বুধবার, ১ মে ২০২৪

জাহাঙ্গীরকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুদক

জাহাঙ্গীর আলম। ফাইল ছবি
আপডেটেড
৬ জুন, ২০২৩ ১৫:০৫
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত : ৬ জুন, ২০২৩ ১২:০৭

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কাজে অনিয়ম, অবৈধ সম্পদ অর্জন ও দুর্নীতিসহ বেশ কিছু অভিযোগের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) হাজির হয়েছেন। মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে দুদক কার্যালয়ে আসেন তিনি। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে কমিশন।

দুদকের সহকারী পরিচালক আশিকুর রহমান জানান, সকাল ১০টার আগেই জাহাঙ্গীরের একজন আইনজীবী দুদক কার্যালয়ে আসেন। এরপর এসে হাজির হন জাহাঙ্গীর।

ভুয়া ব্যাংক হিসাবে অবৈধ লেনদেন, বিভিন্ন প্রকল্পে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করে জাহাঙ্গীর আলমকে গত ১৬ মে নোটিশ দেয় দুদক। এ ছাড়া আলাদা নোটিশে ২১ ও ২২ মে হাজির হয়ে বক্তব্য দেয়ার জন্য অনুরোধ করেন দুদকের উপপরিচালক ও অনুসন্ধান কর্মকর্তা মো. আলী আকবর।

গত ১৮ মে দুদকের তলবে হাজির হতে এক মাস সময় চেয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে আবেদন করেন জাহাঙ্গীর আলম। এ বিষয়ে কোনো জবাব না পেয়ে ২১ মে দুদকে উপস্থিত হয়ে সময় চাওয়ার বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে আসেন তিনি। পরে দুদক তাকে চলতি মাসের ৬ ও ৭ তারিখ দুদকে হাজির হয়ে বক্তব্য দিতে বলে।


আইএমএফের প্রতিবেদন: প্রবৃদ্ধি অর্জনে চীন, মালয়েশিয়ার চেয়েও এগিয়ে বাংলাদেশ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

চলতি অর্থবছরে মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপির প্রবৃদ্ধি অর্জনের দৌড়ে চীন, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ডসহ আরও অনেক দেশের চেয়ে এগিয়ে থাকবে বাংলাদেশ। চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৫ দশমিক ৭ শতাংশ। প্রবৃদ্ধির দোড়ে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ভারতের পরেই থাকবে বাংলাদেশের অবস্থান। ভারতের প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৬ দশমিক ৮ শতাংশ।

গতকাল মঙ্গলবার প্রকাশিত আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)-এর ‘রিজিওনাল ইকোনমিক আউটলুক, এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চল’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

প্রতিবেদনে বাংলাদেশের জন্য আগের পূর্বাভাস থেকে দশমিক ৩ শতাংশ কমিয়েছে। এর আগে আইএমএফ বলেছিল, চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপির প্রবৃদ্ধি হবে ৬ শতাংশ। আলোচ্য প্রতিবেদনে ওই প্রবৃদ্ধির হার কমিয়ে ৫ দশমিক ৭ শতাংশ করেছে।

আইএমএফ প্রতিবেদনে বলা হয়, ডলার সংকটে আমদানি ব্যাহত হওয়ায় ও মূল্যস্ফীতির হার নিয়ন্ত্রণে সংকোচনমুখী মুদ্রানীতি অনুসরণ করায় অনেক দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের গতি প্রত্যাশার চেয়ে কম হয়েছে। যে কারণে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা আগের তুলনায় কমানো হয়েছে।

আন্তর্জাতিক এ সংস্থাটি আরও বলেছে, গত অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬ শতাংশ। এবারও ৬ শতাংশের প্রক্ষেপণ করা হয়েছিল। কিন্তু অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের গতি প্রত্যাশার তুলনায় কম হওয়ায় প্রবৃদ্ধির হারও কমবে। আগামী অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি বেড়ে ৬ দশমিক ৬ শতাংশ হতে পারে।

এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চলে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি অনেক দেশের চেয়ে বেশি হবে। এর মধ্যে চীন, জাপান, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ডের চেয়ে বেশি হবে বাংলাদেশের। তবে ভারত ও ভিয়েতনামের চেয়ে কম হবে।

চলতি বছরে চীনের প্রবৃদ্ধি হবে ৪ দশমিক ৬ শতাংশ, ভারতের ৬ দশমিক ৮ শতাংশ, ইন্দোনেশিয়ার ৫ শতাংশ, মালয়েশিয়ার ৪ দশমিক ৪ শতাংশ, মিয়ানমারের প্রবৃদ্ধি হবে দেড় শতাংশ, নেপালের ৩ দশমিক ১ শতাংশ, ফিলিপাইনের ৬ দশমিক ২ শতাংশ, থাইল্যান্ডের ২ দশমিক ৭ শতাংশ, ভিয়েতনামের ৫ দশমিক ৮ শতাংশ।

শ্রীলংকা ইতোমধ্যে অর্থনৈতিক সংকট কাটিয়ে প্রবৃদ্ধির ধারায় ফিরলেও আইএমএফ তাদের ব্যাপারে প্রবৃদ্ধির কোনো পূর্বাভাস দেয়নি।


মহান মে দিবস আজ

কার্গোশিপ থেকে নির্মান সামগ্রী নামাচ্ছেন শ্রমিকেরা। রাজধানীর গাবতলি এলাকা থেকে মঙ্গলবার তোলা ছবি। ছবি: সৈয়দ মাহামুদুর রহমান
আপডেটেড ১ মে, ২০২৪ ০০:০২
নিজস্ব প্রতিবেদক

বিশ্বের শ্রমজীবী মানুষের ন্যায্য অধিকার আদায়ের ঐতিহাসিক দিন আজ। শ্রমিকদের আত্মত্যাগের এই দিনকে সারা বিশ্বে একযোগে ‘মহান মে দিবস’ হিসেবে পালিত হবে। ১৮৮৬ সালের এই দিনে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরের হে মার্কেটের শ্রমিকরা শ্রমের উপযুক্ত মূল্য ও দৈনিক অনধিক আট ঘণ্টা কাজের দাবিতে আন্দোলনে নামেন। ওই দিন আন্দোলনরত শ্রমিকদের ওপর পুলিশ গুলি চালায়। এতে অনেক শ্রমিক হতাহত হন। তাদের আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে দৈনিক কাজের সময় আট ঘণ্টা করার দাবি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এর পর থেকে দিনটি মে দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। দিবসটির এবারের নির্ধারিত প্রতিপাদ্য ‘শ্রমিক মালিক গড়বো দেশ, স্মার্ট হবে বাংলাদেশ।’

মহান মে দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। মহান দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বাংলাদেশসহ সমগ্র বিশ্বের শ্রমজীবী মেহনতি মানুষকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানানো হয়েছে।

বিশ্বের দেশে দেশে পালিত হয়ে আসছে মহান মে দিবস। দিবসটি হয়ে ওঠে বিশ্বের সকল শ্রমজীবী মেহনতি মানুষের অধিকার আদায়ের চিরঞ্জীব অনুপ্রেরণার দিন।

আজকের আধুনিক সভ্যতার ভিত্তি হলো শ্রমজীবী মেহনতি মানুষের নিরলস পরিশ্রম। হাজার বছর ধরে শ্রমজীবী মানুষের রক্ত-ঘামে যে মানবসভ্যতার উৎকর্ষ সাধিত হয়েছে তা থেকে সেই শ্রমজীবী জনগোষ্ঠীই থেকেছে উপেক্ষিত। আজকের উন্নত-সমৃদ্ধ পৃথিবীর কারিগর এসব অবহেলিত, নির্যাতিত, নিপীড়িত, অধিকার বঞ্চিত শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ে অব্যাহত রয়েছে নিরন্তর সংগ্রাম। সময়ের পরিক্রমায় ‘অধিকার’ শব্দটির সুদৃঢ় শক্তি সামাজিক ও রাজনৈতিক চিন্তা-চেতনা, ধ্যান-ধারণা ও দর্শনকে প্রভাবিত করেছে এবং পরিবর্তন সাধিত করেছে। শ্রমজীবী মেহনতি মানুষের অধিকার আদায়ের আন্দোলনের প্রবণতা পৃথিবীর দেশে দেশে অধিকার বঞ্চিত মেহনতি মানুষের মধ্যে এক নবতর জাগরণের প্রস্ফুটন ঘটায়।

শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের আন্দোলন-সংগ্রামের পথপরিক্রমায় গতিশীল হয়েছে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় গণতান্ত্রিক আদর্শের অগ্রযাত্রা। স্বাধীনতা, সাম্য, ভ্রাতৃত্ববোধে সঞ্চারিত হয়েছে বিশ্বের বিবেকমান নাগরিকদের মানবিকসত্তায়। মানবাধিকার, গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র ও মানবিক বিশ্বের আদর্শ প্রতিষ্ঠায় মুখ্য ভূমিকা পালন করেছে শ্রমজীবী মানুষের আত্মনিবেদন।

১৯৪৯ সালের ২৩ জুন লাঞ্ছিত-নিপীড়িত শোষিত-বঞ্চিত-অবহেলিত গরিব-দুঃখী মেহনতি মানুষের অধিকার আদায়ের দৃঢ় সংকল্পে বাঙালি জাতীয়তাবাদে উদ্বুদ্ধ গণতান্ত্রিক প্রগতিশীল আদর্শের আনুসারী নেতা-কর্মীদের সমন্বয়ে গঠিত হয় আওয়ামী লীগ। জন্মলগ্ন থেকেই আওয়ামী লীগ এ দেশের শ্রমজীবী মেহনতি মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রাম চালিয়ে আসছে। স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজীবন শোষিত-বঞ্চিত নির্যাতিত-নিপীড়িত মেহনতি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম করেছেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু যেমন ছিলেন বৈষম্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার, তেমনি তিনি ‘দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর’ জন্য ছিলেন নিবেদিত প্রাণ। বঙ্গবন্ধুর অবিসংবাদিত নেতৃত্বে আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামে এ দেশের শ্রমজীবী মানুষ গৌরবোজ্জ্বল বীরত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে।

স্বাধীনতা লাভের পর ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে মে দিবস পালন শুরু হয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শ্রমজীবী মেহনতি মানুষের প্রতি সম্মান জানিয়ে ১ মে সরকারি ছুটি ঘোষণা করেন। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার শ্রমজীবী মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করে। বঙ্গবন্ধু পরিত্যক্ত কল-কারখানা জাতীয়করণ করে দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী ও শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করেছিলেন। ফলে সে সময় হাজার হাজার শ্রমিকের কর্মসংস্থান হয়। জাতির পিতা দীপ্ত কণ্ঠে উচ্চারণ করেছিলেন, ‘বিশ্ব আজ দুই ভাগে বিভক্ত। একদিকে শোষক, অন্যদিকে শোষিত। আমি শোষিতের দলে।’

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মতো বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা যখনই রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন তখন শ্রমজীবী মানুষের কল্যাণে গ্রহণ করেছেন বহুমাত্রিক উদ্যোগ। ব্যাপক শিল্পায়নের মধ্য দিয়ে কর্মসংস্থান সৃষ্টি, শ্রমিকদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধি, গণতান্ত্রিক শ্রমনীতি প্রণয়ন, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় নামে দুটি স্বতন্ত্র মন্ত্রণালয় সৃষ্টি, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক ও কর্মংসংস্থান ব্যাংকের মাধ্যমে শ্রমজীবী মানুষের সহায়তা প্রদান, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প গড়ে তোলার সুযোগ সম্প্রসারিত করাসহ শ্রমজীবী মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে অসংখ্য কল্যাণকর উদ্যোগ বাস্তবায়িত হয়েছে আওয়ামী লীগ সরকারের সময়।

আওয়ামী লীগ মনে করে শ্রমজীবী মেহনতি মানুষই দেশের উন্নয়নের প্রধান চালিকাশক্তি। শ্রমজীবী মানুষের অক্লান্ত পরিশ্রমের কারণেই বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে। বাংলাদেশ উন্নীত হয়েছে নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশে। আর তাদের নিরবচ্ছিন্ন পরিশ্রমের মধ্যেই নিহিত রয়েছে দেশের সম্ভাবনাময় ভবিষ্যৎ। মহান মুক্তিযুদ্ধসহ বাঙালির সব প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রাম এবং দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে শ্রমজীবী মেহনতি মানুষের মহিমান্বিত আত্মত্যাগের ইতিহাস প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে অনুপ্রেরণার চিরন্তন আলোকবর্তিকা হয়ে থাকবে। মহান মে দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ প্রতি বছর বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে থাকে।

মহান মে দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের পক্ষ থেকে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে শ্রমিক সমাবেশ, শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা, সেমিনার ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

মহান মে দিবস উদ্‌যাপন উপলক্ষে জাতীয় পত্রিকাগুলো বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করবে। বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতার ও বেসরকারি টিভি চ্যানেলগুলো দিনটি উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠান ও টকশো সম্প্রচার করবে।

মহান মে দিবস উপলক্ষে আগামীকাল সকাল ১১টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এক আলোচনা সভার আয়োজন করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখবেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন শ্রম ও কর্মসস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী।

এ ছাড়া অনুষ্ঠানে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন ও কেন্দ্রীয় তহবিল থেকে দুস্থ শ্রমিকদের আর্থিক সহায়তার চেক প্রদান করা হবে। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

এ ছাড়া শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দপ্তর/সংস্থার মাঠপর্যায়ের কার্যালয়গুলো জেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে এ দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করবে। বিভিন্ন সড়ক দ্বীপ ব্যানার, ফেস্টুন ও প্ল্যাকার্ড দ্বারা সজ্জিত করা হবে।

মহান মে দিবস উপলক্ষে আজ বুধবার বিকেল ৩টায় বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় প্রাঙ্গণে জাতীয় শ্রমিক লীগের উদ্যোগে এক শ্রমিক জনসভা হবে। জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।


দেশে সর্বোচ্চ ১৬,৪৭৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ১৬,৪৭৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড হয়েছে। আজ মঙ্গলবার রাত ৯টায় এ বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়।

বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছে, বর্তমানে দেশব্যাপী চলছে তীব্র তাপদাহ। এই মুহূর্তে বিদ্যুৎ বিভাগ জনজীবনে স্বস্তি বজায় রাখতে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ উৎপাদনে কাজ করে যাচ্ছে।

উল্লেখ্য, এর আগে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড ছিল গত ২২ এপ্রিল। সে সময় রাত ৯টায় ১৬,২৩৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়। এ বছর গরমে বিদ্যুতের সর্বোচ্চ চাহিদা ১৭ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট হতে পারে বলে ধারণা করছে বিদ্যুৎ বিভাগ। বর্তমানে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা ২৫ হাজার ৪৯১ মেগাওয়াট।


সর্বোচ্চ আনুগত্য নিয়ে কাজ করতে হবে: তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশে যে বুনিয়াদ, সেটি ঠিক রেখে রাষ্ট্রের প্রতি, দেশের প্রতি সর্বোচ্চ আনুগত্য নিয়ে কাজ করার জন্য সরকারি কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। আজ মঙ্গলবার বিকেলে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ৪১তম বিসিএস (তথ্য) ক্যাডারে নবযোগদানকৃত কর্মকর্তাদের পরিচিতি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার। ওই সময় মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. কাউসার আহাম্মদ, মো. মজিবুর রহমান ও তন্ময় দাস, জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের অতিরিক্ত মহাপরিচালক সুফী জাকির হোসেন, পরিচালক মো. নজরুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘যে চিন্তা-চেতনা ও আদর্শ সামনে রেখে বাংলাদেশের জন্ম, সেটার প্রতি আমাদের সবার আনুগত্য থাকা বাঞ্ছনীয়। একটা দেশ তার সংজ্ঞা তৈরি করে, সে কী রকম দেশ হবে। বাংলাদেশের সংজ্ঞা তৈরি হয়ে গেছে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে। এ স্বাধীন দেশে ৩০ লাখ শহীদ ও ২ লাখ নির্যাতিত মা-বোনের সম্ভ্রমের ওপর দাঁড়িয়ে যে সংজ্ঞা নির্ধারণ হয়েছে, সেই সংজ্ঞার ওপর আমাদের অটল থাকতে হবে। এই মূল জায়গায় অর্থাৎ বাংলাদেশ প্রশ্নে, বাংলাদেশের জন্মের প্রশ্নে কোনো আপস করা যাবে না। এটিকে দলীয় রাজনীতির ঊর্ধ্বে চিন্তা করতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্র, দেশ সবার আগে। রাষ্ট্রের স্বার্থ সংরক্ষণ সরকারি কর্মকর্তাদের মূল দায়িত্ব। তবে গণতান্ত্রিক একটি রাষ্ট্র কাঠামোতে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দল ভিন্ন ভিন্ন রাজনৈতিক দর্শন নিয়ে সরকার গঠন করে। সে দলের যে ভিশন বা ইশতেহার থাকবে, সেটা বাস্তবায়নের একটা দায়বদ্ধতা অবশ্যই থাকতে হবে। তবে, আইন-কানুন, বিধি ও পেশাদারত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করা সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি বলেন, সরকারের যেকোনো পর্যায়ে স্বজনপ্রীতির ঊর্ধ্বে উঠে পেশাদারত্বের সঙ্গে, ন্যায্যতার সঙ্গে সিদ্ধান্ত নেওয়া জরুরি। একই সঙ্গে দেশের স্বার্থে আপসহীন দৃষ্টিভঙ্গি থাকা দরকার। নবযোগদানকৃত কর্মকর্তাদের এ বিষয়গুলো অনুশীলনের মাধ্যম শিখতে হবে।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, যারা সরকারি চাকরিতে নিয়োগ পেয়েছেন, তারা প্রজাতন্ত্রের সেবক হয়ে গেছেন। রাষ্ট্রের মালিক পক্ষ অর্থাৎ জনগণের সেবক হয়ে গেছেন। সে চিন্তাধারা নিয়ে নবীন কর্মকর্তাদের কাজ করতে হবে।

তিনি বলেন, যেকোনো প্রতিষ্ঠানে শৃঙ্খলা খুবই জরুরি। নবীন কর্মকর্তাদের প্রাতিষ্ঠানিক শৃঙ্খলা ও পদক্রমিক শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে। প্রশাসনিক কাজের মধ্যে দলীয় দৃষ্টিভঙ্গি থাকা যাবে না, কিন্তু সরকারের ভিশন বাস্তবায়নে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকতে হবে। সুন্দরভাবে এই সমন্বয় করাটা সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য খুবই জরুরি।


শ্রমিক অধিকার লঙ্ঘনে জরিমানার পরিমাণ বাড়ছে: আইনমন্ত্রী

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

শ্রমিক অধিকার লঙ্ঘনে মালিকদের শাস্তি বাড়ছে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন, কারখানার মালিকদের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হচ্ছে, তাদের বিচার হচ্ছে। যারা শ্রমিক অধিকার লঙ্ঘন করে তাদের সাজা নিয়ে আইনে একটি ধারা আছে। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করে জরিমানা ৫ হাজার থেকে বাড়িয়ে ২৫ হাজার টাকা করা হবে। মালিক-শ্রমিক ও অন্যান্য স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে আলাপ করেই এটা করা হবে।

আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান আইনমন্ত্রী। তিনি বলেন, আইএলও থ্রেশহোল্ড কমিয়ে আনার পরামর্শ দিয়েছে। আগে ২০ শতাংশ থেকে ১৫ শতাংশে নামিয়ে এনেছিলাম, যেখানে তিন হাজার বা তার ওপরে শ্রমিক আছে সেখানকার জন্য প্রযোজ্য হওয়ার কথা।

আইনমন্ত্রী বলেন, ‘এটা আমরা সংশোধন করে সব কারখানার জন্য ১৫ শতাংশ থ্রেশহোল্ড অর্থাৎ ১৫ শতাংশ শ্রমিক রাজি হলেই একটি ট্রেড ইউনিয়ন গঠন করতে পারবে। আমরা আইএলওর সেই প্রস্তাব মেনে নিয়েছি এবং সেটা অন্তর্ভুক্ত করছি। ১৫ শতাংশে তারা (আইএলও) এখন রাজি হয়েছে।’

শ্রম আইন সংশোধনের আগে আইএলও প্রতিনিধিদের সঙ্গে কয়েকটি বৈঠক করেছেন আনিসুল হক। এসব বৈঠকে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী নজরুল ইসলাম চৌধুরীও উপস্থিত ছিলেন।

আনিসুল হক বলেন, ‘আমরা কোনো দরকষাকষির মধ্যে নেই। আইএলওতে শ্রমিকদের অধিকার যাতে রক্ষা হয় তা নিয়ে আলোচনা হয় এবং সেটা নিয়েই সব সময় তাদের বক্তব্য থাকে। শ্রম আইন আমরা সংশোধন করছি। গত সংসদে এটি সংশোধন করার পর রাষ্ট্রপতির কাছে গিয়েছিল। কিছু ত্রুটি-বিচ্যুতি থাকায় এটি ফেরত আনা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘শ্রম আইন যখন প্রণয়ন করা হয় সারা বিশ্বের বেস্ট প্র্যাকটিসগুলো আমরা অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করি। সেই বেস্ট প্র্যাকটিস অন্তর্ভুক্ত করার যে চেষ্টা সেখানে কিন্তু আইএলওর একটি কন্ট্রিবিউশন থাকে।’

বাংলাদেশের শ্রমিক অধিকার নিয়ে ২০১৯ সালে আইএলওর গভর্নিং বডিতে নালিশ পড়েছিল জানিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের বিরুদ্ধে যে অহেতুক নালিশ করা হয়েছে সেটি শেষ হওয়া উচিত। সেই পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের শ্রম আইন নিয়ে কথা বলতে আমরা তাদের (আইএলও) সঙ্গে বসেছিলাম। শ্রম আইন সংশোধনের আগ পর্যন্ত স্টেকহোল্ডার এবং যেসব আন্তর্জাতিক সংস্থা শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে কথা বলে তাদের কথা শুনব।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আইএলওর সাজেশন শুনেছি। সিদ্ধান্ত হয়েছে আগামী ৭ মে আইএলও তাদের সাজেশন শ্রম মন্ত্রণালয়ের টেকনিক্যাল কমিটিতে উপস্থাপন করবে। ১২ মে আমরা সেটা সম্পূর্ণ করার জন্য সভা ডাকব।’


কবর খুঁড়ে লাশ ও কঙ্কাল চুরি বন্ধে কেন পদক্ষেপ নেওয়া হবে না: হাইকোর্ট

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

কবর খুঁড়ে লাশ ও কঙ্কাল চুরি বন্ধে কেন পদক্ষেপ নেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে সংশ্লিষ্টদের প্রতি রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। আজ মঙ্গলবার এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

একই সঙ্গে কবরস্থানগুলো যথাযথ তদারকি ও সুরক্ষায় একটি সর্বজনীন আইন প্রণয়ন করা কেন হবে না- রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।

মানবাধিকার ও সমাজ উন্নয়ন সংস্থার (মওসুস) পক্ষে সংগঠনের চেয়ারম্যান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী গোলাম রহমান ভূঁইয়া গত ১৪ মার্চ রিটটি দায়ের করেন। কবর খুঁড়ে লাশ ও কঙ্কাল চুরি রোধে মরদেহ সুরক্ষায় আইন তৈরির নির্দেশনা চেয়ে রিটটি করা হয় বলে জানান তিনি।

রিটে স্বরাষ্ট্রসচিব, আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব, ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ও পুলিশের মহাপরিদর্শকসহ বিবাদীদের চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। আদালতে রিটের পক্ষে আইনজীবী গোলাম রহমান ভূঁইয়া নিজেই শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।

অ্যাডভোকেট গোলাম রহমান ভূঁইয়া সাংবাদিকদের বলেন, ‘সিটি করপোরেশন এলাকা ও আঞ্চলিক এলাকার কবরস্থান থেকে লাশ ও কঙ্কাল চুরির ঘটনা প্রতিনিয়তই ঘটছে। এ বিষয়ে প্রায়শই বিভিন্ন গণমাধ্যমে সেই প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। তাই কবরস্থানগুলো সুরক্ষায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের নির্দেশনা চেয়ে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি।’


রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন করাই বাংলাদেশের লক্ষ্য

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে বিভিন্ন দেশের সরকারের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিরা। তারা স্থানীয় সম্প্রদায়ের কর্মসংস্থান সৃষ্টিসহ রোহিঙ্গাদের আত্মনির্ভরশীলতার বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারকে সহযোগিতা করার বিষয়টি উল্লেখ করেন। রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনাররা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ায় বাংলাদেশ সরকারের প্রশংসা করেছেন।

আজ মঙ্গলবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিরা রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়ার সঙ্গে আলোচনা করেন।

বাংলাদেশে অস্থায়ী ভিত্তিতে আশ্রয়গ্রহণকারী জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিক রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসন, স্থানীয় সম্প্রদায়ের ওপর বিরূপ প্রভাব ও তাদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর প্রতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মানবিক সহায়তা ও তাদের দক্ষতা বৃদ্ধিসহ রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।

সভায় প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব বলেন, রোহিঙ্গাদের তাদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসন করা বাংলাদেশ সরকারের প্রধান লক্ষ্য। এ বিষয়ে দ্রুত এবং স্থায়ী সমাধানে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জোরালো ভূমিকা পালনের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন তিনি।

প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া বিলম্বিত হওয়ার কারণে রোহিঙ্গাদের মাঝে বিরাজমান হতাশা তাদের আইনবিরোধী কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত করতে পারে। যা আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে উঠবে।

তিনি বলেন, মানবিক সহায়তা প্রদানের পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশে যেসব শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে তা তাদের প্রত্যাবাসনের পরে রাখাইনে টেকসই সহাবস্থানে সহায়ক হবে।

তিনি রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা ও আগ্রহ নিয়ে কাজ করার জন্য রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিকে ধন্যবাদ জানান।

আলোচনা সভায় কানাডা ও জাপানের রাষ্ট্রদূত, সুইজারল্যান্ড, যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়ার উপ-রাষ্ট্রদূত, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ডেলিগেশনের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ও ঢাকাস্থ যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের রিজিওনাল রিফিউজি কো-অর্ডিনেটর উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া ইউএনসিএইচআরের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টিটিভ, ইউএনআরসির হেড অব অরগানাইজেশন ও ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক উপস্থিত ছিলেন।


রেলের উন্নয়নে সহযোগিতা করতে আগ্রহী রাশিয়া

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রেলপথমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিমের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও বৈঠক করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার ভি মান্টিটস্কি।

আজ মঙ্গলবার সকালে রেল ভবনে মন্ত্রীর কার্যালয়ে এই বৈঠক হয়। বৈঠকে রেলের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে সহযোগিতা প্রদানের আগ্রহ ব্যক্ত করেছেন রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত।

মহান মুক্তিযুদ্ধে মস্কোর অমূল্য সমর্থনের কথা স্মরণ করে রেলমন্ত্রী বলেন, ১৯৭১ সাল থেকেই রাশিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে পারস্পরিক আস্থার সম্পর্ক বিরাজমান। দ্বিপক্ষীয় স্বার্থে ভবিষ্যতেও এ সম্পর্ক অব্যাহত থাকবে।

তিনি বলেন, ‘রাশিয়া আমাদের অনেক বড় উন্নয়ন অংশীদার। রাশিয়ার অর্থায়নে গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প চলমান আছে। বাংলাদেশের রেল ব্যবস্থা ব্রডগেজ, মিটারগেজ, ডুয়েলগেজ দ্বারা বিভক্ত। আমরা ক্রমান্বয়ে ব্রডগেজে রূপান্তর করার পরিকল্পনা করছি। রেলের আরও সম্প্রসারণ করে প্রত্যেকটি জেলায় রেল সংযোগ পৌঁছে দেওয়া হবে। রাশিয়া আমাদের অনেক প্রকল্পে সাহায্য করছে এবং ভবিষ্যতে এ সাহায্য অব্যাহত থাকবে।’

রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ বড় বড় স্থাপনা নির্মাণের রাশিয়ার বিশাল অভিজ্ঞতা আছে। আমরা বাংলাদেশের রেলওয়ের উন্নয়নে একসঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী।’ রাষ্ট্রদূত ওই সময় রাশিয়ার বিভিন্ন রেল স্থাপনা পরিদর্শনে মন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানান।

আলোচনায় আরও উপস্থিত ছিলেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবীর, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।


রাত ৮টার পর দোকান খোলা রাখলে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

শপিংমল ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানসহ দোকানপাট রাত ৮টার পর খোলা রাখলে ডিপিডিসিকে সঙ্গে নিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে ফেলা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।

তিনি বলেন, চলমান দাবদাহের মধ্যে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবারহ নিশ্চিত করতে শপিংমল ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান রাত ৮টার পর বন্ধ রাখার যে আহ্বান বিদ্যুৎ বিভাগ রেখেছে, তা সবাইকে মানতে হবে।

৮টার পর দোকান বন্ধ রাখার এ নিয়ম যে নতুন নয়, সে কথা মনে করিয়ে দিয়ে মেয়র তাপস বলেন, ‘আমরা কয়েক বছর আগেই এ ঘোষণা দিয়েছি। আমরা অভিযান পরিচালনা করব। এখন থেকে প্রত্যেক অঞ্চলে যৌথ অভিযান পরিচালনা করব। যারা রাত ৮টার পরে দোকানপাট খোলা রাখবে, বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়ে ব্যবসা-বাণিজ্য করার চেষ্টা করবে, আমরা ডিপিডিসিকে সঙ্গে নিয়ে তাদের সংযোগগুলো বিচ্ছিন্ন করব, যাতে করে ৮টার পর আর কোনো ব্যবসা-বাণিজ্য করতে না পারে।’

এপ্রিলের শুরু থেকে চলছে একটানা দাবদাহ। তীব্র গরমের মধ্যে ভোগান্তি বাড়িয়েছে বিদ্যুতের লোডশেডিং।

পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) তথ্য অনুযায়ী, সোমবার সারা দেশে বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ১৬ হাজার ২০০ মেগাওয়াট।

ওই সময়ে বিদ্যুৎ বিতরণ হয়েছে ১২ হাজার ৭৫৩ মেগাওয়াট। অর্থাৎ ঘাটতি ছিল তিন হাজার ৪৪৭ মেগাওয়াট। চাহিদা ও সরবরাহের এই ঘাটতির কারণে গত কয়েক দিনে দুই হাজার মেগাওয়াটের বেশি লোডশেডিং করতে হয়েছে। এ অবস্থায় গ্রাহকদের বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়ার আহ্বান জানিয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়।

সেখানে বলা হয়েছে, গত ১৫ বছরে বিদ্যুৎ খাতে ‘অভূতপূর্ব সাফল্য’ অর্জিত হলেও চলমান দাবদাহে বিদ্যুতের চাহিদা অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে। তা সত্ত্বেও গ্রাহকদের নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সুবিধা দিতে বিদ্যুৎ বিভাগ আন্তরিকভাবে কাজ করছে। একই সঙ্গে গ্রাহকদের আরও পরিমিত ও সাশ্রয়ী বিদ্যুৎ ব্যবহারে আহ্বান জানাচ্ছে।


বাস মালিকদের সুবিধায় রেলের ভাড়া বৃদ্ধি

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রেয়াত সুবিধা প্রত্যাহারের নামে বাসের চেয়ে রেলের ভাড়া বাড়ানোর গণবিরোধী সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। সংগঠনটি বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১৫ বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে রেল খাতের উন্নয়নে লাখো কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়ে নতুন নতুন রেলপথ ও রেলস্টেশন নির্মাণ, নতুন কোচ ও ইঞ্জিন আমদানি করে এই খাতকে সমৃদ্ধের মাধ্যমে রেলসেবা জনগণকে দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে চাইছেন। ঠিক তখনই রেল কর্তৃপক্ষ রেয়াতি সুবিধা প্রত্যাহারের নামে ভাড়া বৃদ্ধি করে দূরপাল্লার যাত্রাপথে রেলের ভাড়া বাসের ভাড়ার চেয়ে বেশি নির্ধারণ করে বাস মালিকদের বিশেষ সুবিধা দিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। এমন গণবিরোধী সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে রেলপথকে অতীতের মতো নিরাপদ ও সাশ্রয়ী রাখার দাবি জানাচ্ছে সংগঠনটি।

আজ মঙ্গলবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের মওলানা মোহাম্মদ আকরাম খাঁ হলে যাত্রী কল্যাণ সমিতি আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান সংগঠনের মহাসচিব মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক চৌধুরী।

লিখিত বক্তব্যে মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, রেলের রেয়াতি সুবিধা প্রত্যাহার করে সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ পর্যন্ত ভাড়া বৃদ্ধির বিষয়টি যাত্রী কল্যাণ সমিতি পর্যবেক্ষণ করে নিম্নে ৫টি রুটের বাস এবং রেলের ভাড়া এ সময়ে তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরে, এতে দেখা গেছে-

১. ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম তূর্ণা নিশীতা ট্রেনে শোভন চেয়ারের আগের ভাড়া ছিল ৩৪৫ টাকা। এখন রেয়াতি সুবিধা প্রত্যাহারের পর ৪০৫ টাকা। এই টিকিট কালোবাজারির কাছ থেকে যাত্রীদের কিনতে হয় ৬০০ থেকে ৮০০ টাকায়। ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে লোকাল বাসের ভাড়া ৪০০ টাকা, ডাইরেক্ট বাসের ভাড়া ৬৮০ টাকা। ঢাকা চট্টগ্রাম তূর্ণা-নিশীতা ট্রেনে এসি চেয়ারে আগের ভাড়া ছিল ৬৫৬ টাকা, রেয়াত প্রত্যাহারের পরে এখন ৭৭৭ টাকা। এই টিকিট কালোবাজারির কাছ থেকে কিনতে হয় ১০০০ থেকে ১২০০ টাকায়। অথচ এই রুটে এসি বাসের ভাড়া ৮০০ থেকে ১২০০ টাকা। ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে বাসে যেতে সময় লাগে ৪ থেকে ৫ ঘণ্টা, ট্রেনে সময় লাগে ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা।

২. ঢাকা খুলনা রুটে ট্রেনের শোভন চেয়ারে ৫০০ টাকার ভাড়া এখন ৬২৫ টাকা। অথচ এই রুটে বাসে ৪০০ থেকে ৬০০ টাকায় যাতায়াত করেন যাত্রীরা। এই রুটে ট্রেনে এসি চেয়ার ৯৫৫ টাকার টিকিট এখন ১১৯৬ টাকা, যা কালোবাজারির কাছ থেকে ১৫০০ টাকায় কিনতে হয়। অথচ ঢাকা-খুলনা রুটে বিলাসবহুল এসি বাসের ভাড়া মাত্র ৯০০ টাকা।

৩. ঢাকা-রংপুর রুটে ট্রেনের শোভন চেয়ার ৫০৫ টাকা টিকিট এখন ৬৩৫ টাকা যা কালোবাজারির কাছ থেকে কিনতে ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা লাগে। ঢাকা রংপুর রুটে লোকাল বাসের ভাড়া ৪০০/৫০০ টাকা, ডাইরেক্ট বাসের ভাড়া ৮০০ টাকা। এই রুটে ট্রেনের এসি চেয়ার ৯৬৬ টাকার টিকিট এখন ১২১৪ টাকা, যা কালোবাজারির কাছ থেকে কিনতে লাগে ১৫০০ টাকায়। এই রুটে বিলাসবহুল বাসের এসি টিকিট ১২০০ থেকে ১৪০০ টাকায় পাওয়া যায়। ঢাকা রংপুর ট্রেনের এসি বার্থ ২১৮০ টাকা, যা কালোবাজারে কিনতে ৩০০০ টাকা লাগে অথচ বিলাসবহুল বাসে এই রুটে এসি স্লিপার ১৬০০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। এই রুটে বাসে যেতে সময় লাগে ৬ থেকে ৭ ঘণ্টা, ট্রেনে সময় লাগে ১০ থেকে ১১ ঘণ্টা।

৪. ঢাকা-কুড়িগ্রাম রুটে ট্রেনের ৫১০ টাকার শোভন চেয়ার টিকিট এখন ৬৪৫ টাকা যা কালোবাজারে ৮০০ থেকে ১০০০ টাকায় কিনতে হয়। অথচ এই রুটে ৬০০ থেকে ৯০০ টাকার উন্নতমানের বাসে যাওয়া যায়। এই রুটে ট্রেনের এসি চেয়ার ৯৭২ টাকার টিকিট এখন ১২৩৭ টাকা যা কালোবাজারির কাছ থেকে ১৫০০ থেকে ১৬০০ টাকায় কিনতে হয়। অথচ বিলাসবহুল এসি বাসের টিকিট ১২০০ টাকায় পাওয়া যায়।

৫. ঢাকা-পঞ্চগড় রুটে এসি বার্থ-এর মূল্য ২৪০০ টাকা। এই রুটে বিলাস বহুল বাসে এসি স্লিপারের ভাড়া ১৮০০ টাকা।

যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকার রেলকে বিকশিত করার লক্ষ্যে গত ১৪ বছরে ৯৪ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের পরে এখনো ৬০ শতাংশ রেলপথ ঝুঁকিপূর্ণ, ৮০ শতাংশ লোকোমোটিভ ও ৬৩ শতাংশ কোচ মেয়াদোত্তীর্ণ, যার অর্থনৈতিক আয়ুষ্কাল শেষ হয়ে গেছে। পরিকল্পনার গলদে ট্রেনের টিকিট ১০ দিন আগে কিনতে হচ্ছে যাত্রীদের, অথচ ৯০ শতাংশ যাত্রী ১০ দিন আগে ভ্রমণ পরিকল্পনা করতে পারে না, অন্যদিকে বাসের টিকিট তাৎক্ষণিক পাওয়া যাচ্ছে। ট্রেনের টিকিট যাত্রীরা সহজে কাটতে পারে না, ফলে কখনো কালোবাজারি বা স্টেশনের পার্শ্ববর্তী কম্পিউটারের দোকান থেকে টিকিট কিনতে হয়। এভাবে টিকিট ক্রয়ের কারণে সাধারণ ও নিম্নআয়ের মানুষ অনেক সময় প্রতারিত হচ্ছে। তাই বাধ্য হয়ে কখনো কখনো রেলে কর্তব্যরতদের ম্যানেজ করে বিনা টিকিটে ভ্রমণে বাধ্য হন অনেক যাত্রী।

তিনি বলেন, ট্রেন লাইনচ্যুতির ঘটনা ঘটলে মাঝপথে যাত্রীরা অবর্ণনীয় দুর্ভোগে পড়ে, এমন পরিস্থিতিতে রেললাইনের আশপাশে দোকান থাকে না বলেই অনেকে অনাহারে-অর্ধা‌হারে কষ্ট ভোগ করতে হয়। লাইনচ্যুতি ও সিডিউল বিপর্যয়ের কারণে অনেক যাত্রীর চাকরি, পরীক্ষা, বিদেশের ফ্লাইট, আদালতের হাজিরার মতো জনগুরুত্বপূর্ণ কাজে যোগ দিতে না পেরে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে সাধারণ মানুষকে রেলমুখী করে নামমাত্র মূল্যে টিকিট বিক্রি করে রেলকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছে।

রেলের ভাড়া না বাড়ানোর আহ্বান জাতীয় কমিটির

রেলের ভাড়া না বাড়ানোর জন্য সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটি (এনসিপিএসআরআর)। গতকাল গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংগঠনটির সভাপতি হাজি মো. শহীদ মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমার দে এই আহ্বান জানান।

বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ রেলওয়ে আগামী ৪ মে ট্রেন ভাড়ার ওপর থেকে রেয়াত (ছাড়) প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর ফলে ওই দিন থেকে ১০০ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বের ট্রেনযাত্রীদের জনপ্রতি ভাড়া দূরত্বভেদে ২০ থেকে ৩০ শতাংশ বেড়ে যাবে। রেল কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্ত মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়।

আরও বলা হয়, রেল একটি রাষ্ট্রীয় সেবা সংস্থা। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকার এ ধরনের সংস্থায় ভর্তুকি দিয়ে থাকে। বাংলাদেশেও দেওয়া হচ্ছে। প্রয়োজনে সরকার এই ভর্তুকির মাত্রা আরও বাড়াতে পারে। তাই বলে ভাড়া বাড়িয়ে জনভোগান্তি সৃষ্টি মোটেও যুক্তিযুক্ত নয়।

এর আগে বাংলাদেশ রেলওয়ে ভাড়া বাড়ানো সংক্রান্ত গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এতে জানানো হয়, ১৯৯২ সালে বাংলাদেশ রেলওয়েতে দূরত্বভিত্তিক ও সেকশনভিত্তিক রেয়াত প্রদান করা হয়। ২০১২ সালে ‘সেকশনাল রেয়াত’ রহিত করা হলেও দূরত্বভিত্তিক রেয়াত চালু থাকে।

সম্প্রতি বাংলাদেশ রেলওয়েতে যাত্রীবাহী ট্রেনসমূহে ভাড়া বৃদ্ধি না করে শুধু বিদ্যমান দূরত্বভিত্তিক রেয়াত প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। সকল প্রকার যাত্রীবাহী ট্রেনে বিদ্যমান দূরত্বভিত্তিক রেয়াত প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তটি আগামী ৪ মে ২০২৪ থেকে কার্যকর করা হবে।


হজ ভিসা আবেদনের সময় বাড়ল ৭ মে পর্যন্ত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

চলতি বছর হজে যেতে ভিসা আবেদনের সময় বাড়ানো হয়েছে আগামী ৭ মে পর্যন্ত। এ সময়ের মধ্যে হজের ভিসা আবেদন করা যাবে বলে ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে। আজ মঙ্গলবার এ তথ্য জানিয়েছেন ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মতিউল ইসলাম।

তিনি বলেন, হজ ভিসা আবেদনের সময়সীমা গত ২৯ এপ্রিল শেষ হয়। এর আগেই বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে এ সময়সীমা বাড়ানোর আবেদন করা হলে, সৌদি সরকার তাতে সাড়া দিয়ে আগামী ৭ মে পর্যন্ত সময় বাড়ায়। ফলে ওই দিন পর্যন্ত হজের ভিসা আবেদন করা যাবে।

এর আগে ১৮ এপ্রিল হজ এজেন্সিগুলোকে ধর্ম মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল, রাজকীয় সৌদি সরকার ঘোষিত রোডম্যাপ অনুসারে ২৯ এপ্রিল হজযাত্রীদের ভিসা বন্ধ হয়ে যাবে। হজ কার্যক্রম পরিচালনাকারী সব এজেন্সি বা লিড এজেন্সিকে ওই তারিখের আগেই হজযাত্রীদের জন্য বাড়ি বা হোটেল ভাড়া ও যাতায়াতের জন্য বাস কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি সম্পন্ন করে ভিসা কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে।

এজেন্সির অবহেলার কারণে হজযাত্রীদের হজে গমন অনিশ্চিত হলে, সে এজেন্সির বিরুদ্ধে ‘হজ ও ওমরাহ ব্যবস্থাপনা আইন, ২০২১’ অনুসারে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কিন্তু এখনো অনেক হজযাত্রীর ভিসা হয়নি। এ অবস্থায় ভিসার আবেদনের সময় বাড়াতে সৌদি কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করে ধর্ম মন্ত্রণালয়। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রাথমিকভাবে সময় ৭ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে বলে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। ২০২৪ সালের হজে বাংলাদেশ থেকে ৮৫ হাজার ২৫৭ জন হজ পালন করবেন। আগামী ৯ মে থেকে হজ ফ্লাইট শুরু হবে বলে ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে।


দেশে সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনে ১২১.৫৫ মিলিয়ন ডলার দিচ্ছে এডিবি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

পাবনায় ১০০ মেগাওয়াট গ্রিড-সংযুক্ত সৌর ফটোভোলটাইক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ ও পরিচালনার জন্য এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ডাইনামিক সান এনার্জি প্রাইভেট লিমিটেডের সঙ্গে ১২১.৫৫ মিলিয়ন ডলার অর্থায়নের একটি প্যাকেজ স্বাক্ষর করেছে।

এক সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিদেশি অর্থায়নে নির্মিতব্য বিদ্যুৎকেন্দ্রটি দেশের প্রথম বেসরকারি খাতের ইউটিলিটি-স্কেল সৌর সুবিধা।

অর্থায়ন প্যাকেজটিতে এডিবি থেকে ৪৬.৭৫ মিলিয়ন ডলার, ফান্ডের ২৮.০৫ মিলিয়ন ডলারের বি-লোন সিন্ডিকেড- যা এডিবির লেন্ডার অব রেকর্ড হিসেবে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সহায়তায় একটি আমস্টারডাম-ভিত্তিক উদীয়মান বাজার ক্রেডিট তহবিল থেকে এসেছে এবং জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি থেকে ৪৬.৭৫ মিলিয়ন ডলার সমান্তরাল ঋণ পাওয়া যাবে।

সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি বার্ষিক ১৯৩.৫ গিগাওয়াট-ঘণ্টা বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে এবং বার্ষিক ৯৩,৬৫৪ টন কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গমন এড়াবে।

এডিবি প্রাইভেট সেক্টর অপারেশন বিভাগের মহাপরিচালক সুজান গ্যাবরি বলেন, এশিয়ার ক্লাইমেট ব্যাংক হিসাবে, এডিবি বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানিকে সমর্থন করার সুযোগকে স্বাগত জানায়, যেখানে এ ধরনের প্রকল্পের জন্য দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়ন পাওয়া একটি চ্যালেঞ্জ।’

তিনি আরও বলেন, ‘এই অংশীদারত্ব পরিচ্ছন্ন জ্বালানি সুবিধার জন্য অর্থায়ন সংগ্রহ করতে ও যেখানে এটির সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন সেখানে আরও বিনিয়োগকে উদ্দীপিত করার ক্ষেত্রে আমাদের প্রধান ভূমিকার এটি একটি উদাহরণ।’

পিটি ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘এডিবির নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক ঋণদাতাদের সহায়তায় বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় বেসরকারি খাতের একটি সৌর প্রকল্পের জন্য অর্থায়ন নিশ্চিত করতে পেরে আমরা আনন্দিত।’

তিনি আরও বলেন, ‘এডিবির মতো একটি আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অংশীদারত্ব, টেকসই প্রবৃদ্ধির দিকে আমাদের যাত্রায় সক্ষমতার প্রতি স্বীকৃতি ও একটি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হিসেবে চিহ্নিত করে।’ বাংলাদেশের অন্যতম বৃহত্তম শীতবস্ত্র প্রস্তুতকারক- প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল পিএলসি (পিটি)-এর মালিকানাধীন ডিএসই বেশ কয়েকটি পাওয়ার প্ল্যান্টও পরিচালনা করছে।


জনস্বার্থকে অগ্রাধিকার দিতে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান রাষ্ট্রপতির

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন গতকাল দুপুরে ঢাকার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে কমিউনিটি ক্লিনিকের ২৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিসিয়েটিভ স্বর্ণপদক’ প্রাপ্তরা ফটোসেশনে অংশ নেন। ছবি: পিআইডি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন দেশের সব রাজনৈতিক দলগুলোকে রাজনৈতিক কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে জনস্বার্থকে অগ্রাধিকার দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, রাজনীতির মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যই জনকল্যাণ। সরকার ও রাজনীতিবিদদের সব সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রেই জনস্বার্থকে প্রাধান্য দিতে হবে।

রাষ্ট্রপ্রধান আজ মঙ্গলবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে কমিউনিটি ক্লিনিকের ২৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এসব কথা বলেন। তিনি দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত হয় এবং জনগণের ভোগান্তি বাড়ে এ ধরনের কর্মসূচি পরিহারের অনুরোধ জানান।

মানুষের অর্থনৈতিক ও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে গৃহীত পদক্ষেপগুলো বাস্তবায়নেও সবাইকে একযোগে কাজ করার তাগিদ দেন রাষ্ট্রপতি। তিনি বলেন, ‘জনস্বার্থে গৃহীত সরকারের সকল উদ্যোগকে সফল করতে দলমত নির্বিশেষে একযোগে কাজ করুন।’

রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন দেশের জনকল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠান হিসেবে কমিউনিটি ক্লিনিকের টেকসই অগ্রযাত্রায় সবাইকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার প্রতি গুরুত্বারোপ করেন। কমিউনিটি ক্লিনিকের উদ্যোক্তাদের সার্বিক কার্যক্রমের প্রশংসা করে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজীবন বাঙালির স্বাধীনতার জন্য কাজ করে গেছেন এবং বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথ ধরেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে এগিয়ে নিতে কমিউনিটি ক্লিনিকের জনকল্যাণমুখী বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেন।’

সরকারের কার্যক্রমের প্রতিটি ক্ষেত্রে জনস্বার্থকে প্রাধান্য দেওয়া উচিত উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান ও শিক্ষার পাশাপাশি জনস্বাস্থ্যের উন্নয়নে চিকিৎসা সেবাকে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে বহুমুখী কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হয়।’

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে ২০০০ সালের ২৬ এপ্রিল গোপালগঞ্জের গিমাডাঙ্গায় প্রথম কমিউনিটি ক্লিনিকের কার্যক্রম শুরু করেন। কমিউনিটি ক্লিনিকের কার্যক্রম বর্তমানে সারা বিশ্বে স্বাস্থ্যসেবার ‘অনন্য মডেল’ হিসাবে পরিচিতি লাভ করেছে।

রাষ্ট্রপতি বলেন, ২০০১ সালের নির্বাচনে ক্ষমতার পট পরিবর্তনের পর তৎকালীন সরকারের একটি প্রতিহিংসামূলক জনস্বার্থ বিরোধী সিদ্ধান্তে বন্ধ করে দেওয়া হয় প্রান্তিক মানুষের জন্য এই জননন্দিত স্বাস্থ্য সেবার উদ্যোগটি। আজ প্রান্তিক মানুষের, বিশেষ করে মহিলা ও শিশুদের চিকিৎসা সেবার ক্ষেত্রে কমিউনিটি ক্লিনিক জনগণের ভরসার স্থলে পরিণত হয়েছে। কমিউনিটি ক্লিনিকের উপযোগিতা ও সুনাম গ্রাম-শহর ছেড়ে জাতীয় পর্যায়ে, এমনকি বিশ্ব-পরিমন্ডলে ছড়িয়ে পড়তে থাকে।

তিনি বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে এবং জনগণের মৌলিক চাহিদা পূরণে কমিউনিটি ক্লিনিক কার্যক্রমের পাশাপাশি আশ্রয়ণ, সবার জন্য বিদ্যুৎ, আমার বাড়ি আমার খামার, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিসহ মোট দশটি বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।’

ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সুখী-সমৃদ্ধ জাতি গঠনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গৃহীত এই দশটি বিশেষ উদ্যোগ এরই মধ্যে জনগণের জীবনমান উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, জাতিসংঘ ‘কমিউনিটি ক্লিনিক’কে ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিসিয়েটিভ’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।এটি সরকারি, বেসরকারি অংশীদারিত্বে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবায় আমাদের সরকারের উদ্ভাবনী নেতৃত্বের প্রতি একটি গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি।

তিনি বলেন, বর্তমানে ১৪ হাজার ১৭৩ টি কমিউনিটি ক্লিনিক জন অংশীদারিত্বের একটি মডেল হিসেবে কাজ করছে। এটি সরকার-জনগণ পার্টনারশিপের অনন্য উদহারণ। তৃণমূল পর্যায়ে স্বাস্থ্য শিক্ষা প্রদান এবং বৈশ্বিক মহামারি করোনাকালে মহামারি প্রতিরোধে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে ও গণটিকাদান কর্মসূচি বাস্তবায়নে কমিউনিটি ক্লিনিক যে অবদান রেখেছে তা নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবিদার।

তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্যখাতে আমাদের সাফল্যের স্বীকৃতি স্বরূপ এমডিজি পুরস্কার, সাউথ-সাউথ পুরস্কার, গ্যাভি পুরস্কার ও ভ্যাক্সিন হিরো পুরস্কারের মতো অনেক সম্মানজনক আন্তর্জাতিক পুরস্কার বাংলাদেশ অর্জন করেছে। প্রধানমন্ত্রীর এই অর্জন বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে আর আমাদের করেছে গর্বিত।’

রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন যে, প্রধানমন্ত্রীর অনন্য উদ্যোগ ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ ছড়িয়ে পড়বে পুরো বিশ্বে এবং মানব কল্যাণে ভূমিকা রাখবে।

কমিউনিটি ক্লিনিক সহায়তা ট্রাস্টের সভাপতি অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব জাহাঙ্গীর আলম, কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্টির ব্যবস্থাপনা পরিচালক অতিরিক্ত সচিব এ কে এম নুরুন্নবি কবীর এবং কমিউনিটি বেইসড হেলথ কেয়ারের (সিবিএইচসি) লাইন ডিরেক্টর ডা. মো. কাইয়ুম তালুকদার প্রমুখ বক্তব্য দেন।

এদিকে, কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠা ও অধিকতর উন্নয়নের জন্য বিশেষ অবদান রাখায় তিনজন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ স্বর্ণপদক প্রদান করা হয়। তারা হলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এমিরিটাস অধ্যাপক ডা. এবিএম আবদুল্লাহ, জন হপকিনস ইউনিভার্সিটির গেস্ট লেকচারার বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. আহমদ আল কবির, গোপালগঞ্জের শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক ডা. নাহিদ ফেরদৌস।


banner close