শনিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩
ডিএমপির অপরাধ পর্যালোচনা সভা

আগস্টে শ্রেষ্ঠ বিভাগ মিরপুর, থানা পল্লবী

ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড
১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ২০:৫০
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত : ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ২০:৪৯

রাজধানী ঢাকার আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা ও জননিরাপত্তা বিধানসহ কাজের স্বীকৃতি হিসেবে বিভিন্ন পর্যায়ের পুলিশ সদস্যকে পুরস্কৃত করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।

সোমবার ডিএমপি সদর দপ্তরে দিনব্যাপী গত আগস্ট মাসের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় ভালো কাজের স্বীকৃতি হিসেবে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বিজয়ীদের পুরস্কার তুলে দেন ডিএমপি কমিশনার।

গত আগস্ট মাসের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ক্রাইম বিভাগের মধ্যে শ্রেষ্ঠ হয়েছে মিরপুর বিভাগ। শ্রেষ্ঠ থানা নির্বাচিত হয়েছে পল্লবী থানা।

সহকারী পুলিশ কমিশনারদের (এসি) মধ্যে শ্রেষ্ঠ হয়েছেন মিরপুর বিভাগের মিরপুর জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার হাসান মুহাম্মদ মুহতারিম।

পুলিশ পরিদর্শকদের (তদন্ত) মধ্যে শ্রেষ্ঠ হয়েছেন পল্লবী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন। পুলিশ পরিদর্শকদের (অপারেশনস) মধ্যে প্রথম হয়েছেন মোহাম্মদপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশনস) তোফাজ্জল হোসেন। শ্রেষ্ঠ উপ পরিদর্শকদের (এসআই) মধ্যে যৌথভাবে নির্বাচিত হয়েছেন মিরপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কামাল হোসেন খান ও ভাটারা থানার এসআই মাসুদুর রহমান।

সহকারী উপ পরিদর্শকদের (এএসআই) মধ্যে যৌথভাবে শ্রেষ্ঠ হয়েছেন মতিঝিল থানার এএসআই হেলাল উদ্দিন ও যাত্রাবাড়ী থানার এএসআই হারাধন চন্দ্র বাইন। শ্রেষ্ঠ ওয়ারেন্ট তামিলকারী অফিসার হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন মিরপুর মডেল থানার এসআই কামাল হোসেন খান। চোরাইগাড়ী উদ্ধার করে প্রথম হয়েছেন তুরাগ থানার এসআই লাল মিয়া। মাদকদ্রব্য উদ্ধার করে শ্রেষ্ঠ হয়েছেন পল্টন মডেল থানার এসআই সুজন কুমার তালুকদার।

গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) মধ্যে প্রথম হয়েছে লালবাগ বিভাগ। শ্রেষ্ঠ টিম লিডার নির্বাচিত হয়েছেন গোয়েন্দা-লালবাগ বিভাগের সংঘবদ্ধ অপরাধ ও গাড়ি চুরি প্রতিরোধ টিমের সহকারী পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ মহিউদ্দিন মিরাজ। একই সঙ্গে তিনি গোয়েন্দা বিভাগের মাদকদ্রব্য ও চোরাইগাড়ি উদ্ধারের শ্রেষ্ঠ টিম লিডার নির্বাচিত হয়েছেন। অজ্ঞান/মলম পার্টির সদস্যদের গ্রেপ্তারে শ্রেষ্ঠ টিম লিডার নির্বাচিত হয়েছেন গোয়েন্দা-ওয়ারী বিভাগের ওয়ারী জোনাল টিমের অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার (এডিসি) ইলিয়াস হোসেন। অস্ত্র উদ্ধারে শ্রেষ্ঠ টিম লিডার নির্বাচিত হয়েছেন গোয়েন্দা-গুলশান বিভাগের অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও মাদক নিয়ন্ত্রণ টিমের এসি বার্নাড এরিক বিশ্বাস।

ট্রাফিক বিভাগের মধ্যে প্রথম হয়েছে ট্রাফিক-লালবাগ বিভাগ। ট্রাফিকের শ্রেষ্ঠ সহকারী পুলিশ কমিশনার হয়েছেন ট্রাফিক-মিরপুর বিভাগের মিরপুর-ট্রাফিক জোনের এসি হালিমুল হারুন।

শ্রেষ্ঠ ট্রাফিক পরিদর্শক হয়েছেন ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগের ওয়ারী-ট্রাফিক জোনের ট্রাফিক পরিদর্শক পবিত্র বিশ্বাস। শ্রেষ্ঠ ট্রাফিক সার্জেন্ট যৌথভাবে নির্বাচিত হয়েছেন ট্রাফিক-রমনা বিভাগের রমনা-ট্রাফিক জোনের সার্জেন্ট আনিসুল ইসলাম ও ট্রাফিক-তেজগাঁও বিভাগের তেজগাঁও-ট্রাফিক জোনের সার্জেন্ট রাসেল আলম।

ডিএমপির গণ মাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের ডিসি ফারুক হোসেন জানান, প্রতি মাসে অপরাধ বিশ্লেষণ, অপরাধ নিয়ন্ত্রণে পরবর্তী কর্মপন্থা ও কর্মকৌশল সম্পর্কিত নির্দেশনার পাশাপাশি মাঠ পর্যায়ের পুলিশ সদস্য ও কর্মকর্তাদের কর্মোদ্দীপনা বাড়াতে প্রতি মাসের কার্যক্রম পয়েন্ট আকারে যোগ করে পরবর্তী মাসের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় পুরস্কৃত করে থাকেন ডিএমপি কমিশনার।


লন্ডনে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী

যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান। ছবি: বাসস
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওয়াশিংটন ডিসি থেকে লন্ডনে পৌঁছেছেন। প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সফরসঙ্গীদের বহনকারী ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইট শনিবার লন্ডন স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ৭ মিনিটে লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে অবতরণ করে। যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান।

ফ্লাইটটি ওয়াশিংটন ডিসির ডালসে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ২৯ সেপ্টেম্বর রাত ১১টা ৪০ মিনিটে (ওয়াশিংটন সময়) লন্ডনের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ ইমরান বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী ১৭ থেকে ২২ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে ৭৮তম জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) অধিবেশনে যোগদানের পাশাপাশি অন্যান্য উচ্চপর্যায়ের ও দ্বিপক্ষীয় বৈঠক এবং অনুষ্ঠানে যোগদান শেষে ২৩ সেপ্টেম্বর ওয়াশিংটন ডিসিতে পৌঁছান।

ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থানকালে শেখ হাসিনা যুক্তরাষ্ট্রে প্রবাসী বাংলাদেশিদের দেয়া সংবর্ধনায় যোগ দেন এবং ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ দূতাবাস পরিদর্শন করেন।

প্রধানমন্ত্রী ৩ অক্টোবর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইটে (বিজি-২০৮) লন্ডন থেকে রওনা দেবেন। ফ্লাইটটির আগামী ৪ অক্টোবর ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।


‘আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ফোরামের সদস্য হওয়ার সুযোগ বেড়েছে বাংলাদেশের’

বৃহস্পতিবার আইএইএ’র বোর্ড অব গভর্নরসের সদস্য নির্বাচিত হয় বাংলাদেশ
আপডেটেড ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ১৬:০৫
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

বিশ্বঅঙ্গনে বাংলাদেশের যে পরিচিতি বেড়েছে তাতে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ফোরামে দায়িত্ব নেয়া বা সদস্য হওয়া স্বাভাবিক বিষয় হিসেবে দেখছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্কের এক বিশ্লেষক। তিনি বলেছেন, ‘বাংলাদেশ রাষ্ট্র হিসেবে এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে, বিভিন্ন ফোরামে তাদের সদস্য হওয়ার সুযোগ বেড়েছে এবং এর পেছনে শক্তিশালী ভূমিকা রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।’

বৃহস্পতিবার বাংলাদেশসহ ১১টি দেশ ২০২৩-২০২৪ মেয়াদে দুই বছরের জন্য আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা (আইএইএ)-এর বোর্ড অব গভর্নরসের সদস্য নির্বাচিত হয়। এই বোর্ডের মোট সদস্য দেশের সংখ্যা ৩৫।

সংস্থাটির ওয়েবসাইটে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার ভিয়েনায় আইএইএ-এর ৬৭তম সাধারণ সম্মেলনের পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনের চতুর্থ দিনে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সদস্য নির্বাচিত হওয়া দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে আলজেরিয়া, আর্মেনিয়া, বাংলাদেশ, বুরকিনা ফাসো, ইকুয়েডর, ইন্দোনেশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, নেদারল্যান্ডস, প্যারাগুয়ে, স্পেন ও ইউক্রেন।

আইএইএ-এর কার্যসূচির উদ্দেশ্য হল বিশ্বব্যাপী পারমাণবিক শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহারকে উৎসাহিত করা ও পারমাণবিক প্রযুক্তির অপব্যবহার রোধ। এছাড়া পারমাণবিক নিরাপত্তা এবং পারমাণবিক নিরাপত্তাবিষয়ক বিভিন্ন মানদণ্ড প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করাও আইএইএ-এর উদ্দেশ্য।

বাংলাদেশ এর আগে নানা ধরনের ফোরামে যুক্ত হয়েছে। ২০১৮ সালে বাংলাদেশ মর্যাদা সম্পন্ন আন্তর্জাতিক ‘বিশ্ব দক্ষতা’ ফোরামের সদস্য হয়। যুবকদের দক্ষতা উন্নয়নে এ ফোরাম কাজ করে।

নেদারল্যান্ডের আমস্টারডামে বিশ্ব দক্ষতা সম্মেলন ২০১৮-তে বাংলাদেশকে ৭৯তম দেশ হিসেবে এ স্বীকৃতি দেয়া হয়। বিশ্বের ৭৯তম সদস্য বিশিষ্ট দেশের এ বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান ৪ সদস্য বিশিষ্ট বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন।

বাংলাদেশের বিশ্বঅঙ্গনে ইতিবাচক ইমেজ গড়ে ওঠার পেছনে যে নামটি বারবারই আসে তিনি হলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০১৬ সালে ফরচুন ম্যাগাজিনে বিশ্বের প্রভাবশালী নেতাদের তালিকায় স্থান পান তিনি। সেবছর রাজনীতি ব্যবসা ও অন্যান্য কর্মকাণ্ড দিক থেকে সেরা ৫০ নেতার তালিকা প্রকাশ করা হয়, যেখানে প্রধানমন্ত্রী ১০ম স্থান পান। তিনি ওআইসি অন্তর্ভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে একমাত্র নারী যিনি তালিকায় স্থান পান।

সম্প্রতি জাতিসংঘের স্থানীয় ও আঞ্চলিক সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হিসেবে মনোনীত হয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। ২৫ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এই মনোনয়নের বিষয়টি মেয়র আতিককে জানানো হয়।

এর আগে ২০২১ সালে জাতিসংঘের মাদকদ্রব্য বিষয়ক কমিশন, ইউনিসেফ ও ইউএন উইমেনের নির্বাহী বোর্ডে নির্বাচিত হয় বাংলাদেশ। জাতিসংঘের মাদকদ্রব্য বিষয়ক কমিশন (সিএনডি) ৫৩ সদস্যের একটি সংস্থা। কমিশনটি বৈশ্বিক মাদকদ্রব্য পরিস্থিতি পর্যালোচনা ও বিশ্লেষণ, সরবরাহ ও চাহিদা হ্রাস বিবেচনা এবং রেজুলেশন ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের মাধ্যমে এ বিষয়ক সমস্যার সমাধানে পদক্ষেপ নিয়ে থাকে। এর সদরদপ্তর ভিয়েনায় অবস্থিত।

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ মনে করেন, ‘বাংলাদেশের বিশ্বঅঙ্গনে যে পরিচিতি বেড়েছে তাতে করে নানা ফোরামে দায়িত্ব নেয়া, সদস্য হওয়াটাই স্বাভাবিক।’

তিনি বলেন, ‘স্বাভাবিকভাবে দেশ হিসেবে মর্যাদার জায়গায় পৌঁছেছে। বাণিজ্য সম্পর্ক বিভিন্ন দেশের সাথে বেড়েছে। ফলে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক ফোরামের সদস্য হওয়া অস্বাভাবিক নয়। তার এখন যে এগিয়ে যাওয়া তাতে করে বাংলাদেশ চাইবে বিভিন্ন ফোরামে যেন থাকা যায়। বর্তমান বিশ্বকাঠামোতে যতবেশি বন্ধুরাষ্ট্র হয় তাতে বাংলাদেশের সুবিধাই হবে।’


ভিসা নিষেধাজ্ঞার যৌক্তিকতা নেই: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি
আপডেটেড ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ১৬:৪৭
নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেয়ার কোনো যৌক্তিকতা নেই মন্তব্য বলে করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী কোনো সংস্থা, সেটা র‌্যাব হোক, পুলিশ হোক বা অন্য যেকোনো সংস্থা হোক—তারা অন্যায় করলে আমাদের দেশে সেটার বিচার হয়। কেউ যদি কোনো অন্যায় করে, আমাদের দেশে তার বিচার হয়। এই বিচারে কেউ রেহাই পায় না। অনেক সময় তারা কোনো কাজ অতিরিক্ত করে, করতে পারে। কিন্তু করলে আমাদের দেশের আইনেই সেটার বিচার হচ্ছে। যেখানে এমন বিচার হচ্ছে, এমন ব্যবস্থা আছে, সেখানে এই স্যাংশন কী কারণে?’

যুক্তরাষ্ট্র সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওয়াশিংটন ডিসিতে ভয়েস অব আমেরিকাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন। শনিবার সাক্ষাৎকারটি প্রচার করা হয়।

সাক্ষাৎকারে ভয়েস অব আমেরিকার পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর কাছে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়। জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমার এটাই প্রশ্ন— কথা নেই, বার্তা নেই; হঠাৎ ভিসা স্যাংশন দিতে চাচ্ছে কী কারণে? আর মানবাধিকারের কথা যদি বলে বা ভোটের অধিকারের কথা যদি বলে... আমরা, আওয়ামী লীগ; আমরাই তো এদেশের মানুষের ভোটের অধিকার নিয়ে সংগ্রাম করেছি। আমাদের কত মানুষ রক্ত দিয়েছে, এই ভোটের অধিকার আদায়ের জন্য।’

‘অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন যেন হয়, তার জন্য যতরকম সংস্কার দরকার, সেটা আওয়ামী লীগ করেছে’ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আজ ছবিসহ ভোটার তালিকা, স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স, মানুষকে ভোটের অধিকার সম্পর্কে সচেতন করা...। ‘আমার ভোট আমি দেবো, যাকে খুশি তাকে দিবো’— এই স্লোগানও আমার দেয়া। আমি এভাবে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করেছি। কারণ আমাদের দেশে বেশিরভাগ সময় স্বৈরশাসকরা দেশ শাসন করেছে। তাদের সময় সাধারণ মানুষের ভোট দিতে হয়নি। তারা ভোটের বাক্স ভরে নিয়ে ফলাফল ঘোষণা করে দিয়েছেন। এরই প্রতিবাদে আমরা আন্দোলন, সংগ্রাম করে আজ আমরা নির্বাচন সুষ্ঠু পরিবেশে নিয়ে আসতে পেরেছি। এখন মানুষ তার ভোটের অধিকার সম্পর্কে অনেক সচেতন। সেটা আমরা করেছি।”

২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর যতগুলো নির্বাচন হয়েছে, জাতীয় কিংবা স্থানীয় সরকার নির্বাচন; প্রত্যেকটা সুষ্ঠুভাবে হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এসব নির্বাচনে মানুষ তার ভোট দিয়েছে স্বতস্ফূর্তভাবে। এই নির্বাচনগুলো নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তোলার চেষ্টা করেছে, কিন্তু বাস্তবতাটা কী, বাংলাদেশের মানুষ তার ভোটের অধিকার নিয়ে সবসময় সচেতন। কেউ ভোট চুরি করলে তাদের ক্ষমতায় থাকতে দেয় না।’

উদাহরণ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়া ভোট চুরি করেছিলেন। সে কিন্তু দেড় মাসও টিকতে পারেনি। ওই বছরের ৩০ মার্চ তাকে জনগণের রুদ্র রোষে পড়ে পদত্যাগ বাধ্য হয়েছেন তিনি। আবার ২০০৬ সালে ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার দিয়ে ভোটার তালিকা করেছিল। সেই ভোটার তালিকা দিয়ে নির্বাচন করে সে যখন সরকার গঠনের ঘোষণা দিলো... এরপর জরুরি অবস্থা জারি করা হলো। সেই নির্বাচন বাতিল হয়ে গেল। কাজেই আমাদের দেশের মানুষ কিন্তু এখন ভোট সম্পর্কে যথেষ্ট সচেতন। কাজেই একটা নির্বাচন অবস্থা, সুষ্ঠু হবে— এটা তো আমাদেরই দাবি ছিল। এবং আন্দোলন করে আমরাই সেটা প্রতিষ্ঠিত করেছি। তো আজ তারা স্যাংশন দিচ্ছে, আরও দেবে; দিতে পারে। এটা তাদের ইচ্ছা। কিন্তু আমাদের দেশের মানুষের যে অধিকার; তাদের ভোটের অধিকার, ভাতের অধিকার, তাদের বেঁচে থাকার অধিকার, তাদের শিক্ষা-দীক্ষার অধিকারসহ সব মৌলিক অধিকার আমরা নিশ্চিত করেছি।’

বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর অনুমোদন দেয়া প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘এ জন্য তাকে তার সাজা বর্তমানে স্থগিত করে বাড়িতে থাকার ও দেশে চিকিৎসা নেয়ার অনুমোদন যে এক সরকারি আদেশে বর্তমানে কার্যকর রয়েছে তা বাতিল করে, জেলে গিয়ে আদালতের কাছে আবেদন করতে হবে।’

‘২০০৯ সাল থেকে ২০২৩ সাল, বাংলাদেশ কিন্তু বদলে যাওয়া বাংলাদেশ’ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এখন আর বাংলাদেশে দুর্ভিক্ষ নেই, এখন মানুষের সেরকম হাহাকার নেই, এমনকি আমাদের যে বেকারত্ব সেটাও কিন্তু কমিয়ে এখন মাত্র তিন শতাংশ। সেটাও তারা কাজ করে খেতে পারেন।’

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বাংলাদেশেই এখন অনেক কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হয়েছে, তাই ভিসা স্যাংশন এর ফলে যদি (বাংলাদেশিরা) আমেরিকায় আসতে না পারে, আসবে না। তাতে কিছু যায় আসে না।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সাক্ষাৎকারে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের অফিস, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালসহ দেশি বিদেশি মানবাধিকার সংগঠনগুলো তার সরকারের আমলে গত ১৫ বছরে গুমের ব্যপারে যে অভিযোগগুলো করেছে, সে ব্যাপারে তার সরকারের ব্যাখ্যা তুলে ধরেন। সাক্ষাৎকারে তিনি সদ্য পাস হওয়া সাইবার নিরাপত্তা আইনের যে ধারাগুলো নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে তারও জবাব দেন।


কানাডা এখন খুনিদের স্বর্গরাজ্য: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

কানাডার অপরাধী প্রত্যর্পণনীতির সমালোচনা করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন অভিযোগ করেছেন, কানাডা এখন খুনিদের স্বর্গরাজ্য হয়ে উঠেছে। তিনি বলেছেন, খুনিরা কানাডায় গিয়ে আশ্রয় নিচ্ছে এবং নিরাপদ জীবনযাপন করছে। অথচ তারা যাদের হত্যা করেছে তাদের স্বজনরা কষ্ট পাচ্ছে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মস্বীকৃত খুনি নূর চৌধুরী ও রশিদ চৌধুরীকে প্রত্যর্পণ করতে কানাডা অস্বীকৃতি জানানোর প্রেক্ষাপট তুলে ধরে এ মন্তব্য করেছেন তিনি। গতকাল শুক্রবার ইন্ডিয়া টুডেতে প্রকাশিত একান্ত সাক্ষাৎকারে এ মন্তব্য করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন। খালিস্তান আন্দোলনের শিখ নেতা হারদীপ সিং নিজ্জার হত্যাকাণ্ড নিয়ে ভারত ও কানাডার চলমান উত্তেজনার মধ্যেই তার এ মন্তব্যে ট্রুডো সরকার কী প্রতিক্রিয়া দেখায় সেটিই এখন দেখার বিষয়।

সাক্ষাৎকারে কানাডার অপরাধী প্রত্যর্পণনীতির বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন মোমেন। তিনি বলেন, প্রত্যপর্ণ বিষয়ে কানাডার অবস্থান নিয়ে বিশ্বের অন্যান্য দেশে এক ধরনের সমালোচনামূলক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি হচ্ছে। বিশেষ করে মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে কানাডার অবস্থান অপরাধীদের জন্য একটি প্রতিরক্ষামূলক ঢাল হয়ে উঠছে।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করে তদানীন্তন সেনাবাহিনীর কিছু বিপথগামী সদস্য। তাদেরই একজন কানাডায় আশ্রয় নেয়া নূর চৌধুরী। আর যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন রশিদ চৌধুরী। দেশের আদালতে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে। এর মধ্যে নূর চৌধুরী যে কানাডায় অবস্থান করছেন সে বিষয়ে দেশটির সরকারকে সুনির্দিষ্ট তথ্য দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। তাকে দেশে ফেরত পাঠাতে কানাডার কাছে দফায় দফায় অনুরোধ জানানো হলেও দেশটির সরকার এখনো সাড়া দেয়নি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের বিচার বিভাগ খুবই স্বাধীন এবং সরকার এতে হস্তক্ষেপ করতে পারে না। তবে নূর চৌধুরী যদি বাংলাদেশে ফিরে আসেন তাহলে নূর চৌধুরী ও রশিদ চৌধুরী উভয়ই রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করতে পারেন। রাষ্ট্রপতি চাইলে তাদের প্রাণভিক্ষার আবেদন মঞ্জুর করে তাদের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড থেকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে পরিবর্তন করতেও পারেন।

তিনি আরও বলেন, ‘অনেক সময় অনেক লোকের দ্বারা মানবাধিকারের ধারণার অপব্যবহার করা হচ্ছে। এটি সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক, কারণ এটি অনেক সময় কিছু লোকের জন্য খুনি এবং সন্ত্রাসীদের রক্ষা করার অজুহাত হয়ে উঠেছে।’

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার ঘটনায় দায়ের মামলার বিচারে ১১ অপরাধীর মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করা হয়। এর মধ্যে ছয়জনের ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে। বাকি পাঁচজনের মধ্যে নূর চৌধুরী কানাডায়, রশিদ চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। অন্য তিন খুনি আব্দুর রশীদ, শরীফুল হক ডালিম ও মোসলেম উদ্দিন কোথায় আছেন এবং বেঁচে আছেন কিনা সেই খোঁজ এখনো মেলেনি।


‘শেখ হাসিনার জন্ম না হলে বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল হতো না’

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে গতকাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৭তম জন্মদিন উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কোটালীপাড়া (গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্বাচনী এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিনিধি ও সাবেক সিনিয়র সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা, আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্ম না হলে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হতো না। শেখ হাসিনার জন্ম না হলে বাংলাদেশ হেনরি কিসিঞ্জারের সেই তলাবিহীন ঝুঁড়ি থেকে সারা বিশ্বের উন্নয়নের রোল মডেল হতে পারত না। শেখ হাসিনার জন্ম হয়েছিল বলেই বাংলাদেশ আজ বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পেরেছে।

শুক্রবার গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৭তম জন্মদিন উপলক্ষে অনুষ্ঠিত শোভাযাত্রা, দোয়া মাহফিল, কেক কাটা ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, একটি সময় আমরা দেখেছি দেশের ৫৬০টি উপজেলায় এক সঙ্গে বোমা মারা হয়েছে। আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলে এক সঙ্গে ৫৬০টি স্থানে মডেল মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছে। শেখ হাসিনা যতদিন রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থাকবেন এ দেশের মানুষ ততদিন সুখ-শান্তিতে বসবাস করবে। এ জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আবার ক্ষমতার চেয়ারে বসাতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ভবেন্দ্রনাথ বিশ্বাসের সভাপতিত্বে দলীয় কার্যালয়ে এ সভায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আয়নাল হোসেন শেখ, সহ-সভাপতি মুজিবুর রহমান হাওলাদার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. কামাল হোসেন শেখ, আমিনুজ্জামান খান মিলন, সাংগঠনিক সম্পাদক মতিয়ার রহমান হাজরা, রুহুল আমিন খান, প্রচার সম্পাদক হান্নান শেখ, আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর হোসেন খান, যুবলীগ সভাপতি ফজলুর রহমান দিপু, সাধারণ সম্পাদক বাবুল হাজরা, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি গাজী খায়রুল রাজ্জাক খসরু, সাধারণ সম্পাদক বাবলু হাজরা, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি স্বপন তালুকদার, সাধারণ সম্পাদক শামিম দাড়িয়াসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের সিনিয়র নেতারা বক্তব্য রাখেন। আলোচনা সভা শেষে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনায় দোয়া মাহফিল এবং কেক কাটা হয়।

বিষয়:

জাতিসংঘে উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হলেন মেয়র আতিক

মেয়র আতিক। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম জাতিসংঘের স্থানীয় ও আঞ্চলিক সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হিসেবে মনোনীত হয়েছেন। শুক্রবার ডিএনসিসি জনসংযোগ বিভাগ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

গত সোমবার জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে জাতিসংঘের স্থানীয় ও আঞ্চলিক সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হিসেবে মেয়র আতিকুল ইসলামের মনোনয়নের বিষয়টি জানানো হয়। পরে সম্মতি প্রদান করলে ডিএনসিসি মেয়রকে উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হিসেবে চূড়ান্তভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। বাসস

জাতিসংঘের মহাসচিব তার চিঠিতে উল্লেখ করেন, আন্তসরকার ও জাতীয় পরিকল্পনা প্রণয়নে স্থানীয় ও আঞ্চলিক সরকারের সম্পৃক্ততা জোরদার করার ক্ষেত্রে এই উপদেষ্টা পরিষদের সময়োপোযোগী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এবং আধুনিক শহর গড়তে স্থানীয় ও আঞ্চলিক পর্যায়ে এই উপদেষ্টা পরিষদ করণীয় বিষয় নির্দিষ্টকরণে ভূমিকা রাখবে।

চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়, উপদেষ্টা পরিষদ স্থানীয় এবং আঞ্চলিক সরকারের সংশ্লিষ্টতা এবং কার্যক্রম সংক্রান্ত বিষয়ে পরামর্শ দেবে; সমন্বয় ও সহযোগিতা বাড়ানোর জন্য, আমাদের বৈশ্বিক লক্ষ্য অর্জনের জন্য প্রয়োজনীয় বিষয় সংশোধনে ভূমিকা রাখবে। জাতীয় পর্যায়ে যেসব বিষয়ে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত এবং জাতীয় লক্ষ্য বাস্তবায়নে স্থানীয় ও আঞ্চলিক সরকারগুলোর ধারাবাহিকভাবে যে ভূমিকা পালন করা উচিত এবং বৈশ্বিক পদক্ষেপেও উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা অবদান রাখবে।

উল্লেখ্য, এই উপদেষ্টা পরিষদে মোট সদস্য ১৫ জন। এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চল থেকে দুজন সদস্য হলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম এবং ফিলিপাইনের মাকাতি শহরের মেয়র অ্যাবি বিনায়। অন্য সদস্যদের মধ্যে ইউরোপ থেকে তিনজন, আফ্রিকা মহাদেশ থেকে তিনজন, উত্তর আমেরিকা থেকে দুজন, ল্যাটিন আমেরিকা ও ক্যারিবীয় অঞ্চল থেকে তিনজন, মধ্যপ্রাচ্য ও মধ্য আফ্রিকা থেকে দুজন।

বিষয়:

চাকুর ভয় দেখিয়ে ছিনতাই, গ্রেপ্তার ৫

ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিসস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে ছিনতাইয়ের অভিযোগে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। গত বৃহস্পতিবার রাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তাররা হলেন, সাগর হোসেন (১৯), মো. আমিনুল ইসলাম (১৯), মো. আরিফ (৩৫), মো. আতাউর রহমান (৩২) ও মো. জুয়েল (২৯)।

শুক্রবার বিকেলে র‌্যাব-১০ এর সহকারী পরিচালক (অপস) উপ পরিচালক আমিনুল ইসলাম বলেন, গোপন তথ্যে বৃহস্পতিবার রাতে যাত্রাবাড়ী এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৫ ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় তাদের থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত দুটি চাকু উদ্ধার করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গ্রেপ্তারতরা বেশ কিছুদিন ধরে যাত্রাবাড়ীসহ রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় পথচারীদের ধারালো চাকুর ভয় দেখিয়ে টাকা-পয়সা ও মোবাইল ফোনসহ বিভিন্ন মূল্যবান সম্পদ ছিনতাই করছিলেন। এ ঘটনায় গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে মামলা করে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান র‌্যবের সহকারী পরিচালক।


তৃতীয় লিঙ্গের ছদ্মবেশে মাদক বিক্রি, ২ রোহিঙ্গা গ্রেপ্তার

ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকার সাভার এলাকা থেকে তৃতীয় লিঙ্গের ছদ্মবেশী দুই রোহিঙ্গা মাদক বিক্রেতাকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাট্যালিয়ন (র‌্যাব)। শুক্রবার সকালে সাভারের নিউমার্কেট এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ১০ হাজার ৩০০ পিস ইয়াবা জব্দ করা হয়।

গ্রেপ্তাররা হলেন- রফিক ওরফে কাজল হিজড়া (১৮), মামুনুর ওরফে পরিমনি হিজড়া (২৩)।

র‌্যাব-৪ এর সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম) মাজহারুল ইসলাম দৈনিক বাংলাকে জানান, গ্রেপ্তার দুজই রোহিঙ্গা। তারা দীর্ঘদিন ধরে তৃতীয় লিঙ্গের ছদ্মবেশ ধারণ করে পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে ইয়াবার এনে দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করছিলেন। তারা তৃতীয় লিঙ্গের মতো স্পর্শকাতর ছদ্মবেশ ধারণ করে ও অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিত। পরে সেসব ইয়াবার ঢাকা মহানগরসহ বিভিন্ন এলাকার পাইকারী ও খুচরা বিক্রি করতেন। তাদের একজন কাজল এবং পরিমনি হিজড়া নামে পরিচয় দিতেন। এই ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানান মাজহারুল ইসলাম।

বিষয়:

পিছিয়ে পড়া রংপুর বিভাগ এগিয়ে চলছে হাইস্পিড গতিতে: নৌপ্রতিমন্ত্রী

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ইতিহাস ঐতিহ্য কোনো কিছুতে রংপুর বিভাগ পিছিয়ে নেই। সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ আছেন। রংপুর বিভাগ কিছুটা পিছিয়ে ছিল, এখন হাইস্পিড গতিতে এগিয়ে চলছে। ৯ বছর আগে যেখানে প্রতিদিন সৈয়দপুরে দু-তিনটি বিমান চলাচল করত। এখন সেখানে প্রতিদিন ১৯টি বিমান চলাচল করে। আগে রংপুরের মানুষকে মফিজ বলে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করত। এখন সেই অবস্থা নেই। এখন রংপুরের মানুষ সব থেকে বেশি বিমানে যাতায়াত করে। রংপুরের ঘাঘট নদী উন্নয়নে ২৫০০ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করবেন। প্রধানমন্ত্রী যেটি ঘোষণা করেন সেটি তিনি বাস্তবায়ন করে থাকেন। যেমনটি তিনি পদ্মা সেতু বাস্তবায়নে সিরিয়াস ছিলেন তেমনি তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করবেন।

প্রতিমন্ত্রী শুক্রবার রাজধানীর সেগুনবাগিচাস্থ ডিআরইউতে রংপুর বিভাগ সাংবাদিক সমিতির, ঢাকা এর বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনেক চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ করছেন। তিনি একজন দক্ষ কূটনীতিক। তার দক্ষ কূটনৈতিকতার ফলে তিনবিঘা করিডোর, ছিটমহল সমস্যার সমাধান, গঙ্গার পানি চুক্তি নবায়ন, বঙ্গোপসাগরে আমাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা হয়েছে। বাংলাদেশ যত বড়, তার চেয়ে বড়, আমাদের মেরিটাইম সেক্টর। উত্তরাঞ্চল দেশের পানি প্রবাহের ক্ষেত্রে মূল রিপ্রেজেন্ট এর ভূমিকা পালন করে থাকে। উত্তরবঙ্গের নদীগুলো দিয়ে ৭২ ভাগ পানি প্রবেশ করে। চিলমারী নদী বন্দরের উন্নয়ন করা হচ্ছে। উত্তরবঙ্গের সঙ্গে ঢাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নে রেল ও সড়কপথের উন্নয়ন করা হচ্ছে। রংপুর বিভাগে মেডিকেল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। এ সকল উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সাধারণ মানুষের নিকট তুলে ধরা গণমাধ্যমের দায়িত্ব।

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, রংপুর বিভাগ ছিল না। এটা দীর্ঘদিনের দাবি ছিল। বিভাগ হয়নি। রংপুর বিভাগ প্রতিষ্ঠা করেছেন প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা। তার জন্য রংপুর বিভাগ সাংবাদিক সমিতি, ঢাকার পক্ষ থেকে তাকে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। রংপুর বিভাগ হওয়ায়, রংপুর বিভাগ সাংবাদিক সমিতি পরিচয় দিতে পারছি। এটা আমাদের গর্বের। রংপুর বিভাগের উন্নয়নের জন্য যা যা দরকার সেটা প্রধানমন্ত্রী করবেন। আগে জেলাভিত্তিক সংগঠন ছিল। অনেক কিছু বাস্তবায়ন হয়েছে। বিভাগ প্রতিষ্ঠার ফলে ভ্রাতৃত্ববোধ সৌহার্দ্য বেড়েছ। একই প্লাটফর্মে এসেছে। অনেক বড় প্রাপ্তি।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এটা অনেকের মনে কষ্ট। জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে অনেকের কষ্ট। বাংলাদেশের মানুষের বঞ্চনার ইতিহাস দূর হয়ে গেছে। এটি দূর করেছেন আলোর দিশারী প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অনেক ষড়যন্ত্র হচ্ছে। দেশ যাতে স্বাধীন না হয়, সেজন্য অনেকেই বিদেশিদের কাছে তাকিয়ে ছিল, সাম্রাজ্যবাদী শক্তির দিকে তাকিয়ে ছিল। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ, করোনা মহামারির মধ্যেও বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশকে পিছিয়ে দিতে অনেকেই সাম্রাজ্যবাদী শক্তির দিকে তাকিয়ে আছে। অন্যদের ইঙ্গিতে, ইশারায় চলছে। ওই জায়গায় নেয়া যাবে না বাংলাদেশের মানুষের চোখ খুলে গেছে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে চলছে। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশ হিমালয়সম উচ্চতায় চলে গিয়েছিল। ৭৫ এ বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর দেশ অন্ধকার তলিয়ে যায়। সে অন্ধকার থেকে আলোর পথে নিয়ে এসেছেন আলোর পথের দিশারী দেশরত্ন শেখ হাসিনা।

এ সময় আলোকিত বাংলাদেশের গড়ার ক্ষেত্রে রংপুর বিভাগ সাংবাদিক সমিতি, ঢাকা আরও বেশি কার্যকরী ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে সংগঠনের সভাপতি তোফাজ্জল হোসেনের সভাপতিত্ব অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন সংসদ সদস্য উন্মে কুলসুম স্মৃতি, সংগঠনের সিনিয়র সদস্য শামসুল হক দুররানী, সংগঠনের সিনিয়র সদস্য আনন্দ আলোর সম্পাদক রেজানুর রহমান, সদস্য মশিউর রহমান, সংগঠনের সাবেক আহ্বায়ক ও নর্থ বেঙ্গল ফোরামের সভাপতি নজমুল হক সরকার এবং ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ইমরুল কায়সার ইমন।


সোনাইমুড়িতে দিঘি ইজারা কমিটির বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগে

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
সোনাইমুড়ী (নোয়াখালী) প্রতিনিধি

নোয়াখালী সোনাইমুড়ীর একটি সরকারি দিঘির ইজারাদারদের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার দেউটি ইউনিয়নের পতিশ দিঘির ইজারা কমিটির সভাপতি আব্দুল মান্নান, সাধারণ সম্পাদক কবির হোসেন ও ক্যাশিয়ার জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ তুলেছেন সাধারণ সদস্যরা।

জানা যায়, দেউটি ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের পতিশ দিঘিটি অনেক পুরাতন জলমহল। সরকারি এই দিঘিটি আশপাশের বসবাসরত ৭৪ গৃহের বাসিন্দাদের পক্ষ থেকে হয় লিজ নেয়া হয়। প্রতিবছর লিজ বাবদ গৃহপ্রতি পাঁচ হাজার টাকা তোলা করা হয়। এ ছাড়া জাল টানতেও প্রতি ঘর থেকে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা চাঁদা নেয়া হয়।

অভিযোগ রয়েছে, উত্তোলন করা টাকা আত্মসাৎ করছেন ইজারা কমিটির দায়িত্বে থাকা সদস্যরা। অভিযুক্তরা ১৮ বছর থেকে কমিটির দায়িত্বে রয়েছেন। দীর্ঘদিন দায়িত্বে থাকলেও ইজারা বাবদ অর্থ উত্তোলন, মাছ আহরণের খরচ, মাছ বিক্রয়, মাছ বিতরণের কোনো হিসাব দিচ্ছেন না। কোনো সদস্য এই বিষয়ে প্রশ্ন তুললে নিয়ম বহির্ভূতভাবে তার সদস্যপদ বাতিল করা হয়। এ ছাড়া ৭৪ গৃহের সদস্যদের সমন্বয়ে ইজারা নেয়া হলেও অধিকাংশই এখন বঞ্চিত। অভিযুক্ত তিন সদস্যের একক সিদ্ধান্ত আর স্বেচ্ছাচারিতায় অতিষ্ঠ সাধারণ সদস্যরা।

দিঘির পাড়ের বাসিন্দা নাজিম হোসেন দিঘি ইজারা কমিটির সদস্য। ২০২০ সাল থেকে তিনি ৫ হাজার টাকা করে বাৎসরিক চাঁদা দিচ্ছেন। দুই বছর আগে কমিটির উত্তোলন করা অর্থের হিসাব চাওয়ায় তিনি সদস্যপদ হারিয়েছেন। বঞ্চিত রয়েছেন দিঘির সকল সুবিধা থেকে।

দিঘির পাড়ের আরেক সদস্য ষাটোর্ধ্ব হারুন। তিনি জানান, গত ১৮ বছর থেকে দিঘি ইজারা দিচ্ছে সরকার। ৭৪ সদস্যের নামে লিজ নেয়া হলেও তা ভোগ করছে গুটি কয়েক পরিবার। সরকারি দিঘি যেন ব্যক্তি সম্পত্তি হয়ে গেছে। বর্তমান কমিটির আর্থিক অনিয়মের কথা বললেই দিঘির মাছের ভাগ বন্ধ হয়ে যায়। যখন তখন সদস্যপদ বাতিল হয়।

একই অভিযোগ দিঘির পাড়ের অধিকাংশ সদস্যের। তারা এই অর্থ আত্মসাৎ ও অনিয়ম থেকে রেহাই পেতে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইসমাইল হোসেনের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হচ্ছে হয়নি।

বিষয়:

দেশের ভাবমূর্তি আরও জোরদারে কাজ করুন: প্রধানমন্ত্রী

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তাদেরকে দেশের ভাবমূর্তি আরও জোরদারে আন্তরিকতা ও দেশপ্রেমের সঙ্গে কাজ করতে বলেছেন। তিনি বলেন, ‘দেশের ভাবমূর্তি আরও উন্নত করতে সর্বোচ্চ আন্তরিকতা, পেশাদারিত্ব, সততা ও দেশপ্রেমের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করুন।’

শুক্রবার ঢাকায় প্রাপ্ত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত বুধবার ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ দূতাবাস পরিদর্শনকালে কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

তিনি শহিদ মিনার ও বঙ্গবন্ধু কর্নারসহ দূতাবাসের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখেন। শেখ হাসিনা দূতাবাসে পৌঁছালে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান ফুলের তোড়া দিয়ে তাকে স্বাগত জানান।

প্রধানমন্ত্রী প্রথমে দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু কর্নারে অবস্থিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আবক্ষ মূর্তিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে তার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

জাতির পিতার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা প্রদর্শন করার পর তিনি সেখানে কিছু সময় নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।

প্রধানমন্ত্রী ১৯৯৭ সালে এই চ্যান্সারি ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন এবং ২০০০ সালে নবনির্মিত ভবনের উদ্বোধন করেছিলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, অ্যাম্বাসেডর-অ্যাট-লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সালাউদ্দিনসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন।


ঢাকার বাতাসের মানে উন্নতি

আপডেটেড ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ১২:০১
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

রাজধানীর ঢাকার বাতাসের মানে উন্নতি হয়েছে। ঈদে মিলাদুন্নবী ও সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে তিন দিন ছুটি থাকায় রাজধানীতে যান চলাচল কম থাকে। এতে করে ব্যস্ত নগরীর বাতাসের মানে উন্নতি হয়েছে। শুক্রবার সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে বিশ্বে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় ঢাকার অবস্থান ছিল ১৫তম। আর স্কোর ছিল ১২২।

এ সময় এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সে ১৭৩ স্কোর নিয়ে শীর্ষে ছিল পাকিস্তানের লাহোর। ১৬৮ স্কোরে ভারতের দিল্লি ছিল দ্বিতীয় অবস্থানে। তৃতীয় মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর, চতুর্থ ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা ও কুয়েতের কুয়েত সিটি চিল পঞ্চম স্থানে।

প্রতিদিনের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই স্কোর একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটুকু নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং তাদের কোনো ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হতে পারে কি না, তা জানায়।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাতাসে প্রতি ঘনমিটারে দুই দশমিক পাঁচ মাইক্রোমিটার ব্যাসের বস্তুকণার পরিমাণ (পিপিএম) যদি শূন্য থেকে ৫০ এর মধ্যে থাকে, তাহলে ওই বাতাসকে বায়ু মানের সূচকে (একিউআই) ‘ভালো’ বলা যায়। এই মাত্রা ৫১-১০০ হলে বাতাসকে ‘মধ্যম’ মানের ও ১০১-১৫০ হলে ‘বিপদসীমায়’ আছে বলে ধরে নেওয়া হয়। আর পিপিএম ১৫১-২০০ হলে বাতাসকে ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১-৩০০ হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ ও ৩০১-৫০০ হলে ‘বিপজ্জনক’ বলা হয়।

বিষয়:

শেখ হাসিনাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা মোদির

আপডেটেড ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ১৭:৪৩
নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন এ তথ্য জানিয়েছে।

ভারতীয় হাইকমিশন এক বার্তায় জানায়, ‘ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে উষ্ণ শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

মোদি ২৮ সেপ্টেম্বর শেখ হাসিনার জন্মদিনে তার সুস্বাস্থ্য ও সাফল্য কামনা করেন।

শেখ হাসিনা ১৯৪৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর গোপালগঞ্জের মধুমতি নদী বিধৌত টুঙ্গিপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছার জ্যেষ্ঠ সন্তান এবং আওয়ামী লীগের সভাপতি তিনি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ায় তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের সঙ্গে অবস্থান করছেন।


banner close