সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫
৬ শ্রাবণ ১৪৩২

খ্যাতিমান কার্টুনিস্ট এমএ কুদ্দুস আর নেই

এমএ কুদ্দুস
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত : ১৫ জুলাই, ২০২৩ ১৫:১৮

খ্যাতিমান কার্টুনিস্ট এবং ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সিনিয়র সহ-সভাপতি এমএ কুদ্দুস আর নেই। (ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তার বয়স হয়েছিল ৪৮ বছর।

হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে শনিবার সকালে রাজধানীর শাহীনবাগ এলাকার নিজ বাসভবনে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।

কার্টুনিস্ট কুদ্দুস দৈনিক সংবাদ, ইত্তেফাকসহ বিভিন্ন পত্রিকায় কাজ করেছেন।

রাজবাড়ী সদর উপজেলার মিজানপুর ইউনিয়নের মহাদেবপুর গ্রামের এ বাসিন্দা কার্টুনিস্ট কুদ্দুস হিসেবে জনপ্রিয় ছিলেন।

তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চারুকলায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।

তার মৃত্যুতে সাংবাদিক সমাজে শোকের ছায়া পড়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকে তাকে স্মরণ করছেন। শোক জানাচ্ছেন।


মুক্তিযুদ্ধ ও চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানকে পাশ কাটিয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই: অধ্যাপক আলী রীয়াজ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

জাতীয় ঐক্যমত কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ বলেছেন, আমাদের অস্তিত্বের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত মুক্তিযুদ্ধ ও চব্বিশের রক্তক্ষয়ী গণঅভ্যুত্থানকে নিয়েই অগ্রসর হবার যাত্রা চলমান থাকবে। একে পাশ কাটিয়ে যাওয়ার কোন সুযোগ নেই।

আজ সকালে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমীর দোয়েল হলে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐক্যমত কমিশনের ষোড়শ দিনের আলোচনার শুরুতে প্রারম্ভিক বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

আলোচনা শুরুতে তিনি বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধ, ৫৩ বছরের সংগ্রাম এবং গত বছরের একটি অভাবনীয় গণঅভ্যুত্থান, রক্তপাত ও প্রাণনাশকে পাশ কাটিয়ে যাওয়ার কোন সুযোগ নেই। এগুলোকে সঙ্গে নিয়েই আমাদেরকে অগ্রসর হতে হবে।

তিনি বলেন, আমাদের প্রতিদিনের আলোচনার শুরুতেই আমরা যাদের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করি, তারা হচ্ছেন আমাদের মুক্তিযোদ্ধারা, যেই মুক্তিযুদ্ধ ব্যতীত আমরা কখনো এখানে আসতে পারতাম না। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ আমাদের অস্তিত্বের সঙ্গে জড়িত। আমাদের সকল সাফল্য ও ব্যর্থতার ঊর্ধ্বে মুক্তিযুদ্ধ। লক্ষ লক্ষ মানুষের প্রাণের বিনিময়ে দীর্ঘ সময়ের সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আমরা এ রাষ্ট্র অর্জন করেছি, রাষ্ট্রের পথরেখা নির্ধারণ করেছি।

তিনি আরো বলেন, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার সেই সংগ্রাম অব্যাহত থাকার মধ্য দিয়েই আমরা একটি ভয়াবহ ফ্যাসিবাদের মধ্যে নিপতিত হয়েছিলাম। সেখান থেকে সকলে মিলে একটি সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আমরা এ জায়গায় এসেছি। এই পটভূমিকাই জাতীয় সনদের বিবেচ্য, আপনারা সেটা মাথায় রাখুন।

দ্রুত রাষ্ট্রীয় সনদ তৈরীর জন্য গুরুত্বপূর্ণ এ বিষয়গুলো বিবেচনায় রেখে, দ্রুত ঐকমত্যে পৌঁছাতে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।

ড. আলী রীয়াজ বলেন, যদি আমরা ঐক্যমতে ৩১ তারিখের মধ্যে পৌঁছাতে চাই, যেটাকে আমি এটাকে বাধ্যবাধকতা বলে মনে করি, তবে আমাদের হাতে ১০ দিন সময় আছে। আগামী ১০ দিনের মধ্যে আমাদেরকে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে। এর মধ্যে একটি/দুটি বিষয় আছে, তার জন্য হয়তো সময় বরাদ্দ করা যাবে। কিন্তু কিছু কিছু বিষয়ে সিদ্ধান্তে পৌঁছানো ব্যতিরেকে অগ্রসর হওয়া যাবে না।

তিনি বলেন, আমরা যেহেতু প্রথম থেকে ‘নোট অফ ডিসেন্ট’ এর ব্যবস্থা রেখেছি সেহেতু কেউ চাইলে দ্বিমত পোষণ করতে পারেন এবং সেটি জাতীয় সনদে উল্লেখ থাকবে।

এর বাইরে আপনারা কমিশনের ওপর একটি দায়িত্ব অর্পণ করেছেন, দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ গঠিত হবে কি হবে না, সে বিষয়ে আপনাদের মতামত বিবেচনা করে কমিশন আগামীকাল বা পরশু দিনের মধ্যে জানাবে।

গতকালকের অমীমাংসিত বিষয় নিয়ে আজকের আলোচনা শুরু হবে জানিয়ে তিনি বলেন, গতকাল তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিষয়ে সমস্ত রকমের আলোচনা করার পরে, কমিশন এটি ধারনা করছে যে কমিশনের পক্ষ থেকে যে সংশোধিত প্রস্তাব দেয়া হয়েছে তাতে অধিকাংশের একমত আছে এবং কিছু কিছু বিষয়ে কারো কারো দ্বিমত থাকতে পারে।

আজকের মধ্যে পরামর্শ করে বিষয়গুলো মীমাংসা করার অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদেরকে জানানো হলে কমিশনের পক্ষ থেকে আগামীকালের বৈঠকে আবার সে বিষয়গুলো উত্থাপন করে একটি সিদ্ধান্তে আসা যায় কিনা সে প্রচেষ্টা করা হবে।

সবশেষে, রাজনৈতিক দলগুলোর আন্তরিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে দ্রুত একমতে পৌঁছাতে পারবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারের সঞ্চালনায় আজ বৈঠকে আরও উপস্থিত আছেন- কমিশনের সদস্য সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক, ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. ইফতেখারুজ্জামান ও ড. আইয়ুব মিয়া।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আজকের আলোচনায় অংশগ্রহণ করছে- বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), গণঅধিকার পরিষদ, গণসংহতি, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি ও আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টিসহ ৩০টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা।


উত্তরায় বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

রাজধানীর উত্তরায় বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। এ দুর্ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

সোমবার (২১ জুলাই) দুপুরের দিকে উত্তরার দিয়াবাড়ি এলাকায় বিমানটি বিধস্ত হয়। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এমন তথ্য জানিয়েছে।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিমান বাহিনীর এফ-৭ বিজেআই প্রশিক্ষণ বিমান উত্তরায় বিধ্বস্ত হয়। বিমানটি দুপুর ১টা ৬ মিনিটে উড্ডয়ন করেছে।

ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, উত্তরার মাইলস্টোন কলেজে একটি প্রশিক্ষণ বিমান ১টা ১৮ মিনিটে বিধ্বস্ত হয়েছে। এখন সেখানে উত্তরা, টঙ্গী, পল্লবী, কুর্মিটোলা, মিরপুর, পূর্বাচল ফায়ার স্টেশনের ৮টি ইউনিট কাজ করছে।

তবে এখন পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির খবর জানা সম্ভব হয়নি। উদ্ধার কার্যক্রম চলছে।


পায়রা বন্দরের মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়িত হলে এই অঞ্চল হবে অর্থনীতির চালিকাশক্তি : নৌপরিবহন উপদেষ্টা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, ‘আমাদের উচিত বাস্তবভিত্তিক ও টেকসই পরিকল্পনার মাধ্যমে বন্দর ব্যবস্থাপনাকে আধুনিক ও কার্যকর করে তোলা। পায়রা বন্দরের মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়িত হলে এই অঞ্চল দেশের অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তিতে পরিণত হবে।’ আজ রোববার দুপুরে পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় পায়রা বন্দরের মাস্টারপ্ল্যান বিষয়ক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, সিঙ্গাপুরের মানুষ বলে, বাংলাদেশে অনেক গুরুত্বপূর্ণ পোর্ট রয়েছে। অথচ আমাদের দেশে যখন একটি নতুন পোর্ট গড়ার বা চট্টগ্রাম বন্দরের পাশে আরেকটি পোর্ট তৈরির কথা বলা হয়, তখনই বলা হয়-দেশ চলে গেলো। আবার চট্টগ্রাম বন্দরে যদি কোনো অপারেটর নিয়োগের কথাও ওঠে, তখনও বলা হয়-দেশ চলে গেলো। বিষয়টি এমন যেন চিলে কান নিয়ে গেছে আর সবাই দৌঁড়াচ্ছে।

পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মাসুদ ইকবাল সেমিনারে স্বাগত বক্তব্যে বলেন, আগামী বছরের জুলাইয়ের মধ্যে বন্দরের প্রথম টার্মিনাল চালুর লক্ষ্যে কাজ চলছে। এজন্য সরকারের সহযোগিতার পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের প্রস্তুতি ও সহায়তা কামনা করেন তিনি।

সেমিনারে বাংলাদেশ প্রকৌল বিশ্ববিদ্যায়ের (বুয়েট) অধ্যাপক ড. ইশতিয়াক আহমেদ এবং রয়্যাল হাসকোনিং ডিএইচভি’র টিম লিডার মেনো মুইজ মাস্টারপ্ল্যানের বিভিন্ন দিক উপস্থাপন করেন।

বন্দরের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও উন্নয়ন কৌশল নিয়ে প্রেজেন্টেশন দেন পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (প্রকৌশল ও উন্নয়ন) কমডোর মোহাম্মদ আব্দুল কাদের।

সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন দপ্তর, সামরিক ও বেসামরিক সংস্থার উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ, বন্দর ব্যবহারকারী অংশীজন, মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়নকারী প্রতিষ্ঠান বুয়েট ও নেদারল্যান্ডসের রয়্যাল হাসকোনিং ডিএইচভি’র প্রতিনিধিবৃন্দ ।


জাতীয় নির্বাচনের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত রয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি বলেন, নির্বাচনের জন্য হাতে সময় রয়েছে। এ বিষয়ে প্রস্তুতিও নেওয়া হচ্ছে।

রবিবার (২০ জুলাই) দুপুরে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির সভা এবং ঢাকা মেট্রোপলিটন ও তৎসংলগ্ন এলাকার আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিশেষ সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন তিনি।

‘নির্বাচন নিরাপদ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। সব মিলিয়ে নির্বাচন করতে কোনো অসুবিধা হবে না,’ যোগ করেন উপদেষ্টা।

তিনি বলেন, ঢাকা মেট্রোপলিটন ও তৎসংলগ্ন এলাকার আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিশেষ সভায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সকল উপকমিশনার (ডিসি), র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)-এর সংশ্লিষ্ট কমান্ডিং অফিসার এবং সেনাবাহিনীর দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তাদের কাছ থেকে পূর্বের ও বর্তমান সময়ের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির তুলনামূলক বিশ্লেষণ জানতে চেয়েছিলাম। তারা জানিয়েছে, বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আগের তুলনায় অনেক উন্নত হয়েছে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, গোপালগঞ্জে সহিংসতার ঘটনায় গণগ্রেফতার হচ্ছে না। তবে আমরা নির্দেশনা দিয়েছি কোনো অবস্থাতেই যেন দুষ্কৃতকারী ছাড়া না পায় এবং নিরপরাধ মানুষ হয়রানির শিকার না হয়।

উপদেষ্টা বলেন, যারা অন্যায় করেছে তাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

গোপালগঞ্জে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, তারা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করছে।

তিনি বলেন, সাংবাদিক হিসেবে এই যে আপনারা আমাকে প্রশ্ন করছেন—এটা হচ্ছে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা। সবার মতপ্রকাশের স্বাধীনতা থাকবে। এটাই গণতন্ত্রের সৌন্দর্য। তবে মতপ্রকাশের ক্ষেত্রে যেন কোনো আক্রমণাত্মক বা অশালীন ভাষা ব্যবহার না হয়—সেটি খেয়াল রাখতে হবে।

তিনি আরও বলেন, গণতন্ত্র চর্চা করলে প্রকৃত সত্য সবসময় প্রকাশ পায়।

ব্রিফিংকালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বখস চৌধুরী ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি উপস্থিত ছিলেন।


টেকসই বিনিয়োগে বৈশ্বিক প্রতিশ্রুতি জরুরি: পরিবেশ উপদেষ্টা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, টেকসই বিনিয়োগ শুধু কোনো একটি দেশের লক্ষ্য নয়—এটি হতে হবে বৈশ্বিক প্রতিশ্রুতি।

‘আমাদের টেকসই লেনদেন ও টেকসই বিনিয়োগ—উভয়ের প্রতিই মনোযোগ দিতে হবে। টেকসই উন্নয়নে ন্যায্যতা থাকতে হবে। যদি সম্পদনির্ভর অর্থনীতিগুলো অসামঞ্জস্যপূর্ণ হারে ভোগ করতে থাকে, তাহলে কোনো বৈশ্বিক টেকসই কাঠামোই টিকবে না।’

রবিবার (২০ জুলাই) ঢাকার বনানীর একটি হোটেলে আমেরিকান চেম্বার অব কমার্স ইন বাংলাদেশ (অ্যামচ্যাম) আয়োজিত ‘অ্যামচ্যাম ডায়ালগ অন ফস্টারিং সাসটেইনেবল ইনভেস্টমেন্ট’ শীর্ষক আলোচনায় তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

টেক্সটাইল ও জ্বালানি খাতকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়ে তিনি বলেন, শিল্পখাতে পানির ব্যবহার নিয়ে যে নীতিমালার খসড়া হয়েছে, তা চূড়ান্ত করার সময় এসেছে। ভূগর্ভস্থ পানিকে কেউ যেন আর বিনামূল্যে না নেয়, তার যথাযথ মূল্য নির্ধারণ করতে হবে। একবার যখন শিল্পকারখানাগুলো এর মূল্য পরিশোধ করবে, তখন তারা পানির ব্যবহার নিয়েও দায়িত্বশীল হবে।

তিনি আরও বলেন, টেক্সটাইল খাতে এখনো কিছু বিষাক্ত রাসায়নিক ব্যবহার হচ্ছে, যা রপ্তানিমুখী পণ্যে না হলেও স্থানীয় বাজারে ব্যবহৃত হচ্ছে। এ বিষয়ে একটি বাধ্যতামূলক কেমিক্যাল ব্যবস্থাপনা বিধিমালা জরুরি—এটি জনস্বাস্থ্যের প্রশ্ন।

জ্বালানি বিষয়ে তিনি জানান, সরকার নবায়নযোগ্য জ্বালানি নীতিমালা গ্রহণ করেছে, যেখানে ২০৩০ সালের মধ্যে ৩০ শতাংশ নবায়নযোগ্য জ্বালানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রত্যেক সরকারি দপ্তরে নবায়নযোগ্য জ্বালানির সংযোগ বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। এটি শুধু একটি নীতিগত অঙ্গীকার নয়, বাস্তবায়নের শুরু।

জলবায়ু ন্যায়বিচারের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের অন্যতম শিকার হলেও এর দায় আমাদের নয়। তাই একটি ন্যায্য বৈশ্বিক টেকসই ব্যবস্থার প্রয়োজন।

তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন নিয়ে চলমান আলোচনার বিষয়ে তিনি বলেন, সরকার সকল অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেবে। জনস্বাস্থ্যের বিষয়টি এখানে অগ্রাধিকার পাবে। সিঙ্গাপুরের মতো সফল মডেল আমাদের অনুপ্রেরণা হওয়া উচিত, যেখানে আইন লঙ্ঘনের হার মাত্র ৫ শতাংশ।

তিনি বলেন, টেকসই বিনিয়োগকে শুধু উৎপাদকের দায় হিসেবে দেখলে চলবে না। এর ব্যয় ন্যায্যভাবে ক্রেতা ও উৎপাদক—উভয়ের মধ্যে ভাগ করে নেওয়া উচিত, যাতে আমাদের অর্থনীতির ভিত্তি যাঁরা তৈরি করছেন, সেই লক্ষ লক্ষ শ্রমিকের ন্যায্য সুরক্ষা নিশ্চিত হয়।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অ্যামচ্যাম সভাপতি সৈয়দ এরশাদ আহমেদ, অ্যামচ্যামের সাবেক সভাপতি ও অর্থনীতিবিদ ফরেস্ট ই. কুকসন, এবং অ্যামচ্যাম সহ-সভাপতি ও চেভরন বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট এরিক এম. ওয়াকার। রিকাভার, শেভরন বাংলাদেশ ও ফিলিপ মরিসের প্রতিনিধিরা তাদের পরিবেশবান্ধব উদ্যোগ নিয়ে পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনা করেন।


ঝালকাঠির ভাসমান হাট দেখে অভিভূত আলজেরিয়ার রাষ্ট্রদূত: পেয়ারা রপ্তানির সম্ভাবনা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
হাসনাইন তালুকদার দিবস, ঝালকাঠি প্রতিনিধি

বাংলাদেশে নিযুক্ত আলজেরিয়ার রাষ্ট্রদূত আবদেল ওহাব সাইদানী রোববার ২০ জুলাই সকালে ঝালকাঠির বিখ্যাত ভাসমান হাট ও পেয়ারা বাগান পরিদর্শন করেছেন।

রাষ্ট্রদূত ভিমরুলি ও আটঘর কুড়িয়ানা এলাকায় পেয়ারা উৎপাদনের বাস্তব চিত্র প্রত্যক্ষ করেন এবং স্থানীয় কৃষকদের সাথে কথা বলেন।

তিনি এখানকার নৌকা তৈরিতে বিনিয়োগ করার আগ্রহ দেখিয়েছেন। পরিদর্শন শেষে রাষ্ট্রদূত ড. আব্দুল ওয়াহাব বলেন, 'প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও ঐতিহ্যবাহী ভাসমান হাট দেখে আমি মুগ্ধ। আলজেরিয়ায় পেয়ারা উৎপাদন হয় না। এখান থেকে পেয়ারা রপ্তানির সম্ভাবনা রয়েছে। বিষয়টি আলজেরিয়ার সরকার ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সাথে আলোচনার মাধ্যমে এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করবেন।

তিনি আরও বলেন, ভিমরুলি ও আটঘর কুড়িয়ানা একটি সম্ভাবনাময় কৃষি অঞ্চল। এখানকার ভাসমান হাট ও পেয়ারা চাষাবাদ অত্যন্ত মনোমুগ্ধকর। এটি বাংলাদেশের এক অনন্য সংস্কৃতি ও অর্থনৈতিক কার্যক্রমের উদাহরণ।

রাষ্ট্রদূতের সফরে ফরচুন গ্রুপের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান এবং বাংলাদেশে আলজেরিয়া অ্যাম্বাসেডরের সেক্রেটারি এ কে এম সাইদাদ হোসাইন উপস্থিত ছিলেন।

ফরচুন গ্রুপের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বলেন, আলজেরিয়া রাষ্ট্রদূ পেয়ারা রপ্তানির সম্ভাবনা যাচাইয়ের জন্য এসেছেন। তারা সম্মত হলে আমরা পেয়ারা সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাত করে রপ্তানি করবো।

উল্লেখ্য, বর্ষা মৌসুমে দক্ষিণাঞ্চলের ঝালকাঠি ও পিরোজপুর জেলার বিস্তীর্ণ জলাভূমিতে গড়ে ওঠা ভাসমান পেয়ারা হাট এখন দেশের কৃষিভিত্তিক পর্যটনের অন্যতম আকর্ষণ হয়ে উঠেছে।


তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নিয়োগের পদ্ধতি নিয়ে অধিকাংশ দল একমত: আলী রীয়াজ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ১৫তম দিনের আলোচনার প্রথমার্ধে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের গঠন প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করেছে ঐকমত্য কমিশন। আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন দলের মতামতের আলোকে কমিশন সভা করে দলগুলোর কাছে ফের একটি সংশোধিত সমন্বিত প্রস্তাব প্রদান করেছে।

তিনি বলেন, প্রস্তাবটিতে বিস্তারিতভাবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নিয়োগের পদ্ধতি উল্লেখ করা হয়েছে এবং এই প্রস্তাবের অধিকাংশ বিষয়ে দলগুলো একমত হয়েছে। খসড়া প্রস্তাবটির ভাষাগত ও খুঁটিনাটি দিক পর্যালোচনা করে রাজনৈতিক দলগুলোর আগামীকালের মতামতের ভিত্তিতে মঙ্গলবার এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবে কমিশন।

রবিবার (২০ জুলাই) ঢাকায় ফরেন সার্ভিস একাডেমির দোয়েল হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় পর্যায়ের ১৫তম দিনের আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন অধ্যাপক আলী রীয়াজ।

এ সময় কমিশনের সদস্য হিসেবে বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, ড. মো. আইয়ুব মিয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার উপস্থিত ছিলেন।

সকালে একাডেমি সম্মুখে ৩ দফা দাবিতে মানববন্ধনকারী জুলাই অভ্যুত্থানে আহত ও শহিদ পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও সহানুভূতি প্রকাশ করে অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, ‘এই মানববন্ধন কর্মসূচির সঙ্গে আমরা আন্তরিক সংহতি প্রকাশ করছি।’

একটি জাতীয় সনদ তৈরির লক্ষ্যে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে কাজ শুরু করেছে ঐকমত্য কমিশন। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনার মধ্য দিয়ে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং বাকি দিনগুলোর আলোচনায়ও আরও কিছু মৌলিক বিষয়ে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হবে।

তিনি জানান, এই প্রক্রিয়া চলমান থাকলে আগামী ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে জাতীয় সনদ তৈরি করা সম্ভব হবে।

উচ্চকক্ষ প্রতিষ্ঠা নিয়ে কোনো ভিন্নমত নেই উল্লেখ করে কমিশনের সহ-সভাপতি বলেন, উচ্চকক্ষ কীভাবে হবে, তা নিয়ে দুটি ভিন্ন প্রস্তাব রয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলো এ বিষয়ে কমিশনের কাছে দায়িত্ব অর্পণের মতামত দিয়েছে।

কমিশন ইতোমধ্যে উচ্চকক্ষ বিষয়ে বৈঠক করেছে। কী ধরনের উচ্চকক্ষ হবে, সে বিষয়ে কমিশন আরেকটু সময় নিয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আজকের আলোচনায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), গণঅধিকার পরিষদ, গণসংহতি আন্দোলন, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টি-সহ ৩০টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।


আগামীকাল যাত্রাবাড়ীতে মাদরাসা রেজিস্ট্যান্স ডে পালিত হবে

আপডেটেড ২০ জুলাই, ২০২৫ ২২:০১
বাসস

আগামীকাল ২১ জুলাই যাত্রাবাড়ীতে পালিত হবে মাদরাসা রেজিস্ট্যান্স ডে-২০২৫।

‘চব্বিশের ঐতিহাসিক জুলাই গণঅভ্যুত্থানে যাত্রাবাড়ী ছিল প্রতিরোধের অন্যতম প্রধান কেন্দ্র, বলা হয় জুলাই গণঅভ্যুত্থানের স্ট্যালিনগ্রাড। বিশেষ করে আন্দোলনে মাদরাসার শিক্ষার্থী ও আলেম সমাজ যে আত্মত্যাগ ও অদম্য সাহসিকতা দেখিয়েছিলেন, তা আজকের প্রজন্মের জন্য এক গৌরবময় ঐতিহ্য ও দিকনির্দেশনা হয়ে দাঁড়িয়েছে।’

এই স্মৃতি, সংগ্রাম ও প্রতিরোধের বীরত্বগাঁথা স্মরণ করতেই সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির যৌথ আয়োজনে পালিত হতে যাচ্ছে মাদরাসা রেজিস্ট্যান্স ডে- ২০২৫। রাজধানীর যাত্রাবাড়ী ইবনে সিনা হাসপাতাল সংলগ্ন রাজপথে এই আয়োজনটি হচ্ছে।

বিকেল ৩ টা থেকে শুরু হয়ে রাত ১১ টা পর্যন্ত অনুষ্ঠানটিতে শহীদ পরিবার ও আহতদের স্মৃতিচারণ, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্বের অভিজ্ঞতা, ২০১৩, ২০২১, ২০২৪ সালের ফ্যাসিবাদ বিরোধী সংগ্রামের প্রামাণ্য গল্প, হামদ, নাত, নাশিদ, কবিতা আবৃত্তি ও দ্রোহের গান এবং ছত্রিশে জুলাই ও 'সাদা জোব্বা, লাল রক্ত' তথ্যচিত্র প্রদর্শনী হবে। বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে থাকছে প্রতিরোধ ও পুনর্জাগরণের প্রতীকী উপস্থাপনা ড্রোন শো।

বাংলাদেশ সরকার মাদরাসা শিক্ষার্থীদের এই বীরত্বপূর্ণ ভূমিকাকে প্রথম বারের মতো রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতি দিতে যাচ্ছে। আয়োজনে রাষ্ট্রীয় অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সরকারের উপদেষ্টা, সচিব, শিল্প-সাহিত্য-শিক্ষা অঙ্গনের বিশিষ্টজনেরা।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে যখন রাজপথ স্তব্ধ হয়ে পড়েছিল, তখনই মাদরাসার ছাত্ররা দেশপ্রেম, নৈতিকতায় বলীয়ান হয়ে স্বৈরাচারের জুলুমের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। রক্তের দামে লেখা সেই ইতিহাস যেন হারিয়ে না যায়, তারই অংশ হিসেবে এই আয়োজন।

সকল শিক্ষক-শিক্ষার্থী, যাত্রাবাড়ি ও অন্যান্য স্পটের জুলাই সহযোদ্ধা ও সাধারণ জনগণকে এই রাষ্ট্রীয় স্মরণানুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।


গোপালগঞ্জে গণগ্রেফতার নয়, ধরা হচ্ছে অপরাধীদের: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

গোপালগঞ্জে গণগ্রেফতার করা হচ্ছে না। যারা অপরাধের সাথে জড়িত কেবল তাদেরকেই গ্রেফতার করা হচ্ছে।

এ কথা বলেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

তিনি আজ দুপুরে সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির সভা এবং ঢাকা মেট্রোপলিটন ও তৎসংলগ্ন এলাকার আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিশেষ সভা শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, গোপালগঞ্জে গণগ্রেফতার চলছে না। দোষী ছাড়া কাউকেই গ্রেফতার করা হচ্ছে না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অন্যায়কারীদের গ্রেফতার করছে ।

এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, গোপালগঞ্জে ঘটনা ঘটেছে। সেটা স্বীকার করছি। রাজনীতিতে অনেক কিছুই ঘটে। তবে এ ঘটনার পরে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে কি না, সেটাই বড় বিষয়। এ ব্যাপারে গঠিত কমিটি তদন্তের পর সিদ্ধান্ত নেবে।

তিনি বলেন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচন ঘিরে পুলিশকে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। নির্বাচনের এখনো সময় আছে জানিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বর্তমান আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দিয়েই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব। নির্বাচন সামনে রেখে পুলিশকে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে, সার্বিক প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।

এ সময় তিনি আরও জানান, গোপালগঞ্জের পরিস্থিতি বর্তমানে স্বাভাবিক রয়েছে। কারফিউ তুলে নেয়া হয়েছে, যদিও এখনো সেখানে ১৪৪ ধারা বলবৎ আছে। তবে পরিস্থিতি বুঝে পর্যায়ক্রমে এটিও তুলে নেয়া হবে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তথা পুলিশ, সেনাবাহিনী গোপালগঞ্জের পরিস্থিতি বিবেচনায় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আওয়ামী লীগের ডাকা হরতাল পালিত হয়েছে কী-না, তা আপনারাই ভালো বলতে পারবেন।

তিনি বলেন, আগের চেয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অনেক উন্নতি হয়েছে। পুলিশ আগের চেয়ে আরো অনেক সক্রিয়। যেখানে অপরাধ বা অন্যায় হচ্ছে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করছি। দুষ্কৃতিকারীদের কোন ছাড় দেয়া হচ্ছে না।


সেনাসদর নির্বাচনী পর্ষদের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করলেন প্রধান উপদেষ্টা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস 'সেনাসদর নির্বাচনী পর্ষদ-২০২৫' এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন।

তিনি আজ রোববার সেনা সদর দপ্তরে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এর উদ্বোধন করেন।

প্রথম পর্বের এই পদোন্নতি পর্ষদে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কর্নেল ও লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদবির যোগ্য কর্মকর্তাগণ পরবর্তী পদোন্নতির জন্য বিবেচিত হবেন।

পদোন্নতি পর্ষদের বক্তব্যে প্রধান উপদেষ্টা শুরুতেই স্মরণ করেন মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সকল শহীদ, যুদ্ধাহত ও বীর মুক্তিযোদ্ধা, বিশেষ করে সশস্ত্র বাহিনী তথা সেনাবাহিনীর শহীদসহ সকল বীর সেনানীদের, যাঁদের আত্মত্যাগ জাতি চিরদিন কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করবে। এছাড়াও, তিনি শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন পার্বত্য চট্টগ্রামে দায়িত্ব পালনকালে সকল আহত ও শহীদ সেনা সদস্যদের। একই সাথে তিনি শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন ২০২৪ সালের জুলাই গণঅভ্যূত্থানে শহীদ ও আহত সকল ছাত্র জনতাকে।

প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস পদোন্নতির জন্য অফিসারদের পেশাগত দক্ষতা, নেতৃত্বের গুণাবলী, শৃঙ্খলার মান, সততা, বিশ্বস্ততা ও আনুগত্য এবং সর্বোপরি নিযুক্তিগত উপযুক্ততার ওপর গুরুত্বারোপ করতে নির্বাচনী পর্ষদের সদস্যদের নির্দেশনা প্রদান করেন। এছাড়া সৎ, নীতিবান, পেশাদার এবং নেতৃত্বের গুণাবলী সম্পন্ন অফিসারগণই উচ্চতর পদোন্নতির দাবিদার বলে তিনি মন্তব্য করেন।

রাজনৈতিক মতাদর্শের ঊর্ধ্বে থেকে যে সকল অফিসার সামরিক জীবনের বিভিন্ন স্তরে যোগ্য নেতৃত্ব প্রদানে সফল হয়েছেন সে সকল অফিসারকে পদোন্নতির জন্য নির্বাচন করার নির্দেশনা প্রদান করেন প্রধান উপদেষ্টা।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ শান্তি-শৃঙ্খলা, স্থিতিশীলতা ও দুর্যোগ মোকাবেলায় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। বর্তমানে সেনা সদস্যগণ বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করার জন্য তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব বেশ কিছু সময় ধরে পালন করে আসছেন। দেশের প্রয়োজনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এই ত্যাগের জন্য তিনি সেনাপ্রধান থেকে শুরু করে সেনাবাহিনীর সকল সদস্যকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।

অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছালে প্রধান উপদেষ্টাকে স্বাগত জানান সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, এসবিপি, ওএসপি, এসজিপি, পিএসসি, প্রধান উপদেষ্টার প্রতিরক্ষা ও জাতীয় সংহতি উন্নয়ন বিষয়ক বিশেষ সহকারি এবং চীফ অব জেনারেল স্টাফ।

নির্বাচনী পর্ষদ উদ্বোধন করায় সেনা প্রধান অধ্যাপক ইউনূসের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানান। সেনাসদর নির্বাচনী পর্ষদের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সামরিক ও বেসামরিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠান শেষে প্রধান উপদেষ্টা সেনাবাহিনীর উপস্থিত কর্মকর্তাগণের সাথে ফটোসেশনে অংশগ্রহণ এবং পরিদর্শন বইয়ে মন্তব্য লিপিবদ্ধ করেন।


ডাকসুর তফসিল ঘোষণা ২৯ জুলাই

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার তারিখ জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। জুলাই মাসের ২৯ তারিখে ঘোষণা করা হবে ডাকসুর তফসিল। পাশাপাশি চল্লিশ দিনের মধ্যেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

রবিবার (২০ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টায় নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে ডাকসুর বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে তফসিল সংক্রান্ত চূড়ান্ত সভায় বসে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সভায় এ সিদ্ধান্ত উঠে আসে বলে নিশ্চিত করেছেন নির্বাচন কমিশনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক কাজী মারুফুল ইসলাম।

এই সভায় নির্বাচন কমিশন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, প্রভোস্ট কমিটি, ডিনস কমিটিসহ সকল রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠনের প্রতিনিধিরা অংশ নিয়েছেন।

অধ্যাপক মারুফুল বলেন, ‘তফসিল ঘোষণার তারিখ দেওয়া হয়েছে। তফসিল ঘোষণার চল্লিশ দিনের মধ্যেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’

সভায় সিদ্ধান্ত হয়, এ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ হবে ‘নিরপেক্ষ’ ছয় কেন্দ্রে।

শতবর্ষী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এখন পর্যন্ত ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়েছে ৩৭ বার। এর মধ্যে ২৯ বারই হয়েছে ব্রিটিশ ও পাকিস্তান আমলের ৫০ বছরে। স্বাধীন দেশে ৫৩ বছরে মাত্র ৮ বার ভোট দেখেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

১৯৭৩ সালের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ অনুসারে প্রতি বছর ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন হওয়ার কথা। কিন্তু গত সাড়ে তিন দশকে নির্বাচন হয়েছে কেবল একবার।

সবশেষ ডাকসু নির্বাচন হয়েছিল ২০১৯ সালে। সেই সংসদের মেয়াদপূর্তির পর পেরিয়ে গেছে আরও ছয় বছর। নির্বাচন না হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেটে থাকছে না শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিত্ব।

২০২৪ সালের ৫ অগাস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ডাকসু নির্বাচনের দাবি আবার জোরারো হয়। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দ্রুততম সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রতিশ্রুতি দেয়।


কেউ চাঁদাবাজি করলে তা মুখের ওপর বলব: সারজিস আলম

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

শনিবার (১৯ জুলাই) বিকালে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জামায়াতে ইসলামীর জাতীয় সমাবেশে জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেন- জুলাই-আগস্টের অভ্যুত্থানের পর কেউ যদি চাঁদাবাজি করে তা মুখের ওপর বলে দেওয়া হবে। এ সময়ে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ লড়াই চালিয়ে যাওয়ার প্রত্যয়ও ব্যক্ত করেন।

সারজিস আলম বলেন, এই বাংলাদেশে আবারও নতুন করে মুজিববাদী, ভারতপন্থী শক্তিগুলো এখন সক্রিয় হচ্ছে। আমাদের মধ্যে মতপার্থক্য থাকতে পারে, কিন্তু এই বাংলাদেশে বাংলাদেশপন্থী ব্যতীত অন্য কোনো দেশপন্থী, কোনো বাদপন্থী শক্তির আর জায়গা হবে না। ‘আমাদের একটা আকাঙ্ক্ষা ছিল গত জুলাইয়ের, ওই আগস্টের ৫ তারিখে আমাদের যেই স্বপ্ন ছিল, আরেক আগস্ট আসতে চলেছে, আমাদের সেই স্বপ্নগুলো পূরণ হয়নি। অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আমরা সুশীল সরকারের ভূমিকা চাই না। আমরা তাদের অভ্যুত্থান পরবর্তী সরকারের ভূমিকায় দেখতে চাই,’।

সারজিস আরও বলেন, এই বাংলাদেশে ভারতীয় আধিপত্যবাদের জায়গা হতে দেওয়া যাবে না। অন্য যেকোনো দেশের নামের কোনো আধিপত্যবাদের জায়গা বাংলাদেশে হতে দেওয়া যাবে না।

‘আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে আমাদের বিচার লাগবে। এই বাংলাদেশে খুনি হাসিনার বিচার হতেই হবে, তার বিচারের রায় কার্যকর দেখতে চাই।’

এনসিপির এই নেতা আরও বলেন, আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, এই দেশের বিচার বিভাগকে কোনো দলের বিচার বিভাগ হিসেবে দেখতে চাই না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ক্ষমতার তোষামোদ করা বাহিনী হিসেবে আমরা দেখতে চাই না।

তিনি বলেন, বাহাত্তরের মুজিববাদী সংবিধানকে একপাশে রেখে কোনোদিন এই বাংলাদেশে বাংলাদেশপন্থী বাংলাদেশ সম্ভব নয়। আমাদের নতুন সংবিধান লাগবে, আমাদের গণপরিষদ নির্বাচন লাগবে, আমাদের নারীদের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। আমাদের সংখ্যালঘু ভাইবোনদের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।

সারজিস বলেন, আমাদের ১৯৪৭ সালের উপনিবেশবিরোধী যে আকাঙ্ক্ষা, একাত্তরের স্বাধীনতার যে আকাঙ্ক্ষা, চব্বিশের মুক্তির যে আকাঙ্ক্ষা—সেই আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করে ঐক্যবদ্ধভাবে আগামীর বাংলাদেশ গড়তে হবে।

‘ফ্যাসিস্টবিরোধী চব্বিশের শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। ঐক্যবদ্ধ মানে এই নয়, আমরা অন্ধভাবে কারো দালালি করব। কেউ যদি চাঁদাবাজি করে, তা আমরা মুখের উপরে বলব। কেউ যদি সিন্ডিকেট চালায়, আমরা সেটাও বলব। কেউ যদি দখলদারিত্ব করে, আমরা সেটাও বলব। তবে আওয়ামী লীগের প্রশ্নে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই চালিয়ে যাব,’ যোগ করেন সারজিস।

তিনি বলেন, রাজনীতিতে প্রতিযোগিতা ও প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকবে, কিন্তু রাজনীতির যে সৌন্দর্য, এই সৌন্দর্য যেন আমরা ধারণ করি—তাহলেই আগামীর বাংলাদেশ সামনের দিকে এগিয়ে যাবে। রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা যেন ব্যক্তি আক্রমণে রূপ না নেয়। ফ্যাসিস্টবিরোধী ২৪-এর শক্তি আগামীর বাংলাদেশ গড়ে তুলবে।

রাজনৈতিক মতপার্থক্য থাকতে পারে, কিন্তু মুজিববাদের প্রশ্নে, স্বৈরাচারের প্রশ্নে অভ্যুত্থানের সকল শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান তিনি।


দিন যত যাচ্ছে, পরিস্থিতি তত জটিল হচ্ছে: ফখরুল

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

অযথা বিলম্ব না করে অন্তর্বর্তী সরকারকে নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যেতে আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, ‘মনে হচ্ছে, দিন যত যাচ্ছে, পরিস্থিতি জটিল হয়ে যাচ্ছে। এতে যারা গণতন্ত্র ও শোষণহীন সমাজে বিশ্বাস করে না; তারা ফের জোট পাকাচ্ছে।’

শনিবার (১৯ জুলাই) জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে জাতীয় প্রেসক্লাব অডিটোরিয়ামে এক আলোচনায় সভায় তিনি এমন মন্তব্য করেন। ‘গণঅভ্যুত্থানের প্রত্যাশা ও দেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথ’ শীর্ষক এই আলোচনার আয়োজন করে গণতন্ত্র মঞ্চ।

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি), নাগরিক ঐক্য, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, গণসংহতি আন্দোলন, ভাসানী অনুসারী পরিষদ ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন মিলে এই মঞ্চ গঠন করেছে।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘সরকারকে আহ্বান করব, অযথা বিলম্ব না করে সমস্যা চিহ্নিত করে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কথা বলুন। এরপর সমস্যা শেষ করে নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যান। সেটিই বোধহয় একমাত্র পথ।’

৫ আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানের পর বাংলাদেশে নতুন করে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার সুযোগ পেয়েছি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘কিন্তু মনে হচ্ছে, দিন যত যাচ্ছে, পরিস্থিতি জটিল হয়ে যাচ্ছে। এতে যারা গণতন্ত্রে, জনগণের অগ্রাযাত্রায় ও একটি শোষণহীন সমাজব্যবস্থা গড়ে ওঠার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না, তারা আবার জোট পাকাচ্ছে। যে ফ্যাসিস্ট শক্তিকে তাড়িয়ে দিতে সক্ষম হয়েছিলাম, তারা ভেতরে ভেতরে আবার সংগঠিত হচ্ছে এবং ক্ষমতা ফিরে পাওয়ার চক্রান্ত করে যাচ্ছে।’

দেশে মবতন্ত্র, হত্যা, ছিনতাই ও গুম ভয়াবহভাবে বেড়ে যাওয়ার অভিযোগ করে এ সময় উদ্বেগ প্রকাশ করেন ফখরুল। বলেন, ‘যে সুযোগ আমাদের সামনে এসেছে, এটা যদি হারিয়ে ফেলি, তাহলে বাংলাদেশ আরও পিছিয়ে যাবে। প্রতিবার জনগণ ও আমাদের ছেলেরা প্রাণ দেবে, একটা সুযোগ তৈরি হবে, আর নিজেদের দায়িত্বহীনতার কারণে সেই সুযোগ হারাব—সেটা হতে পারে না।’

তাই দেরি না করে সংস্কার, জুলাই সনদ ও নির্বাচন—এই তিনটি বিষয় সামনে রেখে যত দ্রুত এগিয়ে যাওয়া যায়, দেশের জন্য ততই মঙ্গল হবে বলে উল্লেখ করেন বিএনপি মহাসচিব।

তার দাবি, ‘নিঃসন্দেহে সেই দায়িত্ব এই অন্তর্বর্তী সরকারের। তবে যত দেরি করছেন, ততই পরিস্থিতি ঘোলাটে হচ্ছে। এতে অভ্যুত্থান ও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যারা রয়েছে, তারা আবার সংঘটিত হয়ে গণতন্ত্রকে নস্যাৎ করতে কাজ শুরু করেছে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা আশাবাদী, আমাদের অন্তর্বর্তী সরকারের নেতা ড. মুহাম্মদ ইউনূস গোটা জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে আমাদের সেই লক্ষ্যে পৌঁছে দিতে সক্ষম হবেন।’

‘বিএনপিকে গণতান্ত্রিক দল আখ্যায়িত করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘নির্বাচনের মধ্য দিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নিয়ে একটি কল্যাণমূলক রাষ্ট্র গঠন করতে চাই। অতীতে যেমন সব বাধা উপেক্ষা করে ঘুরে দাঁড়িয়েছি, আগামী দিনগুলোতেও কোনো আমাদের বাধা ঠেকাতে পারবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘১৯৭১ ও স্বাধীনতা হচ্ছে আমাদের মূল কথা। সেখানে আমাদের কোনো আপস নেই। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায়ও আমাদের কোনো আপস নেই। আলোচনা, সহনশীলতা ও অন্যের মতকে মেনে নেওয়া—সবকিছু মিলিয়ে আমরা এমন একটি জায়গায় পৌঁছাতে পারব, যেখান আমরা নতুন করে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থায় পৌঁছাতে পারি।’

এ সময়ে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, গণঅধিকার পরিষদের (জিওপি) সভাপতি নুরুল হক নুর, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।


banner close