বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
১০ আশ্বিন ১৪৩২

ঈদের ছুটি ১ দিন বাড়ানোর দাবি

ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড
১৮ জুন, ২০২৩ ১৬:৩০
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত : ১৮ জুন, ২০২৩ ১২:৫৯

ঈদযাত্রায় ভয়াবহ যানজট, অস্বাভাবিক যাত্রী হয়রানি ও অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য কমানোসহ সড়ক দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি কমাতে পদক্ষেপ গ্রহণের পাশাপাশি ঈদের ছুটি এক দিন বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।

রোববার সকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী এ দাবি জানান।

তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচনের ঠিক আগ মুহূর্তের এই সময়ে এবারের ঈদে ঢাকা থেকে প্রায় ৮০ লাখ মানুষ গ্রামের বাড়ি যাবে। বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি মনে করে, এবারের ঈদে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুরসহ আশপাশের অঞ্চল থেকে ১ কোটি ১০ লাখের বেশি মানুষ দেশের বিভিন্ন জেলায় যাতায়াত করবেন। এ ছাড়া এক জেলা থেকে অপর জেলায় আরও প্রায় ৪ কোটি মানুষ ঈদে বাড়ি যেতে পারে। এতে আগামী ২২ জুন থেকে ৮ জুলাই পর্যন্ত ঈদবাজার, গ্রামের বাড়ি যাতায়াতসহ নানা কারণে দেশের বিভিন্ন শ্রেণির পরিববহনে বাড়তি প্রায় ৮০ কোটি ট্রিপ যাত্রীর যাতায়াত হতে পারেন।

তিনি আরও বলেন, ২২ জুন থেকে ঈদযাত্রা শুরু হলেও প্রধানত ২৬ জুন বেতন-বোনাস পাওয়ার পর ২৬-২৭ জুন থেকে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ লাখ হারে মানুষ রাজধানী ছাড়বে। কিন্তু গণপরিবহনে সড়কপথে ৮ থেকে ১০ লাখ, নৌপথে ৮ থেকে ১০ লাখ, রেলপথে দেড় লাখ যাত্রী ওভারলোড হয়ে যাতায়াত করার সক্ষমতা আছে। তবে ২৭ জুন অফিস খোলা থাকায় ঈদের আগে মাত্র এক দিন ঈদের ছুটি থাকায় বাধ্যতামূলক কাজের নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অনেকেই আটকে যাচ্ছেন। ফলে ২৮ জুন সারা দেশের সব শ্রেণির গণপরিবহনে একসঙ্গে সব যাত্রী রাস্তায় নামলে যাতায়াত পরিস্থিতির বেহাল দশা হবে। এই কারণে ২৭ জুন সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হলে যাত্রীচাপ কিছুটা কমতে পারে।

দেশে সড়কপথে গণপরিবহনের ভয়াবহ সংকট চলছে উল্লেখ করে মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, মোটরসাইকেলে ঈদযাত্রার সুযোগ দিলে বিগত ঈদুল ফিতরের ন্যায় এবারও রাজধানীর ৮ থেকে ১০ লাখ বাইকার দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যেতে পারে। এতে ঈদযাত্রা স্বস্তিদায়ক হলেও সড়কে দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি ভয়াবহভাবে বেড়ে যাবে।

যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব আরও বলেন, এবারের ঈদযাত্রায় পশুবাহী ট্রাক ও রাস্তার ওপর গড়ে ওঠা পশুর হাটের কারণে রাজধানীতে তীব্র যানজটে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়বে ঘরমুখো মানুষ। তাই এই মুহূর্ত থেকে রাজধানীর সব পথের ফুটপাত, রাস্তা হকার ও অবৈধ পার্কিং মুক্ত করা ও পশুরহাট রাস্তা থেকে অপসারণ করার জন্য সরকারের সংশ্লিষ্টদের কাছে দাবি জানান তিনি। একই সঙ্গে রাজধানী থেকে দেশের বিভিন্ন জেলায় যাতায়াতের প্রবেশদ্বারগুলো পরিষ্কার রাখা ও ছোট যানবাহন বিশেষ করে রিকশা, ব্যাটারিচালিত রিকশা, ইজিবাইক প্রধান সড়কে চলাচল বন্ধে পদক্ষেপ গ্রহণের দাবিও জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি দাবি করেন, কিছু অসাধু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ও পরিবহন নেতাদের চাঁদাবাজি ও বিভিন্ন টোল পয়েন্টের কারণে জাতীয় মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে যানজট হয়। তাই ঈদযাত্রায় সড়কে চাঁদাবাজি ও সব জাতীয় মহাসড়ক যানজটমুক্ত রাখার দাবি জানান।

পরিবহনগুলোতে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, অতিরিক্ত যাত্রীর চাপ ও পরিবহন সংকটকে পুঁজি করে কিছু অসাধু পরিবহন মালিক অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য চালাতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। ভাড়া নৈরাজ্যকারীদের বিরুদ্ধে সরকার প্রতিবছর ঈদে কাগুজে বাঘের মতো হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করলেও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণে ব্যর্থতা হওয়ায় এবারের ঈদেও সব পথে দ্বিগুণ-তিনগুণ অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য হতে পারে। তাই অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

তিনি বলেন, অতিরিক্ত যাত্রী ও বেশি ভাড়া আদায়ের লোভে প্রতিবছর সড়ক ও নৌপথে ফিটনেসবিহীন যানবাহনে যাত্রী বহন, পণ্যবাহী যানবাহনে যাত্রী বহন, নৌপথে পর্যাপ্ত বয়া-বাতি ও জীবন রক্ষাকারী সরঞ্জাম না থাকা, একজন চালক ১০-১২ ঘণ্টা বিরামহীনভাবে যানবাহন চালাতে বাধ্য করা হয়। ফলে সড়ক ও নৌ-দুর্ঘটনায় প্রতিবছর ঈদে কয়েক শ যাত্রীর প্রাণহানি ঘটে।

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিসহ নানা কারণে এবারের ঈদে যাত্রীসাধারণ ব্যাপকভাবে অজ্ঞানপার্টি, মলমপার্টি, টানাপার্টিসহ টার্মিনালে নানা প্রতারক চক্রের খপ্পরে পরে সর্বস্ব খুয়ে ঈদ আনন্দ মাটি হতে পারে। তাই প্রতিটি বাস, লঞ্চ ও রেল স্টেশনে সিভিল পোশাকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা বাড়ানোর দাবি জানান তিনি।


ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের জন্য চূড়ান্ত প্রস্তুতি চলছে : সিইসি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন করার জন্য চূড়ান্ত প্রস্তুতি চলছে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন।

আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, ‘ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন করার জন্য আমাদের চূড়ান্ত প্রস্তুতি চলছে।

আগামী বছর রমজানের আগে ফেব্রুয়ারি মাসে প্রথমার্ধে নির্বাচন করার জন্য যা যা প্রস্তুতি নেওয়া দরকার, আমরা জোরে-সোরে নিচ্ছি।’

সিইসি বলেন, ‘আমাদের মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা এখন নিউইয়র্কে আছেন। আপনারা দেখেছেন, যার সাথে উনি দেখা করছেন তাকেই বলছেন যে, আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে। আমি গণতান্ত্রিক পন্থায় ক্ষমতা হস্তান্তর করতে চাই। একটা সুন্দর নির্বাচন, ঐতিহাসিক নির্বাচন দিতে চাই। উনার ওই কথাগুলোকে বাস্তবায়ন করার জন্যই আমরা কিন্তু কাজ করছি। একবার একটা ঐতিহাসিক নির্বাচন যাতে হয়। আর এই ঐতিহাসিক নির্বাচন কিন্তু আপনাদের (গণমাধ্যম) ছাড়া পারবো না। আমরা যতো ভালোই করি না কেন, এখন আপনারা যদি উল্টোটা বলেন, তাহলে সব শেষ, বরবাদ হয়ে যাবে।’

গণমাধ্যমের সহযোগিতা প্রয়োজন উল্লেখ করে সিইসি বলেন, ‘আপনাদের (গণমাধ্যমের) সহযোগিতা লাগবে।

আমাদের আন্তরিকতা নিয়ে আপনারা একটু মানুষকে বুঝাবেন। আমরা কারো কথায় চলতে চাই না। আমরা বিবেকের তাড়নায় চলি। আইন অনুযায়ী চলতে চাই। সংবিধান অনুযায়ী চলতে চাই এবং একটা সরল সোজা পথে চলতে চাই, কোনো বাঁকা পথে নয়। কাউকে কোনো ফেভার করার জন্য না। নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে চাই। এই জিনিসটা, আমাদের বক্তব্যটা আপনারা সবার কাছে একটু তুলে ধরবেন।’

রাজনৈতিক দলের সহযোগিতা ছাড়া সুন্দর নির্বাচন করা সম্ভব নয় উল্লেখ করে সিইসি বলেন, রাজনৈতিক দল হলো আমাদের মূল স্টেকহোল্ডার। তাদের সহযোগিতা ছাড়া সুন্দর নির্বাচন করা সম্ভব নয়।

দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার মন্তব্য প্রতিবেদন উল্লেখ করে সিইসি বলেন, সব খেলোয়াড়রা যদি ফাউল করার নিয়তে মাঠে নামে তাহলে রেফারির পক্ষে তো এই ম্যাচ পণ্ড হওয়া থেকে রক্ষা করা সম্ভব না। সুতরাং খেলোয়াড়দের তো ফাউল করার নিয়ত থেকে একটু দূরে থাকতে হবে।

তিনি বলেন, যাতে ফাউল না করতে পারেন তার যাবতীয় ব্যবস্থা আমরা নিব ইনশাআল্লাহ। আমি বিশ্বাস করি আমাদের যারা স্টেক হোল্ডার যারা খেলবেন ইলেকশনের মাঠে, তারা সব ফাউল করার নিয়তে নামবেন না।

তারা একটা সুন্দর নির্বাচনের নিয়তেই নামবেন। একটা ভালো নির্বাচনের নিয়তে নামবেন, এ বিশ্বাস আমার আছে। কারণ, একটা বিশাল বিপ্লবের মধ্য দিয়ে আমরা কিন্তু এই অবস্থায় আছি। একটা ক্রান্তি লগ্নে আছি।

উনারা জানেন, সুতরাং কেউ আমাকে কেউ এ পর্যন্ত বলেন নাই যে, আমি ফাউল খেলার নিয়তে ইলেকশনে যাব। ইলেকশনে ভোট ডাকাতি করব, সন্ত্রাস করব এমন কেউ বা কোনো রাজনীতিবিদ বলেন নাই। সুতরাং আমি ধরে নিচ্ছি যে, উনারা সুন্দরভাবে সহযোগিতা করবে। তবে সরকার উনাদের সাথে আলাপ আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন।

তিনি আরো বলেন, চার থেকে পাঁচ জন নেতা আমেরিকাও গেছেন। মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার সাথে ওখানেও তো আলাপ-আলোচনা করার একটা সুযোগ পাবেন। আমার কিন্তু আমাদের রাজনীতিবিদদের ওপর আস্থা আছে। এটা আমার সব সময় ছিল।


দুর্গাপূজায় আগামীকাল থেকে ৮ দিন সোনামসজিদ স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের দুর্গাপূজা উপলক্ষে সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে টানা ৮ দিন আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।

আগামীকাল ২৬ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) থেকে ৩ অক্টোবর (শুক্রবার) পর্যন্ত দেশের দ্বিতীয় বৃহতম এই স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।

আগামী ৪ অক্টোবর (শনিবার) থেকে যথারীতি বন্দরে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম পুনরায় চালু হবে। তবে সোনামসজিদ ইমিগ্রেশন পথে ভিসাপ্রাপ্ত যাত্রীদের যাতায়াত প্রতিদিনই চালু থাকবে বলে বন্দর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

সোনামসজিদ বন্দর পরিচালনাকারী পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেডের অপারেশন ম্যানেজার কামাল খান জানান, বন্দর কাস্টমস গতকাল বুধবার দুপুরে পত্র দিয়ে জানিয়েছে যে, এবছর দুর্গাপূজা উপলক্ষে সরকারি ছুটি হওয়ায় ১ এবং ২ অক্টোবর বন্দরে আমদানি ও রফতানি সংক্রান্ত সব কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।

অপরদিকে সোনামসজিদের বিপরীতে ভারতের মহদিপুর রপ্তানিকারক সমিতি গতকাল বুধবার পত্র দিয়ে জানিয়েছে যে, দুর্গাপূজা উপলক্ষে ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে ২ অক্টোবর পর্যন্ত বন্দরের সব কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। তিনি আরও জানান, আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর ও ৩ অক্টোবর শুক্রবার বন্দরের সাপ্তাহিক ছুটি। ফলে সব মিলিয়ে টানা ৮ দিন বন্দরে কোনো আমদানি ও রপ্তানি করা হবে না।

সোনামসজিদ স্থলবন্দর সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের অহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান কাস্টমস ও মহদিপুর রপ্তানিকারক সমিতির পত্র পাওয়ার কথা জানিয়ে বলেন, বন্ধের মধ্যে বন্দরের অভ্যন্তরীণ পণ্য লোড, আনলোড, পরিবহন, গুদামজাতকরণসহ কিছু নিজস্ব কার্যক্রম চালু থাকবে। সরকারি ছুটির দিন ব্যতীত কাস্টমস খোলা থাকবে। সোনামসজিদ ও মহদিপুর ইমিগ্রেশন পথে পাসপোর্টধারীদের যাতায়াত প্রতিদিনই যথারীতি অব্যাহত থাকবে।


মার্কিন কোম্পানিকে বাংলাদেশে আরও বিনিয়োগের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলোকে বাংলাদেশে আরও বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন।

বুধবার নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ এক্সিকিউটিভ বিজনেস গোলটেবিল আলোচনায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এ আহ্বান জানান।

‘অ্যাডভান্সিং রিফর্ম, রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড গ্রোথ’ শীর্ষক এ আলোচনার আয়োজন করে ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিল (ইউএসবিবিসি)।

প্রধান উপদেষ্টা অনুষ্ঠানে মেটলাইফ, শেভরন এবং এক্সেলেরেটসহ শীর্ষ মার্কিন কোম্পানিগুলোকে বাংলাদেশে নতুন বিনিয়োগের সুযোগ কাজে লাগানোর আহ্বান জানান।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম পরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

শফিকুল আলম বলেন, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র সফরে আসা বাংলাদেশের ছয়জন রাজনৈতিক নেতা সভায় উপস্থিত ছিলেন এবং তাদেরকে মার্কিন শীর্ষ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়।


নরসিংদীর ঘোড়াশাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে অগ্নিকাণ্ড, ১ ঘণ্টার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিটের চেষ্টায় ১ ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে জানানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) ভোর সাড়ে ৪টার দিকে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ট্রান্সফরমারে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

পলাশ ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আব্দুল শহিদ জানান, আজ (বৃহস্পতিবার) ভোরে ঘোড়াশাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের একটি ১৩২-৩৩ কেভির ট্রান্সফরমারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। তারা খবর পেয়ে ভোর ৫টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পরে ২টি ইউনিটের ১ ঘণ্টায় চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুনে ট্রান্সফরমারটি পুড়ে গেছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

শহিদ আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে শর্ট সার্কিট থেকে এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে থাকতে পারে। তদন্ত সাপেক্ষে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ পরে জানা যাবে।

এদিকে, ভোরে অগ্নিকাণ্ডের পর থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত পলাশ উপজেলা ও পাশ্ববর্তী কালীগঞ্জ বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়।

ঘোড়াশাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী এনামুল হকের কাছে অগ্নিকাণ্ডের বিষয়ে জানতে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে ব্যস্ততার কারণ দেখিয়ে তিনি পরে ফোন দিতে বলেন।


ডেঙ্গুতে আরও ৫ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৬৬৮

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশে গত একদিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরো পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে; এ নিয়ে এ বছর মশাবাহিত এ রোগে মোট ১৮৭ জনের প্রাণ গেল।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গতকাল বুধবারের বুলেটিনে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৬৬৮ জন রোগী। তাতে এ বছর হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৩ হাজার ৮৪১ জনে।

গত একদিনে মৃত ব্যক্তিদের মধ্যে দুজন মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটে এক জন করে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

তাদের মধ্যে দুজনের বয়স ৬০ বছর। বাকিদের বয়স হয়েছিল যথাক্রমে ৫০, ৫৫ এবং ১২ বছর। তাদের তিনজন নারী, দুজন পুরুষ।

গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তদের নিয়ে সেপ্টেম্বর মাসে ভর্তি রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১২ হাজার ৩৬৫ জন, যা এ বছরের সর্বোচ্চ। এর আগে জুলাই মাসে ১০ হাজার ৬৮৪ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল।

এছাড়া জানুয়ারিতে ১১৬১ জন, ফেব্রুয়ারিতে ৩৭৪ জন, মার্চে ৩৩৬ জন, এপ্রিলে ৭০১ জন, মে মাসে ১৭৭৩ জন, এছাড়া জুন মাসে ৫৯৫১ জন, অগাস্টে ১০ হাজার ৪৯৬ জন ডেঙ্গুরোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন।

এ বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সবচেয়ে বেশি ৬৫ জনের মৃত্যুও হল সেপ্টেম্বর মাসে। এর আগে জুলাই মাসে ৪১ জনের মৃত্যু হয়েছিল ডেঙ্গু জ্বরে।

এছাড়া জানুয়ারিতে ১০ জন, ফেব্রুয়ারিতে তিন জন, এপ্রিলে সাত জন, মে মাসে তিন জন, জুন মাসে ১৯ জন, অগাস্ট মাসে ৩৯ জন মারা যান। মার্চ মাসে কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বুলেটিনে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি নতুন রোগীদের মধ্যে ১৬৭ জনই ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকায়।

এছাড়া ঢাকা বিভাগে ১২৬ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৩০ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১০৬ জন, খুলনা বিভাগে ৪১ জন, রাজশাহী বিভাগে ৩৫ জন, রংপুর বিভাগে পাঁচ জন এবং বরিশাল বিভাগে ১৫৮ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন।

ডেঙ্গু নিয়ে বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ২০১৬ জন রোগী। তাদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ৭৫৭ জন, ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি ১২৫৯ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ও মৃত্যুর তথ্য রাখে ২০০০ সাল থেকে। এর মধ্যে ২০২৩ সালে এ রোগ নিয়ে সবচেয়ে বেশি ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়। ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সবচেয়ে বেশি ১৭০৫ জনের মৃত্যুও হয় ওই বছর।


৭ কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিবর্তন করা যাবে না: হুঁশিয়ারি শিক্ষকদের

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

সাত কলেজকে গিনিপিগ বানিয়ে কলেজের নাম বা কাঠামো পরিবর্তন করে প্রস্তাবিত সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি গঠন করা যাবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কলেজের শিক্ষকরা।

গতকাল বুধবার দুপুরে ঢাকা কলেজের সামনে ‘বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতি’র পক্ষ থেকে আয়োজিত এক মানববন্ধনে এই হুঁশিয়ারি দেন বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তারা।

তারা বলেন, সেন্ট্রাল বিশ্ববিদ্যালয় সাত কলেজ গিলে ফেলতে চাইছে। প্রস্তাবিত খসড়ায় সাত কলেজে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মচারীদের স্বার্থ চরমভাবে ক্ষুণ্ন হয়েছে। এ সময়, সরকারের এমন কর্মকাণ্ডে গভীর উদ্বেগ জানান তারা। কলেজগুলোর ঐতিহ্য উচ্চ মাধ্যমিক স্তর। উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের স্বার্থবিরোধী কোনো সিদ্ধান্ত শিক্ষকরা গ্রহণ করবে না। সেইসঙ্গে, সাত কলেজের নাম বা কাঠামো পরিবর্তন করে কোনো অনুষদে অথবা স্কুলে রূপান্তর করা যাবে না বলেও স্পষ্ট হুঁশিয়ারি দেন তারা।

মানববন্ধনে শিক্ষকরা বলেন, ‘ঢাকার সাত কলেজকে কেন্দ্র করে প্রস্তাবিত সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির কাঠামো কেমন হবে, তা নিয়ে আমরা সাত কলেজে কর্মরত শিক্ষকরা স্বীর্ঘদিন ধরে আলোচনা করে আসছি। এ বিষয়ে আমরা ইতোমধ্যে ইউজিসি, শিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সকল কর্তৃপক্ষকে স্মারকলিপি প্রদান করেছি এবং আমাদের উদ্বেগের বিষয়গুলো স্পষ্টভাবে জানিয়েছি। অথচ দুঃখজনকভাবে দেখা গেল যে আমাদের উদ্বেগ ও প্রস্তাবকে কোনো গুরুত্ব না দিয়েই বিশ্ববিদ্যালয়ের খসড়া প্রস্তাব প্রকাশ করা হয়েছে। প্রকাশিত খসড়ায় সাত কলেজে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী, কলেজে কর্মরত শিক্ষক ও কর্মচারীদের স্বার্থ মারাত্মকভাবে স্বপ্ন হয়েছে।’

এর পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষকরা লিখিত বক্তব্যে ৮ দফা দাবি উত্থাপন করেন।

বক্তব্যে শিক্ষকরা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তাবিত কাঠামো অনুযায়ী বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের সদস্যগণ ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও প্রশাসনিক কাঠামোর অন্তর্ভুক্ত না হওয়ায় যেসব শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা প্রস্তাবিত কাঠামো অনুযায়ী ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, তাদের একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনা করার আইনি ভিত্তি বিসিএস শিক্ষকদের নেই।

এ সময় খসড়া অধ্যাদেশে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার সদস্যদের অবস্থান নিশ্চিত না করলে তারা ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো কার্যক্রম পরিচালনা করবেন না বলে হুঁশিয়ারি প্রদান করেন।

তবে যেসব শিক্ষাবর্ষ ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্ভুক্ত নয়, তাদের কার্যক্রম যথারীতি চলমান থাকবে বলেও জানান তারা।


জনপ্রিয়তার শীর্ষে বিএনপি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে জাতীয় নির্বাচনে রোডম্যাপ ঘোষণা করেছে সরকার। সেই লক্ষ্যে প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। রাজনৈতিক দলগুলোকেও তৎপর দেখা যাচ্ছে। এমন অবস্থায় ভোটারদের মতামত জানতে জারিপ চালিয়েছে বেসরকারি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ইনোভেশন কনসাল্টিং। সংস্থাটি তাদের ‘পিপলস ইলেকশন পালস সার্ভে রাউন্ড টু’-এর দ্বিতীয় অংশের ফলাফল প্রকাশ করেছে।

গতকাল বুধবার রাজধানীর আগারগাঁও আর্কাইভ ভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই জরিপের ফলাফল তুলে ধরেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রুবাইয়াত সরওয়ার।

৮টি বিভাগের ৬৪টি জেলা থেকে ৯ হাজার ৩৯৮টি পরিবার/খনার ১০ হাজার ৪১৩ জন ভোটারের ওপর জারিপটি চালিয়েছে তারা।

জরিপের তথ্য অনুযায়ী, ভোট দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এমন অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। দলটির পক্ষে সমর্থন জানিয়েছেন ৪১.৩০ শতাংশ ভোটার। এর পরেই রয়েছে জামায়াতে ইসলামী, যাদের প্রতি ৩০.৩০ শতাংশ ভোটারের সমর্থন দেখা গেছে। গত বছরের গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ তৃতীয় স্থানে আছে, যাদের ভোট ১৮.৮০ শতাংশ। নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ৪.১০ শতাংশ ভোটারের সমর্থন নিয়ে তালিকায় চতুর্থ স্থানে রয়েছে।

ভোটারদের মতে, পরবর্তী সরকার গঠনে সবচেয়ে বেশি সম্ভাবনা আছে বিএনপির। ৪০ শতাংশ ভোটার মনে করেন বিএনপি সরকার গঠন করবে। অন্যদিকে ২৩.৩ শতাংশ ভোটারের ধারণা জামায়াত সরকার গঠন করতে পারে। ১২.১ শতাংশ ভোটার মনে করেন আওয়ামী লীগ আবার সরকার গঠন করবে। নতুন দল এনসিপির সরকার গঠনের সম্ভাবনা আছে বলে মনে করেন ৩.৮ শতাংশ ভোটার।

জরিপে আরও দেখা গেছে, ৬৫.৫ শতাংশ ভোটার দলীয় প্রতীকের পরিবর্তে প্রার্থী বিবেচনায় ভোট দিতে আগ্রহী। মাত্র ১৪.৭ শতাংশ ভোটার প্রতীক দেখে ভোট দেবেন।

স্থানীয় রাজনীতিতে দলগুলোর কার্যক্রম নিয়ে ভোটারদের সন্তুষ্টির হারও জরিপে উঠে এসেছে। দেখা গেছে, সাধারণভাবে অন্যান্য দলের তুলনায় ভোটাররা জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের স্থানীয় রাজনৈতিক কার্যক্রম নিয়ে বেশি সন্তুষ্ট। তরুণ প্রজন্ম এবং নারীরা জামায়াতের কার্যক্রমে তুলণামূলক বেশি সন্তুষ্ট।

বিএনপির কার্যক্রমে সন্তুষ্ট ৮.২ শতাংশ, জামায়াতের ১৩.৭ শতাংশ এবং এনসিপির কার্যক্রমে সন্তুষ্ট ৯.১ শতাংশ ভোটার।

জরিপে দেখা গেছে, ৪৫.৫৮ শতাংশ ভোটার মনে করেন, আওয়ামী লীগের বিচার হওয়ার আগে নির্বাচনে অংশ নিতে দেয়া উচিত নয়। অপরদিকে ৪৫.৭৯ শতাংশ মনে করেন, সকল দলকে আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়া উচিত।

যদি আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশগ্রহণ না করে, তাহলে তাদের ভোটারদের একটি বড় অংশ অন্য দলগুলোকে ভোট দিতে আগ্রহী।

জরিপ বলছে, আওয়ামী লীগের ২০ শতাংশ ভোটার বিএনপিকে, ১৪.৮ শতাংশ জামায়াতকে এবং ২.১ শতাংশ ভোটার এনসিপিকে ভোট দিতে আগ্রহী। এমন পরিস্থিতিতে সরকার গঠনের জন্য যোগ্য দল হিসেবে বিএনপিকে মনে করেন ৩৯.১ শতাংশ ভোটার, জামায়াতকে ২৮.১ শতাংশ এবং এনসিপিকে ৪.৯ শতাংশ ভোটার।

জরিপ অনুযায়ী, ভোটাররা ভবিষ্যৎ সরকারের কাছে পুলিশ সংস্কার, দুর্নীতি রোধ এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির নিরপেক্ষতা প্রত্যাশা করেন। তবে একটি বড় অংশ এখনো ভবিষ্যৎ সরকার নিয়ে সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছেন। এই জরিপটি দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং জনগণের মনোভাবের একটি গুরুত্বপূর্ণ চিত্র তুলে ধরেছে।

গত মার্চেও একটি জরিপ চালিয়েছিলো ইনোভেশন কনসাল্টিং। ওই সময়ের তুলনায় সেপ্টেম্বরের জরিপে দেখা গেছে, পছন্দ প্রাকাশ করা ভোটারদের মধ্যে বিএনপির শেয়ার ০.৪০ পয়েন্ট এবং জামায়াতের ১.৩ পয়েন্ট কমেছে। অপরদিকে আওয়ামী লীগের ৪.৮০ পয়েন্ট বেড়েছে।

জরিপে দেখা গেছে, বিএনপি ৬টি বিভাগে এগিয়ে আছে, জামায়াত রংপুরে এবং আওয়ামী লীগ বরিশালে এগিয়ে আছে।


আমি বললাম একটা জিনিস পোড়াতে ওরা পুড়িয়ে দিল সেতু ভবন, তাপসের সঙ্গে ফোনালাপে শেখ হাসিনা

* হেলিকপ্টার দিয়ে বোম্বিং করার নির্দেশ দেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী *ফোনালাপের ৬৯টি অডিও ক্লিপ জব্দ, তাপস-ইনুর সঙ্গে কথোপকথন ট্রাইব্যুনালে শোনানো হলো
আপডেটেড ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ২১:৫২
নিজস্ব প্রতিবেদক

জুলাই আন্দোলনকারীদের অবস্থান ড্রোনের মাধ্যমে নির্ণয় করে, ছত্রীসেনা ব্যবহার করে হেলিকপ্টার থেকে বোম্বিং ও গুলিবর্ষণের নির্দেশ দিয়েছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার ৪টি ফোনকলের রেকর্ড বাজিয়ে শোনানো হয়।

শেখ হাসিনার এই চারটি ফোনালাপের মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসের সঙ্গে একটি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদের সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর সঙ্গে দুটি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এ এস এম মাকসুদ কামালের একটি ফোনালাপ রয়েছে।

এতে জুলাই আন্দোলন দমনে লেথাল উইপন (প্রাণঘাতী অস্ত্র) ব্যবহার করা, আন্দোলনকারীদের তালিকা করে পাকড়াও করা, রাজাকার ট্যাগ দিয়ে তাদের ফাঁসি দেয়া ও মেরে ফেলা, ছত্রীসেনা ব্যবহার করে বোম্বিং করা, ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করা, সরকারি বিভিন্ন স্থাপনায় আগুন লাগিয়ে আন্দোলনকারীদের ওপর দায় চাপানো, তাদের জঙ্গি ট্যাগ দিয়ে প্রপাগাণ্ডা ছড়ানোসহ আন্দোলন দমনে শেখ হাসিনার সব পরিকল্পনার কথা উঠে আসে।

‘আমার নির্দেশনা দেওয়া আছে। ওপেন নির্দেশনা দিয়েছি। এখন লিথাল ওয়েপন (মারণাস্ত্র) ব্যবহার করবে। যেখানে পাবে সেখানে গুলি করবে।’ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসের সঙ্গে ফোনালাপে এমন কথা বলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জুলাই-আগস্ট আন্দোলন দমনে তার এই নির্দেশনা ছিল।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খানসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে বুধবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দেন এই মামলার স্পেশাল ইনভেস্টিগেটিং অফিসার ও প্রসিকিউটর তানভীর জোহা। বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন ট্রাইবুনাল-১ এ দেয়া তার সাক্ষ্যর জবানবন্দি সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। তিনি এই মামলার ৫৩তম সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দিয়েছেন।

কথপোকথনের একপর্যায়ে শেখ হাসিনাকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিতের কথা বলেন তাপস। এর মধ্যেই শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিটিআরসি-বিটিভি পুড়িয়ে দিয়েছে। এখন ইন্টারনেট বন্ধ। মেশিনপত্র সব পুড়ে গেছে। আমি বলছি যা যা পোড়াতে... আমাদের সেতু ভবন পুড়িয়েছে।’

তখন তাপস বলেন, রাতের বেলায় আরও ব্যাপক আক্রমণ করবে। কারণ আমি দেখলাম রাস্তায় রাস্তায় ওরা বিভিন্ন জায়গায় কাজ করছে। এ সময় জায়গার নাম জানতে চান তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী। প্রতিত্তোরে বনানী-গুলশানের কথা উল্লেখ করেন সাবেক এই মেয়র।

পরে প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, ফোনালাপে শেখ হাসিনা নিজেই আগুন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন- ‘আমি বললাম একটা জিনিস পোড়াতে, যা যা পোড়াতে। ওরা পুড়িয়ে দিলো সেতু ভবন।’ তার মানে আগুন দেওয়ার নির্দেশ তিনি দিয়েছেন। কিন্তু তার কাঙ্ক্ষিত জিনিস না পুড়িয়ে অন্য স্থাপনা পোড়ানো হয়েছে।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খানসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে বুধবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দেন এই মামলার স্পেশাল ইনভেস্টিগেটিং অফিসার ও প্রসিকিউটর তানভীর জোহা। বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন ট্রাইবুনাল-১ এ দেয়া তার সাক্ষ্যর জবানবন্দি সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। তিনি এই মামলার ৫৩তম সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দিয়েছেন।

জবানবন্দিতে তানভীর জোহা বলেন, তিনি মামলার বিশেষ তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে বিটিআরসি, এনটিএমসি, ডিএমপিসহ সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তর হতে বিভিন্ন অডিও ক্লিপ,ভিডিও ফুটেজ, সিডিআর, আইপিটিআর, সিসি ক্যামেরার ফুটেজসহ বিধি মোতাবেক মামলার বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করেন। এতে শেখ হাসিনার ৬৯টি কথোপকথনের রেকর্ডও রয়েছে। যাতে আন্দোলন দমনে শেখ হাসিনা বিভিন্ন জনের সঙ্গে কথা বলে আন্দোলন দমনে তার পরিকল্পনা ও নির্দেশনার কথা জানাচ্ছিলেন।

এসব ফোনালাপে স্পষ্ট করেই মারণাস্ত্র ব্যবহারের নির্দেশ দেয়ার কথা বলতে শোনা যায়। আন্দোলনকারীদের যেখানেই পাওয়া যাবে সেখানেই যেন গুলি করা হয় এমন নির্দেশ দিয়েছিলেন শেখ হাসিনা।

ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউশনের পক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম, গাজী এমএইচ তামিম, ফারুক আহাম্মদ, আবদুস সাত্তার পালোয়ানসহ অন্যরা।

এছাড়া সকালে রাজসাক্ষী হওয়া আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকেও ট্রাইব্যুনালে আনা হয়। তার উপস্থিতিতেই সাক্ষীরা জবানবন্দি দেন।

শেখ হাসিনা ও হাসানুল হক ইনুর কথোপকথন

হাসানুল হক ইনু: আমি মনে করি যে আপনার পদক্ষেপটা সঠিকই হয়েছে। এখন পর্যন্ত যা রিপোর্ট বাংলাদেশে পাচ্ছি আর কি। খালি ঢাকাতে আপনার রামপুরার দিকে এবং শনির আখড়াতে...।

শেখ হাসিনা: না, রামপুরা ক্লিয়ার। শনির আখড়ায় একটু ঝামেলা এখনো আছে।

ইনু: শনির আখড়ায় কিছু মোল্লারাই...।

শেখ হাসিনা: খালি মোল্লা না, সেখানে অনেক মাদ্রাসা। ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। মাইকিং করতে বলেছি। নারায়ণগঞ্জে ঢুকতে দিচ্ছে না আর্মিকে। আমরা ছত্রীসেনা নামাচ্ছি।

ইনু: ওহ, আচ্ছা।

শেখ হাসিনা: আমি বলছি, ক্যাজুয়ালটির দরকার নাই। ওরা ব্যারিকেড দিয়ে আছে তো, ঠিক আছে, আকাশ থেকে নামবে৷ কারণ, দুই পাশ দিয়ে ধরবে... ম্যাসেজটা দিয়ে দিতে পারেন।

ইনু: আচ্ছা।

শেখ হাসিনা: ছত্রীসেনা পাঠানো হচ্ছে। ঠিক আছে, হেলিকপ্টার দিয়ে সোজা বোম্বিং করা হবে। হেলিকপ্টার যাক, ওপর দিয়ে মারবে।

ইনু: আচ্ছা, ওপর দিয়ে সাউন্ড বোম যাবে আর কি।

হাসিনা: হুম।

শেখ তাপসের সঙ্গে শেখ হাসিনার ফোনালাপ

শেখ হাসিনা: দরকার নাই, ওটা দরকার নাই। আমি সেনাপ্রধানের সঙ্গে কথা বলছি, ওরা রেডি থাকবে ঠিক আছে! এখনতো আমরা অন্য ইয়ে করতেছি। ড্রোন দিয়ে ছবি নিচ্ছি আর হেলিকপ্টারে, ইয়ে হচ্ছে মানে, কয়েক জায়গায়।

তাপস: তাহলে ওই কিছু ছবি দেখে পাকড়াও করা যায় না রাতের মধ্যে?

শেখ হাসিনা: সবগুলোকে অ্যারেস্ট করতে বলেছি রাতে।

তাপস: হ্যাঁ, পাকড়াও, পাকড়াও করলে ওদেরকে...

শেখ হাসিনা: না, ওটা বলা হয়ে গেছে, ওটা নিয়ে র‍্যাব, ডিজিএফআই, এনএসআই, সবাইকে বলা হইছে যে যেখান থেকে যে কয়টা পারবা ধইরা ফেলো।

তাপস : জ্বি

শেখ হাসিনা: না, ওটা বলা আছে। আর যেখানে গেদারিং দেখবে সেখানে ওই ওপর থেকে, এখন ওপর থেকে করাচ্ছি, অলরেডি শুরু হইছে কয়েকটা জায়গায়।

তাপস: জ্বি

শেখ হাসিনা:…হইয়া গেছে।

তাপস: জ্বি, জ্বি, মোহাম্মদপুর থানার দিকে মনে হয় ওরা যাচ্ছে একটা—আমাকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলল।

শেখ হাসিনা: মোহাম্মদপুর থানার দিকে?

তাপস: হ্যাঁ।

শেখ হাসিনা: ওখানে পাঠাইয়া দিক র‍্যাবকে।

তাপস: জ্বি, তাহলে আপনার নির্দেশনা লাগবে, তিনি এখনো মানে…

শেখ হাসিনা: আমার নির্দেশনা দেয়া আছে, ওপেন নির্দেশনা দিয়ে দিছি এখন, এখন লেথাল উইপেন ব্যবহার করবে। যেখানে পাবে সোজা গুলি করবে।


সাংবাদিকতার অধিকার সুরক্ষা অধ্যাদেশ প্রণয়নে সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে: তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা

বুধবার ঢাকার তথ্য ভবনে ‘সংবাদপত্র মজুরি বোর্ড গঠন এবং সাংবাদিকতার অধিকার সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৫ (খসড়া)’ বিষয়ক আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন তথ্য উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম। ছবি: বাসস
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম বলেছেন, সাংবাদিকতার অধিকার সুরক্ষা অধ্যাদেশ প্রণয়নে সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে এই অধ্যাদেশ প্রণয়ন করা সম্ভব হবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

আজ বুধবার ঢাকার তথ্য ভবনে ‘সংবাদপত্র মজুরি বোর্ড গঠন এবং সাংবাদিকতার অধিকার সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৫ (খসড়া)’ বিষয়ক আলোচনাসভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন প্রস্তাবিত সাংবাদিকতার অধিকার সুরক্ষা অধ্যাদেশের বিভিন্ন দিক পর্যালোচনা করা হচ্ছে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, প্রস্তাবিত এই অধ্যাদেশ চূড়ান্তকরণের আগে সংশ্লিষ্ট অংশীজনের মতামত নেওয়া প্রয়োজন। তিনি আগামী দশ দিনের মধ্যে এই বিষয়ে লিখিত মতামত ও প্রস্তাব প্রদানের জন্য সাংবাদিক সংগঠন ও গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানসমূহের প্রতি আহ্বান জানান।

সংবাদপত্র মজুরি বোর্ড প্রসঙ্গে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা বলেন, মজুরি বোর্ড বাস্তবায়নের সঙ্গে একাধিক মন্ত্রণালয় জড়িত। মজুরি বোর্ড বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে যেসব প্রতিবন্ধকতা রয়েছে, সেগুলো সমাধানে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় কাজ করছে। মজুরি বোর্ড বাস্তবায়নে করণীয় বিষয়ে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব প্রদানের জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানান।

মাহফুজ আলম বলেন, সংবাদপত্রের প্রচারসংখ্যায় যে অসংগতি রয়েছে, তা দূর করতে হবে। সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপনের হার বাড়ানো হবে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, বিজ্ঞাপন খাতে বকেয়া টাকা পরিশোধে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তিনি জানান, বিগত সরকারের আমলে বিজ্ঞাপন খাতে বকেয়া টাকার পরিমাণ ছিল ৭৫ কোটি। বর্তমানে বকেয়ার পরিমাণ ৩৬ কোটি টাকা। বিজ্ঞাপন খাতের এই বকেয়া টাকা পরিশোধে মন্ত্রণালয় কাজ করছে।

সাংবাদিকদের বেতন বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব দিয়ে তিনি বলেন, সাংবাদিকদের ভালো বেতন নিশ্চিত করা গেলে গণমাধ্যমে বিদ্যমান অনেক সমস্যা কেটে যাবে। তিনি সাংবাদিকদের বেতন যৌক্তিক পর্যায়ে উন্নীত করার জন্য গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানসমূহের প্রতি আহ্বান জানান।

আলোচনাসভায় অংশ নিয়ে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ বলেন, বিদ্যমান আইনে সাংবাদিকদের শ্রমিক হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। সাংবাদিকরা আর শ্রমিক হিসেবে থাকতে চান না। সাংবাদিকদের স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয়সমূহের কর্তৃত্ব একাধিক মন্ত্রণালয়ে না রেখে শুধু তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে রাখার পক্ষে মত দেন তারা।

আলোচনাসভায় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবা ফারজানা, প্রধান তথ্য অফিসার মো. নিজামূল কবীর, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস)-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক মাহবুব মোর্শেদ, চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খালেদা বেগম, প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ, বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ আবদুল্লাহ, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি হাসান হাফিজ, বিএফইউজের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওবায়দুর রহমান শাহীন, মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরী, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শহিদুল ইসলাম, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি ও সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।


আগামী নির্বাচন হবে গণতন্ত্রের নতুন ভিত্তি : প্যারিসের মেয়রকে অধ্যাপক ইউনূস

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে নিউইয়র্কে মঙ্গলবার প্যারিসের মেয়র অ্যানে হিদালগো বৈঠক করেন। ছবি: প্রধান উপদেষ্টার ফেসবুক
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে নিউইয়র্কে মঙ্গলবার প্যারিসের মেয়র অ্যানে হিদালগো বৈঠক করেছেন।

বৈঠকে উভয়ে বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট, ক্রীড়া, সামাজিক উদ্যোগ এবং বিশ্বমানবিক সংকট নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।

সাক্ষাৎকালে দুই নেতা বাংলাদেশের আসন্ন সাধারণ নির্বাচন, অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্বে চলমান সংস্কার কার্যক্রম, ক্রীড়া ও অলিম্পিকে সামাজিক ব্যবসার সম্ভাবনা এবং বৈশ্বিক শরণার্থী সঙ্কট—বিশেষ করে রোহিঙ্গা মানবিক সংকট সম্পর্কে ব্যাপক মত বিনিময় করেন।

এ সময়ে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক রূপান্তরের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। আগামী সাধারণ নির্বাচন ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হবে। এটি শুধু একটি নির্বাচন নয়, এটি দেশের গণতন্ত্রে একটি নতুন যুগের সূচনা করবে।’

প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘আগামী ফেব্রুয়ারির নির্বাচন বাংলাদেশের ভবিষ্যত নির্ধারণে একটি ভিত্তিমূলক ঘটনা হবে, যা দেশের গণতন্ত্রকে দৃঢ়ভাবে এগিয়ে নেবে।’

অধ্যাপক ইউনূস প্যারিস ২০২৪ অলিম্পিককে সামাজিক ব্যবসায় উদ্যোগ রূপান্তর করতে নেতৃত্ব দেন। প্রধান উপদেষ্টা ভবিষ্যতে অনুষ্ঠিত সকল অলিম্পিক—বিশেষত আসন্ন লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিক—কার্বন নিরপেক্ষ করার ওপর জোর দেন।

মেয়র হিদালগো এই সংকটময় সময়ে অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বে পূর্ণ আস্থা প্রকাশ করে বলেন, ‘আমি আপনার নেতৃত্বকে গভীরভাবে সম্মান করি। আপনি অসাধারণ কাজ করেছেন, এবং আপনার অঙ্গীকার মানবতার জন্য এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।’

উভয় নেতা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য তহবিল বৃদ্ধির জরুরি প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। বিশেষ করে বাংলাদেশের দক্ষিণ পূর্ব অঞ্চলে অবস্থিত শরণার্থী শিবিরে বসবাসরত এক মিলিয়নের বেশি মানুষের জীবনমান উন্নয়নের আহ্বান জানান। মেয়র হিদালগো আশা প্রকাশ করেন যে একদিন রোহিঙ্গারা নিরাপদ ও মর্যাদাসহ তাদের মাতৃভূমি মিয়ানমারে ফিরে যেতে পারবেন।

অধ্যাপক ইউনূস উল্লেখ করেন, ‘জাতিসংঘ আগামী সপ্তাহে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন আয়োজন করছে, যার উদ্দেশ্য হলো বৈশ্বিক মনোযোগ পুনরুজ্জীবিত করা এবং এর একটি স্থায়ী সমাধান খোঁজা।’

তিনি মেয়র হিদালগোকে সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশ সফরের জন্য আন্তরিক আমন্ত্রণ জানান, যা দুই দেশের মধ্যে মানবিক ও সামাজিক ব্যবসায়িক সহযোগিতাকে আরও শক্তিশালী করবে।

বৈঠকে এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ উপস্থিত ছিলেন।


জাতিসংঘে নারী সম্মেলনে বিশ্বব্যাপী বাধ্যতামূলক জবাবদিহিতাপূর্ণ ফোরাম গঠনের আহ্বান জানান শারমীন এস মুরশিদ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

জাতিসংঘ সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত চতুর্থ বিশ্ব নারী সম্মেলনের ৩০তম বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত সভায় বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন সমাজকল্যাণ ও মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ।

তিনি তার ভাষণে বলেন, বর্তমান অগ্রগতি ও চ্যালেঞ্জের পরিপ্রেক্ষিতে ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি-৫) অর্জন কঠিন হয়ে পড়ছে। এজন্য তিনি বিশ্বব্যাপী একটি বাধ্যতামূলক ও জবাবদিহিতাপূর্ণ ফোরাম গঠনের আহ্বান জানান।

বাংলাদেশের অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরে তিনি উল্লেখ করেন—শিক্ষায় লিঙ্গ বৈষম্য হ্রাস, লিঙ্গ-প্রতিক্রিয়াশীল বাজেট প্রণয়ন, মাতৃস্বাস্থ্যের উন্নতি ও রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে নারীদের এগিয়ে যাওয়া উল্লেখযোগ্য সাফল্য। তবে সামাজিক রীতি, অর্থনৈতিক বৈষম্য ও বৈশ্বিক দক্ষতার ঘাটতি এখনো বড় চ্যালেঞ্জ।

বাংলাদেশের পক্ষ থেকে চারটি প্রতিশ্রুতি ঘোষণা করেন তিনি—
১. ২০২৫ সালের মধ্যে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে আইন প্রণয়ন ও সার্বজনীন সেবা নিশ্চিতকরণ।
২. ২০২৭ সালের মধ্যে নারীর অবৈতনিক কাজের মূল্যায়নে স্যাটেলাইট অ্যাকাউন্ট চালু।
৩. রাজনৈতিক দলে অন্তত ৩৩% নারী প্রার্থীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত।
৪. সরকারি প্রতিষ্ঠানে লিঙ্গ-প্রতিক্রিয়াশীল বাজেট সম্প্রসারণ।

তিনি বলেন, “কোনও দেশ একা সফল হতে পারে না। তাই এখন সময় এসেছে দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বাস্তবায়নের পথে অগ্রসর হওয়ার।”

প্রতিনিধিদলে আরও উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব ফিরোজ উদ্দিন খলিফা, যুগ্মসচিব দিলারা বেগম ও উপসচিব তারেক মোহাম্মদ জাকারিয়া প্রমুখ।


শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টার সাথে ওআইসি শ্রম কেন্দ্রের মহাপরিচালকের সাক্ষাৎ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবঃ) ড. এম সাখাওয়াত হোসেনের সাথে গতকাল আজারবাইজানের বাকুতে ইসলামী সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) শ্রম কেন্দ্রের মহাপরিচালক আজার বায়রামভ সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎকালে প্রবাসী শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়ন, কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, ভিসা এবং অন্যান্য সুবিধা বিষয়ে কারিগরি সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

সাক্ষাৎকালে শ্রম উপদেষ্টা বলেন, মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশে কর্মরত বাংলাদেশি শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়ন, নিরাপত্তা প্রদান, অধিকার আদায় ও অন্যান্য সুবিধা প্রাপ্তিতে ওআইসিভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে কারিগরি সহযোগিতা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। তিনি এ বিষয়ে ওআইসি শ্রম কেন্দ্রকে আরো সক্রিয় ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান।

এসময় (ওআইসি) শ্রম কেন্দ্রের মহাপরিচালক বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের মতো ওআইসিভুক্ত দেশসমূহের নাগরিকগণ যেন কাজের জন‍্য অন‍্যান‍্য ওআইসিভুক্ত দেশে আবেদন করতে পারে এবং যোগ্যতা অনুযায়ী কাজের সুযোগ পেতে পারে সে লক্ষ্যে সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনার আওতায় উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে । এ বিষয়ে তিনি সদস্য দেশগুলোর সহযোগিতা কামনা করেন।

সাক্ষাৎ শেষে শ্রম উপদেষ্টা আজার বায়রামভকে বাংলাদেশের শ্রম খাতে গৃহীত কার্যক্রম এবং শ্রম মানকে আন্তর্জাতিক মানদন্ডে উন্নীতকরণে কারিগরি সহযোগিতা বৃদ্ধি করতে বাংলাদেশ ভ্রমণের আমন্ত্রণ জানান


সৌদি আরবের গ্র্যান্ড মুফতির মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস সৌদি আরবের গ্র্যান্ড মুফতি শেখ আবদুল আজিজ আল-শেখের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন ।

গ্র্যান্ড মুফতি শেখ আবদুল আজিজ আল-শেখ মঙ্গলবার সকালে রিয়াদে ৮২ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন।

আজ এক শোকবার্তায় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘শেখ আবদুল আজিজ আল-শেখের মৃত্যুতে মুসলিম উম্মাহ এক বিশিষ্ট আলেম এবং ইসলামী চিন্তাধারার একজন পথপ্রদর্শককে হারালো। সারাজীবন ইসলামের সেবায় তাঁর অমূল্য অবদান ও অগাধ ইসলামী পাণ্ডিত্য গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণীয় থাকবে। ইসলামি বিশ্বে তাঁর অনুপস্থিতি গভীরভাবে অনুভূত হবে।’

শেখ আবদুল আজিজ আল-শেখ বিশ্বখ্যাত ইসলামি পণ্ডিত ছিলেন। তিনি সৌদি আরবের জেনারেল প্রেসিডেন্সি অব স্কলারলি রিসার্চ অ্যান্ড ইফতা-এর প্রধানের দায়িত্ব পালন করেছেন। পাশাপাশি তিনি মুসলিম ওয়ার্ল্ড লিগের সুপ্রিম কাউন্সিলের প্রধান ছিলেন।

তিনি তাঁর বিশদ জ্ঞান ও নেতৃত্বের জন্য বিশ্বব্যাপী সম্মানিত ছিলেন।

তিনি ১৯৬১ সালে রিয়াদে ইমাম মুহাম্মদ বিন সউদ ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শরিয়া কলেজে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ শুরু করেন এবং ১৯৬৫ সালে আরবি ও ইসলামি শরিয়াহ বিশেষায়ণসহ স্নাতক সম্পন্ন করেন।

১৯৯৯ সালের জুন মাসে সৌদি আরবের প্রয়াত বাদশাহ ফাহাদ শেখ আবদুল আজিজ আল-শেখকে সৌদি আরবের গ্র্যান্ড মুফতি নিযুক্ত করেন।


banner close