শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫
৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন আয়োজনে ব্যস্ত ইসি

ফাইল ছবি
আপডেটেড
১৪ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০১
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত : ১৪ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০

বৈদেশিক চাপ, সব দল অংশ নেবে কি না, এমন অনিশ্চয়তার মধ্যেই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি এগিয়ে নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নিয়মিত বৈঠক, মতবিনিময়, কর্মশালাসহ নানা কর্মসূচিতে ব্যস্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এবং অন্য কমিশনাররা। ইসি সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও এখন নির্বাচনকেন্দ্রিক কাজে নিয়োজিত রয়েছেন।

নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, বর্তমান কমিশন দায়িত্ব নেয়ার সাত মাসের মাথায় দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করে। এরই মধ্যে ঘোষিত রোডম্যাপের বেশিরভাগ কাজ গুছিয়ে এনেছে। তবে সব দলের আস্থা অর্জনের যে বিষয়টি ইসির রোডম্যাপে ছিল, তা এখনো দৃশ্যমান নয়। পাশাপাশি ঘোষিত রোডম্যাপ অনুযায়ী দেড়শর মতো আসনে ইভিএমে ভোট নেয়ার কথা থাকলেও আর্থিক সংকটে সে সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে। পরে পুরোটাই ব্যালটে ভোট নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি।

ভোটের সরঞ্জাম কেনা শেষ পর্যায়ে

ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নির্বাচনী কাজের জন্য বেশ কয়েক ধরনের সরঞ্জাম দরকার হয়। এর মধ্যে ব্যালট পেপার, স্ট্যাম্পপ্যাড, গালা, মনোনয়ন ফরম, অফিসিয়াল সিল (গোল সিল), মার্কিং সিল (ব্যালটে মারার সিল), ব্রাশ সিল (সিলগালা করার জন্য পিতলের সিলমোহর), অমোচনীয় কালির কলম, ছোট-বড় দুই ধরনের চটের ব্যাগ, স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স ও বাক্সের লক ইত্যাদি। এ ছাড়া একাধিক রঙের কলম, খামসহ আরও কিছু সামগ্রী প্রয়োজন পড়ে।

নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম কেনাকাটার কাজও শেষ পর্যায়ে। এ মাসের মধ্যেই শতভাগ কেনাকাটা শেষ হবে। বেশ কিছু সামগ্রী এরই মধ্যে নির্বাচন কমিশন সচিবালয় ও মাঠপর্যায়ে পৌঁছে গেছে।

নির্বাচনের জন্য ৮০ হাজার ব্যালট বাক্স কেনা হচ্ছে। ব্যালট বাক্স ও ঢাকনা আগে বিদেশ থেকে আমদানি হতো। তবে এবার দেশীয় প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকেই এগুলো কিনছে ইসি।

অন্যদিকে সরকারি মুদ্রণ সংস্থার ব্যবস্থাপনায় ১ লাখ ৬১ হাজার রিম বা ৩২ লাখ ২০ হাজার দিস্তা কাগজ কেনা হচ্ছে। এ কাগজ দিয়ে তৈরি হবে ব্যালট পেপার, বিভিন্ন ধরনের খাম ও প্যাড। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের নির্ধারিত সময় শেষ হলেই ব্যালট পেপার ছাপানোর কাজ শুরু হবে।

চলছে প্রশিক্ষণ

নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে এরই মধ্যে নির্বাচনী প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ কর্মসূচি শেষ হয়েছে। তফসিল ঘোষণার পর এই প্রশিক্ষকরা নির্বাচনী কর্মকর্তাদের (প্রিসাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসার) প্রশিক্ষণ দেবে। এ ছাড়া প্রশিক্ষণ চলছে নির্বাচনে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালনে নির্ধারিত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং জেলা-উপজেলা নির্বাচনী কর্মকর্তাদের। আজ শনিবার শুরু হচ্ছে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারদের প্রশিক্ষণ।

নভেম্বরে তফসিল

রোডম্যাপের ঘোষণা অনুযায়ী নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ও ডিসেম্বরের শেষ বা জানুয়ারির শুরুতে হবে নির্বাচন। যদিও নির্বাচন কমিশন জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ভোট করবে এমন তথ্য গণমাধ্যমকে জানিয়েছে।

জানা গেছে, জাতির উদ্দেশে ভাষণের মাধ্যমে নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহেই তফসিল ঘোষণা করবেন সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল।

রাজনৈতিক সমঝোতার আশা

নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি থাকলেও এখনো বিএনপিসহ অন্যান্য দলের জন্য অপেক্ষা করছে ইসি। তাদের প্রত্যাশা, রাজনৈতিক সমঝোতার মাধ্যমে তারা ভোটে ফিরবে। তবে কোনো সমঝোতা না হলে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন করবে তারা।

সাংবিধানিক বিধান অনুযায়ী সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগের ৯০ দিনের মধ্যে সংসদ নির্বাচন করতে হবে। এই হিসাবে চলতি সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগের ৯০ দিন অর্থাৎ ২০২৪ সালের ২৯ জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচনের বাধ্যবাধকতা আছে। সে ক্ষেত্রে ১ নভেম্বর শুরু হচ্ছে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের ক্ষণগণনা।

বিএনপি বা তার মিত্র ছাড়া ইসিকে শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে যেতে হলেও বিষয়টি ভালোভাবে দেখছেন না সিইসি নিজেই। গত বৃহস্পতিবার এক সাক্ষাৎকারে বিএনপি সম্পর্কে সিইসি বলেন, তারা নির্বাচনে না এলে নির্বাচন সুষ্ঠু হলেও অসম্পূর্ণ থেকে যাবে। ওই দলটা যদি অংশ না নেয়, তাহলে একটা অনিশ্চয়তা বা শঙ্কা, একটা অসম্পূর্ণতা থেকে যেতে পারে- এতে কোনো সন্দেহ নেই।

নির্বাচনের ব্যয়

ইসি সূত্র জানায়, ৯ লাখের বেশি কর্মকর্তাসহ নির্বাচনী সরঞ্জাম কেনাকাটা, নির্বাচনে বিভিন্ন দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তাদের ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের ভাতা মিলিয়ে এবার প্রায় ১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা খরচ হবে। এর বাইরে নির্বাচনী প্রশিক্ষণে খরচ হবে প্রায় ১০০ কোটি টাকার বেশি।

এদিকে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র দাখিলে ভয়ভীতি ও বাধা দেয়া ঠেকাতে এবার অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। সেই সঙ্গে ই-ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে অনলাইনে জামানতের টাকা পরিশোধেরও সুযোগ থাকছে। অন্যদিকে ভোট কেন্দ্রের নাম ও ভোটার নম্বর খুঁজে পাওয়ার ভোগান্তি কমাতে ‘বাংলাদেশ ইলেকশন অ্যাপ’ নামে একটি অ্যাপ তৈরি করছে কমিশন। এই অ্যাপে ভোটারের তথ্যের পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের জন্য রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসার, ডিসি, এসপি, ওসিসহ নির্বাচনকেন্দ্রিক বিভিন্ন দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের পরিচয়, ফোন নম্বর দেয়া থাকবে।

নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, নির্বাচন সামনে রেখে সব ধরনের প্রস্তুতি চলছে। সার্বিক কাজ সন্তোষজনকভাবে এগোচ্ছে। নির্বাচনী উপকরণ আসা শুরু হয়েছে।

সেনা মোতায়েন নিয়ে সিইসির ভাবনা

গত বৃহস্পতিবার তৃণমূল বিএনপির সঙ্গে বৈঠক করেন সিইসি। তৃণমূল বিএনপির চেয়ারম্যান শমশের মবিন চৌধুরীর নেতৃত্বে ১৮ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করে।

বৈঠকে তৃণমূল বিএনপি সংসদ নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের প্রস্তাব করে। জবাবে সিইসি জানান, সংলাপের সময় রাজনৈতিক দলগুলোও সেনা মোতায়েনের প্রস্তাব করেছিল। তিনি বলেন, ‘সংলাপেও প্রায় প্রতিটি দলই আর্মির কথা বলেছে। আমরাও লক্ষ্য করেছি, সেনাবাহিনীর উপস্থিতিটা একান্তভাবে কাম্য। জনগণ আর্মির ওপর আস্থা রাখতে চায়। তারা যদি দায়িত্ব পালন করেন, তাহলে একটা ইতিবাচক দিক থাকবে।’


জাতীয় নার্সিং কমিশন গঠনের দাবিতে সমাবেশ, সড়ক অবরোধ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তর বিলুপ্ত করার অপচেষ্টা বন্ধ এবং জাতীয় নার্সিং কমিশন গঠনের দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনের সড়ক অবরোধ করেছে বাংলাদেশ নার্সিং অ্যাসোসিয়েশন।

শনিবার (২২ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সড়ক অবরোধ করা হয়। এর ফলে পল্টন মোড় থেকে কদম ফোয়ারামুখী সড়ক বন্ধ হয়ে যায়। এরপর যানবাহনগুলোকে ডাইভারশন করে বিজয় নগর কাকরাইল সড়কের দিকে দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে শাহবাগ থানায় পরিদর্শক (পেট্রোল) বুলবুল আহমেদ বলেন, নার্সদের সমাবেশকে কেন্দ্র করে পল্টন মোড় থেকে যানবাহনগুলোকে ডাইভার্সন করে কাকরাইল রুটের দিকে দেওয়া হয়েছে। তবে তারা শিগগিরই সড়ক ছেড়ে দেবেন বলে জানিয়েছেন।

আন্দোলনকারীরা জানান, নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরে নার্সদের জন্য সৃজনকৃত সব পদে জ্যেষ্ঠ, অভিজ্ঞ ও যোগ্য নার্স কর্মকর্তা পদায়ন করা হোক। ১৯৭৭ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত নার্স কর্মকর্তারাই নার্সিং শিক্ষা, প্রশাসন ও নার্সিং সেবা কার্যক্রম সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে পরিচালিত হচ্ছিল। কিন্তু ২০১৬ সাল থেকে প্রশাসন ক্যাডার থেকে মহাপরিচালক ও পরিচালক নিয়োগ হওয়ার পর থেকে নার্সরা বদলি, পদোন্নতি, নার্স নিয়োগ ও উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ ইত্যাদি ক্ষেত্রে অবর্ণনীয় হয়রানির শিকার হয়ে আসছেন।


সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে প্রস্তুত কমিশন : ইসি সানাউল্লাহ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপতৎপরতা ও এআইয়ের অপব্যবহার ঠেকাতে নির্বাচন কমিশনের চ্যালেঞ্জ রয়েছে। তবে সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে প্রস্তুত ইসি।

শনিবার সকালে এশিয়ান নেটওয়ার্ক ফর ফ্রি ইলেকশনস এর কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় তিনি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঐতিহাসিক হবে বলে আশা প্রকাশ করেন। পাশাপাশি রেকর্ডসংখ্যক আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেবে বলে জানান তিনি।


জাতীয় স্মৃতিসৌধে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগের শ্রদ্ধা নিবেদন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয় সফরে থাকা ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে শনিবার সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। তিনি বেদিতে ফুল অর্পণ করেন, দর্শনার্থী বইয়ে স্বাক্ষর করেন এবং পরে স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে একটি গাছ রোপণ করেন।

ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শনিবার সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ড্রুকএয়ারের একটি ফ্লাইটে অবতরণ করেন। বিমানবন্দরে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস তাকে স্বাগত জানান। এরপর ভিআইপি লাউঞ্জে দুই নেতা সংক্ষিপ্ত বৈঠক করেন, যেখানে প্রধানমন্ত্রী তোবগে শুক্রবারের ভূমিকম্পে প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে খোঁজখবর নেন এবং নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।

বৈঠকের পর তাকে তোপধ্বনি এবং গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। বিমানবন্দর আনুষ্ঠানিকতা শেষে তিনি স্মৃতিসৌধের উদ্দেশে রওনা হন।

আজ দুপরে ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র ও বাণিজ্য উপদেষ্টাদের বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। বিকেল ৩টার দিকে তিনি ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে একান্ত বৈঠকে অংশ নেবেন। সন্ধ্যায় তার সম্মানে একটি নৈশভোজের আয়োজনও করা হবে।


নির্বাচনে রেকর্ড সংখ্যক আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক থাকবে: ইসি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন একটি ঐতিহাসিক নির্বাচন হতে চলেছে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।

তিনি বলেন এবারের নির্বাচনে অংশীদার হতে রেকর্ড সংখ্যক আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক অংশ নেবেন। এ নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্রের পুণ:সূচনা হবে।

শনিবার সকালে রাজধানীর হোটেল লেকশোর হাইটসে এশিয়ান নেটওয়ার্ক ফর ফ্রি ইলেকশনের আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে একটি কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন।

এদিকে রোজার আগে ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তারিখ ধরে প্রায় ৬০ দিন সময় রেখে তফসিল ঘোষণা করার কথা জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

এ ব্যাপারে দিনক্ষণ সুনির্দিষ্ট না হলেও ইসির হিসাবে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে হতে পারে তফসিল ঘোষণা।


ডাকসু নেত্রী রাফিয়ার ময়মনসিংহের বাসায় হাতবোমা নিক্ষেপ: গ্রেপ্তার ৪

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের (ডাকসু) স্বতন্ত্র সদস্য উম্মা উসওয়াতুন রাফিয়ার ময়মনসিংহের বাসার গেইটে হাতবোমা নিক্ষেপ ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার রাতে নগরের বিভিন্ন স্থানে পৃথক অভিযানে ময়মনসিংহ জেলা ডিবি ও কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন– কেওয়াটখালী এলাকার মো. মাসুদ রানা (৪৫), আকুয়া বোর্ডঘর এলাকার মো. আরিফ (৩০), মো. বিপুল (২১) এবং আকুয়া ওয়্যারলেস গেইট এলাকার মো. রাজন (১৯)।

গত বুধবার রাত ৩টার দিকে ময়মনসিংহ নগরের ঢোলাদিয়া এলাকায় রাফিয়ার পরিবারের বাড়ির গেইটে ককটেল নিক্ষেপ করা হয় এবং অগ্নিসংযোগের চেষ্টা চালানো হয়।

এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার বিকেলে রাফিয়ার ভাই খন্দকার জুলকারনাইন কোতোয়ালি মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দেন। পরে তা মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়।

ময়মনসিংহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘চারজনকে গ্রেপ্তার করে শুক্রবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত অন্যান্য অজ্ঞাত দুষ্কৃতিকারীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলমান আছে।’


ভয়াবহ ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদী হওয়ার কারণ জানালেন বিশেষজ্ঞরা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় শুক্রবার (২১ নভেম্বর) সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৫.৭ এবং এটি কয়েক সেকেন্ড স্থায়ী ছিল। ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল ঢাকার নিকটবর্তী নরসিংদী জেলার মাধবদী উপজেলা।

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, নরসিংদী ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল হওয়ার পিছনে যৌক্তিক কারণ রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটির ল্যামন্ট-ডোহার্টি আর্থ অবজারভেটরির অধ্যাপক মাইকেল স্টেকলার ও লিওনার্দো সিবারের গবেষণা অনুযায়ী, বাংলাদেশ পৃথিবীর সবচেয়ে ভূমিকম্প প্রবণ অঞ্চলের মধ্যে একটি। দেশটি তিনটি টেকটোনিক প্লেটের—ভারতীয়, ইউরেশিয়ান ও বার্মিজ—মিলনস্থলে অবস্থিত।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, শুক্রবারের ভূমিকম্পটি ভারতের প্লেটের গভীরে রিভার্স ফল্টিংয়ের কারণে হয়েছে। ভূতত্ত্বে রিভার্স ফল্ট হলো এক ধরনের ডিপ-স্লিপ ফল্ট, যেখানে ভূপৃষ্ঠের চাপের কারণে দুটি শিলা ব্লক স্থানচ্যুত হয়ে একটির উপর আরেকটি উঠে আসে।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পূরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মেহেদি আহমেদ আনসারী বলেন, দেশে অন্তত ৫টি গুরুত্বপূর্ণ ফল্ট লাইন রয়েছে। এর মধ্যে নোয়াখালী থেকে সিলেট পর্যন্ত ফল্ট লাইনটি শুক্রবারের ভূমিকম্পের কারণ হিসেবে অনুমান করা হচ্ছে। এর আগে, গত মার্চে মিয়ানমারে ৭.৭ মাত্রার ভূমিকম্প ভারতের এবং ইউরেশিয়ান প্লেটের স্ট্রাইক-স্লিপ ফল্টিংয়ের কারণে হয়েছিল।

ভূমিকম্পে ভেঙে ও হেলে পড়েছে বিভিন্ন স্থাপনা ও ভবন। এতে সারাদেশে অন্তত ১০ জনের প্রাণহানি হয়েছে। আহত হয়েছেন ৫৫০-এর বেশি ব্যক্তি, যারা বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার রাত ৮টা পর্যন্ত দেশের সরকারি হাসপাতালগুলোতে ৫৫০-এর বেশি আহত রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। তাদের মধ্যে ১৬৭ জনকে ভর্তি করা হয়েছে এবং গুরুতর আহত ১৬ জনকে অন্য হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।


ঢাকায় পৌঁছেছেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং টোবগে

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ঢাকায় পৌঁছেছেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং টোবগে। ভুটানের নেতাকে বহনকারী ড্রুক এয়ারের একটি বিমান সকাল ৮টা ১৫ মিনিটের দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে (এইচএসআইএ) অবতরণ করে। পরে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস তাকে স্বাগত জানান।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং তা নিশ্চিত করেছেন।

দুই নেতা বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে একটি সংক্ষিপ্ত বৈঠক করেন। যেখানে প্রধানমন্ত্রী টোবগে শুক্রবারের ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানির বিষয়ে খোঁজখবর নেন এবং নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।

সাক্ষাতের পর, টোবগেকে একটি অস্থায়ী অভিবাদন মঞ্চে নিয়ে যাওয়া হয়। যেখানে তাকে ১৯ বার তোপধ্বনির সালাম এবং গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়।

বিমানবন্দরে অনুষ্ঠানের পর, ভুটানের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সাভারে জাতীয় শহীদ স্মৃতিসৌধে যাবেন। তিনি স্মৃতিস্তম্ভের বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন এবং দর্শনার্থীদের বইতে স্বাক্ষর করবেন।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এবং বাণিজ্য উপদেষ্টা বিকেলে ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার কথা রয়েছে। এরপর বিকেল ৩টার দিকে তেজগাঁও এলাকায় তার কার্যালয়ে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।

প্রধানমন্ত্রী টোবগে সন্ধ্যায় তার সম্মানে আয়োজিত একটি সরকারি ভোজসভায়ও যোগ দেবেন।


দেশীয় খাদ্য-সংস্কৃতি ও প্রথাগত উৎপাদন রক্ষা করতে হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, দেশের খাদ্য-সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও প্রথাগত উৎপাদন ব্যবস্থাকে রক্ষা করা জরুরি। বৈচিত্র্যকে জাতীয় শক্তি হিসেবে উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, ‘যত বৈচিত্র্য থাকে, দেশ তত সুন্দর হয়।’ এসময় তিনি পলিথিন শপিং ব্যাগ বিষয়ে তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘এটি অবশ্যই বন্ধ করতে হবে।’

শুক্রবার রাজধানীর মিরপুর পার্বত্য বৌদ্ধসংঘ কমপ্লেক্সে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজওয়ানা হাসান বলেন, জনবল সীমিত থাকলেও পরিবেশ মন্ত্রণালয় অবৈধ ইটভাটা নিয়ন্ত্রণে ধারাবাহিকভাবে সমন্বিত অভিযান পরিচালনা করছে, বিশেষ করে বান্দরবান, রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি জেলাগুলোতে। এসব অভিযানে বাধা, সড়ক অবরোধ ও হামলার ঘটনাও ঘটেছে।

‘রাষ্ট্র এখন পরিবেশ ধ্বংসের বিরুদ্ধে বাধা দিচ্ছে- এটাই আশার দিক’ বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

পাহাড় কাটা, ঝাউবাগান ধ্বংস ও প্রাকৃতিক বন উজাড়কে ঝুঁকি বৃদ্ধির প্রধান কারণ হিসেবে চিহ্নিত করে তিনি বলেন, এগুলো কোনোভাবেই ঐতিহ্য রক্ষার উপায় হতে পারে না।

কৃষকদের স্বার্থে বিভাগীয় পর্যায়ে বিপণন কেন্দ্র স্থাপনের প্রয়োজনীয়তার কথাও তিনি জোর দিয়ে উল্লেখ করেন।

পরিবেশ, সংস্কৃতিবিষয়ক ও পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে এ উদ্যোগ বাস্তবায়নে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা প্রয়োজন হলে তিনি যথাযথ সুপারিশ করবেন বলেও জানান।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস ও পার্বত্য বৌদ্ধ সংঘের আহ্বায়ক মেজর (অব.) তপন বিকাশ চাকমা। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন- নাগরিক উদ্যোগের প্রধান নির্বাহী জাকির হোসেন।

পরে পরিবেশ উপদেষ্টা মেলার বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন এবং অংশগ্রহণকারীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

এদিন অনুভূত ভূমিকম্প বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগের জন্য আমাদের প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিতে হবে। পাহাড় ও জলাশয় রক্ষা করতে হবে।


প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানদের সৌজন্য সাক্ষাৎ

তিন বাহিনীর প্রধান
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

‘সশস্ত্র বাহিনী দিবস–২০২৫’ উপলক্ষে শুক্রবার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন তিন বাহিনীর প্রধানগণ।

প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার জানান, শুক্রবার সকালে ঢাকা সেনানিবাসে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল এম নজমুল হাসান এবং বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন

সাক্ষাতের আগে অধ্যাপক ইউনূস ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করা বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর বীর শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। তিনি শিখা অনির্বাণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।


স্বচ্ছতার সাথে মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে: চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
জামালুদ্দিন হাওলাদার, চট্টগ্রাম

বিচারপ্রার্থীর অধিকার নিশ্চিতে স্বচ্ছতা ও দ্রুততার সাথে মামলা নিষ্পত্তিতে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে জানিয়েছেন চট্টগ্রামের চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থায় বিচার প্রশাসন, নির্বাহী প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সকল বিভাগ একে অপরের পরিপূরক। মানুষের শেষ আশ্রয়স্থল বিচার বিভাগের প্রতি জনগণের আস্থা বৃদ্ধি ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আন্তরিকতা ও সৌহার্দপূর্ণ পরিবেশে সংশ্লিষ্ট সকল বিভাগকে একযোগে ব্যক্তি স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে বিচারপ্রার্থী মানুষের কল্যাণে নিজ নিজ দায়িত্ব ও কর্তব্য সঠিকভাবে সম্পন্ন করতে হবে। গত বৃহস্পতিবার বিকালে আদালতের সম্মেলন কক্ষে চট্টগ্রাম চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের উদ্যোগে আয়োজিত পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেসি কনফারেন্সে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, পারস্পরিক মতবিনিময়ের মাধ্যমে ও বিদ্যমান সমস্যাসমূহ আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করলে কাজের মূল্যায়ন হয় এবং পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি পায়।

কনফারেন্সে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সরকার হাসান শাহরিয়ার, মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল, মো. আবু বকর সিদ্দিক, মোহাম্মদ মোস্তফা ও নুসরাত জাহান জিনিয়া।

তা ছাড়া বিশেষ পুলিশ সুপার, সিআইডি, চট্টগ্রাম মো. সালাউদ্দিন, পুলিশ সুপার, পিবিআিই (চট্টগ্রম মেট্রো) মো. রহুল কবির খান, সহকারী পুলিশ সুপার (ডিবি উত্তর) সিএমপি চট্টগ্রাম মো. মোস্তফা কামাল, সহকারী পুলিশ কমিশনার (প্রসিকিউশন) কেশব চক্রবর্তী, জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের প্রতিনিধি সাকিব শাহরিয়ার, চমেক পরিচালকের প্রতিনিধি জুনায়েদ আহমেদ, ফরেনসিক মেডিসিনের ডাক্তার খালেদ হাসান, লেফটেন্যান্ট আবরার তাজওয়ার, বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড পূর্ব জোন, সিনিয়র জেল সুপার, পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক, র‌্যাবের প্রতিনিধি, শিল্প পুলিশ, ট্রাফিক পুলিশ প্রতিনিধি, নৌপুলিশ প্রতিনিধি, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরসহ অন্যান্য অংশীজনসহ উপস্থিত ছিলেন। আরও উপস্থিত ছিলেন মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মো. মফিজুল হক ভূইয়া, অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট নেজাম উদ্দিন। অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সরকার হাসান শাহরিয়ার সভায় জানান যে গত ১০ মাসে ৫৩২ জন আসামিকে প্রবেশন প্রদান করা হয়েছে। মামলার আলামত নিলামের মাধ্যমে ০১ কোটি ১৫ লাখ টাকা রাস্ট্রীয় কোষাগারে জমা প্রদান করা হয়েছে।


ভূমিকম্পে আহতদের সুষ্ঠু চিকিৎসার নির্দেশ: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের সব সরকারি হাসপাতালে ভূমিকম্পে আহতদের যথাযথ চিকিৎসার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম

আজ শুক্রবার (২১ নভেম্বর) দুপুরে তিনি ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পৌঁছে ভূমিকম্পে আহত চিকিৎসাধীন ব্যক্তিদের খোঁজখবর নেন। স্বাস্থ্য উপদেষ্টা জানান, “সব হাসপাতালে বলেছি, ভূমিকম্পে আহতদের চিকিৎসায় যেন কোনো ত্রুটি না হয়। সব সরকারি হাসপাতালে নির্দেশনা দেওয়া আছে।”

তিনি আরও বলেন, “যে মাত্রায় ভূমিকম্প হয়েছে, হয়তো কাছাকাছি থাকার কারণে এই মাত্রা বেশি মনে হয়েছে। কিছু কিছু এলাকায় মাত্রা ছিল ৫.৭ রিখটার স্কেলে। তবে আহতের সংখ্যা সেই তুলনায় বেশি হয়েছে। ঢাকার যেসব ছাত্র আহত হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে অনেকেই আতঙ্কে দুই-তিন তলা থেকে লাফ দিয়েছেন। আমরা সবাই মিলে সুষ্ঠু চিকিৎসার চেষ্টা করছি।”

স্বাস্থ্য উপদেষ্টা জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী হাসপাতালে ভর্তি আছেন। এছাড়া, আরও একটি শিশুর মৃত্যু হয়েছে; তার বাবাও আহত এবং তাঁর অবস্থা গুরুতর। রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালে তিনজন নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে একজন ঢাকা মেডিকেলের শিক্ষার্থী।

তিনি আরও জানান, বিভিন্ন জায়গা থেকে আহতদের খবর পাওয়া যাচ্ছে। গাজীপুরের কয়েকজন আহত এবং অনেকে প্যানিকের কারণে হাসপাতালে এসেছেন। “ডাক্তাররা তাদের চিকিৎসা দিয়েছেন। শারীরিকভাবে আহতদেরও চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে,” বলেন তিনি।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, দুপুর পৌনে তিনটা পর্যন্ত ঢামেকে ৪১ জন চিকিৎসা নিতে আসেন। এর মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীসহ ছয়জনকে ভর্তি করা হয়েছে। বাকি সবাইকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছাড় দেওয়া হয়েছে।


সশস্ত্র বাহিনী দিবসে প্রধান উপদেষ্টা ও খালেদা জিয়ার সৌজন্য সাক্ষাৎ

শুক্রবার সেনানিবাসে সশস্ত্র বাহিনী দিবসে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া পারস্পরিক সৌজন্য বিনিময় করেন।
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে আজ শুক্রবার রাজধানীর সেনানিবাসে আয়োজিত অনুষ্ঠানের সাইডলাইনে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া পারস্পরিক সৌজন্য বিনিময় করেছেন।

সাক্ষাৎকালে প্রধান উপদেষ্টা বেগম খালেদা জিয়ার বর্তমান শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন এবং তাঁর সুস্থতা কামনা করেন।

বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া প্রধান উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ জানান। একই সঙ্গে তিনি প্রধান উপদেষ্টার সহধর্মিণী আফরোজী ইউনূসের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নেন ও তাঁর দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন।

সৌজন্য বিনিময়ের সময় খালেদা জিয়ার কনিষ্ঠ পুত্রবধূ সৈয়দা শর্মিলা রহমান উপস্থিত ছিলেন।


নির্বিঘ্ন ও উৎসবমুখর নির্বাচন আয়োজনের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসের

আপডেটেড ২১ নভেম্বর, ২০২৫ ২২:৫১
নিজস্ব প্রতিবেদক

নির্বিঘ্ন ও উৎসবমুখর জাতীয় নির্বাচন আয়োজনে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের দক্ষতা ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

আজ শুক্রবার সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০২৫ উপলক্ষে সেনাকুঞ্জে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত হবে। একটি নির্বিঘ্ন ও উৎসবমুখর নির্বাচন আয়োজনে আমি সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের দক্ষতা ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানাচ্ছি।”

মুক্তিযুদ্ধের শহীদ ও ২০২৪ সালের অভ্যুত্থানের বীরদের স্মরণ:

অধ্যাপক ইউনূস তাঁর বক্তব্যে মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদ, যুদ্ধাহত এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণ করেন। একইসঙ্গে ২০২৪ সালের জুলাই–আগস্টের ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানের শহীদ, আহত এবং অংশগ্রহণকারী জনগণের প্রতিও গভীর শ্রদ্ধা জানান।

তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের রণক্ষেত্রে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর জন্ম। তখন ২১ নভেম্বর সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী সম্মিলিতভাবে পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করায় এই দিনটি মুক্তিযুদ্ধের একটি গৌরবময় মাইলফলক হিসেবে পালন করা হয়। তবে মুক্তিযুদ্ধের সশস্ত্র সংগ্রামের সূচনা ঘটে ২৫ মার্চের কালরাত থেকেই।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, মুক্তিকামী সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর বীর সদস্যরা জীবনবাজি রেখে, পরিবারের ভবিষ্যতের কথা না ভেবে স্বাধীনতার যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। তাঁদের সাহসেই জনসাধারণ প্রতিরোধ গড়ে তুলে দেশকে মুক্ত করতে সক্ষম হয়েছিল। যুদ্ধ সুসংগঠিত করার জন্য গঠিত বাংলাদেশ ফোর্সেস ১১টি সেক্টরে মুক্তিযোদ্ধাদের সামরিক ও গেরিলা প্রশিক্ষণ দিয়েছিল।

তিনি উল্লেখ করেন, ১৯৭১ সালের ২১ নভেম্বর তিন বাহিনীর সম্মিলিত অভিযানের ধারাবাহিকতাই ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয় নিশ্চিত করে। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান বাংলাদেশের ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।

জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলা ও পেশাদারিত্বের প্রশংসা:

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলায় সশস্ত্র বাহিনী বরাবরই জনগণের পাশে থেকেছে। ২০২৪ সালের অভ্যুত্থান–পরবর্তী পুনর্গঠন কাজেও বাহিনী মানুষের আস্থা অর্জন করেছে। গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক নেতৃত্বের প্রতি অনুগত থেকে বাহিনীর পেশাগত দক্ষতা ও দেশপ্রেম ভবিষ্যতেও অটুট থাকবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

বাহিনীর আধুনিকায়ন ও প্রস্তুতির ওপর গুরুত্ব:

তিনি বলেন, বাংলাদেশ শান্তিপ্রিয় জাতি হলেও যেকোনো আগ্রাসী বহিঃশত্রুর আক্রমণ প্রতিহত করতে সর্বদা প্রস্তুত থাকতে হবে। সে লক্ষ্যে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর আধুনিকায়ন, উন্নত প্রশিক্ষণ ও যুগোপযোগী প্রযুক্তি সংযোজনের কাজ অব্যাহত রয়েছে।

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের সাফল্য:

প্রধান উপদেষ্টা জানান, গত ৩৭ বছরে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের অংশগ্রহণকারীরা ৪৩টি দেশে ৬৩টি মিশন সম্পন্ন করেছে। বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে ১০টি মিশনে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীরা দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি তাঁদের পেশাদারিত্ব ও সাহসিকতার প্রশংসা করেন।

তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী চ্যালেঞ্জিং এলাকায় দায়িত্ব পালনের জন্য শান্তিরক্ষীদের সময়োপযোগী প্রশিক্ষণ ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম নিশ্চিত করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে।


banner close