মঙ্গলবার, ৩ অক্টোবর ২০২৩

অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজিতে ডিমের দাম বেড়েছে

ফাইল ছবি
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত : ১৯ আগস্ট, ২০২৩ ১৯:৪১

সিন্ডিকেট করে অসাধু ব্যবসায়ীরা ডিমের দাম বাড়িয়েছেন বলে অভিযোগ করেছে কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)।

শনিবার রাজধানীর উত্তরার গরীবে নেওয়াজ রোডে ‘অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজিতে ডিমসহ অন্য নিত্যপণ্যের অযৌক্তিক মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে’ ক্যাব আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তারা এ অভিযোগ করেন।

বক্তারা জানান, বাজারে প্রায় সব পণ্যের দাম বেশি। ডিম নিয়ে সিন্ডিকেট করে দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। ওষুধের দাম বেশি। এ ছাড়া সব পণ্যের দাম সিন্ডিকেট করে ব্যবসায়ীরা বাড়িয়ে দিচ্ছেন। বাজার পরিস্থিতি কিছু অসাধু সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের হাতে জিম্মি।

তারা বলেন, ‘আমরা সরকারকে অনুরোধ করব, সরকার যেন ভোক্তাবান্ধব হয়। আমরা ভোক্তারা ন্যায্যমূল্যে সঠিক ওজনে পণ্য পেতে চাই। আর যেসব অসাধু ব্যবসায়ী আছেন, যারা কারসাজি করে, মুনাফাখোর, মজুতদার, বাজারে পণ্যের সংকট তৈরি করে দাম বৃদ্ধি করে তাদের বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিবাদ। যেসব ব্যবসায়ী এ ধরনের অনৈতিক কাজে লিপ্ত তাদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করতে ক্যাবের পক্ষ থেকে দাবি জানানো হচ্ছে।’

এ ছাড়া বাংলাদেশের সব হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীদের পরীক্ষা বিনা মূল্যে করার জন্য মানববন্ধন থেকে সরকারের প্রতি দাবি জানানো হয়।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবীর ভূঁইয়া, ক্যাব উত্তরা শাখা কমিটির সাধারণ সম্পাদক স্বপন দেবনাথ, হিউম্যান রাইট রিভিউ সোসাইটির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মীর রেজাউল করিম, উত্তরা শাখা কমিটির প্রধান উপদেষ্টা সানোয়ার হোসেন, উত্তরা প্রবীণ কল্যাণ সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ডা. আবদুস সামাদ, প্রভাতী কল্যাণ সংস্থার সভাপতি ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সাবেক যুগ্ম সচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা শওকত আলী খান, অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা খলিলুর রহমান, বিশিষ্ট ব্যাংকার রফিকুল ইসলাম, অবসরপ্রাপ্ত বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ সাকিনা জাহানারা, ১৩নং সেক্টর ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা হারুন অর রশিদ, বিশিষ্ট সমাজসেবক আবদুল কাদের, সাবেক সরকারি কর্মকর্তা ও সমাজসেবক শাহজাহান মুন্সী, ক্যাব উত্তরা শাখার সভাপতি শাহিনা রহমান পপি।

ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবীর ভূঁইয়া বলেন, ‘সরকার যদি অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে প্রয়োজনে আমরা ক্যাবের পক্ষ থেকে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সেই সব ব্যবসায়ীর ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান এবং বাড়ি ঘেরাও করব। তারা ব্যবসা করবে, সুখে থাকবে আর আমরা ভোক্তাদের নাভিশ্বাস উঠবে তা সহ্য করা যায় না। ব্যবসায়ীদের আমরা সাবধান করতে চাই। এগুলো বাদ দিয়ে সঠিকভাবে ব্যবসা করুন। অন্যায়ভাবে, অসৎভাবে ব্যবসা করে বলবেন আপনারা রাজা, এই রাজাগিরি চলবে না। এই দেশ আমরা যুদ্ধ করে অর্জন করেছি আর আপনারা লুটপাট করবেন, এটা মেনে নেয়া যায় না।’

বিষয়:

আর কত দিন ৮ হাজার টাকা থাকবে পোশাকশ্রমিকদের মজুরি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রপ্তানি বৃদ্ধির জন্য তৈরি পোশাক খাতের শ্রমিকদের নিয়ে নতুন করে ভাবার তাগিদ দিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াটলি ও নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের ডেপুটি হেড থিজ উডস্ট্রা। রাজধানীর একটি হোটেলে মঙ্গলবার গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ-সিপিডি আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তারা প্রশ্ন তোলেন নিম্নতম মজুরি ৮ হাজার টাকা আর কত দিন থাকবে তা নিয়ে।

অনুষ্ঠানে হেড থিজ উডস্ট্রা বলেন, বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতে কাজ করছে প্রায় ৪৫ লাখ শ্রমিক। তবে দীর্ঘদিন ধরেই তাদের নিম্নতম মজুরি নির্ধারিত রয়েছে ৮ হাজার টাকায়। এটি আর কত দিন থাকবে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, এলডিসি উত্তরণের পর বাংলাদেশকে ন্যূনতম মজুরির ফাঁদ থেকে বের হয়ে আসতে হবে। তিনি আরও বলেন, এলডিসি উত্তরণের পর বাংলাদেশের সামনে কিছু সুযোগ যেমন আসবে, তেমনি চ্যালেঞ্জও তৈরি হবে। সেই সময়ের সুযোগ কাজে লাগাতে শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি ও কাজের পরিবেশ উন্নত করার ওপর জোর দেন তিনি।

অনুষ্ঠানে ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াটলি বলেন, বর্তমান বাস্তবতা ও মূল্যস্ফীতি বিবেচনায় এত অল্প মজুরি দিয়ে শ্রমিকদের পরিবার টিকে থাকা সম্ভব নয়। প্রায় পাঁচ বছর আগের মজুরি বৃদ্ধি বর্তমান সময়ের সঙ্গে সামঞ্জসপূর্ণ নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি। বলেন, ‘আমাদের এখন শ্রমিকদের জন্য ন্যায়সঙ্গত মজুরি নিশ্চিত করতে হবে।’ এজন্য সরকার ও পোশাক মালিকদের পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানান তিনি। এ ছাড়া মজুরি বৃদ্ধিতে বিশ্বের নামীদামি ব্র্যান্ডস ও ক্রেতাদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান হোয়াটলি।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম। সম্মানিত অতিথি ছিলেন সুইডেন রাষ্ট্রদূত আলেকজান্দ্রা বার্গ ভন লিন্ডে ও ঢাকায় নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াটলি।

প্যানেল আলোচক হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি শহীদুল্লাহ আজিম, বাংলাদেশে নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের ডেপুটি হেড থিজ উডস্ট্রা।

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিপিডির গবেষণা ফেলো মুনতাসির কামাল। সংলাপে সভাপতিত্ব করেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন।


বাংলাদেশের রপ্তানির তালিকায় যুক্ত হলো কাঁঠালের বার্গার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

অবশেষে কাঁঠালের বার্গার তৈরি হলো বাংলাদেশে। সেই বার্গার রপ্তানিও হতে যাচ্ছে ইউরোপের বাজারে। সম্প্রতি আইসল্যান্ডের একটি সুপারস্টোর বাংলাদেশ থেকে চার লাখ কাঁঠালের বার্গার নেয়ার অর্ডার দিয়েছে।

গত ডিসেম্বরে গাজীপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে কাঁঠালের জিনোম সিকোয়েন্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, আমাদের দেশের উচ্চবিত্তরা বার্গার, রোলজাতীয় খাবার খেতে পছন্দ করেন। এসব খাবারে মাংসের পরিবর্তে কাঁঠাল ব্যবহার করা যায়। কাঁঠালের পুষ্টিগুণও অনেক।

তার বক্তব্যের পরই নেটিজেনরা নানা সমালোচনা শুরু করেন। তবে সব সমালোচনাকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়ে এবার সত্যি রপ্তানি হতে যাচ্ছে কাঁঠালের বার্গার। পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন।

রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন গ্রামীণ উন্নয়ন সংস্থা পিকেএসএফ কর্মকর্তারা বলেন, খাদ্য পরীক্ষাগারে গবেষকদের সাফল্যের পর বাণিজ্যিকভাবে কাঁঠালের রেসিপি নিয়ে কাজ করতে উৎসাহী হয় পিকেএসএফ। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন তহবিল (ইন্টারন্যাশনাল ফান্ড ফর এগ্রিকালচারাল ডেভেলপমেন্ট) থেকে আর্থিক সহায়তাও মিলেছে। সংস্থাটি তার কৃষি বাণিজ্যিকীকরণ এবং উদ্যোগ প্রচার প্রকল্পের অধীনে ১২৯ মিলিয়ন ডলার ঋণ দেয়। জাতিসংঘের এজেন্সি-সহায়তা প্রকল্পের অধীনে বাস্তবায়িত হওয়া ছোট আকারের প্রকল্পগুলোর মধ্যে কাঁঠালের বার্গার অন্যতম।

১৯৯৫ সালে প্রতিষ্ঠিত সেন্টার ফর ডেভেলপমেন্ট ইনোভেশন অ্যান্ড প্র্যাকটিস (সিডিআইপি) নামের এনজিওটি এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। প্রকল্পে মোট বিনিয়োগ করা হয়েছে ১ দশমিক ৮৯ কোটি টাকা। এরমধ্যে পিকেএসএফ দিয়েছে ১ দশমিক ৪৪ কোটি টাকা এবং বাকি টাকা দিচ্ছে সিডিআইপি।

সিডিআইপির নির্বাহী পরিচালক মিফতা নাইম হুদা বলেন, আইসল্যান্ডের প্রতিষ্ঠানটি ইতিমধ্যে পিকেএসএফের মাধ্যমে কারখানা পরিদর্শন করতে চেয়েছে। সিডিআইপি‍ বিষয়টি মাথায় নিয়েই প্রস্তুতি নিচ্ছে।

বাংলাদেশ কাউন্সিল অব সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চে (বিসিএসআইআর) ইতোমধ্যেই কাঁঠালের বার্গারের খাদ্যমান যাচাই করা হয়েছে। বিসিএসআইআর থেকে ডায়েটারি ফাইবার অ্যানালাইজারের মাধ্যমে পরীক্ষায় প্রতি ১০০ গ্রাম কাঁঠালের প্যাটিতে ৯ দশমিক ৭৮ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ১০ দশমিক ৮৭ গ্রাম প্রোটিন, ৮ দশমিক ৪৭ গ্রাম ফ্যাট, ১৯ দশমিক ৩২ গ্রাম ডায়েটারি ফাইবার এবং ১৫৯ কিলোক্যালরি এনার্জি রয়েছে বলে জানা যায়।

পিকেএসএফের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফজলুল কাদের বলেন, স্বাদ, গন্ধ কিংবা রসালোভাবের দিক দিয়ে মাংসের প্যাটির বিকল্প হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে কাঁঠালের প্যাটি। বিশ্বে ভেজিটেরিয়ানদের (নিরামিষভোজী) কাছে এর চাহিদা থাকার ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে, ফলে রপ্তানিতেও তৈরি হয়েছে সম্ভাবনা।

বাংলাদেশ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, দেশে বছরে ১৮ লাখ ৯৩ হাজার ৩০৩ মেট্রিক টন কাঁঠাল উৎপাদিত হচ্ছে। ফলে এ উৎপাদন ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে, পণ্য বৈচিত্র্যকরণের মাধ্যমে সারাবছর কাঁঠালের পণ্য বিপণন সম্ভব হবে। এতে কাঁঠালের ভ্যালু অ্যাডিশন বা মূল্য সংযোজন কয়েকগুণ বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।

কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের পোস্ট হার্ভেস্ট টেকনোলজি বিভাগের সিনিয়র বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও খাদ্য প্রযুক্তিবিদ ড. মো. গোলাম ফেরদৌস বলেন, শুধু বার্গারই নয়– কাঁচা কাঁঠাল দিয়ে স্যান্ডুইচ, কাঁঠালের রোল, কাটলেট, শিঙ্গাড়া, সমুচা, কাঁঠালের দই, কাঁঠালসত্ত্ব, শরবত, কাস্টার্ড, কেক, আইসক্রিমও তৈরি করা সম্ভব। যদি সচেতনতা তৈরি করা যায় তাহলে কাঁঠালপণ্যের একটি বড় বাজার তৈরি করা যেতে পারে এবং বিদেশের বাজারেও এটি ব্যাপক রপ্তানি সম্ভাবনা তৈরি করবে। তার মতে, ম্যাকডোনাল্ডস আমেরিকায় কাঁঠালের বার্গার বানাচ্ছে।


রাজধানীতে ‘আকাশ গ্রুপে’র পাঁচ সদস্যসহ ২০ জন গ্রেপ্তার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের অভিযোগে কিশোর গ্যাং ‘আকাশ গ্রুপে’র পাঁচ সদস্যসহ ২০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।

সোমবার সন্ধ্যা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত এসব অভিযান চালায় র‌্যাব-২। অভিযানে গ্রেপ্তারদের কাছ থেকে দেশীয় অস্ত্র, চাপাতি, ছুরি, চাকু, খুর ও অন্যান্য দেশীয় অস্ত্র জব্দ ও মোবাইল ফোন এবং নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।

র‌্যাব-২-এর জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম) শিহাব করিম জানান, সম্প্রতি কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। তারা মাদকাসক্ত হওয়ায় মাদকের টাকা জোগাড় করার জন্য সংঘবদ্ধ হয়ে ডাকাতি, ছিনতাই ও চুরির মতো ঘটনা ঘটাচ্ছে। সম্প্রতি রাজধানীর বছিলা ও এর আশপাশের এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের দাপট বেড়ে যাওয়ায় জনমনে ত্রাস সৃষ্টি হয়েছে। এসব অপরাধের অভিযোগে থানায় একাধিক জিডি ও মামলা হয়েছে।

এরই প্রেক্ষিতে র‌্যাব-২ গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে মোহাম্মদপুর, আদাবর, শেরেবাংলা নগর ও ধানমন্ডি এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় আদাবরের শ্যামলী হাউজিং এলাকায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ‘আকাশ গ্রুপের’ পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। পৃথক একটি অভিযানে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে ছিনতাইয়ের প্রস্তুতিকালে আরও ১৫ ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়।

শিহাব করিম জানান, জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার অভিযুক্তরা জানায়, তারা একাধিক সংঘবদ্ধ কিশোর গ্যাং চক্রের সদস্য। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় রাতের আধারে ফুটপাতের দোকান ও পথচারীদের দেশীয় অস্ত্র দিয়ে ভয় দেখিয়ে তাদের কাছে থাকা নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার, সেলফোনসহ মূল্যবান জিনিসপত্র হাতিয়ে নিতো তারা।

বিষয়:

কবিরাজির কথা বলে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে তিনজনকে গলা কেটে খুন

র‌্যাবের হাতে গ্রেপ্তার সাগর আলী (৩১) ও তার স্ত্রী ঈশিতা বেগম (২৫)। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকার আশুলিয়ায় ভাড়া বাসায় একই পরিবারের তিনজনকে গলাকেটে হত্যার দুদিনের মাথায় ঘটনাটির রহস্য উদঘাটন করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। হত্যাকাণ্ডের মূলহোতা মো. সাগর আলী (৩১) ও তার স্ত্রী ঈশিতা বেগমকে (২৫) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত সোমবার রা‌তে গাজীপুরের শফিপুর এলাকা থেকে তা‌দের গ্রেপ্তার করে র‌্যাব।

র‌্যাব বল‌ছে, গ্রেফতার দুজন প্রথমে অর্থের লোভে ও পরে কাঙ্ক্ষিত অর্থ না পেয়ে ক্ষোভ থেকে এ হত্যাকাণ্ড ঘটায়। তারা ওই বাসায় লু‌টের প‌রিকল্পনা ক‌রেছিল। সে অনুযায়ী ওই বাসায় গিয়ে ভিক‌টিম‌দের ইসবগু‌লের ভু‌ষির সঙ্গে চেতনানাশক মি‌শি‌য়ে কৌশ‌লে অচেতন ক‌রে। প‌রে ঘরে কা‌ঙ্ক্ষিত অর্থ খুঁজে না পে‌য়ে ক্ষোভ থেকে গৃহকর্তা মোক্তার, তার স্ত্রী ও ছে‌লে‌কে ব‌টি দি‌য়ে গলা‌‌কেটে হত্যা ক‌রে। এর আগেও সাগর ২০২০ সালে টাঙ্গাইলের মধুপুরে মাত্র ২০০ টাকার জন্য একই পরিবারের চারজনকে চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে একই কায়দায় গলাকেটে হত্যা করে।

মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, নিহত মোক্তার হোসেন ও তার স্ত্রী সাহিদা বেগম আশুলিয়ার একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। তার সন্তান মেহেদী হাসান জয় স্থানীয় একটি স্কুলে সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। গত ৩০ সেপ্টেম্বর সাভারের আশুলিয়া জামগড়া এলাকায় একটি বহুতল ভবনের চতুর্থ তলার একটি ফ্ল্যাট থেকে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়লে ভবনের প্রতিবেশী ভাড়াটিয়ারা বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানায়। পরে ফ্ল্যাট থেকে মোক্তার, তার স্ত্রী সাহিদা ও তাদের ১২ বছরের শিশু সন্তান মেহেদীর অর্ধগলিত গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

পরে এ ঘটনায় গত রোববার আশুলিয়া থানায় মামলা করা হয়। একই পরিবারের তিনজনকে হত্যার এ ঘটনায় র‌্যাব গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ায়। গোয়েন্দা তথ্যে সোমবার রাতে র‌্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা ও র‌্যাব-৪ এর একটি দল গাজীপুরের শফিপুর এলাকা থেকে হত্যাকাণ্ডের মূলহোতা মো. সাগর আলী ও তার সহযোগী স্ত্রী ঈশিতাকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে হত্যাকাণ্ডের সময় মোক্তারের কাছ থেকে লুট করা আংটিটি উদ্ধার করা হয়।

র‌্যাব পরিচালক বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার দম্পতি র‍্যাবকে জানিয়েছে, প্রথমে অর্থের লোভে ও পরে কাঙ্ক্ষিত অর্থ না পেয়ে ক্ষোভ থেকে তাদের হত্যা করা হয়।

ঘটনার বিবরণ দিয়ে কমান্ডার আল মঈন বলেন, গত ২৮ সেপ্টেম্বর গ্রেপ্তার সাগর সাভার বারইপাড়া এলাকার একটা চায়ের দোকানে চা খাওয়ার সময় মোক্তারের পাশের একটি কবিরাজি ও ভেষজ ওষুধের দোকানে তার শারীরিক সমস্যার বিষয়ে চিকিৎসা নিয়ে কথা বলতে দেখেন। সাগর আরও জানতে পারেন, মোক্তার ওই দোকানে ভেষজ ও কবিরাজি চিকিৎসা নিয়ে ১৫-২০ হাজার টাকা খরচ করেও কোনো ফলাফল পাননি। সাগর কৌশলে মোক্তারকে ডেকে নিয়ে আলাপচারিতায় ভেষজ ও কবিরাজি চিকিৎসার প্রতি তার আগ্রহ ও আস্থার কথা জানতে পারেন। মোক্তার তার ও তার পরিবারের বেশ কিছু শারীরিক সমস্যার কথাও সাগরকে জানান।

সাগর মোক্তারকে জানায়, তার স্ত্রী একজন ভালো কবিরাজ এবং সে তার সমস্যার সমাধান করে দেবে বলে মিথ্যা আশ্বাস দেয়। কথাবার্তার এক পর্যায়ে সাগর চিকিৎসার জন্য মোক্তারের সঙ্গে ৯০ হাজার টাকার চুক্তি করে। সাগর ও তার স্ত্রী পরদিন ২৯ সেপ্টেম্বর সকালে ওষুধসহ তার বাসায় গিয়ে চিকিৎসা করবে বলে জানায়। যোগাযোগের জন্য মোক্তারকে সাগর নিজের ফোন নম্বর না দিয়ে এক আত্মীয়ের মোবাইল নম্বর দেয়। পরে বাসায় গিয়ে সাগর স্ত্রী ঈশিতাকে পুরো ঘটনা ও পরিকল্পনার কথা জানায়। বিপুল অঙ্কের অর্থ পাওয়ার আশায় রাজি হয় সাগরের স্ত্রী। তারা পরিকল্পনা করে ভুক্তভোগী মোক্তারের বাসায় গিয়ে ভেষজ ও কবিরাজি চিকিৎসার কথা বলে তার পরিবারের সবাইকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে তাদের অর্থসহ মূল্যবান সামগ্রী লুট করবে। পরিকল্পনা অনুযায়ী সাগর গাজীপুরের মৌচাক এলাকার একটি ফার্মেসি থেকে এক বক্স (৫০টি) ঘুমের ওষুধ কেনে।

২৯ সেপ্টেম্বর সকালে সাগর ও তার স্ত্রী গাজীপুরের মৌচাক থেকে মোক্তারের সঙ্গে জামগড়া মোড়ে দেখা করে তার বাসায় যায়। সেখানে প্রাথমিক পরিচয়ের পর গ্রেপ্তার সাগরের স্ত্রী ঈশিতা তাদের সমস্যার কথা শোনে। পরে তাদের ভেষজ ও কবিরাজি চিকিৎসার ওষুধ বলে ইসবগুলের শরবতের সঙ্গে চেতনানাশক ওষুধ মিশিয়ে খাওয়ায়। মোক্তার, তার স্ত্রী ও ছেলে ঘুমের ওষুধের প্রভাবে ঘুমিয়ে পড়লে সাগর ও তার স্ত্রী মিলে প্রথমে মোক্তারের কক্ষে গিয়ে মোক্তারের হাত ও পা বাঁধে, পরে মোক্তারের স্ত্রীর হাত-পা বাঁধে। এরপর তারা মোক্তারের মানিব্যাগ, তার স্ত্রীর পার্স ও বাসার অন্য স্থানে অর্থ ও মূল্যবান সামগ্রীর জন্য তল্লাশি করে মাত্র পাঁচ হাজার টাকা পায়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সাগর বটি দিয়ে প্রথমে মোক্তারের গলায় উপর্যুপরি কোপ দিয়ে তাকে হত্যা করে। পরে অন্য কক্ষে গিয়ে ছেলে ও স্ত্রীকে একই বটি দিয়ে পর্যায়ক্রমে কুপিয়ে হত্যা করে। পালানোর আগে তারা মোক্তারের হাতে থাকা আংটি খুলে নিয়ে যায়।

সাগর-ঈশিতা ভিন্নপথে রিকশায় করে গাজীপুরের মৌচাকে সাগরের শ্বশুরবাড়ি যায় এবং সেখানেই অবস্থান করতে থাকে। হত্যাকাণ্ডের ঘটনা গণমাধ্যমে প্রচারের পর তারা আত্মগোপনে চলে যায়।

গ্রেপ্তার সাগরের বিষয়ে র‌্যাব মুখপাত্র বলেন, সে মাদকাসক্ত এবং বিভিন্ন পেশার আড়ালে চুরি ও ছিনতাই করত বলে জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে। ২০২০ সালে টাঙ্গাইলের মধুপুরে মাত্র ২০০ টাকার জন্য একই পরিবারের চারজনকে চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে একই কায়দায় গলা কেটে হত্যায় অভিযুক্ত সাগর। ওই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সাগরকে র‌্যাব-১২ গ্রেপ্তার করার পর সাড়ে তিন বছর কারাভোগ করে। ২০২৩ সালের জুন মাসে জামিন পেয়ে গাজীপুরের মৌচাক এলাকায় তার শ্বশুরের ভাড়া বাসায় কিছুদিন অবস্থান করে। দীর্ঘদিন জেলহাজতে থাকায় তার আর্থিক অবস্থা ভালো না থাকায় সে রাজমিস্ত্রি, কৃষি শ্রমিকসহ বিভিন্ন পেশার আড়ালে ঢাকা, সিলেট ও টাঙ্গাইলে অবস্থান করে সুযোগ বুঝে চুরি ও ছিনতাই করত।

আরও জানা গেছে, একটি জেলায় কিছুদিন অবস্থানের পর স্থান পরিবর্তন করে অন্য জেলায় আশ্রয় নিত সাগর। এছাড়া গত জুলাই মাসে সে অবৈধ পথে পাশের দেশে গিয়ে ২০-২৫ দিন অবস্থান করে এবং আগস্ট মাসে দেশে ফিরে আসে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে র‌্যাব কর্মকর্তা বলেন, গ্রেপ্তার সাগর কিন্তু চিহ্নিত সন্ত্রাসী বা শীর্ষ সন্ত্রাসীও নয়। তবে সাগর আমাদের জানিয়েছে একটি স্বার্থান্বেষী মহল তাকে ব্যবহার করার চেষ্টা করেছে। আমরা এমন কোনো তথ্য পেলেই তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। পাশাপাশি এই ব্যাপারটা ঘিরে আমরা সতর্ক আছি।

বিষয়:

সেপ্টেম্বরে ১৯২ কোটি টাকার চোরাচালান জব্দ: বিজিবি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

সেপ্টেম্বর মাসে দেশের সীমান্তসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১৯২ কোটি ৪৭ লাখ ৯৮ হাজার টাকা মূল্যের বিভিন্ন প্রকার চোরাচালান পণ্যসামগ্রী এবং অস্ত্র ও গোলাবারুদ জব্দ করেছে বিজিবি।

সংস্থাটির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম জানান, জব্দ চোরাচালান দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে— ৩১ কেজি ১৯ গ্রাম স্বর্ণ, ২৬ কেজি ৭০৬ গ্রাম রূপা, ৫ লাখ ৬৯ হাজার ৪৬৮ পিস কসমেটিক্স সামগ্রী, ১৯ হাজার ৫৬ পিস ইমিটেশন গহনা, ২৪ হাজার ৩১২টি শাড়ি, ১০ হাজার ৮০৬ থ্রিপিস, শার্টপিস, চাদর ও কম্বল, ১ হাজার ৭২০ ঘনফুট কাঠ, ৬ হাজার ৫৩৫ কেজি চা পাতা, ১ লাখ ১৮ হাজার ৯১০ কেজি কয়লা, ১১টি কষ্টি পাথরের মূর্তি, ৩টি ট্রাক, ৫টি পিকআপ, ৬টি প্রাইভেটকার, ৪টি চাঁন্দের গাড়ি, ৩৫টি সিএনজি ও ইজিবাইক এবং ৮৭টি মোটরসাইকেল।

অভিযানকালে ৪টি পিস্তল, বিভিন্ন প্রকার গান ৯টি, ম্যাগজিন ৭টি এবং ২৬ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।

এছাড়া গত মাসে বিপুল পরিমাণ মাদক ও নেশাজাতীয় দ্রব্য জব্দ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৮ লাখ ৬৯ হাজার ৫৫৭ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ১০ কেজি ৯৯১ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ আইস, ৩০ কেজি ৪১৫ গ্রাম হেরোইন, ১১ হাজার ৭০৬ বোতল ফেনসিডিল, ২৩ হাজার ৮৩৯ বোতল বিদেশি মদ, ৬৪১ লিটার বাংলা মদ, ৫ হাজার ৭১৯ ক্যান বিয়ার, ১ হাজার ২১২ কেজি গাঁজা, ৪ লাখ ৫৩ হাজার ১০৬ প্যাকেট বিড়ি ও সিগারেট, ৩৫ হাজার ৬৭৮টি নেশাজাতীয় ইনজেকশন, ৪ হাজার ১০৭টি ইস্কাফ সিরাপ, ৩ কেজি ৮ গ্রাম কোকেন, ২ হাজার ৭৪৪ বোতল এমকেডিল বা কফিডিল, ২ হাজার ৮০২টি অ্যানেগ্রা বা সেনেগ্রা ট্যাবলেট, ১৪ লাখ ৩৩ হাজার ১০৬ পিস বিভিন্ন প্রকার ওষুধ এবং ১ হাজার ৪৪৮টি অন্যান্য ট্যাবলেট রয়েছে।

বিষয়:

সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে আবহাওয়া অফিসের পক্ষ থেকে। একইসঙ্গে উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

সংস্থাটি জানিয়েছে, সক্রিয় মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর সঞ্চালণশীল মেঘমালা সৃষ্টি হচ্ছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও এর কাছাকাছি বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরসমূহের উপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

সক্রিয় মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে আজ দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে ভারি বর্ষণ হতে পারে।

মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এসব কথা জানায় আবহাওয়া অফিস।

আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

এতে আরও বলা হয়, আজ রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারী ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে ভারি বর্ষণ হতে পারে। আজ সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

আজ সকাল ৬টায় ঢাকায় বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।

ঢাকায় আজ সূর্যাস্ত সন্ধ্যা ৫টা ৪৪ মিনিট। আগামীকাল ঢাকায় সূর্যোদয় ভোর ৫টা ৫১ মিনিটে।

আগামীকালের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝরি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণ হতে পারে। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।


প্রধান বিচারপতির সংবর্ধনায় যাবে না ইউএলএফ

মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির দক্ষিণ হলে সংবাদ সম্মেলন করে ইউনাইটেড লইয়ার্স ফ্রন্ট (ইউএলএফ)। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

দেশের নতুন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে ইউনাইটেড লইয়ার্স ফ্রন্ট (ইউএলএফ)।

মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির দক্ষিণ হলে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন সংগঠটির নেতারা।

তারা ‘দায়িত্ব পালন শুরু করতে না করতেই সংবর্ধনার মেলা এবং নানাবিধ বক্তব্য দিয়ে সাংবিধানিক বিচারিক পদকে প্রশ্নবিদ্ধ করার’ অভিযোগ এনে এ ঘোষণা দিয়েছেন।

আগামী ৮ অক্টোবর আপিল বিভাগের ১নং কোর্টে নতুন প্রধান বিচারপতিকে সংবর্ধনা দেওয়া হবে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ইউএলএফের আহ্বায়ক ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘লুণ্ঠিত ভোটাধিকার, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, আইনের শাসন, স্বাধীন বিচার বিভাগ প্রতিষ্ঠা, আপসহীন দেশনেত্রী খালেদা জিয়াসহ সব গণতন্ত্রকামী রাজনীতিক, পেশাজীবী এবং মানবাধিকার কর্মীর মুক্তি, মিথ্যা মামলা ও ফরমায়েশি রায় বাতিলের দাবিতে আইনজীবীদের সঙ্গে নিয়ে ইউএলএফের আন্দোলন চলমান আছে। ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, খুলনা, রাজশাহী, বগুড়া, বরিশালসহ প্রায় সব বিভাগীয় বার সমিতিতে আইনজীবী সমাবেশ ও পদযাত্রা সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘গত ২৫ সেপ্টেম্বর বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবে অবসর গ্রহণ করেছেন। বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি গত ১২ সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানকে দেশের ২৪তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেন। তিনি শপথ গ্রহণ করেন ২৬ সেপ্টেম্বর। সুপ্রিম কোর্ট বারের আইনজীবীসহ দেশের সব শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ প্রত্যাশা করেছিল, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বিচারালয়ের সর্বোচ্চ চেয়ারের মর্যাদা, ভাবগাম্ভীর্য এবং দীর্ঘদিন ধরে গড়ে ওঠা বিচারিক প্রথা বজায় রাখবেন। যদিও তার রাজনৈতিক অতীত এবং আইনজীবী থাকাবস্থায় বর্তমান সরকার ও সরকারি দলের সব কর্মকাণ্ডের সঙ্গে প্রশ্নাতীতভাবে তার নিয়মিত অংশগ্রহণ আইনজীবী সমাজের জানা আছে।’

জয়নুল আবেদীন আরও বলেন, ‘আমরা অত্যন্ত বেদনাহত মন নিয়ে এই সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হয়েছি। দেশের প্রধান বিচারপতি নিয়োগের পর থেকে ফুলের শুভেচ্ছা নিতে নিতে, এক পর্যায়ে সরকারি দলের ছাত্র সংগঠন এবং বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা গ্রহণ করেন, যার সচিত্র প্রতিবেদন গণমাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয়। এটি সুপ্রিম কোর্টের ৫২ বছরের ইতিহাসে একটি নজিরবিহীন ঘটনা এবং প্রবীণ আইনজীবীদের ভাষায় বিচার বিভাগের জন্য চরম বেদনার মুহূর্ত। শুধু তাই নয়, শপথ গ্রহণের দুই দিনের মাথায় একটি জেলা সমিতির সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিতর্কিত পুলিশ অফিসার, আইনজীবী নিপীড়নকারী এবং নিয়মিত মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী ডিবিপ্রধান হারুন অর রশীদের কাছ থেকে একটি বৃহদাকার তলোয়ার উপহার হিসেবে প্রধান বিচারপতির গ্রহণ করার ছবি গণমাধ্যমে প্রচারের পর দেশের আইনজীবী সমাজ হতাশ এবং বিস্মিত হয়েছে। আনুষ্ঠানিক দায়িত্ব পালন শুরু করতে না করতেই তার সংবর্ধনার মেলা এবং নানাবিধ বক্তব্যে প্রধান বিচারপতির মত সর্বোচ্চ সাংবিধানিক বিচারিক পদকেই প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলেছে।’

বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘বিশেষ করে গত ১ অক্টোবর নেত্রকোনা স্টেডিয়ামে নেত্রকোনা জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতির সভাপতিত্বে ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের সঞ্চালনায় প্রধান বিচারপতির সংবর্ধনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন সরকারের প্রতিমন্ত্রী, ২০১৮ সালের নিশিরাতের ভোটের সংসদ সদস্য, বিচারপতি, বিচারকসহ স্থানীয় আমলা, পুলিশের কর্মকর্তা ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতিসহ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান আওয়ামী লীগের দলীয় সংবর্ধনা গ্রহণ করার মধ্য দিয়ে প্রধান বিচারপতির মত নিরপেক্ষ পদের মর্যাদা ও সম্মানহানি ঘটিয়েছেন। এতে বিচার বিভাগের ওপর সাধারণ মানুষের অনাস্থা আরও গভীরতর হচ্ছে। বিচার বিভাগ নিপতিত হবে গভীর সংকটে। এরপরও আমরা মনে করি, জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটানোর লক্ষ্যে বিচার বিভাগের প্রধান হিসাবে আপনার দায়িত্ব থাকবে, নিরপেক্ষ থাকবেন এবং বিচার বিভাগের স্বাধীনতা অক্ষুন্ন রাখবেন।’

‘ইউএলএফ অত্যন্ত ব্যথিত চিত্তে বিচার বিভাগের মর্যাদা, সম্মান, প্রধান বিচারপতি পদের ভাবগাম্ভীর্য এবং বিচার বিভাগের ওপর বাংলাদেশের জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে আগামী ৮ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্ট বারের তথাকথিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠান বর্জনের এডহক কমিটির সিদ্ধান্তের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করছে। আগামী ৮ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্ট বার চত্বরে বর্জনের সিদ্ধান্তের সমর্থনে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল এবং আইনজীবী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।’

জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, দেশের প্রধান বিচারপতি আইনজীবীদের এই সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক প্রতিবাদ অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে অনুধাবন করবেন। দেশে যখন ভোটাধিকার লুণ্ঠিত, গণতন্ত্র এবং আইনের শাসনের জন্য জনগণের অবিরাম আন্দোলন চলছে, তখন আমাদের প্রত্যাশিত বিচার বিভাগ নতুন করে আর কোনো বিতর্কের মধ্যে না জড়িয়ে সংবিধান অর্পিত ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার সাংবিধানিক দায়িত্ব এবং জনগণের মৌলিক অধিকার রক্ষার জন্য দৃঢ় ভূমিকা নেবে।’

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ইউএলএফের কো-কনভেনর সিনিয়র আইনজীবী সুব্রত চৌধুরী, বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, অ্যাডভোকেট মহসিন রশিদ প্রমুখ।


দুর্নীতি-অপকর্মের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান রাষ্ট্রপতির

মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প পুরস্কার ২০২২’ প্রদান অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ছবি: বাসস
আপডেটেড ৩ অক্টোবর, ২০২৩ ১৬:৪৬
বাসস

দেশপ্রেমিক ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাদের দুর্নীতি এবং অপকর্মের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প পুরস্কার ২০২২’ প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান।

রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, ‘আপনাদেরকে দুর্নীতি এবং অপকর্মের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে... যেকোনো পরিস্থিতিতে সরকার সবসময় আপনাদের পাশে থাকবে, উৎসাহ যোগাবে।’

তিনি বলেন, “দেশের শিল্পোন্নয়নে বিদ্যমান সকল সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে সকলের সম্মিলিত প্রয়াসের মাধ্যমে ২০৪১ সালের মধ্যেই ‘উন্নত বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে সক্ষমতা অর্জন করা সম্ভব।”

রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘ইতোমধ্যে শিল্প মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রমে সনাতনী থেকে ডিজিটাল কর্মসূচিতে পদার্পণের ছোঁয়া পরিলক্ষিত হয়েছে এবং ডিজিটাল থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট কর্মসূচিতে পদার্পণে বেশি সময় লাগবে না।’

তিনি বলেন, ‘বর্তমানে আমাদের স্লোগান হবে টেকসই শিল্পায়ন স্মার্ট বাংলাদেশের দর্শন।’

রাষ্ট্রপতি দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার পাশাপাশি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা নির্মাণে অবদান রাখারও তাগিদ দেন।

‘দেশে ব্যবসা ও বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ বিদ্যমান’ উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘শিল্প খাতের দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের জন্য সরকার ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলেছে। কিন্তু এক শ্রেণির অসাধু-ব্যবসায়ীর অতি মুনাফালোভী মনোভাব ও রাতারাতি বড়লোক হওয়ার স্বপ্ন দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যে বিরূপ প্রভাব ফেলছে এবং এতে জনগণের ভোগান্তি বাড়ছে।’

রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন বলেন, ‘অল্প কিছু লোকের অপকর্মের দায়ভার গোটা ব্যবসায়ী সমাজের হতে পারে না।’

শ্রমিকদের কল্যাণের পাশাপাশি দুস্থ মানবতার সেবায় দেশের ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার প্রশংসা করেন তিনি।

শ্রমিকদের নিয়ে আন্তর্জাতিক রাজনীতি হচ্ছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘কিছু দুষ্টচক্র দু-একজনকে বেছে নেয় এবং এদেরকে মানবাধিকারের কথা বলে দেশ-বিরোধী চক্রান্ত করায়।’

তিনি শিল্প-কারখানায় শ্রমিকদের ন্যায্য পাওনা ও অধিকার প্রদানকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিবেচনা করারও অনুরোধ জানান সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে।

আজকের অনুষ্ঠানে ৬টি ক্যাটাগরিতে— ভারী, মাঝারি, ক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও কুটির এবং উচ্চ প্রযুক্তির শিল্প ইউনিটের মালিকসহ ১২ জন শিল্পোদ্যোক্তাকে নিজ নিজ ক্ষেত্রে তাদের অসামান্য অবদানের জন্য ‘বঙ্গবন্ধু শিল্প পুরস্কার ২০২২’ সম্মাননা দেয়া হয়।

বৃহৎ শিল্প ক্যাটাগরিতে রানার অটোমোবাইলস লিমিটেড প্রথম, জাবের অ্যান্ড জোবায়ের ফেব্রিক্স লিমিটেড এবং বিএসআরএম স্টিলস লিমিটেড এবং মাঝারি শিল্প ক্যাটাগরিতে প্রথম স্থান অধিকার করে নিতা কোম্পানি লিমিটেড এবং দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে নোমান টেরি টাওয়েল মিলস লিমিটেড।

ক্ষুদ্র শিল্প ক্যাটাগরিতে হযরত আমানত শাহ স্পিনিং মিলস লিমিটেড প্রথম, বসুমতি ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেড দ্বিতীয় এবং টেকনো মিডিয়া লিমিটেড তৃতীয় স্থানে রয়েছে।

এছাড়া মাইক্রো ইন্ডাস্ট্রিজ ক্যাটাগরিতে গ্রীন জেনেসিস ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড এবং কুটির শিল্প ক্যাটাগরিতে শামসুন্নাহার টেক্সটাইল মিলস নির্বাচিত হয়েছে।

ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ ক্যাটাগরিতে প্রথম স্থান অর্জন করেছে এবং সুপার স্টার ইলেকট্রিক্যাল এক্সেসরিজ লিমিটেড ক্যাটাগরিতে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে।

রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘শিল্প উদ্যোক্তা বা প্রতিষ্ঠানের জন্য এই পুরস্কার একটি অনন্য রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি যা তাদেরকে টেকসই শিল্পায়নে বিনিয়োগ ও নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টিতে উৎসাহ এবং প্রেরণা যোগাবে।’

তিনি আশা করেন যে, তাদেরকে (পুরস্কার প্রাপ্তদের) অনুসরণ করে অন্যান্য ব্যবসায়ী, শিল্পপতি ও রপ্তানিকারকগণ আগামী দিনে দেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ প্রসারে উৎসাহিত ও উদ্যোগী হবেন।

রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন বলেন, ‘করোনা মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে বর্তমানে বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দা চলছে। তাই বাংলাদেশ সরকার বৈশ্বিক পরিস্থিতি অত্যন্ত সতর্কতার সাথে পর্যবেক্ষণ করছে এবং দেশের রপ্তানি ও ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ও প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রাখতে সর্বাত্মক প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে।’

দেশের উদ্যোক্তা, বিনিয়োগকারী ও ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘বিশ্ব অর্থনীতির বর্তমান অবস্থায় বাংলাদেশের রপ্তানি ও ব্যবসা-বাণিজ্যে কী প্রভাব পড়তে পারে— তা চিহ্নিত করতে হবে এবং ঝুঁকি ও সম্ভাবনা বিবেচনা করে ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীদেরকে এগিয়ে যেতে হবে।’

তথ্যপ্রযুক্তি ও নতুন নতুন উদ্ভাবনের ফলে ক্রমবর্ধমান ব্যবসা-বাণিজ্যে দ্রুত পরিবর্তনের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘সকল জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি, চাহিদা, সরবরাহ ইত্যাদি বিবেচনায় নিয়ে আপনাদেরকেও পদক্ষেপ নিতে হবে।’

ব্যবসায়ীদেরকে ধ্যান-ধারণায় তথ্যপ্রযুক্তিতে জ্ঞান-সম্পন্ন আধুনিক হওয়ার ও উপদেশ দেন রাষ্ট্রপতি। এর পাশাপাশি পরিবর্তিত পরিস্থিতির সঙ্গে নিজেদেরকে খাপ খাইয়ে নেয়ার জন্য তাগিদ দেন তিনি।

শিল্প মন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, কৃষি মন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি মাহবুবুল আলম, ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড-এর চেয়্যারম্যান এসএম নুরুল আলম রেজভী এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা।

অনুষ্ঠানে শিল্প মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম সম্পর্কিত একটি ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রদর্শিত হয়। রাষ্ট্রপতি নিজ আসনে বসে তা অবলোকন করেন।


ভিসানীতি নিয়ে চিন্তিত নয় র‍্যাব

আপডেটেড ৩ অক্টোবর, ২০২৩ ১৮:৪০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ভিসানীতি নিয়ে র‌্যাব চিন্তিত নয় বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। তিনি বলেছেন, ভিসানীতি নিয়ে ভাবছে না র‍্যাব, জঙ্গি ও সন্ত্রাসমুক্ত সমাজ গঠনে কাজ করে যাচ্ছে।

মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‍্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

ভিসানীতি নিয়ে প্রশ্নে কমান্ডার মঈন বলেন, ‘যে ভিসানীতির কথা বলছে, সেটি ২০২১ সালের ডিসেম্বরে র‍্যাবের ৭ জন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ র‍্যাবের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। যেটা এখনো চলমান। তাই এই বিষয় (ভিসানীতি) নতুন না। র‍্যাব প্রতিষ্ঠার পর থেকে সন্ত্রাস, জঙ্গিমুক্ত সমাজ গঠনে কাজ করে যাচ্ছে। আমরা আগের মতোই কাজ করে যাচ্ছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘ভিসানীতি সুনির্দিষ্ট একটি দেশের। তারা তাদের বিবেচনায় কাজ করছে। আমরা আমাদের দায়িত্ব পালন করছি। এখনো চাঞ্চল্যকর কোনো ঘটনা ঘটলে কাজ করছি। এমন কি জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার মতো একটি জঙ্গি সংগঠনের মূল থেকে উপড়ে ফেলার কাজ র‍্যাব করেছে। এটা (ভিসানীতি) নিয়ে আমাদের তেমন চিন্তা নেই। আমরা আমাদের কাজ করছি।’

এ সময় ‘নির্বাচন কমিশন আশঙ্কা করছে আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অস্ত্রের ঝনঝনানি বাড়তে পারে’ এ বিষয়ে জানতে চাইলে কমান্ডার খন্দকার মঈন বলেন, ‘র‍্যাবের ম্যান্ডেট হলো অস্ত্র, জঙ্গি, মাদক ও সন্ত্রাসী দমন। এটা শুধু নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কাজ করছি তা না। আমরা যখনই অবৈধ অস্ত্র বহন, ব্যবহারের তথ্য পাই সেটা দেশের যে প্রান্তেই হোক আমরা কাজ করি। গত সপ্তাহে যশোর থেকে ছয়টা অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। সব মিলিয়ে আমরা নির্বাচন না, যেকোনো সময় হোক জড়িতদের আইনের আওতায় নিয়ে আসছি।’

তিনি বলেন, ‘তবে কিছু ব্যক্তি বা মহল মনে করে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তাদের জনসর্থনের পাশাপাশি পেশি শক্তির প্রয়োজন রয়েছে। তাদের কিন্তু এই ধরনের সন্ত্রাসীদের ব্যবহার করা বা সন্ত্রাসীদের মাধ্যমে অস্ত্রের ব্যবহারের চেষ্টা থাকতে পারে। তবে এ বিষয়ে আমাদের গোয়েন্দারা কাজ করছে।’

নির্বাচনের আগে চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের জামিনের তথ্যের বিষয়ে এক প্রশ্নে খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা জামিনে বের হওয়ার তথ্য সরাসরি আমরা পাই না। পাওয়ারও কথা না। সন্ত্রাসীরা কারাগার জামিনে বের হচ্ছে আদালতে কোর্ট দারোগা থাকে, অনেক ক্ষেত্রে কারাগার থেকে কারা কর্তৃপক্ষ বা কারা পুলিশের কাছ থেকে পুলিশ সদর দপ্তর পেয়ে থাকে। পাশাপাশি আমাদের গোয়েন্দাদের মাধ্যমে বড় মাপের শীর্ষ সন্ত্রাসী ও যাদের বড় ধরনের অপরাধের ইতিহাস রয়েছে তাদের অবস্থান নজরদারিতে রাখা হচ্ছে। প্রয়োজনের তুলনায় র‍্যাবের জনবল অপ্রতুল। তাদের বিষয়ে কোনো তথ্য পেলে আমরা কাজ করছি। যেহেতু তারা আইনানুগ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে জামিনে বের হয়ে আসছে। অনেক জঙ্গিও বের হয়ে আসে। এই তথ্যটা গোয়েন্দা সংস্থা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী শেয়ার করা উচিত। তখন সবাই সমন্বিতভাবে মনে করে এটার বিরুদ্ধে কার্যকরী ব্যবস্থার নেয়া প্রয়োজন আছে, তখন ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে। তবে আমরা নজরদারিতে রাখার চেষ্টা করি। জামিনে বের হয়ে এসে আবারও অপরাধ করছে কি-না তা আমরা মনিটর করছি।’

এ সময় তিনি আরও বলেন, ‘আশুলিয়ায় দম্পতিসসহ তিনজন হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার সাগর কিন্তু চিহ্নিত সন্ত্রাসী না, শীর্ষ সন্ত্রাসীও না। তবে সাগর আমাদের জানিয়েছে একটি স্বার্থান্বেষী মহল তাকে ব্যবহার করার চেষ্টা করেছে। আমরা এমন কোনো তথ্য পেলেই তাদের আইনের আওতায় আনা হয়। পাশাপাশি এই ব্যাপারটা নিয়ে আমরা সতর্ক আছি।’

বিষয়:

‘গণমাধ্যমের ওপর চাপিয়ে দেয়া ভিসানীতি অবমাননাকর’

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ও দৈনিক অবজারভারের সম্পাদক ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেছেন, একটি স্বাধীন দেশের গণমাধ্যমের ওপর চাপিয়ে দেয়া ভিসানীতি অবমাননাকর। দেশের স্বাধীনতার ওপর হস্তক্ষেপের সামিল।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভিসানীতি ঘোষণা করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এর প্রতিবাদ রাজনীতিবিদরা করবেন। কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত যখন বললেন গণমাধ্যমও ভিসানীতির মধ্যে আসবে। এই জন্যই আজকে মাঠে নেমেছি। পিটার হাসের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে গণমাধ্যমে যে স্বাধীনতা আছে, এটা অযাচিত হস্তক্ষেপের সামিল।

মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ভিসানীতির নামে সংবাদ মাধ্যমে মার্কিন চাপের প্রতিবাদে এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ চলে সংবিধানের ওপর। তবে রাজনীতির প্রয়োজনে রাজনৈতিক সমঝোতার ভিত্তিতে সংবিধান সংশোধন হয়। আজকেও রাজনীতিবিদরা বলেছেন, দেশে অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হতে হবে। তবে একটি স্বাধীন দেশের ওপর বাইরের দেশের হস্তক্ষেপ মানি না মানবো না। আমেরিকা বন্ধুর আচরণের বিপরীতে প্রভুর আচরণ করতে চায়। আমরা সেটি মানবো না। তারা ভিসানীতির ভয় দেখিয়ে অযাচিত হুমকি দেবেন, সেটা মেনে নিতে পারি না। বাঙালি জাতিকে ভিসানীতি বা স্যাংশনের ভয় দেখিয়ে আমাদের দমিয়ে রাখা যাবে না। ভয় ও লোভের কাছে মাথা নত করে মৃত্যু কাঙ্ক্ষিত বীর হতে পারে না। সেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাহসিকতা দেখিয়েছেন। আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাশে দাঁড়াব। নিজের শক্তি দিয়ে গণতান্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চাই। কারো চাপে কিছু করতে চাই না। রাজনীতির মাঠে যারা আছেন, তাদের উদ্দেশ্যে বলছি, সমঝোতার মাধ্যমে সব দলের অংশগ্রহণে একটি অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন।

তিনি বলেন, কারো চোখ রাঙানোর কাছে মাথা নত করব না, সে দেশি বিদেশি শক্তি হোক। স্বাধীনতার পরাভূত শক্তি দেশকে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির দিকে নিয়ে যেতে চায়। তখন আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে আমরা কোন শক্তির পক্ষে থাকব। তবে কোনো অশুভ শক্তির কাছে গণমাধ্যম মাথা নত করবে না।

সংগঠনের সিনিয়র সহ-সভাপতি ওবায়দুল হক খানের সভাপতিত্বে এতে আরও বক্তব্য রাখেন বিএফইউজের সাবেক সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, সাবেক মহাসচিব আবদুল জলিল ভূঁইয়া, ডিইউজের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মানিক লাল ঘোষ, যুগ্ম সম্পাদক খায়রুল আলম, ডিইউজের সাবেক সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ, সংগঠনের সভাপতি কামরুল ইসলাম, সদস্য সচিব সাহিন বাবু, সিনিয়র সাংবাদিক লায়েকুজ্জামান, আবু সাঈদ প্রমুখ।

মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল বলেন, ভিসানীতি নিয়ে আতঙ্কিত ও উদ্বিগ্ন নই। আমেরিকা বছরে ভিসা দেয় মাত্র ২৭০০০। এতে সারা দেশে মানুষের কী সমস্যা। ভিসানীতি তো তাদের আছেই, প্রতি বছর ১ লাখ আবেদন করে। আর ভিসা দেয় ২৭০০০।

ভিসানীতি দেয় আমেরিকা, আর তালিকা করে চিকিৎসকরা। সাংবাদিকদের রুটি রুজির পাশাপাশি মর্যাদার লড়াই করতে হবে। সাংবাদিকতা পেশায় যদি মর্যাদাই না থাকে তাহলে করার দরকার কী। আমেরিকা একটি মুক্ত গণমাধ্যম দেশ। আগে যখন ভিসানীতি দিয়েছিল, আমলা, রাজনৈতিক নেতা, বিচার বিভাগসহ যারা অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে বাঁধা দেবে। কিন্তু পরে গণমাধ্যমের ওপর ভিসানীতির কথা বলে। আমেরিকা তাদের নীতির বাইরে যাবে না। আমেরিকার নীতি প্রণয়ন করে যাদের চোখে দেখা যায় না। আমেরিকার স্বাধীন গণমাধ্যম। সেখানে পিটার হাস এ কথা বলতে পারেন না। সেখানে স্বাধীন মত প্রকাশে কোনো আইন প্রনয়ন করতে পারবে না স্পষ্ট বলা আছে। গণমাধ্যমকে যখন পিটার হাস ভিসানীতির কথা বলেন, এটা স্বাধীন গণমাধ্যমের ওপর একটি চাপ সৃষ্টি করা। ভিসাকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে চায় আমেরিকা। এই উন্নয়নের ধারা থাকবে কি থাকবে না, এটার জন্য পিটার হাসের চাপ অনুভব করার সুযোগ নেই। পিটার হাস আপনি অতিথি মানুষ। তাই আপনার নীতির মধ্যে থাকুন। বাংলাদেশের স্বাধীন গণমাধ্যম কোনো আত্মসমর্পণ করে না। করবে না।

আবদুল জলিল ভূঁইয়া বলেন, মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের কথা উঠলেই ৭১ সালের কথা মনে পড়ে। খুনিদের সরদার আমেরিকা।

ডিইউজের যুগ্ম সম্পাদক খায়রুল আলম বলেন, আমার দেশ আমার। তুমি মার্কিনি কথা বলার কে!

এ সময় বক্তারা বলেন, আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কীভাবে কলুষিত করা যায়, সেই চেষ্টা করছে। রাজাকারের বন্ধু আমেরিকা। ভিসানীতি দিয়ে আমাদের ভয় দেখাচ্ছে। বাঙালি জাতিকে ভয় দেখানো সহজ নয়। আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে বাঙালি জাতিকে বাঁচাতে হলে। গণতন্ত্রকে রক্ষার জন্য সাংবাদিকদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।


আন্দোলনের নামে অগ্নিসংযোগ করলে ক্ষমা নেই: প্রধানমন্ত্রী

ফাইল ছবি
আপডেটেড ৩ অক্টোবর, ২০২৩ ১৪:২৭
বাসস

আন্দোলনের নামে আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে ২০১৩-১৪ সালের মতো অগ্নিসংযোগ ও অমানবিক, নৃশংসতার ঘটনা ঘটলে আর কোনো সহনশীলতা দেখানো হবে না বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সোমবার লন্ডনের মেথোডিস্ট সেন্ট্রাল হল ওয়েস্টমিনস্টারে প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে আয়োজিত একটি কমিউনিটি সংবর্ধনায় তিনি এ কথা বলেন। খবর বাসসের

তিনি বলেন, ‘আন্দোলনের নামে আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে ২০১৩-১৪ সালের মতো অগ্নিসংযোগ ও অমানবিক, নৃশংসতার ঘটনা ঘটলে আর কোনো সহনশীলতা দেখানো হবে না।

‘আন্দোলনের নামে নির্বাচনের আগে সন্ত্রাসবাদ বা একইভাবে সাধারণ মানুষের ওপর হামলা বা হামলার ঘটনা ঘটলে রেহাই দেয়ার কোনো সুযোগ থাকবে না।’

প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে স্মরণ করিয়ে দেন যে, বিএনপি-জামায়াত জোট ২০১৩-১৪ সালে যাত্রীবাহী বাস, ট্রেন ও লঞ্চসহ বহু ধরনের যানবাহনে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে জনগণকে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা করে, সরকারি ও বেসরকারি সম্পত্তি ধ্বংস করে সারাদেশে তাণ্ডব চালিয়েছিল। তথাকথিত আন্দোলনের নামে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অগ্নিসংযোগের ঘটনায় নারীসহ অনেক লোক গুরুতরভাবে দগ্ধ হয়েছিল এবং তারা তাদের আঘাত নিয়ে অমানবিক জীবনযাপন করছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আন্দোলনে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। সন্ত্রাসবাদে অগ্নিসংযোগ করে মানুষ হত্যা এবং দেশের সম্পত্তি নষ্ট করা তাদের আন্দোলন। এর আগে ২৯ জন পুলিশ সদস্যকে হত্যা করেছে। দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের জীবন নিয়ে এমন কোনো চেষ্টা করা হলে কোনো ক্ষমা করা হবে না।’

আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘গণতন্ত্রের কথা বলা বিএনপির পক্ষে শোভা পায় না কারণ তারা জনগণের ভোটাধিকার নিয়ে ধোকাবাজি খেলেছে। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বিএনপি একটি প্রহসনমূলক নির্বাচন করে এবং নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসার দেড় মাসের মধ্যেই দেশের জনগণ তাদের ক্ষমতা থেকে উৎখাত করে।’

তিনি বলেন, ‘দেশের জনগণ কখনই ভোট কারচুপিকারীদের ক্ষমতায় বসতে দেয় না।’

প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে স্মরণ করিয়ে দেন যে, বিএনপি-জামায়াত জোট ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার নিয়ে ভোটার তালিকা তৈরি করে এবং সেই তালিকা দিয়ে নির্বাচন করার চেষ্টা করে।

উল্টো আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা জনগণের ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য দীর্ঘদিন ধরে সংগ্রাম করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাদের অনেকেই তাদের জীবন উৎসর্গ করেছেন।

প্রধানমন্ত্রী একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে বলেন যে, তার সরকার নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনের জন্য আইন প্রণয়নের পাশাপাশি আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করার জন্য সমস্ত সংস্কার করেছে।

তিনি বলেন, ‘একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য তারা স্বচ্ছ ব্যালট বক্স চালু করেছে এবং ছবিসহ ভোটার তালিকা তৈরি করেছে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বিএনপি এখন খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর আন্দোলন করছে। সরকারপ্রধান হিসেবে তার ওপর ন্যস্ত নির্বাহী ক্ষমতা দিয়ে এতিমদের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীতির মামলায় কারাদণ্ড স্থগিত করার পর খালেদা জিয়াকে তিনি বাড়িতে থাকতে দিয়েছেন। খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর ক্ষেত্রে কিছুই করার নেই উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তিনি আইন অনুযায়ী যা করতে পারেন, তাই করেছেন।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘অনেকেই এখন যুক্তি দিচ্ছেন, আইন নিজের গতিতে চললেও খালেদা জিয়ার প্রতি আমি বেশি সহানুভূতি দেখাতে পারি।’

১৫ আগস্ট, ১৯৭৫ সালের হত্যাকাণ্ড, ২১ আগস্ট, ২০০৪ গ্রেনেড হামলা, শেখ রেহানার বাড়িটিকে একটি পুলিশ ফাঁড়িতে পরিণত করা, যা তিনি জাতির পিতার পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা দেয়ার জন্য প্রণীত আইনের অধীনে পেয়েছিলেন, যা বিএনপি সরকারের লঙ্ঘনের ঘটনা।

কোকোর মৃত্যুর পর তাকে (শেখ হাসিনা) খালেদা জিয়ার বাড়িতে প্রবেশের অনুমতি না দেয়ার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘তারা কীভাবে খালেদা জিয়ার জন্য আমার কাছ থেকে আরও সহানুভূতি আশা করে।’


‘বাংলাদেশের জনগণের চাওয়াই যুক্তরাষ্ট্রের চাওয়া’

আপডেটেড ৩ অক্টোবর, ২০২৩ ১০:২২
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার বলেছেন, বাংলাদেশের জনগণ যা চায় যুক্তরাষ্ট্রও তা চায়। যুক্তরাষ্ট্র কোনো নির্দিষ্ট দলকে সমর্থন করে না এবং নির্বাচনের ফলাফলকে প্রভাবিতও করতে চায় না। যুক্তরাষ্ট্র শুধু বাংলাদেশের জনগণ যাতে স্বাধীনভাবে তাদের নেতা নির্বাচন করতে পারে তা নিশ্চিত করতে চায়।

স্থানীয় সময় সোমবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে মিলার এ কথা বলেন।

যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতির আওতায় গণমাধ্যমও আসতে পারে-- ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের এ মন্তব্য সম্পর্কে তাকে প্রশ্ন করা হয়। এর জবাবে মিলার বলেন, বাংলাদেশের জনগণের স্বাধীনভাবে তাদের নেতা নির্বাচনের আকাঙ্ক্ষাকে সমর্থন করে ভিসানীতি ঘোষণা করে হয়েছে। বাংলাদেশের জনগণ যা চায় যুক্তরাষ্ট্রও তা চায়, তা হলো অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন, যা শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হবে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের সরকার, রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ এবং গণমাধ্যম সবাই আসন্ন জাতীয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হওয়ার পক্ষে তাদের ইচ্ছা প্রকাশ করেছে–যেমনটি আমরাও চাই।

এর আগেও মিলার বলেছিলেন, গত মে মাসে পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন যখন এই নতুন নীতি ঘোষণা করেছিলেন, তখনো আমরা বলেছিলাম—এর উদ্দেশ্য বাংলাদেশে নির্বাচনে কারও পক্ষ নেওয়া নয়। এর উদ্দেশ্য বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ জাতীয় নির্বাচন নিশ্চিত করা বা সমর্থন করা। আমি বলব, গত শুক্রবার যখন আমরা এই নতুন ভিসা বিধিনিষেধ কার্যকরের ঘোষণা দিয়েছিলাম, তখন আমরা উল্লেখ করেছি, এতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, ক্ষমতাসীন দল ও রাজনৈতিক বিরোধীদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।


জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে সিনিয়র সচিবের শ্রদ্ধা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা গতকাল সোমবার বিকেলে রাজধানীর ধানমন্ডিতে অবস্থিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন।

সম্প্রতি তিনি সিনিয়র সচিব হিসেবে পদোন্নতিপ্রাপ্ত হন। সিনিয়র সচিব হিসেবে পদোন্নতির পূর্বে তিনি শিল্প মন্ত্রণালয়েই সচিব হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদনকালে তিনি বঙ্গবন্ধুসহ তাঁর পরিবারের শহীদের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন। বিজ্ঞপ্তি


banner close