রোববার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৩

বিদেশ যেতে পারবেন না পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সেই জাকির

মো. জাকির হোসেন। ফাইল ছবি
আপডেটেড
২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ১৩:২৬
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত : ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ১৩:২৩

অর্থপাচার আইনের মামলায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেনকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন বহাল রেখেছেন চেম্বার আদালত। তবে এ সময় তিনি বিদেশ যেতে পারবেন না। এ জন্য তার পাসপোর্ট আদালতে জমা দিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

বুধবার চেম্বার আদালতের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এ আদেশ দেন।

অর্থপাচার আইনে করা মামলায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেনকে গত ১৭ সেপ্টেম্বর জামিন দেন হাইকোর্ট। এ জামিন স্থগিত চেয়ে লিভ টু আপিল করে দুদক। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান।

তিনি চেম্বার আদালতের আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গত ১৭ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট তাকে জামিন দেন। আমরা সেই জামিন আদেশ স্থগিত চেয়ে আবেদন করি। আদালত শুনানি নিয়ে জামিন স্থগিত না করলেও পাসপোর্ট জমা দিতে বলেছেন, এবং বিদেশ যেতে আদালতের অনুমতি নিতে হবে বলেছেন।

জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে গত ১৪ মার্চ মামলা করে দুদক। মামলায় তার বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ১৫ কোটি ৪০ লাখ টাকার সম্পদ অর্জন ও ভোগ দখলের অভিযোগ আনা হয়।

জাকির হোসেনের জমা দেয়া আয়কর নথি ধরে অনুসন্ধান চালিয়ে দুদক তার অবৈধভাবে অর্জিত সম্পদের তথ্য পায়। ২০২১-২২ আয়কর নথি অনুযায়ী, জাকির হোসেনের নামে ধানমন্ডির ১ নম্বর সড়কে ৫০ লাখ ৮৪ হাজার ৮০০ টাকা মূল্যের একটি ফ্ল্যাট, খিলগাঁওয়ের নন্দীপাড়ায় ২৬৩ অজুতাংশ জমির ওপর ৭৫ লাখ ৭৫ হাজার ৭০০ টাকা খরচ করে পাঁচতলা ভবন নির্মাণসহ মোট ১ কোটি ৫১ লাখ ১০ হাজার ২০০ টাকার স্থাবর সম্পদ পাওয়া যায়। এ ছাড়া ১৩ কোটি ৩০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র, ৩৮ লাখ ৯৫ হাজার টাকা মূল্যের টয়োটা রোস গাড়ি, নগদ ১৯ লাখ ১৯ হাজার ৯৭০ টাকা ও ব্যাংক হিসাবে রক্ষিত ৭২ হাজার ৫০৬ টাকাসহ মোট ১৩ কোটি ৮৮ লাখ ৮৭ হাজার ৪৭৬ টাকার অস্থাবর সম্পদের তথ্য রয়েছে আয়করে। সব মিলিয়ে জাকির হোসেনের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের মূল্য দাঁড়ায় ১৫ কোটি ৩৯ লাখ ৯৭ হাজার ৬৭৬ টাকা।

জাকির হোসেন ১৯৯২ সালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগ দেন। তিনি ১৯৯৫ সালে কুয়েত দূতাবাসে এবং ২০০৯ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত কেনিয়ার নাইরোবিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনে প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।


সকল সংঘাতের স্থায়ী সমাধান নিশ্চিতকরণে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান রাষ্ট্রপতির

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন সকল ধরনের সংঘাতের স্থায়ী সমাধান নিশ্চিতকরণ এবং নির্যাতিত ও নিপীড়িত জনগণের পাশে দাঁড়াতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আহ্বান জানিয়েছেন।

আজ মানবাধিকার দিবস ২০২৩ উপলক্ষ্যে রাজধানীর একটি হোটেলে এক আলোচনা সভায় ভাষণদানকালে তিনি এ আহ্বান জানান।

সম্প্রতি ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে নির্বিচারে বেসামরিক নাগরিকদের হত্যা, শিশু হত্যা ও ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের ঘটনা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি সংঘাতের ঘটনায় চরম দুঃখ ও উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং একইসাথে ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বরোচিত হামলার তীব্র নিন্দা জানান।

রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন বলেন, ‘যুদ্ধ নয়; আলোচনার মাধ্যমেই সকল সমস্যার সমাধান সম্ভব।’

কাতারের উদ্যোগ ফিলিস্তিনের গাজায় সম্প্রতিক সাময়িক যুদ্ধ বিরতির জন্য কাতার সরকারকে ধন্যবাদ ও আন্তরিক মোবারকবাদ জানান রাষ্ট্রপতি।

বিশ্বের যেখানেই মানবাধিকার লঙ্ঘিত হবে সেখানেই দলমত, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল দেশ, মানবাধিকার সংস্থা ও মানবাধিকার কর্মীরা প্রতিবাদে সোচ্চার হবেন বলেও তিনি আশা করেন।

রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘মানবাধিকার শাশ্বত ও সর্বজনীন অধিকার কিন্তু দুঃখজনক হলেও এটা সত্য যে, বিরাজমান বিশ্ব মানবাধিকার পরিস্থিতি বিবেকবান যে কোনো মানুষকেই ব্যথিত করবে। অনেক দেশ ও সংস্থা মানবাধিকারের নামে দ্বিচারিতায় লিপ্ত হচ্ছে।’

রাষ্ট্রপ্রধান সকল মানবাধিকার সংগঠনগুলোকে মানবাধিকার রক্ষায় সদা সজাগ থাকার ও পরামর্শ দেন।

দেশের যেখানেই মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটবে সেখানেই জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের উপস্থিতি নিশ্চিত করারও জোর তাগিদ দেন তিনি।

রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘ছোট-বড়, ধনী-দরিদ্র ও দলমত নির্বিশেষে কমিশনকে নির্যাতিতদের পক্ষে এবং নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে উচ্চকণ্ঠে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।’

তিনি পরিবার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কর্মক্ষেত্র সহ সমাজ ও রাষ্ট্রের সকল ক্ষেত্রে মানবাধিকার চর্চা বাড়ানোর প্রতি গুরুত্বারোপ করেন।

রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘কমিশন যাতে শোষিত ও নির্যাতিতদের কাছে আস্থা ও ভরসার প্রতীকে পরিণত হতে পারে সে লক্ষ্যে কমিশনকে নির্যাতিতদের পাশে দাঁড়াতে হবে এবং নির্যাতনকারীদের শাস্তি দানে সর্বাত্মক প্রয়াস অব্যাহত রাখতে হবে।’

বাংলাদেশে মানবাধিকার সংস্কৃতির বিকাশ ও উন্নয়নের লক্ষ্যে গবেষণা ও প্রকাশনা বৃদ্ধি, মানবাধিকার লঙ্ঘনের উপরে সার্বক্ষণিক নজরদারি বৃদ্ধি, মানবাধিকার বিষয়ক সচেতনতা সৃষ্টি ও অ্যাডভোকেসি কার্যক্রম পরিচালনা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কমিশনকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করার কথাও বলেন।

রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, ‘মানবাধিকার সুরক্ষায় পারস্পরিক সংলাপ, সভা, সেমিনার, ওয়ার্কশপ শিক্ষা ও প্রচারসহ সহযোগিতা বৃদ্ধির সকল কার্যক্রমে জনগণের সম্পৃক্ততা বাড়াতে হবে।’

রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘সমাজের শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিত্ব ও মতাদর্শের ব্যক্তি, যেমন-মসজিদের ইমাম, ধর্মগুরু, শিক্ষক ও বিভিন্ন শ্রেণি পেশার নেতৃত্বস্থানীয় ব্যক্তিবর্গকে মানবাধিকার প্রক্রিয়ায় নিয়োজিত করা গেলে মানবাধিকার পরিস্থিতির আরও উন্নতি হবে।’

রাষ্ট্রপতি আশা করেন, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন সকল মানবাধিকার কর্মী, সংস্থা ও অংশীজনদের নিয়ে একযোগে কাজ করে গণমানুষের আকাঙ্খা পূরণে শক্তশালী ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে।

মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার মহান ব্রত নিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমৃত্যু আন্দোলন করেছেন উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের ধারক-বাহক ও মহানায়কের মানবাধিকার সংগ্রামের ফসল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ২০০৯ সাল থেকে মানুষের জীবনমান উন্নয়ন, দারিদ্র্য হ্রাস, শিক্ষা ও চিকিৎসার সুযোগ বিস্তার, শিশু ও মাতৃমৃত্যুর হার হ্রাস, নারীর ক্ষমতায়নসহ আর্থ-সামাজিক নানা সূচকে তাৎপর্যপূর্ণ সাফল্য অর্জন করেছে। বিশেষ করে, মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার পাশাপাশি সংকট মোকাবেলায় দূরদর্শী নেতৃত্ব ও মানবিকতার জন্য বাংলাদেশ বিশ্বদরবারে প্রশংসিত হয়েছে।’

এ ছাড়া ‘কোভিড-১৯’ অতিমারি পরিস্থিতিতে মানবাধিকার সুরক্ষায় বাংলাদেশ বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করে পৃথিবীতে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে বলে রাষ্ট্রপতি উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, ‘শুধু জাতীয় পর্যায়ে নয়, আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলেও বাংলাদেশ মানবাধিকার সুরক্ষায় তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।’

বিশেষ অতিথি ছিলেন, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আনিসুল হক। অনুষ্ঠানের সভাপতি ও জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ এবং জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সার্বক্ষণিক সদস্য মো. সেলিম রেজা অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।


২ পুলিশ কমিশনার, ৫ এসপিকে প্রত্যাহারের নির্দেশ ইসির

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু করার জন্য বরিশাল ও সিলেটের পুলিশ কমিশনার এবং পাঁচ এসপিকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

রোববার সকালে ইসির উপ-সচিব মো. মিজানুর রহমানের সই করা এ সংক্রান্ত নির্দেশনা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিবকে পাঠানো হয়েছে।

চিঠিতে বরিশাল ও সিলেটের দুই পুলিশ কমিশনার এবং হবিগঞ্জ, পিরোজপুর, নোয়াখালী, সাতক্ষীরা ও মেহেরপুরের এসপিকে প্রত্যাহার করার নির্দেশনা দেয়া হয়।

এছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক এবং মানিকগঞ্জ সদর, সিংগাইর ও শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকেও (ওসি) প্রত্যাহার করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে তাদের স্থলে উপযুক্ত কর্মকর্তাকে পদায়ন করার জন্য বলেছে ইসি।


সিলেটে গ্যাসের পাশাপাশি এবার তেলের সন্ধান

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

সিলেটে গ্যাসক্ষেত্রে এবার তেলের সন্ধান মিলেছে।

রোববার বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, ১০ নম্বর কূপের একটি স্তরে এ তেলের সন্ধান পাওয়া যায়। প্রতি ঘণ্টায় সেখান থেকে ৩৫ ব্যারেল তেল উঠছে। তবে আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষ করতে ৪ থেকে ৫ মাস লেগে যাবে। আশা করা হচ্ছে আগামী ১৫ থেকে ২০ বছর সেখান থেকে তেল পাওয়া সম্ভব হবে।

তিনি আরও বলেন, ৩৫ বছর আগে হরিপুরে তেলের সন্ধান মিলেছিল। কিন্তু সেটা বেশিদিন স্থানী হয়নি।


ব্যারিস্টার মইনুলের সম্মানে বিচার কাজ অর্ধবেলা বন্ধ

ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন
আপডেটেড ১০ ডিসেম্বর, ২০২৩ ১২:৩৮
নিজস্ব প্রতিবেদক 

সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের মৃত্যুতে তার প্রতি সম্মান জানিয়ে অর্ধবেলা বিচারকাজ থেকে বিরত থেকেছেন সর্বোচ্চ আদালত।

রোববার সকালে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানসহ পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ সিদ্ধান্ত নেন।

বেলা সাড়ে ১১টা থেকে আপিল বিভাগ তার বিচার কাজ বন্ধ রেখেছেন।

সকালে বিচার কাজ শুরু হলে সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতি সাবেক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল আপিল বিভাগে উপস্থিত হয়ে বিচার কাজ বন্ধ রাখার আবেদন করেন।

তিনি বলেন, ‘বিচার বিভাগ পৃথকীকরণে যার অবদান অনস্বীকার্য। গণতন্ত্রের জন্য যার অবদান রয়েছে। এমনকি তিনি সুপ্রিমকোর্ট বারের সাবেক সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তার প্রতি আমাদের সম্মান জানানো উচিত।’

পরে আদালত অর্ধবেলা বিচার কাজ বন্ধ রেখেছেন।

ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন গতকাল সন্ধ্যা ৬টায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। আজ দুপুর দেড়টার দিকে সুপ্রিম কোর্টে তার জানাজা হওয়ার কথা রয়েছে।


প্রার্থিতা ফিরে পেতে আপিল: ইসিতে শুনানি চলছে

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের মনোনয়নপত্র বাছাইয়ে বাদ পড়া বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা তাদের প্রার্থিতা ফিরে পেতে করা আপিলের শুনানি শুরু হয়েছে নির্বাচন কমিশনে (ইসি)।

রোববার সকাল ১০টায় আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে এ শুনানি শুরু হয়। চলবে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রতিদিন ১১০ জন করে প্রার্থীর আপিল শুনানি হবে। শুনানি শেষে সাথে রায় প্রকাশ করা হবে। রায়ে প্রার্থীর সন্তুষ্ট না হলে উচ্চ আদালতে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে।

এর আগে নির্বাচন কমিশনের ১০টি অঞ্চলে রিটার্নিং অফিসার কর্তৃক ৭৩১ জন প্রার্থী বাতিল হওয়ার প্রেক্ষিতে ৫৬১ জন প্রার্থী ইসিতে আপিল আবেদন করে। এর মধ্য ১৭০ জন বাতিল হওয়া প্রার্থী মনোনয়ন ফিরে পেতে আবেদন করেননি।

শুনানিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আওয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশন উপস্থিত থাকবেন। প্রার্থীর পক্ষে তার আইনজীবী ও প্রার্থী শশরীরে তার তার প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র নিয়ে উপস্থিত থাকবেন।

এবারের সংসদ নির্বাচনে ২৯টি দল ও স্বতন্ত্র মিলিয়ে দুই হাজার ৭১২ প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।


জেঁকে বসবে শীত

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

উত্তরাঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় আগামী কয়েক দিনের মধ্যে জেঁকে বসতে পারে শীত। ঢাকায় পুরোদমে শীতের অনুভূতি পেতে অপেক্ষা করতে হতে পারে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত। এমন আভাস দিয়েছেন আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদরা।

তারা বলছেন, আকাশ ক্রমে মেঘমুক্ত হচ্ছে। এতে এখন থেকে সামনের দিনগুলোতে তাপমাত্রা কমবে।

আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের ফলে যে জলীয় বাষ্প ও মেঘ সৃষ্টি হয়েছিল, তা পুরোপুরি কেটে গেছে। এখন ঠাণ্ডা আর কুয়াশা বাড়বে। রাজধানীতে এখনো সেই অর্থে পুরোদমে শীত শুরু না হলেও রাতের বেলা উত্তরের বাতাস শীতের অনুভূতি আগের চেয়ে কিছুটা জোরালো হয়েছে।’

আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক বলেন, ‘ঢাকায় এমনিতেও শীত কিছুটা দেরিতে আসে।

এবার এখানে পুরোদমে শীত শুরু হতে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময় লেগে যেতে পারে। তবে উত্তরাঞ্চলসহ দেশের অন্যান্য অঞ্চলে দু-এক দিনের মধ্যেই শীত জেঁকে বসতে পারে। আগামী দু-এক দিনের মধ্যেই দেশের কোথাও কোথাও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে চলে আসবে। সামনের দিনগুলোতে রাতের তাপমাত্রা ক্রমে কমবে।’

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামীকাল রোববার দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকলেও রাতের তাপমাত্রা কমতে পারে ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।


বাড়ানো হচ্ছে হজের নিবন্ধনের সময়

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

হজের নিবন্ধনের সময় আরও ২১ দিন বাড়ানো হচ্ছে। পূর্বের ঘোষিত অনুযায়ী গত ১৫ নভেম্বর থেকে আগামীকাল ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত হজ নিবন্ধন করা গেলেও সময় আরও বাড়ানো হয়েছে। আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত হজযাত্রী নিবন্ধন করা যাবে। নিবন্ধনের সময় বাড়িয়ে আগামীকাল রোববার ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে জানা গেছে।

এদিকে আজ শনিবার পর্যন্ত পাঁচ শতাংশ হজযাত্রীও নিবন্ধিত হয়নি বলে জানা যায়। তাই তো হজ নিবন্ধনের সময় বাড়ানো হয়েছে।

ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের হজ অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. মতিউল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘হজের নিবন্ধনের সময় ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হবে। আগামীকাল রোববার এ বিষয়ে নোটিশ জারি করা হবে। এরপর হয়তো আমাদের আর নিবন্ধনের সময় বাড়ানো সম্ভব হবে না। ওই সময় পর্যন্ত যারা নিবন্ধন করবেন, তারাই এবার হজ পালন করতে পারবেন।’

এদিকে হজ এজেন্সি মালিকদের একাধিক সূত্র জানায়, আগামী ৭ জানুয়ারি নির্বাচন, অনেকেই নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত। আর চলছে টানা অবরোধ ও হরতাল। বেশির ভাগ মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থাও খুব একটা ভালো না। অন্যদিকে গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসে হজযাত্রী নিবন্ধন শুরু হয়েছিল, নিবন্ধন চলে এপ্রিল পর্যন্ত। কিন্তু এবার সৌদি সরকার হজ ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তন আনায় হজ চুক্তির আগেই হজের নিবন্ধন সম্পন্ন করতে হচ্ছে। আগেভাগে নিবন্ধনের তথ্য অনেকে জানেনও না। তাই এবার নিবন্ধনে খুবই ধীরগতি।

জানা গেছে, চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী বছরের ১৬ জুন (১৪৪৫ হিজরি সনের ৯ জিলহজ) পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। চলতি বছরের মতো আগামী বছরও (২০২৪ সাল) বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ করতে পারবেন। এর মধ্যে সরকারি মাধ্যমে কোটা ১০ হাজার ১৯৮ জন ও বেসরকারি এজেন্সির কোটা এক লাখ ১৭ হাজার জন হজ পালন করতে পারবেন বলে ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়।


ব্যবসায়ী আদম তমিজী হক আটক

আদম তমিজী হক। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ৯ ডিসেম্বর, ২০২৩ ২২:৪৮
নিজস্ব প্রতিবেদক

হক গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলোচিত ব্যবসায়ী আদম তমিজী হককে আটক করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

আজ শনিবার রাতে গুলশানের বাসা থেকে তাকে আটক করে ডিবি পুলিশের একটি টিম।

ডিবি সূত্রে জানা যায়, আদম তমিজী হককে আটক করে মিন্টু রোডে অবস্থিত ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে। সেখানে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

গত ১৩ নভেম্বর রাতে দেশে ফেরেন আদম তমিজী হক। তিনি বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের দ্বৈত নাগরিক।

এর আগে চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে তমিজী হক ফেসবুকে ঘোষণা দেন, গাজীপুরের একজন প্রতিমন্ত্রী তার ব্যবসা বাজেয়াপ্ত করার চেষ্টা করছেন। তাকে তার ব্যবসার সুরক্ষার জন্য বিদেশ থেকে বাংলাদেশে ফিরে আসতে বাধ্য করছেন। তারপরে তিনি ফেসবুক লাইভে তার পাসপোর্ট পুড়িয়ে দেন। এছাড়া আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্য করেন। পরে তাকে তার দলীয় পদ থেকে দ্রুত অব্যাহতি দেওয়া হয় এবং ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ তাকে বরখাস্ত করে।

অবশ্য পরবর্তী সময়ে নিজের বাংলাদেশি পাসপোর্ট পুড়িয়ে ফেলার কারণে ক্ষমা চান তমিজী হক। তিনি বলেন, অতিরিক্ত আবেগের বশবর্তী হয়ে এমন কাজ করেছেন, যা একদমই উচিত হয়নি। তিনি বাংলাদেশকে অনেক ভালোবাসেন।

এরপর তিনি আরেকবার ফেসবুক লাইভে এসে নিজেকে ইহুদি বলে দাবি করেছেন। ওই সময় র‌্যাব তাকে গ্রেপ্তারের উদ্দেশ্যে তার গুলশানের বাসার সামনে গেলে তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লাইভে এসে এ দাবি করেন। তখন তিনি নিজেকে জন্মসূত্রে ইহুদি দাবি করে তাকে উদ্ধারে ইসরায়েল সরকারের সহায়তা চেয়েছেন।

জানা গেছে, আদম তমিজী হকের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দেওয়ায় সাইবার নিরাপত্তা আইনে মামলা রয়েছে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে একটি সার্চ ওয়ারেন্টও রয়েছে।


সালাম দিয়ে ছিনতাই করে তারা

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

জিএম শাখাওয়াত হোসেন রাজধানীর মতিঝিল এলাকার একটি সরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা। গত ৪ ডিসেম্বর দুপুরে অফিসের কাজে রিকশায় ওয়ারি থানার র‍্যাংকিন স্ট্রীট দিয়ে যাচ্ছিলেন। এই সময়ে কয়েকটি রিকশায় করে কয়েকজন লোক এসে বড় ভাই ব‌লে ডেকে সালাম দিয়ে তার গতিরোধ করে। পরে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে পকেটে থাকা ২৪ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়।

ভুক্তভোগী বাদী হয়ে ওয়ারী থানায় একটি ডাকাতি মামলা দায়ের করেন। মামলার ছায়া তদন্তে নেমে চক্রের মূলহোতাসহ ৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশেল (ডিবি) ওয়ারি বিভাগ।

‌গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- চক্রের মূলহোতা সজল সিদ্দিক (৪৭), আবুল হোসেন (৪৭), রফিকুল ইসলাম সবুজ (২৬), মো. আরেফিন (৪৩), মো. আমির আলী (৫৫), মোমিন প্রামাণিক (৫৬) ও মো. শাহিন (৩২)। এ সময় তাদের কাছ থেকে ছিনতাই হওয়া ছয় হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।

আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানান ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

গত ৬ ডিসেম্বর দুপুরে রাজধানীর মগবাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, মতিঝিল থেকে একটি সরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা রিকশা দিয়ে ওয়ারি এলাকায় যাওয়ার সময় সালাম দিয়ে তার গতিরোধ করে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ছিনতাইয়ের ঘটনায় সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে জড়িতদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ওয়ারির ঘটনার পরেও চক্রটি ধারাবাহিকভাবে একইভাবে ছিনতাই করে আসছিলো। ছিনতাই করা অবস্থায় চক্রের তিনজনকে মগবাজার থেকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ওয়ারি এলাকায় অভিযান চালিয়ে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ডিবি প্রধান বলেন, সালাম দিয়ে ছিনতাই করা এই চক্রে ৮জন সদস্য রয়েছে। তাদের মধ্যে ৭ জনকে ‌গ্রেপ্তার করা হয়েছে। চক্রের সদস্যরা ১০ থেকে ১৫ বছর ধরে সালাম দিয়ে ছিনতাই করে আসছিলো। চক্রের মূল হোতা সজলের বিরুদ্ধে ছিনতাই, ডাকাতিসহ দেশের বিভিন্ন থানায় ১৯ মামলা, আবুলের বিরুদ্ধে ৮ টি, সবুজের বিরুদ্ধে ৭টি, আরেফিনের বিরুদ্ধে ৫ টি ছিনতাই মামলা এবং আমির আলীর বিরুদ্ধে ৩টি ছিনতাই মামলার তথ্য পাওয়া গেছে।

গ্রেপ্তার সদস্যরা জিজ্ঞাসাবা‌দে জানিয়েছে, তারা একই কায়দায় প্রতিমাসে ১৫ থেকে ১৬টি ছিনতাই করত। ওয়ারির মামলায় ‌গ্রেপ্তার ৭ জনের মধ্যে দুজন আদালতে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দী দিয়েছে।


সরকারের নিরলস প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ আজ মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত : প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘সরকারের রূপকল্প-২০৪১ বাস্তবায়নের অন্যতম পূর্বশর্ত হচ্ছে একটি সমৃদ্ধ রাজস্বভান্ডার গড়ে তোলা। আওয়ামী লীগ সরকারের নিবিড় ও নিরলস প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে।’

তিনি বলেন, “আমাদের বর্তমান লক্ষ্য ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বাস্তবায়ন করা। আমরা উৎপাদন ব্যবস্থা ও কর্মক্ষেত্রগুলোতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সমন্বয় ঘটাচ্ছি। একইসঙ্গে প্রয়োজনীয় পেশাগত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ জনবল সৃষ্টিতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছি। আমি বিশ্বাস করি- আমাদের সরকারের ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ প্রতিষ্ঠার রূপকল্পকে সফল করতে সকলে নিজেদের উদ্ভাবনী শক্তিকে কাজে লাগাবে এবং একাগ্রতা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করবে।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল ‘ভ্যাট দিবস’ ও ‘ভ্যাট সপ্তাহ ২০২৩’ উপলক্ষ্যে আজ দেয়া এক বাণীতে এ কথা বলেন।

বাণীতে তিনি বলেন, “জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের উদ্যোগে দেশব্যাপী ‘ভ্যাট দিবস ’ এবং ‘ভ্যাট সপ্তাহ ’ পালিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত।”

এ উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী দেশের আপামর জনসাধারণ, ব্যবসায়ী এবং ভ্যাট আহরণ ও ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট রাজস্বকর্মীদের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, “অবকাঠামো ও প্রযুক্তিগত উন্নয়ন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতের নিরাপদ খাদ্যসহ ডিজিটাল ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ভ্যাটের ভূমিকা অপরিহার্য। এ বছর ভ্যাট দিবস এবং ভ্যাট সপ্তাহের প্রতিপাদ্য, ‘আমার ভ্যাট আমি দিব, কেনার সময় চালান নিব’ সঠিক ও সময়োপযোগী হয়েছে।”

শেখ হাসিনা বলেন, “ভ্যাট দেশের অভ্যন্তরীণ রাজস্ব আহরণের অন্যতম প্রধান উৎস। রাজস্ব আয় থেকে প্রাপ্ত অর্থ দিয়েই সরকার উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন ও সেবা প্রদানের ব্যয় নির্বাহ করে থাকে। এই অভ্যন্তরীণ সম্পদ আহরণ নিশ্চিত করার মাধ্যমে একটি মজবুত ও টেকসই অর্থনৈতিক ভিত্তি বিনির্মাণের লক্ষ্যে আমাদের সরকার সময় ও অর্থসাশ্রয়ী আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর একটি মূল্য সংযোজন কর ব্যবস্থা প্রবর্তন করেছে। ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর আমরা ‘মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন ২০১২’ ও ‘মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক বিধিমালা ২০১৬’ প্রণয়ন করেছি এবং এগুলোর প্রয়োগিক জটিলতা অপসারণ, ব্যবসা-বাণিজ্য সহজিকরণ এবং রাজস্ব আদায় বৃদ্ধির লক্ষ্যে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।”

‘এর ফলে মূল্য সংযোজন কর আদায় কার্যক্রমে তদারকি নিশ্চিত হয়েছে এবং দিনদিন রাজস্ব আদায় বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমরা ঘরে বসেই অনলাইনে ভ্যাট নিবন্ধন ও ভ্যাট রিটার্ন দাখিলের যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টি করেছি। তাছাড়া, দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, আমদানি বিকল্প পণ্য উৎপাদন এবং দেশীয় শিল্প বিকাশের চলমান ধারা বজায় রাখার জন্য বেশকিছু ক্ষেত্রে মূসক অব্যাহতি সুবিধা প্রদান ও বহাল রাখাসহ নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশ কাস্টমসকে আধুনিকায়নের লক্ষ্যে মানোন্নয়ন, স্বয়ংক্রিয় কাস্টমস ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা এবং বন্ড ব্যবস্থাপনা স্বয়ংক্রিয়করণসহ বেশকিছু প্রকল্প বাস্তবায়ন করছি। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, আমাদের সরকারের গৃহীত এসব প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশে ব্যবসা ও বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশের সৃষ্টি হবে, রাজস্ব আহরণ আরও বৃদ্ধি পাবে এবং সেইসাথে নতুন নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শূন্য মুদ্রা, শূন্য বৈদেশিক মুদ্রা এবং শূন্য স্বর্ণ রিজার্ভ নিয়ে একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত সদ্যস্বাধীন দেশের অর্থনীতি বিনির্মাণে ব্রতী হয়েছিলেন। স্বাধীনতা অর্জনের পর তিনি শিল্প-প্রতিষ্ঠান, কল-কারখানা জাতীয়করণের মাধ্যমে সেখানে জনগণের মালিকানা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। অভ্যন্তরীণ সম্পদ আহরণের মাধ্যমে আত্মনির্ভরশীল দেশ গড়ার স্বপ্ন নিয়ে ১৯৭২ সালে মহামান্য রাষ্ট্রপতির ৭৬নং অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।’

সত্তরে’র নির্বাচনি ইশতেহার অনুযায়ী বঙ্গবন্ধু কৃষি উন্নয়নের পাশাপাশি শিল্পভিত্তিক অর্থনীতির বিকাশের লক্ষ্যে প্রথম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিলেন উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘তাঁর সুযোগ্য নেতৃত্বে মাত্র তিন বছর সাত মাস তিন দিনেই বাংলাদেশ রেকর্ড ৯ শতাংশের উপরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছিল এবং স্বল্পোন্নত দেশের মর্যাদা লাভ করেছিল।’

প্রধানমন্ত্রী ‘ভ্যাট দিবস, ২০২৩’ এবং ‘ভ্যাট সপ্তাহ, ২০২৩’ উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল কর্মসূচির সর্বাঙ্গীণ সাফল্য কামনা করেন।


নিজেদের লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে পুলিশ: আইজিপি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ও বাংলাদেশ অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার্স কল্যাণ সমিতির (বিআরপিওডব্লিউএ) প্রধান পৃষ্ঠপোষক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, ‘পুলিশের প্রথম ও প্রধান কাজ হলো আইনশৃঙ্খলা রক্ষা তথা জনগণের সেবক হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করা। আমরা সেই লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছি।’

শনিবার সকালে রাজধানীর রাজারবাগে পুলিশ অডিটোরিয়ামে বিআরপিওডব্লিউএ-এর ৪০তম বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অবসরপ্রাপ্ত ডিআইজি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ওয়ালিয়ার রহমানের সভাপতিত্বে সভায় কর্মরত ও অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

সভায় বার্ষিক প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন সমিতির মহাসচিব ও অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মিয়া লুৎফর রহমান চৌধুরী। বার্ষিক বাজেট উপস্থাপন করেন কোষাধ্যক্ষ মো. বক্তিয়ার হোসেন ভূঞা এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন সমিতির কার্যনির্বাহী সদস্য ও অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত আইজিপি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. নাজমুল হক।

আইজিপি বলেন, ‘আমাদের মুক্তিযুদ্ধে প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল পুলিশ। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ অতীতে অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করেছে। বাংলাদেশ পুলিশ আগামীতেও দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার যে কোন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার দৃঢ় প্রত্যয়ে এগিয়ে যাচ্ছে।’

বাংলাদেশ পুলিশকে একটি পেশাদার বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তাদের অনন্য অবদানের কথা উল্লেখ করে আইজিপি বলেন, ‘আপনাদের দেখানো পথ ধরেই বাংলাদেশ পুলিশ দেশ ও জনগণের কল্যাণে কাজ করে তাদের আস্থা ও ভালোবাসা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।’

পুলিশ প্রধান বলেন, ‘অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তাদের মধ্যে অনেকেই আছেন, যারা বাংলাদেশ পুলিশের সামগ্রিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে গেছেন। আপনাদের রচিত ভীতের উপরই বর্তমান পুলিশ দাঁড়িয়ে আছে। আপনাদের কৃতিত্বপূর্ণ ভূমিকাকে আমরা কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করি। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, নতুন প্রজন্মের পুলিশ কর্মকর্তাগণ আপনাদের কাছ থেকে উপদেশ ও নির্দেশনা গ্রহণ করে নিজ নিজ ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনে সচেষ্ট হবেন।’

পুলিশ প্রধান বলেন, ‘বাংলাদেশ অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার্স কল্যাণ সমিতি একটি কল্যাণধর্মী প্রতিষ্ঠান হিসেবে সুপরিচিত। গত ৪০ বছর যাবত এ সমিতি মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। অবসর গ্রহণের পরও অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তাগণ বাংলাদেশ পুলিশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার লক্ষ্যে বিভিন্ন ধরনের সামাজিক কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন। বিশেষ করে সমাজের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন।’

তিনি সমিতির সমাজসেবামূলক বিভিন্ন কার্যক্রমের ভূয়সী প্রশংসা করেন। আইজিপি সমিতির মৃত্যুবরণকারী সদস্যদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন এবং তাদের আত্মার শান্তি কামনা করেন।

সভায় সমিতির পাঁচ জন বয়োজ্যেষ্ঠ সদস্যকে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। কমিউনিটি পুলিশিং ও সমাজসেবামূলক কার্যক্রমে বিশেষ অবদানের জন্য বাগেরহাটের রামপাল থানার পরিদর্শক (নিরস্ত্র) এস এম আশরাফুল আলম, বরিশাল মহানগর পুলিশের কাউনিয়া থানার এসআই মো. সাইফুল ইসলাম এবং কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ থানার এসআই (নিরস্ত্র) তহুরা আক্তারকে এস এম আহসান স্মৃতি পুরস্কার প্রদান করা হয়।

এছাড়া পুলিশ পরিবারের সন্তানদের মধ্যে এসএসসি পরীক্ষায় ভালো ফলাফল অর্জনকারী ২৯ জন্য মেধাবী শিক্ষার্থীকে সমিতি পরিচালিত 'মরহুম মহীউদ্দিন আহমদ চৌধুরী-এম সহীদুল ইসলাম চৌধুরী শিক্ষা বৃত্তি প্রদান করা হয়।


রাজধানীতে ডাকাতির প্রস্তুতির সময় গ্রেপ্তার ৬

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর গুলিস্তানে ডাকাতির প্রস্তুতির সময় এক‌টি ডাকাত চ‌ক্রের ছয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মো. সুজন হাওলাদার (৩৬), আবুল কালাম মাঝি (৪০), শহিদ খান (২১), ইব্রাহিম মৃধা (৬৩), মো. অনিক (২৭) ও মো. লাভলু (৩৬)।

গতকাল শুক্রবার রাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে গ্রিল কাটার বিভিন্ন সরঞ্জামাদিসহ ধারালো ছুরি ও একটি ট্রাক জব্দ করা হ‌য়ে‌ছে।

ডিবি গুলশান বিভা‌গের এডিসি এস এম রেজাউল হক বলেন, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ডিবি গুলশান বিভাগের ক্যান্টনমেন্ট জোনাল টিম জানতে পারে একটি সংঘবদ্ধ ডাকাত চক্র গুলিস্তানে ডাকাতির পরিকল্পনা করছে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ডাকাত চক্রের ছয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ‌গ্রেপ্তারকৃত‌দের দেওয়া ত‌থ্যের ভি‌ত্তি‌তে এডিসি রেজাউল আরও বলেন, ২০০৮ সাল থেকে এই চক্রটি ঢাকা মহানগরীর সীমান্তবর্তী থানা এলাকাগুলোতে বসবাস করে এবং ঢাকা মহানগরীর ভিতরে গ্রিল কেটে চুরি ও ডাকাতি করে জিনিসপত্র নিয়ে পালিয়ে যায়। শুক্রবার ১১ জন একত্রে ডাকাতির পরিকল্পনা করছিল। সঙ্গবদ্ধ চক্রের বাকি সদস্যরা গাবতলী থেকে ট্রাকে উঠে বিভিন্ন এলাকা রেকি করে সুবিধামতো বাসায় ডাকাতি করতো বলে জানায়।


তাপমাত্রা কমবে আরও

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

আজ শনিবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এছাড়া অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে এবং শেষ রাত থেকে ভোর পর্যন্ত সারাদেশে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে বলেও জানানো হয়েছে।

আবহাওয়ার সিনপটিক অবস্থায় বলা হয়েছে, ভারতের উপ-মহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ বিহার ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, শনিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকায় ১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময়ে দেশের সর্বোচ্চ ১০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে টেকনাফ ও বান্দরবানে।

ঢাকায় আজ পশ্চিম/উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৮-১২ কিলোমিটার গতিতে বাতাস প্রবাহিত হচ্ছে।

আজ সকাল ৬টায় ঢাকায় বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৯৮ শতাংশ।

আগামী ৫ দিনের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, তাপমাত্রা কমতে পারে।


banner close