শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

‘হুন্ডি পরিহার করা হলে রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধি পাবে’

সেমিনারে বক্তব্য রাখছেন সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী
আপডেটেড
৬ জুন, ২০২৩ ২৩:৫৩
মোহাম্মদ আবুল বশির, সৌদি আরব থেকে
প্রকাশিত
মোহাম্মদ আবুল বশির, সৌদি আরব থেকে
প্রকাশিত : ৬ জুন, ২০২৩ ২৩:৫১

সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বলেছেন, ‘হুন্ডি পরিহার করে বৈধ পথে ব্যাংকিং চ্যানেলে দেশে রেমিট্যান্স পাঠানো হলে তা অনেকাংশে বৃদ্ধি পাবে।’

তিনি আরও বলেছেন, ‘চলতি অর্থ বছরের এপ্রিল মাস পর্যন্ত সৌদি প্রবাসীরা দেশে প্রায় ৩ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার পাঠিয়েছেন। তবে সৌদি আরবে বসবাসরত ২৮ লাখ সৌদি প্রবাসী বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠালে তা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে।’

মঙ্গলবার রিয়াদস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে ‘রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধি ও হুন্ডি প্রতিরোধে আমাদের করণীয়’ শীর্ষক এক সেমিনারে এসব কথা বলেন রাষ্ট্রদূত জাবেদ পাটোয়ারী।

সেমিনারে দূতাবাসের বিভিন্ন কর্মকর্তা, রিয়াদের কমিউনিটির বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধি, ব্যবসায়ী, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর, রিয়াদের বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের অধ্যক্ষ ও বিওডি সদস্যসহ অন্যান্যরা যোগ দেন।

রাষ্ট্রদূত জাবেদ পাটোয়ারী এসময় দেশের প্রয়োজনে সৌদি প্রবাসীদের হুন্ডি প্রতিরোধে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। তিনি কমিউনিটির সবাইকে হুন্ডি প্রতিরোধে সাধারণ প্রবাসীদের মধ্যে সচেতনতা তৈরির আহ্বান জানান।

রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘বিদেশে আসার আগে দক্ষতা অর্জন করে আসলে ভালো বেতনের চাকরি পাওয়া সম্ভব। দক্ষ কর্মী পাঠানো হলে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়ে যাবে।’

রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, ‘সৌদি আরবে বাংলাদেশি কর্মীদের গ্রহণযোগ্যতা বাড়ানোর পাশাপাশি শ্রমবাজার সম্প্রসারণে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ দূতাবাস। সৌদির সরকারি প্রতিষ্ঠান তাকামলের মাধ্যমে দক্ষতা যাচাই করার সুযোগ তৈরি হয়েছে সৌদি গমনে ইচ্ছুক বাংলাদেশি কর্মীদের। সৌদির সরকারি প্রতিষ্ঠান তাকামল হোল্ডিং বাংলাদেশ বসেই দক্ষ বা আধা দক্ষ কর্মীদের দক্ষতা যাচাইয়ের কাজ করবে এবং সনদ দেবে।’

তিনি জানান, প্লাম্বিং, ইলেকট্রিশিয়ান, মেকানিক, ওয়েল্ডিং, কার্পেন্টার পেইন্টার, প্লাস্টারার, বিল্ডারসহ ২৩টি বিষয়ে দক্ষতা যাচাই এবং সনদ দেয়া হবে। এছাড়া সৌদি প্রবাসীদের জন্য বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতায় বিভিন্ন প্রোগ্রাম চালু আছে বলে রাষ্ট্রদূত উল্লেখ করেন।

ড. জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, ‘সৌদি আরবে আসার ব্যয় কমানোর লক্ষ্যে ভিসা ট্রেডিং বন্ধে দূতাবাস কাজ করছে এবং প্রত্যেকটি ভিসা যাচাই করার বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।’ তিনি ভিসা ট্রেডিং বন্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, ‘প্রবাসী কর্মীদের মাইগ্রেশন কস্ট না কমানো হলে তাদের আয়ের সুফল পাওয়া যায় না। কারণ একজন প্রবাসী কর্মীর কয়েক বছর লেগে যায় তার বিদেশে আসার ব্যয় তুলতে।’

রাষ্ট্রদূত বৈধ পথে রেমিট্যান্স প্রেরণ করে সরকারি আড়াই শতাংশ প্রণোদনা গ্রহণ করার পাশাপাশি দেশের রিজার্ভ বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখার জন্য প্রবাসীদের আহ্বান জানান। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের বিভিন্ন ব্যাংকের অ্যাপস ব্যবহার করে নিজের অ্যাকাউন্ট সৌদি আরবে বসেই পরিচালনা করার কথা তিনি উল্লেখ করেন। সৌদি আরবে বসেই সোনালী ব্যাংকের ই-ওয়ালেট ব্যবহারের বিষয়টিও তিনি উল্লেখ করেন।

রাষ্ট্রদূত যে সকল বাংলাদেশী প্রবাসীরা সৌদি আরবে ব্যবসা করছেন তাদের ব্যবসা নিজের নামে রেজিস্ট্রেশন করে বৈধভাবে ব্যবসা করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘এতে সৌদি আরবে বৈধ ব্যবসার সুযোগের পাশাপাশি দেশে রেমিট্যান্স প্রেরণেও সুবিধা পাওয়া যায়।’ তিনি বিভিন্ন শ্রমিক ক্যাম্পে দূতাবাসের সোনালী ব্যাংকের সেবা প্রদানের জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন দূতাবাসের শ্রম কল্যাণ উইং এর কাউন্সেলর রেজা-ই রাব্বী। তিনি সৌদি আরব থেকে রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধি ও বিভিন্ন দেশের শ্রমবাজার নিয়ে পর্যালোচনামূলক গবেষণা তুলে ধরেন। এছাড়া রেমিট্যান্স বৃদ্ধিতে সুপারিশমালা ও সুবিধা বৃদ্ধির কথা উল্লেখ করেন।

সেমিনারে প্যানেল আলোচক হিসেবে দূতাবাসের মিশন উপ-প্রধান মো. আবুল হাসান মৃধা, ইকোনমিক মিনিস্টার মুর্তুজা জুলকার নাঈন নোমান, সোনালী ব্যাংকের এ জি এম মো. তৌফিকুর রহমান, প্রকৌশলী মোয়াজ্জেম হোসেন, রিয়াদ আওয়ামী পরিষদের সভাপতি এম আর মাহাবুব বক্তব্য দেন।

অনুষ্ঠানে আসা প্রবাসীরা রেমিট্যান্স পাঠানোয় বিভিন্ন সমস্যা, সৌদি আরবের শ্রম বাজার, দূতাবাসের বিভিন্ন সেবা নিয়ে তাদের পরামর্শ তুলে ধরেন। প্রবাসীরা রেমিট্যান্স প্রণোদনা বৃদ্ধি, রেমিট্যান্স পাঠাতে ব্যয় ফেরত দেয়া, রেমিট্যান্স পাঠানোর জন্য ভালো ব্যাংক রেট দেয়ার কথা উল্লেখ করেন। এছাড়া বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোকে রেমিট্যান্স ডেলিভারির জন্য উন্নত সেবা দেয়ার দাবি জানান। দূতাবাসের প্রেস উইং এর উদ্যোগে আয়োজিত সেমিনারের সঞ্চালনা করেন প্রথম সচিব মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম।

বিষয়:

পর্যটন ভিসায় আমিরাতে গিয়ে ভিক্ষা করছেন অনেকে, রয়েছে বেতনভুক্ত ভিক্ষুকও

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

সংযুক্ত আরব আমিরাতে পর্যটন ভিসায় গিয়ে ভিক্ষা করার প্রবণতা বেড়েছে। দেশটির পুলিশ জানিয়েছে, রমজান মাসে ভিক্ষার জন্য অনেকে আমিরাতে আসেন। এসব ‘ভুয়া’ ভিক্ষুক সাধারণ মানুষের কাছ থেকে যেন সহানুভূতি আদায় করতে না পারে সেজন্য ব্যবস্থা নেওয়া শুরু করেছে দেশটির আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।

দুটি আলাদা ঘটনায় দুবাই পুলিশ এরই মধ্যে দুই নারীকে ৬০ হাজার ও ৩০ হাজার দিরহামসহ আটক করেছে, যারা পর্যটন ভিসায় সেখানে গিয়েছেন।

ওই নারীদের মধ্যে একজন সহানুভূতি পাওয়ার জন্য তার শিশু সন্তানকে ব্যবহার করছিলেন। এভাবে হাজার হাজার দিরহাম ভিক্ষা করেছেন তারা। অথচ দুই নারীই আমিরাতে যান পর্যটন ভিসায়।

দুবাই পুলিশ জানিয়েছে, তারা যেসব ভিক্ষুককে গ্রেপ্তার করেছে তার মধ্যে ৯৯ শতাংশই ভিক্ষাকে নিজেদের পেশা হিসেবে দেখেন।

রমজান মাস শুরু হলে ভিক্ষুকদের সংখ্যা বাড়ে। কিন্তু তাদের বেশিরভাগই বাস্তবে ভিক্ষুক নন। মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে অর্থ উপার্জনের জন্য তারা ভিক্ষুক সাজেন।

আমিরাতের শারজাহর পুলিশ সংবাদমাধ্যম খালিজ টাইমসকে বেতনভুক্ত ভিক্ষুকদের সম্পর্কে অবহিত করেছে। তারা জানিয়েছে, একটি চক্র বিশ্বের বিভিন্ন জায়গা থেকে মানুষকে ভিক্ষার জন্য নিয়ে আসে এবং এ জন্য প্রতি মাসে বেতন দিয়ে থাকে।

গত চার বছরে ১ হাজার ৭০১ ভিক্ষুককে গ্রেপ্তার করেছে দুবাই পুলিশ। যার মধ্যে ২০২৩ সালেই এই সংখ্যা ছিল পাঁচশরও বেশি। যার অর্থ, পর্যটন ভিসায় দুবাই গিয়ে ভিক্ষা করার প্রবণতা বাড়ছে।

গত বছর পুলিশ দুই ভাই, তাদের স্ত্রী এবং এক শিশুকে আটক করেছিল। ওই পুরো পুরিবারটি পর্যটন ভিসা নিয়ে দুবাই গিয়ে একটি মসজিদের সামনে ভিক্ষা করছিলেন।

আলাদা এক ঘটনায় দুবাই পুলিশ এক ব্যক্তির কৃত্রিম অঙ্গের ভেতর তিন লাখ দিরহাম পেয়েছিল। যার পুরোটাই তিনি ভিক্ষা করে জমিয়েছিলেন। এ ছাড়া এক নারীকে দেখা গিয়েছিল তিনি মসজিদের সামনে ভিক্ষা করছেন। কয়েক হাজার দিরহাম ভিক্ষা পাওয়ার পর তিনি দামি গাড়িতে করে সেই স্থান ত্যাগ করেন।

আরব আমিরাতে ভিক্ষা করা একটি অপরাধ। যদি কেউ ভিক্ষার সময় ধরা পড়েন তাহলে তাকে ৫ হাজার দিরহাম ও তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়ার বিধান রয়েছে। আর যেসব চক্র এসব কাজ করে তাদের এক লাখ দিরহাম জরিমানা করার আইন রয়েছে।

যদি কোনো ভিক্ষুককে সন্দেহজনক মনে হয় তাহলে তার সম্পর্কে অবহিত করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে আমিরাত পুলিশ।


জাতীয় প্রেসক্লাবের নতুন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বাংলাদেশ দূতাবাসের শুভেচ্ছা বিনিময়

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থিত জাতীয় প্রেসক্লাবের বার্ষিক অনুষ্ঠানে নতুন সভাপতি দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। ১৯ জানুয়ারি শুক্রবার সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত সভায় ক্লাবের বিদায়ী সভাপতি আইলিন ও’রিলি নব-নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট এমিলি উইলকিনসের কাছে আনুষ্ঠানিভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন।

ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ দূতাবাসের মিনিস্টার (প্রেস) এজেডএম সাজ্জাদ হোসেন যুক্তরাষ্ট্রের স্বনামধন্য এ ক্লাবের সদস্য হিসেবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশ দূতাবাসের পক্ষ থেকে মিনিস্টার (প্রেস) ক্লাবের নতুন প্রেসিডেন্ট এমিলি উইলকিন্সকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান এবং ক্লাব পরিচালনায় তার সাফল্য কামনা করেন।

তিনি বিদায়ী প্রেসিডেন্ট মিসেস আইলিন ও’রিলিকে তার মেয়াদে ক্লাবের কার্যক্রম সফলভাবে পরিচালনা করার জন্য অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানান। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ ইমরান এবং প্রেস মিনিস্টার এ জেড এম সাজ্জাদ হোসেন প্রেসক্লাবে বিদায়ী প্রেসিডেন্ট মিস আইলিন ও’রিলির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।


ভিয়েনায় শেখ রাসেলের ৬০তম জন্মদিন উদযাপন

আপডেটেড ১৯ অক্টোবর, ২০২৩ ১৮:৩৩
আনিসুল হক, ভিয়েনা (অষ্ট্রিয়া) থেকে

অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শহীদ শেখ রাসেলের ৬০তম জন্মদিন উদযাপিত হয়েছে।

দিনটি উপলক্ষে বুধবার সন্ধ্যায় ভিয়েনার হেলওয়াগ স্ট্রিটে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

অস্ট্রিয়া প্রবাসী বাংলাদেশের নাগরিক সমাজের উদ্যোগে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, অস্ট্রিয়া আওয়ামী লীগের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা প্রতাব কুমার মন্ডল। সঞ্চালনা করেন, অস্ট্রিয়া আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শাহ কামাল।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের সভাপতি, অষ্ট্রিয়া প্রবাসী মানবাধিকার কর্মী, লেখক, সাংবাদিক এম. নজরুল ইসলাম।

অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, অস্ট্রিয়া আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এবং অস্ট্রিয়া বাংলাদেশ হিন্দু কালচারাল অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক রুহী দাস সাহা, অস্ট্রিয়া বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি রবিন মোহাম্মদ আলী, অস্ট্রিয়া-বাংলাদেশ সমিতির সাবেক সভাপতি শ্রী রতন সাহা, অস্ট্রিয়া-বাংলাদেশ সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুর রব, অস্ট্রিয়া-জালালাবাদ সমিতির সাবেক সভাপতি সাইফুল ইসলাম জসিম, অষ্ট্রিয়া আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আক্তার হোসেন ও মিজানুর রহমান শ্যামল, অস্ট্রিয়া আওয়ামী লীগ নেতা শফিকুর রহমান বাবুল, মনোয়ার পারভেজ, আবুল কালাম, মাহাবুব খান শামীম, কাঞ্চন মোল্লা প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি এম নজরুল ইসলাম বলেন, ‘১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের অন্যান্য সদস্যের মতো এই নিষ্পাপ শিশুকেও ঠান্ডা মাথায় খুন করে নরপিচাশরা। কী অপরাধ ছিল শিশু রাসেলের? জাতির জনকের সন্তান— এই কি তার অপরাধ! বঙ্গবন্ধু পরিবারের কাউকে বাঁচিয়ে রাখতে চায়নি ঘাতকচক্র। তাই প্রাণ দিতে হয়েছিল অবুঝ শিশুকেও। একাত্তরের নয়টি মাস যে শিশুটি অন্তরীণ থেকেও নিরাপদে ছিল শ্বাপদ-সংকুল দেশে; সেই শিশুটিকে প্রাণ দিতে হলো স্বাধীন দেশে— যে দেশের স্থপতি তার বাবা। যে দেশের মুক্তিযুদ্ধ পরিচালিত হয়েছে তার বাবার নামে, সেই দেশের বিপথগামী কিছু সেনাসদস্য একটি শিশুকে হত্যা করে ক্ষমতার অন্ধলোভে। হায় অপরাজনীতি!’

অনুষ্ঠানের শেষপর্বে কেক কেটা হয় এবং শেখ রাসেলসহ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের শহীদদের জন্য বিশেষ মোনাজাত করা হয়। আপ্যায়নের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।


প্যারিসে স্থায়ী শহীদ মিনার উদ্বোধন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

১৯৫২ সালের ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ফ্রান্সের প্যারিসে স্থায়ী শহীদ মিনার উদ্বোধন করা হয়েছে। প্যারিসের প্রখ্যাত সেইন্ট ডেনিস বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্নার্ড মারিস স্কোয়ারে রোববার বেলা ১১টায় এ শহীদ মিনার উদ্বোধন করা হয়।

যৌথভাবে উদ্বোধন করেন সেইন্ট ডেনিসের মেয়র মাতিউ হ্যানোতা, স্থপতি ফেডেরিক ক্যাফ, অল ইউরোপীয়ান বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন আয়েবার মহাসচিব ও শহীদ মিনার বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান উপদেষ্টা কাজী এনায়েত উল্লাহ এবং সিকানো বাঙালী অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট সরুফ সদিওল।

অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে বক্তব্য দেন আয়েবা প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার ড. জয়নুল আবেদীন ও ডিবিসির সিইও মন্জুরুল ইসলাম।

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ প্যারিসে স্থায়ী শহীদ মিনার তৈরিতে সার্বিক সহযোগিতা করার জন্য অনুষ্ঠানের শুরুতে মেয়র মাতিওর সাথে ফোনে অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এ উপলক্ষ্যে তিনি একটি লিখিত বাণীও প্রদান করেন যা ফরাসী ভাষায় অনুবাদ করে পাঠ করা হয়।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র মাতিউ হ্যানোতা ভাষা শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, ‘বাঙালি একমাত্র জাতি যারা ভাষার জন্য জীবন দিয়েছে।’ ভাষা শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে এমন একটা স্মৃতিস্তম্ভ তাঁর এলাকায় করতে পেরে তিনি গৌরবান্বিত বলেও জানান। মেয়রের অফিসের পক্ষ থেকে প্রতি বছর ২১ ফেব্রুয়ারি মহান ভাষা ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস যথাযথ মর্যাদার সাথে সাথে পালন করা হবে বলেও তিনি জানান।

আয়েবা’র প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘এ উদ্যোগ ফ্রান্সের অন্যান্য শহরের জন্য অনুকরণীয় হয়ে উঠবে।’

আয়েবা সেক্রেটারী জেনারেল কাজী এনায়েত উল্লাহ বলেন, ‘প্যারিসে স্থায়ী শহীদ মিনারের উদ্বোধন এক ঐতিহাসিক ঘটনা। যা ২১ ফেব্রুয়ারির বিয়েগান্ত ইতিহাস এবং বাঙালি সংস্কৃতিকে ফ্রান্সের মানুষের কাছে এবং বাংলা ভাষা, কৃষ্টি ও সংস্কৃতিকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেবে।’

ভাষা শহীদদের স্মরণে নির্মিত শহীদ মিনারটি বাংলা ভাষাভাষী মানুষের পাশাপাশি বিশ্বের বিভিন্ন সংস্কৃতির কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। প্যারিসের মাটিতে বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের নকশা অনুযায়ী এ শহীদ মিনার নির্মাণে সহযোগিতার জন্য তিনি আর্কিটেক্ট ও মেয়রকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।

তিনি বলেন, ‘এই উদ্যোগ বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাষা, কৃষ্টি সংস্কৃতি মেলে ধরবে, বাংলাদেশকে নিয়ে যাবে অনন্য উচ্চতায়।’

সিকানো বাঙালি অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট সরুফ সদিওল মেয়র মাতিও ওতি, ফ্রান্স প্রবাসী বাংলাদেশী যাদের অক্লান্ত পরিশ্রম ও ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় প্যারিস সিটিতে এমন একটি স্থাপত্য নির্মাণের স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয়েছে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

এক মিনিটের নীরবতা পালন, বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও সাস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে দ্বিতীয় পর্বের অনুষ্ঠান শেষ হয়।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দেশি-বিদেশি আমন্ত্রিত অতিথি, ডেপুটি মেয়র, বীর মুক্তিযোদ্ধা, ফ্রান্সের বিভিন্ন বাংলাদেশি রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে আগত আয়েবা নেতৃবৃন্দ, গণমাধ্যমকর্মী, বাংলাদেশ কমিউনিটির গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

প্যারিসে এটি প্রথম স্থায়ী শহীদ মিনার হলেও ফ্রান্সে এটি দ্বিতীয় স্থায়ী শহীদ মিনার। এর আগে ২০২১ সালে ফ্রান্সের তুলুজ শহরে প্রথম স্থায়ী শহীদ মিনার স্থাপন করা হয়।


ভিয়েনায় প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উদযাপন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
আনিসুল হক, ভিয়েনা (অষ্ট্রিয়া) থেকে

জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার ৭৭তম জন্মদিন উপলক্ষে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অষ্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনার ডেজনারটাসে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। অষ্ট্রিয়া আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সহ-সভাপতি আক্তার হোসেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম কবির।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের সভাপতি, অষ্ট্রিয়া প্রবাসী মানবাধিকারকর্মী, লেখক, সাংবাদিক এম. নজরুল ইসলাম। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন, সর্ব ইউরোপিয়ান মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা বায়জীদ মীর।

এ সময় বক্তব্য দেন অষ্ট্রিয়া আওয়ামী লীগের সভাপতি খন্দকার হাফিজুর রহমান নাসিম, সহ-সভাপতি রুহী দাস সাহা, মিজানুর রহমান শ্যামল, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শাহ কামাল, অস্ট্রিয়া আওয়ামী লীগ নেতা আহমেদ ফিরুজ, সাইফুল ইসলাম জসিম, শফিকুর রহমান বাবুল, মনোয়ার পারভেজ, মাহাবুব খান শামীম, কাঞ্চন মোল্লা, জহিরুল ইসলাম তুহিন, অস্ট্রিয়া বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি রবিন মোহাম্মদ আলী প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে এম. নজরুল ইসলাম বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা মানুষের আস্থার প্রতিদান দিতে জানেন। বাংলাদেশের ইতিহাসে জননেত্রী শেখ হাসিনার শাসনামলেই দেশের মানুষ ভালো থেকেছে। বাংলাদেশ বিশ্বের দরবারে ইতিবাচক একটি দেশ হিসেবে নিজেদের পরিচয় তুলে ধরেছে।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনা জানেন মানুষের কল্যাণে নিজেকে উৎসর্গ করতে। জানেন ধ্বংসস্তুপের ভেতর থেকেই জীবনের জয়গান গেয়ে মানুষকে প্রাণিত করতে। তাই তো মানুষকে নিয়ে তিনি চলছেন কল্যাণ ও অগ্রগতির পথে। তার নেতৃত্ব বাংলাদেশের জন্য আশীর্বাদ।

অনুষ্ঠানের শেষপর্বে প্রধানমন্ত্রীর সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে মোনাজাত করা হয়।


ডেনমার্কে ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রবাসীদের করণীয়’ শীর্ষক সভা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রবাসীদের করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভা গতকাল শনিবার ডেনমার্কের কোপেনহেগেনের হোমলে পার্টিসে হলে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ডেনমার্ক আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত এই সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি মিজানুর রহমান মজুমদার খোকন এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান।

সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের সভাপতি এম নজরুল ইসলাম। এ ছাড়া প্রধান বক্তা হিসেবে ছিলেন সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান।

সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন অষ্ট্রিয়া আওয়ামী লীগের সভাপতি খন্দকার হাফিজুর রহমান নাসিম, পর্তুগাল আওয়ামী লীগের সভাপতি জহিরুল আলম জসীম ও ফিনল্যান্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল ইসলাম।

এ ছাড়া অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পোল্যান্ড আওয়ামী লীগ নেতা মনিরুজ্জামান মনির, তানিয়া আফরিন, ডেনমার্ক আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা, মোস্তফা মজুমদার বাচ্চু, রেফায়েতুল হক মিঠু, জাহিদুল ইসলাম কামরুল, সহ-সভাপতি নাসির উদ্দিন সরকার, ইউসুব চপল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাঈম উদ্দিন খান, বোরহান উদ্দিন, মোছাদ্দেকুল রহমান রাসেল, বেলাল হোসেন রুমী, সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম খালাসী, রোমেল মিয়া সোহাগ, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মিজানুর রহমান খান, সাংস্কৃতিক সম্পাদক হুমায়ুন কবির, রকিবুল ইসলাম রকিব প্রমুখ।

সভায় প্রধান আতিথি এম নজরুল ইসলাম বলেন, যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছিল, তারাই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। ওই অপশক্তি এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে ও মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দানকারী দল আওয়ামী লীগ, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামী লীগ সরকার প্রধান বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। এসব অপপ্রচারের বিরুদ্ধে আমরা প্রবাসী বাঙালিরা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করব।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রগতি অব্যাহত রাখার প্রশ্নে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে বাদ দিয়ে আলাদা কিছু ভাবার অবকাশ নেই। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় না থাকলে বাংলাদেশ পাকিস্তান স্টাইলের একটি সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রে পরিণত হবে।

এম নজরুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রবাসীদের করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভা ইউরোপের সব দেশে আয়োজন করা হবে। দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা প্রবাসী বাংলাদেশি এবং বিদেশিদের কাছে তুলে ধরা হবে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের অসাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির সমৃদ্ধ সোনার বাংলা বিনির্মাণে সংগ্রামরত জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকারকে আসছে নির্বাচনে বিপুলভাবে বিজয়ী করাই আমাদের প্রত্যয়।

সভায় মজিবুর রহমান বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে বাংলাদেশের উন্নয়ন হয়। প্রবাসে সকল অপপ্রচার রুখে দেয়ার শপথ নিতে হবে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আবার সরকার গঠনের জন্য আমাদের কাজ করতে হবে।

সভায় উপস্থিত প্রায় সবাই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দুই সপ্তাহ আগে বাংলাদেশে গিয়ে নৌকার পক্ষে কাজ করার অঙ্গীকার র্ব্যক্ত করেন।

আলোচনা পর্ব শেষে ছিল মনোঙ্গ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এরপর আপ্যায়নের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।


ভিয়েনায় একুশে আগস্টে নিহতদের স্মরণে আলোচনা সভা ও দোয়া

ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
আনিসুল হক, ভিয়েনা (অষ্ট্রিয়া) থেকে

শোকাবহ পরিবেশে ও যথাযোগ্য মর্যাদায় একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহতদের স্মরণে অষ্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনার ডেজনারটাসে আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার বিকেলে (স্থানীয় সময়) এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অষ্ট্রিয়া আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত এই সভায় সভাপতিত্ব করেন, সংগঠনের সভাপতি খন্দকার হাফিজুর রহমান নাসিম ও পরিচালনা করেন, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম কবির।

সভায় প্রধান অথিতি ছিলেন, সর্বইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের সভাপতি, অস্ট্রিয়া প্রবাসী লেখক, মানবাধিকারকর্মী ও সাংবাদিক এম. নজরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন, সর্ব ইউরোপিয়ান মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা বায়জীদ মীর।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, অষ্ট্রিয়া আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রুহী দাস সাহা, মিজানুর রহমান শ্যামল, অষ্ট্রিয়া আওয়ামী লীগ নেতা শফিকুর রহমান বাবুল, মনোয়ার পারভেজ, ইমরুল কায়েস, মাহাবুব খান শামীম, জহিরুল ইসলাম তুহিন, কবিরুজামান নোমানসহ অন্যরা।

অনুষ্ঠানে নজরুল ইসলাম বলেন, ‘একুশে আগস্ট হত্যাযজ্ঞের পেছনে উদ্দেশ্য ছিল বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগ নেতাদের হত্যা ও আওয়ামী লীগকে সমূলে উৎখাত। ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্টের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে ২০০৪ সালের হত্যাচেষ্টার মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। পার্থক্য একটাই, ১৯৭৫ সালে এই উদ্দেশ্য সফল হয়েছে। ২০০৪ সালে তা ব্যর্থ হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় নেতাদের হত্যাকাণ্ডের নেপথ্য নায়কদের একজন ছিলেন, জেনারেল জিয়াউর রহমান। ২০০৪ সালে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টার নেপথ্য নায়কদের প্রধান জেনারেল জিয়াপুত্র তারেক রহমান।’

২১ আগস্ট হামলায় জড়িতদের বিচারের আওতায় আনার দাবি তুলে তিনি বলেন, ‘সন্ত্রাস ও লুটপাটের রাজপুত্র তারেক জিয়াকে অভিলম্বে দেশে ফিরিয়ে নিয়ে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।’

খন্দকার হাফিজুর রহমান নাসিম বলেন, ‘তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিল, যা বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলেই তদন্তে উদঘাটিত হয়েছে। একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক
শাস্তি দিতে হবে।’

সভায় একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলায় আইভি রহমানসহ নিহতদের রুহের মাগফিরাত ও আহতদের সুস্থতা কামনা করে দোয়া করা হয়।


অস্ট্রিয়ায় বঙ্গবন্ধু পরিষদের শোক দিবস পালিত

আপডেটেড ১৬ আগস্ট, ২০২৩ ০৮:২৫
আনিসুল হক, ভিয়েনা (অষ্ট্রিয়া) থেকে

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন ও শোক সভা করেছে অস্ট্রিয়া বঙ্গবন্ধু পরিষদ। গতকাল মঙ্গলবার স্থানীয় সময় বেলা ১১টায় দেশটির রাজধানী ভিয়েনার পারফেক্টিটাসে অনুষ্ঠিত এই সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি রবিন মোহাম্মদ আলী। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক বিকাশ ঘোষ।

সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, সর্বইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের সভাপতি, অস্ট্রিয়া প্রবাসী লেখক, মানবাধিকারকর্মী ও সাংবাদিক এম. নজরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন, সর্ব ইউরোপিয়ান মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা বায়জীদ মীর, অষ্ট্রিয়া আওয়ামী লীগের সভাপতি খন্দকার হাফিজুর রহমান নাসিম, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম কবির, বাংলাদেশ দূতাবাস ভিয়েনার অনারারি কাউন্সেলর মি. কমার এরনস্ট গ্রাফট। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, অস্ট্রিয়া বঙ্গবন্ধু পরিষদের সহ-সভাপতি রতন সাহা, সাংস্কৃতিক সম্পাদক কাজী ইকবাল খালেদ, অষ্ট্রিয়া আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবদুল জলিল, রুহী দাস সাহা, মিজানুর রহমান শ্যামল প্রমুখ।

বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদনের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়।

সভায় প্রধান অতিথি এম. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যার পর জিয়া সরকার, এরশাদ সরকার, খালেদা সরকার, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা সংগ্রামের যাবতীয় ইতিবাচক মূল্যবোধ খণ্ডিত করেছে, বিকৃত করেছে, কয়েকটি ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ ধ্বংস করেছে। বঙ্গবন্ধু আজ সশরীরে আমাদের মধ্যে নেই কিন্তু তার জীবন ও কর্মের স্মৃতি জ্যোতির্ময় শিখার মতো অন্তহীন প্রেরণার উৎস হয়ে আমাদের মধ্যে বেঁচে আছেন। প্রতিক্রিয়ার শক্তি বিএনপি-জামায়াত বহু চেষ্টা করেছে বঙ্গবন্ধুকে বাংলাদেশের মানুষের হৃদয় থেকে মুছে ফেলতে কিন্তু পারেনি। কেউ কখনো পারবে না।’

খন্দকার হাফিজুর রহমান নাসিম বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মানেই বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার কাজ তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে।

রবিন মোহাম্মদ আলী তার বক্তব্যে জাতীয় শোক দিবসের এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করায় সমবেত সুধীজনকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

সভার শেষে ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুসহ নিহত সকল শহীদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

উল্লেখ্য, অনুষ্ঠানে ঢাকা থেকে মোবাইল ফোনে বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আমির হোসেন আমু।

বিষয়:

ভিয়েনায় শেখ কামালের জন্মবার্ষিকী উদযাপন

আপডেটেড ৫ আগস্ট, ২০২৩ ২৩:৪৬
আনিসুল হক, ভিয়েনা থেকে

শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার সঙ্গে সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোট ভাই শেখ কামালের ৭৪তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করেছে অস্ট্রিয়া আওয়ামী লীগ।

শনিবার দেশটির রাজধানী ভিয়েনার ডেজনারটাসে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি খন্দকার হাফিজুর রহমান নাসিম এবং সঞ্চালন করেন সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান শ্যামল।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং অষ্ট্রিয়া প্রবাসী মানবাধিকার কর্মী, লেখক ও সাংবাদিক এম. নজরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন, সর্ব ইউরোপিয়ান মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা বায়জিদ মীর।

অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, অষ্ট্রিয়া আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শফিকুর রহমান বাবুল, অস্ট্রিয়া বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি রবিন মোহাম্মদ আলী ও অস্ট্রিয়া আওয়ামী লীগ নেতা আওলাদ হোসেন প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে এম. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘শেখ কামাল ছিলেন আমাদের কমান্ডার। এই নামে আমরা ডাকতাম তাকে। অসামান্য সাংগঠনিক দক্ষতার অধিকারী শেখ কামাল যেকোনো মানুষকে অনায়াসে কাছে টানার শক্তি রাখতেন। জানতেন কী করে সংগঠনকে প্রাণবন্ত রাখতে হয়। বাংলাদেশের রাজনীতিতে অন্যরকম একটা জোয়ার আনার চেষ্টা করেছিলেন শেখ কামাল। বিশেষ করে ছাত্র রাজনীতির গুণগত মানের পরিবর্তনের চেষ্টা ছিল তার।’

খন্দকার হাফিজুর রহমান নাসিম বলন, ‘শেখ কামাল ছিলেন একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন তিনি মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল আতাউল গণি ওসমানীর এডিসি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।’

অনুষ্ঠানে শেখ কামালের কর্মজীবন, ত্যাগ ও সংগ্রামের উপর তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। এতে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের শহীদ সদস্যদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। আপ্যায়নের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।


মালয়েশিয়ায় ২৫২ বাংলাদেশি আটক

ছবি: বার্নামা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

মালয়েশিয়ায় অবৈধ অভিবাসী ধরতে অভিযান চালিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। এসময় ৪২৫ অভিবাসীকে আটক করা হয়েছে। এদের মধ্যে ২৫২ জন বাংলাদেশিও রয়েছেন।

শুক্রবার দিনগত রাত থেকে শনিবার ভোর পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে এই বৈধ নথিপত্রহীন বিদেশিদের আটক করা হয়েছে।শনিবার মালয়েশিয়ার সংবাদমাধ্যম ‘সিনার ডেইলি’ ও ‘বার্নামা’র খবরে এ কথা জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, মালয়েশিয়ার অভিবাসন বিভাগ কুয়ালালামপুরের তামান বুকিত চেরাসের অ্যাপার্টমেন্ট ভবনে অভিযান চালায়। কুয়ালালামপুরের ইমিগ্রেশন ডিরেক্টর সামসুল বদরিন মহসিন বলেছেন, ওই অ্যাপার্টমেন্ট কমপ্লেক্সের তিনটি ব্লকে অভিযানে দেখা যায়, ৪২৫ জনের কাছেই বৈধ ভ্রমণ নথি নেই। সেজন্য তাদের আটক করা হয়।

সামসুল বদরিন মহসিনের তথ্য মতে, আটক ব্যক্তিদের মধ্যে ৩৭১ জন পুরুষ, ৫৩ জন নারী এবং একজন শিশু রয়েছে। এদের মধ্যে ২৫২ বাংলাদেশি ছাড়াও রয়েছেন ইন্দোনেশিয়ার ৩০ জন, মিয়ানমারের ১০৮ জন, ফিলিপাইনের দুইজন, পাকিস্তানের সাতজন, কম্বোডিয়ার ছয়জন এবং নেপালের ২০ জন নাগরিক।

সিনার ডেইলির প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই অ্যাপার্টমেন্ট কমপ্লেক্সের বাসিন্দাদের অভিযোগের ভিত্তিতেই সেখানে অভিযান চালানো হয়। তারা বলছিলেন, এলাকায় অনেক বেশি অবৈধ অভিবাসী রয়েছেন।

আটক ব্যক্তিদের বিষয়ে মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন অ্যাক্ট ও ইমিগ্রেশন রেগুলেশনের অধীনে তদন্ত করা হচ্ছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

বিষয়:

শতাধিক প্রবাসী সোমবার পাচ্ছেন স্মার্টকার্ড

প্রতীকী ছবি
আপডেটেড ৮ জুলাই, ২০২৩ ২০:২১
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

সংযুক্ত আরব আমিরাতের অবস্থানরত শতাধিক প্রবাসী বাংলাদেশিদের মাঝে প্রথমবারের মত জাতীয় পরিচয়পত্র স্মার্টকার্ড বিতরণ করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আগামী সোমবার দুবাই ও আবুধাবী শহরের প্রবাসী বাংলাদেশিরা প্রথমবারের মত বিদেশে বসে ভোটার হওয়ার পাশপাশি নিজেদের পরিচয়পত্র হাতে পাবেন।

শনিবার নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান দৈনিক বাংলাকে এসব কথা বলেন।

প্রবাসীদের স্মার্টকার্ড তুলে দিতে আগামী রোববার নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খানের নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশন এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠিত ৪ সদস্য বিশিষ্ট একটি টিম সংযুক্ত আরব আমিরাত সফর করবেন। পরের দিন সোমবার রাষ্ট্রদূত ও কনসাল জেনারেল এবং নির্বাচন কমিশনারের উপস্থিতিতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটার নিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়ত্র প্রদান কাযক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন।

এর আগে চলতি বছরের মে মাসের শেষের দিকে ইসির দুবাই ও আবুধাবী শহরে যান ইসির দুই টেকনিক্যাল টিম। সেখানে যন্ত্রপাতি স্থাপন, তথ্য সংগ্রহ এবং দায়িত্ব পালনকারীদের হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ দিয়ে আসে ইসির টিম।

২০১৯ সালের ৫ নভেম্বরে কে এম নূরুল হুদা নেতৃত্বাধীন কমিশন মালয়েশিয়ায় অনলাইন নিবন্ধনের কার্যক্রম শুরু করেন। কিন্তু এরপর করোনা মহামারির কারণে সেই উদ্যোগ খুব বেশি দূর এগুতে পারেনি। পরে বর্তমান কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন প্রথমবারের মতন প্রবাসে বসেই প্রবাসীদের ভোটার হওয়ার সুযোগ করে দেন।

প্রবাসী বাংলাদেশিদের হাতে এনআইডি তুলে দেয়া নির্বাচন কমিশনের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা উল্লেখ করে নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘সে উদ্যোগ সফল হতে যাচ্ছে। এতে প্রবাসীদের নানা প্রকার নাগরিক সেবা নেয়া ও রেমিট্যান্স পাঠানো সহজ হবে, দেশও আর্থিকভাবে সমৃদ্ধ হবে।’

এর ফলে দেশের বাইরে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধনের নতুন দ্বার উন্মোচিত হবে বলে মনে করেন কমিশনার আহসান হাবিব খান। তিনি বলেন,‘ভবিষ্যতে এ অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে মধ্যপ্রাচ্যসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে এ কাজের বিস্তৃতি ঘটবে।’

প্রবাসী বাংলাদেশিরা বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠাতে চান উল্লেখ করে এই কমিশনার বলেন, ‘অধিকাংশ ক্ষেত্রে এনআইডি না থাকায় অনেকে হুন্ডির মাধ্যমে দেশে অবৈধ উপায়ে অর্থ পাঠাতেন। এখন এনআইডি পেলে হুন্ডির পথ রোধ হবে, বৈধ পথে রেমিট্যান্স আসবে। এতে দেশের রিজার্ভ বাড়াতেও ভূমিকা রাখবে। পাশাপাশি এ সেবা মোবাইল ব্যাংকিসহ নাগরিকদের নানা কাজেও লাগবে।’


সৌদি ও কাতারে বাউবি নিশ-২ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপেন স্কুল পরিচালিত বহিঃবাংলাদেশ নিশ-২ এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। কাতার ও সৌদি আরবে অবস্থানরত বাঙালিরা বাউবির এ প্রোগামের শিক্ষার্থী। গতকাল শুক্রবার বাংলাদেশ সময় বেলা ১১টা দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত এবং বিকেল ৪টা থেকে সাড়ে ৫টা দেড় ঘণ্টা ধরে অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় অংশ নেন ২৪৫ জন পরীক্ষার্থী।

বাউবি গাজীপুর ক্যাম্পাসের আইসিটি ইউনিট থেকে পরীক্ষা পর্যবেক্ষণ করেন সংশ্লিষ্ট স্কুলের শিক্ষকেরা।

এ প্রসঙ্গে এসএসসি নিশ-২ পরীক্ষা কমিটির সভাপতি ড. মো. শহীদুর রহমান বলেন, বিশ্বজুড়ে স্টাডি সেন্টার খোলার পরিকল্পনা আমাদের। আপাতত সৌদি, কাতার, দ. কোরিয়া, ইতালিতে কার্যক্রম চলমান। এখানে অবস্থানরত বাঙালি রেমিটেন্স যোদ্ধারা বাউবি নিশ-২ এর শিক্ষার্থী। তাদের দক্ষতা বৃদ্ধি, আত্মমযার্দা সম্পন্ন মানুষ ও অসম্পূর্ণ শিক্ষাকে চলমান রাখতে বাউবি কাজ করে যাচ্ছে। পরীক্ষার্থীরা সার্বক্ষণিক ক্যামেরা আওতাধীন, জুমের মাধ্যমে অনলাইনে পরীক্ষা মনিটরিং করছি আমরা। ফলে অসাধুপন্থা অবলম্বনের সুযোগ থাকে না।

এইচএসসি পরীক্ষা কমিটির সভাপতি সহযোগী অধ্যাপক আব্দুস সাত্তার বলেন, জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) তথ্য অনুযায়ী, ১৯৭৬ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ৪৬ বছরে বিদেশে কর্মসংস্থানের জন্য গেছেন মোট ১ কোটি ৪৭ লাখ ৭০ হাজার ৩৪ জন। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরে প্রথম ১১ মাসে (জুলাই-মে) বাংলাদেশে রেমিট্যান্স এসেছে ১ হাজার ৯৪১ কোটি ১৭ লাখ ডলার।

তিনি আরও বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে তুলনামূলক সস্তা শ্রম বিক্রি হয় আমাদের রেমিটেন্স যোদ্ধাদের। তাদের ভাষা দুর্বলতা, অসম্পূর্ণ শিক্ষা, বাস্তব কর্ম জ্ঞান ও অনভিজ্ঞতা এ জন্য দায়ী। বাউবির উদ্যোগ এবং ওডিএল সিস্টেম দক্ষতা, শ্রম মূল্য বাড়িয়ে আরেকধাপ এগিয়ে যাবে, তারা চৌকষ, দক্ষ মানবসম্পদ এ পরিণত হবে। ফলে বাড়বে আমাদের রেমিটেন্স।


banner close