭ মিলিমিটার। এছাড়া কুড়িগ্রাম, রংপুর, নীলফামারী, রাজশাহী, পাবনা, দিনাজপুর, কুষ্টিয়া, ময়মনসিংহ, নেত্রকোণা, কিশোরগঞ্জ, গোপালগঞ্জ ও খুলনা জেলায় বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
'লঘুচাপের প্রভাবে এই বৃষ্টি,' বলেন আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. তরিফুল নেওয়াজ কবির।
এদিকে বিকেল থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টি যেন থামছিল না। অঝোর ধারায় ঝরেই চলেছিল৷ একদিকে মুষলধারে বৃষ্টি; অন্যদিকে যানজট আর জলাবদ্ধতায় নাকাল ছিল রাজধানীবাসি।
শনিবার বিকাল চারটা নাগাদ ঢাকার আকাশ ঢেকে যায় কালো মেঘে। এরপর সাড়ে চারটা নাগাদ শুরু হয় গুড়িগুড়ি বৃষ্টি। বিকাল ৫টা নাগাদ বাড়তে শুরু হয় এই বৃষ্টি। সন্ধ্যা সাতটায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত প্রায় আড়াই ঘণ্টার বৃষ্টিতে রাজধানীর বেশিরভাগ অলিগলি পানিতে তলিয়ে গেছে। কিছু কিছু বড় সড়কের একপাশেও পানি জমে গেছে। বৃষ্টির কারণে দেখা দিয়েছে তীব্র যানজট। সব মিলিয়ে অফিস ফেরত সাধারণ মানুষ পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে।
বিকাল ৫টার দিকে মতিঝিলের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে বের হন আয়েশা সুলতানা। নেমেই দেখেন তুমুল বৃষ্টি। যানবাহন পাওয়া যাচ্ছে না। যাবেন রামপুরা। রিকশা-সিএনজির চালকরা চাইছেন দ্বিগুণ ভাড়া। অগত্যা দ্বিগুণ ভাড়ায় রিকশা নেন তিনি। কাকরাইল এসে পড়েন যানজটে। সন্ধ্যা সাতটায়ও বাসায় পৌঁছাতে পারেননি বলে তিনি জানান।
একই অবস্থার শিকার ঢাকার প্রায় সব অফিস ফেরত সাধারণ মানুষের।
জরুরি কাজে বের হবেন রাজাবাজারের বাসিন্দা জামাল হোসেন। অঝোর বৃষ্টি বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়। পরে বৃষ্টি মাথায় নিয়েই বের হন তিনি। তবে বাঁধ সাধে রাস্তার ওপর জমে থাকা পানি। তার ভাষ্য, ঢাকার সড়কে হাঁটু পানি পার হওয়া যেন নদী পার হওয়ার মতোই বিড়ম্বনা।
এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যমতে, দক্ষিণ ছত্তিসগড় ও এর আশেপাশে যে সুস্পষ্ট লঘুচাপটি অবস্থান করছিল, সেটি উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে এগিয়ে দুর্বল হয়ে পড়েছে। বর্তমানে এটি লঘুচাপ আকারে পশ্চিমবঙ্গ ও আশেপাশের এলাকা থেকে উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে এগোচ্ছে, জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এদিন রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় হালকা থেকে মাঝারী ধরনের বৃষ্টির পূর্বাভাস ছিল।
সকাল নয়টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়, রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।
এদিকে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর এবং এর আশেপাশের এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। লঘুচাপ সৃষ্টি হলে আগামী বুধবার থেকে আবারও বৃষ্টির প্রবণতা বাড়ার সম্ভাবনা আছে।'
তবে আর রোববারও চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি এবং বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলে পূর্বাভাসে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
বৃষ্টির প্রবণতা বাড়বে, নভেম্বরেও ভেজা আবহাওয়া
নভেম্বরের শুরুতেই দেশে বৃষ্টির প্রবণতা বাড়ছে। দুর্বল হয়ে পড়া লঘুচাপের পর আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগরে নতুন একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এর প্রভাবে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি এবং কোথাও কোথাও ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। একইসঙ্গে তাপমাত্রায় সামান্য ওঠানামা দেখা দিতে পারে—কোথাও কমবে, কোথাও আবার সামান্য বাড়বে।
শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ১২০ ঘণ্টার জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে এ তথ্য জানায় আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক জানান, দক্ষিণ বিহার ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে লঘুচাপে পরিনত হয়ে গুরুত্বহীন হয়ে পড়েছে। এটি আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে ক্রমান্বয়ে দুর্বল হয়ে যেতে পারে। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে
তিনি আরও জানান, পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসাথে সারাদেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।
আজ রোববার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা ও খুলনা বিভাগের দুয়েক জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে সারাদেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারাদেশে দিনের এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আগামী সোমবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় হালকা থেকে মাঝারী ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।
আগামী মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বরিশাল, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, খুলনা ও ময়মনসিংহ বিভাগের দুয়েক জায়গায় বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সারাদেশে দিনের এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে
আগামী বুধবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, খুলনা, বরিশাল, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দুয়েক জায়গায় বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারাদেশে দিনের এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।
বর্ধিত পাঁচ দিনের প্রথম দিকে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বৃদ্ধি পেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। নতুন নির্দেশনায় বলা হয়েছে, একান্ত প্রয়োজন ছাড়া কোনো কর্মকর্তা বিদেশ সফরে যেতে পারবেন না।
বিদেশ ভ্রমণ সংক্রান্ত প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের আগের পরিপত্র এবং অর্থ বিভাগের গত ৮ জুলাইয়ের চিঠির বিষয়টি তুলে ধরে সম্প্রতি সরকারের সব সচিবের কাছে নতুন পরিপত্র পাঠানো হয়েছে। পরিপত্রের অনুলিপি উপদেষ্টাদের একান্ত সচিবদেরও দেওয়া হয়েছে।
পরিপত্রে বলা হয়েছে, লক্ষ্য করা যাচ্ছে, জারিকৃত পরিপত্রগুলোর নির্দেশনা যথাযথভাবে অনুসরণ না করে বিদেশ ভ্রমণের ঘটনা ঘটছে। মন্ত্রণালয়গুলোর দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা ও সচিব একই সময়ে বৈদেশিক সফরে যাচ্ছেন। একই মন্ত্রণালয়ের অনেক কর্মকর্তা একসঙ্গে বিদেশে যাচ্ছেন। এ ধরনের প্রস্তাব প্রায়ই প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে পাঠানো হচ্ছে, যা আগের নির্দেশনাগুলোর পরিপন্থী।
সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণ সংক্রান্ত আগের সব নির্দেশনা প্রতিপালনের নির্দেশনা দিয়ে পরিপত্রে বলা হয়েছে, ‘এখন থেকে আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া পর্যন্ত একান্ত অপরিহার্য কারণ ছাড়া বিদেশ ভ্রমণ পরিহার করার অনুরোধ করা হলো।’
সীমান্ত রক্ষার দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আরাকান আর্মির পুতে রাখা মাইন বিষ্ফোরনে আহত হওয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরনকারী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)-এর সাহসী সদস্য নায়েক মো. আক্তার হোসেন এর মরদেহ ভোলায় আসার পর জানাযা নামাজ শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
কক্সবাজার ব্যাটালিয়ন ৩৪ বিজিবির এই সদস্য শুক্রবার দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটে ঢাকার সিএমএইচ হসপিটালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।
শনিবার (০১ নভেম্বর) সকালে বাংলাদেশ বিজিবির একটি টিম হেলিকপ্টার যোগে ভোলার দৌলতখান উপজেলায় তার নিজ গ্রামে মরদেহ নিয়ে আসে। পরে জানাযা নামাজ শেষে পূর্ণ সামরিক মর্যাদায় পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
নিহত নায়েক আক্তার হোসেন ভোলার দৌলতখান পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা বিজিবির অবসরপ্রাপ্ত হাবিলদার আব্দুল মান্নান মিয়ার পুত্র। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৪৫ বছর। জীবদ্দশায় তিনি স্ত্রী, ২ ছেলে, ১ মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
গত ১২ অক্টোবর নায়েক আক্তার পেয়ারাবুনিয়া সীমান্ত এলাকায় টহলরত অবস্থায় মাইন বিস্ফোরণে গুরুতর আহত হন।
এরপর তাকে দ্রুত রামু সিএমএইচে নেওয়া হয় এবং প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে পরদিন হেলিকপ্টারে করে ঢাকা সিএমএইচে নেওয়া হয়। শুক্রবার সকালে হঠাৎ হার্ট অ্যাটাক হলে তার মৃত্যু হয়।
বিজিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নায়েক আক্তার হোসেনের মৃত্যুতে পুরো বাহিনীতে গভীর শোক নেমে এসেছে।
এ বিষয়ে কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের (৩৪ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এস এম খায়রুল আলম (পিএসসি) বলেন, দেশের সীমান্ত সুরক্ষার দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আমরা এক সাহসী সহযোদ্ধাকে হারালাম। নায়েক আক্তার হোসেনের আত্মত্যাগ আমাদের অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে। বিজিবির এ কর্মকর্তা শোক প্রকাশ করে আরও বলেন, শহীদ নায়েক আক্তার হোসেন দেশের জন্য আত্মোৎসর্গের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। তার আত্মার মাগফিরাত ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানানো হয়।
মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় সীমান্ত এলাকা থেকে ১৩টি ভারতীয় গরু আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। শনিবার (১ নভেম্বর) ভোর রাত ৪টার দিকে শ্রীমঙ্গল ব্যাটালিয়নের (৪৬ বিজিবি) দত্তগ্রাম বিওপির একটি টহল দল এ অভিযান পরিচালনা করে।
শ্রীমঙ্গল ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এ এস এম জাকারিয়া বিষয়টি এই প্রতিবেদককে নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাত ৪টার দিকে দত্তগ্রাম বিওপির টহল দল সীমান্ত এলাকায় অবস্থান নেয়। এ সময় ভারত থেকে অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশের সময় মালিকবিহীন অবস্থায় ১৩টি গরু আটক করা হয়।
তিনি আরও বলেন, গরুগুলো আটক হওয়ার পর স্থানীয় একটি চোরাকারবারী চক্র এবং কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তি গরুগুলো নিজেদের দাবি করে নেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। তবে এ ধরনের অপতৎপরতা প্রতিহত করতে বিজিবি সতর্ক রয়েছে এবং কঠোর অবস্থানে আছে।
কিশোরগঞ্জের ভৈরবের মেঘনা নদী থেকে বাল্কহেড ভর্তি ভারতীয় ৬০ বস্তা ফুসকা, ৩২০ পাতা জিলেট ব্লেডসহ ৪ জনকে আটক করেছে নৌপুলিশ।
গতকাল শুক্রবার রাতে ভৈরবের মেঘনা নদী এলাকা থেকে সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে অবৈধ ভারতীয় ফুসকা, ব্লেড ভর্তি ১টি বাল্কহেড জব্দ করা হয়েছে।
আটকৃতরা হলেন, ভৈরব উপজেলার আগানগর ইউনিয়নের খলাপাড়া এলাকার মৃত রমজান মিয়ার ছেলে ইসমাইল মুন্সি (৩৭), একই এলাকার মৃত দানিছ মিয়ার ছেলে রাকিব মিয় ছেলে সোহাগ মিয়া (৩৫), মৃত নুর ইসলামের ছেলে নিজাম (৫৫)।
পুলিশ সুত্রে জানা যায়, ভৈরবের মেঘনা নদীর কিনারায় সিলেটের সুনামগঞ্জ জেলার বাদাঘাট সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে আগত এম.বি কদর নৌপরিবহন নামের একটি বাল্কহেড ভৈরব বাজারে আসার পথে মেঘনা নদীতে টহলরত নৌপুলিশের অভিযানে ভারতীয় পণ্যসহ বাল্কহেড আটক করে নৌপুলিশের একটি টিম । এসময় বাল্কহেডে ভিতরে থাকা ৬০টি বড় ছোট প্লাষ্টিকের বস্তা। ৬০টি বস্তার ভিতর ১ কেজি ওজনের ৩৪৮০ প্যাকেট। যার আনুমানিক মূল্য ৬ লাখ ৯৫ হাজার টাকা । এছাড়া ৩২০ পাতা ভারতীয় জিলেট ব্লেড আটক করা হয়। যার আনুমানিক মূল্য ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। এসময় ভারতীয় পণ্য বহনকারী ১০ লাখ টাকার মূল্যের বাল্কহেডটি জব্দ করা হয়েছে। সর্বমোট ১৮ লাখ ১৬ হাজার টাকা উদ্ধারকৃত মালামাল ফাঁড়ি হেফাজতে রয়েছে ।
এবিষয়ে ভৈরব নৌপুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক এসআই মো.জোবায়ের হোসেন জানান, সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে সীমান্তবর্তী এলাকা হতে আগত মেঘনা নদী থেকে একটি বাল্কহেড আটক করা হয়েছে। এসময় ভারতীয় ৬০ বস্তা ফুসকা, ৩২০ প্যাকেট জিলেট ব্লেড জব্দ করা হয়। প্রায় ৮ লাখ ১৬ হাজার টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ করা হয়েছে। এছাড়া এই ঘটনায় জড়িত ৪ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
করপোরেট সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্যে দেশের পোল্ট্রি খাত চরম সংকটে পড়েছে বলে অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএ)। সংগঠনটি জানিয়েছে, সরকারের নীরবতা ও করপোরেট প্রভাবের কারণে প্রান্তিক খামারিরা টিকে থাকতে পারছেন না।
এমন পরিস্থিতিতে ৭ দফা দাবি ঘোষণা করে এগুলো বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত শনিবার থেকে সারাদেশে পর্যায়ক্রমে সব জেলা ও উপজেলায় ডিম ও মুরগি উৎপাদন বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে বিপিএ। সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে বিপিএ।
সংগঠনটি জানায়, দেশে ৫০ থেকে ৬০ লাখ মানুষ এই খাতের সঙ্গে যুক্ত, যার মধ্যে প্রায় ৪০ শতাংশ নারী ও ৬০ শতাংশ শিক্ষিত বেকার যুবক। কিন্তু করপোরেট সিন্ডিকেটের একচেটিয়া বাজার দখলের কারণে এই বৃহত্তম কৃষিভিত্তিক খাতটি ধ্বংসের পথে।
বিপিএ’র ৭ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে- করপোরেট সিন্ডিকেট ভেঙে দিয়ে ফিড, বাচ্চা, মেডিসিন ও ভ্যাকসিনের দাম সরকার কর্তৃক নির্ধারণ, কর্পোরেট প্রভাবমুক্ত, ন্যায্য ও স্বচ্ছ বাজারব্যবস্থা গড়ে তোলা, প্রান্তিক খামারিদের সংগঠনকে নীতিনির্ধারণ পর্যায়ে অন্তর্ভুক্তকরণ, ফিড, বাচ্চা ও ওষুধের বাজারে নিয়মিত অডিট ও প্রকাশযোগ্য প্রতিবেদন ব্যবস্থা চালু, উৎপাদন খরচ অনুযায়ী ১০ শতাংশ লাভ যুক্ত করে ডিম ও মুরগির ন্যায্য দাম নির্ধারণ, ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের জন্য জামানতবিহীন ঋণ, প্রণোদনা ও ভর্তুকি প্রদান, নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে দুর্নীতিগ্রস্ত ও কর্পোরেটপন্থি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিতে হবে।
ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি ও টেকসই সংরক্ষণ নিশ্চিত করতে শনিবার থেকে শুরু হচ্ছে দেশব্যাপী জাটকা ইলিশ আহরণে নিষেধাজ্ঞা। এই নিষেধাজ্ঞা চলবে আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে এবং মৎস্য অধিদপ্তরের বাস্তবায়নে এ নিষেধাজ্ঞার আওতায় ২৫ সেন্টিমিটারের ছোট ইলিশ (জাটকা) আহরণ, পরিবহণ, বাজারজাতকরণ, ক্রয়-বিক্রয় ও মজুত সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকবে।
এর আগে চলতি বছরের ৪ অক্টোবর থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে প্রজননক্ষম ইলিশ রক্ষায় ‘ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান-২০২৫’ বাস্তবায়ন করা হয়। সে সময়ে ডিমওয়ালা ইলিশ থেকে নিঃসৃত ডিমের পরিস্ফুটনের মাধ্যমে উৎপাদিত পোনা বর্তমানে উপকূলীয় নদ-নদী ও মোহনাসমূহে বিচরণ করছে। এসব পোনা নিরাপদে বেড়ে উঠতে পারলেই ভবিষ্যতে দেশের ইলিশ উৎপাদন আরো বৃদ্ধি পাবে।
মৎস্য সুরক্ষা ও সংরক্ষণ (সংশোধিত) অধ্যাদেশ, ২০২৫ এবং মৎস্য সুরক্ষা ও সংরক্ষণ বিধিমালা, ১৯৮৫ অনুযায়ী, উক্ত নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করলে অনধিক ২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড অথবা অনধিক ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ড, কিংবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হওয়ার বিধান রয়েছে।
মৎস্য অধিদপ্তর সারাদেশে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, নৌ পুলিশ, র্যাব, ও স্থানীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সহযোগিতায় কঠোরভাবে এ নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়ন করবে।
টানা নয় মাস বন্ধ থাকার পর আজ (১ নভেম্বর) থেকে আবারও পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হলো দেশের একমাত্র প্রবালদ্বীপ সেন্ট মার্টিন। তবে দ্বীপের জীববৈচিত্র্য ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য রক্ষায় এবার পর্যটকদের মানতে হবে ১২টি কঠোর নির্দেশনা। এসব নির্দেশনা মেনে আগামী বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত প্রতিদিন সর্বোচ্চ দুই হাজার পর্যটক দ্বীপে ভ্রমণের সুযোগ পাবেন।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মো. শাহিদুল আলম বলেন, “সেন্ট মার্টিনের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সরকারের জারি করা ১২টি নির্দেশনা এবার কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করবে জেলা প্রশাসন। আগে টেকনাফ থেকে জাহাজ চলাচল করলেও নিরাপত্তার কারণে এখন কক্সবাজার শহর থেকে সরাসরি পর্যটকবাহী জাহাজ সেন্ট মার্টিনে যাতায়াত করবে।”
বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের উপপরিচালক মহিবুল ইসলাম জানান, “সেন্ট মার্টিনে যেতে হলে পর্যটকদের অবশ্যই ট্যুরিজম বোর্ডের স্বীকৃত ওয়েব পোর্টালের মাধ্যমে অনলাইনে টিকিট কিনতে হবে। প্রতিটি টিকিটে ট্রাভেল পাস ও কিউআর কোড থাকবে। কিউআর কোড ছাড়া টিকিট নকল হিসেবে গণ্য হবে।”
পরিবেশ অধিদপ্তর জানিয়েছে, এবারও কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়া বিআইডব্লিউটিএ ঘাট থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ সেন্ট মার্টিন যাবে। আইনগত কারণে উখিয়ার ইনানী থেকে যাতায়াতের অনুমতি থাকবে না।
গত ২৭ অক্টোবর পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে নীতিগত সম্মতি প্রদান করেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে আজ থেকে পর্যটক যাতায়াত আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হলো।
পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজার জেলা কার্যালয়ের পরিচালক মো. জমির উদ্দিন বলেন, “সেন্ট মার্টিন দ্বীপে ভ্রমণের ক্ষেত্রে সরকারের নির্দেশনা কঠোরভাবে কার্যকর করা হবে। এর জন্য পরিবেশ অধিদপ্তর ও স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।”
সেন্ট মার্টিনে ভ্রমণের জন্য ১২ নির্দেশনা
প্রবাল ও সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য রক্ষায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় গত ২২ অক্টোবর ১২ দফা নির্দেশনা জারি করেছে। সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:
বিআইডব্লিউটিএ ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ছাড়া কোনো নৌযান চলবে না।
পর্যটকদের অনলাইনে কিউআর কোডযুক্ত টিকিট ক্রয় বাধ্যতামূলক।
ভ্রমণের সময়সূচি ও পর্যটক উপস্থিতি কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত থাকবে।
নভেম্বরে রাত্রিযাপন নিষিদ্ধ; ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে সীমিত অনুমতি থাকবে।
ফেব্রুয়ারিতে দ্বীপে পর্যটক প্রবেশ সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে।
প্রতিদিন সর্বোচ্চ দুই হাজার পর্যটক প্রবেশ করতে পারবেন।
রাতে সৈকতে আলো জ্বালানো, উচ্চ শব্দে অনুষ্ঠান বা বারবিকিউ করা নিষিদ্ধ।
কেয়াবনে প্রবেশ বা কেয়া ফল সংগ্রহ–বিক্রয় করা যাবে না।
কাছিম, পাখি, প্রবাল, শামুক–ঝিনুকসহ জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি কঠোরভাবে দণ্ডনীয়।
সৈকতে মোটরসাইকেল, সি-বাইক বা মোটরচালিত যান চলাচল নিষিদ্ধ।
পলিথিন বহন করা যাবে না; একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিক সামগ্রী ব্যবহারে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।
পর্যটকদের নিজের পানির বোতল বা ফ্লাস্ক সঙ্গে রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ১ ফেব্রুয়ারি থেকে সেন্ট মার্টিনে পর্যটক যাতায়াত বন্ধ ছিল। পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সরকার দ্বীপে পর্যটক সীমিত করার সিদ্ধান্ত নেয়। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এবার নভেম্বর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত তিন মাস সীমিত আকারে পর্যটন চালু করা হচ্ছে।
আধুনিকতা ও পেশাদারিত্বের প্রতীক হিসেবে নতুন ইউনিফর্ম চালু করছে বাংলাদেশ পুলিশ। দীর্ঘদিনের প্রস্তুতি ও পরিকল্পনার পর অবশেষে আগামী ১৫ নভেম্বর থেকে মহানগর ও বিশেষায়িত ইউনিটগুলোতে চালু হচ্ছে এই নতুন লৌহবর্ণের ইউনিফর্ম।
পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক (মিডিয়া) এ এইচ এম সাহাদাত হোসেন জানান, “লৌহবর্ণের এবং স্বতন্ত্র স্টাইলের নতুন পোশাক আগামী ১৫ নভেম্বরের মধ্যে সংশ্লিষ্ট ইউনিটগুলোতে সরবরাহ করা হবে। প্রাথমিকভাবে মহানগর ও বিশেষায়িত ইউনিটগুলো এটি পরবে, পরে ধাপে ধাপে রেঞ্জ ও জেলা পর্যায়ের সদস্যদের কাছেও এটি পৌঁছাবে।”
নতুন ইউনিফর্ম প্রথম ধাপে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি), চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ (সিএমপি), হাইওয়ে পুলিশ, রিভার পুলিশ এবং পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)–এর সদস্যদের জন্য চালু করা হচ্ছে।
এর আগে চলতি বছরের ২০ জানুয়ারি, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর গৃহীত বৃহত্তর সংস্কার উদ্যোগের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ পুলিশ, বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি, এবং র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব)-এর ইউনিফর্ম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত অনুমোদিত হয়।
পুলিশ সদর দপ্তরের এক কর্মকর্তা জানান, নতুন ইউনিফর্মটি আধুনিকতা, পেশাদারিত্ব ও জবাবদিহির প্রতীক হিসেবে ডিজাইন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে পুলিশ বাহিনীকে সময়োপযোগী, আস্থাশীল ও দৃঢ় ইমেজে উপস্থাপন করার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। নতুন পোশাক শুধু রঙ বা ডিজাইনের পরিবর্তন নয়, এটি পুলিশের মানসিকতা ও সাংগঠনিক সংস্কৃতির নবযাত্রার প্রতীক।
নতুন পোশাকে ব্যবহৃত হবে উন্নত মানের কাপড়, আরামদায়ক ফিটিং এবং আন্তর্জাতিক মানের ডিজাইন, যাতে কর্মক্ষেত্রে দীর্ঘ সময় কাজের উপযোগিতা ও মর্যাদাবোধ বজায় থাকে।
ধাপে ধাপে জেলা ও রেঞ্জ পর্যায়ের পুলিশ সদস্যরাও এই নতুন ইউনিফর্মে যুক্ত হবেন।
পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক এনায়েত করিম (মাসুদ করিম) সম্প্রতি রিমান্ডে ও আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে অন্তর্বর্তী সরকারকে নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন।
এর মধ্যে দিয়ে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের পতন ঘটিয়ে নতুন সরকার গঠনের বড় একটি ষড়যন্ত্র ফাঁস হয়েছে।
এনায়েত করিম নতুন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে কে প্রধান উপদেষ্টা এবং কে কে উপদেষ্টা হতে যাচ্ছিলেন, তাদের নামও প্রকাশ করেন।
নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, নতুন সরকার গঠনের এই ষড়যন্ত্রের নেটওয়ার্কে এনায়েত করিমের সঙ্গে দেশের অনেক রাঘববোয়াল জড়িত। এই ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের জন্য দেশ-বিদেশে এনায়েত করিম ও সংশ্লিষ্টদের উপস্থিতিতে বেশ কয়েকটি বৈঠক হয়। বৈঠকগুলোয় উপস্থিত ছিলেন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী, সাবেক সেনা কর্মকর্তা এবং সাংবাদিক। ষড়যন্ত্রে
সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে যার নাম ঠিক করা হয়েছিল, তিনি একজন অর্থনীতিবিদ।
সূত্র আরো জানায়, এনায়েত করিম জবানবন্দিতে তার সাম্প্রতিক বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের কথাও উল্লেখ করেছেন। তিনি বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন চুপ্পুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন বলেও জানা গেছে। এছাড়া অন্য একটি সূত্রে জানা গেছে, শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ আওয়ামী একটি ব্যবসায়ী গ্রুপ ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নে এনায়েত করিমকে ছয় কোটি টাকা দেয়।
রিমান্ডে ও আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে এনায়েত করিম নতুন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের যেসব সদস্যের নাম প্রকাশ করেন, ইতোমধ্যে তাদের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। সন্দেহ করা হচ্ছে, গত বৃহস্পতিবার সাবেক বিএনপি সরকারের প্রতিমন্ত্রী এহসানুল হক মিলনকে বিদেশযাত্রায় অনুমতি না দেওয়ার পেছনে এর সংযোগ থাকতে পারে। মিলন গতকাল শুক্রবার সংবাদ সম্মেলন করে তাকে কেন বিদেশে যেতে দেওয়া হয়নি, সরকারের কাছে তার কারণ জানতে চান। এর আগে বৃহস্পতিবার এহসানুল হক মিলন অবশ্য গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, তিনি পুরোনো পাসপোর্ট নিয়ে গিয়েছিলেন। সেখানে ‘মিলন’ নামটি লেখা ছিল না। তার এই ভুলের কারণে বিমানবন্দর থেকে তাকে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
এনায়েত করিমের জবানবন্দিতে উল্লিখিত ষড়যন্ত্রের কথা এমন এক সময় ফাঁস হয়, যখন দেশে এক ধরনের অস্থিরতা চলছে। ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন নিয়ে সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিরোধ লক্ষ করা যাচ্ছে। একে অপরকে আক্রমণ করে বক্তব্য দিচ্ছে। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচালের চেষ্টা হতে পারে আশঙ্কা ব্যক্ত করেছেন। তিনি নির্বাচন চ্যালেঞ্জিং হবে এবং হঠাৎ করে আক্রমণ চলে আসতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন। অর্থাৎ এনায়েত করিমের ঘটনার মতো নতুন করে আরো ষড়যন্ত্রের আশঙ্কা রয়েছে।
গত ১৩ সেপ্টেম্বর রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিবি অফিসের সামনে সন্দেহজনক ঘোরাঘুরির সময় পুলিশ এনায়েত করিমকে চ্যালেঞ্জ করলে তিনি নিজেকে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর এজেন্ট ও এশিয়া অঞ্চলের পরিচালক বলে দাবি করেন। পুলিশ তাকে এবং পরে তার সহযোগী গোলাম মোস্তফাকে গ্রেপ্তার করে ৫৪ ধারায় আদালতে পাঠিয়ে সাতদিনের রিমান্ডে নেয়। রিমান্ডে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে এনায়েত করিম স্বীকার করেন, তার সিআইএর এজেন্ট ও এশিয়া অঞ্চলের পরিচালকের পরিচয় ভুয়া।
জিজ্ঞাসাবাদে তিনি আরো জানিয়েছিলেন, ২০১৪ সালে বিএনপি ভাঙার অ্যাসাইনমেন্টেও তিনি জড়িত ছিলেন। ডিজিএফআইয়ের তৎকালীন কর্মকর্তা ও ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’-এর যোগসাজশে তিনি ওই কাজ করেন। তিনি আরো স্বীকার করেন, দেশে যখনই কোনো রাজনৈতিক অস্থিরতার অবস্থা সৃষ্টি হয়, তথনই তিনি বাংলাদেশে আসেন এবং কিছু অর্থ বিনিয়োগ করে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেন। এভাবে তিনি ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনে বাংলাদেশে এসে তৎপরতা চালান এবং তৎকালীন ডিজিএফআই ও ‘র’ যৌথভাবে তাকে ভাড়াটে হিসেবে কাজে লাগায়।