রোববার, ২৭ জুলাই ২০২৫
১২ শ্রাবণ ১৪৩২

বঙ্গমাতার ৯৩তম জন্মবার্ষিকী আজ

আপডেটেড
৮ আগস্ট, ২০২৩ ১৬:৩৯
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত : ৮ আগস্ট, ২০২৩ ১২:৩৫

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯৩তম জন্মবার্ষিকী আজ মঙ্গলবার। ১৯৩০ সালের ৮ আগস্ট তৎকালীন গোপালগঞ্জ মহাকুমার টুঙ্গিপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তার ডাক নাম ছিল রেণু। বাবার নাম শেখ জহুরুল হক ও মায়ের নাম হোসনে আরা বেগম। এক ভাই-দুই বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন ছোট। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে তিনি জাতির পিতার হত্যাকারীদের হাতে নির্মমভাবে শাহাদতবরণ করেন।

বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবউদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।

দিবসটিতে সরকারি কর্মসূচি ছাড়াও আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠন শ্রদ্ধা নিবেদন, আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করেছে।

বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দীর্ঘ লড়াই-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা লাভ করে বাংলাদেশ। এ লড়াই-সংগ্রাম আন্দোলনের নেপথ্যে প্রেরণাদাতা ছিলেন ফজিলাতুন নেছা মুজিব। তিনি বঙ্গবন্ধুর গোটা রাজনৈতিক জীবন ছায়ার মতো অনুসরণ করে তার প্রতিটি কাজে প্রেরণার উৎস হয়ে ছিলেন। বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ ছয় দফা ঘোষণার পর বঙ্গবন্ধু যখন বারবার পাকিস্তানি শাসকদের হাতে বন্দি জীবনযাপন করছিলেন, তখন আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীরা ফজিলাতুন নেছা মুজিবের কাছে ছুটে যেতেন। তিনি তাদের বঙ্গবন্ধুর বিভিন্ন দিকনির্দেশনা পৌঁছে দিতেন ও লড়াই-সংগ্রাম চালিয়ে যেতে অনুপ্রেরণা জোগাতেন।

আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় বঙ্গবন্ধুর প্যারোলে মুক্তি নিয়ে কিছু কুচক্রী স্বাধীনতা সংগ্রামকে বিপন্ন করার ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছিল। তখন প্যারোলে মুক্তির বিপক্ষে বেগম মুজিবের দৃঢ়চেতা অবস্থান বাংলার মুক্তি সংগ্রামকে ত্বরান্বিত করেছিল। স্বামী বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ছায়ার মতো অনুসরণ করা বেগম মুজিবকে জীবনে অনেক ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করেছেন। এ জন্য অনেক কষ্ট-দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে তাকে।

এ দেশের মানুষের আন্দোলন-সংগ্রামে বেগম মুজিব যে কর্তব্যনিষ্ঠা, দেশপ্রেম, দুরদর্শী চিন্তা, বুদ্ধিমত্তা ও সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন তার ফলে জাতির পিতার পাশাপাশি তিনি আজ বঙ্গমাতার আসনে অধিষ্ঠিত। এ দেশের রাজনীতিতে তার অনন্য সাধারণ ভূমিকার জন্য চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। এই মহীয়সী নারী ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে সপরিবারে খুনিচক্রের বুলেটের আঘাতে নির্মমভাবে শহীদ হন।

বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে মঙ্গলবার সকাল ৮টায় বনানী কবরস্থানে শ্রদ্ধা নিবেদন, কোরআন খতম, মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে আওয়ামী লীগ, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগসহ সহযোগী সংগঠনগুলো।

এ ছাড়া বঙ্গমাতার জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ‘প্রেরণা দিয়েছে, শক্তি দিয়েছে বিজয়-লক্ষ্মী নারী’ শীর্ষক আলোচনা সভা করবে আওয়ামী যুবলীগ। দুপুর ২টায় বাদ জোহর স্যার সলিমুল্লাহ মুসলিম এতিমখানায় এতিমদের মাঝে খাদ্য বিতরণ করবে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ। বিকাল ৩টায় আলোচনা সভা করবে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শ্রমিক লীগ।

এ ছাড়া গোপালগঞ্জ টুঙ্গিপাড়ায় দিনব্যাপী ফ্রি হেলথ ক্যাম্প আয়োজন করেছে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ। বঙ্গমাতা শহীদ শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের জন্মবার্ষিকী উদযাপন ও ‘বাংলাদেশের মাতা, বাংলাদেশের নেতা’ শীর্ষক ছাত্রী সমাবেশ করবে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।


আইকনিক মসজিদ নির্মাণে ২৪৪ কোটি টাকা দেবে সৌদি সরকার

আজ সচিবালয়ে ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ড. আব্দুল্লাহ জাফর এইচ বিন আবিয়াহ। ছবি: পিআইডি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

আইকনিক মসজিদ নির্মাণে ২৪৪ কোটি টাকা দেবে সৌদি সরকার। আটটি আইকনিক মসজিদ নির্মাণে সৌদি সরকারের রাজকীয় অনুদান থেকে এ অর্থ দেওয়া হবে।

আজ সচিবালয়ে ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেনের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ড. আব্দুল্লাহ জাফর এইচ বিন আবিয়াহ এ কথা জানান।

ধর্ম উপদেষ্টা জানান, সৌদি অর্থায়নে আইকনিক মসজিদ নির্মাণের কাজ যথা দ্রুত সম্ভব শুরু করা হবে। ইতোমধ্যে কয়েকটি বিভাগ থেকে এ মসজিদ নির্মাণের বিষয়ে জমির প্রস্তাব পাওয়া গেছে। বাকিগুলোর বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করা হচ্ছে।

ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক অত্যন্ত নিবিড় ও বন্ধুত্বপূর্ণ। বর্তমানে এদেশের প্রায় ৩২ লাখ লোক সৌদি প্রবাসী। তারা রেমিট্যান্স পাঠিয়ে দেশের উন্নয়নে বিশেষ অবদান রাখছেন। ঠিক একইভাবে সৌদি সরকারের ভিশন-২০৩০ বাস্তবায়নে সেদেশে কর্মরত বাংলাদেশিরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন।

আগামীতে দু’দেশের মধ্যকার সম্পর্ক আরো দৃঢ় হবে বলে উপদেষ্টা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

এ বছর অত্যন্ত সুন্দর ও সাবলীল হজ ব্যবস্থাপনার জন্য ধর্ম উপদেষ্টা সৌদি সরকার ও সেদেশের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়কে ধন্যবাদ জানান।

একইসঙ্গে তিনি আগামী বছরের হজ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে কতিপয় বিষয়ে সৌদি সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

মিনা, আরাফা ও মুজদালিফায় ওয়াশরুমের সংখ্যা বৃদ্ধি, নিরবচ্ছিন্ন পানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহ এবং মিনার তাঁবুতে বিছানার সাইজ বাড়ানোর বিষয়ে উপদেষ্টা সৌদি রাষ্ট্রদূতকে অনুরোধ জানান।

রাষ্ট্রদূত এ সকল প্রস্তাবের বিষয়ে তাঁর দেশের সরকার এবং হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়কে অবহিত করার আশ্বাস দেন।

এছাড়া, তিনি বাংলাদেশ উন্নয়নে সৌদি সরকারের সহযোগিতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখার প্রতিশ্রুতি দেন।

সাক্ষাৎকালে তাঁরা দু’দেশের মধ্যকার বিদ্যমান সম্পর্ক আগামীতে আরো মজবুত ও সুসংহত করার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন।

এছাড়া হজযাত্রীদের লাগেজ পরিবহনে আরএফআইডি ট্যাগ সংযোজন, ঢাকায় অ্যারাবিক ল্যাঙ্গুয়েজ ইনস্টিটিউট স্থাপনসহ দু’দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়।

এসময় ধর্ম সচিব এ কে এম আফতাব হোসেন প্রামানিক ও হজ অনুবিভাগের যুগ্মসচিব ড. মো. মঞ্জুরুল হক উপস্থিত ছিলেন।


বাংলাদেশ আসিয়ানের সদস্যপদ পেতে মালয়েশিয়ার সমর্থন চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা

রোববার যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন মালয়েশিয়ার পিপলস জাস্টিস পার্টির সহ-সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের কন্যা নুরুল ইজ্জাহ আনোয়ার। ছবি : সিএ ফেসবুক
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

অ্যাসোসিয়েশন অব সাউথইস্ট এশিয়ান নেশনস (আসিয়ান) এর সদস্যপদ পেতে বাংলাদেশের প্রচেষ্টায় সমর্থন জানাতে মালয়েশিয়ার প্রতি পুনরায় আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

আজ রোববার ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন মালয়েশিয়ার পিপলস জাস্টিস পার্টির সহ-সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের কন্যা নুরুল ইজ্জাহ আনোয়ার।

এ সময় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা আসিয়ানের অংশ হতে চাই এবং আপনাদের সমর্থন আমাদের প্রয়োজন।’

বাংলাদেশ ২০২০ সালে আসিয়ানের খাতভিত্তিক সংলাপ অংশীদার হওয়ার জন্য আবেদন করে।

প্রধান উপদেষ্টা আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ‘আসিয়ানের বর্তমান সভাপতির দায়িত্বে থাকা মালয়েশিয়া বাংলাদেশের আবেদন মঞ্জুরের ক্ষেত্রে সক্রিয় ভূমিকা পালন করবে, যাতে বাংলাদেশ প্রথমে খাতভিত্তিক সংলাপের অংশীদার এবং পরবর্তীতে এই আঞ্চলিক সংস্থার পূর্ণ সদস্যপদ পেতে পারে।’

সাক্ষাৎকালে নুরুল ইজ্জাহ ঢাকার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে সম্প্রতি সংঘটিত বিমান দুর্ঘটনায় শোক প্রকাশ করেন।

এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘এটি আমাদের দেশের জন্য একটি দুঃখজনক ও মর্মান্তিক ঘটনা। আমরা অনেক মানুষকে হারিয়েছি।’

প্রধান উপদেষ্টা নুরুল ইজ্জাহকে মালয়েশিয়ার পিপলস জাস্টিস পার্টির সহ-সভাপতি হওয়ায় অভিনন্দন জানান।

প্রধান উপদেষ্টা নুরুল ইজ্জাহর সঙ্গে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তন ও অন্তর্বর্তী সরকারের গৃহীত সংস্কার নিয়ে আলোচনা করেন।

তিনি বলেন, ‘আমরা একটি সংস্কার প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। আমাদের ছাত্ররা বুকে গুলি খেয়ে স্বৈরাচার হাসিনা সরকারকে উৎখাত করেছে। এটি তরুণদের নেতৃত্বাধীন একটি আন্দোলন ছিল, কিন্তু সব শ্রেণির মানুষ এতে অংশ নিয়েছে। ছাত্ররা দেয়াল ও রাস্তা রাঙিয়ে তুলেছে জুলাই বিদ্রোহের চেতনায়।’

অধ্যাপক ইউনূস মালয়েশিয়ার কোম্পানিগুলোকে বাংলাদেশে বিনিয়োগ করার আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, ‘এশিয়া দ্রুত বার্ধক্যের দিকে এগোচ্ছে, কিন্তু বাংলাদেশে বিপুল তরুণ জনগোষ্ঠী রয়েছে। আমাদের জনসংখ্যার অর্ধেকের বয়স ২৭ বছরের নিচে। এখানে শিল্প গড়ে তুলুন এবং বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি করুন। এতে আমাদের দুই দেশের অর্থনীতির উপকার হবে।’

সাক্ষাৎকালে প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয়সংক্রান্ত বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী এবং এসডিজিবিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ উপস্থিত ছিলেন।


বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় ছাড়া সব কমিটি স্থগিত

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটি ছাড়া সারাদেশের সব কমিটি স্থগিত ঘোষণা করেছেন সংগঠনটির সভাপতি রশিদুল ইসলাম রিফাত।

আজ রোববার সন্ধ্যা ৬টায় রাজধানীর শাহবাগে চলমান বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে ডাকা এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে রিফাত বলেন, অর্গানোগ্রামের জরুরি মিটিংয়ে সম্মিলিত সিদ্ধান্তে উপনীত হয়ে জানানো যাচ্ছে যে, ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটি ব্যতীত সারাদেশের সব কমিটি আজ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্থগিত ঘোষণা করা হলো। সংগঠনটির আগামী কার্যক্রম কীভাবে পরিচালিত হবে, তা পরবর্তীতে আলোচনার মাধ্যমে জানানো হবে।

গত ২৫ জুন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নতুন কমিটি গঠন করা হয়। ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত এ কমিটিতে রশিদুল ইসলাম (রিফাত রশীদ) সভাপতি ও মো. ইনামুল হাসান সাধারণ সম্পাদক করা হয়। এ ছাড়া সাংগঠনিক সম্পাদক পদে মুঈনুল ইসলাম ও মুখপাত্র পদে সিনথিয়া জাহীন আয়েশা নির্বাচিত হন।

ওইদিন রাজধানীর বাংলামোটরে রূপায়ণ ট্রেড সেন্টারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রথম কেন্দ্রীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। কাউন্সিলে ভোট গ্রহণ শেষে সন্ধ্যায় ফল ঘোষণা করা হয়।


বাংলাদেশে আর কখনো যেন ভয় ও নিপীড়নের শাসন ফিরে না আসে : আদিলুর রহমান

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

শিল্প মন্ত্রণালয় এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেছেন, বাংলাদেশে আর কখনো যেন ভয় ও নিপীড়নের শাসন ফিরে না আসে। একটি দমন-পীড়নমূলক শাসন ব্যবস্থার পতনের পর ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হলে আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।

আজ রোববার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে জুলাই বিপ্লব নিয়ে প্রথম আন্তর্জাতিক সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের গত ১৫ বছরের দমনমূলক শাসনের মাধ্যমে রাষ্ট্রকে জনগণের বিরুদ্ধে অস্ত্রে পরিণত করা হয়। গুম ছিল নৈমিত্তিক ঘটনা। হাজারো রাজনৈতিক ভিন্নমতাবলম্বী, ছাত্রনেতা ও সাংবাদিককে অপহরণ, নির্যাতন বা স্থায়ীভাবে স্তব্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। বহু পরিবার আজও জানে না, তাদের সন্তান জীবিত নাকি অচেনা কোন কবরে শায়িত আছে।

উপদেষ্টা আরো বলেন, নির্বাচন, গণমাধ্যম ও ছাত্র আন্দোলনের কণ্ঠ রোধ করতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ নানা অপকৌশল ব্যবহৃত হয়েছিল। কারাগারগুলো অপরাধীদের নয়, দেশপ্রেমিকদের দিয়ে ভরে গিয়েছিল। ফেসবুক পোস্টই ডেকে আনত মাঝরাতের পুলিশি অভিযান। শুধু মত প্রকাশের দায়ে একটি ভালো বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখা ছাত্রকে পিটিয়ে আহত কিংবা শহীদ করা হয়েছে।

সম্মেলনে মূলবক্তা ছিলেন দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মামুন আহমেদ, কূটনীতিক জন এফ. ড্যানিলোভিচ।

সম্মেলনের শুরুতে শহীদ জাহিদুজ্জামান তানভীনের বাবা ও মা তাদের বক্তৃতায় দ্রুত জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার ও অপরাধীদের শাস্তির দাবি জানান। ছাত্রনেতা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে এ সম্মেলনে দেশ ও বিদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, গবেষক, কূটনীতিক ও মানবাধিকার কর্মীরা বক্তৃতা দেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রিসার্চ অ্যান্ড ইন্টিগ্রেটেড থট (আরআইটি), ইউনিভার্সিটি অব রেজিনা (কানাডা), নানইয়াং টেকনোলজিকাল ইউনিভার্সিটি (সিঙ্গাপুর), কেন্ট স্টেট ইউনিভার্সিটি (যুক্তরাষ্ট্র), জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা, সেন্টার ফর পলিসি অ্যান্ড সোশ্যাল রিসার্চ (সিপিএসআর), ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ল’ অ্যান্ড ডিপ্লোম্যাসি, সোচ্চার এবং ইনসাফ যৌথভাবে এ সম্মেলনের আয়োজন করে। এ সম্মেলনের আহ্বায়ক হলেন অধ্যাপক মো. শরিফুল ইসলাম এবং অধ্যাপক মুহাম্মদ আসাদুল্লাহ।


জুলাই সনদের প্রাথমিক খসড়া তৈরি: আলী রীয়াজ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

বহুল কাঙ্ক্ষিত জুলাই সনদের প্রাথমিক খসড়া তৈরি হয়েছে।

এ কথা জানিয়েছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ।

আজ জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় পর্যায়ের ১৯ তম বৈঠকের শুরুতে দেয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

আলী রীয়াজ বলেন, ‘কমিশন ইতোমধ্যে একটি খসড়া প্রস্তুত করেছে এবং বিবেচনার জন্য আগামীকালের মধ্যে সকল রাজনৈতিক দলের কাছে একটি করে খসড়া প্রেরণ করা হবে। সেটি নিয়ে আপনারা নিজেদের রাজনৈতিক দলের সাথে আলোচনা করার মাধ্যমে আমাদেরকে মতামত জানালে সেগুলো এতে সন্নিবেশিত করা হবে।’

এ সময় তিনি জানান যে রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে বড় ধরনের কোন মৌলিক আপত্তির বিষয় উত্থাপিত না হলে সেটি নিয়ে বৈঠকে আর আলোচনা করা হবে না।

তিনি জানান, সকলের মতামত পাওয়ার পর সেগুলোকে সন্নিবেশিত করে চূড়ান্ত জুলাই সনদের পটভূমি, প্রাথমিক বক্তব্য সমূহ, অঙ্গীকার এবং প্রক্রিয়ার বিষয় বস্তুগুলো অন্তর্ভুক্ত করে তা রাজনৈতিক দলগুলোর সামনে তুলে ধরা হবে।

সময়ের স্বল্পতার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি সকলকে বলেন, আমাদের আলোচনা যে কোনোভাবে ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে শেষ করতে হবে। আলোচনা শেষ করার মাধ্যমে এই প্রক্রিয়া শেষ করার পরবর্তী ধাপে অগ্রসর হতে চাই। এক্ষেত্রে জানিয়ে রাখি, ১০টি বিষয়ে আমরা একধরনের ঐকমত্যে পৌঁছেছি, কিছু কিছু ক্ষেত্রে নোট অফ ডিসেন্ট আছে এবং সাতটি বিষয়ে আলোচনা হয়েছে কিন্তু তা অসমাপ্ত রয়েছে। এবং তিনটি বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোন আলোচনা হয়নি।

আজকের আলোচ্য সূচীতে পূর্বের আলোচিত দুটি অসমাপ্ত বিষয় ও পাশাপাশি একটি নতুন বিষয়কে রাখা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, জাতীয় সনদে স্বাক্ষর করার লক্ষ্যকে সামনে রেখে আমরা অত্যন্ত সুস্পষ্ট ভাবে আলোচনা করতে চাই, যেন প্রক্রিয়াটাকে নিয়ে সমাপ্তির দিকে অগ্রসর হতে পারি।

উল্লেখ্য, আজকের বৈঠকে রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি, নাগরিকের মৌলিক অধিকার সম্প্রসারণের প্রস্তাব, পুলিশ বাহিনীর পেশাদারিত্ব ও দায়বদ্ধতা নিশ্চিতের লক্ষ্যে ‘স্বাধীন পুলিশ কমিশন’ গঠনের প্রস্তাবের বিষয়ে আলোচনা হবে।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সাথে আজকের আলোচনায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), গণঅধিকার পরিষদ, গণসংহতি, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টি-সহ ৩০টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিগণ অংশগ্রহণ করছেন।

এ আলোচনায় কমিশনের সদস্য হিসেবে বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, ড. মো. আইয়ুব মিয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার উপস্থিত রয়েছেন।

কমিশন সূত্রে জানা গেছে, জুলাই সনদ দ্রুত প্রণয়নের লক্ষ্যে রাষ্ট্রের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অমীমাংসিত সকল বিষয়ে ঐকমত্য গড়তে আগামী কিছুদিন কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর আলোচনা চলমান থাকবে।


বাকৃবিতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের জন্য ‘বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ’ কোর্সের উদ্বোধন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাকৃবি প্রতিনিধি

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) অর্থায়নে এবং গ্র্যাজুয়েট ট্রেনিং ইনস্টিটিউট (জিটিআই) এর ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) “বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের জন্য বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ” শীর্ষক ৩২তম কোর্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রবিবার (২৭ জুলাই) সকাল সাড়ে ৯ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জিটিআই শ্রেণিকক্ষে এ কোর্সের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. জি.এম. মুজিবর রহমান এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল হক।

জিটিআই এর পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে ও প্রভাষক আইরিন আক্তারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিনিয়র কোর্স কো-অর্ডিনেটর অধ্যাপক ড. বেনতুল মাওয়া।

এ ছাড়াও বক্তব্য রাখেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. হুমায়ুন কবির, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল আলীম এবং বাউরেস পরিচালক অধ্যাপক ড. মো: হাম্মাদুর রহমান।

অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ড. মো: নজরুল ইসলাম, আইসিটি সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো: রোস্তম আলী, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন শাখার সহযোগী পরিচালক অধ্যাপক ড. দীন ইসলাম, অধ্যাপক ড. মোছা: জান্নাতুন নাহার মুক্তা, চিফ মেডিক্যাল অফিসার ডা: মো: সাইদুর রহমান, ক্রীড়া প্রশিক্ষণ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক কৃষিবিদ মো: আসাদুল হক, জনসংযোগ ও প্রকাশনা দফতরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মোহাম্মদ তৌফিকুল ইসলাম এবং চিফ মেডিক্যাল অফিসার (প্রতিষেধক) ডা: মো: শাহাদাৎ হোসেন প্রমুখ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. জি.এম. মুজিবুর রহমান বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আগত প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারী শিক্ষকবৃন্দকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়ে তাঁদের পেশাগত উৎকর্ষ সাধনে এই প্রশিক্ষণের গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি বলেন, শিক্ষকতা শুধু ক্লাসরুমেই নয় বরং এটি আরও ব্যাপ্তিময়। এই প্রশিক্ষণ অংশগ্রহণকারীদের জীবনে খুবই সহায়ক হবে বিধায় নিয়মানুবর্তিতা ও মনোযোগের সঙ্গে এটি সম্পন্ন করার পরামর্শ দেন।

তিনি ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ ও ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানের চেতনা ধারণ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “১৯৭১ ও ২০২৪ দুটোই আমাদের গর্বের জায়গা। ২০২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানের চেতনা ধারণ করতে না পারলে জাতি হিসেবে আমরা এগুতে পারব না।” এজন্য জিটিআই কর্তৃপক্ষকে প্রশিক্ষণের মডিউলে ২০২৪ সালের গণচেতনা সংযোজনের পরামর্শ দেন।

উল্লেখ্য, ২৭ জুলাই থেকে শুরু হয়ে ২৮ আগস্ট পর্যন্ত ৩৩ দিনব্যাপী চলা এ প্রশিক্ষণে ১৮টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বমোট ২৫ জন শিক্ষক অংশগ্রহণ করছেন।


ফিলিস্তিন সম্মেলনে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্রে গেলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

ফিলিস্তিন সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধানে জাতিসংঘ সদরদপ্তরে আয়োজিত আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশ নিতে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। রোববার সকালে তিনি ঢাকা ত্যাগ করেন।

‘হাই-লেভেল ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স ফর দ্য পিসফুল সেটলমেন্ট অব দ্য কোয়েশ্চন অব প্যালেস্টাইন অ্যান্ড দ্য ইমপ্লিমেন্টেশন অব দ্য টু-স্টেট সলিউশন’ শীর্ষক সম্মেলন চলবে ২৮ ও ২৯ জুলাই। এটি মন্ত্রিপর্যায়ের অনুষ্ঠিত হবে।

ফ্রান্স এবং সৌদি আরব যৌথভাবে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের এ/আরইএস/৭৯/৮১ রেজ্যুলেশনের (ডিসেম্বর ২০২৪) আলোকে এই সম্মেলনের আয়োজন করছে।

সম্মেলনের পাশপাশি তৌহিদ হোসেন বিভিন্ন দেশের মন্ত্রী এবং জাতিসংঘের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গেও বৈঠক করবেন। এসব বৈঠকে গাজায় ক্রমবর্ধমান মানবিক ও রাজনৈতিক সংকটের প্রেক্ষাপটে দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের অগ্রগতির বিষয়ে আলোচনা হবে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, উপদেষ্টা তৌহিদ আগামী ১ আগস্ট ভোরে দেশে ফিরবেন।

শনিবার মন্ত্রণালয়ের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বাসস’কে বলেন, উপদেষ্টা ফিলিস্তিনি জনগণের অধিকার এবং কার্যকর দ্বি-রাষ্ট্র বাস্তবায়নের জন্য বাংলাদেশের অটল সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করবেন।

তিনি আরো জানান, বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক আইন, জাতিসংঘ সনদ, নিরাপত্তা পরিষদ ও সাধারণ পরিষদের প্রাসঙ্গিক প্রস্তাবনার প্রতি অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করবে।

পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্যে টেকসই শান্তির লক্ষ্যে একটি বিশ্বাসযোগ্য ও সময়সীমা নির্ধারিত রোডম্যাপ
প্রণয়নের আহ্বান জানাবে বলেও জানান ওই কর্মকর্তা।

জাতিসংঘের এই সম্মেলনকে গাজা শাসনব্যবস্থা, বাধাহীন মানবিক সহায়তা নিশ্চিতকরণ এবং ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতির পক্ষে বৈশ্বিক ঐকমত্য তৈরির গুরুত্বপূর্ণ প্রচেষ্টা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ সবসময় আন্তর্জাতিক ফোরামে ফিলিস্তিনের পক্ষে দৃঢ় সমর্থন জানিয়ে আসছে। ১৯৮৮ সালে স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়ার পর প্রথম দিকের দেশ হিসেবে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেয় বাংলাদেশ।


পতন দিয়ে লেনদেন শুরু পুঁজিবাজারে

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে পুঁজিবাজারে লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় সূচকের পতন হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের বাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১৫ পয়েন্ট।

বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১ এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস--৩০ কমেছে ১৪ পয়েন্ট।

ঢাকার বাজারে ১৪৭ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭১টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৫টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।

ডিএসইতে দুই ঘণ্টায় লেনদেন ছাড়িয়েছে ৪৭০ কোটি টাকা।

অন্যদিকে, ঢাকার মতোই সূচকের পতন হয়েছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই), সার্বিক সূচক কমেছে ২ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৬৪টি কোম্পানির মধ্যে ৬৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৮টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ২৭টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।

দিনের প্রথমভাগে সিএসইতে ৬ কোটি ৫০ লাখ টাকার ওপরে শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।


মেহেরপুরে সপ্তাহব্যাপী বৃক্ষমেলার উদ্বোধন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
 মেহেরপুর জেলা প্রতিনিধি

“পরিকল্পিত বনায়ন করি, সবুজ বাংলাদেশ গড়ি”—এই স্লোগানকে সামনে রেখে মেহেরপুরে শুরু হয়েছে সপ্তাহব্যাপী বৃক্ষমেলা। জেলা প্রশাসন ও বন বিভাগের যৌথ উদ্যোগে সোমবার (২৭ জুলাই) সকালে জেলা শিল্পকলা একাডেমির সামনে থেকে এক বর্ণাঢ্য র‍্যালির মাধ্যমে মেলার সূচনা হয়।

র‌্যালিটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে ফিতা কেটে বৃক্ষমেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক সিফাত মেহনাজ। পরে জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয় এক আলোচনা সভা।

বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ রেজাউল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক সিফাত মেহনাজ। আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকারের ভারপ্রাপ্ত উপপরিচালক মোঃ তরিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আবদুল করিম, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ খায়রুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট শেখ তৌহিদুল কবীর, জেলা শিক্ষা অফিসার হজরত আলী এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক এ জে এম সিরাজুম মুনীর।

বৃক্ষমেলায় ফলজ, বনজ ও ঔষধি প্রজাতির বিভিন্ন গাছের চারা নিয়ে ১৭টি স্টল অংশগ্রহণ করে। মেলাস্থলে বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন জেলা প্রশাসকসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।


নির্বাচনে স্থানীয় পর্যবেক্ষক সংস্থা হিসেবে নিবন্ধনের জন্য আবেদন আহ্বান

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

স্থানীয় পর্যবেক্ষক সংস্থা হিসেবে নিবন্ধনের জন্য আবেদন আহ্বান করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

‘নির্বাচন পর্যবেক্ষণ নীতিমালা ২০২৫’ অনুযায়ী নির্ধারিত ফরম পূরণ করে যোগ্যতা সম্পন্ন বেসরকারি সংস্থাগুলোকে আগামী ১০ আগস্টের মধ্যে ইসির সিনিয়র সচিব বরাবর আবেদন করতে বলা হয়েছে।

আজ রোববার নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের পরিচালক (জনসংযোগ) মো. শরিফুল আলম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নির্বাচন পর্যবেক্ষণ নীতিমালা-২০২৫ অনুসারে স্থানীয় পর্যবেক্ষক সংস্থা হিসেবে নিবন্ধনে আগ্রহী যোগ্যতাসম্পন্ন বেসরকারি সংস্থাগুলোর কাছ থেকে আবেদন আহ্বান করা হয়েছে। নিবন্ধিত সংস্থাগুলো পাঁচ বছরের জন্য জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন নির্বাচন পর্যবেক্ষণের সুযোগ পাবে।

আগ্রহী সংস্থাগুলোকে নির্ধারিত ফরম (ইও-১) পূরণ করে ১০ আগস্ট বিকেল ৫টার মধ্যে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব বরাবর আবেদন জমা দিতে হবে। আবেদন ফরম পাওয়া যাবে নির্বাচন কমিশনের জনসংযোগ শাখা (কক্ষ নং-১০৫) এবং ইসির ওয়েবসাইটে (www.ecs.gov.bd)|

পর্যবেক্ষক সংস্থা হিসেবে আবেদনের জন্য যেসব যোগ্যতা থাকতে হবে তা হলো - আবেদনকারী সংস্থাকে অবশ্যই বাংলাদেশের কোনো আইনের অধীনে নিবন্ধিত হতে হবে এবং গণতন্ত্র, সুশাসন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করতে হবে। সংস্থার গঠনতন্ত্রে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিয়ে নাগরিকদের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে কাজ করার অঙ্গীকার থাকতে হবে।

নিবন্ধনের জন্য সংস্থার প্রধান নির্বাহী কিংবা পরিচালনা পর্ষদের কোনো সদস্য যদি সরাসরি কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত থাকেন বা নিবন্ধন পেতে আবেদন করা সময়ের মধ্যে নির্বাচনে প্রার্থী হতে আগ্রহী হন, তবে সেই সংস্থা নিবন্ধনের যোগ্য হিসেবে বিবেচিত হবে না। এ বিষয়ে আবেদনকারী সংস্থার প্রধান নির্বাহী কিংবা পরিচালনা পর্ষদের কোনো সদস্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয় মর্মে আবেদনের সাথে লিখিত হলফনামা জমা দিতে হবে।

স্থানীয় পর্যবেক্ষক সংস্থা হিসেবে নিবন্ধন পেতে আবেদনকারী কোনো সংস্থার নাম যদি জাতীয় কিংবা আন্তর্জাতিক বা আঞ্চলিক কোনো প্রতিষ্ঠানের নামের সঙ্গে হুবহু বা কাছাকাছি মিল থাকে এবং তা যদি সাধারণ মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করে তবে সে সংস্থাকে নিবন্ধনের অনুপযুক্ত হিসেবে বিবেচনা করা হবে। আন্তর্জাতিক বা আঞ্চলিক কোনো সংস্থার নামে মিল থাকলে সংশ্লিষ্ট সংস্থার লিখিত অনাপত্তিপত্র আবেদনের সঙ্গে জমা দিতে হবে।

আবেদনের সঙ্গে সংস্থার গঠনতন্ত্র ও বর্তমান ট্রাস্টি বোর্ড বা পরিচালনা পর্ষদ বা কার্যনির্বাহী কমিটির তালিকা জমা দিতে হবে যা নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনুমোদিত। নিবন্ধন সার্টিফিকেটের সত্যায়িত কপি (প্রথম শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তা কর্তৃক), নিবন্ধিত অফিসের নাম ও ঠিকানা, নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের অনুমোদিত কার্যাবলীর তালিকা, শেষ দুই বছরের বার্ষিক প্রতিবেদন এবং কোনো দেশি বা আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে সম্পর্ক থাকলে সংশ্লিষ্ট সংস্থার অনাপত্তিপত্র দাখিল করতে হবে।


জাহাজ ভাঙা শিল্পে আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: উপদেষ্টা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

জাহাজ ভাঙা শিল্পে আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখার ব্যাপারে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে জানিয়েছেন নৌ ও শ্রম উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।

শনিবার (২৬ জুলাই) চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি ইউনিয়নের শীতলপুরস্থ কবির স্টিল (কেএসআরএম) শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ডের জাহাজ পুনর্প্রক্রিয়াজাত কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

নৌ পরিবহন উপদেষ্টা বলেন, হংকং কনভেনশন অনুসরণ করায় চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার ১৬টি শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ড গ্রিন শিপইয়ার্ড সনদ পেয়েছে। পাইপলাইনে আছে আরও কয়েকটি।

যারা শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ড গ্রিন সনদ নিতে পারেনি তাদের ব্যবসা গুটিয়ে নিতে হবে বলেও এ সময় হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

তিনি বলেন, বেশিরভাগ ইয়ার্ড এখনও নিয়মনীতি অনুসরণ করতে পারেনি। বিষয়টি সহজ করতে সরকার সহযোগিতা করবে বলেও ব‍্যবসায়ীদের আশ্বস্ত করেন উপদেষ্টা।

পরিবেশ সংরক্ষণের ওপর গুরুত্ব দিয়ে উপদেষ্টা বলেন, জাহাজ ভাঙা খাতে আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখায় সরকার দৃঢ় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এ শিল্পে কর্মরত শ্রমিকদের জন্য আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন নিরাপত্তা ও কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করার নির্দেশও দেন তিনি।

ড. সাখাওয়াত আরও জানান, শিপিং খাতের সক্ষমতা বাড়াতে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের জন্য তিনটি নতুন জাহাজ সংগ্রহ করবে সরকার, যা রাজস্ব বৃদ্ধিতেও সহায়ক হবে।

পরে তিনি বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিও পরিদর্শন করেন।

এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফখরুল ইসলাম, বাংলাদেশ শিপ ব্রেকিং অ্যাসোসিয়েশনের ভারপ্রাপ্ত সচিব নাজমুল ইসলাম, কেএসআরএমের ডিএমডি মো. করিম উদ্দিন, সারোয়ার জাহান, ডিরেক্টর আব্দুল করিম, সিইও মো. মেহেরুল করিমসহ নৌবাহিনী অফিসাররা।


মাইলস্টোন ট্রাজেডি, ভোলায় চিরনিদ্রায় শায়িত মাসুমা

আপডেটেড ২৭ জুলাই, ২০২৫ ১২:০২
ভোলা প্রতিনিধি

ইউসুফ হোসেন অনিক,ভোলা: রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহত অফিস সহকারী মাসুমা বেগমকে (৩৮) ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার বড়মানিকা ইউনিয়নের কুড়ালিয়া গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়েছে।

রবিবার (২৬ জুলাই) সকাল ৯টায় বোরহানউদ্দিন উপজেলার কুড়ালিয়া গ্রামে জানাযা নামাজ শেষে রুন্দি বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। নিহত মাসুমা ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার কুড়ালিয়া গ্রামের সেলিম রুন্দির স্ত্রী। তিনি মাইলস্টোন স্কুলের অফিস সহকারী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের দিন তিনি বাচ্চাদের উদ্ধার করতে যেয়ে আগুনে দগ্ধ হন।

এরআগে, গতকাল সকাল সাড়ে ১০টায় জাতীয় বার্ন ও সার্জারী ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) তে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় মারা যান তিনি। গতকাল মধ্যরাতে মাসুমা বেগমের মরদেহ বহনকারী গাড়িটি কুড়ালিয়া গ্রামে আসে। মরদেহ বহনকারী গাড়িটি গ্রামে আসলে স্বজনদের আর্তনাদে পুরো এলাকার আকাশ-বাতাস ভাড়ী হয়ে ওঠে। মাসুমার মৃত্যুর খবরে পুরো গ্রামে নেমে আসে শোকের ছায়া।

মাসুমার স্বামী সেলিম সকলের কাছে দোয়া চেয়েছেন। সেলিম জানান, দুর্ঘটনার দিন মাসুমা মাইলস্টোন স্কুল এন্ড কলেজে কর্মরত ছিলেন। আমরা খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে গিয়ে জানতে পারি আগুন দগ্ধ হয়ে তার শরীরে ৯০ শতাংশ পুরে গিয়েছে। এরপর টানা ৫ দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থেকে গতকাল দুটি সন্তান ও আমাদের রেখে চলে গেছেন। এখন সবই স্মৃতি।

তিনি আরও জানান, ঘটনার দিন স্কুলটি ছুটি হওয়ার পর মাসুমা বাচ্চাদের নিয়ে বের হচ্ছিলেন। এমন সময় দুর্ঘটনাটি ঘটে। ইচ্ছে করলে সে বাহিরে এসে নিজের জীবন রক্ষা করতে পারতেন। কিন্তু আমাদেরও বাচ্চা আছে সেই চিন্তা থেকে অন্য বাচ্চাদের বাঁচাতে গিয়ে মাসুমা আগুনে দগ্ধ হন।

এদিন সকালের বৃষ্টি উপেক্ষা করে বোরহানউদ্দিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রায়হান-উজ্জামান সহ স্থানীয় রাজনৈতিক, সামাজিক ও সকল ধর্মপ্রান মুসল্লিরা মাসুমার জানাযা নামাজে অংশগ্রহণ করেন।

মাসুমার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন ভোলা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মো: হাফিজ ইব্রাহিম। এসময় তিনি মাসুমার পরিবারের পাশে থেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতার কথা জানিয়েছেন।


গাজীপুরে মহাসড়ক অবরোধ করে শ্রমিকদের বিক্ষোভ, পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

গাজীপুরের শ্রীপুরে বকেয়া বেতনসহ ১০ দফা দাবিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন আরএকে সিরামিক কারখানার শ্রমিকরা। এ সময় পুলিশ তাদের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে বাধা দিলে তাদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় শ্রমিকরা।

রবিবার (২৭ জুলাই) সকাল ৭টার দিকে উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের জৈনা বাজার এলাকায় অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন কারখানার কয়েক শ’ শ্রমিক।

সকাল সোয়া ৯টার দিকে এই প্রতিবেদন লেখার সময়ও বিক্ষোভ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়া অব্যাহত ছিল। এ ঘটনায় মহাসড়কের দুপাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিক্ষাভরত শ্রমিকদের মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দিতে গেলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে তাদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়।বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে।

শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহম্মদ আব্দুল বারিক বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে থানা ও শিল্প পুলিশের বহু সদস্য এসে শ্রমিকদের বুঝিয়ে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু শ্রমিকেরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়া শুরু করে। তাদের সরাতে টিয়ার গ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করা হয়েছে।’


banner close