মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪

বিশ্বে দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকা আজ চতুর্থ

প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত : ৬ জুন, ২০২৩ ০৮:১১

বিশ্বের ১০০টি শহরের মধ্যে বাতাসের নিম্নমানের দিক থেকে মঙ্গলবার চতুর্থ অবস্থানে উঠে আসে রাজধানী ঢাকা। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বাতাসের মানবিষয়ক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ারের র‌্যাংকিংয়ে মঙ্গলবার সকাল ৮টা ৬ মিনিটে ১৩৭ স্কোর নিয়ে ঢাকার এ অবস্থান উঠে আসে।

তালিকায় ওই সময় ১৫৬ স্কোরে শীর্ষ ছিল ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা। এ ছাড়া দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল কাতারের দোহা। তৃতীয় অবস্থানে পাওয়া যায় দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গ ও পঞ্চম অবস্থানে ছিল চিলির সান্তিয়াগো।

নির্দিষ্ট স্কোরের ভিত্তিতে কোনো শহরের বাতাসের ক্যাটাগরি নির্ধারণের পাশাপাশি সেটি জনস্বাস্থ্যের জন্য ভালো নাকি ক্ষতিকর, তা জানায় আইকিউএয়ার। কোম্পানিটি শূন্য থেকে ৫০ স্কোরে থাকা শহরগুলোর বাতাসকে ‘ভালো’ ক্যাটাগরিতে রাখে। অর্থাৎ এ ক্যাটাগরিতে থাকা শহরের বাতাস জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর নয়। ৫১ থেকে ১০০ স্কোরে থাকা শহরগুলোর বাতাসকে ‘মধ্যম মানের বা সহনীয়’ হিসেবে বিবেচনা করে কোম্পানিটি।

আইকিউএয়ারের র‌্যাঙ্কিংয়ে ১০১ থেকে ১৫০ স্কোরে থাকা শহরগুলোর বাতাসকে ‘সংবেদনশীল জনগোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ ক্যাটাগরিতে ধরা হয়। ১৫১ থেকে ২০০ স্কোরে থাকা শহরের বাতাসকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ ক্যাটাগরির বিবেচনা করা হয়। র‌্যাঙ্কিংয়ে ২০১ থেকে ৩০০ স্কোরে থাকা শহরগুলোর বাতাসকে ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয়। তিন শর বেশি স্কোর পাওয়া শহরের বাতাসকে ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচনা করে আইকিউএয়ার।

বিষয়:

মুক্তিযুদ্ধের প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ হয় জয়দেবপুরে

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

১৯ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতার সংগ্রামের ইতিহাসে এক অনন্য মাইলফলক। একাত্তরের অগ্নিঝরা মার্চের এদিন পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ যুদ্ধ হয় জয়দেবপুরে (বর্তমান গাজীপুর)। জয়দেবপুরের বীর জনতা গর্জে উঠেছিল এবং পাক সেনাদের সঙ্গে সম্মুখযুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছিল।

তখন ভাওয়াল রাজবাড়িতে ছিল ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্টের সেনানিবাস। এ রেজিমেন্টে ২৫-৩০ জন পাঞ্জাবি সৈন্য ছাড়া সবাই ছিলেন বাঙালি। এখানকার বাঙালি সৈন্যরা জানতে পারেন পাকিস্তানি ব্রিগেডিয়ার জাহানজেব এক কোম্পানি সৈন্য নিয়ে এখানে আসছে। ১৯ মার্চ দুপুরের দিকে জয়দেবপুর সেনানিবাসে জাহানজেব উপস্থিত। বাঙালি সৈন্যদের পাঞ্জাবিরা নিরস্ত্র করতে এসেছে- এ খবর দাবানলের মতো চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে চারদিকের হাজার হাজার মানুষ জয়দেবপুর শহরে সমবেত হয়।

প্রতিরোধের জন্য স্থানীয় অনেকের হাতে ছিল লাঠিসোঁটা, তীর-ধনুক ও বল্লম। সেনানিবাসে জাহানজেবের কাছে সে খবর পৌঁছে যায়। ঢাকা ফেরার পথে জাহানজেব চান্দনার কাছে পৌঁছালে পাকবাহিনী প্রবল প্রতিরোধের মুখে পড়ে।

জয়দেবপুর রেল গেটে মালগাড়ির বগি, রেলের অকেজো রেললাইন, স্লিপারসহ বড় বড় গাছের গুঁড়ি, কাঠ, বাঁশ, ইট ইত্যাদি যে যেভাবে পেরেছে, তা দিয়ে এক বিশাল ব্যারিকেড দেওয়া হয়। জয়দেবপুর থেকে চৌরাস্তা পর্যন্ত আরও ৫টি ব্যারিকেড দেওয়া হয়, যাতে পাকিস্তানি বাহিনী অস্ত্র নিয়ে ফেরত যেতে না পারে।

এদিকে রেল গেটের ব্যারিকেড সরানোর জন্য ২য় ইস্ট বেঙ্গলের রেজিমেন্টকে ব্রিগেডিয়ার জাহানজেব আদেশ দেয়। ২য় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড ছিলেন মেজর কে এম শফিউল্লাহ (পরবর্তীকালে সেনাপ্রধান)। কৌশল হিসেবে বাঙালি সৈন্যদের সামনে দিয়ে পেছনে পাঞ্জাবি সৈন্যদের অবস্থান নিয়ে মেজর শফিউল্লাহকে জনতার ওপর গুলি বর্ষণের আদেশ দেয়। বেঙ্গল রেজিমেন্টের সৈন্যরা জনতার ওপর গুলি না করে আকাশের দিকে গুলি ছুড়ে সামনে আসতে থাকলে প্রতিরোধ যোদ্ধারা বর্তমান গাজীপুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ওপর অবস্থান নিয়ে বন্ধুক ও চায়নিজ রাইফেল দিয়ে সেনাবাহিনীর ওপর গুলিবর্ষণ শুরু করে।

অন্যদিকে পাকিস্তানি সৈন্যরা গুলিবর্ষণ শুরু করলে জনগণ আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে এবং ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে শুরু করে।

পাকিস্তানি সৈন্যদের নির্বিচারে গুলিবর্ষণে নিয়ামত, মনু খলিফা ও কানু মিয়াসহ ২০ জন শহীদ হন। মুক্তিযুদ্ধের প্রাক্কালে দেশের প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ ১৯ মার্চ দেশজুড়ে পেয়েছিল নতুন রূপ। সারা দেশে মানুষের মুখে তখন এক স্লোগান- ‘জয়দেবপুরের পথ ধর, বাংলাদেশ স্বাধীন কর’।

জয়দেবপুরের গৌরবগাথা ঊনিশে মার্চে যারা শহীদ হয়েছিলেন তাদের স্মরণেই ভাস্কর্য ‘জাগ্রত চৌরঙ্গী’।

জয়দেবপুরে নিরস্ত্র নাগরিকদের ওপর সেনাবাহিনীর গুলির তীব্র নিন্দা জানিয়ে সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু এক বিবৃতিতে বলেন, ‘যারা বুলেট ও শক্তি দিয়ে গণ-আন্দোলনকে স্তব্ধ করবেন বলে ভেবেছেন, তারা বোকার স্বর্গে বাস করছেন। বাংলাদেশের মানুষ সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান চায়। কিন্তু এর অর্থ এই নয়, তারা শক্তি প্রয়োগে ভয় পায়।’

তিনি বলেন, ‘জনগণ যখন রক্ত দিতে তৈরি হয়, তখন তাদের দমন করতে পারে এমন শক্তি দুনিয়ায় নেই।’

ঢাকাসহ সারা দেশে কালো পতাকা উত্তোলন অব্যাহত থাকে। সরকারি-আধাসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে কর্মবিরতি চলে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকে।

এ দিনও বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে অনেক মিছিল যায়। সমবেত জনতার উদ্দেশ্যে শেখ মুজিব বলেন, ‘শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও আমরা আমাদের ভবিষ্যৎ বংশধরদের জন্য স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে বাঁচার ব্যবস্থা করে যাব।’

এদিকে একদিনের বিরতির পর এদিন ঢাকায় বেলা ১১টায় আওয়ামী লীগপ্রধান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়ার তৃতীয় দফা একান্ত বৈঠক হয়।

তৃতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত বৈঠকে বঙ্গবন্ধু তিনটি প্রস্তাব উত্থাপন করেন। প্রস্তাবগুলো হলো- প্রেসিডেন্টের ঘোষণায় সামরিক শাসন প্রত্যাহার করে ক্ষমতা হস্তান্তর করা, কেন্দ্রে আপাতত ইয়াহিয়া খানের নেতৃত্বে সরকার থাকতে পারে, কিন্তু প্রদেশগুলোতে অবিলম্বে নির্বাচিত প্রতিনিধিরা সরকার গঠন করবে এবং পূর্ববাংলা ও পশ্চিম পাকিস্তান থেকে প্রস্তাবিত পার্লামেন্টের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা পৃথকভাবে মিলিত হয়ে ছয় দফার ভিত্তিতে খসড়া সংবিধানের সুপারিশ করবে। আর সংসদের আনুষ্ঠানিক অধিবেশনে তা চূড়ান্তকরণ করা যেতে পারে।

দেড় ঘণ্টার ওই বৈঠকে ‘জয়বাংলা’ স্লোগান সম্পর্কে জানতে চান ইয়াহিয়া। জবাবে বঙ্গবন্ধু ইয়াহিয়াকে বলেন, “শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগের সময়ও কলেমা পাঠের সঙ্গে ‘জয়বাংলা’ উচ্চারণ করব আমি।”

ন্যাপপ্রধান মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী চট্টগ্রামে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া অহেতুক ঢাকায় সময় নষ্ট করছেন। ইয়াহিয়া খানের বোঝা উচিত শেখ মুজিবের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর ছাড়া পাকিস্তানকে রক্ষা করা সম্ভব নয়। জেনারেল ইয়াহিয়া খানের মনে রাখা উচিত যে, তিনি জনগণের প্রতিনিধি নন।’

পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান জুলফিকার আলী ভুট্টো এদিন পশ্চিম পাকিস্তানে গণ-আন্দোলন শুরুর লক্ষ্যে তার দলের প্রস্তুতি গ্রহণের কথা ঘোষণা করে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘ক্ষমতার ব্যাপারে পিপলস পার্টিকে হিস্যা থেকে বঞ্চিত করার ষড়যন্ত্র হলে আমি চুপ করে বসে থাকব না।’

তিনি হুমকি দেন, ‘পূর্ব পাকিস্তানের লোকদের শক্তি দেখেছেন, এবার আপনারা পশ্চিম পাকিস্তানিদের শক্তি দেখবেন।’


‘এমভি আবদুল্লাহ’তে অভিযানের প্রস্তুতি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

জলদস্যুদের হাতে জিম্মি বাংলাদেশি বাণিজ্যিক জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ এবং এর ২৩ নাবিককে উদ্ধারে অভিযান শুরু করার প্রস্তুতি নিয়েছে সোমালিয়ার পুলিশ এবং আন্তর্জাতিক নৌবাহিনীর একটি সম্মিলিত দল। সোমালিয়ার পান্টল্যান্ড অঞ্চলের পুলিশ বাহিনী এ তথ্য জানিয়েছে। ভারতের নৌবাহিনীর কমান্ডোরা সোমালি জলদস্যুদের কবল থেকে একটি কার্গো জাহাজ উদ্ধারের দুই দিনের মাথায় এ অভিযানের প্রস্তুতি চলছে।

বাংলাদেশ সময় আজ সোমবার সন্ধ্যায় এই খবর জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এমভি আবদুল্লাহ জাহাজটিকে গত সপ্তাহে ভারত মহাসাগর থেকে ছিনতাই করে পরবর্তী সময় সোমালিয়ার উপকূলে নেওয়া হয়েছে। প্রায় এক দশক শান্ত থাকার পর এটি সোমালি জলদস্যুদের দ্বারা গত নভেম্বর থেকে ২০টিরও বেশি জাহাজ ছিনতাই চেষ্টার সর্বশেষ ঘটনা।

এর আগে গত শনিবার ভারতীয় নৌবাহিনী আরেকটি পণ্যবাহী জাহাজ জলদস্যুতের হাত থেকে উদ্ধার করেছে। মাল্টার পতাকাবাহী এমভি রুয়েন নামের ওই জাহাজটিকে গত ডিসেম্বর ছিনতাই করা হয়েছিল। অভিযানে ভারতীয় কমান্ডোরা জাহাজে জিম্মি ১৭ নাবিক ও ক্রুকে মুক্ত করে। পাশাপাশি আটক করে ৩৫ জলদস্যুকে। ভারতীয় নৌবাহিনী এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট দিয়ে এমন তথ্য জানিয়েছে।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, সোমালিয়ার পুন্টল্যান্ড এলাকাটি অসংখ্য জলদস্যু চক্রের ঘাঁটি। আধা স্বায়ত্তশাসিত এই অঞ্চলের পুলিশ বাহিনী জানিয়েছে, তারা উচ্চ সতর্কতায় রয়েছে এবং এমভি আবদুল্লাহকে জিম্মি করা জলদস্যুদের বিরুদ্ধে অভিযানে অংশ নিতে প্রস্তুতি নিয়েছে।

একটি বিবৃতিতে পান্টল্যান্ড পুলিশ বলেছে, আন্তর্জাতিক নৌবাহিনী অভিযানের পরিকল্পনা করছে—এমন রিপোর্ট পাওয়ার পর পান্টল্যান্ড পুলিশ বাহিনীও প্রস্তুত রয়েছে।

এ বিষয়ে ভারতের নৌবাহিনীর কাছ থেকে রয়টার্স মন্তব্য চাইলে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।

গতকাল রোববার পুন্টল্যান্ড পুলিশ জানিয়েছে, এমভি আবদুল্লাহ জাহাজে থাকা জলদস্যুদের কাছে পাঠানোর সময় মাদক পরিবহনকারী একটি গাড়ি জব্দ করেছে তারা।

এদিকে, ভারত মহাসাগরে বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ছিনতাই ও ২৩ জন নাবিককে জিম্মি করার ৬ষ্ঠ দিন গত সোমবারেও যোগাযোগ করেনি জলদস্যুরা। তারা তৃতীয় কোনো সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গেও যোগাযোগ করেনি। ফলে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বাড়ছে জিম্মিদের পরিবার সদস্যদের মধ্যে। জাহাজটির মালিক কবির গ্রুপ শুরু থেকেই হামলা ও অভিযান ছাড়াই জাহাজের নাবিকদের উদ্ধারের পক্ষে। ফলে সোমালিয়া পুলিশ এ অভিযান শুরু করলে জলদস্যুরা জিম্মি নাবিকদের সঙ্গে কেমন ব্যবহার করবে সে বিষয়ে জাহাজটির মালিকপক্ষ ও জিম্মিদের পরিবার সদস্যরা উৎকণ্ঠায়। তবে ওই স্থানের জলসীমা সোমালিয়ার হওয়ায় তারা যদি অভিযান পরিচালনার উদ্যোগ নেয় সেক্ষেত্রে বাধা দেওয়ার কোন অবকাশ নেই জাহাজের মালিকপক্ষের। তবে সবাই প্রত্যাশা করছে নিরাপদেই এ অভিযান সম্পন্ন হবে ও জিম্মি নাবিকরা মুক্তি পাবেন। যদিও এর আগে একবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটি জাহাজ থেকে উদ্ধার অভিযানের চেষ্টা চালালে জলদস্যুরা গুলি ছোড়ে ও জিম্মিদের হত্যার হুমকি দেয়।

উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় বেলা দেড়টার দিকে সোমালিয়ার জলদস্যুরা এমভি আবদুল্লাহর নিয়ন্ত্রণ নেয়। জাহাজটি মোজাম্বিক থেকে দুবাই যাচ্ছিল। জাহাজটি চট্টগ্রামের কবির গ্রুপের মালিকানাধীন।

গ্রুপটির সহযোগী প্রতিষ্ঠান এস আর শিপিং লিমিটেড এই জাহাজ পরিচালনা করছিল।


গাবতলীতে চলে যাবে ‘কারওয়ান বাজার’

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর কারওয়ান বাজার ঢাকার অনেক পুরোনো কাঁচাবাজার তথা আড়ত। এই কাঁচামালের আড়তটি সরিয়ে গাবতলীতে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম।

আজ সোমবার কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলাপকালে মেয়র এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় কারওয়ান বাজারে ডিএনসিসির আঞ্চলিক-৫ অফিস বিল্ডিংটি ঈদের পরপরই ভেঙে ফেলা হবে। এ অবস্থায় প্রথম ধাপে কারওয়ান বাজার কাঁচামাল আড়তের ১৭৬টি দোকান গাবতলীতে স্থানান্তর করা হবে।’

মেয়র বলেন, দ্রুতই বিল্ডিংয়ের ১৭৬টি দোকানের অ্যালটমেন্ট বরাদ্দ দেওয়া হবে। তবে সঠিক সময়ে আড়তগুলো গাবতলীর ডিএনসিসি মার্কেটে স্থানান্তর না হলে সব দায় দোকান মালিকদের নিতে হবে বলেও হুঁশিয়ার করেন তিনি।

গত বছরের জুন মাসে কারওয়ান বাজার স্থানান্তর প্রসঙ্গে মেয়র আতিক বলেছিলেন, পৃথিবীর কোনো উন্নত দেশের রাজধানীর মাঝখানে এমন পচনশীল পণ্যের পাইকারি কাঁচাবাজার নেই। স্মার্ট বাংলাদেশে ঢাকা শহরের প্রাণকেন্দ্রে পাইকারি কাঁচাবাজার থাকতে পারে না। কারওয়ান বাজারে কোনো কাঁচাবাজার থাকবে না।


বিশ্বের সংকটাপন্ন শিশুদের রক্ষায় এগিয়ে আসার আহবান

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

এতিমদের জন্য তহবিল সংগ্রহের এক অনুষ্ঠানে বক্তারা প্যালেস্টাইনের গাজা, সিরিয়া, ইয়েমেন, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, ভারত, সমালোচনা, গায়ানাসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের সংকটাপন্ন এতিমদের রক্ষায় সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।

শনিবার ভার্জিনিয়ার ফেয়ারফ্যাক্সে অনুষ্ঠিত "হার্ট ইউনাইটেড: এ নাইট ফর অরফান্ড চিলড্রেন ইন ক্রাইসিস" শীর্ষক ঐ অনুষ্ঠানে বক্তারা ঐ আহ্বান জানান। হিউম্যান কনসার্ণ ইউএসএ ঐ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

হিউম্যান কনসার্ণ ইউএসএ - এর প্রধান নির্বাহী মাসুম মাহবুব তার শুভেচ্ছা বক্তৃতায় বলেন, তার প্রতিষ্ঠান প্যালেস্টাইনের গাজায় জরুরী খাদ্য, বস্ত্র আর চিকিৎসা সহায়তায় ম্যাকগ্লোবালের এইচসিআই ক্লিনিকের সাথে অংশীদারিত্বে প্রতিদিন আটশ রোগীর চিকিৎসা প্রদান করছে। এছাড়াও হিউম্যান কনসার্ণ ইউএসএ সিরিয়া, ইয়েমেন, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, ভারত, সমালোচনা ও গায়ানায় সাত হাজার এতিম শিশুকে খাবার, কাপড়, স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও শিক্ষা প্রদান করে আসছে।

হিউম্যান কনসার্ণ ইউএসএ গত ২০১৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় দুই হাজারেরও বেশী শেল্টার তৈরির কথা উল্লেখ করে তিনি এসব সেবা কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

সামাজিক মাধ্যমে বিশ্বের অন্যতম প্রভাব বিস্তারকারী ইসলামী বক্তা মারিয়ম মাসুদ বলেন, রমজানের রোজা রেখে আমরা প্রকৃতপক্ষে চেতনা, সহানুভূতি এবং তৃপ্তি অর্জন করি । সচেতনতার জন্য, আমরা যখন উপবাস করি, তখন আমরা বুঝতে পারি যে দরিদ্র ও অভাবী মানুষরা প্রতিদিন খাবারসহ অন্যান্য সামান্য কিছু নিয়ে কেমন অনুভব করে। বিষয়টি আমাদের হৃদয়কে নরম করে। আমরা গরীব এবং এতিমদের প্রতি সহানুভূতি বোধ করি এবং আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা আমাদেরকে যে নিয়ামত দিয়েছেন তা থেকে আমরা তাদের দান করি।

তিনি বলেন,চেতনা ও করুণা লাভের মাধ্যমে আমরা আমাদের অন্তরে তৃপ্তি ও সুখ গড়ে তুলি। এতে আমাদের বিশ্বাস এবং সবকিছু ইতিবাচক দিকে যেতে শুরু করে। আমরা আরও ভালো কাজ করতে চাই যাতে আমরা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলাকে খুশি করতে পারি!

"আল্লাহ - মহান, তিনি তাদের প্রশংসা করেন যারা গরীব ও অভাবীদের সাহায্য করার জন্য তাঁর সন্তুষ্টির জন্য ব্যয় করে-" তিনি যোগ করেন।

বিশিষ্ট সামাজিক মাধ্যমে অপর প্রভাব বিস্তারকারী ইসরা চাকার বলেন, প্যালেস্টাইনের গাজায় চলমান গণহত্যার বিষয়টি আমাদের সবার জানা। এখানে উপস্থিত আমাদের সকলের হৃদয়-মন গাজার ভাই-বোন আর এতিমদের সাথেই রয়েছে। আমাদের ক্ষুদ্র সহায়তা গাজাসহ বিশ্বের সকল প্রান্তের এতিমদের জীবনে উজ্জ্বল ভবিষ্যতের দিশা এনে দিতে পারে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

পরে প্রখ্যাত মানবতাবাদী রেপার ওমর অফেনডাম আরবী পদ্য ও সঙ্গীত পরিবেশন করেন।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ, সিরিয়া, প্যালেস্টাইনেরসহ বিভিন্ন দেশের শতাধিক আমন্ত্রিত অতিথি উপস্থিত ছিলেন।


ঈদের আগে সাংবাদিকদের বেতন-বোনাস পরিশোধের আহ্বান তথ্য প্রতিমন্ত্রীর

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেছেন, সাংবাদিকরা যাতে তথ্য চাইতে গিয়ে কোনো ধরনের হয়রানির শিকার না হন, সেটা নিশ্চিত করা হবে। আজ সোমবার তথ্য ভবনে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট হতে আর্থিক সহায়তার চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, অপতথ্য গণমাধ্যম ও গণতন্ত্রের জন্য হুমকি, এটা প্রতিরোধ করতে হবে। সাংবাদিকরা সরকারকে ভুল ধরিয়ে দেবেন। সাংবাদিকদের কল্যাণে ও সুরক্ষায় কাজ করে যাবে সরকার।

এ সময় গণমাধ্যমের মালিকদের ঈদের আগে সাংবাদিকদের বেতন-বোনাসের টাকা পরিশোধ করার আহ্বানও জানান তথ্য প্রতিমন্ত্রী।

সরকার বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন করতে চায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, সাংবাদিকদের জন্য প্রধানমন্ত্রী সুরক্ষা প্রয়াস তৈরি করেছেন। তিনি দল-মত নির্বিশেষে সবার জন্য অনুদানের ব্যবস্থা করেছেন। সাংবাদিকদের দুঃখ-কষ্টে প্রধানমন্ত্রী পাশে দাঁড়িয়েছেন। এগুলো আরও বড় আকারে তুলে ধরা হবে।

নবম ওয়েজ বোর্ডের পাওনা বুঝিয়ে দিতে মিডিয়া মালিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সব পেশায় বেতন কাঠামো, চাকরির নিরাপত্তা থাকা দরকার। কাউকে শর্ট নোটিশে চাকরিচ্যুত করা যাবে না, দুই তিন মাসের সময় দেওয়া দরকার।

গণমাধ্যম কর্মী আইন করা দরকার মন্তব্য করে তিনি বলেন, এটাকে আরও পর্যালোচনা করা প্রয়োজন এবং দ্রুত পাস করা দরকার। একই সঙ্গে সময় ও চাহিদার সঙ্গে সাংবাদিকদের অনুদানের পরিমাণ বাড়ানো দরকার।

তিনি জানান, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টে ৬৩ কোটি টাকা আছে। আরও ২০ কোটি টাকা প্রধানমন্ত্রী দেবেন। শেখ হাসিনার সরকার সাংবাদিক ও গণমাধ্যমবান্ধব সরকার।


ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসে বঙ্গবন্ধুর ১০৪তম জন্মবার্ষিকী উদযাপিত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

যথাযোগ্য মর্যাদা এবং ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে আজ (রবিবার) ওয়াশিংটন ডিসিস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস-২০২৪ উদযাপিত হয়েছে।

দিবসটি উদযাপন উপলক্ষ্যে দূতাবাস বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করে। যার মধ্যে ছিল জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বঙ্গবন্ধুর আবক্ষ প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, আলোচনাসভা, শিশুদের জন্য রচনা ও চিত্রাঙ্কণ প্রতিযোগিতা এবং বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের ওপর প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন।

এদিন সকালে রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান কর্তৃক দূতাবাস প্রাঙ্গণে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিনের কর্মসূচি শুরু হয়। এ সময় দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

পরে রাষ্ট্রদূত মিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতিতে বঙ্গবন্ধু কর্নারে জাতির পিতার আবক্ষ প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে তার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।

বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে দিবসটি উপলক্ষে মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রদত্ত বাণী পাঠ করে শোনান মিনিস্টার (কনস্যুলার) মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, মিনিস্টার (কর্মাস) মোঃ সেলিম রেজা এবং মিনিস্টার (ইকোনমিক) ড. মোঃ ফজলে রাব্বি ।

আলোচনায় অংশ নিয়ে রাষ্ট্রদূত ইমরান স্বাধীনতার মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং বাঙালি জাতির বহুল প্রতীক্ষিত স্বাধীনতা অর্জনে মহান ভাষা আন্দোলন থেকে মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত তাঁর দীর্ঘ সংগ্রামের কথা শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন।

বঙ্গবন্ধুকে একজন আপোষহীন ও নির্ভীক নেতা হিসেবে আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, মহান নেতার জীবন এবং বাংলাদেশের ইতিহাস একই সূত্রে গাঁথা।

তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে জাতিকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে এবং বিশ্বে আরও মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে নিয়ে যেতে ভবিষ্যতে নতুন প্রজন্মই হবে প্রধান চালিকা শক্তি। রাষ্ট্রদূত ইমরান বাংলাদেশের সমৃদ্ধ ইতিহাস, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের পাশাপাশি স্বাধীনতা এবং যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনে বঙ্গবন্ধুর মহান আত্মত্যাগ ও অবদানের কথা শিশুদের সামনে তুলে ধরার জন্য অভিভাবকদের অনুরোধ করেন।

জাতীয় শিশু দিবস প্রসঙ্গে রাষ্ট্রদূত বলেন, বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার দেশকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ আবাসস্থল হিসেবে গড়ে তুলতে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

রাষ্ট্রদূত ইমরান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও জাতির পিতার আদর্শকে ধারণ করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।

মিনিস্টার (প্রেস) এজেডএম সাজ্জাদ হোসেন আলোচনায় অংশ নেন এবং জাতির বহুল প্রতীক্ষিত স্বাধীনতা অর্জনের পথ পরিক্রমায় বঙ্গবন্ধুর দীর্ঘ সংগ্রাম এবং যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পূনর্গঠনে তার অসামান্য অবদানের কথা বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেন।

বঙ্গবন্ধু ও ১৫ আগস্টের অন্যান্য শহীদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত এবং জাতির অব্যাহত শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাতের মাধ্যমে সকালের অনুষ্ঠান শেষ হয়।

পরবর্তীতে সন্ধ্যার অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণে কেক কাটেন এবং রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন। দূতাবাসের এই দুই পর্বের অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ফার্স্ট সেক্রেটারি (পাসপোর্ট ও ভিসা উইং) মুহাম্মদ আব্দুল হাই মিলটন ও ফার্স্ট সেক্রেটারি আতাউর রহমান।


সহকারী শিক্ষক নিয়োগে তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা ২৯ মার্চ

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ-২০২৩ এর তৃতীয় ধাপের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ২৯ মার্চ, শুক্রবার। এই ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের আবেদনকারীদের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

আবেদনকারী প্রার্থীদের নিজ নিজ জেলায় ২৯ মার্চ সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত এই নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষার্থীদের অবশ্যই সকাল সাড়ে ৮টার মধ্যে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত জানান, প্রার্থীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে উল্লিখিত মোবাইল নম্বরে যথাসময়ে ০১৫৫২-১৪৬০৫৬ নম্বর থেকে প্রবেশপত্র ডাউনলোডের এসএমএস পাঠানো হবে।

তৃতীয় ধাপের এই পরীক্ষার জন্য প্রার্থীরা ২৩ মার্চ থেকে এসএসসির রোল, বোর্ড ও পাসের সন দিয়ে লগইন করে প্রবেশপত্র ডাউনলোড করে রঙিন প্রিন্ট কপি সংগ্রহ করতে পারবেন।

এছাড়া পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য প্রার্থীদেরকে অবশ্যই ডাউনলোডকৃত প্রবেশপত্রের রঙিন প্রিন্ট এবং নিজের জাতীয় পরিচয়পত্র (মূল এনআইডি/স্মার্ট কার্ড) সঙ্গে আনতে হবে। পরীক্ষা সংক্রান্ত অন্যান্য তথ্য প্রবেশপত্রে পাওয়া যাবে।

পরীক্ষা কেন্দ্রে কোনো বই, উত্তরপত্র, নোট বা অন্য কোনো কাগজপত্র, ক্যালকুলেটর, মোবাইল ফোন, ভ্যানিটি ব্যাগ, পার্স, হাতঘড়ি বা ঘড়িজাতীয় বস্তু, ইলেক্ট্রনিক হাতঘড়ি বা যে কোনো ধরনের ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস, কমিউনিকেটিভ ডিভাইস, জাতীয় পরিচয়পত্র (স্মার্ট কার্ড) ব্যতীত কোনো ধরনের ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড অথবা অন্য কোনো কার্ড বা এ জাতীয় বস্তু সঙ্গে নিয়ে প্রবেশ করা বা সঙ্গে রাখা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।

কোনো পরীক্ষার্থী উল্লিখিত দ্রব্যাদি সঙ্গে নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করলে তাকে তাৎক্ষণিক বহিষ্কারসহ সংশ্লিষ্টের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।


২০৩২ সাল পর্যন্ত ইইউতে জিএসপি সুবিধা পেতে আয়ারল্যান্ডের সমর্থন চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী

আপডেটেড ১৮ মার্চ, ২০২৪ ১৯:৫২
বাসস

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এলডিসি উত্তরণ পরবর্তীকালে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ধারা সুসংহত রাখতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) বাজারে বাংলাদেশের জন্য জিএসপি সুবিধা উত্তরণের মেয়াদ ২০২৯ সালের পরিবর্তে ২০৩২ সাল পর্যন্ত বাড়ানোর জন্য আয়ারল্যান্ডের সমর্থন চেয়েছেন।

আয়ারল্যান্ডের এন্টারপ্রাইজ, বাণিজ্য ও কর্মসংস্থান মন্ত্রী সাইমন কভেনির নেতৃত্বে একটি উচ্চ-পর্যায়ের আইরিশ প্রতিনিধিদল আজ প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে তাঁর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ সমর্থন কামনা করেন।

বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচরাইটার মো. নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

নজরুল ইসলাম প্রধানমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী এজন্য আয়ারল্যান্ডের সমর্থন চেয়েছেন যাতে ইইউ বাংলাদেশের জন্য ২০৩২ সাল পর্যন্ত বাণিজ্যিক সুযোগ-সুবিধা, বিশেষ করে জেনারেলাইজড স্কিম অফ প্রেফারেন্স (জিএসপি) বৃদ্ধি করে।’

আয়ারল্যান্ডকে বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও অংশীদার উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘ইইউ সদস্য দেশটি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে সবসময় বাংলাদেশের পাশে থেকেছে।’

তিনি ইইউ প্ল্যাটফর্মে বাংলাদেশের স্বার্থের বিষয়ে বাংলাদেশকে সমর্থন করতে আয়ারল্যান্ডের প্রতি অনুরোধ জানান।

প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল ও হাইটেক পার্কে বিনিয়োগ করার জন্য আইরিশ ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানান।

তিন থেকে চার বিলিয়ন ভোক্তার বাংলাদেশকে একটি সম্ভাব্য বড় মার্কেটিং হাব উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের আইসিটি, ফার্মাসিউটিক্যালস ও কৃষিভিত্তিক শিল্পের মতো বেশ কয়েকটি প্রতিশ্রুতিশীল খাতে আয়ারল্যান্ডের উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগের বিশাল সুযোগ রয়েছে।

শ্রম ইস্যু প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের শ্রম ইস্যু নিয়ে অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে ভুল তথ্য ছড়ানো হয়।’ শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘ইইউভুক্ত দেশগুলো এ ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করলে এ বিষয়ে কোনো ভুল বোঝাবুঝির সুযোগ থাকবে না।’

এ সময় আয়ারল্যান্ডের মন্ত্রী জানান, আয়ারল্যান্ড ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও জোরদার করতে তিনি বাংলাদেশে এসেছেন।

ঢাকায় আনুষ্ঠানিকভাবে আয়ারল্যান্ডের প্রথম অনারারি কনস্যুলেট খোলার জন্য এখানে এসেছেন উল্লেখ করে আইরিস মন্ত্রী বলেন, ‘এই কার্যালয়টি দুদেশের জনগণের মধ্যে পারস্পারিক সম্পর্ক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও জোরদার করতে সহায়ক হবে।’

সাইমন কভেনি বলেন, ‘আয়ারল্যান্ড বাংলাদেশের প্রযুক্তি ও খাদ্য শিল্পে (কৃষি প্রক্রিয়াকরণ শিল্প) প্রযুক্তিগত সহায়তা দিতে চায়।’

তিনি বলেন, ‘আয়ারল্যান্ড জাতিসংঘ ও ইইউ ফোরামে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সহায়তার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে।’

বর্তমানে আয়ারল্যান্ডে প্রচুর বাংলাদেশী শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে উল্লেখ করে সফররত মন্ত্রী আশ্বস্ত করেন, তারা বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি সংখ্যক শিক্ষার্থীকে স্বাগত জানাবে।

রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে আয়ারল্যান্ডের মন্ত্রী জানান, এ ব্যাপারে আয়ারল্যান্ড তাদের সহায়তা অব্যাহত রাখবে।

তবে তিনি রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে নিরাপত্তা জোরদার, তাদের উপার্জনশীল কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত করার ও বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের জন্য স্থায়ী ও আরও উন্নত ঘরের ব্যবস্থা করার পরামর্শ দিয়েছেন।

জবাবে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘রোহিঙ্গা শিবিরের জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক নিরাপত্তা সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। তবে হত্যা ও অন্যান্য অপরাধ কখনও কখনও দেখা যায়, কারণ সেখানে অনেক অভ্যন্তরীণ গোষ্ঠী রয়েছে- যারা এখানে দীর্ঘদিন অবস্থানের কারণে ইতোমধ্যে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়েছে।’

শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘বিশ্বে শরণার্থীদের জন্য স্থায়ী ঘর নির্মাণের নজির নেই, তবে ভাষানচরে এক লাখ রোহিঙ্গার জন্য বাংলাদেশ মানসম্মত আবাসনের ব্যবস্থা করেছে।’

তিনি বলেন, ‘তারা সেখানে যেতে চাইলে আমরা ভাষানচরে প্রায় ৪ লাখ রোহিঙ্গার জন্য আবাসনের ব্যবস্থা করতে পারি। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত কিছু আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, বেসরকারি সংস্থা ও দেশের বিরোধিতার কারণে ভাষানচরে আবাসন প্রকল্পটি সফল হচ্ছে না বলে তিনি মন্তব্য করেন।’

বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এম তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, ভারতে নিযুক্ত আয়ারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত কেভিন কেলি ও বাংলাদেশে নিযুক্ত আয়ারল্যান্ডের অনারারি কনসাল মাসুদ জামিল খান উপস্থিত ছিলেন।


আওয়ামী লীগ সবসময় জনগণের পাশে থাকে: প্রধানমন্ত্রী

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘তারা (বিএনপি-জামায়াত) আওয়ামী লীগকে ক্ষমতাচ্যুত করার স্বপ্ন দেখছে। তারা কীভাবে ভুলে যায় যে, আওয়ামী লীগ সবসময় জনগণের পাশে থাকে। যার জন্য জনগণ তাদের বারবার ভোট দেয়।’

শেখ হাসিনা আজ জাতির পিতার ‘১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও ‍জাতীয় শিশু দিবস-২০২৪’ উদযাপন উপলক্ষে রাজধানীর তেজগাঁওস্থ আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির ভাষণে একথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি রমজান মাসে গরিব মানুষের মধ্যে ইফতার বিতরণ না করে সরকারের সমালোচনা করে। নিজেরা ইফতার খায়, আর আওয়ামী লীগের গীবত গায়। আর কবে আওয়ামী লীগকে উৎখাত করবে সেটাই দেখে।’

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠন এবং এর নির্বাচিত প্রতিনিধিরা ইফতার পার্টি না করে সারাদেশে গরিবদের মাঝে ইফতার বিতরণ করছে। দেশবাসী ও আওয়ামী লীগকে বার বার সমর্থন করেছে। কারণ তারা তাদের প্রয়োজনে আওয়ামী লীগকে সবসময় পাশে পেয়েছে।’

সরকারপ্রধান বলেন, ‘এই রমজান মাসে আমি সবাইকে বলব আপনাদের আশপাশে যারা দরিদ্র সাধারণ মানুষ রয়েছেন, তাদের পাশে দাঁড়ান এবং তাদেরকে সহযোগিতা করুন। আমরা যেমন ইফতার বন্টন করছি তাদেরকে সহযোগিতা করছি আপনাদেরকেও সেটা করতে হবে।’

তিনি সংযমের এই মাসে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাবে মূল্যস্ফীতিতে দেশের সাধারণ জনগণেরর পাশে না দাঁড়ানোয় বিএনপি’র রাজনীতির সমালোচনা করে বলেন, ‘তারা ইফতার পার্টি করে করুক, কিন্তু আপনারা দেখাবেন যে মানুষের পাশে আছেন।’ ‘আর এই কারণেই তো মানুষ আমাদেরকে ভোট দেয়। বাংলাদেশের মানুষ যে বারবার আমাদেরকে ভোট দেয় সেটা তো এই কারণেই,’ যোগ করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বিএনপির তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবির প্রসঙ্গে বলেন, ‘এখন এই দাবির পেছনে ভিন্ন উদ্দেশ্য রয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘তারা কোন সাহসে সেটা চায় কারণ, ২০০৮ সালের নির্বাচনে তো তত্ত্বাবধায়ক সরকারই ছিল। খালেদা জিয়াও সুস্থ ছিলেন, যদিও রাজনীতি করবে না বলে তারেক রহমান মুচলেকা দিয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায়। তবে হাওয়া ভবনের খাওয়া খেয়ে লন্ডনে তো তখন তারও রমরমা অবস্থা। কিন্তু সে সময়েও তারা আসন পেয়েছিল ৩০টি, অন্যদিকে আওয়ামী লীগ পেয়েছিল ২৩৩টি আসন। এটাও তো তাদের মনে রাখা উচিত। কাজেই কীসের আশায় তারা চায়, বুঝতে হবে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে এদেশের গরীবের পেটে ভাত থাকে, গরীবের মাথা গোজার ঠাঁই হয়।’

তিনি বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের বাংলায় একটি মানুষও ভূমিহীন-গৃহহীন থাকবে না।’

সরকারপ্রধান বলেন, ‘কোনো মানুষ ভূমিহীন-গৃহহীন যে থাকবে না আমরা সেটারই বাস্তবায়ন ঘটিয়ে যাচ্ছি, আর সেটাই ওদের সহ্য হয় না। সাধারণ মানুষ, গরীব মানুষ ভালো থাকলে সেটা তাদের পছন্দ হয় না।’

তিনি বলেন, ‘কাজেই তারা যে চায় সেটা ইলেকশনের জন্য নয়, বাংলাদেশকে আবার অন্ধকার যুগে ঠেলে দেওয়ার জন্য। কাজেই এই দেশকে আর কখনো অন্ধকার যুগে ফেলে দিতে পারবে না। কারণ, এটা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের দেশ। মুজিব জন্মগ্রহণ করেছেন এই দেশের দুঃখী মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য। আর তাঁর আদর্শ ধারণ করেই আমরা সেটা করে যাব ইনশাআল্লাহ।’

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, দলের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য সংসদ উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম ও ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনি, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য অধ্যাপক মেরিনা জাহান কবিতা আলোচনায় অংশ নেন।

একুশে পদক বিজয়ী আবৃত্তি শিল্পী রূপা চক্রবর্তী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রচিত ‘কারাগারের রোজনামচা’ থেকে তাঁর ৪৭তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন নিয়ে লেখার কিছু লাইন এবং বিশিষ্ট কবি সৈয়দ শামসুল হকের ‘আমার পরিচয়’ কবিতাটি আবৃত্তি করেন।

ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মান্নাফি এবং শেখ বজলুর রহমান ও আলোচনা সভায় বক্তৃতা করেন।

আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ এবং দলের উপ-প্রচার সম্পাদক সৈয়দ আব্দুল আওয়াল শামীম আলোচনা সভা সঞ্চালনা করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আগে রাস্তাঘাটে হাড্ডি কঙ্কালসার মানুষ দেখা যেত কিন্তু আওয়ামী লীগের গত ১৫ বছরে টানা চার মেয়াদে দেশ পরিচালনার সুযোগে এখন আর সে অবস্থা নেই। যেখানে মানুষের পরিধেয় বস্ত্রের ঠিক ছিল না সেখানে এখন অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থানসহ সকল প্রকার মৌলিক এবং নাগরিক সুবিধাগুলো তৃণমূল পর্যায়ের মানুষের কাছে পর্যন্ত পৌঁছাচ্ছে। কমিউনিটি ক্লিনিক এর মাধ্যমে হাতের নাগালে চিকিৎসা সেবা পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। সেখান থেকে মানুষকে বিনামূল্যে ৩০ প্রকারের ওষুধ প্রদান করা হচ্ছে। আমরা বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কাজ করি এবং সেই ভাগ্য পরিবর্তন একেবারে গ্রাম পর্যায়ের মানুষ পর্যন্ত।’

তিনি বলেন, ‘ধন-দৌলত-সম্পদ কেউ কবরে নিয়ে যেতে পারে না। এর জন্য মারামারি কাটাকাটি কেন? এগুলো তো ফেলে রেখেই চলে যেতে হয়। কাজেই এগুলো যতটা মানুষকে দিয়ে দেওয়া যায় এবং মানুষের কল্যাণ করা যায় সেটুকুই সাথে থাকে। এটাই সবাইকে মাথায় রাখতে হবে।’


নকল মোবাইল ফোন তৈরির অভিযোগে গ্রেপ্তার ৩

প্রতীকী ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

শিমুল (১৯), এইচএসসি পাস করেছেন। আল আমিন হোসেন (২৪) পড়েছেন ৮ম শ্রেণী পর্যন্ত। আর রাসেল (৩১) ৫ম শ্রেণী পাশ। এই তিনজন মিলে তৈরি করকত পারেন বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ফোনের মতো নকল মোবাইল ফোন।

বিভিন্নভাবে নিম্ন মানের যন্ত্রাংশ সংগ্রহ করে তারা বিভিন্ন ব্রান্ডের ফোনের মতো হুবহু নকল ফোন তৈরি করে আসছিলেন। এসব নকল ফোন রাজধানীর দুইটি মার্কেটসহ দেশের বিভিন্ন মোবাইল মার্কেটে অর্ধেক দামে বিক্রি করা হচ্ছিল। তাদের তৈরি করা নকল ফোন দেখতে এতটাই নিখুঁত যে ক্রেতাদের কোনোভাবে বুঝার উপায় নেই যে ফোনটি নকল।

রাজধানীর কলাবাগানা থানায় করা একটি মামলায় নকল ফোন তৈরি চক্রের এই তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা (ডিবি) সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (উত্তর) বিভাগ। গত শনিবার কলাবাগানের ইস্টার্ন প্লাজা মাকেট থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে মোবাইল তৈরির যন্ত্রাংশসহ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ৩১৭টি নকল মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে।

সোমবার দুপুরে রাজধানীর মিন্টু রোডে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব তথ্য জানান ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

তিনি বলেন, ‘চক্রটির সদস্যরা দীর্ঘ দিন ধরে ভিভো, অপ্পো, আইফোন, রেডমি, রিয়েলমি স্মার্ট ফোন ও নোকিয়া বাটন ফোনের মাদারবোর্ড ও বিভিন্ন নিম্নমানের যন্ত্রাংশ সংগ্রহ করে এসব নামি-দামি ব্রান্ডের নকল ফোন তৈরি করে আসছে। এরপর তারা আইএমইআই স্টিকার ও ফোনের বক্সসহ অন্যান্য সামগ্রী তৈরি করে এসব নকল রাজধানীর মোতালেব প্লাজার ও নাহার প্লাজাসহ ঢাকার বাইরে বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের কাছে কুরিয়ার করে বিক্রি করে আসছিল। পরে ব্যবসায়ীরা এসব ফোন সেকেন্ড হ্যান্ড বলে নির্ধারিত মূল্যের অর্ধেক দামে সাধারণ ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করে। এসব নকল ফোন দেখতে বিভিন্ন ব্রান্ডের অরজিনাল ফোনের মতো হুবহু। এমনকি অরিজিনাল ফোনের অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করা হয় এসব নকল ফোনে।’

ডিবি প্রধান বলেন, ‘চক্রটি কলাবাগানের ইস্টার্ন প্লাজার সপ্তম তলায় এসব নকল ফোন তৈরি করত। যদিও তারা বেশি লেখা পড়া জানে না। কিন্তু তারা বিভিন্ন নামি-দামি ব্রান্ডের হুবহু নকল ফোন তৈরি করে আসছিল। নকল ফোন তৈরির যন্ত্রাংশ তারা বিভিন্ন উপায়ে সংগ্রহ করত। প্রথমত তারা বিভিন্ন চোরাই ফোনের যন্ত্রাংশ কিনত এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে তারা বিদেশ থাকে নিম্নমানের যন্ত্রাংশ এনে এসব নকল ফোন তৈরি করে আসছে। তাদের কাছে আরও যেসব যন্ত্রাংশ ছিল সেগুলো দিয়ে তারা প্রায় হাজারখানেক নকল মোবাইল ফোন তৈরি করতে পারত।’


জাতিসংঘে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপিত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে ১৭ মার্চ যথাযোগ্য মর্যাদা ও উৎসবমূখর পরিবেশে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস-২০২৪ উদযাপন করা হয়েছে।

জাতীয় পতাকা উত্তোলন, জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন ও জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানটি শুরু হয়। এর পর জাতির পিতা ও তাঁর পরিবারের শাহাদাত বরণকারী সদস্যদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয় এবং দিবসটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়।

এছাড়া, অনুষ্ঠানে জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষ্যে একটি প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন ও জাতির পিতার জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে কেক কাটা হয়। এক তথ্যবিবরণীতে একথা জানানো হয়েছে।

এছাড়াও দিবসটি পালনের অংশ হিসেবে উৎসবমুখর পরিবেশে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাংলাদেশী শিশু-কিশোরদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে দিনব্যপী শিশু-কিশোর আনন্দমেলা অনুষ্ঠিত হয়।

শিশু-কিশোর আনন্দমেলায় আয়োজিত চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় শিশু-কিশোরেরা বঙ্গবন্ধু এবং বাংলাদেশের গ্রামীন দৃশ্য ক্যানভাসে ফুটিয়ে তুলে। এছাড়াও অনুষ্ঠানে ‘বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা ও স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিষয়ে শিশু কিশোরদের জন্য বয়স ভিত্তিক রচনা প্রতিযোগিতা এবং বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ পাঠ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। এসকল প্রতিযোগিতায় অর্ধশতাধিক শিশু কিশোর অংশগ্রহণ করে।

অনুষ্ঠানে জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত বক্তব্য প্রদান করেন এবং চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, রচনা প্রতিযোগিতা ও বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ উপস্থাপনে বিজয়ীদের পুরস্কার তুলে দেন।


সুইডিশ রাজকুমারী ঢাকায়

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

সুইডেনের রাজকুমারী ভিক্টোরিয়া জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) শুভেচ্ছা দূত ১৮ থেকে ২১ মার্চ পর্যন্ত বাংলাদেশ সফরে আজ এখানে এসে পৌঁছেছেন।

সকালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রাজকুমারীকে স্বাগত জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

রোববার সুইডিশ দূতাবাসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সুইডেনের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগিতা ও বৈদেশিক বাণিজ্য মন্ত্রী জোহান ফরসেল এবং ইউএনডিপির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল উলরিকা মোদের রাজকুমারী সঙ্গে রয়েছেন।

এতে বলা হয়েছে, এই সফরের উদ্দেশ্য বাংলাদেশের উন্নয়ন যাত্রা সম্পর্কে জানা এবং জলবায়ু, লিঙ্গ সমতা, সবুজ ও ডিজিটাল রূপান্তর এবং ব্যবসায়িক খাতের ভূমিকার উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে এসডিজি বাস্তবায়নে অগ্রগতি ও চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে ধারণা লাভ করা।

রাজকুমারী এবং প্রতিনিধি দল সরকারের প্রতিনিধি, উদ্যোক্তা, সংস্থা, উন্নয়ন সহযোগী এবং যুবদের সাথে আলোচনা করবেন।

তারা সবুজ এবং ডিজিটাল রূপান্তর প্রচারে ব্যবসায়িক ক্ষেত্রের ভূমিকার উপর আলোকপাত করে বিভিন্ন ইভেন্টে অংশগ্রহণ করবেন।

প্রতিনিধি দলটি কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরসহ বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলও পরিদর্শন করবে।

রাজকুমারী (ক্রাউন প্রিন্সেস) ২০০৫ সালে দেশে তার প্রথম সফরের প্রায় দুই দশক পর আবার বাংলাদেশ সফরে এসেছেন।


যিনি ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গড়লেন ,তিনিই সর্বাধিক আক্রমণের শিকার

বিএনপিকে দায়ী করল মার্কিন দুই সংস্থা
ফাইল ছবি
আপডেটেড ১৮ মার্চ, ২০২৪ ০০:৪১
নিজস্ব প্রতিবেদক

বিশ্বায়নের যুগে বাংলাদেশকে সমান তালে এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে যিনি আধুনিক তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার করে অর্থাৎ কম্পিউটার নেটওয়ার্ক ও ইন্টারনেট সিস্টেমের মাধ্যমে দেশের সব কর্মকাণ্ডকে গতিশীল করার লক্ষ্যে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গড়ে তুললেন তিনিই সেই ডিজিটাইজেশনের নেতিবাচক ব্যহারের সর্বাধিক শিকার হচ্ছেন।

সম্প্রতি এমনই এক চিত্র উঠে এসেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউট (এনডিআই) এবং ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই) এর প্রতিবেদনে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই সবচেয়ে বেশি অনলাইন বুলিংয়ের শিকার হয়েছেন।

নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য বাংলাদেশে আসা সংস্থা দুটির টেকনিক্যাল অ্যাসেসমেন্ট মিশন (টিএএম) গত ১৬ মার্চ আইআরআই-এর ওয়েবসাইটে চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে টার্গেট করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আপত্তিকর, গুজব ও বিভ্রান্তিকর রাজনৈতিক আক্রমণ চালানো হয়েছে, যার সিংহভাগের জন্য দায়ী ছিল বিএনপি। আপত্তিকর কথা এবং পোস্ট বিশ্লেষণ করে এই ফলাফল উঠে এসেছে টিএএম-এর গবেষণায়।

২০২৪ সালের নির্বাচনের প্রচারের সময়কাল এবং নির্বাচনের দিনসহ অন্যান্য সময়ে আগের নির্বাচনগুলোর তুলনায় সহিংসতা কম হয়েছে বলে এনডিআই-আইআরআই-এর প্রতিবেদন বলা হয়। কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তায় সরকার বাড়তি নজর দেওয়ায় সহিংসতা কম হয়েছে। তা সত্ত্বেও, গত ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের গুণগত মান ক্ষুণ্ন হওয়ার কারণ হিসেবে বিরোধী দলগুলোর সহিংসতাকে উল্লেখ করা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে।

নির্বাচনকালীন সময়ে, বাংলাদেশ সরকার নিরাপত্তা বৃদ্ধির জন্য বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে: নির্বাচনী নিরাপত্তার জন্য বাজেট বাড়ানো, দীর্ঘ সময় ধরে বিপুলসংখ্যক নিরাপত্তাকর্মী মোতায়েন এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা তদারকি করার জন্য অ্যাডহক সমন্বয় ইউনিট গঠন।

নির্বাচনী সহিংসতার কথা উঠে এসেছে এনডিআই-আইআরআই-এর প্রতিবেদনে। সংঘর্ষ, প্রচার মিছিলে হামলা, প্রচার কার্যালয় ধ্বংস বা অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগের কথা বলা হয়েছে। বিএনপির নেতৃত্বে নির্বাচন ঠেকাতে সমাবেশ, অবরোধ, ধর্মঘট, যানবাহন ও স্থাপনায় অগ্নিসংযোগ, হামলা, ভাঙচুর, ভীতি প্রদর্শনসহ সহিংসতার কথা প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে।

বিএনপির গত ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশে নয়াপল্টনে সংঘর্ষে পুলিশ কনস্টেবল আমিরুল হক পারভেজ নিহত হওয়ার ঘটনাটি ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রান্তিক গোষ্ঠী, বিশেষ করে নারীরাও নির্বাচনী সহিংসতার সম্মুখীন হয়েছে বলে এনডিআই-আইআরআই-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। তবে নারীদের লক্ষ্য করে নির্বাচনী সহিংসতা অতীতের তুলনায় কম ছিল। টিএএম তাদের পর্যবেক্ষণে পেয়েছে যে, বাংলাদেশের আইনি কাঠামো লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা সম্পূর্ণভাবে মোকাবিলা করতে পারেনি। এর কারণ হিসেবে রাজনীতিবিদ ও সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের মধ্যে এ বিষয়ে সচেতনতার অভাব এবং তাদের সক্ষমতার সীমাবদ্ধতার কথা বলা হয়েছে। বাংলাদেশের হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা নির্বাচনী সহিংসতার শিকার হয়েছে। তবে বিগত নির্বাচনের তুলনায় ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের লক্ষ্য করে নির্বাচনী সহিংসতা কম ছিল।

ভবিষ্যতের নির্বাচনগুলোতে নির্বাচনী সহিংসতা মোকাবিলায় বেশ কিছু সুপারিশ করেছে টিএএম। নিরাপত্তা কর্মীদের জন্য একটি আচরণবিধি প্রণয়ন এবং নির্বাচনী সহিংসতা সম্পর্কিত মামলাগুলোর দ্রুত ও স্বাধীন বিচার ও পর্যালোচনা প্রদানের জন্য আইনি কাঠামো হালনাগাদ করার মতো নতুন ব্যবস্থার মাধ্যমে বাংলাদেশের নির্বাচনের স্বাধীনতা ও তদারকি উন্নত করা যেতে পারে বলে মনে করছে টিএএম।

গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ এবং সাইবার নিরাপত্তা আইন, যা ভোটারদের বিরুদ্ধে সহিংসতা প্রতিরোধ করার ক্ষমতা প্রদান করে এবং অনলাইন জগৎসহ নাগরিক স্বাধীনতা এবং মৌলিক স্বাধীনতার সুরক্ষা নিশ্চিত করে, এসব বিদ্যমান আইনের প্রয়োগ উন্নত করতে পরামর্শ দিয়েছে টিএএম।

সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা প্রশমন এবং সহিংসতা প্রশমন প্রচেষ্টায় সরকারকে পরামর্শ দিতে নাগরিক সমাজের ভূমিকা থাকা উচিত বলে মনে করছে টিএএম। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাজনৈতিক নেতাদের উচিত তাদের দলে অহিংসার সংস্কৃতি গড়ে তোলা এবং নির্বাচনী সহিংসতার জন্য, বিশেষত সংখ্যালঘু ও নারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতায় দায়ীদের জবাবদিহিতার আওতায় নিয়ে আসা।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ২০২৩ সালের ৮ থেকে ১১ অক্টোবর সময়কালে আইআরআই এবং এনডিআই একটি প্রাক-নির্বাচন মূল্যায়ন সম্পন্ন করে। ওই দলের সদস্য ছিলেন আইআরআই কো-চেয়ার এবং প্রাক্তন ডেপুটি ইউএসএআইডি প্রশাসক বনি গ্লিক, এনডিআই কো-চেয়ার এবং দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক সাবেক সহকারী মন্ত্রী কার্ল এফ. ইন্ডারফারথ, মালয়েশিয়ার প্রতিনিধি পরিষদের সাবেক সদস্য মারিয়া চিন আবদুল্লাহ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতির সাবেক সহযোগী কাউন্সেল জামিল জাফর, আইআরআই-এর এশিয়া-প্যাসিফিক বিভাগের সিনিয়র ডিরেক্টর জোহানা কাও, এবং এনডিআই এশিয়া-প্যাসিফিকের আঞ্চলিক পরিচালক মনপ্রীত সিং আনন্দ।


banner close