শুক্রবার, ৮ নভেম্বর ২০২৪

১৭ বছর পর জাপান রুটে ডানা মেলল বিমান

ড্রিমলাইনার ৭৮৭ উড়োজাহাজ দিয়ে ঢাকা-নারিতা ফ্লাইট পরিচালনা করবে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। ফাইল ছবি
আপডেটেড
২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০১:০৭
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত : ২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০১:০৫

বাংলাদেশ-জাপান সরাসরি বিমান যোগাযোগ লাভজনক রুট হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স বহুল প্রতীক্ষিত ঢাকা-নারিতা-ঢাকা সরাসরি ফ্লাইট পুনরায় চালু করেছে।

উদ্বোধনী ফ্লাইটটি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে শুক্রবার রাত পৌনে ১২টায় যাত্রা করে। এই ফ্লাইট শনিবার স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে জাপানের নারিতা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।

নারিতা বিমানবন্দর জাপানের বৃহত্তর টোকিওর দুটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের একটি। অন্যটি হলো হানেদা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর।

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী এম মাহবুব আলী প্রধান অতিথি হিসেবে জাতীয় পতাকাবাহী বিমানের ফ্লাইট চলাচল উদ্বোধন করেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ ও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।

১৯৭৯ সালে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ঢাকা-টোকিও রুটে ফ্লাইট চালু হয়। ১৯৮১ সালে সাময়িক বিরতির পর তা আবার চালু হয়। তবে তখন টোকিওর পরিবর্তে ঢাকা-নারিতা গন্তব্যে সেই ফ্লাইট চলত। ক্রমাগত লোকসানের মুখে ২০০৬ সালে এই গন্তব্যে ফ্লাইট চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। ১৭ বছর পর আবার সেই গন্তব্যে ডানা মেলল বিমান।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও শফিউল আজিম বলেন, ‘ঢাকা-নারিতা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের জন্য একটি প্রতিশ্রুতিশীল রুট হতে পারে। কেননা এতে আমরা স্থানীয় যাত্রী ছাড়াও আমাদের প্রতিবেশী দেশের যাত্রীদের আশা করছি।’

তিনি বলেন, ‘নেপাল ও কলকাতার যাত্রীদের আকৃষ্ট করতে বিমান ইতোমধ্যেই নারিতা রুটে বেশি ওজনের ব্যাগেজসহ লোভনীয় প্যাকেজ অফার করেছে।’

শফিউল আজিম বলেন, ‘জাপানে বাংলাদেশি ছাড়াও প্রায় ৪১ হাজার ভারতীয় এবং এক লাখ ৪০ হাজার নেপালি নাগরিক বাস করে। ভারত ও নেপালের যাত্রীরা মাত্র ছয় ঘণ্টার মধ্যে ঢাকা হয়ে জাপানে আসা-যাওয়া করতে পারবেন। এছাড়া বর্তমানে অনেক জাপানি কোম্পানি এখানে তাদের ব্যবসার প্রসার ঘটাচ্ছে এবং অনেক বাংলাদেশি শিক্ষার্থী জাপানের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হচ্ছেন।’

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের প্রধান বলেন, ‘জাতীয় পতাকাবাহী বিমান কোড শেয়ারিংয়ের মাধ্যমে জাপান হয়ে অন্যান্য ক্যারিয়ারের সাহায্যে অস্ট্রেলিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিম উপকূল ও কানাডায় যাত্রী বহনের পরিকল্পনা করছে।’

ড্রিমলাইনার ৭৮৭-৮ এবং ৭৮৭-৯ বিমান দিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ঢাকা-নারিতা রুটে সাপ্তাহিক তিনটি ফ্লাইট পরিচালনা করবে। প্রতি শুক্র, সোম ও বুধবার ঢাকা থেকে এবং প্রতি শনি, মঙ্গল ও বৃহস্পতিবার নারিতা থেকে ফ্লাইট ছাড়বে।

বর্তমানে জাতীয় পতাকাবাহী সংস্থা ইউরোপীয় উড়োজাহাজ প্রস্তুতকারকদের কাছ থেকে ১০টি আনকোরা নতুন উড়োজাহাজ কেনার লক্ষ্যে এয়ারবাসের সঙ্গে আলোচনা করছে।

বর্তমানে বিমানের বহরে মোট ২১টি উড়োজাহাজ রয়েছে। এর মধ্যে চারটি বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইআর, চারটি বোয়িং ৭৮৭-৮, দুটি বোয়িং ৭৮৭-৯, ছয়টি বোয়িং ৭৩৭ এবং পাঁচটি ড্যাশ ৮-৪০০ বিমান।


দেশের দক্ষিণাঞ্চলে বৃষ্টির আভাস

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:২০
নিজস্ব প্রতিবেদক

কার্তিক মাসের শুরুতে তাপমাত্রা বেশিই ছিল। অন্যান্য বছর হেমন্তের এই সময়ে তাপমাত্রা কম থাকলেও চলতি বছর বেশি তাপমাত্রায় আবহাওয়াবিদদের উদ্বিগ্ন করেছে। অথচ শীতের আগমনী বার্তা নিয়ে আসে এই ঋতু। কিন্তু কার্তিক মাসের অর্ধেক শেষ হলেও দেশের উত্তর অংশে শীতের আগমন ঘটলেও সিলেটে এখনো গরম অনুভূত হচ্ছে। জলবায়ু পরির্তনের জন্য এমনটি ঘটছে বলে আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা জানান।

যদিও সিলেটের পাহাড়ি এলাকা এবং গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতে রাতে কিছুটা শিশির পড়ছে বলে জানা গেছে। আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ বলেন, দেশের দক্ষিণ দিক থেকে এখনো সামান্য বাতাস প্রবাহিত হচ্ছে। এই দক্ষিণা বাতাস বাড়াচ্ছে গরম। দক্ষিণা বাতাস জলীয় বাষ্প নিয়ে আসছে, যে কারণে আবহাওয়া উষ্ণ হয়ে যাচ্ছে।

এদিকে কয়েক দিন আগে বেশ গরম পড়লেও রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে গত মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) ভারী বৃষ্টিপাত হওয়ার পর থেকে তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে। দিনের তাপমাত্রা কমার পাশাপাশি রাতে হালকা শীত অনুভূত হচ্ছে।

আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে বৃষ্টির আভাস দিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। আর আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দিন ও রাতের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

গতকাল বৃহস্পতিবার আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুকের দেওয়া পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়।

আবহাওয়া অফিস জানায়, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। এর ফলে সারা দেশে রাতের এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।

আজ শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারা দেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

অন্যদিকে আগামীকাল শনিবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু’এক জায়গায় বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারা দেশে রাতের এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। এ ছাড়া, আগামী পাঁচদিনের প্রথম দিকে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা রয়েছে বলে জানায় সংস্থাটি।


উন্নত চিকিৎসার জন্য আজ লন্ডন যেতে পারেন খালেদা জিয়া 

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ৮ নভেম্বর, ২০২৪ ০০:০৬
নিজস্ব প্রতিবেদক

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাওয়ার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। তার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ডের ৭ চিকিৎসকসহ সব সফরসঙ্গীর ভিসা প্রক্রিয়াও শেষ হয়েছে। তার শারীরিক অবস্থাসহ সবকিছু ঠিক থাকলে আজ শুক্রবার ‘লং ডিসট্যান্স স্পেশালাইজড এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে’ তাকে প্রথমে যুক্তরাজ্যের লন্ডনে নেওয়া হবে। তবে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স না পাওয়া গেলে তার বিদেশ যাত্রা দু-একদিন পিছিয়ে যেতে পারে।

বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য মন্ত্রী আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, খালেদা জিয়ার লন্ডনে যাওয়ার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। শারীরিক অবস্থাসহ সবকিছু ঠিক থাকলে ৮ নভেম্বর তার লন্ডন যাওয়ার কথা রয়েছে। খালেদা জিয়ার সঙ্গে মেডিকেল বোর্ডের সাত চিকিৎসক, নার্স ও তিন সহকারীসহ ১৬ জন যাবেন বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

বিএনপি চেয়ারপারসনের চিকিৎসার জন্য ইতোমধ্যে লন্ডনের কয়েকটি হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে বলে জানিয়ে আমির খসরু মাহমুদ বলেন, ঢাকা থেকে বেগম খালেদা জিয়া প্রথমে যুক্তরাজ্যের লন্ডনে যাবেন। সেখান থেকে পরবর্তীতে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্র কিংবা জার্মানির কোনো ‘মাল্টি ডিসিপ্লিনারি হেলথ সেন্টারে’ নেওয়া হতে পারে লিভার প্রতিস্থাপনের জন্য। এ বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদ জানান, বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে যে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে বিদেশে নেওয়ার কথা, তাতে থাকবে সব ধরনের চিকিৎসা সহায়তার ব্যবস্থা। ৭৯ বছর বয়সি সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিস, হৃদরোগ, ফুসফুস, আর্থ্রাইটিস, কিডনি, ডায়াবেটিস, চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন।

রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে বিভিন্ন সময়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শে তাকে দীর্ঘদিন চিকিৎসা নিতে হয়েছে।


মার্কিন নির্বাচনে ৫ বাংলাদেশি আমেরিকানের জয়

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয় পাওয়া ৫ বাংলাদেশি আমেরিকান। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ঐতিহাসিক জয় পেয়েছেন রিপাবলিকানপ্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। এদিকে এই নির্বাচনে জয় পেয়েছেন ৫ বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন রাজনীতিক। এদের মধ্যে একজন ছাড়া সবাই ডেমোক্যাটপ্রার্থী ছিলেন।

জানা গেছে, নির্বাচিত বাংলাদেশি আমেরিকানরা সবাই যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট অর্থাৎ অঙ্গরাজ্য পর্যায়ের সর্বোচ্চ পদমর্যাদার প্রতিনিধি। এখন পর্যন্ত কোনো বাংলাদেশি-আমেরিকান ফেডারেল পর্যায়ে অর্থাৎ সিনেট অথবা কংগ্রেসে নির্বাচিত হতে পারেননি। নির্বাচনে বিজয়ী বাংলাদেশি বংশোদ্ভূতরা হলেন- নিউ হ্যাম্পশায়ার স্টেট রিপ্রেজেনটেটিভ আবুল বি খান (রিপাবলিকান), নিউজার্সি প্লেইন্সবরো টাউনশিপের কাউন্সিলম্যান ড. নুরান নবী, কানেকটিকাট স্টেট সিনেটর মাসুদুর রহমান, জর্জিয়া স্টেট সিনেটর পদে ডেমোক্রাট প্রার্থী শেখ এম. রহমান ও একই স্টেটের অন্য একটি ডিস্ট্রিক্টের সিনেটর নাবিলা ইসলাম। বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের বেসরকারি নির্বাচনী ফলাফল ও স্থানীয় কমিউনিটি থেকে এ তথ্য জানা গেছে। স্থানীয় সূত্র থেকে জানা গেছে, নির্বাচিত পাঁচজন ছাড়াও পেনসিলভানিয়া, মিশিগান, নিউ জার্সিসহ অন্যান্য অঙ্গরাজ্যের বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি-আমেরিকান নাগরিক কাউন্টি ও অন্যান্য পর্যায়ে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন। তবে তদের ফলাফল এখনো জানা যায়নি।

এদিকে সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, রিপাবলিকান প্রার্থী ট্রাম্প ২৭৯টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোটে জয় নিশ্চিত করেছেন। অন্যদিকে তার প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিস পেয়েছেন ২২৩টি ইলেকটোরাল ভোট। তবে এখনো কিছু আসনে ফলাফল ঘোষণা বাকি আছে। অন্যদিকে, মার্কিন সিনেটের নিয়ন্ত্রণও চলে যাচ্ছে রিপাবলিকান পার্টির হাতে। এখনো অনেক আসনের ভোট গণনা চলমান থাকলেও, এটা স্পষ্ট যে ডেমোক্র্যাটরা তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাবে। প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয় যেমন নিশ্চিত হয়েছে একই ভাবে মার্কিন কংগ্রেসের উভয় কক্ষ সিনেট ও প্রতিনিধি পরিষদেও এগিয়ে আছেন রিপাবলিকানরা।

মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পাশাপাশি ভোটাররা কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের ৪৩৫টি আসন ও সিনেটের ৩৪টি আসনের সিনেটর নির্বাচনেও ভোট দিয়েছেন। বার্তা সংস্থা এপির তথ্য অনুযায়ী, সিনেটের যেসব আসনের ফলাফল এখন পর্যন্ত পাওয়া গেছে তাতে রিপাবলিকানরা এরইমধ্যে ৫২টি আসন নিশ্চিত করেছেন এবং ডেমোক্র্যাটরা ৪৪টি আসন পেয়েছেন। মার্কিন সিনেটে আসন সংখ্যা ১০০। বর্তমান সিনেটে ডেমোক্রেটিক পার্টি সংখ্যাগরিষ্ঠ ছিল; কিন্তু এখন এর নিয়ন্ত্রণ রিপাবলিকানদের হাতে চলে যাচ্ছে।


ভারত শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনে করে

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ছাত্র-জনতার প্রবল আন্দোলনের মুখে দেশ ছেড়ে যাওয়া আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বিবেচনা করে ভারত। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেছেন। রণধীর জয়সোয়াল বলেন, ‘আমরা এখান থেকে আগেই বলেছি যে তিনি (শেখ হাসিনা) বাংলাদেশের একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রী। সুতরাং এ বিষয়ে আমাদের অবস্থান এটাই।’

গত মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয়ের পর তাকে অভিনন্দন জানিয়ে একটি বিবৃতি দেয় আওয়ামী লীগ। ওই বিবৃতিতে শেখ হাসিনাকে ‘বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’ উল্লেখ করা হয়। এ প্রসঙ্গ তুলে একজন ভারতীয় সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, ভারত শেখ হাসিনাকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাকি ‘নির্বাসিত প্রধানমন্ত্রী’ হিসেবে বিবেচনা করছে। তার জবাবে ভারত সরকারের ওই অবস্থান তুলে ধরেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল। গণঅভ্যুত্থানের মুখে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা গণভবন ছেড়ে ভারতে চলে যান। এরপর থেকে তিনি নয়াদিল্লিতে আছেন। তবে তাকে কোন মর্যাদায় রাখা হয়েছে, সে বিষয়ে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি।


বাংলাদেশ-ভারত সেনাপ্রধানের ভার্চুয়াল বৈঠক

ভার্চুয়াল বৈঠকে বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান ও ভারতের সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ৭ নভেম্বর, ২০২৪ ২০:৪৭
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

বাংলাদেশের সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের সঙ্গে ভারতের সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদীর ভার্চুয়াল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে ‘পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট’ বিষয়সহ ‘প্রতিরক্ষা সহযোগিতা’ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। গতকাল বুধবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে বৈঠকটি নিয়ে ভারতীয় সেনাবাহিনীর এডিজি পিআই (অ্যাডিশনাল ডিরেক্টরেট জেনারেল অব পাবলিক ইনফরমেশন) এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট দেন। জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান ও জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদীর ভিডিও কলের ছবি দিয়ে ভারতীয় সেনাবাহিনীর এডিজি পিআই-এর (অ্যাডিশনাল ডাইরেক্টরেট জেনারেল অব পাবলিক ইনফরমেশন) এক্স হ্যান্ডেলে বলা হয়, তারা দুজন ‘ভিডিও টেলি কলে’ নিজেদের মধ্যে কথা বলেছেন। তারা ‘পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট’ বিষয়সহ দ্বিপক্ষীয় ‘প্রতিরক্ষা সহযোগিতা’ নিয়ে আলোচনা করেছেন।


বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ফের ২০ বিলিয়ন ডলারে

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রবাসী আয় বাড়ায় দেশের বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয় বা রিজার্ভের পরিমাণও বাড়ছে। ফলে দীর্ঘদিন পর ফের বিপিএম-৬ হিসাব অনুযায়ী রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার পৌঁছেছে। তবে নিট ইন্টারন্যাশনাল রিজার্ভ (এনআইআর বা ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ) এখনো ১৫ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি অবস্থান করছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ ২০২১ সালের আগস্টে সর্বোচ্চ উঠেছিল ৪ হাজার ৮০০ কোটি ডলার (৪৮ বিলিয়ন)।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, চলতি নভেম্বরের মাসের ৬ তারিখ পর্যন্ত গ্রস রিজার্ভ ২ হাজার ৫৭৩ কোটি মার্কিন ডলার বা ২৫ দশমিক ৭৩ বিলিয়ন ডলার। আর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ এখন ২ হাজার কোটি ডলার (২০ বিলিয়ন)। গত মাসের শুরুর দিকে অর্থাৎ ২ অক্টোবর গ্রস রিজার্ভ ছিল ২৪ দশমিক ৭৪ বিলিয়ন এবং বিপিএম-৬ ছিল ১৯ দশমিক ৭৬ বিলিয়ন।

গ্রস রিজার্ভ ও বিপিএম-৬-এর বাইরে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিট বা প্রকৃত রিজার্ভের আরেকটি হিসাব রয়েছে, যা শুধু আইএমএফকে দেয়, প্রকাশ করে না। চলতি বছরের ৬ নভেম্বর শেষে বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ (এনআইআর) আছে ১ হাজার ৫০০ কোটি মার্কিন ডলারের মতো। প্রতি মাসে সাড়ে ৫ বিলিয়ন ডলার হিসাবে এ রিজার্ভ দিয়ে তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো যাবে না। সাধারণত একটি দেশের ন্যূনতম ৩ মাসের আমদানি খরচের সমান রিজার্ভ থাকতে হয়। একটি দেশের অর্থনীতির অন্যতম সূচক হলো বৈদেশিক মুদ্রার মজুত বা রিজার্ভ।

এদিকে চলতি মাসে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) আমদানি দায় বাবদ দের বিলিয়ন ডলার পরিশোধ করা হবে, ফলে হিসাব কিছুটা কমে যাবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা জানান, প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে। ফলে দেশের বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ বাড়ছে এটা অর্থনীতির জন‌্য ইতিবাচক দিক। আশা করছি, রেমিট্যান্স বাড়ার এ প্রবাহ আগামীতেও অব্যাহত থাকবে।

আকু দায় প‌রি‌শোধ প্রসঙ্গে তিনি জানান, এটি একটি নিয়মিত প্রক্রিয়া প্রতি দুই মাস অন্তর আমাদের এই দায় পরিশোধ করতে হয়। যখন বিলটি পরিশোধ করা হয় তখন রিজার্ভ কমবে এটা স্বাভা‌বিক।

গত জুলাইয়ে কোটা সংস্কার নিয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সৃষ্ট পরিস্থিতিতে দেশজুড়ে সংঘাত-সংঘর্ষ, কারফিউ ও ইন্টারনেট বন্ধের প্রেক্ষাপটে বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠাবে না বলে হুমকি দেন প্রবাসীরা। আন্দোলনে নিহত ব্যক্তির কথা বলে প্রতিবাদ হিসাবে দেশে বৈধপথে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স না পাঠানোর বিষয়ে ক্যাম্পেইন করেন অনেক প্রবাসী। যার প্রভাব পড়েছিল প্রবাসী আয়ে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে দেশে ১৯০ কোটি মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা, যা ছিল গত ১০ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন।

এরপর নতুন সরকার গঠনের পর আবার দেশ গঠনে বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠানোর বিষয়ে ক্যাম্পেইন শুরু করেন অনেক প্রবাসী বাংলাদেশিরা। এর ফলে আবারও প্রবাসী আয় বাড়তে শুরু করে।

আগস্ট মাসে দেশে প্রবাসী আয় বেড়ে দাঁড়ায় ২২২ কোটি মার্কিন ডলারে (২ দশমিক ২২ বিলিয়ন)।

গত সেপ্টেম্বর মাসের দেশে বৈধপথে ব্যাংকিং চ্যানেলে ২৪০ কোটি ৪৮ লাখ (২ দশমিক ৪০ বিলিয়ন) মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ২৮ হাজার ৮৫৭ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১২০ টাকা ধরে)। কোনো একক মাসে এত প্রবাসী আয় গত চার বছরে এটা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এর আগে গত জুন মাসে ব্যাংকিং চ্যানেলে ২৫৪ কোটি ডলার এবং তারও আগে ২০২০ সালের জুলাইয়ে ২৫৯ কোটি ৮২ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল।

চল‌তি অর্থবছ‌রের অক্টোবরে মাসের দেশে বৈধপথে ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রায় ২৪০ কোটি (২ দশমিক ৪০ বিলিয়ন) মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ২৮ হাজার ৭৪০ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১২০ টাকা ধরে)। অক্টোবরে প্রতিদিন গড়ে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ৭ কোটি ৭৩ লাখ ডলার।


বিআরটিএ’র অভিযান: ভ্রাম্যমাণ আদালতে ২১৬ টি মামলা

৪ লাখ টাকার অধিক জরিমানা, ৬ দালালকে কারাদণ্ড
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা, খুলনা ও রাজশাহী মহানগরে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরোটির (বিআরটিএ) ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ২২৬টি মামলায় ৪ লাখ ৬৫ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা এবং ৬ জন দালালকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। এছাড়া অভিযানে ১ টি গাড়ি ডাম্পিং করা হয়। গত এক সপ্তাহে ৫৫ টি স্পটে এসব অভিযান চালানো হয়।

বৃহস্পতিবার রাতে বিআরটিএ এর উপপরিচালক (অ্যানফোর্সমেন্ট) মো. হেমায়েত উদ্দিন দৈনিক বাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, গত এক সপ্তাহে রাজধানী ঢাকা, খুলনা ও রাজশাহী মহানগরের ৫৫টি স্পটে বিআরটিএর’র ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালানো হয়। অভিযানে রুটভায়োলেশন, হাইড্রোলিক হর্ণ, অতিরিক্ত ভাড়া আদায়, ফিটনেসবিহীন ও অন্যান্য অপরাধে ২২৬টি মামলায় ৪ লাখ ৬৫ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় এবং ১টি গাড়ি ডাম্পিং করা হয়। এছাড়া, দালালবিরোধী অভিযানে ৬ জন দালালকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।


৫৫ শতাংশ তরুণ দেশে থাকতে চান না

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১৮:৫৯
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

২০২৩ সালের নভেম্বর ও ডিসেম্বরে পরিচালিত এক গবেষণা অনুসারে, দেশের ৫৫ শতাংশ তরুণ মাতৃভূমিতে থাকতে চাচ্ছেন না। তারা উচ্চশিক্ষা গ্রহণ ও চাকরির প্রয়োজনে অন্য দেশে চলে যেতে চান। গবেষণায় দেখা গেছে, এই তরুণরা সৌদি আরব, কানাডা, অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশকে বেছে নিতে চান।

ব্রিটিশ কাউন্সিলের ‘নেক্সট জেনারেশন বাংলাদেশ’- এর তৃতীয় সিরিজের গবেষণা প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। ২০২৩ সালের নভেম্বর-ডিসেম্বরে ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সী তিন হাজার ৮১ জন তরুণের সাক্ষাৎকার নিয়ে এই গবেষণা করা হয়। গতকাল বুধবার প্রতিবেদনটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রকাশ করা হয়।

গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘দেশ নিয়ে গর্ব বোধ করা কিংবা দেশ নিয়ে আশাবাদী হয়ে ওঠার প্রবণতা বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ক্রমেই কমছে।’

প্রতিবেদন অনুসারে, ২০১৫ সালের তুলনায় এখন (গবেষণার সময় অর্থাৎ ২০২৩ সালের নভেম্বর-ডিসেম্বর) দেশকে সঠিক পথে এগোচ্ছে মনে করা তরুণদের সংখ্যা কমে ৫১ শতাংশ হয়ে গেছে, যেখানে ২০১৫ সালে ছিল ৬০ শতাংশ।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বেকারত্ব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ৪২ শতাংশ তরুণ। এই তরুণদের ৬৯ শতাংশ সপ্তম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করেছে। শিক্ষা, চাকরি ও প্রশিক্ষণ না থাকার বিষয়টি নিয়ে তারা উদ্বিগ্ন। দেশের বিপুল এই জনশক্তি কোথাও কাজে লাগাতে না পারায় ৩২ শতাংশ তরুণ বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে।

এ ছাড়া বাংলাদেশে পর্যাপ্ত চাকরির ব্যবস্থা না থাকায় অনেকে অনানুষ্ঠানিক কর্মসংস্থানের সঙ্গে যুক্ত হতে চায় বলেও প্রতিবেদনে বলা হয়।

এতে আরও বলা হয়, শিক্ষাগ্রহণ ও চাকরির প্রয়োজনে বিদেশে যেতে চান ৫৫ শতাংশ তরুণ। এর মধ্যে সৌদি আরবে ২৭ শতাংশ, কানাডায় ১৮ শতাংশ এবং অস্ট্রেলিয়ায় যেতে চান ১৩ শতাংশ। বিশ্বের অন্য দেশগুলোর কোনোটিতে ১ শতাংশ আবার কোনোটিতে ২ শতাংশ তরুণ যাওয়ার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

তরুণদের দেওয়া মতামত থেকে আরও জানা গেছে, শিক্ষা ও দক্ষতায় পিছিয়ে থাকা সবচেয়ে বেশি সংখ্যক যেতে চান সৌদি আরব। আর শিক্ষা অর্জনে তরুণদের পছন্দের শীর্ষে রয়েছে কানাডা ও অস্ট্রেলিয়া।


বিজিবির অভিযানে ২২৬ কোটি টাকার চোরাচালান পণ্য জব্দ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) গত অক্টোবর মাসে দেশের সীমান্ত এলাকাসহ অন্যান্য স্থানে অভিযান চালিয়ে ২২৫ কোটি ৮৮ লক্ষ ৭৮ হাজার টাকা মূল্যের বিভিন্ন ধরনের চোরাচালান পণ্যসামগ্রী জব্দ করেছে।

আজ বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্ববর) বিজিবি সদর দপ্তর থেকে জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম এই তথ্য জানান।

জব্দ করা চোরাচালান দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে- ৯৮৬ গ্রাম স্বর্ণ, ১৪ হাজার ৩০২টি শাড়ী, ১৫ হাজার ২৩টি থ্রিপিস/শার্টপিস/চাদর/কম্বল/তৈরী পোশাক, ২৭ হাজার ৬৫২ মিটার থান কাপড়, ২ লাখ ৫০ হাজার ৭২২টি কসমেটিক্স সামগ্রী, ৩ হাজার ১৪৯ ঘনফুট কাঠ, ২ হাজার ২৬৫ কেজি চা পাতা, ৪ লাখ ১৬ হাজার ৭১১ কেজি চিনি, ৪ হাজার ১৩০ কেজি সার, ৮৬ হাজার ৭৫০ ঘনফুট কয়লা, ২০ হাজার ৪৪০টি মোবাইল ডিসপ্লে, ৪০ হাজার ৬৪০টি চশমা, ৯৪২ কেজি সুতা/কারেন্ট জাল, ১৫ হাজার ৩৩৪ কেজি সুপারি, ৯০ হাজার ৯০৪ কেজি রসুন, ১ হাজার ৩১৮ কেজি পিঁয়াজ, ২২ হাজার ৮৮৯ কেজি জিরা, ৪টি কষ্টি পাথরের মূর্তি, ২১টি ট্রাক, ২৪টি পিকআপ, ৫টি প্রাইভেটকার/মাইক্রোবাস, ৯টি ট্রলি, ৩৪৭টি নৌকা, ৫৩টি সিএনজি/ইজিবাইক, ৮১টি মোটরসাইকেল এবং ২৪টি বাইসাইকেল।

উদ্ধারকৃত অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে- ২টি পিস্তল, ৩টি গান জাতীয় অস্ত্র, ১টি রাইফেল, ১টি রিভলবার, ৩টি গেনেড, ১টি রকেট বোম্ব, ২টি ম্যাগাজিন এবং ২৭০ রাউন্ড গুলি।

জব্দকৃত মাদক ও নেশাজাতীয় দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে- ৫ লাখ ৯০ হাজার ৯৭৭ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ৩ কেজি ১৯৫ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ আইস, ১১ কেজি ৮০২ গ্রাম হেরোইন, ২৬ হাজার ৫৯৯ বোতল ফেনসিডিল, ২১ হাজার ৬০৫ বোতল বিদেশী মদ, ৪৪৪ লিটার বাংলা মদ, ৯৮৮ ক্যান বিয়ার, ১ হাজার ৪১২ কেজি গাঁজা, ১ লাখ ৪০ হাজার ১৯৬ প্যাকেট বিড়ি ও সিগারেট, ৭৪ হাজার ৬৫৬টি নেশাজাতীয় ট্যাবলেট/ইনজেকশন, ৪ হাজার ৩৬২ বোতল ইস্কাফ সিরাপ, ১৯ কেজি ৩৩৩ গ্রাম কোকেন, ১ হাজহার ৮৫৯ বোতল এমকেডিল/কফিডিল, ৫ লাখ ৫৪ হাজার ৫৫৮টি বিভিন্ন প্রকার ঔষধ, ২ লাখ ২১ হাজার ৩৪৬টি এ্যানগ্রো/সেনেগ্রা ট্যাবলেট, ২০ বোতল এলএসডি এবং ৭ লাখ ৫৯ হাজার ৩৪০টি অন্যান্য ট্যাবলেট।

সীমান্তে বিজিবির অভিযানে ইয়াবাসহ বিভিন্ন প্রকার মাদক পাচার ও অন্যান্য চোরাচালানে জড়িত থাকার অভিযোগে ২৪৩ জন চোরাচালানী এবং অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমের দায়ে ৩৪৫ জন বাংলাদেশী নাগরিক ও ২৮ জন ভারতীয় নাগরিককে আটকের পর তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এছাড়া ১ হাজার ২৯৮ জন মায়ানমার নাগরিককে আটকের পর তাদেরকে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।


ক্রিকেটার সাকিবের ব্যাংক হিসাব জব্দ

সাকিব আল হাসান। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের সব ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।

গতকাল বুধবার রাতে বিএফআইইউ সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

পুঁজিবাজারে কারসাজি ও আর্থিক অনিয়ম খতিয়ে দেখতে গত ২ অক্টোবর সাকিব, তার স্ত্রী উম্মে আহমেদ শিশির ও তাদের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবের তথ্য তলব করে সংস্থাটি।

তদন্ত শেষে সরকারের নির্দেশে বিএফআইইউ তার সব ব্যাংক হিসাব জব্দ করে।

প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার কারসাজি করে সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘনের দায়ে গত ২৪ সেপ্টেম্বর সাকিবকে ৫০ লাখ টাকা জরিমানা করে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

তারকা অলরাউন্ডার ক্রিকেটার সাকিব জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাগুরা-১ আসন থেকে আওয়ামী লীগের হয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর আদাবর থানায় দায়ের করা একটি হত্যা মামলায় তিনি আসামি। বর্তমানে পরিবারের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন সাকিব আল হাসান।


বিপ্লবের মাধ্যমে ছাত্র-শিক্ষক চিন্তার স্বাধীনতা ফিরে পেয়েছে: ড. ইউনূস

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের মাধ্যমে ছাত্র-শিক্ষক সমাজ আবার তাঁদের চিন্তার স্বাধীনতা ও মুক্তবুদ্ধির চর্চা ফিরে পেয়েছেন।

তিনি বলেন, এর সঙ্গে এখন যোগ করতে হবে বিশ্ব-বিজ্ঞানে অবদান রাখার সক্ষমতা। আকাঙ্ক্ষাকে উচ্চে রেখে দৈনন্দিন পঠন-পাঠন গবেষণার মাধ্যমেই সেটি অর্জিত হবে।

আজ বৃহস্পতিবার ঢাকায় ‘বোস-আইনস্টাইন পরিসংখ্যানের শতবর্ষ উদযাপন: ঢাকার উত্তরাধিকার’ শীর্ষক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদানকালে তিনি এ কথা বলেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যা বিভাগ এবং সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড স্টাডি অ্যান্ড রিসার্চ ইন ন্যাচারাল সায়েন্সেস, ঢাবি যৌথভাবে দুই দিনব্যাপী এ উৎসবের আয়োজন করেছে।

মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, আমাদের অন্তর্বর্তী সরকার বিপ্লবের ফসল। তাই আমরা বিশ্ব-বিজ্ঞানে অবদান রাখতে প্রয়োজনীয় সব সংস্কার এবং উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টির সকল প্রয়াস নিতে প্রস্তুত রয়েছি। এই কাজে নিবেদিত সবার কাছ থেকে চাহিদা, পরামর্শ আসতে হবে। নিজের ওপর আস্থা থাকলে এটি আমরা পারবো- যেমন আস্থা সত্যেন্দ্রনাথ বসুর ছিল বলে তিনি সম্পূর্ণ অপরিচিত হয়েও আইনস্টাইনকে লিখতে পেরেছিলেন।

তিনি বলেন, ১৯২৪ সালে সত্যেন্দ্রনাথ বসুর আবিষ্কারের পরিবেশ যেভাবে গড়ে ওঠেছিলো, আজও সেভাবেই গড়ে উঠবে। এর কোন বিকল্প নেই। আমাদের তরুণদের মনে বিশ্বাস সৃষ্টি করতে হবে যে আমরাই বিশ্ব। আজ আমরা সেই আকাঙ্খারই শতবার্ষিকী পালন করছি।

বিজ্ঞানী সত্যেন্দ্রনাথ বসুকে বাংলাদেশের ইতিহাসের উজ্জ্বলতম নক্ষত্র উল্লেখ করে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, আজ আমরা আমাদের দেশের এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের একজন উজ্জ্বলতম তারকার মহত্তম অবদানের শতবার্ষিকী উদযাপন করতে এসেছি। যিনি ১৯২৪ সালের এমন একটি সময়ে তাঁর আবিষ্কার বোস-আইনস্টাইন কোয়ান্টাম স্ট্যাটিসটিক্সের জন্য বিজ্ঞান ইতিহাসের অংশ হয়ে গিয়েছিলেন। আর তিনি এটি করেছিলেন আমাদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন নবীন অধ্যাপক হিসেবে কার্জন হলের একটি কামরায় বসে, আজো যেটি পদার্থবিদ্যার ছাত্র-শিক্ষকদের প্রাণচাঞ্চল্যে মুখরিত।

ড. ইউনূস বলেন, তাঁর আবিষ্কারের গুরুত্বের কারণে পৃথিবীর নানা দেশের পদার্থবিদগণ এই শতবার্ষিকী উদযাপন করছেন। কিন্তু আমাদের জন্য এই আবিষ্কারের মর্মটাই আলাদা। পদার্থবিদরা বলেন বিংশ শতাব্দীর ওই পর্যায়ে পদার্থবিদ্যায় যে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছিলো কোয়ান্টাম থিওরির মাধ্যমে, এটি ছিল তার মধ্যে একটি বড় সংযোজন। এর মাধ্যমে বসু বিশ্ববিজ্ঞানের মানচিত্রে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়, আমাদের ঢাকা নগরীকে উজ্জ্বলভাবে চিহ্নিত করে দিয়েছিলেন।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, আজ আমরা যখন ছাত্র জনতার একটি সর্বাত্মক বিপ্লবের মাধ্যমে দেশকে নতুন ভাবে গড়ার প্রয়াস নিয়েছি, বিশ্ববিদ্যালয়কে তার যথাযথ চর্চার জায়গায় পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করতে চাচ্ছি, তখন পরিবর্তনের দিগদর্শিকা হিসেবে উদযাপনের জন্য বসুর আবিষ্কারের এই শতবার্ষিকীর থেকে যথাযথ বিষয় আর কী হতে পারে? আমাদের বিপ্লবের নায়ক ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য প্রেরণা হিসেবেও বা এর থেকে বড় গৌরবের স্মরণও আর কী হতে পারে?

তিনি বলেন, ১৯২৪ সাল অনেক পেছনে রেখে এসেছি। কালের পরিক্রমায় বসুর আবিষ্কারটি কি এতটুকু ম্লান হয়েছে? পদার্থবিদরা বলছেন মোটেই না। যার প্রমাণ এই আবিষ্কারের ভবিষ্যদ্বাণীকে সত্য প্রমাণ করে সৃষ্ট বোস-আইনস্টাইন কনডেনসেট পদার্থবিদ্যায় নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হয়েছে ২০০১ সালে। এ নিয়ে গবেষণা চলছেই।

তিনি উল্লেখ করেন, সারা দুনিয়ার পদার্থবিদ্যার ছাত্ররা জানে যাবতীয় পদার্থ-শক্তি সব কিছুর একেবারে মূলে যে মৌলিক কণিকাগুলো এদের শ্রেণী বিভাজনে একটি বড় ভূমিকা রেখেছে বসুর থিওরির দ্বারা ঠিক করে দেয়া নির্দেশিকা।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সত্যেন্দ্রনাথ বসু শিক্ষার সর্বস্তরে, বিশেষ করে উচ্চতর বিজ্ঞান শিক্ষায় বাংলা ভাষা প্রচলনের জন্য তর্ক বিতর্ক করছেন, বাংলায় বই লিখছেন, পত্রিকা বের করছেন, নিজের পাঠদানে বাংলা ব্যবহার করছেন। শহরের সাহিত্যানুরাগী সংস্কৃতিসেবীদের কয়েকজনকে নিয়ে নিয়মিত বৈঠকি আড্ডা গড়ে তুলেছেন।

পঞ্চাশের দশকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র থাকার সময়ের স্মৃতিচারণ করে শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ড. উইনূস বলেন, পঞ্চাশের দশকের শেষের দিকে আমি যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র তখনকার ঢাকার সঙ্গে বসুর ঢাকারই মিল বেশি ছিল। কাজেই পরিবেশটি বেশ কল্পনা করতে পারি, ঢাকার এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের। সেই শান্ত ছোট শহরকে, সেই সবুজ রমনাকে আর ফেরত আনা যাবে না, কিন্তু সেই গৌরবের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে আমরা অবশ্যই ফেরত আনতে পারি, আজকের স্বাধীন বাংলাদেশে। বোস- আইনস্টাইন তত্ত্বের শতবার্ষিকীতে একথা আমরা জোর দিয়ে বলতে চাই।


ব্যাংকে গ্রাহকের আমানতের টাকা নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১৩:৫১
নিজস্ব প্রতিবেদক

কিছু গ্রাহকের আমানতের টাকা উত্তোলনের প্রয়োজন হচ্ছে না– তবুও তারা টাকা তুলতে যাচ্ছেন। গ্রাহকের আমানতের টাকা নিয়ে আতঙ্কের কিছুই নেই, সবাই তাদের আমানতের টাকা ফেরত পাবেন বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা।

তিনি বলেন, ‘একযোগে অধিক গ্রাহক টাকা তুলতে গেলে- পৃথিবীর কোনো ব্যাংকই টিকবে না। আমি ব্যাংকগুলোর গ্রাহকদের উদ্দেশে বলব- অহেতুক আতঙ্কের কিছু নেই। সাংবাদিকদেরও গ্রাহকদের আতঙ্ক কাটাতে এসব বিষয় তুলে ধরতে হবে।’

বুধবার (৬ নভেম্বর) সাংবাদিকদের সঙ্গে এক প্রেস বিফ্রিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘ব্যাংকগুলোকে ভালো অবস্থানে নিয়ে আসতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সুপরিকল্পনা আছে। সব আমানতকারীদের আহ্বান করছি, প্রয়োজনের বেশি টাকা আপনারা তুলবেন না। আমরা আস্থা ফেরাতে চাই। আমরা সংকটে থাকা ব্যাংকগুলোকে গত দেড় মাসে ৫ হাজার ৫৮৫ কোটি টাকার সাপোর্ট দিয়েছি।’

মুখপাত্র বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক স্ব-প্রণোদিত হয়ে কোনো ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানে রিসিভার নিয়োগ করবে না। আদালতের নির্দেশ থাকলে, সেই অনুযায়ী কাজ করা হবে।

‘পাচার করা অর্থ ফরমাল চ্যানেলে হলে বিবি তদন্ত করবে। কিন্তু হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাচার হলে সেটা তদন্ত করা কঠিন। বিএফআইইউ এ বিষয় নিয়ে কাজ করছে।’

বিভিন্ন ব্যাংকে বিতর্কিত শিল্পগোষ্ঠীদের ঋণ অনিয়ম নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বিএফআইইউ ইতোমধ্যে অনেক হিসাব জব্দ করেছে। তারা এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে কোনো তথ্য দেয়নি।’

টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে- তারা কার্যকর কিছু করছে কি না এ বিষয়ে তিনি বলেন, ব্যাংকিং সংস্কারে একটি টাস্কফোর্স কাজ করছে। জনবলের দক্ষতা বাড়াতে বাংলাদেশ ব্যাংকের দ্বিতীয় টাস্কফোর্স কাজ করছে। তৃতীয়টা পাচার করা টাকা ফেরত আনার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। এখানে বিভিন্ন দেশের আইনজীবী, পরামর্শক নিয়োগ কাজ চলছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিজেই তার ব্যাংকে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে পারছে না, কেন? এমন প্রশ্নে মুখপাত্র বলেন, ‘কেন্দ্রীয় ব্যাংকে নামে-বেনামে অনেক অভিযোগ আসে। আমাদের এইচআর সেটা খতিয়ে দেখেন। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ গভর্নর বরাবর না এলে- আমরা ব্যবস্থা নিতে পারি না।’

হুসনে আরা শিখা বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক নীতি সুদহার বাড়ানোর পর মূল্যস্ফীতি কমে এসেছিল। আগামী ৬ মাস এই ধারাবাহিকতা থাকলে মূল্যস্ফীতি আশা করছি ৬ শতাংশের কাছাকাছি নেমে আসবে। ইতোমধ্যে অনেক দেশে এটা কাজ করেছে। আমাদের দেশেও কাজ করবে।

এনআরবিসি ব্যাংকের চেয়ারম্যানের অনিয়ম নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকে তাদের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আছে সেটা তদন্ত করা হচ্ছে। আপনারা যেহেতু আবার বিষয়টি বলছেন, আমি সংশ্লিষ্ট বিভাগে খোঁজ নেব।

‘আমরা ১১টা ব্যাংকের বোর্ড পুনর্গঠন করেছি। এসব ব্যাংক নিয়ে কাজ করছি। শুরুতে আমাদের মনোযোগ ইসলামী ধারার ব্যাংকগুলোতে। অন্যান্য ব্যাংককে এখন এতটা গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না। এই ১১টার পরে হয়তো আরও ৪টা ব্যাংক নিয়ে কাজ শুরু করব।’

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র আরও বলেন, ‘অর্থ পাচারের বিষয়ে আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছি। কিন্তু, এটা আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে হবে, জোর-জবরদস্তি দিয়ে হবে না। আমাদের প্রচুর পরিমাণ রেমিট্যান্স এসেছে। ইউএসএ (যুক্তরাষ্ট্র) রেমিট্যান্স প্রেরণে শীর্ষে চলে এসেছে। এই দেশ থেকে শুধু যে রেমিট্যান্স এসেছে সেটা নয়, বিনিয়োগও এসেছে।’


লেবানন থেকে ফিরলেন আরও ১৮৩ জন

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ইসরায়েলি হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত লেবানন থেকে দেশে ফিরেছেন ১৮৩ জন বাংলাদেশি নাগরিক। স্কাই ভিশন এয়ারলাইনসের বিমানে করে তাদের দেশে পাঠানো হয়। এ নিয়ে দেশটি থেকে ফিরলেন মোট ৫২১ জন।

গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১টায় তাদের বহনকারী বিমানটি ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বুধবার পাঠানো এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ দূতাবাস, বৈরুত, লেবানন এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) সহযোগিতায় যুদ্ধবিধ্বস্ত লেবানন থেকে স্বেচ্ছায় দেশে ফেরত আসতে ইচ্ছুক। আটকে পড়া বাংলাদেশিদের মধ্যে স্কাই ভিশন এয়ারলাইনসের এসভিআই-৫০০২ ফ্লাইট যোগে ১৫১ জন বাংলাদেশি নাগরিককে রাত ১টার দিকে দেশে প্রত্যাবাসন করা হয়।

উল্লেখ্য এ ফ্লাইটটি ছিল আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার অর্থায়নে একটি চার্টার্ড ফ্লাইট। এর ঠিক কিছু সময় আগেই ২৩ বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে ইকে ৫৮৪ ফ্লাইটে লেবানন থেকে আরও ৩২ জনকে প্রত্যাবাসন করা হয়। এ নিয়ে নয়টি ফ্লাইটে সর্বমোট ৫২১ জন বাংলাদেশি নিরাপদে দেশে ফিরলেন।

প্রত্যাবাসনকৃত অসহায় এ সকল বাংলাদেশি নাগরিককে বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা জানান প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব জনাব মো. রুহুল আমিন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব জনাব সৈয়দ মাসুদ মাহমুদ খোন্দকার এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার কর্মকর্তাবৃন্দ। আইওএমের পক্ষ থেকে লেবানন থেকে প্রত্যাবাসনকৃত প্রত্যেককে ৫ হাজার টাকা পকেট মানি, কিছু খাদ্য সামগ্রী ও প্রাথমিক মেডিকেল চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়।

বিমানবন্দরে ফিরে আসা বাংলাদেশিদের সঙ্গে তাঁরা যুদ্ধের ভয়াবহতা নিয়ে কথা বলেন ও তাদের খোঁজ খবর নেন। এ পর্যন্ত একজন বাংলাদেশি বোমা হামলায় নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

লেবাননে চলমান সাম্প্রতিক যুদ্ধাবস্থায় যত জন প্রবাসী বাংলাদেশি দেশে ফিরে আসতে ইচ্ছুক তাদের সকলকেই সরকার নিজ খরচে দেশে ফেরত আনবে। বাংলাদেশ দূতাবাস, বৈরুত, দেশে ফিরে আসতে ইচ্ছুক বাংলাদেশিদের নিরাপদে প্রত্যাবর্তনের জন্য এবং যে সকল প্রবাসী বাংলাদেশি ফিরে আসতে অনিচ্ছুক তাদের। নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা গ্রহণ করেছে বলেও জানানো হয়।


banner close