বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

ভোমরা দিয়ে এল ৮ ট্রাক পেঁয়াজ

ফাইল ছবি
আপডেটেড
৬ জুন, ২০২৩ ১৫:০৭
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত : ৬ জুন, ২০২৩ ০৯:১৫

সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে ৮ ট্রাক পেঁয়াজ বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। গত সোমবার সন্ধ্যায় এ পেঁয়াজের ট্রাক প্রবেশ করে। এ ছাড়া মঙ্গলবার আরও ১০ ট্রাকের মতো পেঁয়াজ প্রবেশ করতে পারে বলে জানিয়েছে ভোমরা শুল্ক স্টেশনের কর্মকর্তারা। খবর বাসসের।

ভোমরা সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মাকসুদ খাঁন জানান, প্রতি টন পেঁয়াজ ২২০ মার্কিন ডলার থেকে ২৫০ মার্কিন ডলারে আমদানি করা হচ্ছে। দেশীয় পেঁয়াজের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে গত ১৫ মার্চ থেকে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি নিষিদ্ধ করে সরকার। এ সুযোগে বাজারে অসাধু ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে দেয়। ফলে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ৪০ টাকা থেকে ১০০ টাকায় উঠে।

তিনি আরও বলেন, পেঁয়াজ আমদানি শুরু হওয়াই অসাধু ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্য কমানো সম্ভব হবে এবং সাধারণ মানুষ ন্যায্য মূল্যে পেঁয়াজ কিনতে পারবে।

ভোমরা শুল্ক স্টেশনের তথ্য কর্মকর্তা শান্ত হাওলাদার জানান, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ ৮ ট্রাক পেঁয়াজ ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। আরও ৮ থেকে ১০টি ট্রাক প্রবেশ করতে পারে।

বিষয়:

আইপিইউর গভর্নিং কাউন্সিলের সমাপনী সেশনে স্পিকার

ছবি: বাসস
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সুইজারল্যান্ডের জেনেভাতে ‘১৪৮তম আইপিইউ অ্যাসেম্বলি’ উপলক্ষে অনুষ্ঠিত গভর্নিং কাউন্সিলের সমাপনী সেশনে বক্তব্য দিয়েছেন। গতকাল বুধবার স্থানীয় সময় বিকেলে তিনি এবক্তব্য দেন।

আজ ঢাকায় প্রাপ্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

সেশনে আইপিইউ’র প্রেসিডেন্ট ড. টুলিয়া অ্যকসন, আইপিইউ সেক্রেটারি জেনারেল মার্টিন চুংগংসহ বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

সমাপনী সেশনে বক্তব্য দানকালে স্পিকার বলেন, ২৩ মার্চ ২০২৪ তারিখে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় আইপিইউ সমাবেশে এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপের সভায় সভাপতিত্ব করা ছিল এক অসাধারণ অভিজ্ঞতা।

তিনি বলেন, এক বছরের জন্য এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপের চেয়ারম্যান হিসেবে নেতৃত্ব দেওয়ার দায়িত্ব নিতে পেরে তিনি আনন্দিত।

স্পিকার বলেন, বৈঠকে এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপের ৩২টি সদস্য রাষ্ট্র উপস্থিত ছিল এবং তারা পারস্পরিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে সমস্ত এজেন্ডা সমাধানে অংশ নেয়।

এসময় সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সদস্য হিসেবে জাতীয় সংসদের চীফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী এমপি, শফিকুল ইসলাম এমপি, মাহবুব উর রহমান এমপি, শাহাদারা মান্নান এমপি, নীলুফার আনজুম এমপি, এইচ এম বদিউজ্জামান এমপি, মো. মুজিবুল হক এমপি, আখতারুজ্জামান এমপি এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব কে.এম আব্দুস সালাম উপস্থিত ছিলেন।

বিষয়:

দেশের সাত বিভাগে ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

দেশের সাত বিভাগে ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

রাষ্ট্রীয় সংস্থাটি বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এমন বার্তা দিয়েছে।

পূর্বাভাসে আজকের বৃষ্টিপাত নিয়ে বলা আছে, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দুই এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

সিনপটিক অবস্থান নিয়ে পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।

আজকের তাপমাত্রা নিয়ে পূর্বাভাসে বলা আছে, সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

ঢাকায় বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা সোমবার সকালে ছিল ৮৫%।


যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে পুলিশের গুলিতে এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন।

স্থানীয় সময় বুধবার নিউ ইয়র্কের কুইন্সের একটি বাসায় মানসিক অবসাদে ভোগা ওই যুবককে বাধ্য হয়েই গুলি করতে হয় বলে পুলিশ দাবি করেছে।

নিউ ইয়ক টাইমস বলছে, ১৯ বছর বয়সী উইন রোজারিওকে দুপুর পৌনে ২টার দিকে মৃত ঘোষণা করা হয়। তিনি ওজোন পার্কের ১০৩ নম্বর স্ট্রিটে দ্বিতীয় তলার বাসায় তার পরিবারের সঙ্গে থাকতেন।

পুলিশ জনিয়েছে, ৯১১ নম্বরে ফোন পেয়ে পুলিশ ওই যুবকের বাসায় গিয়েছিল। এ সময় কাঁচি দিয়ে অফিসারদের হুমকি দিয়েছিলেন তিনি। এরই এক পর্যায়ে তার পায়ে গুলি চালানো হয়।

নিহতের ভাই উশতো রোজারিও বলেন, মা উইনকে ফেরাতে চেষ্টা করছিলেন। তবে এর মধ্যেই পুলিশ গুলি ছুড়েছে। এই গুলি ছোড়ার কোনো দরকার ছিল না।

পুলিশ ডিপার্টমেন্টের টহল প্রধান জন চেল সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, দুজন অফিসার মানসিক যন্ত্রণায় থাকা ব্যক্তি সম্পর্কে ৯১১ নম্বরে একটি কল পেয়ে সেখানে যায়। বাধ্য হয়েই গুলি চালাতে হয়েছে। বেশ উত্তেজনাপূর্ণ, বিশৃঙ্খল এবং বিপজ্জনক অবস্থা তৈরি হয়েছিল। রোজারিও ৯১১ নম্বরে কল করেছিলেন।

উইনের বাবা ফ্রান্সিস রোজারিও জানান, তার পরিবার ১০ বছর আগে বাংলাদেশ থেকে নিউইয়র্কে যান। উইনের স্বপ্ন ছিল যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীতে যোগ দেয়া। পরিবারের গ্রিন কার্ড পেতে দেরি হওয়ায় সেটি আর হয়নি।

নিহতের ভাই উশতো রোজারিও জানান, তার ভাই দুই বছর আগে ওজোন পার্কের জন অ্যাডামস হাই স্কুল থেকে স্নাতক করেছে। সম্প্রতি বিষণ্ণ ছিলেন তিনি। মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা নিয়ে গত বছর হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল তাকে।


আগামী মাসে বাংলাদেশ সফর করবেন কাতারের আমির: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

ফাইল ছবি
আপডেটেড ২৮ মার্চ, ২০২৪ ১১:৫২
ইউএনবি

আগামী মাসে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির নির্ধারিত বাংলাদেশ সফরে জনশক্তি, জ্বালানি, বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বৃহত্তর সহযোগিতার মাধ্যমে বিদ্যমান সম্পর্ক আরও জোরদার করতে চায় উভয় দেশ।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ২ দেশের মধ্যে প্রায় ডজনখানেক সমঝোতা স্মারক ও চুক্তি চূড়ান্ত করার বিষয়ে আলোচনা চলছে, যেগুলো সফরকালে সই করা হবে।

আগামী ২১-২২ এপ্রিল ২ দিনের এই সফর হতে পারে বলে সূত্রটি জানিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আমিরের বৈঠকের পর যেসব সমঝোতা স্মারক ও চুক্তি সই হবে, সেগুলো নিয়ে দুই পক্ষ এখন কাজ করছে।

সফরের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনার জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা করেছে।

গত বছরের মার্চে কাতারের রাজধানী দোহায় স্বল্পোন্নত দেশগুলো বিষয়ক জাতিসংঘ সম্মেলনের (এলডিসি-৫) সাইডলাইনে আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি জ্বালানি চাহিদা মেটাতে কাতারের কাছে জ্বালানি বিশেষ করে এলএনজি সরবরাহে সহযোগিতার আহ্বান জানান।

১৯৭৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় ওআইসি শীর্ষ সম্মেলনের পর ১৯৭৪ সালের ৪ মার্চ কাতার বাংলাদেশকে একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।

১৯৭৫ সালের ২৫ জুন দোহায় বাংলাদেশ তার কূটনৈতিক মিশন চালু করে। ১৯৮২ সালে ঢাকায় কূটনৈতিক মিশন খোলে দেশটি।

বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক পারস্পরিক শ্রদ্ধা; অভিন্ন মূল্যবোধ, ধর্মীয় ভিত্তি, সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের ওপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠিত।


ভুটানের রাজার সঙ্গে ড. চৌধুরী নাফিজ সরাফাতের সফল বৈঠক অনুষ্ঠিত

ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগেল ওয়াংচুককে একটি চিত্রকর্ম উপহার দেন দেশের বিশিষ্ট শিল্পোদ্যোক্তা ও অন্যতম শীর্ষ ব্যবসায়ী এবং কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ-এর প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ড. চৌধুরী নাফিজ সরাফাত।
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশ সফররত ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগেল ওয়াংচুকের সঙ্গে তার হোটেল স্যুটে একটি গুরুত্বপূর্ণ, সফল ও ফলপ্রসূ বৈঠক করেছেন দেশের বিশিষ্ট শিল্পোদ্যোক্তা ও অন্যতম শীর্ষ ব্যবসায়ী এবং কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ-এর প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ড. চৌধুরী নাফিজ সরাফাত।

আজ বুধবার অনুষ্ঠিত সম্মানজনক এ বৈঠকে তারা উভয়ে প্রতিশ্রুতিশীল ব্যবসায়িক সম্ভাবনার ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে অত্যন্ত ফলপ্রসূ আলোচনা করেন।

বৈঠকে ড. চৌধুরী নাফিজ সরাফাত রাজা জিগমে খেসার নামগেল ওয়াংচুকের দূরদর্শী নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, তিনি ভুটানকে সাফল্যের অভূতপূর্ব উচ্চতায় নিয়ে যাচ্ছেন এবং তার নেতৃত্বে ভুটান এশিয়ার পরবর্তী সিঙ্গাপুর হবে বলেও উল্লেখ করেন।

সফল এ বৈঠকে তারা উভয় দেশের জন্য একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গঠনে আমাদের অংশীদারত্বের ভিত্তিতে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে এগিয়ে যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

ঐতিহাসিক বৈঠকে এ অঞ্চলের অফুরন্ত সম্ভাবনাময় উন্নত ভবিষ্যৎ গঠনে সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে শিক্ষা ও অন্যান্য উদ্ভাবনী বিষয় নিয়ে উভয় দেশের যৌথভাবে কাজ করার ওপর তারা গুরুত্বারোপ করেন।


ঝুলন্ত ক্যাবল মাটির নিচ দিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রগতি নেই

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ২৮ মার্চ, ২০২৪ ০৫:২১
ইউএনবি

বিদ্যুৎ বিভাগের পক্ষ থেকে বারবার চেষ্টা করা সত্ত্বেও দুর্দশাগ্রস্ত ঝুলন্ত ইন্টারনেট ও স্যাটেলাইট টিভির সংযোগ ক্যাবল মাটির নিচ দিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো অগ্রগতি হয়নি। যদিও বিদ্যুৎ ইউটিলিটিগুলো এ বিষয়ে তাদের প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।

এমনকি ইন্টারনেট ও স্যাটেলাইট টিভি ক্যাবলের অপারেটরদের বিদ্যুৎ ইউটিলিটি বিভাগগুলোর চলমান ভূগর্ভস্থ ক্যাবলিং প্রকল্পে যুক্ত করানোও সম্ভব হয়নি।

ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (ডিপিডিসি) তথ্যমতে, তাদের সব ঝুলন্ত সঞ্চালন লাইন মাটির নিচ দিয়ে নিতে ধানমন্ডি এলাকায় প্রথম প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।

বিদ্যুৎ বিভাগের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা জানান, ‘ডিপিডিসির পক্ষ থেকে বারবার আহ্বান জানানো সত্ত্বেও কোনো ইন্টারনেট বা টিভি ক্যাবল অপারেটর প্রকল্পে যোগ দিতে রাজি হয়নি। এমনকি এই প্রকল্পে যোগ দেওয়ার জন্য তাদের বিনামূল্যে অফারও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।’

এমন হতাশাজনক পরিস্থিতিতে সম্প্রতি বিদ্যুৎ বিভাগ তাদের আগের কমিটি পুনর্গঠন করে এবং সমাধানের জন্য একটি সভাও আহ্বান করে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত অজ্ঞাত কারণে বৈঠক হয়নি।

পুনর্গঠিত কমিটির সদস্য সচিব ও পাওয়ার সেলের পরিচালক মো. সেলিম উল্লাহ খান জানান, বিদ্যুৎ বিভাগের এ প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
ইউএনবিকে তিনি বলেন, ‘অন্যান্য বিভাগ ও সংস্থাগুলো এ বিষয়ে বিদ্যুৎ বিভাগের প্রচেষ্টায় সহযোগিতা করতে আগ্রহী নয়।’

বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্র ঝুলন্ত ক্যাবলের ভয়াবহ পরিস্থিতির জন্য ন্যাশনওয়াইড টেলিকমিউনিকেশন ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক (এনটিটিএন) এবং ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারদের (আইএসপি) দায়ী করেছে।

কয়েক দফা বৈঠকের পর বিদ্যুৎ বিভাগের বিগত কমিটি তাদের সহযোগিতা ছাড়া সমস্যার সমাধান করতে অসুবিধা বোধ করছে।

বিদ্যুৎ বিভাগে জমা দেওয়া প্রতিবেদন অনুযায়ী, সামিট কমিউনিকেশন্স লিমিটেড (এসসিএল) ও ফাইবারঅ্যাটহোম (এফএএইচ) নগরীতে এনটিটিএন হিসেবে কাজ করছে এবং তারা নগরীতে তাদের প্রধান ইন্টারনেট নেটওয়ার্ক পরিচালনার জন্য ভূগর্ভস্থ কেবল স্থাপন করেছে এবং প্রায় ১ হাজার ৭৩৪টি বৈধ এবং প্রায় ৫ হাজার অবৈধ ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার (আইএসপি) প্রতিষ্ঠান স্থানীয় হিসেবে বাসাবাড়ি ও অফিসে ঝুলন্ত ক্যাবলের মাধ্যমে ইন্টারনেট সংযোগ প্রদানের কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

নিয়ম অনুযায়ী, মূল নেটওয়ার্ক থেকে বাসাবাড়ি ও অফিসে ইন্টারনেট সেবা নিতে আইএসপিগুলো এসসিএল ও এফএএইচ থেকে সংযোগ নেওয়ার কথা। সম্প্রতি এনটিটিএনের আরেক প্রতিষ্ঠান বাহন লিমিটেডও এই নেটওয়ার্কে যুক্ত হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলছে, কিন্তু এনটিটিএন প্রতিষ্ঠানগুলোর অভিযোগ, আইএসপিগুলো আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে এনটিটিএনের স্থাপিত লেবেল ডিস্ট্রিবিউশন প্রটোকল (এলডিপি) বা অ্যাকসেস পয়েন্ট (এপি) থেকে সংযোগ নিচ্ছে না।

অন্যদিকে প্রতিবেদনে বলা হয়, আইপিএস প্রতিষ্ঠানগুলোর অভিযোগ, কোনো ইন্টারনেট সংযোগে কোনো সমস্যা দেখা দিলে এনটিটিএন কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে প্রয়োজনীয় ও তাৎক্ষণিক সমাধান না পাওয়ায় তারা এলডিপি বা এপি থেকে সংযোগ নিতে চায় না।

এ ছাড়া এনটিটিএনগুলো তাদের এলডিপি ও এপি থেকে আইএসপি প্রতিষ্ঠানগুলোকে সংযোগ দেওয়ার ক্ষেত্রে মাত্রাতিরিক্ত চার্জ আদায় করছে বলে আইএসপি প্রতিষ্ঠানগুলোর বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

এমতাবস্থায় আইএসপি প্রতিষ্ঠানগুলো কোনো নিয়ম-নীতি অনুসরণ না করে নির্বিচারে সঞ্চালন ক্যাবল ঝুলিয়ে বাসাবাড়ি ও অফিসে সংযোগ দিচ্ছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। এমতাবস্থায় কেবল বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনই (বিটিআরসি) হস্তক্ষেপ করে দ্বন্দ্ব নিরসন করতে পারে।

অবশেষে বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানি ডিপিডিসি ও ডেসকোর সঙ্গে সমন্বয় করে সব ওভারহেড ক্যাবল ভূগর্ভস্থ করার জন্য ১১ দফা সুপারিশ করে কমিটি।

কমিটি দেখেছে, এলোমেলোভাবে ঝুলে থাকা ইন্টারনেট, নিরাপত্তা ও স্যাটেলাইট টিভির তার শুধু বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থার জন্যই বড় হুমকি নয়, রাজধানীর সৌন্দর্যবর্ধনে সরকারের পদক্ষেপের ক্ষেত্রেও বড় ধরনের প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে।

বাহন লিমিটেডের কর্মকর্তা রাশেদ আমিন বিদ্যুৎ বলেন, তারা কারিগরি কারণে ডিপিডিসির আন্ডারগ্রাউন্ড ক্যাবলিং প্রকল্পে যোগ দিচ্ছেন না, কারণ এটি আইএসপিএনের সঙ্গে সংযোগের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সুবিধা দেবে না।

তিনি বলেন, ‘তবে আমরা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অনুমতি নিয়ে নিজস্ব ক্যাবল মাটির নিচে নিচ্ছি।’


বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী অস্ট্রেলিয়া

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে বুধবার অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী ক্যানবেরায় হায়াত হোটেলে বাংলাদেশ হাইকমিশন আয়োজিত অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে বর্তমান সরকারের সঙ্গে কাজ করতে অস্ট্রেলিয়া প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন দেশটির সহকারী প্রতিরক্ষামন্ত্রী ম্যাট থিসেলওয়েট।

সফল জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠনের জন্য বাংলাদেশ সরকারকে অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেন, অস্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বিদ্যমান। ১৯৭২ সালের ৩১ জানুয়ারি বাংলাদেশকে অস্ট্রেলিয়ার স্বীকৃতি প্রদান এবং ১৯৭৫ সালের জানুয়ারি মাসে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী গফহুইটলামের বাংলাদেশ সফরের মাধ্যমে দুই দেশের দৃঢ় সম্পর্কের সূচনা হয়। তিনি অস্ট্রেলিয়ার উন্নয়নে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভূমিকারও প্রশংসা করেন।

এ সময় বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার দ্বিপক্ষীয় অংশীদারত্ব আরও ব্যাপক পরিসরে বাড়বে বলে বাংলাদেশের হাইকমিশনার এম আল্লামা সিদ্দীকী আশাবাদ ব্যক্ত করেন। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকার জন্য অস্ট্রেলিয়ার সরকার ও জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।

আজ অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা অর্জনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অদম্য নেতৃত্বের কথা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে বাংলাদেশের উদীয়মান অর্থনীতিসহ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও উদার সংস্কৃতির বিষয় উল্লেখ করেন আল্লামা সিদ্দীকী।

অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে অস্ট্রেলিয়ার ফেডারেল এমপি এন্ড্রু চার্লটন, অস্ট্রেলিয়ান ক্যাপিটাল টেরিটরি সরকারের ছায়া মাল্টিকালচারাল মন্ত্রী পিটার কেইন, চিফ অব প্রটোকলসহ পররাষ্ট্র ও অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত এবং অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী বাংলাদেশিরা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে অস্ট্রেলিয়ার রয়েল মিলিটারি ব্যান্ডের প্রতিনিধিরা বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেন। স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে কেক কাটা ও সংক্ষিপ্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ ছাড়া বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং উন্নয়ন অভিযাত্রার ওপর নির্মিত প্রামাণ্যচিত্রও প্রদর্শন করা হয়।

এর আগে আজ সকালে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ হাইকমিশন প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এ সময় রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। এ ছাড়া যারা মুক্তি সংগ্রামে অবদান রেখেছেন ও শহীদ হয়েছেন তাদের জন্য এবং বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রগতির জন্য বিশেষ প্রার্থনা করা হয়।


বিচারপতি ইনায়েতুর রহিম ও হুইপ ইকবালুর রহিমের মায়ের মৃত্যুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শোক

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিশেষ প্রতিনিধি

বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, সংবিধানের অন্যতম প্রণেতা, স্বাধীনতা পদকে ভূষিত সাবেক সংসদ সদস্য মরহুম এম আব্দুর রহিমের সহধর্মিণী এবং বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এমপির মাতা নাজমা রহিমের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

আজ বুধবার বিকেলে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৮০ বছর বয়সে নাজমা রহিমের ইন্তেকালের সংবাদে শোকাহত মন্ত্রী প্রয়াতের বিদেহি আত্মার শান্তি কামনা করেন ও তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান তার শোকবার্তায় বলেন, মরহুমা নাজমা রহিম তার পুত্র বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম, হুইপ ইকবালুর রহিম, কন্যা ডা. নাদিরা সুলতানা, ডা. নাসিমা সুলতানা, নাফিসা সুলতানা ও নাজিলা সুলতানার জীবনে সাফল্যের কারিগর হিসেবে তিনি রত্নগর্ভা ‘স্বপ্নজয়ী’ মায়ের সম্মাননায় ভূষিত হন।

আগামীকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় দিনাজপুর গোর-এ-শহীদ বড় ময়দানে এশিয়ার সর্ববৃহৎ ঈদগাহ্ মাঠে প্রথম জানাজা এবং দুপুর ২টায় মরহুমার গ্রামের বাড়ি দিনাজপুর সদর উপজেলার ৮নং শংকরপুর ইউনিয়নের জালালপুর গ্রামে পাঁচকুড় উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে দ্বিতীয় জানাজা শেষে পারিবারিক গোরস্থানে মরহুমা নাজমা রহিমকে দাফন করা হবে।


বিএনপি-জামায়াত ইসরায়েলের দোসরে পরিণত হয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ২৭ মার্চ, ২০২৪ ২২:৪০
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সারা পৃথিবীতে গাজায় হত্যাযজ্ঞের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হয় আর বিএনপি-জামায়াত এই হত্যার বিরুদ্ধে একটি শব্দও উচ্চারণ করেনি। তারা ইসরায়েলের দোসরে পরিণত হয়েছে, এদের চিহ্নিত করতে হবে। আজ বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানীর পল্টনে একটি হোটেলে ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ আয়োজিত ইফতারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ইসরায়েলি সেনাদের হামলায় ফিলিস্তিনের গাজায় ৩২ হাজারের বেশি মানুষ হত্যাযজ্ঞের শিকার হয়েছে তার মধ্যে বেশিরভাগই শিশু ও নারী। লন্ডন, ওয়াশিংটন, সিডনিসহ বিশ্বের বহু জায়গায় এমনকি ইসরায়েলের তেল আবিবেও মানুষ এই হত্যার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছে। অথচ ক্ষমতায় যাবার লোভে বিএনপি-জামায়াত ইসরায়েলের বিরুদ্ধে একটি শব্দও উচ্চারণ করে নাই, কোনো বৃহৎ শক্তি নাখোশ হতে পারে এই ভয়ে। অর্থাৎ তারা আজ ইসরায়েলের দোসরে পরিণত হয়েছে।

মন্ত্রী হাছান বলেন, বিএনপি-জামায়াত ভেবেছিল একটি বড় দেশ তাদেরকে ফিডার খাওয়াতে খাওয়াতে কোলে করে ক্ষমতায় বসিয়ে দেবে; কিন্তু তা হয়নি। ইসরায়েলি সেনাদের অনুকরণে তারা ঢাকায় পুলিশ হাসপাতালে হামলা চালিয়েছে। আর এখন তারা হাঁটে। হেঁটে হেঁটে লিফলেট বিতরণ করে। এটা তারা করুক, কিন্তু আগের মতো আগুনসন্ত্রাস যেন না করতে যায়, তাহলে জনগণ তাদের উচিত শিক্ষা দেবে।

ওই সময় ইসলামের কল্যাণে সরকারের অবদান তুলে ধরে হাছান মাহমুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ইসলাম ও আলেম সমাজের কল্যাণে যা করেছেন অন্য কোনো সরকার তা করেনি। কওমি মাদ্রাসার স্বীকৃতিদান, প্রতিটি উপজেলায় মনোরম মসজিদ, শিক্ষকসহ মক্তব, আলেমদের সম্মান প্রতিষ্ঠা ও কল্যাণ আওয়ামী লীগ সরকারই করেছে।

ইসলামিক ফ্রন্টের চেয়ারম্যান আল্লামা বাহাদুর শাহ মোজাদ্দেদীর সভাপতিত্বে মাহফিলে বক্তব্য দেন ফ্রন্টের ভাইস চেয়ারম্যান এএএম একরকমুল হক ও অধ্যক্ষ এম ইব্রাহীম আখতারী, যুগ্ম মহাসচিব মোশাররফ হোসেন হেলালী এবং স ম হামেদ হোসাইন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল মারুফ আজহারী প্রমুখ।


সন্ধ্যার আগেই শেষ করতে হবে পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠান

১৩ দফা নির্দেশনা
ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

পহেলা বৈশাখে রাজধানীর রমনা পার্ক, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, হাতিরঝিল ও রবীন্দ্র সরোবরসহ দেশে যেসব অনুষ্ঠান খোলা জায়গায় হবে সেগুলো সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে শেষ করতে হবে।

গতকাল বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ে অনুষ্ঠিত এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। এ সময় পহেলা বৈশাখ উদ্‌যাপনে ১৩ দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়।

এ ছাড়া ফেসবুকে পহেলা বৈশাখ নিয়ে অপপ্রচার করলে ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারিসহ বিদেশি সংস্কৃতির অংশ হওয়ায় ভুভুজেলা বাঁশি বাজানোর ওপরে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ওড়ানো যাবে না ফানুস, করা যাবে না আতশবাজি।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দেওয়া নির্দেশনাগুলো হলো-

১. দেশব্যাপী বর্ষবরণ অনুষ্ঠান, বৈশাখী মেলা, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানগুলোয় জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ ও আয়োজকরা সমন্বয় করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন।

২. রমনার বটমূল, রমনা পার্ক, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, হাতিরঝিল ও রবীন্দ্র সরোবরসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সুইপিং, ডগ স্কোয়াডসহ বিশেষ নিরাপত্তা নেওয়া হবে। এসব অনুষ্ঠানে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রয়োজনীয় ফোর্স ও গোয়েন্দা সংস্থার বিশেষ নজরদারি থাকবে।

৩. বাংলা নববর্ষ উদ্‌যাপন নিয়ে ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যারা অপপ্রচার চালানোর চেষ্টা করছে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।

৪. বাংলা একাডেমি ও বিসিক থেকে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে নববর্ষের মেলায় প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।

৫. রমনা পার্ক, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, হাতিরঝিল ও রবীন্দ্র সরোবরসহ দেশে যেসব অনুষ্ঠান হবে তা সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে শেষ করতে হবে।

৬. বর্ষবরণ অনুষ্ঠানগুলোতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে নিজস্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকতে হবে। নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবী ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সমন্বয় করে নিরাপত্তা দেবে।

৭. নববর্ষে কূটনৈতিক এলাকাসহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকা ও স্থাপনার বিশেষ নিরাপত্তা দেওয়া হবে।

৮. নববর্ষ উদ্‌যাপনকালে ঢাকা মহানগরের অনুষ্ঠানগুলোয় ও সারা দেশে অনুষ্ঠেয় অনুষ্ঠানে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অগ্নিনির্বাপক গাড়ি ও অ্যাম্বুলেন্সসহ ফায়ার সার্ভিস টিম থাকবে। মেডিকেল টিম থাকবে।

৯. বর্ষবরণের অনুষ্ঠানে ইভ টিজিং, ছিনতাই/ পকেটমারসহ যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা প্রতিরোধে মোবাইল কোর্ট ও গোয়েন্দা বাহিনী নিয়োজিত থাকবে।

১০. বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে ভুভুজেলা বাঁশি বাজানো নিষিদ্ধ থাকবে।

১১. নববর্ষে দেশের কারাগারগুলোতে উন্নত মানের খাবার পরিবেশন করা হবে এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও আয়োজন করা হবে।

১২. কোনো ধরনের ফানুস বা আতশবাজি ফুটানো যাবে না।

১৩. বাংলা নববর্ষে মাদকের অপব্যবহার রোধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


ড. ইউনূস ইউনেস্কোর ‘ট্রি অব পিস’ পুরস্কার পাননি: শিক্ষামন্ত্রী

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ইউনেস্কোর ‘ট্রি অব পিস’ পুরস্কার পেয়েছেন বলে যে তথ্য প্রচারিত হয়েছে তা সঠিক নয় বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।

আজ বুধবার সচিবালয়ে সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘ইসরায়েলি একজন ভাস্করের দেওয়া পুরস্কার ড. মুহাম্মদ ইউনূস প্রতারণামূলকভাবে ইউনেস্কোর পুরস্কার বলে প্রচারণা চালিয়েছেন।’

তিনি বলেন, ‘কিছুক্ষণ আগে প্রকাশিত একটি সংবাদ আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। সেটি হলো- ড. মুহাম্মদ ইউনূস তাকে ইউনেস্কোর একটি পুরস্কার দিয়েছে বলে প্রচারিত হয়েছে। আমরা বিষয়টি নিয়ে যখন ইউনেস্কোর সদর দপ্তরে যোগাযোগ করেছি, সেখান থেকে তারা নিশ্চিত করেছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে এ ধরনের কোনো সম্মাননা দেওয়া হয়নি।’

তিনি আরও বলেন, “ড. মুহাম্মদ ইউনূস আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে একটি সম্মেলনে গজনবি ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশন নামক একটি সংস্থার আমন্ত্রণে যান। সেখানে ইসরায়েলি ভাস্কর্য শিল্পী (নাম স্পষ্ট না) তাকে ‘ট্রি অব পিস’ নামক একটি সম্মাননা স্মারক দিয়েছেন।”
‘ইসরায়েলি ভাস্কর্য শিল্পীও নিশ্চিত করেছেন এটি ইউনেস্কোর কোনো পুরস্কার নয়। এটি গজনবি ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশনের আমন্ত্রণে তিনি ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে দিয়েছেন’- বললেন শিক্ষামন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘আমরা ইউনেস্কোর কাছে একটি ব্যাখ্যা পাঠাব ইউনূস সেন্টার এবং ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বরাত দিয়ে যে সংবাদটি প্রচারিত হয়েছে, সেটি প্রতারণামূলক এবং সম্পূর্ণ মিথ্যা। সেটা সাধারণের মানুষের মধ্যে এক ধরনের বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার জন্য। ইউনেস্কো কর্তৃক পুরস্কারের কথা বলে বিভ্রান্তি সৃষ্টির চেষ্টা চালানো হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ইউনেস্কোর একটি সদস্য রাষ্ট্র। বাংলাদেশ ইউনেস্কো কমিশনের পক্ষ থেকে একটি ব্যাখ্যা পাঠাব এবং বিষয়টি তাদের অবগত করব। ড. ইউনূস ইউনেস্কোর নাম নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছেন যেটি অনৈতিক এবং অপরাধমূলক।’


ঈদের আগে কোনো শ্রমিক ছাঁটাই করা যাবে না: শ্রম প্রতিমন্ত্রী

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ঈদের আগেই শ্রমিকদের ন্যায্য পাওনা পরিশোধ করতে হবে এবং মালিক ও শ্রমিকের মধ্যে আলোচনার ভিত্তিতে সরকারি ছুটির সঙ্গে সমন্বয় করে যাতায়াতের সুবিধা অনুযায়ী তাদের ঈদের ছুটি দিতে হবে। কোনোভাবেই ঈদের ছুটি সরকারি ছুটির চেয়ে কম দেওয়া যাবে না বলে জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী নজরুল ইসলাম চৌধুরী।

আজ বুধবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারি ছুটির চেয়ে শ্রমিকদের ছুটি কোনোভাবেই কম হওয়া যাবে না। একই সঙ্গে ঈদের আগেই শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ করে দেওয়া হবে এবং মালিক-শ্রমিক আলোচনা করে ছুটি বাস্তবায়ন করা হবে।’

এ ছাড়া ঈদের আগে কোনো শ্রমিককে ছাঁটাই করা হবে না, সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

এর আগে তৈরি পোশাক খাত ও ত্রিপক্ষীয় পরামর্শ পরিষদের (টিসিসি) বৈঠক হয়েছে। গতকাল সব খাতকে নিয়ে জাতীয় পরামর্শ পরিষদের বৈঠকে তৈরি পোশাক খাত নিয়ে একটা সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়। তিনি বলেন, ‘আমরা বারবার তাগাদ দিচ্ছি, তা নিশ্চিত করতে মালিকপক্ষকে আমরা বারবার তাগাদা দিচ্ছি। তারা আমাদের সঙ্গে সম্মত হয়েছেন যেকোনো অবস্থায় শ্রমিকরা রাস্তায় নামবেন না। যেকোনো কিছুর বিনিময়ে তাদের পাওনা মিটিয়ে দেওয়া হবে।’

‘ঈদের আগেই শ্রমিকদের পাওনা দেওয়া হবে। একেকটি কারখানা একেক সময় দেবে। সবাই একসঙ্গে দিতে পারবে না। তবে ঈদের ছুটির আগে শ্রমিকদের পাওনা দিতে হবে। ঈদের আগে লে-অফ ঘোষণা করা যাবে না’- বললেন শ্রম প্রতিমন্ত্রী।


ঈদে ঢাকা থেকে বিভিন্ন গন্তব্যে যাবে ১ কোটি ৬০ লাখ মানুষ

ছুটি ২ দিন বাড়ানোর দাবি
ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আসন্ন ঈদে যাতায়াতে দুর্ভোগ, পথে পথে যাত্রী হয়রানি, ভাড়া নৈরাজ্য ও সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে ভাগে ভাগে যাওয়ার সুবিধার্থে ঈদের ছুটি ২ দিন বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। সংস্থাটি বলেছে, এবার ঈদে ঢাকা ও আশপাশের জেলা থেকে বিভিন্ন গন্তব্যে যাবে ১ কোটি ৬০ লাখ মানুষ। এ ছাড়া যানজট নিয়ন্ত্রণে সড়কের ১৪০টি স্পটে প্রখর নজরদারি দরকার।

আজ বুধবার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী এ দাবি জানান।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, এবারের ঈদে ঢাকা থেকে ১ কোটি, গাজীপুর থেকে ৪০ লাখ, নারায়ণগঞ্জ থেকে ১২ লাখসহ ঢাকা ও আশপাশের জেলা থেকে ১ কোটি ৬০ লাখ মানুষ দেশের বিভিন্ন জেলায় যাতায়াত করবে। ঈদের আগের চারদিনে বাস-মিনিবাসে ৩০ লাখ, ট্রেনে ৪ লাখ, প্রাইভেটকার, জিপ ও মাইক্রোবাসে ৩৫ লাখ, মোটরসাইকেলে ১২ লাখ, লঞ্চে ৬০ লাখ, উড়োজাহাজে প্রায় ১ লাখ যাত্রীর যাতায়াত হতে পারে।

গণপরিবহন সংকট ও অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্যর কারণে বাসের ছাদে, ট্রেনের ছাদে এবং খোলা ট্রাক ও পণ্যবাহী পরিবহনে ১৮ লাখ যাত্রীর যাতায়াত হতে পারে। এ ছাড়া আন্তঃজেলা যাতায়াত করবে প্রায় ৪ থেকে ৫ কোটি যাত্রী। এতে আগামী ৫ এপ্রিল থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত ঈদবাজার, গ্রামের বাড়ি যাতায়াতসহ নানা কারণে দেশের বিভিন্ন শ্রেণির পরিবহনে বাড়তি প্রায় ৬০ কোটি ট্রিপ যাত্রীর যাতায়াত হতে পারে।

এ জন্য গণপরিবহনে সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করা না গেলে এবারের ঈদযাত্রায় নারকীয় পরিস্থিতি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কেননা, এবার রোজা ৩০টি সম্পন্ন হলে ১১ এপ্রিল ঈদ হতে পারে। ঈদের আগে ১০ এপ্রিল মাত্র ১ দিন সরকারি ছুটি রয়েছে। ঈদের পরে ১০ এপ্রিল থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত ৫ দিনের লম্বা ছুটি রয়েছে। ১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখ হওয়ায় এবারের ঈদযাত্রায় মুসলমানদের পাশাপাশি অন্যান্য ধর্মাবলম্বীরাও পহেলা বৈশাখ উদ্‌যাপনে লম্বা ছুটির সুবাধে গ্রামের বাড়ি যাবে। তাই যাত্রী সংখ্যা বাড়বে। মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, ৯ ও ১০ এপ্রিল প্রতিদিন ৬০ থেকে ৭০ লাখ হারে মানুষ রাজধানী ছাড়বে। অথচ আমাদের গণপরিবহনগুলোতে ২২ থেকে ২৫ লাখের মতো মানুষ ধারণের সক্ষমতা আছে। এমন পরিস্থিতিতে ঈদের আগে ছুটি না বাড়ালে দেশের সব পথে যাতায়াত পরিস্থিতি কোমায় চলে যেতে পারে। তাই ৮ ও ৯ এপ্রিল ২ দিন ঈদের ছুটি বাড়ানো হলে ৫ এপ্রিল থেকে সবাই স্বাচ্ছন্দ্যে ধাপে ধাপে বাড়ি যাওয়ার সুযোগ পাবে।

যাত্রী কল্যাণ সমিতির পর্যবেক্ষেণের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, এবারের ঈদে দেশে ৭১৪টি স্পটে যানজট হতে পারে। যার মধ্যে ১৪০টি স্পটে প্রখর নজরদারি দরকার। ১০টি জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কের ২১৮টি অতিঝুঁকিপূর্ণ দুর্ঘটনার স্পটের বিষয়ে পুলিশ ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা সরকারকে সতর্ক করেছে। পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, এসব স্পটেই ৬০ শতাংশ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে থাকে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস, যাত্রী কল্যাণ সমিতির সহসভাপতি তাওহিদুল হক লিটন, যুগ্ম মহাসচিব এম মনিরুল হক, প্রচার সম্পাদক মাহমুদুল হাসান রাসেল প্রমুখ।


banner close