মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫
৭ শ্রাবণ ১৪৩২

প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে উদ্বোধন হবে মৈত্রী পাওয়ার প্ল্যান্ট-২

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে মঙ্গলবার গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা। ছবি: ফোকাস বাংলা
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত : ১৮ জুলাই, ২০২৩ ২১:১৭

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগামী সেপ্টেম্বর মাসে ১৭তম জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে ভারত সফর করবেন। সে সময় মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্লান্ট-২, ৬৫ কিলোমিটার খুলনা-মোংলা বন্দর রেলওয়ে লিংক, আখাউড়া (বাংলাদেশ) এবং আগরতলা (ভারত) রেলওয়ে লিঙ্ক উদ্বোধন হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা মঙ্গলবার গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এ কথা জানান। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বৈঠকের পর এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্লান্ট-২, এবং ৬৫ কিলোমিটার খুলনা-মোংলা বন্দর রেলওয়ে লিঙ্ক ভারতীয় এলওসি (লাইন অব ক্রেডিট) এর অধীনে বাস্তবায়িত হয়েছে। অপরদিকে ভারতীয় অনুদানে নির্মিত হয়েছে আখাউড়া (বাংলাদেশ) এবং আগরতলা (ভারত) রেলওয়ে লিঙ্ক।

প্রধানমন্ত্রী ভারতীয় গ্রিডের মাধ্যমে বাংলাদেশকে নেপাল থেকে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আনার অনুমতি দেয়ার জন্য ভারত সরকারকে ধন্যবাদ জানান এবং আশা প্রকাশ করেন ভারত তাদের গ্রিডের মাধ্যমে ভুটান থেকেও বিদ্যুৎ আমদানির অনুমতি দেবে।

বৈঠকে উভয়েই বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের অবস্থা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন।

বৈঠকে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে টাকা-রুপির বিনিময়ব্যবস্থা, সংযোগ, ভারতীয় এলওসির অধীনে চলমান প্রকল্প এবং অনুদান ইত্যাদি বিষয়েও আলোচনা হয়।

টাকা-রুপি বিনিময়ব্যবস্থার বিষয়ে ভারতীয় হাইকমিশনার উল্লেখ করেন, ক্রেডিট কার্ডের মতো দুই ধরনের কার্ড ইস্যু করা হবে। একটি রুপি কার্ড এবং অন্যটি টাকা কার্ড।

তিনি বলেন, ‘উভয় পক্ষই এই কার্ডগুলো ইস্যু করবে যাতে দুই দেশের মানুষ তাদের অর্থপ্রদানের জন্য কার্ডগুলো ব্যবহার করতে পারে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিপুলসংখ্যক বাংলাদেশি বিভিন্ন কাজে ভারতে যান এবং তারা কার্ডটি ব্যবহার করতে পারবেন।

ভারতীয় হাইকমিশনার প্রধানমন্ত্রীর ভিশন-২০২১ এবং ভিশন-২০৪১ পদক্ষেপের মাধ্যমে বাংলাদেশকে একটি স্মার্ট দেশে রূপান্তরিত করার উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, ‘তারা খুবই ইতিবাচক সাড়া তৈরি করেছে।’

শেখ হাসিনা দিল্লিতে জি-২০ সম্মেলনের সময় সমগ্র বিশ্বের পাশাপাশি গ্লোবাল সাউথের জন্য ভারত বিশেষভাবে আওয়াজ তুলবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

প্রধানমন্ত্রীর অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন এবং ভারতের ডেপুটি হাইকমিশনার ড. বিনয় জর্জ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।


উত্তরায় বিমান দুর্ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের শোক

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

যুক্তরাষ্ট্র রাজধানীর উত্তরায় বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছে। ।

এক্স-এ এক পোস্টে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক ব্যুরো বলেছে, ‘উত্তরায় বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমানের মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় আমরা গভীরভাবে শোকাহত। এই কঠিন সময়ে যারা আহত ও তাদের প্রিয়জনদের হারিয়েছেন তাদের পরিবারের প্রতি আমাদের সমবেদনা’'

এই বার্তা বাংলাদেশের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সংহতিরই প্রতিফলন। কারণ দেশটি এই ঘটনায় প্রাণহানির জন্য শোক পাশাপাশি আহত এবং শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনাও প্রকাশ করছে।

উল্লেখ্য, গতকাল দুপুরে উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি এফ-৭ বিজিআই প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়। এতে কমপক্ষে ২৭ জন নিহত এবং প্রায় পৌনে দুশো লোক আহত হন।


২৩ জুলাই ’২৪  : কোটা সংস্কার করে প্রজ্ঞাপন জারি, রাতে সীমিত পরিসরে ইন্টারনেট চালু

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

২০২৪ সালের ২৩ জুলাই (মঙ্গলবার) আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী সরকারি চাকরিতে ৯৩ শতাংশ পদে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ এবং ৭ শতাংশ কোটার বিধান রেখে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার। এর মধ্য দিয়ে সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, স্বশাসিত ও সংবিধিবদ্ধ কর্তৃপক্ষ এবং বিভিন্ন করপোরেশনের চাকরির নিয়োগে ৯ম থেকে ২০তম গ্রেডের ক্ষেত্রে এ বিধান কার্যকর হয়।

এদিন ষষ্ঠ দিনের মতো পুরো বাংলাদেশ ইন্টারনেটবিহীন ছিল। তবে রাতের দিকে ঢাকা ও চট্টগ্রামে সীমিত পরিসরে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট চালু করা হয়। তবে সবাই ইন্টারনেট পাননি। জরুরি সেবা, আর্থিক ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান এবং গণমাধ্যমসহ কিছু খাতকে প্রাধান্য দিয়ে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট চালু করা হয়।

২৩ জুলাইও সারাদেশে সাধারণ ছুটি ছিল। কারফিউ অব্যাহত থাকায় দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করে। মহাসড়কগুলোতে যান চলাচল শুরু হয়। চলমান কারফিউ আরও শিথিল করে সরকার।

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন জায়গায় সংঘর্ষ, হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ‘চিরুনি অভিযান’ অব্যাহত রাখে। আগের দিন সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত সারাদেশে আরও প্রায় ১ হাজার ১০০ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এর মধ্যে রাজধানী ঢাকায় অন্তত ৫১৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এ নিয়ে গত এক সপ্তাহে (১৭-২৩ জুলাই) সারাদেশে গ্রেফতারের সংখ্যা ৩ হাজার ছাড়ায়। রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় সংঘর্ষ, হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় মঙ্গলবার আরও ৩৮টি মামলা হয়। (সূত্র: প্রথম আলো, ২৪ জুলাই, ২০২৪)।

এদিন সরকারি-বেসরকারি অফিস ২৪ জুলাই (বুধবার) ১১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত চার ঘণ্টার জন্য খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। একইসাথে রপ্তানিমুখী পোশাক কারখানাগুলোও খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এদিকে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা চার দফা দাবি জানিয়ে তা বাস্তবায়নের জন্য সরকারকে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেন। শিক্ষার্থীদের পক্ষে চার দফা দাবি তুলে ধরেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম। দাবি মেনে নিলে সংলাপের রাস্তা তৈরি হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

শিক্ষার্থীদের চার দফা দাবিগুলো হলো-ইন্টারনেট চালু করতে হবে, কারফিউ প্রত্যাহার করতে হবে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সরিয়ে নিয়ে আবাসিক হল খুলে দিয়ে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিরে যাওয়ার সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি করতে হবে এবং সারাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়কদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এক সংবাদ সম্মেলনে জানায়, ১৮ জুলাই থেকে আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, আবু বাকের মজুমদার ও রিফাত রশীদ নিখোঁজ রয়েছেন।

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে ১ জুলাই থেকে আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা। বিভিন্ন কর্মসূচি পালনের পরও সরকার দাবি মেনে না নেওয়া আন্দোলন তীব্র হতে থাকে। ১৬ জুলাই সারাদেশে আন্দোলনে ৬ জন নিহত হওয়ার পর কোটা সংস্কার আন্দোলন সহিংস রূপ লাভ করে। বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষ, হামলা, গুলি, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি বিজিবি মোতায়েন করা হয়। একপর্যায়ে গত ১৯ জুলাই (শুক্রবার) রাত ১২টা থেকে সারাদেশে কারফিউ জারি করা হয়। একইদিনে বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করার জন্য সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত হয়। টানা পাঁচ দিন রেল চলাচল বন্ধ থাকার পর ২৩ জুলাই তেলবাহী ট্রেন চালু হয়।

এদিন তৎকালীন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের কাউকে মামলায় জড়ানো হলে তাদের তথ্য যদি কোটা আন্দোলনকারীরা দেন, তাহলে তা অবশ্যই যাচাই-বাছাই করে দেখবে সরকার।’

এদিন সংবাদ সম্মেলনে তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আবাসিক হল খুলে দেওয়া যাবে না।’

র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) তৎকালীন মহাপরিচালক মো. হারুন অর রশিদ বলেন, ‘ছাত্র আন্দোলনের নামে যারা নাশকতা চালিয়ে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অপরাধীদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।’


কুমিল্লায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে অস্ত্রসহ দুইজন গ্রেপ্তার 

আপডেটেড ২২ জুলাই, ২০২৫ ১২:২৭
মাহফুজ নান্টু,  কুমিল্লা

কুমিল্লায় সেনাবাহিনী ও র‍্যাবের পৃথক দুটি যৌথ অভিযানে অস্ত্রসহ দুজনকে আটক করা হয়।

রোববার দিবাগত রাতে পরিচালিত অভিযানে নগরীর মুরাদপুর এলাকা থেকে মোঃ আবু হায়দার (৪০)কে আটক করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে তিনটি এলজি একটি বিদেশি চাকু একটি ছেনি একটি পাসপোর্ট ও তিনটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।

অপর দিকে নগরীর নুরপুর এলাকায় মজিবুর রহমান (৩৮) ওরফে পেনু মির্জা নামে আরেকজনকে আটক করা হয় । এ সময় তার কাছ থেকে একটি এলজি ও এলজির কার্তুজ জব্দ করা হয়।

গ্রেফতারকৃতদের কোতোয়ালি মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মহিনুল ইসলাম জানান গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইননানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। তাদেরকে আজ আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হবে।


বাবার স্বপ্ন ছিলো ডাক্তার হবে হুমাইরা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি

আমার মেয়ে ডাক্তার হবে অথবা ইন্জিনিয়ার হবে সে মেধাবি ছিলো, আমার মেয়ে ডালিম পছন্দ করতো এ জন্য আমি বাড়িতে ডালিম গাছ রোপন করেছি যাতে করে বাড়ি এসে ডালিম খেতে পারে আমার মা হুমাইরা। এই অল্প বয়সে চোখের সামনে এভাবে আমাকে ছেরে চলে যাবে আমার মেয়ে কখনো চিন্তাও করিনি। কথা গুলো ঘরের এককোণে শুয়ে শুয়ে বলছিলেন মাইলস্টোন স্কুলের শিক্ষক ও উত্তরায় বিমান বিধ্বস্ত ঘটনায় নিহত মেহেনাজ আফরিন হুমাইরার বাবা দেলোয়ার হোসেন।

টাঙ্গাইলের সখিপুর উপজেলার হতেয়া-রাজাবাড়ি ইউনিয়নের কেরানীপাড়া এলাকার মঙ্গলবার সকালে এসে এ চিত্র দেখা যায়।

দেলোয়ার হোসেন আরও বলেন,আমি সকালে মেয়েকে স্কুলে দিয়ে ক্লাস করাচ্ছিলাম পাশের ভবনে। যখন বিমান বিধ্বস্ত হয় তখন বিকট শব্দ হয় তখনি বের হয়ে দেখি আগুন জ্বলছে। তখনি আমার স্ত্রীর ফোন বেজে উঠে। তখন বুঝতে পারি আমার মেয়ে আটকা পড়েছে ওই ভবনে। ওই মুহুর্তে আমার মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ে।

নিহত মেহেরাজ আফরিন হুমাইরার মা সুমি আক্তার বলেন, আমি মেয়েকে বাসায় নিয়ে আসার জন্য স্কুলের মাঠে প্রবেশ করতেই দেখি একটি বিমান হঠাৎ করে ভবনের ভিতরে ডুকে পড়ে। তখনি আমি চিৎকার করলে আমাকে স্কুলের অন্য শিক্ষার্থী ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা আটকিয়ে রাখে। আমি বিভিন্ন হাসপাতালে ঘুরে ঘিরে বেড়াই এরপর শুনতে পাই স্কুলে হুমাইরার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আমার মেয়ে অনেক লক্ষি ছিলো, আমার কথার বাহিরে কিছু করতো না। আমার হুমাইরার জন্য দোয়া করবেন।

হুমাইরার মামা ফিরোজ আহমেদ বলেন,আমাকে মামা বলে ডাকার মতো এখন আর কেউ রইলো না। আমার বোনের একমাত্র সন্তান ছিলো হুমাইরা। তাদের একটি মাত্র সন্তানটিও শেষ হয়ে গেলো।

স্থানীয় শামসুল আলম বলেন,এই রকম মর্মান্তিক ঘটনা বাংলাদেশ কখনো প্রত্যাশা করেনি। হঠাৎ করে কতগুলো বাচ্চা শেষ হয়ে গেলো মুহুর্তে। সরকারের কাছে দাবী জানাই এই বিমান বাহিনীর ট্রেনিং গুলো নিরাপদ জায়গায় যেন করা হয়।

সখিপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল রনী বলেন,আমরা সখিপুর উপজেলার পক্ষ থেকে নিহতর পরিবারের প্রতি শোক প্রকাশ করছি।


মেয়েকে বাঁচাতে গিয়ে প্রাণ যায় মায়ের

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

রাজধানী ঢাকার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে বিমান দুর্ঘটনায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা গেছেন রজনী নামে এক নারী। গতকাল সোমবার তাকে ঢাকা সিএমএস হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে নেওয়া হলে সেখানেই তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

নিহত রজনী মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার মটমুড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি বাওট গ্রামের আব্দুল হামিদের মেয়ে। তার স্বামী জহিরুল ইসলাম ব্যবসায়িক সূত্রে ৩ সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে ঢাকায় বসবাস করতেন।

সোমবার দুপুরে বিমান বিধ্বস্ত হওয়া খবর শুনে নিজের শিশুকন্যাকে বাঁচাতে শ্রেণিকক্ষের দিকে ছুটে গিয়েছিলেন রজনী। তবে তিনি যাওয়ার আগেই শিশুটি স্কুলের বাইরে বের হয়ে গিয়েছিল। এতে শিশুটি বেঁচে গেলেও অগ্নিদগ্ধ হন রজনী।

দগ্ধ অবস্থায় তাকে সিএমএস হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে নেওয়া হয়। পরে সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

স্বামীর বাড়ি কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার চর সাদিপুর গ্রামে রজনীর লাশ দাফন করা হবে বলে পরিবারসূত্রে জানা গেছে।

আইএসপিআরের তথ্য অনুযায়ী, গতকাল দুপুর ১টা ৬ মিনিটে রাজধানীর কুর্মিটোলার বিমানবাহিনী ঘাঁটি এ কে খন্দকার থেকে উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পর বিমানটি স্কুল ভবনের ওপর এসে বিধ্বস্ত হয়। দুপুর ১টা ১৮ মিনিটে এই খবর পায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স।

পরে জানা যায়, বিমানবাহিনীর এফটি-৭ বিজিআই যুদ্ধবিমান স্কুলটির চত্বরের একটি দোতলা ভবনে বিধ্বস্ত হয়েছে। প্রশিক্ষণের কাজে ব্যবহৃত চীনের তৈরি এই যুদ্ধবিমান যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে উত্তরার ওই স্কুল ভবনে আছড়ে পড়েছিল।

বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার পরপরই স্কুল ভবনে আগুন ধরে যায়। এ ঘটনায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বিমানের পাইলটসহ ২৭ জন নিহত হয়েছে এবং ৭৮ জন বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।


বিধ্বস্ত বিমানটি প্রশিক্ষণ নয়, ছিল যুদ্ধবিমান

আপডেটেড ২২ জুলাই, ২০২৫ ১১:১৩
ইউএনবি

রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে বলে যে খবর ছড়িয়েছে, তা সঠিক নয় বলে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী সংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।

মঙ্গলবার (২২ জুলাই) এক বার্তায় এ বিষয়টি স্পষ্ট করে আইএসপিআর।

ওই বার্তায় বলা হয়, মাইলস্টোনের ঘটনায় কিছু সংবাদমাধ্যমে লেখা হচ্ছে, গতকালের বিমানটি একটি প্রশিক্ষণ বিমান ছিল। আমরা বিনীতভাবে আবারও জানাতে চাই, এটি ছিল যুদ্ধে ব্যবহারের উপযোগী একটি যুদ্ধবিমান। সেটি একটি প্রশিক্ষণ মিশনে অংশ নিয়েছিল।

আইএসপিআরের তথ্য অনুযায়ী, গতকাল দুপুর ১টা ৬ মিনিটে রাজধানীর কুর্মিটোলার বিমানবাহিনী ঘাঁটি এ কে খন্দকার থেকে উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পর বিমানটি স্কুল ভবনের ওপর এসে বিধ্বস্ত হয়। দুপুর ১টা ১৮ মিনিটে এই খবর পায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স।

পরে জানা যায়, বিমানবাহিনীর এফটি-৭ বিজিআই যুদ্ধবিমান স্কুলটির চত্বরের একটি দোতলা ভবনে বিধ্বস্ত হয়েছে। প্রশিক্ষণের কাজে ব্যবহৃত চীনের তৈরি এই যুদ্ধবিমান যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে উত্তরার ওই স্কুল ভবনে আছড়ে পড়েছিল।

বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার পরপরই স্কুল ভবনে আগুন ধরে যায়। এ ঘটনায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বিমানের পাইলটসহ ২৭ জন নিহত হয়েছে এবং ৭৮ জন বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।


মাইলস্টোনে হতাহতের তথ্য গোপনের দাবি সঠিক নয়: প্রেস উইং

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় বিভিন্ন মহল থেকে হতাহতের তথ্য গোপনের যে দাবি করা হচ্ছে তা সঠিক নয় বলে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।

মঙ্গলবার (২২ জুলাই) সকালে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাজধানীর মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতদের প্রত্যেকের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। নিহতদের প্রত্যেকের নাম-পরিচয় যাচাই ও তালিকা করা হচ্ছে। যেসব লাশ শনাক্ত করা যাচ্ছে না, সেগুলো ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে শনাক্ত করা হচ্ছে। পাশাপাশি ঢাকার কয়েকটি হাসপাতালে এ ঘটনায় আহতদের সুচিকিৎসায় সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

প্রেস উইং জানায়, আমরা উদ্বেগের সাথে লক্ষ করছি যে, বিভিন্ন মহল থেকে হতাহতের তথ্য গোপন করা হচ্ছে দাবি করে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। আমরা অত্যন্ত দৃঢ়ভাবে জানাতে চাই, এ দাবি সঠিক নয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এ মর্মান্তিক ঘটনায় আহত-নিহতদের সম্পূর্ণ ও নির্ভুল তালিকা প্রকাশের জন্য বাংলাদেশ সরকার, সেনাবাহিনী প্রশাসন, বিদ্যালয় ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ একযোগে কাজ করছে। আমরা সবার প্রতি আহ্বান জানাই, এই দুর্ঘটনায় আপনার পরিচিত কেউ যদি নিখোঁজ থেকে থাকে তবে অতিদ্রুত স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। সেখানে একটি কন্ট্রোল রুম বসানো হচ্ছে।

এ ছাড়া এখনো কেউ নিখোঁজ রয়েছে কিনা তা বিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রি খাতা ও অন্যান্য নথি থেকে যাচাই করে দেখা হচ্ছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।


৭ বছরে বিমান বাহিনীর ৩টি এফ-৭ বিধ্বস্ত হলো

আপডেটেড ২২ জুলাই, ২০২৫ ১০:০১
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে বিধ্বস্ত হওয়া জেটটি এক ইঞ্জিনবিশিষ্ট হালকা ওজনের যুদ্ধবিমান। যেটি তৈরি করে চীনের চেংদু এয়ারক্রাফট করপোরেশন (সিএসি)। অভ্যন্তরীণ ব্যবহারের জন্য চীনে এটি জে-৭ নামে পরিচিত। তবে রপ্তানির সময় এর নামকরণ হয় এফ-৭।

বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর বহরে এফ-৭ বিজিআই একটি বহু পরিচিত যুদ্ধ বিমান। এটি আকাশ থেকে আকাশে স্বল্পপাল্লার ইনফ্রারড হোমিং মিসাইল এবং লেজার গাইডেড ও জিপিএস গাইডেড বোমা দিয়ে ভূমি আক্রমণে সক্ষম।

বাংলাদেশে এই মডেলের বিমানের তৃতীয় দুর্ঘটনা এটি। এর আগে ২০১৮ সালের নভেম্বরে টাঙ্গাইলের মধুপুরের রসুলপুরে ফায়ারিং রেঞ্জে মহড়ার সময় বিমানবাহিনীর এফ-৭ বিজি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়। এতে উইং কমান্ডার আরিফ আহমেদ দিপু নিহত হন। এরপর ২০২১ সালের নভেম্বরে চট্টগ্রামের জহুরুল হক ঘাঁটি থেকে উড্ডয়নের পর বঙ্গোপসাগরে বিধ্বস্ত হয় এফ-৭ এমবি। এতে ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তাহমিদ নিহত হন।

বিভিন্ন সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর মোট ৩৬টি এফ-৭ যুদ্ধবিমান রয়েছে। এর মধ্যে বেশির ভাগই এফ-৭ বিজিআই ভ্যারিয়েন্ট। তবে এফ-৭ এমবি ও এফটি-৭ ভ্যারিয়েন্টও রয়েছে। তবে মোট ফাইটার ভ্যারিয়েন্ট ৩৬টি।

লাইটওয়েট মাল্টিরোল ফাইটার ধরনের এই যুদ্ধবিমানগুলোর গতি সাধারণত মাক ২ দশমিক ২ বা শব্দের গতির অন্তত ২ দশমিক ২ গুণ। এগুলোতে আকাশ থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র, লেজার গাইডেড বোমা, জিপিএস গাইডেড বোমা এবং বাড়তি জ্বালানি ট্যাংক ও অস্ত্র বহনের জন্য পাঁচটি হার্ড পয়েন্ট রয়েছে। এই যুদ্ধবিমানগুলো ১ হাজার ৫০০ কেজির মতো ভার বহন করতে পারে।

এ ধরনের যুদ্ধবিমানের ককপিটে একজনমাত্র পাইলট বসতে পারেন। ককপিট সম্পূর্ণ কাচের। এফ-৭ বিজিআই যুদ্ধবিমানে ব্যবহার করা হয়েছে কেএলজে-৬ এফ রাডার। এই যুদ্ধবিমান ভূপৃষ্ঠ থেকে ১৭ হাজার ৫০০ মিটার বা ৫৭ হাজার ৪২০ ফুট পর্যন্ত উচ্চতায় উড়তে সক্ষম। বিভিন্ন প্রতিবেদন অনুসারে, বেশির ভাগ রাশিয়ার বিগ-২১ ও অন্যান্য সমসাময়িক অনেক যুদ্ধবিমানের চেয়ে এটি বেশি দ্রুত ম্যানুভার বা দিক পরিবর্তনে সক্ষম। এর পাল্লা কমবেশি ১ হাজার ৪০০ কিলোমিটার।

১৯৬০ থেকে ১৯৯০-এর দশক পর্যন্ত চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মির বহরে সবচেয়ে বেশি উচ্চতায় উড়তে সক্ষম ও দ্রুতগামী জেট ছিল জে-৭। আধুনিক বিমান প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করা ওয়েবসাইট এয়ারফোর্স টেকনোলজি ডটকম এর তথ্য অনুযায়ী, জে-৭ এর নকশার অনুপ্রেরণা নেওয়া হয়েছে সোভিয়েত ইউনিয়নের সময়কালে তৈরি যুদ্ধবিমান মিগ-২১ থেকে।

এভিয়েশনভিত্তিক ওয়েবসাইট এয়ারোস্পেস গ্লোবাল নিউজের তথ্য অনুযায়ী, রপ্তানির সময় চীনা কোম্পানিটি এফ-৭ যুদ্ধবিমান আমদানিকারকের চাহিদা অনুযায়ী তৈরি করে। সে সময় এর নামের সঙ্গে কিছু সংকেত ব্যবহার করা হয়। যেমন, বাংলাদেশ যদি এই সিরিজের যুদ্ধবিমান আমদানি করে তাহলে এফ-৭ এর পর ইংরেজি অক্ষর ‘বি’ যুক্ত হবে। আর গ্লাস ককপিটের নকশার ক্ষেত্রে ‘জি’ এবং উন্নত সংস্করণ বোঝাতে ইমপ্রুভড এর ‘আই’ যুক্ত হবে। এ সংস্করণের যুদ্ধবিমানে থাকে সম্পূর্ণ ডিজিটাল গ্লাস ককপিট, উন্নত রাডার ব্যবস্থা ও অ্যাভিওনিক্স (ইলেকট্রনিক ব্যবস্থা) প্রযুক্তি।

এয়ারোস্পেস গ্লোবাল নিউজ (এজিএন) বলছে, এই ধরনের জেট সারা বিশ্বেই আকাশ প্রতিরক্ষা, বহুমুখী অভিযান ও পাইলদের প্রশিক্ষণের জন্যও ব্যবহার হয়। তবে নতুন প্রজন্মের যুদ্ধবিমানের চেয়ে এর দুর্ঘটনার হার বেশি। এর কারণ, পুরোনো নকশার এয়ারফ্রেম, সীমিত নিরাপত্তা, আধুনিক ফ্লাইট নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার অভাব।


রাষ্ট্রীয় শোক আজ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তে হতাহতের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আজ মঙ্গলবার (২২ জুলাই) এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছে সরকার। ফলে সারা দেশে আজ পালিত হচ্ছে রাষ্ট্রীয় শোক।

সোমবার (২১ জুলাই) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বার্তায় রাষ্ট্রীয় শোক পালনের বিষয়টি জানানো হয়।

বার্তায় বলা হয়, শোক পালনের উদ্দেশ্যে দেশের সব সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে। পাশাপাশি সব সরকারি, বেসরকারি ভবন ও বিদেশে বাংলাদেশি মিশনেও জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে।

এ ছাড়া আহত ও নিহতদের জন্য দেশের সব ধর্মীয় উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হবে।

গতকাল দুপুরে দিয়াবাড়ি এলাকার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ক্যাম্পাসে ওই প্রশিক্ষণ বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনায় পাইলটসহ ২০ জন নিহত ও ১৭১ জন আহত হওয়ার কথা নিশ্চিত করেছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)। তবে আহতদের অনেকের অবস্থাই গুরুতর হওয়ায় নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বিমানটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে স্কুলের মাঠে আছড়ে পড়ে বলে সোমবার আইএসপিআরের পক্ষ থেকে জানানো হয়।

মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনায় রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টাসহ সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক শোক প্রকাশ করা হয়েছে। এমনকি আজ থেকে তিন দিন জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মরণে অনুষ্ঠেয় সব কর্মসূচি স্থগিত করেছে সরকার।

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এক শোকবার্তায় বলেন, এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় আমরা আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সম্ভাবনাকে হারালাম। আমি নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি এবং তাদের পরিবারকে গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস শোকবার্তায় বলেন, এই দুর্ঘটনা আমাদের জাতির জন্য গভীর বেদনাদায়ক। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এমন দুর্ঘটনা যেন আর না ঘটে, সে জন্য সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি। তিনি আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন।

এদিকে বিমান বিধ্বস্তের কারণ অনুসন্ধানে পাঁচ সদস্যের একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।


আজকের এইচএসসি ও সমমানের সকল পরীক্ষা স্থগিত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

আজকের এইচএসসি ও সমমানের সকল পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, ঢাকা মহানগরীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল এন্ড কলেজ প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান দুর্ঘটনায় কলেজের শিক্ষার্থীদের জান-মালের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। উক্ত দুর্ঘটনার কারণে বাংলাদেশ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জাতীয় শোক দিবস ঘোষণা করায় আজ মঙ্গলবার অনুষ্ঠিতব্য সকল শিক্ষা বোর্ডের অধীন এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা স্থগিত করা হলো।

স্থগিত হওয়া পরীক্ষার পরিবর্তিত সময়সূচি পরবর্তীতে জানিয়ে দেওয়া হবে।


বিমান দুর্ঘটনায় আহতদের বিনামূল্যে চিকিৎসা দেওয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্য উপদেষ্টার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

সরকার উত্তরা মাইলস্টোন স্কুল এন্ড কলেজে মর্মান্তিক বিমান দুর্ঘটনায় আহত রোগীদের চিকিৎসা প্রদান করবে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নুরজাহান বেগম এ বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছেন।

সরকারি হাসপাতাল ছাড়াও সকল বেসরকারি হাসপাতালে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে চিকিৎসা প্রদান করার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। যেকোনো ধরনের অপারগতায় রোগীকে জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউট অথবা ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর জন্যও পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

সোমবার (২১ জুলাই) স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।


শিশুশ্রম মুক্ত বাংলাদেশ গড়তে সংশোধিত শ্রম আইনে আন্তর্জাতিক মান নিশ্চিত করার ঘোষণা: শ্রম ও কর্মসংস্থান সচিব

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, শিশুশ্রম নিরসনে শ্রম আইন ২০০৬ সংশোধন করে আন্তর্জাতিক মান বাস্তবায়ন করা হবে। তিনি বলেন, সকল প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে শিশুশ্রম বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।

সোমবার (২১ জুলাই) ঢাকার একটি হোটেলে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা এবং কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর কর্তৃক আয়োজিত শিশুশ্রম নিরসনে কার্যক্রম বিষয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে মতবিনিময় সভায় সচিব একথা বলেন।

শ্রম সচিব বলেন, ঢাকা শহরে অনেক পথ শিশু আছে যারা বিভিন্ন নেশায় আকৃষ্ট হয়। আমাদের রাষ্ট্রের দায়িত্ব হচ্ছে তাদের স্কুলমূখী করানো। সরকার ১৯৯০ সাল থেকে প্রাথমিক শিক্ষা বাধ্যতামূলক করেছে। সরকার পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি দেওয়া হয়। আমরা চাই শিশুরা স্কুলে যাবে কাজে নয়।

শ্রম সচিব মতবিনিময় সভায় বলেন, আজ সভায় উপস্থিত ৪৮ টি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাসহ অন্যান্য সংস্থকে শিশু শ্রম নিরসনে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলতে হবে। বিভিন্ন এনজিও , উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা এবং সরকারের সমন্বিত উদ্দ্যোগ ও আন্ত:সমন্বয় পারে শিশুশ্রম মুক্ত বাংলাদেশ গড়তে।

শ্রম সচিব আরও বলেন, আমরা গত ১৯ জুন বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস পালন করেছি। আমরা শিশুশ্রম প্রতিরোধ বিষয়ে বিতর্ক অনুষ্ঠান আয়োজনের মাধ্যমে তরুন সমাজকে সম্পৃক্ত করেছি। শিশুশ্রম প্রতিরোধে লিড মিনিস্ট্রি হিসেবে আমাদের মন্ত্রণালয় নিরলসভাবে কাজ করছে। ইতোমধ্যে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় ৪৩ টি সেক্টরকে ঝুকিপূর্ণ ঘোষণা করেছে। এছাড়াও দিবসটিতে বিভিন্ন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ভিন্ন ভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে শিশুশ্রম প্রতিরোধ করার জন্য।

শিশুশ্রম নিরসন বিষয়ে গেস্ট অব অনার হিসেবে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) মিজ জাহেদা পারভীন বলেন, সংবিধানে সামাজিক নিরাপত্তার বিধান রয়েছে। এই বিধান বাস্তবায়ন করা সরকারের সাংবিধানিক দায়িত্ব। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিসমূহের সমন্বয়কারী হিসেবে কাজ করছে। শিশুশ্রম নিরসনে ইতিমধ্যে একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়েছে। শিশুশ্রম নিরসনে সরকার, আইএলও, উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা, শ্রমিক ও মালিক পক্ষসহ সকলের সমন্বিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের শিশুশ্রম নিরসনে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য বিশেষ তাগিদ দেওয়া হবে। দারিদ্র্যই শিশুশ্রমের মূল কারণ। প্রতিটি শিশুর জন্মগত অধিকার হচ্ছে নিরাপদ শৈশব ও শিক্ষার সুযোগ পাওয়া। এই অধিকার নিশ্চিত করাই আমাদের লক্ষ্য।

আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার সৈয়দা মুনিরা সুলতানা বলেন, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা জাতিসংঘের একটি বিশেষায়িত সংস্থা। আইএলও সরকার, শ্রমিক ও মালিক পক্ষ নিয়ে কাজ করে আসছে। বাংলাদেশ শিশুশ্রম বিষয়ক কনভেনশন-১৩৮ এবং কনভেনশন -১৮২ অনুস্বাক্ষর করেছে। আইএলও কর্তৃক ২০০৪ সাল থেকে ১২ জুন ''বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস'' পালন করা হয়। বাংলাদেশে শিশুশ্রম নিরসনে আইএলও এর সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।

বিভিন্ন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ বলেন, আমরা ২০১৮ সাল থেকে শিশুশ্রম নিয়া কাজ করছি। কর্মজীবী শিশুদের জন্য স্কুল চালু করা হয়েছে। আমরা চাই শিশুশ্রম মুক্ত বাংলাদেশ। আমরা শিশুশ্রম বন্ধে কাজ করছি। শিশুশ্রমের বিরুদ্ধে আমরা সামাজিক আন্দোলন করছি। আমরা চাই শিশুশ্রম শুন্যে নেমে আসুক। আমরা শিশুদের নিয়া বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছি। আমরা এতিম শিশুদের নিয়াও কাজ করছি।

মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ফাহমিদা আখতার।

মোহাম্মদ শামছুল ইসলাম, উপসচিব এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর এবং শ্রম অধিদপ্তরের উর্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ, জার্মান ইন্টারন্যাশনাল কোঅপারেশন, ইউনিসেফ, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার প্রতিনিধি এবং অ্যাকশন এইড ও কারিতাসসহ বিভিন্ন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।


জাতীয় মৎস্য সপ্তাহের উদ্বোধন অনুষ্ঠানের তারিখ পরিবর্তন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ি এলাকায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে বিমান দুর্ঘটনায় মর্মান্তিক হতাহতের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঘোষিত রাষ্ট্রীয় শোক উপলক্ষ্যে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০২৫ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানের তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে। রাষ্ট্রীয় শোকের প্রতি সম্মান প্রদর্শনপূর্বক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।

ফলে, আগামী ২২ জুলাই (মঙ্গলবার) অনুষ্ঠেয় উদ্বোধন অনুষ্ঠান একদিন পিছিয়ে ২৩ জুলাই (বুধবার), সকাল ১১:০০ ঘটিকায় বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্র, শেরেবাংলা নগর, ঢাকা-তে অনুষ্ঠিত হবে।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার সদয় সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন।


banner close