বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫
৮ শ্রাবণ ১৪৩২

নেত্রকোনা-৪: বিনা ভোটে নির্বাচিত হচ্ছেন সাজ্জাদুল হাসান

সাজ্জাদুল হাসান
আপডেটেড
২৪ জুলাই, ২০২৩ ২২:১৯
প্রতিনিধি, নেত্রকোনা
প্রকাশিত
প্রতিনিধি, নেত্রকোনা
প্রকাশিত : ২৪ জুলাই, ২০২৩ ২০:০৪

নেত্রকোনা-৪ (মদন, মোহনগঞ্জ, খালিয়াজুরী) আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক জ্যেষ্ঠ সচিব এবং আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক উপকমিটির সদস্য সাজ্জাদুল হাসান বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংসদ সদস্য হতে যাচ্ছেন।

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান জানিয়েছেন, সোমবার ছিল মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময়। এতে সাজ্জাদুল হাসান ছাড়া অন্য কোনো প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেননি। বাছাইয়ে মনোনয়নপত্র বৈধ হলে এবং প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করলে রিটার্নিং কর্মকর্তা তাকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করবেন।

এদিকে সোমবার বেলা ২টার দিকে নেত্রকোনা জেলা প্রেসক্লাবের হলরুমে এক সংবাদ সম্মেলন করেন সাজ্জাদুল হাসান। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একান্ত সচিবও (পিএস) ছিলেন।

সাজ্জাদুল হাসান জানান, নেত্রকোনা জেলাসহ মদন, মোহনগঞ্জ, খালিয়াজুরী- তিন উপজেলায় উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে সব পর্যায়ের নেতা এবং জনগণকে নিয়ে তিনি কাজ করবেন। সেই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্ন বাস্তবায়নে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ, আগামীর উন্নত স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে সহযোদ্ধা হিসেবে কাজ করবেন তিনি।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন নেত্রকোনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আমিরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক শামছুর রহমান লিটন, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি গোলাম রসূল তালুকদার, সাবেক সহসভাপতি হাবিবুর রহমান খান রতন, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নূর খান মিঠু, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক ভজন সরকার, মোহনগঞ্জ পৌরসভার মেয়র লতিফুর রহমান রতন, নেত্রকোনা পৌর শাখার আওয়ামী লীগের সভাপতি অর্পিতা খানম সুমী, মদন পৌরসভা মেয়র সাইফুল ইসলাম সাইফ প্রমুখ।

সংসদ সদস্য রেবেকা মমিন ১১ জুলাই মারা গেলে নেত্রকোনা-৪ আসনটি শূন্য হয়। এরপর আগামী ২ সেপ্টেম্বর ভোটের দিন নির্ধারণ করে তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

বিষয়:

বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের দাবিতে ত্রিশালে কিন্ডারগার্টেন শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মামুনুর রশিদ  ত্রিশাল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি

শ্রেণির বৃত্তি পরীক্ষায় কিন্ডারগার্টেন ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের অন্তর্ভুক্ত না করার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি দিয়েছে ময়মনসিংহের ত্রিশালের শিক্ষক-অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (২৩ জুলাই) সকালে উপজেলা পরিষদের সামনে ঘণ্টাব্যাপী এই কর্মসূচির আয়োজন করে ত্রিশাল উপজেলা কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশন। এতে অংশ নেন উপজেলার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রায় পাঁচ শতাধিক শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থী।

বক্তারা বলেন, সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শুধুমাত্র সরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে—এটি সুস্পষ্ট বৈষম্য। এতে দেশের একটি বড় অংশের মেধাবিকাশ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

অভিভাবক শফিউল আজম বিপু বলেন, “যে জাতির মেরুদণ্ড শিক্ষা, সে জাতির একটি বড় অংশকে স্তব্ধ করার পাঁয়তারা চলছে। কিন্ডারগার্টেন শিক্ষার্থীদের বাদ দিয়ে বৃত্তি পরীক্ষা আয়োজন মানে মেধাবী শিশুদের শিক্ষাকে হুমকির মুখে ফেলা।”

অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অধ্যাপক আব্দুল আওয়াল বলেন, “১৭ জুলাই মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় শুধু সরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এক দেশে দুই নীতি মানা যায় না। ত্রিশালে প্রায় এক হাজার শিক্ষার্থী এতে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।”

মানববন্ধন শেষে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল বাকিউল বারির কাছে হস্তান্তর করা হয়।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আলমগীর কবির, যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ার হোসেন লিটন, ত্রিশাল সিটি মডেল স্কুলের প্রধান শিক্ষক ইমরান হাসান বুলবুল, পারফেক্ট মডেল স্কুলের প্রধান শিক্ষক সাইফুল আলম তুহিন, আরক শিক্ষাঙ্গনের প্রধান শিক্ষক এস এম হুমায়ুন কবীর, বিদ্যাবাড়ী ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের চেয়ারম্যান দুর্জয় ইসলাম, মৈত্রী বিদ্যানিকেতনের প্রধান শিক্ষক সাদিকুর রহমান সাদেক, অক্সফোর্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের প্রধান শিক্ষক আবুল বাশার ।

বক্তারা জানান, দাবি আদায় না হলে ভবিষ্যতে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।


বিমান দুর্ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা কম দেখানোর কোনো কারণ নেই: প্রেস সচিব

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিধ্বস্ত হওয়া বিমানের দুর্ঘটনা নিয়ে হতাহতের সংখ্যা ঘিরে ছড়ানো ভুয়া তথ্যকে উড়িয়ে দিয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, হতাহতের সংখ্যা কম দেখানোর সরকারের কোনো কারণ নেই।

বুধবার (২৩ জুলাই) নিজের ফেসবুক পোস্টে তিনি বলেন, বাংলাদেশে এখন হতাহতের সংখ্যা গোপন রাখা প্রায় অসম্ভব।

তিনি লিখেছেন, ‘২০০২ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত আমি বহু বড় ধরনের দুর্যোগ কভার করেছি। অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, বাংলাদেশে হতাহতের সংখ্যা গোপন রাখা কার্যত অসম্ভব। প্রথমদিকে পরিবারগুলো তাদের প্রিয়জন নিখোঁজ হিসেবে জানায়, পরে হাসপাতাল বা কর্তৃপক্ষ থেকে তথ্য এলে তারা স্বজনদের অবস্থান জানতে পারে। এই ঘটনার ক্ষেত্রেও মাইলস্টোন কলেজ প্রতিদিনের হাজিরা খাতা যাচাই করে অনুপস্থিতদের শনাক্ত করতে পারবে।’

তিনি বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীনদের অবস্থা নিয়ে নিয়মিত তথ্য জানাচ্ছে, সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকেও সহযোগিতা করা হচ্ছে। ‘আমি নির্দ্বিধায় বলতে পারি, হতাহতের সংখ্যা কম দেখানোর সরকারের কোনো প্রয়োজন নেই।’

তিনি লেখেন, ‘আমরা মাইলস্টোন কলেজে গিয়েছিলাম নিহতদের পরিবারের সদস্য এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দেখা করতে, যারা এখনো এই শোক থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি। চারদিকে ভারী শোকাবহ পরিবেশ ছিল। অনেকে তাদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছে এবং মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তিকর প্রতিবেদনে ক্ষোভ জানিয়েছে।’

ঘটনার স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে প্রেস সচিব জানান, দুই উপদেষ্টা স্কুল কর্তৃপক্ষকে ক্যাম্পাসে একটি কন্ট্রোল রুম স্থাপনের নির্দেশ দিয়েছেন।

তিনি বলেন, এই কন্ট্রোল রুম থেকে নিয়মিত আহত ও মৃতের তথ্য জানানো হবে, যা স্কুলের উপস্থিতির তালিকার সঙ্গে মিলিয়ে প্রকাশ করা হবে।

প্রেস সচিব জানান, উপদেষ্টারা সুপারিশ করেছেন যাতে বর্তমান শিক্ষার্থী ও প্রাক্তন ছাত্ররা কন্ট্রোল রুমের কাজে যুক্ত থাকে। ‘আমরা আশা করছি, এটি আজ থেকেই সম্পূর্ণরূপে কার্যকর হবে।’

‘আমরা গতকাল (মঙ্গলবার) নয় ঘণ্টা স্কুলে ছিলাম। চাইলে আগে বেরিয়ে আসতে পারতাম, কিন্তু উপদেষ্টারা শান্তিপূর্ণভাবে পরিস্থিতির সমাধান না হওয়া পর্যন্ত অবস্থান চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তে ছিলেন। প্রয়োজন হলে আরও দীর্ঘ সময় থাকতেন, আমরা তখনই বেরিয়েছি যখন সেটি যথাযথ মনে হয়েছে,’ বলেন প্রেস সচিব।

শফিকুল আলম বলেন, যেসব শিক্ষক-শিক্ষার্থী প্রাণ হারিয়েছেন, তাদের প্রতি আমাদের গভীর শ্রদ্ধা। এই বিমান দুর্ঘটনাকে তিনি জাতীয় শোক হিসেবে অভিহিত করে নিহতদের শহীদ হিসেবে বর্ণনা করেন।

‘আসুন, আমরা একসঙ্গে কাজ করি যেন ভবিষ্যতে এ ধরনের দুর্ঘটনা না ঘটে। বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে উন্নত করতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং আকাশপথে শূন্য দুর্ঘটনার লক্ষ্য নিয়ে সরকার কাজ করছে,’ যোগ করেন তিনি।


একমাত্র ছেলের কবরটি নদী ভাঙনে হারিয়ে ফেলার শঙ্কায় বাবা খবির সরদার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মইনুল হক মৃধা, রাজবাড়ী

একমাত্র ছেলে নবীন সরদারের কবরটি নদী ভাঙনে বিলীন হয়ে যাওয়ার শঙ্কায় রয়েছেন অসহায় বাবা খবির সরদার (৬৫)।

যে কারনে দিনরাতের অধিকাংশ সময় তিনি কবরের আশপাশ দিয়েই অতিবাহিত করেন।

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দেবগ্রাম ইউনিয়নের মুন্সি বাজার এলাকায় ভাঙ্গনের মুখে থাকা পদ্মা নদীর পাড়ে ওই কবরটি অবস্হিত।

মঙ্গলবার (২২ জুলাই) সকালে সরেজমিন আলাপকালে খবির সরদার জানান, ১৫ বছর আগে নিজেদের মুদি দোকানে জেনারেটর বিস্ফোরণ হয়ে তার একমাত্র ছেলে মফিজের মৃত্যু হয়। বাড়ির কাছে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। এখানে তার চাচা নবীন সরদার, চাচীসহ আরো কয়েকজনের কবর রয়েছে।

গত কয়েক বছরের ভাঙনে কবরটি একেবারে নদীর পাড়ে এসে পড়েছে। গত দুইদিন ধরে পদ্মায় তীব্র স্রোতের কারনে এখানে আবারো ভাঙন শুরু হয়েছে। ভাঙনে তার সর্বশেষ সম্পদ সোয়া বিঘা ফসলি জমি নদীতে চলে গেছে। এভাবে চলতে থাকলে তাদের পারিবারিক কবরস্হানটিসহ এখানাকার অনেক এলাকা নদীতে চলে যাবে। বিলীন হয়ে যাবে সামান্য দূরে থাকা তার সর্বশেষ আশ্রয়স্হল দুটি ছাপড়াঘর সহ ভিটেমাটি।

তিনি আক্ষেপ নিয়ে বলেন, বহু বছর ধরে এ এলাকায় নদী ভাঙছে। ভাঙনে শতশত মানুষ সর্বশান্ত হয়েছে। আমার বাপ-দাদার ১'শ বিঘা জমি ছিল। এখন কিছুই নেই। কিন্তু সরকার আমাদের রক্ষা করতে বিগত দিনে কোন ব্যবস্থাই নেয়নি।

এমতাবস্হায় দিশেহারা পদ্মা পাড়ের মানুষজন নিরাপদে সরে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।। নির্ঘুম রাত কাটেছে তাদের।

আলাপকালে কাউয়ালজানি এলাকার শহিদুল ইসলাম মোল্লা জানান, দুইদিনের নদী ভাঙ্গনে তার প্রায় ১০ বিঘা জমি নদী গর্ভে চলে গেছে। গত বছর যে জায়গায় কিছু জিও ব্যাগ ফেলানো হয়েছিল সে জায়গার পশ্চিমে ভাঙছে। ভাঙ্গন ঠেকাতে দ্রুত জিও ব্যাগ ফেলানো দরকার।

লোকমান সরদার (৫৫) নামের অপর একজন জানান, মুন্সি পাড়া এলাকায় তার ১০ বিঘা ফসলি জমি ছিল। গত কয়েক বছরের ভাঙনে প্রায় ৮ বিঘা নদীতে বিলীন হয়ে যায়। অবশিষ্ট ২ বিঘা জমি গত ২/৩ দিনে বিলীন হয়ে গেছে। আমরা ভাঙ্গন ঠেকাতে জরুরিভাবে জিও ব্যাগ ফেলানোর দাবি জানাচ্ছি।

এ বিষয়ে গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ নাহিদুর রহমান জানান, উপজেলার দেবগ্রাম ইউনিয়নের কাওয়ালজানি ও মুন্সি পাড়া এলাকায় ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। এছাড়া ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে দৌলতদিয়া ইউনিয়নে অন্তর্গত দৌলতদিয়া লঞ্চ ও ফেরিঘাটগুলো। বিষয়টি প্রশাসনের উর্ধতন পর্যায়ে অবহিত করেছি। এছাড়া পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং বিআইডব্লিউটিএ কতৃপক্ষের সাথেও এ বিষয়টি নিয়ে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করছি। জরুরি ভিত্তিতে ভাঙ্গন প্রতিরোধে কাজ করা হবে।


নিখোঁজ পরিবারের সদস্যদের ডিএনএ নমুনা দেওয়ার অনুরোধ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার পর যেসব নিখোঁজ ব্যক্তির নাম আহত বা নিহতদের প্রকাশিত তালিকায় নেই, তাদের পরিবারের সদস্যদের মালিবাগস্থ সিআইডি ভবনে গিয়ে ডিএনএ নমুনা দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ডা. মো. সায়েদুর রহমান এক বিবৃতিতে এ অুনরোধ জানান।

তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত নিখোঁজদের মধ্যে মাত্র একটি পরিবারের পক্ষ থেকে নমুনা দেওয়া হয়েছে। নিখোঁজ সব পরিবারের সদস্যদের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা গেলে সম্ভাব্য স্বল্পতম সময়ের মধ্যেই ডিএনএ ম্যাচিংয়ের মাধ্যমে পরিচয় নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। সবার সহযোগিতা একান্ত প্রয়োজন।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সিএমএইচ মর্গে বর্তমানে রাখা ছয়টি মরদেহ এখনো শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। মন্ত্রণালয়ের বিশেষজ্ঞদের তত্ত্বাবধানে ইতোমধ্যে এসব মরদেহ থেকে ডিএনএ প্রোফাইলিংয়ের জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে সিআইডি ল্যাবরেটরিতে ডিএনএ বিশ্লেষণ করা হবে।


২৪ জুলাই ‘২৪ : চিরুনি অভিযানে গ্রেফতার ১,৪০০, সারাদেশে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট চালু

আপডেটেড ২৩ জুলাই, ২০২৫ ১১:১৮
বাসস

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন জায়গায় সংঘর্ষ, হামলা, ভাঙচুর, সংঘর্ষ ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ২০২৪ সালের ২৪ জুলাই (বুধবার) আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ‘চিরুনি অভিযান’ অব্যাহত রাখে। টানা পঞ্চম দিনের মতো সারাদেশে কারফিউ বলবৎ ছিল, তবে এদিন তা শিথিল রাখা হয়।

২৪ জুলাই সারাদেশে আন্দোলনকারীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রায় ১ হাজার ৪০০ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এর মধ্যে ঢাকায় ৬৪১ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এ নিয়ে গত ৮ দিনে (১৭-২৪ জুলাই) সারাদেশে গ্রেফতারের সংখ্যা দাঁড়ায় প্রায় সাড়ে চার হাজার। রাজধানীতে মোট ১ হাজার ৭৫৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়। চট্টগ্রামে গ্রেফতার করা হয় মোট ৭০৩ জনকে। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিদের অধিকাংশ বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মী। (সূত্র: প্রথম আলো, ২৫ জুলাই, ২০২৪)।

গ্রেফতারের বিষয়ে তৎকালীন ডিবি প্রধান ও ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, ‘ভিডিও ফুটেজ দেখেই অপরাধীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে।’

৫ দিন পর ২৪ জুলাই রাতে সারাদেশে পরীক্ষামূলকভাবে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট চালু করে বিটিআরসি। তবে মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ রাখা হয়। হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া মেট্রোরেল এবং ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে বন্ধ রাখা হয়।

এদিন কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের প্ল্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, আবু বাকের মজুমদার ও রিফাত রশীদের খোঁজ পাওয়া যায়। নিখোঁজ হওয়ার পাঁচ দিন পর আসিফ ও বাকেরকে চোখ বাঁধা অবস্থায় ফেলে যাওয়া হয় বলে দুজনই ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে জানান।

ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় সংঘর্ষে আহত হয়ে এদিন চিকিৎসাধীন আরও চারজনের মৃত্যু হয়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনজন ও সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একজনের মৃত্যু হয়।

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ ও পরবর্তী সংঘাতে ২৪ জুলাই পর্যন্ত ২০১ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। এ মৃত্যুর হিসাব হাসপাতাল, হাসাপাতালে মরদেহ নিয়ে আসা ব্যক্তি ও স্বজনদের সূত্রে গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়।

ঢাকাসহ তিন জেলায় বুধবার সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল ছিল। অন্যান্য জেলায়ও জেলা প্রশাসকদের নির্ধারিত কয়েক ঘণ্টা কারফিউ শিথিল থাকে। এদিন সরকারি অফিস ও ব্যাংক চার ঘণ্টার জন্য খুলে দেওয়া হয়। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশ-র‌্যাবের পাশাপাশি রাস্তায় সেনাবাহিনীর সদস্যদেরও টহল অব্যাহত ছিল। এছাড়াও এদিন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেন দেশের শীর্ষস্থানীয় সাংবাদিকরা।

কারফিউ শিথিল হওয়ায় এদিন রাজধানী থেকে দূরপাল্লার বাস ছেড়ে যায়। ঢাকা নদীবন্দর (সদরঘাট) থেকে বিভিন্ন গন্তব্যে লঞ্চ চলাচল শুরু হয়। এদিন অফিস-আদালত ও কলকারখানায় কর্মচাঞ্চল্য ফিরে আসে।

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ঢাকার যেসব স্থাপনায় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে মেট্রোরেলসহ কয়েকটি স্থাপনা সরকারের উদ্যোগে বিদেশি কূটনীতিকদের সরেজমিনে পরিদর্শন করানো হয়।

এ বিষয়ে তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ‘মোট ৪৯টি মিশনের প্রতিনিধিরা ধ্বংসযজ্ঞ চালানো কয়েকটি স্থাপনা পরিদর্শন করেছেন। তাদের মধ্যে ২৩ জন রাষ্ট্রদূত ছিলেন। কূটনীতিকদের মেট্রোরেলের ধ্বংসযজ্ঞ, সড়ক ভবন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, বিটিভি ভবন দেখিয়েছি।’

কোটা সংস্কার আন্দোলনে ১৬ জুলাই ৬ জন নিহতের ঘটনা তদন্তে ২৪ জুলাই বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশনের প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ বৈঠকে গত ১৬ জুলাই সংঘর্ষের ঘটনাগুলোর বিষয়ে জানতে গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জনগণের কাছে তথ্য চাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় তদন্ত কমিটি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যাওয়ার কথা জানায় এই কমিটি।

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সহিংসতায় নিহত আটজনের পরিচয় শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ। ফলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) মর্গে পড়ে থাকা মরদেহগুলো বুধবার বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করা হয়।

পুলিশের তৎকালীন মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘দুষ্কৃতকারীরা যেখানেই থাকুক না কেন, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।’

তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানান, ‘জনমনে স্বস্তি না ফেরা পর্যন্ত কারফিউ চলবে।’

নরসিংদী কারাগার থেকে পালানো দুই নারী ‘জঙ্গি’ ইশরাত জাহান মৌসুমী ওরফে মৌ ও খাদিজা পারভীন মেঘলাকে গ্রেফতার করে পুলিশের সিটিটিসি ইউনিট। এছাড়া পালিয়ে যাওয়া কারাবন্দিদের মধ্যে বুধবার পর্যন্ত ২৯২ জন আত্মসমর্পণ করেন।

সারাদেশে অবিলম্বে ইন্টারনেট চালু, কারফিউ তুলে দেওয়াসহ চার দফা দাবি জানিয়ে ২৩ জুলাই দুই দিনের আল্টিমেটাম দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের একাংশ। অন্যদিকে, নিজেদের ৯ দফা দাবি আদায়ে ২৫ জুলাই দেশব্যাপী গণসংযোগ কর্মসূচি ঘেষণা করে সমন্বয়কদের আরেক পক্ষ।

বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলন এবং তাদের ওপর হামলা, সহিংসতা ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এদিন প্রতিক্রিয়া জানায় মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন। পেন্টাগনের মুখপাত্র মেজর জেনারেল প্যাট রাইডার বলেন, তারা বাংলাদেশের চলমান পরিস্থিতি নজরে রেখেছে। একইসঙ্গে পেন্টাগন সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানায়।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, ‘দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। সরকার যত দিন চাইবে, সেনাবাহিনী তত দিন বেসামরিক প্রশাসনের সহযোগিতায় দায়িত্ব পালন করবে।’

জুলাই মাসে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে নতুন সেমিস্টারের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। সেই পরীক্ষাও স্থগিত করা হয়। চলমান পরিস্থিতির কারণে ৩১ জুলাই পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) সব পরীক্ষাও স্থগিত করা হয়। এতে ৪৪তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষা, অর্ধবার্ষিক বিভাগীয় পরীক্ষা (জুন-২০২৪), নন-ক্যাডারের স্ট্যান্ডার্ড অ্যাপটিচুড টেস্টসহ বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা স্থগিত থাকে।


অবশেষে খোঁজ মিলল সেই রাইসার, কিন্তু ...

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হওয়ার মর্মান্তিক ঘটনার পর থেকে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী রাইসা মনির খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন স্থানে ও হাসপাতালে খোঁজ করেও তার কোনো সন্ধান পাননি। অবশেষে গতকাল মঙ্গলবার তার সন্ধ্যান পাওয়া গেছে। কিন্তু সে আর বেঁচে নেই।

হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্থানে খোঁজখবরের পর ঢাকা সিএমএইচ হাসপাতালে তার মরদেহের সন্ধান মিলেছে। গতকাল সন্ধ্যা ৬টার দিকে নিহত রাইসা মনির চাচা ইমদাদুল শেখ গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে বিকালে ঢাকা সিএমএইচ হাসপাতালে নিহত রাইসার মরদের শনাক্ত করেন তার বাবা শাহাবুল শেখ।

রাইসা মনি ঢাকার উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী, কোড- ২০১০, সেকশন-স্কাই। সে ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের বাজড়া গ্রামের শাহাবুল শেখের মেয়ে।

রাইসার চাচাতো ভাই তারিকুল শেখ গণমাধ্যমকে জানান, রাইসা মনির খোঁজ পাওয়া গেছে। তবে সে আর পৃথিবীতে জীবিত নেই। তার বাবা নিজে মেয়ের মরদেহ শনাক্ত করেছেন।

তিনি আরো জানান, রাইসা মনি ভাই-বোনের মধ্যে দ্বিতীয়। তার বড় বোন ও ছোট একটি ভাই রয়েছে। রাইসার মরদেহ খুঁজে পেয়ে তার পরিবারে মাতম চলছে।

চাচা ইমদাদুল শেখ বলেন, ‘রাইসা মনি আর বেঁচে নেই। তার শরীরের প্রায় ৮০ শতাংশ পুড়ে গেছে।

পেটের ওপর থেকে মাথা পর্যন্ত বেশি পুড়েছে। তবে তার মুখমণ্ডল দেখে তার বাবা মেয়ে রাইসা মনিকে শনাক্ত করেছেন।’

তিনি আরো বলেন, ‘ডিএনএ নমুনা টেস্ট দেওয়ার জন্য মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। ডিএনএ টেস্টের নমুনা রেখে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে। পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হলে গতকাল মঙ্গলবারই গ্রামের বাড়ি নিয়ে যাওয়া হবে। এখানেই তার মরদেহ দাফন করা হবে।’


মাইলস্টোনে বিমান বিধ্বস্ত: চলে গেল ৯ বছরের নাফিস

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় হাসপাতালে আরও এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এতে এই ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৯ জনে।

মঙ্গলবার (২২ জুলাই) দিবাগত রাত সোয়া ১২টার দিকে শিশুটির মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

গতরাত পৌনে ২টার দিকে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন ৪৪ জনের মধ্যে নাফিস নামের ৯ বছর বয়সী একটি শিশু মঙ্গলবার রাত সোয়া ১২টার দিকে মারা যায়। শরীরের ৯৫ শতাংশ পোড়ার ক্ষত নিয়ে ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিল শিশুটি।

সোমবার (২১ জুলাই) দুপুরে কুর্মিটোলার বিমানবাহিনী ঘাঁটি এ কে খন্দকার থেকে উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পর বিমানটি মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ চত্বরে বিধ্বস্ত হয়। পরে জানা যায়, স্কুল চত্বরের একটি দোতলা ভবনে বিধ্বস্ত হওয়া ওই বিমানটি ছিল বিমানবাহিনীর এফটি-৭ বিজিআই যুদ্ধবিমান। প্রশিক্ষণের কাজে ব্যবহৃত চীনের তৈরি এই যুদ্ধবিমান যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে উত্তরার ওই স্কুল ভবনে আছড়ে পড়েছিল।

বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার পরপরই স্কুল ভবনে আগুন ধরে যায়। এ ঘটনায় দেড় শতাধিক হতাহতের ঘটনা ঘটে যার বেশিরভাগই শিশু। যারা এখনো হাসপাতালে ভর্তি আছে, তাদের অধিকাংশের শরীরও মারাত্মকভাবে পুড়ে গেছে।

প্রধান উপদেষ্টার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বিষয়ক বিশেষ সহকারী সায়েদুর রহমান গতকাল দুপুরে বার্ন ইনস্টিটিউটে এক ব্রিফিংয়ে বলেছিলেন, যারা চিকিৎসাধীন, তাদের মধ্যে ১০ জনকে ‘শঙ্কামুক্ত’ বলে মনে করা হচ্ছে।

তার কথায়, ‘৩০ জন একটা অস্পষ্ট জায়গায় আছে, যার মধ্যে ১০ জনকে মনে করছি এখনও শঙ্কার মধ্যে আছে। বাকিদের অবস্থা মাঝামাঝি জায়গায়।’

নাফিসের মৃত্যুর পর ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীনদের সংখ্যা কমে ৬৭ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে ৪৩ জন, ঢাকা সিএমএইচে ২১ জন, কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালে ১ জন, শহিদ মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১ জন এবং উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১ জন ভর্তি আছে।

এর আগে, গতকাল দুপুরে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে নিহতের সংখ্যা ৩১ ও আহতের সংখ্যা বলা হয়েছিল ১৬৫ জন।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও আইএসপিআরের পক্ষ থেকে দুই ধরনের তথ্য দেওয়ায় জনসাধারণের মাঝে বিভ্রান্তি তৈরি হয়। এ বিষয়ে গতকাল সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন জানান, এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা ২৮, আর বিভিন্ন হাসপাতালে আহত অবস্থায় ভর্তি আছেন ৬৮ জন।

তিনি আরও জানান, আইএসপিআর পরিচালকের সঙ্গে মন্ত্রণালয় থেকে যোগাযোগ করা হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্যই সঠিক।

এদিকে, নিহতদের মধ্যে ২২ জনের পরিচয় শনাক্তের পর লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) মর্গে রাখা ছয়টি অজ্ঞাত লাশের পরিচয় শনাক্তে স্বজনদের খুঁজছে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়।

মঙ্গলবার মধ্যরাতে মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এখন পর্যন্ত মর্গে রাখা ছয়টি লাশের পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। ডিএনএ বিশ্লেষণের (প্রোফাইলিং) জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিশেষজ্ঞদের তত্ত্বাবধায়নে লাশগুলো থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। দ্রুতই সিআইডির ল্যাবরেটরিতে ডিএনএ প্রোফাইলিং করা হবে।

সায়েদুর রহমানকে উদ্ধৃত করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যেসব নিখোঁজ পরিবারের সদস্যদের নাম আহত ও নিহতদের প্রকাশিত তালিকায় নেই, তাদের মালিবাগে সিআইডির কার্যালয়ে গিয়ে ডিএনএ নমুনা প্রদান করতে অনুরোধ করা হচ্ছে।

এখন পর্যন্ত মাত্র একটি পরিবারের পক্ষ থেকে নমুনা দেওয়া হয়েছে জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যত দ্রুত সম্ভব নিখোঁজ পরিবারের সদস্যদের নমুনা পাওয়া গেলে ডিএনএ ম্যাচিংয়ের মাধ্যমে পরিচয় নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। এ বিষয়ে সকলের সহযোগিতা কাম্য।


দগ্ধ রোগীদের চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরের সাথে যোগাযোগ করা হচ্ছে : শ্রম উপদেষ্টা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান দুর্ঘটনায় দগ্ধ রোগীদের চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী তাদের সিঙ্গাপুরে পাঠানো হবে।

তিনি আজ ঢাকায় ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি পরিদর্শনকালে এ কথা বলেন।

এম সাখাওয়াত হোসেন দুর্ঘটনায় দগ্ধ রোগীদের চিকিৎসার বিষয়ে চিকিৎসকদের সাথে কথা বলেন এবং সুচিকিৎসার নির্দেশনা দেন।

এসময় তিনি বলেন, দুর্ঘটনায় বিধ্বস্ত বিমানটি ২৫ থেকে ৩০ বছরের পুরোনো ছিল। দুর্ঘটনার সঠিক কারণ অনুসন্ধানে সরকার কাজ শুরু করেছে। বিমানের ব্ল্যাকবক্স পাওয়া গেলে দুর্ঘটনার কারণ নিশ্চিতভাবে জানা যাবে। এটি বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে মর্মান্তিক প্রশিক্ষণ বিমান দুর্ঘটনা।

উপদেষ্টা আরও বলেন, দুর্ঘটনায় এ পর্যন্ত ২৭ জন নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে ১০ জন ন্যাশনাল বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন ছিলেন।


বিমান দুর্ঘটনায় নিহত হুমায়রা ও তানভীরের দাফন সম্পন্ন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

ঢাকার উত্তরায় মাইলস্টোন কলেজে বিমান দুর্ঘটনায় নিহত দুই শিক্ষার্থী মেহেনাজ আক্তার হুমায়রা ও তানভীর আহমেদ এর গ্রামের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম।

আজ মঙ্গলবার সকালে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর ও সখীপুর উপজেলায় দুই শিক্ষার্থীর গ্রামের বাড়িতে তাদের দাফন করা হয়।

নিহত তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী মেহেনাজ আক্তার হুমায়রা টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার হতেয়া কেরানীপাড়ার দেলোয়ার হোসেনের কন্যা এবং অষ্টম শ্রেণির ছাত্র তানভীর আহমেদ (১৪) মির্জাপুর উপজেলার ওয়ার্শি ইউনিয়নের নগর ভাতগ্রাম গ্রামের রুবেল মিয়ার পুত্র।

সরেজমিনে দেখা যায়, টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার হতেয়া কেরানীপাড়ার দেলোয়ার হোসেনের একমাত্র কন্যা নিহত মেহেনাজ আক্তার হুমায়রার বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। আজ সকাল ৯টায় সখীপুর হতেয়া কেরানীপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে জানাজা শেষে হতেয়া কেরানীপাড়া সামাজিক কবরস্থানে হুমায়রাকে দাফন করা হয়।

হুমায়রার খালু নাসির সিকদার বাসসকে জানান, গতরাতে ঢাকা থেকে হুমায়রার মরদেহ সখিপুরে নিয়ে আসা হয়। আজ সকাল ৯টায় জানাজা শেষে কেরানীপাড়া সামাজিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। হুমায়রার বাবা দেলোয়ার হোসেন মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক। হুমায়রার জানাজায় সখীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল রনীসহ এলাকার বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ অংশ নেন।

হুমায়রার বাবা দেলোয়ার হোসেন বাসসকে বলেন, উত্তরায় মাইলস্টোন কলেজে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় আমার মেয়ে এবং টাঙ্গাইলের আরো একজন শিক্ষার্থী মারা গেছে। আমার আদরের মেয়েকে হারিয়ে আমি নিঃস্ব হয়ে গেলাম। এ শোক আমি সইব কীভাবে। পুরো দেশের মানুষ এই শোকের ঘটনায় একাত্মতা প্রকাশ করেছে।

‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ওপর দিয়ে কেন প্রশিক্ষণ বিমান উড়ছিল, এর কোন জবাব কি কেউ দিতে পারবে?’-বলেই কান্নায় ভেঙে পড়েন এই শোকাহত পিতা।

মির্জাপুর উপজেলার নগর ভাতগ্রাম নয়াপাড়ায় অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী তানভীরের গ্রামের বাড়িতে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। আজ সকাল ১০টায় মির্জাপুর উপজেলার আন্দিপাড়া মাদ্রাসা মাঠে তানভীরের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে আন্দিপাড়া সামাজিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, বাবা রুবেল মিয়ার ব্যবসার সুবাদে ঢাকায় থাকেন তানভীরের পরিবার। তানভীর ও তাশফিক দুই ভাই। তানভীর অষ্টম শ্রেণির ছাত্র। ছোট ভাই তাশফিক তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে । দুই ভাইই মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী। প্রতিদিনের মত মায়ের হাতের খাবার খেয়ে স্কুলে গিয়েছিল দুই ভাই। ছোট ভাই বেলা ১২টায় স্কুল ছুটি হলে বাসায় চলে যায়। কোচিংয়ে পড়ার জন্য স্কুলে থেকে যায় তানভীর। তানভীর ক্লাসের ক্যাপ্টেন হওয়ায় দুর্ঘটনার আগ মুহূর্তেও শ্রেণিকক্ষের শৃঙ্খলার দায়িত্ব পালন করছিল।

নিহত তানভীরের চাচাতো ভাই সজিব বলেন, চাচা-চাচি সন্তানকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে তোলার জন্য মাইলস্টোন কলেজে ভর্তি করেছিলেন। সব স্বপ্ন শেষ হয়ে গেল। তার লাশ গ্রামে আনা হলে গ্রামে হৃদয় বিদারক দৃশ্যের সৃষ্টি হয়।

মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবিএম আরিফুল ইসলাম বাসসকে বলেন, এমন ঘটনায় আমরা সবাই মর্মাহত। নিহতের পরিবারকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বিক সহায়তা প্রদান করা হবে।


তিন চাকার স্বল্পগতির ব্যাটারিচালিত রিক্সা (ই-রিক্সা) প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করেন মাননীয় প্রশাসক মো. শাহজাহান মিয়া

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের( ডিএসসিসি) আওতাধীন এলাকায় তিন চাকার স্বল্পগতির ব্যাটারিচালিত রিক্সা চালকদের জন্য আজ মঙ্গলবার নগরভবন অডিটোরিয়ামে ই-রিক্সা প্রশিক্ষণের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন মাননীয় প্রশাসক জনাব মো. শাহজাহান মিয়া।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পরিবহন বিভাগের ব্যবস্থাপনায় প্রথম পর্যায়ে ২২-৩১ জুলাই পর্যন্ত ৫টি আঞ্চলিক কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট কমিউনিটি সেন্টারে ই-রিক্সা প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে। প্রশিক্ষণ পরিচালনার জন্য ১৫০ জন প্রশিক্ষককে নিযুক্ত করা হয়েছে, যারা পর্যায়ক্রমে অক্টোবর মাস পর্যন্ত বিভিন্ন ধাপে ধাপে ট্রেনিং কার্যক্রম পরিচালনা করবেন। প্রথম পর্যায়ে মোট ৪৫০০ জন রিক্সা চালককে ট্রেনিং প্রদান করা হবে। প্রশিক্ষণার্থী রিক্সা চালকদের সম্মানী ও খাবারের ব্যবস্থা থাকবে।

উদ্বোধনকালে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মো. শাহজাহান মিয়া বলেন, "অনিয়ন্ত্রিত ও অনিরাপদ ব্যাটারিচালিত রিক্সা চলাচলের জন্য নগরজীবন যানজটের কবলে পড়ে স্থবির ও নাগরিকদের স্বাভাবিক কর্মকাণ্ড ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে।

সরকার ঢাকা সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ই-রিক্সা চলাচলের চলাচলের উদ্যোগ নিয়েছে যার ফলে যানজট নিরসণের পাশাপাশি অপ্রত্যাশিত দুর্ঘটনা থেকে নগরবাসী রক্ষা পাবে।" মাত্র ৫০ টাকার বিনিময়ে প্রশিক্ষণ গ্রহণকারী রিক্সা চালকগণ ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রাপ্ত হবেন উল্লেখ করে প্রশাসক বলেন পর্যায়ক্রমে ই-রিক্সা খাতকে শৃঙ্খলার মধ্যে আনা হবে।

অনুষ্ঠানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জহিরুল ইসলাম, সচিব মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, মহা-ব্যবস্থাপক(পরিবহন) মোহাম্মদ নাছিম আহমেদ প্রমুখগণ উপস্থিত ছিলেন।


২৪ জুলাইয়ের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা স্থগিত

আপডেটেড ২২ জুলাই, ২০২৫ ১৬:৪২
ইউএনবি

রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল এন্ড কলেজে বিমান দুর্ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আগামী ২৪ জুলাই অনুষ্ঠেয় এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার স্থগিত করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২২ জুলাই) সকালে মাইলস্টোন স্কুল ক্যাম্পাস পরিদর্শনকালে শিক্ষার্থীদের তিনি এমন তথ্য দিয়েছেন।

রুটিন অনুযায়ী ওই দিন (২৪ জুলাই) অর্থনীতি প্রথম পত্র/প্রকৌশল অঙ্কন ও ওয়ার্কশপ প্র্যাকটিস প্রথম পত্রের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।

এর আগে রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে হতাহতের ঘটনায় আজ মঙ্গলবারের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। এ কথা জানান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। আজ মঙ্গলবার সকাল সোয়া সাতটার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্ট এক পোস্টে তিনি এ কথা জানান।

রুটিন অনুযায়ী আজ মঙ্গলবার (২২ জুলাই) রসায়ন (তত্ত্বীয়) দ্বিতীয় পত্র/ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি দ্বিতীয় পত্র (মানবিক শাখা)/ইতিহাস দ্বিতীয় পত্র/গৃহ ব্যবস্থাপনা ও পারিবারিক জীবন দ্বিতীয় পত্র/উত্পাদন ব্যবস্থাপনা ও বিপণন দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষা ছিল।

এদিকে এই বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩১ জনে দাঁড়িয়েছে। এ ছাড়া আরও ১৬৫ জন বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। মঙ্গলবার (২২ জুলাই) দুপুর ২টার দিকে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী সংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নিহতদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১৬ জন রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে এবং জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে রয়েছে ১০ জন। এ ছাড়া উত্তরার লুবনা জেনারেল হাসপাতালে ২ জন এবং উত্তরা আধুনিক হাসপাতাল, ইউনাইটেড হাসপাতাল ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একজন করে নিহত রয়েছে।


বিমান দুর্ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের আহ্বান জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

উত্তরায় বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করে সরকারের কাছে সুষ্ঠু তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ সভাপতি ড. আলী রীয়াজ।

মঙ্গলবার সকালে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্বিতীয় পর্যায়ের সপ্তদশ দিনের বৈঠকের শুরুতে সূচনা বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।

এর আগে, আলোচনার শুরুতে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার হতাহতদের স্মরণে শোক প্রস্তাব পাঠ করেন কমিশনের সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার। সে সময় উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সদস্য বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, সফর রাজ হোসেন, ড. মো. আইয়ুব মিয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।

এই শোক প্রস্তাবে স্বাক্ষর করেন আলোচনায় অংশগ্রহণকারী বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), গণঅধিকার পরিষদ, গণসংহতি আন্দোলন, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টিসহ মোট ৩০টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি ও কমিশনের সদস্যরা।

নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়ে অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, গত বছর এমন সময় আমরা ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে গেছি। এক বছর পর, আবারও মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় গোটা জাতি শোকে মুহ্যমান। কোনো ক্ষতিপূরণই এই হৃদয়বিদারক ঘটনার জন্য যথেষ্ট নয়। তবুও আমরা সরকারের কাছে আহ্বান জানাচ্ছি, নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া, আহতদের যথাযথ চিকিৎসার ব্যবস্থা করা এবং দুর্ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করা হয়। ভবিষ্যতে যাতে এমন ঘটনা আর না ঘটে, রাষ্ট্রকে সে নিশ্চয়তা দিতে হবে।

তিনি আরো বলেন, রাষ্ট্রীয় দুর্যোগের এই সময়ে সকল রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের উচিত, আহত ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়ানো। এই সংকটময় মুহূর্তে সবাই যেন নিজ নিজ অবস্থান থেকে সহমর্মিতা ও সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেন।

এর আগে, গতকাল দুপুর সোয়া তিনটায় দুর্ঘটনার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় জরুরি ভিত্তিতে সাংবাদিকদের ব্রিফিং করে কমিশনের নির্ধারিত বৈঠক স্থগিত করা হয়।

আজকের আলোচ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, প্রধানমন্ত্রী একাধিক পদে থাকতে পারবেন কি না, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ; তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা নিয়ে রাজনৈতিক দলের প্রস্তাবের ভিত্তিতে একটি সমন্বিত প্রস্তাব তৈরি ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ; নির্বাচন কমিশন, সরকারি কর্ম কমিশন, মহা হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক, দুর্নীতি দমন কমিশন এবং ন্যায়পাল নিয়োগের বিধান সংক্রান্ত আলোচনা।

ড. আলী রীয়াজ জানান, প্রধানমন্ত্রীর পদে দলীয় প্রধান থাকা যাবে না, এ বিষয়ে অধিকাংশ রাজনৈতিক দল একমত হলেও কয়েকটি দল ভিন্নমত দিয়েছে। তারা জাতীয় সনদে ‘নোট অব ডিসেন্ট’ যুক্ত করতে পারবেন।

তিনি সবাইকে ঐকমত্যে পৌঁছাতে সহায়তা করার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, সময় স্বল্পতার কারণে আমরা আগামী কয়েক দিনের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে একটি জাতীয় সনদ চূড়ান্ত করতে চাই।

বৈঠকে অংশ নিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), জামায়াতে ইসলামি বাংলাদেশসহ ৩০টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা।

কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর এই গুরুত্বপূর্ণ আলোচনাসভা বাংলাদেশ টেলিভিশনে (বিটিভি) সরাসরি সম্প্রচার করা হচ্ছে।


বিমান বিধ্বস্তে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিলে সহায়তা 

আপডেটেড ২২ জুলাই, ২০২৫ ১৪:৫৪
বাসস

মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে ক্যাম্পাসে প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য যারা অর্থ সাহায্য করতে চান তারা প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিলে সেটি জমা দিতে পারবেন।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে জানানো হয়, আর্থিক সহায়তা পাঠানোর ক্ষেত্রে টাকা জমা দেয়ার হিসাবের নাম: প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিল।

চলতি হিসাব নম্বর- ০১০৭৩৩০০৪০৯৩

সোনালী ব্যাংক লি:, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় কর্পোরেট শাখা।


banner close