শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫
৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

আগামী বছর হজে যেতে পারবেন ১২৭১৯৮ জন

প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত : ২ আগস্ট, ২০২৩ ২১:৩১

২০২৪ সালে বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জনকে পবিত্র হজ পালনের জন্য কোটা অনুমোদন করেছে সৌদি সরকার। ১৪৪৫ হিজরি ও ২০২৪ সালের হজ অনুষ্ঠান বিষয়ে গতকাল বুধবার সচিবালয়ে প্রাক-প্রস্তুতি সভায় এ তথ্য জানায় ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মু. আ. হামিদ জমাদ্দারের সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় হাব নেতা, বাংলাদেশ বিমান, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ, সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের কাউন্সেলর হজসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থার প্রতিনিধি ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় সচিব হামিদ জমাদ্দার জানান, সৌদি সরকার ২০২৪ সালে বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জনকে পবিত্র হজ পালনের জন্য কোটা অনুমোদন করেছে।

সৌদি সরকারের বরাতে তিনি আরও জানান, ২০২৪ সালের হজে হজযাত্রী নিবন্ধন ওই বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে। ১ মার্চ থেকে হজ ভিসা ইস্যুকরণ, সৌদি ই-হজ সিস্টেমে ২৯ এপ্রিল ভিসা ইস্যু বন্ধ হবে এবং ৯ মে থেকে হজ ফ্লাইট শুরু হবে।

রাজকীয় সৌদি সরকারের কাছ থেকে মিনা-আরাফা-মুজদালিফার সেবা মূল্য অবহিত হওয়া মাত্র হজ প্যাকেজ-২০২৪ ঘোষণা করা হবে এবং হজযাত্রীদের নিবন্ধন কার্যক্রম নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই সম্পন্ন করা হবে বলেও জানান সচিব হামিদ জমাদ্দার।

২০২৪ সালের হজ সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানে হজ এজেন্সি এবং হজ ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিবিড়ভাবে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান তিনি।

সভার সভাপতি ও ধর্মসচিব সভার শুরুতে ২০২৩ সালের হজ সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান।

বিষয়:

অনলাইনে ও স্টেশন কাউন্টার থেকে টিকিট সংগ্রহের আহ্বান রেলপথ মন্ত্রণালয়ের

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

প্রতারণা এড়াতে বাংলাদেশ রেলওয়ের অনলাইন সেবা ও স্টেশন কাউন্টার ব্যতীত অন্য কোনো উৎস থেকে টিকিট সংগ্রহ করা হতে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে রেলপথ মন্ত্রণালয়।

আজ এক তথ্য বিবরণীতে আরো জানানো হয়েছে, ঈদুল আজহা উপলক্ষে ঘরমুখো যাত্রীদের জন্য বুধবার সকাল থেকে অনলাইনে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। ২৭ মে পর্যন্ত ৭ দিন রেলের অগ্রিম টিকিট বিক্রি হবে। এ সময় ৩১ মে থেকে ৬ জুন পর্যন্ত চলাচলকারী আন্ত:নগর ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি করা হবে। এবারও ঈদযাত্রার শতভাগ টিকিট অনলাইনে বিক্রি করা হবে।


গুজবে কান দেবেন না, বিভ্রান্ত হবেন না: সেনাবাহিনী

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর লগো ব্যবহার করে একটি স্বার্থান্বেষী মহল বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে চাইছে উল্লেখ করে, দেশবাসীকে গুজবে কান না দিয়ে সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
গতকাল সেনাবাহিনীর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে সচেতনতামূলক বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এক পোস্টে এ আহ্বান জানানো হয়।
পোস্টে বলা হয়, সম্প্রতি একটি স্বার্থান্বেষী মহল বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর লোগো ব্যবহার করে একটি ভুয়া প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে, যার মাধ্যমে সাধারণ জনগণের মাঝে বিভ্রান্তি সৃষ্টির পাশাপাশি সশস্ত্র বাহিনী ও জনগণের মধ্যে বিভেদ তৈরির অপচেষ্টা চলছে।
আরও লেখা হয়, গুজবে কান দেবেন না, বিভ্রান্ত হবেন না। সত্যতা যাচাই করুন, সচেতন থাকুন।
পোস্টে ওই ভুয়া প্রেসবিজ্ঞপ্তিটির ছবিও দেয়া হয়েছে।


গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সেনানিবাসে আশ্রয় গ্রহণকারীদের প্রসঙ্গে সেনাবাহিনীর অবস্থান

আপডেটেড ২৩ মে, ২০২৫ ১৯:১১
বাসস

জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সেনানিবাসের অভ্যন্তরে প্রাণ রক্ষার্থে আশ্রয় গ্রহণকারী ব্যক্তিবর্গ প্রসঙ্গে সেনাবাহিনীর অবস্থান তুলে ধরা হয়েছে।

আন্ত:বাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, 'জুলাই আগস্ট ২০২৪ এর ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে বিগত সরকারের পতনের পর কতিপয় কুচক্রী মহলের তৎপরতায় সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতি হয়। ফলশ্রুতিতে, সরকারি দপ্তর, থানাসমূহে হামলা, রাজনৈতিক নেতাকর্মী ও সমর্থকদের উপর আক্রমণ ও ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগ, মব জাস্টিস, চুরি, ডাকাতিসহ বিবিধ বিশৃঙ্খলা দেখা যায়। এ ধরনের সংবেদনশীল ও নাজুক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে দেশের নাগরিকদের মনে নিরাপত্তাহীনতার জন্ম নেয়। এমতাবস্থায়, ঢাকাসহ দেশের প্রায় সকল সেনানিবাসে প্রাণ রক্ষার্থে কতিপয় রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গসহ বিভিন্ন শ্রেণীপেশার নাগরিকগণ আশ্রয় প্রার্থনা করেন।'

আইএসপিআর জানায়, 'উদ্ভূত আকস্মিক অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে সেনানিবাসে আশ্রয়প্রার্থীদের পরিচয় যাচাই বাছাই করার চাইতে তাদের জীবন রক্ষা করা প্রাধান্য পেয়েছিল। এ প্রেক্ষিতে, ২৪ জন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, ৫ জন বিচারক, ১৯ জন অসামরিক প্রশাসনের কর্মকর্তা, ৫১৫ জন পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্য, বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাসহ বিবিধ ১২ জন ও ৫১ জন পরিবার পরিজনসহ (স্ত্রী ও শিশু) সর্বমোট ৬২৬ জনকে বিভিন্ন সেনানিবাসে আশ্রয় প্রদান করা হয়েছিল।'

সে সময়ে শুধুমাত্র মানবিক দায়বদ্ধতার কারণে আইন বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড থেকে আশ্রয় প্রার্থীদের জীবন রক্ষা করাই ছিল মুখ্য উদ্দেশ্য। পরিস্থিতি উন্নয়ন সাপেক্ষে, আশ্রয় গ্রহণকারীদের বেশিরভাগই ১/২ দিনের মধ্যেই সেনানিবাস ত্যাগ করেন এবং এর মধ্যে ৫ জনকে তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ/মামলার ভিত্তিতে, যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিকট হস্তান্তর করা হয় বলে আইএসপিআর জানায়।

সেনানিবাসে অবস্থানকারী ও আশ্রয় প্রার্থীদের ব্যাপারে গত বছরের ১৮ আগস্ট আইএসপিআর এর আনুষ্ঠানিক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয় এবং একই দিনে ১৯৩ জন ব্যক্তিবর্গের একটি তালিকা (৪৩২ জন সাধারণ পুলিশ সদস্য ও ১ জন এনএসআই সদস্য ব্যতীত) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়- যা ছিল একটি মীমাংসিত বিষয়।

সেনানিবাসে আশ্রয়প্রার্থী এ সকল ব্যক্তি ও পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা ও জীবন রক্ষার্থে মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে সাময়িক আশ্রয় প্রদান করা হয়েছিল।

আইএসপিআর এর বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, 'তৎকালীন বিরাজমান নিরাপত্তা পরিস্থিতিতে আশ্রয় প্রার্থীদের জীবন বিপন্ন হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু দুঃখজনকভাবে কিছু স্বার্থান্বেষী মহল উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিভ্রান্তিকর সংবাদ ছড়িয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার পাশাপাশি জনগণের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

এ প্রেক্ষিতে, জুলাই আগস্ট গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সেনানিবাসের অভ্যন্তরে প্রাণ রক্ষার্থে আশ্রয় গ্রহণকারী ৬২৬ জন ব্যক্তিবর্গের একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা (৪৩২ জন সাধারণ পুলিশ সদস্য ও ১ জন এনএসআই সদস্যসহ) আজ প্রকাশ করা হয়।

এমতাবস্থায়, সকলকে এ ধরনের বিভ্রান্তিমূলক অপপ্রচার থেকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয় এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি পেশাদারিত্ব, নিষ্ঠা ও আস্থার সাথে জাতির পাশে থাকার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করা করা হয়।

আন্ত:বাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) থেকে প্রাপ্ত তালিকা নিম্নরূপ:


মানবতাবিরোধী অপরাধ: গ্রেফতার করতে পারবেন তদন্তকারী কর্মকর্তা- প্রসিকিউটর

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত বা সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে তদন্তকারী কর্মকর্তা গ্রেফতার করতে পারবেন-এমন ক্ষমতা দিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কার্যপ্রণালি বিধিমালা সংশোধন করা হয়েছে।

এছাড়া ট্রাইব্যুনাল কোনো আসামি বা আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করলে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট প্রসিকিউটর পরোয়ানাভুক্ত আসামি বা আসামিদের গ্রেফতার করতে পারবেন।

গতকাল বৃহস্পতিবার সংশোধিত এই কার্যপ্রণালি বিধিমালার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

ট্র্যাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদার, সদস্য এম মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী ও মো. শফিউল আলম মাহমুদের আদেশক্রমে ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার এ এস এম রুহুল ইমরান এই প্রজ্ঞাপন জারি করেন।

২০১০ সালের কার্যপ্রণালি বিধিমালার ২৪টি বিধিতে সংশোধন আনা হয়েছে। এর মধ্যে পাঁচটি বিধি একেবারেই বিলুপ্ত এবং বাকি ১৯টি বিধি আংশিক বা পুরোপুরি বিলুপ্ত করে নতুন বিধি প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, বিধি ৬। যেখানে ২০১০ সালের বিধি বিলুপ্ত করে প্রতিস্থাপন করা বিধি ৬-এ বলা হয়েছে, ‘যদি তদন্ত কর্মকর্তার বিশ্বাস করার কারণ থাকে যে কোনো অপরাধ সংঘটিত হয়েছে, তাহলে তিনি নিজে ঘটনাস্থলে যাবেন, মামলার তথ্য ও পরিস্থিতি তদন্ত করবেন এবং অভিযুক্ত সন্দেহভাজন বা সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করতে পারবেন এবং প্রয়োজনীয় অনুসন্ধান করতে পারবেন।’ এই বিধিতে আরও বলা হয়েছে, ‘তদন্ত কর্মকর্তা গ্রেপ্তার, আবিষ্কার এবং জব্দ করার জন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সহায়তাও চাইতে পারেন।’

অন্যদিক, কার্যপ্রণালি বিধির ৯(১) বিধি বিলুপ্ত করে তা নতুনভাবে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, ‘আইন প্রয়োগকারী সংস্থা বা তদন্তকারী কর্মকর্তা অথবা আইনের ৮(২) ধারার অধীনে তদন্তকারী প্রসিকিউটর ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক জারি করা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা কার্যকর করবেন।’

এছাড়া সংশোধিত বিধিতে ‘অভিযুক্ত’ হিসেবে ব্যক্তির পাশাপাশি সংগঠনকেও রাখা হয়েছে। আর আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিলের ক্ষেত্রে চিফ প্রসিকিউটরকে কিছু ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ কার্যপ্রণালি বিধি-২০১০ (সংশোধিত) অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।


আগামী বছরের জুনের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন: রিজওয়ানা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
unb

প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগ নিয়ে জল্পনা-কল্পনার মধ্যে পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে অথবা আগামী বছরের জুনের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে।

তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘আমাদের পক্ষ থেকে এই সময়সীমা থেকে একদিন সরানোর কোনো সম্ভাবনা নেই।’

শুক্রবার(২৩ মে) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বাংলাদেশের প্রাণিবিদ্যা সমিতির ২৪তম জাতীয় সম্মেলন এবং বার্ষিক সাধারণ সভা ২০২৪’-এ যোগদানের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে নির্বাচনের বিষয়ে সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করে এই মন্তব্য করেন উপদেষ্টা রিজওয়ানা।

তিনি বলেন, ‘আমরা ক্ষমতায় নেই, আমরা কেবল একটি দায়িত্ব পালন করছি। এটি তখনই সফল হতে পারে—যখন সবাই সহযোগিতা করে। প্রধান উপদেষ্টা যখন সিদ্ধান্ত নেন, তখন তিনি একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা দেন।’

সাধারণ জনগণের উদ্দেশে উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে অনেক দূর এগিয়ে এসেছি।’ সংস্কার কমিশনগুলো তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। এগুলোর উপর রাজনৈতিক ঐকমত্যের কাজ শুরু হয়েছে। সমস্ত রাজনৈতিক দল সেখানে অংশগ্রহণ করছে। নির্বাচনের জন্য একটি সময়সীমা দেওয়া হয়েছে।’

২৪’র হত্যাকারীদের বিচারের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আগে একটি ট্রাইব্যুনাল ছিল, এখন আরেকটি গঠন করা হয়েছে। আগামীকাল থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিচারিক কার্যক্রম শুরু হবে। আমাদের আবেদন ছিল যে, এই বিষয়গুলোতে কোনো বাধা তৈরি না হয়। আমরা এগুলো সঠিকভাবে সম্পন্ন করতে চাই। আমরা সকলের সহযোগিতা চাই।’


সরকার স্বচ্ছতা ও সংস্কারের প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ : বিডা প্রধান

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) এবং বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) এর নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন বলেছেন, দেশে একটি স্থিতিশীল ও বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য সরকার স্বচ্ছতা ও সংস্কারের প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ।

তিনি বলেন, ‘আমরা বিনিয়োগকারীদের সমস্যাগুলো বুঝি এবং তা সমাধানের সর্বোচ্চ চেষ্টা করি। স্বচ্ছতা ও কাঠামোগত সংস্কারের মাধ্যমে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয়ে আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ। তবে টেকসই উন্নয়নের জন্য ব্যবসায়ীদের সক্রিয় ভূমিকা ও পরামর্শ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের লক্ষ্য একটি স্থিতিশীল ও বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ গড়ে তোলা। যেটি দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ আকর্ষণ করবে এবং সামগ্রিক অর্থনৈতিক সক্ষমতা আরও শক্তিশালী করবে।’

সম্প্রতি রাজধানীর একটি হোটেলে জাপান-বাংলাদেশ অর্থনৈতিক করিডরের কৌশলগত গুরুত্ব তুলে ধরে উচ্চ পর্যায়ের অর্থনৈতিক ব্রিফিংয়ে আশিক চৌধুরী এসব কথা বলেন। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

জাপান এক্সটার্নাল ট্রেড অর্গানাইজেশন (জেট্রো) এবং স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশ এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানে বিডা, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড, জাপান ইন্টারন্যাশনাল কোঅপারেশন এজেন্সি (জাইকা), জেট্রো এবং জাপান দূতাবাসের জ্যেষ্ঠ প্রতিনিধিরা, উভয় দেশের ব্যবসায়ী নেতা এবং বিনিয়োগকারীরা একত্রিত হন।

বিশ্ব বাণিজ্যের গতিশীলতার পরিবর্তনের ফলে দক্ষিণ এশিয়ায় বিনিয়োগের আগ্রহ বাড়ছে। এই অনুষ্ঠানটি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক স্থিতিস্থাপকতার প্রতি ক্রমবর্ধমান আস্থার উপর জোর দেয় এবং নতুন সুযোগ উন্মোচনের জন্য সরকারি ও বেসরকারি খাতের অংশীদারদের প্রতিশ্রুতিকে আরও জোরদার করে। সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা থেকে শুরু করে সংস্কার, বিনিয়োগ পরিবেশ এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে উভয় পক্ষের নেতারা একসঙ্গে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন এবং তাদের অভিজ্ঞতা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা শেয়ার করেন। ইতোমধ্যে বাংলাদেশে ৩০০ টিরও বেশি জাপানি প্রতিষ্ঠান কাজ করছে, যা এই অংশীদারিত্বকে আরও বিস্তৃত ও টেকসই করার সুযোগ তৈরি করছে।

বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত সাইদা শিনিচি বলেন, একজন বিশ্বস্ত কৌশলগত অংশীদার হিসেবে জাপান বাংলাদেশে বিনিয়োগ ও গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোগত উন্নয়নে সহায়তার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। চলমান ইকোনমিক পার্টনারশিপ এগ্রিমেন্টের (ইপিএ) আলোচনায় আমাদের যৌথ লক্ষ্যগুলো তুলে ধরা হচ্ছে। এতে কৃষি, মাছ চাষ, অটোমোবাইল ও টেক্সটাইল খাতে বড় ধরনের সম্ভাবনার দিকগুলোও উঠে আসছে।

জেট্রোর কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ ইউজি আন্দো বলেন, বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা সত্ত্বেও বাংলাদেশে কার্যরত জাপানি প্রতিষ্ঠানগুলো এখানকার বাজারে তাদের কার্যক্রম আরও সম্প্রসারণে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এটি বাংলাদেশের প্রতি জাপানের দীর্ঘমেয়াদি প্রতিশ্রুতিরই প্রতিফলন।

বাংলাদেশে জাইকার চিফ রিপ্রেজেন্টেটিভ ইচিগুচি তোমোহিদ বলেন, গত কয়েক বছরে কিছু অগ্রগতি হলেও বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তৈরিতে এখনও অনেক কাজ বাকি রয়েছে। জাইকা, জেট্রো এবং অন্য সহযোগীরা যৌথভাবে বাংলাদেশে একাধিক কৌশলগত উদ্যোগ বাস্তবায়নে কাজ করছে। যার মধ্যে রয়েছে মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর ও এমআরটির মতো গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো প্রকল্প এবং বিনিয়োগ প্রক্রিয়া সহজীকরণের উদ্যোগ।

স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশের সিইও নাসের এজাজ বিজয় বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশের অবিচল বন্ধু হয়ে পাশে থেকেছে জাপান। আমাদের অংশীদারিত্ব কেবল নীতিনির্ভর নয়, এটি গভীর মানবিক বন্ধনের উপর প্রতিষ্ঠিত। দেশের অর্থনীতির প্রধান সূচকগুলোতে এখন ইতিবাচক অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে। আর সামগ্রিক পরিস্থিতিও আগের চেয়ে অনেক বেশি স্থিতিশীল। প্রয়োজনীয় সংস্কার আর সম্মিলিত উদ্যোগ থাকলে, বাংলাদেশ আগামী পাঁচ বছরের মধ্যেই ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিতে রূপ নিতে পারে।

স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড জাপানের সিইও ইউসুকে আসাই বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন পরিবর্তন হলেও স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ডের বাংলাদেশ-জাপান অর্থনৈতিক করিডরের প্রতি অঙ্গীকার এবং দুই দেশের নিঃশর্ত বন্ধুত্ব এখনো অটুট আছে। জাপান বিশ্বের অন্যতম গ্লোবালাইজড ইকোনমি। আমাদের কোম্পানিগুলো বাংলাদেশে বিনিয়োগে প্রস্তুত আছে। ইতোমধ্যে ৩০০টিরও বেশি জাপানি কোম্পানি এখানে কাজ করছে। এখন বিনিয়োগ বাড়িয়ে বাংলাদেশের উন্নয়নে আমাদের অবদান বাড়ানোর সময়।


জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার ও আহতদের পুনর্বাসন অধ্যাদেশ অনুমোদন

বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনূস এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের ২৯ তম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার এবং আহত ছাত্র জনতার কল্যাণ ও পুনর্বাসন অধ্যাদেশ, ২০২৫ এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ।

আজ বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনূস এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের ২৯ তম বৈঠকে এই অনুমোদন দেয়া হয়।

বিকেলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জনসংযোগ কর্মকর্তা সুমন মেহেদী বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে উত্থাপিত জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার এবং আহত ছাত্র জনতার কল্যাণ ও পুনর্বাসন অধ্যাদেশ, ২০২৫ এর খসড়া লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের ভেটিং সাপেক্ষে চূড়ান্ত অনুমোদন করা হয়েছে যা মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার এবং আহত ছাত্র জনতার কল্যাণ ও পুনর্বাসন অধ্যাদেশ ছাড়াও আরো কয়েকটি বিষয়ে অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ।

এর মধ্যে রয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন দ্য প্রটেকশন এন্ড কনজারভেশন অব ফিশ (আমেনমেন্ট) ২০২৫ এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন। লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের ভেটিং সাপেক্ষে এটির অনুমোদন দেয়া হয়।

বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ড সরকারের মধ্যে নৌ প্রতিরক্ষা সামগ্রী সংক্রান্ত সহযোগিতা বিষয়ক সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরের প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে উত্থাপিত সংস্কার কমিশনের সুপারিশের মধ্যে আশু বাস্তবায়নযোগ্য সুপারিশ সমূহের বিষয়ে দিকনির্দেশনা প্রদান বিষয়ে বলা হয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ কর্তৃক উত্থাপিত সংস্কার কমিশনের সুপারিশ সমূহ বাস্তবায়নযোগ্য কিনা, বাস্তবায়নযোগ্য হলে সম্ভাব্য সময় এবং বাস্তবায়নের প্রভাব সংশ্লেষের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বিভাগ দফা ওয়ারী সুচিন্তিত মতামত মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের মাধ্যমে উপদেষ্টা পরিষদ বৈঠকে উপস্থাপন করবে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এ বিষয়ে সার্বিক সমন্বয়ের দায়িত্ব পালন করবে।

এছাড়া লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের ভেটিং সাপেক্ষে সরকারি অধ্যাদেশ (সংশোধন) ২০২৫ এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন করা হয়েছে।


গবেষণা ও শিক্ষার মানোন্নয়নে এক সঙ্গে কাজ করবে ডিআইইউ ও জাবি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ডিআইইউ) এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) যৌথভাবে গবেষণা ও শিক্ষার মান উন্নয়নে একাডেমিক সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য একটি সমঝোতা স্মারক (এমওএ) স্বাক্ষর করেছে। বিশেষ করে পিএইচডি ( ডক্টর অব ফিলোসোফি), এমফিল (মাস্টার অব ফিলোসোফি) ও এম এস (মাস্টার অব সায়েন্স) শিক্ষার্থীদের তত্ত্বাবধানের ক্ষেত্রে এ চুক্তি সহায়ক হবে বলে জানায় প্রতিষ্ঠান দুইটি।

মঙ্গলবার (২০ মে, ২০২৫) জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে একটি আন্তরিক পরিবেশে এই স্বাক্ষর অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আবদুর রবসহ অন্যান্য বিশিষ্ট অতিথি ও কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।

ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির পক্ষে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস. এম. মাহবুব উল হক মজুমদার, ফ্যাকাল্টি অব ইনফরমেশন টেকনোলজির ডিন প্রফেসর ডক্টর সৈয়দ আকতার হোসেন, ব্যবসা ও উদ্যোক্তা উন্নয়ন অনুষদের ডিন প্রফেসর ডক্টর মাসুম ইকবাল, স্বাস্থ্য ও জীবন বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ডক্টর বিলাল হোসেন, মানবিক ও সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক লিজা শারমীন, স্নাতকোত্তর অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. কবিরুল ইসলাম, এক্সটার্নাল অ্যাফেয়ার্সের পরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ মিজানুর রহমানসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

এই চুক্তির আওতায় উভয় বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা ও শিক্ষার মানোন্নয়নে একাডেমিক কার্যক্রমে একযোগে কাজ করবে, যার মধ্যে রয়েছে ল্যাব সুবিধা, অনলাইন ডাটা বেস, তথ্য বিশ্লেষণ ব্যবস্থা এবং ভৌত অবকাঠামোর ব্যবহার; যা ভর্তি ও সমাবর্তনের সময় উভয় প্রতিষ্ঠানের জন্য সহায়ক হবে। সমঝোতা স্মারকে উচ্চমানের গবেষণা পরিচালনা, যুগ্মভাবে আন্তর্জাতিক মানের জার্নাল প্রবন্ধ প্রকাশ, যৌথ গবেষণা সম্মেলন আয়োজন এবং পেটেন্টসহ মেধাস্বত্ব উন্নয়নের দিক নির্দেশনা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এছাড়ও শিক্ষার মান বৃদ্ধির লক্ষ্যে শিক্ষক বিনিময় কর্মসূচিও গবেষণা শিক্ষার্তীদের যৌথ তত্ত্বাবধানকে উৎসাহিত করা হবে বলে জানানো হয়।

অনুষ্ঠানে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এই উদ্যোগের জন্য প্রশংসা প্রকাশ করেন এবং বলেন- "এ ধরনের সহযোগিতা ফলপ্রসূ গবেষণার পাশাপাশি উচ্চ পর্যায়ের এইচ -ইনডেক্স সম্পন্ন জার্নালে প্রকাশনা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখবে।"
তাছাড়া ডিআইইউ-এর উপ-উপাচার্য এই চুক্তি যথাসময়ে বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন যাতে উভয় প্রতিষ্ঠানের একাডেমিক ও গবেষণাগত কার্যক্রমের মানোন্নয়নের পরিধি বৃদ্ধি পায়।


রূপালী ব্যাংকের উদ্যোগে মুগদা হাসপাতালে সুপেয় পানি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

সম্প্রতি রূপালী ব্যাংক পিএলসি’র মুগদা শাখার উদ্যোগে মুগদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে সুপেয় পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে। মুগদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে আগত রোগী, দর্শনার্থী ও তাদের আত্মীয় স্বজনরা যেন বিনামূল্যে সুপেয় পানি পান করতে পারে সেজন্য ব্যাংকের পক্ষে এ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

১৯ মে ২০২৫, রূপালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী মো. ওয়াহিদুল ইসলাম ও মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডিরেক্টর ডা. মো. মেজবাহুর রহমান এবং মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান এর উদ্বোধন করেন।

এ সময় ব্যাংকের জিএম তানভীর হাসনাঈন মইন, ডিজিএম মাসুদুল হাসান ও কাউসার মোস্তাফিজ এবং মুগদা শাখার সহকারী মহাব্যবস্থাপক খন্দকার শামসুল হক ইভান উপস্থিত ছিলেন।


ডিজিএফআইয়ের সাবেক মহাপরিচালক মামুন খালেদসহ ৪ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

ডিজিএফআইয়ের সাবেক মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) শেখ মামুন খালেদ, তার স্ত্রী নিগার সুলতানা খালেদ, কর কমিশনার আবু সাঈদ মো. মুস্তাক এবং জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই)-এর সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল টি. এম. জোবায়েরের ভায়রা ভাই খন্দকার আবুল কাইয়ুমের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পৃথক দুটি আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন।

দুদকের জনসংযোগ বিভাগের উপ-পরিচালক মো. আকতারুল ইসলাম এ তথ্য জানান।

শেখ মামুন খালেদের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞার আবেদনে বলা হয়, তার বিরুদ্ধে অবৈধভাবে শেয়ার ব্যবসা, ক্ষমতার অপব্যবহার, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ এবং জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অনুসন্ধান চলছে। তদন্তকালে জানা যায়, তিনি ও তার পরিবারের সদস্যরা দেশত্যাগ করে বিদেশে পলায়ন করতে পারেন। তাই সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তাদের বিদেশ গমন নিষিদ্ধ করা জরুরি।

কর কমিশনার আবু সাঈদ মো. মুস্তাক ও খন্দকার আবুল কাইয়ুমের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞার আবেদনে উল্লেখ করা হয়, এনএসআইয়ের সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল টি. এম. জোবায়েরের বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণ, চাকরি প্রদানে ক্ষমতার অপব্যবহার এবং কোটি কোটি টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া, তার নামে ও পরিবারের সদস্যদের নামে দেশে-বিদেশে সম্পদ ক্রয় ও অর্থ পাচারের বিষয়েও অনুসন্ধান চলছে।

আাবেদনে আরও বলা হয়, আবু সাঈদ মো. মুস্তাক ও খন্দকার আবুল কাইয়ুম নিজ উদ্যোগে ও বিভিন্ন উপায়ে টি. এম. জোবায়েরের অবৈধভাবে অর্জিত স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে স্থানান্তর করেছেন। তারাও দেশ ছেড়ে পালাতে পারেন। সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তাদের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা জারি করা প্রয়োজন।


সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ-২০২৫ এর গেজেট প্রকাশ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ-২০২৫ এর গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে।

সাইবার নিরাপত্তা আইন, ২০২৩ রহিতক্রমে সাইবার সুরক্ষা নিশ্চিতকরণ এবং সাইবার স্পেসে সংঘটিত অপরাধ শনাক্তকরণ, প্রতিরোধ, দমন ও উক্ত অপরাধ বিচার এবং আনুষঙ্গিক বিষয়ে বিধান প্রণয়নকল্পে প্রণীত হয় এই অধ্যাদেশ।

রাষ্ট্রপতির অনুমোদনক্রমে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব ড. হাফিজ আহমেদ চৌধুরী স্বাক্ষরিত এ অধ্যাদেশের গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। এর আগে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ এটি অনুমোদন করে।

এ অধ্যাদেশে সাইবার সুরক্ষা বিষয়ে মোট নয়টি অধ্যায়ে বিস্তারিত উল্লেখ করা হয়েছে। অধ্যাদেশটির প্রথম অধ্যায়ে তার শিরোনাম, সংজ্ঞা এবং এ সংক্রান্ত বিস্তারিত উল্লেখ রয়েছে।

অধ্যাদেশের দ্বিতীয় অধ্যায়ে ‘জাতীয় সাইবার সুরক্ষা এজেন্সি’ বিষয়ে বলা আছে। এখানে বলা হয়েছে, সরকার গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা একজন মহাপরিচালক ও বিধি ধারা নির্ধারিত সংখ্যক পরিচালকের সমন্বয়ে জাতীয় সাইবার সুরক্ষা এজেন্সি নামে একটি এজেন্সি গঠন করবে। এজেন্সির প্রধান কার্যালয় ঢাকায় থাকবে। তবে প্রয়োজনে ঢাকার বাইরে দেশের যে কোন স্থানে এর শাখা কার্যালয় স্থাপন করতে পারবে। এজেন্সির দায়িত্ব ও কার্যাবলী বিধি দ্বারা নির্ধারিত হবে।

এই অধ্যাদেশের তৃতীয় অধ্যায়ে সুরক্ষায় প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থাদির বিস্তারিত বলা হয়েছে।

সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ-২০২৫ এর চতুর্থ অধ্যায়ে এর জাতীয় সাইবার সুরক্ষা কাউন্সিল গঠনের বিস্তারিত বলা হয়। এই অধ্যাদেশের উদ্দেশ্য পূরণে এই কাউন্সিল গঠনের কথা বলা হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা/প্রধানমন্ত্রী হবেন এই কাউন্সিলের চেয়ারম্যান। কমিটিতে এই সংক্রান্ত মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, উপদেষ্টা, প্রধানমন্ত্রী বা প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের মুখ্য সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিবগণ, আইজিপি, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান, টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের চেয়ারম্যান, প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের মহাপরিচালক, জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার মহাপরিচালক, ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের মহাপরিচালক, জাতীয় সাইবার সুরক্ষা এজেন্সির মহাপরিচালক, প্রধান বিচারপতি কর্তৃক মনোনীত সুপ্রিম কোর্টের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারক, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান, তথ্য কমিশন সচিব, হেড অফ বাংলাদেশ ফাইনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট, সরকার কর্তৃক মনোনীত তথ্য প্রযুক্তি বা মানবাধিকার বিষয়ক দুইজন বেসরকারি পর্যায়ের বিশেষজ্ঞ সদস্য থাকবেন।

মহাপরিচালক কাউন্সিলের কার্যসম্পাদনের সাচিবিক সহায়তা প্রদান করবেন। এ কাউন্সিলের ক্ষমতা বিষয়ে বলা হয়েছে, কাউন্সিল, এই অধ্যাদেশ ও তদধীন প্রণীত বিধির বিধান বাস্তবায়নকল্পে, এজেন্সিকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা ও পরামর্শ প্রদান করবে।

অধ্যাদেশের পঞ্চম অধ্যায় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো, ষষ্ঠ অধ্যায়ে সাইবার বিষয়ক ‘অপরাধ ও দন্ড’ নিয়ে বিস্তারিত উল্লেখ করা হয়েছে। সপ্তম অধ্যায়ে সাইবার ‘অপরাধের তদন্ত ও বিচার’ সম্পর্কে বিস্তারিত বলা হয়েছে। এই অধ্যাদেশের অষ্টম অধ্যায়ে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বিষয়ে বিশদ উল্লেখ রয়েছে। সর্বশেষ নবম অধ্যায়ে বিবিধ-এ বলা হয়েছে, এই অধ্যাদেশের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, প্রয়োজনীয় সংখ্যক বিধি প্রণয়ন করতে পারবে।

এই অধ্যাদেশ প্রবর্তনের পর সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, ইংরেজিতে অনূদিত একটি নির্ভরযোগ্য পাঠ প্রকাশ করবে। এই অধ্যাদেশ ও ইংরেজি পাঠের মধ্যে বিরোধের ক্ষেত্রে এই অধ্যাদেশ প্রাধান্য পাবে বলে গেজেটে উল্লেখ করা হয়েছে।


ভোজ্যতেলের দাম লিটারে ৩৫ টাকা বাড়াল টিসিবি

প্রতি কেজি মসুর ডালে ২০ টাকা ও চিনির দাম ১৫ টাকা বৃদ্ধি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

সারা দেশে নিম্নআয়ের পরিবারের মধ্যে ভর্তুকিমূল্যে আজ বৃহস্পতিবার থেকে পণ্য বিক্রি শুরু করবে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। সরকারি এই সংস্থাটি বাজারমূল্যের চেয়ে কম দামে ভোজ্যতেল, চিনি ও মসুর ডাল বিক্রি করবে। আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে ফ্যামিলি কার্ডধারীদের পাশাপাশি নিম্নআয়ের মানুষের জন্যও শরাঞ্চলে ট্রাকে করে ভর্তুকি মূল্যে এই পণ্য তিনটি বিক্রি করা হবে। এক্ষেত্রে প্রত্যেকটি পণ্যের দাম কার্ডধারীদের চেয়ে কিছুটা বাড়ানো হয়েছে। এর মধ্যে প্রতি লিটার তেলে ৩৫ টাকা, প্রতি কেজি মসুর ডালে ২০ টাকা ও চিনির দাম ১৫ টাকা বাড়ানো হয়েছে।

গতকাল বুধবার টিসিবির যুগ্ম পরিচালক ও দায়িত্বপ্রাপ্ত তথ্য কর্মকর্তা মো. হুমায়ূন কবির সাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। টিসিবির একটি সূত্র জানিয়েছে, সরকার ভর্তুকির টাকা কমিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এজন্য পণ্যের দাম কিছুটা বাড়ানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে টিসিবি জানিয়েছে, আজ থেকে সারা দেশে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে পণ্য বিক্রি করা হবে। এই বিক্রয় কার্যক্রম ৩ জুন পর্যন্ত (শুক্রবার ও ছুটির দিনসহ) চলমান থাকবে। এসময়ে প্রতিদিন ৬৯০টি ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে পণ্য বিক্রি করা হবে। এর মধ্যে ঢাকায় ৫০টি, চট্টগ্রামে ২০টি, অন্য ছয়টি বিভাগীয় শহরে ১০টি করে এবং অবশিষ্ট ৫৬টি জেলা শহরে ১০টি করে ট্রাকে সাশ্রয়ী মূল্যে ভোজ্যতেল, চিনি ও মসুর ডাল বিক্রি করা হবে। ঈদুল আজহা উপলক্ষে টিসিবির ট্রাক থেকে একজন ভোক্তা সর্বোচ্চ দুই লিটার ভোজ্যতেল, দুই কেজি মসুর ডাল ও এক কেজি চিনি কিনতে পারবেন।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়, তারা প্রতি লিটার ভোজ্যতেল বিক্রি করবে ১৩৫ টাকা দরে। যা গত ফেব্রুয়ারিতে বিক্রি হয়েছে ১০০ টাকা লিটার হিসেবে। অর্থাৎ এখানে টিসিবি লিটারে ৩৫ টাকা দাম বাড়িয়েছে। প্রতি কেজি চিনি বিক্রি করা হবে ৮৫ টাকা কেজি দরে, যা আগে ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছে টিসিবি। আগে যে মশুর ডাল ৬০ টাকায় বিক্রি করেছে টিসিবি, সেটা ২০ টাকা বাড়িয়ে ৮০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

সাধারণত, কার্ডধারী নিম্নআয়ের পরিবারের মধ্যে সেবা দিতে সরকার ভর্তুকিমূল্যে এসব পণ্য বিক্রি করে। তবে আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে যেকোন ভোক্তা টিসিবির ট্রাক থেকে পণ্য কিনতে পারবেন। এক্ষেত্রে এই পণ্য তিনটি কিনতে কার্ডধারীদের চেয়ে কিছুটা বেশি অর্থ গুনতে হবে সাধারণ ভোক্তাকে। যদিও টিসিবির কার্ডধারীদের চেয়ে এসব পণ্যের দাম কিছুটা বেশি, তবে বাজারমূল্য থেকে কম। টিসিবির কার্ডধারীদের কাছে প্রতি লিটার ভোজ্যতেল ১০০ টাকা, প্রতি কেজি মসুর ডাল ৬০ টাকা ও চিনি ৭০ টাকায় বিক্রি হয়।


গার্মেন্টস মালিকরা হয় শ্রমিকদের বেতন দেবেন না হয় জেলে যাবেন: শ্রম উপদেষ্টা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

আগামী ২৮শে মের মধ্যে গার্মেন্টস শ্রমিকদের বকেয়া বেতন ভাতা পরিশোধ করতে হবে। না হলে গার্মেন্টস মালিকদের জেলে যেতে হবে।

শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন এ কথা বলেছেন।

তিনি বলেন, ইতোমধ্যে পাঁচজন গার্মেন্টস মালিকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। উনারা দেশের বাইরে তো দূরে থাক ঢাকার বাইরে যেতে পারবেন না।

আজ বুধবার সকালে সচিবালয়ে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনে কক্ষে আসন্ন ঈদ উপলক্ষে নৌ পথের যাত্রীদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তার লক্ষ্যে বিভিন্ন সংস্থার প্রধানের সাথে বৈঠক শেষে তিনি একথা বলেন।

শ্রম উপদেষ্টা আরো বলেন, বকেয়া বেতন ভাতার দাবিতে গত কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন গার্মেন্টস শ্রমিক সংগঠন থেকে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা এবং কাকরাইলে শ্রম ভবন ঘেরাও কর্মসূচি শুনতে পাচ্ছিলাম। বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে মঙ্গলবার রাত ৭ টা পর্যন্ত আমরা সচিবালয়ে গার্মেন্টস মালিক এবং শ্রমিক সংগঠনের নেতাদের সাথে বৈঠক করি। বৈঠকে গার্মেন্টস মালিকরা জানিয়েছেন, তারা ঘর বাড়ি বিক্রি করে হলেও শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ করবেন এবং সেটা আগামী ২৮ তারিখের মধ্যে।

উপদেষ্টা জানান, গার্মেন্টস মালিকদের নিশ্চয়তা আমাদেরকে আশান্বিত করেছে। আমরা মনে করছি গার্মেন্টস মালিকরা ২৮ তারিখের মধ্যে তাদের স্ব স্ব গার্মেন্টসের শ্রমিকদের বেতন ভাতা পরিশোধ করবেন। এর অন্যথা হওয়ার সুযোগ নেই।

উপদেষ্টা আরো বলেন, গার্মেন্টস মালিকরা হয় শ্রমিকদের বেতন দেবেন, না হয় জেলে যাবেন। যারা শ্রমিকদের বেতন দিতে পারবেন না, তাদের গার্মেন্টসের মালিক হওয়ার প্রয়োজন নেই। কেউ কেউ হয়তো ফ্যাশন করার জন্য গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠা করেন। আগামীতে এটা হতে দেয়া যাবে না। টিএনজেড গার্মেন্টস এবং মাহমুদ গার্মেন্টসসহ পাঁচটি গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠানের মালিকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

এ সময় নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ বিভিন্ন দপ্তর সংস্থার কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা আগামী ঈদ উপলক্ষে নৌ রুটে যাত্রীদের নিরাপত্তার বিষয়ে সরকারের বিভিন্ন সিদ্ধান্তের কথা উল্লেখ করেন।

উপদেষ্টা জানান, এবার ঈদের আগে এবং পরে কোন বাল্কহেড নদীতে চলাচল করতে পারবে না। এছাড়া যাত্রীবাহী লঞ্চগুলোতে চারজন করে সশস্ত্র আনসার নিয়োজিত থাকবেন। যথাসময়ে আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেওয়ার জন্য আবহাওয়া অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের তিনি অনুরোধ জানান।


banner close