আসন্ন রাজশাহী ও সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করে ভোটদানে কোনো অসুবিধা হবে না বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান।
সোমবার এক লিখিত বিবৃতিতে কমিশনার আহসান হাবিব বলেন, ইভিএমে ভোটের সব প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। পাঁচ সিটির মধ্যে গাজীপুরের পর খুলনা ও বরিশালে ইভিএমে ভোট দিতে তেমন বিড়ম্বনায় পড়তে হয়নি। রাজশাহী ও সিলেটেও কোনো অসুবিধা হবে না।
এ বছরে এ পর্যন্ত তিনটি সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গাজীপুর, খুলনা ও বরিশাল সিটির প্রতিটি নির্বাচনেই ভোট নিতে ব্যবহার করা হয়েছে ইভিএম।
নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবীব বলেন, সদ্য সমাপ্ত তিন সিটি ভোটে ইভিএমে ধীরগতির খানিক অভিযোগ পাওয়া গেলেও বড় ধরনের কোনো সমস্যা হয়নি। ভোট চলাকালে ক্রটি ধরা পড়লেও তা সহসাই সমাধান করছে কারিগরি টিম। তবে পাঁচ সিটি ভোটে ইভিএম ব্যবহার করলেও দ্বাদশ ভোটে তিনশ আসনেই ব্যালটে ভোট করবে ইসি।
বর্ষা মৌসুমের কথা মাথায় রেখে ব্যাটারি, চার্জার ও আনুষাঙ্গিক যন্ত্রপাতিতেও যেন ত্রুটি না থাকে, সে বিষয়ে কারিগরি দল সক্রিয় থাকবে বলে জানান এই কমিশনার। বলেন, আমাদের কাছে সব প্রার্থী সমান, সব দলও সমান। ভোটারদের নির্বিঘ্ন পরিবেশ তৈরিতে আমরা বদ্ধপরিকর। সব অংশীজনের সক্রিয় ও আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করছি।
প্রতিটি নির্বাচনই বর্তমান কমিশনের কাছে সমান গুরুত্বপূর্ণ ও চ্যালেঞ্জের উল্লেখ করে আহসান হাবিব খান বলেন, নির্বাচন থেকে অভিজ্ঞতা নিচ্ছি। ভোটারদের প্রত্যাশা পূরণের চেষ্টা করে যাচ্ছি। তফসিল ঘোষণার পর থেকেই নির্বাচনে বিধিবিধান প্রতিপালন নিশ্চিত করতে আমাদের অবস্থান কঠোর ছিল। আগের মতো রাজশাহী ও সিলেট সিটি নির্বাচনের প্রতিটি পদক্ষেপেই আমরা সুতীক্ষ্ণ নজর রেখে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে সব ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছি। এ ছাড়াও আমরা সরাসরি সিসি ক্যামেরায় এ নির্বাচন ঢাকা থেকে পর্যবেক্ষণ করবে।
ভোটের আগে, ভোটের দিন ও ভোটের পর অনিয়ম, গোলোযোগ ও সহিংসতা যেন না ঘটে, সে বিষয়ে কঠোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে জানান এই কমিশনার।
আচরণবিধি প্রতিপালনে স্থানীয়ভাবে বেশ কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে উল্লেখ করে কমিশনার আহসান হাবিব খান বলেন, অভিযোগ খতিয়ে দেখে সিলেটে একজন কাউন্সিলর প্রার্থীর প্রার্থিতাও বাতিল করা হয়েছে।
বিবৃতিতে এই নির্বাচন কমিশনার জানান, নির্বিঘ্নে ভোটাধিকার প্রয়োগের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার ব্যাপারে প্রশাসন, পুলিশ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও ভোট গ্রহণ কর্মকর্তারা শতভাগ নিশ্চয়তা দিয়েছেন। আমরা সবার জন্য সমান সুযোগ তৈরি করেছি এবং নির্বাচন প্রচারণায় অনিয়ম বা বিশৃঙ্খলা করলে কোনো ধরনের ছাড় দিই নাই।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে পোস্টার ও পোস্টকার্ড প্রকাশ করেছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে রোববার পোস্টার ও পোস্টকার্ড প্রকাশ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম। প্রকাশিত ১০টি পোস্টারের সবগুলোই জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকেন্দ্রিক।
পোস্টার ও পোস্টকার্ড প্রকাশ অনুষ্ঠানে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পোস্টকার্ড 'নোটস্ অন জুলাই'-এ সব শ্রেণি-পেশার মানুষের মতামত দেওয়ার সুযোগ থাকবে।
তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, বিপুলসংখ্যক মানুষ পোস্টকার্ডে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান-সম্পর্কিত স্মৃতি ও মতামত প্রদান করবেন। এসব পোস্টকার্ড গুরুত্বসহকারে সংরক্ষণ করা হবে।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এবং এর অধীন দপ্তর-সংস্থার কার্যক্রম চলমান উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, কেন্দ্রীয়ভাবে গৃহীত কার্যক্রম বাস্তবায়নের পাশাপাশি মন্ত্রণালয় নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় বেশকিছু উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এসব উদ্যোগ বাস্তবায়নে তিনি সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিকভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।
মাঠপর্যায়ে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তির কার্যক্রম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জেলা তথ্য অফিসসমূহ প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী, পোস্টার বিতরণ ও প্রদর্শনসহ অন্যান্য কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। তিনি জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তির সকল কার্যক্রম যথাসময়ে বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
অনুষ্ঠানে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবা ফারজানা ও মন্ত্রণালয়ের দপ্তর-সংস্থার প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।
সশস্ত্র বাহিনীর কর্মকর্তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা আরও দুই মাসের (৬০ দিন) জন্য বৃদ্ধি করেছে সরকার। যা ১৪ জুলাই থেকে কার্যকর হবে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ১৩ জুলাই এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর ক্যাপ্টেন ও তদূর্ধ্ব পদমর্যাদার কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগণ (যাদের মধ্যে কোস্ট গার্ড ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশে (বিজিবি) প্রেষণে নিয়োজিত সমপদমর্যাদার সামরিক কর্মকর্তারাও অন্তর্ভুক্ত) সারাদেশে বিশেষ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দেয়া হয়েছে।
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপির) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে স্বৈরাচারী একটা ফ্যাসিস্ট সরকার, শেখ হাসিনার সরকারের পতন ঘটেছিল। স্বৈরাচার সরকার জোর করে ১৬ বছর ক্ষমতায় টিকে ছিল। মানুষের প্রতি এমন কোনো নির্যাতন নাই যে করে নাই। গুম, খুন, নির্যাতন, দুর্নীতি, লুটপাট থেকে শুরু করে ভোটাধিকার হরণ, সন্ত্রাস এমন কোনো অপকর্ম নাই যে ফ্যাসিস্ট সরকার করে নাই। তিন-তিনবার দেশের মানুষ ভোট দিতে পারে নাই। ফলে মানুষ রাজপথে নেমে এসেছে। সীমাহীন জুলুম, নির্যাতন, অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে মানুষ রাজপথে নেমে এসেছিল।
জুলাই পদযাত্রার ১৩তম দিনে রোববার জাতীয় নাগরিক কমিটি (এনসিপি) পিরোজপুর জেলা শাখার আয়োজনে স্থানীয় শহীদ মিনারে এসব কথা বলেন।
সকাল ১১টায় দলটির কেন্দ্রীয় নেতা-কর্মীরা পিরোজপুর সার্কিট হাউস থেকে পদযাত্রা শুরু করে পিরোজপুর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পথসভায় বক্তব্য দেন। পদযাত্রাটি পিরোজপুর শহরের সিও অফিস থেকে সদর রোড সাধনা ব্রিজ ও পিরোজপুর মূল শহর প্রদক্ষিণ শেষে শহীদ মিনারে এসে পথসভায় মিলিত হয় ।
পথ সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্থা সারমিন, সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারাসহ জাতীয় নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃরা।
পথসভায় অংশগ্রহণ করতে জেলার সাতটি উপজেলা থেকে এনসিপির নেতা-কর্মীরা বৃষ্টি উপেক্ষা করে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে উপস্থিত হয় এবং বৃষ্টিতে ভিজে কেন্দ্রীয় নেতৃদের বক্তব্য শোনেন।
প্রধান উপদেষ্টার আন্তরিক সহযোগিতা ও গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনার কারণে এবার কোন হজ যাত্রীকে এয়ারপোর্টের কাঁদতে হয়নি বলে জানিয়েছেন ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন।
তিনি বলেন, কোন হজযাত্রী যেন হজে যাওয়া থেকে বঞ্চিত না হয়, এবার সেদিকে বিশেষ লক্ষ্য রাখা হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা পেয়ে, কোন হজ এজেন্সির ওপরে একক নির্ভরতা না রেখে, মন্ত্রণালয় থেকেই সমস্ত দায়িত্ব নিয়ে প্রায় ৮৭ হাজার হজ যাত্রীর সবাইকে সুষ্ঠুভাবে হজ করিয়ে ফেরত নিয়ে আসা হয়েছে। মহান আল্লাহ তায়ালার রহমতে সবাই পবিত্র হজ্ব পালন শেষে দেশে ফিরেছেন।
রবিবার (১৩ জুলাই) সচিবালয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ধর্ম উপদেষ্টা জানান, হজ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে সরকারের ব্যবসায়িক কোন উদ্দেশ্য নেই, হাজীদের সেবা করাই সরকারের একমাত্র ব্রত।
তিনি বলেন, সৌদি আরবে যাওয়ার পরও মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা নিয়মিত আমাদের খোঁজখবর রেখেছেন। তিনি হজের কার্যক্রমের বিষয়ে জানতে চেয়েছেন।
তিনি বলেন, বরাবরই প্রধান উপদেষ্টার একটাই নির্দেশনা ছিল যাতে কোন হজ যাত্রী ভোগান্তি শিকার না হয়, কষ্ট না পায়। নির্দেশনা মতো, আমরা সেভাবেই কাজ করে গেছি এবং সফলতা পেয়েছি আলহামদুলিল্লাহ।
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, আপনারা অবগত আছেন যে, ৮ জুলাই হজের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয় এবং ১০ জুন থেকে হজের ফিরতি ফ্লাইট শুরু হয়। ১০ জুলাই হজের ফিরতি ফ্লাইট শেষ হয়েছে। আজ (রোববার) সকাল পর্যন্ত ৯ জন হজযাত্রী সৌদি আরবের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। এই ৯ জন বাদে সকল হাজী (৮৭,১৪৫ জন ব্যবস্থাপনাসহ) দেশে ফিরেছেন।
তিনি আরো বলেন, যে সকল হাজী সৌদি আরবে চিকিৎসাধীন আছেন, তাদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে তাদেরকেও দেশে পাঠানো হচ্ছে। ইতোমধ্যে ২ জনকে বিশেষ ব্যবস্থায় মেডিকেল বেডের মাধ্যমে দেশে পাঠানো হচ্ছে। বর্তমানে আরো ৫ জনকে মেডিকেল বেডের মাধ্যমে দেশে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
তিনি বলেন, আশা করা হচ্ছে, রোগীদের শারীরিক অবস্থা পর্যালোচনা সাপেক্ষে অল্প কিছু দিনের মধ্যেই তাদেরকে দেশে ফেরত পাঠানো হবে।
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, সরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রেরিত হজ যাত্রীদেরকে হজ প্যাকেজ অনুযায়ী প্রতিশ্রুত সকল সেবা নিশ্চিত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এ বছর ৮৯২ জন হজযাত্রী হারানো গিয়েছিলো, যার মধ্যে ৮৯১ জনকেই খুঁজে পাওয়া গেছে। ৮২ বছর বয়স্ক একজন হজযাত্রীকে এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি। আমাদের হজ মিশন এখনও তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে।
তিনি আরও বলেন, এ বছর হজযাত্রী মৃত্যুর সংখ্যাও হ্রাস পেয়েছে। মোট ৪৫ জন হজযাত্রী মৃত্যুবরণ করেছেন। এদের সকলেরই নানা ধরণের জটিল রোগ-ব্যাধিতে আক্রান্তের পূর্ব ইতিহাস রয়েছে।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আজ (রবিবার) থেকেই সারা দেশে একযোগে চিরুনি অভিযান শুরু করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
রবিবার (১৩ জুলাই) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
উপদেষ্টা বলেন, ‘জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর নজরদারি চালাবে। কোথাও কোনো অপরাধী বা বিশৃঙ্খলাকারীকে ছাড় দেওয়া হবে না। তবে আমরা সবাইকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই—আইন যেন কেউ নিজের হাতে তুলে না নেন। আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার দায়িত্ব রাষ্ট্রের।’
মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ডের পর দ্রুত তদন্ত শুরু করা হয়েছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, এরইমধ্যে ৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ৬ জনকে ঘটনার ভিডিও ফুটেজ দেখে শনাক্ত করা হয়েছে। অপরাধীদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। যারাই জড়িত থাকুক না কেন; তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
‘এসব ঘটনার সুষ্ঠু বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতকরণে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অত্যন্ত তৎপর ও ঘটনা ঘটার সঙ্গে সঙ্গে অ্যাকশনে যাচ্ছে এবং অপরাধীদেরকে গ্রেপ্তার করছে।’
তিনি বলেন, এ হত্যাকাণ্ডের বিচার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে নেওয়ার পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। এরইমধ্যে খুলনার হত্যাকাণ্ডেও একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সরকার বিশ্বাস করে, অপরাধী অপরাধীই—তা সে যে-দলেরই হোক না কেন। রাজনৈতিক অথবা অন্য কোনো পরিচয়ে কাউকে ছাড় দেওয়া হচ্ছে না এবং ভবিষ্যতেও দেওয়া হবে না। কোনো অপরাধীকেই পুলিশ প্রশ্রয় দেবে না।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘দেশে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে আমরা কোনো আপস করব না। জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার।’
নির্বাচন নিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সমন্বয়ের মাধ্যমে আমরা নির্বাচনকে ঘিরে যেসব নিরাপত্তা ও প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করছি, তা ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই শেষ করতে পারব বলে আশা করছি। আমাদের অংশটুকু যথাসময়ে ও সুচারুভাবে সম্পন্ন করতে আমরা বদ্ধপরিকর।’
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তাদের নিরীহ আন্দোলন পরবর্তী সময়ে সরকারবিরোধী আন্দোলনে রূপ নেয় বলে জানিয়েছেন উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।
রবিবার (১৩ জুলাই) সচিবালয় সংবাদ সম্মেলনে উপদেষ্টা এই কথা জানান। এ সময় কমিটির সদস্য শিল্প মন্ত্রণালয় এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান; পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান উপস্থিত ছিলেন।
এনবিআর কর্মকর্তাদের রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে আন্দোলনের বিষয়ে ফাওজুল কবির খান বলেন, ‘এটি নিরীহ আন্দোলন ছিল। পরে এটি সরকারবিরোধী আন্দোলনের রূপ নেয়। অর্থনৈতিক ক্ষতি করার উদ্দেশ্য হয়ে পড়েছিল। রাজস্ব আদায় বাধাগ্রস্ত করার একটা উদ্দেশ্য ছিল।'
একটি পত্রিকার প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘সেখানে একটা হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের কথা বলা হয়েছে। সেখানে আন্দোলনের নামে সরকারবিরোধী অবস্থান তৈরি হয়েছে। সরকার কিন্তু অপরিসীম ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছে। ব্যবসায়ীরা আমাদের বলেছেন, আপনারা এতদিন এটাকে (আন্দোলন) কন্টিনিউ করতে দিলেন কেন? এটা ১৫ দিনের মাথায় কেন থামালেন না? নিপীড়নমূলক না হয়ে কীভাবে এটার সমাধান করা যায় সেজন্য উনি বারবার আলোচনা করেছেন, কিন্তু সেটাতে কাজ হয়নি।’
তিনি বলেন, ‘উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি ইতোমধ্যে পাঁচটি সভা করেছে। ভ্যাট অ্যাসোসিয়েশন, আয়কর অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য, এনবিআর, সংস্কার কমিশন এবং সর্বশেষ ব্যবসায় প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেছি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা মাঠ পর্যায়ে আয়কর, শুল্ক ও ভ্যাট কার্যক্রম দেখব। আয়কর, ভ্যাট ও শুল্ক অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তাদের প্রধান বক্তব্য ছিল, এনবিআর অটুট রাখতে হবে; রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব বাস্তবায়নের যে দুটি ডিভিশন, সেখানে ক্যাডার কর্মকর্তাদের নিয়োগ করতে হবে। তবে তারা দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমা চেয়েছেন। এখন আর দুই বিভাগ করার ক্ষেত্রে তাদের কোনো আপত্তি নেই। সংস্কার কমিটির যে বক্তব্য, সেটিও অভিন্ন।’
‘ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, দুই মাস আন্দোলনের কারণে তারা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তারা এটাও জানিয়েছেন যে প্রতিনিয়ত শুল্ক, আয়কর ও ভ্যাট কর্মকর্তাদের হয়রানির শিকার। সরকারের সংস্কার কার্যক্রমের বিষয়ে পূর্ণ সমর্থন তাদের আছে।’
উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘আপনারা জানেন, এনবিআরের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুদক তদন্ত করছে। কিছু কিছু কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তারা (ব্যবসায়ীরা) বলেছেন, এটি ঠিকই আছে, তবে এ বিষয়ে একটু ধীরগতি অবলম্বনের জন্য তারা অনুরোধ করেছেন।’
গত ৩০ জুন ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্প, বন্দর ও রাজস্ব আদায় কার্যক্রম আরও গতিশীল করতে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি গঠন করে সরকার। কমিটি গঠনের পর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
পাঁচ সদস্যের এই কমিটিতে আরও সদস্য হিসেবে রয়েছেন, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন; বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।
উল্লেখ্য, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়; সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্প, বন্দর ও রাজস্ব আদায় কার্যক্রম অধিকতর গতিশীল করতে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির আহ্বায়ক।
বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে পুলিশ ভেরিফিকেশন পদ্ধতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন এনেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ।
প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত কোনো প্রার্থী যদি পুলিশ ভেরিফিকেশন প্রতিবেদন ফরম জমা না দেন, তবে তাকে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হবে না। অর্থাৎ ভেরিফিকেশন ছাড়া নিয়োগের সুযোগ থাকছে না।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব সিদ্দিক জোবায়েরের সই করা পরিপত্রে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
পরিপত্রে বলা হয়েছে, ‘বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত প্রার্থীদের নিকট থেকে পুলিশ ভেরিফিকেশনের জন্য প্রয়োজনীয় পুলিশ ভেরিফিকেশন প্রতিবেদন ফরম প্রাপ্তির পর তা সরাসরি স্পেশাল ব্রাঞ্চ, পুলিশ অধিদপ্তরে পাঠাবে। প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত প্রার্থীদের মধ্যে কেউ পুলিশ ভেরিফিকেশন প্রতিবেদন ফরম দাখিল না করলে তাকে নিয়োগ সুপারিশের জন্য বিবেচনা করা হবে না।’ এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।
এর আগে বিদ্যমান নিয়মে, এই ভেরিফিকেশন ফরম শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগে পাঠানো হতো। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সে পদ্ধতি আর অনুসরণ করা হবে না।
পরিপত্রের অনুলিপি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ, আইন মন্ত্রণালয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়সহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে পাঠানো হয়েছে।
অন্যদিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়া দ্রুত ও কার্যকর করার লক্ষ্যেই এ পরিবর্তন আনা হয়েছে। কারণ, আগের প্রক্রিয়ায় ধাপে ধাপে পাঠানোর কারণে দীর্ঘসূত্রিতা তৈরি হচ্ছিল। তাই এনটিআরসিএকে সরাসরি পুলিশের সঙ্গে যুক্ত করে সময় কমানো এবং নিয়োগ প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, এনটিআরসিএ-এর অধীন এমপিওভুক্ত বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলেজ, মাদ্রাসা, কারিগরি ও ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তির আলোকে এক লাখ ৮২২ জন শিক্ষক নিয়োগের আবেদন চলছে।
এ আবেদন চলার মধ্যেই গত বুধবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ পুলিশ ভেরিফিকেশন সংক্রান্ত পরিপত্রটি জারি করেছে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জন্য শুভেচ্ছা উপহার হিসেবে এক হাজার কেজি হাড়িভাঙ্গা আম পাঠাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। দুই প্রতিবেশী দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক জোরদারে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ হাইকমিশনের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সোমবার (১৫ জুলাই) এই আমের চালানটি ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে পৌঁছাবে।
নয়াদিল্লি পৌঁছানোর পর আমগুলো ভারতের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর, কূটনীতিক এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মধ্যেও বিতরণ করা হবে— মৈত্রীর অংশ হিসেবে।
এছাড়া, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও আম পাঠাচ্ছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) ত্রিপুরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীসহ সেখানকার বিশিষ্টজনদের জন্য ৩০০ কেজি হাড়িভাঙ্গা আম উপহার পাঠানো হয়। আখাউড়া স্থলবন্দর হয়ে বিকেল ৫টা ১৫ মিনিটে ৬০টি কার্টনে এসব আম পাঠানো হয়।
প্রতিবছর বাংলাদেশ সরকার মৌসুমি উপহার হিসেবে ত্রিপুরা রাজ্য সরকার ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের জন্য আমসহ বিভিন্ন ফল পাঠিয়ে থাকে। এর জবাবে ত্রিপুরা রাজ্য সরকারও উপহার হিসেবে বাংলাদেশের জন্য পাঠায় বিখ্যাত রসালো ‘কুইন’ জাতের আনারস।
চলতি বছরের আম উপহার পাঠানোর কার্যক্রমটি পরিচালনা করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং এটি রপ্তানিকারকের মাধ্যমে সরবরাহ করা হয়। বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশন, আগরতলার কর্মকর্তাদের কাছে উপহারের চালানটি হস্তান্তর করা হয়।
এই উদ্যোগকে ‘আম কূটনীতি’ হিসেবে অভিহিত করা হয়, যা আগের প্রশাসনের সময়েও চলমান ছিল। এখনো এটি সৌহার্দ্য ও পারস্পরিক শুভেচ্ছার প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত সংস্কার কমিশনগুলোর সুপারিশ বিষয়ে ঐক্য গড়ে এবং রাষ্ট্র সংস্কারের বিভিন্ন বিষয়ে একমত হয়ে দ্রুততম সময়ের মধ্যে ‘জুলাই সনদ’ তৈরির লক্ষ্যে দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আজ আলোচনায় বসেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমির দোয়েল হলে আজ সকাল সাড়ে ১১টায় দ্বিতীয় দফার দ্বাদশ দিনের মত আনুষ্ঠানিকভাবে এ আলোচনা শুরু হয়েছে।
কমিশন সূত্রে জানা গেছে, আজকের আলোচনার সূচিতে প্রাধান্য পাচ্ছে- তত্ত্বাবধায়ক সরকারের রূপরেখা, প্রধান বিচারপতি নিয়োগবিধি ও জরুরি অবস্থা ঘোষণা।
এর আগে, উল্লেখ্য তিনটি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। পূর্বের অমীমাংসিত বিষয়গুলো নিয়ে আজ অধিকতর আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে।
বরাবরের মতো আজকেও আলোচনায় সভাপতিত্ব করছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ।
এছাড়া, কমিশনের সদস্য হিসেবে উপস্থিত রয়েছেন- বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. মো. আইয়ুব মিয়া ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।
সংলাপ শুরু হওয়ার আগে সূচনা বক্তব্যে কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যে বলেন, যেহেতু আপনারা রাজনৈতিক দল করেন, সেহেতু সব বিষয়ে আপনাদের একটি নির্দিষ্ট অবস্থান থাকবে, এটাই স্বাভাবিক। তবে আপনাদের প্রতি অনুরোধ, একটি মাঝামাঝি স্থানে এসে আমাদের দাঁড়াতে হবে।
পরবর্তীতে যদি জনগণের কাছ থেকে আপনারা প্রতিনিধিত্ব লাভ করতে পারেন, তাহলে সেটি পরিবর্তন করতে পারেন এবং সেটি জনগণের রায়ের ওপর নির্ভরশীল থাকবে।
কিন্তু কমিশন মনে করছে, একটি পর্যায়ে আসা ভালো।
তিনি আরো বলেন, আমরা আপনাদের বক্তব্যকে গুরুত্বহীন মনে করছি না, বরং আমরা চাচ্ছি সকলে একটি ঐক্যমতে পৌঁছাক। চাইলেই এ আলোচনা বাদ দেওয়া যেতে পারে, কিন্তু তাতে বিদ্যমান পরিস্থিতিই থেকে যাবে। আমাদের একটি জায়গায় আসতে হবে- এই বিবেচনাটা যদি আপনারা করেন, তাহলে আমাদের পক্ষে ঐকমত্য গঠন করা সম্ভব।
তিনি সকলের প্রতি কিছুটা ছাড় দিয়ে ও কিছুটা অবস্থান পরিবর্তন করে একটি জায়গায় আসার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আপনারা অবস্থার পরিবর্তন করে হলেও এগিয়ে আসুন। না হলে আমরা যেখানে আছি, সেখানেই থেকে যাব। গ্রহণযোগ্যতার দিক থেকে এইটুকু বিবেচনা করুন যে, এটা সম্ভব কি-না।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আলোচনায় অংশগ্রহণ করছে- বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), গণঅধিকার পরিষদ, গণসংহতি, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি ও আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টিসহ ৩০টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা।
এর আগে, দফায় দফায় বৈঠকে কমিশন প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ, রাষ্ট্রপতি নির্বাচন পদ্ধতি, রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি ও সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণকল্পে স্বতন্ত্র কমিটি গঠন করাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করেছে।
কমিশন সূত্রে জানা যায়, আলোচনা শেষে ব্রিফ করবেন রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধিরা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে নবীনগর-কোম্পানিগঞ্জ রোড়ের পৌর এলাকার আলীয়াবাদ বাজারে সড়কের পাশে মাটির চাপে ড্রেইন ভেঙে গিয়ে মরণ ফাঁদ তৈরি হয়েছে। ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন। যে কোন সময় ঘটতে পারে মারাত্মক দুর্ঘটনা।
জানা যায়- জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে টানা বৃষ্টিতে নবীনগর- কোম্পানিগঞ্জ সড়কের আলীয়াবাদ বাজারে সড়কের পাশের ড্রেইটি ভেঙে যাওয়ার কারণে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে সড়কটি। ঝুঁকি নিয়েই এ সড়কে প্রতিনিয়ত চলাচল করে নবীগর, কুমিল্লা, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের যানবহন। তাই চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে এ সড়ক যাতায়াতকারী যাত্রীদের। আলীয়াবাদ বাজারে আসা ক্রেতা ও বিক্রেতাদের জনদুর্ভোগ পৌঁছেছে চরমে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ- পৌরসভার এ ড্রেইনটি দিয়ে আলীয়াবাদ গ্রামের পানি নিষ্কাশন হয়ে থাকে। ফলে ওই এলাকায় তৈরি হচ্ছে জলাবদ্ধতা। অবিলম্বে ড্রেইনটি নির্মাণ করে ড্রেনেজ ব্যবস্থা সচল ও ফাটল ধরে যাওয়া সড়কের কাজ দ্রুত করার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান- প্রতিদিন পৌর এলাকারসহ আশপাশের গ্রামের হাজারো মানুষ আসে এ বাজারে। এ ড্রেইনটি এখন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। প্রতিদিন ঘটছে দুর্ঘটনা। পরিবহণ শ্রমিকরা জানান- ঝুঁকি নিয়ে আমাদেরকে গাড়ি চালাতে হচ্ছে। এ স্থানে যে কোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। এ ড্রেনটি ভেঙে যাওয়ার পর থেকে প্রতি দিনই যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। এ বিষয়ে নবীনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নবীনগর পৌরসভার প্রশাসক রাজীব চৌধুরী বলেন-"সড়কের মালিক সওজ, তাদের সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে, তারা জানিয়েছেন দ্রুত সময়ে কাজ শুরু হবে"।
ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্তে ভারতীয় পুলিশের মাধ্যমে বাংলাদেশ পুলিশের কাছে মোঃ ওবাইদুল হোসেন (৪০) নামের এক বাংলাদেশি নাগরিকের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।
বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, গত ২৭ এপ্রিল ২০২৫ তারিখ সকাল ৮টা ৫৫ মিনিটে ভারতের অভ্যন্তরে মেইন পিলার ৪৮ এর নিকট মধুপুর নামক স্থানে এক অজ্ঞাত ব্যক্তির মরদেহ পড়ে থাকার বিষয়টি বিএসএফ মহেশপুর ব্যাটালিয়ন (৫৮ বিজিবি)-কে অবহিত করে। পরে জানা যায়, মৃতদেহটি ২০০ গজ ভেতরে ভারতের এলাকায় পড়ে ছিল এবং একইদিন ভারতীয় পুলিশ সেটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
পরদিন ২৮ এপ্রিল মোঃ হানেফ আলী নামে এক ব্যক্তি যাদবপুর বিওপিতে এসে দাবি করেন যে, মৃতদেহটি তার ছেলে মোঃ ওবাইদুল হোসেনের, যিনি ২৬ এপ্রিল রাত ১২টার দিকে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফেরেননি। মৃত সন্তানের মরদেহ ফেরতের জন্য তিনি বিজিবির কাছে লিখিত আবেদন করেন।
বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে বিজিবি বিএসএফের সঙ্গে নিয়মিত পত্রালাপ ও চাপ সৃষ্টি করে। এর ফলস্বরূপ ৯ জুলাই বিএসএফ জানায়, ভারতীয় পুলিশ মরদেহ হস্তান্তরের বিষয়ে সম্মত হয়েছে। পরে ১২ জুলাই দুপুর ৩টা ৫৫ মিনিটে সীমান্ত পিলার ৪৭/৪-এস এর নিকটে শূন্যরেখায় মরদেহটি আনা হয়।
এ সময় বিজিবি ও বিএসএফ সদস্যদের উপস্থিতিতে মোঃ ওবাইদুল হোসেনের পিতা হানেফ আলী এবং পমাতা নাছিমা খাতুন মরদেহ এবং তার পরিধেয় বস্ত্র দেখে সনাক্ত করেন। এরপর বিকেল ৫টা ১০ মিনিটে ভারতীয় পুলিশ মরদেহটি মহেশপুর থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করে।
পরে মহেশপুর থানা পুলিশ স্থানীয় যাদবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ সালাউদ্দিন মিয়া ও গ্রাম মেম্বার মোঃ হাসানুজ্জামানের উপস্থিতিতে মৃতদেহটি ওবাইদুল হোসেনের পরিবারের কাছে হস্তান্তর কর বিজিবি জানায়, সীমান্তে মানবিকতা ও আন্তঃরাষ্ট্রীয় সমন্বয়ের ভিত্তিতে এই মরদেহ হস্তান্তর কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে।
আনোয়ারা উপজেলা পরৈকোড়া ইউনিয়নের প্রায় দেড় কিলোমিটার সড়কটি দীর্ঘদিন পাকা ছিল না,বহু প্রতীক্ষার পর সেখানে এলজিইডির ২ কোটি ৬ লাখ টাকা ব্যয় পাকা সড়ক নির্মাণ করা হয়। কিন্তু কাজ শেষ হওয়ায় দু'মাস যেতে না যেতেই বিভিন্ন অংশ ভাঙন সৃষ্টি হয়েছে। যার ফলে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে স্থানীয়দের মাঝে।
এতে হতাশ হয়ে পড়েছেন এলাকার বাসিন্দারা। তারা বলছেন,১.৩৬৫ কিলোমিটার সড়কটি বিভিন্ন অংশের সাইড ভেঙে পড়েছে, যার ফলে সড়কটিতে যানবাহন চললে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সড়কটি। ঠিকাদার ও কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কারণেই এত দ্রুত সড়ক নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা। এদিকে বিষয়টি সরেজমিনে পরিদর্শন করে ব্যবস্থা নিবেন বলে জানিয়েছেন উপজেলা প্রকৌশলী জাহেদুল আলম চৌধুরী।
জানা যায়,উপজেলার পরৈকোড়া ইউনিয়নের আনোয়ারা প্রকৌশলী অফিসের হাজী খায়ের আহমদ সড়কটি গত ২ মাস আগে মেসার্স শাহে জব্বরিয়া,নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ সম্পন্ন করে। কাজ শেষ হওয়ার দু’মাস না পেরোতেই কয়েকটি স্থানে রাস্তার পাড়,ইউনি ব্লক ও স্লাইডিং ভেঙ্গে পড়েছে।
স্থানীয়রা জানান, সড়কটির পাউবোর আরসিসি স্লুইস গেটসংলগ্ন স্থানে ১২ ফুট প্রশস্ত সড়কের ৯ ফুট ভেঙে সৃষ্টি হয়েছে গর্তের। এতে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে ইজিবাইক,অটোরিকশা ও ভ্যানগাড়ি। নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার ও অবাধে মালামাল ভর্তি মাহেন্দ্রাসহ ভারী যানবাহন চলাচল করায় এমন হাল হয়েছে বলে ধারণা স্থানীয়দের।
এবিষয়ে উপজেলা উপজেলা প্রকৌশলী জাহেদুল আলম চৌধুরী বলেন,এবিষয়ে স্থানীয়দের একটি অভিযোগ পেয়েছি,বিষয়টি সরেজমিনে পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দেশের জলজ জীববৈচিত্র্য ও মৎস্যসম্পদের জন্য মারাত্মক হুমকি হয়ে উঠেছে নিষিদ্ধ ‘চায়না দুয়ারী’ জাল। একবার এই জালে মাছ বা জলজ প্রাণী প্রবেশ করলে তা আর বের হতে পারে না। তাই মৎস্য অধিদপ্তর এ জাল নিষিদ্ধ করলেও পাবনার ফরিদপুর উপজেলার ডেমরা, বি-নগর ও পুঙ্গলী ইউনিয়নে বেড়েই চলেছে চায়না জালের অবৈধ উৎপাদন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, লোকচক্ষুর আড়ালে নয় প্রশাসনের সামনেই ঘরের গেট বন্ধ করে দিব্যি চলছে চায়না দুয়ারী জালের উৎপাদন। এ জালের ব্যাপক চাহিদা থাকায় স্থানীয়ভাবে তৈরি ফ্রেম ও জাল কুরিয়ার সার্ভিসে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় পাঠানো হচ্ছে।
ডেমরা ইউনিয়নে একাধিক কারখানা মালিক মিলে গঠন করেছেন ‘কারখানা মালিক সমিতি। স্থানীয়দের কাছে অভিযোগ উঠেছে, এই সমিতিকে ছায়া দিয়ে কারখানা বাড়াতে সহযোগিতা করছেন ডেমরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জুয়েল রানা।
স্থানীয়দের অভিযোগ চেয়ারম্যানের প্রত্যক্ষ মদদে কারখানাগুলো নির্ভয়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। মালিকদের মধ্যে রয়েছেন নিত্য হাওলাদার, দীপ্ত হাওলাদার, শ্যামল, বিপ্লব, সুশান্ত হাওলাদার, পশু চিকিৎসক পরিতোষ হাওলাদার এবং মাজাট সুইচগেট এলাকার আল-আমিন।
পুঙ্গলীর নারানপুর পশ্চিমপাড়া কিবরুল, রতনপুর উত্তরপাড়া অঞ্চলের, কালাম, রুহুল আমিন, মালেক, খোয়ালিদ, শাহিন ও মোমিনসহ বহু লোক এই অবৈধ জাল তৈরির সঙ্গে জড়িত।
স্থানীয়দের দাবি, চেয়ারম্যান জুয়েল রানা নিজেও ‘জুয়েল ফাউন্ডেশন’ নামে একটি অবৈধ সংগঠনের আড়ালে এই ব্যবসা পরিচালনা করছেন। এর কোনো অফিস বা রেজিস্ট্রেশন নেই। মাঝে মাঝে চাল বিতরণ করলেও তা সরকারি না নিজের টাকায় সে বিষয়েও রয়েছে সন্দেহ। সমাজসেবা অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী ‘জুয়েল ফাউন্ডেশন’-এর কোনো বৈধ লাইসেন্স নেই।
এসব কারখানায় কাজ করছে অনেক অপ্রাপ্তবয়স্ক শিক্ষার্থী। স্কুল ফাঁকি দিয়ে জড়িয়ে পড়ছে জাল তৈরির কাজে। ফলে স্কুল ছুটির হার বাড়ছে, পাশাপাশি গড়ে উঠছে অনৈতিক সম্পর্ক ও নানাবিধ সামাজিক সমস্যা।
জাল তৈরির কাজ মূলত রাতের বেলায় হয়, যার সুযোগ নিচ্ছে মাদক ব্যবসায়ীরা। রতনপুরসহ কয়েকটি এলাকায় ইয়াবা, গাঁজা ও ফেন্সিডিলের ব্যবহার ভয়াবহ আকার নিয়েছে।
মৎস্য বিশেষজ্ঞদের মতে, চায়না দুয়ারী জালের মাধ্যমে মাছের ডিম ও ছোট মাছ ধরা পড়ায় দেশিয় অনেক মাছের প্রজাতি বিলুপ্তির ঝুঁকিতে রয়েছে। প্রায় ৫০ থেকে ১০০ ফুট দীর্ঘ এবং দেড় ফুট প্রস্থের এই জালের ফাঁস এতটাই ছোট যে কোনও মাছ রক্ষা পায় না।
স্থানীয়রা প্রশ্ন তুলেছেন, ‘জাল ধ্বংস করা হলেও কারখানাগুলো বন্ধ হচ্ছে না কেন গত ঈদের আগেও সহকারী কমিশনার (ভূমি) সানাউল মোর্শেদ একাধিকবার অভিযান পরিচালনা করলেও কার্যকর কোনো পরিবর্তন হয়নি।
ডেমরা ইউপি চেয়ারম্যান জুয়েল রানা বলেন, ‘আমার কোনো কারখানা নেই। ছোট ভাই একসময় ব্যবসা করতেন, পরে বন্ধ করে দিয়েছির। তিনি স্বীকার করে বলেন, একবার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে কিছু জাল নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সহকারী কমিশনার (ভূমি) সানাউল মোর্শেদের লোকজনের কাছ থেকে টাকায় জাল কিনে এনেছিলাম।
তিনি আরও দাবি করেন, ‘ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে সব জাল পুড়িয়ে ফেলা হয় না। কিছু পুড়িয়ে বাকি জাল বিক্রি করে দেওয়া হয়। আমি নিজেও এমন জাল কিনেছি, প্রমাণও রয়েছে।
আমরাও চাই অবৈধ ব্যবসা বন্ধ হোক। কিন্তু অভিযান চালিয়ে টাকা খেয়ে আবার কারখানা চালানোর সুযোগ করে দিলে তো কিছুই হবে না। আমাকে ঈদের আগে টাকার অফার দেওয়া হয়েছিল উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) এর অফিস থেকে- মাসিক ভিত্তিতে টাকা দিলে ব্যবসা চালাতে দেবে, এতে আমি পাত্তা দিইনি।’
সহকারী কমিশনার (ভূমি) সানাউল মোর্শেদ বলেন, ‘সম্প্রতি ডেমরা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান জুয়েল রানার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ নিষিদ্ধ জাল পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। সেদিন তিনি বাড়িতে ছিলেন না, থাকলে তাকে আইনের আওতায় আনা যেত। কারখানায় ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি জব্দ করলে সমস্যার সমাধান হতো- এমন প্রশ্নের উত্তরে বলেন তিনি, সেগুলো পরিবহনের জন্য সরকারি বরাদ্দ না থাকায় তা সম্ভব হয় না।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) আরো বলেন, ‘আমার অফিস থেকে যদি কেউ টাকা চেয়ে থাকে, তাহলে সরাসরি আমাকে জানাতে হবে- আমি কি টাকা চেয়েছি, নাকি আমার অফিসের কেউ চেয়েছে? আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির সম্মান রক্ষা করতে।
আমি যখন অভিযানে যাই, তখন একজন পেশকার আমার সঙ্গে ছিলেন। অভিযানের সময় ইউপি চেয়ারম্যান আমাকে ফোন দেওয়ার সাহস না করে পেশকারকে ফোন দিয়ে বলেন, যেন আমি অভিযানটা না করি তার সম্মান যাতে রক্ষা পায়।
আমরা অভিযান পরিচালনা করেছি, কিন্তু কাউকে ছবি তুলতে দিইনি। চাইলে তার বিরুদ্ধে মামলাও করা যেত। কিন্তু শুধুমাত্র তার মান-সম্মানের কথা বিবেচনায় আমরা অভিযান শেষ করে নিরবে ফিরে এসেছি।
পাবনায় নিষিদ্ধ জালের উৎপাদন এখন শুধু একটি অবৈধ ব্যবসা নয়, বরং তা হয়ে উঠেছে একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট। এর সঙ্গে প্রশাসনের কিছু অসাধু সদস্যের যোগসাজশের অভিযোগ পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে। এখন প্রশ্ন- সরকারি কর্তৃপক্ষ কি সত্যিকারের পদক্ষেপ নেবে, নাকি এভাবেই লোক দেখানো অভিযানের আড়ালে ব্যবসা চলতে থাকবে।