বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে ঢাকায় বিদেশি কূটনৈতিক মিশন, জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা ও আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের ব্রিফ করবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র এসব তথ্য জানায়।
সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বিদেশি কূটনীতিকদের ব্রিফি করবেন। সরকারের গুরত্বপূর্ণ কয়েকজন মন্ত্রীও উপস্থিত থাকতে পারেন বলে জানা গেছে।
সূত্র জানায়, আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি রাজনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে কূটনীতিকদের জানানো হবে। বিশেষ করে কোন পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ২৮ অক্টোবর বিকেল থেকে বিএনপির বিরুদ্ধে অ্যাকশনে গেছে, তা বিস্তারিত তুলে ধরা হবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, এ ক্ষেত্রে বিএনপি মহাসচিবসহ অন্যদের গ্রেপ্তার নিয়ে বিদেশিদের প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হবে। সেসব প্রশ্নের উত্তর দিতে যথেষ্ট প্রমাণ দেয়ার প্রস্তুতি রয়েছে।
চলতি বছরের প্রথম আট মাসে সারা দেশে ৫৪ নারী যৌন হয়রানি এবং নির্যাতনের শিকার হয়েছে ৫৪ কন্যাশিশু। একই সময়ে ৩৯০ কন্যাশিশু ধর্ষণ ও গণধর্ষণের শিকার হয়েছে। আর আত্মহত্যা করেছে ১০৪টি শিশু। কন্যাশিশুর প্রতি নির্যাতন ও সহিংসতার চিত্র পর্যবেক্ষণবিষয়ক এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরাম।
গতকাল শনিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এই প্রতিবেদনের তথ্য তুলে ধরা হয়। প্রতিবেদনটি তৈরিতে সহায়তা করেছে এডুকো বাংলাদেশ।
প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি বছরের আট মাসে ৩৪ জন শিশু অপহরণ ও পাচারের শিকার হয়েছে।
এর মধ্যে ১৮ জন কন্যাশিশুকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। এই সময়ে ৮৩ জন কন্যাশিশু খুন হয়েছে এবং ৫০ জন কন্যাশিশুর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে, যাদের মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যায়নি।
সংবাদ সম্মেলনে প্রতিবেদন তুলে ধরেন জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরামের ন্যাশনাল কো-অর্ডিনেটর সৈয়দা আহসানা জামান এ্যানি। তিনি বলেন, রাষ্ট্র সংস্কারের মধ্য দিয়ে অবশ্যই নারীবান্ধব পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে, যাতে একজন নারী বা কন্যাশিশু যেকোনো সময়ে কোনো ধরনের সহিংসতার ভয় ছাড়াই ঘর-বাসা থেকে বের হতে পারেন এবং নির্বিঘ্নে পথ চলতে পারেন।
জানুয়ারি থেকে আগস্টের এই সময়ে মোট ৫৪ জন কন্যাশিশু যৌন হয়রানির শিকার হয়েছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ। তবে ২০২৩ সালের তুলনায় কম। ২০২৪ সালের একই সময়ে ২৮ জন এবং ২০২৩ সালে ১১৭ জন কন্যাশিশু যৌন হয়রানি ও নির্যাতনের শিকার হয়েছে। কন্যাশিশু ও নারীরা পথেঘাটে, যানবাহনে, বাজারে, জনবহুল স্থানে, এমনকি শিক্ষা, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসহ বাসাবাড়িতে হরহামেশা যৌন নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন।
সংকট থেকে উত্তরণে ১১টি সুপারিশ তুলে ধরা হয়েছে জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরামের পক্ষ থেকে। এর মধ্যে যৌন হয়রানি, উত্ত্যক্তকরণ ও নিপীড়ন রোধে সর্বস্তরের জন্য ‘যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ও সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৫’ অনুমোদন; শিশু নির্যাতন, ধর্ষণ ও হত্যার সব ঘটনাকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়ে দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিচারিক কার্যক্রম সম্পন্ন করা; ধর্ষণের ঘটনার অভিযোগ এলে ধর্ষণের শিকার নারী ও কন্যার পরিবর্তে অভিযুক্ত ব্যক্তিকেই প্রমাণ করতে হবে যে সে এ ঘটনা ঘটায়নি, এ–সম্পর্কিত প্রচলিত আইনের বিধান সংশোধন করা; হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী বাধ্যতামূলকভাবে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যৌন নিপীড়নবিরোধী সেল গঠনের কঠোর নির্দেশনা মনিটরিংয়ের ভিত্তিতে নিশ্চিত করাসহ বিভিন্ন বিষয় রয়েছে।
জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরামের সভাপতি বদিউল আলম মজুমদারের সভাপতিত্বে এবং অপরাজেয় বাংলাদেশ-এর নির্বাহী পরিচালক ওয়াহিদা বানুর সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরন, প্ল্যান ইন্টারন্যাশনালের পলিসি, অ্যাডভোকেসি, ইনফ্লুয়েঞ্জিং অ্যান্ড ক্যাম্পেইনের পরিচালক নিশাত সুলতানা, আইনজীবী ফাহমিদা রিংকী।
কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল শনিবার বাংলাদেশের প্রতি অভিনন্দন বার্তা দিয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং। দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেছেন, কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার পর থেকে অর্ধশতাব্দীরও বেশি সময় ধরে আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক পরিস্থিতি যেভাবেই পরিবর্তিত হোক না কেন, শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের পাঁচটি নীতির ভিত্তিতে দুই দেশ সম্পর্ক গড়ে তুলেছে।
চীনা প্রেসিডেন্ট বলেন, চীন এবং বাংলাদেশ ঐতিহ্যবাহী বন্ধু ও ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী। দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ আদান-প্রদানের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। উভয় পক্ষই পারস্পরিক শ্রদ্ধা, সমান আচরণ এবং উভয় দেশের মধ্যে সহযোগিতার একটি চমৎকার উদাহরণ স্থাপন করেছে।
সি চিন পিং বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীন ও বাংলাদেশ তাদের রাজনৈতিক পারস্পরিক আস্থা ক্রমাগত সুসংহত করেছে। উচ্চমানের বেল্ট অ্যান্ড রোড সহযোগিতা এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাস্তব সহযোগিতা ক্রমাগত প্রসারিত হয়েছে। দুই দেশের ব্যাপক কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশীদারিত্ব আরও গভীর হয়েছে।
চীন-বাংলাদেশ সম্পর্কের ক্রমবর্ধমান গুরুত্বের ওপর জোর দিয়ে সি চিন পিং
জানান, তিনি কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকীকে ঐতিহ্যবাহী বন্ধুত্বকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার, পারস্পরিক উপকারী সহযোগিতা আরও গভীর করার, দুই দেশের জনগণের জন্য আরও বেশি সুবিধা প্রদান এবং বিশ্ব শান্তি ও উন্নয়নে বৃহত্তর অবদান রাখার সুযোগ হিসেবে গ্রহণের জন্য কাজ করতে প্রস্তুত।
এদিকে, পৃথক বার্তায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন বলেছেন, গত ৫০ বছরে বাংলাদেশ ও চীন যৌথভাবে পারস্পরিক শ্রদ্ধা, পারস্পরিক বিশ্বাস এবং স্থায়ী সহযোগিতার ওপর ভিত্তি করে একটি গভীর বন্ধুত্ব গড়ে তুলেছে, যা দুই দেশের জনগণের জন্য বাস্তব সুবিধা বয়ে এনেছে।
তিনি বলেন, আঞ্চলিক শান্তি, স্থিতিশীলতা ও অভিন্ন সমৃদ্ধি বৃদ্ধিতে চীনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা এবং বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়নে চীনের দীর্ঘমেয়াদী ও মূল্যবান সহায়তার জন্য বাংলাদেশ অত্যন্ত কৃতজ্ঞ।
তিনি আস্থা প্রকাশ করেন, দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা আরও ফলপ্রসূ ফলাফল বয়ে আনবে।
অপরদিকে, কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০তম বার্ষিকীতে চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং এবং বাংলাদেশি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসও একে অপরকে অভিনন্দন বার্তা দিয়েছেন।
লি বলেন, চীন-বাংলাদেশ সম্পর্কের উন্নয়নকে আমরা অত্যন্ত মূল্য দেই। ৫০তম বার্ষিকীকে উচ্চমানের বেল্ট অ্যান্ড রোড সহযোগিতা, বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা ত্বরান্বিত করার এবং চীন-বাংলাদেশ ব্যাপক কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশীদারিত্বকে ধারাবাহিকভাবে এগিয়ে নেওয়ার সুযোগ হিসেবে গ্রহণের জন্য বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত চীন।
ড. ইউনূস বলেন, গত ৫০ বছরে দুই দেশের জনগণের মধ্যে বন্ধুত্ব আরও দৃঢ় হয়েছে, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক স্থিতিশীলভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে এবং দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা ফলপ্রসূ ফলাফল এনে দিয়েছে, যা সত্যিই উদযাপনের যোগ্য।
তিনি আরও বলেন, ধারাবাহিক ও বৃহত্তর ফলাফল অর্জনের জন্য বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে ব্যাপক কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশীদারিত্বকে এগিয়ে নিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
ওমরাহ পালন সবসময়ই মুসলিমদের জন্য স্বপ্নের সফর। তবে ভিসা, হোটেল বুকিং ও পরিবহন ব্যবস্থাপনায় জটিলতা অনেক সময় ভ্রমণকারীদের বিপাকে ফেলে। অনেকে এজেন্টের ওপর নির্ভর করেন, আবার কেউ কেউ পর্যটক ভিসায় গিয়ে ওমরাহ পালন করে থাকেন। কিন্তু সম্প্রতি সৌদি আরব নতুন নিয়ম চালু করেছে, যা ভ্রমণ প্রক্রিয়াকে আরও স্বচ্ছ ও সুশৃঙ্খল করবে।
এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে খালিজ টাইমস।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এখন থেকে ভিসা আবেদন থেকে শুরু করে হোটেল, পরিবহন সবকিছুই সরকারি প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে করতে হবে। এমন বেশ কিছু শর্ত মানতে হবে ওমরাহ করতে ইচ্ছুক মুসল্লিদের।
১. ভিসার সময় হোটেল বুকিং বাধ্যতামূলক
এখন থেকে ভিসার আবেদন করার সময়ই হোটেল বুক করতে হবে। অনুমোদিত হোটেল মাসার সিস্টেম বা নুসুক অ্যাপের মাধ্যমে বেছে নিতে হবে।
আরব আমিরাত ভিত্তিক আসা ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলসের স্বত্বাধিকারী কায়সার মাহমুদ বলেন, ‘হোটেল ও পরিবহণ ব্যবস্থা সৌদি আরবের ‘মাসার’ নামক ব্যবস্থার সঙ্গে সংযুক্ত। এমনকি ট্যাক্সিও পোর্টালের মাধ্যমে বুক করতে হয়, যাতে শুধু অনুমোদিত পরিষেবা ব্যবহার করা যায়।’
২. আত্মীয়ের বাসায় থাকলে সৌদি আইডি লাগবে
পরিবার বা আত্মীয়ের বাসায় থাকার ক্ষেত্রে হোস্টের ইউনিফাইড সৌদি আইডি ভিসার সঙ্গে যুক্ত করতে হবে। সময় পরিবর্তন বা সফর পিছালেও একই আইডি সিস্টেমে হালনাগাদ করতে হবে।
৩. পর্যটক ভিসায় ওমরাহ নয়
এখন থেকে পর্যটক ভিসায় ওমরাহ পালন সম্ভব নয়। যারা চেষ্টা করবেন, তাদের থামিয়ে দেয়া হতে পারে এবং মদিনার রিয়াজুল জান্নাতেও প্রবেশ বন্ধ থাকবে।
৪. ওমরাহ ভিসা বাধ্যতামূলক
বাধ্যতামূলক ওমরাহ ভিসা সকল হজযাত্রীদের নুসুক প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে একটি ডেডিকেটেড ওমরাহ ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে, হয় ই-ভিসা হিসেবে অথবা অনুমোদিত অপারেটরদের মাধ্যমে প্যাকেজ বুকিং করে।
৫. কঠোর ভ্রমণসূচি নিয়ম
ভিসার সঙ্গে সফরসূচি জমা দিতে হবে, যা পরে পরিবর্তন বা স্থগিত করা যাবে না। নির্ধারিত সময়ের বেশি অবস্থান করলে জরিমানা দিতে হবে।
মাহমুদ বলেন,‘আপনি যদি অনুমোদিত পরিকল্পনার বাইরে আপনার অবস্থান বাড়াতে চান, তাহলে তা করা যাবে না। যদি ফেরার যাত্রা স্থগিত করা হয়, তাহলে এজেন্টদের ব্যক্তি প্রতি ৭৫০ রিয়াল থেকে শুরু করে জরিমানা করা হয় এবং এমনকি সিস্টেম ব্লকেজের সম্মুখীন হতে পারে।’
৬. কিছু দেশের জন্য ভিসা অন অ্যারাইভাল
যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা বা শেনজেন দেশগুলোর ভিসাধারীরা শর্তসাপেক্ষে ভিসা অন অ্যারাইভাল পাবেন। শর্ত হলো, আগে এসব দেশে অন্তত একবার ভ্রমণ করতে হবে এবং এবং ভিসার মেয়াদ এক বছর হতে হবে।
৭. বিমানবন্দরে বুকিং যাচাই
আগমনের পর বিমানবন্দরে কর্তৃপক্ষ নুসুক বা মাসার সিস্টেমে থাকা হোটেল ও পরিবহন বুকিং যাচাই করবে। কোনো কিছু অনুপস্থিত থাকলে জরিমানা বা ভ্রমণে বাধা দেয়া হতে পারে।
৮. অনুমোদিত ট্যাক্সি ও পরিবহণ ব্যবহার বাধ্যতামূলক
পথচারী ট্যাক্সি বা যে কোনো গাড়ি নেওয়া যাবে না। শুধুমাত্র নুসুক অ্যাপের মাধ্যমে অনুমোদিত ট্যাক্সি, বাস বা ট্রেন ব্যবহার করতে হবে।
৯. হারামাইন ট্রেনের নির্দিষ্ট সময়
হারামাইন এক্সপ্রেস ট্রেন রাত ৯টার পর আর চলে না। তাই এ সময়ের পর আসলে আগে থেকেই অনুমোদিত পরিবহন বুক করতে হবে। অন্যথায় হজযাত্রীরা সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে।
১০. নিয়ম ভাঙলে কড়া জরিমানা
যে কোনো নিয়ম লঙ্ঘনের জন্য ভারি জরিমানা রয়েছে। নিয়ম ভঙ্গের জন্য কর্তৃপক্ষ হজযাত্রী এবং এজেন্ট উভয়ের উপরই বড় ধরনের জরিমানা আরোপ করতে পারে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ২০২৫ সালের মানবপাচার (টিআইপি) বিষয়ক প্রতিবেদনে বাংলাদেশকে দ্বিতীয় স্তরে স্থান দেওয়া হয়েছে। দেশের শাসনব্যবস্থার পরিবর্তন এবং বিশ্বব্যাপী অভিবাসনের চাপ সংশ্লিষ্ট চলমান চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও মানবপাচার মোকাবিলায় বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য এবং টেকসই অগ্রগতির স্বীকৃতি এটি।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সরকার মানবপাচার নির্মূলের সর্বনিম্ন মান সম্পূর্ণরূপে পূরণ না করলেও আগের তুলনায় এখন উল্লেখযোগ্য প্রচেষ্টা চলছে। বর্তমান সরকার পূর্ববর্তী প্রতিবেদনের সময়ের তুলনায় সামগ্রিকভাবে ক্রমবর্ধমান প্রচেষ্টা প্রদর্শন করেছে। সে কারণে বাংলাদেশের অবস্থান এই তালিকায় দ্বিতীয় স্তরে।
প্রতিবেদন অনুসারে, বাংলাদেশ মানবপাচার রোধে ভুক্তভোগীদের সুরক্ষা, প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং আন্তঃসংস্থা সমন্বয়ের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি দেখিয়েছে।
ভুক্তভোগী শনাক্তকরণ এবং সুরক্ষা পরিষেবা বৃদ্ধি, সম্মুখ সারির কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ সম্প্রসারণ এবং আনুষ্ঠানিকভাবে একটি ‘ন্যাশনাল রেফারেল মেকানিজম’ গ্রহণের জন্য সরকারের প্রশংসা করা হয়েছে প্রতিবেদনে।
সরকার ১ হাজার ৪৬২ জন পাচারের শিকারকে শনাক্ত করেছে। শনাক্ত হওয়াদের মধ্যে ১৪৪ জন যৌনকর্মী হিসেবে পাচারের শিকার হয়েছে এবং ২৮৫ জনকে জোরপূর্বক শ্রম দিতে বাধ্য করা হয়েছে। এছাড়া ১ হাজার ৩৩ জন অন্যান্য ধরনের পাচারের শিকার হয়েছে। পূর্ববর্তী প্রতিবেদনে একই সময়ে ১ হাজার ২১০ জন ভুক্তভোগীকে শনাক্ত করা হয়েছিল।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভুক্তভোগীদের শনাক্ত করার পর সরকার তাদের সুরক্ষার জন্য পদক্ষেপ নিয়েছে।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক, সমাজকল্যাণ, প্রবাসী কল্যাণ এবং বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় পরিচালিত কেন্দ্রগুলোর মাধ্যমে এসব ভুক্তভোগীদের স্বাস্থ্যসেবা, আইনি সহায়তা ও আশ্রয়ের সুযোগও প্রদান করা হচ্ছে।
সরকার সুশীল সমাজের সঙ্গে সমন্বয় করে ভুক্তভোগীদের সেবার ব্যাপারে পুলিশ, অভিবাসন কর্মকর্তা ও শ্রম পরিদর্শকদের প্রশিক্ষণ দিয়েছে। এই পদক্ষেপগুলো আন্তর্জাতিক মানবপাচার-বিরোধী মানদণ্ডের সঙ্গে জাতীয় চর্চাকে সামঞ্জস্যপূর্ণ করার মূল পদক্ষেপ হিসেবে প্রশংসিত হয়েছে।
আন্তর্জাতিক মানবপাচার নেটওয়ার্ক তদন্তে ইন্টারপোল, ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকাসহ বৈশ্বিক অংশীজনদের সঙ্গে বাংলাদেশের চলমান সহযোগিতার কথাও স্বীকার করা হয়েছে প্রতিবেদনে।
পাচারবিরোধী পক্ষগুলোকে শক্তিশালী করার এবং অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি), পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এবং কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি)-এর মধ্যে সমন্বয় সুদৃঢ় করার জন্য সরকারের অব্যাহত প্রচেষ্টার কথাও তুলে ধরা হয়েছে এতে।
সরকার জাতীয় মানবপাচার বিরোধী কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে শক্তভাবে পাচার প্রতিরোধ প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পাচার প্রতিরোধ ও সচেতনতামূলক কার্যক্রমের জন্য এ বছর ৬২১ দশমিক ৪৯ মিলিয়ন টাকা বরাদ্দ করে জাতীয় কর্মপরিকল্পনা ২০১৮-২০২৫ বাস্তবায়ন অব্যাহত রেখেছে। আগের বছরের তুলনায় এবার উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বরাদ্দ বৃদ্ধি পেয়েছে।
জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ের পাচার-বিরোধী কমিটি বাংলা ও ইংরেজি উভয় ভাষায় মুদ্রিত পত্রিকা, রেডিও এবং ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে সচেতনতামূলক প্রচারণা অব্যাহত রেখেছে।
এভাবে প্রচারের মাধ্যমে নিরাপদ অভিবাসন, শ্রম অধিকার এবং প্রতারণামূলক নিয়োগের ঝুঁকি সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা হচ্ছে।
জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো ১০৪টি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র পরিচালনা অব্যাহত রেখেছে এবং বিদেশগামী কর্মীদের জন্য প্রস্থান-পূর্ব প্রশিক্ষণ সেশন চালু করেছে। এর মধ্যে নারী গৃহকর্মীদের জন্য ৩০ দিনের একটি বিশেষায়িত কোর্সও রয়েছে।
বিদেশে আমাদের দেশ থেকে যাওয়া শ্রমিকদের শোষণের ঝুঁকি কমানোই এসব পদক্ষেপের মূল উদ্দেশ্য।
সরকার মালয়েশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া ও ব্রুনাইয়ের মতো প্রধান গন্তব্যস্থলের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক শ্রম চুক্তি জোরদার করেছে। এছাড়া, অভিবাসী শ্রমিকদের অতিরিক্ত ফি থেকে বাঁচানোর জন্য নিয়োগকর্তা প্রদত্ত নিয়োগ মডেল প্রতিষ্ঠা করেছে।
অভিবাসীদের ভবিষ্যত বিবেচনায় জাতীয় একটি নীতিও চালু করা হয়েছে। প্রত্যাগত অভিবাসী কর্মীদের সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য গৃহীত একটি সমন্বিত পরিকল্পনা এটি। পাচার থেকে বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিরাও এর অন্তর্ভুক্ত, যেন প্রত্যাবর্তনের পর তারা জীবিকার সুযোগ পায়।
ক্ষতিগ্রস্তদের প্রত্যাবাসন এবং আন্তঃসীমান্ত সহযোগিতা সহজ করার জন্য ২০১৫ সালে ভারতের সঙ্গে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকের আওতায় বাংলাদেশ প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে কাজ অব্যাহত রেখেছে।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, বাংলাদেশ বঙ্গোপসাগরীয় অঞ্চলে পাচারবিরোধী সমন্বয় জোরদার করার জন্য ভারত, নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও থাইল্যান্ডের সঙ্গে কাজ করছে।
প্রতিবেদনে জোর দিয়ে বলা হয়েছে, দেশের চলমান সংস্কার, প্রাতিষ্ঠানিক উন্নয়ন এবং আন্তর্জাতিক সম্পৃক্ততা সব ধরনের মানবপাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করার দৃঢ় রাজনৈতিক ইচ্ছার প্রতিফলন।
বাংলাদেশের দ্বিতীয় স্তরে স্থান পাওয়ার বিষয়টি আইনের শাসন জোরদার, অভিবাসী কর্মীদের সুরক্ষা এবং পাচারের শিকারদের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার প্রতি দেশটির ক্রমবর্ধমান প্রতিশ্রুতিকে নির্দেশ করে। সরকার মানবপাচার রোধে কাঠামোগত উন্নয়নে বিনিয়োগ অব্যাহত রেখেছে। সূত্র : বাসস
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, বিশ্বে বিরাজমান অস্থিতিশীল অবস্থা দূরীকরণ ও বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় বুদ্ধের শিক্ষা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
আগামীকাল ৫ অক্টোবর বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব ‘শুভ প্রবারণা পূর্ণিমা ও কঠিন চীবর দান’ উপলক্ষ্যে আজ দেয়া এক বাণীতে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীকে তিনি আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, মহামতি গৌতম বুদ্ধ আজীবন মানুষের কল্যাণে এবং শান্তি প্রতিষ্ঠায় অহিংসা, সাম্য ও মৈত্রীর বাণী প্রচার করেছেন। শান্তি ও সম্প্রীতির মাধ্যমে আদর্শ সমাজ গঠনই ছিল তাঁর মূল লক্ষ্য। তাঁর আদর্শ মানবিকতা ও ত্যাগের মহিমায় সমুজ্জ্বল। তাঁর অহিংস বাণী ও জীবপ্রেম আজও বিশ্বব্যাপী সমাদৃত।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মাটি ও মানুষের সাথে হাজার বছরের বৌদ্ধ ঐতিহ্য মিশে আছে। প্রাচীনকালে বর্তমান বাংলাদেশের অঞ্চলটি এশিয়ার বৌদ্ধধর্মের একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র ছিল, যার প্রমাণ হিসেবে দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রাচীন বৌদ্ধ বিহার দেখা যায়।
অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। আবহমানকাল ধরে এদেশে বিভিন্ন ধর্ম, বর্ণ ও গোত্রের মানুষ সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে বসবাস করে। জাতি হিসেবে আমাদের সকল অর্জন ও প্রাপ্তিতে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের অবদান রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী নতুন বাংলাদেশের মানুষের মাঝে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও সহিষ্ণুতা আরো দৃঢ় ও অটুট হবে এবং জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের সম্মিলিত প্রয়াসে একটি বৈষম্যহীন, ন্যায়ানুগ ও মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন রাষ্ট্র গঠনের অভিযাত্রা মসৃণ ও সাফল্যমন্ডিত হবে-এটাই আমার প্রত্যাশা।’
প্রধান উপদেষ্টা ‘শুভ প্রবারণা পূর্ণিমা ও কঠিন চীবর দান’ উৎসবের সার্বিক সফলতা কামনা করেন। সূত্র : বাসস
দেশের ৮ অঞ্চলের ওপর দিয়ে দুপুরের মধ্যে সর্বোচ্চ ৬০ কিমি বেগে ঝড় বয়ে যেতে পারে বলে আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
শনিবার দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ/দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিমি বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এদিকে, শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুরের অধিকাংশ এলাকায় এবং রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় ঝোড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। একই সঙ্গে কোথাও কোথাও ভারী বর্ষণের শঙ্কা রয়েছে।
দেশজুড়ে শুরু হয়েছে মা ইলিশ রক্ষায় সরকারি অভিযান। প্রতিবছরের মতো এবারও মা ইলিশ সংরক্ষণে ২২ দিনব্যাপী নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার। ঝালকাঠি জেলায় এ উপলক্ষে জেলা মৎস্য দপ্তরের তৎপরতা দেখা গেলেও বাস্তবে কতটা সফল হবে এ অভিযান তা নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে রয়েছে প্রশ্ন।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জয়দেব পাল জানিয়েছেন, ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে আগামী ২২দিন মা ইলিশ ধরা সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এজন্য নৌপুলিশ, কোস্টগার্ড, র্যাব, সেনাবাহিনী ও স্থানীয় প্রশাসনের সমন্বয়ে নদীতে টহল জোরদার করা হবে। ঝালকাঠি জেলায় দিনে ও রাতে পৃথক ভাবে ৮টি টহল টিম অভিযান পরিচালনা করবে। পাশাপাশি জেলেদের সচেতন করতে আগে থেকেই বিভিন্ন এলাকায় প্রচারণা চালানো হয়েছে।
তবে মাঠপর্যায়ে এসব কার্যক্রম কতটা কার্যকর হবে তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। তাদের দাবি, প্রতি বছরই অভিযান চললেও অনেক জায়গায় গোপনে মা ইলিশ ধরা ও বিক্রি অব্যাহত থাকে। তাই শুধুমাত্র হাকডাক নয়, কঠোর নজরদারি ও বাস্তবায়নই পারে এই উদ্যোগকে সফল করতে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিষেধাজ্ঞার সঠিক বাস্তবায়ন হলে ইলিশের প্রজনন সুরক্ষিত হবে এবং আগামীতে আরও বেশি ইলিশ পাওয়া যাবে। এখন দেখার বিষয় কথায় নয়, বাস্তবে কতটা কার্যকর হয় এ অভিযান।
গত বছর ঠিক একই সময়ের তুলনায় এখন চাল-তেল থেকে শুরু করে মাছ-মাংসসহ অনেক নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে সাধারণ নিম্নআয়ের মানুষের ব্যয় বেড়েছে।
রাষ্ট্রীয় বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য বলছে, ২০২৪ সালের একই সময়ের তুলনায় বাজারে মানভেদে চাল, ডাল, আটা, ময়দা, তেল, মাছ ও মাংসের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে একই সময়ে পেঁয়াজ, রসুন ও ডিমের দাম কিছুটা কমেছে। পাশাপাশি সব ধরনের শাক-সবজির দাম বেশি গত বছরের তুলনায়।
তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, বাজারে প্রতি কেজি চিকন চাল ৭৫ থেকে ৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা গত বছর আগে একই সময়ে বিক্রি হয়েছিল ৬৪ থেকে ৮০ টাকা। এ হিসাবে প্রতি কেজি চিকন চালের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে ৫ থেকে ১১ টাকা পর্যন্ত। একইভাবে মাঝারি মানের চাল কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে ৬০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মোটা চালের কেজিতে ৫ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে ৫৫ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ডালের দামের মধ্যে মোটা ডালের দাম কিছুটা কমলেও মাঝারি ও ছোট দানার ডালের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।
টিসিবির তথ্য বিশ্লেষণে আরও দেখা গেছে, বাজারে প্রতি কেজি বড় দানার মসুর ডাল ৯৫ থেকে ১১০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। যার গত বছর এ সময়ে দাম ছিল ১০৫ থেকে ১১০ টাকা। মাঝারি মানের মসুর ডালের কেজি ১২০ থেকে ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা গত বছর একই সময়ে ১১৫ থেকে ১২০ টাকায় পাওয়া যেত। ছোট দানার মসুর ডালের কেজিতে ২০ থেকে ২৫ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে গত বছরের তুলনায় অ্যাংকর ডালের কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা কমেছে বলে টিসিবি তথ্য দিচ্ছে। প্রতি কেজি অ্যাংকর ডাল ৬০ থেকে ৮০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।
আটা ও ময়দার মধ্যে খোলা আটার কেজিতে বেড়েছে ৫ থেকে ৭ টাকা। বাজারে প্রতি কেজি খোলা আটা বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫২ টাকায়। যা গত বছর একই সময়ে বিক্রি হয়েছিল ৪০ থেকে ৪৫ টাকা। খোলা ময়দার কেজিতে ৫ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে ৫৫ থেকে ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর প্যাকেট আটার কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে ৫৫ থেকে ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্যাকেট ময়দার কেজি ৬৫ থেকে ৭৫ টাকা। যা গত বছর এ সময়ে ছিল ৬৫ থেকে ৭০ টাকা।
আলোচ্য সময়ে ভোজ্যতেলের মধ্যে সব ধরনের তেলের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।
বাজারে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৭৮ টাকা। যা গত বছর একই সময়ে বিক্রি হয়েছিল ১৫১ থেকে ১৫৫ টাকা। এ হিসাবে প্রতি লিটার খোলা তেলের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে ২০ থেকে ২৩ টাকা। আর বোতলজাত এক লিটার সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৮৮ থেকে ১৯০ টাকায়। যা গত বছর ছিল ১৬৭ টাকা বা তারও কম। আর বোতলজাত ৫ লিটার সয়াবিন তেলের দাম ১১০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে ৮৯০ থেকে ৯২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া খোলা পাম অয়েলের লিটারে ১৬ থেকে ১৮ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে ১৫৩ থেকে ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সুপার পাম অয়েলের লিটারে ১০ থেকে ১৬ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে ১৫৫ থেকে ১৬৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর রাইস ব্রান তেলের ৫ লিটার গত বছর যেখানে ৯০০ টাকায় পাওয়া যেত এখন সেই তেল কিনতে হচ্ছে ১ হাজার ৩০ টাকা বা তারও বেশি দামে।
তবে চাল, ডাল, তেল ও আটা-ময়দার দাম বেশি থাকলেও গত বছরের তুলনায় এ বছর বাজারে মসলাজাত পণ্যের দাম কমেছে। প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ৬৫ থেকে ৮০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে, যা গত বছর এ সময়ে ছিল ১০৫ থেকে ১১০ টাকা। দেশি রসুনের কেজি ১০০ থেকে ১৪০ টাকা। গত বছর ছিল ২১০ থেকে ২২০ টাকা। আমদানি রসুনের কেজি ১৩০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা গত বছর একই সময়ে ২০০ থেকে ২২০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল।
মাছের মধ্যে প্রায় সব মাছের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। ইলিশের ভরা মৌসুমেও মাছটির দাম সাধারণের হাতের নাগালের বাইরে। ছোট আকারের (৪ পিসে কেজি) ইলিশের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা। যা গত বছর ৩৫০ থেকে ৫০০ টাকায় পাওয়া গেছে। আর আকারভেদে এক কেজি বা তারও বেশি ওজনের প্রতি কেজি ইলিশের দাম ছিল ১ হাজার ৮০০ থেকে শুরু করে ২ হাজার ৫০০ বা তারও বেশি। যা গত বছর একই সময়ে ১৫০০ থেকে ২ হাজার টাকায় পাওয়া গেছে।
এদিকে, ইলিশ মৌসুমে দাম না কমায় রুই-কাতলাসহ অন্যান্য মাছের দামও বেশি। প্রতি কেজি রুই-কাতলা ৩০০ থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা গত বছর এ সময়ে ২৮০ থেকে ৪০০ টাকায় পাওয়া গেছে। এছাড়া রাজধানীর এলাকাভেদে প্রতি কেজি খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে, ১ হাজার থেকে ১২০০ টাকা বা তারও বেশি দামে। যা গত বছর ৯০০ থেকে ১০০০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল।
তবে গত বছরের তুলনায় বাজারে প্রতি হালি ফার্মের ডিমের দাম কমেছে ৫ থেকে ১০ টাকা। প্রতি হালি ফার্মের (লাল বা বাদামি) ডিম বিক্রি হচ্ছে, ৪৫ থেকে ৫০ টাকা।
নিত্যপণ্যের সঙ্গে বাজারে সব ধরনের শাক-সবজির দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। শিমের দাম এক সপ্তাহের ব্যবধানে ১৫০ টাকা থেকে ২৪০ টাকা পর্যন্ত উঠেছে। বাজারে সবচেয়ে বেশি সংকট ও দাম বাড়তি দেখা গেছে কাঁচামরিচের। মসলাজাতীয় এই পণ্যটির দাম সপ্তাহের ব্যবধানে প্রায় ১০০ টাকা বেড়ে ৩২০ টাকায় উঠেছে।
গত বছর ঠিক একই সময়ের তুলনায় এখন চাল-তেল থেকে শুরু করে মাছ-মাংসসহ অনেক নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে সাধারণ নিম্নআয়ের মানুষের ব্যয় বেড়েছে।
রাষ্ট্রীয় বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য বলছে, ২০২৪ সালের একই সময়ের তুলনায় বাজারে মানভেদে চাল, ডাল, আটা, ময়দা, তেল, মাছ ও মাংসের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে একই সময়ে পেঁয়াজ, রসুন ও ডিমের দাম কিছুটা কমেছে। পাশাপাশি সব ধরনের শাক-সবজির দাম বেশি গত বছরের তুলনায়।
তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, বাজারে প্রতি কেজি চিকন চাল ৭৫ থেকে ৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা গত বছর আগে একই সময়ে বিক্রি হয়েছিল ৬৪ থেকে ৮০ টাকা। এ হিসাবে প্রতি কেজি চিকন চালের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে ৫ থেকে ১১ টাকা পর্যন্ত। একইভাবে মাঝারি মানের চাল কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে ৬০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মোটা চালের কেজিতে ৫ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে ৫৫ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ডালের দামের মধ্যে মোটা ডালের দাম কিছুটা কমলেও মাঝারি ও ছোট দানার ডালের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।
টিসিবির তথ্য বিশ্লেষণে আরও দেখা গেছে, বাজারে প্রতি কেজি বড় দানার মসুর ডাল ৯৫ থেকে ১১০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। যার গত বছর এ সময়ে দাম ছিল ১০৫ থেকে ১১০ টাকা। মাঝারি মানের মসুর ডালের কেজি ১২০ থেকে ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা গত বছর একই সময়ে ১১৫ থেকে ১২০ টাকায় পাওয়া যেত। ছোট দানার মসুর ডালের কেজিতে ২০ থেকে ২৫ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে গত বছরের তুলনায় অ্যাংকর ডালের কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা কমেছে বলে টিসিবি তথ্য দিচ্ছে। প্রতি কেজি অ্যাংকর ডাল ৬০ থেকে ৮০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।
আটা ও ময়দার মধ্যে খোলা আটার কেজিতে বেড়েছে ৫ থেকে ৭ টাকা। বাজারে প্রতি কেজি খোলা আটা বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫২ টাকায়। যা গত বছর একই সময়ে বিক্রি হয়েছিল ৪০ থেকে ৪৫ টাকা। খোলা ময়দার কেজিতে ৫ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে ৫৫ থেকে ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর প্যাকেট আটার কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে ৫৫ থেকে ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্যাকেট ময়দার কেজি ৬৫ থেকে ৭৫ টাকা। যা গত বছর এ সময়ে ছিল ৬৫ থেকে ৭০ টাকা।
আলোচ্য সময়ে ভোজ্যতেলের মধ্যে সব ধরনের তেলের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।
বাজারে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৭৮ টাকা। যা গত বছর একই সময়ে বিক্রি হয়েছিল ১৫১ থেকে ১৫৫ টাকা। এ হিসাবে প্রতি লিটার খোলা তেলের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে ২০ থেকে ২৩ টাকা। আর বোতলজাত এক লিটার সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৮৮ থেকে ১৯০ টাকায়। যা গত বছর ছিল ১৬৭ টাকা বা তারও কম। আর বোতলজাত ৫ লিটার সয়াবিন তেলের দাম ১১০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে ৮৯০ থেকে ৯২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া খোলা পাম অয়েলের লিটারে ১৬ থেকে ১৮ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে ১৫৩ থেকে ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সুপার পাম অয়েলের লিটারে ১০ থেকে ১৬ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে ১৫৫ থেকে ১৬৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর রাইস ব্রান তেলের ৫ লিটার গত বছর যেখানে ৯০০ টাকায় পাওয়া যেত এখন সেই তেল কিনতে হচ্ছে ১ হাজার ৩০ টাকা বা তারও বেশি দামে।
তবে চাল, ডাল, তেল ও আটা-ময়দার দাম বেশি থাকলেও গত বছরের তুলনায় এ বছর বাজারে মসলাজাত পণ্যের দাম কমেছে। প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ৬৫ থেকে ৮০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে, যা গত বছর এ সময়ে ছিল ১০৫ থেকে ১১০ টাকা। দেশি রসুনের কেজি ১০০ থেকে ১৪০ টাকা। গত বছর ছিল ২১০ থেকে ২২০ টাকা। আমদানি রসুনের কেজি ১৩০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা গত বছর একই সময়ে ২০০ থেকে ২২০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল।
মাছের মধ্যে প্রায় সব মাছের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। ইলিশের ভরা মৌসুমেও মাছটির দাম সাধারণের হাতের নাগালের বাইরে। ছোট আকারের (৪ পিসে কেজি) ইলিশের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা। যা গত বছর ৩৫০ থেকে ৫০০ টাকায় পাওয়া গেছে। আর আকারভেদে এক কেজি বা তারও বেশি ওজনের প্রতি কেজি ইলিশের দাম ছিল ১ হাজার ৮০০ থেকে শুরু করে ২ হাজার ৫০০ বা তারও বেশি। যা গত বছর একই সময়ে ১৫০০ থেকে ২ হাজার টাকায় পাওয়া গেছে।
এদিকে, ইলিশ মৌসুমে দাম না কমায় রুই-কাতলাসহ অন্যান্য মাছের দামও বেশি। প্রতি কেজি রুই-কাতলা ৩০০ থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা গত বছর এ সময়ে ২৮০ থেকে ৪০০ টাকায় পাওয়া গেছে। এছাড়া রাজধানীর এলাকাভেদে প্রতি কেজি খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে, ১ হাজার থেকে ১২০০ টাকা বা তারও বেশি দামে। যা গত বছর ৯০০ থেকে ১০০০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল।
তবে গত বছরের তুলনায় বাজারে প্রতি হালি ফার্মের ডিমের দাম কমেছে ৫ থেকে ১০ টাকা। প্রতি হালি ফার্মের (লাল বা বাদামি) ডিম বিক্রি হচ্ছে, ৪৫ থেকে ৫০ টাকা।
নিত্যপণ্যের সঙ্গে বাজারে সব ধরনের শাক-সবজির দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। শিমের দাম এক সপ্তাহের ব্যবধানে ১৫০ টাকা থেকে ২৪০ টাকা পর্যন্ত উঠেছে। বাজারে সবচেয়ে বেশি সংকট ও দাম বাড়তি দেখা গেছে কাঁচামরিচের। মসলাজাতীয় এই পণ্যটির দাম সপ্তাহের ব্যবধানে প্রায় ১০০ টাকা বেড়ে ৩২০ টাকায় উঠেছে।
প্রায় তিন মাস ধরে সবজির বাজারে উত্তাপ চলছে। এই অবস্থার মধ্যে সপ্তাহের ব্যবধানে সবজির দাম আরও বেড়েছে। বেশিরভাগ সবজির দাম বেড়ে ১০০ টাকার কাছাকাছি পৌঁছেছে। পাশাপাশি কাঁচামরিচের দাম বেড়ে এখন ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা। এতে বিপাকে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ।
বিক্রেতারা বলছেন, পূজার কারণে ভারতের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ ও টানা বৃষ্টিতে ফসলের ক্ষতি হওয়ায় দাম কিছুটা বেশি। তবে সাধারণ ক্রেতারা মনে করেন, বাজারে সব কিছুর দামই বাড়তি। এটা দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে। বাজার তদারকির অভাবেই এমনটি হচ্ছে বলে মনে করেন তারা।
গতকাল শুক্রবার রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে সাধারণ মানুষের নাগালের বাহিরে থাকা বেগুনের দাম এখন আরও চড়া। ৭০ টাকার গোল বেগুন বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ২২০ টাকায়। ২০ টাকা বেড়েছে লম্বা ও সাদা গোল বেগুনের দাম। এগুলোর দাম যথাক্রমে ১০০ ও ১৪০ টাকা কেজি। গত সপ্তাহের তুলনায় কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা করে বেড়েছে গাজর, টমেটো, ঢ্যাঁড়শ, বরবটি, করলা, ধুন্দল, চাল কুমড়োর দাম। গাজর ১২০ টাকা, টমেটো ১৪০, ঢ্যাঁড়শ ৮০ থেকে ৯০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকা, করলা ১০০ থেকে ১২০ টাকা, চাল কুমড়ো এখন ৬০ টাকা কেজি। এছাড়া ঝিঙা ৮০, কচুরমুখী ৮০, কাঁকরোল ৭০, শসা ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০, মুলা ৬০, লাউ ৭০, আলু ২৫ টাকা প্রতি কেজি। তবে পেঁপের দাম কেজিতে পাঁচ টাকা কমে ২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ২৪০ টাকার সিম এখন ১৬০ টাকা কেজি।
মিরপুর ৬ নাম্বার সেকশন বাজারে আবুল হোসেন নামে একজন ক্রেতা বলেন, বেশ কিছু দিন ধরে দেখে আসছি— বাজারে মাছ, মাংস, সবজির দাম বেশি। আজ তো বাজারে ক্রেতা কম। এরপরও দাম বেশি। ব্যবসায়ীদের একটা চক্র আছে। এরা সিস্টেম করে দাম বেশি রাখে। এদের কেউ দেখে না, ধরেও না। বেশিরভাগ সবজির দামই এখন ১০০ টাকার কাছাকাছি। মানুষ খাবে কী?
তবে গত সপ্তাহের মতো ব্রয়লার মুরগির দাম এখন কেজি ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা। পাকিস্তানি মুরগির কেজি ৩১০ থেকে ৩২০ টাকা। খাসির মাংস ১৩০০ টাকা, বকরি ১০০০ টাকা, আর গরুর মাংসের কেজি ৭৫০ টাকা।
বাজারগুলোতে লাল শাক ২০ টাকা আঁটি, লাউ শাক ৪০ টাকা, কলমি শাক দুটো আঁটি ২০ টাকা, পুঁই শাক ৪০ টাকা এবং ডাটা শাক দুই আঁটি ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এসব বাজারে আলু ২৫ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ৭৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে শুক্রবার মধ্যরাত থেকে নদীতে ধরা এবং বিক্রির বন্ধের ঘোষণায় চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে ইলিশ মাছ। বাজারগুলোতে এক কেজি ওজনের ইলিশ কেজিতে ২০০ টাকা বেড়ে ২৩০০ থেকে ২৫০০ টাকা এবং ৭০০ গ্রামের ইলিশ ২১০০ টাকা, ৫০০ গ্রামের বেশি ওজনের ইলিশ ১৫০০ টাকা, ৩০০ গ্রামের ইলিশ ১১০০ টাকা এবং ১৫০ থেকে ২০০ গ্রামের মাছ ৬৫০ থেকে ৭৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়।
এসব বাজারে এক কেজি চাষের শিং মাছ (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৫৫০ টাকায়, দেশি শিং ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা, প্রতি কেজি রুই মাছের দাম বেড়ে (আকারভেদে) ৪০০ থেকে ৫৫০ টাকায়, দেশি মাগুর মাছ ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা, মৃগেল ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকায়, চাষের পাঙ্গাশ ২০০ থেকে ২৩০ টাকায়, চিংড়ি প্রতি কেজি ৮০০ থেকে ১৪০০ টাকায়, বোয়াল মাছ প্রতি কেজি ৬০০ থেকে ৮০০ টাকায়, বড় কাতল ৪০০ থেকে ৫৫০ টাকায়, পোয়া মাছ ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকায়, পাবদা মাছ ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকায়, তেলাপিয়া ২২০ টাকায়, কৈ মাছ ২২০ থেকে ২৩০ টাকায়, মলা ৫০০ টাকা, বাতাসি টেংরা ১৩০০ টাকায়, টেংরা মাছ ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, কাচকি মাছ ৫০০ টাকায় এবং পাঁচ মিশালি মাছ ২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে গরুর মাংস কেজি প্রতি ৭৫০ থেকে ৭৮০ টাকায়, গরুর কলিজা ৭৮০ টাকা, গরুর মাথার মাংস ৪৫০ টাকা, গরুর বট ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা এবং খাসির মাংস কেজি প্রতি ১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজারগুলোতে দেশি আদা ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা, চায়না আদা ২০০ টাকা, রসুন দেশি ১০০ টাকা এবং ইন্ডিয়ান ১৪০ টাকা, দেশি মসুর ডাল ১৬০ টাকা, মুগ ডাল ১৮০ টাকা, ছোলা ১১০ টাকা এবং খেসারির ডাল ১৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
জুলাই সনদ বাস্তবায়নে আইনগত কোন বাধা নেই বলে মন্তব্য করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। তিনি বলেছেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী জুলাই সনদ বাস্তবায়ন করা হবে।
ঝিনাইদহে জোহান ড্রীম ভ্যালি পার্ক মিলনায়তনে স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি আজ শুক্রবার এ কথা বলেন।
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘আওয়ামী লীগের শাসনামলে দেশের সাংবিধানিক সকল প্রতিষ্ঠানকে অকার্যকর করে রাখা হয়েছিল। আওয়ামী লীগের শাসনামলে প্রশাসনে দায়িত্ব পালনকালে যারা বড় ধরনের অপরাধের সাথে জড়িত ছিলেন না, তারা দেশের জন্য, রাষ্ট্রের জন্য আগামীতেও চাকরি করবেন। তবে যারা আওয়ামী লীগের নির্দেশে অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিলেন, সরকার তাদের অপরাধ বিবেচনায় নিয়ে আইনগত সিদ্ধান্ত নেবে। ’
এর আগে সকাল ১০টায় ঢাকাস্থ ঝিনাইদহ সাংবাদিক ফোরামের সঙ্গে জেলার স্থানীয় সংবাদকর্মীদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সভাপতি আসিফ কাজল।
ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সহসভাপতি আসিফ ইকবাল মাখন ও সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম লিটনের সঞ্চালনায় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট এমএ মজিদ, ঢাকাস্থ ঝিনাইদহ সাংবাদিক সমিতির সভাপতি মেহেদী হাসান পলাশ, সাধারণ সম্পাদক শাহনাজ বেগম পলি, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহনেওয়াজ খান সুমন, ঝিনাইদহ চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মো. মোয়াজ্জেম হোসেন, জেলা দোকান মালিক সমিতির সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম বাদশা।সূত্র :বাসস
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৮০তম অধিবেশনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের অংশগ্রহণ বাংলাদেশের দায়িত্বশীল বৈশ্বিক ভূমিকাকে আরও সুদৃঢ় করেছে। এতে গণতান্ত্রিক শাসন, মানবিক সংহতি ও গঠনমূলক আন্তর্জাতিক সহযোগিতার প্রতি বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি নতুনভাবে প্রতিফলিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।সূত্র : বাসস
আজ নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে পোস্ট করা এক বার্তায় তিনি প্রধান উপদেষ্টার ইউএনজিএ সফরের সাফল্যগুলো তুলে ধরেন।
শফিকুল আলম জানান, অধ্যাপক ইউনূস গত সপ্তাহে নিউইয়র্কে ইউএনজিএ-র উচ্চপর্যায়ের অধিবেশনে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলকে নেতৃত্ব দেন। সেখানে তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে উদ্দেশ করে বক্তব্য রাখেন, বিশ্বনেতাদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন এবং গণতন্ত্র, মানবিক নেতৃত্ব ও ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক সহযোগিতা নিয়ে বাংলাদেশের দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপন করেন।
প্রেস সচিব বলেন, ইউএনজিএ-র ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশে গণতন্ত্র, স্বচ্ছতা ও অন্তর্ভুক্তিমূলক শাসনব্যবস্থার প্রতি অটল অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি স্বাধীন, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের প্রস্তুতির কথা উল্লেখ করে বৈশ্বিক মহলকে আশ্বস্ত করেন যে বাংলাদেশ জনগণ ও আন্তর্জাতিক অংশীদারদের লালিত গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ রক্ষায় প্রস্তুত।
শফিকুল আলম বলেন, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সফরে তিন রাজনৈতিক দলের ৬ প্রতিনিধি ছিলেন। তিনি উল্লেখ করেন, ‘এটাই প্রথমবার এমন একটি মর্যাদাপূর্ণ প্রতিনিধিদল একসঙ্গে সফরে যোগ দিল। তারা কূটনীতিক, প্রবাসী নেতৃবৃন্দ ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এসব যোগাযোগ বিশ্বের কাছে শক্তিশালী বার্তা পৌঁছে দিয়েছে যে গোটা বাংলাদেশই গণতান্ত্রিক, স্বাধীন ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পথে একসঙ্গে এগোচ্ছে।’
বিশ্বনেতাদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার কৌশলগত বৈঠক প্রসঙ্গে আলম বলেন, অধ্যাপক ইউনূস উচ্চপর্যায়ের একাধিক দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন, যা বাংলাদেশের বৈশ্বিক অংশীদারিত্ব জোরদার ও যৌথ অগ্রাধিকারের প্রসারে ভূমিকা রাখে।
তিনি জানান, ইতালি, ফিনল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, পাকিস্তান, অস্ট্রেলিয়া, আলবেনিয়া, কসোভো ও ভুটানের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে গণতান্ত্রিক শাসন, বাণিজ্য, জলবায়ু সহনশীলতা ও মানব উন্নয়নের বিষয় গুরুত্ব পায়।
আলম আরও বলেন, প্রধান উপদেষ্টা জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস, ইউএনএইচসিআর প্রধান ফিলিপো গ্রান্ডি, ইউনিসেফ নির্বাহী পরিচালক ক্যাথরিন রাসেল, জাতিসংঘের আন্ডার-সেক্রেটারি জেনারেল রাবাব ফাতিমা, বিশ্বব্যাংক প্রেসিডেন্ট অজয় বাঙ্গা, নেদারল্যান্ডসের রানি ম্যাক্সিমা এবং আইএমএফ ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভার সঙ্গে বৈঠক করেন।
এছাড়া অধ্যাপক ইউনূস মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আয়োজিত নৈশভোজে অংশ নিয়ে শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূতের সঙ্গেও তাৎপর্যপূর্ণ আলোচনা হয়, যেখানে আঞ্চলিক সহযোগিতা ও বহুপাক্ষিক কূটনীতিতে বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ভূমিকা উঠে আসে।
রোহিঙ্গা সংকটে মানবিক নেতৃত্ব প্রসঙ্গে আলম বলেন, প্রধান উপদেষ্টার সফরের মূল বিষয় ছিল রোহিঙ্গা ইস্যু। সেখানে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া এক মিলিয়নের বেশি বাস্তুচ্যুত মানুষের প্রতি অব্যাহত মানবিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি পাওয়া যায়। জাতিসংঘ সংস্থা ও দাতা দেশগুলোর সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা নিরাপদ, স্বেচ্ছায় ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং সংকট যেন বৈশ্বিক মনোযোগ থেকে হারিয়ে না যায় সে আহ্বান জানান। প্রেস সচিব জানান, এ সময় তিনি যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য থেকে রোহিঙ্গাদের সহায়তায় ৯৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের প্রতিশ্রুতি আনতে সক্ষম হন।
শফিকুল আলম বলেন, জবাবদিহি ও উন্নয়নে সরকারের প্রতিশ্রুতি তুলে ধরতে অধ্যাপক ইউনূস জাতিসংঘকে অনুরোধ জানান বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উত্তরণের অগ্রগতির একটি স্বাধীন মূল্যায়ন পরিচালনা করতে। এ অনুরোধ ঢাকার অর্থনৈতিক যাত্রাপথে আস্থা ও গঠনমূলক আন্তর্জাতিক মূল্যায়নের প্রতি উন্মুক্ততা প্রকাশ করে।
প্রেস সচিব জানান, ইউএনজিএ সফরে বিদেশে কর্মসংস্থান ও শ্রমশক্তি রপ্তানির নতুন সুযোগও উন্মোচিত হয়। কসোভো, আলবেনিয়া ও ইউরোপের আরও কয়েকটি দেশের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনায় বাংলাদেশের শ্রমিকদের জন্য শ্রমবাজার সম্প্রসারণের বিষয়ে সম্ভাবনা খোঁজা হয়েছে। তিনি বলেন, এসব সুযোগ প্রবাসী আয় বাড়াতে ও নতুন অংশীদার দেশের সঙ্গে জনগণের পারস্পরিক সম্পর্ক জোরদার করতে সহায়ক হবে।
গাজার উদ্দেশ্যে যাওয়া মানবিক সহায়তাকারী নৌবহর গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা আটকের ঘটনায় ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক জলসীমায় জাহাজ আটকের ঘটনা আইনের মারাত্মক লঙ্ঘন বলে আখ্যা দিয়েছে ঢাকা।
শুক্রবার (৩ অক্টোবর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ নিন্দা জানানো হয়।
অবিলম্বে ইসরায়েলকে নিঃশর্তভাবে আটক সব মানবিক সহায়তা কর্মী ও অ্যাক্টিভিস্টদের মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ। এছাড়া তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কথাও বলা হয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও বলছে, অবৈধ দখলদারিত্বের অবসান, আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া এবং গাজা উপত্যকায় অবিলম্বে গণহত্যা বন্ধ ও মানবিক অবরোধ তুলে নিতে ইসরায়েলকে আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ।
বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, মানবিক সহায়তা বহনকারী নৌবহরটি ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি বৈশ্বিক সংহতির প্রতিনিধিত্ব করে। ইসরায়েলি বাহিনীর উচিত গাজায় বেসামরিক জনগণের জন্য বাধাহীন প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা।
বাংলাদেশ সরকার ও জনগণ এই চরম দুর্দশা ও ভোগান্তির সময়ে ফিলিস্তিনের জনগণের সঙ্গে অবিচল সংহতি বজায় রাখার কথা পুনরায় ব্যক্ত করেছে বলেও উল্লেখ করা হয়।
প্রায় ৪৫টি জাহাজ নিয়ে গঠিত ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’ নৌবহর গত মাসে স্পেন থেকে গাজার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে। এতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ফিলিস্তিনপন্থী রাজনীতিবিদ ও মানবাধিকারকর্মীরা রয়েছেন। তাদের মধ্যে সুইডিশ জলবায়ু আন্দোলনকর্মী গ্রেটা থুনবার্গও আছেন। ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের ওপর ইসরায়েলের আরোপিত অবরোধ ভাঙাই ছিল এই নৌবহরের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য। গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি যুদ্ধে ইতোমধ্যে দুর্ভিক্ষ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। গত বুধবার থেকেই ইসরায়েলি নৌবাহিনী ফ্লোটিলার বহরে থাকা নৌযান আটক করতে শুরু করে।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শত মত মানবাধিকারকর্মী, রাজনীতিক ও সাংবাদিকদের বহনকারী গাজা অভিমুখী ফ্লোটিলার ৪৫টি জাহাজের প্রায় সবগুলোই আটক করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। এই মানবাধিকার কর্মীরা ইসরায়েলের আরোপিত গাজার সামুদ্রিক অবরোধ ভাঙার চেষ্টা করছিলেন।