শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫
৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি ও নির্বাচন নিয়ে মার্কিন কংগ্রেসে আলোচনা

দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত : ১৮ আগস্ট, ২০২৩ ২১:৩৫

বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের সব ঘটনা তদন্ত করে সরকার নিরপেক্ষ ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ না করা পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের চলমান নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা উচিত হবে না বলে মনে করেন মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের টম ল্যানটস হিউম্যান রাইটস কমিশনের প্যানেল বক্তারা।

গত মঙ্গলবার ‘হিউম্যান রাইটস ইন বাংলাদেশ: অ্যান আপডেট’ শীর্ষক ভার্চুয়াল এই ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিনিধি পরিষদের এই সংস্থা আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের প্রচার, সুরক্ষা ও সমর্থনে কাজ করে।

১৫ আগস্ট কমিশনের এক ব্রিফিংয়ে প্যানেল বক্তারা বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি, মানবাধিকার কর্মীসহ বিরোধীদের ওপর দমন-পীড়নের অভিযোগ এবং আগামী নির্বাচন নিয়ে কথা বলেন। এসব বিষয়ে তারা যুক্তরাষ্ট্রের আরও জোরালো ভূমিকা প্রত্যাশা করেন।

ব্রিফিংয়ের আয়োজক কংগ্রেসের ডেমোক্র্যাট সদস্য জেমস পি ম্যাকগভর্ন ও রিপাবলিকান সদস্য ক্রিস্টোফার এইচ স্মিথ। তারা এই কমিশনের কো-চেয়ারম্যান। ব্রিফিংয়ের সঞ্চালনায় ছিলেন লাইব্রেরি অব কংগ্রেসের বিদেশি আইনবিশেষজ্ঞ তারিক আহমেদ।

জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে অনুষ্ঠিত এই ব্রিফিংয়ে প্যানেল আলোচক হিসেবে ছিলেন এশিয়ান হিউম্যান রাইটস কমিশন অ্যান্ড এশিয়ান লিগ্যাল রিসোর্স সেন্টারের লিয়াজোঁ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান, রবার্ট এফ কেনেডি হিউম্যান রাইটসের ফেলো ক্রিস্টি উয়েদা, হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এশিয়াবিষয়ক জ্যেষ্ঠ গবেষক জুলিয়া ব্ল্যাকনার ও যুক্তরাষ্ট্রের ইনস্টিটিউট অব পিসের সাউথ এশিয়া প্রোগ্রামসের ভিজিটিং এক্সপার্ট জেফ্রি ম্যাকডোনাল্ড।

ব্রিফিংয়ের শুরুতেই সঞ্চালক তারিক আহমেদ বলেন, বিশ্ব ব্যাংক বাংলাদেশকে প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের একটি অনুপ্রেরণাদায়ক গল্প হিসেবে বর্ণনা করেছে। বিশ্বব্যাংকের তথ্য মতে, দেশটি রেকর্ড সময়ের মধ্যে দারিদ্র্য কমিয়েছে। চার দশকের মধ্যে নিম্নমধ্যম আয়ের দেশের মর্যাদা অর্জন করেছে। অর্থনৈতিক সাফল্যের পরও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে ক্ষমতার ক্রমবর্ধমান কেন্দ্রীভূতকরণ নিয়ে বিশেষজ্ঞরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। শেখ হাসিনা ১৪ বছর ধরে ক্ষমতায় আছেন। বিশেষজ্ঞসহ আন্তর্জাতিক দেশীয় মানবাধিকার সংস্থাগুলো গত এক দশকে দেশটির মানবাধিকার পরিস্থিতির অবনতি এবং গণতান্ত্রিক পশ্চাদপসরণের কথা সামনে এনেছে। তারা বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, গুম, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা খর্ব, সাংবাদিক-ব্লগারদের নিপীড়নসহ বাকস্বাধীনতা ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ওপর বিধিনিষেধ, ইন্টারনেটের স্বাধীনতা সীমিত করার ঘটনা নথিভুক্ত করেছেন। দেশটিতে সাংবাদিক, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারী, ব্লগারদের গ্রেপ্তার- বিচারে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ব্যবহার বিশেষভাবে উদ্বেগ তৈরি করেছে।

ব্রিফিংয়ে লিখিত বক্তব্যে এশিয়ান হিউম্যান রাইটস কমিশন অ্যান্ড এশিয়ান লিগ্যাল রিসোর্স সেন্টারের লিয়াজোঁ কর্মকর্তা আশরাফুজ্জামান বলেন, বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি আগের মতোই অত্যন্ত উদ্বেগজনক পর্যায়ে রয়েছে। যদিও র‍্যাব ও এর শীর্ষ কর্মকর্তাদের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় একটা তাৎপর্যপূর্ণ প্রভাব দেখা গেছে। র‍্যাবের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার পর বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কমেছে।

আশরাফুজ্জামান বলেন, পরিসংখ্যান বলছে, এই নিষেধাজ্ঞা অনেক জীবন বাঁচাতে সহায়ক হয়েছে। বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচন আসন্ন। জনগণ ভোট দিতে উন্মুখ। কিন্তু একটি বিশ্বাসযোগ্য, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়কে সরকার কঠিন করে তুলেছে। বাংলাদেশিদের যে মূল্য গুনতে হচ্ছে, তার মাত্রা কমিয়ে আনতে হিউম্যান রাইটস কমিশনকে পূর্ণ শক্তি ব্যবহারের আহ্বান জানান তিনি।

রবার্ট এফ কেনেডি হিউম্যান রাইটসের ফেলো ক্রিস্টি উয়েদা তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে যেমনটা দেখা গিয়েছিল, ঠিক তেমনি ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় নির্বাচন সামনে রেখে বাংলাদেশ সরকার নাগরিক অধিকার সংকুচিত করে চলেছে। তারা সুশীল সমাজের প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠন, মানবাধিকার কর্মী, সাংবাদিক ও সরকারের সমালোচকদের নিশানা করেছে। এসব মানুষ ও তাদের পরিবারের সদস্যরা প্রতিহিংসামূলকভাবে গ্রেপ্তার, হয়রানি ও ভীতির শিকার হচ্ছেন। মতপ্রকাশ ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ক্রমাগত সংকুচিত হচ্ছে।

ক্রিস্টি উয়েদা বলেন, বাংলাদেশ সরকার নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং দারিদ্র্যবিমোচনে তার কাজকে আক্রমণ-অসম্মান অব্যাহত রেখেছে। সরকার সংগঠন ও শান্তিপূর্ণ সমাবেশের স্বাধীনতা মারাত্মকভাবে খর্ব করেছে। মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাগুলো তদন্তে বাংলাদেশ সরকার নিরপেক্ষ ও কার্যকর জবাবদিহিমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ না করা পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের চলমান নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা উচিত হবে না। বরং একই ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘনে জড়িত অন্যান্য বাহিনীর বিরুদ্ধে নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়টি বিবেচনায় আনা উচিত। আগামী জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে গণতন্ত্রকে কার্যকর করতে নাগরিক স্বাধীনতার সুযোগ করে দেয়ার ব্যাপারটিতে যুক্তরাষ্ট্রকে আরও গুরুত্ব দিতে হবে।

হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এশিয়াবিষয়ক জ্যেষ্ঠ গবেষক জুলিয়া ব্ল্যাকনার বলেন, বাংলাদেশে মানবাধিকার রক্ষা ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ নিশ্চিতে যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপের একটি তাৎপর্যপূর্ণ প্রভাব তৈরি হয়েছে। নিষেধাজ্ঞার ফলে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ও গুম তাৎক্ষণিকভাবে কমে এসেছে। কিন্তু এখনো লোকজনকে তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, বেআইনিভাবে আটকে রাখা হচ্ছে। পরে মুক্তি দেয়া হচ্ছে বা আদালতে হাজির করা হচ্ছে। কারা হেফাজতে নির্যাতনের কথাও শোনা যাচ্ছে।

জুলিয়া বলেন, নিষেধাজ্ঞার পর বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড এবং গুম কমে যাওয়া এই বার্তা দিচ্ছে যে বাংলাদেশ সরকার চাইলে মানবাধিকার লঙ্ঘন বন্ধ করতে পারে। গণতন্ত্র সম্মেলনে বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানায়নি যুক্তরাষ্ট্র। গত মে মাসে যুক্তরাষ্ট্র ঘোষণা দিয়েছে, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ক্ষুণ্নকারী বাংলাদেশিদের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেয়া হবে। তবে দেশটিতে জাতীয় নির্বাচন ঘনিয়ে আসায় সহিংসতা বাড়তে দেখা যাচ্ছে। বাড়ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নির্যাতন। বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ বলে যে দাবি করছে, তা বিশ্বাস না করতে কংগ্রেসের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

জেফ্রি ম্যাকডোনাল্ড বলেন, ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে বাংলাদেশে যে জাতীয় নির্বাচন হতে যাচ্ছে, তা হবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অনেক বাংলাদেশি এবং আন্তর্জাতিক বিশ্লেষক দেশটির সর্বশেষ দুটি জাতীয় নির্বাচন (২০১৪ ও ২০১৮ সালের) খুবই ত্রুটিপূর্ণ, সহিংসতাপূর্ণ ও অনিয়মে ভরা ছিল বলে মনে করেন। যে দলই জয়লাভ করুক না কেন, রাজনৈতিক ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনা, জনপ্রতিনিধিত্বমূলক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি বাংলাদেশের মানুষের বিশ্বাস পুনরুদ্ধারে সে দেশে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দরকার।


নির্বাচনকালীন আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সব প্রস্তুতি আছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

নির্বাচনকালীন প্রস্তুতি নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনের জন্য যে তারিখই নির্ধারণ করুক আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সব প্রস্তুতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আছে।

আজ শনিবার র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) হেডকোয়ার্টার পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘নির্বাচনকালীন সময়ে ছোটখাটো ঘটনা ঘটবেই। তবে এসব ঘটনাকে কেন্দ্র করে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নেই এমন কথা বলা যাবে না।’

দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, আগের তুলনায় দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অনেক ভালো। এবার কোরবানির ঈদে ছোটখাটো চুরি বা ছিনতাই ছাড়া বড় কোনো ঘটনা ঘটেনি।

ঈদ যাত্রা থেকে শুরু করে সামগ্রিক যানজট পরিস্থিতি প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, ‘একটি দেশে রাস্তা থাকার কথা ২০ শতাংশ, সেখানে রাস্তা আছে ৭ শতাংশ। তার ওপরে দিন দিন যানবাহনের সংখ্যা বাড়ছে। এজন্য যানজট নিরসন বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।’

এর আগে সকালে উত্তরায় আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) হেডকোয়ার্টার পরিদর্শন শেষে পুলিশের হাতে মরণাস্ত্র না দেয়ার ব্যাপারে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, পুলিশের একেক অংশের হাতিয়ারের চাহিদা একেক রকমের। চাহিদা অনুযায়ী তা সরবরাহ করা হবে। আর্মড পুলিশের হাতিয়ারের সঙ্গে নৌ পুলিশের মিল নেই, আবার নৌ পুলিশের সঙ্গে শিল্প পুলিশের মিল নেই। সবদিক বিবেচনা করে প্রয়োজনমাফিক হাতিয়ার সরবরাহ করা হবে।

তবে পুলিশের হাতে ভারী অস্ত্র দেয়া থেকে সরকার বিরত থাকবে বলে জানিয়েছেন এ উপদেষ্টা।


১০ দিনের ছুটি শেষে রবিবার খুলছে অফিস

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

ঈদুল আজহা উপলক্ষে ১০ দিনের ছুটি শেষে রবিবার খুলছে দেশের সব সরকারি অফিস, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান।

গত ৭ জুন দেশে মুসলিমদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হয়। ঈদুল আজহার আগে গত ৪ জুন ছিল সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শেষ কর্মদিবস।

সেই হিসেবে ৫ থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত টানা ১০ দিনের ছুটি কাটাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা।

যেসব সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী দূর-দূরান্তে ঈদ উদযাপন করতে গেছেন তারা শনিবারের মধ্যেই রাজধানীতে এসে পৌঁছাবেন। তবে রাজধানী এখনো তার পুরোনো রূপে ফেরেনি।

ঈদুল আজহা উপলক্ষে প্রথমে ৫ থেকে ১০ জুন পর্যন্ত ছয় দিন ছুটি দিয়েছিল সরকার। পরে ১১ ও ১২ জুন (বুধ ও বৃহস্পতিবার) নির্বাহী আদেশের ছুটি ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এতে এবার ঈদুল আজহায় ৫ থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত টানা ১০ দিনের ছুটি পেয়েছেন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

উল্লেখ্য, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ঈদের বর্ধিত ছুটি দিতে গত মে মাসের সাপ্তাহিক ছুটির দিনের দুই শনিবার (১৭ ও ২৪ মে) কর্মদিবস হিসেবে সরকারি অফিসসমূহ খোলা রেখেছিল সরকার।


পটুয়াখালীর  দশমিনায় ও গলাচিপায় ১৪৪ ধারার আদেশ অব্যাহত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
পটুয়াখালী প্রতিনিধি

পটুয়াখালীর দশমিনা ও গলাচিপায় বিএনপি এবং গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করায় ১৪৪ ধারার আদেশ অব্যাহত রয়েছে।

আগামীকাল রোববার সকাল আটটা পর্যন্ত দশমিনা উপজেলার দশমিনা সদর ইউনিয়ন ও বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়ন এবং গলাচিপা পৌর শহর ও তার আশপাশের এলাকায় এ আদেশ বলবৎ থাকবে। গতকাল এ দুই উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাগন এ আদেশ জারি করেন এবং মাইকিং এর মাধ্যমে তা জনসাধারণকে জানিয়ে দেয়া হয়। এ আদেশ চলাকালীন সময় সকল ধরনের সভা, সমাবেশ, বিক্ষোভ মিছিল, গণজমায়েত, বিস্ফোরক দ্রব্য ও সকল প্রকার দেশীয় অস্ত্র বহন বন্ধ থাকবে। এছাড়া একসঙ্গে ৫ বা ততোধিক ব্যক্তির অবস্থান কিংবা চলাচল সম্পূর্ন নিষেধ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার রাত দশটায় গলাচিপার পাতাবুনিয়া গ্রামে গণঅধিকার পরিষদ সভাপতি নুরুল হক নুরকে অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগ এবং রাত আটটার দিকে চরবিশ্বাস বাজারে বিএনপি ও গন অধিকার পরিষদ নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ এবং বিএনপি কার্যালয় ভাংচুরের ঘটনা ঘটে।


ঈদের দীর্ঘ ছুটি কাটিয়ে ঢাকায় ফিরছে মানুষ

প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ উদযাপন শেষে ঢাকা ফিরছেন রাজধানীবাসী। ছবিটি কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে তোলা । ছবি: ফোকাস বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ঈদুল আজহার টানা দীর্ঘ ছুটি শেষ। ১০ দিনের ছুটি শেষ হচ্ছে আজ। কাল রোববার থেকে খুলছে সরকারি-আধা সরকারিসহ বেসরকারি প্রায় সব অফিস। ব্যাংক পাড়াও খুলছে কাল। ফলে ছুটি শেষে কাল থেকে শহরের কর্মজীবন আবারও শুরু হচ্ছে।

তাই তো গতকাল শুক্রবার শহরের ট্রেন স্টেশন, লঞ্চ ঘাট ও বাস টার্মিনালে ফিরতি মানুষের চাপ লক্ষ্য করা গেছে। অন্যদিকে বেসরকারি অনেক প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা ঈদে ছুটি না পাওয়ায় অনেকেই প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে এখন ঢাকা ছাড়তে দেখা গেছে।

গতকাল শুক্রবার গাবতলী বাস টার্মিনাল ও আমিনবাজার এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, রাজধানীতে বাসে প্রবেশ ও প্রস্থান—দুই দিকেই যাত্রীর সংখ্যা প্রায় সমান। গতকাল ভোর ও রাতে কিছুটা চাপ থাকলেও সারাদিনে পরিস্থিতি ছিল স্বাভাবিক। বেশ কয়েকটি বাস কাউন্টারে গিয়ে দেখা যায়, যাত্রীদের তেমন ভিড় নেই। বেশির ভাগ বাসেই যাত্রী অর্ধেকের মতো। কাউন্টার মাস্টাররা বলছেন, অনেকে এখনও ঢাকার বাইরে যাচ্ছেন, আবার ফিরেও আসছেন অনেকে।

গাবতলী বাস টার্মিনালে প্রবেশের শুরুতেই থাকা হানিফ এন্টারপ্রাইজের কাউন্টার থেকে জানানো হয়, এখনো প্রচুর পরিমাণে লোকজন ঢাকার বাইরে যাচ্ছে। ভোরের দিকের বাসগুলোতে যাত্রীসংখ্যা একটু বেশি থাকে। এরপর সকাল দশটা থেকে মোটামুটি বিকাল পর্যন্ত যাত্রীর চাপ একটু কম থাকে। তবে বিকাল-সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্তর গাড়িগুলোতে ঈদের ছাড়া স্বাভাবিক দিনগুলোর মতোই যাত্রী আছে।

এছাড়া দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে গাবতলী বাস টার্মিনালের সামনে সড়ক থেকে নির্দিষ্ট সময় পর পর বাসগুলো ছেড়ে যাচ্ছে। ৪০/৪৫ সিটের বাসগুলোতে ১৫-২০ জন করে যাত্রী রয়েছেন।

এদিকে কমলাপুর রেলস্টেশনে রেলওয়ের তথ্যমতে শুক্রবার ফিরতি যাত্রার ছিল চতুর্থ দিন। এদিন সকাল থেকে কমলাপুর রেলস্টেশনে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ছেড়ে আসা ট্রেনের যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে।

যাত্রীদের বেশিরভাগই পরিবারের সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে গ্রামে গিয়েছিলেন। ঈদ উদযাপন শেষে তারা কর্মস্থলে ফিরছেন।

রেলস্টেশনে সরেজমিনে দেখা গেছে, কেউ এসেছেন সপরিবারে, কেউ একা। সবার সঙ্গে ছিল ব্যাগ, স্যুটকেস ও শিশুরা। রংপুর থেকে আসা যাত্রী সালমা আক্তার বলেন, ‘ঈদের ছুটিতে গ্রামে গিয়েছিলাম, এখন ফিরতে হচ্ছে চাকরির কারণে। ভিড় একটু বেশি, তবে নিরাপদে এসেছি।’

নীলফামারী থেকে আসা আরেক যাত্রী হাসান জামিল বলেন, ‘অফিস শুরু রোববার। কিন্তু ফিরতি টিকিট শুক্রবারেরটা পেয়েছিলাম। তাই আগেভাগেই আসতে হয়েছে।’

কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার সাজেদুল ইসলাম বলেন, ‘সকাল থেকে ১০টা আন্তঃনগর ট্রেন কমলাপুরে ঢুকেছে। সব ট্রেন সঠিক সময়ে ও নির্বিঘ্নে গন্তব্যে পৌঁছেছে।’

অন্যদিকে সদরঘাট লঞ্চঘাটেও ঢাকায় ফিরতি যাত্রীদের ভিড় দেখা গেছে। আবার অনেককেই এখন বাড়ি যেতেও দেখা গেছে।

প্রসঙ্গত, ঈদ উপলক্ষ্যে সরকারি ছুটি কাল ১৪ জুন পর্যন্ত হওয়ায় এখন পর্যন্ত রাজধানীমুখী যাত্রা রয়েছে স্বস্তিকর ও শৃঙ্খলাপূর্ণ। মানুষজন আরও দুই তিন দিন আগে থেকেই রাজধানীতে ফিরতে শুরু করেছেন। কাল রোববার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কর্ম দিবস শুরু হবে।


দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা

শনিবার সকালে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রধান উপদেষ্টাকে বহনকারী বিমানটি অবতরণ করে। ছবি: প্রধান উপদেষ্টার ফেসবুক
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

যুক্তরাজ্যে চার দিনের সরকারি সফর শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। আজ শনিবার সকালে দেশে ফেরেন তিনি।

প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বাসসকে বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা এবং তাঁর সফরসঙ্গীদের বহনকারী বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটটি আজ শনিবার সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।’

এর আগে প্রধান উপদেষ্টাকে বহনকারী ফ্লাইটটি শুক্রবার লন্ডনের স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টা ১৫ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে হিথরো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে।

অধ্যাপক ইউনূস গতকাল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠক করেন। এছাড়া তিনি সফরকালে ব্রিটিশ রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গেও একান্ত বৈঠকে মিলিত হন।

এই সফরে অধ্যাপক ইউনূস 'কিং চার্লস তৃতীয় হারমনি অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’ সম্মাননা গ্রহণ করেন। মানুষের কল্যাণে কাজ করার স্বীকৃতিস্বরূপ তাঁকে এই অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়।

চার দিনের সরকারি সফরে প্রধান উপদেষ্টা যুক্তরাজ্যের হাউস অব কমেন্সের স্পীকার ছাড়াও একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হন এবং বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন।


দেশে করোনায় দুইজনের মৃত্যু, শনাক্ত ১৫

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণে দেশে আরও দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১২ জুন) সকাল ৮টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় এসব মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া এই সময়ের মধ্যে ১৫ জনের শরীরে ভাইরাসটি শনাক্ত করা হয়েছে।

শুক্রবার (১৩ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছেন আরও ১৫ জন। এ নিয়ে দেশে করোনাভাইরাস শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৫১ হাজার ৮০০ জনে। আর মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৯ হাজার ৫০২ জনে।

এতে আরও বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৭৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ সময়ে শনাক্তের হার ছিল ৮ দশমিক ৬২ শতাংশ। মোট করোনা পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ০৫ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুহার ১ দশমিক ৪৪ শতাংশ।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন আরও তিনজন। এ নিয়ে সুস্থ হয়ে ওঠা ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ১৯ হাজার ৪০১ জনে।


রমজানের আগের সপ্তাহেও নির্বাচন হতে পারে

বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বৈঠক শেষে গণমাধ্যমে পাঠানো এক যৌথ বিবৃতিতে জানানো হয়, বৈঠকে আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সেখানে তারেক রহমানের প্রস্তাবে সম্মত হয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা গেলে ২০২৬ সালের রমজান শুরু হওয়ার আগের সপ্তাহেও নির্বাচন আয়োজন করা যেতে পারে।

আজ শুক্রবার বিকালে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে যৌথ বিবৃতিটি গণমাধ্যমে পাঠানো হয়েছে। এতে বলা হয়, ‘আজ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান লন্ডনে সফররত প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। অত্যন্ত সৌহার্দ্যমূলক পরিবেশে তাদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।’

এসময় তারেক রহমান প্রধান উপদেষ্টার কাছে আগামী বছরের রমজানের আগে নির্বাচন আয়োজনের জন্য প্রস্তাব করেন। দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াও মনে করেন ওই সময় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে ভালো হয়।

এমন প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, তিনি আগামী বছরের এপ্রিলের প্রথমার্ধের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণা দিয়েছেন। তবে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা গেলে ২০২৬ সালের রমজান শুরু হওয়ার আগের সপ্তাহেও নির্বাচন আয়োজন করা যেতে পারে। সেক্ষেত্রে সেই সময়ের মধ্যে সংস্কার ও বিচারের বিষয়ে পর্যাপ্ত অগ্রগতি‌ অর্জন করা প্রয়োজন হবে।

তারেক রহমান প্রধান উপদেষ্টার এই অবস্থানকে স্বাগত জানান এবং দলের পক্ষ থেকে তাকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। প্রধান উপদেষ্টাও তারেক রহমানকে ফলপ্রসূ আলোচনার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন।


ড. ইউনূস-তারেক রহমানের বৈঠক শেষ

লন্ডনে ড. ইউনূস-তারেকের বৈঠক শেষ হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচনের আগে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে প্রায় দুই ঘণ্টা আলোচনার পর প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যে বহুল আলোচিত বৈঠক শেষ হয়েছে।

লন্ডনের ডরচেস্টার হোটেলে শুক্রবার (১৩ জুন) বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টায় এই বৈঠক শুরু হয় এবং বিকাল ৩টা ৩৫ মিনিট (বাংলাদেশ সময়) পর্যন্ত চলে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার উপ প্রেসসচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বহুল আলোচিত আলোচনার ফলাফল সম্পর্কে সাংবাদিকদের ব্রিফ করার সম্ভাবনা রয়েছে।

এর আগে, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান ও প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম দুপুর ১টা ৫০ মিনিটের দিকে হোটেলে পৌঁছালে তারেক রহমানকে স্বাগত জানান।

বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবিরকে নিয়ে দুপুর ১টার দিকে লন্ডনের বাসভবন থেকে সভাস্থলের উদ্দেশে রওনা হন তারেক রহমান।

সকালে দ্য ডরচেস্টারের সামনে জড়ো হওয়া বিএনপির যুক্তরাজ্য শাখার কয়েকশ নেতা-কর্মী তারেক রহমানকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান।

এদিকে, ড. খলিলুর রহমান ও বিএনপি নেতা আমীর খসরু দ্য ডরচেস্টার হোটেলে পৃথক বৈঠক করেন বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার উপ প্রেসসচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।

বিএনপি মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক ড. মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেল বলেন, আমীর খসরু প্রধান উপদেষ্টা ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের মধ্যে বৈঠক সম্পর্কে সাংবাদিকদের অবহিত করবেন।

উচ্চ পর্যায়ের এই বৈঠকটি এরই মধ্যে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আগ্রহের জন্ম দিয়েছে।

সকলের দৃষ্টি এখন লন্ডনের দিকে, কারণ অনেকেই আসন্ন নির্বাচনের আগে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দৃশ্যপটে এটিকে একটি সম্ভাব্য মোড় হিসেবে দেখছেন।

বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, নির্বাচনের সময়সূচি, প্রস্তাবিত সংস্কার, জুলাই সনদ, জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ন্যায়বিচার, নিরাপদ ও সুশৃঙ্খলভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর, অন্তর্বর্তী সরকারের গৃহীত সিদ্ধান্তের অনুমোদন, অন্তর্বর্তী প্রশাসনের জন্য একটি মর্যাদাপূর্ণ প্রস্থান কৌশল ও তারেক রহমানের বাংলাদেশে সম্ভাব্য ফিরে আসা সহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বৈঠকে আলোচনা হওয়ার কথা ছিল।

বিএনপি নেতারা এই বৈঠককে নির্বাচনের সময়সূচি নিয়ে টানাপোড়েন নিরসনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে মনে করেন। একই সঙ্গে তারা পরামর্শ দেন যে সময়সূচি সামঞ্জস্যপূর্ণ করা আলোচনার একটি প্রধান বিষয় হতে পারে।


ড. ইউনূস-তারেক রহমান বৈঠক শুরু

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১৩ জুন, ২০২৫ ১৫:৩৪
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ‌‘ওয়ান টু ওয়ান’ গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক শুরু হয়েছে।

আজ শুক্রবার বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টায় যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনের ডরচেস্টার হোটেলে এ বৈঠক শুরু হয়।

বিএনপির মিডিয়া সেলের অন্যতম সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, দুপুর ২টায় ড. ইউনূস ও তারেক রহমানের মধ্যকার বৈঠক শুরু হয়েছে।

এর আগে বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টার কিছু আগে হোটেল পৌঁছান তারেক রহমান। তাকে হোটেলে স্বাগত জানান অন্তর্বর্তী সরকারের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান, প্রেস সচিব শফিকুল আলমসহ অন্যান্যরা।

বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নিতে বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বাংলাদেশ সময় দুপুর ১টায় বাসা থেকে রওনা হন।

জানা গেছে, ড. ইউনূস ও তারেক রহমানের মধ্যকার এই বৈঠক ওয়ান টু ওয়ান হবে। সেখানে দুই পক্ষের আর কারও অংশ নেওয়ার সম্ভবনা নেই।

বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেলের উদ্বৃতি দিয়ে সেলের অন্যতম সদস্য শায়রুল কবির জানান, তারেক রহমান বাসা থেকে রওনা হওয়ার সময় তার সঙ্গে ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ও চেয়ারপার্সন ফরেন অ্যাফেয়ার্স অ্যাডভাইজারি কমিটি সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির।


যমুনা সেতুতে ২৪ ঘণ্টায় পৌনে ৩ কোটি টাকার টোল আদায়

যমুনা সেতু পূর্ব টোলপ্লাজা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি

পরিবার-পরিজনদের সঙ্গে ঈদুল আজহা উদযাপন ও দীর্ঘদিন ছুটি কাটিয়ে কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করছে ঘরমুখো মানুষ। এতে ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে দিয়ে কর্মস্থলে যাওয়ার পথেও বেড়েছে যানবাহনের অতিরিক্ত চাপ।

এনিয়ে উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার টাঙ্গাইলের যমুনা সেতু দিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় অর্থাৎ একদিনে ৩৮ হাজার ৫৩৯ টি যানবাহন পারাপার হয় এবং টোল আদায় হয়েছে ২ কোটি ৭৯ লাখ ৬৯ হাজার ২০০ টাকা।

শুক্রবার (১৩ জুন) সকালে যমুনা সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, বুধবার (১১ জুন) রাত ১২টা থেকে বৃহস্পতিবার (১২ জুন) রাত ১২টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৩৮ হাজার ৫৩৯টি যানবাহন পারাপার হয়।

এর মধ্যে সেতু পূর্ব অংশের উত্তরবঙ্গগামী লেনে ১৬ হাজার ৩৮০টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে ১কোটি ২৯ লাখ ২৪ হাজার ২৫০ টাকা।

অপরদিকে সিরাজগঞ্জের সেতু পশ্চিম অংশের ঢাকাগামী লেনে ২২ হাজার ১৫৯ টি যানবাহন পারাপার হয় এবং টোল আদায় হয়েছে ১ কোটি ৫০ লাখ ৪৪ হাজার ৯৫০ টাকা। সেতু দিয়ে প্রতি মিনিটে ২৬টি যানবাহন পারাপার হয়েছে।


ড. ইউনূসের সঙ্গে তারেক রহমানের রুদ্ধদ্বার বৈঠক আজ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

অনেক প্রত্যাশাকে সামনে রেখে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ‘ওয়ান টু ওয়ান’ রুদ্ধদ্বার বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে আজ শুক্রবার।

দুপুর ২টা থেকে বিকাল ৪টা (স্থানীয় সময়) পর্যন্ত লন্ডনের ডরচেস্টার হোটেলে ঐতিহাসিক এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

২ ঘণ্টাব্যাপী এই বৈঠকটি দেশের কোটি কোটি মানুষের মনে ও প্রাণে এক ধরনের উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে। আলোচনার বিষয়বস্তু ও ফলাফল জানার জন্য দেশে ও বিদেশে থাকা বাংলাদেশের সব শ্রেণি-পেশার মানুষ আগ্রহ ও উৎকণ্ঠা নিয়ে অপেক্ষা করছেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও রাজনৈতিক নেতাকর্মী এবং সর্বস্তরের গণতন্ত্রকামী মানুষের প্রত্যাশা ‘দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের মোড় ঘুরিয়ে দেবে এই বৈঠক’।

বর্তমানে রাজনৈতিক অঙ্গনে সবচেয়ে গুরত্বপূর্ণ ও আলোচিত দুই নেতার এই বৈঠকে আলোচনার এজেন্ডা কি হতে। পারে তা প্রকাশ করেনি কোনো পক্ষই। তবে স্বাভাবিকভাবে নির্বাচন, বিচার ও সংস্কারসহ রাজনীতিতে সাম্প্রতিক যুক্ত হওয়া অনেক বিষয় আলোচনায় প্রাধান্য পাবে।

বিএনপি’র সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে আলোচনা হলে তারা ইঙ্গিত দিয়েছেন- দলের পক্ষ থেকে তারেক রহমান জাতীয় নির্বাচনের তারিখ অন্তত ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নিয়ে আসা অন্যতম এজেন্ডা হিসাবে তুলে ধরবেন। এটি এক রকম নিশ্চিত। বিপরীতে সরকারের পক্ষ থেকে ড. ইউনূস চাইবেন এপ্রিলের প্রথমার্ধে নির্বাচনের সময়সীমা ধরে রেখে সংস্কার ও বিচারের ওপর বেশি গুরুত্ব দিতে।

এছাড়াও তারেক রহমানের দেশে ফেরার প্রাসঙ্গিকতা, জুলাই সনদ, প্রশাসনসহ বিভিন্ন সেক্টরে স্বৈরাচারের দোসরদের অপসারণ, নির্বাচন কমিশন, আদালতের রায়ের পরও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে প্রকৌশলী ইশরাক হোসেনকে শপথ না পড়ানো, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ভবিষ্যৎ কাঠামো, রাখাইনে মানবিক করিডোর, বন্দর ব্যবস্থার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ও আলোচনায় উঠে আসবে।

বিএনপি’র যুক্তরাজ্য শাখার নেতারা জানান, বৈঠকের আলোচ্যসূচী নির্ধারণের জন্য লন্ডন সফররত প্রধান উপদেষ্টার প্রতিনিধির সঙ্গে তারেক রহমানের প্রতিনিধি দলের অনানুষ্ঠানিক আলোচনা হয়েছে। গত বুধবার এই আলোচনা হয়। গতকাল বৃহস্পতিবারও তারেক রহমানের একজন প্রতিনিধি সরকারের সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধির সঙ্গে দেখা করেছেন বলে এক ভিডিও বার্তায় জানান প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

বৈঠক প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার রাতে বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বার্তা সংস্থা বাসস’কে বলেছেন, ‘এই বৈঠক নিয়ে আমরা ভীষণ আশাবাদী। শুধু আমরা কেনো পুরো দেশের মানুষের দৃষ্টি এখন লন্ডনের দিকে। নিশ্চয়ই দুই নেতার মধ্যকার বৈঠকে আলাপ-আলোচনার মধ্য দিয়ে একটা যৌক্তিক সমাধান আসবে।

সমঝোতার পথ খুলবে। যার মধ্য দিয়ে জাতির প্রত্যাশা অনুযায়ী গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় দেশকে এগিয়ে নেওয়ার পথ খুঁজে পাবে।’

ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ‘গোটা জাতি প্রত্যাশা করে আছে এই বৈঠকের মধ্যে দিয়ে দেশের রাজনৈতিক সকল সঙ্কট কেটে যাবে। আমাদেরও বিশ্বাস, এটি হবে একটি ঐতিহাসিক বৈঠক। এই বৈঠকের মাধ্যমে দেশের রাজনীতিতে সুবাতাস বইবে। শীর্ষ পর্যায়ের এই আলাপ-আলোচনার মধ্য দিয়ে জাতীয় ভিত্তিতে একটা গ্রহণযোগ্য ফয়সালা বা সিদ্ধান্ত হবে।’

যুক্তরাজ্য বিএনপি’র সভাপতি ও চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা এমএ মালেক জানিয়েছেন, অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও তারেক রহমানের বৈঠককে স্বাগত জানিয়ে মঙ্গলবার রাতে প্রস্তুতি সভা করেছে যুক্তরাজ্য বিএনপি। আজ শুক্রবার সকাল থেকে স্থানীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকরা ডরচেস্টার হোটেলের সামনে সংহতি জানিয়ে অবস্থান নেবেন।

তারা পুরো বৈঠকের সময়ই সেখানে থাকবেন।


সংস্কার কার্যক্রম সম্পর্কে রাজা চার্লসকে অবহিত করলেন প্রধান উপদেষ্টা

যুক্তরাজ্যে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস আজ লন্ডনে ব্রিটিশ রাজা তৃতীয় চার্লসের একান্ত বৈঠক। ছবি: পিআইডি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

যুক্তরাজ্য সফররত বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস আজ লন্ডনে ব্রিটিশ রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গে একান্তে বৈঠক করেছেন। সেখানে তাঁরা বাংলাদেশের চলমান সংস্কার কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা করেন।

বৈঠকের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম সাংবাদিকদের বলেন, ‘আজ সকাল ১১:২০ মিনিটে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ও ব্রিটিশ রাজা তৃতীয় চার্লসের মধ্যে একান্ত বৈঠক হয়, যা ছিল একেবারে ব্যক্তিগত।’

বৈঠকে বাংলাদেশের চলমান গণতান্ত্রিক রূপান্তর প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা হয়।

প্রেস সচিব জানান, বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা তাঁর সরকার গৃহীত সংস্কার কার্যক্রম সম্পর্কে রাজা চার্লসকে অবহিত করেন।

তিনি আরও জানান, প্রায় ৩০ মিনিটের এ বৈঠক অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ ছিল। যেহেতু রাজা চার্লস বহুদিন ধরে প্রফেসর ইউনূসকে চেনেন, সেহেতু নানা বিষয় নিয়ে তাদের আলোচনা হয়েছে।

শফিকুল আলম বলেন, ‘এই পুরো সফরের মধ্যে আমি বলব, এটি ছিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা।’

একান্ত সাক্ষাতের পর, রাজা ও রাণীর স্বাক্ষরযুক্ত একটি ছবি উপহার হিসেবে প্রফেসর ইউনূসকে প্রদান করা হয়, যা প্রধান উপদেষ্টার জন্য একটি বড় সম্মানের ছিল বলে জানান প্রেস সচিব।

বাকিংহাম প্যালেসে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ইউনূসকে ব্যক্তিগত সাক্ষাতের জন্য স্বাগত জানান রাজা চার্লস।

নিয়মিত কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক সাক্ষাতের পাশাপাশি রাজা চার্লস এমন ব্যক্তিদের সাক্ষাৎ দেন, যারা তাদের নিজ নিজ ক্ষেত্রে অসাধারণ কৃতিত্ব অর্জন করেছেন- বিশেষ করে যারা রাজকীয় নিয়োগ পেয়ে থাকেন বা তাদের নামে প্রদত্ত পুরস্কার গ্রহণ করছেন।

ব্যক্তিগতভাবে সাক্ষাৎ করে বা ‘অডিয়েন্স’ প্রদান করে রাজা চার্লস নির্দিষ্ট ব্যক্তি ও তাদের কাজের গুরুত্বকে স্বীকৃতি দেন এবং তাঁদের সম্পর্কে আরও জানার পাশাপাশি রাজকীয় অভিজ্ঞতা উপভোগ করার সুযোগ করে দেন।

`অডিয়েন্স’ মানে হলো রাজা ও কাউকে একান্তভাবে সাক্ষাৎ প্রদান করা।


ভারতে বিমান দুর্ঘটনায় ড. ইউনূসের গভীর শোক প্রকাশ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

ভারতের আহমেদাবাদে ২৪২ আরোহী নিয়ে এয়ার ইন্ডিয়া ফ্লাইটের ভয়াবহ দুর্ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি এই কঠিন সময়ে ভারতের জনগণ এবং সরকারের প্রতি সহানুভূতি একাত্মতা প্রকাশ করেছেন।

বৃহস্পতিবার (১২ জুন) এক বার্তায় অধ্যাপক ইউনুস বলেন, ‘এয়ার ইন্ডিয়া ফ্লাইটের দুর্ঘটনায় ২৪২ আরোহীসহ আহমেদাবাদে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ দুর্ঘটনার জন্য আমি ব্যথিত ও শোকাহত।’

তিনি আরও বলেন, ‘ভুক্তভোগী ও তাদের পরিবারের জন্য আমরা প্রার্থনা করছি। এই কঠিন সময়ে ভারতের জনগণ ও সরকারের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করছে বাংলাদেশ।’

‘আমরা ওই ঘটনার শিকার পরিবারের প্রতি আমাদের গভীর সমবেদনা জানাই, যারা তাদের প্রিয়জনদের হারিয়েছেন। এই কঠিন সময়ে ভুক্তভোগী ও তাদের প্রিয়জনদের জন্য আমাদের সহানুভূতি ও প্রার্থনা রয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা ভারতের জনগণ এবং সরকারের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করি এবং যেকোনোভাবে পূর্ণ সহায়তা প্রদান করতে প্রস্তুত,’ বলেন অধ্যাপক ইউনুস।

অধ্যাপক ইউনুস বর্তমানে যুক্তরাজ্যে একটি সরকারি সফরে রয়েছেন।

আহমেদাবাদে ২৪২ আরোহী নিয়ে এয়ার ইনডিয়ার উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের ঘটনায় সবার নিহতের আশঙ্কা প্রকাশ করেছে স্থানীয় পুলিশপ্রধান।

বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজটি বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় দুপুরে আহমেদাবাদের সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে লন্ডনের উদ্দেশ্যে উড়াল দেওয়ার পরই দুর্ঘটনায় পড়ে।

ওই উড়োজাহাজে ২৩২ জন যাত্রী ও ১০ জন ক্রু ছিলেন বলে ভারতের সিভিল এভিয়েশন দপ্তর জানিয়েছে।

উড্ডয়নের পর একপর্যায়ে আরও উপড়ে উঠতে ব্যর্থ হওয়ায় উড়োজাহাজটি নিচে নেমে আসে এবং বিমানবন্দরের কাছে একটি মেডিকেল হোস্টেলের উপর বিধ্বস্ত হয়। সেখানে অন্তত পাঁচ শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে বলে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে।


banner close