বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫
২৫ আষাঢ় ১৪৩২

এসএস পাওয়ারের বিদ্যুৎকেন্দ্র ফের উৎপাদনে আসবে ২০ জুন

প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত : ১৫ জুন, ২০২৩ ১৯:০০

চট্টগ্রামের বাঁশখালীর গন্ডামারার এস আলম ও চীনের সেপকোর যৌথ মালিকানাধীন এসএস পাওয়ার প্লান্টটি পরীক্ষামূলকভাবে ফের উৎপাদনে আসবে আগামী ২০ জুন। এ সময় কেন্দ্রটি থেকে ১ হাজার ২২৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে।

বৃহস্পতিবার এসএস পাওয়ারের পক্ষে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিদ্যুৎকেন্দ্রটি পরীক্ষামূলকভাবে ৩০০ থেকে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করছিল। কয়লার অভাবে গত ৮ জুন বন্ধ হয়ে যায়।

আগামী ১৮ জুন কেন্দ্রটিতে আমদানি করা কয়লার জাহাজ এসে পৌঁছাবে। এরপর ২০ জুন থেকে আবার চালু হবে এসএস পাওয়ার নামের বিদ্যুৎকেন্দ্রটি। আগামী জুলাই মাসে কেন্দ্রটি বাণিজ্যিক উৎপাদনে যাবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আসন্ন ঈদ-উল-আযহার পর পাওয়ার প্ল্যান্টটি আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হবে। আগামী ২০ জুন থেকে ফের কেন্দ্রটি পরীক্ষামূলক উৎপাদন শুরু করবে। এ সময় গ্রিডে ১ হাজার ২২৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আসবে এসএস পাওয়ার থেকে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কেন্দ্রটির দুইটি ইউনিট উৎপাদন সচল রাখার জন্য পর্যাপ্ত কয়লার সরবারহ এরইমধ্যে নিশ্চিত করা হয়েছে। কয়লার একটি জাহাজ আগামী ১৮ জুনের মধ্যেই চলে আসবে এবং আরও একটি জাহাজ এ মাসের শেষে আসবে। পর্যায়ক্রমে আসবে ৭ লাখ টন কয়লা।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিদ্যুৎকেন্দ্রটিতে কয়লার সংকট নেই। বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিদ্যুৎ সঞ্চালনের দায়িত্বে থাকা পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) গ্রিড সঞ্চালনের কাজ এখনো পুরোপুরি শেষ হয়নি।

এ প্রসঙ্গে এসএস পাওয়ারের চিফ ফিনান্সিয়াল অফিসার মো. ইবাদত হোসেন ভুইয়া বলেন, ‘আমরা সফলভাবে প্রথম ইউনিটের পরীক্ষামূলক বিদ্যুৎ উৎপাদন কার্যক্রম সম্পন্ন করেছি এবং দ্বিতীয় ইউনিটের টেস্টিং ও কমিশনিং কার্যক্রম চলমান রয়েছে। জ্বালানি হিসেবে কয়লার নির্বিঘ্ন সরবরাহ নিশ্চিত করতে সব ধরনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।’

দেশীয় প্রতিষ্ঠান এস আলম ও চীনা প্রতিষ্ঠান সেপকো থ্রি-এর যৌথ মালিকানায় ২ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার বা ২৮ হাজার কোটিরও বেশি টাকা ব্যয়ে এসএস পাওয়ার প্ল্যান্টটি নির্মাণ করা হয়েছে।


নির্বাচনের জন্য ডিসেম্বরের মধ্যে আইনশৃঙ্খলার প্রস্তুতির নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

জাতীয় নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করার জন্য সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে ডিসেম্বরের মধ্যে প্রয়োজনীয় সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

আজ বুধবার প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে চলা এক সভায় প্রধান উপদেষ্টা এই নির্দেশ দেন।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের বৈঠকের বিষয়ে ব্রিফ করেন।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীর এবং আবুল কালাম আজাদ মজুমদার ও সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব আহমেদ ফয়েজ ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে নির্বাচনের আগে, নির্বাচনের সময় ও নির্বাচনের পরে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য সাত দিনের জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েনের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানান তিনি।

তিনি জানান, আসন্ন নির্বাচনে প্রায় ৮ লাখ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য নিয়োজিত থাকবেন এবং নির্বাচনের আগে তাদের আরও প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।


তথ্য উপদেষ্টার সঙ্গে ইউনেস্কোর বাংলাদেশ প্রতিনিধির সাক্ষাৎ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলমের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন ইউনেস্কোর বাংলাদেশ প্রতিনিধি সুসান ভাইজ।

বুধবার (৯ জুলাই) বিকেলে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে এই সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।

সাক্ষাৎকালে উপদেষ্টা জানান, গণমাধ্যম সংস্কারের লক্ষ্যে সরকার ইতোমধ্যে বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছে। সংবাদপত্রের প্রচারসংখ্যা নিরীক্ষা পদ্ধতির সংস্কারে টাস্কফোর্স গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এছাড়া, সাংবাদিকতার অধিকার সুরক্ষা-সংক্রান্ত অধ্যাদেশ প্রণয়নের কাজ চলছে। স্বল্প সময়ের মধ্যে অধ্যাদেশ জারি করা হবে। গণমাধ্যম-বিষয়ক আরও কিছু সংস্কার কার্যক্রম আগামী কয়েক মাসের মধ্যে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।

বাংলাদেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বর্তমান সময়ে গণমাধ্যমের ওপর সরকারের পক্ষ থেকে কোনো চাপ নেই। সংবাদ প্রচারের ক্ষেত্রে গণমাধ্যম সম্পূর্ণ স্বাধীন। সাক্ষাতে উপদেষ্টা আরও জানান, গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান ও সংশ্লিষ্ট অংশীজনের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে সংবাদপত্র ও সাংবাদিকদের জন্য অনুসরণীয় আচরণবিধি প্রণয়নেও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

সাক্ষাৎকালে ইউনেস্কোর আন্তর্জাতিক কনসালটেন্ট লিনা ফক্স উপস্থিত ছিলেন।


যুক্তরাষ্ট্রসহ ৫ দেশে ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু করার সম্মতি পেয়েছে ইসি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

যুক্তরাষ্ট্রসহ পাঁচ দেশে ভোটার নিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদান কার্যক্রম শুরু করার সম্মতি পেয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। অন্য চারটি দেশ হল- মালদ্বীপ, জর্ডান, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ওমান।

বুধবার (৯ জুলাই) যুক্তরাষ্ট্রসহ পাঁচ দেশে ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু করার জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মতি পত্র পেয়েছে ইসি।

বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব শাকেরা আহমেদ স্বাক্ষরিত ইসিকে দেওয়া সম্মতি প্রদান সংক্রান্ত চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘উপর্যুক্ত বিষয়ে পত্রের প্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্র (লস এঞ্জেলেস), মালদ্বীপ, জর্ডান, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ওমানে ভোটার নিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) প্রদান কার্যক্রম চালু করার বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মতি জ্ঞাপন করা হলো। এ বিষয়ে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।’

এর আগে গত ২ জুলাই ইসির জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের পরিচালক (নিবন্ধন ও প্রবাসী) মো. আব্দুল মমিন সরকার স্বাক্ষরিত ‘প্রবাসে বসবাসরত বাংলাদেশি নাগরিকগণের প্রবাসেই ভোটার নিরন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদানের লক্ষ্যে কার্যক্রম শুরুর সম্মতি প্রদান’ সংক্রান্ত এ চিঠি পররাষ্ট্র সচিবকে দেওয়া হয়।

চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘বিশ্বের ৪০টি দেশে প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিকগণকে জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদানের লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন সচিবালয় কর্তৃক পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মতিক্রমে সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব, ইতালি, যুক্তরাজ্য, কুয়েত, কাতার, মালয়েশিয়া, অস্ট্রেলিয়া ও কানাডায় ভোটার নিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদান কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।

অবশিষ্ট ৩১টি দেশের মধ্যে আজ বুধবার যুক্তরাষ্ট্র, ওমান, জর্ডান, দক্ষিণ আফ্রিকা, মালদ্বীপে প্রবাসী ভোটার তালিকা করার সম্মতি আজ পেয়েছে। এখন অবশিষ্ট আছে বাহরাইন, লেবানন, লিবিয়া, সুদান, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়া, হংকং, মিশর, ব্রুনাই, মরিশাস, ইরাক, যুক্তরাষ্ট্র, গ্রিস, স্পেন, জার্মানি, জাপান, ফ্রান্স, নেদারল্যান্ড, বেলজিয়াম, সুইজারল্যান্ড, ব্রাজিল, চীন, ইন্দোনেশিয়া, নিউজিল্যান্ড, রাশিয়া, তুরস্ক ও সাইপ্রাস।

চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘উপর্যুক্ত দেশগুলোতে ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রম শুরুর সকল প্রস্তুতি নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের রয়েছে। অন্যান্য দেশের ন্যায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সম্মতি প্রদানের জন্য সিনিয়র সচিব, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বরাবর পত্র প্রেরণ করা হয়।

চিঠিতে আরো বলা হয়, এর মধ্যে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গত ২৫ মে জাপানে ভোটার নিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদান কার্যক্রম শুরু করার সম্মতি প্রদান করেছে। এ প্রেক্ষিতে আগামী ১৫ জুলাইয়ে মধ্যে এ কার্যক্রম শুরুর প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।

এ অবস্থায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে যুক্তরাষ্ট্র, মালদ্বীপ, তুরস্ক, জর্ডান, দক্ষিণ আফ্রিকা, ওমান, মিশর ও ফ্রান্সে ভোটার নিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদানের কার্যক্রম শুরুর লক্ষ্যে অন্যান্য দেশের ন্যায় সম্মতি প্রদানের জন্য অনুরোধ করা হয়। এ দেশগুলোতে ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রম শুরুর সকল প্রস্তুতি নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের রয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইসির জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ এস এম হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘আট দেশে ভোটার নিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদান কার্যক্রম শুরু করার জন্য আমাদের (ইসি) প্রস্তুতি থাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছি। এ বিষয়ে ইতোমধ্যে কাজ শুরু হয়েছে।

ইসির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বর্তমানে সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব, যুক্তরাজ্য, ইতালি, কুয়েত, কাতার, মালয়েশিয়া, অস্ট্রেলিয়া ও কানাডায় প্রবাসীদের ভোটার নিবন্ধন ও এনআইডি প্রদানের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এসব দেশ থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ৪৭ হাজার ৩২ জন প্রবাসী ভোটার হতে আবেদন করেছেন। এর মধ্যে মিশন অফিস ২৯ হাজার ৫৬৩ জনের বায়োমেট্রিক গ্রহণ করেছে। ২০ হাজার ৪৫১ জনকে ভোটার হিসেবে অন্তর্ভুক্তির অনুমোদন দিয়েছে। আবেদন বাতিল হয়েছে ৩ হাজার ৬৭৭ জনের।


নেতৃত্ব যার কাছেই থাকুক, দ্রুত বাংলাশের সঙ্গে বিনিয়োগ চুক্তি চায় চীন

ইয়াও ওয়েন। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেছেন, বাংলাদেশের নেতৃত্ব যার কাছেই থাকুক, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়িয়ে দেশের টেকসই উন্নয়ন ও জনজীবনের মানোন্নয়নে সহায়তা অব্যাহত রাখবে চীন।

আজ বুধবার রাজধানীতে আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এ অঙ্গীকার করেন।

তিনি বলেন, বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ গঠনে প্রাতিষ্ঠানিক সুরক্ষা জরুরি। এ লক্ষ্যে বাংলাদেশ ও চীন যৌথভাবে কাজ করবে। পাশাপাশি, দ্বিপক্ষীয় বিনিয়োগ চুক্তি এবং মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) দ্রুত আলোচনার টেবিলে আনার আহ্বান জানান বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত ওয়েন।

রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘এই উদ্যোগ চীনা উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আস্থা ও আগ্রহ আরও বাড়াবে। বাংলাদেশি বন্ধুদের বলছি— চুক্তির বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নিন।’

সেমিনারে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন বলেন, ‘আমাদের একটা প্রবণতা ছিল—প্রতিশ্রুতি দেই, বাস্তবায়ন করি না। তবে সরকার এখন সেই সংস্কৃতি পরিবর্তনের চেষ্টা করছে। আশাকরি, আপনি (রাষ্ট্রদূত) বড় পরিবর্তন দেখবেন।’

বাংলাদেশে চীনা ব্যবসায়ী সংগঠন চাইনিজ এন্টারপ্রাইজ অ্যাসোসিয়েশন ইন বাংলাদেশ (সিইএবি) আয়োজিত ‘চীন–বাংলাদেশ শিল্প ও সরবরাহ চেইন সহযোগিতা’ শীর্ষক সেমিনারটি আয়োজন করে। এ সময়, শিল্প ও খাতভিত্তিক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।

বিডা চেয়ারম্যান ছাড়াও বিভিন্ন সরকারি সংস্থা, বিভাগ ও দুই দেশের ব্যবসায়ী নেতারা সেমিনারে অংশ নেন।

রাষ্ট্রদূত বলেন, দুই দেশের নেতার কৌশলগত দিকনির্দেশনা অনুসরণ করে 'সুবর্ণ জয়ন্তী' সামনে রেখে উচ্চমানের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ বাস্তবায়ন, শিল্প ও সরবরাহ চেইন একীভূতকরণ, বিনিয়োগ ও বাণিজ্য বৃদ্ধির মাধ্যমে অর্থনৈতিক সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে।

সেমিনারে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, সড়ক ও সেতু, বন্দর, টেক্সটাইল ও গার্মেন্টস, বাণিজ্য ও সেবা, রেলপথ ও বেসামরিক বিমান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি এবং পানি ও পরিবেশ খাতভিত্তিক গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়। এতে বাজার বিশ্লেষণ, বিনিয়োগ সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ তুলে ধরা হয়েছে।

রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘দুই দেশের যৌথ প্রচেষ্টায় বাংলাদেশে চীনা কোম্পানিগুলো আরও সমৃদ্ধ হবে এবং দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন এবং জনগণের জীবনমান উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন রূপান্তরের সন্ধিক্ষণে। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অর্থনীতি স্থিতিশীল ও ইতিবাচক ধারায় রয়েছে, ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ ক্রমশ উন্নত হচ্ছে—ফলে দক্ষিণ এশিয়ার একটি নতুন বিনিয়োগ গন্তব্যে পরিণত হচ্ছে বাংলাদেশ।’

রাষ্ট্রদূত জানান, চীনা কোম্পানিগুলো বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বিদেশি বিনিয়োগকারী গোষ্ঠী। তাদের দীর্ঘমেয়াদি অভিজ্ঞতা ও পর্যালোচনার আলোকে প্রকাশিত ১০টি প্রতিবেদনের মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকার উপকৃত হবে।

চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে বাংলাদেশে চীনা বিনিয়োগ ৩.৭ গুণ বেড়েছে। গত আগস্ট থেকে প্রায় ২০টি চীনা কোম্পানি বাংলাদেশি অংশীদারদের সঙ্গে চুক্তি সই করেছে। এসব চুক্তির সম্ভাব্য মোট বিনিয়োগের পরিমাণ ৪০ কোটি মার্কিন ডলার ছাড়িয়েছে।

অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে বাংলাদেশে সর্ববৃহৎ সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগকারী দেশ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে চীন।

চট্টগ্রাম চায়নিজ ইকোনমিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল জোন নির্মাণ কাজ শুরু হতে যাচ্ছে।

বাহেরচর দ্বীপে চীনের ‘অ্যাগ্রিভোলটাইক্স ইকোনমিক জোন’ সংক্রান্ত দলিল সই হয়েছে। পাশাপাশি, মোংলা বন্দর এলাকায় চীন-বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চলের কাজও এগিয়ে চলেছে।

রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, চীন কেবল বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকেই নয়, ভবিষ্যতের নির্বাচিত সরকারকেও সমর্থন করে এবং বাংলাদেশ নিয়ে তাদের রয়েছে পূর্ণ আস্থা।


মাদ্রাসা শিক্ষায় অতীত ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে হবে

আপডেটেড ৯ জুলাই, ২০২৫ ১৯:৪০
বাসস

ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থার অতীত ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে হবে। এ শিক্ষা ব্যবস্থার স্বাতন্ত্র্য বজায় রাখতে হবে।

তিনি বলেন, মাদ্রাসা শিক্ষা একটি বিশেষায়িত শিক্ষা ব্যবস্থা। একে ধরে রাখতে হবে। অতি আধুনিকতার নামে এ শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংসের মুখে পতিত হতে দেওয়া যাবে না।

বুধবার (৯ জুলাই) ঢাকার আইডিইবি মিলনায়তনে ‘টেকসই উন্নয়নে আলিয়া মাদ্রাসা শিক্ষা ধারা: চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।

বাংলাদেশ মাদ্রাসা ছাত্রকল্যাণ পরিষদ এ সেমিনারের আয়োজন করে।

ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, আলিয়া মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থা যুগযুগ ধরে সমগ্র ভারত উপমহাদেশে ইসলামি জ্ঞান চর্চা, মূল্যবোধের বিকাশ ও ইসলামি চিন্তাধারা প্রসারে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখে আসছে। কিছু ত্রুটি-বিচ্যূতি থাকলেও এ শিক্ষা ব্যবস্থার অবদান বিশাল।

তিনি আরও বলেন, কোলকাতা আলিয়া মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার পর থেকে দেওবন্দ মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার পূর্ব পর্যন্ত মধ্যবর্তী ৮৬ বছর আলিয়া মাদ্রাসা শিক্ষায় শিক্ষিত আলেম-ওলামারাই ভারতে জ্ঞানের মশাল জ্বেলেছিলেন। এখনও আলিয়া মাদ্রাসা থেকে শিক্ষা অর্জন করে অনেক আলেম-ওলামা সমাজের বিভিন্ন স্তরে তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছেন।

তিনি হীনম্মন্যতা বোধ থেকে বের হয়ে আসতে সকলকে অনুরোধ জানান।

ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থার টুটি যারা চেপে ধরতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে। ফ্যাসিবাদ যেন পুনরায় সৃষ্টি হতে না পারে, সে বিষয়ে সকলকে সতর্ক থাকতে হবে।

মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদেরকে হতাশাগ্রস্ত না হয়ে, আশাবাদী হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।

মাদ্রাসা শিক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরে ড. খালিদ বলেন, বিগত ষোল বছর মাদ্রাসা শিক্ষাকে অবদমিত করে রাখা হয়েছিলো। সাধারণ কোন বিষয়ে অনার্স চালু করার ক্ষেত্রে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ছিলো ইতিবাচক, কিন্তু ইসলামি স্টাডিজ, আরবি সাহিত্য, ইসলামের ইতিহাস প্রভৃতি বিষয়ের ক্ষেত্রে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের দৃষ্টিভঙ্গি ছিলো নেতিবাচক। এই ধারা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তুলে দেওয়া হয়েছে। এখন মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থা উন্নত হবে।

বাংলাদেশ মাদ্রাসা ছাত্রকল্যাণ পরিষদের উপদেষ্টা অধ্যক্ষ মাওলানা যাইনুল আবেদীনের সভাপতিত্বে এ সেমিনারে প্রধান আলোচক ছিলেন ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মো. শামসুল আলম।

এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের কারিকুলাম বিশেষজ্ঞ ড. মোহাম্মদ হেদায়েত উল্লাহ।

সেমিনারে অন্যান্যের মধ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. আহমদ আলী, ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডীন অধ্যাপক মো. অলিউল্লাহ, বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্র শিবিরের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।


বরিশাল-ভোলা মহাসড়ক অবরোধে ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষার্থীরা, পুলিশের লাঠিচার্জে আহত ২০

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বরিশাল প্রতিনিধি 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্তি বাতিল করে বিআইটি মডেলের মতো স্বাধীন কমিশন গঠনের এক দফা দাবিতে বরিশাল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষার্থীরা বুধবার সকাল ১০টা থেকে বরিশাল-ভোলা মহাসড়ক অবরোধ করেন। প্রায় চার ঘণ্টা ধরে সড়কে গাছের গুঁড়ি ফেলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে আন্দোলনে অংশ নেন তারা। এতে উভয় দিকের যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়, আর ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা।

শিক্ষার্থীরা জানান, দীর্ঘ দুই মাস ধরে তারা স্বতন্ত্র কমিশন গঠনের দাবিতে ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করে একাডেমিক কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ রেখে আন্দোলন চালিয়ে আসছেন। কিন্তু ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ কোনো কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়ায় তারা বাধ্য হয়েই সড়ক অবরোধ করেন।

একপর্যায়ে পুলিশ আন্দোলনকারীদের সরাতে লাঠিচার্জ করলে উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, পুলিশের মৃদু লাঠিচার্যে তাদের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। পরে শিক্ষার্থীরা সড়ক থেকে সরে এসে কলেজ ক্যাম্পাসের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ চালিয়ে যান।

শিক্ষার্থীরা স্পষ্ট জানিয়ে দেন, তাদের এক দফা দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন এবং সড়ক বা ক্যাম্পাস ছাড়বেন না।

এদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বন্দর থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। তবে শিক্ষার্থীরা দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন। পুলিশের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য পাওয়া না গেলেও, বরিশাল সদর উপজেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (ভূমি) আজহারুল ইসলাম জানান, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনা চলছে। তাদের প্রতিনিধি দলকে জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে দায়িত্বশীলদের সঙ্গে বসানো হবে বলেও আশ্বাস দেন তিনি।

বরিশাল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের অধ্যক্ষ লিটন রাব্বানী জানান, শিক্ষার্থীদের দাবি সম্পর্কে মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। দ্রুত সমাধানের আশ্বাসও দেন তিনি।


প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ভুটানের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

বাংলাদেশ ভুটানকে যে সকল অবকাঠামোগত সুবিধা প্রদান করছে, তার সর্বোচ্চ সদ্ব্যবহার করতে দেশটির প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি উল্লেখ করেন, দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা সম্প্রসারণের জন্য এখনো উল্লেখযোগ্য সম্ভাবনা রয়েছে।

বাংলাদেশে নবনিযুক্ত ভুটানের রাষ্ট্রদূত দাশো কারমা হামু দর্জি আজ বুধবার ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ আহ্বান জানান।

রাষ্ট্রদূত দর্জি ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা বার্তা অধ্যাপক ইউনূসের কাছে পৌঁছে দেন।

দীর্ঘদিনের ঐতিহাসিক সম্পর্ক ও বিদ্যমান চমৎকার সহযোগিতার কথা তুলে ধরে রাষ্ট্রদূত দর্জি বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ভুটানকে বিশেষ করে চিকিৎসা শিক্ষা এবং বাংলাদেশে একটি ভুটানি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

তিনি ভুটান ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও গভীর করার আগ্রহের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।

উভয় দেশের জনগণের মধ্যে সম্পর্কের গুরুত্ব তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, দুই দেশের যুবসমাজের একে অপরের দেশ ভ্রমণের মাধ্যমে পারস্পরিক সংস্কৃতি বোঝা ও বন্ধন সুদৃঢ় করা উচিত।

প্রধান উপদেষ্টা উল্লেখ করেন যে বাংলাদেশ সার্কের চেতনাকে ধরে রাখতে ও চালিয়ে যেতে আগ্রহী।
প্রধান উপদেষ্টা রাষ্ট্রদূতকে বাংলাদেশে স্বাগত জানিয়ে তাকে পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দেন এবং আশা প্রকাশ করেন যে, তার কার্যকালীন সময়ে দুই দেশের সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে।


বাইপাস লাইন ও অনুমোদন অতিরিক্ত গ্যাস ব্যবহারের অপরাধে গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০

তিতাস গ্যাস কর্তৃক গ্যাসের অবৈধ ব্যবহার শনাক্তকরণ এবং উচ্ছেদ অভিযান কার্যক্রম চলমান রয়েছে। নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে গত ০৭ জুলাই (সোমবার) ২০২৫ তারিখে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন এন্ড ডিষ্ট্রিবিউশন পিএলসি -এর আঞ্চলিক ভিজিল্যান্স বিভাগ -নারায়ণগঞ্জ এর আওতাধীন বিশেষ টীম কর্তৃক আঞ্চলিক বিক্রয় বিভাগ-নারায়ণগঞ্জ এর অধীনস্হ জোবিঅ-মুন্সিগঞ্জ এলাকায় রাত ১১.৪৫ টায় অভিযান পরিচালিত হয়েছে। অভিযান পরিচালনাকালে জোবিঅ-মুন্সিগঞ্জ এর ০২(দুই) টি গ্রাহক মেসার্স আল মদিনা বোর্ড মিলস এবং মেসার্স বিসমিল্লাহ বোর্ড মিলস, মিরেরশ্বর, পঞ্চসার ,মুন্সিগঞ্জ এর আঙ্গিনা পরিদর্শনকালীন সময়ে আলোচ্য গ্রাহকসমূহকে মিটার বাইপাস এর মাধ্যমে গ্যাস ব্যবহাররত পাওয়া যায়। এমতাবস্থায় ০২ টি গ্রাহকের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করত: সনাক্তকৃত বাইপাস লাইনসমূহ কিলিং ও ক্যাপিং করা হয়েছে। উক্ত গ্রাহকসমূহের বিরুদ্ধে মুন্সিগঞ্জ থানায় জিডি (General Diary) করা হয়েছে।

০৮ জুলাই (মঙ্গলবার) ২০২৫ তারিখে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন এন্ড ডিষ্ট্রিবিউশন পিএলসি -এর ভিজিল্যান্স বিভাগ কর্তৃক পরিদর্শনে জোবিঅ -মিরপুর এর আওতাধীন ২টি বাণিজ্যিক ও ১টি আবাসিক গ্রাহকের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এডভান্স অ্যাট্যায়ার (৩০৪-০০০২৯৯), ২৫/২ শাহ আলি বাগ, মিরপুর, ঢাকা এর আঙ্গিনা পরিদর্শনকালে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানটির অনুমোদিত ২৩৫ কেজি বয়লারের পরিবর্তে ১টি ৫০০ কেজি বয়লার এ গ্যাস ব্যবহার করছেন। অননুমোদিত/অনুমোদন অতিরিক্ত স্থাপনায় গ্যাস ব্যবহার করায় সংশ্লিষ্ট ইএসএস সহায়তায় সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতঃ ইনলেট ভালভে প্লাস্টিক সিল স্থাপন করা হয়েছে। টিএমএস গার্মেন্টস লি. (২০৪-০০০১০৮০), ২৫/২ শাহ আলি বাগ, মিরপুর, ঢাকা এর আঙ্গিনা পরিদর্শনকালে গ্রাহকের অনুমোদিত ১৫০ কেজি বয়লারের স্থলে একটি ৩৫০ কেজি বয়লার এ গ্যাস সংযোগ পরিলক্ষিত হয়। অননুমোদিত/ অনুমোদন অতিরিক্ত স্থাপনায় গ্যাস ব্যবহার করায় সংশ্লিষ্ট ইএসএস সহায়তায় সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতঃ ইনলেট ভালভে প্লাস্টিক সিল স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়াও, অভিযোগের প্রেক্ষিতে মো: হোসেন (গ্রা.সং-১০৪-৫৬২৪৬), ঠিকানা -১/এ, রোড-৯, হাউজ-১/সি এর আঙিনা ভিজিল্যান্স বিভাগ কর্তৃক সরজমিনে পরিদর্শন করা হয়েছে। পরিদর্শনে সাড়ে নয় তলা বিশিষ্ট ভবনে ২৬(ছাব্বিশ)টি ডাবল চুলায় গ্যাস সংযোগ পরিলক্ষিত হয়। লেজার অনুযায়ী গ্রাহকের অনুমোদিত চুলার সংখ্যা ০৩(তিন)টি ডাবল। অনুমোদন অতিরিক্ত ২৩(তেইশ)টি ডাবল চুলায় গ্যাস ব্যবহার জনিত কারনে সংযোগটি সংশ্লিষ্ট জোনের সহযোগিতায় তাৎক্ষণিকভাবে বিচ্ছিন্ন করে প্লাস্টিক সীল স্থাপন করা হয়েছে।

এছাড়া, তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন এন্ড ডিষ্ট্রিবিউশন পিএলসি -এর আঞ্চলিক রাজস্ব শাখা -ভালুকা, রাজস্ব উপশাখা -কিশোরগঞ্জ -এর বিশেষ অভিযানে বকেয়ার জন্য ৩টি আবাসিকের ০৩টি ডাবল চুলার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এ সময় ২জন গ্রাহকের কাছ থেকে তাৎক্ষনিক ৮৮,৭৪০/-টাকা আদায় করা হয়েছে।

এছাড়াও, মেসার্স মেগা ইয়ার্ণ ডায়িং মিলস্ লিঃ, সারদাগঞ্জ, কামিশপুর -এর গ্যাস বিল বকেয়ার কারণে উভয় রানের গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।


নির্বাচনের আগেই ফ্যাসিস্টদের বিচার হবে : আইন উপদেষ্টা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেছেন, আজকে বিচার নিয়ে নানা প্রশ্ন আসছে, নিশ্চিত করে বলতে পারি, বিচারব্যবস্থা পূর্ণ গতিতে চলছে, বিচার পূর্ণমাত্রায় দৃশ্যমান আছে। আমি নিশ্চিতভাবে বিশ্বাস করি নির্বাচনের আগে ফ্যাসিস্টদের অবশ্যই বিচার হবে।

তিনি বলেন, আমাদেরকে বিচারব্যবস্থাটা গ্রহণযোগ্য করতে হবে। তাই আপনারা নিশ্চিত থাকেন, আপনাদের হতাশ হবার কারণ নাই। আমরা যখন সরকারের দায়িত্ব নিয়েছিলাম, তখন চিন্তা ছিল, বিচারের কথা, সংস্কারের কথা, জুলাইয়ের শহীদদের পুনর্বাসনের কথা এবং নির্বাচনের কথা। আমাদের বিচারটা গ্রহণযোগ্য করতে হবে।

গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘর মিলনায়তনে ২০২৪ এর জুলাইয়ে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের ঐতিহাসিক ঘটনাকে কেন্দ্র করে নির্মিত আরিফুর রহমান পরিচালিত তথ্যচিত্র ‘শ্রাবণ বিদ্রোহ, (জুলাই আপরাইজিং ) এর প্রিমিয়ার শো উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, ‘শেখ হাসিনার ফ্যাসিস্ট দলের লোকজন হাজার হাজার কোটি টাকা নিয়ে বসে আছে এই বিচার প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করতে। এই বিচার প্রক্রিয়া তারা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তদন্ত করে বিশ্ববাসীকে বিভ্রান্ত করবে। বাংলাদেশের মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করবে। তাই আমরা সর্বোচ্চমানের শ্রেষ্ঠ একটা বিচার করতে চাইছি।’

তিনি বলেন, ‘আমার দৃঢ় বিশ্বাস,বাংলাদেশের জুলাই কখনো বেহাত হবে না। অনেক কিছু বলতে পারছি না। শুধু বলব আমাদের হতাশ হবার কিছু নাই।’

আইন উপদেষ্টা বলেন, জুলাই আন্দোলনে একটা স্লোগানের কথা নিশ্চয়ই মনে আছে সবার, ‘কথায় কথায় বাংলা ছাড়; বাংলা কি তোর বাপদাদার।’ এই দেশ বাংলাদেশ আমাদের সবার। জুলাই আসলে জুলাইয়ের কথা বেশি করে মনে পড়ে। চোখের সামনে ভেসে উঠে ছোট ভাইয়ের লাশ নিয়ে দুইবোন মিছিল করছে, এপিসি থেকে ইয়ামিনের দেহটা ফেলে দিচ্ছে; তখনো সে মরে যায়নি। তাকে নিয়ে টানাহেঁচড়া করছে, একজন মা পানি বিলি করছে,মাদ্রাসার ছেলেরা লড়াই করছে। কিছু রিকশাচালক ভাই সিটের উপরে দাঁড়িয়ে ম্লোগান দিচ্ছে-আমার মনে হয় না, বাংলাদেশের ইতিহাসে এমন কোন মহাকাব্যিক ঘটনা ঘটেছে।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে আরো বক্তৃতা করেন তথ্য উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী এবং শহীদ সাংবাদিক তাহির জামান প্রিয়’র মা শামসি আরা জামান। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক মাহবুব মোর্শেদ সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

তথ্য উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম বলেন, বিগত ১৬ বছরে দেশের জনসাধারণ নিপীড়ন, হত্যা, গুম ও খুনের শিকার হয়েছেন। আমরা ফ্যাসিবাদীদের উৎখাত করেছি। জুলাই অভ্যুত্থানকে কেন্দ্র করে বারবার নানা অনুষ্ঠান করতে হবে।

তিনি বলেন, যারা অধিকার আদায়ে শহীদ হয়েছেন ও শহীদ পরিবারের সবার যে ভূমিকা রয়েছে সেসব স্মৃতিকে সবার মাঝে বারবার মনে করিয়ে দিতে এবং এ ক্ষেত্রে অঅমাদের কি দায়িত্ব ও কর্তব্য স্মরণ করে দিতে এ ধরনের অনুষ্ঠান বেশি করতে হবে।

ফ্যাসিবাদের উৎখাতে এ ধরনের অনুষ্ঠান উৎসাহ ও প্রেরণা জোগাবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, শুধু জুলাই মাস নয় প্রতি মাসেই শহীদদের স্মরণ করব এবং প্রতিটি পদক্ষেপে তাদের স্মরণ করে যাবো। আমাদের অনেক অর্জন আছে, আবার কাঙ্ক্ষিত আকাঙ্ক্ষার কাছাকাছি যেতে পারিনি। এই লড়াইয়ের ইতিহাস দীর্ঘ, অনেক দিনের লড়াই। এই লড়াইয়ের ইতিহাস এক বছর, দুই বছর নয়।

মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, জুলাইয়ের আন্দোলন আসলে ৩৬ দিনের আন্দোলন নয়, এটা ৫৪ বছরের আন্দোলন। বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল ঠিকই মাঝে ৫-৭ বছর মোটামুটি স্বাধীনভাবে কাজ করতে পেরেছে, কিন্তু রাষ্ট্র হিসেবে সেসময়টা বেশিদিন পাওয়া যায়নি।

তিনি বলেন, এখন প্রধান কাজ হচ্ছে সাংস্কৃতিকভাবে জবাব দেওয়া। নতুন কিছু সৃষ্টির চিন্তা করছি। এসময়ে আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি হচ্ছে সত্যের পক্ষে আছি। ফ্যাসিস্টরা নানাভাবে সত্যকে মিথ্যে প্রমাণ করতে চাইছে। জনগণের ন্যায্য আন্দোলনকে কেউ দাবিয়ে রাখতে পারবে না। সত্য আমাদের চোখের সামনে যেভাবে ঘটেছে। যেসব ঘটনা ঘটেছে সেসবগুলোকে ইন্টেলেকচুয়াল ফ্রেমের মধ্যে আনতে হবে। এটাকে ব্যাখ্যার মধ্যে আনতে হবে। সত্যের পক্ষে মানুষ বেশি।

তিনি বলেন, আমি অনেক শহীদ পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি। যারা আন্দোলন করেছে তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের স্লোগানকে দেখেন, তরুণদের মুখের অভিব্যক্তি দেখেন, তাদের মূল কথাটা ছিল ,তারা আর কারো অধীনে থাকতে চায় না। এটা গুরুত্বপূর্ণ।

আদিলুর রহমান বলেন, ফ্যাসিবাদ বারবার ফিরে আসতে চাইবে। তাদের দমন করতে হবে,তাদের ঠেকাতে হবে। বাংলাদেশের মানুষ বিচারহীনতার সংস্কৃতিতে নিমজ্জিত ছিল। নতুন যে প্রজন্ম গড়ে উঠবে তাদের যেন এ ধরনের সংকট মোকাবেলা করতে না হয়।

তিনি বলেন, আমরা কখনোই মানবাধিকার লঙ্ঘন হতে দেব না। আমরা ফ্যাসিবাদের যেন পুনরুত্থান না হয় তা নিশ্চিত করব। বাংলাদেশ যে ফ্যাসিবাদকে কবর দিয়েছে সে কবর যেন আর মাথা তুলতে না পারে।

শহীদ আবু সাঈদের পিতা মো. মকবুল হোসেন বলেন, আমার ছেলে চলে গেছে এক বছর পূর্ণ হলো। আমার ছেলেসহ শহীদদের হত্যার বিচার এখন পর্যন্ত হয়নি। আমি দ্রুত এসব হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করছি।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবা ফারজানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ (পিআইবি)’র মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ। তথ্যচিত্রটি প্রযোজনা করেছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।


ধানমন্ডিতে নির্মাণাধীন ভবনে ১২ জন সাবেক সচিব ও বিচারকের ফ্ল্যাট বরাদ্দ বাতিল

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকায় একটি নির্মাণাধীন ভবনে ফ্ল্যাট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী আমলা ও বিচারককে। গতকাল মঙ্গলবার অবসরপ্রাপ্ত ১২ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার ওই সব ফ্ল্যাট বরাদ্দ বাতিল করেছে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয় বলেছে, এসব ফ্ল্যাট বরাদ্দ দেওয়ার ক্ষেত্রে নীতিমালা ভেঙে প্রভাব খাটানোর অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে।

গৃহায়ণ গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

ধানমন্ডি আবাসিক এলাকার ৬ নম্বর সড়কের ৬৩ নম্বর বাড়িটি মূলত সরকারের পরিত্যক্ত সম্পত্তি। সেখানে ১৪ তলা একটি বহুতল ভবন নির্মাণ করছে জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ। ওই ভবনের ১২টি ফ্ল্যাট নীতিমালা ভেঙে তৎকালীন আমলা ও বিচারকদের বরাদ্দ দেওয়া হয় বলে অভিযোগ ওঠে।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত বছর ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তাদের ওই সব ফ্ল্যাট বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগ জমা পড়ে। তাতে বলা হয়, ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ‘দিনের ভোট রাতে নেওয়ার সঙ্গে জড়িত’ সচিব পদমর্যাদার ১২ কর্মকর্তাকে ‘পুরস্কৃত করতে’ শেখ হাসিনার আমলে পরিকল্পিতভাবে ফ্ল্যাট দেওয়া হয়। এরপর এই অভিযোগ তদন্ত করে দুদক বলেছে, তারা ফ্ল্যাট বরাদ্দে অনিয়মের প্রমাণ পেয়েছে। পাশাপাশি জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষও বিষয়টি খতিয়ে দেখতে একটি কমিটি গঠন করে।

দুদকের তদন্ত ও গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের কমিটির প্রতিবেদনের আলোকে জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের ২৭৪তম বোর্ড সভায় ওই সব ফ্ল্যাটের বরাদ্দ বাতিল করা হয় বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

যাদের ফ্ল্যাট বরাদ্দ বাতিল হয়েছে, তারা হলেন সাবেক অবসরপ্রাপ্ত বিচারক ও দুর্নীতি দমন কমিশনের সাবেক কমিশনার মো. জহুরুল হক (ফ্ল্যাটের আয়তন ৪ হাজার ১০৫ বর্গফুট), সাবেক সিনিয়র সচিব মো. ইউনুসুর রহমান (ফ্ল্যাটের আয়তন ২ হাজার ৩১৫ বর্গফুট), সাবেক সিনিয়র সচিব ও দুর্নীতি দমন কমিশনের সাবেক কমিশনার মো. মোজাম্মেল হক খান (ফ্ল্যাটের আয়তন ৪ হাজার ৩০৮ বর্গফুট), সাবেক সচিব এম এ কাদের সরকার (ফ্ল্যাটের আয়তন ২ হাজার ৪৯ বর্গফুট), সাবেক সিনিয়র সচিব আসলাম আলম (ফ্ল্যাটের আয়তন ২ হাজার ৪৯ বর্গফুট), সাবেক সচিব আকতারী মমতাজ (ফ্ল্যাটের আয়তন ২ হাজার ৪৯ বর্গফুট), সাবেক সচিব মো. সিরাজুল হক খান (ফ্ল্যাটের আয়তন ২ হাজার ৩১৫ বর্গফুট), সাবেক সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. মঞ্জুরুল বাছিদ (ফ্ল্যাটের আয়তন ২ হাজার ৩১৫ বর্গফুট), সাবেক রেজিস্ট্রার জেনারেল ও সাবেক সিনিয়র জেলা জজ সৈয়দ আমিনুল ইসলাম (ফ্ল্যাটের আয়তন ২ হাজার ৪৯ বর্গফুট), মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ (ফ্ল্যাটের আয়তন ২ হাজার ৪৯ বর্গফুট), সাবেক সিনিয়র সচিব ও সাবেক নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান (ফ্ল্যাটের আয়তন ২ হাজার ৩১৫ বর্গফুট) এবং সাবেক সিনিয়র সচিব এস এম গোলাম ফারুক (ফ্ল্যাটের আয়তন ২ হাজার ৪৯ বর্গফুট)।


পরিবেশবান্ধব বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় কাজ করছে সরকার : সৈয়দা রিজওয়ানা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, নিরাপদ, স্বাস্থ্যসম্মত ও পরিবেশবান্ধব বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে। তিনি বলেন, দেশে বর্জ্যের পরিমাণ হ্রাস, বর্জ্য সংগ্রাহকদের নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিতকরণ এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমে ল্যান্ডফিল ব্যবস্থার আধুনিকায়নের লক্ষ্যে উন্নত পর্যায়ের বর্জ্য শ্রেণিবিন্যাস, পুনর্ব্যবহার ও উপাদান পুনরুদ্ধার ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি।

উপদেষ্টা মঙ্গলবার (৮ জুলাই) বাংলাদেশ সচিবালয়ে তার কার্যালয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার সিউল মহানগরের সুদোকওয়ন ল্যান্ডফিল ম্যানেজমেন্ট করপোরেশনের (এসএলসি) একটি বিশেষজ্ঞ প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠককালে এ সব কথা বলেন।

বৈঠকে বাংলাদেশের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন ও গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন হ্রাসে আধুনিক স্যানিটারি ল্যান্ডফিল স্থাপনের বিষয়ে প্রযুক্তিগত সহায়তা নিয়ে আলোচনা হয়।

আগত দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিনিধি দল চট্টগ্রামের দুটি বিদ্যমান ডাম্পিং সাইট বন্ধ ও পুনর্বাসন এবং একটি নতুন আধুনিক স্যানিটারি ল্যান্ডফিল স্থাপনের ব্যাপারে বিস্তারিত পরিকল্পনা উপস্থাপন করে। কোরিয়ান পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের অনুদান ও সহজ শর্তে ঋণের মাধ্যমে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করার প্রস্তাব দেওয়া হয়।

দুটি বিদ্যমান ডাম্পিং সাইট বন্ধের কাজ এক থেকে দেড় বছরের মধ্যে সম্পন্ন হবে বলে আশা করা হচ্ছে, যার পরে ২০ বছরের একটি পর্যবেক্ষণকাল থাকবে। প্রতিনিধিদল আরও জানায়, ভূমি স্থিতিশীলতার ওপর নির্ভর করে প্রথম ৫ বছর পর এসব স্থান জনসাধারণের জন্য পার্ক হিসেবে ব্যবহার উপযোগী করে গড়ে তোলা যেতে পারে। এছাড়া প্রতিনিধিরা অনানুষ্ঠানিক বর্জ্য সংগ্রাহকদের নতুন ব্যবস্থার আওতাভুক্ত করার গুরুত্ব তুলে ধরেন। যাতে তাদের কর্মপরিবেশ উন্নত হয় এবং পুনর্ব্যবহারযোগ্য উপকরণ পুনরুদ্ধারে দক্ষতা বাড়ে।

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সরকারকে দ্রুত আনুষ্ঠানিক অনুরোধপত্র ও প্রকল্পসংক্রান্ত দলিলাদি প্রেরণের মাধ্যমে আর্থিক সহায়তা কার্যকর করার অনুরোধ জানায়। পাশাপাশি বিশ্বের সর্ববৃহৎ ও অত্যাধুনিক সুদোকওয়ন ল্যান্ডফিলের অভিজ্ঞতা ও মডেল বাংলাদেশে শেয়ার করার আগ্রহ প্রকাশ করে।

এসএলসির প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিদ্যমান উন্মুক্ত ডাম্পিং সাইটের যথাযথ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন হ্রাস প্রকল্পের প্রস্তাবও দেয় কোরিয়ান পক্ষ।

বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মো. রেজাউল করিম, কোরিয়ার এসএলসি পরিচালক সিওক ওউ জংসহ উভয় দেশের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা।


সচিবালয়ে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক সামগ্রী ২ অক্টোবর থেকে নিষিদ্ধ হচ্ছে: মন্ত্রিপরিষদ সচিব

আপডেটেড ৮ জুলাই, ২০২৫ ১৯:৫৬
নিজস্ব প্রতিবেদক

আগামী ২ অক্টোবর থেকে বাংলাদেশ সচিবালয়ে ইতঃপূর্বে সরকার ঘোষিত ক্ষতিকর সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিকের পণ্যসামগ্রীর ব্যবহার বন্ধ করা হবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদ।

তিনি জানান, এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করার জন্য আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাস জুড়ে সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রস্তুতির সময় দেওয়া হবে এবং অধীনদের প্লাস্টিক ব্যবহার কমাতে নির্দেশনা দেওয়া হবে।

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) বাংলাদেশ সচিবালয়ে অর্থ বিভাগের মাল্টিপারপাস হল রুমে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত ‘সাসটেইনেবল প্লাস্টিক ইউজ ইন দ্য সেক্রেটারিয়েট: আ ফিউচার ফর সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক ফ্রি এনভায়রনমেন্ট’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রিপরিষদ সচিব এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, প্লাস্টিক দূষণ একটি বৈশ্বিক সমস্যা। এ সমস্যা মোকাবেলায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আমাদের এগোতে হবে। মেডিকেল বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকেও গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় আনতে হবে। শুধু নিজের স্বার্থেই নয়, বরং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য আমাদের এই পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে যাতে আমরা তাদের জন্য একটি নিরাপদ ও পরিবেশবান্ধব পৃথিবী রেখে যেতে পারি।

সেমিনারে সভাপতির বক্তৃতায় মন্ত্রণালয়ের সচিব বলেন, সব মন্ত্রণালয়ের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সচিবালয়কে পরিবেশবান্ধব হিসেবে গড়ে তুলতে এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হবে। তিনি জানান, সচিবালয়ে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক নিষিদ্ধকরণে পরিবেশ মন্ত্রণালয় দ্রুত একটি বাস্তবসম্মত কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করবে।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন অর্থ বিভাগের সচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নজরুল ইসলাম এবং জাতিসংঘের শিল্প উন্নয়ন সংস্থার কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ ড. জাকি উজ জামান।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ) ড. ফাহমিদা খানম। এছাড়াও, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানে পরিবেশ সচিব মন্ত্রিপরিষদ সচিবের হাতে ১৭টি সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক সামগ্রীর একটি সচিত্র তালিকা তুলে দেন এবং মন্ত্রিপরিষদ সচিব অন্যান্য সচিবদের হাতে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিকের বিকল্প পণ্যসামগ্রী তুলে দেন।

উল্লেখ্য, পরিবেশ সংরক্ষণ ও দূষণ নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে সরকার ইতোমধ্যে ১৭ ধরনের সামগ্রীকে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক হিসেবে চিহ্নিত করেছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের তৈজসপত্র, চকলেটের মোড়ক, প্লাস্টিকের দাওয়াত কার্ড ও ব্যানার, স্টাইরোফোমের খাবার ধারক, পাতলা প্লাস্টিক মোড়কযুক্ত পণ্য, প্লাস্টিক বোতল ও ক্যাপসহ নানা সামগ্রী।


যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উভয়ের জন্য লাভজনক শুল্ক চুক্তির আশায় ঢাকা: শফিকুল আলম

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি এমন শুল্ক চুক্তির প্রত্যাশা করছে যা উভয় দেশের জন্য লাভজনক হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চিঠি পাঠানোর পর তিনি এমন কথা বলেন।

‘ঢাকা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এমন একটি শুল্ক চুক্তির প্রত্যাশায় রয়েছে, যা আমাদের বিশ্বাস অনুযায়ী উভয় দেশের জন্যই লাভজনক হবে, বলেন তিনি। ‘যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আরেক দফা আলোচনা ৯ জুলাই অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।’

বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন বর্তমানে ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থান করছেন এবং তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য আলোচনা নেতৃত্ব দিচ্ছেন। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমানও এই দলে রয়েছেন।

শফিকুল আলম বলেন, ‘সোমবার বাংলাদেশ প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একটি চিঠি পেয়েছে, যাতে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ১ আগস্ট থেকে বাংলাদেশের পণ্যের ওপর ৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করবে।’

‘বাংলাদেশ দল এরইমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদের সঙ্গে একাধিক দফা আলোচনা করেছে,’ বলেন প্রেস সচিব। তিনি জানান, ৯ জুলাইয়ের আলোচনায় বাংলাদেশের পক্ষের নেতৃত্ব দেবেন শেখ বশিরউদ্দিন।

ট্রাম্প তার চিঠিতে উল্লেখ করেন, ‘আমরা আপনাদের বাণিজ্যিক অংশীদার হিসেবে আগামী বহু বছর একসঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী। আপনি যদি আপনার এখনো বন্ধ থাকা বাণিজ্য বাজার যুক্তরাষ্ট্রের জন্য খুলে দিতে চান, এবং আপনার শুল্ক, অশুল্ক নীতিমালা ও বাণিজ্য প্রতিবন্ধকতা তুলে দেন, তাহলে আমরা সম্ভবত এই চিঠির বিষয়ে পুনর্বিবেচনা করতে পারি।’

ট্রাম্প বলেন, এই শুল্কহার বাড়ানো বা কমানো যেতে পারে, যা বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের ওপর নির্ভর করবে।

‘আপনি কখনোই যুক্তরাষ্ট্র দ্বারা হতাশ হবেন না,’ অধ্যাপক ইউনূসকে লেখা চিঠিতে বলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।

চিঠিতে তিনি জানান, ২০২৫ সালের ১ আগস্ট থেকে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের যেকোনো পণ্যের ওপর ৩৫ শতাংশ হারে শুল্ক আরোপ করবে, যা সব খাতভিত্তিক শুল্কহার থেকে আলাদা হবে।

শুল্ক এড়াতে ট্রান্সশিপমেন্টের মাধ্যমে পাঠানো পণ্যের ওপর উচ্চতর শুল্কহার প্রযোজ্য হবে।

‘একটি জিনিস পরিষ্কার হতে হবে, ৩৫ শতাংশ শুল্কহারটি আমাদের দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতির বৈষম্য দূর করার জন্য যথেষ্ট নয়। আপনি জানেন, যদি বাংলাদেশ বা বাংলাদেশের কোনো প্রতিষ্ঠান যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য তৈরি বা উৎপাদনের সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে আমরা দ্রুত, পেশাদার ও নিয়মিত পদ্ধতিতে সব অনুমোদন দিতে সম্ভাব্য সবকিছু করব—অর্থাৎ, কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই,’ বলেন ট্রাম্প।


banner close