মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫
৬ শ্রাবণ ১৪৩২

নদীপথে আতঙ্ক বাল্কহেড

রোববার রাতে বুড়িগঙ্গায় বাল্কহেডের ধাক্কায় যাত্রীবাহী ওয়াটার বাস ডুবে তিনজন নিহতন হন। ছবি: দৈনিক বাংলা
তৌফিকুল ইসলাম
প্রকাশিত
তৌফিকুল ইসলাম
প্রকাশিত : ১৮ জুলাই, ২০২৩ ১০:১১

সারা দেশের নদীপথে আতঙ্কের নাম বালুবোঝাই নৌযান- বাল্কহেড। বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, শীতলক্ষ্যাসহ দেশের বিভিন্ন নদীতে বেপরোয়া চলা বাল্কহেডের ধাক্কায় প্রতিনিয়তই ডুবছে যাত্রীবাহী নৌযান। নদীতেই প্রাণ যাচ্ছে মানুষের। নৌ-পরিবহন অধিদপ্তরের অনুমোদন আছে ৬ হাজার বাল্কহেডের। কিন্তু নদীতে অবৈধভাবে চলে আরও বেশি। অবৈধ বাল্কহেডের থাকে না ফিটনেস, চলে অদক্ষ চালকের হাতে। এসব দেখার কেউ নেই। শুধু দুর্ঘটনা ঘটলেই নড়েচড়ে বসে নৌ-কর্তৃপক্ষ।

নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় সূর্যাস্তের পর থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত সারা দেশে নৌপথে বাল্কহেড (বালুবাহী নৌযান) চলাচল নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল। ফলে সন্ধ্যা রাতে নৌপথে বাল্কহেড চলাচল বন্ধ থাকার কথা। কিন্তু গত রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে রাজধানী ঢাকার সদরঘাটের ওপারে কেরানীগঞ্জে তৈলঘাটের কাছে বুড়িগঙ্গা নদীতে একটি বাল্কহেডের ধাক্কায় যাত্রীবোঝাই একটি ওয়াটার বাস ডুবে যায়। এতে তিনজন নিহত এবং অনেকে আহত হন। এ ঘটনায় বাল্কহেডের মাস্টারসহ ছয়জনকে আটক করেছে নৌ-পুলিশ। দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় মামলার প্রস্তুতিও চলছে। তবে প্রশ্ন হলো, রাতে বাল্কহেড চলছিল কীভাবে? তাও খোদ ঢাকা নদীবন্দর এলাকায়?

এ বিষয়ে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমোডর আরিফ আহমেদ মোস্তফা দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘রাতে বালুবাহী নৌযান চলাচল না করার নির্দেশনা এখনো বলবৎ আছে। আমাদের মোবাইল কোর্টও সব সময় পরিচালিত হচ্ছে। নৌপথে নিরাপত্তার জন্য নৌ-পুলিশ এবং কোস্টগার্ড কাজ করে। সন্ধ্যার পরে যেন বাল্কহেড চলাচল না করে সে জন্য ঈদের আগেই আমরা নৌ-পুলিশকে চিঠিও দিয়েছিলাম। নৌ-পুলিশ যদি বিভিন্ন পয়েন্টে আরেকটু খেয়াল রাখে, তা হলে হয়তো একটু থামানো যাবে এসব নৌযান চলাচল। তবে আমরা সবাই কাজ করছি।’

নৌ-পরিবহন অধিদপ্তর সূত্র জানায়, ২০২২ সালে ৩৬টি নৌ-দুর্ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে আছে যাত্রীবাহী নৌযান ১০টি, মালবাহী নৌযান ১৭টি এবং অন্যান্য নৌযান ছিল ৯টি।

তবে দুর্ঘটনা নিয়ে কাজ করা সংগঠন রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের তথ্য বলছে, ২০২২ সালে সারা দেশে ছোট-বড় নৌ-দুর্ঘটনা ঘটেছে ১৯৭টি। এতে নিহত হয়েছেন ৩১৯ জন, আহত হয়েছেন ৭৩ জন এবং নিখোঁজ রয়েছেন ৯২ জন। এ ছাড়া ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে ১৬ জুলাই পর্যন্ত সাত মাসে নৌ-দুর্ঘটনা ঘটেছে ৪৯টি। এতে নিহত হয়েছেন ৫৮ জন, আহত হয়েছেন ৭ জন এবং এখনো নিখোঁজ আছেন ১২ জন।

সে হিসাবে বিগত দেড় বছরে ২৪৬টি নৌ-দুর্ঘটনায় ৩৭৭ জন নিহত হয়েছেন। এতে ৮০ জন আহত এবং ১০৪ জন নিখোঁজ রয়েছেন।

এ বিষয়ে রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক মো. সাইদুর রহমান বলেন, ‘নৌ দুর্ঘটনায় জড়িতদের আজ পর্যন্ত কোনো শাস্তি দেয়া হয়নি। নৌপথ নিরাপদ করার সঙ্গে জড়িত বিআইডব্লিউটিএ, নৌ-পরিবহন অধিদপ্তর, নৌ-পুলিশ এবং নৌযান মালিকদের অবহেলার কারণে নৌপথ নিরাপদ হয়নি। এর জন্য সংশ্লিষ্ট সবাই দায়ী।’

নৌ-পরিবহন অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, অভ্যন্তরীণ নৌপথে চলাচলের জন্য ১৫ ধরনের নৌযানের অনুমতি আছে। অভ্যন্তরীণ রুটে সারা দেশের সব মিলে প্রায় ১৬ হাজার ৯৮০টি অনুমোদিত নৌযান চলাচল করে। এর মধ্যে অনুমোদিত বালুবাহী নৌযান (বাল্কহেড) আছে ৬৩৭৯টি।

তবে দেশে কতসংখ্যক অবৈধ নৌযান চলাচল করছে, সে হিসাব নেই নৌ-পরিবহন অধিদপ্তরের কাছে। তবে যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী দৈনিক বাংলাকে জানিয়েছেন, সারা দেশে লক্ষাধিক অবৈধ নৌযান আছে।

বৈধ এবং অবৈধ নৌযানের সঠিক সংখ্যা বের করতে ২০১৬ সালে নৌযান শুমারির উদ্যোগ নেয় নৌ-পরিবহন অধিদপ্তর। কিন্তু এ সংস্থার সেই প্রকল্পটি এখনো আলোর মুখ দেখেনি।

সার্বিক বিষয়ে নৌ-নিরাপত্তাবিষয়ক গবেষক বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অ্যাকসিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক মো. ইমরান উদ্দিন দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘নদীতে চলা বেশির ভাগ বাল্কহেড অনিবন্ধিত। এসব নৌযানের নকশায় ত্রুটি থাকে। নিজেদের মতো তৈরি করে নদীতে নামায়। তা ছাড়া বাল্কহেডগুলোর ডিজাইন এমন যে, ধাক্কা লাগলে বড় বড় নৌযান ডুবিয়ে দিতে পারে। দেশে কত অনিবন্ধিত নৌযান আছে, সেটার কোনো সংখ্যা তৈরি করতে পারেনি নৌ-কর্তৃপক্ষ। উদ্যোগ নিলেও তার কোনো বাস্তবায়ন হয় না। ফলে নৌপথের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই থাকবে।’

রাতে ম্যানেজ করে চলে বাল্কহেড

নৌ খাতের মালিক ও শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নৌ মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) ও নৌ-পরিবহন অধিদপ্তর নামক দুটি সংস্থা ছাড়াও নৌ-পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনকে ‘ম্যানেজ’ করেই প্রভাবশালীদের মাধ্যমে চলছে অবৈধ এসব নৌযান।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বালুবাহী নৌযানের পর্যাপ্ত নিরাপত্তাবাতি থাকে না। বালু পরিপূর্ণ অবস্থায় এসব নৌযানের শুধু সামনের কিছু অংশ ও পেছনের অংশ পানির ওপরে থাকে। তাই বাল্কহেডের সঙ্গে যাত্রীবাহী নৌযানের ধাক্কা লাগার ঘটনা ঘটে প্রায়ই।

লঞ্চমালিক সমিতির মহাসচিব শহিদুল ইসলাম ভূঁইয়া দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘সর্ষের মধ্যেই ভূত আছে। বাল্কহেড চলাচল মনিটর করার দায়িত্ব যাদের, তাদের ম্যানেজ করেই রাতে অবৈধভাবে চলছে বাল্কহেড। রাতে যাত্রীবাহী নৌযান আমরা খুব কষ্টে চালাই। কারণ আতঙ্কের নাম বাল্কহেড। গত ১০ বছরে অনেক যাত্রীবাহী নৌযানে দুর্ঘটনা ঘটেছে শুধু বাল্কহেডের কারণে।’


শিশুশ্রম মুক্ত বাংলাদেশ গড়তে সংশোধিত শ্রম আইনে আন্তর্জাতিক মান নিশ্চিত করার ঘোষণা: শ্রম ও কর্মসংস্থান সচিব

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, শিশুশ্রম নিরসনে শ্রম আইন ২০০৬ সংশোধন করে আন্তর্জাতিক মান বাস্তবায়ন করা হবে। তিনি বলেন, সকল প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে শিশুশ্রম বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।

সোমবার (২১ জুলাই) ঢাকার একটি হোটেলে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা এবং কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর কর্তৃক আয়োজিত শিশুশ্রম নিরসনে কার্যক্রম বিষয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে মতবিনিময় সভায় সচিব একথা বলেন।

শ্রম সচিব বলেন, ঢাকা শহরে অনেক পথ শিশু আছে যারা বিভিন্ন নেশায় আকৃষ্ট হয়। আমাদের রাষ্ট্রের দায়িত্ব হচ্ছে তাদের স্কুলমূখী করানো। সরকার ১৯৯০ সাল থেকে প্রাথমিক শিক্ষা বাধ্যতামূলক করেছে। সরকার পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি দেওয়া হয়। আমরা চাই শিশুরা স্কুলে যাবে কাজে নয়।

শ্রম সচিব মতবিনিময় সভায় বলেন, আজ সভায় উপস্থিত ৪৮ টি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাসহ অন্যান্য সংস্থকে শিশু শ্রম নিরসনে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলতে হবে। বিভিন্ন এনজিও , উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা এবং সরকারের সমন্বিত উদ্দ্যোগ ও আন্ত:সমন্বয় পারে শিশুশ্রম মুক্ত বাংলাদেশ গড়তে।

শ্রম সচিব আরও বলেন, আমরা গত ১৯ জুন বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস পালন করেছি। আমরা শিশুশ্রম প্রতিরোধ বিষয়ে বিতর্ক অনুষ্ঠান আয়োজনের মাধ্যমে তরুন সমাজকে সম্পৃক্ত করেছি। শিশুশ্রম প্রতিরোধে লিড মিনিস্ট্রি হিসেবে আমাদের মন্ত্রণালয় নিরলসভাবে কাজ করছে। ইতোমধ্যে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় ৪৩ টি সেক্টরকে ঝুকিপূর্ণ ঘোষণা করেছে। এছাড়াও দিবসটিতে বিভিন্ন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ভিন্ন ভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে শিশুশ্রম প্রতিরোধ করার জন্য।

শিশুশ্রম নিরসন বিষয়ে গেস্ট অব অনার হিসেবে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) মিজ জাহেদা পারভীন বলেন, সংবিধানে সামাজিক নিরাপত্তার বিধান রয়েছে। এই বিধান বাস্তবায়ন করা সরকারের সাংবিধানিক দায়িত্ব। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিসমূহের সমন্বয়কারী হিসেবে কাজ করছে। শিশুশ্রম নিরসনে ইতিমধ্যে একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়েছে। শিশুশ্রম নিরসনে সরকার, আইএলও, উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা, শ্রমিক ও মালিক পক্ষসহ সকলের সমন্বিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের শিশুশ্রম নিরসনে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য বিশেষ তাগিদ দেওয়া হবে। দারিদ্র্যই শিশুশ্রমের মূল কারণ। প্রতিটি শিশুর জন্মগত অধিকার হচ্ছে নিরাপদ শৈশব ও শিক্ষার সুযোগ পাওয়া। এই অধিকার নিশ্চিত করাই আমাদের লক্ষ্য।

আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার সৈয়দা মুনিরা সুলতানা বলেন, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা জাতিসংঘের একটি বিশেষায়িত সংস্থা। আইএলও সরকার, শ্রমিক ও মালিক পক্ষ নিয়ে কাজ করে আসছে। বাংলাদেশ শিশুশ্রম বিষয়ক কনভেনশন-১৩৮ এবং কনভেনশন -১৮২ অনুস্বাক্ষর করেছে। আইএলও কর্তৃক ২০০৪ সাল থেকে ১২ জুন ''বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস'' পালন করা হয়। বাংলাদেশে শিশুশ্রম নিরসনে আইএলও এর সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।

বিভিন্ন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ বলেন, আমরা ২০১৮ সাল থেকে শিশুশ্রম নিয়া কাজ করছি। কর্মজীবী শিশুদের জন্য স্কুল চালু করা হয়েছে। আমরা চাই শিশুশ্রম মুক্ত বাংলাদেশ। আমরা শিশুশ্রম বন্ধে কাজ করছি। শিশুশ্রমের বিরুদ্ধে আমরা সামাজিক আন্দোলন করছি। আমরা চাই শিশুশ্রম শুন্যে নেমে আসুক। আমরা শিশুদের নিয়া বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছি। আমরা এতিম শিশুদের নিয়াও কাজ করছি।

মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ফাহমিদা আখতার।

মোহাম্মদ শামছুল ইসলাম, উপসচিব এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর এবং শ্রম অধিদপ্তরের উর্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ, জার্মান ইন্টারন্যাশনাল কোঅপারেশন, ইউনিসেফ, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার প্রতিনিধি এবং অ্যাকশন এইড ও কারিতাসসহ বিভিন্ন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।


জাতীয় মৎস্য সপ্তাহের উদ্বোধন অনুষ্ঠানের তারিখ পরিবর্তন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ি এলাকায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে বিমান দুর্ঘটনায় মর্মান্তিক হতাহতের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঘোষিত রাষ্ট্রীয় শোক উপলক্ষ্যে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০২৫ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানের তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে। রাষ্ট্রীয় শোকের প্রতি সম্মান প্রদর্শনপূর্বক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।

ফলে, আগামী ২২ জুলাই (মঙ্গলবার) অনুষ্ঠেয় উদ্বোধন অনুষ্ঠান একদিন পিছিয়ে ২৩ জুলাই (বুধবার), সকাল ১১:০০ ঘটিকায় বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্র, শেরেবাংলা নগর, ঢাকা-তে অনুষ্ঠিত হবে।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার সদয় সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন।


আজকে আমাদের জাতীয় জীবনে বিরাট বড় একটি ট্র্যাজেডির দিন: ড. আসিফ নজরুল

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ভবনে বিমানবাহিনীর বিমান বিধ্বস্তের ঘটনা আজকে আমাদের জাতীয় জীবনে বিরাট বড় একটি ট্র্যাজেডির দিন।

জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে আজ ওই দুর্ঘটনায় হতাহতদের দেখতে গিয়ে গণমাধ্যমের সাথে কথা বলেছেন আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল।

তিনি বলেন, 'আজকে আমাদের জাতীয় জীবনে বিরাট বড় একটা ট্র্যাজেডির দিন। এত বড় ট্রাজিক ঘটনা, বিয়োগান্তক ঘটনা আমাদের জাতীয় জীবনে আর ঘটে নাই।'

উপদেষ্টা বলেন, 'আমাদেরকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন যে, উনারা চিকিৎসার প্রয়োজনে যতরকম প্রস্তুতি দরকার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন। তারপরও যদি প্রয়োজন হয় বিদেশ থেকে চিকিৎসক আনবেন। বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন আমাদের শিক্ষার্থীদের বিদেশ নেয়ার প্রয়োজন হলে তার ব্যবস্থা করা হবে। কোন কিছুতেই কোন ঘাটতি থাকবে না।'

ড. আসিফ নজরুল বলেন, কিন্তু আমরা যা আজ হারিয়েছি কোন কিছুর বিনিময়ে সেটা পূরণ করার মত নয়।

বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর এফ-৭ বিজিআই প্রশিক্ষণ বিমান উত্তরায় বিধ্বস্ত হয়। এই আকস্মিক দুর্ঘটনায় বিমানের পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মো. তৌকির ইসলামসহ ১৯ জন নিহত ও ১৬৪ জন আহত হয়েছেন।

আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ‘নিয়মিত প্রশিক্ষণের অংশ হিসেবে বিমানটি আজ সোমবার বেলা ১টা ৬ মিনিটে ঢাকার কুর্মিটোলার বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ঘাঁটি এ কে খন্দকার থেকে উড্ডয়নের পর যান্ত্রিক ত্রুটির সম্মুখীন হয় (যা বিস্তারিত তদন্ত সাপেক্ষে জানানো হবে)। দুর্ঘটনা মোকাবেলায় এবং বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে উক্ত বিমানের বৈমানিক ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মো. তৌকির ইসলাম বিমানটিকে ঘনবসতি এলাকা থেকে জনবিরল এলাকায় নিয়ে যাবার সর্বাত্মক চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত বিমানটি ঢাকার দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল এবং কলেজ এর দোতালা একটি ভবনে অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনায় বিধ্বস্ত হয়েছে।

আইএসপিআর জানায়, আহত সকলকে বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টারসহ অ্যাম্বুলেন্স এর সহায়তায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ) এবং নিকটস্থ হাসপাতালে প্রয়োজনীয় চিকিৎসার জন্য দ্রুত স্থানান্তর করা হচ্ছে।

আহতদের মধ্যে কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে ৮ জন, বার্ন ইনস্টিটিউটে ৭০ জন, ঢাকা সিএমএইচ এ ১৪ জন, উত্তরার লুবনা জেনারেল হাসপাতাল ও কার্ডিয়াক সেন্টারে ১১ জন, উত্তরা আধুনিক হসপিটালে ৬০ জন এবং উত্তরা ক্রিসেন্ট হাসপাতালে একজন চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে আইএসপিআর জানায়। এই অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনায় বাংলাদেশ বিমান বাহিনী গভীরভাবে মর্মাহত এবং হতাহতদের সর্বাত্মক চিকিৎসাসহ সার্বিক সহযোগিতায় তৎপর রয়েছে।


উত্তরায় বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের লাশ দ্রুত পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে: প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহতদের লাশ দ্রুত পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়। তবে যেসব লাশের পরিচয় শনাক্ত করা যাবে না, সেক্ষেত্রে ডিএন পরীক্ষা করে নিশ্চিত হয়ে হস্তান্তর করা হবে।

সোমবার (২১ জুলাই) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এই তথ্য জানিয়েছে।

এতে বলা হয়, মর্মান্তিক এই বিমান দুর্ঘটনায় আহতদের চিকিৎসা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন প্রধান উপদেষ্টা।

এতে আরও বলা হয়, ‘রাজধানী উত্তরার দিয়াবড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় পরিচয় শনাক্ত হওয়া নিহতদের লাশ দ্রুত তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করবে কর্তৃপক্ষ। তবে যাদের পরিচয় শনাক্ত করা যাবে না তাদের ক্ষেত্রে ডিএনএ পরীক্ষা করে নিশ্চিত হয়ে লাশ হস্তান্তর করা হবে।’

আহতদের চিকিৎসা কার্যক্রম নির্বিঘ্ন করতে হাসপাতাল এলাকায় সাধারণ নাগরিকদের অযথা ভিড় না করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি এফটি-৭ বিজিআই যুদ্ধবিমান নিয়মিত প্রশিক্ষণের অংশ হিসেবে আজ সোমবার (২১ জুলাই) বেলা ১টা ৬ মিনিটে ঢাকার কুর্মিটোলার বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ঘাঁটি এ কে খন্দকার থেকে উড্ডয়নের পর যান্ত্রিক ত্রুটির সম্মুখীন হয়।

মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনায় হতাহতের স্মরণে আগামীকাল মঙ্গলবার জাতীয় শোক ঘোষণা করেছে সরকার।


প্রশিক্ষণ বিমান দুর্ঘটনায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টার শোক

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ি এলাকায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে প্রশিক্ষণ বিমান দুর্ঘটনায় হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।

সোমবার (২১ জুলাই) এক শোকবার্তায় উপদেষ্টা বলেন, এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় বিমানসেনা এবং মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী, শিক্ষক-কর্মচারী ও অভিভাবকসহ সংশ্লিষ্ট সকলের যে অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে, তা কখনো পূরণ হবার নয়। তিনি নিহতদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

তিনি আরও বলেন, "আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি এবং তাঁদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। এ দুঃখজনক ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন না ঘটে সেজন্য যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন।”


বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় আগামীকাল রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

রাজধানীর দিয়াবাড়ি এলাকায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে হতাহতের ঘটনায় আগামীকাল মঙ্গলবার একদিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছে সরকার।

আজ সোমবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বার্তায় রাষ্ট্রীয় শোক পালনের বিষয়টি জানানো হয়।

বার্তায় বলা হয়, শোক পালনের উদ্দেশ্যে দেশের সকল সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে। পাশাপাশি সকল সরকারি, বেসরকারি ভবন ও বিদেশে বাংলাদেশি মিশনেও জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে।

এছাড়াও আহত ও নিহতদের জন্য দেশের সকল ধর্মীয় উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হবে।


বিমান বিধ্বস্তে হতাহতের ঘটনায় প্রধান উপদেষ্টার শোক

আপডেটেড ২১ জুলাই, ২০২৫ ১৮:০১
বাসস

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বিমান বিধ্বস্তে হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।

তিনি আজ সোমবার এক শোকবার্তায় বলেন, ‘বিমান বিধ্বস্তে হতাহতের ঘটনায় আমি গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করছি।’

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘এই দুর্ঘটনায় বিমানসেনা ও মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষক-কর্মচারীসহ অন্যান্যদের যে ক্ষতি হয়েছে তা অপূরণীয়। জাতির জন্য এটি একটি গভীর বেদনার ক্ষণ।’

তিনি আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা এবং সংশ্লিষ্ট হাসপাতালসহ সকল কর্তৃপক্ষকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে পরিস্থিতি মোকাবেলার নির্দেশ দেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সরকার দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ এবং সব ধরনের সহায়তা নিশ্চিত করবে।

উল্লেখ্য, আজ দুপুরে রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ি এলাকায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর এফ-৭ বিজিআই প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয় ।


উত্তরায় প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহত বেড়ে ১৯

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

রাজধানীর উত্তরায় বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমানের দুর্ঘটনায় অন্তত ১৯ জন নিহত হয়েছে। এছাড়াও অর্ধশতাধিক আহত হয়েছে। সোমবার (২১ জুলাই) বিকালে ফায়ার সার্ভিসের ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর শাহজাহান শিকদার এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, উদ্ধার কাজে ফায়ার সার্ভিসের ৯টি ইউনিট ও ৬টি অ্যাম্বুলেন্স কাজ করছে।

এদিকে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় আহত হয়ে যারা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, তাদের বেশির ভাগই শিক্ষার্থী। আহতের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। এ ঘটনায় জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে জরুরি সেবা খোলা হয়েছে।

বিমান বিধ্বস্ত হয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির একটি ভবন পুরোপুরি ভেঙে গেছে। আন্তঃবাহিনীর জনসংযোগ দপ্তর (আইএসপিআর) জানিয়েছে, বিমান বাহিনীর ‘এফ-৭ বিজেআই’ প্রশিক্ষণ বিমানটি সোমবার দুপুর ১টা ৬ মিনিটে উড্ডয়নের পরপরই বিধ্বস্ত হয়।

বিধ্বস্ত হওয়ার পরপরই উড়োজাহাজটিতে আগুন ধরে যায়। অনেক দূর থেকেও সেখানে ধোঁয়া উঠতে দেখা যায়।


২৭ জুলাই হতে শুরু হবে হজের প্রাথমিক নিবন্ধন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

২৭ জুলাই হতে শুরু হচ্ছে হজের প্রাথমিক নিবন্ধন। ২০২৬ সনে হজে গমনেচ্ছুক ব্যক্তিরা প্রাথমিকভাবে চার লাখ টাকা জমা দিয়ে হজের প্রাথমিক নিবন্ধন করতে পারবেন।

আজ সকালে সচিবালয়ে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ২০২৬ সনের হজের রোডম্যাপ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন এতে সভাপতিত্ব করেন।

সৌদি সরকারের রোডম্যাপ অনুসারে এবছরের ১২ অক্টোবরের মধ্যে হজের চূড়ান্ত নিবন্ধন সম্পন্ন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এসময়ের মধ্যেই হজযাত্রীদেরকে প্রাথমিক নিবন্ধন ও পরবর্তীতে হজ প্যাকেজ মূল্যের অবশিষ্ট টাকা জমা দিয়ে চূড়ান্ত নিবন্ধন করতে হবে। সৌদি পর্বের ব্যয়ের হিসাব ও বিমানভাড়া নির্ধারণসাপেক্ষে দ্রুত সময়ের মধ্যে ২০২৬ সনের হজ প্যাকেজ ঘোষণা করবে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

সরকারি মাধ্যমের হজযাত্রীরা ই হজ সিস্টেম ( www.hajj.gov.bd), লাব্বাইক মোবাইল অ্যাপ, ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বিভাগীয়, জেলা ও বায়তুল মোকাররম অফিস এবং আশকোনা হজ অফিস হতে প্রাথমিক ও চূড়ান্ত নিবন্ধন করতে পারবে। তবে বেসরকারি মাধ্যমে হজ পালনে ইচ্ছুক ব্যক্তিদেরকে অনুমোদিত হজ এজেন্সির মাধ্যমে নিবন্ধন করতে হবে।

এ সভায় সৌদি সরকার ঘোষিত ২০২৬ সনের হজ কার্যক্রমের রোডম্যাপসহ বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ কিছু নির্দেশনা উপস্থাপন করা হয়।

সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় আগামী হজ মৌসুমে মক্কা ও মদিনায় বাড়িভাড়ার পূর্বে হজ ফ্লাইট সিডিউল চূড়ান্ত করা এবং হজযাত্রীদের কোরবানির টাকা নুসুক মাসার প্লাটফর্মে পরিশোধের নির্দেশনা দিয়েছে বলে সভায় জানানো হয়। এছাড়া মেডিকেল ফিটনেস ব্যতীত হজে গমন না করার জন্যও তাদের পক্ষ হতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। রোডম্যাপের নির্ধারিত সময়সূচির মধ্যে কোন কাজ সম্পন্ন না হলে হজপালন অনিশ্চিত হবে বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে সৌদি এ মন্ত্রণালয়।

সুষ্ঠু হজ ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে এসভায় হাবের পক্ষ হতে একটি প্রস্তাবনা তুলে ধরা হয়। এ সংগঠনের পক্ষ হতে বাড়ীভাড়া চুক্তি স্বাক্ষরের আগেই হজ ফ্লাইট সিডিউল অনুমোদন, কোরবানি ও ক্যাটারিং সার্ভিস বাধ্যতামূলক না করা, হজযাত্রী নিবন্ধনের সময় বৃদ্ধি, হজ প্যাকেজ ৩৫-৪০ দিনে কমিয়ে আনাসহ বেশ কিছু সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়। সংগঠনটির পক্ষে সভাপতি ও মহাসচিব প্রস্তাবনাসমূহ তুলে ধরেন।

এ সভায় অন্যান্যের মধ্যে ধর্ম সচিব একেএম আফতাব হোসেন প্রামানিক, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মুঃ আঃ আউয়াল হাওলাদার, ড. মোঃ আয়াতুল ইসলাম, হজ অনুবিভাগের যুগ্মসচিব ড. মোঃ মঞ্জুরুল হক, হজ এজেন্সিস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি সৈয়দ গোলাম সরওয়ার, মহাসচিব ফরিদ আহমদ মজুমদারসহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ও হাবের নির্বাহী কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।


জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ কাল থেকে শুরু : পদক পাচ্ছেন ১৬ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও জাতীয় মৎস্য পদক নীতিমালা অনুযায়ী মৎস্য খাতে অনন্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ৭টি ক্ষেত্রে মোট ১৬ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে জাতীয় মৎস্য পদক ২০২৫ প্রদান করা হবে। প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পুরস্কার হিসেবে যথাক্রমে স্বর্ণ, রৌপ্য ও ব্রঞ্জের পদক দেয়া হবে। এই পদক মৎস্য সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস প্রদান করবেন।

উপদেষ্টা সোমবার (২১ জুলাই) মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষ্যে এসব কথা বলেন।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, এ বছরের ২২-২৮ জুলাই জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০২৫ একযোগে কেন্দ্রীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে অর্থাৎ সমগ্র দেশব্যাপী উদ্যাপিত হতে যাচ্ছে। এবারের মৎস্য সপ্তাহকে জুলাই গণঅভ্যুথানে শহীদ ও আহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর জন্য বিশেষভাবে সাজানো হয়েছে। জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উদ্যাপন উপলক্ষ্যে মৎস্য পদক প্রদান, বিভিন্ন ধরণের সচেতনতামূলক কার্যক্রম, র‍্যালি, আলোচনা, সেমিনার, কর্মশালা, প্রদর্শনী ইত্যাদি কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে।

মৎস্য উপদেষ্টা বলেন, দেশের আপামর জনগোষ্ঠীর নিরাপদ আমিষ ও পুষ্টির চাহিদা পূরণ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, রপ্তানি সম্প্রসারণ, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন তথা দেশের সামগ্রিক আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে মৎস্য খাতের অবদান অনস্বীকার্য। নদ-নদী, খাল-বিল, পুকুর, হাওর, বাওড় নিয়ে বাংলাদেশে অভ্যন্তরীণ মুক্ত জলাশয় আছে ৩৮.৬ লক্ষ হেক্টর, আর বদ্ধ জলাশয় আছে ৮.৫ লক্ষ হেক্টর এবং দক্ষিণের সুবিস্তৃত ১ লাখ ১৮ হাজার ৮১৩ বর্গকিলোমিটার সামুদ্রিক জলসীমা আমাদের মৎস্য সম্পদের উৎস। মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণ, উন্নয়ন, ব্যবস্থাপনা, টেকসই আহরণ ও উৎপাদনে সরকার কার্যকর, সময়োপযোগী, কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে চলেছে। তাই বাংলাদেশ আজ মাছে স্বয়ংসম্পূর্ণ।

তিনি বলেন, গবেষণালব্ধ, বিজ্ঞানভিত্তিক ও পরিবেশবান্ধব মৎস্য আহরণ, মৎস্য চাষ এবং সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদের উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ জলাশয়ে দেশীয় প্রজাতির মাছসহ অন্যান্য বিপন্ন বা বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির মাছের অভয়াশ্রম প্রতিষ্ঠা ও এর টেকসই ব্যবস্থাপনার দৃঢ় প্রত্যয়ে এবারের জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উদ্যাপন করতে যাচ্ছি।

তিনি আরো বলেন, মাছের প্রজাতিগত ও কৌলিকতাত্ত্বিক (জেনেটিক) বৈশিষ্ট্য সংরক্ষণ, জলজ পরিবেশ ও ইকোসিস্টেম সংরক্ষণ ও দোশ মাছের নিরাপদ প্রজনন ও আবাসস্থল নিশ্চিতকরণ, জলাশয়ে টেকসই উৎপাদন এব্যাহত বাধ্য, পুনরুদ্ধার এবং সমাজভিত্তিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ এবং এর সাথে সম্পর্কিত মৎস্যজীবীর জীবন জীবিকা রক্ষার্থে এবং উন্নয়নে দেশের বিভিন্ন নদ-নদী ও অভ্যন্তরীণ মুক্ত জলাশয়ে ৬৬৯টি অভয়াশ্রম পরিচালিত হচ্ছে এবং ভবিষ্যতে আরও অভয়াশ্রম গড়ে তোলার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।

উপদেষ্টা বলেন, “মৎস্য সপ্তাহ পালনের মধ্য দিয়ে আমরা মৎস্য খাতের অবদান তুলে ধরতে চাই। আপনারা জানেন, মৎস্য খাত দেশের মোট জিডিপি'র ২.৫৩ শতাংশ এবং কৃষিজ জিডিপি'র ২২.২৬ শতাংশ। বছরে ৫০ লাখ মেট্রিক টন মাছ উৎপাদিত হয়েছে। বারো লাখ নারীসহ প্রায় ২ কোটি অর্থাৎ মোট জনগোষ্ঠীর প্রায় ১২ শতাংশের অধিক মানুষের জীবন ও জীবিকা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে মৎস্য খাতের সাথে সম্পৃক্ত। আমিষের চাহিদা মেটানোর দিক থেকেও মাথাপিছু দৈনিক ৬০ গ্রাম গ্রহণের বিপরীতে মাছের প্রাপ্যতা ৬৭.৮০ গ্রামে উন্নীত হয়েছে। তবুও মাথপিছু গ্রহণ আরো বাড়াতে হবে”।

তিনি বলেন, মৎস্যসম্পদ রক্ষার্থে গৃহীত বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কিছু পদক্ষেপ প্রশংসিত হয়েছে। গবেষণালব্ধ তথ্যের ভিত্তিতে সামুদ্রিক মাছের সুষ্ঠু পরিবেশ ও উৎপাদনশীলতা পুন:প্রতিষ্ঠাকল্পে এ বছর ৬৫ দিনের পরিবর্তে ৫৮ দিন (১৫ এপ্রিল হতে ১১ জুন) সমুদ্রে সকল প্রকার নৌযান কর্তৃক মৎস্য আহরণে নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ১৬ মার্চ ২০২৫ তারিখ এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। এ লক্ষ্যে সামুদ্রিক মৎস্য বিধিমালা, ২০২৩ এর প্রয়োজনীয় সংশোধন আনা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, মা ইলিশ ও জাটকাসহ অন্যান্য মাছ আহরণ নিষিদ্ধকালে মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় প্রান্তিক প্রকৃত মৎস্যজীবীদের তালিকার ভিত্তিতে ভিজিএফ (চাল) প্রদান করা হচ্ছে। ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে মোট ১২ লক্ষ ৬৫ হাজার ৪৪৯টি জেলে পরিবারকে মোট ১ লক্ষ ০৪ হাজার ৬৬২.৬৭৫ মেট্রিক টন ভিজিএফ (চাল) বিতরণ করা হয়েছে। মৎস্যজীবীদের সহায়তা দেয়া পরিবার প্রতি চালের পরিমাণ বাড়িয়ে ৫০ কেজি করার প্রস্তাব খাদ্য মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে। দাদনের দুষ্টচক্র থেকে জেলে ও মৎস্যজীবীদের মুক্ত করার লক্ষ্যে সহজ শর্তে ঋণ প্রদান সুবিধা নিশ্চিত করা হবে।

এসময় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব (রুটিন দায়িত্ব) মো: তোফাজ্জেল হোসেন, অতিরিক্ত সচিব মো: ইমাম উদ্দীন কবীর, অতিরিক্ত সচিব সৈয়দা নওয়ারা জাহান, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো: আবদুর রউফ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

'অভয়াশ্রম গড়ে তুলি, দেশি মাছে দেশ ভরি' এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আগামীকাল থেকে শুরু হচ্ছে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ।


মুক্তিযুদ্ধ ও চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানকে পাশ কাটিয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই: অধ্যাপক আলী রীয়াজ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

জাতীয় ঐক্যমত কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ বলেছেন, আমাদের অস্তিত্বের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত মুক্তিযুদ্ধ ও চব্বিশের রক্তক্ষয়ী গণঅভ্যুত্থানকে নিয়েই অগ্রসর হবার যাত্রা চলমান থাকবে। একে পাশ কাটিয়ে যাওয়ার কোন সুযোগ নেই।

আজ সকালে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমীর দোয়েল হলে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐক্যমত কমিশনের ষোড়শ দিনের আলোচনার শুরুতে প্রারম্ভিক বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

আলোচনা শুরুতে তিনি বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধ, ৫৩ বছরের সংগ্রাম এবং গত বছরের একটি অভাবনীয় গণঅভ্যুত্থান, রক্তপাত ও প্রাণনাশকে পাশ কাটিয়ে যাওয়ার কোন সুযোগ নেই। এগুলোকে সঙ্গে নিয়েই আমাদেরকে অগ্রসর হতে হবে।

তিনি বলেন, আমাদের প্রতিদিনের আলোচনার শুরুতেই আমরা যাদের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করি, তারা হচ্ছেন আমাদের মুক্তিযোদ্ধারা, যেই মুক্তিযুদ্ধ ব্যতীত আমরা কখনো এখানে আসতে পারতাম না। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ আমাদের অস্তিত্বের সঙ্গে জড়িত। আমাদের সকল সাফল্য ও ব্যর্থতার ঊর্ধ্বে মুক্তিযুদ্ধ। লক্ষ লক্ষ মানুষের প্রাণের বিনিময়ে দীর্ঘ সময়ের সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আমরা এ রাষ্ট্র অর্জন করেছি, রাষ্ট্রের পথরেখা নির্ধারণ করেছি।

তিনি আরো বলেন, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার সেই সংগ্রাম অব্যাহত থাকার মধ্য দিয়েই আমরা একটি ভয়াবহ ফ্যাসিবাদের মধ্যে নিপতিত হয়েছিলাম। সেখান থেকে সকলে মিলে একটি সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আমরা এ জায়গায় এসেছি। এই পটভূমিকাই জাতীয় সনদের বিবেচ্য, আপনারা সেটা মাথায় রাখুন।

দ্রুত রাষ্ট্রীয় সনদ তৈরীর জন্য গুরুত্বপূর্ণ এ বিষয়গুলো বিবেচনায় রেখে, দ্রুত ঐকমত্যে পৌঁছাতে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।

ড. আলী রীয়াজ বলেন, যদি আমরা ঐক্যমতে ৩১ তারিখের মধ্যে পৌঁছাতে চাই, যেটাকে আমি এটাকে বাধ্যবাধকতা বলে মনে করি, তবে আমাদের হাতে ১০ দিন সময় আছে। আগামী ১০ দিনের মধ্যে আমাদেরকে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে। এর মধ্যে একটি/দুটি বিষয় আছে, তার জন্য হয়তো সময় বরাদ্দ করা যাবে। কিন্তু কিছু কিছু বিষয়ে সিদ্ধান্তে পৌঁছানো ব্যতিরেকে অগ্রসর হওয়া যাবে না।

তিনি বলেন, আমরা যেহেতু প্রথম থেকে ‘নোট অফ ডিসেন্ট’ এর ব্যবস্থা রেখেছি সেহেতু কেউ চাইলে দ্বিমত পোষণ করতে পারেন এবং সেটি জাতীয় সনদে উল্লেখ থাকবে।

এর বাইরে আপনারা কমিশনের ওপর একটি দায়িত্ব অর্পণ করেছেন, দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ গঠিত হবে কি হবে না, সে বিষয়ে আপনাদের মতামত বিবেচনা করে কমিশন আগামীকাল বা পরশু দিনের মধ্যে জানাবে।

গতকালকের অমীমাংসিত বিষয় নিয়ে আজকের আলোচনা শুরু হবে জানিয়ে তিনি বলেন, গতকাল তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিষয়ে সমস্ত রকমের আলোচনা করার পরে, কমিশন এটি ধারনা করছে যে কমিশনের পক্ষ থেকে যে সংশোধিত প্রস্তাব দেয়া হয়েছে তাতে অধিকাংশের একমত আছে এবং কিছু কিছু বিষয়ে কারো কারো দ্বিমত থাকতে পারে।

আজকের মধ্যে পরামর্শ করে বিষয়গুলো মীমাংসা করার অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদেরকে জানানো হলে কমিশনের পক্ষ থেকে আগামীকালের বৈঠকে আবার সে বিষয়গুলো উত্থাপন করে একটি সিদ্ধান্তে আসা যায় কিনা সে প্রচেষ্টা করা হবে।

সবশেষে, রাজনৈতিক দলগুলোর আন্তরিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে দ্রুত একমতে পৌঁছাতে পারবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারের সঞ্চালনায় আজ বৈঠকে আরও উপস্থিত আছেন- কমিশনের সদস্য সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক, ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. ইফতেখারুজ্জামান ও ড. আইয়ুব মিয়া।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আজকের আলোচনায় অংশগ্রহণ করছে- বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), গণঅধিকার পরিষদ, গণসংহতি, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি ও আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টিসহ ৩০টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা।


উত্তরায় বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

রাজধানীর উত্তরায় বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। এ দুর্ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

সোমবার (২১ জুলাই) দুপুরের দিকে উত্তরার দিয়াবাড়ি এলাকায় বিমানটি বিধস্ত হয়। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এমন তথ্য জানিয়েছে।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিমান বাহিনীর এফ-৭ বিজেআই প্রশিক্ষণ বিমান উত্তরায় বিধ্বস্ত হয়। বিমানটি দুপুর ১টা ৬ মিনিটে উড্ডয়ন করেছে।

ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, উত্তরার মাইলস্টোন কলেজে একটি প্রশিক্ষণ বিমান ১টা ১৮ মিনিটে বিধ্বস্ত হয়েছে। এখন সেখানে উত্তরা, টঙ্গী, পল্লবী, কুর্মিটোলা, মিরপুর, পূর্বাচল ফায়ার স্টেশনের ৮টি ইউনিট কাজ করছে।

তবে এখন পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির খবর জানা সম্ভব হয়নি। উদ্ধার কার্যক্রম চলছে।


পায়রা বন্দরের মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়িত হলে এই অঞ্চল হবে অর্থনীতির চালিকাশক্তি : নৌপরিবহন উপদেষ্টা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, ‘আমাদের উচিত বাস্তবভিত্তিক ও টেকসই পরিকল্পনার মাধ্যমে বন্দর ব্যবস্থাপনাকে আধুনিক ও কার্যকর করে তোলা। পায়রা বন্দরের মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়িত হলে এই অঞ্চল দেশের অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তিতে পরিণত হবে।’ আজ রোববার দুপুরে পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় পায়রা বন্দরের মাস্টারপ্ল্যান বিষয়ক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, সিঙ্গাপুরের মানুষ বলে, বাংলাদেশে অনেক গুরুত্বপূর্ণ পোর্ট রয়েছে। অথচ আমাদের দেশে যখন একটি নতুন পোর্ট গড়ার বা চট্টগ্রাম বন্দরের পাশে আরেকটি পোর্ট তৈরির কথা বলা হয়, তখনই বলা হয়-দেশ চলে গেলো। আবার চট্টগ্রাম বন্দরে যদি কোনো অপারেটর নিয়োগের কথাও ওঠে, তখনও বলা হয়-দেশ চলে গেলো। বিষয়টি এমন যেন চিলে কান নিয়ে গেছে আর সবাই দৌঁড়াচ্ছে।

পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মাসুদ ইকবাল সেমিনারে স্বাগত বক্তব্যে বলেন, আগামী বছরের জুলাইয়ের মধ্যে বন্দরের প্রথম টার্মিনাল চালুর লক্ষ্যে কাজ চলছে। এজন্য সরকারের সহযোগিতার পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের প্রস্তুতি ও সহায়তা কামনা করেন তিনি।

সেমিনারে বাংলাদেশ প্রকৌল বিশ্ববিদ্যায়ের (বুয়েট) অধ্যাপক ড. ইশতিয়াক আহমেদ এবং রয়্যাল হাসকোনিং ডিএইচভি’র টিম লিডার মেনো মুইজ মাস্টারপ্ল্যানের বিভিন্ন দিক উপস্থাপন করেন।

বন্দরের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও উন্নয়ন কৌশল নিয়ে প্রেজেন্টেশন দেন পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (প্রকৌশল ও উন্নয়ন) কমডোর মোহাম্মদ আব্দুল কাদের।

সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন দপ্তর, সামরিক ও বেসামরিক সংস্থার উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ, বন্দর ব্যবহারকারী অংশীজন, মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়নকারী প্রতিষ্ঠান বুয়েট ও নেদারল্যান্ডসের রয়্যাল হাসকোনিং ডিএইচভি’র প্রতিনিধিবৃন্দ ।


banner close