বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
৩ আশ্বিন ১৪৩২

সমাবেশের অনুমতি পাচ্ছে আওয়ামী লীগ-বিএনপি: ডিবিপ্রধান

ছবি: সংগৃহীত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত : ২৭ অক্টোবর, ২০২৩ ১৮:০০

রাজধানীতে কাল শনিবার আওয়ামী লীগ ও বিএনপি মহাসমাবেশের অনুমতি পাবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। তবে স্থান নির্ধারণ হয়নি। স্থানের বিষয়টিও খুব দ্রুতই তাদের জানিয়ে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর নাইটিঙ্গেল মোড়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে ডিবিপ্রধান এ কথা বলেন।

হারুন অর রশীদ বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ও বিএনপি মহাসমাবেশ করার জন্য অনুমতি চেয়েছে। আমার ধারণা তারা অনুমতি পাবে। তবে স্থানের বিষয়ে এখনই বলা যাচ্ছে না। স্থানের বিষয়টি খুব দ্রুতই জানিয়ে দেয়া হবে তাদের।’

তিনি বলেন, ‘আগামীকাল রাজনৈতিক দলগুলোর মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। সমাবেশকে ঘিরে লাখ লাখ মানুষের জমায়েত হবে। এ কারণে আমরা ডিবির একাধিক টিম রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ঘুরে দেখছি। ঢাকা শহরের নিরাপত্তা নিশ্চিতে পুলিশের টহল টিম কাজ করছে।’

এ সময় ‘নাশকতার কোনো আশঙ্কা আছে কি-না’ জানতে চাইলে ডিবি প্রধান বলেন, ‘ঝুঁকির কথা বিবেচনা করেই থানা পুলিশ, ডিবি পুলিশ ও অন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহল ও চেকপোস্ট জোরদার করা হয়। এদিন লাখ লাখ মানুষ ঢাকায় ঢুকবে, এরমধ্যে তৃতীয় কোনো পক্ষ অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটাতে পারে। এজন্য আমাদের টহল পার্টি জোরদার আছে। বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি করা হচ্ছে।’

ওয়ারেন্টভুক্ত আসামিদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে এ পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘এটি আমাদের রুটিন ওয়ার্ক। আগামীকাল মহাসমাবেশ বলে মনে হচ্ছে, এ উপলক্ষে অ্যারেস্ট (গ্রেপ্তার) করা হচ্ছে, তবে তা নয়। সবসময়ই এ ধরনের অ্যারেস্ট হয়। যার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট আছে তাকে আমরা আজকেও গ্রেপ্তার করব, কালকেও করব, ভবিষ্যতেও করব।’


শেখ হাসিনাসহ পরিবারের সদস্যরা ভোট দিতে পারবেন না

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যরা ভোট দিতে পারবেন না। গতকাল বুধবার নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সচিব আখতার আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গত এপ্রিলে হাসিনাসহ শেখ পরিবারের ১০ সদস্যের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ‘লক’ করে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অধীন জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ। যার কারণে তারা প্রবাসে বসে ভোট দিতে পারবেন না।

ইসি সচিব বলেন, ‘যাদের এনআইডি লক আছে তারা কেউই প্রবাসে বসে ভোট দিতে পারবেন না।’

এনআইডি লক হওয়া শেখ পরিবারের সদস্যরা হলেন- শেখ হাসিনা, সজীব আহমেদ ওয়াজেদ, সায়মা ওয়াজেদ, রেহানা সিদ্দিক (শেখ রেহানা), টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিক, আজমিনা সিদ্দিক, শাহিন সিদ্দিক, বুশরা সিদ্দিক, রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ও তারিক আহমেদ সিদ্দিক।

ইসি সচিব বলেন, ‘সংসদ নির্বাচনে ইন কান্ট্রি ও আউট অব কান্ট্রি ভোট হবে। যারা প্রবাসে আছেন, তারা অনলাইনে নিবন্ধন করবেন।

এ জন্য সিস্টেম ডেভেলপ করা হচ্ছে।’ শেখ হাসিনা ভোট দিতে পারবেন কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘তার তো এনআইডি লক আছে। যাদের এনআইডি লক আছে তারা কেউই ভোট দিতে পারবেন না।’

মামলার কারণে বা অন্য কোনো কারণে পালিয়ে বা অন্যভাবে বিদেশে অবস্থান করছেন, তাদের ভোট দিতে কোনো অসুবিধা নেই। তবে তাদের এনআইডি আনলক অবস্থায় থাকতে হবে।

তিনি আরও বলেন, ‘প্রবাসে বসে ভোট দিতে হলে অনলাইনে নিবন্ধন করতে হবে এনআইডি নম্বর দিয়ে। এ ক্ষেত্রে পাসপোর্ট নয়, এনআইডি বাধ্যতামূলক হবে। তাই যার এনআইডি লক থাকবে তিনি কী করে অনলাইনে নিবন্ধন করবেন? তিনি তো পারবেন না। যারা এনআইডি দিয়ে নিবন্ধন করবেন তারাই কেবল এই সুযোগ পাবেন।’

গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকারের মন্ত্রী-এমপিরা।

এছাড়া তার দল আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরাও অনেকে বিভিন্ন দেশে পালিয়েছেন।


বাংলাদেশসহ ৫ প্রতিবেশীকেই নিরাপত্তার হুমকি ভাবছে ভারত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ভুটান ও মিয়ানমার ছাড়া বাংলাদেশ, চীনসহ বাকি পাঁচ প্রতিবেশী দেশকে নিরাপত্তার জন্য হুমকি মনে করছে ভারত। পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতায় চলমান ‘কম্বাইন্ড কমান্ডারস কনফারেন্সে’ ভারতের নিরাপত্তা মহল জানিয়েছে, বাংলাদেশের তথাকথিত ‘উগ্রপন্থি তৎপরতার উত্থান’, পাকিস্তানের ‘জঙ্গি অর্থায়ন’, চীনের সঙ্গে ‘সীমান্ত অচলাবস্থা’ এবং নেপালের ‘রাজনৈতিক অস্থিরতাকে’ ভারতের বড় সংকট হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

সম্প্রতি কলকাতায় সেনাবাহিনীর ইস্টার্ন কমান্ড সদর দপ্তরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৩ দিনব্যাপী এ দ্বিবার্ষিক সম্মেলন উদ্বোধন করেন। এ বছর এর মূল প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘ইয়ার অব রিফর্মস-ট্রান্সফরমিং ফর দ্য ফিউচার’। ভারতের সর্বোচ্চ পর্যায়ের এ ফোরামে শীর্ষ রাজনৈতিক ও সামরিক নেতৃত্ব একসঙ্গে বসে প্রতিরক্ষা প্রস্তুতির রূপরেখা তৈরি করে। খবর দ্য টেলিগ্রাফের।

ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ভারতের প্রতিবেশী বিশেষ করে বাংলাদেশ, নেপাল ও পাকিস্তানের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি দেশের জন্য নতুন নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। তিনি আরও বলেন, এসব ইস্যু ছাড়াও প্রতিবেশী দেশগুলোয় ভারতবিরোধী মনোভাব, যা আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে, সেগুলোও সর্বোচ্চ পর্যায়ের এই ফোরামে গভীরভাবে আলোচনা হচ্ছে। জাতীয় নিরাপত্তার প্রেক্ষাপটে বর্তমান ও ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জ নিয়ে দেশের শীর্ষ সামরিক নেতৃত্ব বিস্তারিত পর্যালোচনা করছে। চীন ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল ও দক্ষিণ চীন সাগরে আক্রমণাত্মক অবস্থান নিয়েছে। লাদাখ, অরুণাচল ও সিকিম সীমান্তে চীনা সেনাদের সঙ্গে চলমান অচলাবস্থা ভারতের জন্য পরোক্ষ হুমকি তৈরি করছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘সম্মেলনের মূল লক্ষ্য ভারতের সীমান্ত নিরাপত্তা জোরদার করা এবং দুদিক থেকে (পাকিস্তান ও চীন-পাকিস্তান) সম্ভাব্য হুমকি মোকাবিলায় প্রস্তুতি নেওয়া। পাশাপাশি নেপাল, বাংলাদেশ ও চীন সীমান্তসংক্রান্ত চ্যালেঞ্জ নিয়েও আলোচনা চলছে।’

দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে নিরাপত্তা মহলের সূত্রগুলো ভারতের পূর্ব সীমান্তে উদীয়মান চ্যালেঞ্জগুলো গভীরভাবে ‘উদ্বেগজনক’ বলে উল্লেখ করেছে। ভারতের গোয়েন্দা ব্যুরোর এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, ‘বাংলাদেশে সরকার পরিবর্তনের পর উগ্রপন্থি তৎপরতার উত্থান এবং সেখানে বেড়ে চলা ভারতবিরোধী বক্তব্য আমাদের জন্য গুরুতর উদ্বেগের বিষয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘বছরের পর বছর বাংলাদেশ থেকে অবৈধ অনুপ্রবেশ বেড়েছে। ফলে পশ্চিমবঙ্গ ও আসামের সীমান্তবর্তী জেলার জনসংখ্যার বিন্যাস বদলেছে এবং তা ভারতের জন্য নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগ বাড়িয়েছে।’

ভারতের শীর্ষ সামরিক নেতৃত্ব পূর্ব লাদাখ ও পূর্ব সীমান্তে চীন সীমান্তের নিরাপত্তা পরিস্থিতিরও বিস্তৃত পর্যালোচনা করেছে। সেখানে ভারত ও চীন দীর্ঘদিন অচলাবস্থায় আটকে আছে। ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘সম্মেলনে মূল গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে ভবিষ্যৎ সক্ষমতা গড়ে তোলা, যৌথ ও সমন্বিত প্রতিক্রিয়ার জন্য সংগঠন কাঠামো তৈরি করা এবং শান্তি ও যুদ্ধ উভয় সময়েই কার্যক্রমে দক্ষতা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করার ওপর।’


দেশের স্যাটেলাইট সেবা বিঘ্ন ঘটতে পারে টানা আট দিন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

সৌর ব্যতিচারের কারণে বাংলাদেশে স্যাটেলাইটনির্ভর সম্প্রচার কার্যক্রমে সাময়িক বিঘ্ন ঘটতে পারে। আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে ৬ অক্টোবর পর্যন্ত টানা আট দিন এ প্রভাব পড়বে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড (বিএসসিএল)।

গতকাল বুধবার সংস্থাটির পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, জিও-স্টেশনারি স্যাটেলাইটের জন্য সৌর ব্যতিচার একটি স্বাভাবিক মহাকাশীয় ঘটনা, যা প্রতি বছর দুবার ঘটে। এ সময় সূর্য, পৃথিবী ও স্যাটেলাইট একই সরলরেখায় অবস্থান করে, ফলে স্যাটেলাইট সংকেত ব্যাহত হয়। প্রতিদিন সকাল ৯টা ৩০ মিনিটের আশপাশে এ ব্যতিচার ঘটতে পারে।

সংস্থাটির মুখপাত্র ওমর হায়দার জানান, ২৯ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টা ৩৫ মিনিট থেকে ৯টা ৩৮ মিনিট পর্যন্ত ৩ মিনিট সম্প্রচারে বিঘ্ন ঘটতে পারে। ৩০ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টা ৩২ মিনিট থেকে ৯টা ৪১ মিনিট পর্যন্ত ৯ মিনিট, ১ অক্টোবর সকাল ৯টা ৩০ মিনিট থেকে ৯টা ৪২ মিনিট পর্যন্ত ১২ মিনিট, ২ ও ৩ অক্টোবর সকাল ৯টা ২৯ মিনিট থেকে ৯টা ৪২ মিনিট পর্যন্ত ১৩ মিনিট করে, ৪ অক্টোবর সকাল ৯টা ২৯ মিনিট থেকে ৯টা ৪১ মিনিট পর্যন্ত ১২ মিনিট, ৫ অক্টোবর সকাল ৯টা ২৯ মিনিট থেকে ৯টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত ১১ মিনিট এবং ৬ অক্টোবর সকাল ৯টা ৩০ মিনিট থেকে ৯টা ৩৮ মিনিট পর্যন্ত ৮ মিনিট সম্প্রচারে বিঘ্ন ঘটতে পারে।

এ অবস্থায় ব্যতিচার সতর্কভাবে পর্যবেক্ষণ করবে বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড (বিএসসিএল) এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে বলেও জানানো হয়েছে।


ফ্যাসিবাদের মত কঠিন রোগ বাংলাদেশ থেকে সড়াতে পেরেছি, তামাক দূর করতে পারব না কেন?

-মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
সচিবালয় প্রতিবেদক

তরুণদের উদ্দেশ্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, “ফ্যাসিবাদের মতো কঠিন রোগ বাংলাদেশ থেকে সড়াতে পেরেছি, তামাক দূর করতে পারব না কেন?” তিনি আরো বলেন, তরুণদের উদ্দেশ্য করেই তামাক কোম্পানিগুলো কূটকৌশল সাজায়। কারণ, ২০-২৫ বছর বয়সী ছেলে-মেয়েদের যদি তামাকে আসক্ত করা যায়, তবে তারা অন্তত ৫০ বছর ধরে সিগারেটের বাজার নিশ্চিত করতে পারবে।

উপদেষ্টা আজ বিকালে বাংলা একাডেমির কবি শামসুর রাহমান সেমিনার কক্ষে নারী মৈত্রী আয়োজিত "নারী, শিশু ও তরুণদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালী করার গুরুত্ব" -শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, “আমি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে ধন্যবাদ জানাই তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধনীগুলো ক্যাবিনেটে তোলার জন্য। তবে রাজস্ব কমে যাবে-এ অজুহাতে প্রক্রিয়াটি বিলম্বিত হচ্ছে। ইতোমধ্যে একটি হাই লেভেল কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং দুই দফা বৈঠকও করেছে। কিন্তু তামাক কোম্পানির লবিং এতই শক্তিশালী যে অগ্রগতি ব্যাহত হচ্ছে।” তিনি আরো বলেন, তামাক কোম্পানিগুলো সবসময় জুজুর ভয় দেখায় যে, তামাক থেকে রাজস্ব আহরণ ছাড়া সরকার চলতে পারবে না। কিন্তু বাস্তবে তাদের প্রদেয় আয়করের মধ্যে বহু ফাঁকি রয়েছে।

উপদেষ্টা বলেন, “প্রধান উপদেষ্টা তরুণ সমাজকে তামাকের বিরুদ্ধে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।" তরুণ প্রজন্ম সচেতন হলে কোনো তামাক কোম্পানি আর তাদের টার্গেট করতে পারবে না।

সভায় জানানো হয়, বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন ২০০৫ (সংশোধিত ২০১৩) বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন টোব্যাকো কন্ট্রোল (এফসিটিসি)-এর সাথে অধিকতর সামঞ্জস্যপূর্ণ করতে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ বেশ কিছু সংশোধনীর প্রস্তাব করে। তার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাবনাগুলো হলো— পাবলিক প্লেসে ধূমপানের জন্য নির্ধারিত স্থান বা স্মোকিং জোন নিষিদ্ধ করা, সকল ধরনের তামাকজাত পণ্যের প্রদর্শন ও বিজ্ঞাপন সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করা, ই-সিগারেটের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে তরুণ-তরুণীদের রক্ষা করা, বিড়ি-সিগারেটের খুচরা শলাকা বিক্রি বন্ধ করা, তামাক কোম্পানির সামাজিক দায়বদ্ধতা কর্মসূচি বা সিএসআর কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা এবং তামাকজাত দ্রব্যের মোড়কের সচিত্র সতর্কবার্তা বৃদ্ধি করে শতকরা ৯০ ভাগ করা ।

নারী মৈত্রীর নির্বাহী পরিচালক শাহীন আকতার ডলির সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শেখ মোমেনা মনি, বাংলাদেশ ক্যান্সার সোসাইটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. গোলাম মহিউদ্দিন ফারুক, জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেলের মহাপরিচালক মো. আখতারউজ-জামান। সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন তামাকবিরোধী মায়েদের ফোরাম, শিক্ষক ফোরাম, ইয়ূথ ফোরাম ও বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিনিধিবৃন্দ।


পরিবারে পুরুষের সঙ্গে নারী জেলেদেরও কার্ড থাকতে হবে -মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, পরিবারে পুরুষের সঙ্গে নারী জেলেদেরও কার্ড থাকতে হবে। তিনি বলেন, সরকারের দেওয়া জেলে কার্ডে পুরুষ জেলেদের নামই আসে, মাত্র ৪ শতাংশ সেখানে নারী। পরিবারে একজন চাকরি করলে তিনিই চাকরিজীবী হোন কিন্তু যারা মাছ ধরে তার পুরো পরিবার এ কাজে যুক্ত। এ প্রক্রিয়ায় বেশিরভাগ সময় নারীদের বেশি কাজ করতে হয়। তাই পুরুষ জেলেদের সঙ্গে নারীদেরও কার্ড দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।

উপদেষ্টা আজ বুধবার সকালে রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে বেসরকারি গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা সেন্টার ফর ন্যাচারাল রিসোর্স স্টাডিজ (সিএনআরএস) আয়োজিত “টেকসই মৎস্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ক জাতীয় নীতি সংলাপ”-এ প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, এ সেমিনার এসে দায়িত্ব বেড়ে গেছে। আমাদের জেলেদের বিশেষ করে নারী জেলেদের নিয়ে আরো বেশি কাজ করতে হবে। এখন পর্যন্ত নারীদেরকে কৃষকের স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য লড়াই করতে হচ্ছে। আর নারী জেলেদের কথা তো বলাই বাহুল্য। অথচ নারী জেলেরা তার পরিবার পরিজনের জন্য নদীতে মাছ ধরে। স্বামীর অবর্তমানে সংসার চালায়।

মৎস্য উপদেষ্টা বলেন, "এ পেশায় পুরো পরিবারকে নিয়ে কাজ করতে হয়। মান্তা সম্প্রদায়ের দুঃখ দুর্দশার কথা শুনে খুব কষ্ট পেলাম।" জেলে সম্প্রদায়ের আইনগত সমস্যা নিয়ে উপদেষ্টা বলেন, সাগরে মাছ ধরতে গিয়ে ঝড় তুফানে অনেক জেলে মারা যায়, কেউ হারিয়ে যায়, সেসব পুরুষের হদিস না থাকায় ব্যাংকের টাকাও তুলতে পারে না তাদের স্ত্রীরা। তা ছাড়া নারীকে বিধবা ভাতাও দেওয়া যায় না। এসব আইনি জটিলতা দূর করতে হবে।

তিনি বলেন, "আমাদের আইনগুলো পুরুষদের কথা চিন্তা করে করা। সেখানে নারীদের স্থান খুব কম। আর আগের মৎস্য আইনও একই ধরনের। তাই মৎস্য আইনের খসড়া ২০২৫ -এ আমরা এসকল সমস্যার সমাধানে দৃষ্টি দিয়েছি। আর নারীদের স্বীকৃতি দিলে হলে সংখ্যার স্বীকৃতি দিতে হবে। অথচ আমাদের তালিকায় নারীজেলের সংখ্যা খুবই নগন্য, মাত্র ৪ শতাংশ। কিন্তু সমাজে অসংখ্য নারী জেলে রয়েছে। এসব ঘাটতি পূরণে আমরা কাজ করছি। "

অমৎস্যজীবীরা মৎস্যজীবীর কার্ড নিয়ে গেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা আগের তালিকা অনুসন্ধান করে দেখেছি অমৎস্যজীবীরা মৎস্যজীবীর কার্ড নিয়ে গেছে। এখন সেগুলো বাতিল করা হয়েছে। আমরা চাই যেন প্রকৃত জেলেরা কার্ড পেতে পারে। সেইসঙ্গে যে পরিবারে পুরুষ জেলের কার্ড থাকবে সেখানে নারীদেরও থাকতে হবে।

কাঁকড়া ও ঝিনুক মানুষের খাদ্যের অংশ এটিকে বন অধিদপ্তরের সংজ্ঞা থেকে বের করতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি। তা ছাড়া যারা কীটনাশক ব্যবহার করে মাছ ধরছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জলমহাল ইজারা সম্পর্কে উপদেষ্টা বলেন, জলমহালের কাছের মানুষের নামে অন্যরা জলমহাল ইজারা নেয়। এক্ষেত্রে জৈবভিত্তিক ইজারা দিতে হবে, অর্থাৎ এ পেশার সঙ্গে জড়িত জেলেদের দিতে হবে। বাওড়ে ইজারা জেলেদের দেওয়ার কথা নিশ্চিত হচ্ছে, তবে হাওর নিয়েও ভূমি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা চলছে। যাতে প্রকৃত জেলেরা তা পায়।

নিজেদের সীমাবদ্ধতার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, মাছ ধরা নিষিদ্ধ করা সময়ে যতজনকে ভিজিএফ কার্ডের আওতায় সহযোগিতা দেওয়া দরকার তা দেওয়া সম্ভব হয় না। এর পরিমাণ ও সংখ্যা বাড়ানোর জন্য আমরা অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি। আমরা একটি বৈষম্যহীন সমাজ গড়ে তুলতে চাই।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আব্দুর রউফ। তিনি বলেন, নারী শ্রমিকরা পুরুষের চেয়ে ৩০ শতাংশ কম মজুরি পায়। তা ছাড়া আমাদের জলমহাল ইজারা রাজস্বভিত্তিক দেওয়া হয়। এটি বাতিল করে জাল যার জলা তার নীতিতে নিতে হবে। জন্মনিবন্ধন ও এনআইডি কার্ড নিশ্চিত করে জেলে কার্ড দেওয়া হবে। বর্তমানে আমাদের নিবন্ধনে ১৭ লাখ জেলের মধ্যে ৪৪ হাজার রয়েছে নারী। এ সংখ্যা আমরা বৃদ্ধি করতে হবে।

এসময় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিএনআরএস এর পরিচালক মি. এম. আনিসুল ইসলাম। এমপাওয়ারিং উমেন থ্রু সিভিল সোসাইটি অ্যাক্টর্স ইন বাংলাদেশ (ইডাব্লিউসিএসএ) প্রকল্পের পরিচিতি উপস্থাপন করেন অক্সফাম বাংলাদেশের প্রোগ্রাম কোঅর্ডিনেটর শাহজাদী বেগম।

সংলাপে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিএনআরএস-এর পরিচালক ড. এম. আমিনুল ইসলাম এবং জাগো নারী টিম লিডার রিসার্চ আহমেদ আবিদুর রেজা খান।

সংলাপ শেষে মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে নারী মৎস্যজীবীদের ক্ষমতায়ন ও টেকসই মৎস্য ব্যবস্থাপনা জোরদারে বিভিন্ন সুপারিশ উপস্থাপিত হয়।

সংলাপে সরকারি কর্মকর্তা, গবেষক, উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা, সিভিল সোসাইটি, শিক্ষাবিদ এবং উপকূলীয় অঞ্চলের মৎস্যসম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।


পূজা শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে করতে সরকার বদ্ধপরিকর: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

বুধবার রমনা কালী মন্দির পরিদর্শন শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। ছবি : বাসস
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, গত বছরের চেয়ে এবার পূজা শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে করতে সরকার বদ্ধপরিকর।

তিনি বলেন, পূজা উপলক্ষে হামলার কোনো হুমকি নেই। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে যেকোনো পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো থাকবে।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আজ বুধবার রমনা কালী মন্দির পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। এ সময় রমনা কালী মন্দির কমিটির সভাপতি অপর্ণা রায়সহ কমিটির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

জাহাঙ্গীর বলেন, পূজা নির্বিঘ্নে অনুষ্ঠানের জন্য ২৪ ঘণ্টা মনিটরিং করা হবে। সে কারণে একটি নতুন অ্যাপ খোলা হয়েছে। কোথাও কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে সাথে সাথে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পূজা শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপনের জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি পূজা উদযাপন কমিটিকে নজরদারি করার আহ্বান জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। তিনি বলেন, এটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান, সে কারণে ধর্মীয় নিয়ম মেনে সবাই এক সঙ্গে কাজ করতে হবে।

তিনি আরো বলেন, বিগত সরকারের সময় ২ কোটি টাকা পূজা উপলক্ষে বরাদ্দ দেওয়া হতো। বর্তমান সরকার তা থেকে বাড়িয়ে গত বছর এ লক্ষ্যে ৪ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছিল; এবার সেটি থেকে বাড়িয়ে ৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। পূজা মণ্ডপের সংখ্যাও বৃদ্ধি করা হয়েছে। প্রয়োজনে আরো সহায়তা করা হবে।


কিশোর পত্রিকা 'নবারুণ'-এর লেখকদের সঙ্গে মতবিনিময়

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহিদ শিশুদের স্মৃতি নিয়ে লেখা প্রকাশে তথ্য উপদেষ্টার আহ্বান
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোঃ মাহফুজ আলম বলেছেন, যেসব শিশু জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহিদ হয়েছে, তাদের লেখা ও স্মৃতিচিহ্ন নিয়ে 'নবারুণ' পত্রিকার বিশেষ সংখ্যা প্রকাশ করতে হবে। এ বিষয়ে দ্রুত উদ্যোগ গ্রহণ করতে উপদেষ্টা চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান। বুধবার (১৭ই সেপ্টেম্বর) ঢাকার তথ্য ভবনে চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর প্রকাশিত কিশোর মাসিক পত্রিক 'নবারুণ'-এর লেখকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এই আহ্বান জানান।

'নবারুণ' পত্রিকা নিয়ে কাজ করার অনেক সুযোগ রয়েছে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, এই পত্রিকায় শিশু-কিশোরদের আঁকা ছবি ও লেখা গুরুত্বসহকারে প্রকাশ করতে হবে। 'নবারুণ' পত্রিকায় শিশু-কিশোরদের লেখা ও ছবি বেশি পরিমাণে প্রকাশিত হলে তারা অনুপ্রাণিত হবে। এতে তাদের সৃজনশীলতা বিকশিত হবে।

মাহফুজ আলম বলেন, "যে সরকারই দায়িত্বে আসুক না কেন, শিশু-কিশোরদের ব্যাপারে নিরপেক্ষ থাকা উচিত।" তিনি ভাষা আন্দোলন, মহান মুক্তিযুদ্ধ, চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান-সহ আর্থসামাজিক বিভিন্ন বিষয়ের ওপর লেখালিখি করার জন্য লেখকদের প্রতি অনুরোধ জানান।

'নবারুণ' পত্রিকা ডিজিটাল পদ্ধতিতে সংরক্ষণের ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, প্রকাশনার শুরু থেকে (১৯৭০ খ্রিষ্টাব্দ) এ পর্যন্ত 'নবারুণ' পত্রিকার সকল সংখ্যা ডিজিটাল পদ্ধতিতে সংরক্ষণ করতে হবে এবং তা জনগণের জন্য উন্মুক্ত রাখতে হবে। এতে পাঠক অনলাইনে পুরাতন সংখ্যা পড়ে সমৃদ্ধ হতে পারবেন।

'নবারুণ' পত্রিকার কলেবর বাড়ানোর তাগিদ দিয়ে উপদেষ্টা বলেন, 'নবারুণ' পত্রিকায় নতুন লেখকদের জন্য আলাদা বিভাগ চালু করা উচিত। পত্রিকার প্রতি সংখ্যায় কমপক্ষে পাঁচ জন নতুন লেখকের লেখা প্রকাশের জন্য তিনি কর্তৃপক্ষকে পরামর্শ দেন। তিনি শিশু-সাহিত্যিকদের নিয়ে দিনব্যাপী একটি কর্মশালা আয়োজনের উদ্যোগ গ্রহণের জন্য চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান।

সভায় তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা বলেন, যেসব লেখক ৪০-৫০ বছর ধরে লিখছেন, তাঁদের লেখা 'নবারুণ' পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করতে হবে। এতে পত্রিকা আরও সমৃদ্ধ হবে। তিনি 'নবারুণ' পত্রিকার লেখক-সম্মানি বাড়াতে কর্তৃপক্ষকে উদ্যোগ নেওয়ার তাগিদ দেন।

সভায় 'নবারুণ' পত্রিকার লেখকরা তাঁদের মতামত তুলে ধরেন। তাঁরা 'নবারুণ'-কে একটি অসাধারণ ও সাহসী পত্রিকা হিসেবে আখ্যায়িত করেন। তাঁরা পত্রিকাটির মানোন্নয়নে বেশ কিছু প্রস্তাব উপস্থাপন করেন।

মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খালেদা বেগম। সভার শুরুতে 'নবারুণ' পত্রিকা বিষয়ে তথ্যচিত্র উপস্থাপনা করেন পত্রিকার সম্পাদক ইসরাত জাহান। মতবিনিময় সভাটি সঞ্চালন করেন চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের সিনিয়র সম্পাদক শাহিদা সুলতানা।


ফেব্রুয়ারিতে অবাধ, শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর নির্বাচন আয়োজনের অঙ্গীকার প্রধান উপদেষ্টার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অবাধ, সুষ্ঠু, স্বচ্ছ ও উৎসবমুখর জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন।

আজ বুধবার ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ইউরোপীয় পার্লামেন্ট সদস্য (এমইপি) মুনির সাতোরির নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধান উপদেষ্টা প্রতিনিধিদলকে জানান, ‘আমরা ইতোমধ্যেই নির্বাচনের সময়সূচি ঘোষণা করেছি। নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ফেব্রুয়ারির শুরুতে, রমজানের ঠিক আগে।’

তিনি উল্লেখ করেন, জনসাধারণ বিশেষ করে তরুণদের মধ্যে নির্বাচনী উৎসাহ বাড়ছে, কারণ দীর্ঘদিন পর—কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে তিন দশকেরও বেশি সময় পর—ছাত্র সংসদ নির্বাচন আবার শুরু হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচন হবে শান্তিপূর্ণ, সুষ্ঠু, স্বচ্ছ ও উৎসবমুখর।’ তিনি যোগ করেন, কিছু শক্তি এখনো নির্বাচন বিলম্বিত করার চেষ্টা করছে, তবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন আয়োজনের ব্যাপারে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

প্রধান উপদেষ্টা আশা প্রকাশ করেন, তরুণ ভোটাররা এবার রেকর্ড সংখ্যায় ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে, কারণ ১৫ বছরেরও বেশি সময় পর অনেকেই প্রথমবারের মতো ভোট দেবে।

তিনি বলেন, ‘ফেব্রুয়ারির নির্বাচন বাংলাদেশের জন্য এক নতুন সূচনা বয়ে আনবে। এটি আমাদের ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে—জাতির জন্য এক নতুন যাত্রা।’

এক ঘণ্টাব্যাপী আলোচনায় প্রধান উপদেষ্টা ও ইউরোপীয় আইনপ্রণেতারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সংস্কার উদ্যোগ, বাংলাদেশের উন্নয়ন ও গণতান্ত্রিক রূপান্তরে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অব্যাহত সমর্থন এবং চলমান রোহিঙ্গা মানবিক সংকট নিয়ে মতবিনিময় করেন।

আগামী নির্বাচন বাংলাদেশে এক গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত হয়ে উঠতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেন ইউরোপীয় আইনপ্রণেতারা। একজন আইনপ্রণেতা প্রধান উপদেষ্টা ও তাঁর সরকারের গত ১৪ মাসের ‘অসাধারণ’ প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন।

একজন ডাচ আইনপ্রণেতা মন্তব্য করেন, বাংলাদেশ কতিপয় দেশের মধ্যে অন্যতম, যেখানে ‘ঘটনাগুলো সঠিক পথে এগোচ্ছে।’

প্রধান উপদেষ্টা ইউরোপীয় ইউনিয়নের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং বাংলাদেশে অবস্থানরত এক মিলিয়নেরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীর জন্য বাড়তি তহবিল প্রদানের আহ্বান জানান।

বিশেষ করে সম্প্রতি অর্থাভাবের কারণে বন্ধ হয়ে যাওয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের স্কুলগুলো পুনরায় চালু করতে সহায়তা প্রদানের অনুরোধ জানান তিনি।

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের গৃহীত গুরুত্বপূর্ণ শ্রম সংস্কারগুলো তুলে ধরে বলেন, এসব পদক্ষেপ বাংলাদেশ-ইইউ সম্পর্ক আরও জোরদার করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।


ভারতে ইলিশ রপ্তানি শুরু, প্রথম চালানে গেল কত টন

আপডেটেড ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১১:৩৮
বেনাপোল প্রতিনিধি 

আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে ৩৭টি প্রতিষ্ঠানকে ভারতে ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত একটার দিকে যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে সাতটি ট্রাকে ইলিশ পাঠানো হয়। ৩৭ দশমিক ৪৬ মেট্রিক টন ইলিশ নিয়ে ট্রাকগুলো ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে প্রবেশ করে। বেনাপোল বন্দর পরিচালক শামীম হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বন্দর সূত্রে জানা যায়, ভারতের কলকাতার ৫টি প্রতিষ্ঠান ইলিশ আমদানি করছে। প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- ন্যাশনাল ট্রেডিং, এফএনএস ফিশ, জয় শান্তসী, মা ইন্টারন্যাশনাল ও আর জে ইন্টারন্যাশনাল। বাংলাদেশ থেকে ইলিশ রপ্তানি করেছে সততা ফিশ, স্বর্ণালি এন্টারপ্রাইজ, তানিশা এন্টারপ্রাইজ, বিশ্বাস এন্টারপ্রাইজ ও লাকী ট্রেডিং নামের প্রতিষ্ঠান।

বাংলাদেশ সরকার আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে ৩৭টি প্রতিষ্ঠানকে ভারতে মোট এক হাজার ২০০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে।

এর মধ্যে একটি প্রতিষ্ঠান রপ্তানি করতে পারবে ৫০ টন ইলিশ, ২৫টি প্রতিষ্ঠান ৩০ টন করে (৭৫০ টন), ৯টি প্রতিষ্ঠান ৪০ টন করে (৩৬০ টন) এবং দুটি প্রতিষ্ঠান ২০ টন করে (৪০ টন) ইলিশ ভারতে রপ্তানি করতে পারবে।

বেনাপোল মৎস্য কোয়ারেন্টিন কর্মকর্তা সজীব সাহা বলেন, ‘প্রতিকেজি ইলিশের রপ্তানি মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১২ দশমিক ৫ মার্কিন ডলারআগামী ৫ অক্টোবরের মধ্যে রপ্তানি শেষ করার নির্দেশনা রয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের।’


লিবিয়ার উপকূলে নৌকায় আগুন, অন্তত ৫০ সুদানি শরণার্থীর মৃত্যু

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

লিবিয়ার উপকূলে সুদানি শরণার্থীবাহী একটি নৌকায় আগুন লাগার ঘটনায় অন্তত ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে ২৪ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।

আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) জানায়, ওই দুর্ঘটনার সময় নৌকাটিতে ৭৫ জন শরণার্থী ছিলেন।

মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা।

আইওএম জানিয়েছে, দুর্ঘটনায় বেঁচে যাওয়া ২৪ জনকে চিকিৎসা সহায়তা দেওয়া হয়েছে। সংস্থাটি এক্স-এ পোস্ট করে বলেছে, সমুদ্রপথে এমন মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঠেকাতে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।

এর আগেও সমুদ্রপথে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। গত মাসে ইয়েমেন উপকূলে একটি নৌকা ডুবে অন্তত ৬৮ শরণার্থী ও অভিবাসীর মৃত্যু হয়, নিখোঁজ হয় আরও অনেকে।

আইওএম-এর তথ্য অনুযায়ী, শুধু গত বছরই ভূমধ্যসাগরে ২ হাজার ৪৫২ অভিবাসী বা শরণার্থী প্রাণ হারিয়েছেন অথবা নিখোঁজ হয়েছেন। বিশ্বের সবচেয়ে প্রাণঘাতী সমুদ্রপথগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম।

২০১১ সালে লিবিয়ার সাবেক নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফির পতনের পর থেকে দেশটি আফ্রিকা থেকে ইউরোপগামী শরণার্থীদের গুরুত্বপূর্ণ ট্রানজিট রুটে পরিণত হয়েছে। গাদ্দাফির আমলে আফ্রিকার বহু মানুষ লিবিয়ায় কাজ করলেও তাঁর পতনের পর দেশটিতে বিভিন্ন মিলিশিয়া গোষ্ঠীর সংঘাতে স্থিতিশীলতা নষ্ট হয়।

গত আগস্টে ইতালির লাম্পেদুসা দ্বীপের কাছে দুটি নৌকা ডুবে অন্তত ২৭ জনের মৃত্যু হয়। তার আগে জুন মাসে লিবিয়া উপকূলে দুটি জাহাজডুবিতে অন্তত ৬০ জনের মৃত্যু হয় বা নিখোঁজ হন।

মানবাধিকার সংস্থা ও জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা বলছে, লিবিয়ায় আটক শরণার্থী ও অভিবাসীরা নিয়মিতভাবে নির্যাতন, ধর্ষণ ও অর্থ আদায়ের শিকার হচ্ছেন।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন অভিবাসন ঠেকাতে লিবিয়ার কোস্টগার্ডকে সরঞ্জাম ও অর্থসহায়তা দিয়েছে। কিন্তু ওই কোস্টগার্ডের সঙ্গে নির্যাতন ও অপরাধে জড়িত মিলিশিয়ার সম্পর্ক থাকার অভিযোগ উঠেছে।

এনজিওগুলো বলছে, সরকারি সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ কার্যক্রম কমিয়ে দেওয়ায় এবং মানবাধিকার সংস্থাগুলোর কার্যক্রম সীমিত করায় ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেওয়া অভিবাসীদের জীবন আরও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। ফলে যুদ্ধ, সংঘাত ও নির্যাতন থেকে পালিয়ে আসা বহু মানুষ লিবিয়ায় আটকে পড়ছেন এবং অমানবিক অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন।


ভুয়া প্রমাণিত হলে জুলাই যোদ্ধা তালিকা থেকে বাদ দিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা: মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ভুয়া প্রমাণিত হলে জুলাই যোদ্ধাদের তালিকা থেকে বাদ দিয়ে গেজেট প্রকাশ এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। গতকাল মঙ্গলবার মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. এনায়েত হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্প্রতি পরিলক্ষিত হয়েছে যে, কিছু কিছু গণমাধ্যমে ভুয়া জুলাই শহীদ ও জুলাই যোদ্ধা শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করেছে। ওই সংবাদগুলোর প্রতি মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে।

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় জুলাই শহীদ ও জুলাই যোদ্ধাদের গেজেট প্রকাশ এবং ভাতাসহ অন্যান্য কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় হতে জুলাই শহীদ ও জুলাই যোদ্ধাদের এম.আই.এস ভুক্ত যে তালিকা মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে ইতোমধ্যে তা গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়েছে।

জুলাই শহীদ এবং জুলাই যোদ্ধার তালিকায় যে সকল ভূয়া জুলাই শহীদ ও জুলাই যোদ্ধাদের নাম অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল তাদের নাম যাচাই বাছাই করে তালিকা থেকে বাদ দিয়ে ইতোমধ্যে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে এবং এ প্রক্রিয়া অব্যাহত আছে।

এছাড়াও গণমাধ্যমে যে সকল ভুয়া জুলাই শহীদ ও জুলাই যোদ্ধাদের নাম প্রকাশিত হয়েছে জুলাই গণঅভ্যুত্থান অধিদপ্তর তা পুনরায় যাচাই-বাছাই করছে।

কোনো প্রকার ভুয়া প্রমাণিত হলে তাদের তালিকা থেকে বাদ দিয়ে গেজেট প্রকাশ এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। জুলাই শহীদ ও জুলাই যোদ্ধাদের সঠিক তালিকা প্রণয়নে মন্ত্রণালয় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।


সুষ্ঠু নির্বাচন করতে রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্ব চান ইসির কর্মকর্তারা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আগামী জাতীয় নির্বাচনকে অবাধ ও সুষ্ঠু করতে রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্ব চান নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব কর্মকর্তারা। গতকাল মঙ্গলবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এমন দাবি জানানো হয়। বাংলাদেশ ইলেকশন কমিশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক মনির হোসেন জানান, ২৭ সেপ্টেম্বর এ সংক্রান্ত বিভিন্ন দাবি নিয়ে নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিত হবে সারা দেশের নির্বাচন কর্মকর্তাদের সম্মেলন।

তিনি আরো বলেন, অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করতে কমিশনকে সুপারিশ দেওয়া হয়েছে।

কমিশন তা আমলে নিয়েছে। নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের পক্ষ থেকেও ভালো নির্বাচনের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে তিনটি দাবির পাশাপাশি সুন্দর নির্বাচন আয়োজনে কমিশনকে বেশ কিছু পরামর্শও দেওয়া হয়।

কর্মকর্তাদের সুপারিশগুলোর মধ্যে আরো আছে—পদ সৃজন, আপগ্রেডেশন এবং প্রয়োজনীয় লজিস্টিকসহ প্রস্তাবিত অর্গানোগ্রাম অনুমোদনে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ; জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন, ২০২৩ বাতিল করে জাতীয় পরিচয়পত্র কার্যক্রম নির্বাচন কমিশনের কাছে ন্যস্তকরণ।

এ সময় অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যসচিব মোহাম্মদ মতিয়ুর রহমান, উপজেলা, থানা ও সমমান ইলেকশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক আশফাকুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।


তীব্র গরমে গত বছর বাংলাদেশের ক্ষতি ২১ হাজার কোটি টাকা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

বাংলাদেশে তীব্র গরমের কারণে প্রতি বছর বিপুল কর্মঘণ্টা নষ্ট হচ্ছে। আর্থিক দিক থেকেও এই ক্ষতির পরিমাণ বিশাল। বিশ্বব্যাংকের এক নতুন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে বাংলাদেশে ক্রমবর্ধমান তাপজনিত অসুস্থতায় শুধু ২০২৪ সালেই প্রায় ২৫ কোটি কর্মদিবস নষ্ট হয়েছে। এতে অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়েছে ১ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন থেকে ১ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন ডলার, যা জিডিপির প্রায় ০.৩ থেকে ০.৪ শতাংশ। টাকার অংকে এই ক্ষতির পরিমাণ ২১ হাজার কোটিরও বেশি।

গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর একটি হোটেলে 'অ্যান আনসাসটেইনেবল লাইফ: দ্য ইমপ্যাক্ট অব হিট অন হেলথ অ্যান্ড দ্য ইকোনমি অব বাংলাদেশ' শীর্ষক এই প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, যখন তাপমাত্রা ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যায়, তখন কর্মীদের উৎপাদনশীলতা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যায়। গরম বেড়ে যাওয়া বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

১৯৭৬ থেকে ২০২৩ সালের তাপমাত্রা ও আর্দ্রতার তথ্য বিশ্লেষণ এবং ২০২৪ সালে ১৬ হাজার মানুষকে নিয়ে করা দুই দফা জরিপের ফলাফলের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৯৮০ সালের পর থেকে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বেড়েছে ১.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে অনভূত তাপমাত্রা বেড়েছে ৪.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর ফলে ডায়রিয়া, শ্বাসকষ্ট, দীর্ঘস্থায়ী কাশি, অবসাদসহ নানা শারীরিক অসুস্থতা দেখা দিচ্ছে। পাশাপাশি বিষণ্নতা ও উদ্বেগের মতো মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যাও বাড়ছে।

তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। ১৯৮০ সালের পর থেকে দেশের গড় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বেড়েছে ১ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, আর এ সময়ে ঢাকায় বেড়েছে ১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অর্থাৎ, ঢাকার তাপমাত্রা জাতীয় গড়ের চেয়ে প্রায় ৬৫ শতাংশ বেশি।

বিশ্বব্যাংক বলছে, তাদের প্রতিবেদন শারীরিক-মানসিক স্বাস্থ্য ও উৎপাদনশীলতার সঙ্গে তাপের সম্পর্ক পর্যালোচনা করেছে। এতে উদ্বেগজনক চিত্র পাওয়া গেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জরিপে অংশ নেওয়া জনগণের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদি কাশির সমস্যা সবচেয়ে বেশি পাওয়া গেছে। শীতে যেখানে কাশিতে আক্রান্ত হওয়ার হার ৩.৩ শতাংশ, গ্রীষ্মে আক্রান্তের হার বেড়ে ৬ শতাংশ হয়েছে। ৬৬ বছরের বেশি বয়সিদের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদি কাশির প্রবণতা বেশি। ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে তাপমাত্রা থাকলে, দীর্ঘমেয়াদি কাশির হার ২২.৭ শতাংশ বেড়ে যায়।

জরিপে অংশগ্রহণকারী ২.৬ শতাংশ ব্যক্তির মধ্যে তাপজনিত ক্লান্তি দেখা গিয়েছিল। ৩৬ বছর থেকে ৬৫ বছর বয়সী কর্মক্ষম জনগণের এবং ৬৬ বছরের বেশি বয়সি প্রবীণদের মধ্যে গ্রীষ্মকালে তাপজনিত ক্লান্তি সবচেয়ে বেশি ছিল। ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কম তাপমাত্রার তুলনায়, ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি তাপমাত্রায়, তাপজনিত ক্লান্তির সম্ভাবনা ২৬.৫ শতাংশ বৃদ্ধি পায় বলে বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গ্রীষ্মকালে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার হার ৪.৪ শতাংশ ছিল, শীতকালে এটি ছিল ১.৮ শতাংশ। এই রোগে সবচেয়ে বেশি ভূক্তভোগী হয় নারী ও ৫ বছরের কম বয়সী শিশুরা। ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কম তাপমাত্রার তুলনায়, ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপর তাপমাত্রায় ডায়রিয়ার সম্ভাবনা ৪৭.৭ শতাংশ বেড়ে যায়।

বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন বলছে উষ্ণায়ন মানসিক স্বাস্থ্যেও ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। জরিপে দেখা গেছে, শীতে যেখানে বিষণ্নতায় ভোগার হার ১৬.২ শতাংশ থাকে, গ্রীষ্মে তা বেড়ে ২০ শতাংশ হয়। একইভাবে শীতে যেখানে অস্থিরতা বা উদ্বেগজনিত মানসিক সমস্যার হার ৮.৩ শতাংশ পাওয়া গেছে, গ্রীষ্মে তা বেড়ে ১০ শতাংশ হয়েছে। ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কম তাপমাত্রার তুলনায় ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি তাপমাত্রায় এই দুই সমস্যা যথাক্রমে ২৩.৮ শতাংশ এবং ৩৭.১ শতাংশ বেড়ে যায়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন—পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (স্বাস্থ্য) ডা. মো. সায়েদুর রহমান। এই আয়োজনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র অপারেশনস অফিসার ইফফাত মাহমুদ এবং সিনিয়র হেলথ স্পেশালিস্ট ওয়ামেক এ. রাজা।

সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ ও ভুটানের ডিভিশনাল ডিরেক্টর জাঁ পেসমে, সাউথ এশিয়া হেলথ নিউট্রিশন অ্যান্ড পপুলেশন প্র্যাকটিস ম্যানেজার ড. ফেং ঝাও।


banner close