বুধবার, ৪ অক্টোবর ২০২৩

৮ অঞ্চলে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে

প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত : ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০৯:৩৩

দেশের ৮ অঞ্চলে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হওয়া বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। মঙ্গলবার দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেয়া পূর্বাভাসে এমনটি জানিয়েছে রাষ্ট্রীয় এ সংস্থাটি।

এতে বলা হয়, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও রাজশাহী অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।


‘বৈরী পরিবেশ’ জয় করে দেশে ফিরছেন প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা লন্ডনের ওয়েস্ট মিনিস্টার মেথোডিস্ট সেন্ট্রাল হলে স্থানীয় সময় সোমবার যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ আয়োজিত নাগরিক সংবর্ধনায় বক্তৃতা করেন। ছবি: পিআইডি
আপডেটেড ৪ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০২
নিজস্ব প্রতিবেদক

২০ দিনের সফর শেষে বুধবার দেশে ফিরছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এবারে দেশের বাইরে থাকার সময় বেশ কিছু বৈরী পরিবেশ তৈরির চেষ্টা হয়েছে দেশে-বিদেশে। দক্ষ হাতে সেই পরিস্থিতি সামাল দিয়ে তিনি দেশে ফিরছেন।

গত ১৭ সেপ্টেম্বর দেশ ছাড়েন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে ২২ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ অধিবেশনে অংশ নেন। সেখান থেকে ২৯ সেপ্টেম্বর লন্ডনে পৌঁছেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর লন্ডনে কয়েকটি কর্মসূচিতে যোগদান শেষে আজ বুধবার দেশে ফিরছেন তিনি।

এবার বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে সংবর্ধনা দেয়ার কথা থাকলেও জনদুর্ভোগ চিন্তা করে তিনি সংবর্ধনায় সম্মতি দেননি বলে জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

এবারের জাতিসংঘের সদর দপ্তরে সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনে দেয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দায়িত্বশীল রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ জনগণের মানবাধিকার রক্ষায় অঙ্গীকারবদ্ধ। এ দেশ সংবিধানের আলোকে গণতন্ত্র, আইনের শাসন ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করে যাবে। তিনি বলেন, জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের নির্বাচিত সদস্য হিসেবে বাংলাদেশ বিশ্বের আপামর জনগণের মানবাধিকার সংরক্ষণে সদস্য দেশগুলোর সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে।

বরাবরের মতো বাংলায় দেয়া এই ভাষণে তিনি রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন, যুদ্ধ ও নিষেধাজ্ঞা পরিহার, জরুরি অবস্থা মোকাবিলার জন্য আঞ্চলিক খাদ্য ব্যাংক চালু, জলবায়ু পরিবর্তন, মানবাধিকার, নারীর ক্ষমতায়ন, স্বাস্থ্যসেবা, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি), সন্ত্রাসবাদ এবং সরকারের অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও অন্যান্য বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক সমস্যার কথা তুলে ধরেন।

বাইডেনের সঙ্গে নৈশভোজ
জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে (ইউএনজিএ) যোগদানকারী বিশ্ব নেতাদের সম্মানে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আয়োজিত নৈশভোজে যোগ দেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের সম্মানে স্থানীয় সময় ১৯ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় মেট্রোপলিটন মিউজিয়াম অব আর্টে এই নৈশভোজের আয়োজন করেন বাইডেন। ভোজসভায় শেখ হাসিনা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। প্রধানমন্ত্রীর মেয়ে এবং ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের (সিভিএফ) থিম্যাটিক অ্যাম্বাসেডর সায়মা ওয়াজেদ তাঁর সঙ্গে ছিলেন। নৈশভোজে বাইডেনের সঙ্গে তোলা ছবি পরে প্রকাশ করা হয়।

নিউইয়র্কে সংবাদ সম্মেলন
প্রধানমন্ত্রী যখন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন, তখনই খবর আসে ভিসানীতি বাস্তবায়ন শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তোলপাড় শুরু হয় দেশে। জাতিসংঘে ভাষণ দেয়ার পর নিউইয়র্কে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি আরোপ শুরু প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এটা নিয়ে ভয় পাওয়া বা ঘাবড়ানোর কিছু নেই। এবার বিরোধী দলের কথাও বলা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ কারও ওপর নির্ভর করে নয়, জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় এসেছে। জনগণ ভোট দিলে আবার ক্ষমতায় আসবে।


রাজধানীতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ২ শ্রমিকের মৃত্যু

প্রতীকী ছবি
আপডেটেড ৩ অক্টোবর, ২০২৩ ২২:৪৮
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দুই শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় আহত হয়েছেন তিনজন। মঙ্গলবার বিকেলে মিরপুরের বেড়িবাঁধ এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

পুলিশ জানায়, বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে রয়্যাল সিটি এলাকায় শ্রমিকরা লোহার লম্বা পাইপ উঁচু করলে সেটি উপর দিয়ে যাওয়া হাই ভোল্টেজ তার স্পর্শ করে। এতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে রুবেল দাস (২৫) ও হৃদয় দাস (২৬) নামে দুজনের মৃত্যু হয়।

শাহআলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমিনুল ইসলাম ওই দুজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ঢাকা মহানগর পুলিশের দারুসসালাম জোনের সহকারী কমিশনার মফিজুর রহমান পলাশ বলেন, ‘ঘটনাস্থলেই দুই জন প্রাণ হারান এবং তিন জন গুরুতর আহত হন। আহতদের শরীরের কিছু অংশ পুড়ে গেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘পুলিশ ঘটনাটি তদন্ত করছে।’

বিষয়:

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ ও লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের উপনির্বাচন ৫ নভেম্বর

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ ও লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আগামী ৫ নভেম্বর আসন দুটিতে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে কমিশনের সভায় এ তফসিল ঘোষণা করা হয়।

তফসিল অনুযায়ী, আগামী ১১ অক্টোবর মনোনয়ন দাখিলের শেষদিন, মনোনয়নপত্র বাছাই ১২ অক্টোবর, মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের ১৩ থেকে ১৭ অক্টোবর, আপিল নিষ্পত্তি ১৮ অক্টোবর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষদিন ১৯ অক্টোবর, প্রতীক বরাদ্দ ২০ অক্টোবর এবং ভোটগ্রহণ হবে ৫ নভেম্বর।

গত ৩০ সেপ্টেম্বর ভোরে একাদশ সংসদের সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা এ কে এম শাহজাহান কামালের মৃত্যুতে শূন্য হয় লক্ষ্মীপুর-৩ (সদর) আসন। একই দিন আরেক আলোচিত সংসদ সদস্য উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়ার মৃত্যুতে শূন্য হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসন।


ড. ইউনূসকে দুদকে তলব

ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

অর্থ পাচারের অভিযোগের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৩ জনকে বৃহস্পতিবার তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

২৭ সেপ্টেম্বর দুদক উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে ড. ইউনূসকে দুদক কার্যালয়ে তলব করা হয়েছে।

কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর ২০২২ সালের ২৩ জুলাই ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রমিকদের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তদন্তের জন্য দুদকে চিঠি দেয়।

১৯৯৬ সাল থেকে গ্রামীণ টেলিকমের বেশিরভাগ লেনদেনই সন্দেহজনক বলে ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়। কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর আইএলওতে দেয়া শ্রমিকদের অর্থপাচারের অভিযোগেরও তদন্ত চেয়েছে চিঠিতে।

ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত করার অভিযোগ এনে গ্রামীণ টেলিকম ও এর প্রতিষ্ঠাতা ড. মুহম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে ১১০টি মামলা করেন শ্রমিকরা। সম্প্রতি ১৭৬ জন শ্রমিকের পাওনা ৪৭৬ কোটি টাকা পরিশোধ করলে ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের আবেদন করেন শ্রমিকরা। এর পর মামলার রফাদফার প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।

গত ১৪ জুলাই ইউনূসের বিরুদ্ধে দুদকে দুর্নীতি অনুসন্ধানের আবেদন করে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর। ২০১০ সাল থেকে ২০২১-২২ অর্থবছর পর্যন্ত গ্রামীণ টেলিকম কোম্পানির শ্রমিক-কর্মচারীদের মধ্যে নিট মুনাফার ৫ শতাংশ লভ্যাংশ বণ্টনে অনিয়ম হয়েছে বলে আবেদনে বলা হয়েছে।

এতে আরও বলা হয়, গ্রামীণ টেলিকমের সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলোতে এখন পর্যন্ত প্রায় ২ হাজার ৯৭৭ কোটি টাকা সন্দেহজনক লেনদেন হয়েছে।

অভিযোগে আরও বলা হয়, গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে ৪৫ কোটি ৫২ লাখ টাকা দেয়ার কথা থাকলেও তা দেয়নি।


সেপ্টেম্বরে সারা দেশে ১৫৭৭টি অগ্নিকাণ্ড

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতি‌বেদক

এ বছরের সেপ্টেম্বর মাসে সারা দেশে ১ হাজার ৫৭৭টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে ১১ জন আহত ও ৪ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকা সিটি করপোরেশন এলাকায় ১৫৫টি আগুনের ঘটনা ঘটে, যা আগস্ট মাসের তুলনায় ২৭টি বেড়েছে ।

মঙ্গলবার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স মিডিয়া সেল থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সেপ্টেম্বর মাসে সারা দেশে ১ হাজার ৫৭৭টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৬০৩টি, ময়মনসিংহ বিভাগে ৬৩টি, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৮৯টি, রাজশাহী বিভাগে ২২৫টি, খুলনা বিভাগে ১৩২টি, সিলেট বিভাগে ৫৭টি, বরিশাল বিভাগে ৬০টি ও রংপুর বিভাগে ২৪৮টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। মাসিক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, আগস্ট মাস থেকে সেপ্টেম্বর মাসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা কমেছে। গত মাসে সারা দেশে ১ হাজার ৬৬৭টি আগুনের ঘটনা ঘটে।

এর মধ্যে ঢাকা সিটি করপোরেশন এলাকায় ১৫৫টি আগুনের ঘটনায় ৭ জন আহত হয়েছে। তবে কেউ নিহত হয়নি। পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, রাজধানীর মিরপুর, মোহাম্মদপুর, হাজারীবাগ, তেজগাঁও, বারিধারা, উত্তরা এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা বেশি ঘটছে। এর মধ্যে মিরপুর, মোহাম্মদপুর, বারিধারা এলাকায় সেপ্টেম্বর মাসে ১৬টি করে আগুনের ঘটনা ঘটেছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, সেপ্টেম্বর মাসে সারা দেশে ৭৮৭টি বিভিন্ন দুর্ঘটনায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স উদ্ধার কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে। এতে ৭৭৭ জন আহত ও ১৮৪ জন নিহত হন। যার মধ্যে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ৫৯০টি। এ ছাড়া রান্না ঘরের গ্যাস সিলিন্ডারজনিত দুর্ঘটনা ১০টি, গ্যাস লাইনে ত্রুটিজনিত ১৩টি, লিফট দুর্ঘটনা ১৫টি, বজ্রপাত সংক্রান্ত দুর্ঘটনা ১৯টি, নদী ও পানিতে ডুবে যাওয়ার ১১৫টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। সারা দেশে নদী, পুকুর বা পানিতে ডুবে ৭৪ জন নিহত হন।

শুধু ঢাকা সিটি করপোরেশন এলাকায় ৪৯টি বিভিন্ন ধরনের দুর্ঘটনায় ১১ জন নিহত হয়। সিটি করপোরেশনের মিরপুর, মোহাম্মদপুর, তেজগাঁও, পুরান ঢাকা এলাকায় দুর্ঘটনা বেশি ঘটছে। এ ছাড়া ঢাকা বিভাগে ১৫৯টি, ময়মনসিংহ বিভাগে ৫৫টি, চট্টগ্রাম বিভাগে ১০২, রাজশাহী বিভাগে ২০১, খুলনা বিভাগে ৮৮, সিলেট বিভাগে ২৭টি, বরিশাল বিভাগে ৪১টি ও রংপুর বিভাগে ১১৪টি দুর্ঘটনা ঘটে।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স থেকে প্রাপ্ত বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানা যায়, সেপ্টেম্বর মাসে সারা দেশ থেকে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স আগুন ও বিভিন্ন দুর্ঘটনায় ৪ হাজার ৩৫৪টি কলের মাধ্যমে সেবা প্রদান করেছে। এ ছাড়া ১১৫২টি কলের মাধ্যমে ১ হাজার ৯৮ জন রোগী পরিবহন করে অ্যাম্বুলেন্স সেবা প্রদান করে।


আর কত দিন ৮ হাজার টাকা থাকবে পোশাকশ্রমিকদের মজুরি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রপ্তানি বৃদ্ধির জন্য তৈরি পোশাক খাতের শ্রমিকদের নিয়ে নতুন করে ভাবার তাগিদ দিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াটলি ও নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের ডেপুটি হেড থিজ উডস্ট্রা। রাজধানীর একটি হোটেলে মঙ্গলবার গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ-সিপিডি আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তারা প্রশ্ন তোলেন নিম্নতম মজুরি ৮ হাজার টাকা আর কত দিন থাকবে তা নিয়ে।

অনুষ্ঠানে হেড থিজ উডস্ট্রা বলেন, বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতে কাজ করছে প্রায় ৪৫ লাখ শ্রমিক। তবে দীর্ঘদিন ধরেই তাদের নিম্নতম মজুরি নির্ধারিত রয়েছে ৮ হাজার টাকায়। এটি আর কত দিন থাকবে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, এলডিসি উত্তরণের পর বাংলাদেশকে ন্যূনতম মজুরির ফাঁদ থেকে বের হয়ে আসতে হবে। তিনি আরও বলেন, এলডিসি উত্তরণের পর বাংলাদেশের সামনে কিছু সুযোগ যেমন আসবে, তেমনি চ্যালেঞ্জও তৈরি হবে। সেই সময়ের সুযোগ কাজে লাগাতে শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি ও কাজের পরিবেশ উন্নত করার ওপর জোর দেন তিনি।

অনুষ্ঠানে ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াটলি বলেন, বর্তমান বাস্তবতা ও মূল্যস্ফীতি বিবেচনায় এত অল্প মজুরি দিয়ে শ্রমিকদের পরিবার টিকে থাকা সম্ভব নয়। প্রায় পাঁচ বছর আগের মজুরি বৃদ্ধি বর্তমান সময়ের সঙ্গে সামঞ্জসপূর্ণ নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি। বলেন, ‘আমাদের এখন শ্রমিকদের জন্য ন্যায়সঙ্গত মজুরি নিশ্চিত করতে হবে।’ এজন্য সরকার ও পোশাক মালিকদের পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানান তিনি। এ ছাড়া মজুরি বৃদ্ধিতে বিশ্বের নামীদামি ব্র্যান্ডস ও ক্রেতাদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান হোয়াটলি।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম। সম্মানিত অতিথি ছিলেন সুইডেন রাষ্ট্রদূত আলেকজান্দ্রা বার্গ ভন লিন্ডে ও ঢাকায় নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াটলি।

প্যানেল আলোচক হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি শহীদুল্লাহ আজিম, বাংলাদেশে নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের ডেপুটি হেড থিজ উডস্ট্রা।

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিপিডির গবেষণা ফেলো মুনতাসির কামাল। সংলাপে সভাপতিত্ব করেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন।


বাংলাদেশের রপ্তানির তালিকায় যুক্ত হলো কাঁঠালের বার্গার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

অবশেষে কাঁঠালের বার্গার তৈরি হলো বাংলাদেশে। সেই বার্গার রপ্তানিও হতে যাচ্ছে ইউরোপের বাজারে। সম্প্রতি আইসল্যান্ডের একটি সুপারস্টোর বাংলাদেশ থেকে চার লাখ কাঁঠালের বার্গার নেয়ার অর্ডার দিয়েছে।

গত ডিসেম্বরে গাজীপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে কাঁঠালের জিনোম সিকোয়েন্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, আমাদের দেশের উচ্চবিত্তরা বার্গার, রোলজাতীয় খাবার খেতে পছন্দ করেন। এসব খাবারে মাংসের পরিবর্তে কাঁঠাল ব্যবহার করা যায়। কাঁঠালের পুষ্টিগুণও অনেক।

তার বক্তব্যের পরই নেটিজেনরা নানা সমালোচনা শুরু করেন। তবে সব সমালোচনাকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়ে এবার সত্যি রপ্তানি হতে যাচ্ছে কাঁঠালের বার্গার। পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন।

রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন গ্রামীণ উন্নয়ন সংস্থা পিকেএসএফ কর্মকর্তারা বলেন, খাদ্য পরীক্ষাগারে গবেষকদের সাফল্যের পর বাণিজ্যিকভাবে কাঁঠালের রেসিপি নিয়ে কাজ করতে উৎসাহী হয় পিকেএসএফ। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন তহবিল (ইন্টারন্যাশনাল ফান্ড ফর এগ্রিকালচারাল ডেভেলপমেন্ট) থেকে আর্থিক সহায়তাও মিলেছে। সংস্থাটি তার কৃষি বাণিজ্যিকীকরণ এবং উদ্যোগ প্রচার প্রকল্পের অধীনে ১২৯ মিলিয়ন ডলার ঋণ দেয়। জাতিসংঘের এজেন্সি-সহায়তা প্রকল্পের অধীনে বাস্তবায়িত হওয়া ছোট আকারের প্রকল্পগুলোর মধ্যে কাঁঠালের বার্গার অন্যতম।

১৯৯৫ সালে প্রতিষ্ঠিত সেন্টার ফর ডেভেলপমেন্ট ইনোভেশন অ্যান্ড প্র্যাকটিস (সিডিআইপি) নামের এনজিওটি এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। প্রকল্পে মোট বিনিয়োগ করা হয়েছে ১ দশমিক ৮৯ কোটি টাকা। এরমধ্যে পিকেএসএফ দিয়েছে ১ দশমিক ৪৪ কোটি টাকা এবং বাকি টাকা দিচ্ছে সিডিআইপি।

সিডিআইপির নির্বাহী পরিচালক মিফতা নাইম হুদা বলেন, আইসল্যান্ডের প্রতিষ্ঠানটি ইতিমধ্যে পিকেএসএফের মাধ্যমে কারখানা পরিদর্শন করতে চেয়েছে। সিডিআইপি‍ বিষয়টি মাথায় নিয়েই প্রস্তুতি নিচ্ছে।

বাংলাদেশ কাউন্সিল অব সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চে (বিসিএসআইআর) ইতোমধ্যেই কাঁঠালের বার্গারের খাদ্যমান যাচাই করা হয়েছে। বিসিএসআইআর থেকে ডায়েটারি ফাইবার অ্যানালাইজারের মাধ্যমে পরীক্ষায় প্রতি ১০০ গ্রাম কাঁঠালের প্যাটিতে ৯ দশমিক ৭৮ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ১০ দশমিক ৮৭ গ্রাম প্রোটিন, ৮ দশমিক ৪৭ গ্রাম ফ্যাট, ১৯ দশমিক ৩২ গ্রাম ডায়েটারি ফাইবার এবং ১৫৯ কিলোক্যালরি এনার্জি রয়েছে বলে জানা যায়।

পিকেএসএফের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফজলুল কাদের বলেন, স্বাদ, গন্ধ কিংবা রসালোভাবের দিক দিয়ে মাংসের প্যাটির বিকল্প হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে কাঁঠালের প্যাটি। বিশ্বে ভেজিটেরিয়ানদের (নিরামিষভোজী) কাছে এর চাহিদা থাকার ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে, ফলে রপ্তানিতেও তৈরি হয়েছে সম্ভাবনা।

বাংলাদেশ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, দেশে বছরে ১৮ লাখ ৯৩ হাজার ৩০৩ মেট্রিক টন কাঁঠাল উৎপাদিত হচ্ছে। ফলে এ উৎপাদন ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে, পণ্য বৈচিত্র্যকরণের মাধ্যমে সারাবছর কাঁঠালের পণ্য বিপণন সম্ভব হবে। এতে কাঁঠালের ভ্যালু অ্যাডিশন বা মূল্য সংযোজন কয়েকগুণ বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।

কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের পোস্ট হার্ভেস্ট টেকনোলজি বিভাগের সিনিয়র বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও খাদ্য প্রযুক্তিবিদ ড. মো. গোলাম ফেরদৌস বলেন, শুধু বার্গারই নয়– কাঁচা কাঁঠাল দিয়ে স্যান্ডুইচ, কাঁঠালের রোল, কাটলেট, শিঙ্গাড়া, সমুচা, কাঁঠালের দই, কাঁঠালসত্ত্ব, শরবত, কাস্টার্ড, কেক, আইসক্রিমও তৈরি করা সম্ভব। যদি সচেতনতা তৈরি করা যায় তাহলে কাঁঠালপণ্যের একটি বড় বাজার তৈরি করা যেতে পারে এবং বিদেশের বাজারেও এটি ব্যাপক রপ্তানি সম্ভাবনা তৈরি করবে। তার মতে, ম্যাকডোনাল্ডস আমেরিকায় কাঁঠালের বার্গার বানাচ্ছে।


রাজধানীতে ‘আকাশ গ্রুপে’র পাঁচ সদস্যসহ ২০ জন গ্রেপ্তার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের অভিযোগে কিশোর গ্যাং ‘আকাশ গ্রুপে’র পাঁচ সদস্যসহ ২০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।

সোমবার সন্ধ্যা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত এসব অভিযান চালায় র‌্যাব-২। অভিযানে গ্রেপ্তারদের কাছ থেকে দেশীয় অস্ত্র, চাপাতি, ছুরি, চাকু, খুর ও অন্যান্য দেশীয় অস্ত্র জব্দ ও মোবাইল ফোন এবং নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।

র‌্যাব-২-এর জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম) শিহাব করিম জানান, সম্প্রতি কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। তারা মাদকাসক্ত হওয়ায় মাদকের টাকা জোগাড় করার জন্য সংঘবদ্ধ হয়ে ডাকাতি, ছিনতাই ও চুরির মতো ঘটনা ঘটাচ্ছে। সম্প্রতি রাজধানীর বছিলা ও এর আশপাশের এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের দাপট বেড়ে যাওয়ায় জনমনে ত্রাস সৃষ্টি হয়েছে। এসব অপরাধের অভিযোগে থানায় একাধিক জিডি ও মামলা হয়েছে।

এরই প্রেক্ষিতে র‌্যাব-২ গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে মোহাম্মদপুর, আদাবর, শেরেবাংলা নগর ও ধানমন্ডি এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় আদাবরের শ্যামলী হাউজিং এলাকায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ‘আকাশ গ্রুপের’ পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। পৃথক একটি অভিযানে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে ছিনতাইয়ের প্রস্তুতিকালে আরও ১৫ ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়।

শিহাব করিম জানান, জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার অভিযুক্তরা জানায়, তারা একাধিক সংঘবদ্ধ কিশোর গ্যাং চক্রের সদস্য। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় রাতের আধারে ফুটপাতের দোকান ও পথচারীদের দেশীয় অস্ত্র দিয়ে ভয় দেখিয়ে তাদের কাছে থাকা নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার, সেলফোনসহ মূল্যবান জিনিসপত্র হাতিয়ে নিতো তারা।

বিষয়:

কবিরাজির কথা বলে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে তিনজনকে গলা কেটে খুন

র‌্যাবের হাতে গ্রেপ্তার সাগর আলী (৩১) ও তার স্ত্রী ঈশিতা বেগম (২৫)। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকার আশুলিয়ায় ভাড়া বাসায় একই পরিবারের তিনজনকে গলাকেটে হত্যার দুদিনের মাথায় ঘটনাটির রহস্য উদঘাটন করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। হত্যাকাণ্ডের মূলহোতা মো. সাগর আলী (৩১) ও তার স্ত্রী ঈশিতা বেগমকে (২৫) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত সোমবার রা‌তে গাজীপুরের শফিপুর এলাকা থেকে তা‌দের গ্রেপ্তার করে র‌্যাব।

র‌্যাব বল‌ছে, গ্রেফতার দুজন প্রথমে অর্থের লোভে ও পরে কাঙ্ক্ষিত অর্থ না পেয়ে ক্ষোভ থেকে এ হত্যাকাণ্ড ঘটায়। তারা ওই বাসায় লু‌টের প‌রিকল্পনা ক‌রেছিল। সে অনুযায়ী ওই বাসায় গিয়ে ভিক‌টিম‌দের ইসবগু‌লের ভু‌ষির সঙ্গে চেতনানাশক মি‌শি‌য়ে কৌশ‌লে অচেতন ক‌রে। প‌রে ঘরে কা‌ঙ্ক্ষিত অর্থ খুঁজে না পে‌য়ে ক্ষোভ থেকে গৃহকর্তা মোক্তার, তার স্ত্রী ও ছে‌লে‌কে ব‌টি দি‌য়ে গলা‌‌কেটে হত্যা ক‌রে। এর আগেও সাগর ২০২০ সালে টাঙ্গাইলের মধুপুরে মাত্র ২০০ টাকার জন্য একই পরিবারের চারজনকে চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে একই কায়দায় গলাকেটে হত্যা করে।

মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, নিহত মোক্তার হোসেন ও তার স্ত্রী সাহিদা বেগম আশুলিয়ার একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। তার সন্তান মেহেদী হাসান জয় স্থানীয় একটি স্কুলে সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। গত ৩০ সেপ্টেম্বর সাভারের আশুলিয়া জামগড়া এলাকায় একটি বহুতল ভবনের চতুর্থ তলার একটি ফ্ল্যাট থেকে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়লে ভবনের প্রতিবেশী ভাড়াটিয়ারা বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানায়। পরে ফ্ল্যাট থেকে মোক্তার, তার স্ত্রী সাহিদা ও তাদের ১২ বছরের শিশু সন্তান মেহেদীর অর্ধগলিত গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

পরে এ ঘটনায় গত রোববার আশুলিয়া থানায় মামলা করা হয়। একই পরিবারের তিনজনকে হত্যার এ ঘটনায় র‌্যাব গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ায়। গোয়েন্দা তথ্যে সোমবার রাতে র‌্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা ও র‌্যাব-৪ এর একটি দল গাজীপুরের শফিপুর এলাকা থেকে হত্যাকাণ্ডের মূলহোতা মো. সাগর আলী ও তার সহযোগী স্ত্রী ঈশিতাকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে হত্যাকাণ্ডের সময় মোক্তারের কাছ থেকে লুট করা আংটিটি উদ্ধার করা হয়।

র‌্যাব পরিচালক বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার দম্পতি র‍্যাবকে জানিয়েছে, প্রথমে অর্থের লোভে ও পরে কাঙ্ক্ষিত অর্থ না পেয়ে ক্ষোভ থেকে তাদের হত্যা করা হয়।

ঘটনার বিবরণ দিয়ে কমান্ডার আল মঈন বলেন, গত ২৮ সেপ্টেম্বর গ্রেপ্তার সাগর সাভার বারইপাড়া এলাকার একটা চায়ের দোকানে চা খাওয়ার সময় মোক্তারের পাশের একটি কবিরাজি ও ভেষজ ওষুধের দোকানে তার শারীরিক সমস্যার বিষয়ে চিকিৎসা নিয়ে কথা বলতে দেখেন। সাগর আরও জানতে পারেন, মোক্তার ওই দোকানে ভেষজ ও কবিরাজি চিকিৎসা নিয়ে ১৫-২০ হাজার টাকা খরচ করেও কোনো ফলাফল পাননি। সাগর কৌশলে মোক্তারকে ডেকে নিয়ে আলাপচারিতায় ভেষজ ও কবিরাজি চিকিৎসার প্রতি তার আগ্রহ ও আস্থার কথা জানতে পারেন। মোক্তার তার ও তার পরিবারের বেশ কিছু শারীরিক সমস্যার কথাও সাগরকে জানান।

সাগর মোক্তারকে জানায়, তার স্ত্রী একজন ভালো কবিরাজ এবং সে তার সমস্যার সমাধান করে দেবে বলে মিথ্যা আশ্বাস দেয়। কথাবার্তার এক পর্যায়ে সাগর চিকিৎসার জন্য মোক্তারের সঙ্গে ৯০ হাজার টাকার চুক্তি করে। সাগর ও তার স্ত্রী পরদিন ২৯ সেপ্টেম্বর সকালে ওষুধসহ তার বাসায় গিয়ে চিকিৎসা করবে বলে জানায়। যোগাযোগের জন্য মোক্তারকে সাগর নিজের ফোন নম্বর না দিয়ে এক আত্মীয়ের মোবাইল নম্বর দেয়। পরে বাসায় গিয়ে সাগর স্ত্রী ঈশিতাকে পুরো ঘটনা ও পরিকল্পনার কথা জানায়। বিপুল অঙ্কের অর্থ পাওয়ার আশায় রাজি হয় সাগরের স্ত্রী। তারা পরিকল্পনা করে ভুক্তভোগী মোক্তারের বাসায় গিয়ে ভেষজ ও কবিরাজি চিকিৎসার কথা বলে তার পরিবারের সবাইকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে তাদের অর্থসহ মূল্যবান সামগ্রী লুট করবে। পরিকল্পনা অনুযায়ী সাগর গাজীপুরের মৌচাক এলাকার একটি ফার্মেসি থেকে এক বক্স (৫০টি) ঘুমের ওষুধ কেনে।

২৯ সেপ্টেম্বর সকালে সাগর ও তার স্ত্রী গাজীপুরের মৌচাক থেকে মোক্তারের সঙ্গে জামগড়া মোড়ে দেখা করে তার বাসায় যায়। সেখানে প্রাথমিক পরিচয়ের পর গ্রেপ্তার সাগরের স্ত্রী ঈশিতা তাদের সমস্যার কথা শোনে। পরে তাদের ভেষজ ও কবিরাজি চিকিৎসার ওষুধ বলে ইসবগুলের শরবতের সঙ্গে চেতনানাশক ওষুধ মিশিয়ে খাওয়ায়। মোক্তার, তার স্ত্রী ও ছেলে ঘুমের ওষুধের প্রভাবে ঘুমিয়ে পড়লে সাগর ও তার স্ত্রী মিলে প্রথমে মোক্তারের কক্ষে গিয়ে মোক্তারের হাত ও পা বাঁধে, পরে মোক্তারের স্ত্রীর হাত-পা বাঁধে। এরপর তারা মোক্তারের মানিব্যাগ, তার স্ত্রীর পার্স ও বাসার অন্য স্থানে অর্থ ও মূল্যবান সামগ্রীর জন্য তল্লাশি করে মাত্র পাঁচ হাজার টাকা পায়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সাগর বটি দিয়ে প্রথমে মোক্তারের গলায় উপর্যুপরি কোপ দিয়ে তাকে হত্যা করে। পরে অন্য কক্ষে গিয়ে ছেলে ও স্ত্রীকে একই বটি দিয়ে পর্যায়ক্রমে কুপিয়ে হত্যা করে। পালানোর আগে তারা মোক্তারের হাতে থাকা আংটি খুলে নিয়ে যায়।

সাগর-ঈশিতা ভিন্নপথে রিকশায় করে গাজীপুরের মৌচাকে সাগরের শ্বশুরবাড়ি যায় এবং সেখানেই অবস্থান করতে থাকে। হত্যাকাণ্ডের ঘটনা গণমাধ্যমে প্রচারের পর তারা আত্মগোপনে চলে যায়।

গ্রেপ্তার সাগরের বিষয়ে র‌্যাব মুখপাত্র বলেন, সে মাদকাসক্ত এবং বিভিন্ন পেশার আড়ালে চুরি ও ছিনতাই করত বলে জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে। ২০২০ সালে টাঙ্গাইলের মধুপুরে মাত্র ২০০ টাকার জন্য একই পরিবারের চারজনকে চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে একই কায়দায় গলা কেটে হত্যায় অভিযুক্ত সাগর। ওই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সাগরকে র‌্যাব-১২ গ্রেপ্তার করার পর সাড়ে তিন বছর কারাভোগ করে। ২০২৩ সালের জুন মাসে জামিন পেয়ে গাজীপুরের মৌচাক এলাকায় তার শ্বশুরের ভাড়া বাসায় কিছুদিন অবস্থান করে। দীর্ঘদিন জেলহাজতে থাকায় তার আর্থিক অবস্থা ভালো না থাকায় সে রাজমিস্ত্রি, কৃষি শ্রমিকসহ বিভিন্ন পেশার আড়ালে ঢাকা, সিলেট ও টাঙ্গাইলে অবস্থান করে সুযোগ বুঝে চুরি ও ছিনতাই করত।

আরও জানা গেছে, একটি জেলায় কিছুদিন অবস্থানের পর স্থান পরিবর্তন করে অন্য জেলায় আশ্রয় নিত সাগর। এছাড়া গত জুলাই মাসে সে অবৈধ পথে পাশের দেশে গিয়ে ২০-২৫ দিন অবস্থান করে এবং আগস্ট মাসে দেশে ফিরে আসে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে র‌্যাব কর্মকর্তা বলেন, গ্রেপ্তার সাগর কিন্তু চিহ্নিত সন্ত্রাসী বা শীর্ষ সন্ত্রাসীও নয়। তবে সাগর আমাদের জানিয়েছে একটি স্বার্থান্বেষী মহল তাকে ব্যবহার করার চেষ্টা করেছে। আমরা এমন কোনো তথ্য পেলেই তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। পাশাপাশি এই ব্যাপারটা ঘিরে আমরা সতর্ক আছি।

বিষয়:

সেপ্টেম্বরে ১৯২ কোটি টাকার চোরাচালান জব্দ: বিজিবি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

সেপ্টেম্বর মাসে দেশের সীমান্তসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১৯২ কোটি ৪৭ লাখ ৯৮ হাজার টাকা মূল্যের বিভিন্ন প্রকার চোরাচালান পণ্যসামগ্রী এবং অস্ত্র ও গোলাবারুদ জব্দ করেছে বিজিবি।

সংস্থাটির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম জানান, জব্দ চোরাচালান দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে— ৩১ কেজি ১৯ গ্রাম স্বর্ণ, ২৬ কেজি ৭০৬ গ্রাম রূপা, ৫ লাখ ৬৯ হাজার ৪৬৮ পিস কসমেটিক্স সামগ্রী, ১৯ হাজার ৫৬ পিস ইমিটেশন গহনা, ২৪ হাজার ৩১২টি শাড়ি, ১০ হাজার ৮০৬ থ্রিপিস, শার্টপিস, চাদর ও কম্বল, ১ হাজার ৭২০ ঘনফুট কাঠ, ৬ হাজার ৫৩৫ কেজি চা পাতা, ১ লাখ ১৮ হাজার ৯১০ কেজি কয়লা, ১১টি কষ্টি পাথরের মূর্তি, ৩টি ট্রাক, ৫টি পিকআপ, ৬টি প্রাইভেটকার, ৪টি চাঁন্দের গাড়ি, ৩৫টি সিএনজি ও ইজিবাইক এবং ৮৭টি মোটরসাইকেল।

অভিযানকালে ৪টি পিস্তল, বিভিন্ন প্রকার গান ৯টি, ম্যাগজিন ৭টি এবং ২৬ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।

এছাড়া গত মাসে বিপুল পরিমাণ মাদক ও নেশাজাতীয় দ্রব্য জব্দ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৮ লাখ ৬৯ হাজার ৫৫৭ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ১০ কেজি ৯৯১ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ আইস, ৩০ কেজি ৪১৫ গ্রাম হেরোইন, ১১ হাজার ৭০৬ বোতল ফেনসিডিল, ২৩ হাজার ৮৩৯ বোতল বিদেশি মদ, ৬৪১ লিটার বাংলা মদ, ৫ হাজার ৭১৯ ক্যান বিয়ার, ১ হাজার ২১২ কেজি গাঁজা, ৪ লাখ ৫৩ হাজার ১০৬ প্যাকেট বিড়ি ও সিগারেট, ৩৫ হাজার ৬৭৮টি নেশাজাতীয় ইনজেকশন, ৪ হাজার ১০৭টি ইস্কাফ সিরাপ, ৩ কেজি ৮ গ্রাম কোকেন, ২ হাজার ৭৪৪ বোতল এমকেডিল বা কফিডিল, ২ হাজার ৮০২টি অ্যানেগ্রা বা সেনেগ্রা ট্যাবলেট, ১৪ লাখ ৩৩ হাজার ১০৬ পিস বিভিন্ন প্রকার ওষুধ এবং ১ হাজার ৪৪৮টি অন্যান্য ট্যাবলেট রয়েছে।

বিষয়:

সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে আবহাওয়া অফিসের পক্ষ থেকে। একইসঙ্গে উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

সংস্থাটি জানিয়েছে, সক্রিয় মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর সঞ্চালণশীল মেঘমালা সৃষ্টি হচ্ছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও এর কাছাকাছি বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরসমূহের উপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

সক্রিয় মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে আজ দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে ভারি বর্ষণ হতে পারে।

মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এসব কথা জানায় আবহাওয়া অফিস।

আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

এতে আরও বলা হয়, আজ রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারী ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে ভারি বর্ষণ হতে পারে। আজ সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

আজ সকাল ৬টায় ঢাকায় বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।

ঢাকায় আজ সূর্যাস্ত সন্ধ্যা ৫টা ৪৪ মিনিট। আগামীকাল ঢাকায় সূর্যোদয় ভোর ৫টা ৫১ মিনিটে।

আগামীকালের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝরি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণ হতে পারে। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।


প্রধান বিচারপতির সংবর্ধনায় যাবে না ইউএলএফ

মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির দক্ষিণ হলে সংবাদ সম্মেলন করে ইউনাইটেড লইয়ার্স ফ্রন্ট (ইউএলএফ)। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

দেশের নতুন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে ইউনাইটেড লইয়ার্স ফ্রন্ট (ইউএলএফ)।

মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির দক্ষিণ হলে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন সংগঠটির নেতারা।

তারা ‘দায়িত্ব পালন শুরু করতে না করতেই সংবর্ধনার মেলা এবং নানাবিধ বক্তব্য দিয়ে সাংবিধানিক বিচারিক পদকে প্রশ্নবিদ্ধ করার’ অভিযোগ এনে এ ঘোষণা দিয়েছেন।

আগামী ৮ অক্টোবর আপিল বিভাগের ১নং কোর্টে নতুন প্রধান বিচারপতিকে সংবর্ধনা দেওয়া হবে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ইউএলএফের আহ্বায়ক ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘লুণ্ঠিত ভোটাধিকার, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, আইনের শাসন, স্বাধীন বিচার বিভাগ প্রতিষ্ঠা, আপসহীন দেশনেত্রী খালেদা জিয়াসহ সব গণতন্ত্রকামী রাজনীতিক, পেশাজীবী এবং মানবাধিকার কর্মীর মুক্তি, মিথ্যা মামলা ও ফরমায়েশি রায় বাতিলের দাবিতে আইনজীবীদের সঙ্গে নিয়ে ইউএলএফের আন্দোলন চলমান আছে। ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, খুলনা, রাজশাহী, বগুড়া, বরিশালসহ প্রায় সব বিভাগীয় বার সমিতিতে আইনজীবী সমাবেশ ও পদযাত্রা সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘গত ২৫ সেপ্টেম্বর বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবে অবসর গ্রহণ করেছেন। বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি গত ১২ সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানকে দেশের ২৪তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেন। তিনি শপথ গ্রহণ করেন ২৬ সেপ্টেম্বর। সুপ্রিম কোর্ট বারের আইনজীবীসহ দেশের সব শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ প্রত্যাশা করেছিল, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বিচারালয়ের সর্বোচ্চ চেয়ারের মর্যাদা, ভাবগাম্ভীর্য এবং দীর্ঘদিন ধরে গড়ে ওঠা বিচারিক প্রথা বজায় রাখবেন। যদিও তার রাজনৈতিক অতীত এবং আইনজীবী থাকাবস্থায় বর্তমান সরকার ও সরকারি দলের সব কর্মকাণ্ডের সঙ্গে প্রশ্নাতীতভাবে তার নিয়মিত অংশগ্রহণ আইনজীবী সমাজের জানা আছে।’

জয়নুল আবেদীন আরও বলেন, ‘আমরা অত্যন্ত বেদনাহত মন নিয়ে এই সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হয়েছি। দেশের প্রধান বিচারপতি নিয়োগের পর থেকে ফুলের শুভেচ্ছা নিতে নিতে, এক পর্যায়ে সরকারি দলের ছাত্র সংগঠন এবং বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা গ্রহণ করেন, যার সচিত্র প্রতিবেদন গণমাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয়। এটি সুপ্রিম কোর্টের ৫২ বছরের ইতিহাসে একটি নজিরবিহীন ঘটনা এবং প্রবীণ আইনজীবীদের ভাষায় বিচার বিভাগের জন্য চরম বেদনার মুহূর্ত। শুধু তাই নয়, শপথ গ্রহণের দুই দিনের মাথায় একটি জেলা সমিতির সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিতর্কিত পুলিশ অফিসার, আইনজীবী নিপীড়নকারী এবং নিয়মিত মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী ডিবিপ্রধান হারুন অর রশীদের কাছ থেকে একটি বৃহদাকার তলোয়ার উপহার হিসেবে প্রধান বিচারপতির গ্রহণ করার ছবি গণমাধ্যমে প্রচারের পর দেশের আইনজীবী সমাজ হতাশ এবং বিস্মিত হয়েছে। আনুষ্ঠানিক দায়িত্ব পালন শুরু করতে না করতেই তার সংবর্ধনার মেলা এবং নানাবিধ বক্তব্যে প্রধান বিচারপতির মত সর্বোচ্চ সাংবিধানিক বিচারিক পদকেই প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলেছে।’

বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘বিশেষ করে গত ১ অক্টোবর নেত্রকোনা স্টেডিয়ামে নেত্রকোনা জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতির সভাপতিত্বে ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের সঞ্চালনায় প্রধান বিচারপতির সংবর্ধনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন সরকারের প্রতিমন্ত্রী, ২০১৮ সালের নিশিরাতের ভোটের সংসদ সদস্য, বিচারপতি, বিচারকসহ স্থানীয় আমলা, পুলিশের কর্মকর্তা ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতিসহ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান আওয়ামী লীগের দলীয় সংবর্ধনা গ্রহণ করার মধ্য দিয়ে প্রধান বিচারপতির মত নিরপেক্ষ পদের মর্যাদা ও সম্মানহানি ঘটিয়েছেন। এতে বিচার বিভাগের ওপর সাধারণ মানুষের অনাস্থা আরও গভীরতর হচ্ছে। বিচার বিভাগ নিপতিত হবে গভীর সংকটে। এরপরও আমরা মনে করি, জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটানোর লক্ষ্যে বিচার বিভাগের প্রধান হিসাবে আপনার দায়িত্ব থাকবে, নিরপেক্ষ থাকবেন এবং বিচার বিভাগের স্বাধীনতা অক্ষুন্ন রাখবেন।’

‘ইউএলএফ অত্যন্ত ব্যথিত চিত্তে বিচার বিভাগের মর্যাদা, সম্মান, প্রধান বিচারপতি পদের ভাবগাম্ভীর্য এবং বিচার বিভাগের ওপর বাংলাদেশের জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে আগামী ৮ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্ট বারের তথাকথিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠান বর্জনের এডহক কমিটির সিদ্ধান্তের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করছে। আগামী ৮ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্ট বার চত্বরে বর্জনের সিদ্ধান্তের সমর্থনে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল এবং আইনজীবী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।’

জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, দেশের প্রধান বিচারপতি আইনজীবীদের এই সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক প্রতিবাদ অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে অনুধাবন করবেন। দেশে যখন ভোটাধিকার লুণ্ঠিত, গণতন্ত্র এবং আইনের শাসনের জন্য জনগণের অবিরাম আন্দোলন চলছে, তখন আমাদের প্রত্যাশিত বিচার বিভাগ নতুন করে আর কোনো বিতর্কের মধ্যে না জড়িয়ে সংবিধান অর্পিত ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার সাংবিধানিক দায়িত্ব এবং জনগণের মৌলিক অধিকার রক্ষার জন্য দৃঢ় ভূমিকা নেবে।’

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ইউএলএফের কো-কনভেনর সিনিয়র আইনজীবী সুব্রত চৌধুরী, বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, অ্যাডভোকেট মহসিন রশিদ প্রমুখ।


দুর্নীতি-অপকর্মের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান রাষ্ট্রপতির

মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প পুরস্কার ২০২২’ প্রদান অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ছবি: বাসস
আপডেটেড ৩ অক্টোবর, ২০২৩ ১৬:৪৬
বাসস

দেশপ্রেমিক ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাদের দুর্নীতি এবং অপকর্মের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প পুরস্কার ২০২২’ প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান।

রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, ‘আপনাদেরকে দুর্নীতি এবং অপকর্মের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে... যেকোনো পরিস্থিতিতে সরকার সবসময় আপনাদের পাশে থাকবে, উৎসাহ যোগাবে।’

তিনি বলেন, “দেশের শিল্পোন্নয়নে বিদ্যমান সকল সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে সকলের সম্মিলিত প্রয়াসের মাধ্যমে ২০৪১ সালের মধ্যেই ‘উন্নত বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে সক্ষমতা অর্জন করা সম্ভব।”

রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘ইতোমধ্যে শিল্প মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রমে সনাতনী থেকে ডিজিটাল কর্মসূচিতে পদার্পণের ছোঁয়া পরিলক্ষিত হয়েছে এবং ডিজিটাল থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট কর্মসূচিতে পদার্পণে বেশি সময় লাগবে না।’

তিনি বলেন, ‘বর্তমানে আমাদের স্লোগান হবে টেকসই শিল্পায়ন স্মার্ট বাংলাদেশের দর্শন।’

রাষ্ট্রপতি দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার পাশাপাশি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা নির্মাণে অবদান রাখারও তাগিদ দেন।

‘দেশে ব্যবসা ও বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ বিদ্যমান’ উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘শিল্প খাতের দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের জন্য সরকার ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলেছে। কিন্তু এক শ্রেণির অসাধু-ব্যবসায়ীর অতি মুনাফালোভী মনোভাব ও রাতারাতি বড়লোক হওয়ার স্বপ্ন দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যে বিরূপ প্রভাব ফেলছে এবং এতে জনগণের ভোগান্তি বাড়ছে।’

রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন বলেন, ‘অল্প কিছু লোকের অপকর্মের দায়ভার গোটা ব্যবসায়ী সমাজের হতে পারে না।’

শ্রমিকদের কল্যাণের পাশাপাশি দুস্থ মানবতার সেবায় দেশের ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার প্রশংসা করেন তিনি।

শ্রমিকদের নিয়ে আন্তর্জাতিক রাজনীতি হচ্ছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘কিছু দুষ্টচক্র দু-একজনকে বেছে নেয় এবং এদেরকে মানবাধিকারের কথা বলে দেশ-বিরোধী চক্রান্ত করায়।’

তিনি শিল্প-কারখানায় শ্রমিকদের ন্যায্য পাওনা ও অধিকার প্রদানকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিবেচনা করারও অনুরোধ জানান সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে।

আজকের অনুষ্ঠানে ৬টি ক্যাটাগরিতে— ভারী, মাঝারি, ক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও কুটির এবং উচ্চ প্রযুক্তির শিল্প ইউনিটের মালিকসহ ১২ জন শিল্পোদ্যোক্তাকে নিজ নিজ ক্ষেত্রে তাদের অসামান্য অবদানের জন্য ‘বঙ্গবন্ধু শিল্প পুরস্কার ২০২২’ সম্মাননা দেয়া হয়।

বৃহৎ শিল্প ক্যাটাগরিতে রানার অটোমোবাইলস লিমিটেড প্রথম, জাবের অ্যান্ড জোবায়ের ফেব্রিক্স লিমিটেড এবং বিএসআরএম স্টিলস লিমিটেড এবং মাঝারি শিল্প ক্যাটাগরিতে প্রথম স্থান অধিকার করে নিতা কোম্পানি লিমিটেড এবং দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে নোমান টেরি টাওয়েল মিলস লিমিটেড।

ক্ষুদ্র শিল্প ক্যাটাগরিতে হযরত আমানত শাহ স্পিনিং মিলস লিমিটেড প্রথম, বসুমতি ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেড দ্বিতীয় এবং টেকনো মিডিয়া লিমিটেড তৃতীয় স্থানে রয়েছে।

এছাড়া মাইক্রো ইন্ডাস্ট্রিজ ক্যাটাগরিতে গ্রীন জেনেসিস ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড এবং কুটির শিল্প ক্যাটাগরিতে শামসুন্নাহার টেক্সটাইল মিলস নির্বাচিত হয়েছে।

ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ ক্যাটাগরিতে প্রথম স্থান অর্জন করেছে এবং সুপার স্টার ইলেকট্রিক্যাল এক্সেসরিজ লিমিটেড ক্যাটাগরিতে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে।

রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘শিল্প উদ্যোক্তা বা প্রতিষ্ঠানের জন্য এই পুরস্কার একটি অনন্য রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি যা তাদেরকে টেকসই শিল্পায়নে বিনিয়োগ ও নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টিতে উৎসাহ এবং প্রেরণা যোগাবে।’

তিনি আশা করেন যে, তাদেরকে (পুরস্কার প্রাপ্তদের) অনুসরণ করে অন্যান্য ব্যবসায়ী, শিল্পপতি ও রপ্তানিকারকগণ আগামী দিনে দেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ প্রসারে উৎসাহিত ও উদ্যোগী হবেন।

রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন বলেন, ‘করোনা মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে বর্তমানে বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দা চলছে। তাই বাংলাদেশ সরকার বৈশ্বিক পরিস্থিতি অত্যন্ত সতর্কতার সাথে পর্যবেক্ষণ করছে এবং দেশের রপ্তানি ও ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ও প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রাখতে সর্বাত্মক প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে।’

দেশের উদ্যোক্তা, বিনিয়োগকারী ও ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘বিশ্ব অর্থনীতির বর্তমান অবস্থায় বাংলাদেশের রপ্তানি ও ব্যবসা-বাণিজ্যে কী প্রভাব পড়তে পারে— তা চিহ্নিত করতে হবে এবং ঝুঁকি ও সম্ভাবনা বিবেচনা করে ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীদেরকে এগিয়ে যেতে হবে।’

তথ্যপ্রযুক্তি ও নতুন নতুন উদ্ভাবনের ফলে ক্রমবর্ধমান ব্যবসা-বাণিজ্যে দ্রুত পরিবর্তনের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘সকল জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি, চাহিদা, সরবরাহ ইত্যাদি বিবেচনায় নিয়ে আপনাদেরকেও পদক্ষেপ নিতে হবে।’

ব্যবসায়ীদেরকে ধ্যান-ধারণায় তথ্যপ্রযুক্তিতে জ্ঞান-সম্পন্ন আধুনিক হওয়ার ও উপদেশ দেন রাষ্ট্রপতি। এর পাশাপাশি পরিবর্তিত পরিস্থিতির সঙ্গে নিজেদেরকে খাপ খাইয়ে নেয়ার জন্য তাগিদ দেন তিনি।

শিল্প মন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, কৃষি মন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি মাহবুবুল আলম, ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড-এর চেয়্যারম্যান এসএম নুরুল আলম রেজভী এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা।

অনুষ্ঠানে শিল্প মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম সম্পর্কিত একটি ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রদর্শিত হয়। রাষ্ট্রপতি নিজ আসনে বসে তা অবলোকন করেন।


banner close